সুপারিশকৃত লিন্ক: মে ২০২৪

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১০ comments

  1. মাসুদ করিম - ৫ মে ২০২৪ (৪:০৮ পূর্বাহ্ণ)

    সরিষায় বাজিমাত যেভাবে
    https://bangla.bdnews24.com/special/9a5a3853d50c#bypass-sw
    দুই বছরে উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুণ। খরচের তুলনায় দ্বিগুণ মুনাফায় খুশি চাষিও।

    ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোহেল মিয়া সরিষা চাষে ঝুঁকে বেশ লাভবান হয়েছেন।

    মণপ্রতি উৎপাদন খরচ তার ১২০০ টাকা, গত বছর বিক্রি করেছেন তিন হাজার করে, এবার দাম কমলেও পেয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। অর্থাৎ খরচের দ্বিগুণ লাভ তার।

    সোহেল মিয়ার এই আয়টা একেবারেই নতুন। আগে আমন ধান কাটার পর এসব জমি পড়ে থাকত। একেবারে কিছুই না করার চেয়ে সরিষা চাষ করতে গিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।

    অর্থাৎ লাভের ওপর দ্বিগুণ লাভ পেয়ে চওড়া হাসি তার মুখে। এবার ৭২ মণ সরিষা বিক্রি করেও বীজ হিসাবে ১১ মণ সংরক্ষণ করেছেন।

    এই কৃষকের নতুন এই ফসল চাষে জড়িয়ে পড়া কৃষি বিভাগের একটি বিশেষ পরিকল্পনার অংশ। ভোজ্যতেল আমদানিতে বিপুল খরচ কমিয়ে আনতে দেশেই ৪০ শতাংশ উৎপাদনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরিষার মত তেলবীজের উৎপাদন বাড়াচ্ছে কৃষি বিভাগ।

    সরিষা ছাড়াও সয়াবিন, সূর্যমুখী, তিল, বাদামসহ নানা ধরনের তেলবীজ হয় দেশে। ধানের কুঁড়ার তেল সম্ভাবনা জাগিয়েও ডানা মেলতে পারেনি সেভাবে। তবে সরিষা চাষের আওতা আর উৎপাদন দুটোই দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন জাত লাভবান করছে চাষিদের।

    আমনের পর পড়ে থাকা জমিতে সরিষার নতুন দুটি জাতে বাজিমাত হচ্ছে চাষিদের।

    কৃষি বিভাগের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গত দুই বছরে দেশে সরিষার উৎপাদন বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সোহেল মিয়া যে হারে লাভবান হয়েছেন, অন্য এলাকায় আর্থিক হিসাবে মুনাফা হয়েছে তার চেয়ে বেশি। তবে দেশের দক্ষিণে সূর্যমুখী, সয়াবিনের মতো বীজের উৎপাদন বেশি হয়, সেখানে ঢুকতে পারছে না সরিষা।

    উৎপাদন বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানোর লক্ষ্য

    ২০২০-২১ অর্থবছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৮৫ কোটি ডলার, সে সময় এটি ১৬ হাজার কোটি টাকার সমান ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরের দুই বছরে তা ছাড়ায় ২৮৯ কোটি ডলার। টাকার দরপতনের কারণে দেশের মুদ্রায় তা ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

    ২০২০ সালে দেশে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকার মধ্যে থাকলেও পরের দুই বছরে দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এখন অবশ্য কিছুটা কমেছে।

    সয়াবিন তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সরিষার তেলের দামও। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৬৫ থেকে ১৬৭ টাকা আর কোম্পানিগুলোর ব্র্যান্ডভেদে বোতলের সরিষার তেল ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।

    সাবেক কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশে উৎপাদিত সরিষাসহ অন্যান্য তেল ব্যবহার করেই খাবার তৈরি করতেন। ধীরে ধীরে আমদানিনির্ভর সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দখলে চলে যায়। কিন্তু দেখা গেছে, আমাদের দেশে উৎপাদিত তেলই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। তাই আমরা তেল বীজের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে যেতে চাই।”

    সরকার দেশে তেলবীজের উৎপাদন বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের দেশীয় জোগান ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছে।

    ২০২২ সালে তখন সরিষা, তিল ও সূর্যমূখী দানা থেকে প্রায় ৩ লাখ টন তেল উৎপাদন হয়েছে। সেটি বাড়িয়ে দেশীয় উৎপাদন ১২ লাখ টন করতে চায় কৃষি বিভাগ।

    সাফল্য মূলত সরিষায়

    ২০২০ সালে দেশে আট লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে তেলবীজ আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে সরিষা চাষ হয় ৬ লাখ ১০ হাজার হেক্টরে।

    ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৬ লাখ এবং পরের বছরে অর্থবছরে ২৩ লাখ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

    তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর শেষে আবাদ ৬২ শতাংশ বৃদ্ধির খবর দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়; তবে মূল সরিষার আবাদ বেড়েছে শতভাগ। দ্বিতীয় বছরে এসে চাষের আওতায় সাড়ে আট লাখ হেক্টর থেকে হয়েছে ১৪ লাখ। এর মধ্যে সরিষার আবাদই হয়েছে ১২ লাখ হেক্টরে। অর্থাৎ দুই বছরে চাষের আওতা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

    আবাদ বাড়ায় সরিষা উৎপাদন দুই বছরে সাড়ে পৌনে ৯ লাখ টন থেকে বেড়ে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

    অন্যান্য তেলবীজে সাফল্য কম

    সয়াবিনের চাষের আওতা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবশ্য সুখবর নেই। ৮৬ হাজার ৩৯ হেক্টর থেকে ৪৪১ হেক্টর বেড়েছে চাষের আওতা। উৎপাদন এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৬ টন থেকে বাড়বে আড়াই হাজার টনের মত।

    সূর্যমুখীর আবাদও অতটা বাড়েনি। উৎপাদন ২৮ হাজার টনের কাছাকাছি থেকে কিছুটা বেড়ে ৩২ হাজারের কাছাকাছি যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

    তিলের উৎপাদন গত বছরের আড়াই হাজার টন থেকে বেড়ে এবার ৩ হাজার ছাড়ানোর আশা করছে কৃষি বিভাগ।

    তবে চিনাবাদামের চাষ বেড়েছে। ৮৭ হাজার হেক্টর থেকে ৯৬ হাজার ছুঁইছুঁই হয়ে গেছে। উৎপাদনও এক লাখ ৬৭ হাজার টন থেকে বেড়ে এবার এক লাখ ৯৩ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশায় কৃষি বিভাগ।

    সব মিলিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল হয়েছিল ১৫ লাখ টনের কিছু বেশি। প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে এবার তা ২১ লাখ টন ছাড়ানোর আশা করা হচ্ছে।

    কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেসব জমিতে কিছুই উৎপাদন হয় না, সেখানে যেন কিছুটা হয়। ভোলা, নোয়াখালী ও খুলনার লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হচ্ছে।“

    সাবেক কয়েকজন কৃষি সচিব বলছেন, জোর দিতে হবে সূর্যমুখী, সয়াবিন ও রাইনব্রান বা ধানের কুঁড়ার তেলেও। তাহলেই ৪০ শতাংশ চাহিদা পূরণ সহজ হবে।

    সরিষায় সাফল্য কেন

    কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরিষার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা উৎসাহ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছিল। এখন সরিষা ও সরিষার তেলের দাম কমতির দিকে। তারপরেও বিভিন্ন রকম প্রণোদনা দিয়ে ও পতিত জমিকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসে আমরা লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।”

    অবশ্য সরিষা চাষ করতে গিয়ে আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন কিছুটা কমেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    চাষিদের সরিষায় ঝোঁকার কারণ বোঝা গেল ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার তেলবিল এলাকার চিত্রে।

    সেখানে এবার ৪০০ একর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। কৃষকদের কেউ কেউ কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বীজ ও সার পেয়েছিলেন প্রণোদনা হিসাবে। তবে প্রণোদনার হিসাব বাদ দিলেও বেশ লাভ থাকছে তাদের।

    কৃষক সোহেল মিয়া কাঠাপ্রতি উৎপাদন পেয়েছেন ৫০ থেকে ৫২ কেজি। তার মণপ্রতি খরচ ১২০০ টাকা, বিক্রি করেছেন আড়াই হাজার টাকা। অর্থাৎ বিনিয়োগের দ্বিগুণ মুনাফা।

    সোহেল মিয়ার এই আয়টা একেবারেই নতুন। আগে আমন কাটার পর এসব জমি পড়ে থাকত। একেবারে কিছুই না করার চেয়ে সরিষা চাষ করতে গিয়ে বেশ ভালোই হয়েছে।

    সরিষার উৎপাদন বাড়ায় এলাকার মানুষের ভোজ্যতেল ব্যবহারের অভ্যাস পাল্টে গেছে বলেও জানালেন এই চাষি। তিনি বলেন, “সবার সইষ্যার তেল খায়া অভ্যাস হয়া গেছে। ঘানিত্তে থেকে তেল ভাঙায়া রান্নাবাড়া করে।

    “আমিও এইবার একমণ সরিষা ভাঙাইছি। ১৬ লিটারের মত তেল পাইছি। নিজেরা খাই, আত্মীয় স্বগনরেও দিছি। লিটারে খরচ ১৬০ টাকার মত। হাটে বেচা অয় ১৭০।”

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ শাখার উপপরিচালক মোছা. নাছরিন আক্তার বানু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত বছর যেখানে ৯ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল, এবার আমরা সেটা বাড়িয়ে ২৬ হাজার ৫৮০ হেক্টরে উন্নীত করতে পেরেছি।

    “রোপা আমনের আবাদ শেষে পতিত জমিকে এবার টার্গেট করা হয়েছিল। ফলে অন্য কোনো ফসল বা শাক সবজির চাষাবাদ বাদ দিতে হয়নি। বারি-১৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা বীজে ফলন ভালো। ৮০ থেকে ৮৫ দিনে ফসল ঘরে তোলা যায়।”

    আগামী বছর সাড়ে ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

    টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন বলেন, “রোপা আমন ও বোরো মওসুমের মাঝামাঝি সময়ে তিন মাসের গ্যাপ থাকে। সেই সময়ে সরিষা চাষের কৌশল নেওয়া হয়েছে।

    “জেলায় ৩৫ হাজার ৪০০ কৃষককে এক কেজি করে সরিষা বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে। এভাবে এবার আমরা উৎসাহিত করেছি।“

    এর সুফলও মিলেছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৫৮ হাজার হেক্টরে, এবার বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৮১ হাজার ৫৪০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ২৮৫ টন।

    উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কমে যাওয়ার তথ্য দিয়ে কৃষিবিদ দুলাল বলেন, “গত বছর প্রতিমণ ৩৫০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছিল। এবার আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজারের মধ্যে ওঠানামা করছে।

    “তবে দাম কমলেও কৃষক এখনও লাভবান হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে চাষ করতে ৩৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে। ফলন ভালো হলে ৫ থেকে ৬ মণের মত হয়। ফলে অনেক লাভ থাকে।”

    দক্ষিণে সাফল্য কম

    দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সরিষার বদলে সয়াবিন, বাদাম ও সূর্যমুখী তেলবীজ চাষের লন রয়েছে। তবে ভালো দাম না থাকায় এসব তেলবীজের আবাদ বাড়াতে উৎসাহিত হচ্ছেন না কৃষকরা।

    ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, “এবার সরিষার আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কমেছে।”

    এখানে সূর্যমুখী তেলের ভালো আবাদ হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “কৃষকরা বীজ ভাঙিয়ে নিজেদের পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন। স্থানীয়ভাবে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা লিটারে সূর্যমুখী তেল বিক্রি হয়।”

    সূর্যমুখী ও ধানের কুঁড়ার তেলে জোর দেওয়ার পরামর্শ

    সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কম সময়ে উৎপাদনে আসে এমন বীজ না থাকায় এতদিন সরিষার দেশীয় জোগান বাড়ানো যাচ্ছিল না। এখন যেসব বীজ এসেছে, আবাদের সময়ে কমেছে। ফলে কৃষকও সরিষা চাষে যুক্ত হচ্ছে।

    তবে এই তেল এখন বেশিরভাগ মানুষ খায় না জানিয়ে তিনি বলেন, “কেবল সরিষা বীজ দিয়ে দেশীয় জোগান থেকে ৪০ শতাংশ চাহিদা পূরণ কঠিন হবে। সূর্যমুখী ও রাইসব্রান (ধানের কুঁড়ার তেল) তেলের জোগান বাড়াতে হবে।”

    তার বিবেচনায়, সূর্যমুখী চাষের ক্ষেত্রে এখন বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে পর্যাপ্ত কারখানা না থাকা। এর ফলে কৃষক সূর্যমুখীর ভালো দাম পাচ্ছে না। আবার এখন যে উৎপাদন হচ্ছে, তার ওপর ভর করে বড় কারখানা করাও কঠিন। কারণ, বছরের বেশিরভাগ সময়ই তখন কারখানা বন্ধ করে রাখতে হবে।

    ধানের কুঁড়ার তেল উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “সমন্বিত কিছু মিলিয়ে উদ্যোগ নিলে এক পর্যায়ে হয়ত দেশীয় জোগান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা যাবে।”

  2. মাসুদ করিম - ৫ মে ২০২৪ (৬:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    The Modi Order Has Regressed Into a Great Disorder
    https://thewire.in/politics/the-modi-order-has-regressed-into-a-great-disorder

    Perhaps the most perplexing – and intriguing – part of the 2024 Lok Sabha campaign so far has been Prime Minister Narendra Modi’s studied unwillingness to encash one his more enduring assets: the promise of national stability and cohesion. Instead of a spirited marketing of all the “achievements” of the “amrit kaal” advertised so copiously with billions of rupees of taxpayer’s money, the prime minister is inexplicably but deliberately turning the 2024 vote into a referendum on the Congress and its alleged politics of “appeasement.” In speech after speech, Modi has been at his demagogic best in inventing designs, connections, and conspiracies behind the Congress’s surprisingly animated campaign.

    Instead of being a resting, reassuring anchor in choppy waters, the prime minister is navigating citizens into a raging storm of visceral animosities. The Modi order is melting down into a great disorder.

    This regression – from order to disorder – has been in the making for some time though. As India’s overarching state degenerates into official lawlessness, her citizens may finally be willing to speak up and act against this lawful disorder.

    A few days ago, on April 30, a Delhi court found itself having to remind the dreaded and all-powerful Directorate of Enforcement that it, too, was bound by the rule of law.

    According to Bar and Bench, the court said that in a democracy like India, citizens possess rights while the state has certain duties and this fundamental relationship cannot be inverted to invoke an authoritarian argument that the state has certain rights against citizens who are expected to reciprocate by submission through their duties.

    “Not only would the acceptance of such an argument be an inversion of the social contract on which every liberal democracy is based but also a [violation] of the constitutional scheme and constitutional morality,” the court observed.

    The judge warned that strong leaders, laws, and agencies generally come back to bite the very citizens they vow to protect and that after the “masculinity of the law has been expressed against the stated targets,” these laws are “invariably alleged to have been employed against the average citizens.”

    The official highhandedness flagged by the Delhi court can be deemed to be a “legal” edition of what was known and decried two decades ago as “jungle raj” in Lalu Prasad’s Bihar or Om Prakash Chautala’s Haryana. A similar reign of official dadagiri has been internalised in Gujarat.

    The dilemma of how to maintain an order without it becoming a disorder is the crux of statecraft and constitutional morality.

    Take, for example, the Supreme Court’s recent reminder to everyone not to knock “the system” down. The admonishment was in the matter of the (un)hackability of the electoral voting machine system, the very instrument that is used to help citizens exercise their most cherished democratic right — to decide whether they want to throw out an incumbent regime or renew its lien. By implication, the apex court also lent its imprimatur to the Election Commission of India’s legitimacy and competence as a neutral fair umpire.

    And, how does Nirvachan Sadan repay this faith? Even after two weeks, the ECI is not able to put out the absolute number of voters who turned up on polling day in each parliamentary constituency in the first two phases of the on-going Lok Sabha election. It has only provided vote percentages, that too after the inordinate delay was flagged publicly, inviting doubts and questions not just about its competence but also its neutrality and intent. Sadly, there is no recourse against the Election Commission’s obvious disinclination to be neutral and fair. That is a prime case of disorder.

    The apex court opted for ‘order’ but the Delhi court had the prescience to point out how order can become disorder. And, this precisely is the moment in the life of the republic when citizens have an opportunity to judge for themselves whether the 10 years of Modi Raj have produced an order that is unacceptably violent and chaotic. And, whether an alternative order, even if disorderly, would be preferable to the dadagiri-centric order of Shahenshah and Shah – their munificence toward ‘labharthis’

    The disquieting part of the Modi order has been the collapse of institutional guardrails in all constitutional bodies. Chief ministers get arrested and the courts are content to entangle themselves in procedural correctness over whether they should be granted bail. The apex court and other high constitutional bodies have failed to restore a sense of equilibrium in the polity. It seems that it is now up to ordinary voters to make up for the elites’ failure.

    By constantly invoking the Hindu community and stoking its anxieties and grievances, Prime Minister Modi is forcing the average voter to ask herself why 10 years of a “Hindu raj” has not restored some balance in national life. Given what Modi has been asserting in his campaign speeches, it is clear that we, as a nation, are never going to have a modicum of communal peace and harmony. Does Manipur need to be repeated all over India?

    That is the great choice before the nation. The Modi regime does not believe or does not know how to bring about reconciliation between angry neighbours. Craftiness has been its signature tune, underhandedness its default option. Overuse of the coercive instruments of the state has blunted the BJP leaders’ sense of empathy and sensitiveness.

    If the prime minister is sounding more and more unhinged, it is because the campaign period is the only time when his minions cannot shut down other voices and arguments. An arrogant regime headed by an arrogant man is finding itself confronted by a multitude of dissents and disagreements against the officially mandated “immense disorder of truths.” The voter has a funny way of seeing through the Emperor’s sleight of hand.

  3. মাসুদ করিম - ৯ মে ২০২৪ (৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    জরুরী: সচলায়তন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে কেবল-পাঠ্য আকারে সংরক্ষিত হতে যাচ্ছে
    http://www.sachalayatan.com/sondesh/58292?fbclid=IwZXh0bgNhZW0CMTEAAR2kpRe9z70E6BZyDiVMg5MPWQoI53bnwLQokepiBlBMWYoA3Vz2UkV3k98_aem_AdCqvBvfXJc8tmQjHPnWhvXuxJCn_qyQQDTtjB21tvgnc7eIw_dbhZCT2EpOrU-yMoDg7GNfpyaHgC7TeayqFhb5

  4. মাসুদ করিম - ১০ মে ২০২৪ (৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    Multi-stakeholder PMI parameter shows April downturn: Business activity shrinks by latest measure
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/biz-activity-shrinks-by-latest-measure-1715276236

    Bangladesh’s business activity shrank this past April from its previous month’s measure, according to a maiden multi-stakeholder parameter prepared with foreign partnerships.

    The private PMI or purchasing managers’ index was unveiled Thursday at a function in Dhaka, where State Minister for Finance Ms Waseqa Ayesha Khan was present.

    The PMI for April was recorded at 62.2 points, down 2.1 points from March reading, shows the PMI launched for the first time in Bangladesh.

    The Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI) and Policy Exchange Bangladesh jointly developed the PMI while technical supports came from Singapore Institute of Purchasing and Materials Management (SIPMM). It was funded by UK International Development.

    State Minister for Finance Ms Waseqa Ayesha Khan attended the PMI-launching programme as chief guest while acting British High Commissioner Matt Cannell as special guest.

    The PMI is an economic indicator which helps understand the economic health of a country. It helps in identifying the turning points in the business cycle and closely tracks key economic variables.

    Such index is measured on regular surveys of senior executives, involving in the manufacturing and other key sectors.

    This PMI is a number, and a number greater than 50 indicates an expansion and below 50 contraction while equal to 50 stagnation.

    This latest PMI reading was attributed to a slower expansion rate in key sectors of services and construction.

    But it got compensated somewhat following a faster expansion rate in agriculture and manufacturing sector.

    The PMI consists of four broad sectors in Bangladesh— agricultural, manufacturing, services, and construction.

    Agribusiness-sector reading was recorded at 60.9, up 5.2 points from March last, while manufacturing at 74.5, up by 6.1 points.

    On the other hand, services-sector reading dropped to 56.2 in a fall by 7.4 points from March and construction to 63.8, down by 3.9 points, the PMI data show.

    The index is usually divided into manufacturing PMI and non-manufacturing PMI in many developing and developed economies.

    In the meantime, Bangladesh PMI conducted surveys on 400 private firms representing 53 per cent from services sector, 23 per cent from manufacturing, 12.5 per cent from construction and 11.5 per cent from agriculture sector.

    They will conduct such survey each month on the sectors to prepare the PMI data.

    Chairman of the Policy Exchange Bangladesh Dr M. Masrur Reaz presented the first-ever Bangladesh PMI report during the launching event.

    He argued: “Manufacturing sector upped in April mainly due to new orders, new exports, factory output, input purchases and supplier deliveries.”

    The agriculture sector recorded the fourth month of expansion after having a contraction reading in December.

    On the other hand, construction sector posted slower expansion on grounds of input costs and higher interest in the banking industry.

    Services sector also saw slower expansion for higher input costs.

    The MCCI president, Kamran T. Rahman, delivered welcome address while Stephen Poh, executive director of SIPMM, elaborated on the Bangladesh PMI report.

  5. মাসুদ করিম - ১২ মে ২০২৪ (৩:৫৯ অপরাহ্ণ)

    মেহেরুন্‌নেসা। বাংলাদেশ ।
    কবি ও বধ্যভূমি – ১২ | শুদ্ধব্রত দেব |
    https://robbar.in/column/12th-episode-of-kabi-o-badhyabhumi-on-meherun-nesa-by-sudhhabrata-deb/

    পাঁচ বছরের মেয়েটা ফ্যালফ্যাল করে দেখছে। দাউ-দাউ আগুনের তাত এসে লাগছে তার নরম কপালে। ওরা তাদের কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দিচ্ছে! ১৯৪৭-এর কলকাতা। দাঙ্গার আঁচ শহর জুড়ে। সেই আঁচে খাক হয়ে যাচ্ছে মেয়েটার বাবার দোকান, তাদের সংসারের আয়পয়ের রাস্তা। এরপর সে কী করবে? এমনিতেই মুসলমানের মেয়ে বলে ইশকুল জোটেনি, খাওয়াও জুটবে না এবার? কী হবে! কী হবে আবার? দুই ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে আবদুর রজ্জাক আর নুরুননেসার সচ্ছল সংসারে অভাব গুঁড়ি দিয়ে ঢুকবে এবার। পুতুল ফেলে আব্বুর সঙ্গে কয়লার দোকানে কাজ করতে যাবে ছোট্ট মেহেরুন। পাশের দোকানিরা কটূক্তি করবে। ঘরে বেড়ে চলা অভাব আর বাইরে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতা মিলে পেড়ে ফেলবে পুরো পরিবারটাকে। তারপর একদিন জলের দরে কলকাতার বসতবাড়িটা বেচে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি দেবে মেহেরুনের পরিবার।

    ১৯৫০-এ ঢাকায় এসে তাঁতিবাজারের ভাড়াবাড়িতে মাথা গোঁজা ইস্তক ফুরসত মেলেনি মেহেরুন্‌নেসার। বাবা ব্যবসায় অসফল হয়ে চাকরি করছেন নাবিসকো আর হক বিসকুটের কারখানায়। বড় হতে না হতেই পান্তা ফুরনো থালায় নুন জোগাতে মেহেরুন্‌নেসা এটা-ওটা-সেটা করে চলেছেন। তারপর একদিন অনুলিখনের কাজ করছেন বাংলা একাডেমিতে আর ইউএসআইএস লাইব্রেরিতে। প্রুফ দেখছেন পত্রিকা অফিসে। তাতেও সংকুলান না হওয়ায় বিদেশি রেডিও কারখানাতেও কাজে ঢুকছেন। অভাবে অভাবে বাসাবদল অব্যাহত, মিরপুরে এসে খানিক থিতু হওয়া। পরিবারের ভাত-কাপড় জোটাতে নিজের সুখসাধের পুরোটাই জলে ফেলে দিয়েছিলেন। নিজের জীবন বলতে তেমন কিছুই বেঁচে ছিল না আর। শুধু… একজন প্রেমিক ছিল তাঁর। একজনই প্রেমিক ছিল তাঁর। কবিতা! শত অভাবেও কবিতা ছেড়ে যায়নি তাঁকে। রাত্তিরের এককুচি নিভৃতিতে কবিতার সঙ্গেই তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সংলাপটুকু ছিল।

    তোমার ছন্দ বাণীতে জ্বলুক

    শত দুঃখের চিতা,

    জীবনসারথি তোমারে পেয়েছি

    ব্যথিত মনের মিতা।

    অবশ্য ব্যথিত মন নিয়েই বেঁচে থাকাটাকে উদযাপন করেননি কোনও দিনই। বিক্ষোভের বীজ তাঁর কবিতায় ছিলই। ছিল কাজী নজরুল ইসলামের স্পষ্ট প্রভাবও।

    নয়ালী দিনের নয়ালী নকীব! নয়ালী নওজোয়ান
    দিলের কাবায় আবার সুবে-সাদিকে দিল আজান
    ঘুম ভেঙে গেছে জাগার কালেমা শুনে,
    খোশ তাকদের জোশ আসে পুনঃ কালিজার
    ম্লান ঘুনে।

    তারপর একদিন প্রিয় বিদ্রোহী কবিকেই লিখেলেন–

    শোন নজরুল! তেরোশত এই

    নতুন চুয়াত্তরে,

    উঠে এসো তুমি

    ক্ষুব্ধ বংগ আকাশে ভয়াল

    করাল মূর্তি ধরে।

    সেসময়ে তাঁর কবিতা নিয়মিত বেরচ্ছে ‘দৈনিক পাকিস্তান’, ‘মাসিক মোহাম্মদী’, ‘ইত্তেফাক’, ‘ললনা’-র মতো সব নামী পত্রপত্রিকায়।

    ’৬৯-এ বাবা ক্যানসারে মারা গেলেন। পরিবারের পুরো দায় এখন মেহেরুন্‌নেসার ওপর! আর ওই উনসত্তরেই পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের তরঙ্গ মেহেরুন্‌নেসার কবিতায় আরেকটা বাঁকবদল ঘটিয়ে দিয়েছিল। উনসত্তর, সত্তর, একাত্তরে প্রগতিশীল কবিতার মহলে মেহেরুন্‌নেসা রীতিমতো পরিচিত মুখ ছিলেন। মুক্তির মিছিলেও। প্রাণে ভরপুর শ্যামলা ছিপছিপে মেয়েটির মুখের হাসি নেভাতে পারেনি অনটন আর পরিশ্রম। কবিতার হাত ছাড়েননি একটা দিনের জন্যও। উনসত্তরে বাংলা একাডেমি চত্বরে দাঁড়িয়ে আইয়ুব-শাহিকে শেল হেনে লেখা ‘প্রভুকে নয়, বন্ধুকে’ কবিতাটির পাঠ আলোড়ন তুলেছিল তাঁর আরও অনেক কবিতার মতো। মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে লেখক সংগ্রাম শিবির যে বিপ্লবী কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান করেছিল, তাতে হাসান হাফিজুর রহমান, আহসান হাবীব, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদ, হুমায়ুন কবির-সহ অন্য কবিদের সঙ্গে স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নিয়ে মেহেরুন্‌নেসা ‘জনতা জেগেছে’ নামে তাঁর সদ্যরচিত সেই অমোঘ কবিতাটি পাঠ করেছিলেন।

    মিরপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের শত্রুপক্ষের ঘাঁটি। অবাঙালিদের একটা বড় অংশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে অতিসক্রিয় ছিল পাক-পন্থী রাজাকারেরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত মানুষদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য মিরপুরে কবি কাজী রোজী আর মেহেরুন্‌নেসার উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল ‘অ্যাকশন কমিটি’। ‘মীরপুরের জহ্লাদ’ নামে কুখ্যাত কাদের মোল্লার সাঙ্গপাঙ্গদের বিষনজরে পড়াটা তো স্বাভাবিকই ছিল! তারপর… ২৩ মার্চ সকাল ১০টায় পাকিস্তান প্রজাতন্ত্র দিবসে মিরপুরের ৬ নম্বর সেকশনের ডি-ব্লক, ১২ নম্বর রোডে নিজের বাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকা পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিলেন মেহেরুন্‌নেসা। ১৯৭১-এ পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা যাঁদের আছে, তাঁরা বুঝবেন– অসীম সাহস কতটা থাকলে রাজাকারদের ভিড়ে ঠাসা মিরপুরে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ানোর ঝুঁকি নিতে পারে কেউ। এবার সরাসরি খুনি-তালিকায় উঠে এল তাঁর নাম। শেষটুকু আমরা বরং শুনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া মেহেরুন্‌নেসার বন্ধু ও সহযোদ্ধা কবি কাজী রোজীর দেওয়া জবানবন্দিতে।

    “একাত্তরে নিহত কবি মেহেরুন্‌নেসা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। আমরা একই এলাকায় থাকতাম। একাত্তরে মিরপুরে অবাঙালি ও বিহারীরা বাঙালিদের ভীষণভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করত। এ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ওই নির্বাচনের সময় আমরা একটা অ্যাকশন কমিটি গঠন করি। আমি ছিলাম ওই কমিটির সভাপতি, কবি মেহেরুন্‌নেসা-সহ আরও অনেকে ছিল সদস্য। এরই মধ্যে চলে আসে ২৫ মার্চ। সেদিন সকালে আমি মিটিং করছিলাম। বুঝতে পারছিলাম একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে। মিটিং শেষ করে বাসায় ফেরার পর খবর পেলাম, আমার ও কবি মেহেরুন্‌নেসার বাসায় তল্লাশি হবে। কারণ, এ্যাকশন কমিটিতে আমরা দুজন ছিলাম নারী সদস্য। আমি যখন জানতে পারলাম, আমার বাসায় তল্লাশি হবে, তখন মেহেরুন্‌নেসার বাসায় খবর পাঠালাম। বললাম, আমি আজই বাসা ছেড়ে চলে যাব। তোমরাও অন্যত্র চলে যাও। এ খবর পাবার পর মেহেরুন্‌নেসা তার ছোট ভাইকে দিয়ে আমার বাসায় খবর পাঠাল যে, সে, তার মা ও দুই ভাইকে নিয়ে কোথায় যাবে? আমি বুঝালাম, বাড়ি থেকে চলে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। তারপর ২৫ মার্চের কালরাতের ঘটনা সবাই জানেন। দিন চলে গেল। ২৭ মার্চ বিকেলে আমি খবর পেলাম, মেহেরুন্‌নেসা, তার দুই ভাই (দুজনেই তখন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন) ও মা কে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগী অবাঙালিরা হত্যা করেছে। অবাঙালিদের মধ্যে কেউ কেউ মাথায় সাদা ও লাল পট্টি বেঁধে মেহেরুন্‌নেসার বাসায় সকাল এগারোটায় ঢুকে যায়। …

    মেহেরুন্‌নেসার মা যখন দেখল, ওরা তাদের মারতে এসেছে, তখন তিনি বুকে কুরআন শরীফ চেপে ধরে বাঁচতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওরা কবি মেহেরুন্‌নেসাসহ চারজনকে জবাই করে। পরে গুলজার ও আরও অবাঙালির কাছ থেকে শুনেছিলাম, কবি মেহেরুন্‌নেসাকে গলা কেটে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। মেহেরুন্‌নেসা তখন গলা কাটা মুরগীর মতো ছটফট করছিল। এই বীভৎস সংবাদ পেয়ে কষ্ট পেয়েছিলাম। মেহেরুন্‌নেসার জন্য আজ অবধি আমি কষ্ট পাই। আজ আমি এখানে কাঁদতে আসিনি। এ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে এসেছি। আমি সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। আমি বিচার দেখে যেতে পারব কিনা জানিনা। আমার ভিতর কোন রাগ নেই, আছে শুধুই ঘৃণা।”

    মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলেন তাঁর প্রথম কবিতার বইয়ের নাম হবে ‘সূর্যজ্যোতির পাখি’। সে বই বের হয়নি আর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নারী শহিদ কবি মেহেরুন্‌নেসা নিজেই সূর্যজ্যোতির পাখি হয়ে উড়ান দিয়েছিলেন। মৃত্যুর মাত্র ক’টা দিন আগে ‘বেগম’ পত্রিকায় বেরিয়েছিল তাঁর শেষ কবিতা– ‘জনতা জেগেছে’।

    জনতা জেগেছে…
    মুক্তি শপথে দীপ্ত আমরা দুরন্ত দুর্বার,
    সাত কোটি বীর জনতা জেগেছে এই জয় বাংলার।
    পাহাড় সাগর নদী প্রান্তর জুড়ে-
    আমরা জেগেছি নব চেতনার ন্যায্য নবাঙ্কুরে
    বাঁচবার আর বাঁচাবার দাবী দীপ্ত শপথে জ্বলি –
    আমরা দিয়েছি সব-ভীরুতাকে পূর্ণ জলাঞ্জলি-
    কায়েমি স্বার্থবাদীর চেতনা আমরা দিয়েছি নাড়া
    জয় বাঙলার সাত কোটি বীর, মুক্তি সড়কে খাড়া।
    গণতন্ত্রের দীপ্ত শপথ কণ্ঠে কণ্ঠে সাধা-
    আমরা ভেঙ্গেছি জয় বাঙলার বিজয়ের যত বাধা।
    কায়েমি স্বার্থবাদী হে মহল কান পেতে শুধু শোন
    সাত কোটি জয় বাংলার বীর ভয় করিনাকো কোন।
    বেয়নেট আর বুলেটের ঝড় ঠেলে-
    চির বিজয়ের পতাকাকে দেবো, সপ্ত আকাশে মেলে।
    আনো দেখি আনো সাত কোটি এই দাবীর মৃত্যু তুমি,
    চির বিজয়ের অটল শপথ “জয় এ বাংলা ভূমি।”

    ঋণস্বীকার কাজী রোজী: শহীদ কবি মেহেরুন্‌নেসা; হাসান হাফিজুর রহমান স. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; পিয়াস মজিদ: সূর্যজ্যোতির পাখি।

  6. মাসুদ করিম - ১৫ মে ২০২৪ (৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ)

    Alice Munro is gone, but her lives of girls and women continue
    https://www.theglobeandmail.com/arts/books/article-alice-munro-nobel-prize-author-death/

    The Nobel-winning author – who died Monday at age 92 – brought readers into an emotional world that came from her small-town roots, but spoke to all times and places

    Way back in 1968, Alice Munro published The Dance of the Happy Shades, her first collection of short stories. She was 37, married to bookseller Jim Munro and living with him and their three daughters in sleepy Victoria, British Columbia.

    “Housewife finds time to write stories,” ran the headline in a local newspaper, but the late Hugh Garner, who wrote the introduction to Munro’s debut collection, recognized that she was more than a dabbler. Garner defined her as a “literary artist” right out of the publishing gates: “Not only do real people, situations and places – yes and our memories of those we have known – become the paint and clay of the artist in words but they come to life in the hearts and minds of the readers.”

    It was this talent for turning ordinary life into art which made her international reputation among readers, critics and writers – including the American writer Cynthia Ozick, who called her “our Chekhov,” and her friend Margaret Atwood, who ranked Munro “among the major writers of English fiction of our time.”

    From that first collection, which won the Governor-General’s Award, then the country’s major literary prize, Munro went on to write a novel, Lives of Girls and Women, and close to 150 stories over the next half-century. Her fiction usually appeared in magazines, mainly The New Yorker, before being published in book form, often with a slightly different ending. Her 14 collections amassed national and international awards. Besides winning the Governor-General’s Award three times, she won the Giller Prize (twice), the O. Henry Award, the Man Booker International Prize and the Nobel Prize for literature in 2013 as a “master of the contemporary short story.”

    A woman with a sly sense of humour, Munro always shunned the spotlight, preferring to let others hold forth while she plumbed her own emotional life to write penetrating, deceptively artless stories. A writer in the vein of the Irish novelist and playwright William Trevor, she lures readers into her imagined world, then shakes them up with time switches and chillingly plausible character revelations that leave readers puzzling long after they have turned the page.

    Her subject matter, the emotional lives of girls and women, deepened over time as she matured as a writer, aged as a woman and broadened her perspectives. Railing against the pretensions and limitations of her own mother, she struggled to succeed as a writer without being swamped by domesticity and motherhood. These themes are as familiar in Munro’s fiction as are the landscapes of Southwestern Ontario and the coastline of British Columbia. Her writing is rooted in time and place and yet universal, not least because she has never allowed herself to be seduced in her fiction by current events or discussions of political movements, or, with one early exception, to choose the larger canvas of a novel. Instead, she has packed the short story with nuance, honing in on the emotional and psychological truths of human frailty in a narrative voice that speaks conspiratorially with readers.

    Munro has created a complex world that nourishes readers in different ways as they too love, suffer and cope with life’s inevitable exigencies. The stories themselves don’t change, but we intuit new insights with each rereading, a quality that Virginia Woolf recognized in an earlier literary artist, Charlotte Brontë.

    In Woolf’s 1916 essay (collected in Genius and Ink) to mark the centenary of Brontë’s birth, she wrote about “the peculiarity which real works of art possess in common.” When reading Brontë, Woolf argued that it was impossible “to lift your eyes from the page” because she “has you by the hand and forces you along her road, seeing the things she sees and as she sees them. She is never absent for a moment, nor does she attempt to conceal herself or to disguise her voice.” That is the reaction I have when I read Munro: that she is, as Woolf said of Brontë, “primarily the recorder of feelings and not of thoughts.”

    Munro explained her process in a rare onstage interview in 2008 with Deborah Treisman, fiction editor of The New Yorker. She said that she imagines her stories visually (a quality that Woolf admired in Brontë’s writing) often focusing on an image or an incident or the effect characters may have on each other. And then she might sit and stare out the window for days “just letting things get settled in my head” before struggling to write anything down.

    Munro may not be a novelist, but that does not make her a miniaturist – far from it. Her stories expand in the minds of her readers to incorporate the other half of the conversation – the shared experience of being ridiculed, beaten or sexually exploited, or for having the audacity to put your own ambitions and appetites ahead of husband and children.

    All fiction writers are memoirists in camouflage, however much they protest to the contrary. Munro, who didn’t bother with denials, was ruthless in paring away fripperies to expose the politics of relationships by exploring the snobberies, disappointments and treacheries of everyday life and love. She had no respect for privacy or hurt feelings – not even her own.

    Eschewing plot-driven narratives, hooked to current events, Munro internalized the wider world as she zoomed in on the rural landscapes and small towns of Huron County in Southwestern Ontario, a region immortalized by the late painter Greg Curnoe as “Souwesto,” an area that was also the birthplace of Robertson Davies, James Reaney and John Kenneth Galbraith.

    Munro knows that geography intimately, as Brontë knew the Yorkshire moors. “I am intoxicated by this particular landscape,” Munro told writer Daphne Merkin in a 2004 profile in The New York Times magazine. “I am at home with the brick houses, the falling-down barns, the trailer parks, burdensome old churches, Walmart and Canadian Tire. I speak the language.”

    Alice Ann Laidlaw was born in July, 1931, on the outskirts of a town called Wingham. It is a prototype of all the Jubilees, Dalglishes, Walleys and Hanrattys in Munro’s fiction, small towns where people’s lives were “dull, simple, amazing and unfathomable – deep caves paved with kitchen linoleum,” as she wrote in Lives of Girls and Women.

    She was a child of the Great Depression. Her father, Robert Laidlaw, of Scottish descent, was a failed breeder of silver foxes and minks; her mother, Anne Clarke Chamney Laidlaw, of Irish and Scottish heritage, hailed from the Ottawa Valley. Poverty constrained the lives of the Laidlaws, and so did a fussy decorum that hid the dire reality of life behind lace curtains. Sex is a frequent topic in Munro’s fiction because she came of age when women were meant to service their husband’s pleasure rather than acknowledge, never mind seek, their own. As her first-person narrator writes about Flora, a twice-jilted woman in Friend of my Youth: What made her “evil in my story was just what made her admirable in my mother’s – her turning away from sex.”

    The narrator confides that her “mother had grown up in a time and a place when sex was a dark undertaking for women. She knew that you could die from it. So, she honoured the decency, the prudery, the frigidity, that might protect you. And I grew up in horror of that very protection, the dainty tyranny that seemed to me to extend to all areas of life, to enforced tea parties and white gloves and all other sorts of tinkling inanities. I favoured bad words and a breakthrough, I teased myself with the thought of a man’s recklessness and domination.”

    The only way Alice Laidlaw was going to escape the rundown farm and small-town life was to keep going to school, no matter how far she had to walk or the hours she had to spend earning money as a babysitter or a turkey gutter on school holidays in a meat-processing plant.

    Of course, these experiences provided a different kind of education, which supplied the material for many of her early stories in which she explored what might have happened had she become pregnant and dropped out of high school or failed to win a scholarship and had to find a job.

    None of those calamities came to pass. And yet, after two years on scholarship at the University of Western Ontario, and having published a story, The Dimensions of a Shadow, in a college literary magazine, she gave it all up. In 1951 she married Jim Munro, a recent graduate, and moved with him to Vancouver, on the other side of the country. She was 20, he was 22, and soon she was pregnant with the first of their three daughters.

    Why would she quit school to get married? Sex was the simple answer. “You got married to have sex. Methods of birth control were too chancy,” she said bluntly to Merkin about those prepill, prechoice days.

    The Munros’ marriage did not survive second-wave feminism, the frenetic sexual shenanigans of the 1970s and her need to escape domesticity. Back in the early 1990s, broadcaster Eleanor Wachtel, of CBC’s Writers and Company, asked Munro why she was so interested in adultery. Munro’s answer was more general than personal, referencing her writerly purpose rather than source material based on her own lusts and behaviour. “Adultery is like modern theatre in the adventure it offers in ordinary people’s lives,” she said. “It’s a drama … that I think a writer is naturally attracted to.” Perhaps so, but in a writer so attuned to her own history, it is hard not to draw a connection between Munro’s experiences as a woman fleeing a traditional marriage and the characters she was drawing in her fiction.

    After her marriage broke down, Munro returned to Ontario, her literary wellspring, and concentrated more fully on writing. She and Jim Munro divorced in 1972, the year after Lives of Girls and Women was published with a dedication to him; he remained a huge supporter of his former wife’s writing until his death in 2016.

    Four years after her divorce, Munro married Gerald Fremlin, a cartographer and geographer who was seven years her senior, and, as she later admitted, an unrequited flame from university days. They lived in the house in which he had grown up in Clinton, a small town in Southwestern Ontario near her hometown of Wingham, and eventually spent winters in Comox, B.C., where the eldest of her daughters then lived.

    Munro was no longer writing in the vein of a young woman; rather she was reflecting on her life and times as a mature artist, sometimes expanding to incorporate genealogical portraits of the Laidlaw family in The View from Castle Rock or to write deeply researched novella-length historical fictions, not unlike Margaret Atwood’s genre blurring in Alias Grace.

    She also wrote as an older woman reckoning with the perfidy of young girls and atoning for her own impatience during her mother’s long decline from Parkinson’s disease. Some stories, such as the Faustian sexual bargain a devoted husband strikes to ease his demented wife’s anxiety in The Bear Came Over the Mountain, might seem eerily prescient, while others, such as the haunting Nettles, evoke the consequences of earlier choices.

    Nettles, a 30-page story, could easily have been a novel in a lesser writer’s hands. It opens with an unnamed female narrator referring to Mike, a seemingly forgotten man she had remet by chance. The narrative abruptly shifts back to the era of Munro’s youth on her parents’ silver-fox farm and her childhood friendship with the son of a well-digger, living a peripatetic existence “wherever his father was working,” while attending “whatever school was at hand.” The two children, age 8 and 9, are “like brother and sister,” her mother insists to the hired man, attempting to dismiss his snickers about what the kids are really up to when they wander off.

    Suddenly, the story switches time frames and the divorced narrator is on her way to spend a weekend with Sunny, a friend from the days when their pregnancies “had dovetailed nicely.”

    Both women have left Vancouver for Ontario, Sunny with her children and husband because he has a new job, and the narrator on her own after “leaving husband and house and all the things acquired during the marriage (except of course the children, who were to be parceled about) in the hope of making a life that could be lived without hypocrisy or deprivation or shame.”

    Good luck with that one. That’s the glum lesson the narrator learns in a confessional passage in which she describes a summer visit from her daughters, aged 10 and 12, a custodial sojourn that ends in tantrums and accusations and quickly rearranged flights so that the girls can return to their father’s house. Meanwhile, the narrator, an aspiring writer and a sexually avid woman, returns to what? Not “a fine and amazing thing to be happening but the stale habit of a lonely life.”

    The narrator knows that what she is writing “wasn’t any better than what I’d managed to write back in the old life while the potatoes cooked or the laundry thumped around in its automatic cycle. There was just more of it, and it wasn’t any worse – that was all.”

    Has a writer ever been more honestly disparaging about her early writings, and yet more persistent in her efforts? (At this stage of her career, the real Munro had published two highly acclaimed books of fiction.) From that despair, the narrator – is she unnamed because the story is so autobiographical? – phones Sunny, invites herself for the weekend and re-encounters Mike, who is bunking with them because his wife and children are away.

    Mike and the narrator, no longer “like brother and sister,” seem destined to have an incandescent affair. Of course, Munro never does the expected. Instead, she twists the story in a heartbreaking way when Mike shares a terrible secret that makes betraying his wife untenable. There will be no affair, casual or otherwise.

    Fans may find in reading Nettles an evocation of a similar negligence but with a vastly different outcome in Miles City, Montana, a much-anthologized Munro story. The two stories are different takes on the lasting harm that can occur because of a momentary self-indulgent distraction.

    And then there is Vandals, an eerily disturbing and multilayered horror story that Munro published in The New Yorker in 1993 and included in Open Secrets the following year. The mother figure is Bea Doud, a hedonistic supply teacher who moves in with Ladner, a taxidermist with perverted sexual proclivities. Doud befriends the two children who live next door to Ladner’s rural property while ignoring the sadistic way her lover sexually assaults them. The story changes perspectives and time frames as the reader stumbles through a narrative labyrinth of horrors.

    Vandals presents an extreme version of the mother in several Munro stories who snitches on her children to their father, moves backstage while he beats “the tar out of them,” and then offers tea and sympathy to her bruised and battered offspring.

    Novelist Elizabeth Hay has written a perceptive essay, “The Mother as Material,” in the Cambridge Companion to Alice Munro (edited by David Staines). “It seemed to me I was picking up the scent of the real mother inside the fiction, a mother who came from the Ottawa Valley in eastern Ontario, as did mine.” I read the stories with the same recognition, although my mother came from a different part of Ontario. “And what was the truth the stories revealed?” Hay asks rhetorically. “It had to do with the way intimate yet tentative knowledge about one’s mother leads to unsparing self-knowledge … for in order to become a writer, Munro had to abandon her ill and needy mother, who then became the subject to which she irresistibly returned.” The mother figure, with whom we have battled in the domestic trenches, turns out to be the voice in our ear as we struggle to raise our own daughters and preserve a sense of self and creative purpose. Who else but Munro could use a short form to take a long view of life?

    Like a cinematographer, Munro cuts and splices scenes, forcing the reader to focus on crucial emotional moments while the dross falls to the floor. “I’d love to see her drafts, or the inside of her mind as she works,” the Irish writer Colm Toibin observed in The Guardian, “because my feeling is that this takes a great deal of erasing, adding, taking risks, pulling back, taking time.”

    As an artist, Munro resents the notion that the short story is a minor literary form. “I haven’t read a novel that I didn’t think couldn’t have been a better story,” she told Merkin in the Times piece. Or, as the late British writer A.S. Byatt wrote in the Literary Review, “Munro’s short stories … are extraordinary in that they contain whole lives (which should have taken whole novels) in the brief spaces of tales.”

    Munro takes on the short-story-versus-novel issue in one of her later stories, Fiction, from Too Much Happiness, in which she exacts her revenge on Joyce, a middle-aged reader who spurns the talent of Christie, a rising literary star.

    In the story, Christie has written a book entitled How Are We to Live. Joyce buys it spontaneously, and discovers it is a collection of short stories, rather than a novel. “This in itself is a disappointment,” Joyce thinks. “It seems to diminish the book’s authority, making the author seem like somebody who is just hanging on to the gates of Literature, rather than safely settled inside.”

    And yet, Joyce does read the book and recognizes that Christie is the stepdaughter of Joyce’s first husband, and a former pupil of hers from a lifetime ago. Chuffed that the book may be all about her, Joyce shows up at Christie’s crowded book signing, assuming the author will recognize her as a beloved and formative teacher. In Munro’s famous bait-and-switch literary technique, that is not what happens.

    “There is not a scrap of recognition in the girl’s face,” Joyce realizes, as Christie signs her book and shifts her glance to the next person in line. “Joyce at last has the sense to move on, before she becomes an object of general amusement or, God knows, possibly a matter of interest to the police.”

    “Who Do You Think You Are?” I couldn’t help thinking, remembering both the title of Munro’s 1980 collection and the familiar slur hurled at people such as Munro, the aspiring writer, who have the gall to rise above their “station.” And yet, Munro’s perspective has changed from those early days. It is Joyce, the dismissive reader, who gets her comeuppance, not Christie the talented writer, as Munro wants us, her fans, to know. The bond that Hugh Garner recognized so long ago with the “hearts and minds” of readers has only grown stronger as the years have passed and Munro has elevated the art of the short story.

    Munro toyed with retiring in 2006, after some health issues, but like a sensible woman she kept on writing. Her last collection, Dear Life, was published in 2012, when she was 81.

    It is an extraordinary collection for its ability to look forward as well as backward, including In Sight of the Lake, the peripatetic story of a woman in the middle stages of dementia trying to navigate her way home, a place that turns out to be an institution from which she has wandered away. Knowing what we know now of Munro’s long decline, it is hard not to read the story as prescient.

    The collection ends with three stories that are obviously autobiographical. In the title story, published as a “personal history” in The New Yorker, Munro learns a different version of an oft-told family story, a revelation that she would love to share with her mother, who by then has long since died. That maternal absence leads Munro to add a postscript, a flagellation that will be familiar to readers. “I did not go home for my mother’s last illness or for her funeral.’’ She presents her perfectly reasonable excuses and then adds: “We say of some things that they can’t be forgiven, or that we will never forgive ourselves. But we do – we do it all the time.”

    Make of this what you will, but I think it suggests that Munro has made peace with herself. She has resolved her maternal conflict, the motivating spur for so much of her fiction.

    The following year, 2013, was momentous. Munro’s second husband died in April, at the age of 88, and six months later she won the Nobel. The literary world was in a frenzy. Munro, deemed too frail by her family to travel to Stockholm, watched the ceremony on television, as her middle daughter Jenny accepted the prize on her mother’s behalf.

    In truth, Munro was in the early stages of dementia. There would be no more stories, only the pleasure of rereading and being struck anew by the genius of Alice Munro. As we mourn her death, let rereading be our solace. The stories live on.

  7. মাসুদ করিম - ২১ মে ২০২৪ (৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

    Iran’s President, FM killed in deadly air crash
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/irans-president-fm-killed-in-deadly-air-crash-1716228525

    It turns out as a high tragedy as Iranian president Ebrahim Raisi was found dead along with his foreign minister and others in a helicopter crash, necessitating a stand-in top order of the government.

    International media reports note that the big-bang accident occurred at a time when Iran was leading an axis of resistance against the Israeli “aggression” in Gaza.

    Bangladesh joined the world in mourning as the Iranian government confirmed that President Ebrahim Raisi was found dead Monday after search and rescue teams traced his crashed helicopter in a fog-shrouded mountain region.

    The charred wreckage of the helicopter which crashed Sunday carrying Raisi, Foreign Minister Hossein Amirabdollahian and six other passengers and crew was found early Monday after an overnight search in blizzard conditions.

    Iranian Supreme leader Ayatollah Ali Khamenei, who holds ultimate authority, declared five days of mourning and assigned vice president Mohammad Mokhber, 68, to assume interim duties ahead of elections within 50 days.

    Deputy Foreign Minister Ali Bagheri Kani was appointed acting foreign minister to stand in the place of deceased Amirabdollahian, reports IRNA.

    Earlier in the day on Monday, state TV announced that “the servant of the Iranian nation, Ayatollah Ebrahim Raisi, has achieved the highest level of martyrdom” and broadcast pictures from Raisi’s life as a voice recited the Quran.

    Media reports say Raisi, 63, had been in office since 2021, during a time that has seen Iran rocked by mass protests, economic crisis deepened by US sanctions, and armed exchanges with archenemy Israel.

    Russian President Vladimir Putin called Raisi “a true friend of Russia”. The Kremlin said he had spoken to Mokhber by phone and both stressed “mutual intention to further strengthen Russian-Iranian interaction”.

    Indian Prime Minister Narendra Modi said he was “deeply shocked and saddened” at the news of the air crash in Iran.

    There was less reaction from Western capitals, though the European Union and Japan expressed condolences.

    Iran-backed group Hamas, fighting Israeli forces in Gaza with Tehran’s support, issued a statement expressing sympathy to the Iranian people for “this immense loss.”

    Lebanon’s Iran-backed Hezbollah group and the Houthi rebels in Yemen also issued statements praising Raisi and mourning his passing.

    Meanwhile, the exiled opposition group, the National Council of Resistance of Iran, too, described his death in a statement as a “monumental and irreparable strategic blow” to the Islamic Republic.

    The NATO military alliance on Monday expressed “condolences” to Iran over the death of Raisi.

    “Our condolences to the people of Iran for the death of President Raisi, Foreign Minister Amir-Abdollahian, and others who perished in the helicopter crash,” said NATO spokesperson Farah Daklallah on X, the former Twitter.

    A black flag was hoisted at a major Shiite shrine in city of Qom, south of Tehran, as a sign of mourning for Raisi, whom many had considered a favourite to someday succeed the supreme leader.

    Iranian authorities first raised the alarm on Sunday afternoon when they lost contact with Raisi’s helicopter as it flew through a fog-shrouded mountainous area of the Jolfa region of East Azerbaijan province.

    Raisi had earlier met Azerbaijan’s President Ilham Aliyev on their common border to inaugurate a dam project.

    On the return trip, only two of the three helicopters in his convoy landed in the city of Tabriz, setting off a massive search and rescue effort, with multiple foreign governments soon offering help.

    Interior Minister Ahmad Vahidi at first spoke of a “hard landing” and urged citizens to ignore hostile foreign media channels and get their information “only from state television”.

    Army personnel, Revolutionary Guards and police officers joined the search as Red Crescent teams walked up a hill in the fog and rain and rows of emergency services vehicles waited nearby.

    Muslim faithful across the nation started to pray for those missing, including in mosques in Raisi’s hometown, the shrine city of Mashhad.

    As the sun rose on Monday, rescue crews said they had located the destroyed Bell 212 helicopter, with no survivors among the nine people on board.

    State television channel IRIB reported that the helicopter had “hit a mountain and disintegrated” on impact.

    Iran’s Red Crescent chief Pirhossein Koolivand confirmed that its staff were “transferring the bodies of the martyrs to Tabriz” and that “the search operations have come to an end”.

    “We were very sad when we learnt the news,” said one Tehran resident, 63-year-old retiree Nabi Karam. “Our president was a very good leader, may God bless him.”

    The cabinet vowed that the government’s work will go on “without the slightest disruption” and said that “we assure the loyal nation that the path of service will continue with the tireless spirit of Ayatollah Raisi”.

    Foreign countries had been closely following the search at a time of high regional tensions over the Gaza war raging since October 7.

    Expressions of concern and offers of help had quickly come from countries including China, Egypt, Iraq, Kuwait, Qatar, Russia, Saudi Arabia, Syria and Turkey, which later offered their condolences.

    US President Joe Biden was briefed about the search and the European Union activated its rapid response mapping service to aid in the search effort.

    Raisi had in 2021 succeeded the moderate Hassan Rouhani, at a time the economy was battered by US sanctions over Iran’s contested nuclear programme.

    Iran saw a wave of protests in 2022 triggered by the death in custody of Iranian-Kurdish woman Mahsa Amini after her arrest for allegedly flouting strict dress rules for women.

    In March 2023, regional rivals Iran and Saudi Arabia signed a surprise deal that restored diplomatic relations.

    The Gaza war sent tensions soaring and a series of tit-for-tat escalations led to Tehran launching hundreds of missiles and rockets directly at Israel in April.

    In a speech hours before his death, Raisi emphasised Iran’s support for the Palestinians, a centrepiece of its foreign policy since the 1979 Islamic revolution.

    “We believe that Palestine is the first issue of the Muslim world,” said Raisi.

    Hamas hailed Raisi as an “honourable supporter”, Hezbollah mourned him as “a protector of the resistance movements” and Yemen’s Huthis declared his death a loss “for the entire Islamic world”.

  8. মাসুদ করিম - ২৪ মে ২০২৪ (৫:৫২ পূর্বাহ্ণ)

    ‘Had I been in 1971, I would have taken Kartarpur Sahib Gurdwara from Pakistan’: Modi
    https://www.tbsnews.net/world/south-asia/had-i-been-1971-i-would-have-taken-kartarpur-sahib-gurdwara-pakistan-modi-859021

    “An opportunity presented itself to take back the Kartarpur Sahib Gurdwara in 1971 when more than 90,000 Pakistani soldiers surrendered before the Indian Army, and we had the trump card in our hands,” he said.

    Indian Prime Minister Narendra Modi has said had he been in power in 1971; he would have taken Kartapur Sahib from Pakistan before freeing their troops.

    Addressing a rally in Punjab’s Patiala — his first in the state — for the seventh phase of Lok Sabha polls, the Indian PM said Punjab and the Sikh community have always been at the forefront of national-building efforts.

    He lambasted the current AAP government over issues of corruption and drug trade.

    Modi called Chief Minister Bhagwant Mann only a ‘kagazi Chief Minister’ – a Chief Minister on paper.

    During his speech, Modi brought up the emotive issue of the Kartarpur Sahib gurdwara, where Guru Nanak Dev spent the last years of his life and a place sacred to Sikhs, and blamed the Congress for the country’s partition, saying they did it for the sake of power.

    The partition left Kartarpur Sahib in Pakistan’s Punjab, just a few kilometres from India’s border.

    “For 70 years, we could have a ‘darshan’ of the Kartarpur Sahib gurdwara only with binoculars,” he said.

    “An opportunity presented itself to take back the Kartarpur Sahib Gurdwara in 1971 when more than 90,000 Pakistani soldiers surrendered before the Indian Army, and we had the trump card in our hands,” he said.

    “Had Modi been there at that time, he would have taken Kartapur Sahib from them and then freed their troops,” he said.

    “They [Congress] did not do that, but I did as much I could,” the Indian PM added, referring to the opening of the Kartapur Sahib Corridor in 2019 that made it easier for Sikh pilgrims to travel to the shrine.

    Campaigning for Patiala candidate Preneet Kaur, the wife of former Chief Minister Amarinder Singh, the Indian prime minister said he has come to seek the blessings in the land of Gurus “by bowing my head”.

  9. মাসুদ করিম - ২৮ মে ২০২৪ (২:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’
    নজিরবিহীন দীর্ঘ অবস্থান ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত
    https://samakal.com/bangladesh/article/239305/%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%85%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A4

    ঘূর্ণিঝড় রিমাল খুব ভয়ংকর রূপ ধারণ না করলেও দীর্ঘ সময় ধরে উপকূলে অবস্থান করেছে। দীর্ঘ সময় ছিল সাগরের বুকেও। অগ্রভাগ উপকূলে স্পর্শ থেকে শুরু করে নিম্নচাপ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ ঘণ্টা স্থলভাগে ঘুরপাক খাচ্ছিল। এর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ২২ মে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়, যা ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ অবস্থা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় শনিবার সন্ধ্যায়। তখন এর নাম দেওয়া হয় রিমাল। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। ওই দিন বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ স্থলভাগ স্পর্শ করে। আজ সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপ আকারে উপকূল অতিক্রম করছিল। নিম্নচাপটি পুরোপুরি বিদায় নেবে আগামীকাল মঙ্গলবার।

    এর আগে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলো দুই থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করে গেছে। সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা এর প্রভাবে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি ঝরেছে। এ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বেশ ব্যতিক্রমী আচরণ করেছে। টানা আড়াই দিন বৃষ্টি ঝরবে দেশে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, রিমাল উপকূলে স্পর্শ থেকে শুরু করে নিম্নচাপ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ ঘণ্টা উপকূলে ছিল। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ উপকূলে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো আঘাত হানে, সাধারণত দুই থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা স্থল নিম্নচাপ থেকে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড অতিক্রম করে যায়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পর যে স্থল নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, তা আজ রাত পর্যন্ত দেশের উপকূলে বেশি সক্রিয় ছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখণ্ডে তা অবস্থান করে দুর্বল হতে পারে।

    তিনি বলেন, সাগরে প্রচুর তাপ তৈরি হচ্ছে। বাড়তি তাপ অনেক বেশি শক্তি সঞ্চয় করে। সাগরে ১ ডিগ্রি তাপ বাড়লে বায়ুপ্রবাহ ৭ শতাংশ বেড়ে যায়। তাপ ধারণ করতে করতে ভেতরে শক্তি বেড়ে যায়, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃষ্টির মাধ্যমে।

    আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল সৃষ্টির সময় বঙ্গোপসাগরে ছিল অতিরিক্ত উষ্ণতা। এ সময়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু দুই মাস ধরে সেখানে তাপমাত্রা ছিল ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ‌ সমকালকে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়গুলোর চলার গতি (আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় ট্রান্স স্পিড) খুবই ধীর হবে। আমেরিকার জাতীয় আবহাওয়া সংস্থার বিজ্ঞানী জেমস খিন ১৯৪৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রমাণ পেয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ের চলার গতিবেগ গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। আবার স্থলভাগে প্রবেশের পরে গতি কমেছে ২০ শতাংশ। চলার গতি কমে যাওয়ায় সমুদ্রের ওপরে অবস্থান করার সময় অনেক বেশি পরিমাণে মেঘের সৃষ্টি করছে। স্থলভাগে পৌঁছানোর পরে সেই অতিরিক্ত মেঘ থেকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে।

    বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা ঘূর্ণিঝড় গবেষক আমেরিকার এমআইটির ক্যারি ইমানুয়েলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের চলার গতিবেগ কমে গেছে। এর ফলে সাম্প্রতিক কালের ঘূর্ণিঝড়গুলোর প্রভাবে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

    সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের (নোয়ামি) নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার দাশ বলেছেন, ঝড় নিয়ে অবশ্যই আরও গবেষণা করা উচিত। দেশের ভবিষ্যৎ ঘূর্ণিঝড়গুলোর পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ঝড়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

    আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুতে পরিবর্তন আসছে। এসব বদল আমাদের এ অঞ্চলে দুর্যোগের চরিত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এই ঝড় থেকে আমরা সেই শিক্ষাই পেলাম।

  10. মাসুদ করিম - ২৮ মে ২০২৪ (৩:০২ পূর্বাহ্ণ)

    ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য
    https://www.banglatribune.com/country/khulna/848866/%E0%A6%98%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%9D%E0%A7%9C-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0

    ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের। ঝড়ের কবলে পড়ে মারা গেছে হরিণসহ অন্যান্য প্রাণী। সোমবার (২৭ মার্চ) বিকালে বনের কটকা ও দুবলা এলাকা থেকে দুটি মৃত হরিণসহ আরও ৯টি আহত হরিণকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা।

    এ ছাড়া রিমালের তাণ্ডবে বনের অভ্যন্তরে ২৫টি টহল ফাঁড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লবণপানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে কমপক্ষে ৮০টি মিষ্টিপানির পুকুর।

    খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘রবিবার (২৬ মে) বিকাল থেকে একটানা ২০ ঘণ্টা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব ও জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বন বিভাগের বিভিন্ন বন অফিসসহ টহল বোট, টিনের চালা, জানালা-দরজা, সোলার প্যানেল ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে কটকা অভয়ারণ্যে অফিস ঘাটের জেটি ও পুকুর বঙ্গোপসাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুবলা, কটকা, কোচিখালি, বগিসহ বিভিন্ন বন অফিসসহ ২৫টি টহল ফাঁড়ির রান্নাঘরসহ অবকাঠামোর টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মিঠাপানির পুকুরগুলোও জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের ৮০টি মিঠাপানির উৎস পুকুরে ৮-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বনকর্মীদের পাশাপাশি বাঘ, হরিণসহ বন্য প্রাণীরাও সুপেয় পানির সংকটে পড়েছে। সুন্দরবনের বন্য প্রাণীরা অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়ে মারা যাওয়ারও খবর মিলেছে।’

    মিহির কুমার দো বলেন, ‘সোমবার বিকালে সুন্দরবনের কটকা ও দুবলা এলাকার নদ থেকে দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দুবলা এলাকা থেকে আহত আরও ৯টি হরিণ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে বনরক্ষীরা। তবে হরিণের পাশাপাশি আরও বন্যপ্রাণী মারা যেতে পারে। সেসব মৃত প্রাণীর খোঁজে বনরক্ষীরা তৎপর রয়েছে।’

    ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটনকেন্দ্রের নানা অবকাঠামো। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে এখানকার পর্যটক চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙেছে অসংখ্য গাছপালা। তবে পুরো সুন্দরবনের গাছপালাসহ কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে এখনই বলা সম্ভব নয়।

    এ বিষয়ে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের জন্য পর্যাপ্ত উঁচু টিলা ও শ্লেটার রাখা জরুরি। তাহলে এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। মিঠাপানির পুকুরের পাড় ও অনেক উঁচু করতে হবে যাতে বন্যার পানি সেখানে প্রবেশ করতে না পারে।’

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.