নির্বাচনী আমেজ বইছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে; মহাসড়ক, গলি উপগলি, এমনকী ঘরের প্রতিটি রুমে পর্যন্ত। এ বিষয়টি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি ধাপ বটে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান তথা প্রতিটি ভোটার যাতে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নির্ভয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, বর্তমান সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব ধরনের চেষ্টাই করছেন। দৃশ্যত তা-ই মনে হচ্ছে। ক'দিন আগেই আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম সামশুল হুদা বলেছেন, এবারের নির্বাচনে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধুবাদ জানাই তাঁর এই অভিমতকে। কিন্তু সেই সঙ্গে নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নানা ধরনের হুমকি আর ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টার সংবাদ পেয়ে আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তাও জেঁকে বসে আমাদের মনে। [...]

নির্বাচনী আমেজ বইছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে; মহাসড়ক, গলি উপগলি, এমনকী ঘরের প্রতিটি রুমে পর্যন্ত। এ বিষয়টি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি ধাপ বটে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান তথা প্রতিটি ভোটার যাতে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নির্ভয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, বর্তমান সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব ধরনের চেষ্টাই করছেন। দৃশ্যত তা-ই মনে হচ্ছে। ক'দিন আগেই আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম সামশুল হুদা বলেছেন, এবারের নির্বাচনে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাধুবাদ জানাই তাঁর এই অভিমতকে। কিন্তু সেই সঙ্গে নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর নানা ধরনের হুমকি আর ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অপচেষ্টার সংবাদ পেয়ে আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তাও জেঁকে বসে আমাদের মনে। প্রবাদে আছে -- 'ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ডরায়।' গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেতে খেতে দৈনিক সমকাল-এর ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় এসে চোখ আটকে গেলো। সকালবেলায় যে-সংবাদটিতে মন খারাপ হয়ে গেলো, তার শিরোনাম : 'চন্দনাইশে ১১ হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা'। পুরো সংবাদটি পাঠকদের জন্য এখানে তুলে দিচ্ছি। সমকাল-এর চন্দনাইশ প্রতিনিধি শহীদউদ্দিন চৌধুরীর বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে : "চট্টগ্রামের চন্দনাইশে গত রোববার (অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে এক হিন্দু পরিবারকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। ঐ পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়। চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের মাইগাতা গ্রামের হিন্দুপাড়ায় গত রোববার রাতে ১১ সদস্যের একটি সংখ্যালঘু দিনমজুর পরিবারকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। দুর্বৃত্তরা হিন্দু পাড়ার মৃত মণীন্দ্র লাল দে'র ছেলে ননী গোপাল দে'র বাড়িতে ইনজেকশনের বড় সিরিঞ্জের মাধ্যমে পেট্রোল ছিটিয়ে ঘরের চালের এক কোনায় এবং ভেন্টিলেটর দিয়ে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেয়ার আগে দুর্বৃত্তরা ঘরের প্রতিটি দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুনের উত্তাপ পেয়ে পরিবারের ঘুমন্ত সদস্যরা জেগে উঠে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.