এই সময়ে ওয়েবসাইটে যোগাযোগের সবচেয়ে ইফেক্টিভ ও পপুলার মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। অথচ এই মাধ্যমটিকেই প্রশাসনিকভাবেই হঠাৎই ব্লক করে দেয়া হল। অতি সাধারণ একটা বিষয় হচ্ছে, মাথাব্যথার চিকিৎসা হিসাবে কখনও মুণ্ডুকর্তনকে সমর্থন করা যায় না। এখন কথা হচ্ছে, এই মাধ্যমে যদি এবনর্মাল কিছু ঘটে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষের উচিত তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অথচ তা না করে একটি দরকারি মাধ্যমকে এভাবে জবাই করা কোনো উত্তম পন্থা হতে পারে না।
কাজেই আমাদের একান্ত কামনা হচ্ছে, এই মাধ্যমটির উপর থেকে যেন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর
কথাসাহিত্য চর্চার সঙ্গে যুক্ত। পেশায় চিকিৎসক। মানুষকে পাঠ করতে পছন্দ করি। আমি মানুষ এবং মানব-সমাজের যাবতীয় অনুষঙ্গে লিপ্ত থাকার বাসনা রাখি।
পাকিস্তানের পর পর বাংলাদেশেও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক-কে সাময়িকভাবে ব্লক করে দেয়া হয়েছে! কী হচ্ছে এইসব!
পাকিস্তানি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ : এখানে।
কত হতে পারে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা? প্রায় দশ/পনেরো লাখ। তার মধ্যে কত জন Face Book (FB) ব্যবহার করে? — আমার মতো আমার পরিচিত অনেকেই FB ব্যবহার করে না। কত হতে পারে? প্রায় সাত থেকে এগারো লাখ। এই লোকগুলোর মধ্যে কত জন আপত্তিকর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের সাথে জড়িত? এবার আসুন, বাংলাদেশে কত কোটি লোক মোবাইল ব্যবহার করে? মোবাইলে প্রতিনিয়ত কত না অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটে, তাহলে মোবাইল অপারেটারগুলোকে কী হারে সাময়িক বন্ধের শিকার হতে হবে? সাময়িক/অসাময়িক বন্ধের মতো আমলাতান্ত্রিক সমাধান পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে সমাধান। বাংলাদেশের উচিত ‘প্রযুক্তি পুলিশ’ গড়ে তোলা। এখনই একাজ শুরু করার মোক্ষম সময়। ইন্টারনেট ভিত্তিক নতুন নতুন সেবা, তার… বাকিটুকু পড়ুন »
মাথামোটা সরকার, নীরব প্রগতিবাদ, অতিবুদ্ধিমান বি টি আর সি এবং ধুর্ত ধর্মকীটঃ মাথামোটা সরকারঃ এই সরকারের মাথা মোটা। গুটিকয়েক মোল্লা মিছিল বের করলো আর অমনি তাদের মনে হলো ফেস বুক বন্ধ না করে বুঝি আর উপায় নেই। প্রগতিশীল শক্তির উপর সরকারের এত অবিশ্বাস কি করে তৈরি হলো? সরকার ভুলে গিয়েছে, এই মোল্লাদের ভোটে তারা ক্ষমতায় আসেনি। এদের পক্ষে এই সরকার যাই করুক না কেন, কষ্মিনকালেও এই সরকার তাদের সন্তষ্ট করতে পারবে না। ফলে তাদেরকে তেল দিয়ে সরকারের ভোটের দিক থেকে ও কোন লাভ নাই। সরকার বুঝতে পারছে না যে, মহানবী এখানে আসল ইস্যু নয়। এইটা ধর্মীয় জংগীবাদের নতুন খেলা। পাকিস্তানে… বাকিটুকু পড়ুন »
অত্যন্ত নির্মম ও অবিশ্বাস্য হলেও সত্য বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চুড়ান্ত ফালতু কারন দেখিয়ে। আমরা ভাবিনাই অন্ততঃ বাংলাদেশের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এই পাকিপন্থী আকামটা করতে পারবে। আঘাতটা এসেছে, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু মৌলবাদী কুলাঙ্গারের খুনসুটিতে। এদের চিহ্নিত করা হৌক্। সরকারকে বোঝানো হৌক, কোথায় আমাদের ডিজিটাল জয়, আর শেখ রেহানার লন্ডন প্রবাসী মেয়ে? এই যদি হয় ডিজিটালবাজির নমুনা, তাহলে কি দোষ করেছে জামাতেস্লামী আর হিজচুত? আমাদের দেশটাকে বরং বান্ধা দিয়ে দেয়া যাক শালার ছৌদিয়ারবের কাছে। (এমনিতেও ফারাক্কা আর টিপাইমুখ বাঁধের কারনে মরুভূমিতে পরিনত হবে বংগস্তান) তারা এখানে দুম্বা চড়াবে আর ইসলাম জঙ্গীদের ট্রেনিং দেবে। সকল ব্লগে… বাকিটুকু পড়ুন »
আবেদ খানের প্রতিক্রিয়া আজকের কালের কণ্ঠে বিশেষ মন্তব্য প্রতিবেদন এসব করলে কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে? আবেদ খান হঠাৎ করে ফেইসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটিতে হতবাক হয়েছি। নিশ্চয়ই আমার মতো অনেকের ভেতরে এই একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এক যুবকের কাণ্ডকে। মাহবুব আলম রডিন নামের যুবকটি ফেইসবুকে জাতির জনক, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রীসমেত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম এবং ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। অবশ্য র্যাব যুবকটিকে আটক করেছে এবং সে স্বীকার করেছে, নেহাত ফান করার জন্যই সে এ কাজ করেছিল এবং এ জন্য সে অনুতপ্ত। আমি হতবাক হয়েছি এই কারণে যে, একটি যুবকের অপকর্মের অপরাধে… বাকিটুকু পড়ুন »
ইসলামাবাদ, মে ৩১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- পাকিস্তানে ফেইসবুকের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার লাহোর হাইকোর্ট জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ সাইটটির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার এ আদেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে সাইটটির বিশেষ কয়েকটি ইসলামবিরোধী পাতা বন্ধ রাখারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
ফেইসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছবি আঁকার একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়ার পর গত ১৯ মে সাইটটি বন্ধের দেশ দেয় এই আদালত।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এর ডিজিটাল ব্যাপার স্যাপার!
ভুল বুঝে ভুল ক্ষমতার মানুষ যে সাজা দেন তাতে সাধরন আমজনতার কষ্টের বোঝা বারে । ভুল নিয়মের শিকার হয় ভুল মানুষ
বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহার করেন প্রায় নয় লাখ মানুষ। এ সম্পর্কে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক খবরে গত ৩০ মে বলা হয়েছে : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেইসবুক ডটকমের প্রতিষ্ঠা ব্যক্তিমালিকানায়, ২০০৪ সালে। ইন্টারসাইট পরিসংখ্যানকারী এলেক্সা ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ফেইসবুক বাংলাদেশে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। সার্চ ইঞ্জিন গুগলের পরেই এর স্থান। অনলাইনে বিনা মূল্যে নিজের প্রোফাইল বানানো, ছবিসহ নিজের মনের কথা প্রকাশ, বন্ধু-বান্ধব তৈরি, চ্যাটিং, প্রিয় ব্যক্তিত্ব বা সাইটের নামে ফ্যান ক্লাব খোলা ইত্যাদি সুবিধার কারণে তরুণসমাজের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। ফেইসবেকার্স ডটকমের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ফেইসবুক ব্যবহারকারী প্রায় আট লাখ ৭৬ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে প্রায় ছয় লাখ ৪২ হাজার… বাকিটুকু পড়ুন »
নেতাদের নিয়ে ব্যাংগচিত্রের ব্যাপারটা আগেও হয়েছে, সেই কারণে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে হয় না। বন্ধ করা হয়েছে আওয়ামী লীগ কতটা ইসলাম প্রেমিক সেটা দেখানোর জন্য। বিগত মইন ঊ আহমেদের সরকারের সময়েও প্রথম আলোর নির্দোষ কার্টুন নিয়ে এই জাতীয় ব্যাপার হয়েছিল। সরকারের চাপে মতিউর রহমান বায়তুল মোকাররমের খতিবের কাছে মাফ টাফ চেয়ে একটা হাস্যকর কান্ড করেছিলেন। এই ফালতু ইসলামপ্রীতির ব্যাপারটি দিন কে দিন বেড়েই চলেছে। প্রয়াত জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ এনে ‘এক চিমটে’ ইসলামী লবণ দিয়ে শুরু করেছিলেন। সেখান থেকে এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ৯১ সালে বিএনপির জামাতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন, ২০০১ সালে চরম মৌলবাদী ইসলামী ঐক্যজোটকে সরকারে জায়গা… বাকিটুকু পড়ুন »
জাকারিয়া স্বপনের ‘বিদেশিদের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবার’ এই দুশ্চিন্তা নতুন কিছু নয়। আমেরিকাতে আমি প্রায় দশ বছর ধরে আছি, সাধারণ মার্কিনীরা কোন দেশ কখন কি নিষিদ্ধ করল এইসব নিয়ে একদমই মাথা খামায় না। তবে মুসলিমদের ব্যাপারে তাদের অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে, সেটা ৯/১১ এর আগের থেকেই আছে। আমি নিজেও ‘মুসলিমরা চাইলেই বউ মেরে ফেলতে পারে কিনা’ এই জাতীয় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। বাংলাদেশের সরকারগুলোর কয়েক দশক ধরে মডারেট মুসলিম দেশ এই জাতীয় প্রচারণার কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশীদের মুসলিম পরিচয়টাই আছে, আর কোন পরিচয় নেই। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ রায়, জীবনানন্দ দাশ, বিভুতিভুষন যত মহৎ সাহিত্য বা চলচ্চিত্রই নির্মাণ করুন, তাতে আমাদের কোনই অধিকার নেই।… বাকিটুকু পড়ুন »
হারাম হালালের তালে পড়ে মুসলমানেরা আর কত নিজেদের একঘরে করবে। মুসলমানদের এবারে নিজেদের হালাল ফেসবুক। আসলে এদের মুসলমান বলা উচিত নয়, বলা উচিত ‘ইসলামবাদী’ যেমন জাতপাত নিয়ে কট্টর হিন্দুদের ‘হিন্দুত্ববাদী’।
এখানে পড়ুন ডেইলি মেইলের রিপোর্ট।