মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৬ comments
মাসুদ করিম - ১ মার্চ ২০২৪ (৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ)
দেশে প্রতি হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালে একটি শয্যা
https://www.banglatribune.com/national/838195/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE
দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রতি ৯৯০ জন মানুষের জন্য একটি শয্যা রয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ময়মনসিংহ-৭ আসনের এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) অধিবেশন শুরু হয়।
দেশে প্রতি ৫০ জন লোকের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ২১১ জন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ২০২২ সালের হেলথ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি শয্যা সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৬০টি এবং বেসরকারি শয্যা সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৫টিসহ মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৫টি। মোট শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ৯৯০ জন লোকের বিপরীতে একটি শয্যা রয়েছে।’
বিরোধীদলীয় চিপ হুইপ মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা যদি তার সঙ্গে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তিনি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করতে পারবেন। তিনি সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় যেসব ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেখানে সব সুযোগ সুবিধা আছে কিনা, লাইসেন্স আছে কিনা, এসব দেখার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, তিনি সব হাসপাতাল বন্ধের পক্ষে না। যেখানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম থাকা উচিত এবং আছে, সেসব হাসপাতাল থাকবে।
এইচ এম বদিউজ্জামানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সব বিভাগে গিয়ে হাসপাতালগুলোতে কী কী সমস্যা আছে, তা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরে রোগীর ভিড় হবে না, মাটিতে শুয়ে থাকতে হবে না।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের সরকারি হাসপাতালে স্নাতক ডাক্তার ২৯ হাজার ৫৬১ জন। স্নাতক নার্সের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৫০ জন, তাদের মধ্যে বিএসসি ইন নার্সিং ৩ হাজার ৯০৪ জন, বিএসসি ইন পাবলিক হেলথ নার্সিং (পোস্ট বেসিক) ১ হাজার ৫৯৭ জন এবং বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) ১ হাজার ১৪৯ জন। স্নাতক ফার্মাসিস্ট ৫ জন।
স্বতন্ত্র এমপি মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশীয় মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১৪ হাজার ২৯২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২৭৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের ৪২৯টি উপজেলা হাসপাতালের মধ্যে ৩৮৩টিতে এক্সরে মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি অচল হয়ে আছে বলে জানান মন্ত্রী।
সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য-অর্থনীতি ইউনিটের অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আনুষ্ঠানিক খাতের সরকারি চাকরিজীবী ও পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক স্বাস্থ্য বিমা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে অনানুষ্ঠানিক খাতের জনগোষ্ঠীকেও এ বিমার আওতায় আনা হবে।
সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের জাতীয় পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার নিয়ে কোন গবেষণা হয়নি। তাই দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত কিনা, এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা প্রয়োজন। লিভার ক্যানসারের অন্যতম কারণ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস। ফ্যাটি লিভারের কারণে লিভার ক্যানসার হতে পারে। তবে এর সঠিক কারণ সম্পর্কিত কোনও গবেষণা তথ্য নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে এ ব্যাপারে আগামীতে আরও গবেষণা করা হবে। ক্যানসারের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের (লক্ষ্মীপুর) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৩৪টি জেলায় ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন রয়েছে। সরকারের আর্থিক সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন চলমান প্রক্রিয়া। কোনও জেলার মোট জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান, প্রয়োজনীয়তা, জনগুরুত্ব ইত্যাদি বিষয় বিবেচনাপূর্বক পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হবে।
সরকারদলীয় এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, চীনসহ বিশ্বের ৭১টি দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট SARS-CoV-2 Variant JN.1 ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩২ জন। গত ২০ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম বাংলাদেশে এই সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।
সরকারদলীয় এমপি তৌহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনারি স্টেন্ট (রিং) এবং মেকানিক্যাল বাল্ব হাইটেক পণ্য। করোনারি স্টেন্টের প্ল্যান্ট তৈরি করতে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন হওয়ায় আপাতত এ ধরনের প্রকল্প করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। প্রকল্প অনুমোদনের আবেদনও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা হয়নি।
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও স্বল্পমূল্যে দেশের জনসাধারণের হৃদরোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে ক্যাথ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের চিন্তা করে সরকার স্টেন্ট আমদানি ওপর সব ধরনের ভ্যাট ও ট্যাক্স বাদ দিয়েছে।
মাসুদ করিম - ২ মার্চ ২০২৪ (২:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
Fire tragedy in Bailey Road building
https://thefinancialexpress.com.bd/editorial/fire-tragedy-in-bailey-road-building
The fire that took no time to become an inferno to reduce an upscale and trendy building bustling with shoppers and food lovers on Bailey Road into a kind of death valley highlights the vulnerability of life in such accommodations. Latest reports confirm that 49 lives perished in the fire and a few more of those admitted to hospitals with severe burn injuries may die as well. It is tragic and at the same time shocking. Only more so, because the night of February 29 arrived there as usual with the high-end Bailey Road’s appeal for some happy time. A rendezvous of shoppers, friends and families, the building gave an impressive look. On the ground floor was a very popular shop that is well known for selling the latest tech products including smartphones and related hardware, then there were well-established eateries and shops on other floors upstairs. This building was next to another famous building that housed Pizza Hut and KFC, which drew in even bigger crowds on any given day.
Fire in such a multi-storied building in a posh area is the last thing people have in their minds. But given the building’s commercial cum residential characteristics, a tragedy of this order was just waiting to unfold. To go by the Bangladesh Fire Service and Civil Defence’s claim, notices were issued three times before, warning the danger posed to the building. Allegedly, additional construction to the original design of the building upset the stability of the building and the power input to it. Fire service personnel suspect that the fire originated on the ground floor and coming in contact with the LPG gas cylinders stored in fire escape stairway —and there was only one narrow stairway— the fire turned vicious. Last year saw a number of fires more devastating but mercifully with fewer casualties.
Fires at Nimtoli, Chawkbazar and Churihatta along with a series of blazes at garment factories are unlike those at slums because the building codes and fire safety measures are supposed to be in place in the former and unregulated and at times illegal power connections to shacks or shanties to the latter. Unfortunately, violation of building codes and makeshift arrangements for commercial use make shopping complexes and residential cum commercial buildings as much vulnerable as slums. Violation of building codes, misuse and abuse of living and commercial facilities make a sure recipe for tragedies like that of the building on Baily Road.
Why aren’t authorities like the RAJUK held accountable for approval of building plans and then not following up with inspections? It is essential to accord magisterial powers to officials concerned of fire service department. That its notices are not heeded to is because those are not taken seriously. If the past few incidents of fire are considered, the fire service issued prior warnings in almost all cases. Let their recommendations be followed up by legally sanctioned measures and actions. The fact that fire tragedies at garment factories after the Tazreen tragic incident have now become almost a thing of the past certainly shows the way. Retrofitting and transformation of garment factories to green buildings have done the trick. A similar programme should be launched to avoid fire tragedies in the future.
মাসুদ করিম - ২ মার্চ ২০২৪ (৩:৩২ পূর্বাহ্ণ)
অভিশ্রুতি অথবা বৃষ্টি খাতুন, কেন পরিচয় বদলেছিলেন তিনি?
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/5ckr9dj8h5
বিশের ঘরের ওই তরুণীর জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন গরমিল পাওয়া গেছে।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিকের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ওই সাংবাদিককে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে চিনতেন তার সহকর্মীরা; ফেইসবুকেও তার ওই নাম পাওয়া যায়। মন্দিরে গিয়ে নিয়মিত পূজা-অর্চনাও করতেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে আসা তার বাবা সাবরুল আলম সবুজ বলছেন, তার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন।
অভিশ্রুতি কাজ করতেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ নামের একটি নিউজ পোর্টালে। সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে দেন, তার যোগ দেওয়ার কথা ছিল আরেকটি সংবাদমাধ্যমে।
রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে সম্প্রতি কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া কোম্পানিতে যোগ দেওয়া তুষার হাওলাদারের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি। ওই ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। অভিশ্রুতি আর তুষারও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
বিশের ঘরের ওই তরুণীর জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নামের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন গরমিল পাওয়া গেছে।
লাশ গ্রহণ করতে এসে সাবরুল আলম বলেন, “অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। ওর জন্ম ২৫ ডিসেম্বর মনে হয়। আমার মেয়ে।
“ওর ডাক নাম বৃষ্টি খাতুন। গ্রামে নাম বৃষ্টি, স্কুলে নাম বৃষ্টি, কুষ্টিয়া গভর্নমেন্ট মহিলা কলেজে যখন পড়েছে, তখনও বৃষ্টি, ঢাকাতে যখন ভর্তি হয়েছে ইডেন কলেজে, ঢাবি সাত কলেজের অধীনে, তখনও বৃষ্টি, দর্শনে পড়াশোনা করে রোল নম্বর ২৭৬, তখনও বৃষ্টি।”
মন্দিরে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এতটুকু জানি, ও বন্ধুবান্ধবের সাথে মন্দিরে যায় মাঝেমাঝে, চলাফেরা করে। সেই এতটুকু আমাদের সাথে কথাবার্তা বলে। তাছাড়া অতিরিক্ত কিছু আমরা জানি না।”
রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সাহা বলছেন, নিয়মিত মন্দিরে এসে হিন্দু ধর্ম চর্চা ও পূজা-অর্চনা করতেন ওই নারী সাংবাদিক।
“অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসাবে, সে ব্রাহ্মণ মেয়ে– সে হিসাবে এখানে পরিচয় দিত। ধর্মীয় কৃষ্টি কালচারগুলো আমাদের সাথে পালন করেছে। আমরা চাই, এ বিষয়টি একটা সমাধানের জায়গায় আসুক… তার পিতৃ পরিচয়। আমার কথা হচ্ছে সে যে ধর্মেরই হোক, সে হিন্দু ধর্মের সেটা আমি বলতে চাচ্ছি না, বা মুসলিম ধর্মের, সেটিও পরীক্ষার বিষয় আছে, তদন্তের বিষয় আছে। সেই তদন্ত হোক।
“যদি সে হিন্দু হয়ে থাকে, তবে তাকে সেই কালচারেই আমরা আমাদের যে মন্দির, আমাদের সাথে যেহেতু কানেকশন ছিল তার এবং পূজা-অর্চনা করত। সে হিসাবে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মকানুন বজায় রেখে, আমাদের হিন্দু ধর্মীয় মতে শেষকৃত্যটা করতে চাই।”
কাগজপত্রে গরমিল
অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং চাকরির জন্মবৃত্তান্তে বাবা-মায়ের নামে বিভিন্ন রকম তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, স্থায়ী ঠিকানা সব জায়গায় একই।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসাবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তার একই রকম তথ্য আছে।
২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্ম নিবন্ধন সনদে আছে নাম অভিশ্রুতি লেখা হলেও বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম।
অন্যদিকে, চাকরির জন্মবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী লিখেছেন তিনি। তবে, বাবার নাম লেখা হয়েছে সাবুরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী।
জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং জন্ম বৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।
অভিশ্রুতির সাবেক কর্মস্থল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের চিফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চাকরির বায়োডাটায় তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সবুজ শেখই অভিশ্রুতির বাবা এবং বিউটি বেগমই তার মা।
“অভিশ্রুতি হিন্দু ধর্ম চর্চা করতেন বলেই আমরা দেখেছি। নিয়মিত পূজা-অর্চনা করতে মন্দিরে যেতেন। জন্ম নিবন্ধনে তিনি নাম পরিবর্তনও করেছেন। ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টায় থাকতে পারেন হয়ত।”
অভিশ্রুতির বাবা বলেন, “আমরা মুসলমান। এক সপ্তাহে আগে বলেছি, বাবা বাড়ি যাবা? বলেছে, না একেবারে ঈদে বাড়ি যাব।”
সবশেষ কয়দিন আগে কথা হয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,“ তিন থেকে চারদিন হতে পারে। চারদিন মনে হয়।”
জুমার নামাজের পর অভিশ্রুতির এক বান্ধবীর ফোনে তার মৃত্যুর খবর জানার কথা বলেন সাবরুল আলম সবুজ।
নাম পরিবর্তন বা ধর্ম পরিবর্তন করেছে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “না, ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো হদিস নাই। আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই যে, ধর্ম পরিবর্তন করছে, নাম পরিবর্তন করছে আমরা জানি না।”
এক প্রশ্নে সবুজ বলেন, “এক বছর আগে আমি একবার শুনেছি, মন্দিরে গেছে। একজন মন্দিরে যাওয়ার ছবি দেখিয়েছে। তখন আমাকে জানাইছে।
“হিন্দু বন্ধুবান্ধবদের সাথে চলাফেরা করে, একটা অনুষ্ঠানে দাওয়াত করেছে, তাদের সাথে গেছে। এটার সত্য-মিথ্যা জানি না।”
মেয়ের সঙ্গে দূরত্ব ছিল কি না– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার মেয়ের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নাই, হিংসা নাই। মাঝেমধ্যে আমার সাথে দেখাসাক্ষাৎ করে, টাকা পয়সা লাগলে নিত। অনেক সময় বাজারও নিয়ে আসত।”
ভারতের বেনারস থেকে অভিশ্রুতির ‘ঘটনাচক্রে’ বাংলাদেশে আসার কথা বলছেন রমনা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সাহা।
তিনি বলেন, “আমাদের মন্দিরে এসে ধর্মীয় চর্চা বা পূজা অর্চনা, এই জিনিসগুলোর মাধ্যমে কিন্তু তার সাথে পরিচয়। তার পার্সোনাল বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে যতটুকু শেয়ার করেছে, সেটুকু বলি- সেটা হচ্ছে তার ফ্যামিলি বেনারসে ছিল এবং তার পিতৃ পরিচয়, বেনারসে বাবা ও মা একটি মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে ছিল, সেই জায়গা থেকে আসছে।”
“তার ফাদার-মাদার ওখানে মৃত্যু বরণ করার পরে, কোনো একটা ঘটনাচক্রে, সেটি আমাদের কাছে উন্মোচিত হয়নি, বা সেটি বলেনি, ঘটনাচক্রে সে বাংলাদেশে কুষ্টিয়াতে এসেছে এবং এখানে সে পড়াশোনা সে মুসলিম ফ্যামিলিতে করেছে, এটুকু আমরা জানি। এটুকু আমরা শুনেছি তার কাছ থেকে।”
অভিশ্রুতির ধর্ম পরিচয় নিয়ে আলোচনা চলছে ফেইসবুকেও। নিজেকে অভিশ্রুতির ‘কাছের বন্ধু’ পরিচয় দেওয়া মাহফুজুর রহমান নামের একজন এক পোস্টে লিখেছেন, ধর্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্নের সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে তার কাছে।
মাহফুজের ভাষ্য, “ও যাদেরকে বাবা মা হিসাবে পরিচয় দিত, তারা মুসলিম হলেও ও নিজে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। কারণ, তার মতে কুষ্টিয়ার সবুজ শেখ ও তার স্ত্রী মূলত তার পালক পিতা-মাতা, ওকে ইন্ডিয়ার কোন একটা হিন্দু পরিবার থেকে দত্তক নেয়া হয়েছিল।”
মাহফুজ লিখেছেন, “যদিও ওর মা দৃঢ় ভাবে দাবী করতেন ‘আমাদের পরিবারেই জন্ম নিয়েছে, ও অবশ্যই মুসলিম, ক্লাস এইট-নাইন পর্যন্ত নামাজ পড়তো তারপর ওর বিশ্বাসে পরিবর্তন আসে’। এই নিয়ে ওর পরিবারের সাথে ওর জটিলতা চলছিল অনেকদিন ধরেই।”
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত কথা বলতে মাহফুজের ফেইসবুকে দেওয়া ফোন নম্বরে কল করলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস করলেও সাড়া দেননি।
বেইলি রোডে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ ইতোমধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদারও সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেলের লাশ বুঝে নেন। কিন্তু অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির বাবা মর্গে গিয়ে পড়েন জটিলতায়।
সাবরুল আলম সবুজ যে এনআইডি কার্ড দেখিয়েছিলেন, তাতে বৃষ্টি খাতুন নাম দেখে প্রতারক ভেবে পুলিশ তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে রাত ১১টা পর্যন্ত মেয়ের লাশ বুঝে পাননি সাবরুল আলম সবুজ। রমনা থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, ৪৬টি লাশের মধ্যে ৪৩টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিশ্রুতি বা বৃষ্টি খাতুন হিসেবে দাবি করা লাশটিসহ মোট তিনটি লাশের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মাসুদ করিম - ৯ মার্চ ২০২৪ (৬:১৭ পূর্বাহ্ণ)
Largest rice miller sinks into largest bankruptcy
https://www.tbsnews.net/bangladesh/largest-rice-miller-sinks-largest-bankruptcy-805842
Abdur Razzak owes banks, NBFIs and individuals Tk238 crore and is entangled in 71 lawsuits
Not too long ago, the name Razzak was synonymous with the rice business in Bangladesh.
Lording over a rice empire was Abdur Razzak, who appeared invincible in his business pursuits, generating an annual revenue of around Tk1,000 crore at its peak.
However, the bottom fell out of his business when the government made a duty-free rice import policy in 2014, exposing his business to unmanageable market forces and then the Covid-19 pandemic hit in 2020.
Now, Razzak’s rice empire has come crashing down and he has filed for bankruptcy – marking the largest such individual case in the country’s history.
Burdened with a debt of more than Tk238 crore to various banks, non-banking institutions, and individuals, Razzak also finds himself entangled in 71 lawsuits seeking repayment of loans.
Razzak was pioneer in automated rice mills
Razzak’s entrepreneurial journey began in Naogaon, a district renowned for its rice production. In the 1980s, as automated rice mills became the standard, Razzak established himself as a pioneer in the industry.
By 2008, he owned five large automated rice mills, employing 2,000 people, and generating an annual rice production and marketing value of around Tk1,000 crore.
His five mills – Messrs Rabeya, Kofil Agro, Bismillah, Karim, and Kofil Atab – boasted a combined annual production capacity of more than 4,000 tonnes.
These mills were equipped with modern Swiss, Japanese and Chinese machinery.
Cracks appear
Razzak’s success began to falter in 2014, when the government allowed duty-free rice imports from India.
He lost the lucrative business of the government buying rice from the local market. “This policy filled up government warehouses with cheaper Indian rice and many new players entered the market,” Razzak explained to The Business Standard. Razzak still had to pay duties on his production.
He could not compete with the cheaper, imported rice and was forced to sell about 2,000 tonnes of rice from his warehouses at a loss, further hurting his ability to repay loans and cover business expenses.
“Although back then I had a Tk47 crore loan lined up from a bank, they only disbursed Tk32 crore when they saw my business falter. So, I was Tk15 crore short,” Razzak explained his struggle with finance as the bank became reluctant to extend further credit.
He attempted to secure cash loans and credits; he even wanted to sell his lands to keep his business afloat but the situation worsened.
“By 2018, I was forced to shut down two mills, and struggled to run the remaining three as I couldn’t buy enough paddy,” the trader said.
His once-thriving brands, Razzak Miniket, Razzak Paijam, Razzak Atap Rice, and Razzak Nazirshail, began to lose market share.
“Running the remaining mills was not possible. Wages of about 1,500 workers, maintenance costs, electricity bills, and loan instalments continued to accumulate,” he continued.
The outbreak of the Covid-19 pandemic in 2020 delivered the final blow. “Forced to halt operations entirely, I became destitute with no government or other assistance,” Razzak recounted.
“I had to sell land and houses, but the mortgaged properties are not readily disposable. Selling everything would not cover the Tk238 crore owed to banks and individuals. Finding no other options, I was forced to file for bankruptcy,” he told TBS.
Tk239 crore debt, 71 lawsuits
Abdur Razzak says Akij Group acquired two of his mills, Rabeya and Kofil Agro, in 2022 by settling Tk30 crore loans with Southeast Bank and Tk32 crore with Standard Bank. He claimed to have sold the mills at a significant loss.
Despite the sale, Razzak’s debt burden has not eased. He owes over Tk238.59 crore to various entities.
Six banks and non-banking institutions claim a combined debt of Tk222 crore from Razzak.
Social Islami Bank leads with Tk70.78 crore, followed by Islami Bank with Tk67.68 crore. Southeast Bank, Islamic Finance and Investment, United Finance, and Union Capital also hold outstanding claims ranging from Tk8.07 crore to Tk46.28 crore.
Additionally, 211 individual rice traders and retailers are also seeking recovery of their dues, totalling Tk16.57 crore.
Debtors have filed 71 cases against Razzak in various courts, including Dhaka and Bogura.
These include 59 civil cases and 12 criminal cases related to dishonoured cheques. Islamic Finance and Investment has filed 31 cases alone.
Citing his inability to repay, Razzak filed a bankruptcy case in Dhaka court in August last year, claiming he could not settle the debts even after selling his assets.
This case, involving 217 defendants, is the largest in the court’s history in terms of individuals and the amount of money involved, according to Dhaka bankruptcy court sources.
Court documents reveal that Razzak owes 211 individual creditors varying amounts, ranging from Tk205 to over Tk1 crore.
The starkness of Abdur Razzak’s financial struggles are evident by the fact that he included even a small-time rice seller named Sarwar Hossain in his bankruptcy petition – Razzak owes the local shopkeeper from Naogaon a mere Tk205.
Sarwar said this debt arose from a rice purchase in 2017.
“I used to buy around 70 maunds of rice wholesale from Razzak on a monthly basis. But now he has lost almost everything. I do not hold any personal claim to the Tk205 anymore,” he told TBS.
Among his individual creditors, wholesale trader Abdul Jabbar Khan of Mohadevpur is owed the highest amount – Tk1.31 crore as an advance payment for rice that was never delivered.
“I will file a separate lawsuit to try and recover the funds. Razzak might have some other motive behind filing the bankruptcy case,” Jabbar said.
Barrister Tanjib-ul Alam, a company law expert, highlighted the importance of thorough asset investigation in such cases to address potential concealment or misrepresentation.
Razzak’s case status
Even though summons have been issued to all 217 defendants named in the bankruptcy petition, only banks and non-banking institutions responded. The remaining individuals’ lack of response delays the trial’s commencement.
Legal professionals say if the court finds valid grounds for Razzak’s petition after receiving full responses, a receiver will be appointed to manage his assets before the trial begins. The incomplete summons process hinders determining the timing for appointing a receiver or starting the trial.
Bankruptcy cases in Bangladesh
With 231 pending cases involving Tk3,500 crore as of December 2023, Bangladesh’s bankruptcy courts face a significant workload.
Of these, 138 cases, totalling Tk1,800 crore, involve banks seeking to declare individuals bankrupt, while the remaining 93 cases, amounting to Tk1,700 crore, are self-declared bankruptcies.
Naogaon businessman Abdur Razzak’s petition to declare bankruptcy for Tk238 crore stands out as the largest in the court’s history due to the amount involved and the number of defendants.
This surpasses previous high-value cases like Pubali Bank’s pursuit of Tk96 lakh from six defendants of Halima Textile in 2020 and Mojammel Hossain’s bankruptcy claim over an unfulfilled Tk190 crore loan in 2014.
Mizanur Rahman Chowdhury, who served as prime minister from 1988 to 1990, holds the distinction of being the first individual declared bankrupt in Bangladesh.
He established Pioneer Pharmaceuticals in the 1980s, but facing financial difficulties, filed for bankruptcy after failing to repay a Tk31 crore loan with interest.
The court ruled him bankrupt in 1999. This case, filed in 1998, also marked the first instance of a bankruptcy petition under the Bankruptcy Act 1997.
The act provides individuals and businesses facing insolvency a legal recourse to declare bankruptcy and seek debt relief.
Upon court approval, their assets are sold to settle debts, releasing them from further obligations. Additionally, creditors such as banks can initiate bankruptcy proceedings against loan defaulters.
While the core principles of bankruptcy laws in various countries, including India, Pakistan, Malaysia, and the United States, share similarities, the severity of penalties for concealing assets during bankruptcy proceedings differs.
Indian law allows for a five-year prison sentence for such offences, while US law imposes a potential fine of up to $2.5 million.
Should Abdur Razzak’s case succeed, he will face certain restrictions under the act including on obtaining further loans, contesting elections, air travel and international travel without court’s permission.
মাসুদ করিম - ১৭ মার্চ ২০২৪ (২:০০ পূর্বাহ্ণ)
Valuable minerals discovered in sandy shoals of Gaibandha
https://today.thefinancialexpress.com.bd/country/valuable-minerals-discovered-in-sandy-shoals-of-gaibandha-1710604701
Valuable minerals worth several thousand crores of taka have been spotted in an invisible state in the sandy shoals of the riverine district Gaibandha.
Surrounded by rivers, Gaibandha has 165 chars (shoals) in its four upazilas.
Sandy shoals have emerged on the Jamuna and Brahmaputra riverbanks due to lack of navigability.
During monsoon, the rivers here tend to have high tides.
Once upon a time, the Jamuna and the Brahmaputra came into view with sand dunes.
At the time of dry season, vast marshes are formed on the banks of the rivers.
A study has revealed that minerals worth several thousand crores of taka remain hidden in the sandy shoals.
The study conducted by the Institute of Mining, Mineralogy and Metallurgy, which conducts research on mineral resources, has found presence of six types of valuable minerals in the sandy shoals of the Brahmaputra River flowing between Gaibandha and Kurigram districts.
The institute citing the research findings said that the price of mineral resources found in each square kilometre area would be at least Tk 36.3 billion (3,630 crore) without any techno-economic evaluation.
The scientists who conducted the survey said there are a lot of mineral resources in the sandy river shoals.
The valuable minerals detected in the shoals are ilminite, rutile, zircon, magnetite, garnet and quartz. Of them, rutile is used in the production of paints, plastics, welding rods, inks, foods, cosmetics and medicines.
Australia, India, Italy, Sri Lanka, Thailand, South Africa, Sierra Leone and the United States export these types of minerals all over the world.
Zircon is used in production of ceramics, tiles, and molding sands.
Currently, Australia, South Africa, India, China, Brazil, Sierra Leone and the US export this mineral resource throughout the world.
Magnetite is used in the production of magnets and steel, in the cleaning of coal extracted from mines, and in the drilling of deep wells in oil and gas exploration.
Only two countries – South Africa and Australia – in the world export this precious mineral all over the world.
Garnet is a heavy and valuable mineral. It is used in the manufacture of corrugated paper, cleaning of ferrous pipes and sand blasting. Currently, Australia and India export the mineral across the globe.
The Brahmaputra originates from the Lake Mansarovar near the Kailash peak of the Himalayas and flows through Tibet and Assam, India before entering Bangladesh through Kurigram. The Jamuna came to Saghata and got its name.
Mohammad Nazim Zaman, director of the Institute of Mining, Mineralogy and Metallurgy, Joypurhat, said, “We conducted a geophysical survey from the entrance to Kurigram to Gaibandha downstream and the shoals on the Teesta River basin. A preliminary study was conducted from 2010 to 2012 to determine which minerals are present in the area.”
“As it is effective, the Prime Minister directed the authorities to pilot this issue. After this, an ATP project was taken up in 2017. According to that project, a mineral research institute was established in Joypurhat. If research is conducted, precious minerals can be found in the Brahmaputra,” he added.
He also said that a few years ago, 2,500 tonnes of sand was collected from different sandbanks of Kurigram and Gaibandha. Then two kgs of ilminite, 200 gms of rutile, 400 gms of zircon, 3.8 kgs of magnetite, 12 kgs of garnet and 50 kgs of quartz minerals were collected from each tonne of sand following various processes at the mineral processing centre.
Citing the research, Dr Zaman said market value of the sand used for construction after extraction from every square kilometre area at a depth of 10 metres is Tk 800 million to one billion (80 to 100 crores).
And the market value of minerals obtained from the same area is Tk 36.3 billion (3,630 crores).
The government will determine through research which organisation in what process will extract these minerals, he added.
মাসুদ করিম - ১৭ মার্চ ২০২৪ (২:১৫ পূর্বাহ্ণ)
India abstains from voting on UN resolution on Islamophobia
https://thefinancialexpress.com.bd/world/india-abstains-from-voting-on-un-resolution-on-islamophobia
India abstained in the UN General Assembly on a draft resolution introduced by Pakistan and co-sponsored by China on Islamophobia, asserting that the prevalence of “religiophobia” against Hinduism, Buddhism, Sikhism and other faiths facing violence and discrimination must also be acknowledged rather than singling out just one religion, the Press Trust of India (PTI) reports.
The 193-member General Assembly adopted the resolution ‘Measures to combat Islamophobia’, introduced by Pakistan on Friday, with 115 nations voting in favour, none against and 44 abstentions, including India, Brazil, France, Germany, Italy, Ukraine and the UK, according to the report.
India’s Permanent Representative to the UN Ambassador Ruchira Kamboj voiced condemnation of all acts motivated by anti-Semitism, Christianophobia and Islamophobia but asserted that it is crucial to acknowledge that such phobias extend beyond Abrahamic religions, the report states.
“Clear evidence shows that over decades, followers of non-Abrahamic religions have also been affected by religiophobia. This has led to the emergence of contemporary forms of religiophobia, particularly anti-Hindu, anti-Buddhist and anti-Sikh sentiments,” she was quoted as saying, in an explanation of India’s position on the resolution.
India stressed that the adoption of the resolution should not establish a precedent that could result in numerous resolutions centred on phobias tied to specific religions, “potentially dividing the United Nations into religious camps”, the PTI further reports. “It is crucial for the UN to maintain its stance above such religious concerns, which have the potential to fragment us rather than unite us under the banner of peace and harmony, embracing the world as one global family,” Kamboj was quoted as saying.
India called on all member states to consider the broader scope of religious discrimination that persists globally, according to the report.
“While the issue of Islamophobia is undoubtedly significant, we must acknowledge that other religions are also facing discrimination and violence. Allocating resources solely to combat Islamophobia, while neglecting similar challenges faced by other faiths, might inadvertently perpetuate a sense of exclusion and inequality,” she was quoted as saying.
Kamboj was cited as telling the UN General Assembly that “it is crucial to recognise” that Hinduism, with over 1.2 billion followers, Buddhism with more than 535 million and Sikhism with over 30 million followers worldwide, are all subject to religiophobia.
“It is time that we acknowledge the prevalence of religiophobia, rather than single out just one,” she was quoted as saying.
Kamboj was cited as saying the contemporary forms of religiophobia are evident in the increasing attacks on religious places of worship such as gurudwaras, monasteries and temples, as well as the spreading of hatred and disinformation against non-Abrahamic religions in many countries.
“The destruction of the Bamiyan Buddhas, violations of gurudwara premises, massacres of Sikh pilgrims in gurudwaras, attacks on temples, and the glorification of breaking idols in temples all contribute to the rise of contemporary forms of religiophobia against non-Abrahamic religions,” she was quoted as saying.
The destruction of the giant Buddha statues of Bamiyan in Afghanistan by the Taliban in March 2001 led to global condemnation, according to the report.
Kamboj underlined that India stands against all forms of religiophobia, be it antisemitism, Christianophobia, or Islamophobia, as “we stand against all anti-Hindu, anti-Buddhist, and anti-Sikh sentiments.” The resolution condemned the incitement to discrimination, hostility or violence against Muslims as manifested in the increasing number of incidents of desecration of their holy book, attacks on mosques, sites and shrines and other acts of religious intolerance, negative stereotyping, hatred and violence against Muslims, the PTI further reports.
It also requested UN Secretary-General Antonio Guterres to appoint a United Nations Special Envoy to combat Islamophobia, according to the report.
India said it “in principle” is opposed to the creation of the post of a Special Envoy on the basis of a single religion, the PTI cited her as saying.
Kamboj pointed out that the substantial budgetary implications of establishing such a position “prompt us to pause and reflect on whether this is the most effective use of resources. Could we not achieve greater impact through a more inclusive approach that addresses religious discrimination in its entirety?” She underscored that India’s rich history as a pluralistic and democratic nation, embracing diverse religions, has long served as a refuge for those persecuted for their faith, according to the PTI report.
“Whether Zoroastrians, Buddhists, Jews, or adherents of any other belief, they have consistently found in India a sanctuary free from persecution or discrimination,” she was quoted as saying.
Prior to adopting the resolution, the Assembly rejected two amendments to the draft introduced by Belgium on behalf of the EU. India voted in favour of both the amendments, according to the report.
One amendment proposed changes in the resolution’s language to remove references to the desecration of the Quran, the PTI report added.
The other amendment would have called for the appointment of a “United Nations focal point, within existing structures and resources, to combat anti-Muslim discrimination” instead of a UN special envoy, according to the PTI report.
The General Assembly adopted a resolution in 2022 proclaiming March 15 as the International Day to Combat Islamophobia in the wake of the 2019 mass shootings in two mosques in Christchurch, New Zealand that had killed over 50 people, the PTI report noted.
In his remarks to mark the day, Guterres was cited as saying that around the world, there is a rising tide of anti-Muslim hate and bigotry in many forms such as structural and systemic discrimination, unequal immigration policies, unwarranted surveillance and profiling and restrictions in accessing citizenship, education, employment and justice.
The UN chief also voiced concern over “supremacist ideologies and attacks” against Jews, minority Christian communities and many others, according to the PTI report. “Hatred of one group fuels hatred of another. Hate normalises hate. Hate destroys the fabric of our societies,” he was quoted as saying.