কর্পোরেট বাণিজ্যের গলাধাক্কায় রাজপথ দুধে সয়লাব

বাঙালি কবে থেকে ব্যাপারী হয়েছে সেই হাল সাকিন মেলে না। কিন্তু বাঙালি যে ব্যাপারী হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আগে কেউ ব্যাবসা-বাণিজ্য নিয়ে দরকষাকষি করলে, কিংবা কিপ্টেমি করলে বলা হতো-মেড়োর স্বভাব পেয়েছে! মেড়ো, অর্থাৎ উত্তর প্রদেশের বা মধ্য প্রদেশের মাড়োয়ারি সম্প্রদায় এই ব্যবসা-বাণিজ্যে এতদিন একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিল। সে নিয়ে বাঙালির সংস্কৃতিতে অনেক প্রবাদও চালু আছে। একাত্তরের পর মাড়োয়ারি আর বিহারিদের দখল থেকে বাণিজ্য মুক্ত হবার পর পরই সেখানে উঠতি বাঙালি বাবু আর সায়েবদের রমরমা। তারও অনেক পরে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী গুলো ধীরে ধীরে সেই বাঙালির ছোট ছোট ব্যাপার ক্ষেত্রগুলোর দখল নিতে থাকে। বাঙালি অন্য সবকিছুর মতই একটু পরে গা-করে! একটু দেরিতে বোঝে। কিন্তু নব্বই দশকে সারা বিশ্বজুড়ে গ্লোবালাইজেশনের নামে বৃহৎ পুঁজির একচেটিয়াকরণের যে মচ্ছব শুরু হয় তার ভবিষ্যৎ ফলাফল কি হতে পারে সেটি বাঙালির চঞ্চল মস্তিষ্কে খেলেনি। তাই তারা ট্যাঁপোও করেনি। যারা দুপাতা লেখা-লেখি করেন তারা এনিয়ে কিছু প্রতিবাদের চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু তাও যথেষ্ট ছিল না। ফলে যা হবার তাই-ই হলো। বাংলাদেশ বেগম জিয়ার পারিবারিক সরকারের জমানায় হুট করেই ‘গ্যাট’ চুক্তিতে স্বক্ষর করে বসল! এখানে একটা তথ্য দেওয়া প্রাসঙ্গিক হবে-

ভারতে যখন গ্লোবালাইজেশনের নামে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই তারা (ভারত সরকার) একজন বিচারপতি মিঃ ডাঙ্কেল কে দায়িত্ব দিলো এই বিশ্বায়ন চুক্তির ভাল-মন্দ বাছ-বিচার করতে। এটার নাম হলো ‘ডাঙ্কেল প্রস্তাব’। তখন এই প্রস্তবনাটি তারা দেশের একবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিল। রেডিও টিভি, সিনেমা, পোস্টার ইত্যাদির মাধ্যমে তারা গ্রামের মানুষদের বিশ্বায়নের সুফল-কুফল দুই-ই বোঝাতে লাগল। টানা দুই বছর প্রচারের পর তারা সিদ্ধান্তে আসল যে, বিশ্বায়ন চুক্তি ভারতের আভ্যন্তরীন বাজারের জন্য শুভ নয়। এবং বলা বাহুল্য তারা ওই চুক্তি স্বক্ষর করেনি! আগেই বলেছি, আমাদের খালেদা-নিজামি সরকার অত ধুনপুনের ধার ধারেনা। তারা রাতারাতি গ্যাট নামের চুক্তি স্বাক্ষর করে বসল। আসলে এইসব চুক্তিটুক্তি স্বাক্ষর মানেই কাড়ি কাড়ি টাকা! আর আমাদের মত আবালঅধ্যুষিত সাধারণে ওসব ভাল-মন্দের বিচার করার কে আছে? পাবলিককে অত গোনারই বা কি আছে! তো চুক্তি স্বাক্ষরের পর আমপাবলিক এতে তেমন খারাপ কিছু দেখলোও না। বেশ। তার কয়েক বছর পর থেকেই অবশ্য দেখছে! দেখছে শুধু না, অস্থিমজ্জায় দগদগে ঘা নিয়েই দেখছে!

মোটা দাগে বিশ্বায়ন মানে “তুমি কোন কিছু অবগুণ্ঠিত রাখতে পারবেনা। তোমার বাজার সবার জন্য উন্মূক্ত রাখতে হবে। তোমার বাজারে যে কেউ অবারিত প্রবেশ করতে পারবে। তোমার পণ্য প্রচন্ড প্রতিযোগীতায় টিকতে পারলে তা বর্হিবিশ্বে রফতানি হতে পারে। কোন কোটা বা এ্যালোটমেন্ট থাকবেনা। জিএসপি বা এই জাতীয় কোন ইনসেনটিভও তুমি পাবেনা।তোমার দেশ এবং তোমার ব্যাংকও তোমার রুগ্ন শিল্পকে রোগমুক্ত করার জন্য টাকার যোগান দিতে পারবেনা।তেমনি তোমার অভ্যন্তরীণ বাজারে বিশ্বের সবার পণ্য ঢুকতে দিতে হবে। কাউকে এমবার্গো দিতে পারবেনা।”

অর্থাৎ সোজা বাংলায় তোমার কোন কিছুরই নিয়ন্ত্রক আর তুমি নও, সব কিছুর নিয়ন্ত্রক এখন উন্মূক্ত বাজার, বাজার অর্থনীতি। এই চুক্তির পর পরই সরকারকে ট্যারিফ পুননির্ধারণ করতে হয়েছে। সর্বোচ্চ শুল্ক রাখতে হয়েছে ২৫%। আগে সরকার যদি মনে করত যে পণ্য তার দেশেই উৎপাদন হয় সেটি তারা আমদানি করবে না। আর না করাকে নিশ্চিত করার জন্য ওই পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে রাখা হতো।যেমন পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, এবং অন্যাণ্য পণ্য যা এদেশে উৎপাদন হয় তা এখন আর আমদানি নিষিদ্ধ নয়। অর্থাৎ কোন বিগ মার্চেন্ট যদি দেখে যে দেশে পাটের বস্তা কিনতে যে টাকা লাগে তার চেয়ে কমদামে সে আমদানি করতে পারে, তাহলে সে তা করতেই পারে।এরই হাত ধরে দেশে এখন এমন অনেক পণ্য শুভঙ্করের ফাঁক গলে আমদানি হচ্ছে যা এদেশেই তৈরি হয়। কেউ একটা বিশাল লট আমদানি করে স্থানীয় ছোট কারখানাগুলোকে স্রেফ পথে বসিয়ে দিতে পারে! তাকে প্রটেকশন দেবার কেউ নেই! ঠিক এই কাজটিই হয়েছে দুধের বেলায়। “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে”। এই প্রবাদটা এখন কার্যকর হতে চলেছে। কোথায় ? সেই সব দুধ উৎপন্ন হওয়া জায়গাগুলোতে। এই বিষয়ের ভয়াবহ খবরটা দেখুন……

মিল্কভিটাসহ বিভিন্ন দুগ্ধ কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনা এবং দাম কমিয়ে দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে দেশী দুগ্ধশিল্প। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা। রাস্তায় দুধ ঢেলে এবং সড়ক অবরোধ করে তারা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরে। কম দামি বিদেশী দুধ সহজলভ্য হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে খামারিদের কাছ থেকে কম দামে দুধ সংগ্রহ করলেও এখনো আগের বর্ধিত দামেই বিক্রি করছে মিল্কভিটাসহ অন্যান্য দুগ্ধ কোম্পানিগুলো (কি চমৎকার খেল!)।

মিল্কভিটাসহ বিভিন্ন দুগ্ধ কোম্পানি স্থানীয় খামারিদের কাছ থেকে দাম কমানোসহ দুধ কেনার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় খামারিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ভারত ও চীনের কমদামি দুধ পেয়ে কোম্পানিগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে দুগ্ধ খামারি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। দুগ্ধ খামারি ও দুগ্ধ ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। কোম্পানিগুলোর এই হটকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেড়ায় দুগ্ধ খামারি ও ব্যবসায়ীরা পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক দফা দুধ ঢেলে ফেলে। একই সঙ্গে তারা মহাসড়ক অবরোধ এবং মিছিল সমাবেশ অব্যাহত রাখে।

পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট-বড়ো প্রায় ৪ হাজার দুগ্ধ খামার। এসব এলাকার খামারে ও ব্যক্তিগত গাভী পালনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ লাখ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান।ইতিপূর্বে এসব দুগ্ধ এলাকা থেকে প্রাণ, মিল্কভিটা, আকিজ কোম্পানি ও আফতাবসহ কয়েকটি কোম্পানি দুধ সংগ্রহ করে কিনে নিয়ে যাওয়ায় সংশি¬ষ্টরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করছিল। কিন্তু গত ২ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন করে এসব কোম্পানি দুধ কেনা বন্ধ রাখার পর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রাণসহ কয়েকটি কোম্পানি দুধ কেনা বন্ধ রাখে। এর প্রতিবাদে পাবনার বেড়া উপজেলায় শত শত খামারি ও দুগ্ধ ব্যবসায়ী পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় ৭০ মণ দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানায়।

এসব খবর পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলে কোম্পানিগুলো খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনা আবার শুরু করে। কিন্তু পরিমাণ ও দাম কমিয়ে দেয়। ভারত ও চীন থেকে কম দামে নিম্নমানের দুধ সংগ্রহ করছে এসব কোম্পানি। ভারতীয় আমূল নামক পাউডার দুধ অতি সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। কোম্পানিগুলোর কারণে দুধের দাম ইতিমধ্যে ৪০ ভাগ কমে এসেছে। কোম্পানিগুলো তাদের কাছ থেকে ৩২ টাকা লিটার দুধ কিনতো। কিন্তু বর্তমানে ২৪ টাকা লিটার দুধ কিনছে। একই সঙ্গে দুধ কেনার পরিমাণও কমিয়ে দিয়েছে অর্ধেক।
সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানা এলাকায় দুধের দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার খামারি। দুধ আমদানির কারণে লোকসানের দিকে ধাবিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ লিটার দুধ উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে মিল্কভিটা প্রতিদিন খামারিদের কাছ থেকে ক্রয় করছে দেড় লাখ লিটার দুধ। অন্যান্য বেসরকারি দুগ্ধ ক্রয় কেন্দ্রগুলো ক্রয় করে আরো প্রায় দেড় লাখ লিটার দুধ। উদ্বৃত্ত এক লাখ লিটার দুধ ন্যয্য দামে বিক্রি করতে না পেরে খামারিরা প্রতিদিনই বিপাকে পড়ছে। এ সুযোগে ও নানা অজুহাতে সরকারি-বেসরকারি সংগ্রহকারীরাও সংগ্রহ ও দুধের মূল্য কমিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে দুধ পরিবহনের ব্যয় বেড়ে গেলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এর সঙ্গে জড়িত কয়েকশত শ্রমিক। মিল্কভিটার সঙ্গে যুক্তরা বলছে সরকারের কর নীতির কারণে বিদেশ থেকে যে দুধ আসছে গ্রাকহরা তা কম মূল্যে পাচ্ছে। ফলে দেশী দুধ ক্রেতারা কিনছে না। এছাড়া মিল্ক ভিটার দুধ ১৫% ভ্যাট ধরায় তা বাজারে অনেক মূল্য দিয়ে ভোক্তাদের কিনতে হয়। বাজার আমদানি করা দুধে সযলাব। তারদের কথা মতে, প্রকৃত খামারিদের বা সমিতি ভুক্তদের দুধ নেয়ার টার্গেট কিংবা মূল্য কমানো হয়নি।

অপরদিকে বেসরকারি দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড আগে প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার লিটার দুধ ক্রয় করত। এখন ৫ হাজার লিটার ক্রয় করছেন, দামও কমানো হয়েছে লিটার প্রতি ৬ টাকা। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। মিষ্টি উৎপাদনকারীরা বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গুঁড়ো দুধ দিয়ে তাদের কাজ সারছে। আর তাই খাঁটি দুধের আর কদর নেই তাদের কাছে। ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়া পাঁচশতাধিক খামারি এ নিয়ে মহাবেকায়দায় পড়েছে। তারা প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ বিক্রি করতে না পেরে রাস্তায় ঢেলে দিচ্ছে ।

এবার আমাদের সরকার এই দুধের খামারিদের কি করবেন? ভর্তুকি দেবেন? দিলে কিভাবে? কত টাকা? এই সব প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই। সরকারের কাছে এসবের উত্তর থাকেওনা।“গ্যাট” তো বলেই দিয়েছিল- তুমি কারো অবাধ আমদানি বন্ধ করতে পারনা। কারো অবাধ রপ্তানিও রুদ্ধ করতে পারনা।সেই ভানু বন্দোপাধ্যায়ের কৌতুকটা মনে পড়ে? ভানু একটা লম্বা সিটের পুরোটারই টিকিট কেটে বলেছিল- “তিনঠো টিকিট কাটা হ্যায়, ইচ্ছে করেগা বসকে যায়েগা, ইচ্ছো করেগা তো শু-কে যায়েগা”!

বড় পুঁজি ছোট পুঁজিকে গিলে খায়, ঠিক বড় মাছে ছোট মাছকে গিলে খাবার মত। এটা অনেক পুরোনো উপমা। আমরাও জানতাম এমনই হবে, কিন্তু তার পরেও সরকার তার স্থানীয় শিল্পকে বাঁচানোর জন্য কি কিছুই করার ক্ষমতা রাখেনা? নিশ্চই রাখে। সরকার ইচ্ছে করলে আন্তর্জাতিক ট্যারিফ বা শুল্ক বাড়াতে পারেনা ঠিক, কিন্তু গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সম্পূরক শুল্ক আর এটিভি বা এ্যাডভান্স ট্রেডিং ভ্যাট বাড়িয়ে অবাধ আমদানি নিরুৎসাহিত করতে পারে। আমদানি করা দুধের ওপর সারচার্জ বসাতে পারে। আমদানি করা দুধের উৎপাদন পর্যায়ে আবগারি এবং উৎমূলে ভ্যাট বাড়িয়ে দিতে পার্ েযাতে করে বিদেশ থেকে নিুমানের দুধ আমদানিকারকরা বাধ্য হয়ে স্থানীয় দুধ কিনতে উৎসাহী হয়।আর এসব গ্যাট চুক্তিকে লঙ্ঘন না করেই করা সম্ভব। কিন্তু সরকার কি তা করবে? মনে হয় না, কারণ ইতিমধ্যে এমন কথাও উঠেছে যে, আমদানির ফলে শহুরে মানুষরা এখন মোটামুটি সস্তায় গুড়োদুধ পাচ্ছেন! আম নাগরিকেরা এখন তাদের সন্তানদের প্রটিনের অভাব,পুষ্টির অভাব মেটাতে পারছেন! ঠিকই তো! সাড়ে পাঁচশো টাকার গুড়োদুধ এখন চারশো টাকায় নেমে এসেছে! মারহাবা! আমাদের সন্তান এবার ঠিক থাকবে দুধে-ভাতে! তা যদি হাজার হাজার দুধ উৎপাদনকারীর জীবনের বিনিময়েও হয়, তাও সই!

একসময় এই বাঙলার চাষীরা তাদের পাটের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হাটের মধ্যে পাটে আগুন ধরিয়ে দিত। তারপর পাট চলে গেল! এখন দুধের খামারীরা পাকা রাস্তায় মণকে মণ দুধ ঢেলে দিচ্ছে! এর শেষ কোথায়? একে একে কি নিভিবে সকল দেউটি? তারপর কেবলই আঁধার চারিধারে . . . .

সাবস্ক্রাইব করুন
অবগত করুন
guest

6 মন্তব্যসমূহ
সবচেয়ে পুরোনো
সাম্প্রতিকতম সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত
Inline Feedbacks
View all comments
6
0
আপনার ভাবনাগুলোও শেয়ার করুনx
  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.