মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
২১ comments
মাসুদ করিম - ৪ নভেম্বর ২০২৪ (৩:৫২ পূর্বাহ্ণ)
4 November: On this day in 1972, the Constituent Assembly adopted the first #constitution for the newly independent state called #Bangladesh.
Although the current Interim Govt led by Professor Dr. Md. #Yunus has cancelled state observance of this day along with other days of historic significance, the #ICSF believes that it is an integral and inseparable part of our founding history which merits observance with due respect.
In fact, the recent debates and discussions surrounding potential amendments and/or repeal of the constitution has made this year’s constitution day more important than any since its adoption.
To that end, we have prepared a compilation of video messages from activists, academics and researchers on various aspects of the constitution, both historical and contemporary.
https://x.com/icsforum/status/1853152340053791004
সংবিধান: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ | ৪ নভেম্বর | বাংলাদেশ সংবিধান দিবস | Bangladesh Constitution https://www.youtube.com/watch?v=lUWSvyjiHdA
মাসুদ করিম - ৪ নভেম্বর ২০২৪ (৭:০৭ পূর্বাহ্ণ)
ইলেকটোরাল কলেজ ভোট: হোয়াইট হাউজের চাবি
https://bangla.bdnews24.com/special/ed69a156afa0
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মাত্র দুটি দলের আধিপত্য। রিপাবলিকান পার্টি আর ডেমোক্র্যাট পার্টি। বরাবর এই দুই দলের কোনো একটির প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
রিপাবলিকান পার্টি একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। এবার এ দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট পার্টির এবারের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
এ নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হবে ৭৮ বছর বয়সে। অপরদিকে কমলা হ্যারিসের বয়স ৬০ বছর।
কে জয়ী তা নির্ধারিত হবে কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীই যে জয়ী হবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। একজন প্রার্থী তুলনামূলক কম ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
এর মূলে আছে দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থায় ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামের ২০০ বছর পুরনো একটি বিশেষ পদ্ধতি। এই ইলেকটোরাল কলেজে যিনি ভালো ফল করেন তার হাতেই যায় হোয়াইট হাউসের চাবি। এ নির্বাচন ব্যবস্থায় ভোটারদের সরাসরি ভোটে না বরং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পরোক্ষ ভোটে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীকে সাধারণত দুই ধরনের ভোটে জিততে হয়। এর একটি নাগরিকদের সরাসরি ভোট, যা ‘পপুলার ভোট’ হিসেবে পরিচিত; আরেকটি হচ্ছে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। এই দুটির মধ্যে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটেই প্রার্থীর চূড়ান্ত জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়।
এ ব্যবস্থায় প্রার্থীদের জয়-পরাজয় জাতীয়ভাবে না হয়ে নির্ধারিত হয় একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী লড়াইয়ের মাধ্যমে। দুটি ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো অঙ্গরাজ্যে পপুলার ভোটে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন।
চার বছর আগে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প হেরেছিলেন। ওই নির্বাচনে বাইডেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হন। হেরে যাওয়া ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৩২টি ইলেকটোরাল ভোট।
বাইডেন আট কোটি ১২ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেয়েছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছিলেন সাত কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোট।
কিন্তু এর আগেরবার ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৩০ লাখের বেশি পপুলার ভোট পেলেও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে হেরে পরাজিত হয়েছিলেন।
কী এই ‘ইলেকটোরাল কলেজ’?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে একদল কর্মকর্তাকে নির্বাচিত করে থাকেন, তাদের বলা হয় ইলেকটর। এই ইলেকটররাই নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। একটি রাজ্যের ইলেকটরদের একসঙ্গে ইলেকটোরাল কলেজ বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ (ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া) দেশটিতে মোট ইলেকটোরাল কলেজ ৫১টি।
এই ইলেকটোরাল কলেজই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করে।
এক একটি রাজ্যে ইলেকটরের সংখ্যা একেকরকম। এটি নির্ধারিত হয় মার্কিন কংগ্রেসে রাজ্যের কতজন প্রতিনিধি ও সিনেটর আছেন সে হিসেবে। জনসংখ্যার ওপর রাজ্যগুলোর প্রতিনিধির সংখ্যা নির্ভর করে, প্রতি ১০ বছর পর পর আদমশুমারির মাধ্যম এটি নির্ধারণ করা হয়। এতে ১০ বছর পর পর অঙ্গরাজ্যগুলোর ইলেকটরের সংখ্যারও হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
সাংবিধানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের দুই কক্ষে থাকা আসনের (প্রতিনিধি পরিষদে ৪৩৫, সেনেটে ১০০) বিপরীতে রাজ্যগুলো তাদের জন্য নির্ধারিত ইলেকটর পায়। কংগ্রেসে রাজধানী অঞ্চল ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার কোনো প্রতিনিধি না থাকলেও সেখান থেকে আসেন তিনজন ইলেকটর।
নির্বাচনের দিন ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেও আসলে তারা ৫১টি ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত করে তাদের হাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে এই ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হয়। অর্ধশত রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি পেলেই হাতে আসে হোয়াইট হাউজের চাবি।
কোন রাজ্যে কত ইলেকটোরাল ভোট
২০২০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এবারও সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়, ৫৪টি। এরপর রয়েছে টেক্সাস ৪০, ফ্লোরিডায় ৩০, নিউ ইয়র্ক ২৮, ইলিনয় ও পেনসিলভানিয়ায় ১৯টি করে।
এছাড়া ওহাইওতে ১৭, জর্জিয়ায় ১৬ ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৬, মিশিগান ১৫, নিউ জার্সিতে ১৪, ভার্জিনিয়াতে ১৩, ওয়াশিংটনে ১২, আরিজোনা, টেনেসি, ম্যাসাচুসেটস ও ইন্ডিয়ানায় ১১, মিনেসোটা, উইসকনসিন, ম্যারিল্যান্ড, মিজৌরি ও কলোরাডোতে ১০, অ্যালবামা ও সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯, কেন্টাকি, অরেগন ও লুইজিয়ানায় ৮, কনেটিকাট ও ওকলাহোমায় ৭, মিসিসিপি, আরকানস, ক্যানজাস, আইওয়া, নেভাডা ও ইউটায় ৬; নিউ মেক্সিকো ও নেব্রাস্কায় ৫; ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, নিউ হ্যাম্পশায়ার, মেইন, রোড আইল্যান্ড, আইডাহো ও হাওয়াইতে ৪; মন্টেনা, নর্থ ডেকোটা, ভার্মন্ট, ডেলাওয়ার, ওয়াইওমিং, সাউথ ডেকোটা, আলাস্কা ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ৩টি করে ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
‘উইনার-টেইক-অল’
বেশিরভাগ রাজ্যে নিয়ম হল- ‘উইনার-টেইক-অল’। মানে কোনো রাজ্যে যদি দশটি ইলেকটোরাল ভোট থাকে, তার মধ্যে যে দল অন্তত ছয়টি, অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেকটোরাল ভোট পাবে, ওই রাজ্যের সবগুলো অর্থাৎ দশটি ইলেকটোরাল ভোটই সেই দলের বলে গণ্য হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮টি রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় এই নিয়ম অনুসরণ কর হয়। কিন্তু নেব্রাস্কা ও মেইন রাজ্যে ‘উইনার-টেইক-অল’ নিয়ম অনুসরণ করা হয় না, এখানে প্রার্থীদের পাওয়া ভোটের অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট ভাগ করে দেওয়া হয়।
জনগণের সরাসরি ভোটে এগিয়ে থেকেও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যাওয়ার নজির আছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের হিসাবে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট বেশি পেলেও ইলেকটোরাল ভোটের হিসাবে হেরে যান।
তার আগে ২০০০ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী আল গোরের কাছে সরাসরি ভোটে হেরে যাওয়ার পরও রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ইলেকটোরাল ভোটে জিতে হোয়াইট হাউজের টিকেট পেয়েছিলেন।
কেন এই পদ্ধতি?
১৭৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান যখন প্রণয়ন করা হয় তখন একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা বাস্তবে অসম্ভব ছিল। এর কারণ ছিল দেশটির আয়তন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পশ্চাৎপদতা।
আর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রণেতারা চাননি রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা আইনপ্রণেতাদের হাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ুক। তারা এই ক্ষমতা দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে তুলে দিতে চাইলেন।
তাই সংবিধান প্রণেতারা ইলেকটোরাল কলেজ সৃষ্টি করলেন, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে ইলেকটর দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেওয়া হল।
সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বেশি জনসংখ্যার অঙ্গরাজ্যগুলো এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করবে এই বিবেচনায় প্রতিটি রাজ্যে অন্তত তিনজন ইলেকটর থাকার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। ইলেকটরের এই ন্যূনতম সংখ্যা অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকারের ওপর নির্ভর করে না। তবে এর বেশি ইলেকটরের সংখ্যা অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় নির্ধারিত হয়।
দেশজুড়ে ভোটে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চেয়ে এ পদ্ধতিতে ছোট অঙ্গরাজ্যগুলোর বেশি বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকায় তারা ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি সমর্থন করল।
ইলেটোরাল ভোটের সংখ্যা অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার আকারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হত বিধায় দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলো সরাসরি ভোটের চেয়ে এ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব রাখার সুযোগ পাওয়ায় তারাও এ পদ্ধতি সমর্থন করল।
কারণ এখানে জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ছিল দাসরা। দাসদের ভোটাধিকার না থাকলেও আদমশুমারিতে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের তিন-পঞ্চমাংশ ধরে তাদেরও গণনা করা হত।
যে প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ইলেকটরদেরকে কী তাকেই ভোট দিতে হবে?
ভোটাররা কাকে বেশি ভোট দিলেন তা বিবেচনা না করেই কিছু রাজ্যের ইলেকটররা তাদের পছন্দমতো যে কোনও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে ইলেকটররা তাদের রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পেয়েছেন প্রায় সবসময় তাকেই ভোট দেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাজ্যের বেছে নেওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিলে ওই ইলেকটরকে ‘অবিশ্বস্ত’ বলা হয়। ২০১৬ সালে এ রকম সাতটি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পড়েছিল, কিন্তু অবিশ্বস্ত ইলেকটররা ফলাফল পরিবর্তন করতে পারেননি।
যদি কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে কী হবে?
এরকম কোনও পরিস্থিতি হলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ- প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে আর সেনেট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র একবার এমনটি ঘটেছিল। ১৮২৪ সালে চার জন প্রার্থীর মধ্যে ইলেকটোরাল ভোট ভাগাভাগি হওয়ার পর তাদের মধ্যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
কিন্তু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতিতে দুই রাজনৈতিক দলের আধিপত্য তৈরি হওয়ায় এখন আর তেমনটি হবে না বলে ধরে নেওয়া হয়।
ইলেকটোরাল ভোটের অসম বণ্টন
যদিও একটি রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যায় সেই রাজ্যের জনসংখ্যার প্রতিফলন ঘটে, কিন্তু রাজ্যপ্রতি অন্তত ৩টি ভোট থাকার নিয়মের কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইলেকটোরাল ভোটের আপেক্ষিক প্রতিনিধিত্বের মান বিভিন্ন হয়।
এই নিয়মের কারণে নর্থ ও সাউথ ডাকোটা এবং নিউ ইংল্যান্ডের ছোট রাজ্যগুলো তাদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় বেশি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে গেছে। অপরদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও ফ্লোরিডার মত বেশি জনসংখ্যার রাজ্যগুলো তুলনামূকভাবে কম ইলেকটোরাল ভোটের অধিকারী।
ওয়াইওমিংয়ের প্রতি এক লাখ ৯২ হাজার লোকের জন্য একটি ইলেকটোরাল ভোট আছে, তুলনায় ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিটি ইলেকটোরাল ভোট সাত লাখ ২০ হাজার নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছে। এর অর্থ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ইলেকটোরাল ভোট ওয়াইওমিংয়ের একটি ভোটের তিনগুণেরও বেশি লোকের প্রতিনিধিত্ব করছে। সারা দেশজুড়েই এই অসমতা বিরাজমান।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৬ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করলেও ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে তাদের প্রতিনিধিত্ব ১০ শতাংশ। যদি যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যা অনুপাতে ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট বরাদ্দ করা হতো তাহলে ক্যালিফোর্নিয়ার বর্তমান ইলেকটোরাল ভোট ৯টি বেড়ে ৬৩টি হতো।
ভোটের ফল কখন পাওয়া যাবে?
প্রতিটি ভোট গণনা করতে কয়েক দিনও লেগে যেতে পারে। তবে সাধারণত যেদিন ভোট হয়, তার পরের দিন সকালেই জয়ী কে তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
২০১৬ সালে নির্বাচনে জয়ের পর ডনাল্ড ট্রাম্প রাত ৩টাতেই নিউ ইয়র্কের মঞ্চে সমর্থকদের সামনে বিজয়ীর ভাষণ দিতে উঠেছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চার দিন পর নিশ্চিত হয় জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন।
কেবল কি প্রেসিডেন্টই নির্বাচিত হচ্ছেন?
নির্বাচনের সব মনোযোগ ট্রাম্প না হ্যারিস জিতছেন, তার ওপর নিবদ্ধ থাকলেও এই নির্বাচনে ভোটাররা আসলে প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি কংগ্রেসের নতুন সদস্যদেরকেও বেছে নেবেন। একইদিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর ও আইন পরিষদ নির্বাচনের ভোটও গ্রহণ করা হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ রিপাবরিকানদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তারা এবারের নির্বাচনে তা ধরে রাখার পাশাপাশি সিনেটেও নিয়ন্ত্রণও করায়ত্ব করার চেষ্টা করবে।
অপরদিকে ডেমোক্র্যাটরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিনিধি পরিষদে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে।
দুই কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যদি ডেমোক্র্যাট হন, সেক্ষেত্রে তার পরিকল্পনায় বাধ সাধা কিংবা তাতে বিলম্ব ঘটাতে পারবে কংগ্রেস।
প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ আসনের সবগুলোতে এবং সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৩টিতে এ বছর ভোট হচ্ছে।
জয়ী প্রার্থী দায়িত্ব নেবেন কখন?
নির্বাচনে কমলা হ্যারিস বা ডনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই যে সঙ্গে সঙ্গে আগের প্রেসিডেন্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন, তা নয়। কারণ, নতুন নেতাকে মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী নিয়োগ করা এবং অন্যান্য পরিকল্পনার জন্য কিছুটা সময় নিতে হয়।
এরপরই নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিতে পারেন। সাধারণত এই শপথ হয় ২০ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে।
শপথ অনুষ্ঠানের পরই নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে যান চার বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালনের জন্য।
মাসুদ করিম - ৭ নভেম্বর ২০২৪ (৬:১৫ পূর্বাহ্ণ)
ট্রাম্পের সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে: প্রেস সচিব
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/697de9c20fb4
“প্রফেসর ইউনূসের সাথে ডেমোক্র্যাট পার্টি, রিপাবলিকান পার্টি সবার সাথেই খুব ভালো সম্পর্ক আছে। তাদের টপ লিডারদের অনেকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব আছে এবং আমরা আশা করি, সেই সর্ম্পক আরো গভীরতর হবে,“ বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সাথে ডেমোক্র্যাট পার্টি, রিপাবলিকান পার্টি সবার সাথেই খুব ভালো সম্পর্ক আছে। তাদের টপ লিডারদের অনেকের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব আছে এবং আমরা আশা করি, সেই সর্ম্পক আরো গভীরতর হবে।“
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “বাংলাদেশের সাথে ইউএসএর এরইমধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক আছে এবং অগাস্ট অভ্যুত্থানের পরে এটায় আরও একটু ভিন্নমাত্রা এসেছে। কারণ ইউএস সারা বিশ্বেই তারা চায় গণতন্ত্রে থাকুক, বিশ্বের দেশগুলো গণতন্ত্রের চর্চা করুক।
”ওরা দেখেছে যে আগের ১৫ বছর এক ধরনের স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থা ছিল সেই জায়গা থেকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে দেশকে ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে নেওয়া। সেজন্য তারা উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আমরা আশা করছি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই প্রেসিডেন্সিতে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস গড়ে মঙ্গলবারের ভোটে ডনাল্ড ট্রাম্প চার বছর পর আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বুধবার একের পর এক রাজ্য থেকে তার বিজয়ের খবর আসার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে পেছনে ফেলে জয় পান তিনি।
বিশ্বজুড়ে আলোচনা তৈরি করা এ নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসে ট্রাম্পের এক পোস্টকে কেন্দ্র করে। এক্স হ্যান্ডেলে করা এক পোস্টে ট্রাম্প বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ‘বর্বর সহিংসতা’র অভিযোগ আনেন।
বাংলাদেশ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া ট্রাম্পের ওই পোস্ট নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেন, ”এখন ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন। তার কার্যকাল শুরু হবে আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে। আগে যখন তিনি টুইটটা করেছিলেন তিনি ছিলেন রিপাবলিক পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট। আমরা মনে করি উনাকে মিসইনফরম করা হয়েছে। এখন যেহেতু উনি ইউএসএর প্রেসিডেন্ট হবেন, উনি অবশ্যই দেখবেন ঘটনাটা কি হয়েছে।
”বাংলাদেশের ইউএস দূতাবাস এখানে কী ঘটনা ঘটছে, কী পরিমাণে যে রিপোর্টগুলো এসেছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের আমরা তো মনে করি এটা খুবই অতিরঞ্জিত। উনি এটার সত্যিকার চিত্রটা জানবেন। আরেকটা হচ্ছে, বাংলাদেশের এই সরকার কী চাচ্ছে, এরা তো গণতান্ত্রিক উত্তরণে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ইউএসের সঙ্গে ট্রাম্পও চাইবেন পুরো বিশ্বে গণতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ুক। সেজন্য আমাদের সরকারের সঙ্গে তাদের সর্ম্পক আরও সুদূর হবে আমরা এটি আশা করি।“
সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভুল তথ্য ও অপপ্রচার আছে মন্তব্য করে শফিকুল আলম কয়েকদিন আগে ’নেত্র নিউজ’ এ প্রকাশিত একটি খবরের উদাহরণ তুলে ধরেন। বলেন, ”বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কাউন্সিল একটি রিপোর্ট দিয়েছে। নয়জনের মৃত্যু তারা পেয়েছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায়। এসব মৃত্যুর পেছনের ধর্মীয় কারণ ছিলই না, মূলত রাজনৈতিক ব্যক্তিগত কারণ বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
”আমরা আশা করব বাংলাদেশের যারা মাইনোরিটি গ্রুপ তারাও যখন এগুলো রিপোর্ট করবেন তাদের রিপোর্টগুলো নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের ক্যাম্পেইন হয়। আমরা আশা করব তারা দায়িত্বশীল প্রতিবেদন করবেন।”
ইসকনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘’চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে কথা বলেন, তারাই আপনাদের জানাবে, আমরা দেখেছি কী হয়েছে। আমরা এটা সম্প্রসারিত করতে চাই না।’’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ’’রাষ্ট্র সংস্কার যদি করতে হয়, বড় একটি খাত শিক্ষা, শিক্ষার অবশ্যই কাজ হবে। কখন এই কমিশন হবে সেটার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আমরা যেটা শুনছি সেটা হল শিক্ষা সংস্কারের বিষয়ে কাজ হবে, আমাদের ভাবনা চিন্তার মধ্যে আছে।”
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী এবং বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিআইপি প্রটোকল দিয়ে অফিস সময়ের পরে পাসপোর্ট করে দেওয়ার বিষয়ক এক প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, ”পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছি। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছি।”
স্থানীয় সরকার সংস্কারে কোনো কার্যক্রম হাতে নেওয়ার চিন্তা আছে কি না এরকম এক প্রশ্নে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নিয়ে অনেকগুলো কমিশন কাজ করছে। একটা হচ্ছে সংবিধান কমিশনে এই বিষয় আসতে পারে।
”স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার চর্চা কতটুকু হবে সেটা অনেকটা সিভিল ব্যুরোক্রেসি ইস্যুর, সেটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশের ক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ কমিশন। সবগুলো কমিশনই কিছু কিছু দেখছে।”
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতির সাক্ষাৎকার প্রচার বিষয়ক প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, “আমরা এটুকুই বলতে পারি যে উনার রেসপন্সিবল জানালিজম করলেন কি না, উনি-উনাকে আত্মজিজ্ঞাসা করবেন, এটাই আমাদের আশা।’’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
মাসুদ করিম - ১০ নভেম্বর ২০২৪ (৬:১৪ পূর্বাহ্ণ)
Noor Hossain Day today
https://www.thedailystar.net/news/bangladesh/news/noor-hossain-day-today-3749021
Shaheed Noor Hossain Day, a red-letter day in restoration of democracy in Bangladesh, is being observed today with due solemnity.
On this day in 1987, Noor Hossain, who imprinted his bare chest and back with the slogan “Swairachar nipat jak, gonotantra mukti pak” (down with autocracy, let democracy be freed), was gunned down when police opened fire on an anti-autocracy demonstration in Dhaka’s Zero Point.
This place was renamed “Noor Hossain Chattar (square)”.
The martyrdom of Noor Hossain and others during the mass upsurge of late 1990s expedited the anti-autocracy movement.
In the face of the movement, autocratic ruler HM Ershad had to step down on December 6, 1990.
To observe the day in a befitting manner, different socio-cultural and professional organisations, as well as BNP and Anti-Discrimination Student Movement, have chalked out elaborate programmes.
মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০২৪ (৬:০৪ পূর্বাহ্ণ)
67th death anniversary of Major Gani today
https://today.thefinancialexpress.com.bd/metro-news/67th-death-anniv-of-major-gani-today-1731263657
The 67th death anniversary of Major Abdul Gani, the founder of the East Bengal Regiment, will be celebrated today (Monday).
To commemorate this occasion, a doa mahfil will be held at RAOWA Club after Maghrib prayers today.
Additionally, the army will pay tribute to his grave at Cumilla Cantonment in the morning, as stated in a press release.
Abdul Gani was born in Nagaish village of Brahmanpara in Cumilla on December 1, 1919. He passed the Entrance Examinations in Khulna and enrolled at Islamia College.
He graduated from Kolkata Islamia College in 1940 and joined the British Indian Army in 1941 during the Second World War.
He was commissioned as a lieutenant and fought in the Burma sector. Following the partition of India, he was promoted to the rank of captain in 1948.
He proposed a separate regiment for the Muslim Bengalis, which was established in 1948.
He earned the nickname ‘Tiger Gani’ for his bravery.
On November 11, 1957, he passed away in Berlin.
মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০২৪ (৬:১৮ পূর্বাহ্ণ)
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনে মেজর গণির অবদান
https://www.kalbela.com/ajkerpatrika/joto-mot-toto-path/137716
আমি মেজর মোহাম্মদ আবদুল গণিকে কোনোদিন দেখিনি, তাকে চিনি না, এমনকি আমি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টেরও অফিসার নই। তার সম্বন্ধে আমার জ্ঞান কেবল খবরের কাগজভিত্তিক, তবুও মনে করি যে, আমরা তার ব্যাপারে সঠিক মূল্যায়ন করিনি বা করতে পারিনি বা করতে চাইনি বা করতে দেওয়া হয়নি। করতে দেওয়া হয়নি বলছি এই কারণে যে, আমরা লর্ড মেকলের পরশ্রীকাতর গোত্রের লোক। সেই অনুসারে আমরা কারও ভালো হোক বা সুনাম হোক, তা কোনোদিন পছন্দ করি না। তবে তার সম্বন্ধে কেনো সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি, তা বলতে পারব না। এখানে আমার চিন্তাধারা তুলে ধরছি, এই লেখা ও মতাদর্শ একান্ত আমার নিজস্ব।
মেজর মোহাম্মদ আবদুল গণি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১ ডিসেম্বর ১৯১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতা অর্থনৈতিক দিক থেকে সচ্ছল না হওয়ায় তাকে ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার জন্য অনেক ঝড়ঝাপ্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসায় তার পড়ার কোনো ব্যাঘাত হয়নি। তিনি কম বয়স থেকেই বিভিন্ন বয়সের ছেলেদের সংগঠিত করেছেন। আমি মেজর গণির সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পূর্বেকার ইতিহাস লিখব না, কারণ সে সম্বন্ধে অনেক লেখালেখি হয়েছে এবং তা আমার এই লেখার বিষয়বস্তুও নয়। আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে তাকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করব।
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বাঙালিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কাজেই ব্রিটিশরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের নিয়োগ দেবে না। সেবা শাখাতে (Service Corps) ছিটেফোঁটা নিলেও যুদ্ধ শাখাতে (Fighting Corps) মোটেই রাখবে না, রাখলেও খুবই নগণ্যসংখ্যক। সিপাহি বিদ্রোহ থেকে এ শিক্ষা পেয়েছিল যে, বাঙালিদের সেনাবাহিনীতে রাখলে তারা বিদ্রোহের বীজ বপন করবে, যা তাদের ভারতবর্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা সৃষ্টি করবে। মেজর গণি পদাতিক শাখায় কমিশন পেয়েছিলেন কিন্তু তাকে প্রথামতো কোনো পদাতিক রেজিমেন্টে পদায়ন (Posting) না করে সহায়ক (Auxiliary) সৈনিকদের শাখায় নিযুক্ত করা হয়। সেবা শাখায় কিছু বাঙালি থাকলেও যুদ্ধ শাখায় মোটেই ছিল না। যে কয়েকজন ছিলেন, তার মধ্যে বাঙালি মুসলমান ছিল না বললেই চলে।
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় পাকিস্তানের অংশের সশস্ত্র বাহিনীর সংগঠনগুলোতে শুধু পাঞ্জাবি ও পাঠান ছিল। বাঙালিদের সংখ্যা একেবারেই তলানিতে, বেলুচদের সংখ্যা তারও কম এবং সিন্ধু প্রদেশের কেউ ছিল বলে মনে হয় না। এ সুযোগে পাঞ্জাবি ও পাঠান কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন যে, তাদের এলাকা অর্থাৎ পাঞ্জাব ও সীমান্ত প্রদেশ ছাড়া অন্য প্রদেশ থেকে লোক সেনাবাহিনীতে নেওয়া চলবে না, বিশেষ করে বাঙালিদের। বাঙালিদের নিলে তারা সংখ্যানুপাতে তাদের ভাগ চাইবেন, তাতে পাঞ্জাবি এবং পাঠান এলাকার কমসংখ্যক লোক চাকরি পাবে। তারা যোদ্ধা (Martial Race) জাতি নয়, এই বলে কম বাঙালি নেওয়া হবে।
এখানে আমাদের সময় বা তার পূর্বে জ্যেষ্ঠ এবং কনিষ্ঠ অফিসারদের মধ্যে সম্পর্কের একটা চিত্র তুলে ধরব শুধু এটুকু বোঝানোর জন্য যে, একজন কনিষ্ঠ সেনা অফিসারের অবস্থান সেনা অফিসার গোষ্ঠীতে কোথায়? তাতেই বুঝতে পারা যাবে মেজর গণির জন্য কত মুশকিলের কাজ ছিল তার পরিকল্পনা সম্পাদন করা। সেনা অফিসারদের মধ্যে একটা বহু প্রচলিত বচন আছে যে—‘A junior officer to be seen only and not to be heard’ অর্থাৎ ‘একজন কনিষ্ঠ অফিসারকে শুধু দেখা যাবে, তার গলার আওয়াজ শোনা যাবে না।’ এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ অফিসাররা অনেকটা ঈদের চাঁদের মতো ছিলেন। তাদের দেখা-সাক্ষাৎ পাওয়া ছিল দুরূহ ব্যাপার। যেখানে দেখা হওয়ার এ অবস্থা, সেখানে মেজর গণির পক্ষে সেই দুর্ভেদ্য অবস্থায় কোনো কিছু করানো সহজ কাজ ছিল না। তার ওপর কোনো কিছুর অনুমোদন দেওয়া সরকারের কাজ, সেনাপ্রধানের নয়। কেন্দ্রে জিন্নাহ সাহেবের সরকার। তাকে জানানো হয় যে, সেনাবাহিনীতে পাঞ্জাবি, পাঠান, বাঙালি ও বেলুচিস্তানের সদস্য আছে এবং তাদের নামে সেনা দল আছে (Regiment); যেমন পাঞ্জাব রেজিমেন্ট, পাঠান রেজিমেন্ট, বেলুচ রেজিমেন্ট তবে বেঙ্গল রেজিমেন্ট নেই। জিন্নাহ সাহেবের রাজনৈতিক চমক এবং মেজর গণির প্রবল ইচ্ছার সংমিশ্রণের ফল ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৃষ্টি। তবে এর মানে এই নয় যে, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সব সদস্যই বাঙালি হবেন, যেমন বেলুচ রেজিমেন্টে বেলুচিদের সংখ্যা অত্যন্ত কম, সব পাঞ্জাবি ও পাঠানে ভর্তি। তবে মনে করি মেজর গণি চেষ্টা না করলেও একদিন বেঙ্গল রেজিমেন্ট হতো কর্তাব্যক্তিদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে। মেজর গণির জন্য তা ত্বরান্বিত হয়েছে। জিন্নাহ সাহেবের সরকার সেনাপ্রধানকে আদেশ দেন বেঙ্গল রেজিমেন্ট গঠন করার জন্য।
মেজর গণিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সংগঠন করার। রেজিমেন্টের জন্য বাঙালি সৈনিক পাওয়া গেল পাইওনিয়ার কোর থেকে, কিন্তু অফিসার? বাঙালি অফিসার নেই, তাই সেই অবাঙালি অফিসারদের ওপর নির্ভর হতে হলো। মেজর গণি বাঙালি অফিসারদের দুষ্প্রাপ্যতা সম্বন্ধে জানতেন এবং তার কারণও।
মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসহ অগণিত সর্বস্তরের দেশবাসীর অংশগ্রহণে, যারা যুদ্ধের জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন তারা জানতেন যে, সেনাবাহিনী তথা বেঙ্গল রেজিমেন্টই দিতে পারবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব। কারণ এরাই যুদ্ধের জন্য সংগঠিত এবং এদের দায়িত্বে ছিলেন বাঙালি অফিসাররা, যাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য শাখার কিছু বাঙালি অফিসার। বাঙালি অফিসার না হয়ে অবাঙালি অফিসাররা নেতৃত্বে থাকলে যুদ্ধই হতো না, মুক্তি তো পরের কথা। যেমন বেলুচিস্তানে বেলুচরা স্বাধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে। সেখানে বেলুচ রেজিমেন্টও অংশ নিচ্ছে কিন্তু বেলুচদের বিরুদ্ধে, কারণ তাতে বেলুচ অফিসার বা সৈনিকের সংখ্যা অতি নগণ্য। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ রাইফেলসের যে যে ব্যাটালিয়নে বাঙালি অফিসাররা দায়িত্বে ছিলেন, সেগুলো সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল কিন্তু যেখানে অফিসাররা অবাঙালি ছিলেন, সেসব ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা ব্যক্তিগতভাবে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কাজেই বাঙালি ব্যাটালিয়নে বাঙালি অফিসারদের নেতৃত্বই ছিল মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হওয়ার একটা বড় কারণ। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৃষ্টি ছিল মেজর গণির বড় সফলতা। তবে তার চেয়েও অনেক বড় কৃতিত্ব ছিল বাঙালি অভিভাবক এবং যুবকদের মন থেকে সেনাভীতি বা আতঙ্ক দূর করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়াতে অনুপ্রাণিত করানো। কারণ তিনি প্রারম্ভিক অবস্থাতেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, অফিসার ছাড়া কোনো সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যে বেঙ্গল রেজিমেন্ট মেজর গণি গঠন করেছিলেন এবং বাঙালি অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত করার ব্যবস্থাও করেছিলেন, সেই বেঙ্গল রেজিমেন্টই যুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। তারাই যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিউক্লিয়াস হিসেবে কাজ করে এবং এর ওপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংগঠিত হয়েছে বা হচ্ছে। কাজেই আমি যদি বলি, মেজর গণি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থপতি; সেটা অত্যুক্তি হবে কি?
[মেজর মোহাম্মদ আবদুল গণির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে প্রয়াত সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. এম আতিকুর রহমানের নিবন্ধটি পুনঃপ্রকাশ করা হলো]
মাসুদ করিম - ১১ নভেম্বর ২০২৪ (৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
CPJ urges Bangladesh’s interim leader Yunus to protect press freedom
https://cpj.org/2024/11/cpj-urges-bangladeshs-interim-leader-yunus-to-protect-press-freedom/
The Committee to Protect Journalists on Monday, November 11, wrote to Professor Muhammad Yunus urging him to protect press freedom in his role as chief adviser to the interim government of Bangladesh.
On November 4, the interim information ministry announced that the Cyber Security Act would be repealed within a week. The law was passed in 2023 and replaced the Digital Security Act, which was repeatedly used to crack down on journalists under the previous government.
Currently, dozens of journalists perceived to be supportive of former Prime Minister Sheikh Hasina and her ousted Awami League party face police investigations in apparent retaliation for their work. In late October and early November, the interim information ministry revoked the press accreditation of several of these journalists, four of whom remain jailed.
Professor Muhammad Yunus
Chief Adviser
Interim Government of Bangladesh
Sent via email
Dear Professor Yunus,
Thank you for meeting with the Committee to Protect Journalists (CPJ) — an independent non-
governmental organization advocating for press freedom worldwide — and other international
human rights groups during the 2024 United Nations General Assembly Session in New York. I
was gratified to hear from you personally about your commitment to respecting press freedom
and freedom of expression as chief adviser to the interim government of Bangladesh.
I am writing to respectfully urge your leadership to ensure that Bangladesh takes action to
protect these fundamental rights, which are explicitly enshrined in the country’s constitution and
the International Covenant on Civil and Political Rights, to which Bangladesh is a state party.
To that end, CPJ is calling upon the interim government, within the scope of its constitutional
powers, to take the following steps:
1. Impose an immediate moratorium on repressive laws that undermine Bangladesh’s
constitutional obligation to protect freedom of expression and press freedom — including
criminal defamation under the Penal Code and the colonial-era Official Secrets Act, 1923
— pending their repeal or amendment in line with international human rights standards.
We welcome the interim government’s recent announcement that the Cyber Security Act
2023 will be repealed. CPJ has documented the extensive use of the Cyber Security Act’s
predecessor, the Digital Security Act, 2018, as well as the criminal defamation law and
the Official Secrets Act, to subject the independent media to arrest and prolonged
harassment.
2. Facilitate the withdrawal or dismissal of hundreds of criminal cases lodged against
journalists in retaliation for their work. This includes cases under the now-repealed
Section 57 of the Information and Communication Technology Act, 2006 — cited in the
ongoing judicial harassment of photojournalist and CPJ’s 2020 International Press
Freedom Award winner Shahidul Alam, as well as reporter Palash Kumar Dey (also
known as Pranto Palash) — in addition to the Digital Security Act, which has been used
to target the staff of Prothom Alo newspaper. Journalists were the second worst victims
of the Digital Security Act, under which over 400 cases were filed against members of
the press, according to the Dhaka-based think tank Centre for Governance Studies.
3. Ensure that authorities respect the procedural rights of the four incarcerated pro-
Awami League journalists: Farzana Rupa, Shakil Ahmed, Mozammel Babu, and
Shyamal Dutta, including their right to a free trial.
4. Ensure prompt, independent, and transparent investigations into recent attacks and
violence against the press. At a minimum, this includes investigations into:
● Dozens of attacks on journalists and media offices during the recent unrest in
Bangladesh, including the fatal shootings of on-duty reporters Hasan Mehedi and
Abu Taher Md Turab in July 2024.
● Fatal attacks marked by longstanding impunity, including the 2012 double
killing of journalist couple Golam Mustofa Sarowar (also known as Sagar
Sarowar) and Meherun Runi, as well as the 2023 murder of Golam Rabbani
Nadim. At least 14 journalists and media workers were killed in direct relation to
their work during the Awami League government’s tenure from 2009 to 2024,
while the motive remains unconfirmed behind at least eight other fatal attacks on
members of the press during this period.
● Reports of custodial violence against journalists under the Awami League
government, including the alleged torture of photojournalist Shahidul Alam in
2018, cartoonist Kabir Kishore in 2020, and reporter Raghunath Kha in 2023.
Authorities should launch a fresh probe into the 2021 death of writer and
commentator Mushtaq Ahmed in jail following alleged custodial torture and hold
any perpetrators accountable.
● Other attacks on the media, including the suspected enforced disappearance,
alleged torture, and subsequent jailing of photographer and editor Shafiqul Islam
Kajol in 2020; abductions of journalists, including Golam Sarwar; and numerous
assaults on reporters by the Bangladesh Chhatra League, the student wing of the
Awami League.
● Incidents of transnational repression targeting family members of foreign-
based Bangladeshi reporters, including the 2023 beating of Mahinur Khan,
brother of exiled journalist Zulkarnain Saer Khan.
5. Ensure that law enforcement agencies end the undue surveillance and harassment of
journalists, particularly those covering high-security areas, including the Chittagong Hill
Tracts. Authorities should also take steps to ensure the safety of journalists in district
and rural areas, as well as those covering the Rohingya crisis, particularly ethnic
Rohingya, who have long been subjected to threats and intimidation by Bangladeshi
authorities and actors within refugee camps.
6. In consultation with the media and civil society, enact a comprehensive journalist
protection law to safeguard the right of the press to report freely and securely. The law
should ensure that journalists may report without fear that they will face arrest or criminal
charges for their work.
7. Reform the Bangladesh Press Council into an independent, self-regulatory body that
will uphold media freedom and adjudicate matters of journalistic ethics without
criminalizing reporters or placing undue restrictions on their work.
8. Implement a streamlined press accreditation and renewal process that does not place
undue restrictions on the media, particularly on freelance journalists.
9. Maintain unrestricted visa access for foreign journalists, who faced undue consular
delays and obstacles while attempting to report from Bangladesh under the previous
government.
10. Maintain unrestricted and unimpeded access to media outlets, as well as internet
and telecommunication services. The previous government repeatedly blocked internet
and mobile services during the recent unrest, severely impairing the ability of the media
to do its job effectively.
The interim government, created under your leadership, offers opportunities for accountability
and reforms that center the rights of all Bangladeshis. I urge you to take the necessary steps to
ensure that the next government inherits a legal and constitutional framework and state agencies
that respect press freedom and the public’s right to information at this critical juncture in the
country’s history.
Sincerely,
Jodie Ginsberg, CEO
Committee to Protect Journalists
মাসুদ করিম - ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (৪:২৮ পূর্বাহ্ণ)
বাংলা সংস্কৃতি জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত কিংবদন্তি মনোজ মিত্র
https://www.sangbadpratidin.in/entertainment/manoj-mitra-passed-away/
প্রয়াত মনোজ মিত্র। থিয়েটার ও চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৮.৫০ নাগাদ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে এই খবর জানান অভিনেতার ভাই, সাহিত্যিক অমর মিত্র।
৮৫ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ‘বাঞ্ছারামার বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ খ্যাত অভিনেতা। সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার জয়ী নট ও নাট্যকারের প্রয়াণে বাংলা সংস্কৃতি জগতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। সল্টলেকের ক্যালকাটা হার্ট ইন্সিটিউটে ভর্তি ছিলেন থিয়েটার, টেলিভিশন, সিনেমা জগতের দাপুটে শিল্পী। ভর্তির সময় হাসপাতাল জানিয়েছিল, তাঁর হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। হার্ট পাম্পের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিয়েটিনিনও বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। সোডিয়াম-পটাসিয়ামেরও সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রবীণ অভিনেতার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বৃথা গেল!
মনোজ মিত্রের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের সাতক্ষিরা জেলার ধূলিহর গ্রামে। ১৯৫৮ সালে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স-সহ স্নাতক হন তিনি। এই কলেজেই থিয়েটারে দীক্ষিত হন। সঙ্গী হিসেবে পান বাদল সরকার, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের মতো ব্যক্তিত্বদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ করেন। ডক্টরেটের জন্য গবেষণা শুরু করেছিলেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু মনোজ মিত্রর। ১৯৭৯ সালে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে বিভিন্ন কলেজে দর্শন বিষয়েও শিক্ষকতা করেন। যদিও প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’ লেখেন ১৯৫৯ সালে কিন্তু ১৯৭২-এ ‘চাক ভাঙা মধু’ নাটকের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি তৈরি হন। ওই নাটকটির মঞ্চ নির্দেশনা করেন বিভাস চক্রবর্তী। নাট্যগোষ্ঠী ‘সুন্দরম’ প্রতিষ্ঠাতাও মনোজ মিত্র। থিয়েটারের মতোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেন কিংবদন্তি শিল্পী। সারা জীবনে বহু পুরস্কার, সম্মান পেয়েছেন এই শিল্পী। বলা বাহুল্য, মনোজ মিত্রের মৃত্যু একটি যুগের অবসান।
মাসুদ করিম - ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (৪:৩১ পূর্বাহ্ণ)
বাংলা সাহিত্যের ‘স্বজন’ উইলিয়াম রাদিচের জীবনাবসান
https://bangla.bdnews24.com/arts/56631f01d37d
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু কবিতা, গল্প এবং মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ যার তর্জমায় ইংরেজি ভাষাভাষী পাঠক মহলে পৌঁছে গিয়েছিল অনায়াসে, সেই কবি, গবেষক ও অনুবাদক উইলিয়াম রাদিচ আর নেই।
সোমবার নর্থ ইংল্যান্ডে রাদিচের মৃত্যু হয়; তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
তার চলে যাওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি কায়সার হক।
তিনি বলেন, “নিউ ক্যাসলে থাকতেন রাদিচে। জীবনের শেষ এক দশকের বেশি সময় নর্থ ইংল্যান্ডে থাকতেন । সেখানে থেকেই তিনি চলে গেলেন।“
এক দশক আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ায় রাদিচে তার লেখালেখির ‘ক্ষমতা হারিয়েছিলেন’ বলে আক্ষেপ করছিলেন কায়সার।
এক সময়ের ঘনিষ্ঠ রাদিচের সঙ্গে বহুকাল সরাসরি দেখাসাক্ষাৎ না হলেও টেলিফোন তারা কথা বলেছেন, একজন আরেকজনের খোঁজখবর করেছেন।
“যতদূর মনে পড়ে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে রাদিচের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। শামসুর রাহমানের কিছু কবিতা আমি অনুবাদ করেছিলাম। রাদিচে সেসবের কিছু রিভিউ লিখেছিলেন, পত্রিকাতে প্রকাশও হল।
“কদিন আগেও রাদিচের কথা ভেবেছিলাম। কি আশ্বর্য, এখন তার মৃত্যুর কথা বলতে হচ্ছে,” বলেন কায়সার।
১৯৫১ সালে জন্ম নেওয়া রাদিচের মা বেটি রাদিচেও ছিলেন ধ্রুপদী ল্যাটিন সাহিত্যকর্মের অনুবাদক ও সম্পাদক। তার পূর্বপুরুষ যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন ইটালি থেকে।
সত্তরের দশকের গোড়ায় রাদিচে অক্সফোর্ডে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়া শুরু করেন। তার এক বছর আগে তিনি ভারতের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন, সেই সুবাদে কলকাতা, দিল্লি, বেনারস, চেন্নাইয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
ভারত সফরের আগেই পরিচালক লেখক আঁকিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা রাদিচের ভেতরে মুগ্ধতা তৈরি করে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি তার আগ্রহ ছিল যুবক বয়স থেকেই।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে (সোয়্যাস) বাংলা ভাষা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন রাদিচে। সেখানকার অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে বাংলা শিখে তার শিষ্য হয়ে উঠেছিলেন। সেখানকার কারো কারো ধারণা, একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও রাদিচেকে আলোড়িত করেছিল, বাংলা ভাষার প্রতি তার আগ্রহ বাড়ার এটাও একটা কারণ।
পরে সোয়্যাসের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন রাদিচে। কথায় কথায় কায়সার হক বললেন, রাদিচের প্রতিভা ‘মনে রাখার মত’।
“এমন বাজে একটা দুর্ঘটনা হয়েছিল।একটি ট্রাক ওর গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল। প্রথম দিকে তো রাদিচের মস্তিষ্ক একদম সাড়া দিত না। পরে শুয়ে বসে পড়াশোনাটা করতেন।“
কায়সার জানান, যে বাংলার প্রতি এত মায়া ছিল রাদিচের, সেই ভাষা তিনি একসময় ভুলতে বসেন।
“স্মৃতিশক্তি তেমন কাজ করত না। স্মৃতি বিভ্রমও শুরু হয়েছিল। দুঃখের কথা হল, বাংলা ভাষাটা সে ভুলে যায়। আমাকে ফোন করে কী যে দুঃখ করে বলছিলেন রাদিচে! আফসোস হল, অনেকদিন আর কথাও হয়নি।”
কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী আনন্দবাজারকে বলেন, “খবরটা পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে। বিশ শতকের শেষের দিকে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে বহির্বিশ্বে নতুন করে আগ্রহ সঞ্চারের নেপথ্যে রাদিচের তর্জমায় কবিতাগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।”
কলকাতায় রবীন্দ্রসংগীত গবেষক দেবাশিস রায়চৌধুরীর সঙ্গেও রাদিচের বহু বছরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
দেবাশিস বলছেন, ২০১২ নাগাদ কলকাতায় ইংরেজিতে ‘রাজা’ নাটকে রাজার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রাদিচে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবিত ও মৃত’, ‘পোস্টমাস্টার’, ‘কাবুলিওয়ালা’র ভাষান্তর ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের ‘কণিকা’, ‘লিখন’, ‘স্ফুলিঙ্গ’র অণুকবিতাগুলি নিয়ে রাদিচে লেখেন ‘পার্টিকলস, জটিংস, স্পার্কস’।
রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলির ইংরেজি ভাষান্তরের মূল পাণ্ডুলিপি নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজও করেছেন রাদিচে। অনুবাদ করেছেন রবি ঠাকুরের ৩০টি গল্প, যা প্রকাশ হয়েছিল পেঙ্গুইনে।
রাদিচের ভাষান্তরে ‘দেবতার গ্রাস’ (স্ন্যাচড বাই দ্য গডস)-এর অপেরাধর্মী উপস্থাপনা করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সুরকার পরম বীর।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর ‘টুনটুনির বই’ও ভাষান্তরের জন্য বেছে নিয়েছিলেন রাদিচে। ‘টুনটুনির বই’ তার হাতে হয়ে ওঠে ‘দ্য স্টুপিড টাইগার অ্যান্ড আদার টেলস’।
তিনি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ নিয়ে গবেষণা করেন। তর্জমাও করেন ‘দ্য পোয়েম অব দ্য কিলিং অব মেঘনাদ’।
এছাড়া ইংরেজিতে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও সম্পাদনাকর্মের বিপুল সম্ভার রেখে গেছেন উইলিয়াম রাদিচে।
Dr William Radice: https://www.soas.ac.uk/about/charles-radice
মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০২৪ (৯:২৫ পূর্বাহ্ণ)
A New Era in Bangladesh? The First Hundred Days of Reform
https://www.crisisgroup.org/asia/south-asia/bangladesh/344-new-era-bangladesh-first-hundred-days-reform
Many Bangladeshis describe the downfall of Sheikh Hasina as a “second liberation”, bespeaking the widespread desire for major change. But popular expectations are double-edged. With international support, the interim government should look to score some quick wins to keep the public on side.
What’s new? Three months after an uprising toppled former Prime Minister Sheikh Hasina, the reform agenda of Bangladesh’s interim government is becoming clearer – along with the pitfalls that lie in its path. Led by Nobel laureate Muhammad Yunus, the administration is expected to remain in office for another year and maybe longer.
Why does it matter? After fifteen years of Hasina’s rule, Bangladesh has a once-in-a-generation opportunity to improve governance and put checks in place that would stop another autocratic regime from emerging. If the interim government falters, however, the country could revert to the status quo ante or even enter a period of military rule.
What should be done? The interim government should aim to produce quick results to maintain public support for more ambitious reforms. It should avoid staying in power too long and build consensus on new measures among political parties. External actors should offer aid; India should work to repair its image with the Bangladeshi people.
Executive Summary
The interim government in Bangladesh has a monumental task before it. Taking the reins on 8 August, three days after a mass uprising ousted the increasingly authoritarian Sheikh Hasina, the administration led by Nobel laureate Muhammad Yunus has moved quickly to delineate a bold agenda of political, governance and economic reforms. Many Bangladeshis describe Hasina’s downfall as a “second liberation” (a reference to the 1971 independence war), bespeaking the public’s appetite for major change. For now, Yunus and his colleagues have widespread support, but popular expectations are double-edged. If the interim administration falters in making reforms, the outcome is likely to be an early election with little progress; in the worst-case scenario, the military could assume power. The interim government should look to score a few quick wins to keep its social support base strong as it builds consensus around key reforms and prepares the country for credible elections. International actors should back Yunus’s administration and bolster the Bangladeshi economy to help inaugurate a new era in national politics.
After fifteen years in office, Sheikh Hasina’s administration had grown deeply unpopular. To hold on to power, her government systematically undermined the independence of Bangladesh’s institutions, particularly the police, judiciary and bureaucracy. Widespread human rights violations and regular crackdowns on her opponents, coupled with economic mismanagement, stark social inequality and worsening corruption, had weakened support for her party, the Awami League (AL), particularly in the past five years. The party claimed a massive win in the January election, but it owed victory to an opposition boycott and low turnout. In June, a Supreme Court decision reinstating controversial quotas for government jobs provided the spark for student-led protests that ignited the following month. Hasina’s brutal response – including a nationwide internet shutdown and a deadly crackdown – saw the student movement transform into a popular revolt that forced her to flee the country hastily.
The euphoria that accompanied Hasina’s departure lingers, but the harsh reality of the road ahead is becoming increasingly clear. Already in bad shape, Bangladesh’s economy is limping along, having taken a further hit from more than a month of protests and the uncertainty of the transition. Yunus’s team has struggled to restore law and order, dependent largely on a police force that was heavily implicated in the anti-protest repression. Maintaining popular support will be crucial, particularly given the interim government’s improvised legal foundations.
Rebuilding the country’s institutions will also be no mean feat, and while the interim administration is the most inclusive Bangladesh has ever seen, many of its members have little experience in government or management. Maintaining the backing of key political players is already proving challenging: some stand to benefit from an early election, and even Yunus’s allies have divergent views about issues such as constitutional reform and accountability for atrocities committed under Hasina’s rule. While Hasina’s party is now in disarray, Yunus may also face obstruction from pro-AL factions and individuals.
Managing, let alone meeting, sky-high public expectations will be extremely challenging. Experience suggests that the longer the interim government is in power, the louder calls for early elections will get and the larger doubts about its legitimacy will grow. Yunus will also be forced to take unpopular decisions, including on economic reforms that may hurt vulnerable sections of society and on the extent of accountability for human rights violations committed during Hasina’s time in power. Many Bangladeshis want revenge for the AL’s abuses, an impulse that Yunus is – rightly – not keen to indulge.
While challenges abound, the situation presents Bangladesh with an unprecedented opportunity. Since 1990, two parties – Hasina’s AL and the Bangladesh Nationalist Party (BNP) of her fierce rival, Khaleda Zia – have dominated politics, taking turns in government. Both have manipulated state organs, twisted election rules, mobilised party thugs and built patronage networks to cling to power. But Hasina took these tactics to extremes and pushed the Bangladeshi people too far. As a result, she has handed the interim government a once-in-a-generation opening to put in place stronger checks and balances on future governments. The overarching goal of forthcoming reforms is to make sure the authoritarianism and cronyism of the past fifteen years cannot come back.
Even if it is unclear how successful the Yunus team can be in reaching this goal, the alternatives look unappealing. An early election would likely bring the BNP to office with few restraints on its power; given its record, many suspect it would prove little better than the AL. If political and economic conditions were to deteriorate significantly, the army might intervene, beginning a period of military rule.
The best insurance for Yunus’s administration against those seeking to undermine it will be to deliver a steady stream of results, enabling it to maintain public support as it embarks on deeper reforms. Quick wins could include steps to address petty corruption in public services, improve electricity supply and reduce high prices. Strong public support for the interim government could put pressure on other political forces, particularly the BNP, to fall into line around its agenda. In any case, the interim government should be unstinting in seeking consensus among political parties and other key groups, such as the army and students who led the protests that overthrew Hasina. It should balance demands for justice with the need for reconciliation, staying within the bounds of the constitution to mitigate the danger of its decisions being invalidated later. It should also seek to hold fresh elections under a reformed polling system within a realistic timeframe, which should not extend beyond eighteen months.
Foreign governments and multilateral institutions should provide the interim government with technical and financial assistance, including on security, judicial, electoral and economic reform. Foreign governments should also help recover the proceeds of corruption and state-sanctioned theft that are sitting in banks and property markets outside Bangladesh. India, which staunchly supported Hasina throughout her rule, should take steps to repair the resulting damage to its image. Support at home and abroad will be crucial to ensure that Bangladesh does not lose this chance at the political and economic change that many of its people long for.
মাসুদ করিম - ১৫ নভেম্বর ২০২৪ (৯:৩২ পূর্বাহ্ণ)
Inauguration of first trilateral power transaction – from Nepal to Bangladesh through the Indian Grid
https://www.mea.gov.in/press-releases.htm?dtl/38523
Union Minister for Power and Housing & Urban Affairs, Shri Manohar Lal, jointly inaugurated the power flow from Nepal to Bangladesh, alongwith Md. Fouzul Kabir Khan, Adviser, Ministry of Power, Energy and Mineral Resources, Government of Bangladesh and Mr. Dipak Khadka, Minister of Energy, Water Resources and Irrigation, Government of Nepal through a virtual event hosted by the Ministry of Energy, Water Resources and Irrigation, Government of Nepal. This historic occasion marks the first trilateral power transaction which has been carried out through the Indian grid.
2. The Government of India had announced its decision to facilitate the first trilateral power transaction from Nepal to Bangladesh, through Indian grid with an export of upto 40 MW of power during the visit of the former Prime Minister of Nepal, Mr. Pushpa Kamal Dahal ‘Prachanda’ to India from 31 May to 3 June 2023 . During the visit, both sides had expressed their commitment towards greater sub-regional cooperation, including in the energy sector, which would lead to increased inter-linkages between the economies for mutual benefit of all stakeholders.
3. Subsequently, a tripartite power sales agreement between NTPC Vidyut Vyapar Nigam, Nepal Electricity Authority and Bangladesh Power Development Board was signed on 3 October 2024 in Kathmandu.
4. The start of this power flow from Nepal to Bangladesh through India is expected to boost sub-regional connectivity in the power sector.
New Delhi
November 15, 2024
মাসুদ করিম - ১৬ নভেম্বর ২০২৪ (৫:০২ পূর্বাহ্ণ)
ICG findings on BD economy, governance
https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/hasina-regime-cooked-economic-growth-data-1731694809
Many economic parameters were cooked during the past Awami League regime while over US100 billion learnt to have been siphoned off the country, a Brussels-based agency reports and suggests rapid reforms for a rebound.
Macroeconomic indicators, including export figures and growth data, were believed to be manipulated and were “highly misleading”, according to the report styled ‘A New Era in Bangladesh? The First Hundred Days of Reform’.
The report, prepared by International Crisis Group and published Friday, says it was an open secret that Hasina’s administration was manipulating key economic data for much of its time in office.
It has cited World Bank estimation that from 2015 to 2019 about half of Bangladesh’s reported gross domestic product (GDP) growth was “unexplained”, in that it could not be attributed to structural improvements or the effects of earlier reforms.
Export statistics were also doctored: in early July, Bangladesh Bank said export figures for the previous fiscal year alone had likely been inflated by $10 billion.
“It was rubber-and-pencil growth,” the highly critical report says quoting an international macroeconomist.
“In other words, the numbers were cooked, though to what extent remains unclear,” it adds about the alleged cooking of books on data.
The European agency notes that corruption also worsened under the deposed government, particularly in the banking sector, and became a major source of resentment.
More than $100 billion is thought to have been moved offshore illegally over the past fifteen years.
“Industrial-scale looting by ruling-party acolytes” has left some of the country’s biggest private banks insolvent, according to regulators, putting depositors’ money at risk.
“It’s a classic case of crony capitalism,” a foreign economist said. “The amount of embezzlement that the country has faced, particularly in the financial sector, is extraordinary.”
Foreign governments should also help the interim government recover the proceeds of corruption and state-sanctioned theft that are sitting in banks and property markets outside Bangladesh, the agency suggests.
It notes that despite popular grievances over economic hardship, long-term economic reform is a lesser priority for the interim government than political change.
Its view is that addressing fundamental economic problems, such as low tax revenues, will take years – far longer than the interim government’s likely lifespan – whereas political reforms to improve governance can be taken more swiftly and lead to better economic decision-making.
The post-uprising interim government is focused on short-term macroeconomic priorities, such as maintaining stability, building up foreign-currency reserves and bringing down inflation.
The early signs suggest that policymakers can avoid a Sri Lanka-style economic crash that brings down the government.
The interim government, in the recovery process, has secured billions of dollars of additional financial support from multilateral financial institutions, including the International Monetary Fund (IMF), the World Bank and the Asian Development Bank.
Exchange-rate reforms have helped boost foreign reserves. Inflation, while still high, has declined from its July peak, and Dhaka has started to clear its debt in the power sector. It is also seeking to renegotiate terms with some of its external creditors, including Russia and China, says the report.
Led by Nobel laureate Muhammad Yunus, the administration is expected to remain in office for another year, and maybe, longer. If the interim government falters, however, the country could revert to the status quo ante or even enter a period of military rule.
It should avoid staying in power too long and build consensus on new measures among political parties. External actors should offer aid, India should work to repair its image with the Bangladeshi people, suggests the report.
Foreign governments and multilateral institutions should provide the interim government with technical and financial assistance, including on security, judicial, electoral and economic reforms.
মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০২৪ (৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ)
Yunus on Hasina: She can call herself Bangladesh PM, reality differs
https://www.aljazeera.com/program/talk-to-al-jazeera/2024/11/17/yunus-on-hasina-she-can-call-herself-bangladesh-pm-reality-differs
At COP29, Bangladesh’s Muhammad Yunus addresses climate crisis and national healing after political upheaval.
At the 2024 United Nations Climate Change Conference (COP29) in Baku, Azerbaijan, Nobel laureate Muhammad Yunus, chief adviser of the interim government of Bangladesh, addresses national and global challenges.
Following the ousting of Prime Minister Sheikh Hasina amid mass protests, Yunus faces the daunting task of uniting a fractured nation. In an exclusive interview with Al Jazeera, he discusses the severe climate risks Bangladesh faces, political reforms needed to stabilise the country, and shifting diplomatic relations, particularly as Donald Trump, whom Yunus once criticised, returns to the White House.
With Bangladesh’s future on the line, Yunus’s leadership is being tested on multiple fronts.
https://www.aljazeera.com/program/talk-to-al-jazeera/2024/11/17/yunus-on-hasina-she-can-call-herself-bangladesh-pm-reality-differs
মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০২৪ (৯:১১ পূর্বাহ্ণ)
A quiet Sudha Sadan
https://bdnews24.com/politics/a-quiet-sudha-sadan
Published : 20 Jul 2007, 01:05 PM
Updated : 20 Jul 2007, 01:05 PM
Sohel Parvez
bdnews24.com Correspondent
Dhaka, July 20 (bdnews24.com)—At the 44th over, as Bangladesh were celebrating their fifth wicket against Sri Lanka Friday, police on guard at Sudha Sadan cheered and clapped around the television in the guardhouse—while the guard in-charge was found sleeping!
This is not a scene that would have taken place among police at the former prime minister’s Dhanmondi home before July 16 when Awami League president Sheikh Hasina was arrested and detained.
The police presence had been thick at Sudha Sadan. Both guards and regular forces had constantly been busy querying and checking a number of visitors daily.
“It was a different picture one year ago. We had to remain cautious because many people especially activists of Awami League frequently visited her. Now visitors to Sudha Sadan have come down,” said Shahdat, an assistant sub-inspector of police.
Barricades and tents surrounding the house remain as they were before but intelligence officers have been withdrawn since the arrest of Hasina.
“Whom will people come to visit? She is no longer here which is why nobody comes here,” said Selim, who has been selling tea close to Sudha Sadan since the year 1988.
“I feel bad,” he said, although he refused to comment on whether the government had been right to arrest her.
Hasina, one of the most popular leaders, is currently being held alone in a sub-jail close to the parliament building, where she had led both ruling and opposition benches since 1991.
It is the fifth day of her detention since security forces arrested her from Sudha Sadan on July 16 on charges of extortion.
Hasina’s husband Dr M Wazed Ali Miah, who had long been suffering from cardiac and rheumatic ailments, was admitted to hospital on the day his wife was arrested.
Bakshi, a security guard at a house neighbouring Sudha Sadan, was also shocked at the arrest.
“Why should I not feel bad? How come they (the government) arrest a former prime minister in such a manner?” he said, replying to a query.
“Thanks to her, we were doing good business when she was here! Now my sales have dropped to about Tk 500 from about Tk 1,500,” said Helaluddin, another tea vendor in the area.
From a police tent near Sudha Sadan, no activists or leaders were seen entering the house. But the regular movement of neighbours was observed.
“Her relatives and personal employees come here now. Senior leaders and activists go to acting president Zillur Rahman,” said a guard at Sudha Sadan.
Roads 5 and 6 by the lake in Dhanmondi have become calm and quiet over the past week, a relief for police but not so good for local people and vendors.
“Nothing is going on here now. What are so many policemen doing here?” said Suman Sarker, a caretaker at a nearby building, taking tea by the road.
However it was unclear how her fellow neighbours perceive the arrest. When questioned, Sohel—a second year BBA student who has been living with his parents close to Sudha Sadan for 15 years— refused to comment on the arrest.
“I am not interested in politics. I am studying now and I will look for jobs later. That’s it!” he said.
When asked if they faced any hassles while Hasina was at home in Sudha Sadan, he said: “We had to face queries from security officials. But I didn’t mind with that.”
bdnews24.com/sp/rah/1815 hours
মাসুদ করিম - ১৮ নভেম্বর ২০২৪ (৯:১৫ পূর্বাহ্ণ)
এবার আসা যাক সুধা সদন নামের বাড়িটি প্রসঙ্গে
http://akramsbd.blogspot.com/2011/07/blog-post_5411.html
এবার আসা যাক সুধা সদন নামের বাড়িটি প্রসঙ্গে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়া আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দেন ১৯৬৩ সালের ৮ এপ্রিল। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার। শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় ১৯৬৭ সালে। ঢাকাতে তাঁর কোন বাড়ি ছিল না। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ড. ওয়াজেদ মিয়া ধানমণ্ডির ১৫ নম্বর সড়কের ১৭৭ নম্বর বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন। ঐ সময় বাড়িটির ভাড়া ছিল ৯০০ টাকা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিয়ে ঐ বাড়িতে চলে যান। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি তাঁদের নিয়ে খিলগাঁওতে তাঁর বন্ধু ড. মোজাম্মেলের বাসায় ওঠেন। একাত্তরের ১ এপ্রিল তিনি খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নেন। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নতুন ভাড়াবাসায় ওঠেন। কিন্তু এপ্রিলের ৫ তারিখেই বাড়িঅলা ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়ে তাঁকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। কারণ, ঐ চারদিনেই এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় যে, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ঐ বাড়িতে আছে। বাড়ি ওয়ালা নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাঁদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। বাধ্য হয়েই পরদিন ৬ এপ্রিল ঐ বাড়ি ছেড়ে তাঁদের চলে আসতে হয়। তাঁরা চলে আসেন মগবাজার চৌরাস্তার কাছে নূরুদ্দিন আহমদের বাসায়। একাত্তরের ১২ মে মগবাজারের ঐ বাসা থেকেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাড়িতে নিয়ে আসে, অন্তরীণ রাখে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু এই বাড়িতেই উঠেছিলেন। স্বাধীন দেশে তিনি নিজের বাড়িতে ওঠেন ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে। ধানমণ্ডির ১৮ নম্বর সড়কের এই ২৬ নম্বর বাড়ি থেকেই শেখ হাসিনাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই।
ওই আন্তর্জাতিক ও সার্বজনীন বিধি বিধানের অধীনে ‘৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা ও অন্যান্য যুদ্ধাপরাধে অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করা বাঙালী জাতি ও বিশ্ব মানবজাতির বর্তমান ভবিষ্যত শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের স্বার্থে একান্তভাবে অপরিহার্য। কারণ, যুদ্ধাপরাধী যেই হোক, যে দেশের হোক, যে ধর্ম বা বর্ণ বা গোত্রের হোক_সে বিশ্ব মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশ্ব মানবজাতির শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। সেই নিরিখে ‘৭১ সালে বাংলাদেশের সব যুদ্ধাপরাধী বাঙালী জাতি ও মানবজাতির জন্য হুমকি ও বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি। এই হুমকির অবসান ঘটানো বাঙালী জাতি ও বিশ্ব মানবজাতির পরম কর্তব্য একাত্তরের ২৭ জুলাই রাত আটটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জয়ের জন্ম। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১ মার্চ ড. ওয়াজেদ মিয়া স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন। ১৯৭৩ সালে তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী সোহরাব হোসেন বরাবর একটি প্লটের জন্য আবেদন করেন তিনি। ১৯৭৪ সালের প্রথমদিকে ধানমন্ডির এই প্লটটি ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৪ কাঠার প্লটটির মূল্য তখন ছিল ৭০ হাজার টাকা। এই টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়।
১৯৭৫ সালে ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন জার্মানিতে। তিনি একটি বৃত্তি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। ঐ বছর ৩০ জুলাই শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেখানে যান। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘটে যায় মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি। ঐ বছর ২৫ আগস্ট ড. ওয়াজেদ মিয়া স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভারতের দিল্লী আসেন। সেখানে তাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয় পান। দিল্লীতে পান্ডারা রোডে একটি ছোট বাড়িতে সাড়ে ছয় বছর কাটে তাঁদের। শেখ হাসিনা দিল্লী থেকে দেশে ফিরে আসেন ১৯৮১ সালের ১৭ মে। দেশে ফিরে তিনি প্রথমে উঠেছিলেন তাঁর ছোট ফুফু খাদিজা খানমের লালমাটিয়ার বাসায়। ড. ওয়াজেদ মিয়া দিল্লী থেকে ঢাকায় আসেন ১৯৮২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় ফিরে তিনি ওঠেন তাঁর ভাগ্নিজামাই সিদ্দিক হোসেন চৌধুরীর মোহাম্মদপুরের ১১/১২ ইকবাল রোডের বাসায়। ১৯৮২ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি তিনি মহাখালীতে আণবিক শক্তি কলোনিতে একটি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান। ১৯৮২ সালেই ধানমন্ডিতে সুধা সদনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বাড়ির আর্কিটেক্ট ছিলেন আলমগীর কবির। বাড়ি নির্মাণের সময় হাউস বিল্ডিং কর্পোরেশন থেকে ৬ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়। পরে ঋণ নেয়া হয় আরব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। পরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ৩৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হয়। এতেও বাড়ি নির্মাণের ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় একই ব্যাংক থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয়। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে মোট ঋণের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা। বাড়ি নির্মাণ শেষে এটি ভাড়া দেয়া হয়। ড. ওয়াজেদ মিয়া সপরিবারে এই বাড়িতে ওঠেন ১৯৯৫ সালের জানুয়ারি মাসে। এই বাড়িতে যাঁরা গেছেন, তাঁরা জানেন বাড়ির আসবাবপত্র কত সাধারণ। বাড়িটিও একটি সাধারণ বাড়ি। অথচ এই বাড়িটিও এখন খোন্দকার দেলোয়ারদের ঈর্ষার কারণ।
খোন্দকার দেলোয়াররা এ রকমই। লন্ডনে তারেকের বাড়ি কিংবা মালয়েশিয়ায় তারেক-কোকোর সেকেন্ড হোম তাঁদের চোখে পড়ে না। কিংবা ইচ্ছা করেই তাঁরা সেগুলো দৃষ্টির আড়ালে রাখতে চান। খুঁজে বের করেন লন্ডনে শেখ রেহানার কাল্পনিক বাড়ি। সাধারণত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও ড. ওয়াজেদ মিয়াকে নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বলতেও তাঁদের বাধে না। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বলার আগে তাঁর খেয়াল রাখা উচিত ছিল যে, যথেষ্ট সম্পদশালী পরিবারের সন্তান না হলেও শেখ মুজিবুর রহমান সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। সেই সময়ে তাঁর পিতা তাঁকে কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে লেখাপড়া করতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বেকার হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। ঐ সময় পারিবারিক সঙ্গতি ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়েছিল। অন্যদিকে ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী। বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ পড়ানো হয়। ভাঙা সু্টকেসের ম্যাজিক তত্ত্ব যে সব পরিবারের জন্য খাটে না, সেটা খোন্দকার সাহেবরা অনুধাবন করতে পারেন না।
তথ্যসূত্র
“যে ইতিহাস সবার জানা দরকার”
লেখক : এম নজরুল ইসলাম
অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক
মাসুদ করিম - ১৯ নভেম্বর ২০২৪ (৩:০৯ পূর্বাহ্ণ)
Javad Zarif’s message to the Jewish people around the world
https://telegra.ph/Javad-Zarifs-message-to-the-Jewish-people-around-the-world-11-18
November 18, 2024
Mohammad Javad Zarif, in a video address to Jewish people worldwide, denounced Zionism as an ideology that fundamentally contradicts the Ten Commandments. He urged them to safeguard the Abrahamic faith from Zionist distortions, aggression, racial discrimination, and genocide. The full transcript of his message is included below:
Salaam/ Shalom.
Peace to those – of any faith, language, or ethnicity – who cherish freedom, and justice. Greetings to the followers of all religions, and all children of Abraham, regardless of their creed, ethnicity, or language. Shalom to my fellow Iranians of Jewish faith and all followers of Prophet Moses across the globe.
I begin in the name of our one Compassionate and Merciful God, to remind us, all, of the urgency of preventing the spread of war, bloodshed, plunder, and oppression.
I speak to you, Jewish people across the world, as a citizen of an ancient nation with a rich history of tolerance and humanity. For over two thousand years, my nation has been a symbol of peaceful coexistence among various religions, cultures, languages, dialects, races and ethnicities. Supporting the oppressed, the displaced, and those seeking refuge from genocide, has always been a trait of my nation in its long and proud history:
• Liberating the Jews suffering under the Babylonians over 2,600 years ago
• Receiving Jews displaced by the Nazis and fascists during World War II
• Opening its arms to millions of Afghans fleeing foreign occupation
• Assisting Palestinians, Lebanese, and Syrians displaced by aggression and apartheid.
We, Iranians throughout history have sought peace, but defended our land, absorbed occupiers in our culture, and never stopped supporting the oppressed.
My fellow human beings,
A few years ago, I had the honor of contributing to a unique achievement of multilateral diplomacy to end the manufactured crisis over Iran’s peaceful nuclear program. Yet, Netanyahu – who himself had contributed to the manufacturing of this crisis – made it his “historic mission” to obstruct and kill the nuclear deal: an agreement that would have ensured that the “wolf” this habitual liar was always “crying” about, would never come to town.
That agreement could have been the foundation of a new era of peace, tranquility, regional cooperation, and freedom from threats, conflicts, and escalating tensions. However, before too long, Netanyahu and his Zionist and extremist cohorts succeeded in their satanic effort to rob the region and the world of this historic opportunity, standing on the wrong side of history.
Standing on the wrong side of history again, Netanyahu and his regime, along with Israel’s Western enablers, have unleashed the machinery of death and destruction in the region, causing carnage and crimes against humanity in a genocidal campaign that has murdered over 50,000 civilians, including over 10,000children. But resistance to occupation will not die by killing children or even its leaders.
I am confident that for all good human beings of Jewish faith and origin, a terrorist regime, whose record has nothing,but apartheid, genocide, carnage, looting, and systematic violence cannot represent Judaism, a Divine Abrahamic religion that we all respect. Rather, this regime and its practices are simply reincarnation of the darkness of Nazism and fascism.
Dear friends, sisters, and brothers,
Aggressive Zionism is nothing but an expansionist secular movement, deceitfully using Judaism to advance its colonial and racist agenda. It abuses the memories and blood of Jewish victims of the Holocaust who perished during World War II, while Zionism itself is nothing but racism, chauvinism, militarism, terrorism, expansionism, apartheid, and hatred against other nations and religions. It deceitfully claims to be the representative and protector of Jewish people worldwide, while in practice, it is the greatest threat to the dignity and security of the Jewish people.
This regime does not uphold the Ten Commandments of Prophet Moses; rather, it violates each and every one of these divine laws. It:
• Worships power, not God;
• Sacrifices Jews and Gentiles at the altar of Zionism;
• Uses the name of the Lord in vain to justify genocide;
• Ruins the honor of all Jews throughout history;
• Operates “rape camps” to violate the dignity of Palestinian hostages;
• Has made stealing people’s land a full-time habit;
• Has turned bearing false witness into a global industry;
• Considers others as “subhuman” and covets its neighbor’s houses, villages, and entire country.
And on and on.
My fellow Iranians of Jewish faith, and Jewish people across the globe,
You are not just horrified by the Zionist crimes committed against others; you too are victims of Zionist assault on your faith and identity. Continue to stand – as you have done in the streets of Western capitals – with all the innocent victims of Zionism in Palestine, and elsewhere. Continue to support those at the forefront of this resistance who defend human dignity.Save the Divine Abrahamic Jewish faith from Zionist forgeries, marred by aggression, apartheid, and genocide.
As you stand for humanity, consider the Iranian nation your ally in this noble and just resistance.
মাসুদ করিম - ১৯ নভেম্বর ২০২৪ (৪:৩২ পূর্বাহ্ণ)
আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
https://robbar.in/column/31th-episode-of-rushkotha-by-arun-som/
রুশকথা, অরুণ সোম
সোভিয়েত সমাজ-ব্যবস্থা ও সংবিধানের মাহাত্ম্য
ব্রেজনভের আমলের শেষদিকে, ১৯৮৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের যে নতুন সংবিধান গৃহীত হয়, তাতে সে দেশে বসবাসকারী বিদেশিদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধার স্বীকৃতি ছিল; কিন্তু সেটাও নেহাতই নীতিগতভাবে– অনেকটা মস্কোর হোটেল-রেস্তোরাঁর মেনুকার্ডের মতো– সবই আছে, কিন্তু অর্ডার দিতে গেলে দেখা যাবে ওর মধ্যে থেকে যেটা যেটা চাই, তার কোনওটাই নেই। এমনিতেও সোভিয়েত সংবিধানের মতো মানবিক সংবিধান আর দু’টি হয় না, কিন্তু তার মধ্যে এত ‘যদি’ আর ‘কিন্তু’ আছে যে, সেগুলির নাগপাশ কাটিয়ে কিছু উদ্ধার করা দুষ্কর। পরন্তু এদেশে বসবাসকারী বিদেশিদের যে বিশেষ পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল, নতুন সংবিধান প্রকাশিত হওয়ার পর পরই তা তুলে নিয়ে পাসপোর্টে শুধু প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধির উপযোগী সাময়িক রেজিস্ট্রেশন নম্বর সিল মেরে দিতে লাগল, যার ফলে আমরা বিদেশিরা আর আইনত সে দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরূপে গণ্য না হয়ে পরিযায়ী হয়ে গেলাম।
তবে ‘স্থায়ী বসবাসকারী’ বিদেশির শংসাপত্র দেওয়ার একটি সংস্থান সংবিধানে থাকল, সেই ধারাটি আজও, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরে নতুন রাশিয়ার সংবিধানেও আছে– সেক্ষেত্রে বিদেশিকে তার নিজের দেশের পাসপোর্ট খারিজ করতে হয়। অথচ, সে যে স্বাভাবিকভাবেই নতুন দেশের নাগরিক হয়ে গেল, এমন কিন্তু নয়। তাকে ত্রিশঙ্কু অবস্থাতেও থাকতে হতে পারে।
সোভিয়েত সংবিধানের ‘যদি’, ‘কিন্তু’-র ফেরে পড়ে আমার স্ত্রী সোভিয়েত নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও বিদেশির সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হওযার ফলে স্থায়ী বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। শত চেষ্টাতেও সে অধিকার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হতে তাকে আরও দুই সহ নাগরিক, আমাদের দুই নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে, সোভিয়েত নাগরিকত্ব বজায় রেখেই দেশত্যাগ করতে হয়। তারা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল। সোভিয়েত সংবিধানের সে এক গোলকধাঁধা, আরেক ইতিহাস।
আমার স্ত্রী ল্যুদ্মিলা মস্কোর স্থায়ী বাসিন্দা ছিল না। তার আদি নিবাস কুইবিশেভ (অধুনা সামারা), সেখানেই স্থায়ী বাসস্থানের ঠিকানায় তার রেজিস্ট্রেশন। আমার সঙ্গে পরিণয়সূত্রে মস্কোয় বসবাসের অনুমতি পায়। কিন্তু মস্কোয় বসবাসের জন্য তাকে কুইবিশেভের রেজিস্ট্রেশন খারিজ করে দিয়ে আসতে হয়। অথচ আমি বিদেশি হওয়ায় মস্কোয় আমার রেজিস্ট্রেশন যেহেতু অস্থায়ী, সেই কারণে তার রেজিস্ট্রেশনও অস্থায়ী হয়ে গেল– পরবর্তীকালে সেই সূত্রে সোভিয়েত নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আমার কন্যাদ্বয়েরও। আর আমি যখন পাকাপাকিভাবে সোভিয়েত দেশ ছেড়ে চলে আসছি তখন থেকে আমার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাদেরও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়, তারা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। পেরেস্ত্রৈকা-পরবর্তী নতুন রাশিয়ার ডামাডোলের মধ্যে কোথায় কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে তার কোনও দিশা পাওয়া যায়নি। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে বাসস্থান তো দূরের কথা, আমার স্ত্রীর পক্ষে তাঁর প্রাপ্য পেনশনও তো পাওয়া সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতে পড়ে ব্যক্তিমানুষের অনস্তিত্বে পরিণত হওয়ার এক কাহিনি অবশ্য আমরা বিগত শতাব্দীর তিনের দশকের পটভূমিকায় রুশ কথাশিল্পী মিখাইল বুলগাকভের লেখা ‘মাস্টার ও মার্গারিতা’ উপন্যাসের নায়ক মাস্টারের মুখে শুনেছি: ‘… প্রমাণপত্রে যখন নেই তখন মানুষটিও নেই। ঠিক এই কারণেই আমিও নেই, আমার কোনও প্রমাণপত্র নেই।’
অগত্যা দেশত্যাগ। এখনও ল্যুদমিলা রাশায়ার নাগরিক। নিজের দেশে যেতে পারে, কিন্তু নিজের প্রাপ্য পেনশনই তো পাবে না! আজকের রাশিয়ায়, গণতান্ত্রিক রাশিয়াতেও সেই একই ব্যবস্থা বজায় আছে। সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। হ্যাঁ, তাই তো, রাশিয়ায় আজও, এমনকী সোভিয়েত আমলেও সর্বজনমান্য জার মহামতি পিয়োতরই তো এই ব্যবস্থার গোড়াপত্তন করেছিলেন!
এরপরও বলবেন, তাহলে সোভিয়েতে ভালোটা কী ছিল? কেন? সাধারণ মানুষ তো রাষ্ট্রের কাছ থেকে তার প্রাথমিক প্রয়োজনীয় সবই পেয়ে যাচ্ছিল; মাথার ওপর ছাদ ছিল, ছিল অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, নিশ্চিত কর্মসংস্থান, পেনশন, ছিল না মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে উৎকণ্ঠা– এরপর আর কী চাই? রাষ্ট্রের কাছ থেকে এতসব সুরক্ষা পেতে গেলে কিছু স্বাধীনতা তো মানুষকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতেই হয়।
না কি বলবেন, ‘not by bread alone’? কিন্তু তা-ই বা বলি কী করে? মনের খোরাকের কি অভাব ছিল? শিল্প, সংস্কৃতি, জ্ঞানবিজ্ঞান– কোথাও কি অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছিল? তাহলে কি আমি নিজেই নিজের বিরোধিতা করছি? স্বাধীনতা কাকে বলে? নাকি প্রশ্ন স্বাধীনতা তুমি কার?
মাসুদ করিম - ২০ নভেম্বর ২০২৪ (৪:০৭ পূর্বাহ্ণ)
Bangladesh tycoon says Singapore citizenship is a shield against central bank ‘intimidation’
https://www.ft.com/content/8087ad16-e1d4-4d98-843a-224986bc4dee?accessToken=zwAAAZNHpd1QkdOAh60W4dRNmNOEOiJJhrxN7g.MEUCIQCqqKaENpV1oqGmBo7PfK94R9lmVVY8XO1A7vuHkVp8kwIgKfHSUFChijK3ju25Q_Q0J2LMfSit5YzRyF5XxuAvOw8&segmentId=e95a9ae7-622c-6235-5f87-51e412b47e97&shareType=enterprise&shareId=737fb5e0-c24b-4fa4-94a3-e00a62c522e1
One of Bangladesh’s biggest businessmen has claimed an international investment pact and his status as a Singaporean citizen offer protection against a “campaign of intimidation” being waged by the country’s central banker against his conglomerate.
In a letter sent by lawyers on their behalf, Mohammed Saiful Alam, founder and chair of industrial conglomerate S Alam, and members of his family warned central bank governor Ahsan Mansur that they could seek to launch international arbitration proceedings against Bangladesh.
The letter from law firm Quinn Emanuel Urquhart & Sullivan follows Mansur’s allegations in an interview with the Financial Times that Saiful Alam and associates “siphoned off” at least Tk1.2tn ($10bn) from Bangladeshi banks under the regime of ousted former prime minister Sheikh Hasina.
The letter, a copy of which was seen by the FT, accused Mansur of making “inflammatory and unsubstantiated public comments” amounting to a “campaign of intimidation against a business group” that it said employs about 200,000 people directly and indirectly in Bangladesh.
The letter and Saiful Alam’s threat to pursue international arbitration mark his most serious pushback yet against Bangladesh’s interim government, led by Nobel Peace Prize laureate Muhammad Yunus, which took power after a student-led protest movement toppled Sheikh Hasina.
Mansur, a former IMF official who was appointed Bangladesh Bank governor in August, told the FT last month that Saiful Alam and his associates had siphoned money out of the banking system after taking over leading banks with the help of members of a powerful military intelligence agency.
Mansur alleged Saiful Alam, his associates and other groups used methods such as loans to the banks’ new shareholders and inflated import invoices to carry out the “biggest, highest robbing of banks by any international standards”.
The group is one of several business groups that Yunus’s government is targeting in its push to reclaim money it says was taken out of the banking system.
S Alam group, which has interests in sectors including food, construction, garments, and banking, rejected Mansur’s allegations last month, saying in a statement through Quinn Emanuel that there was “no truth” to them.
The letter to Mansur — sent on behalf of Saiful Alam, his wife Farzana Parveen and his sons Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, who it said collectively owned and controlled a “major part” of S Alam group — described the allegations as “deliberately false and defamatory”.
“Your statements only further the aims of an apparent campaign designed to destroy the S Alam Group, and therefore also the Investors’ Investments,” it said. “Notably, you appear to be leading, if not orchestrating, that campaign.”
The letter said all four investors were Singaporean citizens. A spokesperson for Quinn Emanuel did not respond to a request for comment on when Alam’s family had acquired Singaporean citizenship and whether they remained Bangladeshi nationals. The government of Singapore did not respond to a request for comment.
Bangladesh and Singapore have a bilateral investment protection treaty dating from 2004.
The letter said Mansur’s statements as central bank governor were “attributable to the State of Bangladesh” under the pact. It said that as Singaporean citizens, the investors also enjoyed “the rights and protections” granted by a 1980 Bangladeshi law on foreign private investment.
The investors’ letter said they would “take all necessary measures to protect their rights, including but not limited to” requesting arbitration by the International Centre for Settlement of Investment Disputes.
Mansur told the FT that the claims he made in the interview were “fully substantiated” when asked for a response to the letter. “They are still being documented because the range of corrupt activities are widespread across many banks and over many years,” he added. “The full documentation will take some time.”
The threat of arbitration is the latest of a slew of challenges facing Yunus’s interim government, which is contending with political unrest, cancellations of orders in the country’s crucial garment sector and hostility in India to what many in New Delhi see as a US-backed regime change.
The letter said the investors would prefer to avoid costly and protracted litigation and remained committed to resolving any differences “amicably and in accordance with law”.
But it warned the central bank governor that if he continued to “encroach on their rights” making “false statements” they and S Alam group would “have no choice but to take legal action” against him individually for the “damage you have inflicted”.
মাসুদ করিম - ২৬ নভেম্বর ২০২৪ (১:৩৯ অপরাহ্ণ)
David Lammy warned over rise of Islamist extremism and political turmoil in Bangladesh
https://www.independent.co.uk/news/uk/politics/david-lammy-political-turmoil-islamist-bangladesh-b2653259.html
A cross-party group of MPs have warned of a deteriorating situation in Bangladesh following the collapse of Sheikh Hasina’s government at the start of August 2024
David Lammy has been warned that the UK could be pulled into another global flashpoint over the rapidly destabilising situation in Bangladesh.
A cross-party group of MPs have written to the foreign secretary with a major report into Bangladesh listing a series of alarming conclusions, including the gaining of ground by Islamist extremists following the collapse of Sheikh Hasina’s government at the start of August 2024.
The all-party parliamentary group (APPG) for the Commonwealth has recorded more than 2,000 atrocities since the fall of Hasani’s government and warned that the current regime may be weaponsing the legal system to exact revenge.
Any escalation in Bangladesh could have potential fallout in the UK with the 2021 census recording 644,881 people of Bangladeshi descent in England and Wales – 1.1 per cent of the population.
The collapse of the government impacted Treasury minister Tulip Siddiq, whose aunt is the ousted Bangladeshi prime minister and maternal grandfather was its founding president.
APPG chairman Tory MP Andrew Rosindell said: “This report will be a step in our efforts to raise awareness of issues affecting important Commonwealth partners.
“The findings will be shared with the government, charities, and other stakeholders involved with Bangladesh and the Commonwealth. It is hoped that these issues are heard within Westminster and Whitehall, and this report helps to inform parliamentarians and decision makers.”
The report notes: “Despite the violence and turmoil, the fall of Sheikh Hasina’s government at the start of August 2024 was met by many with great joy and hope.
“However, we have also received evidence that raises questions about the efficacy of the new interim regime. There is an urgent need to end the culture of using the law as a political weapon, and that human rights and the rule of law need to be upheld.
“A failure to do this will not reflect well on the new interim regime of Professor Muhammad Yunas.”
The APPG said that it received evidence that murder charges are being slapped on former ministers, Awami League leaders, MPs, former judges, scholars, lawyers and on journalists “in such numbers to raise questions around their credibility”.
Highlighting reports of 1,000 deaths by the end of August, the MPs and peers added: “We have heard the security situation in some parts of Bangladesh remains extremely dangerous over three months after the initial student protests that led to the fall of Sheikh Hasina and the formation of the interim government.”
It also raised concerns over the way religious and ethnic minority groups appeared to have been targeted in the past few months.
And added: “There is evidence emerging that hardline Islamists are becoming increasingly politically influential and visible.”
মাসুদ করিম - ২৯ নভেম্বর ২০২৪ (১২:১৩ অপরাহ্ণ)
The Distinctive Case of Chinese Intelligence Services
https://www.orfonline.org/expert-speak/the-distinctive-case-of-chinese-intelligence-services
Authors : Harsh V. Pant | Anant Singh Mann
Despite China’s global imprint and its dramatic rise over the last few decades, its intelligence services have managed to avoid global scrutiny. The paucity of information on Chinese covert operations and their objectives remains a challenge for the world considering the many dimensions of contemporary warfare. Chinese Intelligence Services (CIS) have thus far managed to hoodwink the global community and propagate a narrative of supreme secrecy by not subscribing to the general practice of providing a singular representational name or acronym for its intelligence services. Accordingly, analysts have attempted to theorise the CIS to better understand them and to delineate their functions so as to create calculated projections of their evolving stakes and interests.
The traditional view holds that the CIS are unlike any other intelligence service since their strategy is based on the ‘thousand grains of sand’ concept. This school of thought essentially proposes that instead of relying on conventional and expensive forms of espionage with professional spies, the CIS rely on multiple avenues of data collection through amateurs which include Chinese businesses, civilians, academics, amongst others, to gather extensive low-quality information which can then be stitched together to form ‘intelligence’. This belief has been criticised for its sweeping generalisations and for misdirecting efforts of other nations in their counterintelligence activities. These critics instead view the CIS as a framework of ‘multiple professional systems’ which function to carry out intelligence, reconnaissance and surveillance (ISR) operations both internally and externally. However, since intelligence is loosely described as serving to inform state decision-making, the ‘thousand grains of sand’ metaphor cannot be completely disregarded as information collected could directly or indirectly assist Chinese decision-making.
Notwithstanding these contending viewpoints, while the CIS do essentially follow the pattern of conventional intelligence services with its increasing professionalism and stereotypical espionage activities, China’s authoritarian regime type does indeed provide its intelligence services with a unique facet due to the state’s potential influence in nearly all of its activities. The CIS can be conceptualised to function in ‘concentric circles of operational importance’, with its various professional systems at its core and its other extended potential influence and interests at its periphery. This conceptualisation provides a functional representation of the CIS which prioritises the multiple professional systems for counterintelligence activities while still keeping in the policy calculus the potential influence of an authoritarian state in all of its activities.
Chinese Intelligence Services (CIS) and its concentric circles of operational importance
The CIS core consists of both civil and military agencies. The foremost civil agency is the Ministry of State Security (MSS) with its central ministry, provincial divisions and its many municipal agencies. The MSS focuses primarily on surveying external and internal threats to state security and spying on foreigners to create potential profiles for future recruitment. The Ministry of Public Security (MPS) has internal and external auxiliaries but primarily concentrates on domestic intelligence. The United Front Work Department too has a wide variety of functions and wields influence both externally and internally. In the military intelligence agencies of the People’s Liberation Army (PLA), the leading intelligence unit is the PLA Strategic Support Force which is responsible for intelligence, technical reconnaissance, electronic warfare, cyber offence and defence and psychological warfare, and also oversees the General Staff Department, and the General Political Department.
At the periphery of the CIS operations there exists a vast variety of areas from which the CIS appears to be gathering intelligence. Among others, these include state media outlets like Xinhua, the New China News Agency which in its charter explicitly notes this intelligence gathering activity. Other organisations like the Overseas Chinese Affairs Office and the Ministry of Education also participate in intelligence activities by maintaining contact with overseas Chinese citizens. The Institute of Scientific and Technical Information of China retains a formal system of collecting foreign technological publications to smoothen the dissemination of knowledge within China. Interestingly, it has been reported that the Chinese state has created incentives for its indigenous businesses to carry out economic espionage in foreign countries. This strategic mobilisation of Chinese assets which were not initially intended for intelligence is warranted by the National Intelligence Law enacted in 2017 of which Articles 7 and 14 explicitly state that Chinese organisations and citizens necessarily have to support state intelligence whenever required. The sweeping nature of this law has been the main reason behind the pushback against the Chinese telecommunications giant Huawei.
International reports too shed considerable light on the extent of activities carried out by the CIS. The USA has caught and convicted several Chinese spies who had been mobilised through LinkedIn, an online professional networking platform provided by Microsoft. Interestingly, complementing the ‘great firewall’, which censors data coming into China, is a new system called the ‘great cannon’ which strategically channels an outflow of data from China to targeted locations which can be implemented for malware attacks and denial-of-service attacks. Other instances include an alleged interference reported in 2019 by the Australian media in their political system by the Chinese state which was implicated in providing substantial monetary assistance to an Australian national, who was subsequently found dead, to run for parliament.
The CIS continue to have extensive interests within India, which range from keeping a tab on the development and deployment of nuclear weapons, missile systems, IT capabilities, space and satellite research programmes, and other strategic relationships to mention just a few. Naturally, with their capabilities and spheres of interest, the CIS appear to be not only simply informing decision making, but have also been accused of attempting to manipulate the opponents decision-making, intelligence, offensive counterintelligence, and sabotaging the human and technical sensors of its adversaries. Emerging out of this operative matrix, it can be safely assumed that the CIS has indeed been focusing on India, since even the few operations that have been disrupted and subsequently circulated in the Indian media, remain merely the tip of the iceberg. Indian news reports have mentioned the presence of the core professional systems of the CIS within India at several points with alleged Chinese agents performing traditional espionage activities caught in 2013 and 2018. Furthermore, Chinese reconnaissance ships have been caught spying on Indian assets near the Andaman Island in 2013 and 2019, and during the Malabar trilateral exercises in 2018. In 2019 the PLA’s technologically loaded balloons were allegedly caught spying on India from Tibet.
At the periphery, with more indirect linkages, it is reported that a third of all cyber-attacks in India originate from China. Other reports have cautioned that 42 popular Chinese mobile applications are actively gathering intelligence regarding Indian security instalments. It was revealed in 2010 that Chinese hackers had stolen reports on the Indian missile system as well as emails and other personal information from the Dalai Lama’s office. Apart from this, concerns were raised in 2009 regarding the setting up of 24 Chinese study centres and around 30 firms in Nepal along the Indian border for intelligence gathering and possibly increasing China’s influence in Nepal.
The core of the CIS systems remains at the helm of their coordinated activities and should remain the focal point for counter-intelligence operations. However, the ability of the core systems to mobilise the peripheral support remains a daunting reality for open democratic societies. To reduce this extended ability, actions such as the banning of Chinese mobile applications by the Indian government and the designation of Chinese media firms in the US as foreign missions were perhaps long overdue. These actions seem to originate from the authoritarian institutional framework of China since the trust which was gradually being built since the 1970s has only disintegrated while China’s ability to muster its non-intelligence assets has only been reinforced lately. Democratic societies are having to recalibrate their ties with China in light of the lack of reciprocity which has given Beijing undue advantages.
China’s authoritarian culture has been able to create an intelligence gathering architecture unlike any other, and this lack of a level playing field is a worrying prospect for its adversaries. Past descriptions of China as a ‘panoptic’ or ‘surveillance’ state are increasingly proving to be accurate. For liberal, open and democratic societies it is has now become imperative to understand China’s intelligence system and how it operates so that effective countermeasures can be adopted. As China’s overt aggression generates stronger pushback across the world, Beijing’s reliance on its covert instruments of state power is only likely to grow with serious consequences for international politics.
মাসুদ করিম - ৩০ নভেম্বর ২০২৪ (৫:২৫ অপরাহ্ণ)
Krzysztof Pomian: “The museum acts as a temple of belief in the future”
https://courier.unesco.org/en/articles/krzysztof-pomian-museum-acts-temple-belief-future
Historian and author of a monumental trilogy entitled Le Musée, une histoire mondiale [The Museum, a global history], Krzysztof Pomian traces the birth of museums back to late 15th-century Italy. Over the centuries, princely treasures and cabinets of curiosities became secular places, open to the public and whose collections form a link between past and future generations.
Interview by Agnès Bardon
UNESCO
Museums are often thought to have originated with the European Enlightenment in the 18th century. But their origins go back much further. When do you think they started?
The first museums were created at the end of the 15th century – by chance. By donating a collection of antiquities to the Municipality of Rome, Pope Sixtus IV wanted to restore the Papacy’s relations with the city, which had been sullied by his predecessor. The idea of a museum was foreign to him. But once displayed in the Palazzo dei Conservatori, these antiquities formed an unprecedented collection of secular, pagan objects, belonging to a public entity, hence expected to last indefinitely and be open to visitors. It was a perpetual celebration of the glory of Rome. Among the Italian elite, fascinated by all things Roman, it stimulated a desire for imitation. Half a century later, this public entity was given the name of museum, which once denoted a temple devoted to the muses.
Why was this institution created in Italy?
The museum was born in Italy because the monuments of Classical Roman antiquity were present here like nowhere else. And, because feelings that the present was inferior to this glorious past – and the desire to revive it – were more widespread and intense there than anywhere else. We can also assume that if Sixtus IV had not made his gesture, it would have been made by somebody else. The rapid expansion of the museum concept in Venice, Florence and Milan bears witness to this.
Until the end of the 17th century, the museum remained an Italian institution, as Europe north of the Alps was engulfed in religious wars. It then spread to the Germanic countries, Great Britain and France. After the French Revolution, we find it in all the capitals and major cities of Western Europe. It also established a number of bridgeheads in Central Europe, Russia, India and the Americas. Its global expansion began in the second half of the 19th century, when Europeans were colonizing every continent.
How are museums different from the cabinets of curiosities or princely collections that existed before them?
The creation of museums in the Europe of the Ancien Régime consisted of opening princely art collections and cabinets of curiosities to the public – albeit in a very limited way at first. Later on, this meant adapting the architecture of the buildings in which they were displayed and the way the objects were presented, reclassifying the collections, monitoring them, and regulating opening hours and the price of admission. And this meant that museums had to employ competent staff.
You have described this institution as “useless but indispensable”. What role does it play in society?
From the 12th century onwards, European societies stopped looking to the distant past as a source for their models, examples and norms. They also stopped seeing the future as pre-determined. This happened slowly, with interruptions and conflicts, and unevenly across countries and periods. But there were two moments of intensification in this centuries-old shift in the centre of gravity from the past towards a future seen as the work of humankind itself – the Renaissance and the Enlightenment. By bringing together collections of natural and artificial objects from the past to be passed on to a distant human future, the museum acts as a temple of belief in the future. It is this belief that gives the museum its meaning.
It was born with the Renaissance and took its place at the centre of modern civilisation with the Enlightenment, when European societies ceased to be backward-looking and became future-oriented. As both a symptom of and a vehicle for this change, the museum puts history on display and raises awareness that it is ubiquitous. As a result you can visit a museum of prehistory, the Middle Ages or even the Second World War. What’s more, most museums are organised chronologically, within a geographical, thematic or other framework.
From the mid-19th century onwards, we see the number of museums multiply. How would you explain this success?
The rapid growth in the number of museums from the mid-19th century onwards was the result of the transition from agriculture to industry, from rural to urban life, from a society of orders to a society of classes, from illiteracy to writing, from a scarcity of images and sounds to their omnipresence, the progresses of secularisation and, more generally, the rapidity of the changes we perceive in the course of a lifetime, which encouraged the preservation of the remains of vanished worlds for the benefit of future generations.
What links do they have with the history of the towns in which they are located?
Since the 18th century, the museum has been a characteristic of civilization. It occupies a central place in any self-respecting city. It is one of its claims to fame, attracting visitors from outside and contributing, by its very existence and the events it organizes, to the regeneration of social bonds between its inhabitants. Paris would not be what it is without the Louvre, Madrid without the Prado, Munich without the Pinakothek and Arles without the Museon Arlaten.
What relationship do museums have with time?
Like clocks, museums show time. But it’s a different kind of time from that of clocks – long, qualitative, divided into periods and attached to a defined portion of terrestrial space. Time is also an integral part of museum practice itself. Museum objects come from the past and must be passed on to the future in a state that is as close as possible to their original state, or at least to the state they were in when they entered the collections. This is why they are kept in an environment that prevents or slows down the corrosive action of physical, chemical and biological factors. And they are restored to remove any traces of these impacts. However, these objects need to be displayed here and now, which is not always compatible with the demands of conservation. The art of the curator consists in finding compromises between respect for the past, the demands of the present and the constraints imposed by the future.
In this early 21st century, what roles do museums play in society? How do you explain their success, even in regions where they were not well established?
The trends that had been underway since the mid-19th century were halted by the two World Wars and their aftermath, the colonial wars. The return of peace has set them in motion again, with an intensity that is all the greater given that the pace of change is accelerating and that these changes are now overturning every aspect of social relations and the lives of individuals. Hence the desire felt by a growing number of people to preserve for our descendants the vestiges of what is disappearing. And this can only be done by creating new museums or extending existing ones.
The international museums network
The International Council of Museums (ICOM) is the only global organization dedicated to developing museums and the museum profession. Founded in 1946 in Paris, France with UNESCO’s support, today ICOM includes 57,000 members, 120 national committees and 34 international committees. Throughout its history, ICOM has achieved significant milestones for museums including adopting a code of ethics, combating illicit trafficking, and improving disaster preparedness. ICOM publishes “Museum International,” a peer-reviewed journal transferred from UNESCO in the early 2000s, which promotes expertise and knowledge exchange in museums and heritage.
Currently ICOM aims to enhance transparency and collaboration among museums, addressing contemporary challenges like decolonization and climate change, while advocating for the crucial role of museums in fostering sustainable and peaceful communities.