সুপারিশকৃত লিন্ক : জুন ২০২৩

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১২ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ জুন ২০২৩ (৫:৪৪ অপরাহ্ণ)

    সংস্কৃতির বাজেটে হতাশা, প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক
    https://bangla.bdnews24.com/glitz/x3uzr6amgm

    নতুন অর্থবছরের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে যে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে বরাবরের মত ‘অবহেলা’ করা হয়েছে বলে মনে করছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

    সংস্কৃতি খাতকে ‘অবহেলার’ প্রতিবাদ এবং বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

    সংগঠনটি মনে করছে, এবারও জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতিকে ‘অবহেলা’ করা হয়েছে, এই বাজেট সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অপ্রতুল। তারা এবার বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ বরাদ্দ আশা করেছিলেন।

    বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।

    তাতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬৯৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই পরিমাণ ছিল ৬৬২ কোটি টাকা।

    সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এবার কিন্তু বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ কমেছে। যে ৬২ কোটি টাকা বেড়েছে, সেটা তো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কারণে সেখানেই খরচ হবে, বরং ঘাটতি থাকবে।”

    বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভাষা, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, নাটক ইত্যাদির বিকাশে সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশজ সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন শিল্প-সাহিত্যের গবেষণা, প্রদর্শন, প্রকাশনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ চিহ্নিতকরণ, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপিরাইট সংরক্ষণসহ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ভাষা শহীদ দিবস এবং বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসসমূহ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় উদযাপন করা হচ্ছে।

    “দেশের ৭টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতির সংরক্ষণ, চর্চা ও বিকাশে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। মনীষী ও গুণীজনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নিয়মিত পুরস্কার, সংবর্ধনা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।”

    তবে প্রতিবারই সংস্কৃতির বাজেটে অবহেলা করা হয় দাবি করে সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, এবার সরকার সংস্কৃতির বরাদ্দ বাড়াবে। কারণ সারা দেশে তরুণ প্রজন্মকে মানবিক করে তুলতে হলে একটা বড় রকম সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন।

    “তার জন্য জাতীয় মোট বাজেটের অন্তত ১ শতাংশ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ দিতে হবে৷ এবারও সেটা করা হয়নি, আমরা হতাশ।“

    https://twitter.com/urumurum/status/1535196675349745664

    https://twitter.com/urumurum/status/1664672462724902912

  2. মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০২৩ (৪:২৫ পূর্বাহ্ণ)

    Style is not ornament
    https://www.the-tls.co.uk/articles/william-h-gass-reader-book-review-zachary-fine/
    The musical prose of William H. Gass
    By Zachary Fine

    Arriving almost a year after the American author’s death, The William H. Gass Reader gathers more than 900 pages of philosophical essays, book reviews, short stories, novellas and fragments. Being the first collection of Gass’s writing that explicitly brings together fiction and non- fiction, the Reader reveals how thin and provisional this cleft can be. To read across his life’s work, spanning nearly sixty years, is to find a body of writing that foils generic boundaries. The ideas and stylistic features present in early essays – “The Medium of Fiction”, “Philosophy and the Form of Fiction”, “The Concept of Character in Fiction”, “Carrots, Noses, Snow, Rose, Roses”– are just as alive in every book review and work of fiction he wrote throughout his life.

    In late July of 1975, Susan Sontag confided to her journal that “It’s the prose of goys like Elizabeth H[ardwick], Bill Mazzocco, Wilfrid Sheed, Gass, & Garry Wills that turns me on these days. No ideas, but what music!” Sontag’s estimation that Gass belonged to a group of essayists and essayist-novelists sacrificing ideas for music, content for form – this from the great evangelist of style in the 1960s who challenged the divide between form and content in her landmark essay “On Style” – is indicative of a literary-historical shift.

    The essay as a genre has long been relegated to the margins of scholarship, and so for all the wrangling over postmodernism in America during the 1960s, the possible emergence then of a new American essay of formal experiment, of “style”, has been little discussed. Whereas the archetypal essays of elder New York intellectuals in Partisan Review during the 1930s, 40s and 50s – the writings of Lionel Trilling, Dwight Macdonald, Clement Greenberg, among others – exhibit a more genteel critical prose, largely unaffected by formal innovation in the novel, many essayists …

  3. মাসুদ করিম - ৩ জুন ২০২৩ (৪:২৯ পূর্বাহ্ণ)

    চার মাস ধরে বন্ধ চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক
    https://www.banglatribune.com/country/chitagong/801801/%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8

    চার মাস ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক। নগরীর মুরাদপুরে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বন্ধ রয়েছে। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।

    ইতোমধ্যে কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে আরও একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। গত ১৭ জানুয়ারি পুরনো কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওইদিন থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক দিয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা তথা নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের লোকজন চলাচল করেন। নগরীর নিউমার্কেট থেকে মুরাদপুর হয়ে হাটহাজারী ও রাউজানসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিরতিহীন বাস চলাচল করে। ওইসব বাস এখন মুরাদপুর মোড় থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের সময় ও অর্থের ব্যয় বেড়েছে।

    চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, কালভার্টটির নিচে চট্টগ্রাম ওয়াসার তিনটি পাইপলাইন ছিল। কালভার্ট নির্মাণের সুবিধার্থে পাইপলাইনগুলো দুই পাশ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাটা পাইপলাইন পুনরায় জোড়া লাগানো হবে। এতে কমপক্ষে একমাস সময় লাগতে পারে। তিনটি পাইপলাইন জোড়া লাগানোর পর কালভার্ট দিয়ে যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

    সরেজমিন দেখা গেছে, ১৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮ মিটার প্রস্থের কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাসখানেক আগে। লোকজনের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এ কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। বৃষ্টি হলে কাঁদাপানিতে একাকার হয় কালভার্ট, এ জন্য চলাচলকারী লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

    ইউসুফ তালুকদার নামে মুরাদপুর সঙ্গীত এলাকার বাসিন্দা জানান, আগে অক্সিজেন মোড় থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত মিনিবাসে ভাড়া ছিল ১০ টাকা। এখন অক্সিজেন থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত ভাড়া সাত টাকা। মুরাদপুর থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত ভাড়া আট টাকা। মুরাদপুর মোড়ে চার মাস ধরে নির্মাণাধীন কালভার্টের কারণে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা দিতে হচ্ছে।

    মুরাদপুর হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা দিদারুল আলম বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণে বেশ সময় নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণের আগে বলা হয়, দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।’

    চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘মুরাদপুরে কালভার্টের নিচে ওয়াসার তিনটি পাইপলাইন ছিল। কালভার্ট নির্মাণের সময় এসব পাইপলাইনের দুই পাশে কাটা হয়। এগুলো পুনরায় জোড়া লাগানো হবে। শিগগিরই এর কাজ শুরু করবো।’

    ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় কালভার্টটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

    প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, ‘মুরাদপুরের কালভার্টটির নির্মাণ প্রায় শেষ। লোকজনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণের সময় ওয়াসার কয়েকটি পাইপলাইন কাটা পড়েছিল। সেগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’

  4. মাসুদ করিম - ৫ জুন ২০২৩ (২:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    দেশে প্রাপ্য সম্মান পাননি অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, স্মরণসভায় খেদ
    https://bangla.bdnews24.com/economy/xgpnmf97su
    “দেশের কোনোও পুরস্কারের জন্য অধ্যাপক নুরুল ইসলামের ক্ষোভ ছিল না। তবে তিনি চাইতেন দেশ যেন তাকে স্বীকৃতি দেয়।”

    সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক নুরুল ইসলামের স্মরণ সভায় বক্তারা এই অর্থনীতিবিদকে জাতীয়ভাবে কোনো সম্মান না দেওয়ায় খেদ প্রকাশ করেছেন।

    তাকে বাংলাদেশের আধুনিক অর্থনীতি শিক্ষা ও গবেষণার ‘আদি গুরু’ অভিহিত করে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জীবদ্দশায় স্বাধীনতা বা একুশে পদকের কোনোটাই না দেওয়ায় তার প্রাপ্য সম্মানটুকে থেকে তাকে ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে।

    দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করা নুরুল ইসলামকে ‘সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্থনৈতিক যৌক্তিক ভিত্তির মূল প্রণেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেন ওয়াহিদউদ্দিন।

    রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস আয়োজিত ‘প্রফেসর নুরুল ইসলাম: নানা প্রজন্মের দৃষ্টিতে দেখা’ শীর্ষক স্মরণসভায় নানাভাবে স্মৃতিচারণ করেছেন প্যানেল বক্তারা। এর মধ্যে তাকে জীবদ্দশায় কোনো ‘জাতীয়’ পদক না দেওয়ার বিষয়টি বার বার এসেছে।

    স্বাধীনতাত্তোর দেশ গঠনে সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। তিনি গত ৮ মে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান।

    স্মরণসভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান বক্তব্য দেন।

    এছাড়াও আইনজীবী কামাল হোসেন, ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির ও অধ্যাপক নুরুল ইসলামের মেয়ে রুমিন ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন।

    ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৬০ এর দশক থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নুরুল ইসলামের অবদান আছে। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা মূলত তার গবেষণার ফসল এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে সরাসরি সরকারের অংশ হয়ে দেশ গড়াসহ নানাভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    অধ্যাপক মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্র ও দেশে বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে আলোচনার বিভিন্ন সময়ের কথা তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন।

    তিনি বলেন, “অনেক সময় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলতেন, ‘স্বাধীনতায় তো আমারও কিছুটা অবদান আছে। কিন্তু আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়নি’।

    “তবে দেশের কোনোও পুরস্কারের জন্য অধ্যাপক নুরুল ইসলামের ক্ষোভ ছিল না। তবে তিনি চাইতেন দেশ যেন তাকে স্বীকৃতি দেয়।”

    এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “তিনি একজন অর্থনীতির অধ্যাপক, আবার দেশের জন্য কাজ করেছেন। আমার দৃষ্টিতে তিনি একজন সর্বাঙ্গীণ বা পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ।”

    দুই কারণে তিনি একজন পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিবিদ মনে করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৫০ দশকের শুরু থেকে যখন উন্নয়ন অর্থনীতি শুরু হলো, এরপর থেকে উন্নয়নের যত ধরনের ধারণা, তত্ত্ব ও বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং এসব অভিজ্ঞতার বিবর্তন হয়েছে, আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে এই সবগুলো বিষয়ে তার প্রকাশিত গবেষণাপত্র আছে।

    “উন্নয়ন অর্থনীতির সকল দিক- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বিশ্ব অর্থনৈতিক ক্রাইসিস, এমনকি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সকল কিছুতেই তার প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। এসব বিষয় নিয়ে তিনি লিখেছেনও।”

    ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, “অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ না পেয়েও তার মতো উপর থেকে পাখির দৃষ্টিতে পুরো উন্নয়ন অর্থনীতিকে দেখা আমি আর কাউকেই দেখিনি।

    কোনো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি যখন অন্যদের সঙ্গে ডিবেট করতেন বা কোনো প্রেজেন্টেশন দিতেন, সেখানে তিনি বহু নোবেল লরিয়েট অর্থনীতিবিদদেরকে ছাড়িয়ে যেতেন।”

    অনুষ্ঠানে ফরাসউদ্দিন বলেন, “তিনি একজন পিওর অর্থনীতিবিদ ছিলেন। এদেশের মানুষের জন্য প্রথম কল্যাণ অর্থনীতির তত্ত্ব দেন।

    “১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের বৈষম্যের অর্থনীতির গবেষণা তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছে তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু এটা গ্রহণ করে নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এই বৈষম্য প্রচারের উদ্যোগ নিলে দেশদ্রোহী বানানোর শঙ্কার কথাও বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন।”

    এরপর বঙ্গবন্ধু ও নুরুল ইসলাম মিলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কল্যান অর্থনীতির ছক তৈরি করেন; তবে রাজনৈতিকভাবে ছয় দফা একেবারেই বঙ্গবন্ধুর হাতে তৈরি বলে জানান তার এক সময়ের সচিব ফরাসউদ্দিন।

    অধ্যাপক নুরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কামাল হোসেন বলেন, “১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টোর অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রফেসর নুরুল ইসলাম।

    “পাকিস্তানের বৈষম্যের বিপরীতে এই দেশে বৈষম্যহীন অর্থনীতি কীভাবে করা যায়, তার জন্য প্রফেসর নুরুল ইসলামের অবদান অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তার এই অবদান বাংলাদেশে স্মরণ করা হয়নি।”

    অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা দেশের এই কৃতি সন্তানকে স্বাধীনতা, অর্থনীতি এবং কল্যাণ অর্থনীতিতে অবদান রাখায় মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়ার দাবি জানান।

    বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, “তিনি পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে যে শক্তি নিয়ে দেশের উন্নয়ন অর্থনীতি পরিচালনা শুরু করেছিলেন, বর্তমানে সেই অবস্থা নেই।

    “তার পরিকল্পনায় ওই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মধ্যবিত্ত শহুরে অর্থনীতি গড়ে তোলে একটি কল্যাণমূখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।”

    ১৯৭৪ সালে অধ্যাপক নুরুল ইসলামের বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া প্রশ্নের উদ্রেক করে মন্তব্য করে করে সাবেক আমলা মান্নান বলেন, “উনি কি ৭৫ এর বিষয়ে কিছু অনুমান বা কোনও খবর কি তার কাছে ছিল? আমি বলছি না যে তিনি জানতেন, তবে আমার মনে প্রশ্ন জাগে।”

    https://twitter.com/urumurum/status/1665534622405648385

  5. মাসুদ করিম - ৫ জুন ২০২৩ (২:৫০ পূর্বাহ্ণ)

    How chocolate could counter climate change
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/trade-market/how-chocolate-could-counter-climate-change-1685900997
    At a red-brick factory in the German port city of Hamburg, cocoa bean shells go in one end, and out the other comes an amazing black powder with the potential to counter climate change.

    The substance, dubbed biochar, is produced by heating the cocoa husks in an oxygen-free room to 600 degrees Celsius (1,112 Fahrenheit).

    The process locks in greenhouse gases and the final product can be used as a fertiliser, or as an ingredient in the production of “green” concrete.

    While the biochar industry is still in its infancy, the technology offers a novel way to remove carbon from the Earth’s atmosphere, experts say.

    According to the UN’s Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC), biochar could potentially be used to capture 2.6 billion of the 40 billion tonnes of CO2 currently produced by humanity each year.

    But scaling up its use remains a challenge.

    “We are reversing the carbon cycle,” Peik Stenlund, CEO of Circular Carbon, told AFP at the biochar factory in Hamburg.

    The plant, one of the largest in Europe, takes delivery of the used cocoa shells via a network of grey pipes from a neighbouring chocolate factory.

    The biochar traps the CO2 contained in the husks — in a process that could be used for any other plant.

    If the cocoa shells were disposed of as normal, the carbon inside the unused byproduct would be released into the atmosphere as it decomposed.

    Instead, the carbon is sequestered in the biochar “for centuries”, according to David Houben, an environmental scientist at the UniLaSalle institute in France.

    One tonne of biochar — or bio coal — can stock “the equivalent of 2.5 to three tonnes of CO2”, Houben told AFP.

    Biochar was already used by indigenous populations in the Americas as a fertiliser before being rediscovered in the 20th century by scientists researching extremely fecund soils in the Amazon basin.

    The surprising substance’s sponge-like structure boosts crops by increasing the absorption of water and nutrients by the soil.

    In Hamburg, the factory is wrapped in the faint smell of chocolate and warmed by the heat given off by the installation’s pipework.

    The final product is poured into white sacks to be sold to local farmers in granule form.

    One of those farmers is Silvio Schmidt, 45, who grows potatoes near Bremen, west of Hamburg. Schmidt hopes the biochar will help “give more nutrients and water” to his sandy soils.

    The production process, called pyrolysis, also produces a certain volume of biogas, which is resold to the neighbouring factory. In all, 3,500 tonnes of biochar and “up to 20 megawatt hours” of gas are produced by the plant each year from 10,000 tonnes of cocoa shells.

    The production method nonetheless remains difficult to scale up to the level imagined by the IPCC.

    “To ensure the system stores more carbon than it produces, everything needs to be done locally, with little or no transport. Otherwise it makes no sense,” Houben said.

    And not all types of soil are well adapted to biochar. The fertiliser is “more effective in tropical climates”, while the raw materials for its production are not available everywhere, Houben said.

  6. মাসুদ করিম - ৬ জুন ২০২৩ (৬:৩৮ অপরাহ্ণ)

    নগ্নতাকে যৌনতার সঙ্গে এক করে ফেলা উচিত না: কেরালা হাই কোর্ট
    https://bangla.bdnews24.com/world/7hat7r5eh5
    এ রায় দিয়ে ভারতে কেরালার নারী অধিকারকর্মী রেহানা ফাতিমার বিরুদ্ধে করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

    ‘নগ্নতা যৌনতার সঙ্গে আবদ্ধ নয়। কোনও নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত থাকলে তাকে যৌনতা হিসাবে দেখা ঠিক নয়’ বলে রায় দিয়ে ভারতে কেরালার নারী অধিকারকর্মী রেহানা ফাতিমার বিরুদ্ধে করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য হাই কোর্ট।

    এনডিটিভি জানায়, ২০২০ সালের জুন মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেহানার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রেহানা শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে শুয়ে আছেন এবং তার ছেলে ও মেয়ে তার শরীরে ছবি আঁকছেন।

    ভিডিওটি পোস্ট করে রেহানা দাবি করেছিলেন, নারী দেহ মানেই যৌনতা ভেবে নেওয়ার মানসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি তার উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের যৌন শিক্ষা দেওয়া।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ঘিরে নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র ক্ষোভ। সেইসঙ্গে কেরালায় একাধিক থানায় রেহানার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা (POSCO) আইনের ১৩, ১৪ এবং ১৫ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও কিশোর বিচারের ৭৫ ধারার অধীনে ‍মামলা করা হয়।

    সোমবার ৩৩ বছরের রেহানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারপতি কাউসের এডাপ্পাগাথ বলেন, সন্তানদের কোন বাস্তব বা সিমুলেটেড যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তাও আবার যৌন তৃপ্তির জন্য! ভিডিও দেখে এমনটা অনুমান করা কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না।

    তিনি শুধু তার শরীরকে তার সন্তানদের ছবি আঁকতে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

    ‘‘কোনো নারীর নিজ দেহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‍অধিকার তার একেবারেই নিজস্ব এবং এটিই সমতা ও গোপনীয়তার বিষয়ে তার মৌলিক অধিকারের মূল কথা। এটি ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ দ্বারা নিশ্চিত করা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যেও পড়ে।”

    মামলা থেকে ‍অব্যাহতি পেতে রেহানা প্রথমে একটি ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাকে অব্যাহতি না দিয়ে বরং মামলা চালিয়ে যেতে বলা হয়। ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি পরে কেরালা হাই কোর্টের দ্বারস্ত হন।

    হাই কোর্টে করা আপিল আবেদনে রেহানা বলেন, সকল প্রেক্ষাপটে একজন নারীর নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ সমাজে যৌনতা বলে বিবেচিত হয়। অথচ সেই সমাজেই এজন পুরষের নগ্ন ঊর্ধ্বঙ্গ যৌন আচরণ বলে বিবেচিত হয় না। নিজের দেহে পেইটিং করানোর মাধ্যমে তিনি সমাজের পূর্বনির্ধারিত এই ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছেন।

    রেহানার এই যুক্তির সঙ্গে একমত পোষন করে বিচারপতি কাউসের বলেন, ‘‘শিশুদের পর্নোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এমন কিছুই সেখানে দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে যৌনতার কোনো ইঙ্গিত নেই। একজন ব্যক্তির নগ্ন শরীরের উপরিভাগে ছবি আঁকা, তা সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, তাকে যৌনতামূলক কাজ বলা যাবে না।”

    আদালতে প্রসিকিউটর দাবি করেছিলেন, রেহানা ভিডিওতে তার শরীরের উপরের অংশটি উন্মুক্ত করেছে। যা অশ্লীল এবং অশালীন। তার এই যুক্তি বাতিল করে আদালত থেকে বলা হয়, ‘‘নগ্নতা এবং অশ্লীলতা সবসময় সমার্থক নয়।

    ‘‘নগ্নতাকে অপরিহার্যভাবে অশ্লীল বলে শ্রেণীবদ্ধ করা বা এমনকি অশালীন বা অনৈতিক হিসাবে ভাবাও ভুল।”

    বিচারক নিজের এই অবস্থানের পক্ষে উদাহরণ হিসেবে বলেন, অতীতে কেরালাতেই নিম্নবর্ণের নারীরা নিজেদের বক্ষ ঢেকে রাখার অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছেন। এছাড়াও সারা দেশে প্রাচীন মন্দির ও বিভিন্ন পাবলিক স্পেসে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় দেব-দেবীর ম্যুরাল, মূর্তি এবং শিল্পকর্ম আছে এবং এগুলোকে ‘পবিত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    তিনি আরো বলেন, ‘‘একজন পুরুষের নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ কখনোই অশ্লীল বা অশালীন বলে বিবেচিত হয় না। এটা যৌনতাও নয়। তবে কেনো একজন নারীর দেহও একইভাবে দেখা হবে না?

    ‘‘নারীদের নিজের দেহ এবং জীবন সম্পর্কে নিজেদের পছন্দমত চলতে গিয়ে নির্যাতিত, বৈষষ্যের শিকার, একঘরে হওয়া এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হয়।”

    কেরালার উচ্চ আদালতের এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেলেন রেহানা। এবারই প্রথম তাকে নিয়ে বিতর্ক, এমনটা নয়। কেরালার সবরিমালায় আইয়াপ্পার মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সেবারও তাকে নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় এবং আইন না মেনে মন্দিরে প্রবেশের জন্য খোয়াতে হয়েছিল সরকারি চাকরি।

    https://twitter.com/urumurum/status/1666136939077181440

  7. মাসুদ করিম - ৯ জুন ২০২৩ (১০:২৪ পূর্বাহ্ণ)

    রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খানের মৃত্যু
    https://bangla.bdnews24.com/politics/76oxss4772

    ৮২ বছর বয়সী ‘দাদা ভাই’ উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রামণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

    বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খান মারা গেছেন।

    নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান।

    ৮২ বছর বয়সী ‘দাদা ভাই’ উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রামণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ৭ মে থেকে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। পরে ২০ মে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

    শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১ জুন তাকে কেবিন থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

    হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে হার্ট অ্যাটাক হয় সিরাজুল আলম খানের। তাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। ডাক্তররা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি।

    দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা চিরকুমার সিরাজুল আলম খান ঢাকার কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গেই থাকতেন।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার ‘নিউক্লিয়াস’ গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।

    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির সঙ্গে বিরোধের জের ধরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভেঙে দুই ভাগ হয়। এরপর ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়।

    তিনি কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের পরামর্শক হিসেবে তাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকতেন।

    সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না; আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান।

  8. মাসুদ করিম - ১৩ জুন ২০২৩ (৪:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    Wasted: 2022 Global Nuclear Weapons Spending
    https://www.icanw.org/wasted_2022_global_nuclear_weapons_spending
    In its report “Wasted: 2022 Global Nuclear Weapons Spending” the International Campaign to Abolish Nuclear Weapons shows in 2022, the year of the Russian invasion of Ukraine, nine nuclear-armed states spent $82.9 billion on their nuclear weapons, more than $157,000 per minute, an overall increase of $2.5 billion from 2021.

    https://twitter.com/nuclearban/status/1668196973910867968

    Nine countries spent $82.9 billion on nuclear weapons, of which the private sector earned at least $29 billion in 2022. The United States spent more than all of the other nuclear armed states combined, $43.7 billion. Russia spent 22% of what the U.S. did, at $9.6 billion, and China spent just over a quarter of the U.S. total, at $11.7 billion.

    This is the fourth annual report documenting massive investments in global nuclear weapons spending. Through an ever-changing and challenging security environment, from security threats of climate change to the COVID-19 pandemic to the Russian invasion of Ukraine, nuclear weapons spending has steadily increased, with no resulting measurable improvement on the security environment. If anything, the situation is getting worse.

    As companies throw money at lobbyists and researchers to assert the continued relevance and value of nuclear weapons, the record shows the inutility of weapons of mass destruction to address modern security challenges — and the legitimate fear, backed by peer-reviewed scientific evidence, that they can end global civilisation as we know it.

    The Treaty on the Prohibition of Nuclear Weapons is the multilateral response to the irresponsible behaviour of all nuclear-armed states to pour money down their nuclear weapons drains. It is the normative barricade against threats to use nuclear weapons. All countries should join this landmark international instrument to prohibit the development and maintenance of nuclear weapons and prevent their eventual use by ensuring their elimination.

  9. মাসুদ করিম - ১৮ জুন ২০২৩ (৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

    Saudi Arabia wants enhanced maritime security in Gulf as ties with Iran resume
    https://thefinancialexpress.com.bd/world/asia/saudi-arabia-wants-enhanced-maritime-security-in-gulf-as-ties-with-iran-resume

    Saudi Arabia wants enhanced maritime security in the crucial Gulf region as part of its rapprochement with long-timerival Iran, Foreign Minister Prince Faisal bin Farhan said on Saturday.

    Iran and Saudi Arabia agreed in March, in a deal brokered by China, to end a diplomatic rift and reestablish relations following years of hostility that had endangered regional stability including in the Gulf, Yemen, Syria and Lebanon.

    “I would like to refer to the importance of cooperation between the two countries on regional security, especially the security of maritime navigation… and the importance of cooperation among all regional countries to ensure that it is free of weapons of mass destruction,” Prince Faisal said.

    Speaking after talks with his Iranian counterpart Hossein Amirabdollahian in Tehran, Prince Faisal also said the Saudi king and crown prince are looking forward to Iranian president Ebrahim Raisi “accepting the invitation to visit the Kingdom soon, God willing”.

    Amirabdollahian told a televised joint media event that security was vital for regional countries.

    “Iran has never equated security with militarism but sees it as a broad concept including political, cultural, social, economic and trade aspects,” he said.

    The kingdom broke ties with Iran in 2016 after protesters attacked the Saudi embassy in Tehran in retaliation for Riyadh’s execution of a prominent Shia cleric.

    Tanker traffic through the Strait of Hormuz at the mouth of the Gulf – through which a fifth of the world’s oil passes – has become the focus for a standoff between Iran and the United States, which has increased its military presence in the region in recent years.

    Iran has recently been trying to mend its strained ties with several Gulf Arab states.

    Saudi Arabia’s rapprochement with Iran has left Israel largely alone as it has sought to isolate Iran diplomatically.

    The United Arab Emirates, which was the first Gulf Arab country to sign a normalisation agreement with Israel in 2020, resumed formal relations with Iran last year.

    Bahrain and Morocco later joined the UAE in establishing ties with Israel.

  10. মাসুদ করিম - ১৯ জুন ২০২৩ (১:৪৪ অপরাহ্ণ)

    MPS targets tight money supply to combat inflation
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/mps-targets-tight-money-supply-to-combat-inflation-1687110973
    Easing exchange-rate pressures, stemming forex depletion second cardinal MPS goal BB unveils for H1 of FY24

    Policy rates are rising to check cheap fund availability and aggregate consumer demand will be reduced alongside maintaining supply-side interventions as tools to defuse inflation under a new monetary policy Bangladesh now pursues.

    Bangladesh Bank (BB), the country’s central bank, Sunday rolled out the “contractionary” monetary-policy stance for July-December 2023 period in order to contain the inflation which stood at a nearly double-digit high in May.

    Bangladesh Bank Governor Abdur Rouf Talukder explained the reasons for the tight money supply in the economy while unveiling the half-yearly or H1 monetary policy statement or MPS at a press meet held at its headquarters, highlighting some key challenges facing the economy – the fastest depleting foreign-exchange reserves and exchange-rate volatility.

    The Governor said the rising inflation and sustained exchange-rate pressures continue to pose significant challenges for Bangladesh’s economy.

    “Containing inflation will be the first and foremost objective of this monetary-policy statement or MPS.

    “The strategy will be to reduce the aggregate demand in the economy while continuing the supply-side interventions.”

    Terming the nature of the MPS different than others, he said the central bank has brought four major structural changes in the policy, meant for confronting the challenges the economy is facing.

    Firstly, the BB will transition from monetary targeting to an interest-rate-targeting framework. That is, the target policy-interest rate, set at 6.50 per cent, will be accompanied by plus-minus 200-basis-point symmetric corridor consisting of a standing lending facility (SLF) or previously called reverse repo at 8.50 per cent and the standing deposit facility (SDF) or formerly called special repo rate at 4.5 per cent.

    “Unser this new framework, the interbank call-money rate will closely align with the policy rate, ensuring stability,” the MPS reads.

    It also reads conforming the tight monetary-policy stance, the BB decides to increase the policy rate.

    The policy rate or repo rate is adjusted upward by 50 basis points from 6.0 per cent to 6.5 per cent. The SDF is adjusted upwards by 25 basis points from 4.25 per cent to 4.50 per cent effective from July 01, 2023.

    This measure is believed to be to make the cost of borrowing expensive which may lead to limiting impact on the consumer-price index (CPI) inflation.

    Secondly, the BB intends to introduce a market-driven reference lending rate for all types of bank loans, replacing the previously imposed lending-rate cap.

    This move aims to enhance competitiveness in the banking sector and foster a favorable lending environment for businesses and individuals.

    The reference lending rate, known as the ‘SMART’ (six-month moving average rate of Treasury bill), will be announced monthly through the BB website, with a margin applied for banks and non-bank financial institutions (NBFIs).

    In practice, SMART plus a margin of up to 3.00 per cent will be applicable to banks, and SMART plus a margin of up to 5.00 per cent will be applicable to NBFIs.

    However, the lending activities for CMSMEs and consumer loans may be subject to an additional fee of up to 1.00 per cent to cover supervision costs and there will be no changes in the interest rates applicable to credit card loans.

    The BB governor said the single-digit lending rate was the political decision and was justified at a time when banks used to charge a 17-18-percent rate.

    “This time this is also a political decision as the present policymakers are aligned with the views,” the governor said.

    In commenting on the new MPS economists were divided over the moves taken by the central bank.

    Dr Ahsan H. Mansur, executive director of the Policy Exchange of Bangladesh (PRI), told the FE that the objectives are quite okay. “But we are looking forward about its operational aspects…”

    Dr Zahid Hussain, former lead economist of the World Bank, told the FE that there are some steps to control the inflation.

    He said the smart rate will be regulator-administered so it will not bring effective changes on the financial market. He means about the components of the SMART that is based on the treasury bills.

    “…such administered rates do not change significantly.”

    Dr Masrur Reaz, chairman of the Policy Exchange of Bangladesh, told the FE that the MPS moves are in the right direction as the BB will now adopt a unified and market-driven single exchange-rate regime.

    He welcomes the BB step for calculating the GIR in line with the IMF. But he thinks that there is need for capacity building for the regulator to monitor the changes.

    The monetary and credit projections under the MPs are: broad money target has been reduced to 9.5 per cent up to December 2023, down by 1.0-percentage points of June 2023 estimation.

    The domestic credit target has been set at 16.9 per cent, up 0.5-percentage points than that of June estimation.

    The credit to the public sector has been assumed at 43 per cent, up by 3.0 percentage point than June 2023 estimation.

    The credit to the private sector has been set at 10.9 per cent, down by 0.1 percentage point than June 2023 estimation.

    https://twitter.com/urumurum/status/1670631314964504576

  11. মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০২৩ (৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    Highest poverty in Barishal, lowest in Khulna div: Survey
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/last-page/highest-poverty-in-barishal-lowest-in-khulna-div-survey-1687717732

    The highest incidence of poverty has been recorded in Barishal division and the lowest in Khulna in the Household Income and Expenditure Survey (HIES) 2022.

    In the south-central part of Bangladesh, Barishal’s poverty was recorded at 26.9 per cent according to HIES 2022, while Khulna’s poverty was at 14.8 per cent (using the upper head-count ratio).

    The national-level poverty rate stands at 18.7 per cent, says the survey report released last week.

    The incidence of poverty is measured by the poverty ratio, which is the ratio of the number of poor individuals to the total population, expressed as a percentage. It is also known as the head-count ratio or HCR.

    Rangpur division recorded the second-highest HCR poverty rate at 24.8 per cent, followed by Mymensingh division at 24.2 per cent.

    According to the HIES 2022 findings, the poverty rate in Dhaka division stood at 17.9 per cent, followed by Sylhet at 17.4 per cent, Rajshahi at 16.7 per cent and Chattogram at 15.8 per cent.

    Economists believe that Barishal division historically experiences high poverty rates due to its status as the worst victim of climate change. Besides, the division has high salinity levels, resulting in poor agricultural yields.

    However, they noted that the economic activity in the division may diversify as the Padma Multipurpose Bridge has been opened to traffic in 2022.

    But the economists were surprised by the low poverty rate in Khulna division, considering the impact of climate change also on the region.

    Dr Ahsan H Mansur, executive director at the Policy Research Institute of Bangladesh (PRI), told the FE that Barishal is the most severely affected by climate change, adding, “The agricultural output is the lowest in the division.”

    Dr Mansur mentioned that the paddy output per acre in Barguna is one-third of that in Bogura, making it difficult for people to sustain themselves through agriculture.

    He also said people from the division have been migrating to various urban areas, including Dhaka, Chattogram and Khulna.

    Dr Mansur further said that after the inauguration of the Padma Bridge, tourism, especially in Kuakata, may experience growth. “So far, the sea beach remained unplanned. But it will grow in the future…”

    According to the economist, there is disagreement with the findings on the low poverty rate in Khulna, as there has been no industrialisation in the region over the past decades. Moreover, the jute mills, which were significant contributors to Khulna’s economy, remain closed.

    Dr Zahid Hussain, former lead economist of the World Bank Dhaka office, told the FE that Barishal division lacks diversification in its economic activities. Barishal has suffered from poor road connectivity for a long time, but this problem will be overcome after the completion of the Padma Bridge.

    Dr Hussain added that industrialisation may occur in the division following the improved connectivity facilitated by the Padma Bridge.

    In relation to the national poverty rates of 20.5 per cent, Barishal division and Khulna division also reported the highest and lowest rates of ‘rural poverty’ respectively, at 28.4 per cent and 16.2 per cent.

    On the other hand, Rangpur division has the highest ‘urban poverty’ rate at 29.9 per cent, while Khulna division has the lowest rate at 9.9 per cent.

    When calculating the HCR using the lower poverty line, Barishal division has the highest estimated rate at 11.8 per cent, followed by Mymensingh and Rangpur (both) at 10.0 per cent, Rajshahi at 6.7 per cent, Chattogram at 5.1 per cent and Sylhet at 4.6 per cent.

    The two lowest rates are found in Dhaka and Khulna divisions, at 2.8 per cent and 2.9 per cent respectively.

    According to the HIES 2022, the national level poverty gap at the upper poverty line is estimated at 3.77 per cent. This figure breaks down to 4.15 per cent in rural areas and 2.93 per cent in urban areas.

    The lowest poverty rate is estimated in Khulna division at 2.43 per cent, while the highest is found in Barishal division at 5.84 per cent.

    https://twitter.com/urumurum/status/1673156570841231360

  12. মাসুদ করিম - ৩০ জুন ২০২৩ (৬:০০ পূর্বাহ্ণ)

    Dhaka determinedly neutral in great power rivalry
    https://asiatimes.com/2023/06/dhaka-determinedly-neutral-in-great-power-rivalry/
    Bangladesh’s ‘Indo-Pacific Outlook’ document is a model for maintaining balance despite pressure to take great power sides
    by Doreen Chowdhury

    Bangladesh, owing to its geostrategic significance, has for some time faced immense pressure from both the United States and China regarding its stance on their competition. Due to its neutral, balancing policy, it has been stuck in the middle of the power rivalry.

    For instance, a former Chinese envoy has warned the country not to join in Quadrilateral Security Dialogue, while the United States has expressed its desire for Bangladesh to support the US Indo-Pacific strategy on several occasions. Regional politics and the Sino-Indian rivalry have also brought new challenges.

    Amid such a complex political space, Bangladesh’s neutral and balancing “Indo-Pacific Outlook,” released two months ago, is a fine example of its practice of self-determination. On April 24 – one day before Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina visited Japan – the country’s foreign ministry formally announced the much-awaited document.

    The outlook highlights Bangladesh’s independence, self-determination, guiding principles, and firm belief in the existing liberal international order. Against this backdrop, it is worth assessing the document, which positions Bangladesh as an example for other small states on how to participate in the liberal order yet remain neutral in an era of great power competition.

    Bangladesh’s ‘Outlook‘

    The outlook’s announcement holds a great deal of significance for the country’s foreign relations. The Bangladeshi prime minister’s Japan visit was crucial for both nations, as eight memorandums of understanding were signed during the visit. Moreover, Hasina visited the United States and the United Kingdom directly afterward.

    The 15-point outlook views security as a prerequisite for economic prosperity. In it, Dhaka clarifies that it has no intention of picking sides in the ongoing geopolitical rivalry between China, on the one hand, and the United States and its allies on the other.

    It should be noted that the term “Indo-Pacific” is, itself, of Western origin, and China has criticized its use as part of a strategy to contain China. However, as Bangladesh has traditionally practiced a balanced foreign policy, it appears unconcerned about the Chinese reaction to such a concept – and China has, thus far, not reacted to Bangladesh’s outlook.

    Bangladesh does believe in a free, open, peaceful, secure and inclusive Indo-Pacific and considers the stability and prosperity of the region essential to its Vision-2041, which expresses its aspiration to emerge as a developed nation by 2041.

    In the outlook, clearly with a view to the increasing pressure put on “swing” states to join the sides of great powers, Bangladesh also clarifies that it believes in international relations based on the principles of respect for national sovereignty and equality, political independence, non-interference in the internal affairs of other nations and peaceful settlement of international disputes.

    Bangladesh also reaffirms adherence to the relevant UN treaties and international conventions such as the United States Convention on the Law of the Sea. It also emphasizes the strengthening of mutual trust and respect, forging partnerships and cooperation and promoting dialogue among the nations. Moreover, it calls for strengthening existing mechanisms on maritime safety and security in the Indo-Pacific.

    Bangladesh’s outlook also prioritizes enhancing physical, institutional, energy, digital and human connectivity, facilitating the movement of goods, services, capital and people across state boundaries.

    Across the region, Bangladesh’s outlook also calls for fostering cooperation among Indo-Pacific countries. The 15 points also include collaboration with sub-regional partners and relevant organizations for regional cooperation and mutual benefits.
    Balancing the great power rivalries

    A look at the 15-point document suggests that Bangladesh reaffirms its belief in the liberal order. Accommodating the free and open Indo-Pacific and reaffirming its belief in the peaceful settlement of disputes is an example of such claims. Bangladesh’s belief in liberal values and norms facilitates the interests of Western countries, such as the United States and its allies, in maintaining the status quo.

    On the other hand, Bangladesh’s emphasis on connectivity and free movement of goods and services facilitates the interests of emerging powers such as China and India. Hence, the outlook may allow the country to equalize tensions among great powers, especially amid the current geopolitical rivalry.

    The outlook also emphasizes sub-regional and other relevant organizations for mutual benefit. For the past few years, Bangladesh has deepened its engagement with ASEAN and attended mini-laterals such as the Colombo Security Conclave. It is also the current chair of the Indian Ocean Rim Organization.

    Such subregional and minilateral organizations will help the country to ensure security in the region without picking any sides. And, lastly, Bangladesh’s incorporation of multilateralism and sustainable development goals also suggests that the country is likely to rely on global platforms and forums for its security. Emphasis on these organizations will allow Bangladesh to remain neutral while ensuring security at the same time.

    Moreover, to assure the great powers of its intentions, Bangladesh has incorporated both the “connectivity” philosophy of emerging great powers – such as China and, to an extent, India – to expand their connections with the world through infrastructure, mobility and cooperation in various sectors, but also liberal values such as the free and open Indo-Pacific valued by Western powers.

    Perhaps it is tough for a neutral state to embrace both. The efficacy of such an outlook is largely dependent upon its diplomacy and national power.

    In any case, this stance is in keeping with Bangladesh’s long-practiced principles such as friendship to all, malice towards none, balanced and neutral foreign policy, and multilateralism.
    An example for other littoral and small states?

    It seems Bangladesh’s outlook may emerge as successful for the foreseeable future. Through the outlook and subsequent tilt towards Japan, perhaps the country aims to balance between Chinese and Western states. Like many other countries, Bangladesh prefers to sit on the fence in current great power rivalries.

    Hence, the country aims to manage great power interest geo-economically – a much-neglected yet very relevant approach.

    Two major actions by Bangladesh – joining China’s Belt and Road Initiative and approving a deep-sea port project with Japan – suggest that Dhaka aims to provide equal geo-economic opportunity for both blocs while satisfying its infrastructural demand. But success will largely depend on the country’s diplomatic prudence and policy execution.

    In the present context, the littorals and small states require peace and security for their nation’s prosperity. Amid such complex interdependence, they rely almost entirely on the great powers and powerhouses for their wide-ranging commercial, economic, and security activities. Therefore, picking a side becomes a zero-sum game and poses a challenge to their interdependence.

    Bangladesh’s Indo-Pacific Outlook has the potential to ensure both in this context. It promotes a positive-sum game and stays away from any side-picking. Its reliance on multilateralism and neutral policy is also beneficial for cooperation. Hence, it is an exemplary outlook for states such as Sri Lanka or Maldives or any other small and littoral Indo-Pacific states.

    A small state that cannot afford side-picking should maintain a balance between the great powers, as Bangladesh has done, and mobilize its geo-economic means to equalize the stakes among them.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.