বাংলার মুসলিম রাজনীতি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৫ এর প্রতিরোধ কাটিয়ে অনেকদিন থেকেই ইসলামী রাজনীতির লক্ষ্যেই এগিয়ে চলছে। এই ইসলামী রাজনীতিকে কি আমরা প্রতিরোধ করতে পারব? আপাতত তো এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু যদি প্রতিরোধ জেগেই ওঠে ধীরে ধীরে, তবে কি আবার যুদ্ধ? যদি তাই হয় তাহলে সে যুদ্ধ কত দূরে? আর যদি যুদ্ধের প্রয়োজন না হয়, তাহলে শুধু প্রতিরোধেই ইসলামী রাজনীতির লক্ষ্যচ্যুতি ঘটবে? নাকি কোনো প্রতিরোধই গড়ে উঠবে না? চলবে শুধু এগিয়ে যাওয়া, ইসলামী রাজনীতির?
ভোট এক্ষেত্রে কিছু করতে পারে? আসন্ন ভোটের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। তাকিয়ে আছি সামনের পাঁচটি বছরের দিকে, ওই পাঁচ বছরে ওপরের মৌলিক প্রশ্নটির উত্তর আমরা পেয়ে যাব আশা করি। বাংলার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হোক। ভোটের প্রাক্কালে সবার কাছে রইল এই আহ্বান। জয় বাংলা।
মাসুদ করিম
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১ comment
ইমতিয়ার - ১৭ ডিসেম্বর ২০০৮ (১২:৪৪ অপরাহ্ণ)
ভোট কি কিছু করে? ভোট হোক, একমাসের মধ্যে এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি। আর যুদ্ধের কথা বলছেন? তার প্রস্তুতি কি আদৌ আছে? যতদূর মনে হয় প্রতিরোধের ব্যাপারটাই শুরু হয় দৃষ্টিভঙ্গীর স্বচ্ছতা থেকে, যা ঘাত-প্রতিঘাত ও অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আরও স্বচ্ছ হতে থাকে। ওই স্বচ্ছতাই তো আমরা খুইয়ে বসেছি।
কিছু বিষয়ে উচ্চকিত হওয়া খুব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বোধকরি : ১. প্রাথমিক শিক্ষার একটি সর্বজনীন মাধ্যম (এই একক মাধ্যমে স্পর্শকাতর মাদ্রাসা শিক্ষাকে কীভাবে আত্তীভূত করা হবে, হজম করা হবে সেটিও একটি বড় প্রশ্ন) চালু করা; ২. প্রাথমিক শিক্ষার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক সহজতর পাঠদান পদ্ধতি ও পাঠ্ক্রম; ৩. ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার রাজনৈতিক দলগুলিতে নির্দিষ্ট সিলেবাসের ভিত্তিতে নিয়মিত পাঠচক্র ও কর্মশালার আয়োজন।
আরও কিছু বিষয় কি ভাবা যেতে পারে? যেমন, সামাজিক আন্দোলনগুলিকে জাগ্রত করার ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিষয়।