মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৮ comments
মাসুদ করিম - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (২:২৪ পূর্বাহ্ণ)
যন্ত্রণাহীন শেষ কিছুদিন: প্রশমন সেবায় বাংলাদেশ কোথায়?
https://bangla.bdnews24.com/health/dyac2k5fq6
‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার জার্নাল’ বলছে, দেশে বছরে ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ৭ লাখ মানুষের প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন; বিপরীতে এ সেবা পাচ্ছেন ০.০১ শতাংশের কম মানুষ।
ছয় মাস আগে জরায়ু ক্যান্সার ধরা পড়ে আকলিমার, চিকিৎসা শুরুর পর তীব্র ব্যথা-বমি-দুর্বলতা আর রক্তশূন্যতার মত জটিলতায় বন্ধ রাখতে হয় কেমোথেরাপি; শারীরিক যন্ত্রণার সঙ্গে নানা দুঃশ্চিন্তা আর অবসাদে ভেঙে পড়েন তিনি।
পরে একজনের পরামর্শে ভর্তি হন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি হাসপাতালের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে। সেখানে চিকিৎসা ও সেবার পর শারীরিক যন্ত্রণার সঙ্গে মানসিক অবসাদও অনেকটা কমে আসে। ফের শুরু করেন ক্যান্সারের চিকিৎসা।
অবিবাহিত আকলিমা খাতুনের বয়স ৫০ পেরোয়নি। তার দেখাশোনা করছেন এক ভাগনে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ক্যান্সার শনাক্তের কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু করা হয় কেমোথেরাপি। তিনটি কেমোথেরাপির পর শারীরিক ও মানসিকভাবে আর চিকিৎসা নিতে পারছিলেন না খালা। তখন এক বন্ধুর মাধ্যমে জেনে তাকে ভর্তি করি বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি হাসপাতালের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে।
“অথচ খালা যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, তখন চিকিৎসকের কাছ থেকেও প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নেওয়ার কোনো ধরনের পরামর্শ পাইনি।”
প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টারের বিছনায় শুয়ে আকলিমা খাতুন বলেন, “ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে। এই চিকিৎসায় সারা শরীরের অসহ্য ব্যথা কিছুটা কমেছে। সুস্থ হতে পারব কিনা জানি না, তবে জীবনের যে কয়টি দিন বাকি আছে, একটু ব্যথা ও যন্ত্রণামুক্ত হয়ে বাঁচতে চাই আমি।”
বাংলাদেশে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। যারা কিছুটা জানেন, তাদের অনেকেই মনে করেন জীবন সায়াহ্নে থাকা রোগীদের অন্তিম সেবা এটি।
রোগীর শেষ সময়ের সেবা সবসময়ই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অংশ, কিন্তু প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবসময় শেষ সময়ের সেবা নয়। শুধু রোগীই নয়, তার পরিবারের সদস্যদেরও সেবা দেওয়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারের অংশ।
মূলত নিরাময় অযোগ্য কিংবা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা কমাতে প্রয়োজন হয় প্যালিয়েটিভ কেয়ারের।
এতে চার ধরনের সেবার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়- শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক। হাসপাতাল, নার্সিং হোম, হসপিস কিংবা বাসায়ও দেওয়া হয় এই সেবা।
কাদের জন্য প্যালিয়েটিভ কেয়ার
প্যালিয়েটিভ কেয়ার কেবল ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য, বিষয়টি এমন নয়। দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ, কিডনি রোগ, হৃদরোগ, এইডসে আক্রান্ত রোগীদেরও এই সেবার প্রয়োজন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রেই এ সেবা দেওয়ার উদাহরণ বেশি।
বিশ্বের ১৮৫টি দেশের ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা ও পরিসংখ্যান তুলে ধরা ‘দ্য গ্লোবোকান’ ওয়েবসাইট ২০২০ সালের একটি গবেষণায় বলছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৮ হাজার ৯৯০ জন ক্যানসারে মারা যান।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় এবং ২০২৩ সালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশের ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার জার্নালে’ দেখা গেছে, দেশে বছরে ক্যান্সারের মত নিরাময় অযোগ্য রোগে আক্রান্ত ৭ লাখ মানুষের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবার প্রয়োজন।
এই হিসাবের মধ্যে শিশু-কিশোর রয়েছে ৪০ হাজার। পরিসংখ্যান মতে, বিশাল চাহিদার বিপরীতে প্রশমন সেবা পাচ্ছে মাত্র ০.০১ শতাংশেরও কম মানুষ। অর্থাৎ বড় সংখ্যক রোগীই ক্যান্সার যন্ত্রণা নিয়ে মারা যাচ্ছেন।
২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি ৬৮ লাখ মানুষেরও প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রয়োজন। আর এর মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ এই সেবা পাচ্ছে।
বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ‘ননকমিউনিকেবল ডিজিস’ যেমন- হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে ‘কমিউনিকেবল ডিজিস’ এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, ভাইরাল হেপাটাইটিস, যৌন সংসর্গ থেকে সংক্রমণের মত রোগের কারণে বিশ্বে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজনীয়তা বাড়তেই থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আগেভাগেই এই সেবার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় হাসপাতালে ভর্তিও কমিয়ে আনে।
কোথায় মিলবে সেবা?
বাংলাদেশে ঢাকার কিছু সীমিত হাসপাতালে দক্ষ চিকিৎসক ও কর্মীদের মাধ্যমে এই সেবা দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিশু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সরকারিভাবে এ সেবা দেওয়া হয়।
এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে শিশুদের জন্য আশিক ফাউন্ডেশন, মিরপুরে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি হাসপাতালের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট, হসপিস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্যালিয়েটিভ কেয়ার ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে রোগীরা প্যালিয়েটিভ সেবা পান।
সুযোগ-সুবিধা কতটুকু
বিএসএমএমইউ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান ভূঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ প্যালিয়েটিভ সেবা প্রদানের অবকাঠামো খুবই দর্বল। এছাড়া চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাতেও প্যালিয়েটিভ সেবার মত গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে না। দেশের অল্পকিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বপ্রথম এই মানবিক সেবাটি দেওয়ার পরিকল্পনা করে বিএসএমএমইউ।
“দীর্ঘ ১৭ বছরে বিএসএমএমইউইয়ে একটি প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ ও কোর্স চালু হয়েছে। বিভাগটিতে এখন সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ জন কাজ করছেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়া প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে চিকিৎসা সেবায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি সভায় কিছু নির্দেশনা দেওয়া হলেও এখনো তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি।”
বিএসএমএমইউইতে প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে শয্যা রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য নয়টি, আর শিশুদের জন্য রয়েছে তিনটি। এছাড়া রোগীদের কেবিনেও সেবা দেওয়া হয়।
শ্যযার জন্য রোগীদের কোনো ভাড়া দিতে হয় না। প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে সেবা নিতে একজন রোগীর ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। হোমকেয়ার ও কমিউনিটিভিত্তিক সেবাও দেয় প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ। বিএসএমএমইউয়ের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে রোগীদের বাড়ি গিয়ে প্যালিয়েটিভ সেবা দেওয়া হয়।
মিরপুরে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি হাসপাতালের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীদের জন্য রয়েছে ১৬টি শয্যা। প্রতি শয্যার ভাড়া ৮০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য আছে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ। আবার যারা দিনে সেবা নিয়েই চলে যেতে চান তাদের জন্য রয়েছে ডে কেয়ার সেন্টার।
এছাড়াও কমিউনিটিভিত্তিক সেবা পাওয়া যায় দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে। একটি মমতাময়ী নারায়ণগঞ্জ ও অন্যটি মমতাময়ী করাইল। প্যালিয়েটিভ সোসাইটি অব বাংলাদেশ বর্তমানে পরিচালনা করছে মমতাময়ী করাইল প্রকল্পটি।
মরফিন ও দক্ষ জনবলের অপ্রতুলতা
ক্যানসার রোগীদের শারীরিক ভোগান্তি ও যন্ত্রণা কমাতে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের জন্য কার্যকরী ওষুধ মরফিন। তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মরফিনের সরবারাহ ও প্রয়োগের চিত্রও সন্তোষজনক নয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড হসপিস প্যালিয়েটিভ কেয়ার অ্যালায়েন্সের’ (ডাব্লিউএইচপিসিএ) তথ্য বলছে, ৭ লাখ ক্যান্সার রোগীর শারীরিক ব্যথা কমাতে বছরে মরফিনের প্রয়োজন হয় ৩০০ কেজি। তবে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১২ কেজি পর্যন্ত মরফিন ব্যবহারের উদাহরণ রয়েছে। অর্থাৎ বড় সংখ্যক রোগীই ক্যান্সারের যন্ত্রণায় ভুগে মারা যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেট কমিশনের ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে বছরে ২৯৮.৫ মেট্রিক টন মরফিন বা ওই জাতীয় ব্যথানাশক সরবরাহ করা হয়। সেখানে স্বল্প আয়ের দেশে এর ব্যবহার হয় ০.১ মেট্রিক টন।
অপরদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাতীয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার প্রশিক্ষণ সহায়িকারে তথ্য বলছে, দেশে প্রায় ৯০ শতাংশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরই নেই মরফিন ব্যবহারের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ।
বিএসএমএমইউতে প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান ভূঞা জানান, এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি শেষ করে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
এ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ মরফিনের ব্যবহার নিয়েও রয়েছে নানা ভুল ধারণা। ব্যথা কমাতে কার্যকর ওষুধটি ব্যবহারে নেশার উদ্রেক না হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার জার্নালের প্রধান সম্পাদক ও প্যালিয়েটিভ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমদ বলেন, “আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ড থেকে প্রতিটি দেশের চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আমাদের দেশে গণস্বাস্থ্য ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস মরফিনের ট্যাবলেট, সিরাপ ও ইনজেকশন তৈরি করে।”
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নাশিদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে ডটকমকে বলেন, “প্যালিয়েটিভ কেয়ার দামি কোনো সেবা নয় বরং স্বল্প খরচেই এ সেবা পাওয়া সম্ভব। তবে জনসাধারণের মধ্যে তো বটেই, সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যেও প্যালিয়েটিভ সেবা কোথায়, কীভাবে পাওয়া যায়- এই সচেতনতার যথেষ্ট কমতি রয়েছে।”
প্যালিয়েটিভ কেয়ার জার্নালের প্রধান সম্পাদক নিজামউদ্দিন বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার প্রতিটি পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করতে ২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যালায়েন্স একটি প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশসহ সকল সদস্য রাষ্ট্র সেখানে স্বাক্ষর করেছিল। তবে বাংলাদেশে ১০ বছরেও অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।”
তিনি জানান, ২০১৫ সালে ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিশ্বের কোন দেশে ‘কোয়ালিটি অব ডেথ’ কেমন তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। ওই প্রতিবেদনে মোট ৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৯তম।
“এরপর আর কোনো কাজ হয়েছে কিনা জানি না, তবে এখনও এই অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান নয়। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় নিরাপদ জন্ম যেমন গুরত্বপূর্ণ তেমনি নিরাপদ মৃত্যুও সমানভাবে গুরুত্ব পাওয়া উচিত।”
মাসুদ করিম - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ)
Requiem for Rashid Khan: The Finest ‘Khayal’ Vocalist Knows No Language Other Than Music
https://thewire.in/culture/requiem-for-rashid-khan-the-finest-khayal-vocalist-knows-no-language-other-than-music
The Ustad was a living embodiment to the tradition of Khayal, which gives importance to the alaap, a rhythmless exploration of the raga, unfolding its emotional nectar, the rasa, by creatively improvising phrases within the fixed structure.
I was a perpetually unhappy 13-year-old. I was losing faith. I had somewhat discovered nihilistic writers, but I also loved Marx. And I romanticized a country that no longer existed.
Growing up, we were never formally introduced to music. With the exception of a mini Casio keyboard that my father gifted me when I was quite young, I have no childhood musical memories. The keyboard had pre-recorded melodies in its “Song Bank”. While randomly listening to them — as I cheerfully pretended to play the keys — I always wondered why would certain melodies sadden me.
Sadness, in our home, was always tied to words. How could something wordless, after all, make me feel sad?
It’s not that no one liked music at home. There were, of course, old Bollywood and Pakistani songs, as well as ghazals by iconic artists, to a certain extent. However, the latter were always appreciated solely for their lyrical material. Ghazal singers were often judged whenever they mispronounced any Urdu words. All the praise belonged to the poets alone. I remember once my mother politely, and rightly, told me it was really embarrassing not to remember the words accurately while quoting a poet. I must have forgotten a couplet while reciting it at a family gathering. In the Quranic tradition, the universe came into being after God commanded a singe word: “Kun. Be.” In our home, no medium was as considered as sacred as text and no other art form could be taken as seriously as poetry. However, this was about to change.
One early morning in 2002 — when I was 13 — I met something new. It was as if a new language opened her warm embrace for me. She carried an unknown melancholia, intertwined with an otherworldly pleasure. I heard a random old Hindi song on TV. The song deeply saddened me, as if it had broken something inside me. The haunting sadness was not linked to the song’s lyrics. By this time, thanks to my childhood friend, the little Casio keyboard, I had taught myself to play song tunes to some extent. Even though I had just heard that song for the first time, it deeply resonated with me, and its essence and the basic melody of the mukhra had remained in my heart.
There was no way to find it. The internet was slowly creeping in but we didn’t have access to it all the time. And of course, there was no YouTube. How could one find a song then if one didn’t even remember the lyrics? At the music society of our school, I went to meet the instructor. When I hummed the melody and tried to play the notes on the keyboard there, the instructor smiled and uttered two words I did not understand: “Puriya Dhanashree”. I had no idea what that meant. He told me it was the name of an evening raga, belonging to the Purvi that, and the song had been composed in that raga. None of that made much sense to me.
These words “Puriya Dhanashree”, however, I memorized. Or did I note them down? I can’t recall now. But there was something about that melody, something about these strange sounding words, and something about that morning, which left me in a dreamlike valley with an everlasting evening. I had found the song. But the mystery, I was told, had a deeper, an older source. I could not wait to explore this new universe.
In order to quench my thirst for what I had recently discovered, I checked a few of Lahore’s music stores within my reach — which were on the verge of transitioning from cassettes to CDs — but no one had any idea about what I was looking for. Everything was changing fast. It seemed everyone wanted to speed up to match the pace of the new millennium. Like any millennial, I had witnessed the transformation from audiocassettes to CDs and MP3 players to IPods, just in a few years. And here I was, an early teenager, trying to find something with ancient roots.
A few days later, when we went to a newly constructed shopping mall, I finally found a CD at a big music store – the album was titled “Purvi Thaat”. In the contents, the name of raga I was looking for was mentioned.
This was my first formal introduction to the Khayal. And this was my first meeting with the maestro Ustad Rashid Khan saheb. I remember weeping silently in my dimly lit room while listening to his rendition of Puriya Dhanashree that evening.
***
Lahore feels colder than usual this early January evening. As I write these lines, the 55-year-old ustad has slept an eternal sleep. It’s astonishing to think that he delivered such miraculous performances at such a young age. It’s difficult to believe that the particular rendition I am talking about — from 20 years ago — is by an artist barely in his mid-thirties.
I break down in tears while talking to Saqib, a musician friend in London, on the phone. When my house-help, Nawaz, hears me cry, he leaves the kitchen and comes to me worriedly. I subtly ignore his question about who am I mourning. “Koi nahi. No one.” I say, trying to control my emotions. When he insists, I tell him a gayik has passed away. He whispers a phrase in Arabic, “Indeed, to Allah we belong and to Allah we shall return.”
No words and meanings make sense to me this evening. Nawaz has joined me in the recent past. He doesn’t know about my personal losses. He has never seen me like this. “Did he pass away in Lahore, sir?” he asks with a concern. “When is the funeral?” “It doesn’t matter” I coldly respond. He seems a little perplexed. “Was he really close to you, sir?” I don’t know how to answer him. I’m almost embarrassed to tell him that I’m crying for a man I had never met in my life and who did not even know I existed. After some time, he brings me tea in the living room. “Sir, you know I’m poor. A villager. I can’t understand everything. But I know this pain.”
He is right. This pain is universal. But how would he react if I told him my association with Rashid Khan? Would he consider me a spoiled bourgeois brat? Is it a privilege to mourn an artist just because you know him through his art? Is a tear really an intellectual thing, as suggested by Blake in one of his poems?
Why are we expected to visibly grieve only the ones close to us? In the absence of any rituals, how do I grieve someone I had never physically met, or even tried to contact, and yet who played a profound role in my emotional, or, dare I say, spiritual life through his art? To me, Ustad Rashid Khan was the living embodiment of the Khayal. Now, hardly a day after his death, when I think this, I find myself surprised that I lived in the times of Rashid Khan.
He was often known in the classical music fraternity to be the finest Khayal vocalist of his generation. With his passing, without leaving behind any significantly trained, or, at least, known disciples in his tradition and signature style, a strange fear has arrested me. Are we witnessing the death of the genre? I am reminded of C.S. Lewis’s poignant exploration of grief in A Grief Observed: “No one ever told me that grief felt so like fear.”
The tradition of the Khayal gives a lot of importance to the alaap, a rhythmless exploration of the raga, unfolding its emotional nectar, the rasa, by creatively improvising phrases within the fixed structure. This structure relies on the ascending and descending order of notes, prominent notes, among other things. The alaap leads to a structured composition, known as bandish, set to a certain rhythm cycle in vilambit, slow tempo. The performance culminates with fast tempo, known as drut, in which an artist expresses their virtuosity and complex understanding of the rhythm, demonstrating their vocal ability by singing various sorts of taans, paltas, and so on. These formal intricacies, however, are pleasing to the ear only if the raga comes into being — if its essence, rachao, is established, in the seemingly formless improvisations of the alaap. “After great pain,” writes Emily Dickinson, “a formal feeling comes.”
Rashid Khan really knew how to awaken a raga through his alaap. As traditional musicians in Lahore often say while praising the artists of yesteryears, ragas could be felt in physical form when certain artists sang them. In such baithaks, we are told, the presence of ragas as beings would be undeniable. Although I was not fortunate enough to experience him live, I have met many ragas in my room through the recordings of the great Khan.
Lastly, why does death feel so shocking when it comes to certain people? Why do we assume some people to be eternal? What does it mean for an artist to die at the peak of their career? Jaun Elia in an elegy-poem written for a poet friend wishes his friend’s grave to be filled with light so that he can write. In some sources of Islamic eschatology, angels are said to visit the fresh grave once the funeral and burial is over, and interact with the deceased in the language they spoke while being alive. This time it won’t be easy for the celestial beings, for Rashid Khan knows no language other than music.
Ammar Aziz is a poet from Lahore. His debut book The Missing Prayer is forthcoming in 2024. He is officially selecting and translating the works of the Urdu poet Jaun Elia. He can be reached at ammar.aziz@me.com
মাসুদ করিম - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৩:২৩ অপরাহ্ণ)
How North Korean eyelashes make their way to West as ‘made in China’
https://thefinancialexpress.com.bd/others/how-north-korean-eyelashes-make-their-way-to-west-as-made-in-china
Millions of dollars in sales of North Korean false eyelashes – marketed in beauty stores around the world as “made in China” – helped drive a recovery in the secretive state’s exports last year.
The processing and packaging of North Korean false eyelashes – openly conducted in neighbouring China, the country’s largest trading partner – gives Kim Jong Un’s regime a way to skirt international sanctions, providing a vital source of foreign currency.
Reuters spoke to 20 people – including 15 in the eyelash industry, as well as trade lawyers and experts on North Korea’s economy – who described a system in which China-based firms import semi-finished products from North Korea, which are then completed and packaged as Chinese.
The finished eyelashes are then exported to markets including the West, Japan and South Korea, according to eight people who work for companies directly involved in the trade.
Some of the people spoke on condition that only their last names be used because they were not authorised to talk to the media.
North Korea has long been a major exporter of hair products like wigs and false lashes, which enable people to avoid the hassle of mascara and to achieve a dramatic look. But exports tumbled during the COVID-19 pandemic, when North Korea slammed its borders tightly shut.
Significant trade in North Korea-made lashes via China resumed in 2023, according to customs documents and four people in the industry.
Chinese customs data showed that North Korea’s exports to China more than doubled in 2023, when borders reopened. China is the destination for nearly all of North Korea’s declared exports.
Wigs and eyelashes comprised almost 60% of declared North Korean exports to China last year. In total, North Korea exported 1,680 tonnes of false eyelashes, beards and wigs to China in 2023, worth around $167 million.
In 2019, when prices were lower, it exported 1,829 tonnes at a value of just $31.1 million.
The US State Department and international experts estimate that North Korea seizes up to 90% of foreign income generated by its citizens, many of whom live in poverty. Reuters was unable to determine how much of the revenue from eyelash sales flowed back to Kim’s government, or how it was used.
“We have to assume that … millions of dollars every month that North Korea is making through this eyelash trade is being used for the Kim Jong Un regime,” said Seoul-based sanctions lawyer Shin Tong-chan. His view was corroborated by two other international trade experts, though none provided specific evidence.
North Korea did not respond to requests for comment for this story sent to its U.N. missions in New York and Geneva, its embassy in Beijing and its consular office in the Chinese border city of Dandong.
A spokesperson for the Chinese Foreign Ministry said Beijing and Pyongyang “are friendly neighbors” and that “normal cooperation between the two countries that is lawful and compliant should not be exaggerated.”
UN AND US SANCTIONS
Since 2006, the United Nations Security Council has sought to stall Pyongyang’s nuclear weapons programme through nearly a dozen sanctions resolutions that restrict its ability to trade products such as coal, textiles and oil. It also imposed strict restrictions on North Koreans working abroad.
Sanctions passed by the Security Council are supposed to be enforced by UN member states – all of whom are legally bound to implement them – using local legislation.
But there is no direct ban on hair products, so trading false eyelashes from North Korea does not necessarily violate international law, three sanctions experts told Reuters.
Reuters presented its findings to the Chinese Foreign Ministry, which said it was “not aware of the circumstances” described but that any alleged violations of UN sanctions are “completely without foundation”.
Japan’s foreign ministry did not comment on Reuters’ findings, but said Tokyo, which bans trade with Pyongyang, would continue to consider “the most effective approach” toward North Korea. The European Union’s diplomatic service did not return requests for comment on North Korean-made eyelashes being sold in its jurisdiction.
The United States has since 2008 separately expanded its own measures against North Korea, which include sanctions on any company stocking or selling products whose sales fund the Kim regime: a restriction that also applies to non-American firms using the US dollar.
But there are practical and political limitations on Washington’s ability to enforce such sanctions unilaterally on entities such as foreign businesses that have minimal exposure to the US financial system and don’t sell primarily to American clients, according to two international sanctions lawyers.
A US Treasury spokesperson said it “actively enforces the range of our broad North Korea sanctions authorities against both US and foreign firms” and would “continue to aggressively target any revenue generation efforts” by Pyongyang.
The Treasury also referenced its nearly $1 million settlement with e.l.f. Cosmetics in 2019 over allegations that the US-based firm inadvertently sold false eyelashes containing materials from North Korea.
e.l.f.’s parent company said in a 2019 filing that it discovered two suppliers had used North Korean materials during a “routine, self-administered audit” and that it quickly addressed the issue, which it determined was “not material.”
The company, which has since stopped selling false eyelashes, reiterated its commitment to making products legally and responsibly in a statement to Reuters for this story.
Reuters was unable to establish whether any Western companies are currently involved in the North Korean eyelash trade.
CHINA’S ‘EYELASH CAPITAL OF THE WORLD’
The people involved in the industry said that Pingdu, an eastern Chinese town that bills itself the ‘eyelash capital of the world’, is a key node in the supply chain from North Korea.
Many Pingdu-based companies, such as Monsheery, package false eyelashes that are produced primarily by North Koreans, said Wang Tingting, whose family owns the firm, which exports products to the U.S., Brazil and Russia.
Wang said in an interview from her factory that North Korean goods had helped build Monsheery up from a small family workshop. The company was founded in 2015, corporate records show.
“The quality of the North Korean product is much better,” said Wang, who said that she was not aware of any sanctions-related issues with using North Korean false eyelashes. She declined to name her international clients.
Others in Pingdu said they are conscious of the role sanctions play in the complicated distribution chain.
“If not for these sanctions, there would be no need for (North Koreans) to export through China,” said Gao, who owns Yumuhui Eyelash.
Cui Huzhe, who represents a North Korean factory that works with a Chinese partner in a venture called the Korea-China Processing Joint Trading Company, said the North Korean firm sends semi-finished eyelashes to China, where they are sold to markets including the U.S., Europe, Japan and South Korea.
He declined to identify the two companies involved in the partnership or their clients. Subsequently, he couldn’t be reached for comment on the sanctions implications.
INCOME FOR A CASH-STRAPPED STATE
Chinese manufacturers began working with North Korean eyelash plants in the early 2000s, according to three Chinese factory managers. They said they prize the country’s labour force for its low cost and the high quality of the eyelashes.
About 80% of Pingdu’s eyelash factories purchase or process false eyelash raw materials and semi-finished products from North Korea, according to a 2023 estimate published by Kali, a Chinese manufacturer of eyelash boxes, on its website.
Pingdu’s government says the town of roughly 1.2 million accounts for 70% of global output of false eyelashes, which are often made of synthetic fibres but may also be created from mink fur or human hair.
Trading company Asia Pacific International Network Technology, based in the Chinese border city of Hunchun, advertises on its website the services of three North Korean eyelash processing factories with images of workers arranging hairs and pasting them on paper.
Reached by phone, a company employee, who would not give her name, declined to comment.
Seoul-based businessman Johny Lee imports products like chicken-feet shaped lashes used for extensions through Dandong into South Korea.
Those lashes are made by North Koreans, packaged in China, and then sold locally or exported to Asian countries like Japan, said Lee, who chairs a trade group in Seoul that includes eyelash extension technicians from the West and South Korea.
Asked about legal risks, Lee – who began sourcing eyelashes from China a decade ago – said he was not selling “sophisticated technology like semiconductors.” North Korean workers “are trying to make a living there,” he said.
South Korean law states that if two or more countries are involved in the production of imported goods, the place where the products gained “essential characteristics” will be deemed the country of origin.
Reuters described how eyelashes made by North Korean workers are packaged and completed in China to Shin Min-ho, a South Korea-certified customs attorney. He said North Korea would likely be considered their country of origin because it gave the raw materials “essential characteristics.”
Seoul’s Korea Customs Services said that “importing North Korean products disguised as Chinese can be punished,” but that it was “difficult to determine” country of origin based solely on Reuters’ description of the supply chain between North Korea and China and that it was not investigating the issue.
GOOD QUALITY, CHEAP SALARIES
Despite the quality of the eyelashes, North Korean labour is poorly paid. North Korean salaries can be a tenth of Chinese wages, four Chinese factory owners and managers said.
In addition, Wang, a manager for Pingdu-based manufacturer Co-Lash, which ceased North Korean operations during the pandemic, said the workers gave up most of their income to the state. He didn’t supply proof.
Another Chinese manufacturer, PD Lush, pays workers at its factory in the North Korean border town of Rason – whose work is sold internationally – an average monthly salary of 300 yuan ($42), said Pingdu-based manager Wang.
The centrality of North Korea to the industry became clear when the country’s borders closed during the pandemic.
Monsheery’s Wang Tingting said that after North Korea closed its borders in 2020 due to the pandemic, ships carrying over the small amount of eyelashes exported during that time were often held up. “We have very high demand on our side,” she said.
In the wake of the pandemic, supply was still not at full capacity and shipping delays were common, she added.
South Korean false eyelash brand Cinderella Amisolution typically procures supplies from Chinese traders of semi-finished North Korean products, which it then sells to customers. But when North Korea sealed its border, contractors sent samples that weren’t made by North Koreans.
“I thought, ‘this isn’t going to work’,” said chief executive Choi Jee-won. “They were completely different.”
মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৪:৩০ পূর্বাহ্ণ)
টাঙ্গাইল শাড়ি যদি ‘ছিনতাই’ হয়, কোনো পণ্যই নিরাপদ নেই
সাক্ষাৎকার: বিবি রাসেল
https://www.samakal.com/opinion/article/221363/%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E2%80%98%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87%E2%80%99-%E0%A6%B9%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%AA%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87
জাতিসংঘ শুভেচ্ছাদূত ও ‘ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ ধারণার প্রবক্তা বিবি রাসেল টেকসই তন্তু নিয়ে কাজ করছেন কয়েক দশক ধরে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প পুনরুদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিবি রাসেল ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে লন্ডন কলেজ অব ফ্যাশনে পড়তে যান। স্নাতক প্রদর্শনীর আগেই ইউরোপে মডেল হিসেবে সাড়া ফেলেন। ১৯৯৪ সালে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে তাঁত, বস্ত্র, হস্তশিল্প সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ‘বিবি প্রডাক্টস’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০০৪ সালে ইউনেস্কো পিস প্রাইজ, ২০১০ সালে স্পেনের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘ক্রস অব অফিসার অব দ্য অর্ডার অব কুইন ইসাবেলা’, ২০১১ সালে জার্মানির ‘ভিশন অ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৫ সালে ‘রোকেয়া পদক’ লাভ করেন
সমকাল: আমরা জানি, আপনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী বয়নশিল্প পুনরুদ্ধারে কাজ করেন। সেই সূত্রে পশ্চিমবঙ্গের ফুলিয়াতেও কাজ করেছেন। সেই ফুলিয়া তো গত দু’দিন ধরে খবরের শিরোনাম!
বিবি রাসেল: আমি তো গত দু’দিন ধরে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছি না। আমি ফুলিয়া, নদীয়াতে হস্তচালিত তাঁতসামগ্রী নিয়ে কাজ করছি অনেক দিন ধরে। তারা নিজেরাও এটাকে টাঙ্গাইল শাড়ি বলে। এখান থেকে আমদানি করে। কিন্তু আমাদের দেশের টাঙ্গাইল শাড়ি যে তাদের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পাবে– এটা তো কল্পনারও বাইরে।
সমকাল: টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই রাইটস বা ভৌগোলিক নির্দেশক অধিকার পাওয়ার জন্য ভারতীয়রা যে আবেদন করেছে– এটা কখনও বুঝতে পেরেছিলেন?
বিবি রাসেল: না, না। এটা তো কারও দুঃস্বপ্নেও আসার কথা নয়। কারণ টাঙ্গাইল তো একেবারে সীমান্ত থেকে দূরে। অনেক অঞ্চল দুই বাংলার মধ্যে বিভক্ত হয়েছে; যেমন নদীয়া অঞ্চল, দিনাজপুর অঞ্চল, রংপুর অঞ্চল। সেখানকার কোনো কোনো পণ্য নিয়ে দু’পক্ষের দাবি থাকতে পারে। কিন্তু টাঙ্গাইলের ক্ষেত্রে তো এমন প্রশ্নই আসে না। সেখানে যারা তাঁত নিয়ে, বস্ত্রশিল্প নিয়ে কাজ করে, তাদের প্রায় সবার সঙ্গে আমার পরিচয় ও যোগাযোগ আছে। কিন্তু কখনও এ বিষয়টি জানতে পারিনি। এ ঘটনায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি; বিশ্বাসভঙ্গের কষ্টের মতো। আমরা কাছে মনে হচ্ছে, এটা যেন ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সমকাল: কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের খোদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করছে– টাঙ্গাইল শাড়ি ‘পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত’ এবং তাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
বিবি রাসেল: যে-ই দাবি করুক; এটা এক উদ্ভট ও ভিত্তিহীন দাবি। কারণ ভারতে ‘টাঙ্গাইল’ বলে কোনো জনপদ নেই। আপনাকে মনে রাখতে হবে, টাঙ্গাইল শাড়ি উনিশ শতকে প্রসার লাভ করলেও এর অরিজিন আরও অনেক শতাব্দীপ্রাচীন। এর তাঁতিরা বিশ্ববিখ্যাত বাংলার মসলিন তাঁতিদের বংশধর। ব্রিটিশদের আগমনের পর যখন মসলিন শিল্পের দুর্দিন চলছিল, তখন টাঙ্গাইলের জমিদাররা এই তাঁতিদের পুনর্বাসন করার জন্য টাঙ্গাইলে নিয়ে যান। সেটাও কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের বাইরের কোনো অংশ থেকে মাইগ্রেট করেনি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে তারা সেখানে গেছে। প্রথমদিকে তারা শুধু সাদা শাড়ি তৈরি করত। এর সঙ্গে পরে রং ও নকশাযুক্ত হয়ে জামদানি ও টাঙ্গাইল শাড়ি স্বতন্ত্র ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁতিরাই ধীরে ধীরে নানা মোটিফ তৈরি করেছে। এটা একেবারে বর্তমান বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ।
সমকাল: ফুলিয়ার বসাকরা টাঙ্গাইলের বসাকদেরই একটি অংশ?
বিবি রাসেল: একদম ঠিক বলেছেন। কেউ কেউ দেশভাগের আগে-পরে গিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেছে। কিন্তু এখনও এমন অনেক পরিবার আছে, এক ভাই টাঙ্গাইলে, আরেক ভাই ফুলিয়ায় থাকে। তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ, পণ্য আদান-প্রদান হয়। কিন্তু এই বসাকরাই যখন একই ধরনের শাড়ি ফুলিয়ায় বুনছে, তখন সেটা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ হচ্ছে না। যে কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৫০ লাখ পিস টাঙ্গাইল শাড়ি আমদানি করতে হয় ভারতকে।
সমকাল: দেশভাগের পরবর্তী সময়ে যারা গেছে, তাদের কি ভারতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হতো? আমি বলতে চাইছি, টাঙ্গাইলের বসাকদের নদীয়ায় নিয়ে যাওয়ার পেছনে টাঙ্গাইল শাড়ির মেধাস্বত্ব নিয়ে নেওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল কিনা?
বিবি রাসেল: সেটা আমি জানি না। কারণ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়েও অনেকে চলে গেছে। আর তারা তো শুধু শাড়ি নয়; আরও অনেক বস্ত্রপণ্য তৈরি করে। সেখানকার শাড়িরও ভিন্ন নাম রয়েছে; টাঙ্গাইল শাড়ি নয়। নদীয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ির অরিজিন বিষয়টি সোনার পাথরবাটি ছাড়া কিছু নয়। আর বিষয়টি শুধু দক্ষতা বা প্রযুক্তির নয়। টাঙ্গাইলে যেমন মিহি শাড়ি তৈরি হয়; সেটা ভারতে হয় না। সে কারণেই তো ভারতকে টাঙ্গাইল শাড়ি আমদানি করতে হয়।
সমকাল: বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে জলবায়ু ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, আমরা জানি।
বিবি রাসেল: সে তো বটেই; মাটি, আর্দ্রতা, কুয়াশা, বর্ষণ, উদ্ভিদের সম্পর্ক রয়েছে। আপনি জানলে খুশি হবেন, এর সঙ্গে নদী অববাহিকারও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মসলিন বা জামদানি ঢাকার বাইরে অন্য অঞ্চলে এত ভালো হয় না। কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থায়ও হাতে বোনা জামদানির মতো জামদানি তৈরি করা যায় না পাওয়ারলুম দিয়ে।
সমকাল: জিআই-সংক্রান্ত এ খবরের পর সেখানকার তাঁতিদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়েছে? তারা এখন কী বলছেন?
বিবি রাসেল: গত দু’দিনে দুই দেশের বসাকদের সঙ্গেই কথা হয়েছে। তারা সবাই আমার মতো আশ্চর্য হয়েছে। টাঙ্গাইলের বসাকরাও খুব কষ্ট পেয়েছে এ ঘটনায়।
সমকাল: ভারতের কোন কোন তাঁতির সঙ্গে কথা হয়েছে?
বিবি রাসেল: নাম বলতে চাই না। তাতে তারা আবার সেখানে হয়রানিতে পড়তে পারে। কিন্তু আপনি জেনে রাখুন, এ ঘটনা ফুলিয়া বা নদীয়ার ঐতিহ্যবাহী তাঁতিরাও ভালোভাবে নেয়নি। তাদের সমর্থন নেই। কারণ তারা টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাস জানে। শাড়ি তৈরি তো বসাকদের কাছে নিছক জীবিকা বা ব্যবসার প্রশ্ন নয়; ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। এর সঙ্গে তারা মিথ্যা বা জালিয়াতির মিশ্রণ করতে চাইবে না।
সমকাল: এখন তাহলে করণীয় কী?
বিবি রাসেল: যা করার সরকারকেই করতে হবে। কারণ জিআই নিবন্ধন সরকারি সংস্থাকেই করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি ঘুমিয়ে থাকে– এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে!
সমকাল: এর কারণ কি, জিআই নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সঠিক মানুষ সঠিক জায়গায় নেই? যারা আছেন, তারা শুধু চাকরি হিসেবে নিয়েছেন?
বিবি রাসেল: এ ছাড়া আর কী! দেখুন, আমি বস্ত্রশিল্প নিয়ে এতদিন কাজ করছি। ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ আমাকে তাদের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্প পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যায়। এমনকি লাতিন আমেরিকা থেকেও আমন্ত্রণ আসে। কিন্তু আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিরা কোনোদিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেন না। আমি তো কারও কাছে কোনো অর্থ চাই না। মা-বাবা যা রেখে গেছেন, সেটাই অনেক। বিদেশেও আমি কোনো কনসালট্যান্সি ফি নিই না। মানুষের ভালোর জন্যই কাজ করি। কিন্তু বাংলাদেশে দেখলাম– বস্ত্রশিল্প, তাঁত, জিআই নিয়ে যাদের কাজ করার দায়িত্ব, তারা ঘুমিয়ে থাকে।
সমকাল: টাঙ্গাইল শাড়ির এই ঘটনায় প্রমাণ হলো– ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঘুমিয়ে নেই।
বিবি রাসেল: দেখুন, একটা প্রমাণ দিই। দু’দিন হলো, ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্যের নিবন্ধন নিয়েছে। এরই মধ্যে তারা উইকিপিডিয়াতেও এই শাড়ির অরিজিন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের নাম লিখে রেখেছে। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের খবর আছে? অনলাইন, উইকিপিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যারা বিরাট বিরাট লেকচার দেন, তারাই বা কী করছেন? স্যরি, আমি খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে আছি।
সমকাল: এখন তাহলে কি সম্ভাব্য সব জিআই পণ্যই দ্রুত নিবন্ধন করে ফেলতে হবে?
বিবি রাসেল: টাঙ্গাইল শাড়ির মতো বহুল পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত জিআই যখন অন্য দেশ পায়; যখন ছিনতাই হয়ে যায়, তখন আর কোনো পণ্য নিরাপদ আছে বলে মনে হয় না।
সমকাল: এখন কি বাংলাদেশ সরকার প্রতিবাদ জানাবে?
বিবি রাসেল: জানানো উচিত। ভানুর মতো বসে বসে দেখি না, কী করে বলার সময় নেই। প্রতিবাদ সরকারকেই জানাতে হবে।
সমকাল: আপনার দিক থেকে কিছু করার আছে?
বিবি রাসেল: সেই সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে। বাংলাদেশে জিআই পণ্য নিয়ে যেসব মেধা আছে, তাদের কাজে লাগাবে কিনা।
সমকাল: প্রতিবাদ করার পর টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব কি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব? এমন নজির আছে?
বিবি রাসেল: ফিরে আসা উচিত। কারণ বিশ্বের আর কোথাও টাঙ্গাইল নামে জনপদ নেই। এটা যে কেউ বুঝতে পারবে– এর মধ্যে একটা জালিয়াতি আছে। এই শাড়ি যে বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ; গৌরবের বিষয়– এটা ভারতের তাঁতি ও গবেষকরাও স্বীকার করবেন।
সমকাল: যদি স্বত্ব আমরা ফিরে না পাই, তাহলে কি বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো?
বিবি রাসেল: দেখুন, বিষয়টি বাণিজ্যের নয়; অধিকারের প্রশ্ন। বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ অন্যরা নিয়ে যাবে কেন? তাহলে এত এত মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সংস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন কী জন্য? প্রশ্নটা আপনাকেই করি।
সমকাল: প্রশ্নটা আমরাও রেখে দিলাম। এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বিবি রাসেল: সমকালকেও ধন্যবাদ। বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে লিখুন। লেগে থাকুন। কারণ জিআই পণ্যের অধিকার একটি দীর্ঘমেয়াদি লড়াই। হঠাৎ সজাগ হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লে কাজ হবে না।
মাসুদ করিম - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৫:১০ পূর্বাহ্ণ)
অবহেলায় ধ্বংসের মুখে এমসি কলেজের শতবর্ষী ‘আসাম প্যাটার্ন’ ভবন
https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/1lr4po2c1u
সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলী ‘আসাম প্যাটার্ন’ ভবন; যা ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্যই বিশেষভাবে নির্মাণ করা হত।
সিলেট মুরারিচাঁদ কলেজের ফটক পার হলেই দেখা মিলবে শতবর্ষী অনন্য স্থাপত্যশৈলীর দুটি ভবন। সেগুলোর উপরের টিন, কাঠ ও খুঁটি ভেঙে পড়েছে; ভাঙন ধরেছে চারপাশের দেওয়ালে। ফলে ভবনগুলো যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ ধরনের ‘আসাম প্যাটার্ন’ বা ‘বাংলা ব্যাটন স্টাইল’ ভবনগুলো পাহাড়ের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় নির্মিত হয়ে থাকে। এ ভবনগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে, এর নির্মাণশৈলি পরিবেশবান্ধব এবং বসবাসের জন্য আরামপ্রিয়।
সিলেটে একসময় এ ধরনের অনেক ভবন থাকলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে। কিন্তু অযন্ত আর অবহেলার মধ্যেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এমসি কলেজের টিলার পাদদেশের এ ভবন দুটি।
কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকরা ঐতিহ্যবাহী এ ভবনগুলো রক্ষার দাবিতে মাঠে নেমেছেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, মুরারিচাঁদ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯২ সালে; স্থানীয়ভাবে এটি ‘এমসি কলেজ’ নামে পরিচিত। ১৯১৭ সালে প্রায় দেড়শ একর জায়গা নিয়ে নগরীর টিলাগড় এলাকার বর্তমান ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ। কলেজের সামনের দিকেই নির্মাণ করা হয় একতলা দুটি ভবন।
কাঠের নল, বর্গার সঙ্গে চুন-সুরকির প্রলেপ আর টিনের ছাদের বিশেষ নির্মাণশৈলীর এসব ভবন স্থাপত্যশিল্পে ‘আসাম প্যাটার্ন’ হিসেবে পরিচিত। সিলেট অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলী আসাম প্যাটার্ন; যা ভূমিকম্প ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্যই বিশেষভাবে নির্মাণ করা হত।
মুরারিচাঁদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ভাষা সৈনিক মো. আবদুল আজিজের লেখা ‘মুরারিচাঁদ কলেজের ইতিকথা’ বই থেকে জানা যায়, ১৯২৬ সালে টিলাগড় এলাকায় ভবন দুটিতে বিজ্ঞান ক্লাস শুরু হয়। ফলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে ঐতিহ্যের নান্দনিক নকশায় ভবন দুটি নির্মাণ করা হয়। সে হিসেবে এ দুটি ভবনের বয়স শতবর্ষ পেরিয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তবারক হোসেইন সম্প্রতি এমসি কলেজ পরিদর্শন করেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এমসি কলেজের আসাম প্যাটার্ন ভবন সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে কর্তৃপক্ষ কেন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা জানতে চাই। তাদের আরও আগে ভবন সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। বর্তমানে যে দুটি ভবন ধ্বংসের মুখে রয়েছে, তা সংরক্ষণ করে ক্লাস চালু করার দাবি জানাই।”
সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসেন বলেন, “আমার বাবা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমার বাবার লেখা বইয়ে কলেজের সৌন্দর্যের কথা আছে। কিন্তু আমি আসাম প্যাটার্ন ভবনগুলো দেখে মর্মাহত। নাম করা একটা প্রতিষ্ঠানের এ দশা, মনে হচ্ছে এটার কোনো অভিভাবক নেই।”
পুরাতন ভবনগুলোকে অনেক আগেই সংস্কার করা উচিত ছিল বলেও মনে করেন এ স্থপতি। বলেন, “এখনও পুরাতন ভবনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার অনেকগুলো উপায় আছে। এর জন্য সবাইকে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
‘আসাম প্যাটার্ন’ ভবনের বৈশিষ্ট্য
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষক কৌশিক সাহা ‘আসাম প্যাটার্ন’ ভবন নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ নিয়ে তার একটি প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে।
সিলেটে আসাম প্যাটার্নের বাড়ি রক্ষা আন্দোলনেও সক্রিয় কৌশিক সাহা বলছিলেন, “এমসি কলেজে আসাম প্যাটার্ন ভবনগুলো তৈরি হয়েছিল ১১০ বা ১১২ বছর আগে। এসব ভবনে কলেজের বেশকিছু বিভাগের ক্লাস হত। আসাম প্যাটার্ন ভবনগুলো সিলেটের ঐতিহ্য। তাই এসব ভবন রক্ষা করা হলে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ইতিহাস ও সংস্কৃতি সর্ম্পকে জানতে পারবে। এসব ভবনের ঐতিহ্যগত মূল্য অপরিসীম।”
“১৮৯৭ সালে আসাম তথা সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্প হলে ইটের বাড়িগুলো ব্যাপকহারে ভেঙে পড়ে। এরপর কলকাতা থেকে একজন ব্রিটিশ সার্ভেয়ার সিলেটে আসেন এবং বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। তখন তিনি সুপারিশ করেন, যেহেতু এলাকাটা ভূমিকম্পপ্রবণ, সেখানে ইটের তৈরি বাড়ি করলে ভালো হবে না। তাই তিনি আসাম প্যাটার্নের ভবন তৈরিতে আগ্রহ দেখান।”
আসাম প্যাটার্নের ভবন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে কি-না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই প্যাটার্নের বাড়িগুলো হালকা হয়। দেয়ালগুলো খুবই পাতলা হয়; মাত্র ৩ ইঞ্চি। পুরো বাড়িটা ছোট ছোট কাঠের ফ্রেমের মত হয়। এগুলোকে ‘ফ্রেম আর্কিটেকচারও’ বলা হয়। এই ফ্রেম আর্কিটেকচারের সুবিধা হচ্ছে, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিকে হজম করে নিতে পারে।
“এ ছাড়া আসাম প্যাটার্ন বাড়ির ছাদে টিনশেড থাকে। দালানের ছাদ থেকে টিনশেডের ছাদের ওজন অনেক কম। আর এই বাড়ির মেঝে তৈরিতে ইট-সিমেন্ট ব্যবহার করে অল্প পুরো একটি আস্তরণ দেওয়া হত। এসব বাড়ির অন্যতম সুবিধা হল এটি খুব দ্রুত তৈরি করা যায়। একইসঙ্গে তা পরিবেশবান্ধব।”
এসব কারণে বাড়িগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছে জানিয়ে এই গবেষক বলেন, “সিলেটের যারা পুরনো শিক্ষিত মানুষ আছেন, এমনকি যারা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী কিংবা সরকারি চাকরিজীবী তাদের মধ্যে এই বাড়ি তৈরি করার প্রবণতা বেশি ছিল।”
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট সিলেট সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক রাজন দাস বলেন, “সিলেট-আসাম বেল্টে বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর অভিজাতরা সমতল ছাদের বাড়ির বদলে দোচালা-চারচালা বাড়ির দিকে ঝুঁকেন। তখন টিনের ব্যবহারও বাড়ে ব্রিটিশ উপনিবেশের দেশগুলোতে।
“পাহাড় অধ্যুষিত আসামের বাড়িগুলো ছিল মাচার মতন। যাতে নিচ দিয়ে পানি চলে যেতে পারে। ভূমিকম্পপ্রবণ বলে এখানকার আবহাওয়া ও প্রকৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি বাড়িগুলো আসাম প্যাটার্ন বা আসাম টাইপ হাউজ হিসেবে পরিচিতি পায়। এই ধারাটির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলো জাতীয় এমন বাড়ি নির্মাণ করা হয় সিলেট অঞ্চলেও। সেটা ‘বাংলা ব্যাটন স্টাইল’ নামেও পরিচিতি পায়।”
এ ধরনের বাড়ির ভিটেটা শুধু ইটের, দেয়াল ইকরার তৈরি আর উপরের কলাম ও ফ্রেমে স্টিলবার ও কাঠ ব্যবহার করা হয় জানিয়ে স্থপতি রাজন দাস বলেন, “এসব বাড়ির টিনের চাল ‘আই’, ‘ইউ’, ‘এল’ কিংবা ‘এইচ’ টাইপের হয়ে থাকে। এটা কিন্তু আবার ইউরোপীয় রীতি থেকে আসা। ফলে আসাম প্যাটার্ন হাউজে ইউরোপীয় রীতির একটা মিশেলও আছে।
“ব্রিটিশ ভবনে বারান্দা থাকে না; কিন্তু এসব ভবনে সামনে-পেছনে দুটো বারান্দা। ঘরগুলো বেশ উঁচু হয়। ফলে আলো-বাতাসের চলাচলটা খুব ভাল। মানুষের বসবাসের জন্য আরামপ্রদ।”
তবে এমসি কলেজের ভবন দুটো সংস্কার করে রক্ষা করা কঠিন মন্তব্য করে এই স্থপতি বলেন, “কারণ, ভবনের মূল উপাদানগুলো যদি নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে এটা ধরে রাখা যাবে না। এটাকে রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। সেজন্য মূল ড্রয়িংটা করতে হবে। কারণ এই আর্কিট্কেচারাল ডকুমেন্ট খুব জরুরি। সেটা ধরেই কাজটা করতে হবে।”
জোরালো হচ্ছে সংরক্ষণের দাবি
গত বছরের নভেম্বরে এ দুটি ভবন রক্ষায় এমসি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে একটি লেখা দেন। এজন্য তিনি স্থানীয়দের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি লেখেন, “আসাম প্রদেশের অন্যতম প্রধান কলেজ ও দেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজের চারটি শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণ ও রক্ষায় আশু উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। ঐতিহ্যবাহী এবং কালের স্মৃতি বহনকারী ১৯২১ সালে আসাম প্যাটার্নে নির্মিত বাংলা ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের পুরোনো ভবন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কলেজ মাঠের গ্যালারি ও অধ্যক্ষের বাসভবন, এগুলো শতবর্ষী এবং পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের সম্পদ।
“এগুলো রক্ষায় আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু সেগুলো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। এই অবস্থায় সিলেটের ঐতিহ্যের স্মারক এমসি কলেজের শতবর্ষী ভবনগুলো রক্ষায় কলেজের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রছাত্রী এবং সিলেটের সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তারই ধারাবাহিকতায় ৩ ফেব্রুয়ারি এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে একটি সভা করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং সিলেটের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
সভায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রহমান বলেন, “এসব পুরনো স্থাপনার সঙ্গে আমাদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে; এগুলো ভেঙে ফেললে স্মৃতি হারিয়ে যাবে।”
স্মৃতি হারিয়ে গেলে মানুষের আর কী থাকে- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। বরং উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থেই আমাদের ঐহিত্য ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে হবে। এই ভবনগুলো এভাবে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। এগুলো সংস্কারের ইচ্ছে ও উদ্যোগ থাকলে অর্থের অভাব হবে না।”
আসাম প্যাটার্ন ভবন দুটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের জন্য আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী বলেন, “আইনে দুটি দিক আছে। একটি হল আবেদন করা ও অপরটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ স্বেচ্ছায় সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে। আমরা মনে করি, এমসি কলেজ কর্তপক্ষ শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণ ও রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।
“ঐতিহ্য বহনকারী ১৯২১ সালে আসাম প্যাটার্নে নির্মিত বাংলা ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পুরোনো ভবন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কলেজ মাঠের গ্যালারি ও অধ্যক্ষের বাসভবন শতবর্ষী; এগুলো পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের সম্পদ।”
ছাত্র ইউনিয়ন এমসি কলেজ সংসদের সভাপতি পঙ্কজ চক্রবর্তী জয় বলেন, “ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের প্রাচীন নান্দনিক ভবনগুলো রক্ষায় বর্তমান ও সাবেক সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও ঐক্যমত জানাচ্ছি। আমাদের এই ভবনগুলো শত বছরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর সঙ্গে জড়িত আছে অনেক কালজয়ী ঘটনা।
“কিন্তু কর্তৃপক্ষ (কলেজ প্রশাসন) নানা অজুহাত দেখিয়ে ভবনগুলো রক্ষার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এর কারণে বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন এমসি কলেজ সংসদ এ দাবিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং দাবিগুলো পূরণ না হলে দ্রুতই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।”
মুরারিচাঁদ কলেজ ক্যাম্পাসে আসাম প্যাটার্ন ভবন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। ৪ ফেব্রুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এমসি কলেজ শাখার আহ্বায়ক সুমিত কান্তি দাস পিনাক ও সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ খান এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এমসি কলেজ সিলেট তথা সারাদেশের ঐতিহ্যবাহী কলেজগুলোর মধ্যে একটি। শুধু পাঠদান নয়, এ জাতির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ক্যাম্পাসের স্থাপত্যশৈলী মিলে শত বছরের আবেগ ও অহংকার আঁকড়ে ধরে আছে কলেজটি। কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এ আঙ্গিনা।
“১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আসাদুজ্জামান আসাদ এমসি কলেজের ছাত্র ছিলেন। ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত বহু মনীষীর স্মৃতি ধরে রাখতে কলেজ প্রশাসন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। এ উদ্যোগকে আমরা অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে আমরা ক্যাম্পাসে শহীদ আসাদুজ্জামান আসাদ স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের পুনঃদাবি ও আসাম প্যাটার্ন-এ নির্মিত শতবর্ষী ভবনগুলো সংরক্ষণের দাবি করছি।’’
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ভবন সংরক্ষণের বিষয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ বলেন, আসাম প্যাটার্ন দুটি ভবন সংরক্ষণে সরকারিভাবে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ভবনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছে। আর প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষণের বিষয়ে যারা আন্দোলন করছেন, তারা আবেদন করবেন।
এক সময় পুরো সিলেট অঞ্চলে আসাম প্যাটার্ন ভবনের আধিক্য ছিল; বর্তমানে এরকম ভবন আর নির্মাণ করা হয় না বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (চট্টগ্রাম-সিলেট) এ কে এম সাইফুর রহমান বলেন, “আমরা আসাম প্যাটার্ন ভবনটির বিষয়ে শুনেছি। তবে যেহেতু আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিনি তাই এখনই কিছু বলতে পারছি না।”
মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৬:০৬ পূর্বাহ্ণ)
Tangail Saree GI Conundrum: Sketching the Way Forward
https://www.tbsnews.net/analysis/tangail-saree-gi-conundrum-sketching-way-forward-798034
It appears that the Government of Bangladesh has finally woken up to the problem. But is it taking the right course of action? We are not sure about that. Rather, it often seems that the government is showing a knee-jerk and uninformed reaction to the issue, which looks more like a public relations exercise.
On 1 February 2024, the Ministry of Culture of India officially informed on their Facebook page that the West Bengal State Handloom Weavers Co-Operative Society of India has obtained the Geographical Indications (GI) for the Tangail Saree. A large cross-section of Bangladeshi citizens expressed profound dismay and strongly criticised this contentious act by India. The Bangladesh government also reacted thereafter.
On 10 February 2024, the authors of this article presented at the Centre for Policy Dialogue (CPD) a detailed analysis of the issue titled ‘On Tangail Saree-GI by India: What Happened and What Can be Done?’. Later, the Prime Minister provided guidance, and the concerned government authorities announced different measures to secure the GI for the Tangail Saree on behalf of Bangladesh.
However, a closer look at the evolving situation indicates that confusion still remains regarding whether the country is following the right and effective course of action given the task at hand.
The essence of the issue
India applied for the GI of the Tangail Saree as far back as 8 September 2020. Following a period of four years, marked by repeated scrutiny and amendments, the Intellectual Property India Patents Design Trademark Geographical Indications, under the Ministry of Commerce and Industry, Government of India, awarded the GI certificate to the West Bengal State Handloom Weavers Co-Operative Society Limited for the “Tangail Saree of Bengal”.
During these four years, Bangladesh remained in the dark and/or refrained from taking any action in this regard. On 31 August 2023, a copy of the GI Journal was published by Intellectual Property India. This journal was up on Intellectual Property India’s website for five months, from August 2023 to January 2024, before the GI was granted, inviting any interested party to raise objections.
Regrettably, the Department of Patents, Designs and Trademarks (DPDT), Ministry of Industries, Government of Bangladesh and Bangladesh High Commission in India (Delhi and Kolkata) failed to take note of it and lodge its disagreement during the allowed three-month period (September- November 2023). The Indian side also did not alert Bangladesh, which is the usual thing to do in case of shared GI.
Coming to know about the Indian action, the agony and anguish of the people of Bangladesh were expressed through public outrage, including those of the weavers and the local people of Tangail. An order has been passed by the High Court to compile all the registered GI products of Bangladesh by 19 March 2024.
Amidst the visible discontent among people, the Ministry of Industries called an urgent meeting on 5 February 2024, to discuss the processing of the GI application for Tangail Saree. The district administration of Tangail submitted an application for the GI of Tangail Saree to the DPDT on 6 February 2024. The application was submitted, reportedly, along with the documented evidence and sample design.
Subsequently, the Prime Minister took note of the issue during a cabinet meeting held on 11 February 2024, and all relevant authorities were asked to undertake necessary measures for the GI registration of the nation’s relevant products. The Cabinet Secretary, briefing the media in this regard, relayed the Prime Minister’s directive that in the event of any conflictual situation concerning India’s GI of the Tangail Saree, Bangladesh should promptly present its case to an appropriate international organisation, possibly implying to the World Intellectual Property Organization (WIPO), for a solution.
The right way forward
It appears that the Government of Bangladesh has finally woken up to the problem. But is it taking the right course of action? We are not sure about that. Rather, it often seems that the government is showing a knee-jerk and uninformed reaction to the issue, which looks more like a public relations exercise. If the necessary steps are not taken with due diligence under the concerned jurisprudence and regulatory regime, all our efforts to establish our rightful ownership over Tangail Saree will turn out to be futile.
In the following paragraph, we lay out the options available for Bangladesh in this regard.
Actions to be undertaken in Bangladesh: The GI registration of Tangail Saree in Bangladesh has to be completed fully and faithfully following the prescribed procedure under the Geographical Indication of Goods (Registration and Protection) Act, 2013 of Bangladesh.
In response to India’s GI registration of the Tangail Saree, the DPDT hastily proceeded to “register” the GI for the Tangail Saree. Filing for a GI application involves several meticulous steps. The district administration of Tangail seems to have managed to complete the application within a single day. We would like to assume that this swift action was possible due to prior processing.
On 7 February 2024, the DPDT “recognised” the Tangail Saree as a GI product of Bangladesh. This announcement came through Bangladesh Sangbad Sangstha (BSS), the national news agency of Bangladesh. The use of the term “recognised” is quite misleading. The DPDT has merely approved the application and published it in the GI journal on February 9 2024, not granted the GI certificate for the Tangail Saree. It’s worth noting that several media outlets reported that the Prime Minister received the “GI certificate” for the Tangail Saree on 11 February 2024.
In fact, the DPDT is yet to confirm the registration of the GI for Tangail Saree under the concerned legislation of Bangladesh. A review of the DPDT’s website will show that Tangail Saree is still not enlisted as a GI product of Bangladesh.
As per Section 12 of Chapter IV, the Geographical Indication of Goods (Registration and Protection) Act, 2013 of Bangladesh, if the Registrar deems that a GI good registration application fulfils all prerequisites, the application will be advertised. Section 13 of Chapter IV mandates that any interested individual, authority, or institution can contest the registration within two months of the publication of the notification. This implies that DPDT will be able to register the concerned product as GI only after 9 April 2024.
Legal Recourse in India: We need to bear in mind that the registration of Tangail Saree GI in Bangladesh would not stop India from using the GI of Tangail Saree and capitalising on it commercially. Certain Ministers in our country have created further confusion by stating that Indian authority has removed Facebook and Twitter posts as though it has cancelled its contested GI measure. This is farthest from the truth as the Intellectual Property India website still indicates a listing of “Tangail Saree of Bengal.”
To protect the local weavers from unfair competition, the government needs to legally challenge the concerned GI of India. As the Sui Generis system of GI is a measure falling in the domain of national jurisprudence, Bangladesh has to go to the relevant Indian Court to secure its right to Tangail Saree. The official website of Intellectual Property India previously advised individuals to lodge an appeal with the Intellectual Property Appellate Board (IPAB) within a three-month period if they were aggrieved by an order or decision. This means Bangladesh has to file its contention by 2 April 2024.
However, the IPAB of India was dissolved in 2021. Subsequently, two Indian High Courts, namely the Delhi High Court and the Madras High Court, have instituted their own branch of Intellectual Property.
In accordance with the prevailing legal procedures in India, an appeal can be lodged under the Tribunals Reforms (Rationalisation and Conditions of Service) Ordinance 2021 of India to the Registrar of Geographical Indications and at the two GI branches of the High Court of India in Delhi and Madras. This has to be done within three months from the promulgation of the contested act.
Upon receipt of an application in the prescribed format from any aggrieved party, the Registrar or the High Court has the authority to issue an order to cancel or vary the registration of a GI. This order can be issued on the basis of ‘any contravention or failure’ to observe a condition entered on the register in relation to the GI.
Bangladesh has a strong case as the Indian GI refers to ‘Tangail Saree’, which is a specific geographic location in Bangladesh. The argument concerning the migration of skills and knowledge followed by the Indian Subcontinent partition in 1947 (as mentioned in the Indian GI application) is neither fully factual nor compelling, as GIs must be linked to products produced in a specific territory.
Resorting to the International Bodies: It needs to be kept in mind that no means is available to Bangladesh for the resolution of the Tangail Saree Contestation under WIPO as neither Bangladesh nor India is a signatory to the Lisbon Agreement for the Protection of Appellations of Origin and their International Registration (1958). The Lisbon Treaty is the only international covenant providing international protection of GIs. Indeed Bangladesh should rush to become a member of the Lisbon Treaty at the earliest. Furthermore, WIPO does not have an institutionalised dispute settlement system for member states, as is the case under the WTO.
Indeed, if all bilateral consultations and legal recourse through the Indian court system do not give result, the case could be taken to the WTO dispute settlement mechanism (which currently remains dysfunctional because of the absence of an adequate number of judges) under a possible Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPS) Agreement violation. Article 22 of the TRIPS Agreement can potentially be the basis for litigation as the GI Title’ Tangail Saree of Bengal” falsely indicates the true place of origin of the product.
WIPO could, of course, provide legislative advice, but as this is a dispute amongst member states and all IP related matters remain territorial, it will not be able to do much in this instance.
The authors are of the view that given the complex multidisciplinary nature of the issues at hand, the Ministry of Industries will be well advised to set up a Task Team to support it suitably as the government proceeds to resolve the matter concerning the GI accreditation of Tangail Saree by India.
মাসুদ করিম - ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ)
Ameen Sayani (1932-2024): The Golden Voice
https://openthemagazine.com/feature/ameen-sayani-1932-2024-the-golden-voice/
“THE BEST RADIO programme,” the legendary radio presenter Ameen Sayani once told an interviewer, “is the one you can see.” Radio is an aural medium. But when Sayani came on the radio every Wednesday at 8PM, emptying streets in a recently independent India the way, it is said, the Doordarshan TV shows Ramayan and Mahabharat would do many decades down the line, he showed that the radio could be so much more. It could, in the warm and affectionate voice of Sayani, paint you a picture, enliven you with an anecdote, and make you feel you were listening to—perhaps even seeing—a close friend or relative who just didn’t visit you enough.
People came for the songs on his show Binaca (later Cibaca) Geetmala, but they stayed back for him.
Sayani, who died recently from a cardiac arrest at the age of 91, was arguably India’s most famous radio personality. His show Geetmala, where he presented popular Hindi film music to listeners from 1952 to 1994, mainly over Radio Ceylon and later over Vividh Bharati (All India Radio), became something of a cultural touchstone.
Born in 1932, into a Gujarati household in Mumbai that was associated with the freedom struggle, the world of Hindi radio programming and film music must have appeared a remote future for the young Sayani. His father Jan Mohammad Sayani, a physician, cared for wounded activists during the freedom struggle. His mother, Kulsum, who championed women’s education and was involved in literacy drives (and even won a Padma Shri for her efforts in 1960), brought out a fortnightly titled Rahber. This publication—which Ameen Sayani too helped out with—was in a blend of Hindi and Urdu called the Hindustani language (using the Devanagari, Urdu and Gujarati scripts) that Mahatma Gandhi championed as a way to bind the country together, and move away from the tendency in Hindi and Urdu to become more insular languages. Using language and culture to move away from ossified structures and formalism in favour of assimilation and plain speech was an impulse Sayani carried over to his later days as a radio presenter. Unlike other broadcasters then who tended to be stuffy and serious, Sayani was convivial and charming, talking in the language of the masses.
Sayani’s entry into radio wasn’t smooth. When he approached his brother Hamid Sayani, then employed with Radio Ceylon, for work, the latter declined, pointing to Sayani’s English and Gujarati accents in his speech. An opportunity however arose when an announcer did not show up to record an ad one day. Sayani began by recording ads before he got the chance to host his own show.
There was more than a fair share of luck going Sayani’s way. India had only recently become independent, and state-controlled media like All India Radio (AIR) were looking at defining and forging the idea of a national culture. BV Keskar, a classical music purist, who was appointed the information and broadcasting minister, found Hindi film music to be vulgar and banned it on AIR in 1952. Radio Ceylon, broadcast on Sri Lankan airwaves, wasn’t a very popular radio station in India then. But that changed after the ban and the arrival of Geetmala. Radio Ceylon had three shortwave transmitters and its signals reached, it is said, across Asia, and even right up to the east coast of Africa.
At first, Geetmala was conceptualised as a half-an-hour programme where seven film songs were played at random, with a cash prize available for listeners who put the songs in chronological order of their release dates. “…we were expecting 40–50 letters initially. The very first programme… brought in 9,000 letters. Everyone jumped for joy and so did I, and then I sat down holding my head. I had to sit alone and check every single letter… Within a year, the mail shot up to 65,000 a week and it was impossible to carry on,” Sayani told the writer and academic Aswin Punathambekar in 2008. The show was then reconceptualised as a countdown to the most popular songs of that week. Its popularity soared even more.
Sayani worked on many more shows, apart from Geetmala. He is believed to have produced and hosted over 54,000 radio programmes and 19,000 jingles.
With his death, a glorious chapter of radio in India, comes to an end.
মাসুদ করিম - ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (৩:২৯ পূর্বাহ্ণ)
दुनिया भर की यादें हम से मिलने आती हैं
शाम ढले इस सूने घर में मेला लगता है #PankajUdhas #InMemories
पंकज उधास के जाने की खबर, शाम ढले यादों को साथ लेकर आई है। मुझे याद है 10 साल का था, कोटा में पापा का प्रमोशन हुआ था और घर पर उनके प्रमोशन की पार्टी ऑर्गेनाइज की गई थी। अस्सी के दशक की शुरुआत ही थी, और उस दौर में पार्टियों में अमूमन घर पर फिलिप्स का रिकॉर्ड प्लेयर था जिस पर पार्टी के दौरान घर में रखे रिकॉर्ड बजाए जाते थे। खासकर गजल के रिकार्ड्स का प्रचलन ज्यादा था। मेहदी हसन, गुलाम अली, बेग़म अख्तर, जगजीत सिंह। रिकॉर्ड लगाने और बदलने का जिम्मा मेरा ही होता था। घर में, परिवार में सब जगह मेहदी हसन, जगजीत सिंह को सुनते देख, बड़ों कि उन पर टिप्पणियां या बातचीत देखकर, समझ ना आने के बावजूद एक विशेष जुड़ाव गज़ल की विधा के साथ हो गया था।
उस दिन की पार्टी के लिए घर में कुछ नए रेकॉर्ड्स आए थे, मेरी बड़ी रुचि होती थी रिकॉर्ड्स के संगीत के अलावा उस पर दर्ज इनफॉरमेशन को पढ़ने की। नियति देखिए उसे दिन जो रिकॉर्ड बार-बार प्ले हुआ, वो एक नए उभरते हुए कलाकार का था, रिकॉर्ड का टाइटल था मुक़र्रर, और कवर पर जो नया चेहरा था उसका नाम था पंकज उधास।
उस दिन पार्टी में उनकी दो गजलें बहुत बार सुनी गईं, “दीवारों से मिलकर रोना अच्छा लगता है*, और “दर्द की बारिश सही मद्धम -जरा आहिस्ता चल”.. पंकज उधास से पहला परिचय था, और फिर पता लगा कि उन दिनों सब जगह, घर, मोहल्ले, पान की दुकान, बजने वाला गीत “मोहे आई न जग से लाज’ (और “चांदी जैसा रंग है तेरा”) भी पंकज उधास का ही गाया हुआ है।
अपनी अलहदा, नाजुक सी आवाज, नजाक़त भरे अंदाज़, और सुगम संगीत की तरह गज़ल गाने के लहजे, और कुछ अच्छी ग़ज़लों के चयन की वजह से, पंकज गज़ल के आकाश पर धूमकेतु से उभरे। लेकिन बहुत जल्दी बाज़ार के हवाले हो गए और कहीं अपनी कला को गज़ल के महान नामों के बराबर ले जाने में कामयाब नहीं हुए।
उनकी कंसर्ट गायकी की तालियों और शराब और शबाब की शायरी पर झूमते , नोट बरसाते लोगों की मस्ती ने, उन्हें बाज़ार में एक अलग, उस शुरुआती उम्मीद की मंजिल से दूर, लेकिन लोकप्रियता की एक नई मंजिल पर, जगह दी।
कुछ साल बाद उनका एक लाइव कंसर्ट भी देखा जिसके आयोजन में पापा भी शामिल थे। और वहां जनता के लिए लोकप्रिय गायकी का उनका अंदाज देखकर मेरे लिए पंकज के लिए आदर और उनको देखने सुनने की इच्छा थोड़ी कम हो गई, और फिर मेहदी हसन से लेकर जगजीत सिंह की गायकी ने जो बार सेट किया था, पंकज को वहां नहीं पहुंचता देखकर निराशा ही हुई।
उसके बाद बहुत से लोकप्रिय गीतों-ग़ज़लों में उनको सुना लेकिन उस शिद्दत से नहीं, लेकिन सिनेमाई गीत समय समय पर पसंद आते रहे (चिट्ठी आई है के अलावा जवाब में मितवा, पूरब ना जहियो, या गंगा जमुना सरस्वती में उनका एक मज़ेदार सा गीत था किशोर कुमार के साथ, एक एक हो जाये तो घर चले जाना, या दिल आशना का एक गीत आज बहुत याद आ रहा है – गया फिर आज का दिन भी उदास करके मुझे) । कुछ बार बहुत करीब से उनको देखने सुनने का मौका मिला लेकिन बात-मुलाकात से बचता रहा।
हां मुकर्रर की याद हमेशा जेहन में रही। उस एल्बम की रचनाएं आज भी सुनता हूं। बचपन की इक खूबसूरत याद!, और कुछ बहुत ही खूबसूरत गजलों और गीतों के लिए पंकज हमेशा याद रहेंगे, और सुने-गुने जाएंगे। अभी उन्हीं का गीत पार्श्व में बज रहा है
दर्द की बारिश सही मद्धम
ज़रा आहिस्ता चल
दिल की मिट्टी है अभी नम
ज़रा आहिस्ता चल
#RestinMusic
Translated from Hindi by Google
Memories from all over the world come to visit us
A fair is held in this deserted house in the evening #PankajUdhas #InMemories
The news of Pankaj Udhas’ demise has brought with it memories. I remember when I was 10 years old, my father was promoted in Kota and a party for his promotion was organized at home. It was the beginning of the eighties, and at that time parties usually had a Philips record player at home on which records kept at home were played during the party. Ghazal records were especially popular. Mehdi Hasan, Ghulam Ali, Begum Akhtar, Jagjit Singh. It was my responsibility to set and change records. Everywhere at home, in the family, seeing Mehdi Hasan and Jagjit Singh listening, seeing elders’ comments or conversations on them, despite not understanding it, a special connection had developed with the genre of Ghazal.
Some new records had come to the house for that day’s party, I was very interested in reading the information written on the records apart from the music. The record that was played again and again that day was of a new emerging artist, the title of the record was Muqarrar, and the name of the new face on the cover was Pankaj Udhas.
That day, two of his ghazals were heard many times in the party, “It’s good to cry after meeting the walls*”, and “Dard ki baarish sahi madham – Zara aahista chal”. This was my first introduction to Pankaj Udhas, and then I came to know that in those days The song played everywhere, home, locality, paan shop, “Mohe Aayi Na Jag Se Laaj” (and “Chandi Jaisa Rang Hai Tera “) is also sung by Pankaj Udhas.
Due to his distinct, delicate voice, delicate style, and easy musical style of singing ghazals, and the selection of some good ghazals, Pankaj emerged as a comet in the sky of ghazals. But very soon he was handed over to the market and never succeeded in taking his art at par with the great names of Ghazal.
The applause of his concert singing and the fun of the people dancing and showering notes on the poetry of alcohol and youth, gave him a different place in the market, away from the destination of that initial expectation, but on a new floor of popularity.
A few years later, we also saw one of his live concerts in which Papa was also involved in organizing. And after seeing his style of popular singing for the public, my respect for Pankaj and desire to see and hear him diminished a bit, and then Pankaj did not reach the bar which was set by the singing of Mehdi Hasan and Jagjit Singh. It was disappointing to see.
After that, he was heard in many popular songs and ghazals, but not with that intensity, but he liked the cinematic songs from time to time (apart from Chitthi Aayi Hai, Mitwa in Jawab, Purab Na Jahiyo, or his funny song in Ganga Jamuna Saraswati. Was with Kishore Kumar, Ek Ek Ho Jaaye To Ghar Chale Jaana, or a song from Dil Aashna I am missing a lot today – Gya Phir Aaj Ka Din Bhi Sad Karke Mujhe. A few times I got a chance to see and hear him very closely but I avoided talking to him.
Yes, the memory of Mukarrar always remained in my mind. I still listen to the compositions of that album even today. A beautiful memory of childhood!, and for some very beautiful ghazals and songs, Pankaj will always be remembered and will be heard. His song is playing in the background right now
rain of pain right mild
walk slowly
The soil of the heart is still moist
walk slowly
#RestinMusic
https://twitter.com/p1j/status/1762196747248669017