সুপারিশকৃত লিন্ক : মে ২০২৩

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১১ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ মে ২০২৩ (২:০০ অপরাহ্ণ)

    China’s foreign minister makes rare visit to Myanmar border
    https://www.tbsnews.net/worldbiz/china/chinas-foreign-minister-makes-rare-visit-myanmar-border-625054

    China’s foreign minister called for stability and a crackdown on cross-border criminal activity along the country’s border with Myanmar, during an unusual visit to the volatile region on Tuesday.

    The 2,129-kilometer (1,323-mile) border runs through densely forested mountains and has long been notorious for drug smuggling into China from the “Golden Triangle” region where the borders of Laos, Myanmar and Thailand meet.

    The United Nations says the production of opium in Myanmar has flourished since the military seized power in 2021, with the cultivation of poppies up by a third in the past year as eradication efforts have dropped off and the faltering economy has led more people toward the drug trade.

    During his visit, Foreign Minister Qin Gang said local Communist Party and government departments, the People’s Liberation Army, police and civilian bodies should join in “strengthening the border defense system.”

    Qin called for improvements in “maintaining distinct and stable borders, and severely cracking down on cross-border criminal activities.”

    “It is necessary to coordinate border management, border trade development, and bilateral relations,” he was quoted as saying in a ministry news release.

    Fighting between Myanmar’s military and ethnic armed groups has also occasionally flared along the border, sending refugees and sometimes mortar fire into China.

    China has sought to maintain contacts with all sides, although it has been criticized for expressing unequivocal support for the junta after it said it would back Myanmar “no matter how the situation changes.”

    Myanmar has been wracked by violence since the army’s overthrow of the elected government of Aung San Suu Kyi. The takeover was met with massive public opposition, which security forces quashed with deadly force, in turn triggering widespread armed resistance.

    Despite the security challenges, China has sought to encourage legal trade between the sides and recently reopened border crossings after closing them for more than 1,000 days as part of strict COVID-19 control measures.

    During his visit to the Wanding-Ruili crossing point, Qin promoted the concept of a China-Myanmar economic corridor to aid business and other development on both sides, the Foreign Ministry said.

  2. মাসুদ করিম - ৩ মে ২০২৩ (৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    এবার কুমিল্লায় ‘ডানা মেলছে’ দুটি পাতা একটি কুঁড়ি
    https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/5zsh0bitrs
    চা বাগানের জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন এখানে তার প্রায় ১০ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়।

    সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের বাইরে পঞ্চগড়ের সমতলে বেশ আগেই চা বাগান করে সফলতা পাওয়া গেছে। তারপর গারো পাহাড়েও চা চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কুমিল্লায় ‘ডানা মেলছে’ দুটি পাতা একটি কুঁড়ি।

    মহানগরী থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের বড় ধর্মপুর এলাকায় আঁকাবাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে লালমাই পাহাড়ে গড়ে উঠেছে ‘মজুমদার চা বাগান’। কুমিল্লার প্রথম এই চা বাগানের মালিক মো. তারিকুল ইসলাম মজুমদার।

    তবে বাগান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৃষ্টি বা পানি। চা বাগানের জন্য যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন এখানে তার প্রায় ১০ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়। ফলে গভীর নলকূপ করে অতিরিক্ত পানির সরবরাহ চালু রাখতে হচ্ছে।

    ২০২১ সালে চাষ করা হলেও এবারই প্রথম চা পাতা সংগ্রহ করা হচ্ছে বাগান থেকে। যদিও এখনও সেখানে কারখানার অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি।

    সম্প্রতি বাগান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লালমাই এলাকায় মাথা তুলে আছে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি পাহাড়। লাল মাটির দুটি পাহাড়ে সারি সারি লাগানো হয়েছে চা চারা। মাঝে মাঝে ‘শেড ট্রি’ হিসেবে লাগানো হয়েছে সজিনা ও কড়ই গাছ।

    চৈত্রের গরমেও স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ বাগান। কয়েকজন শ্রমিক কচি চা পাতা সংগ্রহ করছেন। তাদের কাঁধে কাপড়ের তৈরি থলে। সংগ্রহ করা কুঁড়ি ও পাতা থলেতে রাখছেন।

    পাহাড়ের উপরে বসানো হয়েছে পানির ট্যাংক। সেখান থেকে পাইপ দিয়ে শ্রমিকরা পানি দিচ্ছেন গাছের গোড়ায়।

    মজুমদার চা বাগানের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক রাজু সিং জানান, তার বাড়ি শ্রীমঙ্গলে। তার স্ত্রীও এই বাগানে কাজ করেন। তারা বংশ পরম্পরায় চা বাগানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

    তিনি জানান, মার্চ মাস থেকে বাগানের পাতা তোলা হচ্ছে। এরই মধ্যে এক হাজারের কেজির বেশি পাতা তোলা হয়েছে। পাশের পাহাড়ের আরও চারা লাগানো হবে।

    চায়ের অনেক জাত থাকলেও এই বাগানে লাগানো হয়েছে বিটি-২ চারা। এটি খুব উন্নতমানের চা। এই চারা সংগ্রহ করা হয় শ্রীমঙ্গল থেকে। প্রতিটি চারার দাম ৪৫ টাকা।

    রাজু সিংয়ের প্রত্যাশা, লালমাই পাহাড়েও একদিন সিলেটের মতোই চা বাগান ছড়িয়ে পড়বে।

    রাজু সিংয়ের স্ত্রী দিপালী সিং বাগানে শ্রমিকের কাজ করেন।

    তিনি বলেন, “আমরা বংশ পরম্পরায় চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি। মাটি দেখলেই বলে দিতে পারি, এটা কতটুকু ভালো বা খারাপ। এই মাটি খুবই উর্বর এবং চা চাষের উপযোগী। কিন্তু চায়ের ভালো উৎপাদন পেতে হলে বৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।

    “উলুসহ নানা ছত্রাক বিভিন্ন সময় চা গাছকে আক্রমণ করে। শ্রমিকদের সব সময় এই ছত্রাক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়।”

    বাগান মালিক তারিকুল ইসলাম মজুমদার জানান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার খাসিয়া সম্প্রদায়ের পুঞ্জীর মন্ত্রী জিডি সান তার বন্ধু। সেই বন্ধু একদিন লালমাই পাহাড়ের জমি এসে দেখেন। তার পরামর্শেই ২০২১ সালের মার্চে তিন হাজার চা গাছ লাগান।

    “এগুলোর গ্রোথ ভালো দেখে তিন মাস পর আরও তিন হাজার চারা লাগাই। এক একরের বেশি পাহাড়ে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি চারা রয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও ২০ হাজার চারা লাগানো হবে। ছয় একরের বাকি জমি এখনও খালি।”

    আরও উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তারিকুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এখন হাতে চা পাতা তৈরি করছেন শ্রমিকরা। শিগগির জাপান থেকে মেশিন এনে স্থাপন করা হবে।

    মেশিন আসার আগ পর্যন্ত লালমাই পাহাড়ের এই চা ‘গ্রিন টি’ হিসেবেই খেতে হবে কুমিল্লাবাসীকে। বাগানে দুইজন স্থায়ী ও পাঁচজন অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে নগরীর কাছে হওয়ায় অবসরে চা বাগানে ঘুরতে অনেকেই আসছেন। বাগান ও পাহাড় তাদের মুগ্ধ করছে বলে জানান দর্শনার্থীরা। বিশেষত ছুটির দিনে বেশি মানুষের সমাগম হয় এখানে।

    দর্শনার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, “কুমিল্লার মানুষ চা বাগান দেখতে প্রতিবছর সিলেট কিংবা শ্রীমঙ্গল যায়। অনেক টাকা-পয়সা খরচ হয়। বাড়ির কাছে যদি চা বাগান থাকে, তাহলে দূরে যাওয়ার দরকার হবে না। লালমাই পাহাড়ের চা বাগানকে কেন্দ্র করে অল্প দিনের মধ্যেই বড় ধর্মপুর এলাকাটি হয়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র।

    কুমিল্লার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে চা উৎপাদনে মাটির যে ক্ষার থাকার কথা তা রয়েছে। আমরা উদ্যোক্তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তাকে দেখে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন বলে আশা রাখি।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কুমিল্লায় এটি প্রথম চা বাগান। এখানে বৃষ্টির পরিমাণ কম। যদি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে তাহলে ভালো চা হবে।

    “উদ্যোক্তা কৃত্রিম সেচের ব্যবস্থা করেছেন। এখানে ভালো ‘গ্রিন টি’ হতে পারে।”

    তবে বাগানটি নিবন্ধিত নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. রফিকুল হক।

    তিনি বলেন, “কুমিল্লায় বাগান হয়েছে সেটা জানি না। নিবন্ধিত না হওয়ার ফলে আমরা এখনও সেই বাগান দেখিনি।“

    একই কথা বলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন।

    বাগানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাশাপাশি জেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বাগান করা হয়েছিল; সেটি এখন মৃতপ্রায়।”

    কুমিল্লায় বাগান করাটা অনেক চ্যালেঞ্জের ও পরিশ্রমের। এখানে প্রচুর ইরিগেশনের প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন চা সংশ্লিষ্টরা।

  3. মাসুদ করিম - ৭ মে ২০২৩ (৩:২৪ পূর্বাহ্ণ)

    When Nehru was criticised for attending Queen Elizabeth’s coronation
    https://indianexpress.com/article/research/when-nehru-was-criticised-for-attending-queen-elizabeths-coronation-8594771/

    The last coronation of an English sovereign took place in 1953, just a few years after India gained independence from the British. Amongst the many dignitaries that attended the function was India’s Prime Minister, Jawaharlal Nehru who expressed his awe of the proceedings in a televised interview with the BBC. However, Nehru’s attendance elicited criticism at home, with many Indians questioning why he would legitimise the occasion.

    From bottles of gin and tins of biscuits to street and garden parties; and from pork pies and quiches to souvenirs and memorabilia — the UK is ready to celebrate King Charles III’s coronation.

    A landmark affair, Charles’ coronation will be attended by several world leaders, diplomats, humanitarians, and members of the Royal family. Vice President Jagdeep Dhankar will represent India at the ceremonial event.

    Almost 70 years ago — on June 2, 1953 — it was former prime minister Jawaharlal Nehru who represented India, when the coronation of Queen Elizabeth II took place. Nehru not only attended the festivities but also marked the occasion with his first televised interview, conducted with the UK’s national broadcaster, the BBC. Speaking about the event, Nehru, much impressed by the “spectacle”, praised the “orderly London crowds and the way they behaved.”

    Nehru courted criticism at home for his decision to attend the coronation soon after India had freed itself from British rule. When asked during the BBC interview if there would be no criticism in India about him coming to the coronation, Nehru said there would be, but that it would not amount to anything.

  4. মাসুদ করিম - ৭ মে ২০২৩ (৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ)

    The Pakistani Prime Minister who drove a locomotive
    https://www.dawn.com/news/1205473
    Akhtar Balouch

    Mohammad Ali Bogra was serving as Pakistan’s Ambassador to the United States when Governor-General Ghulam Mohammad nominated him Prime Minister. He succeeded Khawaja Nazimuddin, who had already been shown the door.

    Bogra’s nomination was widely rumoured to be the outcome of Washington’s backing for him. Bogra also showed great deference to Ghulam Mohammad. A glimpse of his docility is found in Pakistan Kay Pehley Saat Wuzra-i-Azam, a book by Naeem Ahmed Khan et al. On page 73, under the heading ‘Pak-US Friendship; PM Drives Locomotive’, a passage reads:

    “As a gesture of friendship, the United State gifted a few locomotives to Pakistan. The locomotives were to be received by the Governor-General in a formal ceremony. The Governor-General left in his car to the venue of the event, but Bogra chose to ride a motorcycle ahead of the car, acting as pilot rider. After they had arrived at the railway station where the locomotives were to be handed over to Pakistan, Bogra jumped onto an engine, wore a driver’s cap, and started driving the locomotive for Ghulam Mohammed.”

    Regardless of how unethically the Nazimudddin Ministry was axed, Bogra must have proven himself a suitable candidate to fill the prime minister’s slot. His journey from a diplomat to a prime minister owes much to the way he conducted himself.

    When Bogra headed the Pakistani diplomatic mission in the United States, his staff included a Lebanese women whose family had settled in Canada, from where Bogra knew her. Her name was Aliya, and she worked as his stenographer. After Bogra had been appointed Pakistan’s Ambassador to the United States, he had Aliya join him in Washington DC.

    His association with Aliya did not end there. As soon as he became prime minister, Aliya Begum was re-designated as the Social Secretary to the Prime Minister of Pakistan. She would sit in the prime minister’s room and read, for hours, all the files sent to the PM. They married soon after.

    Bogra’s first wife, Hameeda, would often vent her anger to Majeed, a footman of the PM House. Majeed claims that the older Mrs Bogra used to say, “We had hired her (the second wife of Mr Bogra). See, what she has done to us!”

    Aliya Begum’s marriage with Bogra was looked down upon by the other ladies of the ruling class. They feared that their husbands would follow suit by marrying more than one woman, and a new tradition of polygamy would take roots in the elites. Rafia Zakria writes on page 45 of her book The Upstairs Wife:

    “The women started with the obvious: a boycott of all state functions at which the new, white first lady was invited. At the dinner parties to welcome foreign diplomats, the opening of a national university, the inauguration of a new wing of the Pakistan Secretariat, the presence of the interloping new Mrs Bogra would mean the absence of all other wives and daughters and mothers.

    They were the hostesses of the Pakistan’s elite gatherings, and they correctly calculated that without them the men would be left without the oil to grease their rusty conversations and the twittering laughter for their bumbled jokes. They would be forced, the ladies reasoned to acknowledge Mr Bogra’s wrongdoing, and by extension the evils of polygamy. The social boycott would be the first step in their efforts to ban polygamy.”

    The relationship between Mohammed Ali Bogra and Ghulam Mohammed went from good to bad very quickly; Bogra, who had once been riding the pilot motorcycle ahead of the Governor-General’s car and driving the locomotive for him out of sheer deference, was asked to resign. Naturally, there must have been a whole chain of events which led affairs to this point.

    The late military dictator – and as Shaikh Abdul Majid Sindhi puts it, self-proclaimed Field Marshal ‘without fighting a war’ – Ayub Khan writes on page 50 of his autobiography, Friends Not Masters:

    “Mohammed Ali Bogra started as protégé of Ghulam Mohammed. As he acquired confidence, he thought he should disengage himself from the apronstrings of the Governor-General. People like Fazlur Rehman, Hashim Gazdar, and Abdus Sattar Pirzada encouraged him to assert himself. They would tell him that if he was not careful, he would meet the fate of his predecessors. They thought that the only answer was to curtail the powers of the Governor-General by amending the Indian Independence Act 1947.”

    The plan was duly executed. Prime Minister Mohammed Ali Bogra and his cohorts had decided to get a resolution passed in the Constituent Assembly to this effect. Accordingly, after midnight, copies of the resolution were placed on the desks of all of the Assembly members. The proposed resolution annulled the Articles 9, 10, 10A 10B and 17 of the Indian Independence Act. It took only 10 minutes to vote the resolution into law.

    Since then, Pakistan has enacted much of its other legislation with the same lightning speed, in the Bogra tradition.

    By passing the resolution, Bogra and his cohorts made it clear to Governor-General Ghulam Mohammed that he no longer enjoyed the constitutional authority to dismiss any government at whim. Prime Minister Bogra, now a satisfied and pleased man, left on a visit to the United States, accompanied by Ayub Khan, Sir Zafarullah Khan, and Chaudhry Mohammad Ali. On the final leg of his foreign tour, he was scheduled to arrive in Canada. However, Bogra was still in the US when he received a message from Ghulam Mohammed to return home at once.

    The message left him worried. Ayub Khan writes on pages 51-52 of his autobiography Friends Not Masters:

    “At London airport, there was a telephone call for me from the Governor-General. I could not understand what he was saying and I gave the telephone to Iskander Mirza. All we could make out was that he wanted me to get back to Pakistan at once; he was not interested in the others. The Prime Minister was worried about what might happen to him on his return. It was with great difficulty that I persuaded him to accompany us back home….

    “On the way, I told Iskander Mirza and Chaudhry Mohammad Ali that it would be extremely unwise if the Prime Minister was taken to the Governor-General immediately on our arrival in Karachi: such a confrontation could lead to an ugly situation… The Prime Minister should go to his own house and wait for a signal from us. Mohammad Ali Bogra put up a brave front, but I think, inwardly he was quite frightened. He had sent a message from London that he should be provided with army protection on arrival…. Iskander Mirza, Chaudhry Mohammad Ali and I went to the Governor-General’s house….

    “The Governor-General … was bursting with rage, emitting volleys of abuse, which, luckily no one understood. Chaudhry Mohammad Ali ventured to say something and received a volley; then Iskander Mirza said something and got another. We were pleading with him to give another chance to Mohammad Ali. His only reply was an angry growl, ‘Go, off you go.’ He kept on saying, ‘No, no.’ All he wanted was to shoo us off.

    “We marched out of the bedroom in a single file, Iskander Mirza at the head, Chaudhry Mohammad Ali following, and I bringing up the rear. I was about to step out of the room when the nurse attending the Governor-General tugged at my coat. I turned and found myself facing a different man. There he was, the sick old Governor-General, who a moment ago was insane with anger, now beaming with delight and bubbling with laughter.

    “I said in my heart, ‘You wicked old man!’ He beckoned me with a peculiar glee in his eyes, ‘Sit down on the bed.’ He then pulled out two documents from under his pillow. On one was written something to this effect: ‘I, Ghulam Mohammad, so and so, because of this, that and the other hand over such and such authority to General Ayub Khan and command him to proclaim a Constitution within three months.’

    “I looked at that paper and said to myself, ‘Damn your soul. For the last eight years you have done damn all, and you expect me to produce a Constitution in three months.’ The other document was to the effect that I had accepted the offer, and for a brief moment I had those historic documents in my hand.

    “As I looked at these pieces of paper, everything in me cried, ‘No’. I said: ‘You are being reckless and you will do the country immense harm. I am engaged in building up the army…’”

    What is quite amazing, though, is that Ayub Khan in his autobiography frequently claims that he could not understand what Ghulam Mohammed said; this, he understood fully well.

    He had arranged a meeting between Bogra and the Governor-General, but in the autobiography, he does not discuss the outcome of this meeting; the ink in his pen congeals before it could reveal the bitter truths from the past.

    Pir Mohammed Ali Rashidi details the episode in Rodaad-i-Chaman, a collection of his columns. He has neatly arranged it into bullet points on page 127:

    “A. In 1954, when Ghulam Mohammed and Bogra had a fight and Bogra left for the US, Ghulam Mohammed ordered Ayub Khan to follow him to America.

    “B. On his return journey, Bogra was accompanied by Ayub Khan, who took him to Ghulam Mohammed, directly from the airport.

    “C. When Ghulam Mohammed forced Bogra at gunpoint to dissolve the Constituent Assembly, Ayub Khan was among the “audience” (besides Chaudhry Mohammad Ali).

    “D. Ghulam Mohammed not only coerced Bogra into dissolving the Constituent Assembly but also compelled him to appoint Ayub Khan as Defence Minister in the central cabinet (Ayub continued as the Commander-in-Chief of Pakistan Army, as well).”

    A study of Pakistan’s political history would reveal that most of the democratically elected rulers of the country were propped into power by dictators or bureaucracy, but once in office, these rulers realised that they could not blindly follow the eccentric dictators.

    Thus, they refused to play second fiddle to them, but not without consequence; they were declared corrupt, opportunists, and traitors, and their governments were either dismissed or toppled.

    Bogra met the same fate. His attempt to clip Ghulam Mohammed’s powers backfired, and he lost his own wings.

  5. মাসুদ করিম - ৭ মে ২০২৩ (৩:৪১ পূর্বাহ্ণ)

    DAWN – Letters; 14 February, 2004
    https://www.dawn.com/news/1065612

    The summit meetings

    This letter is meant to fill the gaps in Mr Anwar Syed’s narration in his article “The summit meetings” (January 4) held primarily to resolve the Kashmir dispute between the two countries.

    Immediately after the entry of Indian troops into Srinagar on October 27, 1947, Pakistan took the initiative to propose a conference between the governors-general and the prime ministers of India and Pakistan in a bid to resolve the dispute peacefully.

    However, only Lord Mountbatten had a meeting with the Quaid-i-Azam in Lahore on November 1, 1947. Pandit Nehru expressed his inability to attend the conference on grounds of illness.

    The Quaid-i-Azam made a set of proposals for the settlement of the dispute through plebiscite under the joint control of the governors-general of India and Pakistan. The proposals were rejected by India.

    Mr Liaquat Ali Khan went to Delhi on April 2, 1950, at the peak of communal riots and mayhem in West Bengal and East Pakistan. His visit resulted in the Liaquat-Nehru Pact. It focused exclusively on problems of minorities in the two countries. Pandit Nehru paid a reciprocal visit to Karachi in April 1950.

    Mr Liaquat Ali Khan met Pandit Nehru in trilateral talks with Sir Owen Dixon, United Nations representative in the Kashmir dispute, in New Delhi on July 20, 1950. After five days’ parleys, Sir Owen Dixon announced the failure of his mission to resolve the Kashmir deadlock.

    Pandit Nehru and prime minister Mohammad Ali Bogra met at the sidelines of the coronation of Queen Elizabeth in London in June 1953. In an airport interview to pressmen on June 24, 1953, Mr Bogra stated there was a possibility that the Kashmir problem would be solved by the end of the year.

    Mr Nehru on return from the coronation told pressmen at Bombay airport on June 27, 1953, that he shared the Pakistan prime minister’s optimism that the Kashmir problem would be solved shortly.

    Formal official-level talks between Mr Nehru and Mr Bogra took place in Karachi on July 25-27, 1953. The talks were inconclusive and were resumed in New Delhi on August 17, 1953. The four-day talks were rounded off with the following joint communique issued on August 21, 1953:

    “The prime ministers of India and Pakistan have decided that a Plebiscite Administrator for Kashmir should be appointed by the end of April next year. It was also decided that committees of military and other experts should be appointed to advise the prime ministers on the implementation of preliminary issues.”

    Mr Nehru went back on his promise when the ink had hardly dried on the joint statement. In a statement in the Lok Sabha on December 28, 1953, he said the situation under which he and the Pakistan prime minister had reached certain agreement to solve the Kashmir problem would completely change if military aid came to Pakistan from the United States. The deadlock continued, notwithstanding governor-general Ghulam Mohammad’s visit to New Delhi.

  6. মাসুদ করিম - ১২ মে ২০২৩ (৫:৪৪ অপরাহ্ণ)

    The passing of a self-professed accidental economist
    https://www.thedailystar.net/opinion/views/news/the-passing-self-professed-accidental-economist-3317121

    Professor Nurul Islam is no longer with us, but his lasting legacy will stay with us for generations. Among Bangladeshi professionals, he was an iconic economist who inspired a whole generation of top Bangladeshi university students to take up economics as a profession. That legacy has produced a bevy of outstanding economists over the past three decades. He lived a full life, steering through extraordinary times while leaving a chequered professional career behind. Yet, he once professed he was only an economist by accident.

    His death, at the ripe old age of 94, comes as a personal shock to me as we maintained close contact over email and phone over the past two decades. It was clear he missed his native land. Even more, I think he missed contributing – with his ideas and the wealth of experience he had accumulated over the years – to a Bangladeshi economy which has been recognised as a success case of development, particularly during the past decade. After all, the first bricks of this economy’s foundations were laid under his leadership as deputy chairman (with rank of Cabinet Minister) of the newly anointed Bangladesh Planning Commission very shortly after independence. Nurul Islam’s professional peers acclaimed him as a leading development economist. And, quite appropriately, Bangabandhu gave him the role of being the first economic architect of Bangladesh’s development journey. Even before this assignment and leading up to the March 1971 crackdown, he became a close economic advisor to Bangabandhu, responsible for giving strategic economic formulation to the Six-Point Programme so that it could no longer be wished away as populist rhetoric. For the rigour he brought to the analytical content of the Six Points and subsequent policy challenges in advising a de facto government prior to March 1971, Professor Rehman Sobhan (in Nurul Islam: The Economist as Freedom Fighter) adorns him with the credential of a “freedom fighter.”

    He was the first person from our part of the world to graduate in economics from Harvard University. On completing his PhD in 1955, Nurul Islam opted to return to Dhaka University to take up a teaching position as reader/associate professor in the Economics department, though he had a standing offer to join the International Monetary Fund for a career that would have “made him wealthier and perhaps a better economist”, as he stated candidly in his memoirs. That career decision remains a testament to his commitment to his country.

    Nurul Islam’s passing draws a curtain on the life and times of a distinguished Bangladeshi economist who was instrumental in providing the economic rationale for the “two economies” principle that eventually became the backbone of our independence struggle. At the time, he was the one Bangladeshi economist who could provide the kind of analytical rigour to the evolving nature of economic disparity – through his writing and arguments in governmental dialogues – that would be difficult to ignore for the powers that be. To neutralise an irritant professor, as he himself surmised in his book An Odyssey: The Journey of My Life, he was appointed by the then Pakistan government as the first director of the newly formed Pakistan Institute of Development Economics (PIDE), the precursor to the Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS). The stint at PIDE gave Nurul Islam the time and scope for engaging in research (often considered controversial by authorities) and sharpening his skills while interacting with mainstream economists from leading institutions around the world. It must be recognised that, under his stewardship, the PIDE rose to become the leading institute of development economics in South Asia. His stint there would conclude in tumultuous times as he was instrumental in shifting the headquarter of PIDE to Dhaka in 1969.

    To be sure, posterity will still judge him as the architect of Bangladesh’s initial strategy of economic development: first, in recovering from the devastation left from the war of independence; and then giving the economy the direction to grow out of poverty at a rapid rate. With respect to the first, the economy did recover somewhat with ad hoc measures and policies to tide over the trauma that a bloody independence struggle had left behind. Policy choices about the role of state and market, aid dependence versus self-reliance, open trade or closed economy approach – these choices were made in the first days and months, with immediate solutions in mind. It was in the longer-term approach to growth and poverty reduction that required policy choices under the guidance and direction of the planners in the BPC.

    Nurul Islam’s notable contribution of the time was to induct Bangladesh as an LDC in the UN system in 1975 while he was a member of the UN Committee for Development Policy. It was this strategic move that gave the Bangladesh economy duty-free access to a sizable portion of the global marketplace to exploit its comparative advantage in labour-intensive apparel production. The rest is history.

    In 1975, Professor Islam left the BPC for a research stint at Oxford University. In 1977, he moved on to become the highest ranking Bangladeshi in the UN system at the time, as assistant director-general at the Food and Agriculture Organization (FAO) in Rome, a tenure that lasted for 10 years. His next career move was in the US as senior policy advisor at the International Food Policy Research Institute (IFPRI) in Washington. Far removed from administrative responsibilities, this assignment gave him the time and scope needed to put some of his thoughts and ideas – that lay dormant for many years – into research output.

    But one suspects that these were also his twilight years after a long career filled with stress and strains of intense professional activity. During this stint at the IFPRI, and subsequently as an IFPRI Research Fellow Emeritus (a retirement designation), he became prolific in producing research papers and publications based on piles of records of events and notes that he diligently preserved so that later generations of economists and social scientists could benefit from them. I had the privilege of reading all his publications, which always contained three distinctive traits: first, there were detailed record of events of historical importance; second, his role, contribution, and interactions with personalities were clarified to allay doubts and remove any misperception; and third, his analytical mind offered sharp takeaways for historical record.

    By dint of his record of research and engagement in actual policy formulation and implementation in a developing country like Bangladesh, as well as in an international institution involved in building food security and poverty reduction, Dr Nurul Islam devoted his life to being a practical (not just theoretical) development economist. The legacy of scholarship and development experience he left behind will be challenging for anyone from our generation to match.

    https://twitter.com/urumurum/status/1655948066091053056

  7. মাসুদ করিম - ২১ মে ২০২৩ (৬:১০ পূর্বাহ্ণ)

    কাপ্তাই হ্রদের খনন কাজ শুরু
    https://dainikazadi.net/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%b9%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a6%a8%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c-%e0%a6%b6%e0%a7%81/

    দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাইয়ে খনন কাজ শুরু করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে জেলা শহরের তবলছড়ির কাশেম বাজার এলাকার ব্রিজ সংলগ্ন কালিমন্দির–আসামবস্তিতে নৌ–পথের বন্ধ হয়ে যাওয়া যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করতে উক্ত এলাকায় হ্রদের সংযোগ পয়েন্টে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১ মিটার প্রশস্ত ও ২ দশমিক ৫ মিটার গভীর করতে খাল খননের কাজ শুরু করেছে পাউবো। খবর বাসসের।

    এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম পাউবোর আওতাধীন কাপ্তাই হ্রদের কাচালং নদী এবং রাইখিয়ং নদীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খনন করতে প্রায় ১ হাজার ২৩৫ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাউবো রাঙ্গামাটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে কাপ্তাই হ্রদের বিশাল এলাকাজুড়ে খাল খননের বিষয়ে একটি সুখবর দিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

    তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কাপ্তাই হ্রদ প্রায়ই শুকিয়ে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা স্তিমিত হয়ে গেছে। এর প্রেক্ষিতে কাপ্তাই হ্রদের কাচালং নদী এবং রাইখিয়ং নদীর জনগুরুত্বপূর্ণ প্রায় ১০০ কিলোমিটার সংযোগ পয়েন্টগুলো খনন করতে পাউবোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ডিপিপি আকারে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং প্রকল্পগুলো বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি জানান, কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে খনন কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে তবলছড়ি–কালিবাড়ি–আসামবস্তী ব্রিজ সংলগ্ন সংযোগ পয়েন্টে ৩৫০ মিটার জায়গা খনন শুরু করা হয়েছে এবং জুন মাসের মধ্যে এই খনন কাজ সম্পন্ন হওয়াসহ বর্ষাকালে এই এলাকায় আবারো নৌ–পথে জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ হবে।

    তয়ন কুমার আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদে তিনটি নৌ–যান চলাচল সংশ্লিষ্ট নৌ–রুট এলাকা রয়েছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে কর্ণফুলীর ছোট হরিণা–বরকল রুট। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাঘাইছড়ি কাচালং নৌ–রুট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে বিলাইছড়ি–রাইখিয়ং নৌ–রুট। কাপ্তাই হ্রদের এই তিনটি নৌ–রুটের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর দায়িত্বে রয়েছে বিআইডব্লিউটি। তারা কর্ণফুলীতে ড্রেজিংসহ অন্যান্য বিষয়ে কাজ করবে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী কাচালং নদী এবং রাইখিয়ং নদী ড্রেজিংয়ের জন্য পাউবো ডিপিপি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাঙ্গামাটিবাসীকে হ্রদ ড্রেজিং নিয়ে বড় একটি সুখবর দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা। এই বিষয়ে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পূলক দে বলেন, জেলার কাপ্তাই হ্রদ হচ্ছে আমাদের দেশের মাছের বিরাট একটি চাহিদা পূরণসহ সরকারের রাজস্ব আয়ের জন্য একটি সম্পদ। এই হ্রদের উপর এখানকার হাজারো মানুষের জীবন–জীবিকা নির্ভরশীলের পাশাপাশি মৎস্য–কৃষিসহ বিভিন্ন রকম ব্যবসাও এই কাপ্তাই হ্রদের উপরই নির্ভরশীল। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন কারণে হ্রদে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখানে নৌ চলাচলসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় হ্রদের ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছিল এবং তা এখানকার জনসাধারণের একটি জোরালো দাবি ছিল। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং শুরু হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি, আশা করছি ভবিষ্যতে পুরো কাপ্তাই হ্রদ এলাকা জুড়েই ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হবে।

    বিদ্যুৎ, মৎস্য, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখা রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সম্ভাবনাময় কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

  8. মাসুদ করিম - ২১ মে ২০২৩ (৩:০৫ অপরাহ্ণ)

    Crippling heat waves deepen Asia’s reliance on Russian energy
    https://www.tbsnews.net/bloomberg-special/crippling-heat-waves-deepen-asias-reliance-russian-energy-635638

    Soaring temperatures putting strain on region’s power grids. Weather-driven demand to increase use of coal, gas, fuel oil

    The extreme heat that’s been scorching Asia in recent weeks has produced one clear beneficiary – Russia.

    As countries across the region scramble to make sure they have enough coal, gas and fuel oil to keep the lights on, Russian energy being shunned by the West is looking increasingly attractive.

    What began as a push from the Kremlin to fund its invasion of Ukraine has now turned into a pull from Asian economies anxious about making sure their power generators are supplied with enough fuel in what could be the hottest year on record.

    “The worst place to be right now amid these searing temperatures is South Asia, especially poorer nations like Pakistan or Bangladesh,” said John Driscoll, director of JTD Energy Services Pte in Singapore.

    “When you can’t even take care of your people’s basic needs, it’s very hard to care too much about international affairs.”

    Russian exports to Asia of thermal coal and natural gas, the two fuels most often used for electricity generation, have grown markedly this year, figures from data intelligence firm Kpler show.

    Coal volumes jumped sharply to 7.46 million tons in April, about a third higher than a year earlier. Shipments of liquefied natural gas to Asia have also been growing in recent months after prices retreated from record highs that had made the fuel unaffordable for many poorer nations.

    Meanwhile, Asian imports of Russian fuel oil, a dirtier and cheaper alternative for power generation, had the two highest months on record in March and April, according to Kpler.

    Russian energy exports to Asia
    Flows have been increasing in recent months
    The impetus for the region to buy more Russian energy is likely to increase due to an emerging El Niño weather pattern, which has already sent the mercury soaring in parts of the region. Vietnam’s prime minister has warned of power shortages this month, while Myanmar is struggling with worsening blackouts.

    In India, heat-driven power demand will likely be satisfied mostly by coal, said Aniket Autade, power fundamentals analyst for Rystad Energy.

    China and India — the most enthusiastic buyers of discounted Russian oil — are also purchasing the most coal, gas and fuel oil. They took more than two-thirds of Russian coal sent to Asia last month, according to Bloomberg calculations based on Kpler data. South Korea, however, scooped up 15% of the shipments, while Vietnam, Malaysia and Sri Lanka have also emerged as significant buyers.

    Russian energy exports going for cheap

    Commodities from Russia including oil have been priced at deep discounts

    For fuel oil, China and India were again the biggest buyers from Russia, with Saudi Arabia and the United Arab Emirates also major importers, the Kpler figures show.

    Bangladesh, Pakistan and Sri Lanka will probably import more Russian fuel oil for power generation, according to Emma Li, an analyst with Vortexa. The Middle East has also recently increased its imports, and that’s likely to continue over the summer, she said.

    Pakistan said this month it was keen to pay for Russian oil imports with the Chinese yuan. The country has has placed an order for a single cargo of the crude, but is keen for a long-term deal to buy it in Chinese currency, its power minister said.

    Even Japan, a close ally of the US and therefore reluctant to increase imports from Russia, might expand buying within contractual limits, according to Chris Wilkinson, senior analyst for renewables at Rystad.

    “Japan may consider purchasing more LNG from Russia under its existing long-term contracts, as it is more cost-effective than buying on the spot market,” he said.

    For JTD Energy’s Driscoll, the increasing purchases of Russian energy by many Asian countries highlights both the White House’s declining clout and the perilous situation many nations find themselves in.

    “[They] are asking themselves: would I rather risk falling afoul of the US or forgo steep discounts on energy?,” he said. “When there’s a good deal on the table, how can poorer nations afford to say no?”

  9. মাসুদ করিম - ২৮ মে ২০২৩ (৩:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    Modernity eclipses traditional hazak lamp
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/last-page/modernity-eclipses-traditional-hazak-lamp-1685206461

    Once upon a time, hazak or pressurised kerosene lamp was an absolute must to illuminate Bangladeshi households and different junkets like wedding ceremony, jatra (open-air theatrical drama), circus or bazaar.

    It was in great demand. But gone are the days-now there’s a different tale to tell.

    Hazak, widely branded as a Petromax lamp, has mostly died out as people hardly use it in everyday life.

    However, it is still in use, but on a very limited scale, in remote areas, particularly in poultry and fish farms as day-old chicks need 40 hours of bright light.

    As it is difficult to use ordinary electric lights, farmers opt for this traditional lamp.

    After rainy season, at the beginning of winter, when waters in rivers and canals decrease, many hunt fish by burning hazak at night as fish rushes to hazak’s high-powered bright light.

    But it only lasts a couple of months in a year.

    Kabir Ahmed, a 45-year-old trader at Trishal, said he even had seen the widespread use of hazak at marriage ceremonies, jatra or bazaar until 2000.

    At the turn of this millennium, it started to disappear dramatically for massive electricity coverage in his area… And now is the age of rechargeable lights, he told the FE.

    “One day, people would visit the museum to see this centuries-old traditional lamp,” commented Mr Ahmed.

    Even, 30 years ago, people of all walks of life rented hazak for festivals like wedding, puja, procession or religious gathering, according to him.

    Septuagenarian Sultan Mahmud, the proprietor of A Rahman and Sons at Chakmogoltuli near Chawkbazar, has said his father used to supply and sell different local and foreign hazak brands at almost every village of the country since the British period.

    Mahmud, who now sells stationery and apparel items, says as he rarely receives any customer for hazak, he has fully halted its sale.

    Once, most hazak retailers from elsewhere gathered at his father’s shop for this lantern, but no clients come today for this changed scenario, he told the FE.

    A group of fishermen, pavement traders and canvassers are found using hazak on a very limited scale, according to him.

    Fazle Hossain Ripon, proprietor of Fazle Hossain Trading Corporation at Chakmogoltuli’s Fazle Tower, said hazak was radiant enough to spread light equivalent to a 5-watt ordinary electric lamp.

    Four to five traders are now selling this traditional lantern at Chawkbazar market in the old part of Dhaka as very few people buy it now, he added.

    Fishermen in Sirajganj, Tangail and Munshiganj and in haor areas are only found using hazak to catch fish with its high-powered light, said Mr Ripon.

    When asked why hazak’s day is gone, the trader said the lamp was not user-friendly and, in some cases, complicated. Rechargeable lights have replaced it almost fully.

    There is also a risk of triggering fire while using the hazak lantern, he argued.

    High-powered light is required to catch fish, so some fishermen still hinge on hazak as they do not find its alternative, according to Mr Ripon. People now tend to use IPS, generator or charger lamp instead of hazak, he observed.

    Local importers only bring in the light from Chinese brand Anchor, according to Mr Ripon, saying that some locally made lamps are found available in the market.

    Citing the sales volume as very poor, the trader said he could sell only five to six units of hazak light every month.

    He does not have any idea of its current total market size in the country.

    Md Shahidur Rahman, proprietor of Dewan Enterprise, imports 700 cartons of the pressurised lanterns of Chinese-brands Sea Anchor and Anchor in a year.

    He can sell 700 cartons in five to six years.

    The trader has been supplying the product since 2018.

    Every carton carries six pieces of lamp, said Mr Rahman who imports different electric items, including hazak.

    Accessories are also available at Chawkbazar market.

    Fishermen are the main clients of hazak, Mr Rahman claimed.

    Petromax is a brand name for a type of pressurised kerosene lamp that uses a mantel.

    Petromax lamp was made in 1910 in Germany by Max Graetz (1851-1937), who also named the brand, on the basis of a spirit lamp that already became well-known.

  10. মাসুদ করিম - ২৯ মে ২০২৩ (১২:০৮ অপরাহ্ণ)

    Vinayak Damodar Savarkar: Fountainhead of fundamentalism in India
    https://frontline.thehindu.com/the-nation/veer-savarkar-myth-in-indian-freedom-struggle-by-tamil-writer-jeyamohan/article66903378.ece
    B. Jeyamohan

    To the venom that Savarkar was, we only find an antidote in Gandhi, writes Tamil writer Jeyamohan.

    Popular discussions about Vinayak Damodar Savarkar tend to either be hagiographic or vilify, depending on the speaker’s political, religious, or caste affiliations. In contemporary political discourse, every argument is reduced to a one-line snippet, a monolithic stance, a catchy sound bite stripped of all nuance. The opponent’s side is painted as “all evil” while one’s own side is seen as the paragon of virtue; and this simplistic black-and-white worldview, in turn, forces others to play the same game. You do not need a writer to tell you that. I always try to present a comprehensive picture in the belief that every debate should be approached within a holistic frame of certain fundamental questions that underpin the subject.

    Amid attempts to whitewash Savarkar’s image as an unsung hero, today we also see others belittling his role in the Indian freedom struggle, particularly ridiculing his clemency petitions to the British. To set the record straight, I wish to aver that Savarkar undoubtedly suffered torture and did so for the sake of Indian independence. He was neither cowardly nor selfish. Denying his sacrifice only exposes a mean-minded approach that favours a complete dismissal of, and contempt for, the other side. I shall try to approach Savarkar here within a wider historical context.
    Violent rebels and democratic protesters

    Those who defend Savarkar claim that Gandhi and Nehru received far better treatment in prison. This ridiculous comparison even extends to asking if Ambedkar ever went to jail. Before making such comparisons, it is important to grasp that historically, all governments make a clear distinction between armed insurgents and democratic protesters. Weapons communicate a very clear message: there is no room for any negotiation or compromise; the only possible outcome is the equilibrium that emerges in the aftermath of a violent clash of arms.

    When you choose the path of violence, you provide the justification for any violence unleashed against your own side. After making such a choice, there is no use complaining about how violently the enemy retaliated. Nothing is more absurd than claiming one’s own violence as virtuous while the opponent’s as immoral.

    Any government naturally tries to suppress armed insurgency against it—be it the British government or the present-day Indian government. To dress up one’s defeat in such an unequal struggle as a sacrifice is both logically fallacious and morally reprehensible. The first ethical question that arises is: “If you had won, would you not have done to them what they did to you?”

    Savarkar called for an armed rebellion against the British and made preparations for it. He was not grounded by a sense of either reality or history. He had no understanding of the power of the great administrative machinery of the British or their massive army. Lacking a sense of history, he failed to see that the British government drew its power from the popular acceptance it had gained from the millions of Indian people it ruled over.
    How the British came to rule India

    For context, the British came to power in India after the fall of the Mughal empire in an environment of utter chaos and anarchy. When they arrived, India was perishing in hundreds of petty wars. Armies had been disbanded and turned into bandit groups. The British brought about civil peace, created an orderly administration, and established a common law; therefore, the people of India accepted their rule. The situation at Savarkar’s time was that if a movement opposed the British without neutralising the popular acceptance the latter enjoyed, it would never gain mass appeal. Unfortunately, Savarkar did not grasp any of this.

    The evil of the British rule lay in its ruthless economic exploitation of the country, which they unleashed through the local zamindars. In fact, the great famines that resulted from this exploitation caused a hundred times more deaths, destruction, and displacements than had occurred during the anarchic phase in India’s history. It was Gandhi, who, by highlighting this economic exploitation and demonstrating its practical effects on the nation, put forward a serious critique of the British regime among the Indian populace. Only after Gandhi’s intervention did the Indian freedom struggle become a people’s movement.

    Violence versus democratic resistance

    Before the advent of Gandhi, during Savarkar’s era, some “intellectuals” believed that the British could be driven out using violent means. Once a violent struggle was initiated, they thought people would join in the riots to destroy the British. Fifty years later, tragically, the naxalites too shared the same belief and modus operandi. Savarkar, Bhagat Singh, and Subhash Chandra Bose were all people with a similar misapprehension of history. Their rebellion was a childish effort completely based on their belief in violence and a misbegotten sense of personal adventure. Their misplaced confidence came from imagining themselves to be extraordinary men capable of determining history. Essentially, it stemmed from a lack of faith in the great power of the people.

    The British successfully suppressed violent uprisings in India thanks to their experience in doing so across the world. Savarkar was imprisoned; others were killed. A thoughtful person today might understand the sentiments of rebels such as Savarkar and even respect their cause. After all, they were freedom fighters too. That regard does not in any way justify their views or methods. High-strung demagogues may obscure this distinction, but a discerning public must not lose sight of it.

    What Gandhi and Nehru spearheaded was a democratic resistance. Gandhi argued that a British life mattered no less than an Indian life. He claimed to be fighting on behalf of the working class in Britain as well. Whenever he went to Britain, he stayed with the poorest there; history shows that the blue-collar British flocked to the harbour to welcome him.

    Gandhi meticulously avoided violence at every turn. He was always open to negotiation. He also maintained close personal ties with some of the great names in the British empire who, in turn, held him in high esteem. He insisted that his struggle was for the basic democratic rights of Indians and was not a war against the British. He repeatedly declared that none of the British people were his enemies and reiterated the same message to the people of India. He envisioned his movement as one that would catalyse India’s turn towards democracy, which was anyway historically inevitable. In the dialectic of history, he saw the British and his side only as two forces propelling India in the same direction.

  11. মাসুদ করিম - ৩০ মে ২০২৩ (৬:০০ পূর্বাহ্ণ)

    কেন ক্ষয়ে যাচ্ছে সেন্ট মার্টিন?
    https://bangla.bdnews24.com/environment/ahyqr4wmyz

    অধ্যাপক আফতাব আলম খান বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্ট মার্টিনের ‘লাইন ইরোশন’ হয়নি। ভূতাত্ত্বিক গঠন ও অবস্থানের কারণেই দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপের উত্তর ও মাঝের অংশে ক্ষয় হচ্ছে।

    সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় নানা উদ্যোগের মধ্যে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এ প্রবালদ্বীপের অস্তিত্ব নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

    গত ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল ছুঁয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বাংলাদেশের উপর দিয়ে না গেলেও এবং ভাটার সময় ঝড় আঘাত হানায় জলোচ্ছ্বাস তেমন না হলেও প্রবালদ্বীপটির পশ্চিমপাড়া, পূর্বপাড়া, দক্ষিণপাড়া, উত্তরপাড়া, নজরুলপাড়া, মাঝেরপাড়া, ডেইলপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপাপাড়ায় সাগরতীরের কয়েক ফুট অংশ ভেঙে সাগরে মিশে গেছে।

    ভূতাত্ত্বিক গঠনের কারণে সেন্ট মার্টিনের কয়েকটি এলাকা ক্ষয়ের ঝুঁকিতে থাকলেও এ ধরনের ক্ষয়কে কেবল ‘মোখা’র প্রভাব বলতে নারাজ একজন বিশেষজ্ঞ।

    বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার আবু শরীফ মো. মাহবুব-ই-কিবরিয়া জানান, দ্বীপের উত্তরপাড়া, মাঝের পাড়া ও গলাচিপাপাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঢেউয়ের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি পাড়ার জেটি এলাকার কিছু অংশ ভাঙতে ভাঙতে হোটেল স্থাপনার কাছাকাছি চলে এসেছে।

    “সেন্ট মার্টিনের উত্তর দিকে উপকূলের কিছু অংশ ১০ থেকে ১৫ ফুট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সাগরে মিশে গেছে। এছাড়া গলাচিপার কিছু অংশও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। সার্বিকভাবে পুরো দ্বীপের উপকূলে যেসব অংশে সেডিমেন্টেশন বেশি, সেগুলো অল্প করে হলেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে,” বলেন ইনস্টিটিউটের এনভায়রনমেন্টাল ওশানোগ্রাফি ও ক্লাইমেট বিভাগের প্রধান।

    ঘূর্ণিঝড় মোখায় সেইন্ট মার্টিনের অনেক গাছপালা ও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাস বেশি না হওয়ায় খুব বেশি ভাঙেনি।
    তিনি জানান, দ্বীপের কতটুকু অংশ বিলীন হয়েছে তা নির্ধারনের পরিকল্পনা করেছে ইন্সটিটিউটের একটি দল।

    দ্বীপের ‘সয়েল প্রোফাইলিংয়ের’ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আবু শরীফ জানান, স্বল্প গভীরে (গড়ে ৩-৫ মিটারের মধ্যে) পাথর পাওয়া যাওয়ায় এ ‘রক আইল্যান্ডের’ সাগরে একেবারে বিলীন হওয়ার বা ডুবে যাওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।

    সেন্ট মার্টিন

    সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবালদ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মিয়ানমারের উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত।

    সর্বতোভাবে দ্বীপটি সমতল এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় উচ্চতা থেকে ৩.৬ মিটার উপরে। এখানে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর।

    দ্বীপটি ৭.৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং উত্তর-উত্তরপশ্চিম এবং দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিক জুড়ে বিন্যস্ত। ভৌগোলিকভাবে এটি তিনটি অংশে বিভক্ত।

    উত্তর অংশকে বলা হয় নারিকেল জিনজিরা বা উত্তর পাড়া। দক্ষিণ অংশটি দক্ষিণ পাড়া; দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বিস্তৃত একটি সংকীর্ণ লেজের মত এলাকা। একটি সংকীর্ণ কেন্দ্রীয় অঞ্চল বা মধ্য পাড়া দুটি অংশকে যুক্ত করেছে। বেল্ট বা ফিতার মতো সংকীর্ণতম অংশটি গলাচিপা নামে পরিচিত।

    মূল দ্বীপ ছাড়াও এখানে কয়েকটি বিশিষ্ট ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে ছেড়াদিয়া বা সিরাদিয়া নামে অভিহিত করা হয়, যার অর্থ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।

    উত্তর পাড়ার মাঝামাঝি অঞ্চলে একটি অগভীর উপহ্রদ রয়েছে এবং জোয়ারের সময় পশ্চিম তীরের একটি সংকীর্ণ নদীখাতের মাধ্যমে এটির সাথে সমুদ্রের সংযোগ ঘটে।

    প্রশাসনিকভাবে সেন্ট মার্টিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন। সেখানে গ্রাম আছে সব মিলে নয়টি। স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় দশ হাজার।

    এ দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। এছাড়া এখানে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল এককালে।

    এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য।

    জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছে সরকার।

    ঘূর্ণিঝড় মোখার আগে-পরে সেন্ট মার্টিনের সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান। ঘূর্ণঝড়ের প্রভাবে দ্বীপের বালুকাময় কিছু এলাকা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সাগরে ‘বিলীন’ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

    “ক্ষয়ে যাওয়া অংশ সাগরপাড়ের ভরাট বালিময় এলাকা। কী পরিমাণ ক্ষয়ে গেছে, তা পরিমাপ ছাড়া বলা যাবে না। তবে উত্তর-পূর্ব অংশের ৫ ফুটের মত হতে পারে। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে, সহসাই আপনার একটা সংবাদ পাবেন।”

    সেখানে পরিবেশ ও প্রতিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে পরবর্তী কার্যক্রম নেওয়া হবে জানান কামরুজ্জামান।

    তিনি বলেন, “আমরা দ্বীপের একটি অংশে গিয়েছিলাম, দেখলাম কিছু অংশে ক্ষয় (ইরোসন) দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীও ছিলেন, উনিও দেখেছেন। এখানে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে পরিবেশগত কিছু বিষয় রয়েছে, উনারা এটা নিয়ে একটা বড় পরিসরে সমীক্ষা করতে চাইছেন। এতে জীববৈচিত্রের পাশাপাশি এ ধরনের ঝুঁকি কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা থাকবে।”

    তবে দ্বীপের সাবেক একজন জনপ্রতিনিধি বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে তেমন ক্ষয় হয়নি দ্বীপের ভূমির।

    সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তার দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, দ্বীপের কিছু জমি ও উত্তর-মাঝেরপাড়ার কিছু অংশ অমাবস্যা-পূর্ণিমায় সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে ঢেউয়ের সময় ভেঙে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বা উত্তর দিকে ও উত্তর পশ্চিমাংশে দ্বীপের মূল অংশ ভাঙছে।

    “তবে মোখা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস না হওয়ায় তেমন ভাঙেনি। গত ১৫ বছরে মিনিমাম দেড়শ একর জমি সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। উত্তর দিকেও ভাঙছে, পশ্চিম দিকেও ভাঙছে,” বলেন সাবেক এ জনপ্রতিনিধি।

    একই ধরনের মত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউভিার্সিটির ওশানোগ্রাফি অ্যান্ড হাইড্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আফতাব আলম খান।

    তিনি বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্ট মার্টিনের ‘লাইন ইরোশন’ হয়নি। ভূতাত্তিক গঠন ও অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ও মাঝের অংশে ক্ষয় হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সময়ে বিশেষ কারণে দ্বীপের একটি অংশ ভাঙছে, তা নয়।

    তার ভাষ্য, ঘূর্ণিঝড়টি সেন্ট মার্টিনের উপর দিয়ে যায়নি, এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসও হয়নি, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ যেভাবে অতিক্রম করেছে তাতে দ্বীপের কোথাও ভেঙে যাওয়ার মত প্রভাব পড়েনি।

    গত পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত শিক্ষর্থীদের নিয়ে সেন্ট মার্টিনে আসা-যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বীপের উত্তরে এক ধরনের লং শোর কারেন্ট বিদ্যমান, মানে এখানে ঢেউয়ের একটা প্রভাব রয়েছে। সমুদ্রতীর অভিমুখী এসব জোয়ারের প্রভাব অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় থাকে। ওশানাগ্রোফির কিছু এ ধরনের স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। এ জন্যে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষয় হয়ে থাকে। এটাকে মোখার প্রভাব বলা ঠিক হবে না।

    “দ্বীপের উত্তরে মহীসোপানের শেষ প্রান্তে সাগরের অভ্যন্তরে এক ধরনের ওয়াল রয়েছে। এখানকার বিশেষত্বের কারণে মোখার ঘূর্ণিবায়ু থাকলেও জোয়ার না থাকায় জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবও তেমন পড়েনি।”

    তবে দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ, জীববৈচিত্রে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে এ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ও যথাযথ কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.