সুপারিশকৃত লিন্ক: ফেব্রুয়ারি ২০১১

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৩৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    সঙ্গীত দিয়েই শুরু করলাম, কিন্তু যার সঙ্গীতের কথা বলছি তিনি গত ৩০ জানুয়ারি ৭৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। সঙ্গীতস্রষ্টা জন বেরি ( ১৯৩৩-২০১১) জেমসবন্ড ফিল্মের সঙ্গীতের জন্যই সুবিখ্যাত ছিলেন। গার্ডিয়ার পত্রিকার মিউজিক ব্লগে তাকে নিয়ে আয়োজন : John Barry: a life in clips

  2. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    ভারতীয় উপমহাদেশের যেমানুষটি মিশরে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিনি হলেন বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, অবশ্য অমিতাভ বচ্চন যখন প্রথম মিশর গিয়েছিলেন তখন মিশরিরা শুধু একজন ভারতীয়কে চিনতেন, তিনি নেহেরু যিনি নাসেরের সাথে জোটনিরপেক্ষ রাজনীতির সূত্রে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন। জানুয়ারি ২৫ থেকে শুরু হওয়া মিশরের সরকার বিরোধী জনবিক্ষোভের কোনো সরকারি ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ভারত থেকে পাওয়া না গেলেও অমিতাভ তার ব্লগে মিশরে শান্তি ফিরে আসবে এই আশায় লিখেছেন

    Bhopal , Madhya Pradesh Jan 28 , 2011 Fri 11 : 03 PM

    I see incredible scenes of violence and disruption on the television about what is happening in Egypt and in particular in Cairo and feel so sad that this beautiful country and city and its warm and hospitable people should all come to such condition. All my visits there have been so memorable and full of so many happy times. The shoot in Cairo for ‘The Great Gambler’ in 1975, when they did not know anything about Indian films and actors. On the streets if India was mentioned it was always ‘Nehru’ – their known association with him and their own President Nasser and the relationship that they enjoyed. Many years later and on an invitation to their film festival I had gone there with the kids having picked them up from Switzerland after school, to the most amazing visit ever. Those events and that visit shall always remain imprinted on the sands of time in my life eternally.

    Something between the ‘Great Gambler’ shoot and ‘Mard’, which was a colossal success in Egypt in particular, had changed the perception of Indian cinema in this historic land and I had fortunately become the receiver of the love and affection that they had been holding on to for so many years. Those visuals of the tapes that were recorded are my great source of upliftment whenever I am down and depressed. The warmth, the affection, the love and care, the respect that they gave was so so overwhelming that it shall be difficult for me to describe it.

    There are many visitors from India that go across on holidays to this land of the pyramids and come back with such glorious stories of the association the Egyptians still have for me and I am touched and feel so blessed. And so it saddens me even more to see the anger and discomfort that they go through now and I hope fervently that it all comes to an end soon and in peace.

    লিন্ক এখানে

    কিন্তু নতুন এই মিশরের প্রতি ভারত এখনো সাড়া দিতে পারছে না কেন? ভারতীয় কলামিস্ট সি. রাজা মোহন লিখছেন

    The ruling Congress party appears to have lost all institutional memory of its once intense connections with Arab modernism and Egyptian liberalism. As Indian and Arab nationalists found each other after World War I, the Congress and Egypt’s Wafd Party became natural partners and laid the foundation for anti-colonial solidarity between the two emerging nations that would morph into a shared commitment to non-alignment in the early decades of the Cold War.

    On the Left, the Indian communist parties claim a special commitment to internationalism. Critics have argued that communist internationalism had long been simplified to a few slogans. Under the present communist leadership, it has been further reduced to two words — America and Israel. As leading and influential allies of the UPA government during 2004-08, the CPM and the CPI opposed

    India’s relations with Washington and Tel Aviv. Yet, as Egyptians press for the ouster of Hosni Mubarak, a leading ally of the US and Israel in the Middle East, our communist parties have had few words to express solidarity with the courageous mass action in the streets of Cairo and Alexandria.

    On the right, the BJP had few internationalist credentials. But the Arab question had roused the BJP in a very different way. It argued that India’s Middle East policy had become hostage to the Congress’s domestic political agenda — especially its attempt to cultivate the Muslim vote.

    Whatever the merits of the BJP’s earlier argument, the current people’s revolt in Egypt and other Arab nations could lay a new basis for Indo-Arab cooperation defined less by religion or ideology and more by shared interests and common challenges that confront the Middle East and the Indian subcontinent.

    ভারতের বোঝা উচিত, এই জানুয়ারির বিক্ষোভ মোটেই মিশরের রাজনৈতিক মুসলমানের বিক্ষোভ নয় — এটা এখনো পর্যন্ত সাধারণ জনগণের স্বৈরাচারী মুবারকের জনবিরোধী সরকার ও এর ঘৃণ্য পুলিশি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, এটা সাধারণ মিশরিদের জীবনধারনের বিক্ষোভ। রাজনৈতিক ইসলামের দল ‘মুসলিম ব্রাদারহুড’-এর কথা ভেবে বা আবার সামরিক শাসনের কথা ভেবে এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করা বা এর বিষয়ে নীরব থাকা হবে ভারতের বিরাট ভুল। বিস্তারিত পড়ুন : A fresh breeze in Cairo

  3. মাসুদ করিম - ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    সময় কিনতে পেরেছেন মুবারক, তার মেয়াদ তিনি পূর্ণ করবেন। মুবারক বলছেন

    “I entrusted the vice-president with the task of holding dialogue with all the political forces and factions about all the issues that have been raised concerning political and democratic reform and the constitutional and legislative amendments required to realise these legitimate demands and to restore law and order.

    “But there are some political forces who have refused this call to dialogue, sticking to their particular agendas without concern for the current delicate circumstances of Egypt and its people.

    “In light of this refusal to the call for dialogue and this is a call which remains standing, I direct my speech today directly to the people, its Muslims and Christians, old and young, peasants and workers, and all Egyptian men and women in the countryside and city over the whole country.

    “I have never, ever been seeking power and the people know the difficult circumstances that I shouldered my responsibility and what I offered this country in war and peace, just as I am a man from the armed forces and it is not in my nature to betray the trust or give up my responsibilities and duties.

    “My primary responsibility now is security and independence of the nation to ensure a peaceful transfer of power in circumstances that protect Egypt and the Egyptians and allow handing over responsibility to whoever the people choose in the coming presidential election.

    “I say in all honesty and regardless of the current situation that I did not intend to nominate myself for a new presidential term. I have spent enough years of my life in the service of Egypt and its people.

    “I am now absolutely determined to finish my work for the nation in a way that ensures handing over its safe-keeping and banner … preserving its legitimacy and respecting the constitution.

    “I will work in the remaining months of my term to take the steps to ensure a peaceful transfer of power.

    মুবারকের গতকালের বক্তব্য পুরো পড়ুন এখানে

    • মাসুদ করিম - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:২৭ পূর্বাহ্ণ)

      জার্মানির বাডেন-বাডেন এ এক বিলাসবহুল ক্লিনিকেই চিকিৎসা-নির্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে ক্যান্সার আক্রান্ত মুবারকের।

      According to information obtained by SPIEGEL ONLINE, plans for a possible hospital stay in Germany are far more concrete than had been assumed so far. Talks are already being held with suitable hospitals, particularly with the Max-Grundig-Klinik Bühlerhöhe in the southwestern town of Bühl near Baden-Baden, SPIEGEL ONLINE has learned from sources close to the clinic. The hospital management declined to comment.

      The luxury clinic has an excellent reputation, as well as a respected oncology department, and says on its website it offers “first-class medical care” and the “comfort and service of a top hotel.” Patients are accommodated in suites up to 200 square meters (2,152 square feet) in size.

      বিস্তারিত পড়ুন : Possible Exile in Germany

      • মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১১:৫৯ অপরাহ্ণ)

        বৃহষ্পতিবারই হতে পারে মুবারকের শেষদিন।

        Egyptian President Hosni Mubarak will address the nation later on Thursday, Egyptian state TV said.

        Earlier on Thursday Egyptian TV broadcast a military council meeting on restoring order in the country that local media reported was held ahead of the president announcing his resignation.

        খবরের লিন্ক এখানে

        • মাসুদ করিম - ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

          বিশ্ববেহায়ার দৌড়ে এরশাদকে হারিয়ে দিলেন মুবারক। পদত্যাগ তো করলেনই না আধাঘন্টা ধরে কী বকবক করলেন সারা পৃথিবীর কোন একজন মানুষ (মুবারক সহ) তার বক্তব্য বুঝতে পেরেছে বলে তো মনে হল না। কী চাইছেন মুবারক, গণঅভ্যুত্থানকারীদের কাছ থেকে সহিংসতা, তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়ে নিজের প্রাণপ্রতিষ্ঠা? কিন্তু তাকে যেতেই হবে, আন্দোলনকারীরা এর কমে,ওমর সোলাইমান যতই বলুক, আর ঘরে ফিরবে না।

          President Hosni Mubarak refused to step down or leave Egypt and instead handed most of his powers to his Vice President on Thursday, enraging protesters who warned the country could explode in violence and pleaded for the military to take action to push him out.

          The rapidly moving events raised the question of whether a rift had opened between Mr. Mubarak and the military command over the uprising demanding the President’s resignation. Hours earlier, a council of the military’s top generals announced it had stepped in to secure the country, and a senior commander announced to protesters in Cairo’s Tahrir Square that all their demands would soon be met, raising cries of victory that Mr. Mubarak was on his way out.

          Several hundred thousand had packed into Tahrir Square, ecstatic with expectation that Mr. Mubarak would announce his resignation in his nighttime address. Instead, they watched in shocked silence as he spoke, holding their foreheads in anger and disbelief. Some broke into tears. Others waved their shoes in the air in contempt. After the speech, they broke into chants of “Leave, leave, leave.”

          খবরের লিন্ক এখানে

          • মাসুদ করিম - ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:১৭ অপরাহ্ণ)

            আজ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১, প্রেসিডেন্ট মুবারক সশস্ত্রবাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করলেন।

            Hosni Mubarak, the Egyptian president, has resigned from his post, handing over power to the armed forces.

            Omar Suleiman, the vice-president, announced in a televised address that the president was “waiving” his office, and had handed over authority to the Supreme Council of the armed forces.

            Earlier, massive crowds have gathered across Egypt, including hundreds of thousands of protesters in and around Cairo’s Tahrir [Liberation] Square, calling for Mubarak to stand down.

            Pro-democracy activists in the Egyptian capital also marched on the presidential palace and state television buildings on Friday, the 18th consecutive day of protests.

            খবরের লিন্ক এখানে

  4. মাসুদ করিম - ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:০৫ অপরাহ্ণ)

    কী অসাধারণ প্রকল্প। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যাদুঘর : Google Art Project

  5. মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১:৫২ অপরাহ্ণ)

    UPDATE: Further documentation of Suleiman’s role in the rendition program appears in Ron Suskind’s book, “The One Percent Doctrine.” Katherine Hawkins, a sharp-eyed human-rights lawyer who did legal research for my book, points out that, according to Suskind, Suleiman was the C.I.A.’s liaison for the rendition of an Al Qaeda suspect known as Ibn Sheikh al-Libi. The Libi case is particularly controversial, in large part because it played a role in the building of the case for the American invasion of Iraq.

    In late November, 2001, Pakistani authorities captured Libi and turned him over to U.S. officials at Bagram Air Base, in Afghanistan, for questioning. There he was questioned by two F.B.I. agents from New York who had worked on terrorism cases for years. They believed they were making great headway—getting valuable, actionable intelligence from Libi. But back in Washington, a custody battle broke out between the F.B.I. and the C.I.A. over who should get to lead his interrogation. Suskind writes,

    The debate went up to [F.B.I. director Robert] Mueller and [C.I.A. director George] Tenet, and Tenet—appealing directly to both Bush and Cheney—prevailed. Al-Libi was bound and blindfolded for a trip to Cairo, where he’d be handed over to Omar Suleiman, Egypt’s intelligence chief and a friend of Tenet’s.

    What happened to Libi in Egypt, while in the custody of the Egyptian intelligence service, is documented in detail in a bipartisan report released in 2006 by the Senate Select Committee on Intelligence. According to the report, Libi later told the C.I.A. that the Egyptian authorities grew dissatisfied with his level of cooperation, so they locked him in a tiny cage for eighty hours. Then they took him out, knocked him over, and punched him for fifteen minutes. The Egyptian officials were pressing Libi, who knew Bin Laden personally, to confirm the Bush Administration’s contention that there were links between Al Qaeda and Saddam Hussein. In particular, the Egyptians wanted Libi to confirm that the Iraqis were in the process of giving Al Qaeda biological and chemical weapons. In pushing this line of inquiry, the Egyptians appear to have been acting in accordance with the wishes of the U.S., which wanted to document its case for going to war against Iraq. Under duress, Libi eventually gave in. Details from his confession went into the pivotal speech that then-Secretary of State Colin Powell gave to the United Nations in Feburary of 2003, making the case for war.

    Several years later, however, after the U.S. invasion of Iraq turned up no such weapons of mass destruction, or ties between Bin Laden and Saddam Hussein, Libi recanted. When the F.B.I. later asked him why he had lied, he blamed the brutality of the Egyptian intelligence service. As Michael Isikoff and David Corn first reported in their book, “Hubris,” Libi explained, “They were killing me,” and that, “I had to tell them something.”

    মুবারকের উপ-রাষ্ট্রপতি ওমর সুলাইমানই লাদেনের এক ঘনিষ্ঠকে পাকিস্তান থেকে পাকড়াও করে এনে স্বীকার করিয়ে নিয়েছিল লাদেনের সাথে সাদ্দামের যোগাযোগ আছে। এখানে পড়ুন : Who Is Omar Suleiman?

  6. মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (২:২৪ অপরাহ্ণ)

    শেষ পর্যন্ত কিছুদিন আগে প্রকাশ্য জনসভায় নিজের দলের এক প্রবীণ সদস্যের হাতে গালে চড় খাওয়া কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল ( এম-এল) সংক্ষেপে এমালের সাধারণ সম্পাদক ঝালানাথ খনালই হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। নেপালের মাওবাদী নেতা প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করে খনালকে সমর্থন করতেই খনাল সংখ্যগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এই সরকার কি পারবে তার প্রধান কাজ নেপালের সংবিধান রচনার কাজ শেষ করতে? নাকি মাওবাদীদের সাথে আবারও কোনো অনৈক্যের জেরে এই সরকারও ভেঙ্গে যাবে, সেসম্ভাবনা আছে, যদিও আমরা চাই নেপালের রাজনৈতিক ভাগ্যে আবারো এরকম কিছু না ঘটুক। আসলে নেপালের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নেপালি মাওবাদী দলের দুই প্রধান নেতা প্রচণ্ড ও বাবুরাম ভট্টরাইয়ের আদর্শগত কোন্দল রাজতন্ত্র উচ্ছেদের পরবর্তী নেপালের পার্লামেন্টারি রাজনীতির বড় ক্ষতি করছে।

    খবরের লিন্ক : Khanal wins Maoist support to become PM

  7. মাসুদ করিম - ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৭:৪৮ অপরাহ্ণ)

    প্রথমে একে ব্যর্থ ঘোষণা করেছিলেন জার্মানির এঙ্গেলা মার্কেল, এবার ব্যর্থ ঘোষণা করলেন ব্রিটেনের ডেভিড ক্যামেরুন, multiculturalism বা সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদকে ব্যর্থ ঘোষণা করা মানে অভিবাসীদের চাপের মুখে ফেলা — পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের অস্বস্তির কথা বলা। ক্যামেরুন বলছেন

    The prime minister, who took power in May 2010, will argue that “under the doctrine of state multiculturalism, we have encouraged different cultures to live separate lives, apart from each other and the mainstream.”

    He says this had resulted in a lack of national identity in Britain which had made some young Muslims turn to extremist ideology.

    “Frankly, we need a lot less of the passive tolerance of recent years and much more active, muscular liberalism,” Cameron will say.

    “A passively tolerant society says to its citizens: as long as you obey the law, we will leave you alone. It stands neutral between different values.”

    “A genuinely liberal country does much more. It believes in certain values and actively promotes them…. It says to its citizens: this is what defines us as a society.”

    Cameron will clearly distinguish between Islam the religion and the political ideology of Islamist extremism, saying they “are not the same thing.”

    বাহুবলী উদারতন্ত্র, muscular liberalism-এর বাংলা কি এই দাঁড়াবে, অথবা কঠোর উদারতন্ত্র — যাই হোক ওই ইসলামি জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ঠিক পথ কি হবে বাহুবলী বা কঠোর উদারতন্ত্র? আমরা জানি না, কিন্তু এই যে মিশরে বা অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশে জঙ্গিবাদের কথা বলে একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন করছে আমরিকা, বিলাত ও ইউরোপ এতে কি জঙ্গিবাদ আরো শক্তিশালী হচ্ছে না? আমরিকা ও বিলাতি আগ্রাসনে ইরাকের ওপর হামলা কি সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদকে হুমকির মধ্যে ফেলেনি? শুধু ব্যর্থ বললেই কি হবে? সেই ব্যর্থতার দায় কি পুরো অভিবাসীদের? অধিবাসীদের কি কোনো দায় নেই? আর আজ বাহুবলী বা কঠোর উদারতন্ত্র দিয়ে কি এর সমাধান হবে? মনে হয় না। অভিবাসী ও অধিবাসীদের সম্পর্ক আরো বাড়াতে হবে, পশ্চিমের বাস্তব রাজনীতির কূটকচালের ভেতর সব একনায়কতন্ত্রকে সমর্থন বন্ধ করতে হবে, — না হয় কিছুই হবে না, শুধুই উত্তেজনাই বাড়বে।

    • মাসুদ করিম - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১:৫৩ অপরাহ্ণ)

      ডেভিড ক্যামেরুন কথিত muscular liberalism-এর উৎস কী তাই খুঁজছিলাম এই কয়েকদিন, কনিষ্ক ঠারুর The Telegraph কলকাতার কলামে পেলাম এর উৎস ভিক্টোরিয়ান mascular christanity। কনিষ্ক ঠারুর লিখছেন

      Slamming “multiculturalism” is just code language for appearing to take a robust position towards Muslims. It is part of a politer vocabulary of distrust, misunderstanding and veiled Islamophobia. In an unfortunate choice of political slogans, Cameron branded his vision for British identity as “muscular liberalism.” The term evokes Victorian “muscular Christianity,” the holy bravado that so imbued English imperialists of the 19th century.

      তিনি আরো লিখছেন

      “Multiculturalism” and “state multiculturalism”, as such, are straw men invoked for particular political aims. The multiculturalism described in official rhetoric and in the accompanying frenzied media debates does not reflect its granular, inescapable reality.

      I lived for several years in the centre of a vibrant and scruffy neighbourhood in north London, where Muslim Turks and Kurds, immigrants from West Africa and the Caribbean, South Asian, white Polish and British people all brushed up against one another. The rowdy Irish pub where I went to watch the matches of the local football team —Arsenal — sits right next to a halal butcher shop and a domed mosque. As outlandish as this contrast may seem, when you live there it is perfectly natural, another swirl in the mosaic and filigree of British life. Critics of multiculturalism would have us see the mosque and the pub as antagonistic institutions rather than what they actually are: buildings of glass, tile and brick on a shared street.

      This kind of natural mixing exists in many places in the UK, the product not of short-term government actions, but of long historical processes. Multicultural Britain is the inevitable result of the crumbling of the empire, of the ebbs and flows of globalization, and of Protestant traditions of frigid tolerance that run deep in northern Europe. It has not been made and micro-managed by State policy.

      ইউরোপে কত উগ্র মুসলিম আছে? ইউরোপকে কোন পথে চলতে হবে? উদারতন্ত্র কিভাবে টিকবে? তিনি লিখছেন

      I do not deny that there are radical, potentially violent Muslims in Europe (albeit proportionally insignificant — the last official report of the European Union on terrorist attacks in the continent, for the calendar year 2009, found that only 1 out of 294 successful and thwarted attacks was by a Muslim or a Muslim group). I also accept that the current convulsions in European societies over religion and ethnic difference are complex, and cannot simply be dismissed as the fault of a racist, intolerant Europe.

      But for those of us who believe strongly in the importance of pluralist democracy, Europe’s current struggle with integration and its discontents is a warning. Since the Second World War, European countries have led the way in constructing systems that best secure the rights and the dignity of their peoples. It is now incumbent on pluralist democracies elsewhere — as in South Africa, Indonesia, and especially India, with its large minority of Muslims — to build and safeguard better models of tolerance, and commit themselves to a liberalism based on understanding, and not on the callow assertion of strength.

      বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  8. মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৬:২২ অপরাহ্ণ)

    জিন্নাহ কে রতনবাইয়ের শেষ চিঠি।

    Transcript

    S. S. Rajputana.
    Marseilles 5 Oct 1928.

    Darling – thank you for all you have done. If ever in my bearing your over tuned senses found any irritability or unkindness – be assured that in my heart there was place only for a great tenderness and a greater pain – a pain my love without hurt. When one has been as near to the reality of Life – (which after all is Death) as I have been dearest, one only remembers the beautiful and tender moments and all the rest becomes a half veiled mist of unrealities. Try and remember me beloved as the flower you plucked and not the flower you tread upon.

    I have suffered much sweetheart because I have loved much. The measure of my agony has been in accord to the measure of my love.

    Darling I love you – I love you – and had I loved you just a little less I might have remained with you – only after one has created a very beautiful blossom one does not drag it through the mire. The higher you set your ideal the lower it falls.

    I have loved you my darling as it is given to few men to be loved. I only beseech you that our tragedy which commenced with love should also end with it.

    – Darling Goodnight and Goodbye

    Ruttie

    I had written to you at Paris with the intention of posting the letter here – but I felt that I would rather write to you afresh from the fullness of my heart. R.

    ১৯১৮ সালে রতনবাইয়ের বয়স যখন ১৮ তখন তার সাথে ৪২ বছরের জিন্নাহর বিয়ে হয়। রতনবাই ভিন্ন ধর্মের ছিলেন এবং জিন্নাহকে বিয়ে করতে ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। ১৯২৯ সালে তার ২৯তম জন্মদিনে রতনবাই ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিস্তারিত পড়ুন এবং রতনবাইয়ের হস্তাক্ষরে চিঠিটি দেখুন এখানে

  9. মাসুদ করিম - ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৫:৪২ অপরাহ্ণ)

    হালদা নদী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রুই জাতীয় মাছের ( রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিগনি) প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র। এটিই দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। এটিই বাংলাদেশের রুই জাতীয় মাছের একমাত্র বিশুদ্ধ প্রাকৃতিক জিন ব্যাংক। এই প্রাকৃতিক জিন পুল বাঁচিয়ে রাখার জন্য হালদা নদীর গুরুত্ব অপরিসীম।

    হ্যাঁ, পড়ছিলাম গতকাল উদ্বোধন হওয়া ওয়েবসাইট : http://www.haldariver.org এবং এখানে দেখুন ওই ওয়েবসাইটে হালদা প্রজনন ক্ষেত্রের মানচিত্র

  10. মাসুদ করিম - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    সংসদে সাবধান! গতকাল যেঘটনা ঘটল রাশেদ খান মেনন, আবুল হোসেন, যোগাযোগ সচিবের চিঠি, তোফায়েল আহমেদ, শেখ হাসিনা ও পত্রিকা এই চরিত্রগুলোর মধ্যকার পারষ্পরিক টানাপোড়েনে তাতে সংসদের অগোছালো রূপটি করূণভাবে ফুটে উঠেছে। যদি পত্রিকায় সচিবের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসার আগে পত্রিকায় হুবহু ফাঁস হয়ে যায় তবে সেদোষ সচিবের, ওই সচিবের মন্ত্রীর অথবা ওই মন্ত্রণালয়ের বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। আর যদি হয় এটি পত্রিকার রির্পোটারের মনগড়া রিপোর্ট তাহলে দোষ সম্পূর্ণত পত্রিকার। আর যদি এবিষয়ে চিঠিটি না দিয়ে শুধু রিপোর্টারকে চিঠি সম্বন্ধে কোনো আভাস দেয়া হয় তাহলে দোষ পত্রিকারও এবং সরকার পক্ষ থেকে যে বা যারা আভাস দিয়েছে তার ও তাদেরও। সংসদের সরকার দলের নেতা শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সেই সত্যটি যদি উদঘাটিত হত বা যদি সামনে হয় তাহলেই কেবল বিষয়টি সুরাহা হতে পারে। আর যদি না হয়, তাহলে আবার বলতে হয় সংসদে সাবধান!

    গত বৃহস্পতিবার সংসদে তোফায়েল আহমেদের সমালোচনার জবাবে যোগাযোগমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন। ওই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পেঁৗছার আগেই জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়। সংসদে জবাবদিহি না করে সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার সমালোচনা করেন রাশেদ খান মেনন। এ বিষয়ে তিনি স্পিকারের রুলিংও দাবি করেন।
    এরপর সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্লোর নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রীর চিঠির বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সচিব আমাকে কোন চিঠি দেয়নি। সচিব কোন চিঠি দিতে পারে না। এটি মন্ত্রণালয়ের চিঠি। মন্ত্রীর বক্তব্য সচিব লিখেছেন। মন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন, এটিই নিয়ম। আমি চিঠি ও ফাইল পাওয়ার আগে পত্রিকা কিভাবে পেল এবং ছাপিয়ে দিল? পত্রিকায় আগে যাওয়ার রহস্য কী। জানা দরকার। কোন কোন পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সংবাদ পরিবেশন করে। এর আগে আমি যখন যুক্তরাজ্য যাই তখন একটি পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখল_ আমি নাকি আরাম আয়েশ করতে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমি দুই ঘণ্টাও বিশ্রাম পেলাম না। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাকে কাজ করতে হয়েছে। ওখানে থাকা অবস্থায় ব্যস্ততম দিন পার করেছি আমি। তারপরও যখন পত্রিকায় এ ধরনের সম্পাদকীয় লিখল কোন সংসদ সদস্য এর প্রতিবাদ করেননি। মেননকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এর জন্য আপনি প্রশ্ন তুলছেন। মন্ত্রীর সমালোচনা করবেন_ এটি সাংবিধানিক অধিকার, এটিই স্বাভাবিক; কিন্তু পত্রিকাগুলো যখন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে সম্পাদকীয় লিখে তখন এর প্রতিকার কী হবে তা ভেবে দেখা উচিত। স্পিকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনিও যে এ অবস্থায় পড়বেন না তারই বা নিশ্চয়তা কী? কাল যখন আপনি পড়বেন তখন কী হবে_ এটি ভেবে দেখা উচিত।

    এখানে পড়ুন : আমি চিঠি ও ফাইল পাওয়ার আগে পত্রিকা তা কিভাবে পেল

    কোন পত্রিকায় চিঠিটি ছাপা হয়েছে বা চিঠির বক্তব্য ছাপা হয়েছে তা এখনো খুঁজে পাইনি। পেলেই এখানে লিন্ক শেয়ার করব বা কেউ করুন।

  11. মাসুদ করিম - ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৬:৩১ অপরাহ্ণ)

    মিশরের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কায়রো ও আন্কারার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে স্পষ্টতই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন, জনগণের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুবারকের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। এই প্রতিক্রিয়া মিশরের শাসকগোষ্ঠীর পছন্দ হয়নি, তাই তারা তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ পাঠিয়েছে।

    Angered by the Turkish prime minister’s calls for 82-year-old President Hosni Mubarak to meet his people’s desire for change and step down, the Egyptian government has dispatched its top diplomat in Ankara to convey a letter to Turkish Foreign Minister Ahmet Davutoğlu.

    In a television appearance, Egyptian Ambassador to Ankara Abderahman Salaheldin said his administration had officially contacted the Turkish ambassador in Cairo following the Turkish prime minister’s statements. “We understand well the interest shown in our affairs. This is reasonable but there must be no interference. It is for Egyptians to decide when and what will be done,” he told the private television channel NTV.

    Egyptian Foreign Ministry spokesman Hussam Zeki had earlier urged the West and Turkey not to interfere in what has been happening in his country. Diplomatic sources said Salaheldin visited the Turkish Foreign Ministry late Monday to convey a letter from his foreign minister to Davutoğlu.

    “I understand that diplomatically this is a sensitive issue for any government to call on President Mubarak to step down. I understand Egypt’s diplomatic reaction but at the same time, Turkey is not the only country, and Turkish officials are not the only officials, urging the president to step down,” Amira Howeidy, the assistant editor in chief of Egypt’s Al-Ahram weekly, told the Hürriyet Daily News & Economic Review on Tuesday.

    Diplomats tried to downplay the tension, however, saying they welcomed Egyptian Foreign Minister Ahmet Aboul Gheit’s letter as a positive one informing Ankara about the latest developments.

    বিস্তারিত পড়ুন : Tension heightens between Cairo, Ankara over Egypt unrest

  12. মাসুদ করিম - ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (২:১০ অপরাহ্ণ)

    নকল বিয়ের বাজারে, একেবারেই যাকে বলে চীনা পদ্ধতি, একজন পুরুষ সমকামী বিয়ে করে একজন নারী সমকামীকে, কেন করে? কারণ মাবাবারা চায় তাদের ছেলেমেয়েরা বিয়ে করুক সংসার পাতুক। আবার ছেলেমেয়েরাও মাবাবাকে জানাতে চায় না তারা সমকামী। তারা এভাবে বিয়ে করে এধরনের চুক্তিতে — যে যার মতো তার সমকামী জীবনযাপন করবে কিন্তু মাবাবার কাছে সমাজের কাছে তাদের পরিচয় হবে স্বামীস্ত্রীর। কয়েকবছর পর ওরা আবার বিবাহবিচ্ছেদও ঘটায়, মাবাবারা বোঝেন বিয়েটা ভেঙ্গে গেল। চীনের সমকামী জীবনে বিয়ে ও সমকামী ক্লাব ঘিরে একটি চমৎকার স্টোরি, পড়ুন : Gay Marriage With Chinese Characteristics

    “I’m here to find a lesbian, to be with me and to build a home,” No. 11 says to the crowd clustered on floor cushions at a sunlit yoga studio in Shanghai. No. 11 is a muscular man in a flannel shirt and cargo pants, and he easily commands the attention of the crowd of 40 or so young men and women who are gingerly sipping glasses of wine and whispering to their neighbors.

    “In my view, a 30-year-old man should start thinking about having a family, but two men can’t hold each other’s hands in the street. We’re not allowed to be a family,” he says. The crowd nods.

    I’m at a fake-marriage market, where Chinese lesbians and gay men meet to find a potential husband or wife. In China, the pressure to form a heterosexual marriage is so acute that 80 percent of China’s gay population marries straight people, according to sexologist Li Yinhe, a professor at the Chinese Academy of Social Sciences. To avoid such unions, six months ago, Shanghai’s biggest gay Web site, inlemon.cn, started to hold marriage markets once a month.

    Thirty minutes earlier, I triple-checked the address scrawled in my notebook. The studio—located in a high-rise apartment complex—seems an unlikely spot for a fake-marriage market. “The boss of the yoga studio is very kind to us,” says Fen Ye, my guide. Slipping off my shoes at the doorway, I pad up stairs lined with Buddhas in the red plastic flip-flops provided. When Fen slides open a door to reveal men and women chatting quietly, conversation falters. “They weren’t expecting a foreigner,” he whispers, adding, “and don’t tell anyone you’re a reporter. I’ll just say you’re my lesbian friend.” He bustles me to a cushion on the floor and hands me a glass of Chinese red wine.
    Advertisement
    Click Here!

    Precautions are necessary for an event like this. Though there are an estimated 30 million to 40 million gay people in China—there has been no official count—even simple actions such as trying to access Wikipedia’s “LGBT” page often result in a “This webpage is not available” message. Chinese society has adopted a “don’t ask, don’t tell” policy. A 2007 survey by Li Yinhe found that 70 percent of Chinese people think homosexuality is either “a little” or “completely” wrong, and only 7.5 percent of respondents said they knew a gay person.

    While past generations buried their sexuality in straight marriages, the people gathered at the yoga studio are trying a new approach. No. 8 (the men sport numbered buttons in a pleasing shade of blue, the women’s are pink), a pretty 22-year-old woman with curly dyed chestnut hair, skinny jeans, and Snoopy slippers wants a fake marriage to ease parental pressure, but she doesn’t want a baby. No. 15, a strikingly tall man with side-swept bangs, says: “I want to get married for my parents, but I think lying to them will make me feel terrible. So I want to have a fake marriage with a lesbian girl, but just for one or two years, and then I want a divorce to show my parents that I am not a marriage type.” There’s one constant: All the participants talk about pleasing their parents.

    Influential Zhou Dynasty Confucian scholar Mencius said that the “most serious” way to be unfilial is to not produce an heir. It’s an idea that still reverberates through China’s family-centric culture. In contemporary slang, single women over the age of 27 are known as sheng nu or “leftovers.”

    “I could absolutely not come out to my parents. If I could tell them I was gay, I wouldn’t have needed to get married,” says my guide, 30-year-old Fen, as we sit in a converted Shanghainese shikumen lane house near the popular tourist spot People’s Park. We’re talking about his lesbian wife, whom he met on inlemon.cn.

    “I had a big, traditional Chinese wedding. It lasted for three days, and there were maybe 500 people there. My parents were so happy,” says Fen, who knew his wife for seven months before they married. “In your job, in your social life, and for family gatherings, you need to bring a partner. It’s hard to do these things alone in China. My grandfather and grandmother … everyone was waiting for me to get married. The wedding felt like a task I needed to accomplish, something I needed to get through step-by-step, a bit like doing homework.”

    For many gay men, the chance to experience parenthood—and to provide a grandchild for longing parents—is a distinct advantage of these unions. At the yoga studio marriage market, almost every man says he wants a baby, Fen included. “[On the Web site] I said that I didn’t want to have a sex life with my wife—absolutely none.” Although he says he and his wife are not “very good friends,” they have discussed having a child. “For a baby we will maybe use artificial insemination,” he says.

    Past generations did things differently. The Lai Lai dancehall, in a rundown corner of Shanghai’s Hongkou district, is a refuge for gay but married men. Every Friday, Saturday, and Sunday night, about 200 men crowd the dance floor in their mismatched suits, twirling together in the green light and cigarette smoke. When they’re not dancing, they sit in groups around the edge, nursing flasks of tea, though beer is available for 75 cents a glass.

    Zhang, who is 55 and married with children, goes every week. “You can find gay bars in every city, but a dancehall like this only in Shanghai,” he says. While tinny speakers rattle out familiar patriotic songs, the dancing stays elegant and refined. Flirting is discreet, barely noticeable. “Older gay men feel comfortable in this place,” Zhang tells me. “Because the dancehall starts early, they can go home to their families and keep it secret. Though sometimes the wives come to look for their husbands, and then other people have to persuade them that their husband is just dancing.”

    But 30-year-old Mu Mu knew that her husband was not “just dancing.” Just after she became pregnant, Mu Mu’s husband started openly dating men. “I knew he was gay before we got married,” says the Shanghai resident over the phone to protect her anonymity. “But the word gay was really strange to me. I read that being gay is something you’re born as, but other people said it’s like a disease that can be healed. Because I loved him a lot, I hoped that maybe he would change.” It wasn’t until a year after the birth of their daughter, and after her husband brought home another man to live with them, that Mu Mu left him.

    Mu Mu is one of China’s estimated 16 million to 25 million “homowives”—or tongqi in pinyin(the word is an amalgamation of the Mandarin for gay and wife)—women who are married to gay men.

    “The happiest time of our marriage was when I gave birth to our daughter,” says Mu Mu. “That one week when I was in the hospital, he took care of me and the baby. Much of the rest of the time I felt abandoned.”

    For many women, speaking out about their gay husbands is more difficult than staying in loveless marriages, but in the last few years Web-based support groups have started to form. Li, 33, is a volunteer on a homowifesupport forum on QQ, a Chinese social networking site. Her job involves giving advice and answering questions, and she is often the only person the homowives confide in. “The women are desperate,” she explains over iced tea on a busy shopping street in central Shanghai. “At first they feel shock, and they don’t know what to do, because people don’t know much about gay people. They think their husband is a disturbed person.”

    While it’s relatively easy to get divorced in China, Li says, many women stick with the marriages for complicated reasons. “Some stay because they still love their husband. He’s a good person, and a good father, and they want their children to have a father,” she says. Another reason is social stigma. “Most of the women can’t go to their friends, they don’t think they will be able to accept it or understand. Which is true. I think in China people make a moral judgment about it. [The women] think people will think, ‘Wow, your husband would prefer to be with a man than with you—what a loser.’ ”

    But there are tentative signs of change. Pink Space, a Beijing-based sexuality research center, started a support group for homowives earlier this year—the first of its kind in China. Zhang Beichan, a director at the China Sexology Association, thinks the homowife “problem” is shrinking. “In 2005, a TV station put out a program about gay issues, and I introduced a homowife who talked about her problems. This was one of the first times this issue was introduced to the public. It had a very big impact—some gay men still share that program with their families when they are pressured into getting married. Also, there are more and more gay men coming out of the closet, and more awareness of gay issues.”

    Back at the fake-marriage market, Fen Yu and his friends see themselves as the “transitional” generation. While they can’t come out to their parents, they can, at least, be open about their sexuality among friends, go to gay bars, and date. “For the generation after ours, it might be easier,” he says, “Our parents have no idea what homosexuality is. It’s very difficult, because it’s just opening up.”

    If Fen becomes a father, his will be a different approach: “I might not be able to tell my parents,” he says, “but when my child grows up, I will tell them the real story about why it happened and who I am.”

  13. মাসুদ করিম - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১২:৪৭ অপরাহ্ণ)

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ সাজিদ আলি হাওলাদার Fejervarya asmati নামক এক বিরল প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করেছেন। তার গবেষণা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে এখানে: Zootaxa 2761: 1-68 (9 Feb. 2011)। দৈনিক আজাদীতে খবর

    বিরল প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার চবি ছাত্রের

    বিরল প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করে বাংলাদেশের প্রাণিবিদ্যা চর্চার ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কৃতী শিক্ষার্থী সাজিদ আলী হাওলাদার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নতুন কোনো প্রাণী আবিষ্কারের রেকর্ড করে বিশ্বের বিখ্যাত বন্যপ্রাণী বিষয়ক জার্নাল জুট্যাক্সাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন এ শিক্ষার্থী। ২৬ বছর বয়সী এ তরুণ গবেষক চবির ক্যাম্পাসে প্রাপ্ত বিরল প্রজাতির ব্যাঙ আবিষ্কার করে পরিণত হয়েছেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রাণী আবিষ্কারক হিসেবে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত বা কোনো বাংলাদেশির উভচর, সরীসৃপ বা স্তন্যপায়ী প্রাণী আবিষ্কারের রেকর্ড এটিই প্রথম। তাছাড়া, কোনো সহায়তা ছাড়া একক ব্যক্তি কর্তৃক প্রাণী আবিষ্কার ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে লেখা প্রকাশেরও এটি প্রথম ঘটনা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি জুট্যাক্সাতে তার প্রাপ্ত ব্যাঙ সম্পর্কিত প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। খবর ইউএনবির।

    সাজিদ চবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর আসমতের নামানুসারে তার আবিষ্কৃত ব্যাঙের নাম দিয়েছেন ’ফেজারভারিয়া আসমতি’।

    আবিষ্কৃত ব্যাঙ ও প্রবন্ধ প্রকাশ করায় সাজিদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি’র কিউরেটর ড. ড্যারেল ফ্রস্ট। বিশ্বের সরীসৃপ প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাসের ক্ষেত্রে সাজিদই সর্বকনিষ্ঠ বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

    বিশ্বে সমাদৃত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. ক্রেইগ এডলার সম্পাদিত ইনডেক্স অব অথরস অব হারপেটোলজিক্যাল ট্যাক্সোনমিস্ট’র লেখক ড. জন এস এপলেগার্থ এক অভিনন্দন বার্তায় সাজিদের কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান ও সাফল্য কামনা করেছেন।

    ২০০৪ সালে চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন সাজিদ। এরপর থেকে ব্যাঙ, পাখি নিয়ে তার পথচলা। ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঙের জীবন প্রণালী ও বংশবৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালান তিনি। এ সময় তিনি ব্যাঙের বংশবৃদ্ধির জন্য হটস্পট হিসেবে পরিচিত চবির কাটাপাহাড় রাস্তার দু’পাশ থেকে বিভিন্ন ব্যাঙের নমুনা সংগ্রহ করতে থাকেন। এরমধ্যে ২০০৮ সালে একদিন পেয়ে যান বিরল প্রজাতির একটি ব্যাঙ। স্বভাবমতো সেটিকে তিনি ব্যক্তিগত সংরক্ষণাগারে নিয়ে গিয়ে এটির প্রজাতি ও প্রকৃতি উদ্ধারের কাজে লেগে যান। কিন্তু সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ও তালিকাভুক্ত সাড়ে ছয়শ প্রজাতির মধ্যেও এ ব্যাঙের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি তিনি। তারপর শুরু হয় অন্য ধরনের গবেষণা। এ ব্যাঙের ব্যতিক্রমী ডাক ও বৈশিষ্ট্য বের করতে তিনি যোগাযোগ করেন বিশ্বের সেরা সব প্রাণিবিজ্ঞানীদের সঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরে পর্তুগাল, ইটালি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় ব্যাঙের ডাকের সাউন্ড এনালাইসিস এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হন যে, এ ধরনের ব্যাঙের অস্তিত্ব একমাত্র বাংলাদেশেই পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে তিনি বিশ্বের সেরা প্রাণিবিজ্ঞানীদের সম্পাদনায় প্রকাশিত বন্যপ্রাণীর শ্রেণীবিন্যাসের কাজে নিয়োজিত জার্নাল জুট্যাক্সাতে এ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ পাঠান। ওই সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তার আবিষ্কারের সত্যাসত্য যাচাইয়ের পর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রবন্ধটি গ্রহণ করেন। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি জুট্যাক্সা’র ২৭৬১ ভলিউমে এটি প্রকাশিত হয়।

    খবরের লিন্ক এখানে

    আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুবাণ্ধবের সাথে দেখা করার সূত্রে যতবার গেছি ওই ‘কাটাপাহাড়’ দেখে বারবার বলেছি, তোরা শর্টকাট বলে এদিক দিয়ে যাচ্ছিস ঠিকই কিন্তু এভাবে এই পাহাড়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাটা উচিত হয়নি। আজ এই বিরল প্রজাতির ব্যাঙের আবিষ্কারের খবর পড়ে আমার বারবার মনে হচ্ছে আরো কত বিরল প্রজাতির ব্যাঙ এই পাহাড় থেকে হারিয়ে গেছে কে জানে?

    • মাসুদ করিম - ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)

      আজকে সমকালের ফিচার ‘কালস্রোত’এ প্রকাশিত মোহাম্মদ সাজিদ আলী হাওলাদারের সাক্ষাৎকার : অণুপর্যায় বিবর্তন নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা আছে

      সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি নতুন প্রজাতির ব্যাঙ পাওয়া গেছে। এর আবিষ্কারক ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ সাজিদ আলী হাওলাদার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি নিউজল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রাণিবিদ্যাবিষয়ক পত্রিকা জুটেক্সা এটিকে নতুন প্রজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৬৫০০ প্রজাতির ব্যাঙ আছে। এর মধ্যে ফেজারভারিয়া গোত্রের ৩৩টি প্রজাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রজাতিগুলো বিস্তৃত। এই তরুণ বিজ্ঞানীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরছেন ডিসকাশন প্রজেক্টের আবদুর রাজ্জাক।

      কালস্রোত : বাংলাদেশে ব্যাঙের প্রকৃতপক্ষে কয়টি প্রজাতি পাওয়া যায়?
      হাওলাদার : ওটঈঘ-এর হিসাব অনুযায়ী ৩৫টি এবং আমার আবিষ্কৃত প্রজাতিটিসহ ৩৬টি হবে। আর আমার আবিষ্কৃত প্রজাতিটিসহ ফেজারভারিয়া গোত্রের বর্তমানে ৬টি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়।

      ব্যাঙ আমাদের কী উপকারে আসে?
      সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাঙ প্রায় ৩৮ ধরনের পোকামাকড় খেয়ে থাকে। অনেক দেশে ফসলি জমি বা ফলের বাগানে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যাঙ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করা হচ্ছে। আমাদের দেশে এই প্রচলন নেই। কীটনাশক ব্যবহার করে প্রকৃতির চরম ক্ষতি করছি। অথচ ব্যাঙ ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো ফসল ফলাতে পারি। ফ্রান্সসহ নানা দেশে এখন সেই চেষ্টাই চলছে। এক সময় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ব্যাঙ রফতানিকারক দেশ ছিল। কিন্তু দেখা গেছে ব্যাঙ রফতানির ফলে দেশে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে এবং উৎপাদন কমে গেছে। ব্যাঙ নিধন করলে ব্যাঙখেকো সাপ মারা যায়, সাপ মারা যাওয়ায় ইঁদুরের বংশবিস্তার ঘটে। ইকোলজিক্যাল ভারসাম্য নষ্ট হয়। বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ। তাই কৃষকদের ব্যাঙ কাজে লাগাতে হবে।

      বিভিন্ন প্রজাতি থাকার সুবিধাটা কী?
      ব্যাঙের একেক প্রজাতির একেক ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। ফলে একেক প্রজাতির কাজও একেক রকম। একেকভাবে এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করছে। এছাড়া নতুন প্রজাতি শনাক্ত করলে তা সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া যায়।

      প্রজাতি সংরক্ষণের দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো ব্যবস্থা আছে?
      আমাদের দেশে এরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। নতুন কোনো প্রজাতি আবিষ্কৃত হলে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আরও গবেষণা হয় এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন ওটঈঘ প্রভৃতি সেটি সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেয়।

      এই প্রজাতিটি আপনি কীভাবে শনাক্ত করেন?
      দীর্ঘদিন ব্যাঙ নিয়ে কাজ করার ফলে বাংলাদেশে প্রাপ্ত সব ব্যাঙের ডাক আমার মোটামুটি পরিচিত। প্রথম যখন আবিষ্কৃত এই প্রজাতিটির ডাক শুনি তখন মনে হয়েছিল মাইক্রোহাইলা অরনাটা প্রজাতিটির মতো। কাছে গিয়ে দেখি এটি ফেজারভারিয়া গোত্রের ব্যাঙ।
      এই গোত্রের ব্যাঙের পেটের দু’পাশে দুটি লাইন থাকে। এদের মুখের কাছাকাছি রিকটাল গ্গ্নান্ড নেই। শরীরে ছোট ছোট মসৃণ ভাঁজ, ঠোঁট মোটামুটি উন্মুক্ত। ব্যাঙের পায়ের আঙুলগুলো গোড়ার দিকে লাগানো থাকে আর হাতের আঙুল প্রতিটি আলাদা আলাদা। পেটের দিকটা সাধারণত সাদা হয় তবে প্রজননকালে পুরুষ ব্যাঙের গলা এবং স্বরথলি কালো রঙ ধারণ করে। মেরুদণ্ড বরাবর পিঠে একটি রেখা প্রায়ই দেখা যায়। এদের আকার ২২-৬০ মিমি হয়। ফেজারভারিয়া গোত্রের ব্যাঙগুলো আলাদা করা হয় এদের গলায় স্বরনালী বা স্বরথলিতে বিভিন্ন রকমের চিহ্ন দেখে। যেমন নতুন এই প্রজাটিতে স্বরথলিতে প্রজাপতির মতো কালো রঙের এক ধরনের চিহ্ন আছে। অন্যগুলোতে এই চিহ্ন ভিন্ন রকম। এই ব্যাঙের অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে এর গলার ডাক। এভাবে শুধু বাহ্যিক অঙ্গসংস্থান দেখে নতুন এই প্রজাটিকে শনাক্ত করি। এই প্রজাতির আকার ২৯.১-৩০ মিমি। নতুন এই প্রজাতিটির নাম ফেজারভারিয়া আসমতি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক গাজী এসএম আসমতের নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয়েছে।
      ব্যাঙের আরও প্রজাতি পাওয়ার সম্ভাবনা কি আছে?
      আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ব্যাঙের ২০০টি প্রজাতি আছে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আরও প্রজাতি থাকার কথা। তবে বর্তমানে ফেজারভারিয়া গোত্রটিকে ভেঙে আরও একটি প্রজাতি করা হয়েছে, মিনারভারিয়া। ভারতের ওয়েস্টার্ন ঘাটে এর একটি প্রজাতিও আবিষ্কার হয়েছে। ফেজারভারিয়া থেকে মিনারভারিয়া আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে যেমন মিনারভারিয়ার আকার কখনই ৩০ মিমি’র অধিক হবে না। এদের মুখের কাছাকাছি রিকটাল গ্গ্নান্ড আছে। এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে থাকার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

      বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকার কারণ কী?
      এমনিতেই দেশে বনভূমির পরিমাণ কম, আর অন্যদিকে দেশীয় প্রজাতির গাছের অভাব রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে ভিন দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বনায়ন করা হয়েছে। এভাবে অনেক প্রাণীর ইকোলজি আমরাই নষ্ট করেছি। এছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব, সেই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগেরও অভাব রয়েছে। এটা শুধু সরকারি ব্যর্থতা নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতিপরায়ণতাও জীববৈচিত্র্যকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

      আপনার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন কী?
      ভবিষ্যতে ফাইলোজেনেটিকস নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে। ফাইলোজেনেটিকস হচ্ছে মলিকুলার বা পর্যায়ে কোনো প্রাণীর বিবর্তনের ধারা নির্ণয়ের প্রাণিবিজ্ঞানের একটি শাখা। আমি ব্যাঙের বিবর্তন ধারা নিয়ে পড়াশোনা করব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানের ড. মাসাইউইকি সুমিদার তত্ত্বাবধানে ব্যাঙের ফাইলোজেনেটিকস নিয়ে কাজ হয়েছে। প্রাণিজগতের বিবর্তন ধারা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কাজের পরিকল্পনা করছি।

  14. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:১১ পূর্বাহ্ণ)

    প্রবীণ শিল্পসাধক দিনকর কৌশিক গতকাল রবিবার প্রয়াত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে একজন অনন্য চিত্রকর ও ভাস্করকে আমরা হারিয়েছি, কিন্তু তার চেয়ে বেশি হারিয়েছি একজন বাংলা ভাষাপ্রেমী মারাঠিকে যিনি বাংলা ভাষাকে একেবারে নিজের ভাষা করে নিয়েছিলেন এবং ‘দেবনাগরী’ অক্ষরে বাংলা লিখতেন। খবরের লিন্ক এখানে

  15. মাসুদ করিম - ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    কুত্তে
    এই গলির বেঘর বেকার কুত্তারা
    অন্যের দয়ায় ভিখারির মতো জীবন যাদের
    দুনিয়ার লাঠি ঠোক্কর খাওয়া বেহায়ার দল

    সকাল সন্ধে আরামের ফুরসত নেই স্বস্তি নেই
    আস্তাকুঁড়ে নালিনর্দমায় বাঁচতে হয় যাদের

    মেজাজ বিগড়োলে একে ওকে লড়িয়ে দাও
    আবার এক-টুকরো রুটি দেখাও

    সবাইকার লাথিঝাঁটা খাওয়ার জন্যও তারা
    খিদের চোটে ছটফট করে মরে যায় এরা
    এই নির্যাতিত লাঞ্ছিতরা যদি একবার মাথা তোলে
    তখন সবার দাপট উবে যাবে।

    চাইলে এরা দুনিয়াকে কব্জা করে নিতে পারে
    এমনকি হর্তাকর্তাদের হাড়ও চিবিয়ে খেতে পারে

    যদি কেউ ওদের একটু বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে
    যদি কেউ একবার ওদের নেতানো লেজগুলো নাড়িয়ে দেয়!
    অনুবাদ : প্রদোষ দত্ত

    উপরের কবিতাটি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের। গতকাল রবিবার ছিল এই কবি ও সাংবাদিকের জন্মশতবার্ষিকী। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে এবং পৃথিবীর বহু শহরে গতকাল কবির জন্মের শতবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। প্রধান স্মরণানুষ্ঠান হয়েছে লাহোরে

    • মাসুদ করিম - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)

      ফয়েজকন্যা সালিমা হাশমি বলেছেন, ফয়েজ ভারত-পাকিস্তান রাজনীতির ঊর্ধ্বে।

      Renowned Urdu poet Faiz Ahmed Faiz’s daughter Salima Hashmi says the poet is beyond the politics of India and Pakistan and can be a bridge between the two countries.

      “During his exile, on his 70th birthday, Faiz was in Delhi at a big meeting where his poems were appreciated. Faiz had said then that he took this as a sign of India’s affection for the people of Pakistan,” Hashmi told IANS here.

      “Faiz was deeply connected to the struggles of Pakistanis. When people celebrate Faiz in India, it’s a message not just for Faiz but his people,” Salima says.

      Faiz, born in Sialkot in 1911, was active in the political and cultural space of India. After independence he moved to Pakistan, where among other things he worked as a journalist, teacher, college principal and activist. He died in 1982.

      Week-long centenary celebrations in Lahore, which end on Faiz’s birthday Feb 13 and have been organised by the Faiz Foundation Trust, includes an evening with Indian film personalities Shabana Azmi and Javed Akhtar. A 20-strong delegation from India arrived for the festival in Lahore Thursday and also includes singer Ila Arun, writers Shama Zaidi and Atul Tiwari, director M.S. Sathyu, actors Rajendra Gupta and Lubna Salim, and scholars Asghar Wajahat and Suresh Chabria.

      Hashmi was in Delhi last week for the same. Fans of Faiz in many Indian cities, including Delhi, Mumbai and Lucknow, are holding functions commemorating the poet.

      “Everyone is susceptible to Faiz. Even the stubborn ones in the corridors of power in India and Pakistan have kept their differences aside to celebrate Faiz. He is beyond the reach of their politics,” Salima told IANS here about the effort that went into holding the Faiz Ahmed Faiz centennial celebrations here.

      Faiz’s poems continue to ring true across world.

      “I have found Faiz in my wanderings in Palestine, South Africa, in Swat Valley, in the movements in West Bengal and the southern part of India. The sense in his poems is so intrinsic that no amount of terror can shake it. His work is a celebration of the fact that there is a common future for all of us,” says Hashmi.

      “Urdu is not even spoken in most of these places. There has to be something beyond language here,” she says.

      Faiz’s major works include “Naqsh-e-Faryadi”, “Dast-e-Saba” and “Zindan-Nama”. Faiz’s poetry has been translated into many languages, including English and Russian.

      The deluge of requests she gets from people across the world, mostly from India, to use Faiz’s work in songs, films and in their own literature, makes Hashmi realise that “something in Faiz is beyond the problem of translation.”

      She says the Faiz festival was the strongest during the rule of President Zia-ul Haq.

      Most of his works were banned during the military dictatorship of Haq (1977-88). These included ‘Hum Dekhenge’, an anthem for liberty from tyranny, with its lines ‘Sab taaj uchale jayenge, Sab takht giraye jayenge (all crowns will be tossed up, all thrones will be brought down)’. However, defying the diktat, famous ghazal singer Iqbal Bano recited it at a 1985 programme in Lahore to a 50,000-strong crowd, which took up the chant.

      “At a time when political activity was not allowed, Faiz’s poems became a way for people to vent their feelings. That is when I realised that cultural activity is actually political,” Salima says.

      And that is the reason she persists despite the problems. “For us Faiz lives, and is rejuvenated every year. This year, considering the political climate of the world, the need for Faiz is urgent,” she concludes.

      (Satyen K. Bordoloi can be contacted at satyens@gmail.com)

      –Indo-Asian News Service

      লিন্ক এখানে। আর এখানে শুনুন ইকবাল বানোর কণ্ঠে : Hum dekhenge। এখানে কবিকণ্ঠে : Hum dekhenge

  16. মাসুদ করিম - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (২:০৮ অপরাহ্ণ)

    The notion of “Dar al-Islam” (“the House of Islam”), like the notion of “Christendom” throughout much of European history, is a universal concept as far as orthodox Muslims are concerned. Therefore, it can be debated whether an Islamic outlook on life is in the final analysis compatible with the “nation-state,” which ultimately divides the “House of Islam.”

    Assessing Davutoğlu’s remarks in this light, one cannot help but wonder if this is what he suggests when referring to an “emerging awareness above the concept of nation-state.” Given the closeness the Justice and Development Party, or AKP, feels toward Islamic regimes and groups, as well as some of its practices at home that upset Turkish nationalists and secularists alike, one is forced to ask this question.

    Of course Prime Minister Recep Tayyip Erdoğan is using the nationalism card now on certain issues with a view to gaining the nationalist votes in the general elections to be held in June. But he has given enough signs during his political career that suggest his Islamic identity comes first while his Turkish identity comes second.

    তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবুতোগ্লুকে মুসলিম বিশ্বের বাস্তব রাজনীতির সবচেয়ে প্রাজ্ঞ প্রবক্তা হিসেবে আরব বিশ্ব শ্রদ্ধা করে, কিন্তু কোন আরব বিশ্ব — যে আরব বিশ্ব ‘মিসরি’ জাতীয়তা ‘তিউনিসিয়’ জাতীয়তার চেয়ে ইসলামিক জাতীয়তাকে ‘দারুল ইসলাম’কে বড় করে দেখে। এবং মিশরি গণঅভ্যুত্থানকে যখন দাবুতোগ্লু ‘জাতিসত্তা’র সংগ্রামী চেতনা বলেন তখন আমাদেরকে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয় — জাতিসত্তা বলতে তিনি ‘দারুল ইসলাম’কে বোঝাচ্ছেন কি না — তার দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস পার্টি ও তার নেতা এরদোগান কিন্তু সেরকমই ভাবেন। আমরা ‘মিশরি’ জাতিসত্তা বা ‘আরব’ জাতিসত্তার কথা বুঝি কিন্তু যদি আমাদেরকে ‘দারুল ইসলাম’এর দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে আমরা নাই।

    পড়ুন এখানে

  17. মাসুদ করিম - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৮:২১ অপরাহ্ণ)

    টি.ভারদাপিল্লাই প্রণীত ১৮৩৭ সালে তামিলনাড়ুর মাদুরা থেকে প্রকাশিত এই সচিত্র বইতে তখনকার ভারতীয় সমাজের ৭২ জাতের (Caste) সন্ধান পাওয়া যাবে।

    ধোপা ও ধোপানির ছবি দেখুন এখানে

    এরকম আরো দুষ্প্রাপ্য বইয়ের সন্ধান পাওয়া যাবে : World Digital Libraryতে।

    • অবিশ্রুত - ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১১:১৩ অপরাহ্ণ)

      দুর্লভ এ লাইব্রেরিটির সন্ধান দেয়ার জন্যে মাসুদ করিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যদিও এর নেভিগেশন পদ্ধতিটা তেমন সুবিধার নয়, বই পড়তে গেলে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে, পছন্দের অধ্যায় খুজে নেয়ার জন্যে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ওল্টাতে হচ্ছে; কিন্তু তা বোধহয় অনলাইনের পঠনে অনিবার্য…(বাঙালি বসতে দিলে শুতে চায়, এরকম সব দুর্লভ বই চোখে দেখতে পাব বলে ভাবিনি, আর এখন কি না, পড়তে গেলে কি না কি হয়, তা ইনিয়েবিনিয়ে শুনাচ্ছি…)।
      আবারও ধন্যবাদ।

  18. অবিশ্রুত - ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১০:৪৭ অপরাহ্ণ)

    লিবিয়ায় কী ঘটছে-

    O’Brien, for one, is convinced. “Gaddafi is an intelligent guy who has been in control for 40 years,” he says. “He realised that the only way to extradite himself from his difficulties was to use Libya’s oil and gas wealth. This was realpolitik. He recognises that the world has changed and that he has to change with it.”

    For those who believe the west made a disastrous mistake in opposing the wave of nationalist politicians who came to power in the Middle East from the 1950s onwards, there is an irony. Gaddafi is the last of that generation, and while others who cloaked themselves in the rhetoric of Nasser have fallen, failed or died, it is the young man once praised by the Egyptian president who now appears to be becoming the kind of Arab leader with whom we can, and with whom we wish, to do business.

    গাদ্দাফী সম্পর্কে খানিকটা জানা যাবে এই লিংক থেকে

    • মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

      তিউনিসিয়ার বেন আলি ও মিশরের হোসনি মুবারক স্বৈরাচারী আর লিবিয়ার গাদ্দাফি শুধু একজন স্বৈরাচারী নয় তার চেয়েও বেশি এক নিষ্ঠুর দৈত্য। চোখে সুরমা দেয়া কবির মুখোশধারী এই অসুস্থ শাসক নিজেকে মনে করেন ‘বিপ্লবী নেতা’ আর যারা এখন তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাদের মনে করেন ‘ড্রাগসেবী’ ‘মদখোর’ আর লিবিয়ার নাগরিকদের মনে করেন ‘ইঁদুর’। এই গাদ্দাফি শুধু নিজেই দৈত্য নয় তার আছে এক দৈত্যের সংসার। এখানে পড়ুন তার পরিবাবের কে কোথায় : Who’s who in Moammar Gadhafi’s family tree

      • মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৫:০৩ অপরাহ্ণ)

        আরে ভুলেই তো গিয়েছিলাম, এই তো সেই গাদ্দাফি যে শেখ মুজিবের খুনিদের আশ্রয় দিয়েছিল। সকালে ওই কলকাতার শেখ মুজিব ছাত্রাবাসের লিন্ক ও গাদ্দাফির লিন্কটা দেয়ার পর থেকেই মনে হয় অবচেতনে কিছু কাজ করছিল, আর এখনই তা মনে পড়ল। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই গাদ্দাফি তো আরো ঘৃণ্য চরিত্র হয়ে গেল আমার কাছে। এই গাদ্দাফির পৃষ্টপোষকতায় তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ফারুকের ‘ফ্রিডম পার্টি’। গাদ্দাফির পতনের পর এই খুনিদের আশ্রয় দেয়ার ও ‘ফ্রিডম পার্টি’ নেপথ্যের ইতিহাস কি জানা সম্ভব হবে আমাদের? অথবা লিবিয়া পালিয়ে থাকা আরো কিছু রয়ে যাওয়া খুনিকে কি ফেরত পাবে বাংলাদেশ?

        • মোহাম্মদ মুনিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৮:৫২ অপরাহ্ণ)

          মাসুদ ভাই, আমি নিজেও একই কথা ভাবছিলাম। গাদ্দাফির লিবিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাথে জড়িয়ে আছে। উইকিপেডিয়াতে দেখলাম লিবিয়া বাংলাদেশ স্বীকৃতি দিয়েছে বংবন্ধুর আমলেই, তবে শেষের দিকে। পাকিস্তানের কুটনৈতিক তৎপরতার কারনে শুধু লিবিয়া নয়, গোটা আরব বিশ্বই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দেরী করেছিল।
          জিয়াউর রহমান অবশ্য বংগবন্ধুর হত্যাকারীদের অবশ্য শুধু লিবিয়াতেই নয়, জিম্বাবুয়ে, কানাডা আর চীনেও বিভিন্ন কুটনৈতিক পদ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন। তবে লিবিয়াকে কেন্দ্র করেই সত্তুরের দশক থেকেই বংবন্ধুর হত্যাকারীরা তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়েছে। এখনও হত্যাকারীদের বেশ কয়েকজন লিবিয়াতে পালিয়ে আছে। লিবিয়া থেকে হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে
          নিশ্চয় লিবিয়ার সাহায্য চাওয়া হয়েছে, লিবিয়ান সরকার বলাই বাহুল্য, সহযোগীতা করেননি।

  19. মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৮:৫০ পূর্বাহ্ণ)

    ১৯৪৬ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (১৯৬০ খেকে মৌলানা আজাদ কলেজ) আইন পড়তে গিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, সেসময় সেখানকার বেকার হস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরে থাকতেন শেখ মুজিব, এই ঘরটি এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মুজিবস্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করছেন। এই হস্টেলটির পাশেই শেখ মুজিবকে সম্মান জানাতে মৌলানা আজাদ কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন ছাত্রবাস নির্মাণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি ‘শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রাবাস’-এর নাম ফলক উন্মোচন করেন।

    খবরের লিন্ক এখানে

    • মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৮:৪১ অপরাহ্ণ)

      ইসলামিয়া কলেজে মুজিব ১৯৪৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত পড়েছেন, আর সেখান খেকে তিনি বি.এ পাস করেছিলেন — গণশক্তির তথ্যে ভুল আছে। শেখ মুজিব ১৯৪৮-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন।

  20. রায়হান রশিদ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৬:০০ পূর্বাহ্ণ)

    প্রযুক্তি মাধ্যমে বাংলা অক্ষরের প্রচলন ও প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুটো লেখা।

    প্রথমটি একেবারেই একটি বাজে লেখা, কিন্তু লেখকের এই কুযুক্তিগুলো আমাদের সকলেরই জানা থাকা জরুরীঁ। লিখেছেন মোস্তফা জব্বার! মন্তব্য ঘরে এই বিষয়ে ওয়াকিফহাল পাঠকদের মন্তব্যগুলো অবশ্যপাঠ্য।

    দ্বিতীয় লেখাটি আজকের প্রথম আলোতে লিখেছেন মুনির হাসান। একটি অবশ্যপাঠ্য লেখা।


    কম্পিউটার ও মুঠোফোনের জন্য প্রমিত বাংলার মান

    মুনির হাসান | তারিখ: ২৫-০২-২০১১
    কম্পিউটারে বাংলায় কাজ করেছেন কিন্তু সমস্যায় পড়েননি এমন বাঙালি বিরল। আপনার কম্পিউটারে লেখা বাংলাপত্র আমার কম্পিউটারে হ য ব র ল! এখনো অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। ফলে কোনো কোনো সময় মনে হয়, সাইবার জগতে শেষ পর্যন্ত আমার ভাষা টিকবে তো? কেননা ছাপাখানা আবিষ্কারের পর বোঝা গেল সেই ভাষা টিকে যাবে, যার কি না আছে মুদ্রণরূপ। যে ভাষাগুলো তাদের সিসাতে অক্ষরের ছাপ পায়নি, তাদের অনেকেই হারিয়ে গেছে। ভাষার ওপর প্রযুক্তির ছড়ি ঘোরানো থেকে বাঁচতে হলে ভাষার জয় করতে হয় প্রযুক্তিকে, সর্বজনীনভাবে। বিচ্ছিন্ন চেষ্টা সেটাতে তেমন মূল্য যোগ করে না, শেষ বিচারে।
    বিশ শতকে কম্পিউটার আসার পর এ বোধটা প্রবল হয়েছে। কম্পিউটারের নিজের ভাষা কিন্তু সহজ—জলবৎ তরলং, কেবল ‘১’ আর ‘০’। তা সে ভাষা তো মানুষ ‘সেভাবে’ বোঝে না, তাই তৈরি করা হলো নিয়মকানুন, অনুবাদক। আমাদের ভাষাকে কম্পিউটারের ভাষায় প্রকাশের জন্য একটা মোর্সকোডের মতো ম্যাপ বানানো হলো [মোর্সকোড হলো ড্যাশ আর ডটের মাধ্যমে ইংরেজি বর্ণমালা বোঝানোর সংকেতলিপি। টেলিগ্রাফে ব্যবহূত হয়]। সেটির একটি গালভরা নামও হলো আসকি (ASCII)। এগুলো কিন্তু মুশকিল নয়, বরং প্রযুক্তির ধারাবাহিক ক্রমবিকাশ। মুশকিল হয়েছে অন্য। শিল্প ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ এই পৃথিবীর সবখানে একসঙ্গে হয়নি। ফলে কম্পিউটার নামের যন্ত্রটির বিকাশের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাই ছিলেন ইংরেজি ভাষাভাষী। ফলে তাঁরা কেবল তাঁদের ভাষার (ইংরেজি) কথা ভেবে যাবতীয় কলকব্জা, নীতিমালা বানিয়েছেন; সে অনুযায়ী প্রযুক্তর উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ইংরেজি পণ্ডিতেরা দেখলেন, ১২৮টি সংকেত ব্যবহার করলেই তাঁদের হয়। তাঁরা তাঁদের বন্ধুবান্ধবের জন্য আরও ১২৮টি সংকেত রেখে মোট ২৫৬টি সংকেতের এই আসকি বানালেন। ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডিক্রি জারি করে বললেন, তাঁর দেশে যত কম্পিউটার বানানো হবে, তার সবই আসকি সমর্থনযোগ্য হতে হবে। ব্যস।হয়ে গেল কম্পিউটারে ভাষার প্রমিতকরণ!
    কম্পিউটারের ব্যাপারটা এমন যে অচিরেই সেটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ল। অন্য ভাষার লোকেরা সেটিকে তাঁদের মতো করে, তাঁদের ভাষায় ব্যবহার করতে চাইল। কম্পিউটারবিদেরা পড়লেন বিপদে। কারণ সব তো বানানো হয়েছে ইংরেজিকে কেন্দ্র করে। ‘যত মুশকিল তত আসান’ কাজেই রাস্তাও বের করে ফেললেন সবাই। দুটি রাস্তা প্রথমটিও ইংরেজির সঙ্গে সহাবস্থান, আশু করণীয় হিসেবে। অর্থাৎ আসকির ইংরেজি ছাড়া অংশগুলো নিজেদের ভাষার জন্য ব্যবহার করা, একটি মধ্যবর্তী প্রক্রিয়া ব্যবহার করা ইত্যাদি। ফলে ইংরেজি কম্পিউটারে জাপানি, আরবি এমনকি বাংলা ভাষায় কাজ করা সহজ হয়ে গেল। এ কাজটি করার সময় কয়েকটি দেশ প্রথমেই ম্যাপের ব্যাপারে একমত হয়েছে। যেমন ভারত, ভিয়েতনাম বা ইন্দোনেশিয়া। তারা প্রথমে একটা ম্যাপ বানিয়ে নিয়ে সবাই সেটা মেনে চলতে শুরু করল। আবার অনেক দেশে আসকির খালি জায়গাগুলো ‘যে যেমন খুশি’ তেমনই ব্যবহার করতে শুরু করে দিল। যেমন আমরা। ফলে শুরুতে যেমন বলেছি, আমরা কম্পিউটারে বাংলা লিখতে পারলাম বটে, তবে আমার লেখা আর আপনার কম্পিউটারে ‘পড়া’ যায় না!
    ১৯৮৭ সালে জেরক্স কোম্পানির জো বেকার আর অ্যাপল কম্পিউটারের লি কলিন্স ও মার্ক ডেভিস এই সমস্যার একটি সর্বজনীন সমাধান বের করার চেষ্টা করলেন। কাজটি হলো কম্পিউটারের জন্য এমন একটি সংকেত ব্যবস্থার উদ্ভাবন করা যা কিনা বিশ্বের তাবৎ ভাষাকে আত্মস্থ করতে পারবে। প্রত্যেক ভাষার স্বতন্ত্র লিপি সেখানে জায়গা পাবে। মাত্র ২৫৬টি নয়, সেখানে থাকবে কয়েক লাখ প্রতীক-সংকেতের জায়গা। এটি হবে একক, সমন্বিত ও সর্বজনীন সংকেত ব্যবস্থা (unique, unified, universal encoding)। এভাবে আমরা পেয়ে যাই ইউনিকোড নামের নতুন এক সংকেত ব্যবস্থা। বিশ্বের সব চলমান ভাষা এমনকি কয়েকটি হারিয়ে যাওয়ার লিপিও সেখানে স্থান পেল। তার পরও ভবিষ্যতের জন্য সেখানে এখনো অনেক খালি জায়গা রয়ে গেছে! আর পুরো কাজটিকে সর্বজনীনরূপ দেওয়ার জন্য তৈরি হলো ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম। সব ভাষাভাষীর প্রতিনিধিরা যাঁরা ইচ্ছা করেছেন, তাঁরা সেখানে যোগ দিয়েছেন আর তাঁদের সঙ্গে আছেন সব প্রযুক্তি পণ্যের নির্মাতারা। কারণ সংকেতকে শেষ বিচারে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করতে হলে কম্পিউটারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
    পৃৃথিবীর আর দশটি ভাষার মতো আমার মায়ের ভাষাও ঢুকে গেল ইউনিকোডে। অর্থাৎ ইউনিকোডে নির্ধারিত হয়ে গেল বাংলা ভাষার ‘ক’ কে কম্পিউটার কোনো সংকেত হিসেবে চিনবে। যে সফটওয়্যারগুলো ইউনিকোড মেনে চলে, তাদের বেলায় সব ‘ক’ একই সংকেতে চেনা যাবে। অর্থাৎ আমার আর আপনার কম্পিউটারে বাংলা লেখার পদ্ধতি যদি ইউনিকোড সমর্থিত হয়, তাহলে কারও কোনো বিভ্রান্তি হবে না!
    প্রযুক্তির প্রমিতকরণের প্রতি কেন জানি না, আমাদের এক ধরনের অবহেলা আছে। ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম যখন হলো তখন দেখা গেল, বিশ্বের একমাত্র যে দেশটির রাষ্ট্রভাষা বাংলা, তার কোনো প্রতিনিধি সেখানে নেই। বাংলা যেহেতু ভারতের একটি প্রাদেশিক ভাষাও, তাদের হাত ধরে সেটি ঢুকে গেল ইউনিকোডে। ফলে শুরু থেকে আমাদের মনের মতো করে ইউনিকোডে বাংলাটা ঢুকল না। ইউনিকোডের লোকজনকে শুরুতে বোঝানোই গেল না, ৎ একটি পৃথক বর্ণলিপি, তার আলাদা অস্তিত্ব দরকার। বাংলা ভাষার যুক্তবর্ণ আসলে বাংলাভাষার প্রাণ। সেগুলোর জন্য আলাদা সংকেত থাকলে আমাদের গণনার কাজটি সহজ হয়। চীনা, জাপানি বা কোরীয়দের ভাষার হাজার হাজার চিহ্নের জন্য সংকেতের সুযোগ থাকলে আমাদেরও থাকা উচিত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরাও এসব পেলাম না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে নতুন যুগের একদল বাংলাপ্রেমিক ইউনিকোডের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে শেষ পর্যন্ত অনেকগুলো সমস্যার সমবধান করেছে। ফলে এখন ইউনিকোড বাংলার প্রমিতমান হিসেবে প্রযুক্তি পণ্যের জন্য যথাযথ হয়ে উঠেছে।
    যেহেতু বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে তখন দরকার ছিল ইউনিকোডের সর্বশেষ মানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় মান হিসেবে গ্রহণ করা। আর ঠিক এই কাজটি হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কম্পিউটারে বাংলা প্রমিতমান হিসেবে ইউনিকোডকে গ্রহণ করেছে। বাংলা বর্ণমালার হালনাগাদ করা কোড সেটের মান হিসেবে বিডিএস ১৫২০: ২০১১ গৃহীত হয়েছে। ইউনিকোডের সর্বশেষ সংস্করণ ইউনিকোড ৬.০-এর সঙ্গে এর প্রায় সবটুকু মিল। তবে এখনো ইউনিকোডে দাঁড়ি, জোড়া দাঁড়ির জন্য বাংলা কোড পেজে পৃথক সংকেত নেই। কিন্তু বিডিএসে এই দুটির জন্য পৃথক সংকেত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এবং কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রমিতকরণ কমিটির আহ্বায়ক মো. মাহফুজুর রহমান জানালেন, ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে বাংলা লিপির প্রতীকায়নের ব্যাপারে আমাদের যেসব অসঙ্গতি রয়েছে, সেগুলো দূর করার জন্য সরকার ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের পূর্ণ সদস্য হয়েছে। দাঁড়ি, ডবল দাঁড়ির মতো প্রয়োজনীয় চিহ্নের সংযোজন এবং ঔ-কারের ডানের একক পৃথক চিহ্নের মতো অপ্রয়োজনীয় চিহ্ন পরিত্যাগের ব্যাপারে সরকারিভাবে কাজ করা হবে। তবে একই সঙ্গে যাঁরা কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়োগ নিয়ে কাজ করবেন, তাঁরা যেন নতুন এই জাতীয় মান মেনে চলেন, তার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। সব কম্পিউটার সফটওয়্যারে তথ্য ধারণের জন্য যদি ইউনিকোড সমর্থিত জাতীয় মানটি গ্রহণ করা হয়, তাহলে এক সফটওয়্যারে লেখা বর্ণ অন্য সফটওয়্যারেও একই দেখাবে। শব্দ অনুসন্ধান বা অভিধানের বর্ণক্রমও সবার জন্য একই হবে।
    ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএসটিআই একই সঙ্গে মোবাইল কি-প্যাডের প্রমিতকরণের কাজটিও করেছে। প্রকাশিত হয়েছে মোবাইল বাংলা কি-প্যাডের মান বিডিএস ১৮৩৪:২০১১। সাধারণ মোবাইলের সংখ্যার যে কি-প্যাড রয়েছে, সেখানে কোন বর্ণের পর কোন বর্ণ আসবে, সেটির জন্য এই প্রমিত মান। সব মোবাইল সেটে এই মান চালু হলে নির্মাতা নির্বিশেষে ব্যবহারকারী মোবাইলে একইভাবে বাংলা লিখতে সক্ষম হবে। যেহেতু মোবাইলে মাত্র ১২টি কি থাকে, সেহেতু এই কি-তে পরপর চাপ দিয়ে উদ্দিষ্ট বর্ণ পাওয়া যাবে। আবার * চিহ্ন ব্যবহার করে যুক্ত বর্ণ তৈরি করা যাবে। মোবাইল ফোনেও বর্ণের প্রতীকায়নের জন্য ব্যবহূত হবে ইউনিকোড। ফলে সেট নির্বিশেষে বাংলা মুঠোবার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ সম্ভব হবে। কেবল এর জন্য যথাযথ সফটওয়্যারের প্রয়োজন হবে।
    ইউনিকোডকে ভিত্তি করে বাংলার জাতীয় কোড সেটের প্রমিতকরণ ও মোবাইল কি-প্যাডের মান নির্ধারণ দীর্ঘদিনের দাবিকে পূরণ করেছে। এখন দরকার এই মানকে অনুসরণ করা। যাঁরা বাংলা নিয়ে প্রযুক্তি জগতে কাজ করছেন, তাঁদের কাজে সমন্বয় করতে পারলে দীর্ঘদিনের অরাজকতার অবসান হবে। একই সঙ্গে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের কারিগরি কমিটিতে পূর্ণ ভোটাধিকারের প্রয়োগের মাধ্যমে ইউনিকোড থেকে বাংলা ভাষার ন্যায্য হিস্যা আদায়েও আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। আর সেটিই হবে একুশ শতকে ভাষা শহীদদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাঞ্জলি।

    • মোহাম্মদ মুনিম - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৭:৩১ পূর্বাহ্ণ)

      মোস্তফা জব্বারের লেখাটিতে তিনি কি যুক্তি দিলেন সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। রোমান হরফে লিখলে বাংলায় রুপান্তরিত হয়ে যায়, এই ব্যাপারটার সাথে তিনি আরবী হরফে বাংলা লেখার পাকিস্তানী পরিকল্পনার মিল খুঁজে পেলেন! সপ্তাহ কয়েক আগে আমি আমার ইরানদেশীয় বসকে গুগলের transliteration এর মাধ্যমে ফারসী ভাষায় লেখার ব্যাপারটা দেখিয়ে দিই। তিনি প্রথমে ব্যাপারটা ঠিক না বুঝলেও কিছুক্ষনের মধ্যেই কম্প্যুটারে ফারসী লেখা শুরু করলেন, এবং বললেন এখন থেকে তবে দেশে মাকে ফারসীতে ইমেইল করতে পারবো, মা নিয়মিত চিঠি লিখি না বলে অভিযোগ করেন। আমি নিশ্চিত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী এখন দেশে থাকা মা বাবাকে নিয়মিত বাংলায় ইমেইল করেন, সেটা অভ্রের কারণেই হয়েছে, বিজয় দিয়ে এটা কখনোই তাঁরা করতে পারতেন না। অভ্র জানার আগে আমি নিজেও রোমান অক্ষরে বাংলা লিখতাম না, সেটা বাংলা হরফ নিয়ে অহঙ্কারের কারণেই।

    • মাসুদ করিম - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১১:০২ পূর্বাহ্ণ)

      আমি বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করে ইউনিজয়ে বাংলা লিখি। এখনো পর্যন্ত এদিয়েই আমার বাংলা লেখা চলছে। আমার কাছে এটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ যে আমি যা লিখছি তাই আরেকজন তার কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রে পড়তে পারবেন, আমার কাছে এটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ যে আমি আমার বর্ণমালায় টাইপ করব। এই যে আমার চাওয়া তার পেছনে প্রযুক্তিবিদদের অনেক পরিশ্রম থাকবে, অনেক সমন্বয় থাকবে, অনেক বোঝাপড়া সংহতির জায়গা থাকবে — কিন্তু আমার কাছে পুরো বিষয়টি হবে খুবই সহজ : আমি বাংলায় লিখছি আরেকজন বাংলায় পড়ছেন বা আরেকজন লিখছেন আমি পড়ছি। এই লক্ষ্যটায় আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি, তবে এই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছতে পারব। আমাদের প্রযুক্তিবিদরা অবশ্যই আমাদের সেজায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন, শুধু লক্ষ্যটা ঠিক থাকতে হবে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ভাষার নষ্টনীড় নিয়ে ‘জগৎ জোড়া জাল’-এ দিন কাটানোই আমাদের নিয়তি হয়ে যাবে।

  21. কামরুল হাসান - ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৪:৪১ অপরাহ্ণ)

    আমার দশটি কবিতা ছাপা হয়েছে আর্টস.বিডিনিউজ২৪.কম-এ [এখানে]। সকলকে পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনাদের মতামত আশা করি।

  22. মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (১২:৪৯ অপরাহ্ণ)

    জানা গেছে, রংপুরে উৎপাদিত আলুর পরিমাণ ১৫ লাখ মেট্রিকটনের বেশি। অথচ রংপুরে ৩০টি হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা প্রায় সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ জানায়, এ বিভাগে এবার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮২ মেট্রিক টন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন বেশি। এরমধ্যে রংপুরে ৫৭ হার ৭৬১ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬ হাজার ৪৬০, গাইবান্ধায় ৯ হাজার ৩৭২, নীলফামারীতে ২২ হাজার ৬৭১, লালমনিরহাটে ৫ হাজার ৬৪৭, দিনাজপুরে ৩৬ হাজার ৫৯২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ হাজার ৫৯১ এবং পঞ্চগড়ে ৯ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে।
    সূত্রটি জানায়, গত বছর রংপুরে ৫৬ হার ৭৪০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬ হাজার ৩৪০, গাইবান্ধায় ১০ হাজার ২৫৫, নীলফামারীতে ২৪ হাজার, লালমনিরহাটে ৫ হাজার ২৬৫, দিনাজপুরে ৩৭ হাজার ৬৮৮, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩ হাজার ২৭০ এবং পঞ্চগড়ে ৭ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছিল।
    আলু চাষীরা অভিযোগ করেছেন, প্রতি বস্তা আলুতে তাদের খরচ পড়েছে ৫০০ টাকার উপরে। ক্রেতা না থাকায় আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা । হিমাগারে রাখারও জায়গা পাচ্ছেন না। হিমাগারে গেলে বলা হচ্ছে আগেই বুক হয়ে গেছে । বীজ আলুর উৎপাদন ব্যয় সাধারণ আলুর চেয়ে বেশী। এ আলু হিমাগারে না রেখে উপায় নেই। অতি যত্নে আবাদ করা এই আলু এখন চাষীদের গলার ফাঁস হয়েছে ।

    মোট উৎপাদন যেখানে ১৫ লাখ মেট্রিক টন সেখানে হিমাগারের সংরক্ষণ ক্ষমতা ৩.২৫ লাখ মেট্রিক টন। এই বিশাল ব্যবধান কমানো খুবই প্রয়োজন। আবার খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পেও বিনিয়োগ প্রয়োজন যেন উৎপাদিত পণ্যের নষ্ট হওয়া কমানো যায়। একজন কৃষক যেপরিশ্রমে ফসল উৎপাদন করেন তার ফসল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করা গেলে তো শুধু সেকৃষকের নয় দেশের সবারই লাভ। তাই সরকারের উচিত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শুধু আলু নয় কৃষকের সব উৎপাদন রক্ষার চেষ্টা করা। সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চে রংপুরের গ্রামে গ্রামে হাটে হাটে এই আন্দোলন সফল হোক

  23. মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (৬:০৭ অপরাহ্ণ)

    আজকের ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রণব মুখার্জি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের কথা বলেছেন। বিশ্বশান্তি সংহতি সৌভ্রাতৃত্ব ও সাংস্কৃতিক সৌসাম্যে অবদান রাখা কোনো মনোনীত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি রুপি মূল্যমানের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

    The government will institute a new international award in memory of Nobel laureate Rabindranath Tagore, whose 150th birth anniversary is May 7 this year, Finance Minister Pranab Mukherjee announced Monday.
    The award carrying a purse of Rs.1 crore will be awarded for exemplary contribution to promotion of world peace, brotherhood, amity and cultural harmony.
    The finance minister, who is a member of the high-level committee constituted to celebrate the 150th birth anniversary of Tagore and oversee the various initiatives proposed to perpetuate the legacy of the literary icon, said the celebration will be a joint exercise between India and Bangladesh under the aegis of the India-Bangladesh Celebrations Committee.
    The government has allocated Rs.50 crore (Rs.500 million) for Tagore’s birth anniversary celebrations in the country in the plan for 2011-2012, Mukherjee said while presenting the annual budget in the Lok Sabha.
    The poet, who was born in 1861 in Kolkata, spent several years managing his family estates at Silaidoh in Rajshahi district in present-day Bangladesh.

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  24. Pingback: নেপালনিধি | প্রাত্যহিক পাঠ

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.