২০ থেকে ৩০ কোটি সক্ষম মধ্যবিত্তের বাজার। ভারতীয় বা আরো বড় অর্থে দক্ষিণএশীয় এই বাজারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবী করছেন মনমোহন সিং। নব্বুই-এর দশকের শুরুতে নবুয়তপ্রাপ্ত মনমোহন ২০০৯-১৪ শাসনামলকে তার শ্রেষ্ঠ সময় মনে করছেন এবং বিস্তৃত কর্মপরিধির মধ্যে তার ক্ষমতার সব দিকের সুদৃঢ় বাস্তবায়ন চাইছেন।বিলগ্নীকরণের এক বিশাল কর্মযজ্ঞে নেমেছেন তিনি এবং সফলও হবেন বলেই মনে হচ্ছে। এর মধ্যেই আসিয়ানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তিনি সেরে ফেলেছেন, সাফটা হোক না হোক তাতে কিছু যায় আসেনা; বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাথে ভারত ব্রাজিল দক্ষিণআফ্রিকা ও চীনের, ইউরোপ আমেরিকার কৃষি ভর্তুকি নিয়ে যে দ্বন্দ্ব ছিল, তার থেকে মনমোহন এবার সরে আসবেন বলেই মনে হচ্ছে। এই লক্ষ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দোহা রাউন্ডকে পুনরায় উজ্জীবিত করতে এর মধ্যেই ভারত পূর্ণশক্তিতে বাণিজ্যিক কূটনীতিতে নেমে পড়েছে এবং তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে গেছেন গত জুলাইয়ে ভারত সফরে আসা মিসেস ক্লিন্টন। একই মাসে জি-৮-এর রাষ্ট্রনায়করাও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে জি-৮ অতিথি সদস্য ভারতের সঙ্গে পূর্ণসদস্যদের চেয়েও বেশি মর্যাদা দিয়ে মনমোহনের সাথে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। আর এবার জি-৮-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চীনের রাষ্ট্রনায়ক উরুমচির জাতিগত দাঙ্গার কারণে সম্মেলনের শুরুতেই দেশে ফিরে যাওয়াতে ভারত পুরো সম্মেলন জুড়ে একধরনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। অনেক পর্যবেক্ষক এও ধারনা করছেন, অলিম্পিকের আগে আগে তিব্বতের দাঙ্গার মতোই উরুমকির দাঙ্গার সময়টিও পরিকল্পিতভাবেই ঠিক করা হয়েছে। সবকিছু মিলে এতো খোলা হাওয়া আর কখনো মনমোহনের গায়ে লাগেনি। এবারের মহামন্দার পর যে মহা মূল্যস্ফীতি আসবে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার সব পরিকল্পনা এর মধ্যেই মনমোহন শেষ করে এনেছেন। খুব দ্রুতই এক অসাধারণ খরা পরিস্থিতির সুযোগে বহু নীচুতলার মানুষ যখন নিঃশেষিত হবেন তখন এক বিভৎস মজার আক্রার বাজার থেকে মুনাফা লুটবেন বৃহৎ বিলগ্নীকারীরা। সবকিছু সামলাবেন খোলা বাজারের শেষ নবি অর্থনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। হ্যাঁ, তিনিই হবেন খোলা বাজারের শেষ নবি; এরপর খোলা বাজার আর থাকবে না সেকথা আমি বলছি না, কিন্তু এরপরে আর নবির দরকার হবে না; খোলা বাজারের ইমাম পুরোহিতরাই তখন সব সামলাতে পারবেন, যেমন এখন ধর্মের ইমাম পুরোহিতরাই ধর্ম সামলাচ্ছেন।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

২১ comments

  1. মাহতাব - ২৮ আগস্ট ২০০৯ (১০:৪২ অপরাহ্ণ)

    ওস্তাদ একটু বিস্তারিত বলবেন দয়া করে।

  2. মাসুদ করিম - ২৯ আগস্ট ২০০৯ (৩:৫০ অপরাহ্ণ)

    @ মাহতাব
    আগামী কয়েক বছরে এক বিশাল বিলগ্নি পুঁজি ভারতের বাজারে প্রবেশ করবে, দেশের ভেতরের ও দেশের বাহিরের এই বিশাল পুঁজিই দক্ষহাতে খোলা বাজারের উপযোগী করে ব্যবহার করবেন মনমোহন সিং–নবীর দক্ষতায় ও নবীর ক্ষমতায়। ভারতের মতো বিশাল বাজার খোলা বাজারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর, খোলা বাজারে আসার মতো আর কোনো বড় ভূ-খণ্ড অবশিষ্ট থাকবে না। বাকী বাজারগুলোকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করার কাজ তাই ইমাম পুরোহিত দিয়েই হয়ে যাবে।

    @অবিশ্রুত
    উরুমকির মুসলমান অধিবাসীদের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের বসবাস আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ায়। এই অভিবাসীদের দ্বারাই এই দাঙ্গায় ঘি ঢালা হয়েছে, পুরনো একটা ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ সময়ে। এবং চীনের এই অংশে ও তিব্বতে আরো ঘন ঘন বিশেষ বিশেষ সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে। ভারতকে নতুন বন্ধু হিসেবে পেয়ে আমেরিকা এখন মধ্য এশিয়ার বিশাল গ্যাস রিজার্ভ নিয়ে মেতে উঠবে। সেসাথে প্রাকৃতিক জ্বালানীর জন্য ক্ষুধার্ত চীনও তার ঘরের কাছের গ্যাস এতো সহজে ছাড়তে চাইবে না। আর ‘চীমেরিকা’র বিবাহবিচ্ছেদ তো আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার এখন এবং ‘ইন্দোইয়ান্কি’ আংটি বদলও তো হয়ে গেছে। কাজেই হাওয়া ঊনপঞ্চাশ…

  3. অবিশ্রুত - ২৯ আগস্ট ২০০৯ (১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    এবার জি-৮-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য চীনের রাষ্ট্রনায়ক উরুমকির জাতিগত দাঙ্গার কারণে সম্মেলনের শুরুতেই দেশে ফিরে যাওয়াতে ভারত পুরো সম্মেলন জুড়ে একধরনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল। অনেক পর্যবেক্ষক এও ধারনা করছেন, অলিম্পিকের আগে আগে তিব্বতের দাঙ্গার মতোই উরুমকির দাঙ্গার সময়টিও পরিকল্পিতভাবেই ঠিক করা হয়েছে।

    উরুমকির দাঙ্গার সময়ক্ষণ পরিকল্পিতভাবে কে ঠিক করল? চীন,- ভারতকে জি-৮এ পুরো সম্মেলন জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবার জন্যে? না কি ভারতই,- যাতে চীনের অনুপস্থিতিকে সে কাজে লাগাতে পারে? অথবা অন্য কেউ?
    আপনার মত একটু পরিষ্কারভাবে জানতে আগ্রহী, ভাই।

  4. nizam udin - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    manmohon singh k NOBI akhkha diye apni bharot’er koun ongser manusher nobuyat praptee ghotatey chaichen?jekono prophecy tar nijer somoykale radical change’i enechilo,pholey NOBI naam jota manushera samaj o manosh k samner dikai agiye niye gachen.

    manmohon singh’k NOBI ba DEBOTAAR bole apni prokarantore sadharon manusher onubhuti’kei aghaat hanchen.takey muktow-bazar nitir feriwala bolatai jhothesstow.

    • রায়হান রশিদ - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:৩৫ অপরাহ্ণ)

      @ nizam udin,
      ইংরেজীতে False Prophet বলে একটা কথা আছে। False Prophet হলেন তিনিই যিনি prophecy’র নামে আসলে নিজের উদ্দেশ্যই (সাধারণত হীন এবং অসৎ) সিদ্ধি করতে চান কিংবা অনুসারীদের ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেন। পড়ে মনে হল “নবী” শব্দটির প্রয়োগ করে লেখক সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। অবশ্য আমার ভুলও হতে পারে।

      • বিনয়ভূষণ ধর - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:৫২ অপরাহ্ণ)

        @রায়হান! prophecy শব্দটির অর্থ সুগন্দি বলে জানতাম। তাই নয় কি!!!

        • বিনয়ভূষণ ধর - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:৫৪ অপরাহ্ণ)

          দু:খিত! বানানটা হবে সুগন্ধি।

        • রায়হান রশিদ - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:১৬ অপরাহ্ণ)

          “Prophecy” এবং “Prophesy” – দু’টো বানানই ১৭০০ সালের পর থেকে সঠিক বলে প্রতিষ্ঠিত; মূলতঃ “Prophet” থেকে। অর্থ হল:

          ১. A prediction of the future, made under divine inspiration;
          ২. An inspired utterance of a prophet, viewed as a revelation of divine will;
          ৩. The vocation or condition of a prophet;
          ৪. A prediction.

          সূ্ত্র:
          Concise Oxford Dictionary (10th edn.)
          এবং
          answers.com

          • বিনয়ভূষণ ধর - ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

            ধন্যবাদ রায়হান! কালই আমি উল্লেখিত ওয়েবসাইটে শব্দটির অর্থ পেয়েছি। ভুলটি আমারই হয়েছিল…

  5. মাসুদ করিম - ১৮ জানুয়ারি ২০১১ (৩:১৫ অপরাহ্ণ)

    নবির নবুয়ত চলে গেছে, এখন শুধু খসে পড়ার অপেক্ষা — লীলা সাঙ্গের অপেক্ষা।

    New Delhi. In a completely unexpected move, Congress today expelled its Rajya Sabha member and current Prime Minister Manmohan Singh from the primary membership of the party for six years, but the party said that it will let Dr. Singh continue as the Prime Minister of the UPA government.

    Party insiders say that the decision was taken to help Congress perform well in the coming state assembly elections.

    “We would continue to support the Manmohan Singh government and help him with our group of ministers to do good work for the aam aadmi,” said Congress spokesperson Manish Tewari, referring to the “UPA government” solely as “Manmohan Singh government” for the whole duration of the press conference, a first of its kind.

    “We would also oppose the decisions of Manmohan Singh government that might be anti-people,” he informed, declaring that Congress was now officially against the hike in petroleum prices and would do everything to convince the Manmohan Singh government to roll it back.

    “Our leader Soniaji is looking into this matter,” he added.

    বিদূষকসূত্র : Congress expels Manmohan Singh, but will keep him as PM

  6. মাসুদ করিম - ২৩ আগস্ট ২০১১ (৩:৩৫ অপরাহ্ণ)

    ভারতের মধ্যবিত্তের নবি বদল হয়ে গেছে মনে হয়। মনমোহন সিং ছিলেন তাদের এক নবি এখন আন্না হাজারে তাদের নতুন নবি। এই নবি বা সুপারম্যান ধরনের ভাবনা থেকে মনে হয় আমাদের মানব সমাজের মুক্তি নেই। রাজনীতি কোথায় যেন তল্পি পাচ্ছে না। সব দেশে সরকারগুলো কেমন শাসনকর্মে অনীহা নিয়ে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত — সব দেশে সিভিল সোসাইটি রাজনীতিতে অনীহা নিয়ে শুধু অনাস্থার সুপারম্যান হতে মিডিয়ার হাত ধরে চলছে।

    Watching all this is middle class India, which makes up between 25% and 33% of the population. This is the group that does not vote on the old caste/community lines that exemplified Indian politics. In a Parliamentary style democracy, with its first past the post system, they feel that their voice is not heard. They are also horrified at the loot fest and the lack of an alternative that stands for them. This is the class that voted for the Vajpayee-led NDA, and voted him out in favour of the UPA in 2004, and then pledged its allegiance to Manmohan Singh in 2009. Today it feels abandoned and orphaned.

    Into this mire, steps Anna Hazare, a social activist who has been campaigning for clean administration for over three decades. He adopted the most visible form of Gandhism — the protest fast.

    And, he called not for transformation of the self (after all there is nothing wrong with the middle-class. They don’t need to change), but punishment of the wicked, the corrupt and the looters. Backed by one of the slickest media management in recent years, he found resonance with the middle-class that wants to punish bad politicians. His solution is the Jan Lok Pal Bill, an independent ombudsman that will investigate, prosecute and judge any instance of corruption. The presumption of innocence is not a part of this equation, presumption of guilt is. Furthermore, Hazare has threatened to fast unto death if the bill is not made into an act by the August 30.

    While Hazare’s intentions are noble — who doesn’t want a corruption-free society — the means of achieving these ends are poorly thought through. The Jan Lok Pal Bill is a highly flawed one that is pointed at Parliament with a ‘pass it or I kill myself’ threat.

    This bill bodes ill for the future of India and its citizens.

    পড়ুন : UPA 2, train wreck in slow motion

  7. মাসুদ করিম - ২৯ এপ্রিল ২০১২ (২:২২ অপরাহ্ণ)

    টুইটারে #IloveManmohanSingh এ গিয়ে দেখুন সবাই কী বলছেন মনমোহন সিংকে নিয়ে।

  8. মাসুদ করিম - ৩ জুলাই ২০১২ (৩:২১ অপরাহ্ণ)

    অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রণব মুখার্জির নেমে পড়ায়, বলা হচ্ছে ভারতের অর্থনীতির উদারতাবাদের সংস্কার সম্পন্ন করার নবুয়ত আবার হাতে পেয়েছেন মনমোহন সিং। অনেকে শুধু মনমোহনের কথা বলছেন না, বলছেন একগুচ্ছ ব্যক্তিত্বের কথা, বলছেন টিম মনমোহনের কথা। কিন্তু ‘বার্তাবাহক(জিব্রাইল)’এর দেখা মিলছে না। দেখা মিললে আংশিক সাফল্য আসতেও পারে Manmohanomics 3.0 (M3)এর। কিন্তু টিম মনমোহন কি জিব্রাইলের দেখা পাবে?

    The reason why expectations have suddenly turned positive this past week, boosting market sentiment, is that Singh and his team have been saying all the right things. But if there is no quick delivery, sentiment can easily turn negative and unrelentingly critical. Managing expectations in the process will remain a key challenge.

    Manmohanomics 1.0 (M1) was crafted in the cradle of a crisis and so focused on fiscal adjustment, trade liberalisation, decontrol and delicensing. Manmohanomics 2.0 (M2) was built on the foundation of a much stronger economy and based on the idea of inclusive growth. M2 was in part a response to the aberrations of M1. That is, it sought a balance between equity and efficiency, redistribution and growth.

    Manmohanomics 3.0 (M3) will have to be a response to the aberrations of the last three years. It must restore credibility to economic policymaking and fiscal management, changing spending priorities so as to boost growth and stimulate saving and investment. The ministries of finance and industries and commerce require modern-minded, transparent and efficient leadership. While Singh will and should use the opportunity that presents itself now, he would have to get himself a full-time finance minister, given the day-to-day requirements of that job, and a more capable and energetic council of ministers. The finance ministry must once again have the best and the brightest.

    বিস্তারিত পড়ুন : Manmohanomics 3.0

    • মাসুদ করিম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

      আর কোনো কিছুর তোয়াক্কা করবেন না মনমোহন সিং, ঘরে বাইরে সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন — এবং যদি হারতে হয় যুদ্ধ করেই হারবেন। তিনি খুলে দিতে যাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার সব দরজা-জানালা। এবং এটাই মনমোহনের শেষ সুযোগ, শেষ স্ট্রোক।

      In an abrupt change in stance and risking its own survival, the Congress-led United Progressive Alliance (UPA) undertook a series of politically contentious policy changes that seek to kick-start economic reforms.

      Not only did it free retail of its foreign investment bindings, it also opened up the civil aviation sector to foreign airlines. At the same time, it announced a fresh round of disinvestment of government shares in public sector undertakings that would, if successful, net the government some additional receipts; together with the Rs.20,300 crore saving achieved through a correction in fuel prices, the move should provide some fiscal relief to the exchequer.

      While the bold initiatives have won the government praise from Indian industry and foreign investors alike, it has invited the collective wrath of the Opposition as well as some key allies such as the Trinamool Congress (TMC)—the party put the UPA on notice and has not ruled out the withdrawal of support from the government.

      More political trouble could be brewing for the UPA after the Supreme Court on Friday took cognizance of a public interest litigation and asked the government to reply within eight weeks as to whether there had been violations in the allocation of coal blocks. The national auditor, the Comptroller of Auditor General of India (CAG), has said that there was wrongdoing in the allocations and estimated the loss to the exchequer at Rs.1.86 trillion.

      Meanwhile, defending the government, Prime Minister Manmohan Singh said the measures were aimed at promoting economic growth and generating employment in “difficult times”.

      “The cabinet has taken many decisions today to bolster economic growth and make India a more attractive destination for foreign investment,” Singh said in a press statement.

      বিস্তারিত পড়ুন : Economic reforms: UPA goes for broke

  9. মাসুদ করিম - ৪ জানুয়ারি ২০১৪ (১:০৭ অপরাহ্ণ)

  10. মাসুদ করিম - ১৫ জানুয়ারি ২০১৪ (১:৪৮ পূর্বাহ্ণ)

    অনেকে পেরেছে কিন্তু আমি কেন জানি মনমোহনকে ধুর ধুর করে তেড়ে যেতে পারলাম না।

    The politics of Manmohanomics

    In his latest press conference, Prime Minister Manmohan Singh declared that “history will be kinder to me than the contemporary media, or for that matter, the opposition parties in Parliament”. He is probably right, not only because he is the first PM since Jawaharlal Nehru to complete two five-year terms in a row, but also because Singh has had a huge impact on Indian society by orchestrating major economic reforms from 1991 onwards. The man is also refreshingly modest. But it’s time to take stock not only of the achievements, but also the limitations of almost 23 years of “Manmohanomics”. One of the basic assumptions during the dismantling of the licence/ permit raj era in the 1990s, when the state-owned economic model had clearly exhausted its potential, harked back to the trickle-down theory. This theory holds that once liberalisation measures re-energise private sector entrepreneurship, a rise in the growth rate also benefits the bottom of the pyramid. The question is how much the bottom benefits. In his first speech after taking over as president, Pranab Mukherjee declared in July 2012 that “trickle-down theories do not address the legitimate aspirations of the poor”. What kind of indicators can we use to substantiate this claim — or its opposite? The controversy around the poverty line suggests that a simple evaluation based on the numbers of absolute poor may not be the most suitable. It is also not the most relevant measure of inequality, which is key to test the validity of the trickle-down theory. Certainly, the percentage of Indians below the poverty line declined from 37 per cent in 2004-05 to 29.8 per cent in 2009-10. But has the gap between rich and poor narrowed? How much wealth has really percolated down? To answer such questions, it is preferable to rely on National Sample Survey Organisation data and more specifically, to its calculation of monthly per capita expenditures (MPCE). This indicator offers an instrument by which to measure the evolution of the standard of living and of inequality. In 1993-94, the average MPCE was Rs 281 in rural India and Rs 458 in urban India. They rose, respectively, to Rs 772 (+174 per cent) and Rs 1,472 (+221 per cent) in 2007-08, which means that the gap between urban and rural areas has jumped from 63 to 91 per cent.The gap diminished somewhat between 2007-08 and 2011-12, with rural MPCE reaching Rs 1,430 (+85 per cent) and urban MPCE rising to Rs 2,630 (+79 per cent), but it remained more than 20 percentage points higher than what it was in 1993-94, at 84 per cent. The gap between rural and urban areas has become particularly pronounced in states where cities have boomed, like Karnataka, with the Bangalore phenomenon, and where, the gap between rural and urban MPCE has increased from 57 to 93.5 per cent. But we must look beyond the urban/ rural divide and examine the increasingly alarming difference that exists among villages state-wise. If we concentrate on the 15 largest states of India, we see that in 1993-94, the rural MPCE of those above average (Haryana, Rajasthan, Gujarat, Andhra Pradesh, Tamil Nadu, Punjab and Kerala), all located in the south and west, was Rs 345, when the rural MPCE of the states below average (Karnataka, Uttar Pradesh, West Bengal, Madhya Pradesh, Orissa, Maharashtra, Assam and Bihar), was Rs 255. Almost 20 years later, in 2011-12, the rural MPCE of the above average states (the same as in 1993-94, plus Karnataka and Maharashtra, which have improved) jumped to Rs 1,883, while that of the others (the same as in 1993-94, including the newly created Jharkhand and Chhattisgarh) was only Rs 1,122. This means that the gap between villages in the richest parts of rural India and those in the poorest parts of rural India has jumped from 35 to 68 per cent. The situation has not changed so dramatically in urban India, but the trend is the same. In 1993-94, the MPCE of the above average states (Haryana, West Bengal, Maharashtra, Assam, Punjab and Kerala) was Rs 490, whereas in those below average (Karnataka, Uttar Pradesh, Rajasthan, Gujarat, Madhya Pradesh, Andhra Pradesh, Orissa, Tamil Nadu and Bihar), it was Rs 360. In 2011-12, the urban MPCE of the above average states (the same as in 1993-94, plus Karnataka and Andhra Pradesh and minus Assam and West Bengal) was Rs 3,153, whereas in those below average, it was Rs 2,170. This means that the gap between citizens in the richest parts of urban India and those in the poorest parts of urban India has increased from 36 to 45 per cent. These figures show that more than 20 years of economic reforms, initiated by Singh but pursued by all governments, in spite of corrective mechanisms such as the MGNREGA, have resulted in greater inequality. This trend is in contrast to the decade between 1983 and 1993-94, when the percentage of those below the poverty line declined by 9.8 percentage points, while it was reduced by only 8.3 percentage points over the following 10 years. This is quite understandable. First, rural residents were bound to lag behind given the slow growth of agriculture. Over the years 2005-06 and 2011-12, the average annual growth rate of industry at 2004-05 prices has been 7.5 per cent, while services grew at an ever-quicker pace — 9.95 per cent. Agriculture lagged behind at 3.8 per cent. These figures reflect the government’s lack of interest in agriculture, which has resulted in declining investment (in irrigation, for instance) and diminishing subsidies (for instance, for fertilisers). Second, liberalisation allows those who have some capital — be it in terms of education, land or money — to invest and flourish while others have to wait for the trickle-down effect. Now, this percolation is only possible in geographical terms when the rich can invest where the poor live. Logically, they should be incentivised to do so the moment the cost of labour rises in the most developed parts of the country, but infrastructure (electricity, roads) is often lacking elsewhere. Instead, the poor go to the richest areas, as migration flows show. The rise of inequality in India may not be what Singh will be remembered for in history, but it has probably been the most striking consequence of the trickle-down theory. After two decades of liberalisation, investment in agriculture and infrastructure is key. Only the state can undertake such investment. The fiscal reform that would make it possible may well be the need of the day to create jobs, not only in the cities where industry needs to grow, but also in villages. Ironically, the very same middle class that has benefited most from Manmohanomics, as evident from the social inequalities described above, is the most critical of Singh.

  11. মাসুদ করিম - ১৬ এপ্রিল ২০১৪ (৪:৫৮ অপরাহ্ণ)

  12. মাসুদ করিম - ১৩ মে ২০১৪ (১২:০৭ অপরাহ্ণ)

    Sunil Mittal: Under the given circumstances, Prime Minister Manmohan Singh did a fine job

    I have been meaning to write this piece for a few weeks, but every time I start, I hesitate to do so as I am reminded of the sermons I received from Shri Yashwant Sinha in this very paper, after I penned down an open letter to the opposition exhorting them to support some very important legislations that were stuck in Parliament for want of political support. ” Politics is best left to politicians” was Yashwant Ji’s response. I took it as a sound advice ..

    Read more at:
    http://economictimes.indiatimes.com/articleshow/35035420.cms?utm_source=contentofinterest&utm_medium=text&utm_campaign=cppst

  13. মাসুদ করিম - ১৩ মে ২০১৪ (১২:১৩ অপরাহ্ণ)

    An Economist First
    Kaushik Basu

    In 2003, when I was working on my book, India’s Emerging Economy, to be published by The MIT Press, I thought I would dedicate it to Dr Manmohan Singh as “scholar parliamentarian”. I checked with a politically astute friend about his future because I did not want to dedicate my book to an active politician. My friend assured me there was no need to fear—Manmohan Singh had reached the end of his political life. Less than a year later, Man­mohan Singh was the prime minister of India. So much for my friend’s astuteness.

    But I cannot really blame my friend. Just as, according to the laws of aerodynamics, the bumblebee cannot fly, according to the laws of politics, Manmohan Singh could not be prime minister. He has no taste for intrigue, is disarmingly honest, has a natural humility and is a gifted and phenomenally well-read scholar. Such people never make it to the helm of politics, let alone be prime minister. This was an accidental prime minister to be sure, but for that reason the choice came as a breath of fresh air in a nation as complex, chaotic and energetic as India.

    This essay is not meant to be an evaluation of an outgoing prime minister as a political leader but a reflection on the person, Manmohan Singh, drawing on the time I interacted with him during and before my term as chief economic advisor at the Union ministry of finance.

    One reason for staying away from an evaluation is that it is far too fresh and therefore impossible to do justice to. Even though Mao Zedong’s famous res­ponse when asked what he thought of the French revolution—“It’s too early to judge”—may be both excessive and apo­cryphal, the sentiment is not without merit. We are often too hasty in attributing causation.

    In fact, if one runs a straightforward correlation between leaders and runs of the Indian economy, Dr Singh comes out right on top. The most phenomenal period of economic growth for India was from 2005 to 2008, when Manmohan Singh was firmly ensconced as prime minister and India’s GDP grew on average by 9.5 per cent each year. In terms of GDP, adjusted for purchasing power parity, the latest numbers released last week by the International Comparison Program’s Global Office, hosted by the World Bank, show that between 2005 and 2011, India’s performance was excellent. From being the fifth largest economy in the world, behind the US, China, Japan and Germany, it became the third largest, having overtaken Germany and Japan.

    But to say that this was because of one person, be it the prime minister or the finance minister, would be wrong. The economy is far too complex an organism, with a multitude of influences at work, for any single person to take credit. Equally, when an economy slows down, as India did over the last two years, it would be wrong to place all the blame at the doorstep of the leader. There have been cases of a single leader sparking off growth or crashing the economy but those are few and far between.

    Where Manmohan Singh gets unstinting credit is for the unleashing of the Indian economy through the reforms of 1991-93. Its effects were visible almost immediately. India’s fore­ign exchange reserves and trade grew exponentially, starting in the mid-’90s, GDP growth surged from 1994, ave­raging around 7 per cent per annum for three years. The fact that Indians today fret when the growth rate drops to 5 per cent shows what a dramatic change of yardstick the country has achieved since the early ’90s.

    Dr Singh is essentially an apolitical person. The intrigue of politics does not interest him. His passion is economic policy. This paid rich dividends for India in the early 1990s and later I got a glimpse of his sharp focus in April 2012. On April 18 that year, I gave a lecture at the Carnegie Endowment in Washington. I spoke about the slowdown in India’s economy, pointing out how this was in part a reflection of the massive global slowdown (so much so that India was still among the top-10 fastest growing economies in the world) but also in part caused by the slowdown of reforms within India. I argued that with a little renewed dynamism—in particular, cutting down the bureaucratic hurdles and providing better infrastructure—India’s growth could climb back up despite the hostile global environment.

    This was reported very poorly in India, in a totally one-sided way and with some actual misquotes. The Opposition picked it up and a storm broke out in the Indian media. When I returned to India, I felt I ought to go to see the prime minister because of the political heat that my comments had generated.

    On April 26, I went to see him at his Lok Sabha office. I asked him about the poli­tical fallout of my comments; he asked me what we could do to lift the country out of the slowdown, especially given the global recession. We soon got to talking about the Great Depression and the exact policies used to get the economies out of it. He delved effortlessly into details of Keynes’s ideas and Roosevelt’s actions. He clearly had little interest in the political fracas and was much more interested in trying to plan ways to get India growing rapidly once again.

    I cannot deny that I often felt frustrated by the extent of corruption in India and that we could not do more to cut bureaucratic costs—the single biggest hurdle to India’s development. This took me to some relatively new areas of policy discourse and gave me a glimpse of the kind of person Dr Singh is.

    With one corruption scandal breaking after another, in March 2011, I posted a paper on the finance ministry’s website arguing how India’s Prevention of Corruption Act, 1988, needed amendment. I argued that in the case of ‘harassment bribes’, where an ordinary citizen was being asked to pay a bribe for something that he or she is legally entitled to, the giving and taking of bribes must not be treated on par. In particular, the giving of such bribes should not be construed as illegal and the taking of such bribes should be heavily punished.

    By April, this had caused a storm, with some members of Parliament writing to the prime minister and finance minister about the ‘immorality’ of my argument and demanding that my paper be taken down from the finance ministry website. I still believe my idea is a powerful one and the government ought to amend the law. But that is another matter.

    On April 23, Barkha Dutt called me several times asking me to join the televi­sion debate (read slanging match) on my idea on We the People. Given the controversy I had already churned up, I decided to do what I rarely did, ask my bosses’ advice. The finance minister was out of the country. I phoned the prime minister’s residence in the evening. Bef­ore I could say much, he began comforting me saying that controversy is a part of politi­cal life. When I asked him what he tho­ught of my idea, he said he disagreed with it but, he added after a pause, that that must not be reason for me not to talk about it. As chief economic advisor, I was meant to bring ideas to the table, and I must continue to do so. This was courageous of him. And I am not talking here of the ‘courage’ of shouting at one’s subordinates but something deeper.

    As I hung up the phone, I felt strangely optimistic for India. There is no denying that the government made mistakes in economic policy and there have also been political blunders, but if we could persist in being an open society of the kind the prime minister’s words to me that day suggested, there was hope. It is a rare politician, rare anywhere in the world, who would speak so elegantly as he did that day to me.

    In all the changes that lie ahead for India, I hope our leaders will appreciate the hard-won gains of the nation’s democracy and vibrant culture of free speech and tolerance, and continue to nurture these even though they may be personally costly to them.

    A politically astute friend of mine advi­sed me against writing this article in praise of Manmohan Singh. He pointed out that the general mood is not very charitable towards him; and, further, my article would please a prime minister about to lose power but could displease the prime minister about to take office. That, he assured me, was not politica­lly savvy of me. Well, I’ll have to see whether this time the astuteness is for real.

  14. মাসুদ করিম - ২৮ অক্টোবর ২০১৫ (১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    দুর্বলতম! মোদিকে বিঁধলেন শৌরি

    খাতায় কলমে এখনও বি জে পি সদস্য অরুণ শৌরি। কিন্তু মোদি সরকারকারের প্রতি চূড়ান্ত বীতশ্রদ্ধ। বি জে পি–র অত্যুৎসাহী নেতাদের ‘গরু বাঁচাও’ কর্মসূচিকে শ্লেষ দিয়ে বললেন, বর্তমান কেন্দ্র সরকার আসলে কংগ্রেসই! শুধু সঙ্গে জুড়েছে একটি গরু! এ–ও বলেন, কেন্দ্র এতটাই দিশাহীন যে মানুষ ড. মনমোহন সিংয়ের অভাব বোধ করছেন! তাঁরা বলছেন, ড. সিং অন্তত বুদ্ধিমান ছিলেন। দিল্লিতে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে শৌরি যখন এই কথাগুলো বললেন, শ্রোতাদের মধ্যে তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। ইউ পি এ বনাম এন ডি এ সরকারের ভেদাভেদ প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে শৌরির ব্যাখ্যা, ‘দুই সরকারের নীতিই এক। তবে এই সরকারের ধারণা দেশের অর্থনীতি সামলানোর অর্থ অর্থনীতি কেন্দ্রিক শিরোনাম সামলানো! যেটা কোনও কাজের কথা নয়!’ খোদ মোদির দিকেই আঙুল তুলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে ‘দুর্বলতম’ বলে আক্রমণ করেন শৌরি। বলেছেন ওই দপ্তর চালানোর মতো অভিজ্ঞতাই কারও নেই। ‘শি‍ল্পবন্ধু’ সরকারের ভাবমূর্তিকে ঠেস দিয়ে শৌরির আরও বক্তব্য সবটাই নাকি লোকদেখানো! তাঁর কথায়, শিল্পমহল নাকি সত্যি বলতে ভয় পায়। তারা জানেই না কী হচ্ছে! আড়ালে আবডালে প্রধা‍নমন্ত্রীকে বলে, ‘দয়া করে কিছু করুন।’ আর সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরকারকে দশে নয় দেন! প্রধান‍মন্ত্রীকে রোজ রোজ নতুন ঝগড়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেন বাজপেয়ী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, একদা–সাংবাদিক অরুণ শৌরি। বলেন, ‘দেশ চালাতে গেলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’ সরকারের আর্থিক নীতি প্রসঙ্গে শৌরির মন্তব্যকে আজ এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়নমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। বলেছেন, শৌরির বক্তব্য নিতান্তই ব্যক্তিগত। গণতন্ত্রে যে যার নিজের মত জানাতেই পারেন। মানুষ জানেন কী কঠিন চ্যা‍লেঞ্জ নিয়ে সরকারে এসেছে বি জে পি। গত দেড় বছরের মেয়াদে ‘কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারি’ এমনকী একটি ভুলও করেনি সরকার। গতকাল ‘বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’ সম্পাদক টি এন নিনানের বই প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। শৌরির পরপর শ্লেষের পরিবর্তে তাঁর জবাব ছিল, ‘এইভাবে আন্দাজের বশে মন্তব্য না করাই শ্রেয়। অর্থনীতিতে স্থিতিশীল হয়েছে এই সরকারে। সেটাকে গুরুত্বই দেওয়া হল না।’

  15. মাসুদ করিম - ৫ জুলাই ২০১৬ (১:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    মনমোহিনী সংস্কারের ২৫ বছর

    স্বাধীন ভারতের তখন ৫০ বছরও পূর্ণ হয়নি। ভারত তখনও আর্থিক স্বয়ম্ভর বলে গর্ব করছে বটে তবে কোমরের জোর আর আগের মত নেই। ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে শুরু হয়েছে উপসাগরীয় যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়ছে। অথচ বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তলানীতে। ১ জুলাই, ১৯৯১। বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং। টাকার অবমূল্যায়নের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বায়নের পথিক হয়েছিল ভারত। ২৫ বছর পর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ভারতের নতুন অর্থনীতির রূপকার মনমোহন সিং?‌ এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‌সংকটে পড়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সংকট কেটে যেতেই আমরা আগের জায়গায় ফিরে গেছি।’‌ আক্ষেপ মনমোহনের গলায়। টাকার অবমূল্যায়নের ধাক্কা কাটতে না কাটতেই আরও বড় ধাক্কা। শিল্পে লাইসেন্স প্রথার বিলোপ, নতুন আর্থিক নীতি সবই ঘোষণা করে দিলেন মনমোহন সিং। তবে এসবের জন্য একক কৃতিত্ব নিতে নারাজ তিনি। বললেন মাত্র দু দিন সময় লেগেছিল সিদ্ধান্ত নিতে। চিদাম্বরমকে সঙ্গে নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের কাছে গিয়েছিলেন। সব শুনে তিনি সম্মতি দিলেন। শুরু হল নতুন ইতিহাস। বিরোধীদের থেকেও বেশি বাধা এসেছিল কংগ্রেসের ভিতর থেকেই। এখানেও নরসিংহ রাওয়ের হাত ধরে বাধা পার করা গিয়েছিল। মনমোহন শিকার করেছেন, সংস্কারের ফলিত রূপ তখনও সামনে ছিল না। কেবল প্রতিশ্রুতি আর শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সেবি–কে পরামর্শদাতা সংস্থার ভূমিকায় সীমাবদ্ধ না রেখে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল সরকার। বার্তা পৌঁছেছিল, ভারতের শেয়ার বাজার লগ্নির অনুকূল। মনমোহন আরও বলেছেন, ‘‌তাছাড়া লন্ডন গিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলাম খুব শিগগিরই বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ভারতের বাজার খুলে দেওয়া হবে।’‌ তাঁর মতে, ২৫ বছর পর আগে সংস্কার নিয়ে যে বাতিক ছিল তা এখন ঘুচে গেছে। এখন কোনও সরকার চাইলেও সংস্কারের বিরুদ্ধে হাঁটতে পারবে না। কংগ্রেসের দেখানো পথেই হেঁটেছে পরের যুক্তফ্রন্ট সরকার থেকে এন ডি এ সরকার।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.