সুপারিশকৃত লিন্ক : এপ্রিল ২০২৩

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ৩ এপ্রিল ২০২৩ (৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

    ঢাবি অধ্যাপকের বাঙালি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর উপর অমার্জনীয় লেখনী
    https://bangla.bdnews24.com/opinion/xhe8u4e9xy
    গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইত্যাদি বিষয়ে যিনি নিজেই অজ্ঞতা এবং ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত, তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের কী শেখাবেন? তিনি নিশ্চয়ই জেনোসাইড সেন্টারে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং গণহত্যা নিয়ে ভ্রান্তিকর, উদ্ভট এবং মনগড়া কথাই শেখাবেন।

    কয়েক সপ্তাহ আগে বিলেতের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশে গণহত্যার ওপর গবেষণারত কয়েকজন আমার কাছে যে বইটি পাঠিয়েছিলেন, সেটি পড়ে আমার ভিমরি খাওয়ার দশা। বইটির লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপক, নাম ইমতিয়াজ আহমেদ, যিনি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ’-এর প্রধান। যে কটি বিষয় আমার ভিমরি খাওয়ার কারণ ঘটিয়েছিল, তার একটি হলো তার লেখা এই যে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ বলার পর ‘জয় পাকিস্তান’ বলে তার ভাষণ শেষ করেছিলেন। ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ নামক বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় উল্লিখিত অধ্যাপক ইমতিয়াজ লিখেছেন তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিজে হাজির হয়ে বঙ্গবন্ধুকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনেছেন। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের ইংরেজি ভাষায় লেখা বইয়ের উল্লিখিত অংশ বাংলায় তরজমা করলে যা দাঁড়ায়, তা নিম্নরূপ:

    “পাকিস্তান শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য তার ওপর দোষ চাপাতে পারত না, যেটি ছিল একজন রাজনৈতিক প্রতিভাবানের মাস্টার স্ট্রোক কেন না তিনি ঘোষণা করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। কিন্তু একই সাথে তিনি ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন। এটা উল্লেখযোগ্য যে ‘ইনডেপেন্ডেন্স’-এর বাংলা শব্দ স্বাধীনতা হলেও, এই শব্দটির একাধিক অর্থ হতে পারে, যথা ফ্রিডম। তাই ওই ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল, যেটি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ, সেটি ভাবা ঠিক নয়।” তিনি আরও লিখেছেন, “এই বইয়ের লেখক সে সময়ের রেসকোর্স, বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ উপস্থিত ছিলেন বিধায় পুরো ভাষণটি শুনতে পেরেছিলেন। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে কিছু লোক, যারা রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত ছিলেন, তারা মুজিব জয় পাকিস্তান কথাটি বলেননি বলে দাবি করেন। আমি মনে করি তারা সম্ভবত শ্রবণ সমস্যার জন্য এমনটি বলেন। যারা মঞ্চের কাছে ছিলেন, অথবা মাইক্রোফোন থেকে দূরে ছিলেন তারা সম্ভবত শেষ কথাটি শুনতে পাননি, কেননা তখন হাজার হাজার লোক উত্তেজনাপ্রসূত হলে সেখানে প্রচুর চিৎকার ধ্বনিতে পরিবেশ এমন হয়ে গিয়েছিল যে তারা শেষ শব্দ অর্থাৎ জয় পাকিস্তান কথাটি শুনতে পাননি। এমনকি পাকিস্তান সরকার বা জুলফিকার আলি ভুট্টোও ওই ভাষণের পর মুজিবের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ আনেননি।” (পৃষ্ঠা ৪০)। অধ্যাপক ইমতিয়াজ বোঝাতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি।

    বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এই তত্ত্বের উদ্ভাবক। সাবেক বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানও একথা বলে নিন্দিত হয়েছিলেন। এমন কথা সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারও তার বইয়ে লিখেছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ হলে তিনি অবশেষে তার সে কথা ভুল ছিল বলে স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। জানা যায়, জনাব খন্দকার তখন বার্ধক্য অবস্থায় বিএনপি-জামায়াতের এবং অন্যান্য স্বাধীনতাবিরোধী লোকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েই লিখেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলে তার ভাষণে ইতি টেনেছিলেন। সেদিন লন্ডনে ছাত্র হিসাবে অবস্থানরত হলেও বিবিসি বাংলা বিভাগের সিরাজুর রহমান, কমল বোস, শ্যামল লোধ প্রমুখের সহায়তায় আমাদের কজনার সুযোগ হয়েছিল বুশ হাউজে বিবিসি বাংলা বিভাগের স্টুডিওতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পুরোটাই শোনার। তাই নিশ্চিত করে বলতে পারি বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান শব্দ উচ্চারণ করেননি। এমন বহু লোক যারা সেদিন রেসকোর্সে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের অগ্রজ এবং দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম সাহেবেরও অনুজ, মাইনুল ইসলাম (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল) উপস্থিত ছিলেন তারাও নিশ্চিত করেছেন যে বঙ্গবন্ধু কখনো জয় পাকিস্তান বলেননি। গত ১৮ মার্চ বাংলা একাডেমিতে গণহত্যা জাদুঘরের অনুষ্ঠিত এক সভাকালে একাডেমির প্রধান কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, তিনিও সেদিন রেসকোর্সে উপস্থিত ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু নিশ্চিতভাবে একথা বলেননি।

    কিছু লোক বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচারটি চালাচ্ছে, নিশ্চিতভাবে অধ্যাপক ইমতিয়াজও তাদের গোত্রভুক্ত। এখানেই শেষ নয়। অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার উল্লেখিত পুস্তকে এমন কথাও লিখেছেন যার অর্থ দাঁড়ায় এই যে ১৯৭১-এ বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসাইড কনভেনশনের’ আওতায় পড়ে না। জেনোসাইড কনভেনশনের সংজ্ঞাভুক্ত হতে হলে একটি মানবগোষ্ঠী কর্তৃক অন্য এক মানবগোষ্ঠীকে আক্রমণ করতে হয়। এই পার্থক্য হতে পারে (১) জাতীয়, (২) নৃতত্ত্বগত, (৩) বর্ণগত, (৪) ধর্মগত। অর্থাৎ আক্রমণকারী এবং আক্রান্তগণ উপরে উল্লেখিত কোনো পার্থক্যভুক্ত না হলে জেনোসাইডের আওতাভুক্ত হয় না।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ লিখেছেন পাকিস্তানি এবং বাঙালিরা অভিন্ন। তার কথায় প্রাক্তন পাকিস্তানের দুই অংশের লোকই ধর্মগতভাবে এক। এ ব্যাপারে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু তিনি এও লিখেছেন যে উভয় প্রদেশের লোকই এক ভাষাভাষী কেননা বাংলাও গোটা পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা। তার এই যুক্তি শুধু অবান্তরই নয়, হাস্যকরও বটে। এ কথা বলা সত্যিই উদ্ভট যে, বাংলা এবং উর্দু দুটিই পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা ছিল বৈ ভাষাগতভাবে দুই প্রদেশের মানুষ অভিন্ন ছিল। তার কথায় মনে হয় যে পূর্ব বাংলার সব মানুষই উর্দুতে কথা বলত এবং পশ্চিম পাকিস্তানের লোকেরাও বাংলায় কথা বলত। এই যুক্তি ঠিক হলে ভারতের পাঞ্জাবি, গুজরাটি, বাংলাসহ সব ভাষাভাষী লোকদের অভিন্ন ভাষার লোক বলতে হয়, কেননা হিন্দি ভারতের রাষ্ট্র ভাষা। তিনি আরও লিখেছেন যে, দুই প্রদেশের মানুষকে আলাদা বর্ণ বা গোত্র (এথনিসিটি) ভুক্ত বলা যায় না, কেননা দুই প্রদেশের মানুষের মধ্যে বিবাহের ঘটনা এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগও বহুল আকারে ছিল। তার যুক্তি ঠিক হলে পৃথিবীর কোনো অঞ্চলের মানুষকেই অভিন্ন বলা যায় না, কেননা বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত বৈবাহিক বন্ধন সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের এ ধরনের যুক্তিকে অর্বাচীনই বলতে হচ্ছে।

    সম্প্রদায় হিসাবে বাঙালি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবি, পাঠান, বালুচ ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য যে আকাশ-পাতালসম সে কথা অস্বীকার করে দুই প্রদেশের মানুষকে এক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ যা বলেছেন তা জ্ঞানের মাপকাঠিতে শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, তা হাসির উদ্রেক ঘটাতে বাধ্য। যে সব লোক পাকিস্তানের অভিন্নতার পক্ষে ছিলেন বা আছেন তারাও বলেন না যে বাঙালি এবং পাকিস্তানিরা নৃতাত্ত্বিক অর্থে এক। দুই প্রদেশের কিছু মানুষের মধ্যে বিয়ে হয়েছে বলেই তাদের এক গোত্রভুক্ত বলা মানে পৃথিবীর সবাইকেই এক গোত্রভুক্ত বলা, কেননা গোটা বিশ্বের সকল অঞ্চলের মানুষের সাথে অন্য অঞ্চলের লোকদের বিয়ে হয়েছে এবং হচ্ছে। এমনকি আইয়ুব খানও তার বই ‘ফ্রেন্ডস নট মাস্টারস’-এ পরিষ্কারভাবে বাঙালি এবং পাকিস্তানিদের গোত্রগত পার্থক্যের কথা নোংরা ভাষাতেই বলেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়দের সাথে শারীরিক এবং চেহারাগত সাদৃশ্যপূর্ণ, দ্রাবিড়, অস্ট্রো এশিয়াটিক এবং তিব্বত-বার্মিজ মোঙ্গল রক্তে সৃষ্ট একজন বাঙালিকে ইরান-তুর্কি বৈশিষ্ট্যের এক পাকিস্তানির পাশে দাঁড় করালে, এমনকি ভিন্ন গ্রহ থেকে আগত কেউ তাদের পার্থক্য নিশ্চিত করতে ভুল করবে না। ড. ইমতিয়াজ দুই প্রদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের যে দাবি করেছেন, সেটি খণ্ডন করা জলবৎ তরলং।

    তার দাবি ঠিক হলে ভাষা আন্দোলন হতো না, ভাষার জন্য মানুষ প্রাণ দিত না, বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করত না, পাকিস্তানে ব্যবহৃত জিন্দাবাদ শব্দের পরিবর্তে ‘জয়’ শব্দ ব্যবহার করত না, শরৎ, বঙ্কিম, বিদ্যাসাগর, সৈয়দ মুজতবা আলী, নজরুল, লালন, জীবনানন্দ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, সুনীল, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যকর্মের সাথে উর্দু, পাঞ্জাবি, পস্তু ভাষার লেখকদের সাহিত্যকর্ম অনুসরণ করতেন, যাদের খুব কম জনই পূর্ব বাংলায় পরিচিত এবং যাদের কাব্য-উপন্যাস পড়ার সক্ষমতা পূর্ব বাংলার কম মানুষেরই ছিল বা আছে।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজের ভৌতিক দাবি ঠিক হলে পূর্ব বাংলার মানুষ উত্তম-সুচিত্রা, জহির রায়হান, সৌমিত্র, শর্মিলা, সাবিত্রী, ছবি বিশ্বাস, ববিতা, রাজ্জাক, সুচন্দা, রহমানের ছবি না দেখে পাকিস্তানের উর্দু ছবির প্রতি আকৃষ্ট হতো। হেমন্ত, সন্ধ্যা, সলিল চৌধুরী, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, গীতা, প্রতিমা, সতীনাথ, শ্যামল, মানবেন্দ্র, ভূপেন হাজারিকা, কণিকা, সুচিত্রা মিত্র, রুনা, বন্যা, সাবিনা, পাপিয়া, কলিম শরাফী, ফাহমিদা প্রমুখের গান না শুনে পাকিস্তানি শিল্পীদের গান শুনতেন, যাদের খুব কম জনকেই পূর্ব বাংলার মানুষ চেনেন। যদি তাই হতো তাহলে পূর্ব বাংলার মানুষ আকাশ বাণী থেকে প্রচারিত গান না শুনে করাচি বা লাহোর বেতার শুনতেন। ড. ইমতিয়াজের মনে রাখা উচিত শুরুতেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল দুই প্রদেশের মানুষের ভাষা এবং সাংস্কৃতিক ভিন্নতার জন্য এবং পূর্ব বাংলার মানুষের ওপর উর্দু ভাষা এবং তাদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টার জন্য, বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতির ওপর ছুরি চালানোর চেষ্টা করার জন্য, আরবি হরফে বাংলা লেখার আদেশ দেয়ার জন্য।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন, “একটি মৌলিক প্রশ্ন হলো, আসলেই কি ত্রিশ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়েছিল, নাকি মৃতের সংখ্যা কম ছিল?” লিখেছেন, “ত্রিশ লক্ষ সংখ্যাটির প্রবক্তা ছিলেন বাংলাদেশী এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। …..অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার গঠিত হামুদুর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা যায় ২৬ হাজার। উঁচু এবং নিচু সংখ্যাতত্ত্বের মধ্যে আরও কিছু সংখ্যার হিসাব পাওয়া যায় যার মধ্যে কে, চৌধুরীর অনুমান দশ লক্ষ থেকে ত্রিশ লক্ষ, রিচার্ড সিসন এবং লিও রোজের হিসাবে তিন লক্ষ, …… আর রাও ফরমান আলীর হিসাবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার” (পৃষ্ঠা ১৫)। প্রথমত, বাংলাদেশ বা ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নয়, মস্কো থেকে প্রকাশিত প্রাভদা সংবাদপত্রে প্রথম বলা হয় ত্রিশ লক্ষের কথা। তারপর তা বলেন বঙ্গবন্ধু। এ ধরনের কথা অতীতে খালেদা জিয়াও বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। বাংলাদেশে হলকাস্ট ডিনায়েল আইন থাকলে এই অধ্যাপককে অবশ্যই সাজা পেতে হতো।

    তার লেখায় রয়েছে যে ১৯৭০-এর ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১-এর মার্চ পর্যন্ত ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার বিহারিকে হত্যা করা হয়েছিল। আরও লিখেছেন এটি সত্যি হলে তা তদন্তের দাবি রাখে এবং এ ধরনের মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সে সব বাঙালির অবশ্য বিচার করতে হবে যারা বিহারিদের হত্যা করেছে। (পৃষ্ঠা ৩৯)

    সত্যকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ড. ইমতিয়াজ লিখেছেন যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পরও গণহত্যার বিচারের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বরং ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই প্রক্রিয়া শুরু করে। তার ভুলে যাওয়ার কথা নয় যে ২০০৮-এর নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছিল যে ক্ষমতায় গেলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর ওই প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়িত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, যে প্রক্রিয়ায় আপিল শুনানির একজন বিচারক হিসাবে এই লেখকের অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৭৩-এর আইনটি পুনরায় প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে ইমতিয়াজ সাহেব আইন সম্পর্কে তার জ্ঞানশূন্যতারই জানান দিয়েছেন। ওই আইনটি সীমিত সময়ের জন্য ছিল না বিধায় একে আবার নতুন করে প্রণয়নের প্রশ্নই উঠতে পারে না, তা যে কোনো মোটামুটি শিক্ষিত মানুষেরই জানার কথা।

    তার অজ্ঞতা আরও প্রকাশ পেয়েছে এই কথা থেকে যে সে আইনটি নাকি কম্বোডিয়া বা রুয়ান্ডা ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। উক্ত উক্তি তার অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ। উনার জানা উচিত যে নিরাপত্তা পরিষদ বাংলাদেশের গণহত্যার বিচারের জন্য কোনো অ্যাডহক ট্রাইব্যুনাল গঠন করেনি বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে করার জন্যই স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপনায় ১৯৭৩-এ আইনটি প্রণয়ন করেছিল বাংলাদেশের সংসদ, যে কথাটি ১৯৭৩ সালের আইনে স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য জটিলতা রোধ করার জন্য সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, যেটি ছিল সংবিধানের প্রথম পরিবর্তন।

    উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক আইন কমিশনের সদস্যগণ বাংলাদেশে এসেছিলেন আমাদের ১৯৭৩-এর আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং তারা আমাদের ১৯৭৩-এর আইন বহুলাংশে অনুসরণ করেই ‘রোম স্ট্যাচুট’-এর খসড়া তৈরি করেছিলেন, যার ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টি হয়েছে ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসে। মনে রাখা প্রয়োজন যে বাংলাদেশের গণহত্যার বিচার আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে সম্ভব ছিল না এই জন্য যে অতীতে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা ওই আদালতের নেই। আরও উল্লেখযোগ্য যে যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশসমূহে গণহত্যার বিচারের জন্য নিরাপত্তা পরিষদ যে সব অ্যাডহক ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে, মৃত্যুদণ্ড প্রদান করার ক্ষমতা সেসব ট্রাইব্যুনালের নেই, আর সে কারণে বাংলাদেশে ঘটানো গণহত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়াই অপরিহার্য ছিল।

    প্রশ্ন হলো যে ব্যক্তি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ ‘জয় পাকিস্তান’ বলে বক্তব্য শেষ করেছেন, এই মর্মে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ১৯৭১-এর হত্যা-ধর্ষণ ইত্যাদি, জেনোসাইড কনভেনশনের আওতাভুক্ত হতে পারে না, কেননা বাঙালি এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা নৃতাত্ত্বিক, ভাষা এবং সংস্কৃতিগতভাবে অভিন্ন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন আসলে কত বাঙালি ১৯৭১-এ শহীদ হয়েছিলেন, বলেছেন বাঙালিরা ১৫ থেকে ৫০ হাজার বিহারি হত্যা করেছে, যিনি ১৯৭৩-এর আইনকে বুঝতে পারেন না, তিনি অধ্যাপক হিসেবে ছাত্রদের যা বোঝাবেন তা তো বিভ্রান্তিকর হতে বাধ্য। যে ব্যক্তি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর কথা তার বইয়ে লিখেছেন, তিনি কি করে জেনোসাইড সেন্টারের মতো একটি সেন্টারের প্রধান থাকেন? গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইত্যাদি বিষয়ে যিনি নিজেই অজ্ঞতা এবং ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত, তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের কি শেখাবেন?

    তিনি নিশ্চয়ই জেনোসাইড সেন্টারে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং গণহত্যা নিয়ে ভ্রান্তিকর, উদ্ভট এবং মনগড়া কথাই শেখাবেন, যার ফলে ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরাও ভ্রান্ত, ত্রুটিপূর্ণ এবং অবান্তর তথ্য নিয়েই কু-শিক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা সম্পর্কে আসল তথ্য-উপাত্ত জানা থেকে বঞ্চিত হয়ে ইতিহাস বিকৃতির ধারা অব্যাহত রাখবেন। যিনি বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য বিকৃত করেন, গণহত্যা সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর কথা বলেন, তিনি কীভাবে এখনও সরকারের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, কীভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিদেশে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপরে বক্তৃতা দেয়ার জন্য নির্বাচিত হচ্ছেন? এর চেয়েও লঘুতর কারণে সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের শাস্তি দিয়েছে। তার নেতৃত্বে কি সেন্টার ফর জেনোসাইড চলা উচিত? ইউপিএলের মতো নামী সংস্থাইবা কীভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো বই প্রকাশ করে? এদের সবাইকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা উচিত। উল্লিখিত বইটির একটি জায়গায়ও ইমতিয়াজ সাহেব ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি লিপিবদ্ধ না করে সব জায়গায় ‘শেখ মুজিব’ লিখে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার শ্রদ্ধাহীনতাই প্রকাশ করেছেন।

  2. মাসুদ করিম - ৩ এপ্রিল ২০২৩ (৫:২০ অপরাহ্ণ)

    ‘We lay like corpses. Then the raping began’: 52 years on, Bangladesh’s rape camp survivors speak out
    https://www.theguardian.com/global-development/2023/apr/03/52-years-bangladesh-birangona-women-mass-rape-surviviors

    In 1971, the Pakistan army began a brutal crackdown against Bengalis in which hundreds of thousands of women were detained and repeatedly brutalised. Only now are their stories beginning to be told

    Warning: graphic information in this report may upset some readers

    It was the summer of 1971, and the distant murmurs of a war that began months earlier had made their way to Rajshahi in Bangladesh, across the north bank of the Padma River, to Noor Jahan’s door. The 14-year-old was playing in the courtyard with her little sister when a loud military truck came to a halt outside the family’s farmhouse.

    Armed soldiers threw the two girls into the back of the truck, where they discovered several women sitting back to back with their hands tied. “They told us to look down and to remain silent,” recalls Jahan, now 65. The truck continued through the small town, making several stops; each time loading more women and girls into the back as if they were cattle. All the women were sobbing silently, Jahan describes, too afraid to make a sound.

    “We had no idea where they were taking us. I watched from the corner of my eye as the marigold fields surrounding our home disappeared from sight,” says Jahan. “I remember clutching my sister’s hand tightly and being terrified the entire time. We had all heard about the Butcher of Bengal and his men.”

    The Butcher of Bengal was the nickname given to Pakistan’s military commander, Gen Tikka Khan, notorious for overseeing Operation Searchlight, a murderous crackdown on Bengali separatists in what was then East Pakistan, which led to a genocidal crusade during the liberation war that followed.

    But Jahan was about to become a victim of another brutal tactic of the Pakistani army. Alongside the killings, soldiers carried out a violent campaign of mass rape against Bengali women and girls, in what many historians believe amounted to a direct policy under Khan’s command to impregnate as many women as possible with “blood from the west”.

    When the truck finally came to a stop, the girls found themselves in military barracks. The next few months were a blur for Jahan, who regularly passed out during her confinement. “We lay there like corpses, side by side. There were 20, maybe 30, of us confined to one room,” she recalls tearfully. “The only time we saw daylight was when the door creaked open and the soldiers marched in. Then the raping would begin.”

    During the conflict that led to the birth of Bangladesh, military-style rape camps such as the one in which Jahan was held were set up across the country. Official estimates put the number of Bengali women raped at between 200,000 and 400,000, though even those numbers are considered conservative by some.

    Though ethnic rape was feature of Partition years earlier, what Bengali women experienced was one of the first recorded examples of rape being used as a “consciously applied weapon of war” in the 20th century. But despite its shocking scale, little remains known about it outside the region.
    Ostracised

    Within Bangladesh, widespread stigma led to the women being ostracised by their communities, and their horrifying accounts were often suppressed by shame. Today, a plaque on the wall of the Liberation War Museum in Dhaka says it all: “There are not many records of this hidden suffering.” Yet in every corner of Bangladesh, there are survivors with terrifying testimonies.

    In August 1971, Razia Begum had gone looking for her husband, Abu Sarkar, who had been missing for several days. She wandered anxiously through the abandoned streets of Tejturi Bazar in Dhaka, where Sarkar was a fruit seller, but he was nowhere to be found. Begum turned a corner, when she found herself face to face with a group of soldiers. She tried to run but was struck on the head with a rifle; a scar she still bears.

    Begum was dragged to a nearby forest where she was raped repeatedly over a period of weeks. The soldiers were stationed close by and returned at different times of the day. “They tied me to a tree and took turns raping me during their breaks,” says Begum, now 78. After they were done with her, the soldiers threw Begum into a shallow ditch.

    A passerby eventually found her and took her to a shelter, which Begum describes as a lost-and-found for women who were abducted during the war. Such makeshift shelters had been set up in districts across the region for the many women who had been abducted and abandoned miles from their home.

    “Women didn’t often leave the house during that time, so many of us didn’t even know our proper addresses,” says Begum. Begum’s husband tried four different shelters before he found her and took her home. “I don’t like to think about what happened,” says Begum. “But after all these years, it has been difficult for me to forget. I still have nightmares.”

    On 16 December 1971, the war came to an abrupt end. Although independence had been won, thousands of Bengali women, such as Jahan and Begum, would be rescued from shelters and rape camps across the country.
    Rescue mission

    Maleka Khan, then secretary of the Bangladesh Girl Guides Association, was tasked with mobilising female volunteers to help with war recovery efforts. But after learning about the discovery of women who had been raped and held captive in underground bunkers near Jahangir Gate in Dhaka, Khan decided to lead the rescue mission herself.

    When Khan arrived, she was shocked by what she saw. “There were women who were completely naked,” Khan, now 80, says. “They were abandoned in bunkers, where they had been kept and tortured during the war.” Khan bought the women clothes and, after helping them out, she describes carefully wrapping them in saris and blankets.

    “They were in a state of shock and couldn’t speak,” says Khan. “Some had their hair chopped off, while others were heavily pregnant. There was an air of disbelief about the whole thing. It was all so horrific.”

    The women were taken to safe houses provided by the government of the newly independent Bangladesh. In an effort to integrate rape survivors back into society, Sheikh Mujibur Rahman, the founding father of the nation, granted them the honorific of Birangona (war heroine) and established a rehabilitation programme for the women, of which Khan became executive director.

    “The rehabilitation programme provided shelter, counselling and training for survivors, while entrusting medical practitioners with the task of dealing with unwanted pregnancies,” Khan says. Two things then happened: temporary legislation to allow later abortions and an international adoption campaign for babies that had been abandoned.

    Geoffrey Davis, an Australian doctor who specialised in late-term abortions, was brought in by the World Health Organization to oversee the high-risk procedures. He described how the Pakistani army would conduct their attacks on towns and villages during the war.

    “They’d keep the infantry back and put artillery ahead and they would shell the hospitals and schools. And that caused absolute chaos in the town. And then the infantry would go in and begin to segregate the women,” Davis told Bina D’Costa, a professor at the Australian National University, in his last interview before he died in 2008.

    “Apart from little children, all those who were sexually matured would be segregated,” he said. “And then the women would be put in the compound under guard and made available to the troops.

    “Some of the stories they told were appalling – the women had it really rough. They didn’t get enough to eat. When they got sick, they received no treatment. Lots of them died in those camps.

    “They all had nightmares. You never get over it. A lot of them had tremendous anxiety because we were foreign and they didn’t trust anybody who was foreign,” he said. “They didn’t know what we were going to do to them … It was very difficult.”

    The doctor also reflected on his conversations with soldiers who had taken part in the rapes but could not seem to understand what all the fuss was about.

    “They were in a prison in Comilla and in pretty miserable circumstances and they were saying: ‘What are they going on about? What were we supposed to have done? It was a war!’” said Davis. “The really disgraceful thing is that all these officers were trained in Sandhurst [Royal Military Academy] in England – and that was just not acceptable.”

    Today, women in Bangladesh are finding ways to write Birangona women back into a history from which they had been largely erased. Rising Silence, an award-winning documentary by the British-Bangladeshi playwright Leesa Gazi, preserves the testimony of some of those still alive.
    Convictions

    Uncovering the women’s stories left Gazi asking herself: “How can a woman’s body instigate so much hatred and violence? If we need to shame a family, we go after their daughters. If we need to shame a country, we go after their daughters. It’s the same mindset.”

    Rape continues to be deployed in war as a tool of fear, a military strategy to terrorise communities and destroy their dignity. A recent report by the UN special representative on sexual violence in conflict listed 18 countries where women were being raped in war, and named 12 armies and police forces and 39 non-state actors.
    Life in the overcrowded Bangladesh refugee camps where a million Rohingya wait and hope.
    ‘Like an open prison’: a million Rohingya refugees still in Bangladesh camps five years after crisis
    Read more

    “The repeated failure of the international community to bring perpetrators to account means these horrendous acts continue with impunity,” says Shireen Huq, co-founder of Naripokkho, an activist group leading the fight for women’s rights in Bangladesh. Naripokkho was instrumental in supporting Rohingya rape victims in 2017, when Bangladesh once again found itself on the frontline of a rape epidemic, as more than 700,000 Rohingya Muslims crossed its borders to escape genocide in neighbouring Myanmar.

    Among them were thousands of women and children who had suffered horrifying sexual violence at the hands of Burmese soldiers. Harrowing details emerged of women being tied to trees and subjected to rape for days, tortured by bamboo sticks and set on fire. Once again, in an echo of past events, many of the women would also find themselves battling with the stigma of unwanted pregnancies.

    Rape continues to be deployed in war as a tool of fear, a military strategy to terrorise communities and destroy their dignity. A recent report by the UN special representative on sexual violence in conflict listed 18 countries where women were being raped in war, and named 12 armies and police forces and 39 non-state actors.
    Life in the overcrowded Bangladesh refugee camps where a million Rohingya wait and hope.
    ‘Like an open prison’: a million Rohingya refugees still in Bangladesh camps five years after crisis
    Read more

    “The repeated failure of the international community to bring perpetrators to account means these horrendous acts continue with impunity,” says Shireen Huq, co-founder of Naripokkho, an activist group leading the fight for women’s rights in Bangladesh. Naripokkho was instrumental in supporting Rohingya rape victims in 2017, when Bangladesh once again found itself on the frontline of a rape epidemic, as more than 700,000 Rohingya Muslims crossed its borders to escape genocide in neighbouring Myanmar.

    Among them were thousands of women and children who had suffered horrifying sexual violence at the hands of Burmese soldiers. Harrowing details emerged of women being tied to trees and subjected to rape for days, tortured by bamboo sticks and set on fire. Once again, in an echo of past events, many of the women would also find themselves battling with the stigma of unwanted pregnancies.

    https://twitter.com/MdShahriarAlam/status/1642896194371457025

  3. মাসুদ করিম - ৪ এপ্রিল ২০২৩ (৪:১৪ পূর্বাহ্ণ)

    Vivan Sundaram (1943–2023)
    https://www.artforum.com/news/vivan-sundaram-1943-2023-90366

    Pathbreaking artist and activist Vivan Sundaram, who transformed the landscape of Indian contemporary art, died March 29 in New Delhi following a brain hemorrhage. He was seventy-nine. Through a practice that encompassed installation, photography, illustration, sculpture, video, and painting, Sundaram investigated social and political themes as well as those relating to popular culture and to issues surrounding perception, memory, and history. A great believer in communication and collaboration across practices, Sundaram was of the opinion that art could effect social change.

    Vivan Sundaram was born in Shimla, India, in 1943. His father was Kalyan Sundaram, a civil servant and independent India’s first law secretary and second chief election commissioner; his mother was Indira Sher-Gil, the sister of pioneering painter Amrita Sher-Gil. After earning a bachelor’s degree in painting at the Maharaja Sayajirao University in Vadodara, Gujarat, in 1965, he enrolled at London’s Slade School of Fine Art, where, as a Commonwealth scholar, he studied under British-American painter RB Kitaj, obtaining his postgraduate degree in 1968. Concurrently, he gained a keen interest in cinema and social justice around this time, being especially influenced by the events of May ’68, which saw students across France mobilize in protest of consumerism, American imperialism, and class disparities.

    After hitchhiking and traveling by train across Iran, Iraq, and Afghanistan—“I had to fly over Pakistan,” he told the ICP’s Nandita Raman in 2016—Sundaram in 1972 returned to India, where he began making works drawing from such disparate genres as Pop, Surrealism, and abstraction. Through these, he variously examined the plights of repressed or persecuted people, ranging from European Jews who fled the Holocaust in the 1940s to the Indian Sikhs who endured violent protest against their religion in 1984 after the assassination of Indira Gandhi. In 1976, he founded the Kasauli Art Centre and the Journal of Arts and Ideas, meant to foster experimental collaborations between writers and artists. Sundaram considered such cross-pollination crucial to creativity and understanding. “Connecting with people from different disciplines has always informed my work,” he told the Indian Express in 2018. He continued to organize workshops and seminars there through 1991.

    As the 1990s dawned, Sundaram expanded his practice to incorporate more unusual materials in his installations. The shift is perhaps most famously embodied in his Memorial of 1993. The work responds to the communal violence then taking place in Bombay (now Mumbai), specifically the destruction by a right-wing Hindu mob of the sixteenth-century Babri Mosque. Memorial is a room-size installation at whose center is a glowing triangle shielding a dead body rendered in plaster, the form recalling that of an anonymous victim of the skirmishes photographed by an Indian journalist. Surrounding this are vitrines containing photos riven with nails, and gateways comprised of stacked metal trunks. “The right wing was rising up and the state was letting it happen,” Sundaram told the White Review’s Kayamani Sharma in 2019. “I kept thinking, how do I deal with this? I drew on the influence of minimalism that I had grappled with as a student in England, and started thinking of the photograph in spatial terms, in its most formal aspect. The fact that the photograph was a found object, and that I didn’t witness the violence first-hand as my friends in Mumbai did, added another layer: my entry into the tragedy was from a distance.”

    Among Sundaram’s other groundbreaking works are Calcutta’s History Project, 1998, the first site-specific installation in India, erected in celebration of the fifty-year anniversary of the end of partition; Sher-Gil Archive, 1995, and Re-take of “Amrita,” 2001–2006, in which Sundaram manipulated family photographs to explore his own history; and 12 Bed Ward, 2005, a dozen rusted cot frames lined up in two rows and covered with the soles of shoes rather than mattresses, asking the viewer to consider the marginalization experienced by those on the fringes of Indian society. Sundaram often deployed found objects to such ends. “Notions of recycling, skill, craft, and the Duchampian readymade have always interested me,” he told Artforum’s Zehra Jumabhoy in 2011, commenting on his controversial 2008 mixed-media installation Trash. “In [that work], I dealt with the underbelly of the urban, which is continuously being destroyed and marginalized in ‘New India.’ Yet despite this assault by so-called city development, the city re-creates itself. Delhi is the metropolis of the twenty-first century––Calcutta and Bombay were the cities of the nineteenth and twentieth century. But what happens to those who live outside the developmental agency of capitalism and power?”

    Sundaram wrote extensively, between 1981 and 1999 contributing to the Journal of Arts & Ideas, of which he was a cofounder; as well, he was a cofounder of Safdar Hashmi Memorial Trust. He recently enjoyed two fifty-year retrospectives, “Step Inside and You Are No Longer a Stranger,” at the Kiran Nadar Museum of Art, New Delhi, and “Disjunctures,” at Munich’s Haus der Kunst, both in 2018. He was one of thirty artists commissioned to make new work to celebrate the thirtieth anniversary of the Sharjah Biennial. His photograph-based work Six Stations of a Life Pursued, 2022, is on view at Sharjah Biennial 15 through June of this year.

    https://twitter.com/Artforum/status/1642966898416705537

  4. মাসুদ করিম - ৫ এপ্রিল ২০২৩ (৫:১০ অপরাহ্ণ)

    MCC awards Honorary Life Membership of the Club to some of the world’s finest cricketers.
    https://www.lords.org/lords/news-stories/mcc-announces-latest-cohort-of-honorary-life-membe
    MCC is delighted to announce the latest cohort of new Honorary Life Members.

    MCC awards Honorary Life Membership of the Club to some of the world’s finest cricketers and can today reveal the names of the latest men and women to have been bestowed with this privilege:

    Merissa Aguilleira – West Indies (2008–2019)
    M.S. Dhoni – India (2004–2019)
    Jhulan Goswami – India (2002-2022)
    Jenny Gunn – England (2004-2019)
    Muhammad Hafeez – Pakistan (2003-2021)
    Rachael Haynes – Australia (2009-2022)
    Laura Marsh – England (2006–2019)
    Eoin Morgan – England (2006-2022)
    Mashrafe Mortaza – Bangladesh (2001-2020)
    Kevin Pietersen – England (2005-2014)
    Suresh Raina – India (2005-2018)
    Mithali Raj – India (1999-2022)
    Amy Satterthwaite – New Zealand (2007-2022)
    Yuvraj Singh – India (2000-2017)
    Anya Shrubsole – England (2008-2022)
    Dale Steyn – South Africa (2004–2020)
    Ross Taylor – New Zealand (2006-2022)

    https://twitter.com/MCCOfficial/status/1643581165733920769

    https://twitter.com/BCBtigers/status/1643634772692828160

  5. মাসুদ করিম - ৬ এপ্রিল ২০২৩ (৭:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    ড. ইমতিয়াজের হেঁয়ালি, নিজের লেখা গোপন করে প্রতিবাদলিপিতে মিথ্যাচার
    https://bangla.bdnews24.com/opinion/ynu18uznbc
    অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইটি এক দশকেরও আগে লেখা। যেহেতু ওই বইয়ের কোনো বক্তব্য অস্বীকার করেননি বা ভুল বলে প্রত্যাহার করে নেননি, সেহেতু ধরে নেওয়া যায় অনেকদিন আগের ওই বক্তব্যেই তিনি অটল। সুতরাং এখানে তার ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বা ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হচ্ছে বলে দাবির কোনো অবকাশ নেই।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগসমূহ খণ্ডনের অপচেষ্টায় একই ধরনের ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন, যে ধরনটি তিনি তার বই ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’-এ অনুসরণ করেছেন। অপকৌশল অবলম্বন করে, পাঠকদের ধোঁকা দেয়ার জন্য তিনি মূল কথাগুলো বেমালুম চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেগুলো যে তার বইটিতে মুদ্রিতভাবে রয়েছে, তা তিনি সম্ভবত ভুলেই গিয়েছিলেন। আজকের এই লেখার সঙ্গে আমি প্রতিটি সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠার ছবি সংযুক্ত করছি যাতে পাঠকগণ বুঝতে পারেন যে আমি যা লিখেছি, তা তার বই থেকে নিয়েই লিখেছি।

    তার বিরুদ্ধে মুখ্য অভিযোগ তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের বিষয়ে (এখন বঙ্গবন্ধু শব্দ উচ্চারণ কৌতূহলোদ্দীপক বটে, কেননা তার বইয়ের একটি জায়গায়ও তিনি বঙ্গবন্ধু শব্দ উচ্চারণ না করে লিখেছেন ‘মুজিবুর রহমান’) তার ভাষায় ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ জয় বাংলার পর জয় পাকিস্তান বলেছিলেন বলে যে কথা তার বইয়ে স্পষ্টভাবে লিখেছেন, মানুষের চোখে ধাঁধা লাগানোর জন্য তিনি তার প্রতিবাদলিপিতে সে কথাটি বেমালুম চেপে গেছেন। বলেছেন তার বইয়ে লেখাগুলো নাকি আমরা ঠিকভাবে বুঝতে পারিনি। তার বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) তিনি লিখেছেন “পাকিস্তান শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭ই মার্চের ভাষণের জন্য দোষ দিতে পারত না, কেননা তিনি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক জিনিয়াসের মতো ঘোষণা করেছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম (ইমানসিপেশন) এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, কিন্তু একই সঙ্গে তিনি (শেখ মুজিব) জয় বাংলা জয় পাকিস্তান বলে তার ভাষণ শেষ করেছেন।” অথচ অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার তথাকথিত প্রতিবাদলিপিতে বস্তুত প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একথা চেপে গেছেন যে বঙ্গবন্ধু (তার ভাষায় শেখ মুজিবুর রহমান) জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান বলে ভাষণ শেষ করেছেন।

    তিনি একই পৃষ্ঠায় আরও লিখেছেন “তার লেখা বইয়ের লেখক (দ্য অথার, অর্থাৎ অধ্যাপক ইমতিয়াজ স্বয়ং) ৭ই মার্চ রেসকোর্সে, বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত ছিলেন বলে ব্যক্তিগতভাবে পুরো ভাষণটি শুনতে পেরেছিলেন।” আরও লিখেছেন “উল্লেখযোগ্য যে কিছু লোক, যাদের মধ্যে অনেকে রেসকোর্সে উপস্থিত ছিলেন, তারা এই মর্মে দ্বিমত প্রকাশ করেন যে শেখ মুজিব ভাষণ শেষে জয় পাকিস্তান বলেননি। আমি (অধ্যাপক ইমতিয়াজ) মনে করি তারা শ্রবণগত অসুবিধার কারণেই (রিজন অব অডিবিলিটি) এ কথা বলছেন।” অধ্যাপক ইমতিয়াজের লেখা এতই স্পষ্ট যে এখানে তার লেখা নিয়ে ভুল বোঝা-বুঝির দাবি হালে পানি পেতে পারে না। বরং তিনিই মানুষের মনে বিহ্বলতা সৃষ্টির চেষ্টায় বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান দিয়ে শেষ করেছেন বলে যে কথা তার বইতে পরিষ্কারভাবে লিখেছেন, প্রতিবাদলিপিতে তা চেপে গেছেন। তিনি একই পৃষ্ঠায় (সংযোজিত) আরও লিখেছেন “এটা উল্লেখযোগ্য যে ইনডিপেনডেন্স শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ স্বাধীনতা, যার বহুবিধ অর্থ রয়েছে, ফ্রিডমসহ। তাই এটি ঠিক নয় যে সেই ভাষণটিতে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল, অর্থাৎ বেআইনি একতরফা বিচ্ছিন্নতার ডাক ছিল।” তিনি তার বইতে ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর কাচি চালানো হয়েছে (এডিটেড) বলেও লিখেছেন। অতীতে যে দু-চারজন ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু ‘জয় পাকিস্তান’ বলে ভাষণ শেষ করেছেন, পরবর্তীতে তারাই নিজেদের ভুল স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ড. ইমতিয়াজও কি এখন একইভাবে ভুল এবং মিথ্যাচার স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন?

    শহীদদের সংখ্যার ব্যাপারে তিনি তার বইতে যা লিখেছেন, সে সম্পর্কে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে তার প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেছেন তিনি এ ব্যাপারে বিভিন্ন গবেষকের দেয়া তথ্য তুলে ধরেছেন মাত্র। কিন্তু তার বই বলছে অন্য কথা। বইটির ১৫ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) অন্যদের মতামত প্রকাশের আগে তিনি নিজেই প্রশ্ন করে লিখেছেন, “এ মুট কোয়েশচেন ইজ, (অর্থাৎ বিতর্কিত প্রশ্ন) ছিল এই যে আসলেই কি ৩০ লক্ষ লোকের মৃত্যু হয়েছিল নাকি মৃতের সংখ্যা আরও কম ছিল।” তিনি তার বইতে আরও লিখেছেন “৩০ লক্ষ মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যাটির দাবি এসেছে বাংলাদেশী এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের থেকে।” উপরের লিখিত কথাগুলো যে তার নিজের, সেটা সামান্য ইংরেজি জানা মানুষেরও বুঝতে অসুবিধা হবে না এবং সেখানেও ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। কেউ ভুলে যাননি যে কিছুকাল আগে খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে একই ধরনের প্রশ্ন তুললে, তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) লিখেছেন, “যদিও স্বয়ং মুজিবসহ সরকার ঘোষণা করেন যে ৩০ লক্ষ বাঙালি পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে খুন হয়েছে, কিন্তু পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের কথা উত্থাপিত হলে তাদের (সৈন্যদের) সংখ্যা ৪০০ থেকে ১৯৫ এবং পরে ১১৮ তে নেমে যায়। ৯ মাসে ৩০ লক্ষ খুনের দাবি একটি পরিসংখ্যানগত (স্ট্যাটিসটিক্যাল) দুঃস্বপ্ন হওয়া ছাড়াও এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিহতদের সংখ্যা নির্ধারণের পূর্ব-জ্ঞান, এমনকি তা নিশ্চিতকরণের পদ্ধতি জানা না থাকা ছাড়াও সরকার তাদের বিচার করতে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করছিল। অবশেষে ১৯৭৪ সালে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে মুজিব এদেরকে ক্ষমা করে দেন। … ঘটনাক্রমে ক্ষমা করে দেয়া মুজিবের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশে কোনো গণপ্রতিবাদ হয়নি, আর গণহত্যা বিষয়টিও অসন্তোষজনকভাবে পর্দার আড়ালে চলে যায়, অন্তত সে সময়ের জন্য।”

    ওই একই পৃষ্ঠা ও এর পরবর্তী পৃষ্ঠা মিলিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, “১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে জন্ম নেয়া ৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি পক্ষপাতিত্বের লোভ সামলাতে পারেনি এবং বস্তুত সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগের লোকদের তাদের সঙ্গে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়, যার জন্য তাদেরকে ক্ষমতাসীন বিএনপির বিরাগভাজন হতে হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আওয়ামী লীগ জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে কৌশলগত আঁতাত করে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জয়ী হলে, নির্মূল কমিটির কর্মকাণ্ড প্রায় থেমে যায়, যখন গণহত্যা বিষয়টি পক্ষপাতিত্বের স্বার্থে ব্যবহৃত হতে থাকে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে জোরালো করার জন্য, এমন সময় যখন বিএনপি-জামায়াতের সখ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। বিষয়টি তখন দলতান্ত্রিক (রেজিম) হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগ (১৯৯৬-২০০১) আমলে এবং বোধগম্যভাবে বিএনপি আমল (২০০১-২০০৬) পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়। দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে এবং সম্ভবত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এমন কিছু সদস্যের আগ্রহে, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নতুন প্রেরণা পায়। ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনও প্রণয়নের দাবি ওঠে। … জনমতে নতুন জোয়ার জাগে, গণমাধ্যমসমূহ সরকারের কাছে দাবি তোলে, যে আইনের উদ্দেশ্য ছিল বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নেয়া যাতে কম্বোডিয়া অথবা রুয়ান্ডা ধরনের মতো বিচারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ পাওয়া যায়, সেটি বাস্তবায়িত করা। কিন্তু কার্যকর কিছুই লাভ করা যায়নি, যার জন্য মূলত সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী।”

    তিনি বইয়ের ৪১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, বাঙালিরা ১৫ থেকে ৫০ হাজার বিহারিকে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৫ সালের মার্চ পর্যন্ত হত্যা করেছে। লিখেছেন “এটা ঠিক হলে, মানবাধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে এবং বেআইনি হত্যাকাণ্ড চালানো হয়ে থাকলে, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী বাঙালিদের বিচার না করার এবং সাজা না দেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।”

    সত্যকে মারাত্মকভাবে হত্যা করে অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার বইটির ১১ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) লিখেছেন “এটা জানা কঠিন নয় যে শুধু যে বাংলাদেশী যোদ্ধারা ভারতীয় সামরিক নেতৃত্বের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন, তা নয়, বরং চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশের জাতীয় সংগ্রাম একান্তই ভারত-পাকিস্তান বিষয়ে পরিণত হয়েছিল।” শুধু তাই নয় তিনি চরম অজ্ঞতা অথবা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে লিখেছেন “১৬ ডিসেম্বর সই করা আত্মসমর্পণ দলিলও সেটি (ভারত-পাকিস্তান বিষয়) প্রমাণ করে, যাতে লেখা ছিল পাকিস্তানি পূর্বাঞ্চল কমান্ড এই মর্মে সম্মত হয় যে বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল পাকিস্তানি সৈন্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করবে।”

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ আত্মসমর্পণ দলিল পড়ে থাকলে তার না জানার কারণ নেই যে সে দলিলে পরিষ্কার ভাষায় বলা হয়েছে যে “পাকিস্তানি পূর্বাঞ্চল কমান্ডের সৈন্যরা ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সৈন্যদের (ফোর্সেস) পূর্বাঞ্চল কর্মক্ষেত্রের (থিয়েটার) সর্বাধিনায়ক, জগজিত সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করবে।” আত্মসমর্পণ নথিতে যে বাংলাদেশী যোদ্ধাদেরও উল্লেখ রয়েছে, অধ্যাপক ইমতিয়াজের কি তা জানা ছিল না, নাকি ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্যই তিনি আত্মসমর্পণ দলিলে বাঙালি সৈন্যদের কথা এড়িয়ে গেছেন? “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষ পর্যায়ে ভারত-পাকিস্তান বিষয়ে রূপ নেয়” বলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ যা বলেছেন, সেটি জামায়াতসহ অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের এবং পাকিস্তান কর্তৃপক্ষেরই কথা।

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ প্রতিবাদলিপিতে দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি কোনো অবমাননাকর কথা তার বইতে নেই। উপরে উল্লিখিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিকৃত করা ছাড়াও, তার বইটির ১২ এবং ১৩ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) তিনি লিখেছেন যে শেখ মুজিব (তার ভাষায়) জনগণের কঠোর দুর্দশার কথা জেনেও গণহত্যার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন (“শেখ মুজিবুর রহমান ফলোয়িং হিজ রিটার্ন ফ্রম পাকিস্তান অন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ অ্যান্ড টেকিং দ্য রেইনস অব গভর্নমেন্ট পাওয়ার, কুড নট হেলপ বাট কুইকলি স্লাইড ইনটু দ্য টাস্ক অব লোকেটিং দ্য ইস্যু অব জেনোসাইড অন সিমিলার স্টেটিক কনসিডারেশন”)। জে এন দীক্ষিতের উদ্ধৃতি দিয়ে অধ্যাপক ইমতিয়াজ লিখেছেন (পৃষ্ঠা সংযুক্ত) “শেখ মুজিব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার সিদ্ধান্ত হয়তো এ জন্য নিয়েছিলেন যে তিনি এমন কিছু করতে চাননি যা কিনা পাকিস্তান এবং মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।” দীক্ষিতের এই কথা পুনর্মুদ্রণ করে অধ্যাপক ইমতিয়াজ নিজের মন্তব্যে লিখেছেন, “কিন্তু তাহলে মুজিব কেন সে সময়ে প্রচলিত জনমত উপেক্ষা করে এবং তাদের গভীর যাতনা (সাফারিং) সত্ত্বেও স্টেটিস্ট ডিসকোর্সের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?”

    তিনি আরও লিখেছেন, “এ প্রশ্নের উত্তরে তিনটি আরগুমেন্ট সহজেই তুলে ধরা যায়। প্রথমত ৯ মাসব্যাপী কারারুদ্ধ এবং হত্যাযজ্ঞের স্থানে অনুপস্থিত থাকায়, এটি এমনি একটি বিষয় যাকে তার প্রাপ্য গুরুত্ব দেয়া হয়নি। নেলসেন ম্যান্ডেলা অন্তরীণ থাকলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরাদি তিনি জানতেন, কিন্তু শেখ মুজিব ৯ মাসকাল ছিলেন পুরোপুরি অন্ধকারে, জানতেন না বাংলাদেশে কি হচ্ছিল। গণহত্যা পরবর্তী তার জ্ঞান মূলত দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল, বিশেষ করে তার দলের চাটুকারদের দ্বারা ভাষ্য শোনার পর, যারা নিজেরাও তথ্যের অভাবে অথবা ইচ্ছাকৃত চাটুকারিতায় গা ভাসিয়েছিলেন।” তিনি তার বইতে আরও লিখেছেন “এ বিষয়ে (তথ্য) শূন্যতার কারণে চাটুকারেরা একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, নির্যাতন এবং মৃত্যুর সংখ্যার পক্ষে কোনো প্রমাণ ছাড়াই। বরং মুজিব গণহত্যা বিষয়ে যা বলতেন (তারা) তারই পুনরাবৃত্তি করতেন।”

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ পুনরায় দীক্ষিত সাহেবের সেই বক্তব্য উদ্ধৃত করেন, যাতে দীক্ষিত সাহেব ব্যক্ত করেছেন “মুজিবুর রহমান স্বয়ং হাকসারকে বলেছেন যে সাক্ষী-প্রমাণ সংগ্রহে অসুবিধার কারণে তিনি (শেখ মুজিব) যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সময় এবং শক্তি ক্ষয় করতে চান না।” তারপর অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার নিজস্ব মন্তব্যে লিখেছেন, “কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সাক্ষী-প্রমাণের অভাব হলো? অন্যভাবে বলতে গেলে, বোদ্ধা সমাজের (সিভিল সোসাইটির) সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ, মুজিবকে এমন সব উপাদান প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, যেগুলো যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচারের জন্য প্রয়োজন ছিল। সরকার এবং জনগণ স্টেটিস্ট ডিসকোর্সের পথে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর গণহত্যা বিষয়টি আগ্রহহীন বিচারে শেষ হয়েছে।”

    অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ তার বইয়ের XII পৃষ্ঠায় দাবি করেছেন যে ১৯৭১-এ বাংলার মানুষের ওপর আক্রমণ হয়েছিল শুধু রাজনৈতিক কারণে, কেননা ভাষাগত এবং গোত্রগত কোনো বিরোধ ছিল না। এ দাবির পক্ষে তার যুক্তি অতি অর্বাচীনসুলভ। তিনি বলেছেন বাংলা এবং উর্দু উভয় ভাষাই পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা ছিল এবং দুই প্রদেশে প্রচুর আন্ত-গোত্রীয় বিয়ের কারণে, ভাষাগত বা গোত্রগত বিরোধ ছিল না। তার ভুলে যাওয়ার কথা নয় যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির দাবি পাকিস্তানিরা কখনো মেনে নেয়নি এবং ৭১-এও তার প্রতিফলন ছিল। আর কিছু সংখ্যক বিয়ে হলেও গোত্রগত বিরোধও সবসময় বিরাজ করেছে। পাকিস্তানিরা যে মাছ-ভাতের বাঙালিদের ঘৃণার চোখে এবং নিম্নবর্ণের হিন্দুদের বংশধর বলে দেখত, যে কথা এমনকি আইয়ুব খানও লিখেছেন, সে কথা কারও অজানা থাকার কথা নয়। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সৈন্যরা ভাষা, সংস্কৃতি এবং গোত্রগত পার্থক্যকে বড় করে দেখে বাঙালি নিধনে ব্যস্ত হয়েছিল বলে অজস্র প্রমাণ রয়েছে। পাকিস্তানিরা বাংলাদেশী নেতাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার মূল কারণ ছিল তারা ভিন্ন গোত্রের বাঙালিদেরকে ক্ষমতা দিতে চাননি। সুতরাং এটি অস্বীকার করার কোনো পথ নেই যে মূলত বর্ণগত বিদ্বেষপ্রসূত হয়েই রাজনৈতিক সংকট এবং গণহত্যা শুরু হয়েছিল। অধ্যাপক ইমতিয়াজের দাবি ঠিক হলে ৭১-এ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া প্রবাহকে গণহত্যা কনভেনশনভুক্ত করা যায় না, কেননা সেই কনভেনশন অনুযায়ী এক বৈশিষ্ট্যের মানব গোষ্ঠী কর্তৃক অন্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করতে হয়, যাদের পার্থক্য হতে হয় জাতিগত, গোত্রগত, বর্ণগত অথবা ধর্মগত।

    এ সমস্ত বক্তব্য দিয়েও তিনি গণহত্যা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘গণহত্যা বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে সিভিল সমাজের প্রতিষ্ঠানগুলো যারা সামান্য কারণেও বিবৃতি দিতে ভুল করেন না তারা নিশ্চুপ। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। তারা কি এসব বক্তব্য এখন ঠিক বলে মনে করেন? অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বইটি এক দশকেরও আগে লেখা। যেহেতু ওই বইয়ের কোনো বক্তব্য অস্বীকার করেননি বা ভুল বলে প্রত্যাহার করে নেননি, সেহেতু ধরে নেওয়া যায় অনেকদিন আগের ওই বক্তব্যেই তিনি অটল। সুতরাং এখানে তার ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বা ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হচ্ছে বলে দাবির কোনো অবকাশ নেই।

    তিনি, (প্রমাণ উপস্থাপন না করে) দাবি করেছেন তার বই নাকি পাকিস্তানে বেআইনি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজেই তার বইটির শুরুতে লিখেছেন যে সাবা খাট্টাক নামক তার এক পাকিস্তানি বান্ধবীর দেয়া উৎসাহক্রমেই তিনি বইটি লিখেছেন। ওই মহিলা পাকিস্তানি একটি ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক। কেন এমন একজন পাকিস্তানি মহিলা, যিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউটের পরিচালিক ছিলেন, ড. ইমতিয়াজকে বাংলাদেশে গণহত্যার ওপর বই লিখতে বললেন এবং কেনইবা ড. ইমতিয়াজ তার ওই পাকিস্তানি বান্ধবীর উপদেশ গ্রহণ করে বইটি লিখলেন, সে ব্যাপারে গণমনে প্রচুর প্রশ্ন অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণেই ঘুরপাক খাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, অতীতে শর্মিলা বসু নামক একজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা বাহিনীর অর্থ সহায়তা পেয়ে বাংলাদেশের গণহত্যার ব্যাপারে অনেক নেতিবাচক কথা লিখেছিলেন।

    বইটিতে বহু তথ্যগত ভুল রয়েছে, যেমন ৫ পৃষ্ঠায় (সংযুক্ত) তিনি জেমস স্টুয়ার্ট মিলের জায়গায় জন স্টুয়ার্ট মিলের ছবি ছেপেছেন, জন্ম তারিখও ভুল লিখেছেন। তিনি লিখেছেন ১৯৭৩-এর আইন নতুন করে প্রণয়নের কথা। এ আইনটি সাময়িক সময়ের জন্য প্রণীত হয়নি বরং সর্বকালের জন্য, তাই এটি নতুন করে প্রণয়নের কথা বলে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আইন সম্পর্কে তার ভ্রান্ত জ্ঞানেরই পরিচয় দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন ১৯৭৩-এর আইনটির নাকি দুটি উদ্দেশ্য ছিল, একটি দেশে ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টি করা এবং অন্যটি জাতিসংঘকে এমনভাবে প্রভাবিত করা যাতে তারা কম্বোডিয়া এবং রুয়ান্ডার মতো বিচারালয় প্রতিষ্ঠা করে। আন্তর্জাতিক আইনে যার সামান্য জ্ঞানও আছে, তিনিও বলবেন না যে আমাদের ১৯৭৩-এর আইনটির একটি উদ্দেশ্য ছিল কম্বোডিয়া বা রুয়ান্ডার মতো আন্তর্জাতিক অ্যাডহক বিচারালয় প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেয়া। আইনটি নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য করা হয়েছিল এবং সে বিচার বাংলাদেশেই হয়েছে এবং হচ্ছে (যে বিচারে আমিও একজন বিচারক ছিলাম, আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসাবে)।

    যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা প্রভৃতি দেশে গণহত্যা বিচারের জন্য অ্যাডহক বিচারালয় গঠন করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ, আর সেই পরিষদেরই রয়েছে এ ধরনের অস্থায়ী বিচারালয় গঠনের ক্ষমতা। সুতরাং আমাদের ১৯৭৩-এর আইন দেখে নিরাপত্তা পরিষদ এ ধরনের অস্থায়ী বিচারালয় গঠন করবে, এমন যুক্তি সত্যিই অজ্ঞতাপ্রসূত। তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদ যে সব ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে, এবং এমন কি স্ট্যাচুট অব রোম দ্বারা সৃষ্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেরও মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতো না। ড. ইমতিয়াজ আইনস্টাইন, হেগেল, লরেন্স অলিভার প্রমুখ ব্যক্তিদের ছবি এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে বইটি পূরণ করেছেন, বাংলাদেশের গণহত্যার ব্যাপারে যাদের কোনো প্রাসঙ্গিকতাই নেই।

    উল্লেখিত প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে ড. ইমতিয়াজ জনমনে ধাঁধা সৃষ্টির জন্য যে অপকৌশল এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন, তার ফলে তার বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোঠায় নামতে বাধ্য। বাংলাদেশে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো ‘হলোকাস্ট ডিনায়েল’ আইন থাকলে, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধে তার বিচার এবং সাজা হতো। ১৯৭৩ সালে নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য কোনো অ্যাডহক বিচারালয় গঠনের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে নিশ্চিতভাবে চীন এবং সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র তা ভেটো দিয়ে নাকচ করে দিত।

    https://twitter.com/urumurum/status/1643796677227343872

  6. মাসুদ করিম - ১১ এপ্রিল ২০২৩ (৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    37.8pc leave home for poverty, hunger
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/378pc-leave-home-for-poverty-hunger-1681146778
    Bangladesh’s 37.8-percent street children leave home due to poverty and hunger in their family, findings of a survey of the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) showed.

    The interesting part of the survey is that 72 per cent street children do not want to go to rehabilitation centres due to absence of freedom.

    Besides, the reunification chance with their family is also thin, as at least 36.3 per cent children do not have peace in their family, the survey found.

    The national statistical body unveiled findings of the ‘Survey on Street Children 2022′ at its office in Dhaka on Monday.

    Planning Minister M A Mannan was present as the chief guest of the programme, presided over by BBS Director General Md Matiur Rahman.

    State Minister for Planning Dr Shamsul Alam, Statistics and Informatics Division Secretary Dr Shahnaz Arefin, UNICEF Country Representative Sheldon Yett, and BBS Director Mashud Alam spoke on the occasion.

    The BBS survey found that 37.8 per cent street children left home due to poverty and hunger, 15.4 per cent for parents’ migration to urban areas, 12.1 per cent for exploring work opportunities, 5.0 per cent for lack of custodian, and 3.6 per cent ran away from their home.

    The BBS conducted the survey on April 04-23 last year, taking 7,200 samples across the country’s eight divisions and two city corporations in Dhaka, BBS Director Mashud Alam said.

    Among the street children, the BBS found that some 82 per cent were boys and 18 per cent were girls.

    The number of street children was the highest in Dhaka South City Corporation (DSCC), 22.7 per cent, followed by Dhaka North City Corporation (DNCC), 18.3 per cent, the BBS survey noted.

    As per the weighted average, Chittagong Division was the third highest home of street children with 17.5 per cent, Khulna Division had 8.1 per cent, Dhaka Division (except the two city corporations) 7.5 per cent, Rajshahi Division 7.3 per cent, Rangpur Division 5.5 per cent, Barishal Division 5.0 per cent, Mymensingh Division 4.1 per cent, and Sylhet Division 4.0 per cent.

    As barriers of reunification with their families, 36.3 per cent street children identified absence of family peace, 21.3 per cent parents’ unwillingness, 15.9 per cent absence of family formation, 11.9 per cent unfavourable family environment, 11.9 per cent non-compatibility to family, 11.4 per cent fear of torture/abuse, 11 per cent too much work, and 6.7 per cent social barriers, the BBS survey found.

    Meanwhile, 72 per cent street children do not want to go to rehabilitation centres, while the remaining 28 per cent do want.

    Among the major reasons behind their unwillingness to go to rehabilitation centres, 79.2 per cent street children described absence of enough freedom, 43.3 per cent disliked following rules and regulations there, 37.8 per cent felt that their own needs could not be met there, 34 per cent felt that they could not smoke there, and 31.9 per cent felt that they could not move with their friends freely from one place to another.

    Some 66.8 per cent street children have plan to change their street life through better job/work, 27.9 per cent want to attend school, 27.2 per cent are unsure of type of work, 23 per cent want to try developing small businesses, 13.7 per cent want to return home, and 10.5 per cent have no specific plan, the BBS survey found.

    Meanwhile, 92.1 per cent of the street boys are engaged with some activities, while 84.5 per cent street girls were occupied somewhere.

    The BBS survey found that 78.7 per cent children suffer from fever, 41.4 per cent cough, 22.9 headache, 10.9 per cent waterborne diseases, 7.8 per cent skin diseases, 4.9 per cent intestinal diseases, and 3.7 per cent respiratory problems.

    According to the BBS survey, among the street boys, some 28.8 per cent have the habit of smoking, and 13.7 per cent have drug addiction.

    Among the girls, 4.6 per cent have the habit of smoking, and 4.4 per cent have drug addiction.

    Meanwhile, the BBS survey has not provided any data on the total number of street children in the country.

    The Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) survey showed that there were over 1.5 million street children in Bangladesh in 2015, suggesting that the number could rise to 1.6 million by 2024.

    =======
    পথশিশুদের ৬৪ শতাংশই পরিবারে ফিরতে চায় না: জরিপ

    ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পথশিশুদের ৬৪ শতাংশই পরিবারে ফিরতে চায় না; কারণ হিসেবে পারিবারিক অশান্তি এবং পরিবার গ্রহণ না করা ও জায়গা না থাকার বিষয়গুলো উঠে এসেছে এক জরিপে।

    দেশের এসব শিশুদের প্রায় ৩৮ শতাংশই দরিদ্র্যতার কারণে পথশিশু হওয়ার তথ্যও দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত এ জরিপ।

    এতে অংশ নেওয়া শিশুদের ৭৯ শতাংশের বেশি স্বাধীনতা না থাকার কারণে পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন।

    অপরদিকে একটি অংশের পরিবার না থাকাও তাদের পথে পথে থাকার কারণ বলে তারা জানিয়েছে।

    সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘পথশিশু জরিপ ২০২২’ এর এসব ফলাফল তুলে ধরা হয়।

    জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় ঢাকার দুটিসহ নয় সিটি করপোরেশনে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ২০২২ সালের ৪ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি নগরীতে ৭২০ জন পথশিশুর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়।

    অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বাংলাদেশে ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট উপস্থিত ছিলেন।

    বিবিএস এর ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেল্থ উইংয়ের পরিচালক মাসুদ আলম জানান, যথাযথ জরিপ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রথম পর্যায়ে ০ থেকে ১৭ বছর বয়সী পথশিশুদের উপর কুইক কাউন্ট পরিচালনার মাধ্যমে স্যাম্পলিং ফ্রেম প্রণয়ন করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী পথশিশুদের উপর জরিপ পরিচালিত হয়।

    এর ফলাফল তুলে ধরে তিনি জানান, দেশের মোট পথশিশুর ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ দরিদ্রতার কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথেই আশ্রয় নিয়েছে। ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাবা-মা শহরে আসার কারণে এবং ১২ দশমিক ১ শতাংশ কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসে পথেই ঠাঁই পেয়েছে।

    তিনি জানান, জরিপে এসব পথশিশু আবার বাড়িতে ফিরতে চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ৬৪ শতাংশ বলেছেন, তারা আবার বাড়ি ফিরে যেতে চান না। কেন বাড়ি ফিরতে চান না এমন প্রশ্নের উত্তরে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ পথশিশু বলেছে, পরিবারে শান্তি না থাকায় তারা বাড়ি ফিরতে চান না।

    অপরদিকে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ বলেছে পিতা-মাতা গ্রহণ করবে না; ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ বলেছেন তাদের কোনও পরিবার নেই; ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বলেছে পরিবারের অসহযোগিতা এবং ১১ দশমিক ৯ শতাংশ বলেছে তারা পরিবারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারছে না।

    এছাড়া ১১ দশমিক ৪ শতাংশ শাস্তির ভয় এবং ১১ শতাংশ পথশিশু বাড়িতে অতিরিক্ত কাজ করতে হয় বলে আর পরিবারের কাছে ফিরতে চান না।

    তবে দেশে এখন মোট কত পথশিশু সেই সংখ্যা ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়নি।

    এ বিষয়ে বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, “এটা শুমারি ছিল না। তাই তাদের গণনায় আনা সম্ভব হয়নি।

    পরে অনুষ্ঠানের শেষে জরিপ পরিচালনায় সহায়তাকারী ইউনিসেফ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সবমিলে ১০ লাখের বেশি পথশিশু রয়েছে।

    জরিপের অন্যান্য তথ্য তুলে ধরে বিবিএস পরিচালক মাসুদ আলম বলেন, প্রতি পাঁচ পথশিশুর দুইজনই একা একা শহরে এসেছে। ১০ জন পথশিশুর তিনজন কখনই স্কুলে ভর্তি হয়নি। শুধু ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে আর খুবই কম সংখ্যক নিম্ন ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশুনা করেছে।

    জরিপে প্রায় চার ভাগের একভাগ পথশিশু ধূমপান করে এবং ১২ শতাংশ মাদকের নেশায় আসক্ত বলে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়।

    তথ্যে দেখা যায়, পথশিশুদের সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৪ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগ এবং সর্বনিম্ন ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সিলেট বিভাগ থেকে এসেছে।

    বতর্মানের পথশিশুদের মধ্যে ৮২ শতাংশ ছেলে এবং ১৮ শতাংশ মেয়ে শিশু রয়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী পথশিশু রয়েছে ৫৪ শতাংশ।

    দেশের মোট পথ শিশুর মধ্যে একজন মেয়ের বিপরীতে চারজন ছেলে শিশু। এদের গড় বয়স ১২ দশমিক ৩ বছর।

    জরিপের ফলাফলে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পথশিশু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ পথশিশু রয়েছে।

    পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জরিপের ফলাফলে পথ শিশুদের মোট সংখ্যা জানতে না পারার সমালোচনা করে আগামীতে তা তুলে আনার নির্দেশনা দেন।

    দেশের সব নাগরিক সমান সুবিধা ভোগ করবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নে এসব শিশুদের অভিগম্যতা পাওনা কিন্তু তারা পাচ্ছে না, এটা আমরা স্বীকার করছি।”

    পথশিশুদের ন্যায় বিচার না পাওয়ার উদাহরণ টেনে মান্নান বলেন, “এই জরিপে যেসব পথশিশুর কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে তাদেরকে সম্মানী দেওয়া হয়নি।

    “অথচ সম্মানী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এরকম সময় নিলে অবশ্যই তাদেরকে সম্মানী দেওয়া হত।”

    এসব পথশিশুর উন্নয়নের মূলস্রোতে আনতে প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

    অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, উন্নয়নের পেছনেও যে কান্না থাকে- আমাদের উন্নয়নের পেছনের কান্না এসব বঞ্চিত শিশু।

    “দেশে কাউকে পেছনে না রাখার দর্শন নিয়ে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন হচ্ছে, অথচ সেই উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসব পথশিশু নেই।”

    আগামী বছর থেকে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন শুরু হবে জানিয়ে তিনি সেই পরিকল্পনায় এসব পথশিশুর উন্নয়ন অন্তর্ভূক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    ইউনিসেফ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পথশিশুকে প্রশিক্ষণ দিলে তারা জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সরকারকে পরামর্শ দেন তিনি। এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলে ইউনিসেফ সার্বিকভাবে সহযোগিতা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    https://twitter.com/urumurum/status/1645617249607352320

  7. মাসুদ করিম - ১৩ এপ্রিল ২০২৩ (৫:০৩ অপরাহ্ণ)

    Before I learnt about his phenomenal contributions during the Liberation War of Bangladesh in great detail, I had the privilege of knowing him through his book. By any standard, Dr Zafrullah Chowdhury’s “The Politics of Essential Drugs” (Zed Books 1995) was/is a seminal work. It exposed the role of global pharmaceutical companies and their death grip on the health sector of third world countries like Bangladesh. It is no wonder that Susan George (author of “How the Other Half Dies”) wrote the book’s foreword! In his final years, through his petty party political affiliations, he betrayed the very spirit of 1971 for which he was once hailed a hero. Today, of all days, I choose to remember him as the freedom fighter he once was, for that seminal book, for his contribution in shaping BD’s drug policy, and for his life-long contribution to the development sector. Let history be the judge of his misguided politics. May he rest in peace.

    — Rayhan Rashid

  8. মাসুদ করিম - ২২ এপ্রিল ২০২৩ (২:০০ অপরাহ্ণ)

    এই ঈদে মারুফার অন্যরকম অনুভূতি
    https://www.banglatribune.com/sport/cricket/795593/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%A4%E0%A6%BF

    চার ছেলেমেয়ে নিয়ে কৃষক বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লার সংগ্রামী জীবন। সন্তানদের ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে পরিশ্রম বেশিই হয়ে যাচ্ছিল তার। এমন অবস্থায় ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখাও ‘পাপ’ ছিল মারুফা আক্তারের জন্য! তবুও থেমে যাননি। সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে একটু একটু করে ওপরে উঠছেন, পরিবারেও এনেছেন স্বচ্ছলতা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ তো বটেই, ১৮ বছরেই সিনিয়রদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে। গত বছর ডিসেম্বরে অভিষেক হওয়ার পর তিনটি ওয়ানডে ও ছয়টি টি-টোয়েন্টিও খেলে ফেলেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন লম্বা সময় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার।

    ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত হয়েছিল মারুফার জীবন যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন, ‘ক্রিকেট-স্বপ্ন ‘নিষিদ্ধ’ জেনেও ক্রিকেটেই মারুফার বসবাস’। এই নিউজে উঠে এসেছিল মারুফার কঠিন জীবন যাপন। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নজরে আসার পরই মূলত তার ভাগ্য বদল শুরু হয়। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দল ছাড়া ডানহাতি এই পেসার সুযোগ পেয়ে যান সিনিয়রদের জাতীয় দলে। অথচ সৈয়দপুর-নীলফামারী সড়কের সঙ্গে লাগোয়া ঢেলাপীর হাঁটের পাশের গ্রামের মেয়ে মারুফার কল্পনাতেও ছিল না এতকিছু। প্রায় আড়াই বছর পর এসে তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না যে তার অর্জনের তালিকা বেশ বড়।

    বাংলা ট্রিবিউনের সাথে আলাপকালে মারুফা বলেছেন, ‘অনেকে শুনেই বলে ওই জায়গার মানুষ কীভাবে ক্রিকেটার হলো। ওখানকার মানুষ তো সহজে খেলাধুলায় এগুতেই পারে না। আমার উঠে আসাটা অনেকের কাছেই বিস্ময়ের। আমি এখানে (জাতীয় পর্যায়ে) আসার পর অনেক মেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। এগুলো মাঝেমধ্যে ভাবলে ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে এসব আমার জন্য অনুপ্রেরণা। আমার কাছে অনেকে জানতে চায় কীভাবে সম্ভব হলো, আমার উত্তর নিজের ওপর বিশ্বাস আর জেদ থাকলেই সব সম্ভব।’

    আড়াই বছর আগে ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় মারুফা তার বাবাকে কৃষি জমি তৈরিতে সাহায্য করেছেন। সাধারণত ট্রাক্টর কিংবা হাল দিয়ে জমি চাষাবাদের উপযোগী করা হয়। কিন্তু নিজেদের গরু কিংবা মহিষ নেই, ফলে কিছুই করার ছিল না মারুফার পরিবারের। এ অবস্থায় বাবার সঙ্গে ক্ষেতে নেমে পড়েন মারুফা। সব শক্তি দিয়ে কাদায় মাখামাখি হয়ে মই টেনে জমি সমান করার কাজ করেন। ফেসবুকে এমন ছবি দেখে অনেকেরই মন খারাপ হয়, মারুফার জন্য মন কেঁদে ওঠে।

    পুরোনো সেই দিনের কথা মনে এলে মারুফা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন। কিছুক্ষণ চুপ থেকে তার উত্তর, ‘আর্থিক কষ্ট তো ছিলই। দুই বেলা ঠিকঠাক ভাত খেতে হয়তো পারতাম, কিন্তু স্বচ্ছলতা বলতে আমাদের কিছুই ছিল না। তবে আমি আগেও সন্তুষ্ট ছিলাম, এখনও আছি। একবারে তো মানুষ সব কিছু পায় না। একটু একটু করে মানুষ এগিয়ে যায়। আস্তে আস্তে মানুষের জীবন বদলায়। আমার জীবনটাও আস্তে আস্তে বদলাচ্ছে। সব কিছু পায় ধীরে ধীরে। আমি খুব বেশি না হলেও এখন আয় করছি। পরিবারে অবদান রাখতে পারছি। মেয়ে হয়েও বাবার হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারছি, এখন ভাবতে ভালোই লাগে।’

    মারুফার জীবনে ঈদ এর আগেও এসেছে। তবে এবারের মতো আনন্দ অন্য সময়ে কখনোই লাগেনি। জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর এবারই তার প্রথম ঈদ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে এবারের ঈদ মারুফার জন্য বিশেষ, ‘আলাদা বলতে গেলে, যখন খেলাধুলায় ছিলাম না তখন বাবার কষ্ট হলেও ঈদের কাপড় কিনে দিতো। সেটা নিয়েই অন্যরকম খুশিতে থাকতাম। এবার বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন অনেকের জন্যই উপহার কিনেছি। আমার জন্য তো এটা বিশেষ অনুভূতির ব্যাপারই।’

    বাবা-মাকে কিছু কিনে দেওয়ার মাঝে মারুফা তৃপ্তি খুঁজে পান। এর আগেও সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের কিছু না কিছু কিনে দিয়েছেন। বাবা-মাকে কিছু দেওয়ার পর তাদের চোখ-মুখের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তি খুঁজে পান মারুফা, ‘বাবা-মায়ের জন্য এটা অবশ্যই খুশির। তাদের ছোট মেয়ে (কিছু) দিচ্ছে, নিশ্চয়ই অন্যরকম ভালো লাগার ব্যাপার।’

    করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পর ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বাজিমাত করেছেন মারুফা। ডানহাতি এই পেসার বিকেএসপির হয়ে ১১ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৩.২১ রান দিয়ে নেন ২৩ উইকেটও। যার মধ্যে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নেওয়ার নজির রেখেছেন। এরপর গত বছরের আগস্টে সিলেটে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের জাতীয় লিগে দেখান আরও বড় চমক। ২.৭৬ ইকোনমিতে বোলিং করে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিকারি। সিলেট বিভাগের শিরোপা জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও। চমক জাগানিয়া এই পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে সুযোগ চলে আসে তার।

    যদিও এই মুহূর্তে কিছুটা মন খারাপ মারুফার। আসন্ন শীলঙ্কা সফরের দলে সুযোগ পাননি তিনি। বেশ কিছু অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদেরও বাদ দেওয়া হয়ে সিরিজ থেকে। পাশাপাশি নতুন কিছু মুখও নেওয়া হয়েছে লঙ্কা সফরের দলে। ১৮ বছর বয়সী মারুফার বদলে হয়তো অন্য কাউকে পরখ করতেই নির্বাচকদের এমন চিন্তা!

    এদিকে ক্রিকেট নিয়ে মারুফার স্বপ্নটা আকাশের সমান বড়। জাতীয় দলের হয়ে লম্বা সময় দেশকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আইপিএল ও বিগ ব্যাশে খেলার স্বপ্ন দেখেন মারুফা, ‘আমার স্বপ্ন অনেক দূরে যাওয়া, লম্বা সময় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। আমি অধিনায়কের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি আইপিএল খেলবো, বিগ ব্যাশ খেলবো, বাইরের লিগগুলো খেলবো।’

    দলের সবচেয়ে জুনিয়র ক্রিকেটার মারুফা। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিসহ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বরাবরই সহযোগিতা পেয়ে আসছেন তিনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মারুফাকে পাশে বসিয়ে দোভাষীর ভূমিকাতে দেখা গিয়েছিল জ্যোতিকে। সিনিয়রদের এমন ভালোবাসায় অনুপ্রেরণা খুঁজে পান জাতীয় দলের ছোট্ট এই পেসার, ‘সিনিয়র আপুরা প্রত্যেকেই আমাকে অনেক আদর করে, বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি ভুল করলে ওনারা আমাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন, না পারলে শিখিয়ে দেন।’

  9. মাসুদ করিম - ২৩ এপ্রিল ২০২৩ (৫:২০ পূর্বাহ্ণ)

    সিনেমা আমদানি: অনুমতি হয়েছে, এখন নীতিমালা চান হল মালিকরা
    https://bangla.bdnews24.com/glitz/21ju30iwxb

    প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা বলছেন, ‘ফ্লপ’ সিনেমা এনে ১০টির কোটা পূরণ হয়ে গেলে লাভ কিছুই হবে না।

    প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের চাওয়া পূরণ হয়েছে, সরকার ভারতীয় সিনেমা দেশে দেখানোর অনুমতি দিয়েছে। তারা এখন বলছেন, সাফটা চুক্তির আওতায় সিনেমা আমদানির একটি নীতিমালা প্রয়োজন।

    বর্তমানে দেশে সিনেমা যেখানে এক কোটি টাকা ব্যবসা করতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ভারতীয় ‘ভালো’ সিনেমা অনায়াসেই ১০ কোটি টাকা ব্যবসা করতে পারবে বলে আশায় ভর করেছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস।

    তিনি গ্লিটজকে বলেন, “এখন আমাদের দেশের একটা ভালো সিনেমাও এক কোটি টাকা ব্যবসা করতে পারে কি না সন্দেহ। সেই বাজারই নাই। গত বছর দুইটা সিনেমা কোটির ঘরে ব্যবসা করেছে।”

    তার ভাষ্য, ভারতীয় সিনেমা এলে দর্শক হলে ফিরবে, তাতে হলের পেছনে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন হল মালিকরা, তাতে হলের পরিবেশ উন্নত হবে।

    সুদীপ্ত বলেন, “সিনেমা হল বেহাল হওয়ার ফলে দর্শক হলে যায় না। দীর্ঘদিন হলে না যাওয়ায় অনভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে। ফলে সিনেমা বাজার বড় হচ্ছে না।

    “বছরে ১০টি ভালো সিনেমা মুক্তি পেলে হলগুলো নতুন করে জেগে উঠবে। লগ্নিকৃত অর্থ উঠে এলে হল মালিকরা আরও বেশি অর্থ লগ্নি করবে। হলের পরিবেশ উন্নত হবে। নতুন নতুন হল তৈরি হবে। দর্শকের হলে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে।”

    এসব হয়ে গেলে একটা ভালো সিনেমা অনায়াসে ১০ কোটি টাকা ব্যবসা করবে বলে বলে দাবি করেন তিনি।

    ঢাকার কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসের মালিক মির্জা আব্দুল খালেকও মনে করেন, বছরে ১০টা ব্যবসা সফল সিনেমা আমদানি হলে প্রেক্ষাগৃহের চিত্র পাল্টে যাবে।

    তিনি বলেন, “বছরে ১০টা বিদেশি ছবি ভালো ব্যবসা করলে আমাদের নিজস্ব ছবির জন্য নানা ধরনের কাজ করা সম্ভব।”

    ‘সঠিকভাবে’ যেন বছরে ১০টা সিনেমা আসতে পারে সেটাই এখন হল মালিকদের ভাবনা, বলে প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের নেতা সুদীপ্ত।

    তিনি বলেন, “যেহেতু বছরে মাত্র ১০টা ছবি আনা যাবে, এই ১০টা যেন ব্যবসা সফল ছবি আসে, সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের যেমন ভূমিকা আছে, মন্ত্রণালয়ের আমদানি-রপ্তানি কমিটিরও ভূমিকা রাখতে হবে।”

    তিনি বলেন, “কেউ যদি যেমন-তেমন ছবি নিয়ে আসে, দর্শক তো হলে সে ছবি দেখতে যাবে না। পরে দেখা যাবে ১০ ছবির কোঠা পূরণ হয়ে গেলে ভালো ছবিও আনা যাচ্ছে না। আমরা এটা নিয়েই ভাবছি।”

    সরকার ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের সমন্বয়ে এই বিষয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

    লায়ন সিনেমাসের মালিক আব্দুল খালেকও নীতিমালার উপর জোর দিয়ে বলেন, “এতদিন আমরা সংশয়ে ছিলাম অনুমতি পাব কী পাব না। যেহেতু অনুমতি পেয়ে গেছি, এখন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে আমাদের একটা নীতিমালা করতে হবে। না হলে সিনেমার বাইরের মানুষজন এসে ব্যবসাটাকে নষ্ট করে দেবে।”

    মে মাসেই হলে আসছে পাঠান

    শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোন-জন আব্রাহাম অভিনীত ব্যবসাসফল বলিউড সিনেমা পাঠান বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেতে পারে মে মাসের শুরুর দিকে।

    সিনেমাটির আমদানিকারক ও চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন গ্লিটজকে বলেন, “পাঁচটি শর্তে উপমহাদেশীয় ছবি মুক্তির অনুমতি দিয়েছে সরকার। সব শর্ত মেনে পাঠান আসবে। মে মাসের শুরুর দিকে মুক্তির পরিকল্পনা করছি।”

    হল মালিক ও প্রদর্শকরা সাফটা চুক্তির আওতায় উপমহাদেশীয় সিনেমা তথা ভারতীয় হিন্দি সিনেমা মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই।

    তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই ভাগ হয়ে যান চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। একদল মনে করেন, ভারতীয় সিনেমা এলে দেশের সিনেমা হলের ব্যবসা চাঙা হবে। আরেক দল মনে করেন, এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশীয় সিনেমা।

    তবে সম্প্রতি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর মধ্যে আমদানির পাল্লা ভারী হলে উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়ে ১১ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    মন্ত্রণালয় পাঁচটি শর্তে বছরে ১০টি উপমহাদেশীয় সিনেমা আমদানির অনুমতি দেয়।

    শুধু বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশকরা উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির সুযোগ পাবেন।

    উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু দুই বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে।

    প্রথম বছর ১০টি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করতে পারবে। বছরে ১০টি করে উপমহাদেশীয় সিনেমা মুক্তি পাবে বাংলাদেশে।

    আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে।

    বাংলাদেশ ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আজহা ও দুর্গাপূজার সপ্তাহে উপমহাদেশীয় ভাষার কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।

    https://twitter.com/urumurum/status/1649988199387926528

  10. মাসুদ করিম - ২৪ এপ্রিল ২০২৩ (৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    চলে গেলেন প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য
    https://bangla.bdnews24.com/politics/z1qgjqcbfw

    হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ঈদের দিন থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

    প্রবীন রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য আর নেই।

    ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ।

    মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

    প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের মরদেহ রাতে শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে বলে জানান সাঈদ।

    তিনি বলেন, ‘‘ আমরা সোমবার সকাল ১০টায় হেলথ অ্যান্ড হোপ হসপিটালে বসব। এরপর গণমাধ্যমকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”

    প্রবীণ রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য বেশ কিছু দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন। সবশেষ নিউমোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে ঢাকার পান্থপথের ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    এরপর ঈদের দিন শনিবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

    বামপন্থি আদর্শে বিশ্বাসী এ রাজনীতিকের জন্ম ১৯৩৯ সালের অগাস্টে চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া গ্রামে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।

    ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

    পঙ্কজ ভট্টাচার্য মুক্তিযুদ্ধে বাম দলের (ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিটিউনিস্ট পার্টি) গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন।

    ষাট দশকের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

    পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সঙ্গে প্রায় একই সময়ে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছাকাছি সেলেই তাকে রাখা হয়।

    স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    বাংলাদেশের সব আন্দোলন-রাজনৈতিক পালাবদলের প্রত্যক্ষদর্শী এই রাজনীতিবিদ ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।

    পরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন।

    ২০১০ সালে পঙ্কজ ভট্টচার্য ঐক্য ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন। সারাজীবন তিনি বাম রাজনীতির আদর্শ নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন।

    প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    রাজনীতির বাইরে তিনি একজন কৃতি ফুটবলার ছিলেন।

    এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় পঙ্কজ ভট্টচার্য এর আত্মজীবনীমূলক বই ‘আমার সেই সব দিন’ প্রকাশিত হয়।

    https://twitter.com/urumurum/status/1650347146980491266

  11. মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০২৩ (৪:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    Myanmar’s neighbours, some ASEAN members hold talks in secret
    https://today.thefinancialexpress.com.bd/world/myanmars-neighbours-some-asean-members-hold-talks-in-secret-1682521667

    Government and think-tank representatives from Myanmar and its neighbours, including India and China, held talks in New Delhi on Tuesday as part of a secretive effort to de-escalate a bloody crisis in the army-run Southeast Asian nation, two sources said.

    Myanmar was plunged into conflict and economic chaos in 2021 after its powerful military overthrew the elected civilian government of Nobel laureate Aung San Suu Kyi, triggering an armed resistance that it has sought to violently crush.

    The talks this week were the second in a “Track 1.5” dialogue that started in Thailand last month and came as frustration grows within the Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) bloc at the military’s failure to implement a peace plan it agreed to in April 2021.

    The sources, who asked not to be named and declined to identify the representatives because the process was confidential, said Myanmar, India, China, Thailand, Cambodia and Laos were present at Tuesday’s meeting, as was Indonesia, the current ASEAN chair.

    One of the sources said participants were interested in bringing into the process Myanmar’s shadow National Unity Government (NUG), an organisation affiliated with the resistance and declared “terrorists” by the junta.

    “They are wanting to talk to NUG at some point of time officially, because the NUG and the Myanmar army haven’t spoken officially at all,” said the source, who was briefed on the meeting. “These are the hopes that the participants have.”

    India and Thailand’s foreign ministries, the Chinese embassy in New Delhi and the NUG did not immediately respond to queries from Reuters, while a spokesperson Myanmar’s junta could not be reached. A spokesperson for Indonesia’s foreign ministry said he was not aware of the meeting.

    The meeting was hosted by an Indian think-tank and included discussion on all sides reducing violence, creating space for dialogue and the delivery of humanitarian aid, the second source said, adding the next meeting would be in Laos.

    “The neighbouring countries’ perspective needs to be taken into account,” said the source, “For them, the foremost priority is the de-escalation of the violence.”

    The junta has been shunned by Western countries but has stepped up engagement with Russia and recently hosted visitors from Thailand, including its military chief and the foreign minister.

    Retired diplomat Ban Ki-moon, who made multiple trips to Myanmar as United Nations chief, met the junta leader and its reformist former president on Monday and called for an immediate end to violence.

    ASEAN’s peace plan known as the five-point consensus, is the only official diplomatic process in play for Myanmar and includes halting hostilities and starting dialogue between all parties.

    ASEAN has barred the junta from attending until they implement the plan, which has infuriated the generals.

    https://twitter.com/MayWongCNA/status/1651145291775774720

    https://twitter.com/urumurum/status/1651427719224397824

  12. মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০২৩ (৫:২৯ পূর্বাহ্ণ)

    ‘Wealthy, middle-income countries to be dependent on migration from poor countries’
    World Bank’s World Development Report says
    https://thefinancialexpress.com.bd/economy/global/wealthy-middle-income-countries-to-be-dependent-on-migration-from-poor-countries

    Rapid aging of both wealthy and middle-income countries will make their economies increasingly dependent on migration from poorer countries, and the process needs to be better managed, the World Bank said on Tuesday.

    The bank’s latest World Development Report said that about 184 million people across the world now live in countries where they lack citizenship, 43 per cent in low- and middle-income countries. About 37 million of the total are refugees, a number that has tripled over the last decade, reports Reuters.

    Some countries face rapid declines of working-age adult populations, including Spain, where it is projected to shrink by more than a third by 2100, with those above age 65 increasing to nearly 40 per cent of the population from 20 per cent currently, the development lender said.

    Countries including Mexico, Thailand, Tunisia and Turkey may also soon need more foreign workers because their populations are no longer growing, while cross-border migration movements are already becoming more complex, with destination and origin countries spanning all income levels, according to the report.

    “Migration can be a powerful force for prosperity and development,” World Bank Senior Managing Director Axel van Trotsenburg said in a statement. “When managed properly, it provides benefits for all people – in origin and destination societies.”

    The report presents recommendations for policymakers, chiefly to better match migrants’ skills with needs in destination countries, while protecting refugees and reducing the need for distressed movements.

    Gains are larger for both destination countries and migrants when their skills match well with demands in destination countries. When the skills match is weak, the costs of hosting refugees should be shared multilaterally, it said.

    More difficult policy challenges arise when the skills match is weak and migrants are not refugees, often leading to deportation and putting pressure on transit countries. The report said stronger international development efforts were needed in origin countries to reduce the need for migration prompted by economic distress.

    The World Bank said origin countries should make labor migration an explicit part of their development strategy and work to lower the cost of remittances to families back home, facilitate knowledge transfers from their diasporas abroad, and build skills that are in demand globally.

    The bank said destination countries should encourage migration from populations where their skills are in high demand, adding that new financing instruments be developed multilaterally to help countries care for non-citizens in a predictable manner.

    https://twitter.com/febdonline/status/1651087873595043842

  13. মাসুদ করিম - ২৯ এপ্রিল ২০২৩ (৭:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    নিম্নবর্গের ইতিহাস সাধনার অন্যতম পথিকৃৎ রণজিৎ গুহের জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
    https://www.anandabazar.com/west-bengal/historian-ranajit-guha-passed-away/cid/1426085
    গত মার্চেই দীপেশ অস্ট্রিয়ায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। বয়সের ভারে ক্লান্ত হলেও আমৃত্যু জ্ঞানচর্চার পথই আঁকড়ে ছিলেন প্রবীণ ইতিহাসবিদ।

    আগামী ২৩ মে তাঁর ১০০ বছর পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সুহৃদ, ছাত্রেরা। তার ঠিক আগেই শুক্রবার সন্ধ্যায় নিম্নবর্গের ইতিহাস সাধনার অন্যতম পথিকৃৎ রণজিৎ গুহের জীবনাবসান ঘটল। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা উডসের বাসভবনে স্ত্রী মেখঠিল্ড এবং পরিচর্যাকারীরা শেষ সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন।

    ১৯৫৯-এ এ দেশ ছাড়ার পরে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তিনি অধ্যাপনা করেন। এ দেশ থেকে দূরে থাকলেও রণজিতের ছাতার নীচে দীপেশ চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে, শাহিদ আমিন, গৌতম ভদ্র, গায়ত্রী স্পিভাক চক্রবর্তী প্রমুখ নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন। ঔপনিবেশিক ভারতে কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে তাঁর আকর গ্রন্থে এ দেশের গণতান্ত্রিক বোধে কৃষকের ভূমিকা মেলে ধরেন রণজিৎ। গত মার্চেই দীপেশ অস্ট্রিয়ায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। বয়সের ভারে ক্লান্ত হলেও আমৃত্যু জ্ঞানচর্চার পথই আঁকড়ে ছিলেন প্রবীণ ইতিহাসবিদ।

    তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রবাদপ্রতিম ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহর মৃত্যুতে আমি আমার গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। অস্ট্রিয়ায় তাঁর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। রণজিৎ গুহ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সূদূরপ্রসারী কাজ করেছেন। তিনি নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার ধারা গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু সমমনোভাবাপন্ন তরুণ ঐতিহাসিককে নিয়ে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। এই নিম্নবর্গীয় ইতিহাস চর্চার প্রভাব পড়ে সারা পৃথিবীতে।ঐতিহাসিক গুহ পৃথিবীর নানা জায়গায় পড়িয়েছেন, নানা জায়গায় তাঁর ছাত্র ও অনুরাগীরা আছে। ঐতিহাসিক গুহর প্রয়াণে জ্ঞানচর্চার পৃথিবীতে অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি রণজিৎ গুহর স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহ-সহ তাঁর সকল আত্মীয় পরিজন, ছাত্রছাত্রী ও অনুরাগীদের সকলকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’

    https://twitter.com/urumurum/status/1652196880527556608

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.