সুপারিশকৃত লিন্ক : আগস্ট ২০২৪

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৩২ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০২৪ (৭:১৪ পূর্বাহ্ণ)

    Bay waves uprooting jhau trees on Cox’s Bazar shore
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/country/bay-waves-uprooting-jhau-trees-on-coxs-bazar-shore-1722451909

    The ruin is wrought by coastal erosion under the influence of heavy rainfall and persistent full-moon tides

    A few thousand jhau (tamarisk- scientific name Casuarina equisetifolia) trees along the Cox’s Bazar sea coastline are disappearing into the Bay water getting splashed by strong tidal waves.

    The destruction is prominently wrought by coastal erosion under the influence of heavy rainfall, low pressure and persistent full-moon tides.

    During a visit on Wednesday (July 31) morning, from Labani beach point to Nazirartek, it was seen that rough sea waves were displacing the geo-textile bags and directly hitting the seashore scrub endangering existence of the jhau trees along with many public and private-owned structures.

    Locals said that due to continuous rainfall, full-moon tides and low pressure, the height of the sea waves has increased, which are crashing on the shore and hitting the geo- textile bags loosening the jhau trees under soil.

    Under this impact of soil softening, Sheikh Kamal International Cricket Stadium and many other small and big structures in Baliadi area are facing existence threat.

    Locals think that if a durable embankment is not built at this site very soon, much more damage is likely to happen.

    Poet Niloy Rafiq said, “The continuous rainfall for a few days is a warning signal in the sea; so the height of the tidal waves has increased, due to which the sea shore is breaking and the trees are falling into the coastal water. Walking along beside the boundary wall of the Tourist Police, I saw numerous jhau trees lying down.”

    He added, “Every year such a situation occurs during the monsoon. However, such a large volume of damage has not been seen before. The Water Development Board is unable to protect the jhau trees even with the geo-textile bags dumped in the sea to prevent coastal erosion.”

    It is learnt, on instruction of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, in 1972-73, more than 1.4 million jhau trees were planted on 585 hectares of land in the sand dunes of the beach. Many of the trees have already been destroyed by sea waves.

    Divisional Forest Officer of Cox’s Bazar South Forest Division Md Sarwar Alam said, “The sea is highly rough due to the impacts of climate change. As a result, pressure of tidal waves has caused collapse of trees in several places including Nazirartek, Diabetic Point, Kavita Chatwar, Shaibal Point and Laboni Point.”

    He said that about 200 big and 1,400 small jhau trees were uprooted by the Bayside soil erosion recently. Erecting retention walls and sustainable renovation work can prevent erosion further, he suggested.

    Sub-divisional Engineer of Cox’s Bazar Water Development Board Mithun Waddadar said, “We visited the spot and noticed 600 metres of soil erosion on the beach. Modern flood walls and blocks will soon be constructed in an area of 6km from Nazirertek to Laboni Point to prevent seashore erosion. Once the work is completed, the jhau groves will remain protected.”

  2. মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০২৪ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)

    PM Hasina orders judicial probe into violence, killings during job quota protests by students
    https://thefinancialexpress.com.bd/national/pm-hasina-orders-judicial-probe-into-violence-killings-during-job-quota-protests-by-students

    Prime Minister Sheikh Hasina on Wednesday announced a judicial enquiry to ensure fair and just trial in the recent unwanted incidents including killings.

    She also unequivocally announced that steps will be taken to ensure that those who committed the murders, looting and terrorist activities, whoever they are, will get the appropriate punishment.

    “On whose instigation the conflict started, who for what purpose pushed the country to an anarchic situation, will be investigated and found out,” she said.

    The prime minister said this in a televised address to the nation at 7:30pm.

    The speech was aired by Bangladesh Television, Bangladesh Betar, private TV channels and radio stations simultaneously.

    Hasina in her 8 minute speech expressed her grave concern regarding the safety of the protesting students.

    “These terrorists can create an environment of conflict at any time and harm them,” she said.

    She appealed to the parents, guardians and teachers of the students to be vigilant about the safety of their children.

    “At the same time, the safety of students of all educational institutions has to be specially monitored,” she said.

    The prime minister said that the government appealed to the Supreme Court against the High Court verdict to reinstate the quota system.

    She mentioned that a date of hearing has been fixed in the Appellate Division.

    She said that the court has created an opportunity to hear the students if they have any statement.

    “There is an opportunity to resolve the issue through this legal process, Despite the opportunity to resolve this legal process, don’t allow the criminals to protest on the streets,” she said.

    She specially requested everyone to wait patiently till the Supreme Court verdict.

    “I believe our student society will get justice from the high court, they will not be disappointed,” she hoped.

    “InshAllah, in the spirit of the Liberation War, we will make our beloved motherland a smart Bangladesh with the cooperation of all,” she declared.

  3. মাসুদ করিম - ১ আগস্ট ২০২৪ (৬:০৪ অপরাহ্ণ)

    জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ ঘোষণা
    https://bangla.bdnews24.com/politics/e79974267e86

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।

    একাত্তরে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত’ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

    ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াতকে ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তারা রাজনীতি করার অধিকার ফিরে পায়।

    দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল তখন থেকেই। চার দশক পর সেই দাবি পূরণ হল, যদিও যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতের বিচারের দাবি এখনও অপূ্র্ণ রয়ে গেছে।

    সরকারের নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং এর অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।

    পাশাপাশি হাই কোর্ট এক রিট মামলার রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও তা বহাল রেখেছে।

    “যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল;

    “এবং যেহেতু, সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে;

    “সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসাবে তালিকাভুক্ত করিল।”

    সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

    যেভাবে এল নিষেধাজ্ঞা

    জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আলোচনায় থাকলেও বিষয়টি গতি পায় সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার পর।

    ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জুনের শেষে হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের মাঠে নামে। জুলাইয়ে তা সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে একপর্যায়ে তা সহিংসতায় গড়ায়।

    এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা শুরু হয়। রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাংচুর করে আগুন দেওয়া হয় এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালীর টোল প্লাজা এবং মেট্রোরেলের দুইটি স্টেশনে।

    এই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের মধ্যে এক সপ্তাহে ১৫০ মানুষের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করেছে সরকার, যদিও সংবাদমাধ্যমের খবরে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর এসেছে।

    সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে নাশকতা করেছে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী, আর তাতে মদদ দিয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপি।

    এই প্রেক্ষাপটে গত সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এরপর মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হবে এবং কোন আইনি প্রক্রিয়ায় তা করা হবে, তা চূড়ান্ত করা হবে বুধবারের মধ্যে।

    বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত- শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।

    তিনি বলেন, “এই সবকিছু (আন্দোলনে সহিংসতা) তো ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছনে রেখে পেছন থেকে যারা করেছে সেগুলো জামায়াত-শিবির-বিএনপি। অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলো এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল। এটাই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেজন্য অনেক দিনের যে চাহিদা ছিল যে, জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার, আজকে সেই প্রক্রিয়াটি চলছে।”

    জামায়াত নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বুধবারই জারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া সারতে একদিন সময় লেগে যায়।

    আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে নথি পাঠিয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। ‘কিছুক্ষণের মধ্যে’ প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

    এরপর বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরপাত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

    যে আইনে নিষিদ্ধ

    জামায়াত এবং এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারার ক্ষমতাবলে।

    সেখানে বলা হয়েছে, “এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে।”

    আইনে সন্ত্রাসী কাজের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণ বা জনসাধারণের কোনো অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার বা কোন সত্তা বা কোনো ব্যক্তিকে কোনো কাজ করতে বা করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা, গুরুতর আঘাত, আটক বা অপহরণ করে বা করার চেষ্টা করে, এ ধরনের কাজের জন্য অন্য কারো সঙ্গে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, সত্তা বা প্রজাতন্ত্রের কোনো সম্পত্তির ক্ষতি করে বা করার চেষ্টা করে; অথবা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করে; অথবা এ ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য, দাহ্য পদার্থ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বা নিজ দখলে রাখে, কোনো সশস্ত্র সংঘাতময় দ্বন্দ্বের বৈরি পরিস্থিতিতে অংশ নেয়, তাহলে তা ‘সন্ত্রাসী কাজ’ বলে গণ্য হবে।

    এ আইনে কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

  4. মাসুদ করিম - ২ আগস্ট ২০২৪ (৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

    July remittance reaches $1.91b, misses mark
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/july-remittance-reaches-191b-misses-mark-1722533846

    Inward remittance navigates rough weathers to reach a receipt of US$1.909 billion in July as rate hikes pay off, yet misses the expected mark for the month.

    Latest Bangladesh Bank statics on the foreign exchange sent home by wage earners last month marked a year-on-year fall of $64 million.

    The expatriates living in different parts of the world sent a higher amount of their hard-earned income worth $2.541 billion in the previous month of June.

    This monthly receipt happens to be the lowest in last 10 months since September 2023 when the remittance was recorded at $1.334 billion and the country’s foreign-exchange reserves had gone on a slide.

    The inflows in June 2024, however, were the highest for a single month in the last three years thanks to some perks put in the process of reserves boosting.

    Many believe this downturn in remittance inflows was mainly due to countrywide internet blackout over the massive quota-reform movement by students and social- media campaigns by a section of Bangladeshi expatriates against government action against the protesters.

    Bangladesh Bank spokesperson and executive director Md Mezbaul Haque shared the remittance information with journalists through WhatsApp. This used to be posted on the central bank’s official website at month-end.

    The spokesperson said, “In July, some $1.909 billion came in the country. In July in 2023, the amount was $1.973 billion.”

    After the introduction of crawling-peg system early May to stabilize the foreign- exchange market, the dollar rate increased by Tk 7 to Tk 117. As a result, the dollar rate remained stable at Tk 117 to Tk 118 for more than two months. Now the exchange rate starts growing, hitting reportedly Tk 125 a dollar on the kerb market.

    Many expatriates are campaigning for not sending remittances through banking channels in protest over the casualties in violence amid the student movement at home.

    Under such circumstances, the central bank has given verbal instructions to banks for luring in remittances with higher dollar prices to reduce the pressure on reserves.

    An influential deputy governor of the regulator recently directed the managing directors and CEOs of as many as 12 commercial banks to generate more remittances.

    According to Bangladesh Bank, in the fiscal year 2023-24, remittance inflow was $23.915 billion. It was $21.610 billion in 2022-23.

  5. মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০২৪ (৪:৪০ পূর্বাহ্ণ)

    Two including cop killed, several hundred injured in fresh flare-ups
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/two-including-cop-killed-several-hundred-injured-in-fresh-flare-ups-1722619965

    At least two people were killed and several hundred injured during clashes across the country in a fresh flare-up Friday and the student protesters escalated their movement with a noncooperation call.

    One of the two victims is a passer-by killed in Habiganj while a policeman was killed in Khulna clashes, according to online news portals and TV news

    People from different strata of society, including professionals, academics, cultural activists and politicos, joined demonstrations in solidarity with the students’ ‘movement against discrimination’ in different parts of the country and the capital, Dhaka.

    In Dhaka, witnesses said, thousands joined a student-mass march banner-headed ‘Droho Jatra’, a latest one of everyday innovative coinages by student-juvenile coordinators of the ongoing movement deepened with political overtones in an escalation from job-quota protests.

    Coordinators of the movement announced fresh programme of holding protest rallies today (Saturday) and ‘noncooperation movement’ from tomorrow (Sunday) to press home their ramped-up nine-point demand.

    As per announcement made earlier to hold mass procession and offer salvation prayer for the deceased on Friday, agitating students and youths started gathering at different points in the city, including Science Lab, National Shahid Minar, and Shahbag since morning.

    Civil society led ‘Droho Jatara’ (Hatred Journey)-a march meant to show an extreme dislike towards the government and seek justice for what they termed mass killing.

    Former professor of Jahangirnagar University Dr Anu Muhammad presided over the rally, while Dhaka University teachers Asif Nazrul and CR Abrar, among others, public-health specialist Mushtuq Husain, development-economics researcher Maha Mirza and others joined the march.

    Students, guardians, teachers, professionals, cultural activists, rights-body individuals, and people from various strata of life gathered at the National Shaheed Minar on Friday afternoon to protest the killing of several hundred innocent people during the quota-reform movement.

    Addressing the crowd Prof, Anu Muhammad said the protesters have got “only one demand–resignation of the government”.

    The march, which started around 3:30 pm, reached the central Shaheed Minar around 4:30 PM crossing different roads.

    A group of youths took position at Science Lab intersection after Jumaa prayers chanting slogans in demand for justice for the “mass killing”. They marched towards Shahbagh after 4 pm to join other students who staged demo at the Shahbag crossroads.

    Several hundred students also showed up there at the ECB Chattar in Dhaka.

    Despite daylong rain, hundreds of artistes and common people gathered in front of the Abahani Ground in Dhanmondi to protest the killing of students and civilians.

    They demanded disclosure of the exact number of casualties, an investigation into the killings under the supervision of the United Nations, justice, and resignation of the government on allegation of its responsibility for the killings.

    Under the banner of ‘Artists Against Genocide and Oppression’, a protest gathering of artistes was staged at 11:00am on Sat Masjid Road in front of Abahani Ground in Dhanmondi.

    Visual artists, photographers, performance artistes, musicians, poets, writers, researchers, architects, and many ordinary citizens participated in the solidarity cultural showdown.

    The event began with a protest art session. Over the microphone, the demands and movements of the students regarding quota reform were described. The artists created an atmosphere resembling a march on the road. Then, the issue of shootings was portrayed. The artists’ bodies became drenched in red, giving the impression that blood was pouring from them in the rain.

    In the city’s Uttara area, clashes took place between agitating students and both police and Awami League leaders and activists. “At one stage, police used sound grenades and teargas shells to disperse the protesters,” says a firsthand account of the incident.

    Anticipating this, police and Awami League supporters took positions in front of the Zamzam Tower in Sector 11, while the students gathered in front of Milestone College.

    After 4:15 PM, Awami League supporters began chasing the students near Milestone College. The students retaliated by chasing back. During this time, the police also chased the students and used sound grenades and teargas shells. The students then dispersed.

    Mass procession took place in different districts also, including Sylhet, Chattogram, Laxmipur, Habiganj, Narsigndi, Bhola, Khulna and Lalmonirhat.

    The FE correspondent from Chattogram reports that students from the Anti-discrimination Student Movement observed a protest programme, which included a procession and prayer at mosques at Anderkillah point in Chattogram on Friday, braving heavy rain in the port city.

    Our Sylhet correspondent adds that police arrested 8 individuals after a clash with agitating students in Sylhet city’s Akhalia area on the Sylhet-Sunamganj highway in the afternoon, related to the day’s programme of prayer and mass procession by the students and people.

    Approximately 20 individuals, including pedestrians, students and police, sustained injuries in the incident.

    A UNB report from Habiganj adds: A 28-year-old man was killed amid clashes between students and police during a rally organised by the Anti-Discrimination Student Movement in Habiganj on Friday afternoon.

    The victim was identified as Mostak Mia, 28, a resident of Tuk Bazar area in Sylhet district. He worked as a laborer under PDB contractor in Habiganj.

    Besides, at least 50 people including policemen were injured during the clash between police and anti-discrimination student movement protesters.

    In Khulna, clashes broke out between students and police during a rally organised by the students in Khulna on Friday afternoon.

    The incident began at approximately 3:15 PM when a large procession of students reached the Gallamari area. Police responded by firing tear gas into the crowd, triggering a confrontation.

    The situation quickly escalated as students and police engaged in a series of chases and counter-chases. Tensions flared once again at around 4:00 PM.

    UNB reports from Pabna that students held a mass procession on Friday on the Dhaka-Pabna highway to press for their nine-point demand, including justice for the killings during the quota reform movement and the withdrawal of cases.

    In response to the call of the Anti-Discrimination Student Movement, students from various educational institutions gathered at the main gate of Pabna University of Science and Technology after Juma prayers.

  6. মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০২৪ (৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    শিক্ষার্থীদের মন পুনরায় জয় কি করতে পারবে সরকার?
    https://www.banglatribune.com/columns/856616/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0

    সত্যিকারের পরিবর্তন আসতেই হবে—সরকার সত্যিই এ বার্তাটি গ্রহণ করেছে কিনা তা জানতে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষায় সবাই। এর আগেও আমরা অনেকবার এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি। তবে আজকের মতো তা কখনোই এতটা জরুরি হয়ে পড়েনি। সরকার অতীতে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার পেয়ে গেলেও, তার বাস্তব রূপ কখনোই দেখা যায়নি। তবে এবারের চিত্র অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। এবারের বাজি অনেক বেশি এবং দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অতীতের মতো সরকারের নিছক মুখের কথায় ভুলবে না।

    আজ আস্থা ও কর্তৃত্ব সংকটের মুখে পড়েছে সরকার। এটি বুঝতে হবে, সরকারের কর্তৃত্ব এখন ছিন্নভিন্ন। এখন তাদের কাজ জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক উন্নয়ন করা। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে, ক্রমবর্ধমান হতাশার সঙ্গে যারা গত দুই সপ্তাহের মর্মান্তিক ঘটনাগুলো দেখেছে এবং তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। সরকার যদি দ্রুত এবং গঠনমূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পদক্ষেপ না নিতে পারে তবে একটি পুরো প্রজন্মকে হারাবে। এটি গড়িমসি করার সময় নয়।

    এমন পরিস্থিতিতে সরকার যে সর্বসাধারণের কথা শুনছে, শিখছে এবং ভিন্নভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ– সে বিষয়ে কী ধরনের ইঙ্গিত দিতে পারে?

    কঠিন সময়ে জটিল সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।

    তাদের বড় এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।

    বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের সম্মান ফিরে পেতে চাইলে ক্ষমতাসীন দল এক ধাক্কায় তা করতে পারে। আর তা হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে (বিসিএল) বাতিল করা।

    সোজা কথা বলা যাক।

    ১৯৬০ সালের ছাত্রলীগের সঙ্গে বর্তমানে বিসিএল-এর নামমাত্রই সাদৃশ্য রয়েছে। ১৯৬০ সালে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিল।

    সময় বদলায়, সেই সঙ্গে বদলায় রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোও।

    ১৯৫২, ১৯৬০ বা ১৯৮০’র দশকের ছাত্রলীগের অর্জনের গল্প আমি বর্তমান ছাত্রলীগ কর্মীদের কাছে শুনতে চাই না।

    এটি সেই সময়ের গল্প ছিল আর এটি এখনকার।

    আজকের ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তখনও জন্মায়নি যখন গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রলীগ একটি শক্তির নাম ছিল, যেটি ছাড়া আমরা আজ স্বাধীন হতে পারতাম না। আজকের ছাত্রলীগের অপরাধপ্রবণতা তাদের পূর্ব পুরুষদের জন্য লজ্জার ও অসম্মানের।

    ১৯৬০ ও ১৯৮০’র দশকের ছাত্র রাজনীতির গৌরবময় দিনগুলো এবং তখনকার ও এখনকার মধ্যে যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে তা স্বীকার না করে ছাত্রলীগের অনিবার্য ভূমিকার দিকে ফিরে তাকাতে পারি না।

    একটি সামরিক স্বৈরাচারের অধীনে চলা দেশ এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ পরিচালনার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

    আমরা যখন সামরিক শাসনের অধীনে থাকি, তখন সহিংস আন্দোলন ছাড়া নিপীড়নের লাঙল ছুড়ে ফেলার বিকল্প থাকে না। এরকম সময়ে আমাদের এমন ছাত্রলীগের প্রয়োজন ছিল যেটি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অগ্রভাগে দাঁড়িয়েছিল।

    তবে আজ ছাত্রলীগ যে ভূমিকা পালন করেছে তা তখনকার থেকে একেবারেই আলাদা। আসলে বিড়ম্বনার বিষয় হলো, স্বৈরাচারের সময়ে যে ছাত্রলীগ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছিল, আজ সেটিই তারা ক্ষুণ্ন করছে।

    মূল কথা হলো, একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অনুষঙ্গ হিসেবে সহিংসতার জন্য সশস্ত্র গ্যাংগুলোর কোনও স্থান নেই। স্বৈরাচারী শাসন পরিচালিত অবৈধ কর্তৃত্বকে প্রতিহত করার জন্য যখন এই ধরনের একটি সংগঠন কাজ করে তখন এর চরিত্র অনেকটাই আলাদা।

    এটি আমি এখন আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি, বাংলাদেশে কেন এই কাঠামো এবং ব্যবস্থা রয়েছে।

    আমি মনে করি, সহিংস ছাত্র ফ্রন্ট থাকা পারমাণবিক অস্ত্র থাকার মতো—অন্য পক্ষের যেহেতু তা আছে, তাই আপনারও থাকা দরকার এবং একতরফা নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব ঝুঁকিপূর্ণ।

    আসুন এক সেকেন্ডের জন্য হলেও আমরা একটু বাস্তবিক হয়ে উঠি। আমরা গণতন্ত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

    বাংলাদেশকে যদি সত্যিকার অর্থেই আমরা একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই, তবে আমাদের সহিংসতার রাজনীতির ঊর্ধ্বে যেতে হবে।

    আমরা সবাই বুঝতে পারি, সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডিটি তখনই ঘটেছিল যখন ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঝড় তোলার এবং সহিংসভাবে তা ভেঙে দেওয়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। সেই মুহূর্তের আগ পর্যন্ত বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণেই ছিল এবং অনেকাংশেই তা ছিল শান্তিপূর্ণ।

    সমস্যাটি বোঝাতে একটি প্রবাদের কথা বলি। কথিত আছে, আপনার কাছে থাকা একমাত্র হাতিয়ারটি যখন একটি হাতুড়ি, তখন প্রতিটি সমস্যাকেই আপনার কাছে পেরেক মনে হয়।

    তো, আমি তাহলে কি চাচ্ছি? আমি এমন কিছুই চাইছি যা বহু বছর আগেই হওয়া উচিত ছিল: ছাত্রলীগের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি।

    আপনি বলবেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আর শিবির আছে এমন একটা দুনিয়ায় তা সম্ভব না?

    আমি এমনটা মনে করি না। অন্য দেশগুলো কীভাবে পুরোপুরি ও ভালোভাবে এটি পরিচালনা করে? বাংলাদেশ কি এতটাই বর্বর ও অসভ্য দেশ যে আমরা তা করতে পারবো না?

    ক্ষমতাসীন দল ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। এই সময় শাসনের জন্য একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য যথেষ্টের চেয়েও বেশি।

    রাজনৈতিক ক্ষমতার অনুষঙ্গ হিসেবে যতক্ষণ আমাদের কাছে এই অপরাধী দলগুলো থাকবে, ততদিন আমরা কখনোই সত্যিকারের গণতন্ত্র পাবো না। কোনও কিছুই পরিবর্তন হবে না এবং কোনও কিছুই স্বাভাবিক হবে না।

    এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী দশা করছে দেখেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় বলতে আমরা শিক্ষার দুর্গকে বুঝি, যেখানে পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষাদান এবং বড় করে তোলা হয়। একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল্যবোধ সেখানে তারা অর্জন করে।

    বাংলাদেশে কি সেটি হচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের পরিবেশ থেকে কী শিখবে আমাদের শিক্ষার্থীরা এবং সেটি কি দেশের ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক?

    প্রশ্ন করা মানে উত্তর দেওয়া।

    তাহলে এ অবস্থা ছেড়ে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো?

    ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এ কথা বলে আমি এটি বোঝাতে চাচ্ছি না যে আমাদের প্রতিবাদ বা সংগঠিত হওয়াকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেগুলো দারুণ ব্যাপার। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য সবসময় জায়গা থাকে এবং সত্যিকার অর্থেই আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা বিবেকবান এবং পরিবর্তনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোক।

    তবে আমাদের সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, গুণ্ডামি এবং অপরাধপ্রবণতাকে নিষিদ্ধ করা দরকার, যা আজকের ছাত্র রাজনীতিকে সংজ্ঞায়িত করে। এসবের জন্য কোনও স্থান থাকতে পারে না।

    ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ক্যাডারদের ভূমিকার পাশাপাশি কী চলে দেখুন: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি, হোস্টেলের বিছানা বিক্রি, হয়রানির দায়মুক্তি, যৌন নিপীড়ন এবং আরও বাজে ধরনের কাজ। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

    শালীনতা ও উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এমন একটি দেশে এসব অগ্রহণযোগ্য। তবে বাংলাদেশ এর চেয়ে ভালো।

    তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়েই চলুন সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করা যাক। আসুন আমাদের ক্যাম্পাসগুলোকে আবারও শিক্ষার আসনে পরিণত করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা যখন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলতাম তখন সেগুলো কেমন ছিল, এবং আমরা যদি দেশের জনগণ ও আমাদের পূর্ব পুরুষদের জন্য একটি যোগ্য একটি দেশ ও সমাজ গড়তে চাই তবে সেগুলো আবার কেমন হওয়া উচিত তা ভাবি।

    শিক্ষাকে সবার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। দেশের সংস্কারের ক্ষেত্রে এটি শুরু করার মতোই ভালো জায়গা হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী এবং আমরা বাকিরাও সরকারের কাছ থেকে বাস্তব এবং অর্থপূর্ণ কিছুই চাচ্ছি, যাতে আমরা বুঝতে পারি আমাদের কথা তারা শুনছে। তারা বুঝতে পেরেছে কোন জিনিসগুলোর পরিবর্তন দরকার।

    চলুন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং ছাত্রজীবনের পুরো সংস্কার দিয়ে এই যাত্রা শুরু করি। গত দুই সপ্তাহের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যে সিরিয়াস তা বোঝানো হোক।

  7. মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০২৪ (৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    Women investors outperform men, challenging stereotypes
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/stock-corporate/women-investors-outperform-men-challenging-stereotypes-1722616081

    Women’s intelligence is disastrous: the Bengali adage is old, snugly fits with the conventional wisdom of patriarchal Bangladesh and is comforting to those who explain the gender gap in financial affairs. But the problem is that the country’s small number of women investors is proving this conventional wisdom wrong.

    And the true disaster the proverb faces is that women are now outperforming their male counterparts in the stock market.

    Take the case of Afsana Pervin, a former private employee now a full-time capital market investor. “I usually do not make a loss…” says the woman who was born and raised in Motijheel of Dhaka — an area adjacent to the Dhaka Stock Exchange.

    Ms Pervin has been in the stock market since 2010. After gaining enough confidence to pursue what she calls “limitless possibilities” and spend more time with her family, she left her private firm in 2015.

    Her preference in the market is A category shares and equities — requiring analysis, insight and a strategy focused on long-term gains, rather than lottery-style speculative stocks.

    “I earn much higher returns than any other instrument available in Bangladesh’s financial market,” a confident Ms Pervin told The Financial Express.

    She now manages her investments and the stocks of her former colleagues as well.

    Ms Pervin is one of the country’s few hundred thousand female investors who outperform their male counterparts in terms of share selection and avoidance of poorly performing mutual funds and bonds.

    They, roughly one-quarter of all beneficiary account (BO) holders, usually invest with long-term planning rather than frequent trading.

    While there are no surveys on performance by women investors, officials attribute the following characteristics to better returns for women.

    Women favour good shares

    According to Ms Pervin, the share market could be a safe haven for female investors.

    Her assertion might sound ridiculous, given that Bangladesh’s nearly 70-year-old capital market with its Tk 3 trillion market capitalisation, often makes headlines for crashes and scams.

    High volatility, weak governance and low confidence have been blamed for the poor performance of the market, which has about 500 listed securities, mostly equities.

    Investors often lose money from their hard-earned savings and leave the market disillusioned.

    “Since my school days, I used to hear men making stock investments based on rumours. That was the stupidest thing anyone could do with their money,” said Ms Pervin. “You must understand the rules of the game and choose your investments carefully.”

    Possibly because women are more likely to “know the game carefully” and “choose the right match”, their investment in A and B category shares combined is 84 per cent, according to the government regulatory agency, the Central Depository Bangladesh Ltd (CDBL).

    Female investors had invested 73 per cent in ‘A’ category shares as of June 2023. Their male counterparts invested in this type of share 65 per cent less, according to the CDBL.

    Only 3 per cent of women invested in Z category shares — which do not pay dividends and do not hold annual general meetings. In contrast, more than 14 per cent of men invested in these junk shares.

    The average investment size for women is Tk 0.57 million. They invested only 2.88 per cent in bonds, or 0.32 percentage points less than their male counterparts. Their investment in mutual funds was 1.44 per cent, or 0.47 percentage points lower than men.

    Women are risk-averse

    Numerous international studies suggest that women are risk-averse. This is reflected in women’s investment decisions in the capital market, data shows.

    The top five shares they invested in were Square Pharmaceuticals PLC, Walton Hi-Tech Industries PLC, Bangladesh Export Import Co. Limited, Kohinoor Chemical Co. (BD) Ltd and Bank Asia PLC as of June 30.

    “I would say that women are more careful with investing their hard-earned money and savings and invest more prudently than men,” said Ms Sangita Ahmed, managing partner of TimeOut restaurant.

    “We do not like to take unnecessary risks and when women invest, they do their research more seriously,” said Ms Ahmed, who is also a senior vice-president of the Bangladesh Women Chamber of Commerce and Industry.

    Md Kamal Uddin, a professor and the chairman of the psychology department at Dhaka University, told the FE that women are generally risk-averse and seek investments with guaranteed returns.

    Women don’t see market as a shortcut to money-making

    Female investors usually invest for the long term, said Moniza Choudhury, managing director of CWT Private Equity Limited who manages a group of 70 female investors.

    Turbulence is currently battering the stock market due to higher bank interest rates and inflation.

    She, however, said, “Those who trade with me have not withdrawn funds even under these circumstances.”

    “Certainly, no investor has suffered losses in the current market; rather, they have gained,” she said.

    Ms Chowdhury mentioned an interesting case of a female investor who holds a senior position at a bank.

    “The CEO gave me Tk 30 million to invest in a 15-minute meeting.”

    Trusting her, the female executive wrote the cheque, saying, “You are a woman and I am too, so I know you can best protect my funds,” the woman was quoted as saying.

    Apart from being risk-conscious, women tend to be less aggressive investors than their male counterparts, according to market people.

    “Women have idle funds. They want to maintain or grow their investments with positive returns,” said Saiful Islam, president of the DSE Brokers Association of Bangladesh (DBA), which represents 250 brokers in Dhaka.

    They avoid riskier equities as they do not want to lose everything, said the DSE association chief.

    M Shaifur Rahman Mazumdar, managing director and CEO of the Chittagong Stock Exchange (CSE), told the FE that female investors usually stay away from market rumours.

    “It is true that they do not make investment decisions based on rumours or speculation but focus on fundamentals. I know some women investors who analyse company fundamentals and achieve good returns,” the CSE CEO said.

    Women trade less frequently

    Another contrasting behaviour between men and women was trading frequency. Women investors traded on average almost half as often as men, according to the DSE.

    “Once invested, women tend to monitor and tweak investments less than men,” says Ms Moniza Chowdhury. “This has the double benefit of reducing transaction fees, which hurt performance and avoiding trying to time the market, which is almost impossible to do and can backfire.”

    Why do men trade so much? Psychology Professor Md Kamal Uddin attributed it to overconfidence.

    Many neurologists believe that the male hormone testosterone causes three problems for investors: it decreases fear, increases greed and dangerously contributes to overconfidence.

    Developed divisions have more female investors

    Out of Bangladesh’s eight divisions, most female investors come from Dhaka division, followed by Chattogram. There are currently 432,175 female beneficiary account holders (BOs).

    Women in Dhaka invest nearly 65 per cent, followed by Chattogram at around 21 per cent, according to CDBL data.

    Sylhet is third among the eight administrative divisions, with more than 19,000 BOs.

    People in the four districts of eastern Bangladesh, who are comparatively wealthy due to remittances, contribute about 11 per cent, with many living in London.

    Mymensingh division has only 1,870 BO accounts, placing it last among the eight divisions.

    Of the total market capitalisation, women own Tk 250.62 billion, while men own Tk 1.58 trillion, totalling Tk 2.99 trillion excluding government treasury bonds.

    There are more BOs under company, foreign, and joint accounts. CDBL only maintains demat (dematerialisation) accounts, not other types of accounts.

    Where women should invest

    The main source of women’s funds comes from jobs in almost all sectors of the country’s $459 billion economy, estimated for fiscal year 2024. They also inherit assets from parents or husbands and many female entrepreneurs have thrived due to the social media boom.

    But, they tend to prioritise cash savings, either in government savings certificates or fixed deposit receipts.

    According to the Bangladesh Bureau of Statistics, more than 34 per cent of the total labour force is female, meaning there are a large number of working women in Bangladesh.

    In the banking industry alone, more than 16 per cent of employees are women, mostly in white-collar jobs, including many senior positions.

    “Women have to earn their own capital through businesses, employment or savings from household expenses,” said Ms Sangita Ahmed, managing partner of TimeOut restaurant.

    Ms Ahmed said that as women have advanced, their financial habits have evolved from storing money in purses to depositing it in banks through fixed deposits and small savings schemes.

    “With more women joining the workforce and becoming knowledgeable about financial instruments, there has also been a rise in the number of women participating as traders in the capital markets,” she commented.

    AGM Sattique Ahmed Shah, acting managing director and CEO of the Dhaka Stock Exchange, told the FE that gender diversity is a smart move and that they encourage it.

    Mr Shah believes that gender diversity can boost the market. Calling gender equality a good economics, he said the regulator should implement gender-inclusive policies for a vibrant capital market.

    [The story calculates the exchange rate at Tk 109.97]

  8. মাসুদ করিম - ৪ আগস্ট ২০২৪ (৬:৪৩ অপরাহ্ণ)

    শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনকারীরা
    https://www.banglatribune.com/others/856877/%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%97-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE

    সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সন্ধ্যা ৭টার পর তারা শাহবাগ থেকে সরে যেতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। আগামীকাল সোমবার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি সফল করার ডাক দিয়ে শাহবাগ ছাড়েন তারা।

    রবিবার (৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম ঘোষণা দেন, সোমবার বেলা ১১টায় আবার আন্দোলন শুরু হবে। এসময় আন্দোলনকারীদের নিজ নিজ বাসায় চলে যাওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।

    এর কিছু সময় পরেই আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ আগামীকাল ৫ আগস্ট লংমার্চের ঘোষণা দেন। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামীকাল ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

    আসিফ মাহমুদ বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো।

    তিনি বলেন, আশেপাশের জেলাগুলো থেকে সবাই ঢাকায় আসবেন এবং যারা পারবেন আজই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। ঢাকায় এসে মুক্তিকামী ছাত্র জনতা রাজপথগুলোতে অবস্থান নিন।

    সন্ধ্যার পর শাহবাগে ছেড়ে আন্দোলনকারীদের একটি দলকে ফার্মগেটের দিকে যেতে দেখা যায়। তখন ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহতের খবরে আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ফার্মগেটের দিক থেকে একজনকে আহত অবস্থায় রিকশায় আনতে দেখে আন্দোলনকারীরা সেদিকে রওনা হন।

  9. মাসুদ করিম - ৪ আগস্ট ২০২৪ (৬:৫৪ অপরাহ্ণ)

    সারা দেশে সংঘর্ষ-গুলি, পুলিশসহ নিহত ৯৫
    https://www.banglatribune.com/country/dhaka/856859/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A4-%E0%A7%AA%E0%A7%AB

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’ ঘিরে সারা দেশে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালীন বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

    রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংঘর্ষে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় আট, সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার ১৩ পুলিশ সদস্যসহ ২৩, লক্ষ্মীপুরে আট, নরসিংদীতে ছয়, ফেনীতে আট, রংপুরে চার, কিশোরগঞ্জে চার, মুন্সীগঞ্জে তিন, বগুড়ায় পাঁচ, মাগুরায় চার, ভোলায় এক, পাবনায় তিন, সিলেটে পাঁচ, কুমিল্লায় পুলিশসহ তিন, শেরপুরে তিন, জয়পুরহাটে দুই, সাভারে এক, কেরানীগঞ্জে এক, কক্সবাজারে এক, হবিগঞ্জে এক ও বরিশালে একজনসহ ৯৫ জন রয়েছেন।

  10. মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০২৪ (১২:০৬ অপরাহ্ণ)

    Sheikh Hasina Not Clear About Next Move, to Remain at Hindon For ‘Safety Reasons’ For Now: Sources
    https://www.news18.com/world/sheikh-hasina-not-clear-about-next-move-to-remain-at-hindon-for-safety-reasons-for-now-sources-8991697.html

    Former Bangladesh prime minister Sheikh Hasina is not clear about her next move, sources have told CNN-News18. While the UK is reportedly not ready to give her asylum, Hasina has full freedom to work out her next move, sources said.

    CNN-News18 has learned that Hasina will remain at Hindon Airbase in Ghaziabad only for safety reasons till she decides where she will go to seek asylum.

    Earlier, CNN-News18 had reported that she was exploring the option of going to Scandinavian countries as well.

    Hasina is open to moving to other European countries with the United Kingdom not forthcoming with a friendly welcome.

    Reports say that her sister Rehana, who holds a UK citizenship, may leave early. Rehana is the younger daughter of ‘father of Bangladesh’ Sheikh Mujibur Rahman and Sheikh Fazilatun Necha Mujib and the younger sister of Sheikh Hasina. Rehana’s daughter Tulip Siddiq is a member of the British Parliament for the Labor Party.

    Sources have said that Hasina was asked to leave Dhaka by the Bangladesh Army after she resigned amid civil unrest in the country over the reservation system and other issues. India negotiated for a safe passage for Hasina. On Monday, she landed at Hindon airbase where facilities for long stay for high-level dignitaries are available.

    At around 6:30 pm on Monday, Bangladesh Air Force’s C-130 transport aircraft AJAX1413 carrying Hasina and her sister reached Ghaziabad’s Hindon Air Base, news agency ANI said. “The aircraft movement was monitored by Indian Air Force and security agencies from its entry into Indian airspace to Hindon airbase in Ghaziabad,” it said.

    Later on Monday, India’s National Security Advisor (NSA) Ajit Doval along with and senior military officials met the embattled leader at the airbase and assured full security to her. The Indian Air Force and other security agencies are providing security to Hasina.

    Sources said that two Rafale fighter aircraft from the 101 squadron from Hashimara air base in West Bengal were airborne over Bihar and Jharkhand to provide safety to Hasina’s jet aircraft. IAF and Army chiefs Air Chief Marshal VR Chaudhari and Gen Upendra Dwivedi were monitoring the situation very closely, sources added.

  11. মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০২৪ (১২:২৬ অপরাহ্ণ)

    US Revokes Sheikh Hasina’s Visa After Bangladesh Ouster As Ex-PM Seeks Asylum In The West
    https://www.news18.com/world/us-revokes-visa-of-sheikh-hasina-amid-bangladesh-unrest-ex-pm-seeks-asylum-in-europe-8991997.html

    Ousted Prime Minister Sheikh Hasina’s visa has been revoked by the United States, according to insider sources close to the opposition in Bangladesh. This development comes amid reports that Western nations, including the US, sought her ousting from power.

    Hasina, who resigned and fled to India following violent protests in Bangladesh, is currently at Hindon Airbase in Ghaziabad. While she is exploring options for asylum in European countries, reports indicate that the UK is not prepared to grant her refuge. Sources suggest that her sister, Rehana, who holds UK citizenship, may leave for the UK shortly.

    On Monday, the military arranged Sheikh Hasina’s departure from Dhaka after weeks of mounting pressure due to anti-government protests against her reservation policies. The protests escalated into violent unrest, resulting in over 440 deaths in recent weeks. Hours after her resignation, Hasina’s residence was stormed by protesters, leading to widespread vandalism.

    Upon her arrival in India on Monday, Hasina was met by National Security Advisor Ajit Doval and senior military officials, who assured her of full security. The Indian Air Force closely monitored her flight, deploying Rafale fighter jets to ensure her safe passage. The situation in Bangladesh continues to be volatile, with the military announcing the formation of an interim government led by Nobel laureate Dr. Muhammad Yunus.

    On Tuesday, External Affairs Minister S. Jaishankar told Parliament that Hasina reached out to India for safe passage following her abrupt resignation. Delivering a suo motu statement in the Rajya Sabha, Jaishankar said that Hasina received approval to travel to India at “very short notice”.

    On 5th August, demonstrators converged in Dhaka despite the curfew. Our understanding is that after a meeting with leaders of the security establishment, Prime Minister Sheikh Hasina apparently made the decision to resign,” Jaishankar said in the Parliament. “At very short notice, she requested approval to come for the moment to India. We simultaneously received a request for flight clearance from Bangladesh authorities. She arrived yesterday evening in Delhi,” he added.

  12. মাসুদ করিম - ৮ আগস্ট ২০২৪ (৪:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    No decision made on Hasina’s move to elsewhere from Delhi, says her son Joy
    https://thefinancialexpress.com.bd/national/no-decision-made-on-hasinas-move-to-elsewhere-from-delhi-says-her-son-joy

    Awami League President Sheikh Hasina’s son Sajeeb Wazed Joy says no decision has been made yet over the ousted prime minister’s move to anywhere else from India’s capital New Delhi, where she took refuge after leaving the country.

    The news of Hasina’s visa cancellation by the United States that surfaced in Indian media outlets is misinformation, Joy said in an interview on Tuesday with Germany’s international broadcaster Deutsche Welle.

    He also spoke about Awami League’s current and future leadership in the interview.

    When asked where Hasina is and how she is doing, Joy said, “She is fine and in India at the moment. She is at my sister’s [Saima Wazed Hossain] residence in Delhi. She is doing well but she is very upset.

    “She is feeling sad for the country for which her father and entire family sacrificed lives and for which she served jail time, worked so hard and made progress; the people of that country would insult her in such a way and attack her, none of us could have imagined it.”

    Answering a question on her US visa cancellation, Joy said, “It’s a rumour. Nothing like that happens.”

    Deutsche Welle also wanted to know why Hasina had to resign from prime ministership.

    Joy, who was also the former premier’s advisor, said “The violence and attacks prevailing in Bangladesh now had started at that time, and the protesters decided to attack Ganabhaban. She did not want to leave Ganabhaban at that time either. Then we convinced her from the family that not only protesters, but the attackers also could kill you. You must leave the country.”

    Hasina resigned under pressure from unprecedented student and public protests and flew to India on Monday afternoon with her sister Sheikh Rehana on board a military aircraft.

    Indian media reported on Monday that Hasina has applied for political asylum in the UK. If granted, she intends to go there.

    According to media reports, senior Awami League leaders knew about Hasina’s decision to leave the country.

    When asked about the situation, Joy said, “It was decided a day ago. She made the decision. A few of us knew that she was set to make the announcement of the resignation.

    “Her plan was a transition of power according to the constitution. But when they [protesters] began to march towards Ganabhaban, out of fear we said there is no more time. You have to leave now.”

    About Awami League’s leadership, Joy said neither he nor the family currently has any plans to enter politics.

    “We are not coming into politics. Our family has faced a coup for the third time, we had to live abroad, losing everything. Except for my mother, all of us have been abroad for a long time. We are settled and accustomed to living here.”

  13. মাসুদ করিম - ৮ আগস্ট ২০২৪ (৭:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    TALK: BURGEONING ART SCENE IN BANGLADESH | London, Revolution Gallery
    https://theprickle.org/2024/07/03/talk-burgeoning-art-scene-in-bangladesh-london-revolution-gallery/

    The newly opened Revolution Gallery in Central London is a groundbreaking art venue, the first in the UK dedicated to representing the very best artists from Bangladesh. This includes legendary figures such as Zainul Abedin, Rashid Choudhury, and Quamrul Hassan — as well as new talents like Rakib Alam Shanto — bridging the gap between traditional and modern Bangladeshi art.

    Revolution Gallery is hosting a talk on the bourgeoning art scene in Bangladesh, Wednesday 10 July, 6:30pm, offering attendees a unique glimpse into the vibrant art culture of Bangladesh.

    Tasleema Alam and Nelson Ferreira, both renowned artists, recently returned from Bangladesh where they served as visiting lecturers in Fine Arts at Dhaka University. Their experiences have provided them with firsthand insight into the burgeoning talent emerging from this culturally rich nation. They will be sharing their observations and experiences during the talk, shedding light on the current explosion of artistic talent in Bangladesh.

    Tasleema Alam, a distinguished expert in Islamic Art and the owner of Traditional Ateliers, has an impressive portfolio of collaborations with prestigious institutions like Turquoise Mountain, ITHRA and South Bank. She is the first Bangladeshi female artist to collaborate on Royal Commissions for HM King Charles III, in honour of his coronation, further underlining her esteemed status in the art community.

    Nelson Ferreira (another Royal Commissioned artist) is known for his mastery in classical drawing and painting techniques; he is a visiting lecturer at several universities and art museums globally. His expertise is further recognized by his teaching engagements: including teaching Walt Disney and ILM artists. Since 2022 alone, his artworks have been seen by about 300,000 people at exhibitions in UK, Portugal, Italy, Nepal, Saudi Arabia and Bangladesh.

    This talk presents a rare opportunity for art enthusiasts, collectors, and academics to gain insight into the evolving landscape of Bangladeshi art and to engage with two insightful voices in the field. Attendees will have the chance to explore the Revolution Gallery’s collection and witness the confluence of heritage and innovation that discerns Bangladeshi art as a rising tiger within the umbrella of South Asia.

  14. মাসুদ করিম - ৯ আগস্ট ২০২৪ (৭:৪১ পূর্বাহ্ণ)

    Vandalism, Attacks Follow Bangladesh Prime Minister’s Exit
    https://www.hrw.org/news/2024/08/08/vandalism-attacks-follow-bangladesh-prime-ministers-exit

    Bangladesh’s interim government, led by the Nobel Peace Prize laureate Muhammad Yunus, should urgently act to protect human rights.

    Soon after Sheikh Hasina resigned as prime minister and left the country, tens of thousands of Bangladeshis celebrated the end of her repressive rule. In some places, however, celebrations turned violent, with hundreds killed or injured as demonstrators sought reprisals against those perceived to have supported Hasina’s government.

    Rioters burned down historical structures and targeted members of Hasina’s Awami League party. In several districts around the country, members of the Hindu community, which is generally considered to have largely backed the Awami League, were violently attacked, their homes torched, temples vandalized, and shops looted. There were also reports of attacks against the Ahmadiyya Muslim community and ethnic minorities.

    A Hindu businessman in the city of Tangail told Human Rights Watch that “while the crowd was celebrating Hasina’s fall, some crowd members suddenly started attacking the businesses nearby, including my shop.” An Awami League politician in Jessore said that “soon after the news spread in my neighborhood that Sheikh Hasina had fled the country, our businesses and houses were targeted by rioters. They were venting their anger by chanting against Sheikh Hasina and Awami League leaders.”

    In many places, Muslim clerics, students, and community leaders came out to protect Hindu temples and Christian churches, while political leaders, as well as student protest organizers, called for calm.

    Rioters have frequently targeted and attacked members of the police, who are widely despised for years of rampant human rights abuses, including during the protest that led to Hasina’s resignation. Mohammad Mainul Islam, the police chief, publicly apologized for “unprofessional officers” who “did not follow the accepted principles of applying force, and violated human rights.” He has pledged accountability.

    Yunus has urged Bangladeshis to refrain from reprisals and violence. “Violence is our enemy,” he said. “Be calm and get ready to build the country.”

    Authorities should ensure minorities are protected and the rule of law respected. They also need to ensure that the police and other law enforcement agencies do not escalate or contribute to the violence. The interim government, once in place, should take up the United Nations’ offer to establish an independent investigation to identify and prosecute those responsible for past human rights violations as well as violations during the recent violence, which will be crucial to rebuilding faith in Bangladesh’s justice system.

  15. মাসুদ করিম - ৯ আগস্ট ২০২৪ (১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ)

    প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মারা গেছেন
    https://samakal.com/bangladesh/article/249862/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8

    তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মারা গেছেন।

    শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

    বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্যসচিব অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আনু মুহাম্মদ জানান, শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ টেক্সাসে ছেলের বাসায় ছিলেন। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

    খুলনা শহরের উপকন্ঠে দৌলতপুর গ্রামে ১৯৩১ সালের ৩১ জুলাই শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম। শৈশবেই তার মেধার পরিচয় মেলে। ১৯৪৬ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক, ১৯৪৮ সালে তৎকালীন ব্রজলাল একাডেমী থেকে ৩টি লেটারসহ আইএসসি, ১৯৫০ সালে বিএসসি পাস করেন তিনি।

    ১৯৫০ সালে আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে পুরকৌশল বিভাগে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে পাশ করেন ও গোল্ডমেডেল পান। পরবর্তীতে দেশের খ্যাতিমান প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।

  16. মাসুদ করিম - ১০ আগস্ট ২০২৪ (৫:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    সংসদ এলাকায় একটি কক্ষে ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন পলক
    https://www.banglatribune.com/others/857480/%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87-%E0%A7%A8%E0%A7%AA-%E0%A6%98%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%95

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যান। এর পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার একটি কক্ষে আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিন মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত পলক ওই এলাকাতেই ছিলেন। এরপর তিনি বিশেষ উপায় অবলম্বন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    জুনায়েদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সরকারের পতনের আগের দিন স্ত্রী ও সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন তিনি। অবশ্য তার স্ত্রী একা যেতে চাননি। পলককে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পালিয়ে গেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে বেইমানি করা হবে বলে স্ত্রীকে বোঝান। পরে অবশ্য তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন মনিকা ও তার তিন সন্তান সরকার পতনের একদিন আগেই দেশ ছাড়েন।

    পলক ঘনিষ্ঠ আরেকটি সূত্রের দাবি, গত ২ আগস্ট নাটোরে নিজ এলাকায় জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটি বক্তব্য দেন পলক। এরপরই তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগের আবেদন নিয়ে যান। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে ধমক দেন। মন্ত্রিসভা থেকে একজন পদত্যাগ করলে অন্যরাও পদত্যাগ করবে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে বলে পলককে বোঝান শেখ হাসিনা।

    ওই সূত্রের দাবি, জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও পলককে ধমক দিয়েছেন। এসব কারণে সরকার পতনের আগে তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি বলেন জানায় ওই সূত্র।

    অন্যরা কে কোথায়?

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পালাতে ব্যর্থ হওয়ার পর বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকেও সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে সদ্য বিদায়ী সরকারের অন্তত অর্ধশত মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য সুবিধাজনক সময়ে দেশ ছেড়ে গিয়েছেন। এখনও অনেকে নিরাপদ জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও ৫ আগস্ট সংসদ এলাকাতেই অবস্থান করেন। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় তিনি নিরাপদ জায়গায় চলে যান।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের একটি অংশ বিদেশে পাড়ি জমান। যারা বিদেশে যেতে পারেননি, তারা নিজ বাসায় না থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় আত্মগোপনে আছেন। চট্টগ্রাম-১১ আসনের চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। শুক্রবার (৯ আগস্ট) তিনি ওই আত্মীয়ের বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। মসজিদ থেকে ফেরার পথে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে তিনি সেই আত্মীয়ের বাসায় আবারও আশ্রয় নিলে সেখানে হামলার চেষ্টা হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।

    একটি সূত্র জানায়, সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী হামলা, মারধর ও হত্যার শিকার হয়েছেন। এ কারণে আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ নেতাদের অনেকেই প্রাণের ভয়ে স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীর কাছে ধরা দিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় না থাকায় এসব নেতাকর্মীকে সেনাবাহিনী তাদের নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

    পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এখনও আত্মগোপনে

    ৫ আগস্টের পর সরকারের ঘনিষ্ঠ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহিনীর সব সদস্যকে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেকেই যোগদান করেননি। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরে নিম্ন ও মধ্যম সারির কর্মকর্তারা যোগদান করলেও যুগ্ম কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার অনেকেই যোগদান করেননি। বিশেষ করে ডিবির আলোচিত হারুন অর রশিদসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ কোনও কর্মকর্তা কাজে যোগদান করেননি।

    একটি সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, পুলিশ সদর দফতরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ কেউই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেননি।

    পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সেনাবাহিনীর সহায়তায় সারা দেশে ১১০টি মেট্রোপলিটন থানার মধ্যে ৭০টি এবং রেঞ্জের ৫২৯টি থানার মধ্যে ২৯১টি থানার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোপলিটন ও রেঞ্জ কার্যালয়সহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধানরা স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা করছেন।

  17. মাসুদ করিম - ১০ আগস্ট ২০২৪ (৫:১২ পূর্বাহ্ণ)

    রয়টার্সকে জয়: শেখ হাসিনা রিজাইন করেননি
    https://www.banglatribune.com/foreign/857494/%E0%A6%B0%E0%A7%9F%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%96-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%A8%E0%A6%BF

    সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিজাইন (পদত্যাগ) করেননি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শনিবার (১০ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটা জানান।

    জয় বলেন, ‘আমার মা (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তাকে সে সময়টুকু দেওয়া হয়নি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) দেশবাসীর উদ্দেশে একটি বিবৃতি দিয়ে তারপর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ সময়ে আন্দোলকারীরা গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেয়। আমার মা ব্যাগ গোছানোর সময়টুকু পর্যন্ত পাননি। আমি যদ্দূর জানি, সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’

    সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, যদিও রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধান ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন ‘আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে’।

    সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। না হলে আমরা বিরোধী দলে থাকবো। তবে যা-ই হোক ভালো হবে।’

    উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একদফা দাবির মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পরে এদিন দুপুর নাগাদ ঢাকায় বাংলাদেশ বিমানের সি১৩০ উড়োজাহাজ হাসিনাকে নিয়ে দিল্লির বাইরে হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে তিনি ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০ বছরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। গত দেড় দশকের টানা শাসনামলে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী মত দমন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুমসহ নানা অভিযোগ রয়েছে৷ বিরোধীদের বয়কট ও কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জানুয়ারিতে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসে তার আওয়ামী লীগ সরকার।

  18. মাসুদ করিম - ১০ আগস্ট ২০২৪ (৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    পুলিশে ক্ষোভ: রাজারবাগে যা যা হল
    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/8ce1d32a967a

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দায়ী করেন পুলিশের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

    শেখ হাসিনার পতন ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বহু সদস্যকে হত্যার পর স্থবির হয়ে পড়া পুলিশকে সচল করার চেষ্টায় ঢাকার রাজারবাগে বৈঠকে দেখা গেল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

    কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় রক্তপাত ও হতাহতের জন্য কার দায়, অধঃস্তন কর্মকর্তাদের কীভাবে ঊর্ধ্বতনরা ব্যবহার করেন, এসবের পাশাপাশি বাহিনীর অভ্যন্তরীণ নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলামের সামনেই ক্ষোভ দেখিয়েছেন এই সদস্যরা।

    থানায় থানায় হামলা চালিয়ে হত্যার প্রেক্ষাপটে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নিয়ে আছে বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য।পুলিশ সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোতে কেবলই লাশ আর পোড়া থানার ছবি আদান-প্রদান করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারাই।

    সোমবার থেকে পুলিশ উধাও হয়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে শুক্রবার রাজারবাগে আইজিপির সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু সময় লেগে যায় অনেকটা। কারণ, অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচার চেয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা, যে কারণে হইচই হট্টগোলেই কাটে বৈঠকের বেশিরভাগ সময়।

    পুলিশের মধ্যে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমনের উদ্যোগ হিসেবে সেখানে আসার কথা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

    তিনি রাজারবাগে আসবেন বলে পুলিশ লাইনসের মিলনায়তন প্রস্তুত করা হয়। পরে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা আসছেন না, আসবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও আসেননি।

    বেলা ৪টা থেকেই রাজারবাগ মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরে কথা বলতে থাকেন তখন থেকেই।

    আলোচনায় শেখ হাসিনার পতনের পর থানাসহ পুলিশি স্থাপনায় হামলা ও অনেক পুলিশ সদস্য নিহতের জন্য ‘ঊর্ধ্বতনদের ভুল’কে দায়ী করছেন বিক্ষুব্ধরা।

    একাদশ সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কেন জনগণকে ভোট দিতে দেয়নি, সেই ‘অন্যায্য চর্চা’ নিয়েও বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন সদস্যরা। পুলিশের রাজনীতিকরণের বিপক্ষে ও সংস্কারের দাবিও তুলেছেন তারা।

    পুলিশ সদস্যরা সারাক্ষণ ‘ভুয়া ভুয়া’ চিৎকার করে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন।

    বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে আইজিপি ময়নুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এবং র‌্যাবের মহাপরিচালক শহিদুর রহমান গাড়িবহর নিয়ে রাজারবাগ যান।

    তাদের মিলনায়তনে প্রবেশের সময়ও পুলিশ সদস্যরা সমস্বরে চিৎকার করে ওঠেন। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে সদস্যদের কথা শোনেন আইজিপি।

    আইজিপির সামনে মঞ্চে ওঠে বক্তব্য দেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং ক্যাডার কর্মকর্তা। তবে হই-হট্টগোলের মধ্যে ‘কে শোনে, কার কথা’ অবস্থা ছিল সেখানে।

    আইজিপির উপস্থিতিতেই স্লোগান ওঠে, ‘আমার ভাই মরল কেন জবাব চাই’, ‘পুলিশ হবে জনতার’।

    কয়েকবার সেখানে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের এসপি সাইফুল ইসলাম সান্তুসহ কয়েকজন ক্যাডার কর্মকর্তা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।

    আইজিপি তাদের সব দাবি মেনে নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসার আশ্বাস দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর আইজিপি ও কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন।

    আইজিপি সেখানে বলেন, “আপনাদের সব দাবি-দাওয়া আমরা শুনলাম। এগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহে এই দাবি-দাওয়া নিয়ে আপনাদেরসহ সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসব।”

    পুলিশ স্টাফ কলেজের একজন অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, “আপনারা যে ১১ দফা দাবিনামা দিয়েছেন, সেগুলো খুব সুন্দর করে ড্রাফট করা হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি।”

    এই কর্মকর্তার কথা শুনে হাতে তালি দিয়ে সমর্থন দেন পুলিশ সদস্যরা।

    মঞ্চে আইজিপি বসে থাকলেও কোনো শৃঙ্খলা দেখা যায়নি। যারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তাদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল না। কথা বলতে অনেকেই মঞ্চে উঠে যাচ্ছিলেন। তাদের ঠেকাতে বেগ পেতে হয় কর্মকর্তাদের।

    বক্তব্য দিতে উঠে একজন পুলিশ সদস্য বলেন, বিগত ২০১৮ সালের নির্বাচনে তার বাবা ভোট দিতে গেলে তাকে পুলিশ তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে বাবার সামনে মুখ দেখাতে পারেন না তিনি।

    পুলিশ ‘হত্যা’র বিচার দাবি করে একজন সদস্য বলেন, “যারা মারা গেছেন লক্ষ-কোটি টাকা দিলেও সেই ক্ষতি পূরণ হবে না। আমরা চাই ব্যবস্থা, ব্যবস্থা, ব্যবস্থা।”

    বক্তব্যের মধ্যেই মঞ্চের পেছনে বিশাল স্ক্রিনে দেখানো হচ্ছিল বিভিন্ন জায়গায় নিহত পুলিশের লাশ আর রক্তাক্ত ছবি।

    সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে কেন সরকারের উপদেষ্টা করা হল না, সে প্রশ্নও তোলেন একজন।

    আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও র‌্যাবের ডিজি এবং তাদের কয়েকজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছাড়া আর কারও পরনেই ইউনিফর্ম ছিল না। এটি নিয়েও কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা।

    একজন নারী পুলিশ সদস্য মঞ্চে উঠে বলেন, “আজ এখানে আইজিপি স্যারের সঙ্গে মিটিং করতে আমার যথাযথ ইউনিফরম ও র‌্যাংক ব্যাজ পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার কারণে এখন পুলিশের ইউনিফর্ম গায়ে দিতে পারছি না। এই অবস্থার উত্তরণ চাই আমরা।”

    পুলিশ লাইনসের এই বৈঠকের সংবাদ সংগ্রহ করতে কয়েকটি টিভি চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল ও ছাপা পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে যান। তবে কয়েকটি চ্যানেলের কর্মীদের দেখে পুলিশ সদস্য উত্তেজিত হয়ে উঠলে তারা রাজারবাগ ত্যাগ করে। তাদের অভিযোগ, অধঃস্তন পুলিশ সদস্যরা যে ‘অমানবিকতার শিকার হন, তা নিয়ে কোনো সংবাদমাধ্যমই কথা বলে না।

    হট্টগোল থামছিলই না

    বৈঠকের শুরুতেই র‍্যাবের মহাপরিচালককে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকেন উপস্থাপক। তবে এ সময় একজন নারী পুলিশ সদস্য উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টাকে এখানে আসতে হবে।”

    এ সময় একযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। এরপর তিনি বক্তব্য না দিয়ে বসে পড়েন।

    অডিটোরিয়ামে তখন পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন। আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশ সদস্যদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরপর আইজিপি উঠে বক্তব্য শুরু করেন।

    আইজিপি বলেন, “আপনাদের এই ১১ দফা আমারও দাবি। আমরা এরই মধ্যে একটি কমিটি করে দিয়েছি, সেই কমিটিতে আপনাদের প্রতিনিধি রয়েছে, আমাদেরও প্রতিনিধি রয়েছে। তারা এই বিষয়ে করণীয় ঠিক করবেন।

    “প্রধান উপদেষ্টাকে ইতিমধ্যে সব বিষয়ে জানানো হয়েছে, তিনিও তোমাদের দাবির বিষয়ে নমনীয়। এই বিগত বছরগুলোতে যারা নির্যাতিত হয়েছে, যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তারা কেউ আর বঞ্চিত হবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যাদের অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের বরখাস্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে, ডিউটির সময়সীমা নির্ধারণ হবে। সেটি আট ঘণ্টাই করা হবে।”

    তবে আইজিপির বক্তব্যের মাঝে পুলিশ সদস্যরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। কয়েকজন বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এরপর আইজিপি তার বক্তব্য থামিয়ে দিয়ে যারা কথা বলতে চান, তাদের মাইকের সামনে যেতে বলেন।

    এরপর একজন কনস্টেবল বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “কোনো অফিসার মারা যায়নি, কারণ তারা আমাদের গুলি চালাতে বলে পালিয়েছেন। অথচ এই অফিসাররা যদি আমাদের বলতেন, ‘তোমরা গুলি করো না, সবাই চলে যাও, তাহলে এত মানুষও মরত না, এত পুলিশও মরত না।

    “আমাদের ভাইয়ের লাশ রাস্তায় পড়েছিল, কেউ আনতে যায়নি। আজকের নতুন সরকার হয়েছে, সেই সরকারে সাবেক পুলিশের কেউ নেই, কারণ আমাদের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কেন আস্থা নেই? তার জন্য এই অফিসাররা দায়ী। নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিলেও তাদের জীবন ফিরে আসবে না।”

    যত ক্ষোভ ঊর্ধ্বতনদের ওপর

    কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ থেকে অধঃস্তন সদস্যরা ঊর্ধ্বতনদের কথা শুনছেন না। ডিএমপিতে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা বলেন, “ওরা এখন আমাদের শত্রুজ্ঞান করছেন, কথা শোনা তো দূরের কথা। সংঘাতে পুলিশ সদস্যরা মারা গেছেন, আমাদের ক্যাডার সার্ভিসের কেউ কেন মরেননি, সে প্রশ্নও তুলছেন তারা। আমাদের স্যাররা তাদের সব দাবি মেনে নিয়েও শান্ত করতে পারছে না।”

    ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের অধঃস্তনদের বিপদের মুখে রেখে পালিয়েছেন, ঠিকমত তথ্য দেননি- এমন অভিযোগ করে ঢাকার একটি থানায় কর্মরত একজন এসআই বলেন, “আমাদের অফিসাররা তো বুঝতে পারছিলেন যে হাসিনাশাহীর পতন হচ্ছে। তারা পালিয়ে গেলেন। আর আমাদের মরতে রেখে গেলেন।

    “আমাদের লোকেরা রামপুরা, বাড্ডা, চানখারপুল, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় ওইদিন (৫ অগাস্ট) দুপুর বেলা পর্যন্ত গোলাগুলি করেছেন। এদিকে যে সরকার পতন হয়ে যাচ্ছে সেই খবর আমাদের ঘুণাক্ষরেও জানানো হয়নি। সকালে জানলেও আমাদের লোকগুলো সাধারণ পাবলিকের মধ্যে ঢুকে গিয়ে নিজের জীবনটা বাঁচাতে পারত। কিছু থানাও রক্ষা করা যেত।”

    রাজারবাগ অডিটোরিয়ামের বাইরের পুকুর পাড়ে গোল হয়ে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ডেকে নিজেদের ক্ষোভের কথা বলছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

    পুলিশ সদর দপ্তর, এসবি ও ডিএমপির কয়েকজন আলোচিত কর্মকর্তার নাম ধরে গালিগালাজ করছিলেন বিক্ষুব্ধ পুলিশ সদস্যরা। তাদের কারণেই পুলিশের এই পরিণতি বলে অভিযোগ তাদের। পাশাপাশি পুলিশের অধঃস্তন কর্মীদের সঙ্গে ‘চাকরবাকরে’র মত আচরণ করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

    গুলি করতে বাধ্য করার অভিযোগ

    পুলিশের ঢাকার গুলশান বিভাগে কর্মরত একজন এডিসি বলছেন, “আমি এখনও ট্রমা থেকে বের হতে পারিনি। সেদিন যে কীভাবে বেঁচে ফিরেছি, তা একমাত্র আল্লাহ জানেন। উত্তরা থেকে মিছিলটা যে ঢাকার ভেতরে ঢুকে গেছে, সেই খবরটাও আমাদের স্যাররা আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।

    “তারা খালি গুলি করার আদেশ দিয়ে গেছেন, কেউ গুলি না করলেই তাকে বিএনপি-জামায়াত ট্যাগ দেওয়া হত। প্রসিকিউশনের (শাস্তি) ভয়ও দেখানো হত।”

    সিআইডির একজন এসআই বলছেন, “আমি ১৩ বছর পুলিশে চাকরি করি। এই বন্দুকটা কোমরেই বয়ে নিয়ে গেলাম কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো পাবলিককে একটা গুলি করার প্রয়োজন পড়েনি।

    “আমাদের বেশিরভাগ পুলিশই এমন। কারণ ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ ছাড়া আমরা গুলি করতে পারি না। এই কয়দিনে আমাকে কেন এত গুলি ছুঁড়তে হল, সেটা আপনাদের যুক্তি দিয়ে বুঝতে হবে। এখন গুলি করার জন্য সাধারণ মানুষ আমাদের দায়ী করছে। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে সিনিয়র অফিসাররা অর্ডার করলে আমাদের তা মান্য করা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না।”

    নিজেকে পুলিশের ‘বঞ্চিত পক্ষের’ দাবি করা একজন অতিরিক্ত ডিআইজি বলছেন, “নতুন সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার করার কথা বলা হচ্ছে। এই বিচার শুরু হলে অনেক ওসি, এসআই এবং পুলিশ সদস্য ফেঁসে যান কি না, সে দুশ্চিন্তাও রয়েছে অনেকের মধ্যে।”

    এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন ঘিরে প্রাণহানির ঘটনায় পুলিশ সদস্যরা দায়মুক্তি চাইছেন বলে ওই অতিরিক্ত ডিআইজির বক্তব্য।

    তিনি বলছেন, “বিশেষ করে ঢাকার থানাগুলোতে নিয়োগ হয় পুরোপুরি পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি বিবেচনায়। তারাই বেশি উৎসাহ দেখিয়ে জনতাকে গুলি করেছেন। দীর্ঘদিন ঢাকায় চাকরি করা এই পুলিশ সদস্যরা অনেক পয়সার মালিক। তারা এখন নানাভাবে পুলিশে অস্থিরতা তৈরি করতে চান। আর তাদের সঙ্গে পুলিশের আলোচিত কিছু প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রয়েছেন।”

    তবে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, পুলিশের আইনে (পিআরবি) বলা আছে এ ধরনের সিভিল ডিজঅবিডিয়েন্সের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমে নন-লিথাল উইপন ব্যবহার করবে। নিজের প্রাণ রক্ষার প্রয়োজন হলে পুলিশ লিথাল আর্মসও ব্যবহার করতে পারে। তাই এ বিষয়ে আইনগতভাবে তারা বিপদে পড়বেন, এমন সম্ভাবনা কম।

    “তবে অনেক ভিডিওতে দেখা গেছে কাছে থেকে নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করেছেন পুলিশের কেউ কেউ। তাদের খুঁজে খুঁজে সাজা দেওয়া উচিত।”

    পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্য, এখন পুলিশ সদস্যরা নির্দেশ মান্য করার যে যুক্তি দিচ্ছেন, তা যে খুব বেশি ধোপে টিকবে তাও না। পুলিশের আইনে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আইনি নির্দেশ মেনে নিতে তিনি বাধ্য। সেটা যদি অবৈধ হয়, তাহলে সে তা করতে বাধ্য নয়।

    ডিএমপির দুজন কনস্টেবল, তিনজন এসআই এবং এসি ও এডিসি পর্যায়ের দুজন ক্যাডার কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। তারা সবাই বলেছেন, গুলি করার এমন কী বার্স্ট ফায়ার করার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ‘আছে গুজবও’

    পুলিশ সদস্যদের মোবাইলে ঘুরছে লাশের ছবি। ছবি দেখে মনে হল, এর অনেকগুলো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো যুদ্ধের। আবার কেউ বলছেন, এখনও এখানে ওখানে কয়েকশ পুলিশের লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। এখন এ রকম নানা গুজবে ভাসছে রাজারবাগ।

    গত বুধবার পুলিশের আইজি ময়নুল ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই যে সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছিলেন তখন তার কাছে পুলিশ হতাহতের সংখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখনও ‘প্রকৃত সংখ্যা’ নির্ধারণের কাজ চলছে বলে তিনি বলেছিলেন।

    পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুজন বলেন, তারা মনে করেন এখনই পুলিশ নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হলে ফোর্সের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। আর দেশব্যাপী থানার কার্যক্রম না থাকায় সংখ্যাটা সুনির্দিষ্টভাবে বলাও কঠিন।

    আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা না হলেও শুক্রবার রাজারবাগে পুলিশের সদস্যরা বলছেন, তারা শুনেছেন কয়েক হাজার পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর ড্রেনেই পুলিশের শত শত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

    কোথা থেকে এমন সংবাদ পাচ্ছেন, জানতে চাইলে তারা বলছেন, ‘ফেইসবুকে দেখেছেন।’

  19. মাসুদ করিম - ১১ আগস্ট ২০২৪ (১২:৪৮ অপরাহ্ণ)

    Breaking silence after ouster, Sheikh Hasina accuses US & warns interim govt against being ‘used’
    https://theprint.in/world/breaking-silence-after-ouster-sheikh-hasina-accuses-us-warns-interim-govt-against-being-used/2218627/

    In a message to supporters, Hasina, whose govt had strained relations with US for years, says she could have remained in power had she ‘left St Martin & Bay of Bengal to America’.

    Former Bangladesh prime minister Sheikh Hasina, currently taking refuge in India, has broken her silence by accusing foreign powers like the US of playing a hand in her ouster. This comes days after the Indian government said it was analysing the possibility of a “foreign hand” behind the political crisis in Bangladesh.

    “I could have remained in power if I had left St. Martin and the Bay of Bengal to America,” she said in a message conveyed to her Awami League supporters Saturday, seen by ThePrint.

    The Hasina government saw strained relations with the US for many years. Ahead of January’s elections this year, she said “a white man” had offered her a smooth return to power in exchange for an airbase.

    In her latest statement, Hasina, the longest-serving prime minister in Bangladesh’s history, warned the new interim government not be “used” by such foreign powers.

    The 17-member advisory council, which includes four members who lean towards the Bangladesh Nationalist Party (BNP) and three affiliated with the Jamaat-e-Islami, took oath Thursday night. The Bangladesh Parliament was dissolved earlier this week, after army chief General Waker-Uz-Zaman announced Hasina’s resignation shortly after she fled the country.

    “I resigned so that I did not have to see the procession of dead bodies. They wanted to come to power over your (students’) bodies, I did not allow it. I came with power,” read Hasina’s statement.

    “Maybe if I was in the country today, more lives would have been lost, more wealth would have been destroyed,” she added.

    She is also expected to address the media while in India next week.

    Over 300 people died in weeks-long student protests against Hasina. The US, UK Canada and other countries have called for investigations into the deaths of students. With the new interim government in Dhaka, Washington said it hopes it will “chart a democratic future” in Bangladesh.

    Nobel Laureate Mohammed Yunus, leading the new interim government, is believed to have strong ties with the US. In the past, he has held frequent meetings with American diplomats to “bemoan” the state of Bangladeshi politics, according to WikiLeaks cables.

    The US is also Bangladesh’s largest foreign direct investor.

    “Maybe if I was in the country today, more lives would have been lost, more wealth would have been destroyed,” she added.

    She is also expected to address the media while in India next week.

    Over 300 people died in weeks-long student protests against Hasina. The US, UK Canada and other countries have called for investigations into the deaths of students. With the new interim government in Dhaka, Washington said it hopes it will “chart a democratic future” in Bangladesh.

    Nobel Laureate Mohammed Yunus, leading the new interim government, is believed to have strong ties with the US. In the past, he has held frequent meetings with American diplomats to “bemoan” the state of Bangladeshi politics, according to WikiLeaks cables.

    The US is also Bangladesh’s largest foreign direct investor.

    The term ‘Razakar’ is considered to be derogatory in Bangladesh as it refers to ‘volunteers’ who collaborated with the Pakistan Army during Bangladesh’s 1971 war for independence.

  20. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০২৪ (৯:১২ পূর্বাহ্ণ)

    উচিত শিক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
    https://bangla.bdnews24.com/opinion/ef69b49e3416

    বাংলাদেশের অনেকেই এই অভ্যুত্থানের আগে-পরে ভেবেছেন, আমরা কি কেবল ফুটন্ত কড়াই আর জ্বলন্ত উনুনের ভেতর পর্যায়ক্রমিকভাবে স্থানান্তরিত হতে থাকব? কিন্তু তরুণদের এই আত্মনিয়োগ, দেশের প্রতি তাদের জানবাজি রাখা ভালোবাসা, সেই দোলাচল থেকে আমাদের রক্ষা করার আশা জাগিয়ে তুলছে।

    গণঅভ্যুত্থানকে শেষ পর্যন্ত সফল বিপ্লবের মুকুট পরানো যাবে কি না, না কি বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে, তা নির্ভর করছে যারা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করতে পারছেন, কতটা দৃঢ়তার সঙ্গে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারছেন, তার উপর। পুরোপুরি না হলেও, মানুষের প্রত্যাশার কাছাকাছিও যদি এই অভ্যুত্থানের নায়কেরা যেতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থেই সর্বত্র বিপ্লব ঘটে যাবে। সকল ক্ষেত্রে যদি সুনীতি প্রতিষ্ঠা পায়, শৃঙ্খলা ফিরে আসে; যদি মননের দিক থেকে মানুষ নিজেকে পাল্টাতে শুরু করে, অসৎ উপায়ে অর্থকড়ি সঞ্চয়ের পথ থেকে সরে আসে, তাহলে এই বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কাজটি কঠিন, কেননা অভ্যুত্থানের পর কিছুটা সময় ধৈর্য্য ধরে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে নিরলস কাজ করে যেতে হয়।

    আমরা জানি, বিপ্লব, গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজপথ বা রাষ্ট্রীয় দফতরই দখল করে না, শিল্পসাহিত্য ও দৃশ্যমাধ্যমকেও প্রভাবিত করে। সেটাই আমরা প্রত্যক্ষ করছি ৫ অগাস্টের পর থেকে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশ পেয়েছিল এক ঝাঁক কবি-সাহিত্যিককে। পেয়েছিল অগ্নিঝরা দেয়াল-লিখন বা চিকা। একবিংশ শতকের চব্বিশে এসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানেও দেশের মানুষ একধরনের কাব্য পেয়েছে, তবে তা সুরে সুরে। বলছিলাম র‍্যাপসংয়ের বাংলা সংস্করণের কথা। স্বৈরাচারী শাসনের অবসান চেয়ে অনেক র‍্যাপ গান মুক্তি পেতে দেখেছি আমরা এবার। বাণী প্রধান এসব গান অনেকটা বাংলার ছড়াগানের মতোই। সত্তরের দশকে আফ্রিকান-আমেরিকান ও ল্যাটিনো সংস্কৃতি থেকে উদ্ভূত এই গানের সংস্কৃতি দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তকে অনেক আগে প্রভাবিত করলেও, বাংলাদেশে এই অভ্যুত্থানকালে এর প্রভাব ব্যাপকহারে দেখা গেছে। আন্দোলনের সময় র‍্যাপাররা এতটাই প্রভাব বিস্তার করছিলেন যে প্রশাসন পর্যন্ত নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা জানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে উজ্জীবিত করতে ‘আওয়াজ উডা’র‍্যাপ গান রচনা ও গাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় র‍্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুলকে। ১৩ দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। শুধু একটি গান লেখার দায়ে! এ শুধু ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেই সম্ভব।

    র‍্যাপ গান ছাড়া আরো একটি স্বতন্ত্র জিনিসের দেখা মিলেছে এই অভ্যুত্থানের অব্যবহতি সময়ে। রাজধানীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়াল, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সীমানাপ্রাচীরকে আমরা দেখছি গ্রাফিতি, চিত্র ও ক্যালিগ্রাফি দিয়ে সজ্জিত হয়ে উঠছে। সেখানে প্রচার করা হচ্ছে স্বৈরাচারবিরোধী স্লোগান, আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ এবং ভবিষ্যতের দেশ গঠনের মন্ত্র। নব্বইয়ের দশকে রাজনৈতিক কর্মীরা দেয়ালে দেয়ালে চমৎকার সব চিকা মারতেন। এবার দেখা গেল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা রঙের ডিব্বা হাতে উৎসব মুখর হয়ে সাজিয়ে তুলছে শহর, ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের প্রাণে প্রস্ফূটিত রক্তজবার কাব্য। রাজপথ ও রাষ্ট্রযন্ত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ তো তারা করছেনই।

    এই অভ্যুত্থান চলাকালে এবং চূড়ান্ত দাবি সফল হওয়ার পর আরো একটি বিষয় আমরা পেয়েছি বিপুল হারে। সেটা হলো দৃশ্যমাধ্যমের আধেয়। অজস্র-অর্বুদ সেসব আধেয়তে আন্দোলনকারীদের নানামুখী তৎপরতার দেখা যেমন আমরা পেয়েছি, তেমনি পেয়েছি কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সঞ্জীবনী সঙ্গীতের ব্যবহারে, একনায়কতন্ত্র হটানোর আন্দোলনে তরুণদের সামিল হওয়ার আহ্বান। ছোট ছোট নাটিকার দেখাও মিলেছে আন্দোলনের পক্ষে। এই আধেয়গুলো সম্ভব হয়ে উঠেছে, কোনো সন্দেহ নেই, তরুণ সমাজ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্যের আধেয় বা কন্টেন্ট তৈরিতে পারদর্শী হয়ে উঠেছিল বলেই। ভাবতে অবাক লাগে, কয়েক সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন বানাতে যেখানে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর একগাদা লোকের দরকার হয়, সেখানে এরা একাই স্ক্রিপ্টিং-শুটিং-এডিটিং-এক্টিং করে কয়েক সেকেন্ডে বুঝিয়ে দিতে পারেন নিজের বক্তব্য।

    সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের কাজে এসব শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব কাজ মানুষের ভেতর মতামত গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে কাজের কাজ হবে যদি এই সৃজনশীল, তারুণ্যের শক্তিতে ভরপুর শিক্ষার্থীদের আমরা রাষ্ট্রগঠনে সরাসরি সুযোগ করে দিতে পারি। এমন হতে পারে— শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই প্রত্যেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করবেন। মেয়াদ শেষে কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি সুপারিশপত্র জমা দেবেন। সেই আলোকে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা সাজানো হবে। তাদেরকেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ধন্যবাদসূচক কিছু একটা দেওয়া যেতে পারে। এতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জবাবদিহিতার একটি সুন্দর ব্যবস্থা তৈরি হবে। তখন বড়রা চাইলেই দুর্নীতি, লুটপাট, চুরিচামারি করতে পারবেন না। আর সম্মিলিত শক্তি হিসেবে শিক্ষার্থীরা যেহেতু প্রমাণিত, তাই তাদের উপস্থিতিতে অনিয়ম করার সাহস সহজে কেউ পাবেন না।

    এই শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী বা ক্যাডার নন। কিন্তু আমার বিবেচনায় সত্যিকারের রাজনীতিটা এরাই করছেন, এরাই শিখিয়ে দিচ্ছেন রাজনীতির মূল কাজ কি হওয়া উচিত— সেটি হলো দেশসেবা, দেশের মানুষের সেবা। নিঃস্বার্থভাবে, ঘরের খেয়ে রাজপথে এসে যেভাবে তারা অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশকে ঢেলে সাজানোতে মনোযোগ দিয়েছেন, তা থেকে যদি তথাকথিত রাজনীতিবিদরা কিছু না শেখেন, তাহলে তাদের জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়বে। টিকে থাকতে হলে, আখের গোছানোর রাজনীতি তাদের ভুলে যেতে হবে।

    গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রের শিরা-উপশিরায় দুর্নীতি দেখতে দেখতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভেতর বিবমিষা জেগে উঠেছিল, তারা কিছুটা হতাশও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই প্রজন্ম, যাদেরকে জেন-জি বলে সম্বোধন করা হচ্ছে, তারা অন্ধকার টানেলের শেষ প্রান্তে আশার আলো দেখাল। এটা ঠিক, বাংলাদেশের অনেকেই এই অভ্যুত্থানের আগে-পরে ভেবেছেন, আমরা কি কেবল ফুটন্ত কড়াই আর জ্বলন্ত উনুনের ভেতর পর্যায়ক্রমিকভাবে স্থানান্তরিত হতে থাকব? কিন্তু তরুণদের এই আত্মনিয়োগ, দেশের প্রতি তাদের জানবাজি রাখা ভালোবাসা, সেই দোলাচল থেকে আমাদের রক্ষা করার আশা জাগিয়ে তুলছে। দিনরাত যেভাবে তারা কষ্ট স্বীকার করে কাজ করে যাচ্ছেন, তা অভূতপূর্ব, অসাধারণ।

    শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সকলে যে শিক্ষা নিচ্ছেন, তা অবশ্য নয়। যেমন রাস্তাঘাটে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, রোদ-বৃষ্টির ভেতর বাচ্চারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে যাচ্ছে, আর পাশেই পুরোনো রাজনৈতিক দলের জায়গা দখল করে, আরেক রাজনৈতিক দল ব্যানার টাঙিয়ে বসেছেন। সেখানে বসে অকর্মণ্যগণ চা-বিড়ি পান করে চলেছেন, আর নজর রাখছেন বাচ্চাদের দিকে। এরা ভাবছেন, কখন পোলাপানগুলো পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে, আর তখনই তারা জলদি জলদি আবার চাঁদাবাজি আর উছৃঙ্খলতা শুরু করে দেবে। তাদের এই আশায় গুড়ে বালি!

    আমার মনে হয়, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেবারও ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে তারা হাতেকলমে কাজ করেছিলেন। কিন্তু সড়ক ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগের নৈরাজ্যে ফিরে গিয়েছিল রাজধানী। তাই এবার আর সহজে রাজপথ ছেড়ে যাচ্ছেন না তারা। এবার রাস্তায় শৃঙ্খলা তো আনবেনই, পাশাপাশি বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে নয়ছয় খেলা হচ্ছিল, সেটারও বিহিত করে ছাড়বেন। মানুষের দম আটকে যাচ্ছিল জিনিসপত্রের লাগামহীন দামের জন্য। এবার বোধহয় কিছুটা স্বস্তি নেমে আসবে। যেখানেই দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের শঙ্কা আছে, সেখানেই শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে নিয়ম করে হানা দিচ্ছেন। অথচ ভেবে দেখুন এসব করার জন্য কত হাজার কোটি টাকা খরচ করে সরকারের তরফ থেকে শতশত মনিটরিং কমিটি, হেনতেন তৈরি করা হয়েছিল। এরা এতদিন কিছুই করেনি, বা করতে পারেনি। মাঝখান থেকে লাভবান হয়েছে মুনাফাখোরেরা, আর ভুক্তভোগী হয়েছে জনগণ।

    আরেকটু পিছিয়ে গেলে দেখব, ২০১৫ সালেও কিন্তু শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছিল ক্ষোভ জানাতে, বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ব্যয়ভারের ওপর ১০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেন। শিক্ষার্থীরা তখন শুরু করেন ‘‌নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ আন্দোলন। সেই আন্দোলনও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছিল। তারপরও সেটি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের মতো দাবিতে গড়ায়নি। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনও রাজপথ থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছিল সরকার।

    কিন্তু এবার যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক দফায় গিয়ে ঠেকেছে, তার পেছনের মূল কারণটি ছিল আন্দোলন দমনে শতশত ছাত্রকে হত্যা, আর ছিল বিগত দেড় দশকে সাধারণ মানুষের মনের জমা হওয়া পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। বলতে গেলে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থাই আদতে নিজের কবর খুঁড়েছে নানা সময়ে শোষণ ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে। শিক্ষার্থীরা বারবার রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন এবং এই আন্দোলন করতে করতেই তারা শিখেছেন কেমন করে স্বৈরাচারকে বিদায় জানাতে হয়। আশা রাখি, এবার অন্তত বড়রা উচিত শিক্ষা গ্রহণ করবেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

  21. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০২৪ (৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ)

    পত্রিকায় আসা শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিবৃতি বানোয়াট: জয়
    https://bangla.bdnews24.com/politics/3d15fc519e0e

    “আমি তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা পরে কোনো বিবৃতি দেননি,” লিখেছেন জয়।

    বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে তার পদত্যাগের যে খবর একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে, তা ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

    রোববার মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি একটি পত্রিকায় আমার মাকে উদ্ধৃত করে তার পদত্যাগের যে বিবৃতি ছাপা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা পরে কোনো বিবৃতি দেননি।”

    ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট রোববার ওই প্রতিবেদনে লিখেছে, দেশে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন, মানুষেরর মৃত্যু এবং সম্পদহানি ঠেকাতেই তিনি সরে গেছেন।

    শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। আপনাদের বিজয়ে আমি (ক্ষমতায়) এসেছিলাম, আপনারা ছিলেন আমার শক্তি। আপনারা যখন আমাকে চাননি, আমি তখন নিজে থেকে সরে গেছি, পদত্যাগ করেছি।”

    এর আগে শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, “আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। সেই সময়ই তিনি পাননি।”

  22. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০২৪ (১০:১৫ পূর্বাহ্ণ)

    শেখ হাসিনা ‘পদত্যাগ’ করেছেন, উপদেষ্টা পরিষদ ‘নিশ্চিত’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/4d6d7a65b02e

    আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ভারত থেকে ফেরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “আইন মন্ত্রণালয় যদি বলে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেন, আমি দেব। পররাষ্ট্র সচিব একটা চিঠি পাঠিয়ে দেবেন।”

    দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করেছেন, সেটির বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

    গণ আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ‘কাগজেকলমে পদত্যাগ’ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে রোববার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমি যেটুকু জানি, সেটা আপনাকে বলছি। কাউন্সিলের মিটিংয়ে আমি যেটা জানতে পেরেছি, সেটা হল যে, তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে আছে।

    ”এটুকু তথ্য কনফার্ম করা হয়েছে। তারপরে বাকিটুকু আমি বলতে পারব না।”

    পদত্যাগের কাগজপত্রের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশ্ন করে হয়ত জানতে পারবেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অনুমোদনের পর তার ফাইনাল কাস্টডিয়ান হচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।”

    ‘হত্যাকাণ্ডের’ বিচারের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর পদক্ষেপের বিষয়ে এক প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটা আমার বিষয় না। আইন মন্ত্রণালয় যদি বলে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেন, আমি দেব। পররাষ্ট্র সচিব একটা চিঠি পাঠিয়ে দেবেন।”

    সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন অগাস্টের শুরুতে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। জেলায় জেলায় সহিংসতায় মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রায় তিনশ মানুষের প্রাণ যায়।

    এরইমধ্যে ৫ অগাস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লংমার্চের মধ্যে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর আসে। সেদিন বিকালে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিকদের বলেন, পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রথমে হেলিকপ্টর ও পরে সামরিক বিমানে চড়ে আগরতলা হয়ে সেদিন রাতেই দিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের টানা ১৫ বছরের প্রধানমন্ত্রী। এখনও তিনি সেখানেই আছেন।

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর রোববার নিজের প্রথম ব্রিফিংয়ে সূচনা বক্তব্যে তৌহিদ হোসেন বলেন, “পাশ্ববর্তী দেশে (অন্তর্বর্তী) সরকারকে যেভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে, এটার কোনো মানে নাই।

    “এ সরকার একেবারে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে বদ্ধপরিকর। কারও সাথে আমরা খারাপ সম্পর্ক রাখতে চাই না। আমরা যেমন ভারতের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখব, চীনের সাথেও ভালো রাখব। আমরা এটা করে আসছি, আমরা সেটা মেনটেইন করেছি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও ভালো সম্পর্ক চাই।”

    তিনি বলেন, “আমাদের অন্যান্য অংশীদার যারা আছে, ইউরোপ বলেন বা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বলেন, পূর্বএশিয়া বলেন- আমরা সবার সাথে স্মুথ এবং ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। এবং এটা আমরা ইনশাআল্লাহ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।”

    প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রথম বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাকে উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মত বিদেশি শক্তির হাত আছে। “সেন্ট মার্টিন আর বঙ্গোপসাগর আমেরিকার হাতে ছেড়ে দিলে আমি ঠিকই ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।”

    যুক্তরাষ্ট্রকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দেওয়ার বিষয়ে এমন অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, “আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, আমি এই রকম কোনো অঙ্গীকার করি নাই। আর আমার খুব সন্দেহ হয় যে, রাস্তার ছাত্ররা এই অঙ্গীকার করেছে আমেরিকার কাছে। খুবই আনলাইকলি।

    ”এটা আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি না। আমি শুধু আপনাকে বলতে পারি যে, বর্তমান যে উপদেষ্টা পরিষদ আছে, তারা কিন্তু ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার কেউ চেষ্টা করবে না, এটা আমি বলতে পারি।

    ”তাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেটুকু আছে, তারা এই কাজটা করবে না বলে আমি মনে করি। আমি এক্ষেত্রে ভুল হয়ে যাই কি-না, এটা পরের কথা।”

    বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সোনালী অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    সেই ‘সোনালী অধ্যায়’ এখনও আছে কি না, এমন প্রশ্নে সাবেক কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি যেটা মনে করি, দুই সরকারের মধ্যেও আসলে খুব ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। আমরা জানি সেটা। এবং আমি আমার লেখায়, কথায় বিভিন্ন সময় বলেছি, অনেককে বলেছি সেটা।

    “এখানে ব্যত্যয় যেটা ছিল, ঠিক মানুষের মাঝে কতটুকু যে সোনালী অধ্যায় চলছিল, মানুষের মনে সম্পর্কের ব্যাপারে, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।”

    তিনি বলেন, “আমি চেষ্টা করব, সম্পর্কটাতো শুধু দেশের মধ্যে না, সরকারের মধ্যে না, দুদেশের সার্বিক যে অস্তিত্ব, তার মধ্যে মানুষ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যেন ভাবে যে ভারত আমাদের খুব ঘনিষ্ট বন্ধু। আমরা এটাই চাই।

    “বাংলাদেশের মানুষ যেন ভাবে, ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু। আমরা সেদিকে সম্পর্কটাকে নিয়ে যেতে চাই এবং আমরা চাইব ভারত আমাদেরকে সেটাতে সহযোগিতা করুক।”

    আমিরাতে থাকা বন্দিদের ফেরানোর উদ্যোগ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গ্রেপ্তার ও শাস্তি পাওয়া প্রবাসীকর্মীদের ফেরানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সর্বোচ্চ’ পর্যায় থেকে চেষ্টা চালানোর কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

    তিনি বলেন, “কিছু কিছু মিশনে কিন্তু মিছিল-সমাবেশ হয়েছে, এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে। তার মধ্যে দুঃখজনকভাবে একটি দেশে ইউএইতে আমাদের কিছু কর্মীকে শুধু আটক নয়, জেলও দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়টা আমরা গভীরভাবে দেখছি, যাতে তারা কোনোভাবেই সাফার না করে, সেটা চেষ্টা করা হচ্ছে।

    “আমি আশা করছি যে, আজকে-কালকের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সাহেব সম্মতি দিয়েছেন যে উনি নিজে কথা বলবেন তাদেরি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে, যাতে করে তারা এই সহায়তাটা পেতে পারেন। তাদেরকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়, কোনো রকমের শাস্তি ছাড়া।”

    মুক্ত করার পরবর্তীতে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “তারপর বাকিটুকু আমরা হয়ত তাদেরকে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। উনি নিজে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন, চেষ্টা করবেন যাতে তাদেরকে শাস্তির সম্মুখীন হতে না হয়।

    “তারা স্থানীয় আইনের হয়ত ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, সেজন্য দেশকে হয়ত দোষারোপ করতে পারি না। তাদের আইনে আছে সে অনুযায়ী তারা কাজ করেছেন। কিন্তু তাদের যে একটা সেন্টিমেন্ট, যে কারণে তারা এটার পক্ষে এসেছে, তখন তারা আইনকানুনও হয়ত ভুলে গিয়েছিল। সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যাতে তাদেরকে মুক্ত করতে পারি।”

  23. মাসুদ করিম - ১৩ আগস্ট ২০২৪ (৫:০১ পূর্বাহ্ণ)

    Pakistan arrests former spy chief
    https://www.ft.com/content/6712b3e4-6959-4a6b-8311-922cf0ed9cca

    Faiz Hameed becomes first ex-director of intelligence agency to face court martial

    Pakistan’s army has arrested the former director of its powerful spy agency, Faiz Hameed, and has begun proceedings against him, making him the first-ever spymaster to face a court martial in Pakistan’s 77-year history.

    The military on Monday said Hameed, who headed the Inter-Services Intelligence agency, is charged with violating the terms of his retirement from the armed forces, and faces additional charges over his involvement in a land development issue.

    “Complying with the orders of Supreme Court of Pakistan . . . the process of Field General Court Martial has been initiated and Lt Gen Faiz Hameed (Retd) has been taken into military custody,” the army said.

    Pakistan’s military has ruled the country outright for half of its post-independence history, and its powerful intelligence service maintains considerable sway over domestic politics.

    Senior leaders of the ruling Pakistan Muslim League-Nawaz party had for years claimed Hameed, who led the spy agency from 2019 to 2021, fostered close ties with the jailed former prime minister Imran Khan while both were in power.

    They also claimed Hameed engineered the downfall of three-time former prime minister Nawaz Sharif in 2018. He has denied both accusations.

    Analysts said it was rare for senior generals to face legal proceedings.

    In an apparent show of bravado shortly after the military released its statement, the ruling party tweeted a picture of Sharif with the caption “I leave my decision to Allah!”

    Hameed rose to global prominence after he was seen on video drinking tea with the Taliban in Kabul’s Serena Hotel shortly after the militant group took over Afghanistan in August 2021, in a sign of the ISI’s links with the group that has battled the US and its allies.

    “The military looks to be making an example of Faiz, showing that it takes accountability seriously, even when it comes to one of its own,” said Michael Kugelman, a fellow at the Wilson Center in Washington DC.

    “Sending this message to Pakistanis these days is strategic, as it’s a moment when anti-army sentiment runs high within the public.

    “But Faiz’s known closeness to Imran Khan looms large. This may be a case of a push for accountability being used as a pretext to send a tough message to Khan’s allies — including those in the military.”

    In the land development case, Hameed is accused of ordering a raid on the office of a housing society executive and other abuses of power while in office.

    A written order in a November 2023 hearing of that case against Hameed said the accusations against him, which date back to 2017, “are of an extremely serious nature, and if true, undoubtedly would undermine the reputation of the federal government, the Armed Forces, ISI and Pakistan Rangers [paramilitary law-enforcement body], therefore, they cannot be left unattended”.

  24. মাসুদ করিম - ১৫ আগস্ট ২০২৪ (৭:০০ পূর্বাহ্ণ)

    Ambassador Morshed: A tribute
    https://www.dhakatribune.com/bangladesh/people/334604/ambassador-morshed-a-tribute

    Ambassador AKH Morshed was an iconic diplomat, a shining star in the diplomatic firmament of Bangladesh. Born in 1932, he passed away on November 23, 2023, after a fulfilling life spread over 91 years. In his passing, the nation has lost an outstanding diplomat of exceptional calibre and a patriot who has made an enormous contribution to protecting and preserving the national interests of Bangladesh.

    Ambassador Morshed joined the erstwhile Foreign Service of Pakistan in 1957 with the distinction of securing first place in the combined examinations for the Civil Services of Pakistan. Incidentally, academic excellence has been his hallmark all along. I gather that in his early school and college days in Calcutta St. Xavier’s, he was always a source of pride to his teachers and, unsurprisingly, also a source of envy for his competitor class fellows for sweeping all class prizes as the top student. This is a tradition he upheld all through his academic pursuits, whether at St. John’s College, the University of Oxford, Harvard Law School, or while studying Barrister-at-Law to be called to Bar at Lincoln’s Inn. It is a testimony to his talent and intellectual competence that in 1960, very early in his career as a young diplomat, he was called upon to join as an Adviser to the Indus Commission under the Indus Waters Treaty between India and Pakistan.

    In 1972, he joined the fledgling Ministry of Foreign Affairs in the newly emerged sovereign Bangladesh. I have had the privilege of serving with him during the formative years of the Ministry. As Director of the Foreign Minister’s Office, I had the opportunity to witness from a close proximity his participation, interactions, and contribution in the various strategic sessions devoted to the formulation of our foreign policy objectives and strategies to pursue those. With his profound wisdom, unparalleled legal acumen, matchless drafting ability and immense diplomatic skill, Ambassador Morshed significantly contributed to the laying of a solid foundation for the Foreign Ministry as the pivotal institution entrusted to uphold the sovereignty of a newly emerged nation, an everlasting foundation that has stood the test of time. During this early period and beyond, he was looking after our relations with South Asian countries as Director General, South Asia Division; simultaneously, he served as a member of the newly formed Indo-Bangladesh Joint Rivers Commission. He was also the Legal Expert for the Ministry. A grateful nation will remember the immense contribution he made in these capacities in formulating our foreign policy strategy to safeguard our vital national interests.

    A notable aspect of Ambassador Morshed’s character that impressed all who came into contact with him was the ease with which he carried the heavy burden of his knowledge and, more importantly, the humility with which he did so in a self-effacing manner.

    Later in the 1980s, Ambassador Morshed served the nation with equal distinction as Additional Foreign Secretary. I had the privilege and honour then to serve with him again for a considerable period in the Ministry as Director General, South Asia Division, looking after our relations with South Asian countries and also as a member of the Indo-Bangladesh Joint Rivers Commission. We, in the South Asia Division and the Joint Rivers Commission, inherited and immensely benefited from his insightful analysis on issues affecting our vital interests and strategies to safeguard our national interests.

    In later years, Ambassador Morshed effectively represented Bangladesh as our principal representative and negotiator in the UN Water Conference as well as in the Conferences on Non-Navigational Uses of International Water Courses and the United Nations Convention on the Law of the Sea. In these negotiations, he made a significant contribution to upholding our national interests in these vital areas. He also made a praiseworthy contribution in developing the legal framework for the management of international watercourses and the rights of co-riparian states, as well as for the use and protection of the sea and marine environment, which earned him an international accolade.

    Ambassador Morshed also served the nation with remarkable distinction as the top diplomatic assignment in the country, the Foreign Secretary of Bangladesh.

    A decade later, as Foreign Secretary, I had the privilege of serving once again with him in the Ministry when, after his retirement from the diplomatic service of Bangladesh, he was still advising the Ministry as a Legal Adviser. I have many happy and highly educative memories of working with him. In the discharge of my onerous duties, I have benefited immensely from his wise advice and counsel. However, I would be remiss if I did not mention an amusing protocol-related difference of views that I had with him frequently. For official consultations, I used to visit him in his office room. Every time I did that, he would invariably remonstrate that the protocol stipulated that instead, I should ask him over to the room of the Foreign Secretary, a view I would always politely decline to accept. This was one piece of advice of his—it may be the only one—I never acted upon. To my discomfort, I also found myself being addressed as “Mr. Foreign Secretary” instead of his more affectionate and intimate address of “Shafi” of earlier days. I never succeeded in persuading him to change that mode of address, but then I reckoned that politesse and etiquette were ingrained qualities of Ambassador Morshed deeply embedded in his nature. He was a quintessential gentleman.

    My wife, Saiqa, and I join his numerous friends and countless admirers in praying to Allah, in His infinite mercy, to grant the soul of this noble man an abode in Jannatul Firdous. To his son, Waleed, daughters Lamiya and Fazeela, his grandchildren, and all other family members, we convey our deepest condolences. We pray to Allah to give all the members of the bereaved family the strength and fortitude to bear this irreparable loss.

  25. মাসুদ করিম - ১৫ আগস্ট ২০২৪ (৭:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    Comment by Russian Foreign Ministry Spokesperson Maria #Zakharova on the danger of destabilization of the situation in Bangladesh

    The attempts to further destabilize the situation in Bangladesh along the lines of the Arab Spring are likely.
    8:26 PM · Dec 17, 2023
    https://x.com/RussEmbDhaka/status/1736392514603466911
    https://t.me/rusembbd/9428

    Comment by Russian Foreign Ministry Spokesperson Maria Zakharova on the danger of destabilization of the situation in Bangladesh

    December 15, 2023

    On December 12-13, opponents of the incumbent government blocked road traffic, set buses on fire and clashed with the police in a number of districts in Bangladesh. We see a direct link between these events and instigating activities of Western diplomatic missions in Dhaka. In particular, of US Ambassador Peter Haas, as we already mentioned at the briefing on November 22.

    There are serious grounds to fear that in the coming weeks an even wider arsenal of tools for pressure, including sanctions, may be used against the unfavorable to the West Bangladeshi government. Key industries may come under attack, as well as a number of officials who, without evidence, may be accused of obstructing the democratic expression of the citizens’ will in the upcoming parliamentary elections on January 7, 2024. In case the USA is not satisfied with the results of the people’s vote, the attempts to further destabilize the situation in Bangladesh along the lines of the Arab Spring are likely.

    Unfortunately, there is little chance that Washington will come to its senses and refrain from another rude interference in internal affairs of a sovereign state. However, we are confident that despite all the external scheming, eventually it will be the friendly people of Bangladesh and no one else who will decide the issue of power in Bangladesh.

    https://x.com/i/bookmarks?post_id=1823800973397020778

  26. মাসুদ করিম - ১৬ আগস্ট ২০২৪ (৬:৪৫ অপরাহ্ণ)

    Protesters attack supporters of ousted Bangladesh PM in Dhaka
    https://www.theguardian.com/world/article/2024/aug/15/protesters-attack-supporters-ousted-bangladesh-pm-dhaka-sheikh-hasina

    Hundreds of students and activists prevent Sheikh Hasina followers from visiting her father’s former house

    Hundreds of student protesters and political activists armed with bamboo sticks, iron rods and pipes have assaulted supporters of the ousted Bangladeshi prime minister, Sheikh Hasina, and prevented them from reaching the former house of her father, the assassinated independence leader, Sheikh Mujibur Rahman, in Dhaka.

    The house in the Dhanmondi area of the capital was turned into a museum to showcase narratives and other objects about a military coup on 15 August 1975, when Rahman was killed along with most of his family members. The house, now called Bangabandhu Memorial Museum, was torched by the protesters hours after Hasina’s downfall on 5 August following an uprising during which more than 300 people were killed.

    Rahman is fondly called Bangabandhu (friend of Bengal). Thursday is the anniversary of his death, and Hasina, now self-exiled in India, urged her supporters to commemorate the day by paying respects to him. Previously, 15 August was a public holiday and was observed as a national mourning day by Hasina’s administration.

    But that has been cancelled by the interim government led by the Nobel laureate Muhammad Yunus after the ousting of Hasina, who survived in 1975 along with her younger sister because they were visiting Germany.

    On Thursday, the protesters attacked Hasina’s supporters who attempted to get to the site, manhandling many and checking the visitors’ phones and identity cards. Journalists were threatened for filming at the scene, witnesses said.

    Another group of protesters on Thursday chanted “Naraye Takbeer, Allahu Akbar” (“Allah is great, shout of Allah is great”) as they marched through streets in the area where the museum site remained blocked with barbed-wire fences.

    The protesters, who first arrived at Rahman’s house on Wednesday, attacked a prominent actor as she, along with dozens of Hasina’s supporters, reached there to light candles as part of the commemoration.

    They held a party overnight using loudspeakers and playing songs as they danced outside the museum, which was set on fire during the anti-government demonstrations earlier this month. Videos of the party went viral on social media.

    The protesters said they were out to stop the gathering of Hasina’s supporters as they could attempt to create chaos in the name of commemoration.

    Sarjis Alam, an organiser of the student protests, said that they would continue to demand the trial of Hasina as he led a rally on Thursday in Dhaka’s Shahbagh area. Asked about the harassment of journalists by the students and other activists outside the museum, he said he would inquire about that but gave no details.

    In the past, large gatherings took place on the premises of the museum, seen by many as a source of inspiration. Hasina had asked supporters earlier this week to “pray for the salvation of all souls by offering floral garlands and praying” outside the museum, in her first public statement since her departure.

    With no police in sight, the chaos continued in Bangladesh’s capital throughout Thursday.

    Sam Jahan, a video journalist for Reuters, spoke out against the harassment in a Facebook post. “It is fair enough what you, the political activists, student protesters want to achieve, politically. But when you try to stop my rolling camera, resisting the freedom of the press and when you manhandle my colleagues, I will speak up,” Jahan wrote.

    The country’s leading English-language Daily Star newspaper said its journalists faced trouble at the scene and were forced to delete photos and videos.

    Mujib Mashal, the south Asia bureau chief of the New York Times, said in a video post on X that it was “complete mob rule”.

    “The victims of yesterday are perpetrators of today; men armed with clubs and pipes (many identified themselves as BNP and Jamaat) thrashing and chasing away anyone they suspect of being Awami League,” he said.

    The protesters have been demanding Hasina go on trial for the killings during weeks-long violence and cases have already been filed against her and other close party colleagues and top police officials.

    More than 300 people were killed in unrest that started in July with protests against a quota system for government jobs that later morphed into a movement against what was considered Hasina’s increasingly autocratic administration. The uprising eventually forced Hasina to leave office and flee to India, ending her 15-year rule.

    Yunus took over as the interim leader. Sixteen people, including two student protest leaders and others, drawn mainly from civil society, have been included in the interim cabinet.

    Yunus chose the new cabinet members after talks between student leaders, civil society representatives and the military.

  27. মাসুদ করিম - ১৭ আগস্ট ২০২৪ (৬:০৪ পূর্বাহ্ণ)

    মুজিবনগরে তাণ্ডবের বলি মুক্তিযুদ্ধের ৩০০ ভাস্কর্য
    https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/c88acff9d54e

    “৫ অগাস্ট হঠাৎ করে মেইন গেইটের সামনে হাজার হাজার মানুষ আসে। গেইটের তালা মারা ছিল; তখন যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারাও সতর্ক অবস্থানে ছিল।”

    ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল থেকে এসে একদল লোক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসগাথা মেহেরপুরের মুজিবনগরের তিনশ ভাস্কর্য ধুলায় লুটিয়ে দিয়েছে। যে ভাস্কর্যগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা বলত, সেখানে আজ শুধুই ধ্বংসস্তূপ।

    মুক্তিযুদ্ধ আর ভাস্কর্যের প্রতি প্রবল ঘৃণা-ক্ষোভ ছাড়া এমন কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয় বলে মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেছেন। তারা এর পেছনে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির ‘হাত’ দেখছেন।

    বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান মেহেরপুরের ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স’। সেখানকার ধংসস্তূপে ভাস্কর্যগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। একসময় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হওয়া মুজিবনগরের আম্রকানন এখন জনমানবহীন।

    ঐতিহাসিক এই ভাস্কর্যগুলি ভেঙে ফেলায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে অনেকেই। সেই সঙ্গে দ্রুত এই ভাস্কর্যগুলো পুনর্নির্মাণ করে মুজিবনগরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    ভাঙচুরের ১০ দিন পর ১৫ অগাস্ট মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে গিয়ে আনসার সদস্যদের দেখা গেল। সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন সহিংসতার কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকায় তারা এতদিন নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন না। বুধবার থেকে তারা আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন বলে কথা বলে জানা গেছে।

    ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স’ আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার জন্য কমপ্লেক্সে একটি বিশাল স্মৃতি মানচিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টরের ঘটনাবলির ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছিল।

    তার মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের চিত্র, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগরে প্রথম সরকারের শপথ, গার্ড অব অনার, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ চুক্তি, তেলিয়াপাড়ায় সেক্টর কমান্ডারদের গোপন বৈঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও নারীদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি, শরণার্থী হিসেবে দেশত্যাগ এবং সেক্টর অনুযায়ী যুদ্ধ।

    এখন সেখানে যতদূর চোখ যায়, শুধুই ধংসস্তূপ। মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল।

    যা ঘটেছিল সেদিন

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারো বিক্ষুব্ধ মানুষ মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে হানা দেয়। পরে দেশীয় অস্ত্র, বাঁশ, রড ও হাতুড়ি নিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে ‘মুজিব ভাস্কর্য ভাঙ্গ’- স্লোগান তুলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ৩০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য একে একে ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলে। তখন জনআক্রোশের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে যান নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা।

    মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা জানান, বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে কমপ্লেক্সের ফটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর গেইট টপকে ভেতরে ঢুকে আনসার সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফটক খুলে ফেলে। এরপর তারা ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুর করে কমপ্লেক্সের ভেতরে লুটপাট চালায়।

    মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা ১৪ আনসার ব্যাটলিয়নের সুবেদার রবিউল ইসলাম বলছিলেন, “৫ তারিখে হঠাৎ করে আমাদের মেইন গেইটের সামনে হাজার হাজার মানুষ আসে। গেইটে তালা মারা ছিল; তখন যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারাও সতর্ক অবস্থানে ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা আমার অনুমতি ছাড়া গেট খুলতে পারছিল না। পরে গেটের সমানে আসা লোকজন আগুন ধরিয়ে ভয়-ভীতি দেখায়; গেইট খুলতে বলে। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা দরজা না খেলায় কয়েকজন দরজা টপকে আসে এবং নিরাপত্তা কর্মীদের গলা চেপে ধরে।

    “তারা নিরাপত্তা কর্মীদের বলে যে, তোরা গেট খুলবি? যদি আমাদের খুলে নিতে হয়, তাহলে তোদের শেষ করে দিব। এভাবে আধাঘণ্টা তারা হুমকি-ধামকি দেয়। কিন্তু তখনও গেইট খোলেনি। আমি তখন জাদুঘরে আমার রুমেই ছিলাম। এক পর্যায়ে আমি দৌড়ে যাই…. অবস্থা খারাপ দেখে নিরাপত্তা কর্মীদের গেইট ছেড়ে দিতে বলি। পরে আমরা অস্ত্র নিয়ে নিরাপদে চলে যাই।”

    রবিউল বলেন, “তারা বিভিন্ন অস্ত্রপাতি নিয়ে ভেতরে আসে… যেহেতু মূর্তিগুলো ওপেনই ছিল এগুলো তারা ভাঙচুর করে। তবে জাদুঘর, অডিটরিয়াম আর বিআরটিসির দুটা বাস রক্ষা করতে পেরেছি। হামলাকারীরা বারে বারে আমাদের ওপরে চড়াও হয়ে আসছিল মারার জন্য। পরে আমার নিরাপত্তা কর্মীরা ইউনিফর্ম পরে এগিয়ে গেলে তারা দ্রুত চলে যায়।”

    তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তর্জনী উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ভাস্কর্যটির মাথা ও হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার ভাস্কর্যটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।

    “এ ছাড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। রক্ষা পায়নি ঢাকা মেডিকেলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, হার্ডিং ব্রিজ, জগন্নাথ হলের আদলে তৈরি ভাস্কর্যও।”

    সুবেদার রবিউল বলেন, “অতি উৎসাহী এই লোকগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ভাঙচুর করলেও পাকিস্তানের সেনাদের যে ম্যুরালগুলো আছে সেগুলো ভাঙেনি। মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্বাধীনতার ঐতিহ্য ও প্রতীক। এটা দেশের সম্পদ। এখানে এমন ধংসযোগ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।”

    এখন নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন প্রশ্নের জবাবে সুবেদার রবিউল ইসলাম বলেন, “এখন নিরাপত্তা আগের চাইতে বেশি আছে। আমি নিজেও রাতে-দিনে বেশ সজাগ থাকছি। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই।”

    মুজিবনগর কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ মল্লিক বলেন, “৫ অগাস্ট একদল দুর্বৃত্ত আসলো, গেইট ভাঙল। তখন ইউএনও, থানায় ফোন করা হলো কিন্তু কেউ ধরলো না। হামলাকারীরা ভাস্কর্য ভেঙে তারপর লুটপাট করে নিয়ে গেছে।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সহিংসতা চালানোর সময় ১০০ গজ দূরত্বের মধ্যে থাকা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, উপজেলা প্রশাসনের কেউ এগুলো রক্ষায় এগিয়ে যায়নি। তাদের মোবাইল ফোনে বারবার জানানো হলেও কেউ সাড়া দেননি।

    যেভাবে গড়ে উঠে মুজিবনগর

    ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা (বর্তমান মুজিবনগর) বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। আর সেই ইতিহাসকে জীবন্ত করতে নির্মাণ করা হয়েছে শত শত ভাস্কর্য ও ম্যুরাল। যা দিয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধ যে কারো চোখের সামনে ধরা দেয়।

    ১৯৮৭ সালে এইচ এম এরশাদ সরকারের আমলে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে এর কাজ শেষ হয়। আওয়ামী লীগ সরকার পরবর্তীতে স্থানটি সম্প্রসারিত করে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে ম্যুরাল ও ভাস্কর্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

    মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দর্শনীয় স্থান মুজিবনগরের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে জাতির কাছে তুলে ধরতে এখানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সাড়ে ৫০০ ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধকে জীবন্ত করে তুলে ধরা হয়েছিল।

    ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধকে পরিচালনার জন্য দেশের প্রথম সরকারের শপথ ও সেই সরকারকে গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানসহ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে।

    মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী এখানে আসতেন মুজিবনগর তথা মুক্তিযুদ্ধকে জীবন্ত দেখার জন্য। এই কমপ্লেক্সের সব ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর।”

    মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আব্দুল মালেক বলেন, “মুজিবনগর স্মৃতি মানচিত্রের ভাস্কর্যগুলো যারা ভেঙেছে তারা খুবই ঘৃণিত ও অন্যায় কাজ করেছে। মুজিবনগরের ঐতিহাসিক অবদান আমাদের স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা, সার্বভৌমত্ব সবই দিয়েছে।

    “দুষ্কৃতকারীরা মুজিবনগর গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে। অথচ পাকিস্তানি বাহিনীর ধংসষজ্ঞের কিছু ভাস্কর্য না ভেঙে হামলাকারীরা তাদের পরিচয় দিয়ে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি প্রবল ক্ষোভ না থাকলে কেউ এটা করতে পারে না। এটা তারাই করেছে।”

    যা বলছেন দর্শনাথী ও স্থানীয়রা

    চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া শারমিন বলেন, “এই ধংসস্তূপ দেখে খুবই খারাপ লাগছে। কান্না পাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তাই কদিন আগেও এসেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে জীবন্ত করে তোলা মুজিবনগরে। কিন্তু আজ এসে দেখলাম, সেই ভাস্কর্যগুলোর সবই মৃত।”

    পেশায় ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া খলিসাকুণ্ড এলাকার আবু আক্তার মুজিবনগর দেখতে এসে ভাঙচুরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি দ্রুত মুজিবনগরের ধংসষজ্ঞ সরিয়ে আবারও সবকিছু ঠিকঠাক করার দাবি জানান।

    আবু আক্তার বললেন, “স্বাধীনতার স্মৃতিকে এভাবে ভেঙে শেষ করে দেওয়া মানুষগুলো কোন দেশের জানি না। তবে একটি দেশের জাতিসত্তা ও স্বাধীনতার স্মৃতিকে এভাবে ধ্বংস করা মোটেও ঠিক হয়নি। দ্রুত আবারও সবকিছু ঠিকঠাক করার দাবি জানাই।”

    অরণি নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি নিশান সাবের বলেন, “যে ভাস্কর্য ও মানচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটা দুঃখজনক। মুজিবনগরের ভাস্কর্যগুলো ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এটা সৌন্দর্য বর্ধনের কোনো বিষয় ছিল না।

    “মানচিত্রে যে ছোট ছোট ভাস্কর্যগুলো ছিল, সেগুলো বাংলাদেশের কোথায় কোথায় সর্ববৃহৎ যুদ্ধ হয়েছে, কীভাবে ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং যুদ্ধ চলাকালীন কোন কোন অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়েছিল তার কিছু ইতিহাস লিপিবদ্ধ ছিল।”

    “যারা ভেঙেছে বা যাদের নির্দেশে এগুলো ভাঙা হয়েছে আমার মনে হয়েছে, তারা ইতিহাসটাই মুছে ফেলতে চেয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

    মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. শাওন বলেন, “মুজিবনগরে ভাস্কর্যগুলো ভঙচুরের ঘটনা আমাদের সবার জন্য লজ্জার। এটা সংরক্ষণ করতে না পারাও আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।”

    এ সময় কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে মুজিবনগরের ধংসস্তূপকে সরিয়ে পরিষ্কার করে সেখানে রং-তুলি দিয়ে আঁকতে দেখা যায়। এ কাজে অংশগ্রহণকারী রাতুল শেখ বলেন, “আমাদের ক্ষতি আমরাই পুষিয়ে দিতে মুজিবনগরে ছুটে এসেছি।”

    সেদিন সহিংসতার খবর পেয়েও কেন ঘটনাস্থলে যাননি জানতে চাইলে মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই সময়ের জনগণের যে রুদ্রমূর্তি ছিল, তারা সেখানে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। পাশাপাশি তাদের সেখানে না যাওয়ার নির্দেশনাও ছিল।

    মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার দিন পরিস্থিতি অনিরাপদ থাকায় পুলিশ বাইরে বের হয়ে মুজিবনগরকে হামলার হাত থেকে রক্ষ করতে পারেনি সত্য। তবে এখন কেউ মামলা দিলে পুলিশ হামলাকারীদের খুঁজে বের করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”

  28. মাসুদ করিম - ১৭ আগস্ট ২০২৪ (৪:১০ অপরাহ্ণ)

    বিপ্লব কীভাবে ‘ছিনতাই’ হয়ে যায়, তা জানি: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
    https://bangla.bdnews24.com/politics/8d744c0a4377

    “আরব বসন্তের কথা আমরা জানি, মিশরেও দেখেছি, তার পরিণতিও দেখেছি”, বলেন তিনি।

    সরকার পতনের সফল আন্দোলনের সুফল ‘হাতছাড়া’ হয়ে যায় কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বামপন্থি বুদ্ধিজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

    আরব বসন্ত নামে মধ্যপ্রাচ্যের নানা দেশে বিপ্লব এবং ইরান বিপ্লবের কথা তুলে ধরে তিনি এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।

    শুক্রবার বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের অধ্যাপক এসআই মান্নান মিলনায়তনে ‘অংশগ্রহণমূলক গণপাঠ: এর পর কী?’ শীর্ষক আলোচনায় এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

    আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সফল আন্দোলনকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আখ্যা দিলেও বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন না বামপন্থি এই বুদ্ধিজীবী। তিনি একে ‘বিপ্লব’ বলতেও নারাজ। তবে আন্দোলনের সুফল ঘরে তোলার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ চান তিনি।

    সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “আরব বসন্তের কথা আমরা জানি, মিশরেও দেখেছি, তার পরিণতিও দেখেছি। ইরানে তো সত্যি সত্যিই বিপ্লব ঘটেছিল। বিপ্লব হলেও তা কীভাবে ছিনতাই হয়ে যায়, তাও আমরা জানি।”

    অন্য বক্তাদের আলোচনায় সংবিধানসহ পুরো শাসন কাঠামোতে পরিবর্তনের তাগিদ দিয়ে বলা হয়েছে, নইলে আবারও ‘স্বৈরতন্ত্রের পথেই’ হাঁটার সম্ভাবনা প্রবল। বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনতার জাগরণেও সেই পথ থেকে সহসা মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।

    ‘সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ’ আয়োজিত এই সভায় বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ, শিক্ষার্থীরাও বক্তব্য দেন।

    সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “স্বাধীনতা আগেও এসেছে, তবে মুক্তি ঘটেনি। কোটাবৈষম্য নিয়ে যে আন্দোলনটা হয়েছে, তাতে তরুণরা যুক্ত হয়েছে। কারণ, আমাদের এখানে যে ধরনের উন্নয়ন হয়েছে, তাতে কর্মসংস্থান ঘটেনি।

    “আজকে বৈষম্যের কথা বলতে হলে আমাদের পুঁজিবাদের কথা বলতে হবে, সাম্রাজ্যবাদের কথা বলতে হবে। এই বৈষম্যের সূত্র তো পুঁজিবাদ। এই কাঠামো থাকলে তো আমাদের মুক্তি নেই।”

    সামনের দিনগুলোতে করণীয় কী? প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ তো একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচিত সরকারের কাছে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া। সামনে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে বামপন্থিদের একটা জোট করা যায় কি না, এটা ভাবতে হবে।”

    আলোচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, “এখন বেশিরভাগেরই প্রত্যাশা জায়গা- আগের মত চাই না। এই না চাওয়াটাই হতে পারে আমাদের শক্তি। তাহলে কী চাই, সেটি ভাবতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে গ্রাফিতিগুলো দেখছি, সেখানে কিন্তু জনআকঙ্ক্ষার কথাগুলো এসেছে। এই আকাঙ্ক্ষাগুলো একটা বড় সম্ভাবনার জায়গা।”

    তিনি বলেন, “অপরাধীর বিচার, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, অর্থপাচার, চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি কিন্তু জনতার। আর যারা স্বৈরতন্ত্রের সুবিধা নিয়ে সম্পদশালী হয়েছে তাদের রুখতে হবে।”

    বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “এবার ছাত্র সমাজের অভ্যুথান আগের সকল অভ্যুথানকে নানাভাবেই ছাড়িয়ে গেছে। একটা জায়গায় ঘাটতি আছে, আগের মুভমেন্টে যে অর্গানাইজড ওয়েতে ছিল, এবার সেটা হয়নি। দ্রুত আমাদের অর্গানাইজড জায়গা তৈরি করতে হবে।

    “এই গণজোয়ারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে, কিন্তু আরও অনেক দল তো রয়ে গেছে, যারা একই শ্রেণির। আমরা লুটেরা ধনিক শ্রেণিতে আঘাত করতে পেরেছি, কিন্তু পতন করতে পারিনি।”

    বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আন্দোলনের বিজয় হয়েছে, স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে। এখন কী পদ্ধতিতে গণতন্ত্রে যাবেন, তা স্পষ্ট হতে হবে।

    “এক নতুন বাংলাদেশ গড়ব। সেই বাংলাদেশ বসবাস উপযোগী হতে হবে, এটাই প্রত্যাশা। আমরা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে কি আরেকটা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে হাঁটব? তা নিয়ে ভাবতে হবে।”

    সরকার পতন আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইলমা বলেন, “আমরা যখন আন্দোলনে ছিলাম, তখনও আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করেছে- এর পর কী হবে? তোমরা কি দায়িত্ব নিতে পারবা? আমরা আসলে ওই সময়টাতে চোখের সামনে মানুষকে মরতে দেখে বসে থাকতে পারিনি।”

    আরেক শিক্ষার্থী আবু মুহাম্মদ জারার ভাষ্য, “আমাদের আসলে এই জায়গাটায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ভায়োলেন্স করার ছেলে না। মারকুটে ছেলেও না। সেই আমিও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছি।

    “আমরা কয়েকজন ছিলাম, কিন্তু আমাদের সঙ্গে মাস-পিপল না যুক্ত হলে এটা সম্ভব হতো না। মানুষের যে সাহস দেখেছি, তা অবিশ্বাস্য। মানুষ যে কি পরিমাণ রাগ-পুষে রেখেছিল। তার প্রকাশ দেখেছি। আমি অনেক সিনেমা দেখেছি। কিন্তু নিজেই যে এমন মুহূর্তে দাঁড়াব ভাবিনি।”

    ‘এই আন্দোলনের কৃতিত্বটা শেখ হাসিনাকেই দিতে হবে’- অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এমন কথা বলতেই সবাই হেসে উঠেন।

    তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাই তো আন্দোলনটাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। জনমনে ক্ষোভ থেকেই সবাই বেরিয়ে এসেছেন। নইলে সাধারণ একটা কোটা আন্দোলন এভাবে সরকার পতনের পর্যায়ে যেত না।”

    কোটা আন্দোলনে জনগণ যেভাবে যুক্ত হয়েছে, তারা কিন্তু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দাঁড়ায়নি এবং এই ব্যাপারটির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, “রাজনৈতিক দলের প্রতি জনগণের একটা অনাস্থা আছে। তারই প্রকাশ কিন্তু এটি।”

    সংবিধান সংশোধন ছাড়া মুক্তি নেই

    আনু মুহাম্মদ বলেন, “এই সংবিধান রেখে যে-ই ক্ষমতায় যাবে, তার অবস্থা শেখ হাসিনার মতই হবে। প্রধানমন্ত্রীকে এককভাবে এত ক্ষমতা না দিয়ে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।”

    পাহাড়ে সামরিকীকরণে কী কী ঘটনা ঘটেছে, তার একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে অন্য যে জাতিগোষ্ঠী আছে, তাদের স্বীকৃতি বর্তমান সংবিধানে নেই। এটা যুক্ত করতে হবে।”

    সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীও।

    মান্না বলেন, “আমাদের বর্তমান সংবিধান যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা ভাঙতে হবে। একজন ব্যক্তির কাছে এত ক্ষমতা দেওয়া উচিত নয়।”

    ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ কেন?

    সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না, তা মূলত এই তারণ্যের শক্তিকে দমন করে রাখার জন্য। তারুণ্যের শক্তিটাকে লুটেরা শ্রেণির রাজনীতিতে ব্যবহার করা হয়।

    “এই আন্দোলনের আরেকটি দিক হলো, মেয়েরা রাতেও বেরিয়ে এসেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটি একটি বিশেষ দিক।”

    মানুষ যখন জেগে উঠে, অস্ত্র দিয়ে কাজ হয় না উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, “নির্বাচিত সরকার আসার পর আমরা আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখি না। যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা ছাত্রদের শক্তিটা ব্যবহার করে। এই কাঠামো যদি একইভাবেই থাকে, তাহলে তো একই চিত্র ঘটবে। এই কাঠামো তো ভাঙতে হবে।”

  29. মাসুদ করিম - ২১ আগস্ট ২০২৪ (১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    When an experienced ambassador to China speaks on AUKUS, we should listen
    https://www.crikey.com.au/2024/08/20/china-ambassador-ross-garnaut-aukus/
    Ross Garnaut has cautioned Australia against putting all its eggs in the AUKUS basket at a time when relations with China are growing ever more important.

    A revamped AUKUS agreement has just been tabled in Parliament. Over the past few years, there have been no shortage of critics of the nuclear submarine deal with the US and UK, and there have been many ways of persuading the public that it is a bad idea.

    One particularly relatable approach, likely to reach young people, comes from Greens foreign affairs spokesperson David Shoebridge in the form of a two-minute TikTok. Likening Australia’s buying of US submarines to Australians buying second hand American-made cars, Shoebridge vividly evokes the essence of the deal.

    Senior Labor figures, on the other hand, have taken advantage of their status to voice their views, often delivered in colourful, punchy metaphors that are readymade for headlines. Former prime minister Paul Keating said the British must have seen us as “suckers”, describing AUKUS as the “worst deal in all history” and saying it will turn Australia into the 51st state of the US. And former foreign affairs minister Bob Carr described AUKUS as “fragrant, methane-wrapped bullshit”.

    The most recent attack came from another former Labor foreign minister, Gareth Evans, who called AUKUS “a joke in bad taste”. He also said that Defence Minister Richard Marles’ “love for the US” was “so dewy-eyed as to defy parody”.

    Evans made these remarks in a two-day symposium titled “AUKUS: Assumptions and Implications”, which was held at the Australian National University last week. Twenty speakers from universities, think tanks and the media spoke on various aspects of the submarine deal, including the bureaucratic and political processes necessary for its success, the military capability it promises, its implications for nuclear non-proliferation, and its probable economic and social consequences.

    Organised by the Academy of Social Sciences and led by a handful of senior scholars including Hugh White, the conference opened with an hour-long keynote from Ross Garnaut, who, among many other roles, was the principal economic adviser to former prime minister Bob Hawke and was Australia’s ambassador to China from 1985 to 1988. As an economist, Garnaut has built his career around the analysis and practice of policy connected to development, economics and international relations in Australia, Asia and the Pacific.

    Garnaut’s contribution to the conference was to provide context for the discussion of AUKUS. Unlike the politicians quoted above, he did not criticise the deal directly, instead taking the audience on a historical journey. He told the story of how Australia learnt, through trial and error, to live in a region marked by racial, cultural and political diversity, and to project its interests and values on the global stage.

    Featuring prominently was an account of how our initial loyalty to the UK and our later alliance with the US informed our trade, defence and foreign policies vis-à-vis Australia’s Asian and Pacific neighbours. His wide-ranging speech was not intended to generate attention-grabbing headlines or soundbites. But what he said — drawing on his six decades of thinking and experience — warrants careful attention and reflection.

    Garnaut said his work has informed him that Australia can be an effective sovereign nation as a democracy while geographically situated in a region with “differences in cultures, political institutions and economic strengths”. But to achieve this requires Australia to look to the future, where other large Asian states such as Indonesia and India as well as China will become much more important to Australia than the US — “while China is likely to increase its economic and strategic weight relative to the US for a number of years, it will soon go beyond the peak of its relative weight against the other large states of Asia”.

    Hence, he cautioned Australia against putting all its eggs in the basket of a US hell-bent on preserving its supremacy: “There is no future for our two peoples and there may be no future for humanity unless our US ally can get used to being one of several powerful states in a world that allows primacy to none of them.”

    Garnaut explained the importance of seeing the Taiwan issue in a historical context, as we worked out how to position ourselves vis-à-vis the US:

    In a changing world, one thing that doesn’t change is that any government in China will be determined never to allow Taiwan to emerge as an independent state … We want the people on Taiwan to live under a political system as close as possible to that preferred by most of them. Ultimately this will be worked through by Chinese on the mainland and in Taiwan. Friends of the US need to explain to Americans who think they have the people of Taiwan’s welfare guiding them, that it is dangerous to encourage thoughts of independence.

    As a former diplomat in China with an intimate understanding of China’s political rhetoric and behaviour, Garnaut was also keen to stress a point that has eluded many commentators about China’s intentions regarding Taiwan, explaining that it is a “dangerous mistake” to interpret China’s longstanding refusal to rule out the use of force to prevent Taiwan’s independence “as an indication of its willingness to use military force against other states”.

    These ruminations about Australia’s past lead listeners to question the claim that AUKUS is in our national interest. Garnaut asks, “Is AUKUS consistent with the preservation of Australian sovereign independence in future decisions on war and peace?”

    Garnaut is certain that should Australia end up being involved in a war over Taiwan, the consequences will be perilous:

    America would be damaged by war with China over the status of Taiwan, but, short of a major nuclear exchange debilitating both great powers, its sovereignty would not be at risk. Australia’s would be. Indeed, I doubt that Australia could survive as a sovereign entity the isolation from most of Asia that would be likely to follow anything other than a decisive and quick US victory in a war in which our military was engaged.

    When a man such as Ross Garnaut speaks, it would be foolish not to listen.

  30. মাসুদ করিম - ২৪ আগস্ট ২০২৪ (৮:১০ পূর্বাহ্ণ)

    10 things India needs to know about Bangladesh
    https://www.dhakatribune.com/opinion/longform/355776/10-things-india-needs-to-know-about-bangladesh

    It is the Bangladeshi people with whom India needs to forge a relationship and not one deeply unpopular and discredited political party

    Neither Islamist nor militant

    The movement that toppled Sheikh Hasina is not an Islamist revolution. The students at the forefront of the movement are committed, conscientious patriots who wish to see nothing more than a functional, fair, and free Bangladesh. They are democrats and they wish to see a truly democratic Bangladesh, as do all Bangladeshis. They are the furthest thing imaginable from Islamists or militants. Neither is Bangladesh an Islamist country nor a hotbed of militancy. Yes, it is a Muslim majority country, and yes, their religious faith is a key component of the identity of many, possibly most Muslim Bangladeshis. But that doesn’t make them radicals or anything other than God-fearing, law-abiding men and women who simply want to live their lives in peace and in harmony with their neighbours.

    Hindus are not in danger

    Yes, in the initial chaos following Sheikh Hasina’s fleeing, there was a short period of anarchy and lawlessness, and, yes, unfortunately some of those who were targeted were members of the Hindu community. At times like this, those targeted are often the most powerless and as we all know in south Asia, minorities sadly always remain vulnerable. But the notion that Hindus were the subject of some kind of pogrom and that their targeting and dispossession was in fact an integral prong of the revolution is a fiction. Things have already calmed down considerably and as important as the reports of minorities under attack were, the accounts of Muslims and Hindus teaming up to protect temples and minority neighbourhoods were far more typical, widespread, and noteworthy. Things are far from perfect in Bangladesh when it comes to minority rights, but minorities in Bangladesh are much safer and more secure than in, say, India, just to pick a random country by way of comparison.

    No anarchy

    Contrary to popular belief, Bangladesh has not descended into a Hobbesian state of chaos and anarchy since the ouster of Sheikh Hasina. Such was the suddenness with which she decided to flee that it did initially create a complete power vacuum that resulted in a very unstable situation for some days. But with the interim government under Dr. Muhammad Yunus in place, things are becoming more stable and secure every day, even though the challenge of maintaining safety and security and law and order remains considerable. Things are not helped by the fact that a decade of AL corruption and misrule has left all institutions in a shambles and needing reconstitution from the ground up. That said, given the fragility of the situation – there were no police on the streets for over a week, forcing the students and concerned citizens to partner together to protect neighbourhoods and provide law and order – the fact that there was so little lawlessness during this time was astounding. And things are slowly but surely returning to normal.

    Popular support

    There is widespread popular support for the interim government led by Dr. Muhammad Yunus, who is a widely respected figure, with a reputation for probity, competence, and vision, both inside the country and out. If there is one Bangladeshi who can lead us at this watershed moment in the nation’s history, it is he, and this is widely recognized and acknowledged. There are of course divisions within the interim government as there are within the larger society, but he is widely seen to be the man who can bridge these divisions and bring Bangladesh together. After 15 years of deeply divisive leadership, it’s like a breath of fresh air, and the difference it makes having someone of his stature at the helm of national affairs is palpable. The country is with him.

    Everything is relative

    While it has to be acknowledged that things are very far from perfect, that’s not a very helpful measure to use when assessing where things stand in Bangladesh today. It is regrettable that law enforcement and the legal system seem to be using their old playbook, with many of the cases that have been brought against former AL honchos blatantly flimsy and tendentious, with due process a far cry. Similarly, there remains a fair amount of confusion and lack of transparency as to how decisions are being made and what we can expect moving forward. But Bangladeshis prefer to measure the way things are today against the rampant criminality and corruption of the past decade, to say nothing of the bloodshed of the last month when Hasina turned her guns on her own people, and by that measure of comparison, we are light years better off than we were before.

    Anger against the outgoing regime

    Remarkably, perhaps, for a prime minister who was elected in a landslide in 2008 and who had presided over impressive growth and development during her tenure in office, the ousted PM Sheikh Hasina was a widely feared and reviled figure. Her ruling Awami League was even less popular. In a free and fair election it is doubtful that they could be elected dogcatcher anywhere outside of their political stronghold of Gopalganj, something which the PM understood very well, hence her disinclination to test her popularity at the polls in 2014, 2018, and earlier this year. If the discontent with her dictatorial rule and the corruption and criminality that came with it were simmering below the surface for years, this boiled over into incandescent anger with her murderous response to the student protests that left hundreds dead, thousands maimed, and the entire country shocked and still coming to terms with the ferocity of the assault perpetrated on its own people by the erstwhile government. She has lost an entire generation, and the AL won’t sniff power again for a decade, possibly much, much longer. Bangladeshis will never forgive her or forget what she did.

    We hold India responsible

    The Bangladeshi people hold India squarely responsible for everything they have suffered in the past decade of increasingly autocratic AL misrule. The reason is simple: everyone knows – as do you – that it was India who propped up and supported the Hasina regime, batting for it internationally, being the first to recognize its bogus elections, soft-pedalling its dictatorial nature, and defending it and protecting it at every turn. It was this knowledge that India unquestioningly had her back that emboldened Hasina in her worst excesses and insulated her from the consequences of her misrule. India’s relationship was with Sheikh Hasina and the government, and its concern for the welfare or opinion of the Bangladeshi people was non-existent. Hasina was the best of friends to India, and that’s all that mattered. India supported Hasina right to the bitter end, with contemptuous disregard for how this made it look in Bangladesh or the price they would have to pay as a result. Now with their brilliant Bangladesh policy in ruins India will need to rebuild the trust and confidence of the Bangladeshi people from scratch.

    India is still batting for Hasina

    It doesn’t help that more than two weeks after her ouster, India appears to still be supporting Hasina and the AL, and that it hasn’t at all come to terms with the catastrophe of its Bangladesh policy. A tide of misinformation and disinformation continues to gush forth from India, attempting to paint the revolution in Bangladesh in the worst and most mendacious of lights. Sheikh Hasina remains an honoured guest of the republic of India and her son, presumably at the behest, or at the very least with the approval, of his masters in New Delhi openly calls on India to ensure elections in Bangladesh in short order, suggesting to Bangladeshis that India somehow feels that it has that right. India has yet to come to terms with the fact that it backed a scrub, has lost badly, and that it needs to make its peace both with the interim government and the Bangladeshi people if it wishes to repair its relations with its eastern neighbour.

    It’s not just Hasina

    Let me be blunt here. The Bangladeshi people’s antipathy towards India does not stem solely from its support of Hasina and her atrocities. Bangladeshi beef with India predates 2009 although it has certainly been exacerbated both by the rightward shift in Indian politics and India’s support of the AL. Amit Shah’s referring to Bangladeshis as “termites” is only the extreme end of how far too many Indians think of Bangladeshis. Anti-Bangladeshi rhetoric and thought is ubiquitous throughout India and Bangladeshis understand very well the low opinion that many if not most Indians harbour about us. If Indians are honest with themselves, they will acknowledge that their attitude towards Bangladesh and Bangladeshis can be described as patronising and condescending at best, dismissive and contemptuous at worst. Worst of all is the old “you all are only free because of us” chestnut. While it is undeniable that India played a seminal role in 1971, it’s time to give that particular line a rest. Are the French meant to still be crawlingly deferential to the English and Americans? Good luck with that. Why should Bangladesh be any different? And please note that I haven’t even mentioned border killings, water sharing, or extortionate power deals.

    We want to be friends

    Be all of the above as it may, Bangladesh neither seeks nor can afford enmity with India. We understand that India has long been an important friend to Bangladesh, starting from its invaluable support for our Liberation War in 1971. We recognize that India is a burgeoning world power and that good relations between the two countries are not just desirable but in fact indispensable. We share a 4,000 plus kilometre border and so many of our issues can only be resolved bilaterally or regionally. We appreciate that India has security concerns that impact its relationship with us. We also understand that the ties that bind our two countries are far greater than that which divides us, and that well-meaning Indians want the best for Bangladesh as well-meaning Bangladeshis want the best for India. But moving forward, if the relationship is to be repaired and developed in a way that is frankly imperative for both countries, it will have to be done so on the basis of mutual respect and with a recognition that it is the Bangladeshi people with whom India needs to forge a relationship, not one deeply unpopular and discredited political party and its dictatorial leader.

  31. মাসুদ করিম - ২৪ আগস্ট ২০২৪ (৮:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    Big Brother
    https://www.telegraphindia.com/opinion/big-brother-india-is-neither-a-vishwaguru-nor-a-vishwamitra/cid/2043156

    In Manmohan Singh’s second term, the talk of India’s imminent rise to global greatness largely subsided. However, in Modi’s first term, it resurfaced, being rebranded under a suitably swadeshi label

    During Narendra Modi’s first term as prime minister, and well into his second, the government’s cheerleaders claimed that India was poised to become vishwaguru, Teacher to the World. It was said that our civilisational depth, our rich philosophical traditions, and our distinctive spiritual practices had long placed us at the forefront when it came to culture. Now, with India’s economic and technological success, our global leadership was all but assured.

    This claim was intensely personalised so that it was not just India but Narendra Modi himself who was said to be leading the world. Hence the morphed photographs of G20 meetings abroad where our prime minister was seen in the front of the frame, striding down the steps of a grand building, with the American president, the French president, the British prime minister and others quietly and obediently (if not reverentially) following behind him. Such propaganda was not without a certain effect; after India assumed the rotational G20 presidency in 2023, a friend heard someone say on the Delhi Metro: “Aap ko pata hai, ki Modiji sirf hamare desh ke nahin, lekin bees desh ke pradhan mantri hai?” (Do you know that Modiji is not just the prime minister of India but of twenty nations altogether?)

    As it happens, at around the same time, a subtle shift in nomenclature began to manifest itself in the ruling party’s propaganda universe. It was now being said that India was vishwamitra, a Friend of All. This was a distinct downgrading of the Modi regime’s ambitions. India was not yet in a position to teach the world, but it was nonetheless uniquely placed to befriend every country in the world.

    Precisely why this new self-description of India entered the political discourse must remain a matter of speculation. Was it because, unlike the adoring bhakt on the Delhi Metro, the regime’s spin doctors were aware that India’s G20 presidency was highly temporary and would lapse very soon? Or had our economy not held up to the soaring expectations people had of it? Or had the Chinese incursions along our border, and the prime minister’s reluctance even to speak about them, made our claims of global leadership sound hollow?

    Anyway, the fact is that there was a distinct change in discourse. Maybe in the outer reaches of the bhakt universe — the fringes where it is believed that ancient Hindus invented aeroplanes as well as plastic surgery — the idea that India already was, or would soon become, a vishwaguru still held sway. But in the sober, more realistic, and more politically salient sections of the ruling party, the term, vishwamitra, was being used ever more often.

    In the wake of the Bangladesh crisis, however, it may be time to drop even this milder, less egregious, conceit. For it appears that the citizens of the countries in our immediate neighbourhood do not regard India as a reliable or trustworthy friend. Many Bangladeshis are suspicious of Indian intentions, largely because of the Modi regime’s enthusiastic endorsement of Sheikh Hasina Wazed’s autocratic ways. When, this past January, Hasina got re-elected in a blatantly rigged election, the Election Commission of India nonetheless praised the Election Commission of Bangladesh for its allegedly “meticulous planning and arrangements made for the conduct of the election process” .

    The sentiment that India has behaved arrogantly is visibly present in Sri Lanka and Nepal as well. Consider a recent statement jointly issued by some citizens of these three countries which asks that “the Government of India desist from interfering in our respective polities.” The statement notes that “over the decades, intervention by New Delhi’s political, bureaucratic and intelligence operatives in Colombo, Dhaka and Kathmandu, has contributed to the unending political instability in our countries and has empowered autocratic regimes.”

    These charges are then given a certain specificity. So, of Bangladesh, these writers remark: “New Delhi actively worked to prop up the autocratic regime of Sheikh Hasina over the last decade and received political and economic concessions in return.” Of Sri Lanka, they comment: “Before and since the time of the IPKF, Sri Lanka has had to repeatedly wrestle with New Delhi’s encroachment in its politics. In addition, lately New Delhi authorities have been actively pushing Indian business conglomerates onto the island.”

    And, with regard to Nepal, they note: “While India once intervened in Nepal’s politics through proactive politicians and diplomats, it now does so also through intelligence agencies and Hindutva activists of the RSS… A significant coercive action was the blockade imposed on Nepal in 2015, even as the country was reeling from an earthquake, following the promulgation of the Constitution that was not to New Delhi’s liking.”

    These characterisations are largely accurate. I have spent time in Nepal, Bangladesh and Sri Lanka and have friends and professional colleagues in each. That India has acted as an overbearing Big Brother is a sentiment widely held by intellectuals and writers in all these countries, and there is much basis for it. I am reminded here of the 19th-century Mexican president who remarked: “Poor Mexico, so far from God, so close to the United States of America.” Bangladesh, Sri Lanka and Nepal are all beset with an array of economic and political challenges, which proximity to India has made more difficult to resolve.

    That said, the distrust of Indian intentions well precedes our current government. It was Rajiv Gandhi who sent the IPKF into Sri Lanka, and it was Rajiv Gandhi, again, who imposed a blockade on Nepal long before Narendra Modi did so. Indeed, it may have been our first prime minister, who was also our first foreign minister, who set the tone in this regard. The diplomat, Jagat Mehta, who served with Jawaharlal Nehru, once observed that “Nehru did not fully recognise, and the [Foreign] Ministry failed to advise him, that in the twentieth century nothing was as difficult as diplomacy between unequal neighbours.”

    The logic of history, and of geography, more or less ensures that India’s relations with China and Pakistan will remain difficult. Communist China has never accepted the McMahon Line, claiming it was signed under duress when their country was subject to Western imperial control. The Chinese invasion of 1962, brief as it was, has left deep scars on the Indian national psyche. That Pakistan has, for decades now, sponsored terrorist actions in many parts of India (not just in Kashmir) makes an honest rapprochement with that country extremely difficult.

    However, in the case of our smaller neighbours, such contentious issues do not exist. On the contrary, there are factors working in favour of harmonious relations. India and Nepal have an open border and many cultural similarities. India helped Bangladesh attain its liberation from Pakistan. India and Sri Lanka have a shared colonial history and hence similar constitutional and educational trajectories. If relations between India and these three countries have rarely been smooth, then surely it calls for introspection on the part of the larger and more powerful nation.

    In the years 2007-08, when our economy was doing exceptionally well, there was much talk about India becoming a ‘superpower’. I thought such claims highly premature and argued at the time that it would be wiser to attend to the social and political fault lines within than to presume to take on the world. In Manmohan Singh’s second term, the talk of India’s imminent rise to global greatness largely subsided. However, in Narendra Modi’s first term, it resurfaced, being rebranded under a suitably swadeshi label. Where we were once told that India was soon to become a superpower, now we are given to understand that Bharat has already become a vishwaguru.

    India’s claims to world leadership are foolish fantasies. The problems our country faces, such as institutional decay, growing inequality, corruption and cronyism in governance, and pervasive environmental degradation, should provide a brutal reality check. However, while the idea of India being a vishwaguru is nonsensical, the ideal of India being a vishwamitra may still have some worth. But if India wishes indeed to be a friend to all the nations of the world, it might do well to start reorienting its attitudes towards our immediate neighbours, and especially with Bangladesh, Nepal, and Sri Lanka. In forging better relations with these countries, we must look to cultivating respect and trust not merely among their leaders but among their citizens too.

    ramachandraguha@yahoo.in

  32. মাসুদ করিম - ৩০ আগস্ট ২০২৪ (৬:৫৬ অপরাহ্ণ)

    UN fact-finding mission to probe rights violations committed from July 1 to Aug 15
    https://thefinancialexpress.com.bd/national/un-fact-finding-mission-to-probe-rights-violations-committed-from-july-1-to-aug-15

    Advanced team discusses modalities for investigation

    UN High Commissioner for Human Rights Volker Türk has received an official invitation from Bangladesh interim government Chief Adviser Prof Muhammad Yunus to conduct an impartial and independent fact-finding mission into human rights violations committed from July 1 to August 15.

    Spokesperson for the UN High Commissioner for Human Rights Ravina Shamdasani confirmed it on Friday, UNB reports.

    The Office will deploy a fact-finding team to Bangladesh in the coming weeks, with a view to reporting on violations and abuses perpetrated during the protests, analysing root causes and, and making recommendations to advance justice and accountability and for longer-term reforms, she said.

    The team received commitments from the Interim Government and security forces for full cooperation in this work.

    Earlier, the International Crimes Strategy Forum (ICSF) urged the UN rights body to investigate events which took place both before and after August 5.

    The ICSF has written a letter to UN High Commissioner for Human Rights Volker Turk seeking his initiative in this regard.

    “Given the UN’s intention to help Bangladesh with the transition, we believe that the investigations should look into the events which took place both before and after August 5. We learnt from media reports that the Law Advisor of the Interim Government Dr Asif Nazrul wants the UN to look into events only up to August 5, 2024,” the letter reads.

    An advance team has been in Bangladesh over the last week (from August 22-29) meeting with student leaders of the recent protests, many of whom have been detained or injured in recent weeks.

    The team also had meetings with a wide range of advisors in the Interim Government, the Chief Justice, senior officers of the police and armed forces, lawyers, journalists and human rights defenders, representatives of political parties, and minority and indigenous communities.

    In its meetings, the team discussed the modalities for an investigation into human rights violations and abuses in the context of the recent violence and unrest, as requested by the Interim Government.

    It also discussed wider areas – including civic space, the need for truth, justice, healing, reparation and reconciliation, and other human rights approaches to the reform process – in which our Office could provide sustained support, Shamdasani said.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.