“মুনিম ভাই, আপনেরে ২৮০০ ‘টাকার’ কার্ড দিসে সিটি ব্যাঙ্ক, কই খাওয়াইবেন কন” আমার রুমমেট চেঁচিয়ে ঊঠল। আমেরিকায় আমার প্রথম ক্রেডিট কার্ড, ২৮০০ ডলার, এই ২৮০০ ডলারে আমি একশো ফানুস কিনে কিছু ফানুস উড়ানোর আজন্ম সলজ্জ সাধ পূরণ করতে পারি, নতুন জুতো কিনতে পারি, বেড়াতে যেতে পারি, শুধু মাসের শেষে মিনিমাম পেমেন্ট করলেই হবে। আমি শ তিনেক ডলার প্রথম মাসেই লোণ করলাম, মিনিমাম পেমেন্ট মোটে বিশ ডলার। কয়েক মাস বাদে আমার লোণ হাজার দুয়েক, মিনিমাম পেমেন্ট এমন কিছু নয়, ৫০ ডলার। আরও কয়েকটা কার্ড বাগিয়ে আমার ক্রেডিট লিমিট দাঁড়ালো ১৫ হাজারে, দুবছর বাদে দেশে গিয়ে বিয়েও করে এলাম, মূলত ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেই। এর বছর খানেক পরে আমার স্ত্রী যখন এদেশে এলেন, তখন মিনিমাম পেমেন্ট আর ‘মিনিমাম’ নেই, সেটা মাসে ৭০০ ডলারের কাছাকাছি। আমার মোট ঋণ তখন বিশ হাজার ডলারের উপরে। এই ঋণের চাপে নব বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে জোছনা এবং বৃষ্টি বিষয়ক নানা হূমায়নীয় ঢং করার যে স্বপ্ন ছিল, তাও বাস্তবায়িত হয়নি। আমার স্ত্রীকে মঁপাসার ‘দ্য ডায়মন্ড নেকলেসের’ কেরানীর স্ত্রীর মত কাজে নামতে হয় এবং কয়েকবছর কাজ করার পর আমাদের ঋণ শোধ হয়। আমি ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলো থেকে থেকে যা লোণ নিয়েছি তার পরিমাণ সব মিলিয়ে ১২-১৪ হাজারের বেশী নয়। তবে সব মিলিয়ে শোধ করেছি ৩০ হাজার ডলারেরও বেশী।
ব্যক্তিগত গল্প বলে বিরক্তি উৎপাদনের জন্য দুঃখিত। তবে এই গল্প ঠিক ব্যক্তিগত নয়, আমেরিকাতে বসবাসকারী প্রায় সবারই একই গল্প। আমেরিকান বড় বড় ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলো অতি লাভজনক ব্যবসা করে চলেছে দশকের পর দশক। সিটি গ্রুপের কার্ড নিয়ে আমি যে শুধ ফানুস উড়িয়েছি তাই নয়, টিউশন ফি দিয়েছি, পাঠ্যবই কিনেছি, মানে সেই কার্ড আমাকে পড়াশুনা শেষ করে আমেরিকায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্যও করেছে, শুধু আমাকেই নয়, লক্ষ লক্ষ মার্কিন ছাত্রকে করেছে। কিন্তু তাই আমরা কেউই বলছি না যে সিটি গ্রুপের CEO বিক্রম পণ্ডিতের নোবেল পাওয়া উচিত। বিক্রম বাবু নোবেল তো দুরের কথা, অতিরিক্ত বোনাস নেবার কারণে ওবামার বিরক্তির কারণ হয়েছিলেন।
বাংলাদেশেও গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নামে একটি ব্যাঙ্ক আছে, গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলোর মত লাভজনক ব্যবসা করছে। ঋণ দেওয়া হয়েছে দরিদ্রদের, তাদের বেশীরভাগই সময়মত সুদসহ ঋণ শোধ করেছে এবং করে চলেছে। ব্যাঙ্কটি বলছে যেহেতু গরীবরা সময় মত ঋণ শোধ করেছে, সেহেতু ধরে নিতে হবে তারা ঋণ নিয়ে নিজেরা ব্যবসা করেছে, ব্যবসায় লাভ হয়েছে এবং এর মাধ্যমেই তারা ঋণ শোধ করার সামর্থ্য অর্জন করেছে। ঋণ না পেলে তারা দারিদ্রের যে গভীর গাড্ডায় ছিল, সে গাড্ডাতেই থাকতো। জাপান কোরিয়ার মত দেশগুলোও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দারিদ্র ব্যাপক হারে কমিয়েছে, তবে সেটা old fashioned wayতে, ব্যাপক রপ্তানীমুখি শিল্পায়ন করে আর সেই শিল্পে লোকজনকে কাজ দিয়ে। এখন যেমন করছে চীন। বিশ্বে কেবল মাত্র বাংলাদেশেই দেখা গেলো গরীবদের লোণ দিয়ে ব্যবসা করিয়ে দারিদ্রমুক্ত করা যায়।
তবে সেই দারিদ্রমুক্তির ব্যাপারটিও অবশ্য এতই সন্তর্পণে হয়েছে যে আমরা বাংলাদেশীরা দেশে থেকেও সেটা টের পাইনি। আমরা পত্রিকা খুললেই দেখতাম পনের হাজার বাংলাদেশী অবৈধ পথে মালয়েশিয়াতে গিয়ে কাজ না পেয়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বেপরোয়া তরুণ বিমানের চাকায় উঠে বিদেশে পালাতে গিয়ে দম আটকে মারা গেছে, সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় মারা গেছে ডজন খানেক বেকুব যুবক। দারিদ্রমুক্তির ব্যাপারটা আমরা প্রথমে জানলাম তৎকালীন মার্কিন ফার্স্ট লেডী হিলারি ক্লিনটনের কাছ থেকে। তিনি সশরীরে বাংলাদেশে গিয়ে দেখলেন দারিদ্রমুক্ত মহিলাদের। কয়েকঘন্টা দেখেই তিনি বললেন গ্রামীণ ব্যাঙ্ক দারিদ্রমুক্তিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে। এর কয়েক বছর বাদে বিল ক্লিনটন স্বয়ং এলেন। তিনি অবশ্য নিরাপত্তা জনিত কারণে দারিদ্রমুক্ত অঞ্চলে যেতে পারলেন না, তবে দারিদ্রমুক্ত মহিলা এবং শিশুরা এলেন মার্কিন দূতাবাসে, দারিদ্রমুক্ত আনন্দিত শিশুরা ক্লিনটনকে ঘিরে নাচ গানে মেতে উঠলো। তিনিও বললেন দারিদ্রমুক্তি ঘটেছে। ক্লিনটন যে বছর এলেন সে বছরই এই পোস্টের লেখকও বুয়েট থেকে পাস করলো, পাস করে বেকার ঘুরতে লাগলো, এক স্নেহশীল শিক্ষকের কল্যাণে সে জাপানী দলের সাথে দোভাষীর কাজ নিয়ে চাঁদপুরের এক গ্রামীণ গ্রামে গেল। দারিদ্রমুক্তির কিছুই সে দেখল না, তবে জাপানী সাহেবেরা দেখা গেলো এই গ্রামের দারিদ্রমুক্তদের কি করে আর্সেনিক মুক্ত করা যায় সেই নিয়ে নিরীক্ষা করছেন। দারিদ্রমুক্তদের অবশ্য আর্সেনিক মুক্তি নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ দেখা গেল না। দারিদ্রমুক্তদের জিজ্ঞাসা করা হল গ্রামে আর্সেনিক বিশুদ্ধকরনের প্লান্ট বসালে তাঁরা অর্ধেক খরচ দিতে রাজী কিনা, দারিদ্রমুক্তরা বলল “সরকার পুরা খরচ দিলে দিবো, নাইলে নাই, গত বছরও সায়েবরা আইয়া একই কতা কইছিল, আমরা না কইরা দিসি”।
গ্রামীণ ব্যাঙ্কের দারিদ্রমুক্তি এতটাই চুপিসারে ঘটেছে যে গ্রামাঞ্চলের অনেক মহিলাই সম্ভবত এর খোঁজ পান নি, নইলে গার্মেন্টসে দিনে বার ঘণ্টা কাজ করার জন্য তিরিশ লক্ষ মহিলা গ্রাম ছাড়বেন কেন? নিজেদের মা বোনেরা গ্রামীণ ঋণ নিয়ে দারিদ্রমুক্ত হচ্ছেন, বাড়ির গর্দভ যুবকটি তা বোধহয় বুঝতেই পারেনি, নইলে জমি বিক্রি করে মধ্যপ্রাচ্যের নির্মাণ শিল্পে কাজ করতে যাওয়া কেন। কেনইবা শুধু শুধু ক্রেনের ধাক্কায় ধুম করে মরে যাওয়া।
তিরিশ লক্ষ গার্মেন্টস কর্মীর আর চল্লিশ লক্ষ প্রবাসীর অর্থনীতিতে অবদান বছরে চল্লিশ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রামীণের বিতরণ করা ক্ষুদ্র ঋণের পরিমাণ? ১ বিলিয়ন ডলার। চল্লিশ বিলিয়নের পুরোটা না হোক, খানিকটা তো trickle-down হয়ে গ্রামেই যায়, সেটা কি পারে না ১ বিলিয়নের বার্ষিক কিস্তি মেটাতে? ক্ষুদ্রঋণের ফিল্ড অফিসার তো ছাগল কেনার জন্য রোকেয়া বেগমের হাতে গুজে দিয়ে যান ‘ক্ষুদ্রঋণ’, সেই সাথে হিসাবের খাতা, সাপ্তাহিক কিস্তির পরিমাণ তাতে লেখা আছে। সেই কিস্তি শোধ হয়েই যায়, হয় ছাগলের দুধ বেঁচে না হলে রোকেয়া বেগমের আঠার বছরের কন্যার ঢাকার গার্মেন্টসে রক্ত বেঁচে। বছর ঘুরলেই গ্রামীণের ঝকঝকে ব্যালেন্স শিট, ২০০ মিলিয়ন গ্রোস প্রফিট, ১০ মিলিয়ন নেট প্রফিট। সেই ব্যালেন্স শিট নিয়ে ডঃ ইউনুস ঘুরে বেড়ান সারা পৃথিবীতে, সাথে আছে গোটা দশেক ‘সাকসেস স্টোরি’, হতদরিদ্র সুফিয়া বেগমের পাকা বাড়ি, স্বামী হারা রাবেয়া খাতুনের গ্রামীণ ফোনের জমজমাট ব্যবসা, সেই সাকসেস স্টোরি দেখে ইউরোপের অডিটোরিয়াম ফেটে পড়ে স্ট্যান্ডিং ওভেশনে। অডিটোরিয়াম দেখেছে ৭২এর তলা বিহীন ঝুড়ি, এখন দেখছে ১ বিলিয়ন ডলারের গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সেই ঝুড়ির তলা লাগিয়ে ফেলেছে। ১৫০ মিলিয়ন লোকের ঝুড়ি, এই ঝুড়ির তলা ১ বিলিয়নে লাগে না, ৪০ বিলিয়ন লাগে, তিরিশ লক্ষ গার্মেন্টস কর্মীর আর চল্লিশ লক্ষ প্রবাসীর উদয়াস্ত পরিশ্রম লাগে, কিন্তু এত হিসাবের সময় কোথায়? সুফিয়া বেগমের পাকা বাড়ির ভিস্যুয়াল, এর কাছে হেরে যায় নিরামিষ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান।
কিছু কিছু বেরসিক অর্থনীতিবিদ অবশ্য বলেই যান, ক্ষুদ্র ঋণ একটা হাইপ, ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তারা দাবী করেন সবার মাঝেই একজন entrepreneur লুকিয়ে আছে, কথাটা ঠিক নয়, সকলেই entrepreneur নয়, কেউ কেউ entrepreneur। তবে নাকের সামনে টাকা ঝোলালে সকলেই নেবে, সেটা ১৬ দফা নাকে খত দিয়ে হলেও নেবে। নিয়ে চেষ্টা করবে নিজস্ব ব্যবসার, অল্প জনই সফল হয়, বেশীরভাগই ব্যর্থ। তবে সেযুগের কাবুলিওয়ালার মত পাওনাদার এসে প্রতি সপ্তাহে দরজা ধাক্কালে পাওনা ঠিকই আদায় হয়। ব্যাঙ্কের হিসাব ঠিকই মিলে যায়, তবে ব্যাঙ্কের হিসাব মিলে যাওয়া মানে এই নয় যে দেনাদারেরা সবাই ব্যবসা করে দারিদ্রমুক্ত হয়েছেন। দারিদ্রমুক্তি কোন ব্যাঙ্কের কাজ নয়, এটা সরকারের কাজ, দারিদ্রমুক্তির জন্য শিক্ষা, অবকাঠামো, কর্মসংস্থান এসবই প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার (মানে বেকুব এবং দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদেরা) গত কয়েক দশক ধরে রাস্তা এবং সেতু বানিয়েছেন, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বানিয়েছেন, সরকারী মাঠ কর্মীরা অনেক বছর ধরেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণ কে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন, পরিবার পরিকল্পনা করতে বলেছেন, সবই দারিদ্র বিমোচনের পূর্বশর্ত। ইউরোপের সাহেবেরা অবশ্য এত কিছুর খবর রাখেন না, তারা ‘আবুলে’ ভর্তি বাংলাদেশ দেখেন, আর দেখেন দরিদ্র নারীদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেয়া ডঃ ইউনুসকে, দারিদ্রমুক্তি যা ঘটছে, এনার হাত ধরেই হয়েছে।
সাহেবরা ইউনুস আর গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে দিয়ে দিলেন বিশাল এক মেডাল, মেডালের নাম নোবেল পুরষ্কার। এই মেডালের ধাক্কায় বাংলাদেশীরা উঠে গেল বিশাল এক উচ্চতায়, উচ্চতা এতটাই বেশি যে তাদের “নীচের দিকে তাকাতে ভয় লাগছে”। ফ্রাঙ্কফুর্টের রাস্তার ফুল বিক্রেতা, প্যারিসের কফির দোকানের ওয়েট্রেস, হিথরো এয়ারপোর্টের কাস্টমস কর্মকর্তা, নিউইয়র্কের ডাউন টাউনের বেশ্যা, সকলেই প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেখলেই সম্মান জানাচ্ছে (এই পোস্টের লেখক অবশ্য সম্মান পাওয়া দুরে থাক, নিজের মুসলিম পরিচয় লুকাতেই ব্যস্ত, ফর্মাল রিপোর্টেও বাপের দেওয়া নাম Mohammed Munim লিখে না, লিখে ‘Moe’ Munim)। এই নোবেলের কল্যাণে ক্ষুদ্র ঋণের মাহাত্ম্য অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়লো। সবচেয়ে বেশী পড়লো দক্ষিণ আমেরিকান দেশ মেক্সিকোতে। ওয়াল স্ট্রিটের সফল মেক্সিকান ব্যাংকাররা ঝাঁপিয়ে পড়ছে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসায়। ওয়াল স্ট্রিট কানেকশন যেহেতু আছে, শতকরা ৪/৫ সুদে বৃহৎ ঋণ পাওয়া কঠিন কিছু নয়। সেই বৃহৎ ঋণ খাটবে শতকরা ২০ ভাগ সুদে, ক্ষুদ্র ঋণ হিসাবে, মুনাফার করার এর চেয়ে সহজ উপায় এই দুনিয়াতে নেই। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ১ বিলিয়নের যাদুতে মুগ্ধ ব্যাংকাররা এখন ৮০ বিলিয়ন খাটাচ্ছেন ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসায়, ৭ বিলিয়নের পৃথিবীতে ৬ বিলিয়নই মোটামুটি দরিদ্র, এদের বিরাট অংশ নিবে ক্ষুদ্র ঋণ, এই দরিদ্রদেরই একটা অংশ হবে ক্ষুদ্র ঋণের ফিল্ড অফিসার, গরীবকে দেওয়া ঋণের টাকা আদায় গরীবকে দিয়েই হবে, ৮০ বিলিয়ন ৮০০ বিলিয়ন হতে আর বিশেষ দেরী নেই।
নোবেল পেয়ে আকাশে উঠে ডঃ ইউনুস দেখলেন দেশের কলহপ্রিয় দু নেত্রীর বড়ই দুর্দিন যাচ্ছে, সকলেই ভাবছে এই দু নেত্রী মাইনাস হলেই বেহেশতের দরজা খুলে যাবে। সিভিল এলিট আর সেনাবাহিনী শাসিত বেহেশতি বাংলাদেশে আর রাজনৈতিক জঞ্জাল থাকবে না, পাঁচ বছর পর পর লগী বৈঠার শোডাউন থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না। ডঃ ইউনুস নেমে পড়লেন দরিদ্র মহিলা কেন্দ্রিক তাঁর রাজনৈতিক স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে, কিন্তু দেখলেন চালের দাম মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সামলানো খুব কঠিন, ছাত্রের গালে সিপাহীর সামান্য চড়ের ঘটনা সামলাতেই কারফিউ ডাকতে হয়। তিনি মানে মানে কেটে পড়লেন।
রাজনীতির স্বপ্ন ছেড়ে ডঃ ইউনুস নিয়ে এলেন এক নতুন তত্ত্ব, তত্ত্বের নাম ‘সামাজিক ব্যবসা’। বিশ্বের সকল অর্থনৈতিক বালা মুসিবতের কারণ নাকি মুনাফা কেন্দ্রিক ব্যবসা (বিল গেটস, স্টিভ জবসের মত লোকেরা মাইক্রোসফট আর এপল খুলেছেন নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের কারণে, তাঁরা নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে ১০০ বিলিয়নে নিয়ে গেলেন, লক্ষ লক্ষ লোককে কাজ দিলেন, সবই করলেন ব্যক্তিগত লাভের জন্য!)। সামাজিক ব্যবসা হবে জনসেবা কেন্দ্রিক, মুনাফা করা যাবে না, ব্যবসায় যা লাভ হবে সবই ফিরে যাবে সে ব্যবসাতে, চমৎকার ব্যবস্থা। কেমন চমৎকার, তা দেখাতে তিনি দেশে নিয়ে এলেন ফরাসী দই প্রস্ততকারক ড্যানোনকে। ড্যানোন দইয়ের প্ল্যান্ট বসিয়ে ফেললো, দইয়ের প্ল্যান্ট তারা পৃথিবীর যেকোনো জায়গাতেই বসাতে পারে, মূল চ্যালেঞ্জটাই তো দইয়ের বাজার তৈরি করা। ডঃ ইউনুস করলেন দই বিক্রির দারুণ ব্যবস্থা, দরিদ্র মহিলাদের দেওয়া হল ক্ষুদ্র ঋণ, সেই ঋণ দিয়ে তাঁরা কিনে নিবেন পাইকারি দই, পাইকারি দই তাঁরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিক্রি করবেন, লাভের টাকায় তাঁরা ক্ষুদ্র ঋণ শোধ করবেন। ব্যাপার হল মার্কেটিংয়ের ঝুঁকি পুরোটাই দরিদ্র মহিলাদের। এই মহিলাদের কেউ কেউ দই ভালো বিক্রি করবেন, দ্রুত ঋণ শোধ করে তাঁরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু অনেকেই দইয়ের ব্যবসা সামলাতে পারবেন না, তবে তাঁরা কিস্তির টাকা ঠিকই শুধবেন, সেটা হালের বলদ বিক্রি করে, না হলে সৌদি প্রবাসী সন্তানের টাকায়। দরিদ্র মহিলার তো আর অভাব নেই, যারা ঝরে পড়বেন তাদের জায়গা নিতে আসবেন নতুনরা। এভাবে কিছু সফল, আর অনেক অসফল দরিদ্র মহিলার কাঁধে ভর রেখে মোটামুটি সহজেই ড্যানোন বাংলাদেশের দইয়ের বাজার নিয়ে নেবে। দু টাকার শক্তি দইয়ের ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে শুরু হবে বিশ টাকার ‘মজার দইয়ের’ ব্যবসা, বাজার যখন দাঁড়িয়েই গেছে, ট্র্যাডিশনাল রিটেল মার্কেটই সেই ‘মজার দই’ বিক্রির দায়িত্ব নেবে।
বাংলাদেশে দইয়ের ব্যবসা অবৈধ নয়, বিদেশী বিনিয়োগও আমরা চাই। কিন্তু গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের এই স্বাধীন ব্যবসার মুলো দেখানো কেন? তাঁরা কি আসলেই স্বাধীন ব্যবসায়ী, নাকি শক্তি দইয়ের সেলস পারসন মাত্র? সেলস পারসনরা মাস গেলে বেতন পান, না হলে বিক্রির কমিশন। বিক্রিতে সুবিধা করতে না পারলে শুধু তাঁদের চাকরিটাই যায়, ব্যবসার মূলধন নয়। ইউরোপ আমেরিকা দেখবে জনা বিশেক সফল দই ব্যবসায়ী মহিলার (আর তাঁদের মাঝে ডঃ ইউনুসের) হাসিমুখ, দেখবে না হাজার হাজার ব্যর্থ দই ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত মহিলার কান্না। সামাজিক ব্যবসার সফল বাস্তবায়নের জন্য আরেকটি নোবেল পুরষ্কারের সুপারিশ হতেই পারে।
ডঃ ইউনুস নিজেকে কিভাবে দেখেন জানি না, তবে নিশ্চিতভাবেই তাঁর মাঝে এক রাজনৈতিক মহানায়ক দেখে বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের একটা বিরাট অংশ। রাজনৈতিক স্বপ্ন তাঁদের দেখিয়েছেন ডঃ ইউনুস নিজেই, সেই স্বপ্ন ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না’ আর ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ এর গোলমেলে সেকেলে রাজনীতি নয়। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে দরিদ্র মহিলারা চালাবেন চট্টগ্রাম বন্দর, ভিডিওতে মার্কিন ওয়াল মার্ট পাহারা দেবে বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ, ছাত্ররা মারামারি ছেড়ে মন দিয়ে লেখাপড়া করবে। সেটা ঠিকই আছে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক তিনি, রাজনৈতিক স্বপ্ন দেখার অধিকার তো তাঁর আছেই। কিন্তু এই স্বপ্ন বাজ কে ঘিরে কি এত আগ্রহ কেন মার্কিনীদের? লাদেনকে ৫ বছর লুকিয়ে রেখেও পাকিস্তান নির্বিঘ্নে আমেরিকায় বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি করে, মার্কিন ক্রেতারা কেনেন বলেই তো রপ্তানি হয়। কিন্তু এই স্বপ্নবাজের গায়ে টোকা পড়লেই অতি নিরীহ বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে মার্কিন ক্রেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেন করেন? দেশে তো ‘আবুল’ আগেও ছিল, বিশ্বব্যাংক এই ‘আবুল’দের নিয়েই এত বছর বাংলাদেশে কাজ করেছে, ‘আবুল’রা কি নাইজেরিয়াতে নেই? পাকিস্তানে নেই? সেখানে তো ঠিকই লোণের টাকা যাচ্ছে। বাংলাদেশেরটা কেন আটকে গেল? কেনইবা মার্কিন রাষ্ট্রদূত আগ বাড়িয়ে বলেন, লোণ আটকে যাওয়াতে স্বপ্ন বাজের কোন হাত নেই?
মোহাম্মদ মুনিম
পেশায় প্রকৌশলী, মাঝে মাঝে নির্মাণ ব্লগে বা ফেসবুকে লেখার অভ্যাস আছে, কেউ পড়েটড়ে না, তারপরও লিখতে ভাল লাগে।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১২৬ comments
রায়হান রশিদ - ৯ আগস্ট ২০১২ (৬:০৬ অপরাহ্ণ)
ধারালো তীর্ষক দৃষ্টিভঙ্গি আর সারকাস্টিক হিউমার এর চমৎকার মিশেল। আশা করি এর থেকে ইন্টারেস্টিং একটি আলোচনার সূত্রপাত হবে। ধন্যবাদ, মুনিম।
Rifat - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (২:৪০ পূর্বাহ্ণ)
Mr. Mumin!
Isn’t it a common problem for every MOHAMMAD holder irrespective a country? what has it to do with Yunus? You wrote like a perverted in this regard!!! You are not the son of Yunus, if I am not wrong!! Stupidity that what it is!!
ডাইনোসর - ৯ আগস্ট ২০১২ (৭:১১ অপরাহ্ণ)
চমৎকার হয়েছে। ইউনুস সাহবের মতো এত ধূর্ত মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে। কি সুন্দর ভাবে বলে ঋণ গ্রহীতারা গ্রামীন ব্যাংকের মালিক। এর মতো প্রতারণা আর কি হতে পারে?
ভুমিহিন/বিত্তহিন - ১২ আগস্ট ২০১২ (৮:২১ অপরাহ্ণ)
উনি শুধু ধূর্ত না। উনি প্রতারকও। বিদেশে আমাদের দেখায়ে অনুদান এনে আমাদের ঋণ হিসাবে দিছেন।
হিমু - ৯ আগস্ট ২০১২ (৭:৪৩ অপরাহ্ণ)
একটা খুব সরল প্রশ্নের জবাব নোবেলবাবার কোনো মুরিদই দিতে পারেন না। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মালিক যদি তার ঋণগ্রহীতা দরিদ্র মহিলারাই হয়ে থাকবেন, তারা একজোট হয়ে সুদের হার কমাতে কখনো উদ্যোগ নেননি কেন? ইউনূসের নারীর ক্ষমতায়নের বুলিবুকনি মেনে নিলে এও মেনে নিতে হবে যে ঐ দরিদ্র মহিলারাই নিজেদের কাঁধে চড়া সুদের জোয়াল চাপিয়ে রেখেছেন।
ভুমিহিন/বিত্তহিন - ১২ আগস্ট ২০১২ (৮:১১ অপরাহ্ণ)
আমাদের মালিক বানানো ইউনুছের ধোঁকাবাজি। ৮৩ কোটি টাকা আমরা তারে দিছি,কিন্তু তিনি টাকাটা কোথায় কি করেছেন আমরা ৮৩ লক্ষ মালিক জানি না। আমাদের যে ৯জন মালিক কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন, ওনারা ইউনুছের নিজের হাতে গড়া, আমরা তাদের চিনিনা। সুদের হার কিভাবে কমাবো?আমাদের কর্মচারীরা থাকে গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব দুইতলা বাড়িতে(প্রতন্ত অঞ্চলে),আমি ব্যাংকের মালিক ঘরের চাল দিয়ে পূর্ণিমা,অমাবস্যা দেখতে পাই।এমন মালিক আমরা।
আলী জাহাঙ্গীর - ৯ আগস্ট ২০১২ (৯:০১ অপরাহ্ণ)
কথা হচ্ছে, আপনি সমালোচনা করতেই চান তাহলে সবারই করা সম্ভব। আপনারও সম্ভব। আপনার লেখা পড়লে মনে হবে ইউনুস একজন ভিলেন। আর বাংলাদেশের সবাই তার চেয়ে কম ভিলেন। কিন্তু আসলেই কি ব্যাপারটা সেরকম? সেটা বিবেচনার ভার যথারীতি মদ্ধবিত্তের ঘাড়েই পড়ে। আর আশা করি লেখক সেই বিবেচনা দেখবেন ভবিষ্যতে ।
তুলন - ১০ আগস্ট ২০১২ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)
সহমত @আলী জাহাঙ্গীর
Rifat - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (২:৪২ পূর্বাহ্ণ)
Liked your answer!
সাইফ - ৯ আগস্ট ২০১২ (১০:৫৯ অপরাহ্ণ)
অসাধারন লেখা।
নজা - ৯ আগস্ট ২০১২ (১১:৩৫ অপরাহ্ণ)
তাঁকে কখনো শহীদ মিনারে দেখিনি, রমনার বটমূলে দেখিনি, ২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বরে দেখিনি আমাদের জন্য কোন আশার কথা শোনাচ্ছেন, গায়ে সুতির কাপড় থাকলেও তাঁকে কখনো সত্যকারের ‘গ্রামীন’ মনে হয়নি।
sukanta - ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৯:২৭ পূর্বাহ্ণ)
আরও কোথায় কোথায় যেন দেখি নি।
Sohel Mahmud - ৯ আগস্ট ২০১২ (১১:৫৯ অপরাহ্ণ)
অসাধারণ।
স্বাধীন মণণ - ১০ আগস্ট ২০১২ (৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
আমরা মনে হয় শ্রদ্ধেয় ‘ইউনূস’ সাহেব এবং ‘গ্রামীন ব্যাংক’ দুইটা ভিন্ন বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছি।
‘গ্রামীন ব্যাংক’ কারো ব্যাক্তি-মালিকানাধীন নয় এবং বাংলাদেশের ব্যাংকিং আইনেরও উর্ধ্বে নয়। তাছাড়া সবসময়ই শুনি গরিবের ব্যাংক। গরিবরাই নাকি মালিক। ব্যাংক এর মালিক যদি গরিব থেকে যায় তাহলে আর ব্যাংক এর কি দরকার?
কারো পারিবারিক বন্ধু বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত থাকতেই পারে এবং সেটা পারিবারিক থাকাই কাম্য।
খালেদ - ১০ আগস্ট ২০১২ (৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
ইউনুস সাহেবের মতো কিসিনজার,মেনাহিম বেগিন,সাদাত- এরাও নোবেল পে্য়েছেন।ওরাও খুব ভাল মানুষ,টা কেউ বলবেনা।তাই আমার মনে হয়,নোবেলেই ইউনুস সাহেব খুশী নন। তিনি ইউনুস নবী
হতে চান। এতো দিন বিমানে উড়েছেন, এখোন মনে হয়, মাছের ঘাড়ে চরে তিনি দুনিয়া ঘুরে বেরাবেন। উনার সাফল্য্ কামনা করি।
R. Ahsan - ১০ আগস্ট ২০১২ (৬:৫২ পূর্বাহ্ণ)
First, let me apologize for writing in English. I haven’t written in Bangla in ages and would greatly appreciate if the moderators approved my comment. Now, about the article, Mr Munim, you brought up few very intriguing arguments– 1)existence of Garment workers and non-resident-Bangladeshis mean that poverty has not been reduced. Well, Bangladesh has 16 crore people. According to your statistics, there are 30 lakh Garment workers, that means,the largest export-industry could create only 1.87% jobs and 2.5% people had to look for jobs in the middle-east.Well, Grameen alone has 4 crore borrowers, that means, 25% of the people found a way to employ themselves.
2) If all those of even half of those 25% people failed in their ventures (as it was suggested in the article), don’t you think we would have seen more mass-exodus to middle east or more employment in the Garment industry?
3) Now, let me ask you this–whose job/responsibility/duty it is to alleviate poverty-Govt or a private organization? Since Govt failed to address the need of the people, micro-finance type development tools were created. Why did the Govt fail to do so in the first place–sheer incompetence or reluctance? Well, the truth is, poverty is a difficult economic condition to reduce, let alone eradicate. But, Grameen tried and was successful in most of the cases.
4) You cited Wall Street’s investment in the Mexican and Latin American micro-finance industry, but, Prof. Yunus had been very vocal about these loan sharks. He clearly stated that intervention from traditional capital market will destroy micro-finance industry. Please see the following link. This is about IPO in India.
http://globalprosperity.wordpress.com/2010/07/20/microfinance-ipo-showdown-yunus-vs-%C2%A0vikram/
5) You mentioned that corruption exists in other countries and that does not dry up foreign aid for those countries. Does it mean you are justifying corruption? You cited Nigeria and Pakistan. Did you not know that US is withholding it’s aid to Pakistan? Nigeria has massive oil deposition. What does Bangladesh have to lure these big-brothers to lend despite corruption?
6) Also, you started the article with your own experience with US credit-card companies. Well, Grameen does a thorough background check before they lend out. Even by Grameen’s standard you would have been a ‘bad borrower’. I don’t think, I would like to get any financial or economic advice or analysis from you, who, by his own account doesn’t know how to take care of his own finances! How would you analyse a poverty-alleviating development tool, if you can’t pay off your own mere $20,000 loans?
মোহাম্মদ মুনিম - ১০ আগস্ট ২০১২ (৭:১৭ পূর্বাহ্ণ)
@ R. Ahsan, আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আমি এই মুহূর্তে খানিকটা কাজের চাপে আছি, খানিকটা সময় পেলেই আমি আপনার মন্তব্যের জবাব দেব।
R Ahsan - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৫০ অপরাহ্ণ)
Let me find the video. And this is another such opinion piece on NYT:
http://www.nytimes.com/2011/01/15/opinion/15yunus.html?_r=1&ref=microfinance
“I never imagined that one day microcredit would give rise to its own breed of loan sharks.
But it has. And as a result, many borrowers in India have been defaulting on their microloans, which could then result in lenders being driven out of business. India’s crisis points to a clear need to get microcredit back on track.”
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
R Ahsan - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৫০ অপরাহ্ণ)
This is another link to the video:
http://www.muhammadyunus.org/Yunus-Centre-Highlights/microfinance-or-loan-sharks-grameen-bank-and-sks-fight-it-out/
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
হিমু - ১০ আগস্ট ২০১২ (১২:৪৯ অপরাহ্ণ)
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বলছে, “As of October, 2011, it has 8.349 million borrowers, 97 percent of whom are women.” রাহনুমা আহসান ৪ কোটি ঋণগ্রহীতার তথ্য কোথায় পেলেন একটু জানিয়ে যাবেন প্লিজ।
“Grameen alone has 4 crore borrowers, that means, 25% of the people found a way to employ themselves.” গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়া আর কর্মসংস্থান হওয়া তো সমার্থক নয়। আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন যে ক্ষুদ্রঋণের টাকা আবশ্যিকভাবে কর্মসংস্থানের কাজে লাগছে?
R. Ahsan - ১০ আগস্ট ২০১২ (৮:৩৭ অপরাহ্ণ)
Thanks for your correction Himu. Yes, you are right, Grameen has 8.3 mil borrowers. But, about 4 Crore people are directly or indirectly affiliated to Grameen and it’s sister organizations. Instead of writing ‘4 crore borrowers’ I should have written ‘4 crore borrowers/employees/affiliated persons’.
Now about your question– Grameen’s major condition of loan disbursement is that the loan cannot be used for consumption or repaying other loans. The loan has to be used in value-adding economic activities.
H. Chowdhury - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৫৪ অপরাহ্ণ)
Oh, Rahnuma, didn’t notice that you were here earlier. Well done!
Ebar Munim bhai-ke boli:
1. Apni parle jodi Texas-e JRC uncle kono program-e ashen, onar shathe kotha bolen. Uni apnake Dr. Yunus ar tar kaaj niye kichu nishchoi bolte parben (taking this liberty as I see you are Laboni-Probal-Zia bhai’s batch). Apnar onek confusion dur hobe. 🙂
2. Rahnuma, this again shows having no PR since GB’s inception has damaged its reputation and still is creating confusion. Unfortunately, Prof. Yunus does not want PR even now (yeah), so we will just have to do our little bits.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৩৭ অপরাহ্ণ)
@H Chowdhury: লিখেছো –
— PR এর যে সমস্যা সেটা শুধু গ্রামীণ না, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে আসলে। ICT এর ক্ষেত্রে সেটা তো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি আমরা। তবে গ্রামীণ এর পক্ষে যে পেশাদার PR হয়নি বা হয়না সেটা মনে হয় না পুরোপুরি সঠিক। এই যেমন কিছুদিন আগে আমার হাতে Friends of Grameen এর একটা লিফলেট এসেছিল, সেখানে নিচে যোগাযোগের ঠিকানায় দেয়া রয়েছে প্যারিসের এক PR-Firm Burson-Marsteller এর ঠিকানা (এখানে দেখো: http://bit.ly/OPtsBf) । তবে আমি প্রয়োজনে PR ফার্ম নিয়োগে দোষের কিছু দেখি না।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে]
H. Chowdhury - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৩৯ অপরাহ্ণ)
Well, ‘Friends of Grameen’ (which is led by Hon. Mary Robinson and you know who she is) is by friends of Prof. Yunus abroad. They do it themselves. Has nothing to do with GB or YC, or any other companies. Eita niye last year-e Shomi’r husband onek haukau korte chaisilo but this is the truth. In fact, we should persue PR campaign very actively. But he doesn’t like it. Shudhu like koren na, ta-e na, he believes firmly that his work should speak volume. Amader moto deshe bishesh kore jekhane micro-finance niye onek abuse hoise (ar jegular beshirbhag-e eshe GBr ghare pore as it has the ominous presence and the largest borrower-numbers in the market). Even the talkshow people, who are speaking by themselves now supporting him (no connection with Dr. Yunus), do not have enough info. It is silly and unrealistic at the same time. 🙂
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৪২ অপরাহ্ণ)
H. Chowdhury:
I know what you mean but your comment on FoG is not helping. “Friends of Grameen” is cerntainly not by friends of Prof Yunus who are “abroad” only, as I can see Dr Kamal Hossain’s name on the Honorary Committee. He also happens to be Prof Y’s lawyer, having represented him in more high profile cases than one including the recent ones, but of course that does not necessarily make the initiative a GB/YC one, I accept that. But your claim that FoG has “nothing to do with GB or YC (YunusCentre)” does not stand scrutiny, as I can see that on FoG’s website, Grameen Bank, Yunus Centre, Grameen Foundation all three are advertised as “Partners” to the initiative FoG. See here. Not sure how come Shomi or her husband become relevant in this discussion, what you claim should stand on its own merit. Anyway, I repeat – I see nothing wrong in hiring PR firms, and nothing saintly in not hiring them. Thanks.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে এডমিন টিম কর্তৃক সংগ্রহকৃত]
H. Chowdhury - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৪৫ অপরাহ্ণ)
Nah, asholei. They kept Dr. Kamal Hossain’s name (I didn’t know of this, and it is probably because he was advising them on legal matters last year, I guess). It is a different independent initiative, just like there are more abroad. But no connection with Dhaka, GB or YC just stays connected knowing what they are doing but not actively participating in the campaign.
Shomi’s husband, Mr. Arafat (who I hear is Joy’s close friend), wrote a FB note last year, and had been saying in different talk shows that GB has an international PR firm and uses borrowers money (!) etc. from GB to fund it. Shejonnoi bollam. May be you have missed it last year but he was trying to make a lot of noise about this French PR firm.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে এডমিন টিম কর্তৃক সংগ্রহকৃত]
রায়হান রশিদ - ৩ জুলাই ২০১৩ (৯:০৩ অপরাহ্ণ)
দুঃখিত, H Chowdhury, এখন মনে হচ্ছে আপনার দেয়া তথ্য এবং দাবীতে অসঙ্গতি আছে। এই ওয়েবপেইজের স্ক্রিনশটটি দেখুন:
এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এই ব্রিটিশ পিআর কোম্পানীর (#BTPadvivers) মক্কেলের তালিকায় ড ইউনুসের নাম।
https://twitter.com/rayhanrashid/status/352433640233369601
প্রসঙ্গত, এই একই পিআর কোম্পানী খালেদা জিয়ার হয়েও কাজ করছে। আর কথিত স্কাইপ ষড়যন্ত্রের সাথেও জড়িত, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই পাকিয়ে তোলা হয়েছিল। স্কাইপ ষড়যন্ত্রের সাথে এই পিআর কোম্পানীর জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ অচিরেই প্রকাশিত হবে।
ধন্যবাদ।
Schokomann - ১৮ আগস্ট ২০১২ (৭:০২ অপরাহ্ণ)
হুমাইরা, আপনার লেখা পড়ে মনে হোল আপনি মোটামুটি ক্ষুদ্র ঋণ বা মোঃ ইউনুছ সম্বন্ধে ভালো জানেন। যেহেতু আমার JRC Uncle এর কাছে যাবার ক্ষমতা নাই, তাই আপনাকে কিছু প্রশ্ন করি। আশা করি উত্তরটা দিবেন। আমি গ্রামীণ ব্যাংকের একজন প্রাক্তন ঋনগ্রহিতা এবং মালিক। কেন্দ্র মিটিঙে আমরা মালিকরা মাটিতে বসি,আর আমাদের নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীরা (ইউনুছ সহ)চেয়ারে বসে আমাদের স্যালুট নেন, এরকম পৃথিবীর কোন বাঙ্কে আছে নাকি? পৃথিবীর অনেক জায়গা থেকে উনি আমাদের দেখায়ে অনুদান(আপনাদের এংলিস ভাষায় Donation বলে)নিছেন, কিন্তু আমাদের সব্জির বীজটাও ঋণ হিসাবে দেন। তো অনুদানের টাকাটা কার পকেটে যায়(১৯৭৬ থেকে কয়েকশ মিলিয়ন ইউ এস ডলার)? পৃথিবীতে সব জায়গায় ইউনুছ বলেন, ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তার থেকে ব্যবসার লাভ দিয়ে আমরা কিস্তি দেই। কিন্তু গরু পালনের জন্য ৩০০০ টাকা ঋণ দিয়ে এক সপ্তাহ পর কিস্তির জন্য স্যারেরা হাজির হন কিস্তির জন্য। তো আপনার কি মনে হয়, ছোট্ট গরুটি কি এক সপ্তাহের মধ্যে ডিম পাড়ে, যেটা বিক্রি করে আমরা ঋণ শোধ করবো?এই কাহিনিতো গরীবের রবিনহুড হিসাবে আবির্ভূত ইউনুছ সবখানে বিক্রি করতাছে। গ্রুপ ট্যাক্স, আপদকালিন সঞ্চয় (অফেরতযোগ্য)এই টাকাগুলো (কয়েকশত কোটি টাকা) কোথায় আছে? আমাদের জমানো টাকা আমরা কেন ফেরত পাবনা? আমাদের টাকার গায় কি আঠা নাই? গৃহঋণ নিলে কেন ব্যাংকের নিজস্ব বানানো খুঁটি এবং ব্যাংকের ঠিক করা টিনের দোকান থেকে টিন নিতে হবে, আমাদের নিজেদের কি কোন অধিকার নাই আমাদের ঋণের টাকা নিজেদের মতো করে ঘর বানানোর? নাকি আপনার ওখানে হাউস বিল্ডিং লোণ নিলে ব্যাংক আপনাকে ঠিক করে দেয় কোথা থেকে মালপত্র কিনবেন? যদি তাই নাহয় তাহলে আমাদের উপর এই অবিচার কেন?উনিতো পৃথিবীর সব গরীবের উদ্ধারকর্তা বা মুখপাত্র হিসাবে দেখাতে পছন্দ করেন। এই কথা বলেইত নোবেল কমিটি উনার গলায় মালা ঝুলায় দেছেন যে উনি গরীবের অধিকাররক্ষাকারি, তো আমাদের অধিকারের কি হবে? নাকি উনি কাগজে কলমে গরীবের রবিনহুড, আর ধোঁকাবাজি করে,লবিং করে নবেলের মালা গলায় ঝুলাইছেন টেলেনরের (গ্রামীণ ফোনের মাতা) আশীর্বাদে?যারা কিনা নোবেল কমিটির অর্থ প্রদানকারী ব্যাংক DnB Norway এর বিনিয়োগে চলে। আমাদের মালিকদের ঘরের চালা দিয়ে অমাবস্যা পূর্ণিমা দেখা যায়, কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রত্যেকটা শাখা দুইতলা বিল্ডিং বানাইছে(গ্লাস দিয়ে বানানো প্রধান শাখার কোথা বাদ দিলাম)। কাদের টাকায় এই বিল্ডিং গুলা বানানো? যেহেতু আমরা ব্যাঙ্কটার মালিক, বানানোর আগে আমাদের অনুমতি কি ব্যাংক নিছে? নানিলে কেন নেয়নি? আপনার কি মনে হয়না ভূমিহীনদের ব্যাংক বলে ইউনুছ আমাদের সাথে প্রতারনা করছে? ৮৩ লক্ষ মালিকের মধ্যে ৯জনকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করে সব কিছু ওই ৯জনকে দিয়ে পাস করিয়ে কি ৮৩ লক্ষ মানুষের রক্ষা করা হয়ে গেল?ইউনুছের কাজ সম্মন্ধে জানতে হলে JRC Uncle এর কাছে না, বরং যে আছমানিদের কান্ধে বন্দুক রেখে উনি নোবেল শিকার করেছেন, তাদের গ্রাম রসুলপুরে আপনাকে যেতে হবে। google, you tube, JRC uncle সহ সকল PR নামধারি দালালদের কাছে ইউনুছের কাজের ব্যাপারে কিছু জানতে পারবেন না। উনার সবচেয়ে বড় ভণ্ডামি সোশ্যাল বিজনেস সম্মন্ধে আজ আর লিখলাম না। আমার প্রশ্ন গুলার যদি কোন বাস্তবসম্মত জবাব দিতে পারেন, তবে পরে আবার লিখবো।
মোহাম্মদ মুনিম - ১৭ আগস্ট ২০১২ (১০:৪০ পূর্বাহ্ণ)
@Rahnuma Ahsan (মন্তব্য#১০),
প্রথম কথা হল employment এর হিসাবটা গোটা জনসংখ্যার অনুপাতে হয় না, হয় কর্মক্ষম জনসংখ্যার অনুপাতে। যাই হোক, সে হিসাবেও গার্মেন্টস আর জনশক্তি খাত খুব বেশী হলে ১০ ভাগ direct employment এর ব্যবস্থা করে। এই দশ ভাগের production হচ্ছে ৪০ বিলিয়ন। তার মানে হচ্ছে এই দুই খাতের productivity অন্যান্য খাতের চেয়ে অনেক বেশী। এখন দেখা যাক এই দুই খাতের impact কি? বাংলাদেশের trucking এবং shipping এই দুই খাত দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টসের এর উপরে, trucking আবার যমুনা এবং অন্যান্য ব্রিজের টোল দিচ্ছে, যা দিয়ে এইসব ব্রিজ যেসব লোণ দিয়ে বানানো হয়েছিল সেইসব লোণ শোধ হচ্ছে। এই ৪০ বিলিয়ন ডলার যখন টাকায় কনভার্ট হয়ে দেশীয় অর্থনীতিতে ঢুকছে, সেটা মোটামুটি মোবাইল ফোনের রমরমা ব্যবসাসহ গোটা দেশের service sectorকে ধরে রাখছে। সব মিলিয়ে এই দুই খাত অন্যান্য সবখাতে বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। আমেরিকা ইউরোপেও কিন্তু একই ট্রেন্ড, সেখানেও manufacturing এ কাজ করে মোটে তিন ভাগের এক ভাগ, service sector এ কাজ করে তিন ভাগের দু ভাগ, এক ভাগই সাপোর্ট করছে বাকি দুই ভাগকে।
এখন দেখা যাক গ্রামীণের ব্যাপারটা, ৮০ লাখ বা ৪ কোটি যাই হোক, তারা ঋণ গ্রাহক মাত্র, ঋণ নিচ্ছেন এবং শোধ করছেন, তার মানে এই নয় যে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তাদের employment এর ব্যবস্থা করেছে। ১ বিলিয়ন কে ৪ কোটি দিয়ে ভাগ করলে দাঁড়ায় জনপ্রতি ২৫ ডলার, ৮০ লাখ দিয়ে ভাগ করলে ১২৫ ডলার। এই ২৫ বা ১২৫ ডলার কিন্তু রোজগার নয়, ব্যবসার মূলধন, এই পরিমাণ মূলধন দিয়ে কোন sustainable ব্যবসা করা যায় না। এদের employment মূলত হয় কৃষি খাতে, বাংলাদেশের কৃষিখাত ত্রিশ বছর আগে শতকরা যে পরিমাণ employment করতো, এখন করে মোটামুটি তার অর্ধেক, কিন্তু একই সময়ে কৃষিখাতে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় তিনগুণ, মানে productivity অনেক বেড়েছে, গ্রামীণের ঋণ শোধের টাকাটা কিন্তু এই কৃষিখাত থেকেও আসছে।
এখন বাংলাদেশে ত্রিশ লাখ মহিলা গার্মেন্টসে কাজ করছে, কারণ এর চেয়ে বেশী মহিলা employ করার ক্ষমতা গার্মেন্টস শিল্পের নেই। গার্মেন্টস শিল্পের আকার আরও বড় হয়ে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেলে, ষাট লাখ মহিলা গার্মেন্টস শিল্পে কাজ করবে। এই সংখ্যার সাথে কতজন মহিলা ক্ষুদ্র ঋণ নিলেন এর কোন সম্পর্ক নেই। গ্রামীণ যেটা দাবী করছে (৮০ লাখ মহিলা ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দারিদ্র দূর করে ফেলেছেন), সেটা যদি সঠিক হয়, তবে মাসে মাত্র ৪০ ডলার বেতনের জন্য ১৬ থেকে ২২ বছরের মেয়েরা দলে দলে ঢাকায় যাবে কেন? তারা তো ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গ্রামেই কিছু করতে চেষ্টা করবে। একই ব্যাপার ছেলেদের ক্ষেত্রেও খাটে, মালয়েশিয়াতে বা আবুধাবিতে এত hazardous নির্মাণ শিল্পে স্বল্প বেতনে কাজ করতে যাওয়া কেন (সেটাও আবার অনেক সময়ই অবৈধ পথে), নিজেদের মা বোন যখন গ্রামীণের যাদুকরী লোণ নিয়ে অবস্থা ফিরিয়ে ফেলতে পারে। আজ যদি আরও চল্লিশ লাখ ছেলের বিদেশে মাসে দু শ ডলারের কাজও জোটে, তবে চল্লিশ লাখই যাবে।
আপনি যেভাবে গ্রামীণ কে সরকারের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, সেটা খানিকটা হাস্যকর লাগছে। তৃতীয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের সরকারের নামেও অদক্ষতা আর দুর্নীতির অভিযোগ আছে, এবং অভিযোগ গুলো অমূলকও নয়। কিন্তু ডঃ ইউনুস জোবরা গ্রামের example দিয়ে একটা মিথ দাড় করিয়ে ফেলেছেন যে দারিদ্রমুক্তি ঘটেছে ক্ষুদ্রঋণের সুবাদেই, আর সরকার বসে বসে আঙ্গুল চুষেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে শ্রমশক্তি রপ্তানি শুরু হয় সত্তরের দশকের শেষে, তৎকালীন সরকার মধ্যপ্রাচ্যে নেটওয়ার্কিং করে এর ব্যবস্থা করেন। আশির দশকে সরকার ব্যাপক বিনিয়োগ করে infrastructure (কাঁচা পাকা রাস্তা মিলিয়ে রাস্তার ঘনত্ব সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশে)। এর সাথে সামাজিক উন্নয়নেও সরকার ব্যাপক বিনিয়োগ করে, যেটা এখনো অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ সরকার কিভাবে গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে টিকে থাকতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করেছে সেটা এই পেপারে পাওয়া যাবে।
ডঃ ইউনুস শুধুমাত্র মেক্সিকো বা ভারতেই নন, বাংলাদেশেও গজিয়ে উঠা অনেক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সমালোচনা করেছেন। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না, তিনি গত ত্রিশ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক গড়ে তুলেছেন, গরীবকে টাকা দিয়ে আবার সেটা সুদে আসলে আদায় করা যায় সেটা দেখিয়েছেন, সেই মডেল টাই এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষুদ্রঋণ যারা সমর্থন করেন তাঁরা তো বার বারই বলছেন, সারা বিশ্বে আদর্শ ছড়িয়ে পড়েছে, এখন ৮০ বিলিয়ন ডলার এই খাতে খাটছে, ৮০ বিলিয়ন ডলার যে খাটছে স্রেফ সুদের ব্যবসায়, সেটা কিন্তু বলেন না। ডঃ ইউনুস সেই ৭২ সালে সুদের ব্যবসা করতে বাংলাদেশে যাননি, গরীব কে শোষণ করতেই যে তিনি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক খুলেছেন, সেটাও আমি বলছি না, তিনি একটা vision নিয়েই এটা শুরু করেছেন। সেই vision, সেই দারিদ্রমুক্তির কিন্তু কিছুই ঘটেনি (ঘটলে তো আর মাসে ৪০ ডলার কামাতে গ্রামের মেয়েগুলো শহরে যেতো না), বরং ডঃ ইউনুসের গোলামর কাজে লাগিয়ে শুরু হয়ে গেছে বেশ চমৎকার সুদের ব্যবসা।
আপনি দ্বিপাক্ষিক সাহায্য এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ গুলিয়ে ফেলছেন। বিশ্বব্যাংক অনেক বছর ধরেই সারা পৃথিবীতে লোণ দিয়ে আসছে, লোণের টাকার অনেকখানিই ‘নষ্ট’ হয় ‘আবুল’দের ১০% কমিশন দিতে এবং so called consultant দের ফি দিতে। সেটা বিশ্বব্যাংকও স্বীকার করে। দুর্নীতি বিশ্বব্যাংকের কাছে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল না, তাদের মুল concern হচ্ছে লোণের টাকা পরিশোধ হচ্ছে কিনা। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারী তাঁর স্ত্রীর আমলে ছিলেন মিঃ টেন পার্সেন্ট, এখন হয়ে গেছেন মিঃ হান্ড্রেড এন্ড টেন পার্সেন্ট, সেখানে বিশ্বব্যাংকের লোণ ঠিকই যাচ্ছে। আমেরিকা পাকিস্তানে সাহায্য বন্ধ রেখেছে নিরাপত্তা জনিত কারণে, সে সাহায্য হচ্ছে সামরিক সাহায্য, দেখা যাচ্ছিল সামরিক সাহায্যের টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনা হচ্ছে না, সে টাকা যাচ্ছে জেনারেলদের পকেটে। আর নাইজেরিয়াতে তেল সম্পদ শেল কোম্পানির ব্যাপার, তারা সেটা বহু আগে থেকেই ম্যানেজ করে আসছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের লোণ আটকে দিয়ে সেটা আবার নিজেদের ওয়েবপেজে ফলাও করে প্রচার করেছে। এর পিছনে কলকাঠি কে নেড়েছে সেটা আমার জানা নেই, তবে সন্দেহ হচ্ছে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ‘friends of grameen’এর কারো হাত থাকলেও থাকতে পারে।
আপনার ছয় নম্বর প্রশ্নটি প্রশ্ন না statement সেটা বুঝতে পারছি না।
Khurshid Hasan - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (১:০৭ অপরাহ্ণ)
I would like to agree to the comment of R. Ahsan vhai. I think Dr younus has shown the world how to fight against poverty. At first create an example of his standard in Bangladesh then try to criticize him.
Habibulllah Taljukder - ১০ আগস্ট ২০১২ (১২:১১ অপরাহ্ণ)
Your write-up is nothing but a supplement to the ongoing assassination of Dr. Yunus’s character by some jealous VIPs and their supporters. Your credit card story reflects your mentality.Try to do something for our people, then criticize other’s initiative.
Mohammad Chowdhury - ১০ আগস্ট ২০১২ (৩:০৩ অপরাহ্ণ)
To the writer: A different prespective of understading! But, why you need to hide your name? I visited, visiting USA, Europe several times after 9-11 with my real name with Mohammad and Rahman in it. You need self respect, then can respect others. Sorry for you.
ফয়সাল আমিন মিআজী - ১০ আগস্ট ২০১২ (৪:১২ অপরাহ্ণ)
দারুন লিখনী
তুলন - ১০ আগস্ট ২০১২ (৪:১৮ অপরাহ্ণ)
বাংলাদেশ ছোট দেশ। এর বয়স খুবই কম। সাফল্য আরও কম। আমি যখন ইন্টারনেট এ বিশ্বের দরবারে চারপাশে তাকিয়েও কোন বাংলাদেশিতো দূরে থাক, এশিয়ান কাউকেই দেখি না, সেখানে এক জন নিজের দেশের লোকের বক্তৃতা যখন বিশ্বের সব বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত শুধু শুনছে নয়, গিলছে দেখি, আমি গর্বিত বোধ করি, আমার ভাল লাগে, আমি inspired হই। Social Business অথবা Micro-credit বুঝতে হলে আমদের in-details বুঝতে হবে। আমি যা বুঝেছি, তাতে এই প্রসঙ্গে মনে বিন্দু মাত্র সংশয় নাই। আর একটা ছোট্ট কথা বলতে চাই, Micro-credit যদি এতই বিতর্কিত হয়ে থাকে, তবে কিভাবে এই কার্যক্রম বিশ্বের সব জায়গাতে সমাদৃত ও অনুকরণীও হতে পারে? মুহাম্মদ ইয়ুনুছ প্রসঙ্গ আসলেই আমার কাজী নজরুলের উক্তিটির কথা মনে হয় “বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখন পিছে, বিবি তালাকের মছলা খুঁজেছি কোরআন হাদিস চুশে।”
মাইনুল - ১০ আগস্ট ২০১২ (৪:২০ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ জনাব মুনিম আপনার লেখার জন্য। কিছু প্রশ্ন
১/ প্রা্ন্তিক জনগোষ্ঠী যারা ব্যাংকি সেবা বঞ্চিত, আমার আপনার মত মধ্যবিত্ত যাদের যাকাতের শাড়ি, লুঙ্গির বেশি কিছু দেয়না, ক্ষুদ্র্রঋণ ছাড়া তাদের আর কি বিকল্প আছে?
২/ আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন, ক্ষুদ্রঋন যারা পরিশোধ করছেন তাদের ফ্যামিলি মেম্বারা গার্মেন্টসে বা মিডেল ইস্টে কাজ করে?
৩/ কোন অর্থনীতিবিদ কোন পেপারে ক্ষুদ্র ঋনকে হাইপ বলে উল্লেখ করছেন? দয়া করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহনযোগ্য কোন পেপারের উদ্ধৃতি দিবেন। কোন এনজিও বা রিচার্স সেলের প্রকাশনার নয়।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ মুনিম - ২২ আগস্ট ২০১২ (১০:০৪ পূর্বাহ্ণ)
আমাদের দেশে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আছে শত শত বছর ধরেই (গ্রামীণ ব্যাঙ্ক মোটে ৩০ বছরের ব্যাপার), আপনার কি ধারনা তাঁরা এতগুলো বছর যাকাতের শাড়ী লুঙ্গির উপর নির্ভর করে বেঁচে ছিল? আর এখন গ্রামীণ ব্যাঙ্ক যখন দাবী করছে, ক্ষুদ্র ঋণের গ্রাহকেরা দারিদ্রমুক্ত হয়ে গেছেন, তার মানে কি যাকাতের কাপড় নেওয়ার মত মানুষ নেই? এমন কোন খবর শুনেছি বলে তো মনে পড়ছে না।
যাকাতের কাপড় বা ক্ষুদ্রঋণ, কোনটাই দারিদ্র বিমোচনের উপায় নয়, দারিদ্র বিমোচন কি করে হয়, সেটা কোরিয়া জাপানের মত দেশ দেখিয়েছে। ব্যাপক রপ্তানীমুখি শিল্পায়ন করে, দেশের বিপুল জনশক্তিকে সেই শিল্পে খাটালে দেশে ডলার আসে, সেই ডলার দিয়ে অবকাঠামো তৈরি হয়, আরও শিল্পায়ন হয়, এভাবেই গোটা দেশ উঠে দাঁড়ায়।
‘ব্যাংকিং সেবা’র কথা যখন বললেনই, সেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মধ্যবিত্ত শিক্ষিত তরুণ তরুণীদের, যারা চাকরি না করে নিজেরাই একটা কিছু করতে চায়। আমাদের বুয়েটের এক বন্ধু সেদিন ফেসবুকে বলছিল, সে (এবং তার কয়েকজন পার্টনার মিলে) একটা পাওয়ারকোম্পানী দিয়েছে দেশে, তারা ব্যাঙ্কে গিয়েছে লোণ নিতে, এবং ব্যাঙ্ক মর্টগেজ ছাড়া লোণ দিবে না সেটা স্পষ্ট ভাবেই বলে দিয়েছে। একটা প্রোপোসাল নিয়ে মার্কিন ব্যাঙ্কে ফেলে দিলেই তারাও যে দু চার মিলিয়ন ডলারের লোণ দিয়ে দেবে, ব্যাপারটা এমন নয়, তবে আমেরিকায় venture capitalist আছে, যাদের ক্রেডিট পোর্টফোলিও ভাল, তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের নিজেরা গ্যারান্টর হয়ে লোণের ব্যবস্থা করে দেন। বাংলাদেশে রেহমান সোবহানরা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে দিনরাত গলাবাজি না করে এই মাঝারি ঋণ নিয়ে কিছু কাজ করলে পারেন, এতে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যুবকেরা ‘ব্যাংকিং সেবা’ নিয়ে নিজেরা কিছু একটা করতে পারে।
ঠিক কতভাগ ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকের পরিবারের সদস্য গার্মেন্টসে কাজ করেন বা মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন সেটা আমার জানা নেই, এই নিয়ে কোন গবেষণা হয়েছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই। তবে আমার মুল বক্তব্য ছিল দেশের রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স, কৃষি উৎপাদন এবং অন্যান্য খাতের উন্নতির সাথে সাথে ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণও বাড়ছে (বাংলাদেশের জিডিপি যেখানে ১২০ বিলিয়ন ডলার, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ক্ষুদ্রঋণের পরিমাণ সেখানে মোটে ১ বিলিয়ন, সেটা ১ বিলিয়ন ছিল না, ২০০১ সালে গ্রামীণের মোট লোণ ছিল মোটে ২০০ মিলিয়ন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সেটা ৫ গুন বেড়ে ১ বিলিয়ন হয়েছে।) ১২০ বিলিয়নের অর্থনীতিতে ৮০ লাখ ঋণগ্রহীতা (তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ধরলে ৩-৪ কোটি মানুষ), ১ বিলিয়নের উপর নির্ভর করে দারিদ্র বিমোচন করে ফেলছেন, এটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বরং এটা বিশ্বাসযোগ্য যে ১ বিলিয়ন ডলার আদতে কোন business loan নয়, এটা consumer loan। মানে যারা এই ঋণ নিচ্ছেন তারা সেটা ব্যবসা করতে নিচ্ছেন না, নিচ্ছেন দৈনন্দিন খরচ মেটাতে (বিয়ে বা অন্যান্য কোন কারণে বাড়তি টাকার প্রয়োজন হলে), নিয়ে সেটা পরিবারের অন্যান্য আয় থেকে এই ঋণের কিস্তি শোধ করছেন। এই যদি গ্রামীণের অবস্থা হয়, তবে এর সাথে মার্কিন সিটিব্যাঙ্কের তো পার্থক্য থাকলো না। ক্ষুদ্রঋণের যে বিশ্বব্যাপী ‘জনপ্রিয়তা’ সেটা কিন্তু এই কারণেই, প্রতি ৫০০ জন ঋণগ্রহীতাকে একজন ফিল্ড অফিসারের আওতায় এনে চমৎকার ক্রেডিটের ব্যবসা করা যায়, ফিল্ড অফিসারের নিজের হাতে লোণ দিবেন, আর সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লোণের কিস্তি আদায় করবেন।
মুল পোস্টে অধ্যাপক অনীল কারনানির রিজ খানকে দেয়া ইন্টার্ভিউর লিঙ্ক দিয়েছিলাম। ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে অধ্যাপক কারনানির পেপারের লিঙ্ক এখানে। উইকিপিডিয়ার মাইক্রো ক্রেডিট বিষয়ক পেজেও এ বিষয়ে আরও বেশ কিছু রেফারেন্স পাওয়া যাবে (দুটি রেফারেন্সের লিঙ্ক এখানে এবং এখানে)।
মাইনুল - ২৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৯ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ মুনিম ভাই সময় নিয়ে আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টার জন্য্। আমি কিন্তু তিন নম্বর প্রশ্ন ছাড়া অন্যগুলোর উত্তর পাইনি। হয়তো আমার বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা। আপনাকে আবার বিরক্ত করার জন্য দু:খিত।
আমার প্রশ্ন ছিলো,
আপনি যা বলেছেন, তা সংক্ষেপ করলে দাড়ায়, আগে ও গরীব লোকজন ছিলো, এখন ও আছে সুতরাং গ্রামীন ব্যাংকের দাবী ভুয়া। আপনার যুক্তি অনুসারে আগে লোকজন অসুখে মারা যেত, এখনও যায়, সুতরাং চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতির দাবি ভুয়া। আপনি বিকল্প হিসেবে জাপান কোরিয়ার অনুসরনে রপ্তানীমুখী শিল্প গড়ে তুলতে বলেছেন। আপনার কি ধারনা রপ্তানিমুখি শিল্প গড়ে তুলতে কি পরিমান শ্রম, অর্থ আর সময় লাগবে? আর যেই লোকটি এই মূ্র্হুতে ব্যবসার জন্য ১০,০০০ বা ২৫,০০০ টাকা লাগবে, সে কি শিল্পায়নের জন্য বসে থাকবে?
২/ আপনার মূল বক্তব্যটি কিন্তু ক্ষুদ্রঋনের সমর্থকরা তাদের পক্ষে নিয়ে যেতে পারে,
আপনি বলতে চেয়েছেন, “ক” বেড়েছে সাথে “খ” বেড়েছে সুতরাং “ক” এর কারনেই “খ” বেড়েছে। কিন্তু অন্যটি ও হতে পারে “খ” এর কারনেই “ক” বেড়েছে। অর্থাৎ, ক্ষুদ্রঋণের পরিমান বাড়ার কারনে রপ্তানি আয় বেড়েছে, কৃষি উৎপাদন বেড়েছে।
৩/ অনিল কারনানির লেখাটা পড়ে আবার ফিরে আসবো। নিচে আরো কিছু লেখার লিংক দেখলাম, সেগুলো ও পড়ার চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
মোহাম্মদ মুনিম - ৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৯:৪৪ অপরাহ্ণ)
চিকিৎসা বিজ্ঞান যদি দাবী করে আগে ম্যালেরিয়ায় লক্ষ লক্ষ লোক মরতো, এখন মরে কয়েকশ, সেই উন্নতি তো সকলেরই চোখে পড়ার কথা, এবং চোখে পড়ছেও। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক যা দাবী করছে (২০০৫ সালের এই পেপারে দেখা যাচ্ছে গ্রামীণের লোণ নিয়ে প্রায় অর্ধেক ঋণগ্রহীতা দারিদ্রসীমার উপরে উঠে গিয়েছেন, কি হলে দারিদ্রসীমা অতিক্রম করা গিয়েছে ধরে নিতে হবে, সেটাও ঐ পেপারেও বলা আছে)। সে দাবী যদি সঠিক হয় তবে গ্রামাঞ্চলের লোকজন দলে দলে গার্মেন্টসে বা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে যাচ্ছে কেন। ক্ষুদ্রঋণ যদি সচ্ছল ভাবে গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় তবে দিনে ১ ডলার আয় করার জন্য এত হাঙ্গামা করে ঢাকা চট্টগ্রামে যাওয়ার মানে কি?
আমি জাপান কোরিয়ার উদাহরণ দিয়েছিলাম এই জন্য যে সেটাই দারিদ্র দূরীকরণের একমাত্র উপায়। বাংলাদেশ জাপান কোরিয়া নয়, আর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দেশ জাপান কোরিয়া হওয়ার জন্য বসে নেই, তারা গার্মেন্টসে কাজ করছে, জাহাজ ভাঙ্গছে, বৈধ অবৈধ উপায়ে বিদেশে যাচ্ছে, এই করে তারা যতদূর পারছে ভাল থাকার চেষ্টা করছে। আমি নিজে দেখেছি আবু ধাবীতে বাংলাদেশী নির্মাণ শ্রমিকরা কি ভয়ঙ্কর গরমের মধ্যে কাজ করেন। এরা দেশে প্রতিবছর ১৫ বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছেন, গ্রামে গঞ্জে যদি কিছু সচ্ছলতা দেখা যায়, সেটা এদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই হয়েছে। যদিও এই সচ্ছলতার কৃতিত্ব নিয়ে বসে আছেন ডঃ ইউনুস।
“খ” এর কারণে “ক” বাড়ার কি কোন যুক্তিযুক্ত কারণ আছে? গার্মেন্টস ব্যবসার উন্নতিতে গ্রামীণের কি কোন ভূমিকা আছে? গ্রামীণ কি জনশক্তি রপ্তানিতে কোন ভূমিকা রেখেছে? বরং উল্টোটাই যুক্তিযুক্ত, রপ্তানি এবং রেমিটেন্সের টাকা গ্রামীণ অর্থনীতিতে যুক্ত হওয়াতে গ্রামীণ সমাজের ঋণ শোধের সক্ষমতা বেড়েছে, এ কারণে গ্রামীণের ব্যবসাও বেড়েছে।
মোহাম্মদ মুনিম - ১০ আগস্ট ২০১২ (৮:১৬ অপরাহ্ণ)
সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আমি তিন চার দিনের জন্য বেড়াতে যাচ্ছি, ফিরে এসে আলোচনায় অংশ নেবো।
রাখাল বালক :) - ১০ আগস্ট ২০১২ (১১:৩৯ অপরাহ্ণ)
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
[মডারেশন নোট: ড. ইউনুসের এক অন্ধ ভক্তের ছাপার অযোগ্য মন্তব্য মুছে দেয়া হলো]
শামসুল - ১১ আগস্ট ২০১২ (১২:২৮ পূর্বাহ্ণ)
‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!’ এই পোস্টটা তো কাঁঠালপাতা না, বদহজম হতেই পারে। দীর্ঘদিন গরু-ছাগল চরাতে চরাতে অবোধ গৃহপালিত পশুর বৈশিষ্ট্যগুলি নির্বোধ রাখালেরও সহজাত চারিত্রিক লক্ষণ হয়ে উঠতে পারে। অন্ততপক্ষে উপরের এই ‘রাখাল বালক’-এর ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে দেখতে পাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক।
আর তাছাড়া, এটা খড়ের গাদা বা গোয়ালঘর নয় – ব্লগ। ম্যা ম্যা বা হাম্বা রব এখানে চলবে না। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করার যোগ্যতা না থাকলে এখান থেকে মানে মানে কেটে পড়াই ভালো। যত্তোসব।
রাখাল বালক :) - ১১ আগস্ট ২০১২ (১:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
[মডারেশন নোট: ড. ইউনুসের এক অন্ধ ভক্তের ছাপার অযোগ্য মন্তব্য মুছে দেয়া হলো]
মুক্তাঙ্গন - ১১ আগস্ট ২০১২ (১:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
প্রিয় ‘রাখাল বালক’,
[মন্তব্য #১৭ এবং #১৭.১.১ প্রসঙ্গে]
মুক্তাঙ্গনে মন্তব্য মডারেশন করা হয় না, এর মানে হল এখানে মন্তব্য করতে হলে আপনাকে আরও বহুগুণ বেশী সাবধানী হতে হবে। অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদেয় করতে হয়েছে এমন মন্তব্যকারীর সংখ্যা এই ব্লগের ইতিহাসেই একেবারে হাতে গোণা। আপনি সেই দুর্লভ তালিকায় (যেখানে নির্বোধতমদের স্থান) নাম লেখানোর খুব আশংকাজনক নৈকট্যে বিরাজ করছেন বর্তমানে। বলাই বাহুল্য, আমরা আপনার ব্যাপারে খুবই চিন্তিত। সুতরাং, নিজেকে শুধরে নিয়ে এসে মন্তব্য করবেন আশা করি। কারণ আমরাও চাই বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হোক, এবং তীব্রভাবেই হোক, কিন্তু ভদ্র মনুষ্য সমাজের নিয়ম মেনেই তা হোক। চতুষ্পদের মতো আচরণ, তা সে মাংসভোজীই হোক কিংবা তৃণভোজী, এখানে বরদাস্ত করা হয় না।
যেহেতু স্বনামে নিজ পরিচয় উল্লেখ করে মন্তব্য করার সৎসাহস দেখাতে পারলেন না, তাই নিতান্ত বাধ্য হয়েই আপনার আইপি ঠিকানা এবং অন্যান্য বিস্তারিত তুলে দেয়া হল অন্য আর সব ব্লগের এডমিনদেরও সুবিধার্থে।
ধরে নিন এটা আমাদের পক্ষ থেকে আদরমাখা সাবধানবাণীমূলক মৃদু কানমলা।
ধন্যবাদ, আবার আসবেন। নিরাশ হবেন না একেবারেই।
মুক্তাঙ্গন
ব্লগ এডমিন
রাহিম - ১১ আগস্ট ২০১২ (২:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
গ্রামীন ব্যাংকের মালিক গরীবরা কিভাবে? কোন মালিক কত টাকা লাভ পেলো? এর হিশাব কোথায়?
আজ পর্যনত শুনলামনা কাউকে লাভ পেয়েছে!!!!!!!!!!!!!!!!
মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১২ (৩:৫৪ অপরাহ্ণ)
রায়হান রশিদ - ১২ আগস্ট ২০১২ (৪:৪৫ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ মাসুদ ভাই খবরটি শেয়ার করার জন্য। অর্থমন্ত্রী ঠিক কি বেঠিক বলছেন (‘মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে চলে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি এখন সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে’) সেটা নিরুপণ করা আমাদের জন্য প্রায় অসম্ভব, কিন্তু এটা একটা পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট বলেই মনে হচ্ছে। সমস্যা হল – এ জাতীয় মন্তব্যগুলোর ফলে এমনই একটি মেরুকৃত পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে যে তার মধ্য থেকে অবজেকটিভভাবে ক্ষুদ্রঋণ, গ্রামীণ ব্যাংক ইত্যাদির মূল্যায়ন (যেটির খুব দরকার ছিল) উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে উঠছে। সরকার আর সরকার বিরোধী, ইউনুস আর ইউনুস বিরোধী কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মধ্যে সেই মূল্যায়নের জায়গাটিই ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে।
মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১২ (৪:১২ অপরাহ্ণ)
মোহাম্মদ মুনিমের সাদাসিদে কথা, এই ব্লগে মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। মুহাম্মদ ইউনূস নিয়ে আমার নিজের আর নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। এই ব্লগে বেশ কিছু পোস্টে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নিয়ে ইউনূসকে নিয়ে প্রায় সবকিছুই বলা হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। অনেকেই হয়ত সেসব পোস্টগুলো পড়ে ফেলেছেন, তারপরও ভাবছি নতুন পাঠকদের জন্য অথবা পুরনো পাঠকদের জন্য এখানে এই ব্লগের সেই পোস্টগুলোর লিন্ক আবার শেয়ার করতে পারি : বৈদেশিক ঋণ নিয়ে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের নতুন তত্ত্ব, আবারও সেই সুশীলসঙ্গীতানুষ্ঠান, ঋণলস, ড. ইউনূস : ‘ভারতের ত্রাণকর্তা’?, দারিদ্র্যবণিক ও বিলবোর্ডের ভুবনে একশ’ বছরের সুফিয়া কামাল, পৃথিবীতে এত জায়গা থাকতে বাংলাদেশে কেন সামাজিক ব্যবসার পত্তন হল এনিয়ে একটি ছোট্ট পোস্ট।
মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১২ (৪:২৬ অপরাহ্ণ)
আমাদের দেশের অনেকে যারা ‘পাকিস্তান’কে অতি মূল্যবান ভেবেছিলেন বা এখনো ভাবেন — তারা শেখ মুজিবকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসাবে দেখেন, যদিও আমাদের দেশের অনেকের বিচারে এবং শেখ মুজিবের বিচারে পাকিস্তানই ছিল বিশ্বাসঘাতক। ঠিক এখন আমাদের দেশের অনেকে যারা ‘মুহাম্মদ ইউনূস’কে অতি মূল্যবান ভাবছেন তারা শেখ হাসিনাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসাবে দেখছেন, যদিও আমাদের দেশের অনেকের বিচারে এবং শেখ হাসিনার বিচারে মুহাম্মদ ইউনূসই বিশ্বাসঘাতক।
Ahsan Iqbal - ১২ আগস্ট ২০১২ (৫:৩৭ অপরাহ্ণ)
Ami khubi bishmito! Ekhon porjonto ami shudhu ‘Grameen Bank’ nam shune ashchi ‘Goriber Bank’ hishabe, r ekjon ke shunechi tini naki robinhood! kintu ami ekhon porjonto kono gorib manusher mukhe ai bank ter kono shukhayti shuni ni! Jara ai bank ti shomporke valo valo kothabarta bolen tara beshir vagi hoy upper middle class ba upper class belong koren…tahole ki ami dhore nebo je Grameen Bank ai shob gorib valochona kari valo manushder ke gorib borolok kore diyachen? tai tader mukhei ki ai bank niya shudhu valo valo kotha shona jay! Grameen Bank niya etto ahajari shona jay! Ami jotodur bujhi amader desher ninmoborger ekta gun ache je tara tader valota shob shomoy bujhechen ar tader bachabar jonno je odhiker ba chahida purone ja proyojon ta aday kore nite jibon porjonto diya holeo rokkha korte pichpa hon ni…khujle emon udharon onek paowa jabe. ami bishmito ai karone je, je gorib manusher dohai diya GB’r ai etto etto propaganda (emon ki full page press ad!) shei gorib manushder moddhe ai GB shonkot niya kintu kono tap uttap nai! tahole ki NIJER VALO PAGOLO BOJHE kothata thik?!
R. Ahsan - ১৪ আগস্ট ২০১২ (১০:২০ অপরাহ্ণ)
For those who are interested to hear the voices of Grameen Bank BOrrowers, please watch this video. Please give few minutes to load/start the video, it starts around 8 seconds:
http://youtu.be/EkZbzCa8Ct8
Ahsan Iqbal - ১৬ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৭ অপরাহ্ণ)
@R.Ahsan, apnar linkta dekhete khub koshto holeo purata dekhlam. Bishoyta agei anumeyo chilo. Ami asholei ekhon porjonto GB’r pokkhe kono borrower ke nejer tagid e ba shotosfurto vabe tv ba press media te kichu bolte shuni nai! Emon shajano natok amra onek agee theke dekhe ashchi. GB’r program e, firingi r foreigner der shamne aro onek paid mojida begum, sufia begum emon likhito ba mukhostho boyan diyachen…apni ai linkta diya ki proman korte chailen thik bujhlam na!
ভুমিহিন/বিত্তহিন - ১২ আগস্ট ২০১২ (৮:৩২ অপরাহ্ণ)
১৯৭১ সালে উনার বা উনার পরিবারের কারো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোন অবদান নাই। উনি তখন টেনেছিতে সহকারী প্রফেসর ছিলেন(দেশে আশেন১৯৭৩ সালে মুক্তিজুদ্ধ শেষ হলে), উনার রক্ষণশীল পরিবারের সবাই পাকিস্তান ভাঙ্গার বিপক্ষে। স্বাভাবিক ভাবেই উনি আমাদের মহান ২১ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বরের পক্ষে না।
মাইনুল - ১৩ আগস্ট ২০১২ (৫:৩৪ অপরাহ্ণ)
ভূমিহীন আপনি কি নিশ্চিত ড. ইউনুসে কোন অবদান নেই মুক্তিযুদ্ধে?
আমি যতদূর জানি উনি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর সরকারে প্লানিং কমিশনের একজন সদস্য ছিলেন।
ধন্যবাদ।
রেজাউল করিম সুমন - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৮:২৮ পূর্বাহ্ণ)
রণদীপম বসুর একটি লেখায় পড়েছিলাম,
‘ড. ইউনূস সেসময় আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ফেলে রাতদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন‘ কি না জানি না, কিন্তু নিউজলেটারটি যে-মাত্রায়ই হোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাঁর সক্রিয়তার পরিচয় বহন করছে।
রণদীপম বসুর লেখার লিংক : এখানে। এর নীচে মন্তব্যের ঘরেও প্রাসঙ্গিক তর্ক-বিতর্ক আছে।
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ২২ আগস্ট ২০১২ (২:২৫ পূর্বাহ্ণ)
ধন্যবাদ রনদিপম বসুর লেখাটা দেবার জন্য। আসল কথা ২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবরের আগে তেমন কেউ চিনতো না। কিন্তু ওই দিনের পর থেকে উনার তেলা মাথায় টেল দেবার মানুষের অভাব হচ্ছে না। রনদিপম বাবুও তার বাইরে না। মোঃ ইউনুছের সাথে উনার ফটো সেশন দেখলেই সেটা বুঝা যায়। যেখানে আমাদের তরুন যুবকরা পলায়ে দেশে ফিরে দেশ স্বাধীনের যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তার সাথে কি ঘরে বসে দুইটা কার্টুন আঁকানোর সাথে তুলনা করা যায়? আর যদি উনি এত জনমত তৈরিতে অবদান রেখে থাকেন, তাহলে ওই দেশের জনমত আমাদের মুক্তিজুদ্ধে কি হওয়া উচিৎ ছিল আর কি ছিল তাদের অবস্থান আমাদের মুক্তিজুদ্ধে? আর উনি যদি এতই দেশপ্রেমি হতেন, তাহলে শিবিরের দেওয়া ফুল হাতে নিয়ে ওদের ক্যাডারদের সাথে ফটো সেশন করতেন না।
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ২২ আগস্ট ২০১২ (২:০৭ পূর্বাহ্ণ)
তো আপনার জানামতে প্রবাসে কোথায় কিভাবে মুক্তিজুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন এবং কখন উনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্লানিং কমিশনের সদস্য ছিলেন জানাবেন কি?উনার সাথে চাকুরীর সুবাদে উনার গ্রামের বাড়ীতে যাবার সুযোগ আমার হয়েছিল। আমার জানামতে উনার পরিবারের সবাই আমাদের মুক্তিজুদ্ধের(উনাদের ভাষায় পাকিস্তান ভাঙ্গার)বিপক্ষে ছিলেন।
মাইনুল - ২৩ আগস্ট ২০১২ (১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
got it from wiki
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ২৬ আগস্ট ২০১২ (৮:৫০ অপরাহ্ণ)
মাইনুল ধন্যবাদ আপনার তথ্যের জন্য। wikiর পুরা লিংকটা দিবেন কি? তারপর নাহয় আলাপ করি?
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১২:১৬ পূর্বাহ্ণ)
মাইনুল,আজ অবধি আপনার জানার উৎস wikiএর পুরা লিঙ্কটা দিতে পারলেন না। তাহলে কি ধরে নেব অনেকের মত তেলা মাথায় তেল দিতে যে মিথ্যার আস্রয় নিতেছেন বিভিন্ন লিঙ্কের নাম দিয়ে, আপনারটাও সেইরকম?
মাসুদ করিম - ১৪ আগস্ট ২০১২ (১:১৬ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৪ আগস্ট ২০১২ (৪:৪৫ অপরাহ্ণ)
Surajit Barua - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২২ অপরাহ্ণ)
ক্ষুদ্র ঋণ বিলাস
Rezwan Wahid - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২৩ অপরাহ্ণ)
অতীব সত্য কথন। ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে পাশ্চাত্যের অতি আগ্রহের বিবিধ কারন আছে। সবগুলো কিন্তু অমুলক নয়। এই প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক প্রভাব যাচাইয়এর বৈজ্ঞানিক ডাটা কালেকশনের জন্য, ক্ষুদ্র ঋন কার্যক্রমকে যে সময় দেয়া প্রয়োজন, সেটা পার হয়েছে। আমার মনে হয়, এখন সে আনুসন্ধানগুলোর রিপোর্ট আশা শুরু করলে, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে, অতিউতসাহ এবং বাগড়ম্বরে একটু ঠান্ডা পানি পড়বে। আবার এও সত্য, ইউনুস সাহেবের কৃতিত্বকে খুব খাটো করে দেখা যাবেনা। তবে, যতটুকু হবে, সেটা তার ব্যক্তিগত ইগোকেন্দ্রিক আচরনের জন্যই।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২৫ অপরাহ্ণ)
@Rezwan Wahid: যথেষ্ট সময় অনেক আগেই পার হয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে অনেক অনুসন্ধানমূলক ডাটা কালেকশান এবং এনালিসিসও হয়েছে এবং সেটাও অনেক আগেই। কিন্তু সেগুলো আমলে নেবার সময় বা আগ্রহ আমাদের হাতে নেই। আমাদের দরকার সেনসেশান। কিন্তু সেই পোস্টটি এখানে দেখলাম এটা কিসের উদাহরন সেটা ভেবে দেখার দরকার। লেখাটি পড়ে আমার মনে হয়নি যিনি এটা লিখেছেন বিষয়টি সম্পর্কে তার ধারনা রয়েছে। এটাই আমাদের পপ-সাহিত্যের একটা বড় সমস্যা। আর ইগোকেন্দ্রিক আচরন ব্যপারটা বুঝলামনা। উন্নয়নের সাথে ইগোর দ্বন্দ্বটা কোথায় আর ইগো ব্যাপারটা আসলোই বা কোথা থেকে?
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Rezwan Wahid - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২৭ অপরাহ্ণ)
@Riaz Uddin: দারিদ্রমোচনে, ক্ষুদ্রৃ ঋণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে বিশেষ কোন বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট বা অনুসন্ধানের সোর্স আপনার কাছে আছে? সেগুলো কি খুব আশা ব্যঞ্জক? দারিদ্রমোচন আর দারিদ্রতাকে সহনীয় পর্যায়ে রাখা কি এক জিনিস? আপনার কাছে কোন সোর্স থাকেলে জানাবেন কি? পড়ে দেখতাম ক্ষদ্র ঋনের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল কি হোয়। আমার মনে হয়েছে, মূল লেখাটি ক্ষুদ্র ঋনের আল্টিমেট ফলাফল কি সেটা নিয়েই? আপনার জানা তথ্যগুলো লিখক আমলে না নিলে, আপনি লিখুন উদাহরনসহ। পাঠকরা আমলে নিলেই তো মোক্ষলাভ। ইগোকেন্দ্রিক ব্যাপারটা বুঝাতে চেয়েছি, বর্তমানে ইউনুস নিয়ে ব্যপাক আলোচনা, নোবেল প্রাপ্তি বা একডেমিক কারনে হচ্ছেনা। হচ্ছে, উনার সাথে “খারাপ এবং অযাচিত” ব্যবহারের কাদা ছূড়াছূড়ির কারনে। দেশের সর্ব বৃহত এন জি ও, ব্রাক আছে, তারাও, দেশের “দারিদ্রমোচন” একনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। কিন্তু আবিদ সাহেব তো বিতর্কে নাই। তাই, বলতে চাচ্ছিলাম, ইউনুস সাহেবের ইগোর ব্যাপারটি। তবে, মূল আলোচনায়, এই ইস্যূটা সাইড শো। তাই, বেশি আলোচনায় গেলাম না।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৩০ অপরাহ্ণ)
Rezwan Wahid: উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে Pitt and Khondker (1998)
http://www.jstor.org/discover/10.1086/250037?uid=4&sid=21101138152377
ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো থেকে বের হওয়া অর্থনীতির অনেক নামি জার্নাল “Journal of Political Economy” এর পরও এই ডাটাসেট নিয়ে কাজ হয়েছে, পরবর্তিতে প্যানেল ডাটা (ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সময়ে একই স্থানের ডাটা সংগ্রহ করে) নিয়ে কাজ করেও একই রকম ফল পাওয়া গেছে।
আমাদের এই বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির সবচেয়ে বড় দূর্বলতাটা এখানে যে আমরা মনে করছি যে কোন একটি ধারনাকেই দারিদ্র বিমোচনে গ্র্যান্ড এন্সার হতে হএব, প্যানাসিয়া হতে হবে। অর্থনীতির ভাষাই এই অনুমিতি কে বলে “nirvana fallacy”. ক্ষুদ্রঋন কেন, দারিদ্র বিমোচনের কোন ধারনাকেই এই বোশিষ্ট্য পরিগ্রহ করে দরকার নেই। এটা অযৌক্তিক আবদার। টাইপিং এর ঝামেলা কমাতে অন্য যায়গার একটা কমেন্ট পেস্ট করছি এই প্রসঙ্গেঃ
“ইউনুসের কাজের মূল্যায়নে কয়জন মানুষ তার কাজে উপকৃত হয়েছে এটা একমাত্র বিবেচ্য নয়। কারন প্রথমত হিসাবটা নির্ভুল ভাবে করা কঠিন। সেটা সমাজবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। লক্ষ্য করা দরকার ইউনুস একটি নতুন ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান পূরন করেছে একটি শুন্যস্থান — যার যুগ যুগ ধরে পুরন করার চেষ্টা করেও কেউ সফল হতে পারছিলেননা। এমননা যে এর আগে ক্ষুদ্রঋন প্রতিষ্ঠান ছিলনা — ব্যপারটা এখানে যে তার কোনটাই টেকসই মডেল ছিল না। আবার কেবল কতটা দারিদ্র নিরসন হয়েছে সেটাও একমাত্র মাপকাঠি নয় গ্রামীনের মূল্যায়নে। মধ্যবিত্তবা উচ্চবিত্তরা ব্যাঙ্কের কারনে কতটা বড়লোক হচ্ছেন সেটার হিসাব কিন্তু আমরা করতে যাইনা। আমরা খুশি যে আমরা ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা ধার নিতে পারি — সেই টাকা শোধও দিতে হয় আমরা সেটা মেনে নিয়েছি। ঠিক এই সুবিধাটাই তিনি গরীব লোকেদের জন্যেও তৈরি করেছেন। এতে দারিদ্র নিরসন হচ্ছে অবশ্যই — কিন্তু এটাই ক্ষুদ্রঋন ব্যবস্থার একমাত্র ফোকাস ভাবাটা যথেষ্ট নয়। এটা যে একটা প্রাতিষ্ঠানিক শুন্যতা পুরন করেছে এটা খেয়াল করতে পারাটা বটমলাইন। যদি গ্রামীন বন্ধ করে দিতে হয় তার আগে দেশের মূলধারার ব্যাঙ্কগুলো কেন বন্ধ করতে হবেনা সেটা আমাদের জানা দরকার। এই ব্যাঙ্কগুলো বছরে কতজনকে দেউলিয়া করছে কতজনে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে তার হিসাবও নিতে হবে। এই বিষয়টি আমরা নিজেদের জন্য মেনে নিয়েছি কিন্তু দরিদ্রদের জন্য মানতে পারছিনা। এটা একটা বড় সমস্যা।”
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Afzal Zami - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২৬ অপরাহ্ণ)
Bangladesh Statistics Office’er telesmati karbar ta bad diyechen…
Nazrul Islam - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:২৮ অপরাহ্ণ)
Obosta dekhe mone hochchay Bangladesher protiti gorer kono na kono sodoshsho tader kormochari.
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৩২ অপরাহ্ণ)
ব্লগার মোহাম্মদ মুনিম কিছু ‘সাদাসিধে কথা’ সাদাসিধে মানুষের আঙ্গিক থেকে সাদাসিধে মানুষের মতো করেই তুলে ধরেছেন। বিশ্লেষণে তত্ত্ববাজি নেই, কিন্তু সহজ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে সেখানে। এসব প্রশ্নের যতক্ষণ না কোনো সদুত্তর আসছে, ততক্ষণ এই প্রশ্নগুলো উঠে আসতেই থাকবে। আর সদুত্তর মানে সাধারণ মানুষ সাধারণ যুক্তিবোধ দিয়ে বোঝে তেমন সদুত্তর হতে হবে। এখানে সরকার, বিদেশী শক্তি কিংবা একে তাকে দোষ দিয়ে অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ হয়ে যাওয়ার কোনো সুফল দেখি না। ড. ইউনুস আর তার প্রতিষ্ঠান পাবলিক ডমেইনে বিরাজ করেন, সুতরাং, এই আলোচনাগুলো তো হবেই। আমার ধারণা, ইউনুস নিজেরও জবাবদিহিতা আর স্বচ্ছতার পক্ষেই অবস্থান নেয়ার কথা। এই বিষয়টার ওপর আলোচনাগুলো হয়তো আরও ফলপ্রসু হয়ে উঠতো যদি আলোচনাগুলোকে ক্ষুদ্রঋণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হোতো। এখানে আলোচনায় পয়েন্টলাভের জন্য সরকার, শেখ হাসিনা ইত্যাদি টেনে এনে দু’পক্ষই আলোচনাটাকে আবেগ আর আক্রমণের দিকে নিয়ে যেতেই যেন বেশী বদ্ধ পরিকর, ফলে আলোচনাগুলো আর আলোচনার যোগ্য থাকে না। এখানে দু’পক্ষই যেন ভিকটিম সাজার চেষ্টায় অস্থির, কেউ চরিত্রহননের, তো কেউ ষড়যন্ত্রের। তবে Riaz Uddin ঠিক বলেছেন – “অনুসন্ধানমূলক ডাটা কালেকশন এবং এনালিসিস” কিছু তো হয়েছেই, এর দু’একটা পড়াও হয়েছে, বাকিগুলোও পড়ে ফেলার ইচ্ছে আছে সময় পেলেই, তাতে হয়তো বিষয়গুলো বোঝার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগোনো হবে। এই যেমন ক্ষুদ্রঋণের প্রশ্নহীন বন্দনার বিপরীতে একাডেমিক কাজের এই তালিকাটিও দ্রষ্টব্য যেখানে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার বিপক্ষ শিবিরের অনেক কথাই গবেষণার ডাটাসহ উঠে এসেছে (সিসিবি’র মাহমুদ এর ব্লগের সৌজন্যে), যা অনেক পাঠককেই ক্ষুদ্রঋণের ব্যাপারে সংশয়বাদী অবস্থানের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি। উল্লেখ্য এই তালিকার প্রতিটি কাজই Pitt and Khondker (1998) এর চেয়ে সাম্প্রতিকতর:
Ahmed, M. M. (2003) “Distant Voices: the Views of the Fieldworkers of NGOs in Bangladesh on Microcredit” in the Geographical Journal, 169(1):65-74.
Anthony, D. and C. Horne (2003) “Gender and Cooperation: Explaining Loan Repayment in Microcredit Groups” in Social Psychology Quarterly, 66(3):293-302.
Bernasek, A. (2003) “Banking on Social Change: GrameenBank Lending to Women” in International Journal of Politics, Culture and Society, 16(3):369-385.
Bhatt, N, and S. Tang (2002) “Determinants of Repayments in Microcredit: Evidence from the Programs in the United States” in International Journal of Urban and Regional Research, 26(2):360-376.
Develtere, P. and A. Huybrechts (2005) “The Impact of Microcredit on the Poor in Bangladesh” in alternatives,30:165-189.
Elahi, K.Q. and C.P.Danopoulos (2004) “Microfinance and Third World Development: A Critical Analysis” in Journal of Political and Military Sociology, 32(1):61-77.
Karim, Lamia (2008) “Demystifying Microcredit: The Grameen Bank, NGOs, and Neoliberalism in Bangladesh” in Cultural Dynamics, 20(1):5:29.
Lucarelli, B. (2005) “Microcredit: A Cautionary Tale” in Journal of Contemporary Asia, 35(1):78-86.
Mallick, R. (2002) “Implementing and Evaluating Microcredit in Bangladesh” in Development in Practice, 12(2):153-163.
Mahmud, S. (2003) “Actually How Empowering is Microcredit?” in Development and Change, 34(4):577-605.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৩৩ অপরাহ্ণ)
Rayhan Rashid এখানে পুরোনো রেফারেন্স দেবার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা দেখানো যে এই বিষয় নিয়ে গবেষনা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। আর আপনার দেয়া রেফারেন্সগুলোর প্রায় সবগুলোই অর্থনীতির বাইরের কাজ। এছাড়া এর মধ্যে কোন-কোনটি রাজনৈতিক ভাবাদর্শের যায়গা থেকে লেখা।
আর যা বলছেন, উত্তর দেয়া হলে প্রশ্নগুলো ফিরে ফিরে আসবে না আমার অভিজ্ঞতা সেটা বলে না, তাই এগুলওর উত্তর দেবার চেষ্টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভূতের বেগার খাটায় পরিনত হয়। কেউ আন্তরিক হলে নিজে থেকেই ইম্পিরিকাল স্টাডিগুলো খূজে নিতে পারে। কিন্তু পপুলার মিথগুলোকে ভাঙ্গার কাজটা অনেক কঠিন। তবে আপনার দেয়া পেপার গুলো একটু দেখে নেই।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৩৫ অপরাহ্ণ)
@ Riaz Uddin: আপনার এই বাক্যটি ঠিক স্পষ্ট হল না –
— সবিনয়ে বলি, এটা আপনার কাছে বিবেচ্য না-ই হতে পারে সেটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার, কিন্তু বাকি দুনিয়ার কাছে কেন হবে না? আমি তো মনে করি ঠিক কি মাত্রায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে গ্রামীন বা ক্ষুদ্রঋণ থেকে সেটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটা প্রশ্ন। মনে রাখতে হবে দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠানোর অতিশয়োক্তি (বা কারও মতে দম্ভোক্তি) যখন কেউ করেন এবং imply করেন যে তার তৈরী করা পথই সঠিক পথ, তখন সেটাকে খুব legitimate-ভাবেই মানুষ scrutiny করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। কারণ, সেটা বাকি সবার কাজ ও চিন্তার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হয়ে যায়। আপনি বলছেন – ইউনুসের কাজের পূর্ণ মূল্যায়ন করা সম্ভব না, কারণ সেটা নাকি সমাজবিজ্ঞানের সমস্যা। তাহলে আমার প্রশ্ন হল – যে পন্থা বা পদ্ধতির Impact-ই এখনো সঠিকভাবে যাচাই করা যাচ্ছে না, তাকে ঘিরে কোনো ধরণের অতিশয়োক্তি বা দম্ভোক্তিই কি যুক্তিযুক্ত আচরণ? আমি মনে করি না। বরং, ড. ইউনুসের কাজের negative impact নিয়ে সমাজবিজ্ঞানের বেশ অনেকগুলো কাজ হয়ে গিয়েছে (যেগুলোর কয়েকটা উপরের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে)। তবে হ্যাঁ, একজন এনট্রিপ্রিনিউর হিসেবে আমি মনে করি ড. ইউনুস প্রশংসার দাবিদার, সবাই পারে না প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে। আইনে একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস আছে – আদালতের সামনে কারও চরিত্র ভাল কি খারাপ এই বিষয়ে সাধারণভাবে (কিছু ব্যতিক্রম বাদে) কোনো সাক্ষ্যই প্রাসঙ্গিক বা গ্রহণযোগ্য হয় না; কিন্তু ইন্টারেস্টিং হল যখনই কোনো পক্ষ দাবী করে যে ‘চরিত্র উত্তম’ সেই মুহুর্ত থেকে সেই assertion-কে disprove করার সাক্ষ্য প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে এবং তখন অপর পক্ষ প্রমাণ হাজির করতে পারে উক্ত ব্যক্তির চরিত্র আসলে ‘উত্তম নয়’। জানি এটা একটা ভিন্ন ফিল্ডের উদাহরণ, কিন্তু মূলনীতিটি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি, কারণ আমি মনে করি ড ইউনুসের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। ড ইউনুসের বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলোকে উসকে দেয়ার পেছনে আমি মনে করি তার এবং তার ভক্তদেরও বিভিন্ন অতিশয়োক্তি একটা ভূমিকা রেখেছে, যা ক্ষুদ্রঋণ পন্থার সমালোচকদের জন্য উস্কানী হিসেবে কাজ করেছে। জানি না একমত হবেন কি না, তবে এটাও আমার কাছে একটা উল্লেখযোগ্য দিক মনে হয়েছে। এই আলোচনাটা আসলে মোহাম্মদ মুনিম এর মূল পোস্টে হলেই হয়তো আরও ভাল হতো। ধন্যবাদ।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৩৮ অপরাহ্ণ)
Riaz Uddin: আপনি লিখেছেন –
— একটু খুলে আরও স্পেসিফিকেলি বলতে পারেন প্লিজ?
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৪০ অপরাহ্ণ)
এখানেও আরও একটি রেফারেন্স পাচ্ছি যা শুরুর দিককার অনেকগুলো মৌলিক সমালোচনাকেই তুলে ধরেছে: Heloise Weber, ‘Global Governance and Poverty Reduction: The Case of Micro Credit’ in Rorden Wilkinson, Steve Hughes (eds), Global Governance: Critical Perspectives (Routledge, London 2002), pp.133-51 at 135.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৪৩ অপরাহ্ণ)
@ Rayhan Rashid
মনযোগ দিয়ে পুরো মন্তব্যটা পড়লে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।
সমাজবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গটি ব্যখ্যা করি প্রথমে। ধরা যাক একটা পুকুরে মাছ আছে কি নেই সেটা নিয়ে তর্ক হচ্ছে। দশজন জাল ফেললেন তার মধ্যে নয় জন মাছ পেলেন না আর একজন পেলেন এখন আপনি বলতে পারেন যেহেতু নয় জন মাছ খুঁজে পায়নি কাজেই মাছ নেই। ব্যপারটা কিন্তু তেমন নয়। এটা সহজ করে বলার স্বার্থে বললাম। PK98 এই জন্যে গুরুত্বপূর্ন যে আপনার দেয়া যেকোন রেফারেন্সের চেয়ে এই লেখাটি অনেক পদ্ধতিগত ভাবে সফিসটিকেটেড কাজ এবং তার ডাটাসেটও বৃহত্তম। গত ২/৩ বছরের ডেভেলপমেন্ট জানা নেই (তবু নিশ্চিত হয়ে বলছি — কারন গত ২-৩ বছরের লিটারেচার দেখিনি)।
আর অতিশয়োক্তি প্রসঙ্গেঃ যখনি ইউনুস নোবেল পেয়ে গেলেন তখনই অনেকের চোখে তিনি আমরা আরা তারা ডাইকটমির অন্যপারে চলে গেছেন। ফলে তিনি যখন বলেন “we can send poverty to museum” তখন সচেতন পাঠক নিজেকে সযত্নে এই আমরার তালিকা থেকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইউনুস এখানে বলেননি যে তিনি কেবল গ্রামীন ব্যাঙ্ককে বা ক্ষুদ্রঋন কে ব্যবহার করে কেবল নিজেই এই কাজটি সমাধা করবেন। এই বিশাল ভুল ধারনার পাহাড় সরানোর কাজটি আসলে ইতিহাসের হাতেই বোধ হয় ছেড়ে দেয়া উচিত। আমি এখানে অব্জেটিভ চিন্তাধারার ব্যবহার বা মূল্যায়ন দেখিনা।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Rezwan Wahid - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৪৫ অপরাহ্ণ)
@Riaz Uddin: 1998 সালের গবেষণা পত্রটির জন্য ধন্যবাদ। এমনিতেই, এটা আমার বিষয়না। এক পল দেখেই বুঝলাম, অনেক ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। আমাদের প্রসংগটি ছিল কিন্তু, দারিদ্রমোচনে ক্ষুদ্র ঋনের প্রভাব। একবারে দারিদ্রমোচন করে আমাদের ধনবান বানিয়ে দিবে, এই রকম আশা আমরাই কেউ করিনা। আমি এর আগে ইগো বলেছিলাম, সেটা যথার্থ না হলেও রায়হান রশীদ মোক্ষম কথা বলেছেন। আমারো মত, ইউনুস এবং ইউনুস ভক্তদের অতি লম্ফনই, তাকে বিচার করা নিক্তিটি অতি উর্ধে নির্ধারন করেছে। আসল কথায় আসা যাক। আপনার দেয়া রেফারেন্সটি কি আপনি নিজে পড়েছেন? এবস্ট্রাক্ট দেখে যা বুঝলাম, ঋণগৃহীতাদের জেন্ডার অনুসারে, তাদে বিহেভিরিয়াল পার্থক্যগুলো কি হোয়, সেটাই মূল পর্যবেক্ষন। গবেষনাপত্রটি মুলতঃ একটা এক্সেপ্রিমেন্টাইল ডিজাইনের প্রস্তাবনাকে হাইলাইট করে লেখা,। ে এটা কি বিবেচনায় দীর্ঘমেয়াদি দারিদ্রমোচন প্রসঙ্গে অনুসন্ধানের রেফারেন্স হোল? বিদেশি জার্নালে বাকি প্রবন্ধগুলো ইকনোমিক্স না। বোকার মত বলি, ইউনুস সাহেব কিন্তু ইকনোমিক্স নোবেলের জন্য বিবেচিত হননাই। তাই, উনার কর্মের মূল্যায়ন ইকনোমিক্স পত্রিকায় হতে হএব নাইলে, গ্রহন যোগ্য হবেনা এটা বেশ হাস্যকর।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৪৮ অপরাহ্ণ)
কিছু কিছু প্রশ্ন এই লেখাটাতে এড্রেস করার চেষ্টা করেছি.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৪৯ অপরাহ্ণ)
পড়েছি এবং ডাটাসেট থেকে রিসার্চটি রিপ্রোডিউস করার চেষ্টাও করব ভেবে রেখেছিলাম– কারন এটা econometrics এ একোটা উদাহরনমূলক কাজ। বিহেভিয়ারাল পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা থাকতে পারে। এখানে QE এই অর্থে যে বাস্তবে আপনি একটা গ্রুপকে ঋন দিয়ে এবং অন্যগ্রুপকে ঋন না দিয়ে যেভাবে controlled experiment করবেন এথিকাল গ্রাউন্ডে সেটা করা সম্ভব নয়। ফলে QE তে বেশকিছু সোশিও ইকনমিক ভেরিয়েবলকে ধরে হাউসহোল্ড পর্যাবে matching pair নিয়ে তুলনা করা হয়েছে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Rezwan Wahid - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৫:৫০ অপরাহ্ণ)
বুঝলাম। আমি অনেকটা ঠিক। তাহলে, এই প্রবন্ধ একটা নতুন ঈনালাইটিক্যাল টুলের ব্যবহারের জাস্টিফিকেশনের বাইরে, ঋণের দারিদ্রমোচনের উপর কোন আলোকপত নাই। তাই না? তাই, আমাদের আজকের আলোচনায়, সেটা ডিস্টেন্টলি রিলেটেড, ইফ নট ইঋলিভেন্ট। তারপরেও, মাথঃ-)কিছু চুল পাকাবো, আজ সন্ধ্যায় সে লেখাটি পড়ার চেষ্টা করে 🙂
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৪৫ অপরাহ্ণ)
@Rezwan Wahid “ঋণের দারিদ্রমোচনের উপর কোন আলোকপত নাই” ব্যাপারটা এর পুরোই বিপরীত — পেপারটা পড়েলেই আশা করি বুঝতে পারবেন কি বলতে চাচ্ছি। বিহেভিয়ারাল ছাড়ায় জেন্ডার ডিফরেন্সের আরো অনেক আস্পেক্ট আছে — আপনি পেপারটি পড়লে লক্ষ্য করবেন এরকম আরো কয়েকডজন আস্পেক্ট নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। কাজেই চুল পাকানো সার্থক হবে আশা করি। 😀
আর তিনি কিসের ওপর নোবেল পেয়েছেন তাতে আসলে কিছু আসে যায়না — কারন আপনি জানতে চাচ্ছেন দারিদ্রবিমোচনের উপর ক্ষুদ্রঋনের প্রভাব। কাজেই এখানে econometrics (অর্থমিতি) এর ব্যবহার থাকা বাঞ্ছনিয়। সেটা অর্থনীতি জার্নালের না হলে স্টাটিস্টিক্সের জার্নালে পাবলিশড হবে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:২২ অপরাহ্ণ)
@Riaz Uddin:
উপরে আপনার দেয়া মাছের উদাহরণটা কিন্তু যথার্থ হল না। সেটি যদি এখন ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন তাহলে কি দাঁড়ায়? আমি নিজে অর্থনীতির মানুষ না, ক্ষুদ্র ঋনও আমার বিষয় না, কিন্তু আর সবার মতো আমার যে আগ্রহ এই বিষয়ে তা সাধারণ মানুষের আগ্রহ। এবং এই সাধারণের প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি বিশাল বিশাল ডাটাসেট আর কন্ট্রোলড এক্সপেরিমেন্টগুলো ঠিকভাবে না দিতে পারে, তার দোষ কিন্তু সাধারণের না। এখানে কন্ট্রোল এক্সপেরিমেন্টের, বা অন্যান্য স্ট্যাটিসটিক্যাল সিগনিফিক্যান্স এর jargon এর মধ্যে আলোচনাটাকে টেনে নেয়ার প্রয়োজন দেখি না, কিছু উত্তর সোজাসাপটাভাবে খোঁজা হচ্ছে এখানে। সহজভাবে যা বুঝি তা হল কিছু জিনিস কান্ডজ্ঞান দিয়ে বুঝতে হয়, যা এপারেন্ট তা দিয়েও বোঝা যায়, আর এর বাইরে অন্য কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা হলে সেটা কিন্তু শুভংকর বাবুর কাজ হয়ে যায়। আপনার মাছের উদাহরণ থেকে অনুপ্রেরণা ধরেই এগোই – ধরুন ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে দশ জনের মধ্যে নয় জনের যদি অবস্থা না ফেরে আর শুধুমাত্র এক জনের অবস্থা ফেরে, তখন একে কোনো বিচােরই কি সফল পন্থা বলা যাবে? এখন সেই সফল একজন তো exception-ও হতে পারেন, পারেন না? আর কন্ট্রোলড এক্সপেরিমেন্টে আপনি কয়টা ভেরিয়েবল দিয়ে কন্ট্রোল করবেন? দারিদ্র কমছে কি কমেনি, অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কি হয়নি – তা বুঝতে কি সবসময় ক্যালকুলেটর আর গবেষণার চার্ট নিয়ে বসতে হয়? আর ক্ষুদ্র ঋণের সমালোচনা করেছে বলেই বাকি গবেষণাগুলোর ডাটাসেট ঠিক নেই, রাজনীতি প্রভাবিত – এধরণের ঢালাও মন্তব্য করাটা কি ঠিক হচ্ছে? কারণ সেই গবেষণাগুলোও কয়েকটাও বেশ ধাপ পেরিয়েই তারপর প্রকাশিত হয়েছে। আর ডাটাসেট বড়ো হলেই বুঝি গবেষণার মান বেড়ে যায়? বা গবেষণার ইনটিগ্রিটির মান? Pitt and Khondker (1998) নিজেও যে কোনো একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গীর (রাজনৈতিক বা স্বার্থগত) অনুসারী নন, সেটাই বা এতো নিশ্চিত হচ্ছেন কিভাবে? একটা অনুরোধ করবো – Pitt and Khondker (1998) এর গবেষণার মান বা ফাঁকগুলো নিয়েও নিশ্চয়ই গবেষণা হয়েছে, কিছু রেফারেন্স দিতে পারেন প্লিজ? একটু পড়ে দেখতে চাই। এখন আগ্রহ হচ্ছে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৫ অপরাহ্ণ)
আপনার বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন যদি PK98 পড়েন। এটা নিয়ে roodman and morduch চেষ্টা করেছেন তার কাজের ফাঁক বের করতে — তাদের কাজ শেষ যতদিন পর্যন্ত দেখেছি পাব্লিশ করে উঠতে পারেননি।
আর হ্যা স্টাটিস্টিক্সে sample size বলে একটা বিষয় আছে। বিশেষ করে যখন অনেক পজিটিভ এবং নেগেটিভ ফোর্সের সম্মিলন থেকে একটা নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরকে আলাদা করতে হলে কেবল sample size বড় হলেই চলে না একই ব্যক্তি বা unit of analysis কে একটা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষনে রাখতে হয় (longitudinal বা panel setting) আবার একই সাথে অনেক স্থান, সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির থেকে সেম্পল নিতে হয় (large cross section)। আর লার্জ ডেটাসেট হলেই চলে না অন্যসব প্রভাব থেকে একটা নির্দিষ্ট প্রভাবকে আলাদা করার উপযুক্ত পদ্ধতির প্রয়োগ করাও জরুরী। কিন্তু আপনি যেই পেপার গুলো এখানে দিলেন তার মধ্যে empirical dataset নিইয়ে ২/১ টি কাজ করে থাকতে পারে। সম্ভবত অনেকগুলোই পড়া আছে আমার। বেশিদূর যাওয়া দরকার নেই তো। পেপারগুলোর টাইটেলই বলে দিচ্ছে তারা কোন ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন –যদি impact assessment করতে হয় আমি প্রথমত quantitative assessment খুজব। আমি বলতে চাচ্ছি না anthropological বা qualitative এপ্রোচ কাজে আসবে না। কিন্তু সেগুলো মূল প্রশ্নটিকে ধরতে পারবে না — মেথডলজিকাল সীমাবদ্ধতার কারনে। আমি আপনাকে অনুরোধ করব যদি একটা পেপার পড়ার সময় থাকে প্রথমে pk98 পড়ুন। আপনার বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন — না পেলে আমি চেষ্টা করব আপনার বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৬ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ Riaz Uddin, PK98 ভালোভাবে পড়বার আগ্রহ থাকলো। আশা করি Roodman and Morduch এর কাজও অচিরেই পাবলিশ হবে। অবাক হলাম এতো বড়ো একটা পলিসি ইস্যু, যেটার ওপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে খোদাই মালুম না জানি কত বিলিয়ন ইনভেস্টেড হয়েছে, সেটা নিয়ে আর কেউ কোনো সিরিয়াস ক্রিটিক্যাল কাজে হাত দেয়নি। আশা করি দেবে, কারণ, দিনের শেষে এগুলো তো পাবলিকেরই টাকা দেশে দেশে। যাকগে, উপভোগ করলাম এই আলোচনাটা, অনেক কিছু শেখাও হল। ভাল থাকুন, শুভরাত্রি।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৮ অপরাহ্ণ)
এখন সম্ভবত কয়েকটা প্রজেক্ট চলছে, অনেক বড় ডাটাসেট নিয়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে controlled experiment করার চেষ্টাও হয়েছে — কিন্তু তাদের রেসাল্টগুলো এসেছে কিনা জানা নেই। আলোচনাতে যেহেতু ঢুকেছি চেষ্টা করব কিছু দেখলে জানাতে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৩৯ অপরাহ্ণ)
Development literature এ impact assessment/program evaluation বিষয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে — এর মধ্যে একটা বড় বিতর্কে হচ্ছে Randomized Control Trail (RCT) এর প্রয়োগ প্রসঙ্গে এখানে দুইজন মহারথির একটা সেমিনারে আলোচনা দেখতে পাবেন। একটু বেশি টেকনিকাল অবশ্য। কিন্তু এখেনা যাদের দেখতে পাবেন Bill Easterley, Angus Deaton এবং Avijit Banerjee। এছাড়াও বেশ কিছু ব্যক্তি এখন method development নিয়ে কাজ করছেন।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৪০ অপরাহ্ণ)
লিঙ্কঃ
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৪৬ অপরাহ্ণ)
Riaz Uddin pk98 এর follow up হিসাবে এই পেপারটি দেখা যেতে পারে। Khandker 2005
http://wber.oxfordjournals.org/content/19/2/263.short
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৫২ অপরাহ্ণ)
@Mohammed Munim: আপনার সাথে অধ্যাপক রীয়াজের পেজে কিছুটা আলাপ হয়েছিল, নির্মানের লেখাটা দেখে প্রথমে চিনতে পারিনি আপনাকে — এখন আপনার প্রোফাইল ছবি দেখে মনে পড়ল। তবে অবাক হয়েছিলাম আপনার পোস্টে FDI প্রসঙ্গটি আসায় কারন এই বিষয়টি কাউকেই আমি কখনো উল্লেখ করতে দেখিনি। ইউনুসের পিছনে লাগতে গিয়ে সরকার এবং তার অনুসারিরা দেশের কি অপূরনীয় ক্ষতি করছেন সেটা যারা বুঝতে পারছেন তাদের কি পরিমান মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করতে হচ্ছে বলে বোঝানো যাবে না। সান্ত্বনা কেবল এটুকুই যে অন্তত কিছুটা হলেও চেষ্টা করছি কেউ কেউ। জোসেফ স্টিগলিটসের পিএইচডি ছাত্র — একজন বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ। অনুযোগ করে তাকে বলেছিলাম আপনারা কেন লিখলেননা কিছু এই অর্থহীন কান্ডজ্ঞান বর্জিত প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে? তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আচ্ছা ইউনুস এই দেশে ক্ষুদ্রঋন নিয়ে কতদিন কাজ করছেন বলতো? আর এই যে অভিযোগটি তুললেন সেটা কতদিনের? মানুষ ইউনুসের এতদিনে কাজকে যদি একজন রাজনৈতিক নেতার ইচ্ছার কারনে জলাঞ্জলি দিয়ে দিতে পারে তাহলে আমরা লিখে কি হোতো? এই দেশের মানুষ ইউনুসকে ডিসার্ভ করে না। আপনি শুনলে হয়ত বিশ্বাস করবেননা মূলধারার কোন অর্থনীতিবিদকে জিজ্ঞাসাও করার দরকার নেই তিনি এর পক্ষে না বিপক্ষে। আমি তাঁকে উপরের প্রশ্নগুলো এতসব কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম ক্ষুদ্রঋন সম্পর্কে তার মতামত জিজ্ঞেস না করেই। আপনি গিয়ে স্টিগলিতসের সাথে কথা বলুন অথবা অমর্ত্য সেনের কাছে অথবা জেফ্রি সাক্স বা ইউলিয়াম ইস্টারলিকে জিজ্ঞেস করুন। সম্ভব হলে এদের লেখা পড়ুন। তিল তিল করে তৈরি হওয়া এই অর্জনকে নষ্ট করার অংশিদার হচ্ছেন এই দেশের নাগরিকেরাও। ভাবা যায়না!! এখানে আলোচনাটা আরেকটু আগালে গুছিয়ে আপনার পোস্টে মন্তব্য দেবার চেষ্টা করব। কিন্তু এত সব করে আগেও তেমন কাজ হয়নি এখনো হবে বলে মনে করিনা কেবল নিজের সান্ত্বনার জন্যই কাজটা হয়ত করব।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
হিমু - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৬:৫৩ অপরাহ্ণ)
সরকারের কারণে জামায়াতে ইসলামের মাসুম নেতাদের চল্লিশ বছরের তিল তিল করে তৈরি হওয়া অর্জন পয়মাল হওয়ার পথে। তাদের ছেলেপিলেদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠছে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৩২ অপরাহ্ণ)
Rayhan Rashid
আপনার সাইটেশানগুলো পড়ছি। নিচে সামারি দিচ্ছি — প্রথম থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটা দেখলাম। আপনার বক্তব্যে মনে হল আপনি যেই রেফারেন্সগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো হয় আপনি পড়েছেন অথবা অন্তত এগুলোর সব ক্ষুদ্রঋনের প্রভাব নিয়ে স্টাডি করেছে। কিন্তু মনে হচ্ছে এর দুটোই ভুল ধারনা। দেখুন পেপারগুলো থেকে আমি কি পেলাম (বাকি গুলো দেখা হলে আপডেট দিচ্ছি)ঃ
Ahmed, M. M. (2003): এই পেপারে দেখানো হয়েছে মাইক্রোফাইনান্সের মাঠ পর্যায়ের কিছু কিছু সমস্যাকে আরো সূচারুভাবে সমাধান করা সম্ভব মাঠকর্মীদের সাথে আলাপ করে এবং এরা কোন সরাসরি ইম্প্যাক্ট এনালিসিস করেননি। (# সাইটেশান ২৩)
Anthony, D. and C. Horne (2003) এই পেপারে দেখা হয়েছে যেসব ক্ষেত্রে গ্রুপ লেন্ডিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয় সেখানে গ্রুপের ভেতরে জেন্ডার কম্পোজিশান কিভাবে রিপেমেন্ট রেটকে প্রভাবিত করে। ইম্প্যাক্ট সম্পর্কে কোন ইম্পিরিকাল এনালিসিস এখানে নেই (# সাইটেশান ২৩)
Bernasek, A. (2003) এই পেপারে মূলত মহিলা ঋন গ্রহিতাদের আর্থসামাজিক অবস্থানের উপর গ্রামীনের ঋন কার্যক্রমের প্রভাব কি সেটা বের করার চেষ্টা হয়েছে। গ্রামীন ব্যংক নিজেও বোধ হয় এতটা ক্ষুদ্রৃনের পক্ষে বলে উঠতে সংকোচ করবে। এতে বেশ জোরালো ভাবে বলা হয়েছে গ্রামীনের মহিলাদের অবস্থার প্রভুত উন্নতি ঘটে এই সব ঋনের মাধ্যমে। সরাসরি কোন স্টাটিস্টিকাল এনালিসিস অবশ্য নেই। তবে আমি নিজেও গ্রামীনকে এতটা ক্রেডিট দেব না যতটা এই পেপার দিয়েছে। “নেতিবাচক” বলতে কেবল একটা কথাই এসেছে এটা দারিদ্র বিমোচনের panacea নয়। ক্ষুদ্রঋনকে দারিদ্র বিমোচনার panacea কেউ দাবি করেছেন বলে আমি শূনিনি। আপনি শুনেছেন? (# সাইটেশান ৩১)
Bhatt, N, and S. Tang (2002) এই পেপারের মূল ফোকাস হচ্ছে বাংলাদেশ বা এরকম তৃতীয় বিশ্বের দেশের সাথে উন্নত বিশ্বের ক্ষুদ্রঋন কার্যক্রমের তুলনা যেখানে মূলত স্কিমের ডিজাইনে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। এটাও কোন ইম্প্যাক্ট এনালিসিস নয়। (# সাইটেশান ২৭)
Develtere, P. and A. Huybrechts (2005) এই পেপারটি নিজে কোন সরাসরি স্টাডি নয় বরং এটা মেটা এনালিটিক একটা পেপার; অর্থাৎ অন্যান্য স্টাডিকে ধরে ধরে এই পেপারে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখানেও আপনাকে নিরাশ হতে হবে কেননা এখানে গ্রামীন এবং ব্র্যাকের প্রশংসাই দেখলাম। (# সাইটেশান ২৯)
Elahi, K.Q. and C.P.Danopoulos (2004) এই পেপারটা ক্রিটিকাল – তবে এত বাজে ভাবে লিখিত পেপার কম পড়েছি। আর এনারা মাইক্রোফাইনান্সের মৌলিক বিষয়গুলো বুঝেন বলেও মনে হলো না। হাতি-ঘোরা গেল তল মশা বলে কত জল অবস্থা। তারা বলছেন এর তাত্ত্বিক ভিত্তি নাকি ঠিক নাই, ওনাকে এঘিয়ন আর মরডাকের লেখা টেক্সট বই ধরায়ে দেয়া দরকার। তবে মূল কথা হল এখানে কোন ইম্পিরিকাল ডাটা নিয়ে কাজ করা হয়নাই। (# সাইটেশান ১৭)
লক্ষ্য করুন ব্র্যাকেটে সাইটেশানের সংখ্যা (গুগুল স্কলার থেকে ) দিয়েছি। pk98 এর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৭৭৬।
আমি আশা করব সাইটেশান গুলো যেখানে বা যার কাছ থেকে পেয়েছেন সেখানে এই তথ্যগুলোও শেয়ার করবেন দয়া করে। একপাশ থেকে পড়ছি — বাকি গুলো হলে সামারি দেব।
——
সাইটেশানগুলো সম্পর্কে আপনি যা বলেছিলেনঃ
এই যেমন ক্ষুদ্রঋণের প্রশ্নহীন বন্দনার বিপরীতে একাডেমিক কাজের এই তালিকাটিও দ্রষ্টব্য যেখানে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার বিপক্ষ শিবিরের অনেক কথাই গবেষণার ডাটাসহ উঠে এসেছে (সিসিবি’র মাহমুদ এর ব্লগের সৌজন্যে), যা অনেক পাঠককেই ক্ষুদ্রঋণের ব্যাপারে সংশয়বাদী অবস্থানের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলে মনে করি। (আশা করি আপনার বক্তব্য পূনর্মূল্যায়নের সুযোগটি কাজে লাগাবেন)
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৩৩ অপরাহ্ণ)
@Riaz Uddin: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এই সামারি রিভিউটি প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে। তালিকাটির প্রণেতা Hasan Mahmud কে ট্যাগ করছি। তালিকাটির ব্যাপারে ওর দৃষ্টিকোণটি উঠে আসলে আলোচনাটা আরও ফলপ্রসু হবে বলে মনে হয়। আমার মন্তব্যটি মূলত ছিল সংশয়বাদ নিয়ে। মানুষকে সংশয়ী করে তোলার মতো বেশ কিছু লেখা এবং কাজ রয়েছে সেটাই বলতে চেয়েছি এবং সেগুলোর বিপরীতে যতক্ষণ না আরও স্পষ্ট এবং গ্রহণযোগ্য বক্তব্যগুলো উঠে না আসবে (আবারও বলছি jargon বাদ দিয়ে) ততক্ষণ এই বিতর্কগুলো থাকবে বলেই মনে হয়। যেমন: Weber এর লিন্ক দিয়েছিলাম, সেটা পড়ে বেশ নাড়া খেয়েছিলাম একসময়। মানবেন কি না জানি না – সংশয়বাদীদের অধিকাংশ কিন্তু অকারণে বা কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থেকে পুরো বিষয়টার ব্যাপারে sceptical হয়ে ওঠেননি, আর এক দিনেও তা ঘটেনি।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
রায়হান রশিদ - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৩৫ অপরাহ্ণ)
@Riaz Uddin: PK98 একটু সময় বের করে একবার মাত্র চোখ বোলাতে পেরেছি কাজের চাপে, কাজেই আমার বোঝায় কিছু ভুল থাকাও বিচিত্র না সেটা আগেই বলে নিচ্ছি, আশা করি সেরকম কিছু থাকলে তুলে ধরবেন। পেপারটিতে গাণিতিক সমীকরণের অংশগুলো যথেষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকায় স্কিপ করতে হল (NOTE TO SELF: এবার গণিত শিখতেই হবে মনে হচ্ছে) । গবেষণাটিতে আমার মনযোগ আকর্ষণ করেছে গ্রামবাসীদের স্যাম্পলিং এর বিষয়টি। আপনি জানেন – ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট কেন, যে কোনো এমপিরিক্যাল কাজেই তথ্যদাতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে sampling, selection bias ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। PK98 এর গবেষণাটির ক্ষেত্রে দেখছি – এমপিরিক্যাল গবেষণায় ক্ষুদ্রঋণ নিয়েছে এমন টার্গেট গ্রামগুলোর তালিকা আসলে সরবরাহ করেছে দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো, যে তালিকার ভিত্তিতে PK98 ‘randomised’ স্টাডি করেছে, অর্থাৎ বেঁধে দেয়া একটা ক্ষুদ্রতর তালিকার মধ্যে randomly নির্বাচন করা হয়েছে গবেষণার টার্গেট গ্রামগুলো। কয়েকটা বিষয় বোঝার চেষ্টা করছি, একেবারে একজন layman এর অবস্থান থেকে:
(১) তালিকা সরবরাহকারী এই ঋণদাতা সংস্থাগুলো কি জানতো যে গবেষকরা “ক্ষুদ্র ঋণ ফলদায়ক কি ফলদায়ক নয়” তা নিয়েই কাজ করবেন? (উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যাপারে নেতিবাচক ফলাফল না পাওয়া যাওয়াটা স্বাভাবিকভাবেই তাদের জন্য ক্রুশিয়াল);
(২) PK98 এর বিভিন্ন মার্জিনের মধ্যে এই বিষয়টি এবং এর সাথে যুক্ত সম্ভাবনার বিষয়গুলো ঠিক কিভাবে একনলেজ করা হয়েছে?;
(৩) যে তালিকাটি তিন ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থা সরবরাহ করেছিল তা কি ঋণগ্রহীতাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ছিল? এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় কি কোনভাবে?;
(৪) ক্ষুদ্রঋণ এবং বিশ্বব্যাংকের সে ব্যাপারে আগ্রহের অবস্থান তো আমরা কমবেশী জানি। PK-98 গবেষকদের অন্তত একজনের বিশ্বব্যাংকের সাথে একধরণের সংশ্লিষ্টতাও দেখতে পাচ্ছি, এবং গবেষণাটিও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে করা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। সেই আলোকে PK98 গবেষণাটিকে কি ‘ইনডিপেনডেন্ট স্টাডি’ বলা যায়? সংশ্লিষ্ট দুই গবেষকের বিশ্বব্যাংকের মূল পলিসি লাইন বুঝে গবেষণা ডিজাইন করার সম্ভাবনা কতটুকু বলে মনে করেন?;
(৫) বিশ্বব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ এর ব্যাপারে আগ্রহ এবং পলিসি হিসেবে এনডোর্সমেন্ট ঠিক কবে থেকে বলতে পারেন? সেটা কি PK-98 এর আগে থেকে নাকি পর থেকে?
(৬) ঋণ সংক্রান্ত যে সব নেতিবাচক গল্প আমরা অন্যান্য লেখা এবং কাজে উঠে আসতে দেখেছি (যে গল্পগুলো ক্ষুদ্রঋণ সংক্রান্ত নেতিবাচক ন্যারেটিভলোর পেছনে অনেকাংশে দায়ী), সেগুলোর বিষয়ে এই PK98’র গবেষণায় অদ্ভুত এক ধরণের নিরবতার ব্যাখ্যা পাচ্ছি না; এই আলোকপাতটুকু না থাকায় গবেষণাটিকে কিছুটা একপেশে মনে হচ্ছে, অন্তত পূর্ণাঙ্গ মনে হচ্ছে না (এই আলোকপাত যদি থেকে থাকে আর আমি মিস করে থাকি তাহলে জানানোর অনুরোধ থাকলো);
(৭) যে তথ্যের ভিত্তিতে জরিপে অংশগ্রহণকারী ঋণগ্রহীতাদের পূর্বের অবস্থা যাচাই করা হয়েছিল (যার ভিত্তিতে পরবর্তী অবস্থার তুলনা করা হয়েছে), সেই বিষয়টি আরেকটু বুঝতে চাচ্ছি – পূর্বাবস্থার তথ্যগুলো কি ঋণগ্রহীতারা নিজেরা সরবরাহ করেছে নাকি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের এসেসমেন্ট রেকর্ড থেকে সরবরাহ করেছে? জরিপের প্রশ্নগুলো হাতে পেলে খুব ভাল হোতো কারণ সেটা খুব জরুরী।
(৮) গবেষকদ্বয়ের আরেকটি পেপারে (PK95) নাকি ডাটার বিষয়গুলো আরও ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সেই পুরোনো লেখাটিতে একসেস এই মুহুর্তে না থাকায় সেটা দেখতে পারলাম না। ব্যবহারকৃত জরিপের প্রশ্নগুলোর কপি এবং PK-95 এর কপি আপনার কাছে থেকে থাকলে মেসেজ বক্সে শেয়ার করার অনুরোধ থাকলো। বিষয়টা আরেকটু ভালোভাবে বুঝতে চাচ্ছি।
(৯) রেনডোমাইজড তালিকার ঋণগ্রহীতাদের mixed impact থেকে specific impact কিভাবে আলাদা করা হল সেটা ঠিক বুঝতে পারিনি। পেপারে দেয়া গণিতের সমীকরণগুলোতে হয়তো ব্যাখ্যা করা হয়েছে – বুঝতে পারছি না।
(১০) পেপারে দেখানো হয়েছে ঋণগ্রহীতাদের সম্পদ পূর্বে যা ছিল তা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাতীয় আর সব পেপারেও তাই দেখানো হয়ে থাকে। আমার একটা প্রশ্ন আছে – ঋণ নিয়ে সেটা ক্ষুদ্র ব্যবসায় (বা অর্থকরী কোনো খাতে) প্রয়োগ করেই শুধুমাত্র সেই কারণেই যে সম্পদের বৃদ্ধি হয়েছে সেটা কনক্লুসিভলি কিভাবে বোঝা যাবে? পেপারটিতে সম্পদ বৃদ্ধিত অন্যান্য সম্ভাবনাগুলো ঠিক কিভাবে উঠে এসেছে এবং কতটা গুরুত্বের সাথে? (আবারও গণিতের ব্যাপার হতে পারে, আশা করি বুঝিয়ে বলবেন)।
আমার এই প্রশ্নগুলো কোনো সমালোচকের প্রশ্ন হিসেবে না নিয়ে একজন জানতে আগ্রহী সংশয়বাদীর প্রশ্ন হিসেবে নেবেন দয়া করে।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে মুক্তাঙ্গন এডমিন টিম কর্তৃক সংগৃহীত]
Humaira Chowdhury - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৪০ অপরাহ্ণ)
Reading up your and Reaz’s nice conversation, let me clear one thing here (Reaz may not know this). World Bank’s micro-credit scheme is not modeled after Prof. Yunus’s micro-credit model. In fact, he does not support their campaign on it at all. He did not have anything to do with Padma bridge, last year there was a statement sent about it but it is time to sent another again. We tend to be pretty forgetful, so this is where that active PR thing could have worked effectively.
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে]
Riaz Uddin - ১৫ আগস্ট ২০১২ (৭:৪৯ অপরাহ্ণ)
@Rayhan Rashid
তাদের সবার রাজনৈতিক এজেণ্ডা না থাকলেও তারা এজেন্ডাভুক্ত লোকেদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। নিজেরা যাচাই করে দেখননি কি বলা হচ্ছে। আজ এখানে আমি রিভিউ করেছি কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে এটাই আবার অন্য কেউ রেফার করে দেখাতে থাকবে অন্যখানে। আপনি উপরে পেপারের লিস্ট দিয়েছেন কিন্তু সেগুলো না পরেই সেগুলো সম্পর্কে মত দিয়েছেন, তাতে এটাই কিন্তু প্রমান হয়।
আবার সংশয়বাদের আরেকটা দিক হচ্ছে আপনি উপরের পেপারগুলো পড়েননি কারন আপনাকে বলা হয়েছে সেগুলো ক্ষুদ্রঋনের বিপক্ষের পেপার। কিন্তু যেই পেপারটা ক্ষুদ্রঋনের পক্ষে যাচ্ছে (one of the very few empirical works on this question) সেটাকে যত্ন নিয়ে পড়ার চেষ্টা করেছেন। সেজন্য সাধুবাদ আপনার পাওনা কিন্তু পক্ষপাতটা কিন্তু স্পষ্ট। যেমন আপনার দেয়া তালিকার পেপার আমি রিভিউ করার পরও আপনি নিজে এই লিস্টের দায়িত্ব আর নিচ্ছেননা। তালিকা যিনি দিলেন তাকে ট্যাগ করেছেন সেটা ভাল তবে আমার সামারিগুলো সঠিক কিনা সেটা কিন্তু আপনি নিজেই যাচাই করতে পারেন যেকোন একটি পেপার পড়ে। তালিকাটি যেই পারপাস সার্ভ করতে পারতে সেটার বিপরীতই করছে। অনুমান করছি তালিকাটি বারবার হাত বদল হতে হতে অনেকে বিশ্বাস করে ফেলেছেন এটাকে, একটি পেপারও না পড়ে। ব্যপারটা দুঃখজনক, বলতে বাধ্য হচ্ছি।
বেশ কয়েকবার আপনি jargon শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা দরকার, নিয়মিত ব্যবহারের দরুন হয়ত আমি কোন টেকনিকাল শব্দমালা অনবধানবশত সরাসরি ব্যবহার করে থাকতে পারি। সেগুলোর ব্যাখ্যা চাইলে আমি সেগুলো দিতে প্রস্তুত এবং দিতে বাধ্য আলোচনার স্বার্থে– কাজেই jargon বলে কোন প্রাসঙ্গিক ধারনাকে দূরে ঠেলে না দেবার অনুরোধ থাকল। টেকনিকাল বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে একটু ধৈর্য দেখাতে হবে বৈকি।
pk98 প্রসঙ্গে আপনার প্রশ্নগুলোর জন্য ধন্যবাদ। প্রথমে মোটাদাগের উত্তর। পেপারটি যেই মানের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাতে সম্ভব সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়েই পেপারটি তাদের ছাপাতে হয়েছে ধরে নেয়া যায়। তবে ফাইনাল পেপারে সব কিছু ব্যখ্যা করার সুযোগ থাকে না। তবে এই ক্ষেত্রে অনেক উত্তরই আমরা পেপারে পাব না অথবা উত্তর দেবার মত যথেষ্ট তথ্য আপনার বা আমার কাছে থাকবে না। আপনি বোধহয় ব্যপারটার সাথে পরিচিত। তবে এই পেপারে ব্যবহৃত ডাটা সেট পাবলিকলি পাওয়া যায়। এটা অনেক সিগনিফিকেণ্ট একটা কাজ, এটাকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পাব্লিশ করতে হয়েছে ধরে নেয়া যায়। আমি পেপারটি পড়েছি অনেক দিন আগে এবং আপনি নিশ্চয়ই পড়তে গিয়ে বুঝেছেন এটা অনেক কম্প্রিহেনসিভ একটা কাজ — ফলে চট করে কিছুর উত্তর দেয়াটা কঠিন। আর ওয়ার্ড ব্যাঙ্ক আর গ্রামীনের ক্ষুদ্রঋনের সমর্থিত ক্ষুদ্রঋনের ধরন আলাদা। এটা মুক্তমনায় আমার পোস্ট (http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=17074) অথবা সেখানে কিছু রেফারেন্সে ভাল করে পাবেন। বিশেষ করে অনন্য রায় (UC Barkeley) এর যেই রেফারেন্সটি ব্যবহার করেছি সেটাতে এই বিষয়টি বিশদভাবে এসেছে (ক্ষুদ্রঋনের বিষয়ে চমৎকার একটি বই)। অনন্য রায় বিশেষ করে wb এর প্রসঙ্গটিতে ভাল ভাবে ফোকাস করেছেন বলে মনে পড়ে। বিশেষ করে পোস্টটি পড়ার অনুরোধ থাকল। পপুলার মিসকনসেপশান বলতে যা বোঝায় সেগুলোর কিছু কিছু নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছি।
তবু আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করি একে একেঃ
১,২,৩) আগে থেকে জানলেও কিছু করার নেই। কেননা তাদের মোট ঋনগ্রহীতার বিস্তারিত হিসাব এবং এগ্রিগেট সংখ্যা ইত্যাদির সাথে ইনকসিসটেন্ট ডাটা দিলে তারা ফ্যাসাদে পড়বে। কেননা ঋনগ্রহীতার পাশা পাশি ঋন নেয়নি এই ধরনের লোকেদেরও তারা সার্ভে করেছে। ফলে এত বড় একটা ডাটা সেট তৈরির ক্ষেত্রে ইনকসিসটেন্সি লুকিয়ে রাখাটা কঠিন হত – সেটা নানাভাবে। আর এই ধরনের পেপারের ক্ষেত্রে ডাটার মান নিয়ন্ত্রনের ব্যপারটি অনেক ক্রিটিকাল। তবে সেগুলো সাধারনত পেপারে উঠে আসে না।
৪) wb এর পলিসি বুঝে ডিজাইন করা হোক বা না হোক তারা যদি রিভিউয়ার এবং পাঠকদেরকে কনভিন্স করতে পারে তাতে কিছু আসে যায়না। কেননা ডিজাইনের ব্যপারটা বিস্তারিত ভাবে পেপারে আছে। এটা খুব চমৎকার একটি রিসার্চ ডিজাইনের উদাহরন। আপনি পুরোটা পরেও যদি সেই বিষয়ে একমত না হন তাহলে এই পেপারটি আর আপনার তালিকার পেপারগুলোর সাইটেশানের সংখ্যা তুলনা করে দেখুন। যারা এইগুলো সাইট করেছেন তারা এই পেপারকে অন্য পেপারগুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন বলেই সেটা করেছেন এমনটা অনুমান করা যায়। এভাবে উত্তর দিলাম কারন ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা একটা ব্লগ পোস্টে অথবা ফেসবুক থ্রেডে প্রায় অসম্ভব। এই পেপারটা লেখা হয়েছে কয়েক বছর ধরে। আর যেসব প্রশ্নের উত্তর পেপার থেকে পাওয়া যাবে সেগুলো আসলে পেপার থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করাটাই ফেয়ার। ডিজাইন এমন একটি উদাহরন।
৫) সঠিক জানা নেই – কিন্তু আপনি যেই ডিরেকশানে ভাবছেন সেটা অমূলক তা উপরের আলোচনায় এসেছে। তবে pk98 নীতি-পর্যায়ে ক্ষুদ্রঋনের গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করেছে এমনটা ভাবা যায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের এতে কোন স্বার্থ নেই। কারন কারন বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋনের ধরন বাজার মৌলবাদিদের অপছন্দের। বিস্তারিত মুক্তমনায় আমার ব্লগ পোস্টে পাবেন – আবারো পড়ার অনুরোধ থাকল কারন একই চাকা বারবার আবিষ্কার করতে ভাল লাগছেনা 🙁 আশা করি আমার এই অনুরোধ আপনার বোধগম্য হবে। wb=grameen=market এগুলো আরো কিছু পপুলার মিথ কেন লেখায় ব্যাখ্যা করেছি।
৬) আপনি যেই ধরনের গল্পে এখানে খুজছেন সেটা পরিষ্কার করেননি। সম্ভবত এই ধরনের পেপারে এই ধরনের “গল্প” পাবার আশা কম। এই ক্ষেত্রে কারনটি মূলত মেথডলজিকাল।
৭) এক্ষেত্রে একাধিক সময়ে তাদেরকে সার্ভে করা হয়েছে – কথাটা সম্ভবত পেপারে আছে (যদি বলা হয় panel data – অথবা longitudinal data তাহলে সেটার মানে হলো একাধিক সময়ে সার্ভে করা হয়েছে)।
৮) চেষ্টা করছি দেবার।
৯) এই পেপারের জটিল সমীকরনে যাবার দরকার নেই। ইকনমেট্রিক্স বিষয়টির মূল কাজই বলতে পারেন এই ধরনের সমস্যা হ্যান্ডল করা। ধরা যাক একটা সহজ লিনিয়ার মডেলঃ Y=aX1+bX2
এখানে Y হচ্ছে ফলাফল (যেমন আয়) আর x1, x2 এগুলো ফ্যাক্টর/নিয়ামক। এখানে আপনি Y, x1, x2 এইসব জানেন। এখন একজন ইকনমেট্রিশিয়ানের কাজ হচ্ছে a, b এই প্যারামিটারগুলোর মান বের করা। এখানে x1 যদি হয় ক্ষুদ্রঋন সংক্রান্ত চলক আর x2 অন্য কোন চলক। a এবং b যথাক্রমে চলকদুটির প্রভাবের পরিমাপ করবে। এখানে অবশ্যই মডেলগুলো অনেক জটিল এবং এস্টিমেশান পদ্ধতি আরো জটিল যেটা নিয়ে JPE এর রিভিউয়াররা pk এর মাথা দীর্ঘ সময় খারাপ করে ফেলেছেন নিশ্চিত থাকতে পারেন।
১০) ৯ দ্রষ্টব্য।
[ফেসবুকের আলোচনা থেকে এডমিন টিম কর্তৃক সংগ্রহকৃত]
রায়হান রশিদ - ২৬ আগস্ট ২০১২ (৪:২০ পূর্বাহ্ণ)
@ রিয়াজ উদ্দিন (৩৬.২)
আপনার মন্তব্যটি দেখে মনে হচ্ছে যে আপনি একটি নির্দিষ্ট চিন্তার ছকের মধ্যে ভাবছেন এবং যে কোনো সংশয়বাদকেই দেখছেন হয় এর এজেন্ডা নয়তো তার এজেন্ডা থেকে অনুপ্রাণিত! মুক্তমনায় আপনার যে লেখাটি পড়বার জন্য সুপারিশ করেছেন, সেটি আগে একবার পড়া ছিল, আবারও পড়লাম। কিন্তু এই আলোচনায় আমার প্রশ্নের উত্তরে সেটি কেন প্রাসঙ্গিক হল সেটা ঠিক পরিষ্কার না। যদি ঠিক বুঝে থাকি – ঐ লেখাটিতে আপনার মূল প্রোপোজিশন দু’টি – (এক.) প্রচলিত ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক পুঁজিবাদের ধারণা থেকে ক্ষুদ্রঋণের পেছনের দর্শন কিভাবে আলাদা, এবং (দুই.) কিভাবে তা পশ্চিমের চাপিয়ে দেয়া না, বা সেখান থেকে আমদানীকৃত না। বলতে চেয়েছেন আনু মুহাম্মদরা কি ভাবেন। সুন্দর সে আলোচনা, কিন্তু এখানে তার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছি না, কারণ এই বিষয় দু’টির কোনোটিই কিন্তু এখন পর্যন্ত উপরের কোনো মন্তব্যে উত্থাপিত হয়নি, অন্তত আমি উত্থাপন করিনি। তবে, আপনার লেখাটার একটা পয়েন্ট আমার দৃষ্টি কেড়েছে। আমি এটা জেনে উপকৃত হয়েছি যে – ক্ষুদ্রঋণের চর্চা এবং প্রয়োগেও আসলে ভ্যারিয়েশন রয়েছে এবং সেখানেও ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে চিন্তা এবং এপ্রোচের তারতম্য।
আমাকে যখন কেউ কোনো সংশয়ের কথা বলেন, তখন আমি চেষ্টা করি তার সংশয়ের উৎসের বা কারণের ব্যাপারে আগে থেকেই কিছু ধরে না নেয়ার, কারণ, সেটা হয়ে যায় প্রেজুডিশিয়াল এবং এক ধরণের ছায়ার সাথে যুদ্ধ করা। আরও একটা কারণে এ জাতীয় ‘ধরে নেয়া’ থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকার অন্তত চেষ্টা করি, আর তা হল – এভাবে আলোচনায় অন্যের অবস্থানের ব্যাপারে নিজের সুবিধা অনুযায়ী একটা মনগড়া ব্যাখ্যা কল্পনা করে নিয়ে সেই মনগড়া ব্যাখ্যার বিপরীতে সুবিধাজনক প্রতিযুক্তি উপস্থাপন এক ধরণের ফ্যালাসির মধ্যেও পড়ে। কেউ যখন নিজেকে সংশয়বাদী বলে, তখন সেই অবস্থানের পেছনে একাধিক কারণও থাকতে পারে, এই লাইনে ভাববার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। যেমন ধরা যাক “if something/someone sounds too good to be true, it probably is” – শুধু এই সহজ সতর্কতা থেকেও মানুষ সংশয়বাদী হতে পারে, আর কিছুর কথা তো বাদই। (আমার সংশয়ের কারণগুলো অবশ্য ভিন্ন, নিচে ব্যাখ্যা করছি)। সিনিক্যাল বা সন্দেহবাতিকগ্রস্ত না হয়েও সেই সংশয়বাদকে ধারণ করা যায়, এবং খুব সঙ্গতভাবেই যায়! আবার কেউ সংশয়বাদি শুনেই যদি ধরে নেন সেটা অবশ্যম্ভাবীভাবে চূড়ান্ত একটা নেতিবাচক অবস্থান হতেই হবে, সেটাও কিন্তু যুক্তিযুক্ত হয় না। যে ১০ + ১-টা পেপার আমি সিসিবির তালিকা থেকে দিয়েছি, সেখানে ক্ষুদ্রঋণ এবং ঋণগ্রহীতাদের জীবনের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে, কিছু সাধারণ আলোচনা, কিছু পক্ষের আলোচনা, আর কিছু বিপক্ষের – যা আসলে এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামতকেই প্রতিফলিত করছে, যার যোগফল একজনকে সংশয়বাদী করতেই পারে। এখানে আপনি বিরোধ কোথায় দেখলেন? আশা করি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার একনিষ্ঠ বিশ্বাসীরা নিশ্চয়ই এখনো আমাদের নেতানেত্রী কিংবা মহামতি বুশদের মতো my way or highway কিংবা for us against us জাতীয় চিন্তাহীন ডাইকোটোমির জগতে চলে যাননি। যদি চলে গিয়ে থাকেন তবে সেটা হবে সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক। আপনার “নির্বাচিত” কয়েকটির রিভিউয়ের সব পয়েন্টের সাথে আমি কিন্তু একমত না, তবে সে এক ভিন্ন আলোচনা হতে পারে। ভাল কথা, আপনি কিন্তু পেপারগুলোর রিভিউয়ের ক্ষেত্রে একটু সিলেকটিভ হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যেমন ধরুন, তালিকায় লামিয়া করিমের গবেষণার ব্যাপারে আপনার মতামতটা জানা হল না! যাকগে অন্তত এই পর্যায়ে সে আলোচনার প্রয়োজন দেখি না অবশ্য, কারণ আরও দৃশ্যমান এবং কনক্রিট বিষয় রয়েছে হাতের কাছে। আপনি যেহেতু আলোচনায় PK-98 এর প্রসঙ্গ এনেছেন (যেটির কথা আমার জানার সুযোগ হয়নি আগে) এবং একে উপস্থাপন করেছেন ক্ষুদ্র ঋণের ইমপ্যাক্টের ওপর একটি অথরিটেটিভ কাজ হিসেবে, সেহেতু আলোচনাটিকে শুধু সেখানে কেন্দ্রীভুত করলে শুরুর কিছু বিষয় আগে স্পষ্ট করে নিয়ে আরও ক্রিটিক্যাল বিষয়গুলোর দিকে এগোলে আলোচনাটা আরও অনেক বেশী ফলপ্রসু হবে বলে মনে করছি।
আর ঠিক এ কারণেই কিন্তু PK-98 বিষয়ে আমার প্রাথমিক প্রশ্নগুলো (আরও প্রশ্ন আছে) তুলে ধরেছিলাম। কারণ, গবেষণাটি কতটা কাজের সেটা নির্ভর করবে এর মেথডলজি, প্যারাডাইম (দুঃখিত এর একটা ভালো বাংলা শুনেছিলাম, এখন মনে পড়ছে না), এর পেছনকার অনুমিতি, এর পেছনকার জ্ঞানতত্ত্ব ইত্যাদির ওপরই তো! তারই এক ধরণের ওয়ার্মআপ হিসেবে আমার প্রশ্নগুলো করেছিলাম PK-98 নিয়ে। তবে হতাশার সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি – আমার প্রশ্নগুলোর বেশীর ভাগেরই কোনো সদুত্তর পাইনি। দু’একটা বাদে (যেমন: ৯ নং উত্তর ভালো লেগেছে) বেশীর ভাগ প্রশ্নের উত্তরই আপনি আসলে এড়িয়ে গিয়েছেন বলে মনে হল। যেমন: ১, ২, ৩ নং প্রশ্ন, অথচ গবেষনাটির ক্রেডিবিলিটির জন্য আমার কাছে সে উত্তর জানা জরুরী ছিল। কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্নকে trivialise করেছেন, যেমন: ঋণ আদায়ের coercive approach এর কারণে যেখানে আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত রিপোর্টেড হয়েছে, সেখানে আপনি এ বিষয়ে PK-98 এর নিরবতাকে (নাকি অন্ধত্বকে?) ডিফেন্ড করতে গিয়ে বলেছেন “এই ধরনের পেপারে এই ধরনের ‘গল্প’ পাবার আশা কম। এই ক্ষেত্রে কারনটি মূলত মেথডলজিকাল”। আপনি বলছেন PK-98 এ এই মানুষদের কথা না বলার কারণটি নাকি “মেথডলজিক্যাল”। আমি বলবো এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নকে যে গবেষণা এড়িয়ে যায় সেটি নিজেই “গুরুতর মেথডলজিক্যাল সীমাবদ্ধতায় ভুগছে”। কেন এ প্রশ্নকে “গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন” মনে করি তা নিচে ব্যাখ্যা করছি।
PK-98 প্রসঙ্গে বলতে পারি – কত বড়ো স্যাম্পল বা ডাটাসেটের ওপর গবেষণা করা হয়েছে, আমার কাছে সেটার সমান বা তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কোন্ চিন্তা থেকে গবেষণাটি করা হয়েছে। অসম্পূর্ণ বা একপেশে চিন্তা থেকে গবেষণা যদি এর দশগুণ বড়ো ডাটাসেটের মধ্যেও করা হয় তারপরও সেটা অসম্পূর্ণ উত্তরকেই ইনফ্লেট করে দেখাবে। আপনার দাবী ক্ষুদ্রঋণ মানুষের দারিদ্র হ্রাসের উপায়, প্রমাণ নাকি PK-98 গবেষণা। আমার প্রশ্ন – আগে পরের সম্পদে/জীবনমানে ঠিক কতটুকু পার্থক্য হলে বা কতটুকু অর্থের সম্প্রসারণ হলে তা যথেষ্ট হবে, বা তাকে দারিদ্র বিমোচন বা দারিদ্র বিমোচনের ‘সত্যিকার’ ইঙ্গিত হিসেবে ধরে নেয়া যায়? এভাবে ধরে নেয়ার কোনো বিপদ আছে কি না, আর থাকলে PK-98 সে ব্যাপারে কতটুকু সচেতন? দারিদ্র্কে সংজ্ঞায়িতই বা করা হচ্ছে কি ভাবে? নারীর যে ক্ষমতায়নের ন্যারেটিভ ক্ষুদ্রঋণের সেলিং পয়েন্ট হিসেবে যত্রতত্র ব্যবহার করা হয় – তার কতটুকু আসলে সত্যনিষ্ঠ? যে নারী ঋণ শোধ করতে পারছেন না, তার ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কি ঘটছে? এটা বলা যথেষ্ট নয় যে ওরা মাত্র ২-৫% (গ্রামীনের হিসাব অনুযায়ী), কারণ, তাহলেও গ্রামীণের সর্বমোট ৮.৩ মিলিয়ন ঋনগ্রহীতার আলোকে ওদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১,৬৬,০০০ থেকে ৪,১৫,০০০ ডিফল্টার, যাদের আবার ৯৭%-ই নারী (গ্রামীণের হিসাব)। আর যদি গ্রামীণের হিসাব অনুযায়ী ঋণগ্রহীতার সাথে অন্যান্য সম্পর্কযুক্তদেরও ধরি (যেটা এক গ্রামীনভক্ত উপরে তুলে ধরলেন), তাহলে ঋণ-ডিফল্টের কারণে সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারবর্গদেরসহ মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৮,৮৩,০০০ থেকে ২০,৭৫,০০০ মানুষ। এখন ঋণপ্রদানের ক্ষেত্রে যেভাবে গোষ্টীর বা গ্রুপের কোলাটেরল (যার মূলেই থাকছে ‘সামাজিক লজ্জা এবং মর্যাদাবোধ’ এর ধারণা) ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই বিচারে এই ডিফল্টারদের (যারা মূলত নারী) সবার শুধু ক্ষমতাহরণই হচ্ছে তা না, তারা (মানে এই ৪,১৫,০০০ এর ৯৭%) সমাজে তাদের মান-সম্মানটুকুও হারাচ্ছেন, আর শুধু যে তারা একাই হারাচ্ছেন তা নয়, হিসাব (গ্রামীণের হিসাবের স্টাইল ধরলে) অনুযায়ী তাদের সাথে সাথে নিজের সমাজের কাছে হেয় হচ্ছেন আরও সর্বমোট ২০,৭৫,০০০ মানুষ! এই মানুষেরা PK-98 এর কাছে স্রেফ “গবেষণার অযোগ্য গল্প” মনে হতেই পারে, কিন্তু আমার কাছে এবং আমার মতো আরও অনেকের কাছে এর গুরুত্ব আছে, আর ঠিক এই জায়গাটাতেই আমার মতো সংশয়বাদীদের পাবেন। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড আইনশাস্ত্রে, আর জাস্টিসের যে ধারণা আমি বুঝি তাতে “একজন মানুষ”-ও সংখ্যা হিসেবে নগন্য না; পরিসংখ্যান দিয়ে সুবিচারের ধারণা স্থির করতে শেখানো হয়নি আমাকে। অর্থনীতি শাস্ত্রে কি আজকাল “জাস্টিস” নিরূপণ করা শুরু হয়েছে পরিসংখ্যান দিয়ে যেখানে একজন মানুষ বা ২% (মানে ১,৬৬,০০০ থেকে ৮,৮৩,০০০ মানুষ) কিংবা ৫% (অর্থাত ৪,১৫,০০০ থেকে ২০,৭৫,০০০)-ও তত্ত্বের ক্যানভাসে দাগ রাখবার মতো গুরুত্ব দাবী করে না? এই যে সংখ্যাগুলো তুলে ধরলাম তার কিন্তু পুরোটাই গ্রামীনের নিজের পরিসংখ্যান ব্যবহার করেই। এখন প্রশ্ন হল – বাংলাদেশে আরও কতগুলো সংস্থা ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসায় (সামাজিক বা অসামাজিক যেটাই হোক না কেন) জড়িত? আর সর্বমোট কতজন ঋণগ্রহীতা সেখানে রয়েছেন? আমার প্রশ্ন – ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বমোট সংখ্যা তাহলে কত দাঁড়াবে? বাংলাদেশে কত দাঁড়াবে? আর সারা বিশ্বে কত দাঁড়াবে?
আরও প্রশ্ন আছে, যেটা লেখক মোহাম্মদ মুনিমও করেছেন – সকলেই কি আসলে এন্ট্রিপ্রিনিওর নাকি সেটা আদৌ বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা? সমাজে নারীর বিরুদ্ধে ক্রিয়াশীল শক্তিগুলোকেই/অচলায়তনগুলোকেই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে না তো ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের স্বার্থে?
PK-98 এর পক্ষে যে যুক্তিটি এখানে আপনি একাধিকবার তুলে ধরেছেন তা হল এটি কত বেশী বার cited হয়েছে, কত ভাল জার্নালে পাবলিশ হয়েছে ইত্যাদি। দুঃখিত, কতবার কোনো কিছু সাইটেড হয়েছে বা কোন্ জার্নালে পাবলিশ হয়েছে সেটা দেখে মাত্রাতিরিক্ত ইমপ্রেসড হওয়া ছেড়ে দিয়েছি বহু আগেই। ব্যক্তিপূজা বা ডগমার চর্চার জায়গা একাডেমিয়া না, সে জন্য ধর্মশালা আর দরগাহগুলো তো আছেই। এসব নিয়ে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে (নামোল্লেখ অপ্রয়োজনীয়) কিছু মজার মজার কৌতুক আছে, কোনোদিন সুযোগ পেলে শেয়ার করবো। আবার কোনো কথা স্টিগলিটজের ছাত্র বলেছে বলেই সেটাতে কোনো আলাদা অথরিটি যোগ হয় না, জানি না কেন ঐ অপ্রয়োজনীয় তথ্যটি (স্টিগলিটজ কানেকশান) উল্লেখ করলেন উপরে এক আলোচনা প্রসঙ্গে। বাংলাদেশী ছাত্রটির বক্তব্যও (তার স্টিগলিটজ কানেকশান ছাড়াই) গুরুত্বহীন হতো না আমার কাছে! বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে গিয়ে সমান্য যা কিছু চিন্তাগত প্রশিক্ষণলাভের সৌভাগ্য ঘটেছে, সেগুলোর অন্যতম হল – কারও নাম ধাম দেখে (তা সে যতো বড় তালেবরই হোন না কেন) যেমন ইমপ্রেসড না হওয়া, আবার একইসাথে যে কোনো যদু কিংবা মধুর কথাও প্রয়োজনীয় গুরুত্বের সাথে নেয়া যদি সেখানে ভাববার মতো কিছু থাকে। নামী জার্নালে ছাপানো লেখার ব্যাপারে অতিরিক্ত ভরসা কিংবা সাইটেশনভক্তির বিপদটি কোথায় বলি একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে। শর্মিলা বোসদের লেখা জেনোসাইড বিষয়ে সবচেয়ে নামী জার্নালগুলোতে ছাপানো হচ্ছে আজকাল। এর বিপরীতে ১৯৭১ এর ইতিহাসের আসল সত্যগুলো কিন্তু সে পর্যায়ের নামী জার্নালগুলোতে সেভাবে উঠে আসছেনা (দু’একটা ব্যতিক্রম বাদে)। আসছেনা, কারণ এর সাথে জেনোসাইড স্কলারশিপের রাজনীতি এবং আরও অন্যান্য বিষয় জড়িয়ে আছে। তাতে কি শর্মিলার বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো গুরুত্বহীন হয়ে যায়? এখন শর্মিলার জার্নালের মান আর তার ক্রিডেনশিয়াল দিয়ে যদি ১৯৭১ এ আসলে বাংলাদেশে কি ঘটেছিল সেই সত্যকে জানতে হয় তাহলে সেটা কি সত্য জানা হবে নাকি মিথ্যাচারকেই সত্য বলে জানা হবে? বাংলাদেশে যে ভিকটিম পরিবারগুলো আছে, যে অসংখ্য বীরাঙ্গনা আছেন, তারা জার্নালে লেখেন না, আর শর্মিলার মতো গবেষকরাও হয়তো তাদের “গল্পগুলো” গবেষণায় স্থান দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এই যে বাদ দিয়ে দেয়া, পূর্ণাঙ্গ সত্যকে তুলে আনার ক্ষেত্রে, এর মেথডলজিক্যাল সমস্যাটা বুঝতে পারছেন আশা করি ।
PK-98 এর কাজের ওপর বা এই ঘরানার ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট গবেষণার ওপর সমালোচনামূলক কিছু আছে কি না সে প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি এমন একটি গবেষণার নাম উল্লেখ করলেন যেটা এখনো পাবলিশই হয়নি, এখনো গবেষণা চলছে। কেন করলেন তা বোধগম্য নয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ক্ষুদ্রঋণের ইমপ্্যাক্ট এসেসমেন্ট জাতীয় গবেষণাগুলোর কয়েকটির ওপর (বিশেষত সেগুলোর মেথডলজির সীমাবদ্ধতার ওপর) বেশ কিছু কাজ ইতোমধ্যেই আসলে হয়ে গেছে এবং সেগুলো পাবলিশও হয়েছে। সময় পেলে পড়ার ইচ্ছে আছে। বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, এখনো পড়ছি এবং অনেক কিছু জানতে পারছি। এই নিয়ে নিকট ভবিষ্য্তে কোনো যথার্থ পোস্টে আলোচনা করার আশা রাখি। আমার পক্ষ থেকে এই থ্রেডে এটাই শেষ মন্তব্য। ইচ্ছে থাকলেও এখানে হয়তো আর সময় দেয়া সম্ভব হবে না। তবে আলোচনা চলতে থাকুক। ধন্যবাদ।
মাসুদ করিম - ১৬ আগস্ট ২০১২ (১:৪৯ পূর্বাহ্ণ)
চ্যাতিয়া উঠিলেন দেখি জনেক মাইলাম বাবা!
রায়হান রশিদ - ১৬ আগস্ট ২০১২ (২:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
ইন্টারেস্টিং। আমেরিকার উড্রো উইলসন সেন্টারের সিনিয়র গবেষক (এবং বাংলাদেশে যুুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এমব্যাসাডর) উইলিয়াম বি. মাইলাম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ড. ইউনুসের পক্ষ নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন। লিখতেই পারেন। কিন্তু সেখানে তিনি লিখেছেন – ইউরোপ-আমেরিকার সরকারগুলোর উচিত হবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এবং দাতা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে যে সব অনুদান বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা বন্ধের হুমকি দেয়া এবং সে অনুযায়ী সক্রিয় হওয়া। এখানে দেখুন।
মাইলাম লিখেছেন, গ্রামীন ব্যাংকের এবং লক্ষ লক্ষ দরিদ্র্য মানুষের ভবিষ্যত কি হবে সে বিষয়ে গভীর আশংকা থেকেই নাকি তিনি লিখতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা জানি, এমন আশংকায় মাইলাম সাহেব এর আগেও ভুগেছেন, এবং তখনও হাতে কলম তুলে নিতে দ্বিধা করেননি। অতীতে মাইলাম সাহেবের সেই আশংকার বিষয়বস্তু ছিল “পাকিস্তান”, শর্মিলা বসুকে সক্রিয়-সমব্যাথি হিসেবে সাথে নিয়ে। তখনও এমনই গভীর আশংকায় উদ্বেল হয়েছিলেন যে নিতান্ত বাধ্য হয়েই দু’জনে মিলে একসাথে ওকালতি করেছিলেন পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে। মাইলাম-শর্মিলার যুক্তি ছিল – আমেরিকার উচিত হবে পাকিস্তান সরকারের কাছে F-16 বিমান বিক্রি করা, এবং তা নাকি আমেরিকার নিজের ভালোর জন্যই করা উচিত হবে। কারণ হল (মাইলাম-শর্মিলার ভাষায়) – পাকিস্তান হল একটি ‘স্থিতিশীল ইসলামী গণতন্ত্র’ যা নাকি পুরো মুসলিম বিশ্বের জন্যই একদিন একটি ‘মডেল’ হয়ে উঠবে (‘As a stable Islamic democracy of 150 million people, Pakistan would be a political model in the Muslim world.’)! এখানে দেখুন। “অসাধারণ” যুক্তিজ্ঞান-মাত্রাজ্ঞান মাইলাম-শর্মিলাদের, মানতেই হচ্ছে!
শর্মিলাকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে দালালি করেই কিন্তু মাইলাম সাহেব ক্ষান্ত হননি। এর পর তিনি উঠে পড়ে লেগেছিলেন আমেরিকায় শর্মিলা বসুকে এবং তার নতুন অপ-গবেষণা The Dead Reckoning বইটিকে প্রোমোট করতে। এরই অংশ হিসেবে গত বছর মার্চ মাসে উড্রো উইলসন সেন্টারে নিজের প্রভাব খাটিয়ে শর্মিলা আর তার বইয়ের ওপর অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। এটাই হল সেই উড্রো উইলসন সেন্টার যেটার সিনিয়র গবেষক মাইলাম নিজে। এখানে দেখুন।
আমার প্রশ্ন – হঠাত এমব্যাসাডর মাইলাম এর মতো মার্কামারা লোক ড. ইউনুসকে নিয়ে এতো উতলা এবং তৎপর হয়ে গেলেন কেন? উপযাজক হয়ে সকল আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দাতা সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লবিইং করা ছাড়া উনার কি আর কোনো জরুরী কাজ নেই এখন? এখানে ঠিক কি হচ্ছে কেউ কি জানেন? ড. ইউনুস কি জানেন উনার হয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন যে সব ‘বন্ধুরা’ তাদের কেউ কেউ আসলে কি জিনিস?
গত বছর মার্চ মাসে উড্রো উইলসন সেন্টার যখন এই অপ-গবেষক শর্মিলা বোসকে নিয়ে খুব মাতামাতি শুরু করেছিল, তখন আয়োজকদের কাছে সারা পৃথিবী থেকে চিঠি লিখে নিন্দা জানানো হয়েছিল, লাভ হয়নি। ওদের বক্তব্য, ওদের লক্ষ্য হল ‘এনগেজ’ (engage) করা। ‘এনগেজ’ করার মতো ওরা আর লেখক পেলো না, আর বই পেলো না। গবেষণার যে কোনো মানদন্ডে পরিত্যাজ্য এক জিনিস নিয়েই হামলে পড়তে হল ওদের! আর মাইলাম আর উড্রো উইলসনের কাঁধে চড়ার সুযোগ নিয়ে শর্মিলা আবারও এক চোট ১৯৭১ এর ইতিহাসকে দেখে নিলেন, নিজের ফালতু বইটা নিয়ে আরও কিছু গ্লোব-ট্রটিং করে বেড়ালেন! কখন যে কোথায় স্বার্থান্বেষী মানুষগুলোর স্বার্থগুলো, দীর্ঘশ্বাসগুলো মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়, তা সত্যিই এক বিস্ময়ের বিষয় আমার কাছে! মাইলাম-শর্মিলা, এবং মূলত শর্মিলা বিষয়ে ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন এর এই লেখাটাও অনেককে আগ্রহী করতে পারে।
Ahsan Iqbal - ১৮ আগস্ট ২০১২ (৩:২৭ পূর্বাহ্ণ)
yunus nabi’r keramoti apnera vai ekhono dekhen nai!…Bangali Goriber Robin Hood economic’s bad diya jemon comic’s kortache tate koira aibar hollywood e notun ekta film hoibo ” Goriber Hood, Totto dimu na khamu shudh” director Hilary apa, villein: Hasina:D
অদিতি কবির - ২০ আগস্ট ২০১২ (১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
আমি ঠিক জানি না আমার মন্তব্যটি কতখানি প্রাসঙ্গিক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে প্রায় আড়াই বছর একটি ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থায় কাজ করেছি। একই জায়গায় বারবার ট্যুরে যাবার ফলে একই ঋণগ্রহীতাদের সাথে বারবার দেখা হয়েছে। কই কাউকে তো একেবারে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে দেখি নি।
মাসুদ করিম - ২৫ আগস্ট ২০১২ (১২:১৮ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১২ (১:০০ পূর্বাহ্ণ)
কালো দিনের বয়ানের শেষের দিকে ইউনূস বলেছেন
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ নেওয়া প্রতিটি মায়ের ছেলেমেয়েরা এই আহ্বানে ঝাঁপিয়ে পড়বে, শুধু বয়ান শুনে? আন্দোলন সংগঠন লাগবে না? কিছু ছাড়া এমনিতে হয়ে গেলে তো ভালো, কালোর বিরুদ্ধে হবে যাদুর জয়!
এমন সরকার যাদের প্রধান কাজ হবে একটি জাতীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গরিব মহিলাদের ব্যাংক গরিব মহিলাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। তো সেরকম কিছু করতে গেলে তো ইউনূসকে নিজেকেই সরকার প্রধান হতে হবে, গতবার যেসুযোগ ফখরুদ্দিনকে দিয়ে দিয়েছিলেন, সেরকম আরেকটা সুযোগের প্রত্যাশা করছেন ইউনূস! One more chance? খেলারাম খেলে যা, আমরা দেখি।
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ২৬ আগস্ট ২০১২ (৯:২০ অপরাহ্ণ)
দুঃখজনক ভাবে মোঃ ইউনুছ আজ ওই তরুন সমাজের সাহায্য চাচ্ছেন যে তরুনদের সাথে ১৯৮৮ সালে উনি কুকুরের মতো ব্যবহার করেছিলেন। যে তরুনরা উনার ব্যাঙ্কে চাকুরী করত, এবং তাদের ন্যায্য অধিকার ( গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের ক্ষেত্রে কোন শ্রম আইন মানা হয় না,গ্রামীণ ব্যাংকের স্বেচ্ছাচারিতার উপর নির্ভরশীল) আদায়ের জন্য শ্রম আইনের অধীনে কর্মচারী ইউনিয়ন করতে চেয়েছিল উনি পুলিশ দিয়ে হয়রানি করান এবং কারন ছাড়া অনেক মেধাবী তরুনদের চাকুরী থেকে অব্বহতি দিয়ে বিদায় করেন। আজ নিজের বিদায়ের সময় ওই তরুন সমাজের সাহায্য চাইছেন। একেই হয়ত বলে, আল্লার মাইর, দুনিয়ার বাইর।
মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১২ (১২:৩০ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৮ আগস্ট ২০১২ (১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৯ আগস্ট ২০১২ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)
২৯ প্রশ্নের উত্তর দিতে ২৯ কোটি বার মুখ খুলেও গ্রামীণ ব্যাংকের আর কিছু হবে না। এটা মুহাম্মদ ইউনূসই সবচেয়ে ভাল জানেন যে ২০০৬ সালেই ইউনূস-গ্রামীণ যুগ শেষ হয়ে গেছে, ২০০৭ থেকে চলছে ইউনূস-শক্তি যুগ, সে যুগেরও প্রায় পাঁচ বছর তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন — পেয়েছেন দই, জুতো, মশারি আরো অনেক আন্তর্জাতিক সামাজিক ব্যবসা, এখন এ শক্তিযুগের আর কী কী ফসল তার ঘরে উঠবে তার জন্যই তিনি এখন কাজ করছেন। এই শক্তিযুগে রাষ্ট্রশক্তি দখলও তার এজেন্ডায় আছে তাও তিনি পরিস্কার করেছেন তার ‘কালোদিননামা‘য়।
মাসুদ করিম - ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১:২৫ পূর্বাহ্ণ)
একথা
এবং একথা
পড়ে সবকিছুর পরও এই আস্থাটা ছিল, আচ্ছা গ্রামীণ ব্যাংকই প্রথম সামাজিক ব্যবসা — এই ব্যবসায় ক্ষতি নেই ডিভিডেন্ড নেই। কিন্তু এখন ইউনূস সেন্টার বলছে গ্রামীণ ব্যাংক শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়। কী যাদু করিলা কী সামাজিক ব্যবসা শিখাইলা!
মাসুদ করিম - ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৬:৫৬ অপরাহ্ণ)
১. গ্রামীণ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনগুলো দেখতে গিয়ে দেখলাম, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচয়হীন কিছু লোকের উপস্থিতি — এরা কিভাবে পরিচালনা পর্ষদে স্থান পেয়েছিল কেউ জানেন?
১৯৮৪ সালের পরিচালনা পর্ষদ : কে ছিলেন এই তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহ? ঠিকানা ছাড়া আর কোনো পরিচয় নেই।
এটি নব্বই সালের একজন এডভোকেট এবং একজন প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কিভাবে পরিচালনা পর্ষদে?
২. গ্রামীণ ব্যাংকের শুরু থেকে পরিচালনা পর্ষদে বিভিন্ন ভূমিহীন সমিতির মনোনীত সদস্য নারী ও পুরুষরা থাকতেন। ২০০৫ সাল থেকে পরিচালনা পর্ষদে ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা সদস্যদের দেখা যেতে থাকে।
এটা ৮৯ সালের নারী পুরুষ উভয়ে আছে। এখানেও একজন উকিল আছেন এবং ধানমন্ডির একজন ডক্টর আছেন।
এটা ২০০৪ সালের ভূমিহীন সমিতি কিন্তু এখন শুধু নারীরা পরিচালনা পর্ষদে।
এটা ২০০৫ সালের এখন থেকে ঋণগ্রহীতা সদস্যরা পরিচালনা পর্ষদে।
ভুমিহিন@বিত্তহিন - ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১২:৪০ পূর্বাহ্ণ)
গ্রামীণ ব্যাংক তথা মোঃ ইউনুছের পক্ষে সব কিছু সম্ভব। উনি প্রযোজক,পরিচালক, নায়ক মতকথা একাই ১০০। উনার জন্য nothing is impossible.ছবিসহ তথ্য গুলো দেবার জন্য ধন্যবাদ। তারপরও আমার মনে হয়না মোঃ ইউনুছের তৈলমর্দনকারিদের মাথায় কিছু ধুকবে। কথায় বলেনা কিসের লেজ যেন ঘি দিয়ে টানলেও সোজা হয়না?
মোহাম্মদ মুনিম - ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১০:১৫ পূর্বাহ্ণ)
ব্রিটিশ ক্ষুদ্রঋণ বিশেষজ্ঞ হিউ সিনক্লেয়ার তাঁর “Confessions of a Microfinance Heretic: How Microlending Lost Its Way and Betrayed the Poor” বইতে বলেছেন (pp 1-2)
“….There is actually surprisingly little evidence supporting microfinance as a practical tool to poverty reduction, but this rather critical detail is ignored within the microfinance sector for one simple reason. Microfinance does not apparently require evidence to prove it works-since, on the face of it, it seems to work. It works because the poor repay loans, and this is all the proof the sector requires. Some 200 million people now receive microfinance loans, most of whom repay the loans. Therefore they miraculously became better off in the process. So the argument goes.
The majority of the credit card holders in the US and Europe pay their bills eventually, so therefore they too are becoming wealthier by the day thanks to Visa, MasterCard and American Express. The argument is no more complex than this. The fact that a large proportion of these microloans are used for consumption, or to repay other loans, or to pay off the evil village moneylender, is irrelevant.”
মাসুদ করিম - ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১:২৬ অপরাহ্ণ)
আমেরিকায় সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রথম বাংলাদেশ-আমেরিকা পার্টনারশিপ ডায়লগের (এমাসের ১৮/১৯ তারিখের দিকে যা আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হবে) প্রস্তুতির আলোচনায় আমেরিকার সরকারের পক্ষ থেকে আবারও গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে তাদের উদ্বেগের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। এখন থেকে মার্কিন সরকার মাইক্রোসফট অ্যাপল বা এরকম কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্ত করতে গেলেই আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করব এবং বারবার মার্কিন সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা মনে করিয়ে দেব? ওদের ভাবসাব দেখে তো তাই করতে হবে মনে হচ্ছে। যেকোনো রাষ্ট্রের তার ভূখণ্ডের দেশিবিদেশি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বা তার ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত যেকোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্তের অধিকার সেরাষ্ট্রের সরকারের আছে : গণতন্ত্রের পীঠস্থানের যদি সেকথা মনে না থাকে তবে তাকে বারবার সেকথা মনে করিয়ে দিতে হবে।
অবিশ্রুত - ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৪:১৫ অপরাহ্ণ)
”এটি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। এ সময় লোয়ার অস্ট্রিয়ার মেলক এবেতে wellzell Meeting নামে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচ্য বিষয় ছিল `global dialouge for inspiration’ (অনুপ্রেরণার জন্য বিশ্বসংলাপ)। এই বৈঠকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২৭ জন বক্তার মধ্যে ড. ইউনূস ছিলেন একজন। বাংলাদেশ থেকে আরও একজন বক্তা ছিলেন, তিনি বিবি রাসেল।
এই সম্মেলন উপলক্ষে বক্তাদের পরিচিতি নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। নাম Time is now (এখনই সময়)। সম্মেলনের উদ্যোক্তারাই ১৪৩ পৃষ্ঠার পুস্তিকাটি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নিজেরা বক্তাদের পরিচিতি লেখেননি। বক্তাদেরই এই পরিচিতি পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এই অনুরোধ রক্ষা করে ড. ইউনূস সম্পর্কে যে পরিচিতি পাঠানো হয় তা পাঠানো হয়েছিল গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার নিজস্ব ই-মেইল থেকে। এই ই-মেইল দুটি হল- একটি,www.mdyunus.org এবং অন্যটি হল http://www.grameen-info.org এই দুই ই-মেইল থেকে যে তথ্য পাঠানো হয়, তা ‘টাইম ইজ নাউ’ বইটিতে ছাপা হয়। এই দুই ই-মেইলের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. ইউনূসের পরিচিতিতে বলা হয় ‘Md Yunus deserved to be mentioned as one of the founders of Independent Bangladesh. He is regarded as it’s spiritual father’ : (Time is now. page 74-75)। এর সরলার্থ হল- ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে ড. ইউনূস গণ্য হওয়ার যোগ্য। তাকে দেশটির আধ্যাÍিক পিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে যোগদানকারী বিবি রাসেলেরও পরিচিতি ছাপা হয়েছে বইটির ৬০-৬১ পৃষ্ঠায়। এই পরিচিতিও বিবি রাসেল তার নিজের ই-মেইল থেকে পাঠিয়েছেন এবং এই ই-মেইলের কথাও বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এত বড় একটা জলজ্যান্ত সত্য সম্পর্কে ইউনূস সেন্টার বলে দিলেন এটা বানোয়াট, এটা অসত্য। আর তারাই হলেন সত্যবাদী যুধিষ্ঠির। গোয়েবলসের মতো বুকের পাটা না থাকলে এটা কি সম্ভব?
যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই, এই পরিচিতি ড. ইউনূস পাঠাননি, তাহলেও প্রশ্ন থাকে। ‘টাইম ইজ নাউ’ বইটি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকাশিত এবং সম্মেলনে বিতরণ করা হয়েছে। ড. ইউনূসের হাতেও এই বইটির এক কপি পৌঁছেছে। তিনি নিশ্চয়ই নিজের পরিচিতি পাঠ করেছেন এবং তার সম্পর্কে কত বড় মিথ্যা পরিচিতিতে যুক্ত হয়েছে তাও দেখেছেন। তারপর চার বছর কেটে যাচ্ছে। এত দীর্ঘদিনেও এত বড় একটা অসত্য এবং জাতির জনকের প্রতি অমর্যাদাকর তথ্যটির তিনি প্রতিবাদ জানানো এবং বইটি থেকে এই অসত্য বাদ দেয়ার জন্য ওই সম্মেলনের কর্তাদের অনুরোধ জানানোর পদক্ষেপ নেননি কেন? প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি তো অসত্যটি খণ্ডন করতে পারতেন। এখন চার বছর পর থলের বিড়াল বেরুতেই তিনি ডক্টর নো-এর মতো বিনাদ্বিধায় বলছেন, না, এই পরিচিতি আমি দেইনি। তাহলে কে দিল, ইউনূস সেন্টার সেই তথ্যটা আমাদের জানাবেন কি?তিনি ডক্টর নো-এর মতো বিনাদ্বিধায় বলছেন, না, এই পরিচিতি আমি দেইনি। আমাদের জানাবেন কি?আমাদের জানাবেন কি?
মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৫:৩৯ অপরাহ্ণ)
টুইটারে ইউনূস সেন্টারের হ্যান্ডেল তো ইউনূসের হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেই, সেসাথে একটা নতুন হ্যান্ডেল সেভ গ্রামীণও দেখি কয়েকদিন থেকে সক্রিয় হয়েছে। তাদের কাজ কী? তাদের ভাষায়
এই সেভ গ্রামীণের একটা টুইট আমাকে খুব হাসিয়েছে।
মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ (৬:৪২ অপরাহ্ণ)
এ কে মনোওয়ারউদ্দিন আহমদ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের অধীন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, গত বছর গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম অনুসন্ধানের জন্য গঠিত রিভিউ কমিটির প্রধান ছিলেন, তিনি বিডিনিউজ২৪.কমের মতামত-বিশ্লেষণে গ্রামীণ ব্যাংকের অনিয়ম ও ইউনূস প্রসঙ্গে একটি বিশদ লেখা লিখেছেন। লেখাটি তিনি শেষ করেছেন এভাবে।
বিস্তারিত পড়ুন : গ্রামীণ ব্যাংক, অনিয়ম ও ড. ইউনূস।
মাসুদ করিম - ১৯ অক্টোবর ২০১২ (২:২৪ অপরাহ্ণ)
ইউনূস সেন্টার তো অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয়, জানি না এপ্রশ্নের উত্তর কী দেবে / কি দেবে?
মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০১২ (১২:২৬ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০১২ (১২:৪৪ পূর্বাহ্ণ)
মানেটা বুঝতে পারলাম না। সামাজিক ব্যবসার বিউটিটা অতি সাধারণ! আসলেই তো মানেটা কী?
মাসুদ করিম - ১৮ এপ্রিল ২০১৩ (১:০৯ পূর্বাহ্ণ)
SHOUMIK - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (১২:২৪ পূর্বাহ্ণ)
Thanks for your writing regarding DR. YOUNIS and activities of GRAMEEN BANK , Bangladesh. I was born a village and I know what Grameen Bank did with innocent villagers for weekly loan installment. They always teat the villages as a stupid. (shoumik)
ZAHED - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (১০:০০ পূর্বাহ্ণ)
OSADHARON OSADHARON OSADHARON.
এরশাদ মজুমদার - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (১০:০৮ পূর্বাহ্ণ)
ইউনুস সাহেবকে নিয়ে এখন সারা বিশ্ব কথা বলছে। আপনি বা আমি চাই বা না চাই তিনি এখন জগত বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। বিদেশে সম্মান বেশী,দেশে সরকার তাকে পছন্দ করেনা। সরকারের সমর্থকরাও পছন্দ করেন না। সরকার দিনরাত তার বিরুদ্ধে লেগে আছে আর বিদেশীরা তাঁকে সম্মান করে চলেছে। আমাদের দেশে এখন কোন সম্মানিত মানুষ নেই। কেউ একটু সম্মানিত হলেই আমরা তাঁর বিরুদ্ধে লেগে যাই। আসুন, সবাই মিলে এ অভ্যাস ত্যাগ করি।
আসিফ রেজা আব্দুল্লাহ - ১৯ এপ্রিল ২০১৩ (৮:২১ অপরাহ্ণ)
আপনার ক্ষুরধার লেখনী শক্তি রয়েছে। এগিয়ে চলুন……
Pingback: ইউনূসমিতি ৫ | প্রাত্যহিক পাঠ
মাসুদ করিম - ২২ জুলাই ২০১৪ (১:১৪ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৩০ নভেম্বর ২০১৪ (৮:২৪ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ (১০:২২ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৫ (৭:১৭ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (৮:৪০ পূর্বাহ্ণ)