সুপারিশকৃত লিন্ক: জুন ২০১১

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৪৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ জুন ২০১১ (১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলাদেশের Gross National Income(GNI) বা গড় জাতীয় আয় বেড়েছে : মার্কিন ডলার ৭৫০ থেকে বেড়ে ৮১৮ হয়েছে। এর ফলে Least Developed Country(LDC) তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ LDC Graduate হওয়ার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। গত মাসেই আমরা LDC সম্মেলন নিয়ে ‘আজকের লিন্ক’এ বেশ কিছু লিন্ক শেয়ার করেছিলাম

    With its annual per capita income having reached $818, Bangladesh is now close to improving its standing from that of a least developed country to a developing one, officials and experts said Tuesday in Dhaka.

    Under the criteria set by the UNCTAD (United Nations Conference on Trade and Development), the per capita income of a least developed country has to exceed $900 for inclusion as an economy on the road to graduation into a developing country, having a per capita income of over $1035.

    Besides this, the criteria also include the status of human assets in terms of indicators relating to nutrition, health, education and adult literacy, extent of economic vulnerability, the degree of instability in relation to agricultural production and export earnings, relative importance of non-traditional economic activities, nature of export concentration and size of the economy.

    Recently, the UNCTAD has also included the size of the population in the criteria for the least developed countries (LDCs), having set the limit of 75 million for the purpose.

    The per capita income of Bangladesh in last fiscal 2009-10 was at $750 which, according to the latest available statistics of the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS), rose to $818 in fiscal 2010-11, according to official sources.

    The officials also said in recent years, Bangladesh has also scored successes in human resource development, health and education status of its population. Besides, its agricultural production has come into a stable position, and exports have recorded a marked surge though some major dependence on its narrow product base in merchandise sector still remains.

    The Bangladesh economy is also growing significantly with provisional BBS figures indicating a 6.66 per cent growth of its gross domestic product (GDP) in fiscal 2010-11 against 6.07 per cent in fiscal 2009-10, the sources added.

    The erstwhile least developed country, the Maldives has only recently graduated its status to that of a developing country stage, reducing the tally of the LDCs to 48.

    Bangladesh is now almost at the top of the LDCs’ ranking group, in terms of its relatively better performance – a reason for which its demand for better trade facilities is not equally shared by many other LDCs, the official sources noted.

    They also observed that even some developing countries who are at the bottom of the related list have been opposing some of the demand of Bangladesh on the same ground.

    এখানে পড়ুন : BD close to graduating status from LDC to developing one

  2. মাসুদ করিম - ২ জুন ২০১১ (১২:০৩ অপরাহ্ণ)

    এই জুনেই আফগানিস্তান ছাড়ার কথা ন্যাটো বাহিনীর, কিন্তু এই জুনেই তা হবে কি না — নাকি সময় বাড়িয়ে নেয়া হবে আমরা জানি না। The Big Picture থেকে দেখুন আফগানিস্তানের ৪৫টি ছবি, যার প্রতিটিই বলছে কোনো না কোনো কাহিনি : Afghanistan, May 2011

  3. মাসুদ করিম - ২ জুন ২০১১ (২:৪৪ অপরাহ্ণ)

    আগামী ৪ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৫৪তম ভেনিস দ্বিবার্ষিক, চলবে ২৭ নভেম্বর ২০১১ পর্যন্ত। La Biennale di Venezia বা The Venice Biennale এবারই প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় অংশগ্রহণ।

    Bangladesh

    The People’s Republic of Bangladesh Pavilion
    Title of the Exhibition: ‘Parables / Parabole’ – Five Bangladeshi artists interpret contemporary cultural difference
    Exhibitors: Promotesh Das Pulak, Kabir Ahmed Masum Chisty, Imran Hossain Piplu, Mahbubur Rahman and Tayeba Begum Lipi
    Commissioners: Fiona Biggiero (Italy) and Tayeba Begum Lipi (Bangladesh)
    Curators: Paolo W. Tamburella & Mary Angela Schroth
    Venue: Gervasuti Foundation, Fondamenta S. Anna (Via Garibaldi), Castello 993, between Giardini and Arsenale

    The People’s Republic of Bangladesh is a young nation with an ancient culture. Sitting at the head of the largest delta in the world, Bangladesh is the centre of many cultures and shares remarkable histories. ‘Parables’ is an unprecedented project that marks the opening of the first Bangladesh Pavilion and represents the first participation of the People’s Republic of Bangladesh in the International Art Exhibition at la Biennale di Venezia. Furthermore this event occurs during an important year for one of the youngest, most vibrant and fastest growing countries in South Asia celebrating the 40th Anniversary of Bangladesh’s Independence. Five renowned representatives of the lively Bangladesh art scene, who live and work in Dhaka – Promotesh Das Pulak, Kabir Ahmed Masum Chisty, Imran Hossain Piplu, Mahbubur Rahman and Tayeba Begum Lipi – have conceived and produced site-specific installations, utilizing the local Venetian architecture, and the history of the Gervasuti Foundation, to explore universal contemporary political, environmental and social concerns, beginning from their own personal, native symbolism and history. ‘Parables’ is an experimental exhibition project that focuses on the unspoken and implicit power underlying the notion of universal truths through art practice. The word ‘Parable’ evokes the origin of the action of drawing comparisons– to juxtapose a familiar concept beside an unfamiliar idea, a process of association that is meaningful in itself and ultimately helps to understand that which is unfamiliar or unknown. Distinct from the conventional and traditional use of parables, which often illustrate a prescriptive subtexts related to a spiritual dimension, a moral attitude or a religious principle, the theme ‘parables’ is used to sketch a scene and set a narrative in order to link and compare different cultural concerns and contexts – a bridge both illuminating and distinguishing two distinct geographical locations.

    লিন্ক এখানে

    এখানে পড়ুন The Venice Biennaleএর প্রেসিডেন্টের বাণী : A statement by Paolo Baratta

    আরো দেখতে পারেন : La Biennale Channel

    • মাসুদ করিম - ৮ জুন ২০১১ (৩:০৫ অপরাহ্ণ)

      ভেনিস দ্বিবার্ষিকে বাংলাদেশের শিল্পী তৈয়বা বেগম লিপির কাজের ছবি আমার TWITPIC accountএ এখানেএখানে

  4. মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০১১ (১১:২০ পূর্বাহ্ণ)

    ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ গ্রহণ করার কথা ছিল তার, কিন্তু শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশই তো পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল — সেই স্বর্ণপদক গ্রহণ করা হয়নি আর ‘সংবাদ পরিক্রমা’ খ্যাত আকাশবাণী কলকাতার অসামান্য বাচিক শিল্পী দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের, আর গতকাল রাতে তো তিনি দীর্ঘ রোগ ভোগের পর পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন — কাজেই বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আর কোনো সম্মাননা গ্রহণের সম্ভাবনারও অতীত হয়ে গেলেন তিনি। অথচ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে একটি মুক্তি আকাঙ্ক্ষী জাতিকে কী অনুপ্রেরণাই না দিয়েছিলেন তিনি। জন্মেছিলেন নদীয়ার শান্তিপুরে ১৯৩৪ সালের ২৫ জুন। অভাব ও যুদ্ধের ভেতর দিয়ে নানা ঘাত প্রতিঘাতে মানুষ হয়েছিলেন, কিন্তু পিছিয়ে থাকেননি সামাজিক রাজনৈতিক দাবি আদায়ের আন্দোলনে ও শিল্প চর্চায় — ছিলেন গণনাট্য আন্দোলনের কর্মী আর জীবনব্যাপী সাধনায় বাচিক শিল্পকে পৌঁছে দিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলা বাচিক শিল্প তাকে আজীবন স্মরণ রাখবে আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন সাহসী শিল্পী-সৈনিক হিসেবে তিনি আজীবন আমাদের হৃদয়ের প্রদীপ্ত কণ্ঠস্বর হয়ে থাকবেন।

    খবরের লিন্ক এখানে

    • মাসুদ করিম - ৪ জুন ২০১১ (৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

      আকাশবাণীতে ‘সংবাদ পরিক্রমা’র টেপগুলো নেই।

      আমাদের দূর্ভাগ্য, অনুপ্রেরণাদায়ী যে কথাগুলো সংবাদপরিক্রমার ভাষ্যে একাত্তরে রক্তে দোলা দিতো মুক্তিযোদ্ধাদের, সেসব হারিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে আকাশবাণী তাদের গুদাম সাফ করতে (প্রতি দশ বছর অন্তর তারা সেটি করে) পুরানো যেসব জিনিসপত্র ফেলে দেয়, তার মধ্যে একাত্তরের ওই সংবাদ পরিক্রমার টেপগুলোও ছিলো। একদম শুরুতে বলা স্ক্রিপ্টটি তারেক মাসুদ ব্যবহার করেছিলেন তার মুক্তির গান চলচ্চিত্রে।সেটি অরিজিনালটি নয়। ভাগ্যক্রমে সংবাদ পরিক্রমার স্ক্রিপ্ট লেখক সত্যেন মিত্রর কাছে কিছু ট্রান্সক্রিপ্ট রয়ে গিয়েছিলো। সেগুলোর একটাই নতুন করে পড়ানো হয় দেবদুলালকে দিয়ে। জুনায়েদ হালিমের তত্ত্বাবধানে বিশাল কম্পিউটার প্রিন্টআউটে (তখন চোখে কম দেখতেন দেবদুলাল) পুরানো সেই সময়কালের রেশ খানিকটা ফিরিয়ে এনেছিলেন এই কিংবদন্তীর কণ্ঠশিল্পী।

      বিস্তারিত পড়ুন, আমার ব্লগে অমি রহমান পিয়ালের লেখা : …পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

  5. মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০১১ (১২:৩২ অপরাহ্ণ)

    শচীনকর্তার কুমিল্লার বাড়ি দখলমুক্ত
    আজকাল, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ শুক্রবার ৩ জুন ২০১১
    বিদেশ

    জহিরুল হক : ঢাকা, ২ জুন — বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরে বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী শচীন দেববর্মনের বাসভবন থেকে সমস্ত বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করল হাসিনা সরকার। বাড়িটি সরকারিভাবে সংরক্ষণ হবে। শচীন দেববর্মনের স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। ৪ একরের ওপর এই জমিতে দেববর্মন-পরিবারের বাসভবন। বাড়িটির চৌহদ্দির ভেতর ২ বিঘার একটি পুকুরও রয়েছে। দেববর্মন-পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িটি ছেড়ে যান ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়। এর পর থেকেই বাড়িটি বেদখলে পড়েছিল। খালেদা জিয়ার আমলে এই বাড়ি বিভিন্ন সংস্থাকে লিজ দিয়ে পুকুরে মাছের চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, বেআইনি বসবাস — এইসব চলছিল। সম্প্রতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বাংলাদেশে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এই বাড়িটি সংরক্ষণের প্রসঙ্গ তোলেন। শেখ হাসিনা আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনী দখলকারীদের ওই বাড়ি থেকে হটিয়ে দেয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাড়িটির দলিলপত্র খোঁজা হচ্ছে সংগ্রহশালা গড়ার উদ্যোগ নিতে।

    লিন্ক এখানে

  6. রেজাউল করিম সুমন - ৩ জুন ২০১১ (১১:৫২ অপরাহ্ণ)

    সালভাদোর আয়েন্দে ও পাবলো নেরুদার মৃত্যুরহস্য

    ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিলের রাষ্ট্রপতি সালভাদোর আয়েন্দে কি আত্মহত্যা করেছিলেন, না কি সামরিক অভ্যুত্থানে সৈন্যদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয় — এই প্রশ্ন নতুন করে উঠেছে। আদালত আয়েন্দের দেহাবশেষ তুলে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। পিনোচেত-এর স্বৈরশাসনামলে মৃত্যুবরণকারী আরো ৭২৫ ব্যক্তির মৃত্যুরহস্য নিয়েও ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে আয়েন্দের মৃত্যুর বারো দিন পরে মৃত্যুবরণকারী পাবলো নেরুদার ড্রাইভার মানুয়েল আরাইয়া সম্প্রতি দাবি করেছেন, ক্যানসারে নয়, কবির মৃত্যু হয়েছিল পিনোচেত-এর চর কর্তৃক বিষপ্রয়োগের ফলে। এই মৃত্যুরহস্যের জট খোলার জন্য যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে চিলের কমিউনিস্ট পার্টি।

    খবরের লিংক : এখানেএখানে

  7. মাসুদ করিম - ৫ জুন ২০১১ (১১:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    আধা ঘন্টা আগে খবর পেলাম আজম খান আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখনো কোনো লিন্ক পাইনি। প্রথমে ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালে, তারপর তাকে সি.এম.এইচে নিয়ে যাওয়া হয়। আর আজ সব কিছুর অতীত হয়ে গেলেন পপগুরু।

    এইমাত্র পাওয়া লিন্ক : আজম খান আর নেই

    • মাসুদ করিম - ৬ জুন ২০১১ (১০:১৩ পূর্বাহ্ণ)

      হ্যাঁ, আইয়ুব বাচ্চু চমৎকার বলেছেন

      তিনি না থাকলে হয়তো আজ আমাদেরও ইংরেজি গান গাইতে হতো। বাংলায়ও যে পপ কিংবা ব্যান্ডের গান গাওয়া যায়, সেটা তিনিই শিখিয়েছেন আমাদের।

      পড়ুন এখানে : গুরু, তোমায় সালাম

      আর আমাদেরও হয়তো শুনতে হত ইংরেজি পপ গান। বাংলা ভাষায় আমাদের চর্চাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আজম খানের এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

      আর এখানে দেখুন কালের কণ্ঠের বিশেষ আয়োজন : স্মৃতির অ্যালবাম : আজম খান

      আর এখানে কামাল লোহানীর কলাম : মুক্তিসংগ্রামের অকুতোভয় শিল্পী লড়াকু আজম খান

  8. মাসুদ করিম - ৮ জুন ২০১১ (৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    মূর্ত ও বিমূর্তের গভীর শৈল্পিক অভিনিবেশের সাথে বসবাসের পালা সাঙ্গ করলেন মোহাম্মদ কিবরিয়া — বার্ধক্যজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের কিডনির ফুসফুসের ও যকৃতের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে প্রায়ই অসুস্থতায় ভুগতেন, কিন্তু সর্বশেষ ফুসফুসের সংক্রমণটা প্রাণঘাতীই হল — মূর্ত বিমূর্তের সমস্ত অভিনিবেশের স্বাক্ষর আমাদের কাছে রেখে এক নিঃশব্দ কর্মময় জীবনের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেলেন তিনি গতকাল ০৭ জুন ২০১১, মঙ্গলবার। জন্মেছিলেন ১৯২৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায়। শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী লিখছেন

    বেশ কয়েক দিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম, মোহাম্মদ কিবরিয়াকে আমরা বোধ হয় আর ধরে রাখতে পারব না। বাসা আর হাসপাতাল—এই দুয়ের মধ্যে ছোটাছুটি। কষ্ট হচ্ছিল। হূদ্যন্ত্র খুব দুর্বল। নিঃশ্বাস পরিপূর্ণভাবে নিতে পারছেন না। ফুসফুসে পানি জমে যাচ্ছে। সব সময় অস্থির। বিছানায় বসিয়ে দিতে বলছেন। আবার পরক্ষণেই বলছেন শুইয়ে দিতে। দুই হাতের মধ্যে হাত টেনে নিলাম। চোখ খুলে তাকালেন। বললেন, ‘কাইয়ুম, বড় একা, একা লাগে।’ সান্ত্বনাবাক্য নেই। এই একাকিত্বের জন্য তো আমরাই দায়ী। একবার দেখতে গেছি তো আর দেখা নেই। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়। আমাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে কী ভালোই না বাসতেন। কত কথা শিল্প সম্পর্কে, শিল্পী সম্পর্কে। শিল্প আছে বলেই তো পৃথিবীটা বাসযোগ্য। পৃথিবীকে, মানুষকে, সমাজকে, রাষ্ট্রকে সুন্দর সৃষ্টি দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়াই তো শিল্পীর কাজ।
    আমার হাতে একটু চাপ দিয়ে খুব ধীর লয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কাইয়ুম, আমি কি কিছু করতে পেরেছি?’ জীবনসায়াহ্নে এসে কিবরিয়া সাহেব কি নিজেকে মূল্যায়ন করতে চাইছেন? জীবনের হিসাব-নিকাশ এই সময়ে কেন? তিনি কি অনুভব করছেন, তাঁর আর কিছু করার নেই? ঘর্মাক্ত হাতটি টেনে কপালে রাখলাম। বললাম, ‘কী বলছেন আপনি? বাংলাদেশের চিত্রভুবনে আপনি একটি নতুন শৈলীর জন্ম দিয়েছেন। বেগবান করেছেন চিত্র-আন্দোলনকে। আমাদের নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে আপনারই অনুসারী আছে। আর তো কারও নেই।’
    বাংলাদেশের চিত্রকলাকে যাঁরা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছেন, কিবরিয়া সাহেব তাঁদের অন্যতম। আমাদের চিত্রভুবন সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর চিত্রের মাধ্যমে। বিমূর্ত চিত্রকলাকে একটি নতুন মাত্রায় উপস্থাপিত করেছেন ক্যানভাসে। কিন্তু শুরুটা তাঁর এ রকম ছিল না। তাঁর বিষয়ভিত্তিক রচনা ছিল অত্যন্ত সুন্দর। পঞ্চাশের দশকে তিনি যখন নবাবপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছেন, থাকতেন আজিমপুর সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মিত কোয়ার্টারে। একটি কক্ষে সাত-আটজনের সঙ্গে তাঁর বসবাস। কাঠের চৌকির মাথায় বংশদণ্ডের সঙ্গে বাল্ব ঝুলিয়ে মেঝেতে চটের ওপর বসে চৌকির গায়ে ক্যানভাস ঠেকিয়ে ছবি আঁকতেন। বাল্বের চারদিকে কাগজের ঘেরাটোপ, রুমমেটদের যাতে অসুবিধা না হয়। এঁকেছেন ‘পাখি হাতে বালক’, ‘চন্দ্রালোকে ঘোড়া’, ‘সাঁতার’, ‘মা ও ছেলে’ প্রভৃতি ছবি। বেশির ভাগ ছবির রং তখন অনুজ্জ্বল, বিষাদগ্রস্ত। বীরভূম থেকে চলে এসেছেন পূর্ব বাংলায়। আত্মীয়স্বজন কেউ নেই, একাকী। একটা ছবির কথা আমার বিশেষভাবে মনে পড়ছে—কয়েকটা সদ্য নির্মিত কবরের সামনে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত একজন, তিনি কিবরিয়া। প্রশ্ন রেখেছিলাম, কেন এই বিষণ্নতা? মৃদু স্বরে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘প্রতিবছরই পরিবারের কেউ না-কেউ আমাদের ছেড়ে চলে যেত। একটা নিঃসঙ্গতাবোধ ভেতরে কুরে কুরে খেত।’
    সাদা খদ্দরের পাঞ্জাবি ও পাজামা, পায়ে স্যান্ডেল—এই বেশে কিবরিয়া সাহেবকে প্রথম দেখি। মৃদু কণ্ঠ, আগ বাড়িয়ে কথা বলেন না। জয়নুল আবেদিন যখন তাঁকে আর্টস্কুলে চাকরিতে নিয়ে এলেন, তখন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। যাঁর মুখ দিয়ে কথা সরে না, যিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে না, তিনি ছাত্রদের কী করে আঁকা শেখাবেন? জয়নুল আবেদিন জবাব দিয়েছিলেন, ‘কিছু না হোক, পরিবেশ তৈরি হবে।’ জবাবটা যে শতভাগ সত্যি, আমরা যাঁরা আর্টস্কুলে ছিলাম, তাঁরা প্রত্যক্ষ করেছি।
    বৃত্তি নিয়ে জাপান গেলেন কিবরিয়া সাহেব। বছর তিনেক বোধ হয় ছিলেন। ফিরে এলেন নতুন ধ্যান-ধারণা নিয়ে। চমৎকার লিথোগ্রাফির কাজ আমরা দেখলাম। দেখলাম, নিজেকে বদলেছেন ছবির আঙ্গিকেও। বিষয়বস্তু উধাও ক্যানভাস থেকে। ফর্ম, স্পেস, টেক্সচার নিয়ে এক নতুন মাত্রার ছবি। কথা কম বলেন, ভেতরে ভেতরে একজন রসিক ব্যক্তি। তাঁর সান্নিধ্য আমরা উপভোগ করতাম। আর্টস্কুলের হোস্টেলে থাকতেন। বারান্দায় চেয়ার পেতে আড্ডা জমত। চা, চানাচুর, পনির চলত।
    একাত্তরের পঁচিশে মার্চ পাকিস্তানি সেনারা হোস্টেলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দৈবক্রমে কিবরিয়া সাহেব বেঁচে যান। ২৭ মার্চ সকালে হোস্টেল ছেড়ে কিবরিয়া সাহেব আমার বাসায়। আমি তখন আজিমপুরে থাকি। দরজা খুলে কিবরিয়া সাহেবকে দেখে আমি চমকে উঠলাম। রক্তশূন্য একজন মৃত মানুষের মুখ যেন আমি প্রত্যক্ষ করছি। আমার সঙ্গেই ছিলেন সে সময়ের বিভীষিকাময় কটি দিন। আমি বাসা ছেড়ে অন্যত্র গিয়েছি, কিবরিয়া সাহেব আমার সঙ্গে। সেই একাত্তরেই নিঃসঙ্গতা কাটালেন কিবরিয়া সাহেব। নিঃসঙ্গ জীবনের একজনকে জীবনসঙ্গিনী করে নিলেন। গ্রাফিক ডিজাইনার আঞ্জুম কিবরিয়া, বড় ছেলে নাশরিদ ও ছোটজনকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। হাসপাতালে বারবার ডাকছেন ছেলেকে, ‘বাবু, আমাকে বসিয়ে দাও। বাবু, আমাকে শুইয়ে দাও।’ সবার স্নেহ, ভালোবাসা ও ভক্তি উপেক্ষা করে কিবরিয়া সাহেব চলে গেলেন। বাংলাদেশের শিল্পভুবন, সমগ্র সাংস্কৃতিক ভুবন আজ শোকাচ্ছন্ন, অন্ধকারাচ্ছন্ন।

    লিন্ক : মূর্ত-বিমূর্তের কবি

  9. মাসুদ করিম - ৯ জুন ২০১১ (১২:২৯ অপরাহ্ণ)

    এইমাত্র পাওয়া খবর : মকবুল ফিদা হুসেন প্রয়াত। লিন্ক এখানে।

  10. মাসুদ করিম - ১৩ জুন ২০১১ (৪:৫২ অপরাহ্ণ)

    তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তি এবারের সাধারণ নির্বাচনেও পরাজিত হয়েছে, রক্ষণশীল জাস্টিস পার্টি প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে — যাদের ভোট জেতার মূলমন্ত্র হিসাবে কাজ করেছে অর্থনৈতিক উদারনীতি। ভোটের বিস্তারিত ফলাফল দেখুন এখানে

    এবারের এই বিরাট জয় জাস্টিস পার্টিকে সংবিধান সংশোধনেরও ম্যান্ডেট দিয়ে দিল। তাই ভোট জয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী এরদোগান বললেন তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যলঘিষ্ঠ সবার জন্য একটি উদার সংবিধান প্রণয়ন করবেন।

    We will make a liberal constitution altogether. The east, the west, the north and the south will find themselves in this constitution.

    This new constitution will be addressed to every single individual in Turkey. In the new constitution, every citizen will be “the first.” This constitution will focus on peace. This constitution will be the constitution of the Kurd, of Turkmen people, of Alevis, of all minorities, which means all 74 million people. This constitiution will be for fraternity, for sharing, for unity and solidarity.

    এখানে পড়ুন : AKP will embrace all, Erdoğan says

  11. মাসুদ করিম - ১৩ জুন ২০১১ (৭:১৯ অপরাহ্ণ)

    ব্যাঙ গবেষক সাজিদ আলী হাওলাদারের সাক্ষাৎকারের লিন্ক দিয়েছিলাম এখানে ফেব্রুয়ারি ২০১১তে। আজ জানতে পারলাম তার দ্বারা আর বংলাদেশে থাকা মনে হয় সম্ভব হবে না, কারণ গবেষণায় আশানুরূপ সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা তিনি পাচ্ছেন না।

    গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ ছাড়া আর কী প্রয়োজন? এই প্রশ্ন করলে সাজিদ উত্তরে বলে, না, টাকার প্রয়োজন নেই আমার। আমি সারা বাংলাদেশটা ঘুরতে চাই। রেলওয়ের ইঞ্জিন ড্রাইভার যেমন বিনা খরচে ট্রেনে করে দেশ ভ্রমণ করে ফেলতে পারেন, আমি সেরকমই সুযোগ চাই। আমি বাংলাদেশের যে কোনো বনে যে কোনো সময় প্রবেশের অনুমতি চাই। আমি বন মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানাই। তারা জানায়, আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয় রেকোমেন্ড করলে বন মন্ত্রণালয় আমাকে অনুমতি দেবে। কিন্তু দুঃজনক হলো আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। উল্টো আমার অনেক শিক্ষক আমাকে কটাক্ষ করে। এক শিক্ষক তো আমাকে বলেই ফেলেছেন, ‘ঘোড়ার চাইতে গাড়ি আগে দৌড়ালে তো হবে না’। মোট কথা কেউ আমার কাজ নিয়ে খুশী নন। তারা সবসময় বলে পড়াশোনা শেষ করো তারপর গবেষণা করো। কিন্তু আমি তো পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা করতে চাই। আর আমি তো গবেষণায় অনেক সফলতা পেয়েছি। তাই আমাকে কেনো জটিলতায় পড়তে হচ্ছে সেটাই বুঝে উঠতে পারলাম না। আর অর্থ তো দরকার। ফরমালিন-অ্যালকোহল প্রয়োজন। তাই অর্থও প্রয়োজন।

    ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছে সজিদ? এমন প্রশ্ন করলে সাজিদ একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে, আমি কাজ করতে চেয়েছি। দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। আমি দেশকে দিতে চাই। কিন্তু দেশ আমার কাছ থেকে নিতে চায় না। তাই চিন্তা করছি দেশের বাইরে চলে যাবো। দেশের বাইরে গবেষণার অনেক সুযোগ আছে। আমি এখন পর্যন্ত যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার থিসিস পাঠিয়েছি, সবাই পড়ে মুগ্ধ হয়ে আমাকে তাদের সাথে কাজে নেবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নিজের দেশে আমার প্রতি সবাই আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। তাই কষ্ট হয়। আমার দেশেই সম্ভব ছিল অনেক কিছু করার। আমি প্রকৃতির বিপদের পূর্বাভাস দেওয়ার বিশ্বস্ত প্রাণী ব্যাঙ নিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলামও বলব না। আমি এখনও চাই।

    খবরের লিন্ক : ব্যাঙ গবেষক সাজিদের গল্প

    এভাবেই কি আমরা সবাইকে হারাতে থাকব আমাদের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গন থেকে। গবেষণার প্রতি এত অনীহা থাকলে কি এগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায়? গবেষণাহীন ভাবে চলতে চলতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন ডিগ্রিধারী ও ডিগ্রিপ্রত্যাশীদের ক্লাব হয়ে উঠেছে। এই প্রচলিত মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন না হয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ড্রেজিংহীন নদীর চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

  12. মাসুদ করিম - ১৪ জুন ২০১১ (৮:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    চট্টগ্রামে আকাশের মুখ যেরকম ভার হয়ে আছে আজ সকাল থেকে — জানি না আমরা চট্টগ্রামের লোকেরা এই বিরল ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পারব কি না — আগামী কাল ১৫ জুন একই রাতে পূর্ণিমা ও অমাবস্যা উপভোগের এই মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে পূর্ণিমার রাতে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সুযোগে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এই পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। বুধবার রাত বাংলাদেশ মান সময় ১২ টা ২২ মিনিট ( ইংরেজি সময় অনুয়ায়ী বলতে হয় বৃহষ্পতিবার ভোর ১২ টা ২২ মিনিট) থেকে ধীরে ধীরে চাঁদের আলো কমতে কমতে ১টা ২২ মিনিটে নেমে আসবে ঘোর অমাবস্যা, অর্থাৎ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে এবং চলবে ৩টা ০২ মিনিট পর্যন্ত। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আংশিক গ্রহণ চলবে ০৪ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আবার পূর্ণিমার রাতে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের এই বিরল ঘটনা দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকে।

    খবরের লিন্ক এখানে

    • মাসুদ করিম - ১৫ জুন ২০১১ (২:১৮ অপরাহ্ণ)

      বুধবার রাত ১১টা ২৪ মিনিটে শুরু হবে গ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায়। রাত ১২টা ২৩ মিনিটে শুরু হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।

      শাহজাহান মৃধা বলেন, “চন্দ্রগ্রহণের পূর্ণতা পাবে রাত ২টা ১২ মিনিটে, যা একশ মিনিট স্থায়ী হবে। ভোর ৪টা ২ মিনিটে পূর্ণ গ্রহণ এবং ৫টায় শেষ হবে উপচ্ছায়া পর্যায়।”

      পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণে ‘অনুসন্ধিৎসু চক্র’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার প্রাঙ্গণে বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সারারাত ক্যাম্প পরিচালনা করবে। এই ক্যাম্প সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

      লিন্ক এখানে

      কলকাতার হিসাবে আর বাংলাদশের হিসাবে দেখি গন্ডগোল হচ্ছে। কলকাতার হিসাবে ১২:৫২ সাথে ৩০ মিনিট যোগ করে আমি পাচ্ছি ০১:২২। কিন্তু বাংলাদেশ বলছে ০২:১২ — কিছু একটা গরমিল হচ্ছে। আর ০২:১২ থেকে ০৪:০২ পর্যন্ত ১১০ মিনিট হয়ে যাচ্ছে, ১০০ মিনিট হচ্ছে না। আবার ০১:২২ থেকে ০৩:০২ ঠিক ১০০ মিনিটই হচ্ছে।

      • মাসুদ করিম - ১৬ জুন ২০১১ (১:২৪ পূর্বাহ্ণ)

        চাঁদ গ্রহণের আড়ালে না মেঘের আড়ালে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আকাশ জুড়ে মেঘেরা হন্তদন্ত হয়ে ছুটছে। চট্টগ্রামে আমরা কি বঞ্চিত হয়ে গেলাম?

        • মাসুদ করিম - ১৬ জুন ২০১১ (১:৪০ পূর্বাহ্ণ)

          গ্রহণটুইটে টুইটারও জর্জরিত,over capacity, গোমড়ামুখো আকাশের দোষে আমার চট্টগ্রাম গ্রহণবর্জিত!

          • মাসুদ করিম - ১৬ জুন ২০১১ (১:৫০ পূর্বাহ্ণ)

            অপেক্ষা সার্থক, আকাশ পরিস্কার, দেখা যাচ্ছে গ্রহণ লাগা চাঁদ। গ্রহণের চট্টগ্রাম!

  13. মাসুদ করিম - ১৪ জুন ২০১১ (৬:০৯ অপরাহ্ণ)

    আজ ১৪ জুন মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ১৪ বছর হল। ১৯৯৭ সালের এই দিনে মাগুরছড়া মার্কিন কোম্পানি অক্সিডেন্টালের গ্যাস অনুসন্ধান কূপে আগুন লেগে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয় বাংলাদেশ। এই ১৪ বছরে ওই মার্কিন কোম্পানির কয়েক হাত বদল হলেও আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে কিছুই করতে পারিনি।

    আজ কমলগঞ্জে মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির চৌদ্দতম বার্ষিকী। এই দীর্ঘ সময়েও আদায় হয়নি সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে চলছে টালবাহানা। উপজেলার ব্যক্তিমালিকানাধীন ফুলবাড়ি চা বাগানের তিন একর ভূমিতে মার্কিন অক্সিডেন্টাল কোম্পানি মাগুরছড়ার এক নং অনুসন্ধান কূপ খননে ড্রিলিং কাজের আটশ’ পঞ্চাশ মিটার গভীরে ঢোকামাত্র ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন রাত ১টা ৪৫ মিনিটে বেস্না আউট হয়ে গ্যাসের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় পাঁচশ’ ফুট উচ্চতায় উঠে আগুনের শিখা। দগ্ধ হয় মৌলভীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের মাগুরছড়া চৌদ্দ নং গ্যাস বস্নক, সংরক্ষিত লাউয়াছড়াসহ অন্যান্য বনাঞ্চল, বৈদ্যুতিক লাইন, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি ও ফুলবাড়িসহ ছোট-বড় ১৩টি চা বাগান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিলেট-আখাউড়া রেলপথ, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কপথ। এছাড়া পরিবেশ, বনাঞ্চল, পিডিপি, পল্লী বিদ্যুৎ, পানপুঞ্জি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অনেক চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি মার্কিন কোম্পানি বদলি হলেও আজও আদায় হয়নি পরিবেশ ও গ্যাসের ক্ষতিপূরণ। এর মধ্যে শেভরন মৌলভীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের কমলগঞ্জে ফের কূপ খনন শুরু করেছে। সরকারি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অসঙ্গতির পাশাপাশি তা বহুল প্রচারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ১৯৮৪-৮৬ ও ১৯৯৪ সালে সাইসলিক সার্ভেতে গ্যাস মজুদের সন্ধান পাওয়ায় উৎপাদন ভাগাভাগির চুক্তিতে ১৯৯৫ সালের ১১ জানুয়ারি মার্কিন বহুজাতিক তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানি অক্সিডেন্টালের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে গ্যাস উত্তোলনের জন্য ৬শ’ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমতি প্রদান করা হয়। অক্সিডেন্টাল গ্যাস ফিল্ডের ড্রিলিং কাজের জন্য সাব-লিজ প্রদান করে জার্মান কোম্পানি ডিউটেককে। গ্যাস উত্তোলনে চৌদ্দ নং বস্নকের মাগুরছড়ায় মৌলভীবাজার এক গ্যাসকূপ খননকালে ৮শ’ ৫০ মিটার গভীরে যেতেই ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে উদ্গীরিত গ্যাসের উৎসমুখ সিল করা হয় ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি। এ সময় মাটির নিচে থাকা ২৪৫ বিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস পুড়ে নষ্ট হয়। যার বাজারমূল্য পঞ্চাশ কোটি ডলার। অক্সিডেন্টাল তাদের সহোদর ইউনোকলের কাছে শেয়ার হাতবদল করে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। দুই বছর পর ফুলবাড়ী চা বাগান, পার্শ্ববর্তী মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির বাড়িঘর ও পান জুম এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বাবদ আংশিক টাকা প্রদান করে ইউনোকল। অন্যদিকে সামাজিক বনায়নের জন্য দশ লাখ টাকা, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাস মালিক সমিতিকে পঁচিশ লাখ টাকা এবং বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও গ্যাস বাবদ কোন ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়নি।
    দুর্ঘটনার পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহফুজুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঁচশ’ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করলেও আজ পর্যন্ত তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। গত বছরের ২৪ মে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীর মাগুরছড়ার ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর ৮০.৩০ কোটি টাকা হিসাবে একশ’ দশ বছরে বনাঞ্চলের পরিবেশগত ক্ষতি দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। বনাঞ্চলের আংশিক ক্ষতির পরিমাণ হিসাবে ৮ হাজার একশ’টি গাছ দেখানো হয়। বলা হয়, ২২.৫০ হেক্টর ভূমির এ ক্ষতি থেকে উদ্ধার পেতে সময় লাগবে ২০ বছর। যার ক্ষতি ৫০৭.১২ কোটি টাকা। বনাঞ্চলের সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ধরা হয়েছে চলি্লশ হেক্টর ভূমি এবং পনেরো হাজার চারশ’ পঞ্চাশটি গাছ। এ ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার পেতে সময় লাগবে দশ বছর। বনাঞ্চলের মোট ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বিস্ফোরণে গ্যাস পাইপলাইনের ক্ষতি ৩ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা (রাজস্ব ব্যতীত), চা বাগান ৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, রেলওয়ের কাঠসহ অন্যান্য জিনিসের ক্ষতি ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৫ টাকা (রাজস্ব ব্যতীত)। সড়কপথের ক্ষতি ২১ কোটি টাকা (রাজস্ব ব্যতীত), পিডিবি এক কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা (রাজস্ব ব্যতীত), পল্লী বিদ্যুৎ এক কোটি ৮১ লাখ (রাজস্ব ব্যতীত)। এছাড়া পানপুঞ্জির ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়।
    তদন্ত রিপোর্টের ৮, ৪, ৬ ও ৮, ৬ অনুচ্ছেদে ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ ও পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দেয়া হলেও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। গ্যাস রিস্ফোরণে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির চৌদ্দ বছরের প্রাক্কালে গ্যাস ও পরিবেশগত কোন ক্ষতি প্রদান করা হয়নি। বনের জীববৈচিত্র্য, মাটি, পানি ও পশুপাখির ক্ষতির কথা রিপোর্টে থাকলেও পরিমাণ উল্লেখ নেই এবং আরও কিছু বিষয়ে রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। ইউনিকল মাগুরছড়ার পরিত্যক্ত কূপ এলাকার প্রায় তিনশ’ গজ পশ্চিমে একটি ও জেরিন চা বাগানের অভ্যন্তরে একটি কূপ খনন শেষে গ্যাস উত্তোলন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে কালাছড়া গ্যাস কূপের সঙ্গে সংযুক্ত করে জাতীয় গ্যাস গ্রিড লাইনে সরবরাহ করছে। মাগুরছড়া ক্ষতিপূরণ আদায় জাতীয় কমিটির সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান জানান, মূল দাবি পরিবেশগত ক্ষতিপূরণের জন্য হলেও সে ব্যাপারে মার্কিন কোম্পানিগুলোর উদাসীনতায় তা আদায় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া কোন সরকারই আন্তরিক হয়ে ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা করেনি।
    সরজমিনে দেখা যায়, গ্যাস কূপ বিস্ফোরণে পরিত্যক্ত মাগুরছড়া এলাকার টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। মূল কূপ এখনো পুকুরের মতো ধারণ করে টিকে আছে। চতুর্দিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। টিলার ওপর সবুজ বনায়নের উদ্যোগ নিলেও মাঝে মাঝে আগুনে পোড়া মাথাভাঙা ডালপালাবিহীন কালো রঙের গাছগুলো দুর্ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় শেভরন লাউয়াছড়ার আশপাশে নতুন করে গ্যাস কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। যে কারণে কমলগঞ্জবাসী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির দেয়া এক রিপোর্টে বলা হয়, লাউয়াছড়া রিজার্ভ ফরেস্টের ৮৭ দশমিক ৫০ একর এলাকা গ্যাসের আগুনে ক্ষতি হয়। সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ দশমিক পঞ্চাশ একর এলাকা। সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ একরে ৪.৭৫ ঘনফুট গাছ-গাছালি, ৫৫ হাজার ২শ’ পূর্ণ বয়স্ক বাঁশ এবং এক লাখ পনেরো হাজার অপ্রাপ্ত বয়স্ক গাছ পুড়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া ২৬ একরের বড় আকৃতির অনেক দামি গাছ সম্পূর্ণ ও আংশিক পুড়ে যায়। একইভাবে ৪১.৫০ একরের ২২.৮২৫ ঘনফুট গাছ-গাছালিরও আংশিক ক্ষতি ধরা হয়। সব মিলিয়ে পুড়ে যাওয়া গ্যাস, ক্ষতিগ্রস্ত বন ও পরিবেশের বিশাল ক্ষয়ক্ষতি আদায়ে মার্কিন কোম্পানির টালবাহানায় মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণের চৌদ্দ বছরে তিনটি কোম্পানি হাতবদল হলেও পুুরো ক্ষতিপূরণ আদায়ে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।
    দিবসটি স্মরণে আজ সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে মাগুরছড়ার গ্যাসসম্পদ ও পরিবেশ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ আদায় জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, এগারো দল, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়ন, জাতীয় কৃষক সমিতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ ও তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

    খবরের লিন্ক এখানে

  14. মাসুদ করিম - ১৯ জুন ২০১১ (২:৪৯ অপরাহ্ণ)

    খারাপ তালেবান ভাল তালেবানের কথা আমরা শুনেছি — কিন্তু কারা খারাপ কারা ভাল নির্ধারিত হয়েছে কি না আমাদের জানা নেই — অবশ্য তার আগেই নতুন খবর, তালেবানের সাথে আলোচনা শুরু করেছে আমেরিকা। হামিদ কারজাই এটাই চাইছেন, আমেরিকাও এটাই চাইছে, পাকিস্তান সৌদি আরবও তাই চাইছে। তাহলে কি তালেবানরাই জয়ী হল — আফগানিস্তান তালেবানেরই হচ্ছে?

    Goes without saying this is the most positive news to have come out of Afghan front in 10 years, although this is early days yet and what could be described as talks about talks. This war should never have happened in the first place. The Taleban had nothing to do with the 9/11 terror strikes that ostensibly triggered off America’s so-called war on terror and the invasion of Afghanistan.

    The only crime that the Taleban, in power when the two planes hit the World Trade Center twin towers, could be accused of was sheltering Osama Bin Laden and his band of extremists. The Taleban, of course, refused to turn over the Al-Qaeda chief. They would rather give up power than betray their guests, in keeping with the Afghan tradition and code of Pakhtunwali.

    The rest of course, as they say, is history. As a consequence, the Taleban were driven out of power by the “coalition of the willing.” However, as the US and its ever-willing allies have found out over the past decade, the unseating of the Taleban regime was the easy part. The conclusive defeat of the insurgency and effective imposition of its writ over Afghanistan is a goal that has eluded the West despite the awesome military muscle and resources at its disposal. This is why for quite some time now there have been repeated calls by many in the West for dialogue with Taleban. President Karzai himself has been a passionate votary of engaging the “insurgents” who still command massive public support, especially among the majority Pashtuns.

    বিস্তারিত পড়ুন : Talking to Taleban

    সৌদি আরবের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ‘Arab News’ তো উপরের সম্পাদকীয়তে তালেবানকে একেবারেই নির্দোষ ঘোষণা করে দিল — বুঝিয়ে দিল ভাল খারাপ তালেবান বলে কিছু নেই, সব তালেবানই ভাল — দোষের মধ্যে একমাত্র লাদেনকে আশ্রয় দেয়া ছাড়া আর কোনো দোষ করেনি তালেবানরা, তো সেই লাদেনকে তো আমেরিকা মেরেই ফেলেছে তাহলে এখন আফগানিস্তানের রক্ষাকর্তা ও জনপ্রিয় তালেবানদের হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দেয়াই এখন আমেরিকার করণীয় হওয়া উচিত। চীনও তো চায় আফগানিস্তান তালেবানদের হাতেই যাক। বাকি রইল রাশিয়া, ভারত ও ইরান — এরা তিনজনেই কি তাহলে আফগানিস্তানে হারছে?

  15. মাসুদ করিম - ২০ জুন ২০১১ (২:২২ অপরাহ্ণ)

    বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের শারীরিক ঝুঁকি, গ্রাফিক্সে দেখুন এখানে

  16. মাসুদ করিম - ২১ জুন ২০১১ (১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    বরিশাল, কলকাতা ও ঢাকা এই তিন শহরে তার কর্মজীবন কেটেছে : নারীশিক্ষা, সাহিত্য ও গণ আন্দোলন এই ছিল তার কাজ — এই মহান কর্মী জন্মেছিলেন ২০ জুন ১৯১১ সালে, উদযাপিত হচ্ছে তার জন্মশতবর্ষ।

    কিন্তু আমাদের রক্ত-মাংস অস্থিমজ্জায় যে ভাষা মিশে গেছে তা বাংলা। বাংলার ভাষা বাংলার আকাশ-বাতাস-মাটি-পানিতে এ দেহ পুষ্ট। এর প্রকৃতির শোভায় চোখ জুড়ায়। এর গানে সুরে সংস্কৃতিতে আমাদের গৌরব, একে ছাড়া কি বাঁচা যায়? বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন পৃথিবীর বুকে এক নতুন ইতিহাস।

    যথার্থই বলেছেন জননী সাহসিকা সুফিয়া কামাল। গান্ধীর চরকা কাটা, ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদযাপন, অসহযোগ আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধ পরবর্তী নারী আন্দোলন ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ফতোয়াবাজ ও ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান ও নিরন্তর সাহিত্যচর্চা এসব কিছু এক জীবনে করেছেন সুফিয়া কামাল। এমন নিবেদিত প্রাণ কর্মীর হাত ধরে আমাদের নারী আন্দোলন চলেছে বলেই এখনও নারীপ্রগতির অর্জন যৎসামান্য হলেও এই সামান্য অগ্রগতির বিশাল কর্মকাণ্ডে বড় অবদান নিঃসন্দেহে সুফিয়া কামালের। আমাদের সমাজে যে নারীশিক্ষা ও নারীস্বাস্থ্যের বড় অগ্রগতি হয়েছে সুফিয়া কামাল ছিলেন এই অর্জনের প্রধান প্রাণশক্তি। আজ তার জন্মশতবর্ষে সত্যিই আমরা গৌরব বোধ করছি এরকম একজন কর্মবীর আমাদের দেশে জন্মেছে বলে।

    পড়ুন শ্যামলী গুপ্তের শ্রদ্ধাঞ্জলি : বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে

  17. মাসুদ করিম - ২২ জুন ২০১১ (৬:০২ অপরাহ্ণ)

    বান কি মুন দ্বিতীয় বারের মতো জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

    The 192-member General Assembly made the appointment after adopting a resolution by acclamation at a plenary session here on the basis of a decision of the UN Security Council to recommend Ban to the top UN post for a second term. The 15-nation Security Council made the recommendation on June 17.

    Under the UN Charter, the secretary-general is appointed by the General Assembly upon the recommendation of the Security Council.

    থবরের লিন্ক এখানে

  18. রেজাউল করিম সুমন - ২৩ জুন ২০১১ (৫:০২ পূর্বাহ্ণ)

    Google Translate বা গুগল অনুবাদ-এর অগ্রযাত্রার কথা লিখেছেন রেজওয়ান, সচলায়তনে। পড়ুন : গুগল অনুবাদ, হাস্যকর নয় মোটেই

  19. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১১ (১:২০ অপরাহ্ণ)

    গাড়ি চালানোও আন্দোলন, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ — সেই নিষেধ অমান্য করে একজন মহিলা যখন তার গাড়ি চালানো ভিডিও করে ইন্টারনেটে সেই ক্লিপ ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর পর থেকে নিয়মিত নারীরা গাড়ি চালিয়ে আন্দোলন করছে সৌদি সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে।

    One of the women joining the latest protest said she and her mother were spotted driving and were stopped after turning the wheel over to their male companion. Sara Al-Khalidi said the policeman didn’t seek to make an arrest and privately urged them to drive at night to avoid drawing attention.

    She said that “people encourage me when they’ve seen me driving these last few days.”

    Azza Shamassi, in her thirties, said she had driven her car Wednesday, just as she has done “everyday since last Friday,” despite a harassing message stuck to the windscreen of her car.

    The handwritten note read, “Plz do not drive” on one side and carried an insult on the other, witnesses said.

    “This threat will not stop me,” Shamassi said.

    পড়ুন : Two Saudi women drive in Riyadh

  20. ঈশিতা - ২৪ জুন ২০১১ (৯:০১ পূর্বাহ্ণ)

    পড়ুন আনু মুহাম্মদের লেখা : কনোকো ফিলিপসের সঙ্গে চুক্তি : আধিপত্য ও প্রতিরোধের নতুন পর্বে বাংলাদেশ।

    • মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১১ (২:৩২ পূর্বাহ্ণ)

      l ১৫.৫.৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ যদি সমুদ্রের ১৭৫ মাইল দূরের গ্যাস ক্ষেত্র পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিবহন ব্যবস্থা (পাইপলাইন) স্থাপন করে তাহলেই কেবল বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলা তার অংশের প্রফিট গ্যাস রাখার অধিকার প্রাপ্ত হবে, তবে তা কোনোমতেই মোট প্রাপ্ত গ্যাসের ২০%-এর বেশি হবে না। উল্লেখ্য, পাইপলাইন তৈরি করতে বাংলাদেশের যে খরচ লাগবে তা কনোকো ফিলিপসের প্রাথমিক বিনিয়োগের তিনগুণ বেশি।

      l ১৫.৫.১, ১৫.৫.৪, ১৫.৫.৫, ১৫.৬ ধারায় বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে কন্ট্রাক্টর ১৫.৫.২ ধারায় বর্ণিত হিসাব অনুসারে কন্ট্রাক্টর চুক্তিকৃত এলাকায় উৎপাদিত যে কোনো পরিমাণ মার্কেটেবল গ্যাস বাংলাদেশের অংশসহ এলএনজি বা তরলায়িত করে রফতানির অধিকার পাবে

      এই এলএনজির ব্যাপারটি মনে হয় বেশ জটিল। কন্ট্রাক্টর গ্যাস উত্তোলন করার পর এলএনজি কোথায় হবে? অফশোরেই কি এলএনজি করা সম্ভব? নাকি সে গ্যাস দেশে কোনো প্ল্যান্টে এনে তারপর এলএনজি করতে হবে। যদি গ্যাস দেশে কোনো প্ল্যান্টে এনে এলএনজি করতে হয় তাহলে পাইপলাইন কে করবে? আর যদি অফশোরেই গ্যাস এলএনজি করা যায় তাহলে আর পাইপলাইনের কী দরকার? এলএনজি পরিবহনের জাহাজ দিয়েই তো তা বন্দরে পৌঁছে দেয়া যায়। ঠিক এব্যাপারটা কেউ স্পষ্ট করছে না — না সরকার, না রক্ষা কমিটি।

      ভিন্ন আর এক ধরনের দেশ আছে। যেমন- ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া। যে সব দেশ আগে আফ্রিকার মতো অবস্থায় পড়েছিল, এখন তারা একটা রাজনৈতিক এবং জনগণের শক্তির ওপর বলিয়ান হয়ে জনগণের জায়গা, ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার জন্য তাদের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা করতে গিয়ে বিদেশী কোম্পানিগুলোকে সেখানে বাধ্য করছে তাদের শর্তে (টার্মস এন্ড কন্ডিশন) নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর করতে কিংবা যদি তারা তাদের শর্তে না আসে সেখান থেকে বের করে দিচ্ছে। কনোকো ফিলিপস এভাবেই ভেনেজুযেলা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে, বহিষ্কারের পর তারা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে। কিন্তু পরাজিত হয়েছে।

      আনু মুহাম্মদ উপরে যা লিখেছেন তাকে অনুসরণ করলে তাদেরও রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের দিকেই যেতে হবে। সেকাজ কি তারা করছেন? দুয়েকটি হরতাল ডাকলেই সেকাজ হবে? নাকি রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের কঠিন পথে চলার মতো নেতৃত্ব ও রাজনীতি নির্মাণের চেষ্টা করতে হবে? সেচেষ্টা করার সামান্যতম প্রচেষ্টা তো তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। ছিন্নভিন্ন বাম শক্তির ‘যত বাম তত দল’ দিয়ে কি কোনো সমস্যার সমাধান হবে?

  21. মাসুদ করিম - ২৪ জুন ২০১১ (২:০৮ অপরাহ্ণ)

    আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই প্রেসিডেন্ট ওবামার তার দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

    Afghan President Hamid Karzai on Thursday welcomed U.S. President Barack Obama’s plans for a U.S. troops drawdown and said it’s a sign that Afghanistan is ready to take control of security in the war-torn nation.

    “The number of troops that he has announced to be withdrawn is a sign that Afghanistan is taking over its own security and is trying to defend its territory by its own means,” Karzai said. “So we are happy about the announcement.”

    Obama announced Wednesday night that 10,000 U.S. troops would leave Afghanistan this year and all 33,000 forces sent as part of a 2009 surge would return home by the summer of 2012.

    ফরিদ জাকারিয়ার সাথে হামিদ কারজাইয়ের সাক্ষাৎকারের লিন্ক ও বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  22. মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১১ (১২:৪৭ অপরাহ্ণ)

    এই লোকটির কথা ভুলেই গিয়েছিলাম, জনকণ্ঠের শংকর কুমার দেকে ধন্যবাদ এই লোকটির কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ও এই লোকের উত্থানের অনুপুঙ্খ জানানোর জন্য।

    শংকর কুমার দে ॥ বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব দোর্দ- প্রতাপশালী হারিছ চৌধুরীর গত পাঁচ বছর ধরে অন্তর্ধান রহস্যের কূলকিনারা করতে পারছে না গোয়েন্দারা। রাজনৈতিক অঙ্গনে বাঘে মোষে এক ঘাটে পানি খেত যার দাপটে সেই হারিছ চৌধুরী বিএনপি-জামায়াতের হাইকমান্ডের নির্দেশে অন্তর্ধানে চলে গেছেন কি না সেই ব্যাপারে তদনত্ম করে দেখা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে দেশে জঙ্গী উত্থান, মদদদান, গ্রেনেড-বোমা হামলা ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পরিচিতি তিনি। এসব ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তদনত্ম করছে গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ পর্যায় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
    দেশের স্বাধীনতার পর বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক নেতার এমন অনত্মর্ধানের রহস্যময় ঘটনা বিরল ও নজিরবিহীন। বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে জঙ্গী উত্থান, মদদদান, গ্রেনেড-বোমা হামলা ও রাজনীতিকদের হত্যাকা-ের নেপথ্য নায়ক বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ৰমতার রিমোট কন্ট্রোল তার হাতে ছিল। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাসহ অন্যান্য গ্রেনেড-বোমা হামলার ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে খোঁজ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাসহ তদনত্মকারীরা। প্রকৃতপৰে তিনিই এসব ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কিনা গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে তার খোঁজখবর নিয়েছেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমনকি তাকে গত ৫ বছরে দেখেছে এমন প্রত্যৰদর্শীকেও খুঁজে পায়নি গোয়েন্দারা।
    ওয়ান ইলেভেনের সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানী ঢাকার গুলশানের আলিশান বাড়ি, দামী গাড়ি, শখের হরিণ, বিষয়সম্পত্তি সবকিছু ফেলে পালিয়ে যান তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তার হদিস করা হয়। তখন গুজব ছিল তিনি গ্রামের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে সীমানত্মের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে নানার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন। ওয়ান ইলেভেনের ঝড়ে পতিত সবাই পরে একে একে ঘরে ফিরেছেন। শুধু ফিরেননি হারিছ চৌধুরী।
    সীমানত্মের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জেও খোঁজখবর নিয়েছেন গোয়েন্দারা। সেখানেও তাঁর হদিস মেলেনি। তারপর মনে করা হতো ভারতে না হলে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি। সেসব দেশেও তাঁর সন্ধান করা হয়েছে। এমনকি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফরকালেও তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গোয়েন্দা সংস্থা তো বটেই, এমনকি দলীয় নেতাকর্মীদেরও প্রশ্ন হারিছ চৌধুরী আসলে কোথায়?
    কিবরিয়া হত্যাকা-ের পর হারিছ চৌধুরীর দিকেই সন্দেহের তীর ছুড়েছেন অনেকেই। তাঁর রহস্যময় অনত্মর্ধান এই সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করে তুলেছে। দোর্দ- প্রভাবশালী এই রাজনৈতিক সচিবের নির্দেশেই হবিগঞ্জের তৎকালীন পুলিশ সুপার বদলি, হত্যা তদনত্মের পুলিশ কর্মকর্তা রদবদলের ঘটনা ঘটে। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে এই হারিছ চৌধুরীই দেশের প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করতেন। মাঠ প্রশাসন বিশেষ করে সিলেট বিভাগের প্রশাসন চলত তারই অঙ্গুলি হেলনে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাঁধে বন্দুক রেখে নানা অপরাধ সংঘটিত করার নেপথ্য নায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার অভিযোগ আছে।
    বাবরের রিমান্ড ও জেলজীবন তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, দেশে ফিরলে কী হতে পারে তার করম্নণ পরিণতি। তাই তাঁর দল ও দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি-জামায়াত দাপটের সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করা এই মানুষটি স্বেচ্ছানির্বাসন বেছে নিয়েছেন। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সম্পূরক চার্জশীটে একুশ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয় তার নেপথ্যে হারিছ চৌধুরীর নাম থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেনাশাসক সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জকিগঞ্জ সফরকালে বেসরকারী কলেজের শিক্ষক হারিছ চৌধুরীর বক্তৃতা শুনে তাঁকে দলে টানেন। ঢাকায় এসে যুবদল করে নানা তদ্বির, ফন্দিফিকিরে শুরম্ন হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। এরশাদ জমানায় শাহজাহানপুরে ছোট্ট দ্বিতল ফার্নিচারের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে বিজয়নগরে আশা কার ভিশন নামে গাড়ির শোরম্নম খোলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আহাদ চৌধুরীর ভাই খসরম্ন চৌধুরী ছিলেন তাঁর পার্টনার। সে সময় এক ব্যাংক কর্মকর্তার বদলির তদ্বিরে গিয়ে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের কাছে নাজেহাল হন তিনি। ‘৯১ সালের নির্বাচনে তাঁর গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জ আসনে ধানের শীষ নিয়ে প্রার্থী হয়ে জামানত হারান। এরশাদের বন্যার সময় তাঁর শরীরে ভয়াবহ চর্মরোগ দেখা দিলে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে চিকিৎসা সঙ্কটে পড়েন। সে সময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস পয়সাকড়ি দিয়ে চিকিৎসা করান তাঁকে। ২০০১ সালে নির্বাচনের সময় তিনি বিএনপির হাওয়া ভবনের মন জয় করেন। নির্বাচনের পর বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে হারিছ চৌধুরীর নতুন চেহারায় রাজনৈতিক সচিব হিসেবে আবির্ভাব ঘটে। প্রায় প্রতিটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার জনসভায় তাঁকে বক্তৃতা করতে দেখা যেত। তখন অনেক মন্ত্রী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও তাঁর মন যুগিয়ে চলতেন, তটস্থ থাকতেন। রাতারাতি বিত্তবৈভবের জৌলুসপূর্ণ জীবনের অধিকারী হন হারিছ চৌধুরী। দেশে বিশাল সম্পদের মালিক হন। লুটপাটের টাকায় যুক্তরাজ্য বিএনপির রিক্ত নিঃস্ব এক নেতার নামেই পাঁচটি রেস্টুরেন্ট করে রেসত্মরাঁ ব্যবসা চালু করান। কিনেন মূল্যবান বাড়ি। ওয়ান ইলেভেনের বিপর্যয় কেটে যাওয়ার পর কী নির্বাচন, কী দলীয় কাউন্সিল কোন কিছুতেই খবর নেই হারিছ চৌধুরীর। তাই বিএনপির কমিটি থেকেও কাউন্সিলে মুছে যায় হারিছ চৌধুরীর নাম।
    ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী সংবলিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনকালে হলভর্তি দর্শক-শ্রোতা প্রত্যক্ষ করেন হারিছ চৌধুরীর নামসহ এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ছবি। এটিএন, চ্যানেল আইসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন এ তথ্যচিত্রের খবর প্রকাশ করার সময়ে দেখা যায়, মুফতি হান্নান নিজের মুখে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিসত্মারিত বিবরণ দিচ্ছেন তার জবানবন্দীতে। জবানবন্দীতে হুজি প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে। তাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যাবে না। এমন সিদ্ধানত্ম হয় ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট হাওয়া ভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে। হাওয়া ভবনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র তারেক রহমান, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং ফ্রিডম পার্টির মেজর নূর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী।
    গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, মানুষ জানুক না-জানুক হারিছ চৌধুরী তো ঠিকই জানেন, তাঁর পাপের বোঝা কতটা ভারি। তাঁর কুকর্মের করম্নণ পরিণতি যে তাঁকে ভোগ করতে হবে তা জেনেই বিএনপি-জামায়াতের হাইকমান্ডের নির্দেশে তাঁকে রহস্যময় অনত্মর্ধানে যেতে বাধ্য করা হয়ে থাকতে পারে। হারিছ চৌধুরীর রহস্যময় অনত্মর্ধান প্রমাণ করে, সত্যের মৃতু্য নেই।

    লিন্ক : হারিছ চৌধুরী কোথায়

    সত্যিই, একেবারে এভাবে কি লাপাত্তা হয়ে যাওয়া যায়? কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না হারিছ চৌধুরীকে? নাকি কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাকে?

    • মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১১ (৬:৫৩ অপরাহ্ণ)

      বাংলানিউজ ২৪ ডট কমের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মুনজের আহমদ চৌধুরী লিখছেন

      সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার একজন সহকারী পরিচালক বৃহস্পতিবার বলেন, `হারিছ চৌধুরীর ব্যাপারে কয়েকটি দেশে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি ভারতে ছিলেন। এরপর তিনি সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে একাধিকবার আসা-যাওয়া করেছেন। তার স্ত্রী ও পুত্র এখন স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। আর একমাত্র কন্যা অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। এসব বিষয় সামনে রেখেই আমরা এগুচ্ছি।’

      অপরদিকে, কেন্দ্রীয় বিএনপির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সভাপতি ইলিয়াছ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেই ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে তার সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয়েছিল। এরপর আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। উনি কোথায় আছেন এ সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই নেই।’

      পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হারিছ চৌধুরীর স্ত্রী জোসনারা চৌধুরী ১৯৯৯ সাল থেকেই লন্ডনে বসবাস করেন। ছেলে নাইম চৌধুরী জনি বার-অ্যাট-ল সম্পন্ন করে সেখানেই কর্মরত রয়েছেন। মেয়ে সামিরা তানজিম হারিছ লন্ডনে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে এখন অস্ট্রেলিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল একটি বাড়িরও মালিক হারিছের পরিবার।

      উল্লেখ্য, হারিছ চৌধুরীর স্থাবর সম্পত্তির বেশিরভাগই তার ছেলে-মেয়ের নামে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের একটি মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে হারিছ চৌধুরীর। এছাড়া মানি লন্ডারিং, অবৈধভাবে গাড়ির তেল খরচ, সরকারি বাড়ি অন্যের নামে কেনা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও হাওয়া ভবন দাপিয়ে বেড়ানো এ নেতার বিরুদ্ধে।

      বিস্তারিত পড়ুন : ক্যান্সার আক্রান্ত’ হারিছ চৌধুরী কোথায়?

  23. মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০১১ (২:২৩ অপরাহ্ণ)

    কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার ৯০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামী পহেলা জুলাই, এই ৯০ বছরের মধ্যে ৬০ বছর ধরে এই পার্টি চীনের শাসক। পার্টি বলছে, সমাজতন্ত্রের পথে চীনা চরিত্রের নিরন্তর সৃষ্টিশীল শাসনপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পার্টি চীনের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘spiritual’ অবদান রেখেছে এবং এই প্রচেষ্টা সামনের দিনগুলোতেও আরো নতুন নতুন সৃষ্টিশীল কর্মপ্রচেষ্টায় অব্যাহত থাকবে — চীনের এক বিলিয়নের বেশি মানুষকে কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়নার নেতৃত্ব ও শাসন মধ্যমানের জীবনযাপনে সমর্থ করে তুলবে।

    Seeking truth from facts, serving the people wholeheartedly and changing with the times are the historical experience and spiritual wealth accumulated by the Party during its 90 years of struggle. It is the key source of the Party’s historical achievements and serves as the Party’s inexhaustible driving force in meeting challenges and looking toward the future. The Party’s status as a ruling party is neither its birth nor permanent right. Compared with the past, today’s Party still faces the tests of a new situation and new tasks.

    Internationally, the world is at a period of great development, transformation and restructuring during which the competition among various political forces is fiercer and the exchanges, convergence and competition of ideas and cultures are more frequent. This has posed higher requirements for the Party’s capacities to coordinate and cope.

    Domestically, China is still at an important strategic opportunity period during which the Party is shouldering unprecedented tough, complex and arduous tasks in promoting the reform and opening-up as well as the socialist modernization drive. As some problems within the Party are not in line with the demand of the new situation and new tasks are against the Party’s nature and tenets, it is more arduous and urgent than ever for the Party to perform the task of regulating and strictly administering itself.

    বিস্তারিত পড়ুন : China continues to collect spiritual power in its future journey

    • মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১১ (১২:১৯ অপরাহ্ণ)

      চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এখন শুধু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কমিউনিস্ট পার্টি নয়, সদস্য সংখ্যার হিসাবে — যা এখন ৮ কোটি ২৬ লক্ষ ৯ হাজার,এটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। সদস্য সংখ্যার বেশির ভাগই শ্রমজীবি ও ছাত্র। বিস্তারিত পড়ুন : চীনের কমিউনিস্ট পার্টির গরিষ্ঠ অংশই শ্রমজীবি, তরুণ

      • মাসুদ করিম - ২৮ জুন ২০১১ (৬:২৯ অপরাহ্ণ)

        জার্মানির ‘চীন বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে খ্যাত পত্রিকা ‘স্পিগেল’ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ৯০ বছর নিয়ে পাঁচ ভাগে Mao Inc শিরোনামে যে লেখাটি প্রকাশ করেছে, ওই পত্রিকার আন্তর্জাতিক পাঠকদের জন্য ইংরেজি অনুবাদটিও অনলাইন সংস্করণে এসেছে।

        Battles between the Red Army and the Kuomintang are reenacted outside twice a day. As smoke and the sound of heavy artillery fill the air, Kuomintang leader Chiang Kai-shek’s troops stage a treacherous attack on a wedding party. But Mao’s guerillas carry the day with their cunning and superior fighting spirit in this cowboys and Indians version of the Communist Party’s sage. Nevertheless, the background is dead serious. “Patriotic education is essential to our survival. The future of the party lies in the spirit of Yan’an,” Wang Yimei, the director of the brand-new history museum, says with a steady voice. An enormous statue of Mao stands guard in front of the architecturally impressive circular building. It seems almost defiant, as if the old man were trying to compete with the hypermodern television towers and skyscrapers of modern-day China.

        প্রথম ভাগ : China’s Terribly Successful Communist Party Turns 90

        China is ruled from a mysterious location that very few foreigners have seen from within. The country’s leaders operate from a shielded complex behind high, red walls. Some of the buildings date back to feudal times, while gray, utilitarian structures were added following the Communists’ victory and the proclamation of the People’s Republic in 1949. The secluded and well-guarded district in the middle of Beijing is called Zhongnanhai, or “Middle and Southern Sea.” Formerly part of the Forbidden City, Zhongnanhai was a place where emperors, concubines and eunuchs once concocted courtly intrigues.

        The Top Nine, or Permanent Committee of the Politburo of the Communist Party, the most powerful group in China, meet in the southern part of this refuge. Their meetings are businesslike and completely off-limits to the public. They are never called upon to smile for news cameras, they only appear in public together on very special occasions, and they rarely appear for more than a few minutes.

        They are nine men in dark suits, muted ties so similar that they could have been bought together at a group discount, and obviously dyed hair. No one within the ranks of China’s stiff technocrats is known for his charisma. They even clap in unison at official events. President and Communist Party General Secretary Hu Jintao, 68, has a degree in hydraulic engineering, and all but one of the members of the Permanent Committee are engineers. They have all been professional politicians for several decades, with careers that seem almost as interchangeable as their physical appearance.

        দ্বিতীয় ভাগ : A Dinosaur Which Has Learned to Adapt

        At first glance, China’s recipes for success should not be effective: five-year plans, manipulated exchange rates, no private ownership of land. But these factors represent only one side of things in the giant country. The other is an unbridled capitalism that the party manages in a thoroughly non-ideological way that includes investments in the future. For example, Beijing has increased its research and development spending by an average of 21 percent a year since 2000 (as compared with 4 percent a year for the United States). “Socialist market economy with Chinese characteristics” — the term alone underscores the Communist Party’s flexibility. And what exactly the “Chinese characteristics” are remains vague — and expandable as needed.

        “Zou Chuqu,” or “swarm out,” is the slogan the party uses to encourage the economy to acquire know-how and buy up companies abroad. The policy represents the best of both worlds, as Chinese business executives go on shopping sprees armed with loans from state banks. And in the giant country itself, the party plays the “barbarians” off against one another. Like a powerful groundskeeper, it assigns foreign companies to local partners, with which they are to modernize China’s industry.

        তৃতীয় ভাগ : Record Figures for Red China Inc.

        Wu and the party’s hardliners, such as Zhou Yongkang, the head of the Central Political and Legislative Committee, are now setting the tone. They are responsible for extreme increases in the military budget and spending on national security. The people must fear the government, or the country will fall apart, China expert McGregor has quoted a high-ranking Chinese official as saying. At the same time, it is also clear that the system still places more emphasis on enticement and career opportunities than on naked repression.

        The new urban middle class now has a lot to lose: the possibilities of social advancement, and the freedom to shop and go out, seem more appealing to many Chinese than the vague promise of democracy and the separation of powers. As long as the party achieves economic growth hovering around 8 percent, and as long as inflation (currently 5.5 percent) remains reasonably under control, little more than regional pockets of unrest are to be expected in China.

        চতুর্থ ভাগ : The Renaissance of the ‘Whore of Asia’

        The wealthiest individuals are to play a prominent role in the Communist Party, which is astonishing when one considers that businessmen, the former “class enemies,” were not permitted to join the party until 2002. One in three of China’s 189 dollar billionaires is now a party member, one in eight of the country’s super-rich holds a “significant” political advisor post, 83 are members of the National People’s Congress (a number that is likely to rise), and 38 Chinese “parliamentarians” are wealthier than the wealthiest member of the US Congress. They include delegate Zong Qinghou who, with assets of $12 billion, is the richest man in the People’s Republic of China.

        Zong meets with visitors in his native Hangzhou, which, with its idyllic setting on West Lake, is nothing short of a paradise. He is wearing an ordinary blue shirt, basic dark trousers and inexpensive linen shoes. His office is also plainly furnished, with almost nothing but management books from around the world on the shelves.

        This much modesty is demonstrative. Zong’s mantra is not to show off with one’s wealth. The 65-year-old multibillionaire, who made the roughly 30,000 employees at his 58 production sites shareholders long ago, tries to set an example with his own work ethic. He works 14-hour days, smoking and drinking tea are his only luxuries, and he spends no more than $20 a day.

        Zong started life at the very bottom, the son of poor parents, and had only a middle-school education. He worked on a salt farm as a teenager. Together with two retired teachers and €14,000 in loans, he finally managed to produce milk-based soft drinks.

        The business eventually blossomed into Wahahah, which later entered into a joint venture with the Danone Group. When the French accused Zong of undermining the joint venture with parallel products, his employees came to his aid with strikes and protests. In one campaign, which had strong nationalist overtones, the protesters berated the foreigners with their signs until they were so unnerved that they gave up and allowed the Chinese to buy them out.

        Does Zong, a member of the Communist Party, see himself as more of a communist or a capitalist?

        পঞ্চম ভাগ : Growing Influence for the Rich

  24. মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০১১ (৫:৩৬ অপরাহ্ণ)

    নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাচীন দুর্গনগরের যে খনন কাজ চলছে তার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অংশ বৌদ্ধ পদ্মমন্দিরের গর্ভগৃহ আবিষ্কৃত হয়েছে।

    আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গনগর হিসেবে আলোচিত নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে এবার আবিষ্কৃত হয়েছে বৌদ্ধ পদ্মমন্দিরের গর্ভগৃহ। এতে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, এটি ছিল বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। আবিষ্কৃত নিদর্শনের ভিত্তিতে প্রত্নতাত্তি্বকদের ধারণা, সপ্তম শতকে মধুপুর গড় অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে। মন্দিরটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত প্রথম বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। সম্প্রতি উয়ারী-বটেশ্বর খনন এলাকার শিবপুর উপজেলার মন্দিরভিটায় মন্দিরটি চিহ্নিত হয়।
    উৎখননকাজের দলনেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল শনিবার দুপুরে উয়ারী-বটেশ্বরের দশম ধাপের খননকাজের সমাপনী দিনে এসব তথ্য জানান। সমাপনী দিনে খনন এলাকা পরিদর্শনে আসেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেখানে জানানো হয়, গত বছর খনন করে ইট নির্মিত ১০ দশমিক ৬ মিটার বর্গাকার পদ্মমন্দিরটির সন্ধান পাওয়া যায়। আদি নির্মাণ যুগের ইট বিছানো মেঝের অংশবিশেষ উন্মোচিত হলেও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে এ বছর পুনরায় খনন করা হয়। এ পর্যায়ের খননকালে পদ্মমন্দিরের গর্ভগৃহ আবিষ্কৃত হয়। গর্ভগৃহটি মন্দিরের প্রাচীন স্তরের নিদর্শন। এর পাশাপাশি তিন পাশে প্রদক্ষিণপথ, বারান্দা, প্রবেশপথ এবং স্থাপত্য কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, এটি বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। এ রকম মন্দিরের বৈশিষ্ট্য হলো, মাঝখানে প্রতিমা থাকে, যাকে বলে গর্ভগৃহ। আবিষ্কৃত গর্ভগৃহটি মন্দিরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। আয়তন হচ্ছে, চার বর্গমিটার।
    মন্দিরের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে ইট বিছানো একটি বেদি রয়েছে। আটটি পাপড়িযুক্ত একটি পদ্ম অনেকটা অক্ষত রয়েছে। পদ্মের উপস্থিতি মন্দিরটিকে পদ্মমন্দিরের (লোটাস টেম্পল) মর্যাদা দেয়। বৌদ্ধ ধর্মে পদ্ম খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং বহুল ব্যবহৃত। বৌদ্ধ ধর্মের আটটি শুভলক্ষণ প্রতীকের মধ্যে পদ্ম একটি। পদ্মের আটটি পাপড়ি হয়তো বা বৌদ্ধ ধর্মের অষ্টমার্গের প্রতীক। বৌদ্ধ ধর্মের নিদর্শনে চার ধরনের পদ্ম পাওয়া যায়। সাদা, লাল ও গোলাপি রঙের পদ্ম ফুল ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। আবিষ্কৃত পদ্মটি লাল। এই পদ্ম প্রেম, সহানুভূতি ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিভূ। এ ছাড়া হৃদয়ের নানা আনুষঙ্গিক অনুভূতি এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। আপেক্ষিককাল নিরূপণ পদ্ধতিতে প্রত্নতাত্তি্বকরা এ মন্দিরের বয়স নির্ধারণ করেছেন সপ্তম শতক।
    উয়ারী-বটেশ্বরের অস্থায়ী জাদুঘর এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খনন, সংরক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে উয়ারি-বটেশ্বরের প্রত্ননিদর্শন তুলে ধরতে হবে। আমাদের ধারণা প্রমাণিত হলে বিশ্বের কাছে আমরা খুবই প্রাচীন সভ্য জাতি হিসেবে পরিচিত হব।’ তিনি বলেন, বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার খননকাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। দেশবাসীর সামনে উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্তি্বক গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য তিনি স্থানীয় পাঠান পরিবার, বিশেষ করে হাবিবুল্লাহ পাঠান ও তাঁর বাবা হানিফ পাঠানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মানুষজনের দায়িত্ব রয়েছে।
    অধ্যাপক সুফি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, উয়ারী-বটেশ্বর নগর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। আরো প্রত্ননিদর্শন পাওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। এখন প্রয়োজন শুধু খনন করে তা বের করে আনা। প্রত্নতাত্তি্বক খনন একটি জটিল, সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং যৌথ প্রয়াসভিত্তিক কাজ। এরই মধ্যে ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধাতব ও বস্তুবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ভূতাত্তি্বক জরিপ অধিদপ্তর, স্থাপত্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র উয়ারী-বটেশ্বরে গবেষণায় অংশ নিয়েছে।
    উৎখননকাজের উপনেতা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ১৮৮৫ সালে নরসিংদীর শিবপুরের আশ্রাফপুর গ্রামে দুটি তাম্র শাসন, একটি ব্রোঞ্জচৈত্য পাওয়া যায়। এর রহস্য উদ্ঘাটন হয় ১৯০৫ সালে। ওই সালে তাম্র শাসনের পাঠোদ্ধার করা হয়। তাম্র শাসন থেকে জানা যায়, সমতটের রাজা দেবখড়ক এ অঞ্চলে চারটি বিহার ও বিহারিকা নির্মাণের জন্য ভূমি দান করেছিলেন। প্রত্নতাত্তি্বকরা ধারণা করেছেন, রাজা দেবখড়কের তাম্র শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল বিহার ও বৌদ্ধ পদ্মমন্দির। সম্প্রতি খনন করতে গিয়ে শিবপুরের জানখারটেক বিহার এবং ধুপিরটেকে বৌদ্ধ পদ্মমন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে।
    ঐতিহ্য অন্বেষণের ট্রাস্টি নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রাহক হাবিবুল্লাহ পাঠান। মন্ত্রী এর আগে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জানখারটেক দুর্গ এলাকা এবং একই উপজেলার কামরাব এলাকায় আবিষ্কৃত বৌদ্ধ পদ্মমন্দির দেখতে যান। দুর্গ এলাকায় নির্মিত অস্থায়ী জাদুঘরও ঘুরে দেখেন তিনি।
    এ সময় উৎখননকাজে অংশ নেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক হানিফ পাঠান প্রথম এই স্থান সুধীসমাজের নজরে আনেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে হাবিবুল্লাহ পাঠান স্থানটির গুরুত্ব তুলে ধরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। ২০০০ সালে বঙ্গীয় শিল্পকলাচর্চার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তায় খননকাজ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় দশম ধাপের খননকাজ শুরু হয়। চলতি জুন মাসে শেষ হয়।
    খনন করতে গিয়ে বের হয়ে এসেছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরের মানব বসতির ৬০০ মিটার বাই ৬০০ মিটার বিস্তৃত দুর্গ এলাকা, ইটের স্থাপত্য, প্রশস্ত রাস্তা, পার্শ্বরাস্তা, দুর্গপ্রাচীর, পরিখা, অসম রাজার গড়, লৌহ নির্মিত হস্ত-কুঠার, বল্লম, পোড়া মাটির নিক্ষেপাস্ত্র, তাবিজ, ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা, উত্তর ভারতীয় কালো মসৃণ মৃৎপাত্র, কাচের পুঁথি, বাটখারা, গর্তনিবাস, মুদ্রাভাণ্ডার, নবযুক্ত মৃৎপাত্র, ধাতব চুড়ি বা তাম্র বালা, পোড়া মাটির চাকতি প্রভৃতি। সর্বশেষ খননে ধুপিরটেকে বৌদ্ধ পদ্মমন্দির এবং ইটের স্থাপত্য বের হয়ে এসেছে। ইটের স্থাপত্য বিহার ও বিহারিকার সাক্ষ্য বহন করে, যা উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীন ইতিহাসের ধারণাকে স্পষ্ট করে। ধারণা মতে, এসবের বয়সকাল খিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে ১০০ বছর আগের, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

    লিন্ক : বৌদ্ধ পদ্মমন্দিরের অস্তিত্ব নিশ্চিত

  25. মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১১ (৬:৫৯ অপরাহ্ণ)

    ভারতের বর্তমান বিদেশ সচিব নিরুপমা রাও নতুন দায়িত্ব পেয়ে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন, বিদেশ সচিব হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছেন ফ্রান্সে ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রদূত রঞ্জন মাঠাই। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ, শ্রী লন্কা, মায়ানমার, মালদ্বীপ বিষয়ক ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিভাগের প্রধান ছিলেন রঞ্জন মাঠাই।

    Mathai, a 1974-batch IFS officer, will assume office from August 1 and will be there for a term of two years, official spokesperson Vishnu Prakash said.

    After completing post-graduate studies in Political Science at the University of Poona, Mathai joined the Indian Foreign Service in 1974.

    He has served in Indian embassies in Vienna, Colombo, Washington, Tehran and Brussels.

    As Joint Secretary in the Ministry of External Affairs in New Delhi from January 1995 to February 1998, he headed the division dealing with India’s relations with Bangladesh, Sri Lanka, Myanmar and Maldives.

    খবরের লিন্ক এখানে

  26. মাসুদ করিম - ২৯ জুন ২০১১ (২:০৪ পূর্বাহ্ণ)

    একেবারেই প্রত্যাশিত নিয়োগ, Christine Lagarde ফরাসি অর্থমন্ত্রীই হতে যাচ্ছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বা IMF-এর প্রধান কর্মকর্তা।

    After the board’s announcement, Lagarde tweeted: “The results are in: I am honored & delighted that the Board has entrusted me with the position of MD of the IMF!”

    খবরের লিন্ক এখানে

    এরপরই সম্ভবত বিশ্বব্যাংকের প্রধান হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন হিলারি ক্লিনটন।

  27. মাসুদ করিম - ৩০ জুন ২০১১ (২:৩৩ অপরাহ্ণ)

    শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভূপেন হাজারিকা। হাসপাতাল সূত্র বলছে, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন এবং এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।

    Music maestro Bhupen Hazarika has been admitted to the intensive care unit of a hospital in suburban Andheri here after he complained of breathing problems.

    The 85-year-old was hospitalised yesterday after he suffered breathing problems. He was treated immediately. He is stable and doing fine, hospital sources told PTI today.

    The maestro has been kept in the ICU and is under observation but is out of danger, the sources said.

    খবরের লিন্ক এখানে

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.