সুপারিশকৃত লিন্ক : জানুয়ারি ২০২৪

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৫ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ জানুয়ারি ২০২৪ (৪:২৫ অপরাহ্ণ)

    আইসিসি ও শীর্ষ ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে ধুয়ে দিলেন স্টিভ ওয়াহ
    https://bangla.bdnews24.com/cricket/lmflk9tf50
    নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সারির দল দেওয়ায় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।

    টি-টোয়েন্টি লিগকে ‘গুরুত্ব দিয়ে’ নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সারির দল দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্টিভ ওয়াহ। টেস্ট ক্রিকেটের এমন অবস্থায় আইসিসি ও শীর্ষ ক্রিকেট বোর্ডগুলোর ‘কিছু যায়-আসে না’ বলে মন্তব্য করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট।

    আগামী ৪ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডে দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে এসএটোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর।

    ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় নিউ জিল্যান্ড সফরে প্রথম পছন্দের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের জন্য কদিন আগে ঘোষিত ১৪ সদস্যের দলের কেবল সাত জনের আছে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না খেলা নিল ব্রান্ডকে করা হয়েছে অধিনায়ক।

    ওই স্কোয়াডের সদস্যদের একটি ছবি রোববার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ওয়াহ।

    “এটিই কি টেস্ট ক্রিকেটের শেষের শুরু? আইসিসির পাশাপাশি ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের অবশ্যই খেলাটির বিশুদ্ধতম এই সংস্করণ রক্ষায় এগিয়ে আসা উচিত। সকল টেস্ট খেলোয়াড়ের সমান ম্যাচ ফি একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবশ্যই মূল্য আছে। আমরা যদি শুধু লভ্যাংশকেই মানদণ্ড ধরে নিই, তাহলে (ডন) ব্র্যাডম্যান, (ডব্লিউজি) গ্রেস, (গ্যারি) সোবার্সের লেগ্যাসি মূল্যহীন হয়ে পড়বে।”

    পরে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিকেট প্রশাসকদের এক হাত নেন ওয়াহ। বলেন “তারা পাত্তাই দেয় না।”

    এমনটা চলতে থাকলে বক্সিং ডে টেস্টের মতো ক্রিকেটের বড় ইভেন্টগুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাবে বলে মনে করেন ওয়াহ।

    “দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডের নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের দেশে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যদি ভবিষ্যতের ইঙ্গিত হয়, তাহলে এমনই ঘটবে। আমি যদি নিউ জিল্যান্ড হতাম, তাহলে এই সিরিজ খেলতাম না। তারা কেন খেলছে, সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতি সম্মানের ঘাটতি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, তাহলে কেন খেলছেন?”

    ওয়াহ তুলে ধরেছেন পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরের কথাও। ফাস্ট বোলার হারিস রউফকে ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলছে পাকিস্তান। এরপর সেখানে টেস্ট খেলবে ক্যারিবিয়ানরা, যাদের দলে আছেন টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা ৭ ক্রিকেটার।

    “সমস্যাটা কী, তা স্পষ্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের পূর্ণ শক্তির দল পাঠাচ্ছে না। কয়েক বছর ধরেই তারা পূর্ণ শক্তির টেস্ট দল নির্বাচন করছে না। নিকোলাস পুরানের মতো একজন সত্যিকারের টেস্ট ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেট খেলে না। জেসন হোল্ডার, হয়তো তাদের সেরা খেলোয়াড়, সেও এখন খেলছে না। এমনকি পাকিস্তানও পূর্ণাঙ্গ দল পাঠায়নি।”

    “যদি আইসিসি বা কেউ দ্রুত এগিয়ে না আসে, তাহলে টেস্ট ক্রিকেট আর টেস্ট ক্রিকেট থাকবে না। কারণ, আপনি সেরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে নিজেকে পরীক্ষা করছেন না।”

    টেস্ট ক্রিকেটে সবার জন্য সমান ম্যাচ ফি নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন ওয়াহ।

    “আমি বুঝি, কেন খেলোয়াড়রা আসছে না। তারা ঠিকমতো অর্থ পাচ্ছে না। আমি বুঝি না, আইসিসি বা শীর্ষ দেশগুলো যারা অনেক আয় করছে, তারা কেন টেস্ট ম্যাচের জন্য একটা ম্যাচ ফি নির্ধারণ করে দেয় না, যে পরিমাণটা হবে ভালো। যাতে সবাই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত হয়। অন্যথায় তারা শুধু টি-টেন বা টি-টোয়েন্টি খেলবে। এতে দর্শক ভুগবে, কারণ পূর্ণাঙ্গ দল না খেললে এটি টেস্ট ক্রিকেট নয়।”

  2. মাসুদ করিম - ৯ জানুয়ারি ২০২৪ (৬:২৮ অপরাহ্ণ)

    Ustad Rashid Khan, the ‘assurance for the future of Indian classical music’, dies at 55
    https://indianexpress.com/article/lifestyle/art-and-culture/ustad-rashid-khan-assurance-for-the-future-of-indian-classical-music-9102300/
    Ustad Rashid Khan, perhaps the finest Hindustani classical vocalist of our times and a compelling reminder of the brilliance and brightness of an age-old musical era lost to us, passed away in a Kolkata hospital.

    EVERY TIME Ustad Rashid Khan sat down to perform anywhere in the world, those present had one demand — Yaad piya ki aaye, ye dukh saha na jaaye, haaye ram (The memories of my beloved haunt me, Alas, I cannot bear this grief) – the famed thumri by Kasur-Patiala gharana doyen Ustad Bade Ghulam Ali Khan that remains the leitmotif to his mention.

    For years, many vocalists attempted to sing the lament that was created after Bade Ghulam Ali lost his wife. But if anyone managed to enter the vicinity of the pain and yearning in that iconic rendition and then executing it with a sense of ownership, it was perhaps only Ustad Rashid Khan, the torchbearer of Rampur Sehaswan gharana.

    Every time, he sang this love song, one felt that he’d surrendered himself to the intrinsic sorrow of the piece the moment he began to unfurl it; colouring it with his own flourishes often, finding notes that one sometimes didn’t think could even stick, merging gharanas and astounding people with a brilliance that is the stuff of lore. Somewhat like Pt Bhismsen Joshi, who had called him “an assurance for the future of Indian classical music”, one of the only young musicians Joshi acknowledged and lauded in public.

    On Tuesday afternoon, Ustad Rashid Khan, perhaps the finest Hindustani classical vocalist of our times and a compelling reminder of the brilliance and brightness of an age-old musical era lost to us, passed away in a Kolkata hospital after a prolonged battle with prostate cancer and a cerebral attack that had put him on a ventilator and oxygen support for the past couple of weeks. He was 55 and is survived by his wife Joyeeta, daughters Suha and Shaona and son Armaan.

    Born in UP’s Badayun, in an illustrious musical family, Rashid was the great grandson of Ustad Inayat Hussain Khan, the founder of Rampur Sehaswan gharana and a disciple of Bahadur Hussain Khan, a direct descendent of Mian Tansen. For a young Rashid, who lost his mother early, any assertion of his musical pedigree was of no interest as he was fond of cricket and kabaddi. As for music, it was all about film songs of the time, especially songs by Mohammad Rafi. His father, fearing that Rashid may not take up the art form, took the six-year-old to Ustad Nissar Hussain Khan, a guru with an iron hand and once the court musician for Maharaj Sayajirao Gaekwad III.

    In 1977, when Rashid was 10, Nissar Hussain moved to ITC Sangeet Research Academy in Kolkata on the invitation from its founder Pt Vijay Kichlu. Rashid’s father sent him to Kolkata to continue his training, which Rashid did not enjoy for years, even after he made his debut at 11 and got a scholarship to join the academy when he was 14. He also learned under the tutelage of his uncle Ustad Ghulam Mustafa Khan, where he met another student, singer Hariharan, and two became close friends.

    It was much later, after learning for years and when he could play around amid the musical framework that he had been taught, that Rashid began to enjoy classical music. Soon, he was opening for greats like Pt Ravi Shankar, Ustad Vilayat Khan, Ustad Ali Akbar Khan, Girija Devi and Pt Nikhil Banerjee among others at national music conferences and finding accolades as a prodigy.

    While Rampur-Sahaswan’s style taught him the full-throated singing, intricate taans and an immense respect for the age-old music system, which he always carried, Rashid also expanded on his training, performed extensively, went beyond the classical realm to sing in films besides ghazal albums, and sometimes to the exasperation of critics, change the refrain of the bandishes of a slew of ragas.

    In all of this, what Rashid and his soulful music did was bring back the young and the uninitiated into the classical realm and learn about its tenets, even if they came to listen to “Aaoge jab tum o saajna” from Imtiaz Ali’s ‘Jab We Met’. Often his concerts came with rasikas in the aisles; students, musicians, cab drivers, lining up to find a spot to find an ingress into the sacred yet innovative space he could create.

    One of his early concerts, his jugalbandi with Pt Bhimsen Joshi, remains one of the more cherished concerts of the classical music world. Towards the end of the concert, the duo explored “Sajan tum kaahe ko neha lagaye” in raag Tilang. Here were two musicians from two different generations searching for the pining that its creator Ustad Abdul Kareem Khan had once attempted in the piece, a poignant reminder that Ustad Rashid Khan, a brilliant musician at the peak of his career who could match notes with a great like Joshi and who had so much to give and explore, should have stayed. For much longer.

  3. মাসুদ করিম - ৯ জানুয়ারি ২০২৪ (৬:৩১ অপরাহ্ণ)

    প্রয়াত উস্তাদ রাশিদ খান, মাত্র ৫৬ বছরেই থেমে গেল ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এক বিরল, উদাত্ত কণ্ঠস্বর
    https://www.anandabazar.com/entertainment/classical-singer-ustad-rashid-khan-passes-away-dgtl/cid/1487507

    জন্ম উত্তরপ্রদেশে। ১০-১১ বছর বয়সে কলকাতায় চলে আসেন রাশিদ খান। দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ পান। থেকে গিয়েছিলেন কলকাতাতেই।

    ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। গত ২২ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে শিল্পী প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে সম্প্রতি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়। সেখান থেকেই অবস্থার অবনতি শুরু। শিল্পীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হলেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রকে।

    মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিতরে গিয়ে শিল্পীর খোঁজ নিয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের বাইরে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের যদি কিছু বলার থাকে বলুন, তার পর আমি বলব।’’

    এর পরেই রাশিদের চিকিৎসক বলেন, ‘‘মাথায় ব্লিডিং (রক্তক্ষরণ) নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এত দিন হাসপাতালে থাকার ফলে সংক্রমণ হয়েছিল। ওঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠাতে হয়। ওঁকে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।’’ চিকিৎসকেরা রাশিদের মৃত্যুসংবাদ জানানোর পর মমতা বলেন, ‘‘রাশিদ আমার ভাইয়ের মতো। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরে যাওয়ার পর ফোন এসেছিল। নবান্নে ফিরে খবর আসে, কিছু একটা হয়েছে। ছুটে আসি।’’ তিনি রাশিদের প্রসঙ্গে জানান, তিনি বিশ্ববিখ্যাত। ওঁর পরিচয় দিতে হবে না। বাংলাকে ভালবেসে বাংলায় থেকে গিয়েছেন। বিশ্বের সব প্রান্তে গিয়ে সঙ্গীতের প্রচার করেছেন। সেই রাশিদের গান শুনতে পারবেন না বলে ‘কষ্ট হচ্ছে’, জানিয়েছেন মমতা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালেই রাখা থাকবে মরদেহ। সেখান থেকে বেরিয়ে রাশিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পিসওয়ার্ল্ডে। রাতে দেহ থাকবে সেখানে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর অগণিত ভক্ত। দুপুর ১টায় কলকাতা পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হবে। তার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে শিল্পীর দেহ। সেখানে নিয়ম-আচার পালনের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জ কবরস্থানে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।

    ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রাশিদের। তিনি রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী। যে ঘরানার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইনায়েত হুসেন খাঁ-সাহিব। রাশিদ তালিম নিয়েছেন এই ঘরানারই আর এক দিকপাল উস্তাদ নিসার হুসেন খাঁ-সাহিবের কাছ থেকে। যিনি ছিলেন রাশিদের দাদু। রাশিদের মামা গোয়ালিয়র ঘরানার উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ-সাহিবের থেকেও তালিম নিয়েছেন রাশিদ। মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গাইলেও ফিউশন বা বলিউড এবং টলিউডের ছবিতে বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন শিল্পী।

    ১০-১১ বছর বয়সে কলকাতা চলে আসেন রাশিদ। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ নিয়ে দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু। তার পর থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মভূষণ সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান।

  4. মাসুদ করিম - ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ (৪:১০ অপরাহ্ণ)

    নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বিতর্ক
    https://www.banglatribune.com/columns/832954/%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ২৯৮ জন সংসদ সদস্য ১০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেছেন। ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনন্য গৌরবের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও মূলত তাদের কার্যকাল শুরু হবে সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন থেকে। সংবিধান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ এখনও বহাল আছে। সংসদের মেয়াদ সম্পর্কে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭২(৩)-এ উল্লেখ করা হয়েছে– “রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে।”

    একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী এই সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। সংসদের মেয়াদপূর্তির আগেই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ বিষয়ে আইনি বৈধতার ‘আইনি বিতর্ক’ নিষ্পত্তি করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।

    ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২-এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-৬০৯/২০১৯ [মো. তাহেরুল ইসলাম (তৌহিদ) বনাম স্পিকার, জাতীয় সংসদ ও অন্যান্য] দায়ের করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের শপথ গ্রহণ ও সংসদ সদস্য হিসেবে পদের থাকার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। ওই রিট পিটিশনে যুক্তি উত্থাপন করা হয় যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। সে কারণে ওই সংসদের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ ছিল; কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ওই সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্বেই ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেছেন; ফলে ওই সময়ে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে ( সংরক্ষিত মহিলা আসন ব্যতীত), যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; দুটি সংসদের অস্তিত্ব একসঙ্গে থাকতে পারে না।

    ওই রিট পিটিশনে আরও যুক্তি উপস্থাপন করা হয় যে একই সময়ে ৩০০+৫০ (সংরক্ষিত মহিলা আসন)= ৩৫০ সংসদ সদস্যের অধিক সদস্যের অস্তিত্ব সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩(৩), ১৪৮(৩) এবং ৭২(৩) অনুমোদন করে না। সে কারণে একাদশ সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অবৈধ এবং উক্ত পদে থাকার তাদের কোনও আইনগত বৈধতা নেই।

    হাইকোর্ট বিভাগ রিট সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের আইনজীবীদের বক্তব্য, সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আর পিও) পর্যালোচনা করে রিট পিটিশনটি সরাসরি খারিজ করে দেয়। রিট পিটিশনার উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নং-২৪১৯/২০১৯ দায়ের করেন।

    পরে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ ৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে (ওই মামলার শুনানি) অনুষ্ঠিত হয় এবং ০১.০৮.২০২৩ তারিখে প্রদত্ত রায়ে আপিল বিভাগও উক্ত মামলা খারিজ করে দেয়।

    আপিল বিভাগ রায় প্রদানকালে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩(৩), ১৪৮(১)(২ক)(৩), ৭২(৩) এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ পর্যালোচনা করে।

    সংবিধান অনুযায়ী [অনুচ্ছেদ ১২৩(৩)] দুটি কারণে সংসদ নির্বাচন হতে পারে। প্রথমত, সংসদের মেয়াদ অবসানের কারণে। দ্বিতীয়ত, মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনও কারণে যদি সংসদ ভেঙে যায়। মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে এবং অন্য কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। তবে দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, উক্তরূপ মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে [অনুচ্ছেদ ১২৩(৪)]।

    সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৮(১)-এ অনুযায়ী সংবিধানের ‘তৃতীয় তফসিলে’ উল্লিখিত যেকোনও পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল অনুযায়ী অবশ্যই শপথগ্রহণ ও শপথপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। ‘তৃতীয় তফসিলে’ উল্লেখিত পদসমূহ হলো– রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য।

    অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩) অনুযায়ী সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথগ্রহণ ও শপথে স্বাক্ষর করার পর মুহূর্তেই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবে। রিট পিটিশনারের অন্যতম একটি যুক্তি ছিল শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যেহেতু একজন সংসদ সদস্য তার দায়িত্বভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রহণ করে থাকেন, সেহেতু বিদায়ী সংসদের মেয়াদকাল পূর্তির আগে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের শপথ গ্রহণের আইনগত কোনও ভিত্তি বা বৈধতা নেই।

    আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪=(৩)-এর বিধান অর্থাৎ সংসদ সদস্যবৃন্দ শপথ গ্রহণের সাথে সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যভার প্রাপ্ত হন কিনা সে আইনগত বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছে উপরোক্ত মামলায়। এই আইনি বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩)-এ উল্লিখিত ‘. . . শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হবে’ অর্থাৎ ‘ডিমিং ক্লজ’ (গণ্য বা মনে করা) বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন এবং উক্ত বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আদালত ‘কানুনি/বৈধ কল্পনা (লিগ্যাল ফিকশন)’ শব্দটিও ব্যাখ্যা করেছে।

    এই বিষয় দুটি শব্দ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আপিল বিভাগ নিজের ও উপমহাদেশের অন্যান্য সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন নজির এবং বাংলাদেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের ‘কন্সটিটিউশনাল ল’ অব বাংলাদেশ’- বইয়ের ওপর নির্ভর করেছে। ‘গণ্য/মনে করা’ শব্দটির আইনি অর্থ হলো– (আইন শব্দকোষ; আইন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত)

    ১. কোনও কিছুকে এই বলে গণ্য করতে হবে যে উহা প্রকৃতপক্ষে অন্য কিছু অর্থাৎ উহার যেন সেই গুণ আছে যাহা উহার নাই;

    ২. বিধিবদ্ধ কোনও দলিলে কোনও সন্দেহ নিরসন কিংবা সংক্ষেপে মুসাবিদা করার নিমিত্তে কোনও কোনও শব্দ বা বাক্যাংশকে প্রদত্ত এমন একটি ব্যাখ্যা, যা সাধারণত ওইভাবে দেওয়া হতো না।

    আর ‘লিগ্যাল ফিকশন’ (কানুনি/বৈধ কল্পনা)-এর আইনি অর্থ হলো– কোনও বিষয় প্রকৃতপক্ষে সত্য হোক বা না হোক, আইনি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয়। জনাব মাহমুদুল ইসলামের মতে, আইন সভা কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিগ্যাল ফিকশন তৈরি করে যা ‘ডিমিং ক্লজ’ হিসেবে বিবেচিত। তার মতে ‘লিগ্যাল ফিকশন’ হলো সেটাই যার বাস্তব অস্তিত্ব নেই; কিন্তু আইন সভা ও আদালত তা বাস্তব হিসেবে গ্রহণ করে।

    সংসদ সদস্যগণ শপথবাক্য পাঠ করেন “… আমি যে কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি, … …” অর্থাৎ একজন সংসদ সদস্য শপথ গ্রহণের সাথে সাথেই কার্যভার গ্রহণ করছেন না, করতে যাচ্ছেন– যা ভবিষ্যতের একটি বিষয়। সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত পদ, যথা-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ অন্যান্য পদের শপথনামায়- ‘কর্তব্যভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি’ বাক্যটি অনুপস্থিত। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৮(৩) অনুযায়ী ওই সকল পদে শপথ গ্রহণ ও শপথ নামায় স্বাক্ষর প্রদানের সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট পদের ব্যক্তিগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে যান। কিন্তু সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে যেহেতু সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩(৩)-এর শর্ত দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তিগণকে সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করা থেকে বারিত করা হয়েছে, যেহেতু নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও তাদের কার্যভার গ্রহণ করার সুযোগ নেই। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৮(২ক) অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হওয়ার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ প্রদান করার বাধ্যবাধকতা আছে।

    যেহেতু গেজেট প্রকাশের পর তিন দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ প্রদান বাধ্যতামূলক, সেহেতু তিন দিনের অতিরিক্ত সময় বা পূর্ববর্তী সংসদের মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত অপেক্ষার সাংবিধানিকভাবে কোনও সুযোগ নেই।

    আপিল বিভাগের মতে নতুন সরকার গঠনের জন্য এই শপথ, কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে থাকেন এবং সেভাবেই সরকার গঠিত হয়ে থাকে।

    সরকারের ধারাবাহিকতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে; সরকারের ধারাবাহিকতায় কোনও ছেদ বা শূন্যতা সৃষ্টি হতে পারে না। সে কারণেই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অত্যাবশ্যক। বিদ্যমান সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগেই নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত অভিমত এটাই যে সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগে নবনির্বাচিত সদস্যগণের শপথ গ্রহণের কারণে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত বা গণ্য হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। তাদের কার্যকাল শুরু হবে সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন থেকে। ‘লিগ্যাল ফিকশন’ (কানুনি/ বৈধ কল্পনা) এটাই যে প্রকৃত সত্য যাই হোক না কেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও আইনি সত্য হলো তাঁরা এখনও কার্যভার গ্রহণ করেননি।

    বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সংবিধান ও আইন ব্যাখ্যার একমাত্র এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। এমনকি জাতীয় সংসদেরও আইন বা সংবিধান ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা নেই, যদিও সংসদ আইন প্রণয়ন ও সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা রাখেন। দেশের সব নাগরিককে স্মরণ রাখতে হবে যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১১ অনুযায়ী আপিল বিভাগের রায়, আদেশ ও সিদ্ধান্ত সবার জন্য শিরোধার্য ও বাধ্যকর।

  5. মাসুদ করিম - ২১ জানুয়ারি ২০২৪ (৩:৫১ অপরাহ্ণ)

    The morning after: Political economy, geopolitical economy and the economic crisis
    https://www.tbsnews.net/supplement/morning-after-political-economy-geopolitical-economy-and-economic-crisis-778518
    Once the dust has settled, the new government will have to look hard at itself and ponder over the state of the economy. Unfortunately, the tasks ahead will not be pleasant

    Once the dust has settled, the new government will have to look hard at itself and ponder over the state of the economy. Unfortunately, the tasks ahead will not be pleasant

    There is no getting away from the fact that Bangladesh is sitting on the brink, politically, economically, as well as geopolitically.

    Once the dust has settled, the new government will have to look hard at itself and ponder over the state of the economy and what to do about it. Unfortunately, there are few words of comfort that one can provide to them. The tasks ahead will not be pleasant.

    In 2019-20, we were poised to join the Asian Flying Geese club. Indeed, I argued in my last book, ‘The Odds Revisited’, that we had already done so, and what we needed to do was gain height and momentum along our flight path.

    Since 2020, we have been hit by massive headwinds — first in the form of Covid-19, and then by Ukraine. These hits upended normal economic flows, both domestic and international that are too well known to have to be repeated.

    These kinds of risks are difficult to prepare for in advance and become even more potent when our own house remains in a poor state of economic and administrative governance, hobbled by crony-driven policies, ill-advised appointments to crucial leadership positions, and a blind pursuit of highly visible prestige projects and a belief that remittances, export earnings and the GDP growth rate will continue to deliver automatically, year after year.

    All these issues will need to be revisited and addressed head on and not, once again, swept under the carpet under some ‘role model’ fig leaf.

    Development first policy

    Politicians frequently talk of the ‘development highway’ and have tended to frame their political rhetoric in terms of rapid development outcomes pointing mainly to mega infrastructure projects, good GDP growth and ‘overflowing’ forex reserves.

    One understands that politicians in developing countries like megaprojects as a relatively straightforward way to boost their image and acquire credibility amongst the electorate. Massive resources deployed to mega initiatives in turn generate enormous spillovers that are easy to appropriate — thus a clear win-win for the ruling classes.

    Nevertheless, costs need to be justified by economic and social returns. Going forward, we will urgently need to focus rigorously on the foreign exchange component of projects under the assumption that forex is in fact highly scarce and poses a binding constraint on development.

    This will be difficult because in the last few years we began to believe that we were sitting on massive reserves and began to hatch ingenuous plots to dip into those (eg. in the name of foreign investments in Africa).

    After many decades, we are once again faced by the spectre of the foreign exchange gap. Therefore, we must now make every effort to generate and save foreign exchange.

    A note of warning: the habitual cost-return figures generated by consultancies fielded to assess project feasibility and produce the magic numbers (IRR, EIRR, NPV) for megaprojects must be treated with more than a grain of salt. As someone who has done cost-benefit analyses of large infrastructure projects, let me just say that I understand how these numbers are generated.

    Suffice it to say simply that a consultant who finds a megaproject infeasible is unlikely to be employed by the same agency again. Truth be told, none of the feasibility studies that are routinely churned out by the consultancy mafia is truly independent. A government seeking an independent evaluation must find a way to get around this dilemma.

    Even if politicians tend to favour high visibility megaprojects, what is really needed is development that requires a shift of attention towards metrics that more closely reflect human welfare like employment, wages, poverty, inequality, food security, quality of education and skills, growth of SMEs, access to capital, growth of the farm and non-farm sector, and technological transformation that can usher in broad-based, high-velocity growth.

    Urban-industrial growth remains excessively narrow and will not be able to address the aspirational needs of a large, restless middle class that is feeling left out of Bangladesh’s development miracle judging by labour market performance.

    Mindlessly expanding public sector employment as a solution is misplaced, even counterproductive. I remember well how I was pressured by a certain ministry to hire more people despite my repeated pleas that we needed to fill the posts with youngsters meeting our strict criteria.

    They insisted that I lower standards and find a way to train up the new recruits to meet our needs. While this sounds fair, the problem is that a lifetime of educational neglect cannot be remedied by a few months of ‘on the job’ training — at least not in academia. Just hiring to fill up some ad hoc quota would be tantamount to leaving behind a legacy of inefficiency and poor quality that would stay with us for several decades with huge adverse effects on the institution. Nevertheless, the pressure was relentless, but I refused to give in. I have not checked with my successor to find out how matters stand now.

    To get back to the ‘development first’ policy — yes, it is a good policy. One could even argue that it has served its political purpose as well. We now, however, must set our sights on real development that goes well beyond brick and mortar and puts human beings at its centre.

    The current macro crisis

    I think readers of this paper are familiar with the macro crisis we face today and its broad underpinnings. Our reserves quickly disappeared because the value of our dollar was kept artificially low. In other words, the value of the taka was propped up gradually to a level that bore little resemblance to its real value (in terms of what economists’ refer to as the Real Effective Equilibrium Exchange Rate or REER).

    So what happens if you have cheap dollars (or cheap anything) — you buy more of it. So you import more, you hoard more, you launder more, you use all available mechanisms to take out those dollars from the system and dispose of those abroad.

    Economists have been warning against an overvalued exchange rate for years. Their advice was ignored until of course the IMF came along and made devaluation a precondition for their loans. The bitter pill had to be swallowed at the worst possible moment — when basic energy and food markets were exploding all around us.

    But if you are ill, you have to take your pill. This treatment, alas, did not do the job. The BDT continues to tumble as we speak, and more advice is piling in to further devalue or allow the taka to depreciate further led by market forces.

    Here, I have a disagreement.

    In my view, the BDT has fallen to a level that is likely to be close if not actually below its REER. In other words, it should not have to keep falling any further relative to the USD. Indeed, as we begin managing our macro policies better, it should gradually begin to appreciate. In this context, a healthy dose of external borrowing could play a key role. This is what would be expected if things were normal. ‘Things’ however are far from normal.

    As anyone who has ever looked at markets closely would testify, markets are easily spooked. While a competitive market will find its equilibrium restored eventually even after suffering bouts of volatility, a less competitive market will face greater volatility and a longer time interval before things settle down again. Thus, in between episodes of equilibrium, even the best of markets can exhibit considerable volatility.

    If you don’t believe me, just look at Wall Street, which ostensibly is the largest, most competitive market in the world. So, what do you think is happening to our forex market, blanketed by uncertainty, political turmoil, threat of external sanctions, and high inflation?

    I do not think tinkering with the exchange rate is going to get us out of the hole we are in. We urgently need political stability in order for confidence to be restored in the market. In other words, we must find a permanent solution to our political woes. A piecemeal approach will no longer be sufficient. We owe this to ourselves and to the 3 million martyrs of the Liberation War.

    There are other elements of the macro situation that one could delve into. My position is that the macro policy variables are moving or have moved in the right direction. Its benefits are not going to be immediate for the aforesaid reasons relating to political uncertainty and an atmosphere that is antithetical to investment — in fact quite its opposite.

    Financial sector reforms

    It goes without saying that a prerequisite to reversing our current economic disarray is through discipline in the financial sector which has been plagued by poor policies, poor regulation, surging non-performing loans, and flight of capital. One should recall that the major premise of allowing private sector banks in the country was that this would bring about competition, efficiency, and good performance.

    This has not happened despite initial promise and considerable potential. As always, the greed of a few thwarted the rise of a sector which could have helped Bangladesh to become a regional hub in international banking and finance. Certainly, we have the talent and the expertise. What we lack is imagination, vision, policy commitment and drive.

    The next government will have to urgently revisit its position vis-a-vis the financial sector and its overdue reforms. Hint: Please get the cronies to back off so that the sector can be run by professionals.

    Exports

    Our export basket is limited, and sadly, so are our export destinations! Given threats of unilateral sanctions (without reference to WTO rules or ILO labour standards) by the ‘Human Rights’ champion of the world, the time has come for vulnerable countries like Bangladesh to seriously rethink its economic development model.

    It is clear to me that we cannot be a puppet state of India or America, or indeed anybody else. Our international relations will have to be based on our own national interest. Our location makes this a difficult exercise given rising tensions between the US and China, and India and China, increasingly focused on the Indo-Pacific.

    It was of course extremely irresponsible of China to become so rich and powerful at such great speed, and to add insult to injury, after taking full advantage of US technology and markets to boot! Even that would have been alright if it was not for the fact that the Chinese still decided to remain Chinese and refused to be American. This is not my view actually — I heard Jeffrey Sachs talking about this recently.

    Under the circumstances, the only moral as well as pragmatic way forward for us is to remain firmly, unshakably determined to hang on to the moderate, middle ground. Sorry, we are not going to be complicit in your wars — hot, cold, or warm. If you want our respect, help us with market access, help us with solving the Rohingya crisis, help us to prosecute Myammar for genocide, and stop meddling in our internal affairs.

    And above all, desist from any design related to forceful regime change. Bangladesh’s politics are muddled enough without you guys making matters even worse. The people of Bangladesh will ultimately do the right thing by themselves. The best way forward is to support Bangladesh through a focus on education, technology, health, investment, and market access. The people of Bangladesh are and always have been pro-democratic. We have waited for 50 years — we can wait a few more — Bangladesh will emerge out of the present crisis as a democracy. This however, must be a result of our internal dynamics and not imposed by external forces.

    In short: our exports are likely to face cold, head winds come the new year. We will therefore have to figure out what to do about dwindling reserves to stabilise the economy. In the short run, the alternatives are few. We will be in need of generous bailouts. Maybe we should ask our dear neighbour for a soft loan? After all, we have saved them a lot of money in more ways than I can count, including security costs in the Northeast and free water from our rivers.

    Remittances and ‘hundi’

    I think remittances will rebound after elections especially if elections are able to stabilise the situation and instil confidence in the minds of the people. For the same reason, capital flight will diminish. I do not think marginal tinkering with policy rates will help one way or another at this time.

    The subject of hundi is a difficult one. It has existed for thousands of years, facilitating long distance trade across oceans.

    This suggests that it cannot, indeed should not be uprooted. The question is, can it be regulated or at least nudged into ‘good behaviour’ as needed? Can we give out licences to hundi wallahs but refrain from breathing down their necks? Can the licensing conditions be easy, straightforward, and acceptable to the trade — including retaining anonymity of transactions? We will have to find a way to accommodate hundi-type exchange within the mainstream.

    Our financial wizards should try to figure out how. I have noticed that Bengali-owned grocery stores in New York have a little window for money transfers, ostensibly using some exchange platform. My suspicion is that this is hundi or hundi-like exchanges given the rates displayed. Apparently, this is not illegal, and may even be something that we in Bangladesh could consider adopting in some form, like having hundi-type booths in public sector banks?

    The other possibility might be to legalise crypto exchanges so that people have a way to preserve the value of their money under difficult conditions. The crypto exchanges could become part of the overall financial system so that flight of capital could be dissuaded. Of course crypto currencies are still struggling for acceptance but increasingly, its potential force is being recognized — just take a look at how well it has been doing in the last few months.

    The third option would be to allow people to hold a certain percentage of their Taka savings in USD, or some other free currency. This would at least keep the money within the country although some of it, undoubtedly, would be deployed to meet foreign contingencies relating to treatment or education. These types of exigencies are being currently met already anyway — but in an inefficient and costly manner.

    I have also wondered about the merits and demerits of dollarization. I must confess I have not thought about it very hard. My sense is we could opt for partial dollarization on an experimental basis. There are a number of countries that use the USD as an alternative to the domestic currency, with some success.

    This at least helps to protect us from exchange rate worries, making hundi much less profitable. Some major economies like Argentina are considering adoption of the USD. The downside is that this will limit our ability to adopt monetary policy freely or print money at will. Not sure if this is much of a downside given our state of financial governance.

    Political economy

    The nature of our political economy has changed, both in its domestic as well as its external configuration. On the domestic front, we have moved away from an agrarian, surplus farmer dominated polity to one dominated by a new capitalist class consisting of independent as well as crony capital.

    As it happens, governments in poor countries thrive in the company of cronies, and will try hard to generate a crony class if one does not exist. In Bangladesh, one does not have to try very hard to accomplish this — the competition to join the crony market is intense through a complex system of ‘tadbir’, bribes, and various other enticements. Indeed, our semi-feudal culture appears to be well-suited for such a political economy.

    This is how filial loyalty is cultivated and institutionalised in the interest of consolidating political power.

    Such a political economy has strong, negative implications for a pro-people policy in addition to going against the further evolution of a vibrant, independent capitalist class. There is little chance of overturning this system anytime soon and must be viewed as a fetter on development. The crony class, however, is small and could in theory find itself quickly expelled if the winds of change should begin to shift.

    The emergence of Bangladesh’s capitalist class is a true miracle. It has matured. It has the power to exert influence on governance – probably more than any other group in the country. One must look to them to play their historical role at this moment of crisis. The alternative, I fear, will not be pleasant.

    The geo-political economy is of great concern as well. Bangladesh has clearly been identified as a hotbed of superpower rivalry. How we play this will matter in terms of stability and security, in terms of market access, and in terms of aid and investment.

    There are a number of other risks as well on the horizon: global warming, Islamophobia in India and the West, the imminent collapse of another failed state in the neighbourhood, the low-level insurgencies in the Northeast of India across our borders, the potential re-emergence of jihadi groups — the list goes on.

    Each of these elements require us to formulate a strategy in terms of how we deal with foreign counterparts. It would be good to remind ourselves that we should never put all our eggs in one (Indian) basket if we want those to hatch. My sense is that while we must try hard to balance out contending forces, we must cultivate a slight pro-Western tilt — especially by focusing on countries like Japan, South Korea, Canada, Scandinavia, in addition to Western Europe and the US. Without access to their markets, it will not be possible to sustain an export-led growth model.

    Dr KAS Murshid, economist. Former Director General, BIDS.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.