সুপারিশকৃত লিন্ক : অক্টোবর ২০২৪

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ অক্টোবর ২০২৪ (৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে বছরে ভর্তুকি ৬৭৭ বিলিয়ন ডলার
    https://samakal.com/bangladesh/article/258413/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A7%AC%E0%A7%AD%E0%A7%AD-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0

    জীবাশ্ম জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কৃষি খাতে প্রতিবছর প্রায় ৬৭৭ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসে ভূমিকা রাখছে, এমন অনেক ব্যবসা সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি পাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

    গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে একশনএইড বাংলাদেশ তাদের পরিচালিত ‘হাউ দ্য ফাইন্যান্স ফ্লো’ শীর্ষক সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এ সময় জলবায়ু বিপর্যয় প্রতিরোধবিষয়ক ক্যাম্পেইন ‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ উন্মোচন করা হয়। সমীক্ষায় বৈশ্বিক দক্ষিণের জনগণের টাকা কীভাবে জলবায়ু ধ্বংসের পেছনে খরচ হচ্ছে এবং এই অর্থ দিয়ে কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষি খাতগুলো লাভবান হচ্ছে, সেসব চিত্র উঠে এসেছে।

    একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, এ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং বাণিজ্যিক কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জলবায়ু সংকটের মূল চালক হিসেবে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, জবাবদিহি ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আহমেদ জুবায়ের, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক পরিচালক মোর্শেদ মিল্লাত, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আনোয়ার ফারুক, জার্মান দূতাবাসের হেড অব জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন কাউন্সেলর ফ্লোরিয়ান হেলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ।

  2. মাসুদ করিম - ২ অক্টোবর ২০২৪ (৭:০২ অপরাহ্ণ)

    Leaked files expose covert US government plot to ‘destabilize Bangladesh’s politics’
    https://thegrayzone.com/2024/09/30/us-plot-destabilize-bangladesh/

    Leaked docs reveal that prior to the toppling of Bangladeshi PM Sheikh Hasina, the US govt-funded International Republican Institute trained an army of activists including rappers and “LGBTQI people,” even hosting “transgender dance performances,” to achieve a national “power shift.” Institute staff said the activists “would cooperate with IRI to destabilize Bangladesh’s politics.”

    On August 5, months of violent street protests finally toppled Bangladesh’s elected Prime Minister Sheikh Hasina. When the military seized power and announced the imposition of a so-called “interim administration,” video footage showed Hasina fleeing to India aboard a helicopter. As vast swarms of student protesters overran the presidential palace, Western media outlets and many of their progressive-leaning consumers cheered the rebellion, framing it as a decisive defeat of fascism and the restoration of democratic rule.

    Hasina’s replacement, Muhammad Yunus, is a longtime Clinton Global Initiative fellow granted a Nobel Prize for pioneering the dubious practice of micro-lending. While Yunus has hailed the “meticulously-designed” protest movement that thrust him into power, Hasina personally accused Washington of working to remove her from power over her alleged refusal to allow a US military base on Bangladeshi territory. The State Department has dismissed allegations of US meddling as “laughable,” with spokesman Vedant Patel telling reporters that “any implication that the United States was involved in Sheikh Hasina’s resignation is absolutely false.”

    But now, leaked documents reviewed by The Grayzone confirm the State Department was informed of efforts by the International Republican Institute (IRI) to advance an explicitly stated mission to “destabilize Bangladesh’s politics.” The documents are marked as “confidential and/or privileged.”

    IRI is a Republican Party-run subsidiary of the National Endowment for Democracy, which has fueled an array of regime change operations across the globe since it was conceived in the office of CIA Director William Casey over forty years ago.

    The newly-uncovered files reveal how IRI spent millions in the lead-up to Hasina’s overthrow covertly coaching opposition parties and establishing a regime change network concentrated among the country’s urban youth. Among the GOP-run Institute’s front line foot soldiers were rappers, ethnic minority leaders, LGBT activists hosting “transgender dance performances” in the presence of US embassy officials – all groomed to facilitate what the US intelligence cutout called a “power shift” in Bangladesh.

    Kit Klarenberg

    Kit Klarenberg is an investigative journalist exploring the role of intelligence services in shaping politics and perceptions. @KitKlarenberg

    Wyatt Reed

    Wyatt Reed is the managing editor of The Grayzone. As an international correspondent, he’s covered stories in over a dozen countries. Follow him on Twitter at @wyattreed13.

  3. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২৪ (৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    বড্ড দেরি হয়ে গেল! বাংলা ভাষার ‘ধ্রুপদী’ তকমায় দ্বিধাবিভক্ত বাংলার সাহিত্য সমাজ
    https://www.sangbadpratidin.in/entertainment/event/bengali-among-five-new-classical-languages-approved-by-modi-cabinet-bengali-authors-react/

    আমরি বাংলা ভাষা! প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগের ভাষা সংস্কৃতিতে বাংলার আধিপত্য থাকলেও অবশেষে ‘ধ্রুপদী’ ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। নরেন্দ্র মোদি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। লড়াই করেছি, এই স্বীকৃতি নিয়ে সওয়াল করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু পুরস্কার এবং স্বীকৃতির দোলাচলে আদৌ কিছু পেল ‘রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র ভাষা? ধ্রুপদী তকমায় কি কিছু আসবে-যাবে নিজের ভাষাকে প্রায় ভুলতে বসা বাঙালির?

    বাংলাটা ঠিক আসে না এবং বাংলার ধ্রুপদী তকমার প্রভাব নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে বিস্তর। নিজেদের ভাষার নতুন তকমায় মুখ খুলেছেন ভাষাবিদ পবিত্র সরকার। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি জানান, ”লাফ ঝাঁপ করার কিছুই নেই। নাম হল, গয়না হল, বিশেষণ হল। কিন্তু এটা নিয়ে সরকার কী করবে! সরকার কি এর বিস্তারে সাহায্য করবে? কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এখন এই ভাষা নিয়ে কী করবে সেটা জানা দরকার। সরকারি কাজে বাংলার ব্যবহার বাড়বে, মেডিক্যাল কলেজের গেটে বাংলায় লেখা থাকবে কি? ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাধ্য়তামূলক বাংলা ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করবে? এসব কথা আগে আসা দরকার। আমাদের ছেলেমেয়েদের বাংলা শেখাব কিনা, দলে দলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পাঠানো হবে কি না! আমরা আমাদের ভাষা নিয়ে কী করব, সেটা সাধারণ মানুষ হিসেবেও ভাবতে হবে, উদাসীন না থেকে। না হলে শুধু তকমা বা সম্মান দিয়ে কিছু হবে না।”

    প্রায় একই সুরে সরব হয়েছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে তিনি বলেন, ”এটা একটা আলঙ্কারিক সম্মান। এ সম্মানের যে খুব একটা তাৎপর্য আছে বলে মনে হয় না। বাংলা ভাষা ধ্রুপদী সম্মান অনেক আগে পেতেই পারত। এই ভাষার লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অন্যান্য বিদ্বজ্জন তো আছেনই। এই স্বীকৃতি অনেক দেরিতেই তাঁরা দিয়েছেন। এই স্বীকৃতিতে ভাষার কিছু আসে যাবে না। ভাষা তার নিজের পথেই চলবে। ভাষা বহমান জিনিস, পালটে যায়। মানুষের মুখে মুখে পালটে যাবে হয়ত। তবুও একটা সম্মান এসেছে এটা ভালো কথা।”

    অন্যদিকে বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি জানান, ”বাংলা ধ্রপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এটা গর্বের কথা। এই স্বীকৃতি অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল। এই দেরির কোনও টেকনিক্যাল দিক আছে বোধহয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়েছেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়রা সক্রিয় হয়েছেন। প্রমাণ সংগ্রহের ব্যাপারে তাঁরা যত্নশীল ছিলেন বলেই এই স্বীকৃতি এসেছে। পরম্পরা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ, উদ্দীপনা ভালোভাবে হবে বলে মনেহয়। আমাদের ভাষা যে সেদিনকার ভাষা নয়, এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।”

    • মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২৪ (৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

      ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেয়েও বাঙালির কাছে বাংলার সম্মান ফিরবে কি? প্রশ্ন সহজ, উত্তর কি জানা?
      https://www.anandabazar.com/lifestyle/the-recognition-of-classical-language-make-bengali-language-more-important-to-bengalis-dgtl/cid/1550755

      বাণিজ্যে যদি লক্ষ্মী বাস করেন, তা হলে ভাষায় নিশ্চয় সরস্বতীর বাস? অন্তত অঙ্ক তো তাই বলছে। আশ্বিনের শারদপ্রাতে বাংলা ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পাওয়ায় এমনই নানা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। সবচেয়ে বেশি যে ভাষায় কথা হয় গোটা পৃথিবীতে, সে তালিকায় বাংলার স্থান হল পঞ্চমে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলা বলতে পারে পঁচিশ কোটি মানুষ। সেই পঁচিশ কোটি মানুষই কি বাংলায় বলে এবং লেখে? যদি তা-ই হত, তা হলে কি আর বাংলা ভাষার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যেত? ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করানোর জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করতেন অভিভাবকেরা? কিংবা সরকারি স্কুলের বেঞ্চগুলি কি এত ফাঁকা ফাঁকা থাকত? বাংলা ভাষা জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও নানা প্রশ্ন উঠছে বাংলা ভাষাপ্রেমীদের মনে। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী তকমা পাওয়ার জন্য বহু লড়াই করতে হয়েছে। পেরোতে হয়েছে কিছু মানদণ্ড। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলার মর্যাদার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গৌরবের পরেও বিশেষ কোনও বদল আসবে কি? মাতৃভাষার চর্চা কি বাড়বে? অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী অবশ্য মনে করেন না এই স্বীকৃতি কোনও বড়সড় বদল আনবে। কারণ তিনি মনে করেন, ভাষার সঙ্গে আত্মীয়তা থাকা জরুরি। ঋত্বিক বলেন, ‘‘খুব সাংঘাতিক কোনও পরিবর্তন আসবে বলে আমার মনে হয় না। ভাষার এই স্বীকৃতি যদি সব বদলে দিত, তা হলে বাঙালির প্রাথমিক যে ভাষা চর্চা সেটা এতটা অস্তিত্বহীন হয়ে যেত না। বহু মানুষ জানেনই না যে আমাদের রাষ্ট্রভাষা শুধু হিন্দি নয়। নিজের সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসাটা ভিতর থেকে আসতে হয়। স্বীকৃতি দিয়ে ভাষার প্রতি আবেগ বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’’

      বহুজাতিক সংস্থা হোক কিংবা কর্পোরেট জগৎ— ইংরেজি ভাষা ছাড়া অচল এই স্তরগুলি। কাগজেকলমে হোক কিংবা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগে— ইংরেজি ভাষা অন্যতম মাধ্যম। এমনকি পেশাগত প্রয়োজনে সারা বছরই ইংরেজিতেই প্রেসক্রিপশন লিখতে হয় চিকিৎসকদের। এই স্বীকৃতির পর বাংলা প্রেসক্রিপশন লেখা কি শুরু করবেন তাঁরা? চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামী বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে আছে যেখানে ইংরেজি ভাষার উপর ভরসা করতে হয়। তা না হলে কাজ এগোনো যায় না। ওষুধের নাম বাংলায় লিখতে পারব না। তার মানেই বাংলা ভাষার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে নেব, সেটাও নয়। মাতৃভাষা আমাদের মননে রয়েছে, জীবনে রয়েছে। এই স্বীকৃতি তখনই কার্যকর হবে, যখন দেখব বাংলা ভাষা সর্বত্র গুরুত্ব পেয়েছে। পেশার তাগিদে যদি ইংরেজি কিংবা হিন্দির কাছে আশ্রয় নিতেও হয়, বাংলা ভাষা যেন জীবন থেকে হারিয়ে না যায়। ইংরেজিতে লেখা বলে আইনের অর্থ অনেকেই বুঝতে পারেন না। ইংরেজির পাশাপাশি সব কিছু বাংলাতেও যেন তর্জমা হয়ে থাকে। এটুকু চাই।’’

      বাংলা নিয়ে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবা যে একটা বড় ঝুঁকির বিষয়, বাংলা সাহিত্যের অনেক ছাত্রছাত্রী এ ব্যাপারে সহমত হবেন। অন্য কোনও বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ হয়নি তাই বাংলা নিয়ে পড়ছেন, বাংলা সাহিত্যের পড়ুয়াদের জীবনে এক বার হলেও এটা শুনতে হয়। সেটাই বলছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনী রাজর্ষি ধাড়া। তিনি বলেন, ‘‘আর কোথাও ঠাঁই না পেয়ে বাংলা পড়তে এসেছি, এটা তো শুনতে হয়েছে। তেমনই এই আকালে কেন বাংলা নিয়ে পড়তে এলাম, তেমন কথাও আমাদের শিক্ষকদের থেকে শুনেছি। আমার মনে হয় বাংলার চর্চা যদি থেমে যায়, তা হলে কোনও স্বীকৃতি কিচ্ছু পরিবর্তন আনতে পারবে না। বাংলার সঙ্গে পালি, প্রাকৃতও ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ভাষাগুলির তো বিশেষ কোনও চর্চা নেই। স্বীকৃতি পাওয়ার পর কি হঠাৎ সকলে পালি ভাষায় কথা বলতে শুরু করবে? তা তো নয়। বাংলার ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।’’

      গত দু’দশকে বাংলা ভাষা যে ভাবে গত দু’দশকে মুখ থুবড়ে পড়েছে, সেখান থেকে ভাষাটিকে তুলে আনতে হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্কুলগুলিতেও বাংলা ভাষার চর্চা আরও বেশি করে জরুরি। বহু দিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা চলছে। জাতীয় স্তরে বাংলা ভাষার এই স্বীকৃতিতে খানিকটা হলেও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটবে? অভিনেত্রী ইশা সাহা বলেন, ‘‘সন্তান বাংলা লিখতে পারে না। ইংরেজিতে গড়গড়িয়ে কথা বললেও বাংলা বলতে হোঁচট খায়, আর সেটা নিয়ে বাবা-মায়েরা গর্ব করেন। এই স্বীকৃতিতে সত্যিই সেই গর্ব খর্ব হবে কি না, আমার সংশয় আছে। গাড়ি করে যাওয়ার সময় কোনও রেডিয়ো চ্যানেলে আমি বাংলা গান শুনতে পাই না। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের ভাষাকে এত অবহেলা করি, তা হলে কোনও কিছুতেই কোনও সমাধান হবে না। এই স্বীকৃতি শোপিস করে তুলে রাখা ছাড়া গতি নেই।’’

      বাংলা ভাষার এই ‘প্রাপ্তি’তে যারপরনাই খুশি বরাহনগর মোহন গার্লস হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা গোধূলি মুখোপাধ্যায়। মেয়েকে বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়িয়েছেন। সেই মেয়ে এখন এক বহুজাতিক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। ইংরেজিতেই সব কাজকর্ম সারতে হয়। বাংলায় পড়াশোনায় করেও বড় চাকরি পেতে অসুবিধা হয়নি। তা হলে এখনকার অভিভাবকদের বাংলা মাধ্যম স্কুলে সন্তানকে পড়াতে এত ভীতি কেন? তিনি বলেন, ‘‘আমি সত্যিই জানি না অভিভাবকেরা কী ভাবেন। বাংলা পড়ে যে কিছু হবে না, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। তবে বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হওয়ার পর সেই ভাবনা সরে যাবে কি না, আমি জানি না। কিন্তু বাংলা যে পেশাগত ক্ষেত্রে কোনও বাধা হতে পারে না, এটুকু আমি নিশ্চিত।’’

      আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পরেও বাঙালির কাছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব বাড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় খেলা করছে নানা জনের মনে। পাশাপাশি, এটাও ভাবনা যে বাংলা ভাষার সঙ্গে একটা প্রজন্মের যে প্রেমহীন সম্পর্ক, এই তকমা কি সত্যিই পারবে সেই দূরত্ব মুছে দিতে? আসলে বাংলা ভাষার সঙ্গে বাঙালির যে নাড়ির টান, তা বিস্মৃত হলে সংস্কৃতিও ধীরে ধীরে মুছে যাবে। বাঙালির ভাষা-মানচিত্রে যেন বাংলার স্থান সবচেয়ে উপরে থাকে, এটাই চাওয়া সকলের।

  4. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২৪ (৫:৪০ পূর্বাহ্ণ)

    প্রাচীন বাঙালির সূত্র খুঁজেই ধ্রুপদী স্বীকৃতি এল বাংলার
    https://www.anandabazar.com/west-bengal/how-bengali-language-got-its-classical-language-tag/cid/1550903

    চার খণ্ড, ২২০০ পৃষ্ঠা। বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা আখ্যা দিয়ে তৈরি দাবিপত্রটি কৃশ নয়। ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বেশির ভাগ ভাষার দাবিপত্রের থেকেই তা কলেবরে বৃহৎ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রসগোল্লার মতো বাংলা ভাষা নিয়েও বঙ্গ-ওড়িশা দ্বৈরথ সৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল, যা এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের গবেষকেরা।

    প্রসঙ্গত, বছর দশেক আগেই ১১৯ পাতার দাবিপত্র পেশ করে ওড়িয়া ভাষা যে স্বীকৃতি পায়, তাতে চর্যাগীতিকেও ‘ওড়িয়া’ বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট মহল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আবিষ্কার করা প্রাচীন গ্রন্থের নামও পাল্টে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিতর্কে না-ঢুকে বাংলা ভাষার দাবি মেলে ধরা গবেষকেরা বাংলা ভাষার প্রাচীনত্ব নিয়ে অনুসন্ধানের গভীরেই ডুব দিয়েছেন।

    রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের অধীনে ‘ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চ’ (আইএলএসআর) -এর তৈরি দাবিপত্রটি জানুয়ারিতে তৈরি হয়। রাজ্য সরকারের তরফে তা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সাহিত্য অকাদেমির কাছে পেশ করা হয়েছিল। নিয়ম মেনে রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আর্জি এবং কেন্দ্রের মন্ত্রিসভার সায়, এই ভাবেই স্বীকৃতি আসে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

    আইএলএসআর-এর স্কুল অব লিঙ্গুয়িস্টিক স্টাডিজ়-এর অধ্যাপক অমিতাভ দাসের নেতৃত্বে ভাষাতত্ত্ববিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ মিলে পাঁচ সদস্যের দল দাবিপত্রটি তৈরি করেছে। অমিতাভের কথায়, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দারুণ উৎসাহে কাজ করি। পাঁচ বছরের কাজ দু’বছরে সারা হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম প্রমাণ খোঁজা ছাড়াও, বাঙালিকে পেলেই বাংলারও খোঁজ মিলবে ভেবেই এগিয়েছি।”

    ধ্রুপদী ভাষার মাপকাঠি হিসেবে কোনও ভাষার দেড় থেকে দু’হাজার বছরের পুরনো প্রত্নপুরাণকেই ধরা হয়। বাংলার ক্ষেত্রে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মহাস্থানগড়ের (এখন বাংলাদেশের বগুড়া) শিলালিপি মিলেছে। তাতে ব্রাহ্মী লিপিতে সংবঙ্গীয় (সম্যক রূপে বঙ্গীয়) শব্দটি তাৎপর্যবাহী বলে ধরছেন গবেষকেরা। ঐতরেয় ব্রাহ্মণ গ্রন্থেও বঙ্গদেশীয়দের প্রসঙ্গ। আবার অশোকের আমলে গিরনার শিলালিপিতে ‘দ্বাদশ’ শব্দটির বানান হিসাবে ব্রাহ্মী লিপিতে বাংলা উচ্চারণ রীতি মেনে চলা হচ্ছে বলেও গবেষকদের দাবি। অষ্টম শতকে প্রকাশিত সংস্কৃত-চিনা অভিধানটির সূত্রও দাবিপত্রটিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলা হয়েছে। লি য়েনের সংকলিত অভিধানটি ১৯২৯ সালে ফরাসিতে প্রকাশ করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী। তাতেও ৫০টির বেশি বাংলা শব্দ রয়েছে। অমিতাভ বলেন, “সংস্কৃত-চিনা অভিধানে বেশ কয়েকটি শব্দকে বাংলা বলে দাবি করা মানে, বাংলার প্রভাব বিশ্বের নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে আইস, বইস, মাংস, মোটা, ভতর (ভাতার) শব্দগুলি রয়েছে।”
    Advertisement

    বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন, বাংলা ভাষা চর্চায় উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে উঠবে, অন্তত দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘চেয়ার প্রফেসরের’ বেশ কিছু পদ তৈরি হবে। তবে এই সাফল্য কার কৃতিত্বে, তা নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মেচেদায় শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কৃতিত্ব নস্যাৎ করেন। অন্য দিকে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক আগ্রহে এবং উপদেশে উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন আইএলএসআর গবেষণাপত্র প্রস্তুত করে কেন্দ্রের কাছে জমা দেয়। ব্রাত্য মুখ্যমন্ত্রীকে বাঙালি জাতির হয়ে কৃতজ্ঞতা জানান।

  5. মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২৪ (৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

    Chaos in Bangladesh Opens Door to Islamist Extremists
    https://www.bloomberg.com/news/features/2024-09-27/bangladesh-s-political-turmoil-opens-space-for-islamic-extremism?srnd=undefined

    Militants are gaining strength after a tumultuous change in government, creating security concerns across Asia.

    Soon after student protesters dramatically took down Bangladesh’s government last month, a group of boys broke into the home of Tureen Afroz, the former chief prosecutor of a tribunal for war crimes committed during the nation’s independence movement in the early 1970s.

  6. মাসুদ করিম - ৮ অক্টোবর ২০২৪ (৬:১৮ অপরাহ্ণ)

    Iran 1953: MI6 plots with Islamists to overthrow democracy
    https://www.declassifieduk.org/iran-1953-mi6-plots-with-islamists-to-overthrow-democracy/

    Declassified British files highlight a little known aspect of the joint MI6/CIA coup against Iran’s democratically elected government in August 1953 – UK covert action in support of leading radical Shia Islamists, the predecessors of Ayatollah Khomeini.

    Declassified British files highlight a little known aspect of the joint MI6/CIA coup against Iran’s democratically elected government in August 1953 – UK covert action in support of leading radical Shia Islamists, the predecessors of Ayatollah Khomeini.

    Thanking Kashani

    After Mossadeq’s overthrow, the British received a report from the new Iraqi ambassador in Tehran, telling how the Shah and Zahedi had together visited Kashani, “kissed his hands, and thanked him for his help in restoring the monarchy”.

    The Shah soon assumed all powers and became the “dictator” preferred by the British ambassador. The following year a new consortium was established, controlling the production and export of Iranian oil, in which the US and Britain each secured a 40 per cent interest – a sign of the new order, the US having muscled in on a formerly British preserve.

    Kashani, meanwhile, faded from political view after 1953, but he acted as Khomeini’s mentor and the latter was a frequent visitor to Kashani’s home. Kashani’s death in 1961 would mark the start of Khomeini’s long rise to power.

    Despite eventual US management of the coup, the British had been the prime movers, and their motives were evident.

    As a former Iranian ambassador to the UN until the 1979 Islamic revolution, Fereydoun Hoveyda, claimed years later: “The British wanted to keep up their empire and the best way to do that was to divide and rule.”

    He added: “The British were playing all sides. They were dealing with the Muslim Brotherhood in Egypt and the mullahs in Iran, but at the same time they were dealing with the army and the royal families.”

    Hoveyda continued: “They had financial deals with the mullahs. They would find the most important ones and would help them…The British would bring suitcases of cash and give it to these people. For example, people in the bazaar, the wealthy merchants, would each have their own ayatollah that they would finance. And that’s what the British were doing”.
    ‘Made in Britain’

    In her memoirs, written in exile in 1980, the Shah’s twin sister, Ashraf Pahlavi, who pressed her brother to assume power in 1953, observed that “many influential clergymen formed alliances with representatives of foreign powers, most often the British, and there was in fact a standing joke in Persia that if you picked up a clergyman’s beard, you would see the words ‘Made in England’ stamped on the other side.”

    Although exaggerating with her ‘Made in England’ claim, Ashraf neatly summed up the British view of the Islamists – that they could be used to counter threats to UK interests.

    During the 1951–3 coup planning period, Kashani was seen by the British as too much of an anti-Western liability to be a strategic ally. But his forces could be used to prepare the way for the installation of pro-Western figures, and be dropped as soon as their tasks for the imperial powers had been performed.

    Kashani’s successor, Ayatollah Khomeini, took over the country following the 1979 revolution, presiding over an Islamic theocracy until his death a decade later.

    This is an edited extract from Mark Curtis’ book, Secret Affairs: Britain’s Collusion with Radical Islam.

  7. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০২৪ (২:৪৫ অপরাহ্ণ)

    ৭২ এর সংবিধানের ‘জন্মভূমি’ ভারত : জামায়াত আমির শফিকুর
    https://bangla.bdnews24.com/politics/afed439dcdb9

    বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য সংবিধান সংস্কারের আলোচনার মধ্যে ১৯৭২ সালে রচিত বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের ‘জন্ম’ ভারতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান।

    রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার জামায়াতে ইসলামীর তরফে ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ তুলে ধরার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানটি ‘জন্মভূমি হিসেবে বাংলাদেশকে পায়নি’।

    সংবিধান সংস্কার হবে, না পুনর্লিখন– এমন প্রশ্নের উত্তরে জামায়াতের আমীর বলেন, “আপনি ৭২ এর সংবিধান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, যে সংবিধানটি রচিত হয়েছিল, সেটা ভারতে বসেই হয়েছিল। এবং ভারত যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল রেখেছে। সংবিধানটা বাংলাদেশে বসে রচিত করা যেত।

    “শুধু ভারত নয়, দুনিয়ার এক্সপার্টদের আমরা ইনভাইট করে আনতে পারতাম। তাহলে আমাদের সংবিধানের জন্মভূমি হত বাংলাদেশ।”

    ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভারতে বসে রচিত’ বাহাত্তরের সংবিধান পার্লামেন্টে এনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল; তার ভাষায় ওই সংবিধান ছিল ‘ফরমায়েশি’।

    “এটায় অনেক পক্ষ, অনেক কনসার্ন এক্সপ্রেস করেছে। পরবর্তীতে এসে আবার অনেক সংশোধনী এসেছে। এবং এই সংশোধনীগুলো তারা যেটা প্রথম সংবিধান করেছিল, ওই জায়গায়ও থাকেনি।”

    জামায়াতের আমির বলেন, “আমরা লক্ষ্য করলাম মুজিব সাহেব থাকা অবস্থায় পার্লামেন্টে ৭ মিনিটের বক্তব্যের পর বাকশাল কায়েম হল। আমাদের সংবিধান যেন মতলবি সংবিধান না হয়। শুধু নির্বাচন নয়, সমগ্রিক সমাজ কাঠামো ধরে সংবিধান হতে হবে।”

    আগে নির্বাচন, না আগে সংস্কার– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দুটি রোডম্যাপ হবে। একটা সংস্কারের, আর একটা নির্বাচনের। তবে সময় যেন অতি দীর্ঘ না হয়, আবার অতি সংক্ষিপ্ত না হয়। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। একটি বর্ণাঢ্য সংসদের জন্য জনগণের কোনো ব্যাক্তিকে না, ভোট দিতে হবে দলকে।”

    গত সরকারের শেষ দিনে আন্দোলন দমন করতে গিয়ে ‘গণহত্যায় জড়িত’ যারা সরকার পতনের পর পালিয়ে গেছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
    আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে বাধ্য করা ‘জুলুম হবে’

    ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।

    নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রক্ষমতা নেওয়ার পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও নির্বাচনের কোনো সময়সূচি এখনও দেয়নি।

    আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের তিনটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই নির্বাচন চান না, আমরা তাদের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দিলে জুলুম হবে।”

    ‘জোর’ করে আওয়ামী লীগের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দিলে তাদের ওপর ‘বৈষম্য’ হয় কিনা, সেটাও ভাবার কথা বলেন আমীরে জামায়াত।

    অতীতের মত কোনো দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হবে, নাকি সব দল নিয়ে নির্বাচনের পক্ষে– সেই প্রশ্নে জামায়াতের আমির বলেন, “তারা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় এসেছেন, ওটা যেভাবেই আসুক, তারা এসেছেন। এরপর ‘১৪, ’১৮, ’২৪ তিনটা নির্বাচন হয়েছে, আদৌ কি এটা নির্বাচন হয়েছে?”

    শফিকুর রহমান বলেন, “তারা নির্বাচন চাননি, তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছেন। এই ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু করা দরকার, তারা সেটাই করেছেন। তারা নিজেরাই যদি নির্বাচন চেয়ে না থাকেন, তো আওয়ামী লীগের ওপর আমরা নির্বাচন চাপায়ে দিলে এটা তাদের ওপর জুলুম হবে কিন্তু।”

    আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা বা না আসার ‘হিসেবের ভার বাংলাদেশের জনগণের ওপর’ দেওয়ার কথা বলেন জামায়াত নেতা।

    তিনি বলেন, “আমরা কোনো মত দিতে চাই না। এটাও একটা বৈষম্য হয় কিনা চিন্তা করেন, তারা চাচ্ছে না, আমরা জোর করে বললাম এটা দিতেই হবে।”

    অনুষ্ঠানে জামায়াতের তরফে ৪১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে সংক্ষেপে ১০টি তুলে ধরা হয়। জামায়াত আমীরের পক্ষে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।

    অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, আ না ম শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাইফুল আলম খান মিলন, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও মোবারক হোসাইন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  8. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০২৪ (৩:০৩ অপরাহ্ণ)

    Over 370 million girls and women globally subjected to rape or sexual assault as children – UNICEF
    https://www.unicef.org/press-releases/over-370-million-girls-and-women-globally-subjected-rape-or-sexual-assault-children
    First-ever estimates on sexual violence in childhood reveal alarming prevalence, with devastating impact on children

    More than 370 million girls and women alive today – or 1 in 8 – experienced rape or sexual assault before the age of 18, according to new UNICEF estimates released today.

    The first-ever global and regional estimates on sexual violence against children – published ahead of the International Day of the Girl – reveal the scale of the violation worldwide, especially for adolescent girls, often with lifelong implications.

    When ‘non-contact’ forms of sexual violence, such as online or verbal abuse are included, the number of girls and women affected rises to 650 million globally – or 1 in 5, underscoring the urgent need for comprehensive prevention and support strategies to effectively address all forms of violence and abuse.

    “Sexual violence against children is a stain on our moral conscience,” said UNICEF Executive Director Catherine Russell. “It inflicts deep and lasting trauma, often by someone the child knows and trusts, in places where they should feel safe.”

    Sexual violence against children is pervasive, cutting across geographical, cultural, and economic boundaries, the data show. Sub-Saharan Africa has the highest number of victims, with 79 million girls and women affected (22 per cent), followed by 75 million in Eastern and South-Eastern Asia (8 per cent), 73 million in Central and Southern Asia (9 per cent), 68 million in Europe and Northern America (14 per cent), 45 million in Latin America and the Caribbean (18 per cent), 29 million in Northern Africa and Western Asia (15 per cent), and 6 million in Oceania (34 per cent).

    In fragile settings such as those with weak institutions, UN peacekeeping forces, or large numbers of refugees fleeing due to political or security crises, girls face an even greater risk, with the prevalence of rape and sexual assault in childhood slightly more than 1 in 4.

    “Children in fragile settings are especially vulnerable to sexual violence,” said Russell. “We are witnessing horrific sexual violence in conflict zones, where rape and gender-based violence are often used as weapons of war.”

    According to the data, most childhood sexual violence occurs during adolescence, with a significant spike between ages 14 and 17. Studies show that children who experience sexual violence are more likely to suffer repeated abuse. Implementing targeted interventions during adolescence is crucial to breaking this cycle and mitigating the long-term impacts of such trauma.

    Survivors often carry the trauma of sexual violence into adulthood, facing higher risks of sexually transmitted diseases, substance abuse, social isolation, and mental health issues like anxiety and depression, as well as challenges in forming healthy relationships. Evidence shows that the impact is further compounded when children delay disclosing their experiences, sometimes for long periods, or keep the abuse secret altogether.

    Although more girls and women are affected, and their experiences are better documented, boys and men are also impacted, the data show. An estimated 240 to 310 million boys and men – or around 1 in 11 – have experienced rape or sexual assault during childhood. This estimate rises to between 410 and 530 million when non-contact forms are included.

    Persistent data gaps, particularly on boys’ experiences and non-contact forms of sexual violence, highlight the need for increased investment in data collection to capture the full scale of sexual violence against children.

    As government leaders and civil society, including activists, survivors, and young people, prepare to meet at the inaugural Global Ministerial Conference on Violence Against Children in Colombia next month, the data highlight the urgent need for intensified global action to combat childhood sexual violence and build a safer future for children worldwide by:

    Challenging and changing social and cultural norms that allow sexual violence to occur and discourage children from seeking help.
    Equipping every child with accurate, accessible, and age-appropriate information that empowers them to recognize and report sexual violence.
    Ensuring that every child victim and survivor has access to services that support justice and healing and reduce the risk of further harm.
    Strengthening laws and regulations to protect children from all forms of sexual violence, including in organizations that work with children, and investing in the people, resources, and systems needed to implement them.
    Building better national data systems to monitor progress and ensure accountability by implementing international standards like the International Classification of Violence against Children.

    #####

    Notes for editors:

    Estimates are based on data from a subset of countries, varying by indicator. The most comprehensive data coverage is on girls’ and women’s experiences of contact sexual violence from nationally representative surveys conducted between 2010 and 2022 in 120 countries and areas. As a result of existing data gaps, limited coverage, and the varying scope and quality of the available information, global estimates on non-contact sexual violence and sexual violence against boys and men were informed by a broader range of data sources and applied some indirect methods.

    The list of fragile and conflict-affected situations is released annually by the World Bank Group. See the classification and country list here.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.