মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
২ comments
মাসুদ করিম - ১ জানুয়ারি ২০২৩ (৭:০৯ পূর্বাহ্ণ)
মে ২০১০-এ এখানে লিখেছিলাম
// মাসুদ করিম – ৫ মে ২০১০ (১০:৩০ অপরাহ্ণ)
কয়েক দিন আগে পটিয়ার বড়উঠানে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটছিলাম। এখানেই কোরিয়ান ইপিজেড নামে ইয়ংওয়ানের প্রায় ৫০০ একর জমি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জন্য নেয়া আছে। কিন্তু ১৪/১৫ বছর ধরে শুনলেও এখনো বাস্তবে এর কিছুই আমরা দেখতে পাইনি। কেন কিছু হচ্ছে না তাও আমরা জানি না। আর এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন এখন আর ততো কাজের কিছুও নয়। ভাবছিলাম এরকম জায়গায় সরকারি, বেসরকারি বা হালের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিতে ‘সৌরবিদ্যুৎ’ প্রকল্পও তো হতে পারে। এমন একটি প্রকল্পের কথা শুনেছিলাম কয়েক বছর আগে কলকাতায়, পুরুলিয়ায় সৌরশক্তির পার্ক হবে, যদিও এর সম্বন্ধে এখনো বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি, কিন্তু আজকে গণশক্তিতে এ ব্যাপারে একটা খবর পেলাম। পশ্চিমবাংলায় সৌরশক্তিকে ঘিরে অনেক কাজ হচ্ছে, একই ভাষার কারণে আমরা কিন্তু খুব সহজেই এখানে প্রযুক্তির আদানপ্রদান করে দক্ষিণ-পূর্ব উপমহাদেশে বেশ শক্তিশালী সৌরশক্তি বলয় গড়ে তুলতে পারি।//
আর ১২ বছর পর পড়ছি, এরকম একটি খবর।
দৈনিক ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে
https://dainikpurbokone.net/chattogram/323476/%e0%a6%a6%e0%a7%88%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a7%a7%e0%a7%a6-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%9f-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81/
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কোরিয়ান ইপিজেডে সবুজের এক সমারোহের মাঝখানেই কর্ম ব্যস্ততা তাদের। অন্য দশটি কারখানার মতো এখানে নেই কোনো পীড়াপীড়ি। প্রায় ২৬ হাজারেরও অধিক শ্রমিক-কর্মচারী নান্দনিক এই প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের নিজ-নিজ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে প্রতিদিন সকালে ছুটে চলেন সারিবদ্ধ কর্মজীবী নারীর দল। প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করে তারা প্রবেশ করেন কর্মক্ষেত্রে। এরই মাঝে নতুন যোগ হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে দেশের সবচেয়ে বড় এই সৌরবদি্যুৎ প্রকল্প কেন্দ্রটি চালু হয়েছে ইয়াংওয়ান করপোরেশনের কেইপিজেডে। এই পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রকল্পে উৎপাদিত হবে মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রতিটি কারখানা ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে, বর্তমানে এখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে দৈনিক ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্তি বিদ্যুৎ নেটমিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এই কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে চলে যাচ্ছে। আর ছুটির দিনে উৎপাদিত পুরোবিদ্যুৎ যুক্ত হয় জাতীয় গ্রিড লাইনে।
কেইপিজেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, সকল প্যানেল কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত উচ্চ মানসম্পন্ন হওয়ায় আমাদের কেন্দ্রটি অন্যতম সেরা একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বর্তমানে আমাদের চাহিদা ১০ থেকে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এখান থেকে দৈনিক প্রায় ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেটমিটারিং সিস্টেমের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছ। উল্লেখ্য, কেইপিজেডে বর্তমানে ৪০ টি বিশ্বমানের কারখানায় ফুটওয়্যার, রকমারি পোশাক শিল্প এবং টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।
মাসুদ করিম - ১ জানুয়ারি ২০২৩ (৫:৫৯ অপরাহ্ণ)
‘পেলে দেখিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষ হয়েও সাধারণ থাকা যায়’
https://bangla.bdnews24.com/sport/nysmm9cfuc
পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ হয়েও সাধারণ থাকতে হয় কীভাবে, পেলে থেকে এই শিক্ষা নিয়েছেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
ফুটবলের দুনিয়ায় পেলে কতখানি, তা নতুন করে হয়তো বলার কিছু নেই। অনেক আগেই সিংহাসনে বসেছেন তিনি। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ সেই চেষ্টাও করলেন না। ফুটবলের রাজার যে দিকটি তার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের একজন হয়ে নিজেকে কী সাধারণভাবেই না তুলে ধরতেন তিনি!
ক্লপের ভাষায়, এত খ্যাতি থাকার পরও সবার সঙ্গে খুব সাধারণভাবে মিশতে পারতেন তিনি, তার ছিল না কোনো অহংবোধ। ওপারে পাড়ি দেওয়া কিংবদন্তির এই দিকটিই বেশি ভালো লাগত ক্লপের।
ক্যান্সারের সঙ্গে লম্বা সময়ের লড়াইয়ে পর গত বৃহস্পতিবার ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার। বল পায়ে পেলে কতটা নিখুঁত, কার্যকর আর ভয়ঙ্কর ছিলেন, তা বোঝাতেই হয়তো ক্লপ বললেন, পেলের সামর্থ্যের ০.০১ শতাংশও তার নেই।
ফুটবলের জাদুকর পেলের পায়ের কারিকুরিতে মুগ্ধ ছিল সবাই। এই খেলায় তার স্কিল ছিল অবিশ্বাস্য। ফুটবলে ১০ নম্বর জার্সিটি তার ছোঁয়া পেয়েই হয়ে ওঠে বিশেষ।
ক্লপ বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, পেলের স্বাক্ষর করা একটি জার্সি আছে তার কাছে। জন্মদিনে উপহার পেয়েছিলেন। ২০০৬ বিশ্বকাপের সময় জার্মান গ্রেট ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার সেটা দিয়েছিলেন।
লিভারপুল কোচের কাছে, পেলেই সব সময়ের সেরা। “ভবিষ্যতে কেউ আমাকে যা-ই বলুক না কেন, পেলেই আমার কাছে সেরা। আমি এটা কখনও ভুলব না।”
“তারা দুই জনই (পেলে ও বেকেনবাওয়ার) দেখিয়েছেন যে, পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ হলেও পুরোপুরি সাধারণ একজন হিসেবে থাকা যায়। আর এই বিষয়টিই আমি বেশি ভালোবাসি, তাদের থেকে এটা আমি শিক্ষা হিসেবে নিয়েছি, যা আমি কখনও ভুলব না।”
আগামী সোম ও মঙ্গলবার হবে পেলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। প্রয়াত এই ফুটবলারের প্রতি সপ্তাহ জুড়ে সম্মান জানাবে লিগগুলো।
প্রিমিয়ার লিগ, ইংলিশ ফুটবল লিগ ও অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ লিগ জানিয়েছে, পেলেকে শ্রদ্ধা জানাতে ম্যাচের আগে এক মিনিট করতালি দেওয়া হবে। লা লিগা ও সেরি আ বলেছে, ম্যাচ শুরুর আগে তারা পালন করবে এক মিনিট নীরবতা।