সুপারিশকৃত লিন্ক সেপ্টেম্বর ২০২২

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৫ comments

  1. মাসুদ করিম - ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ (১০:১২ পূর্বাহ্ণ)

    তাইওয়ানে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বেচছে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষুব্ধ চীন
    https://bangla.bdnews24.com/world/webpf0wclq

    স্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে চীনের আগ্রাসী সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পেন্টাগন তাইপের জন্য অস্ত্রের নতুন এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

    জাহাজবিধ্বংসী ৬০টি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্রসহ তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের সম্ভাব্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে সায় দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

    তাইওয়ানে গত মাসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর স্বশাসিত দ্বীপটির চারপাশে চীনের আগ্রাসী সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার পেন্টাগন তাইপের জন্য অস্ত্রের নতুন এ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ।

    পেলোসিই কয়েক দশকের মধ্যে তাইওয়ান সফরে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদধারী রাজনীতিক।

    পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, তাইওয়ানে বিক্রি হতে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে সাইড উইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্র যা আকাশ থেকে আকাশে ও ভূমিতে আক্রমণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর খরচ ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলারের মতো।

    এর পাশাপাশি হারপুন জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং তাইওয়ানের নজরদারি রাডার প্রোগ্রামের সহায়তায় আনুমানিক ৬৬ কোটি ৫৪ ডলার খরচ পড়বে।

    সম্ভাব্য এই অস্ত্র বিক্রি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতিশীলতার মারাত্মক ক্ষতি করবে বলে সতর্ক করেছেন ওয়াশিংটনের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গিউ।

    “এমন পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় চীন আইনি ও যথাযথ পাল্টা ব্যবস্থা নেবে,” বলেছেন তিনি।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বলছে, তাইওয়ানের জন্য অস্ত্রের যে প্যাকেজ, তা অনেকদিন ধরেই বিবেচনায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই প্যাকেজ ঠিক হয়েছে।

    “তাইওয়ানের চারপাশে বিমান ও সমুদ্রে উপস্থিতির মাধ্যমে উত্তেজনা বৃদ্ধিসহ চীন তাইপের ওপর চাপ বাড়ানো অব্যাহত রাখায় এবং তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতাবস্থা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় আমরা তাইওয়ানের আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য যা দরকার, তা দিচ্ছি,” বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন হোয়াইট হাউসের চীন ও তাইওয়ান বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক লরা রোজেনবার্গার।

    গত মাসে রয়টার্স জানিয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ানকে নতুন উপকরণ দেওয়ার কথা ভাবলেও সেগুলো স্বশাসিত দ্বীপটির বর্তমান সামরিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং আগের ক্রয়াদেশই পূরণ করবে, নতুন সক্ষমতা তৈরি করবে না।

    পেন্টাগন বলেছে, শুক্রবার তাইওয়ানের জন্য যে উপকরণ ও সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা ওই অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনবে না।

    এর মাধ্যমে তাইওয়ান বিষয়ক নীতিতেও কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না, বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

    “সম্ভাব্য এই অস্ত্র বিক্রি সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণে তাইওয়ানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় সহায়তা এবং তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার নিয়মিত প্রক্রিয়া,” বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র।

    “তাইওয়ানের চারপাশে বিমান ও সমুদ্রে উপস্থিতির মাধ্যমে উত্তেজনা বৃদ্ধিসহ চীন তাইপের ওপর চাপ বাড়ানো অব্যাহত রাখায় এবং তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতাবস্থা পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় আমরা তাইওয়ানের আত্মরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য যা দরকার, তা দিচ্ছি,” বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন হোয়াইট হাউসের চীন ও তাইওয়ান বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক লরা রোজেনবার্গার।

    গত মাসে রয়টার্স জানিয়েছিল, বাইডেন প্রশাসন তাইওয়ানকে নতুন উপকরণ দেওয়ার কথা ভাবলেও সেগুলো স্বশাসিত দ্বীপটির বর্তমান সামরিক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং আগের ক্রয়াদেশই পূরণ করবে, নতুন সক্ষমতা তৈরি করবে না।

    পেন্টাগন বলেছে, শুক্রবার তাইওয়ানের জন্য যে উপকরণ ও সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা ওই অঞ্চলের মৌলিক সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনবে না।

    এর মাধ্যমে তাইওয়ান বিষয়ক নীতিতেও কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না, বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

    “সম্ভাব্য এই অস্ত্র বিক্রি সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণে তাইওয়ানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় সহায়তা এবং তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখার নিয়মিত প্রক্রিয়া,” বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র।

  2. মাসুদ করিম - ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ (৯:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    India soars ahead of UK to become world’s fifth biggest economy
    https://indianexpress.com/article/world/india-soars-ahead-of-uk-to-become-worlds-fifth-biggest-economy-8128055/

    Britain has dropped behind India to become the world’s sixth largest economy, delivering a further blow to the government in London as it grapples with a brutal cost-of-living shock.

    Britain has dropped behind India to become the world’s sixth largest economy, delivering a further blow to the government in London as it grapples with a brutal cost-of-living shock.

    The former British colony leaped past the UK in the final three months of 2021 to become the fifth-biggest economy. The calculation is based in US dollars, and India extended its lead in the first quarter, according to GDP figures from the International Monetary Fund.

    The UK’s decline down the international rankings is an unwelcome backdrop for the new prime minister. Conservative Party members choose Boris Johnson’s successor on Monday, with Foreign Secretary Liz Truss expected to beat former Chancellor of the Exchequer Rishi Sunak in the run-off.

    The winner will take over a nation facing the fastest inflation in four decades and rising risks of a recession that the Bank of England says may last well into 2024.

    By contrast, the Indian economy is forecast to grow more than 7% this year. A world-beating rebound in Indian stocks this quarter has just seen their weighting rise to the second spot in the MSCI Emerging Markets Index, trailing only China’s.

    On an adjusted basis and using the dollar exchange rate on the last day of the relevant quarter, the size of the Indian economy in “nominal” cash terms in the quarter through March was $854.7 billion. On the same basis, UK was $816 billion.

    The calculations were done using the IMF database and historic exchange rates on the Bloomberg terminal.

    The UK is likely to have fallen further since. UK GDP grew just 1% in cash terms in the second quarter and, after adjusting for inflation, shrank 0.1%. Sterling has also underperformed the dollar relative to the rupee, with the pound falling 8% against the Indian currency this year.

    The IMF’s own forecasts show India overtaking the UK in dollar terms on an annual basis this year, putting the Asian powerhouse behind just the US, China, Japan and Germany. A decade ago, India ranked 11th among the largest economies, while the UK was 5th.

    https://twitter.com/kaushikcbasu/status/1566111572824670208

  3. মাসুদ করিম - ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ (৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    As Hasina Visits India Ahead of Bangladesh Polls Next Year, Issues Old and New on the Agenda
    https://thewire.in/diplomacy/sheikh-hasina-india-visit-bangladesh-water-border-agenda
    The Bangladeshi PM’s visits to India are closely scrutinised in her country and there’s an expectation of concrete movement on topics like water sharing, along with an agreement on a long-term fuel supply.

    As Bangladeshi Prime Minister Sheikh Hasina begins her last state visit to India before elections next year, the expectation back home is that there will be some concrete movement on politically emotive topics like water sharing and border killings, along with the arrangement of a long-term fuel supply arrangement to combat rising energy prices.

    While she landed in New Delhi on Monday afternoon, the main takeaways of Sheikh Hasina’s third state visit will be unveiled after the formal meeting with Prime Minister Narendra Modi on Tuesday afternoon.

    With close relations with India being a leitmotif throughout her four terms as prime minister, it is not surprising that Hasina’s bilateral trips are scrutinised thread-bare in Bangladesh’s spirited polity and civil society. This time, the scrutiny of Dhaka’s gains from this relationship will be particularly intense, with general elections scheduled in 2023.

    Unlike South Block’s tradition of not publicly revealing any possible outcomes before a diplomatic visit, Bangladesh has already outlined the likely results. Speaking to reporters in Dhaka, Bangladeshi foreign minister A.K. Abdul Momen said on Sunday that at least seven agreements – in areas like water, railway, law, science and technology, information and broadcasting – are likely to be inked.

    Among them, the most important, politically, for the Bangladesh government will be the water-sharing agreement for the Kushiyara river, a distributary of the Barak river.

    As a lower-riparian that shares 54 rivers with India, water has always been a sensitive matter for Bangladeshis. Speaking to The Wire, former Bangladesh foreign secretary Shamsher M. Chowdhury explained that water was the number one emotive issue for the people of Bangladesh. “For us, water is life. It means everything to us… It is an issue that cuts across society,” he said.

    While the Teesta draft agreement remains in deep freeze since 2011, there has been a considerable effort on both sides to ensure Sheikh Hasina will return home with a bilateral water-sharing agreement, only the second in the last 50 years, in her bag.

    Last month, the Joint Rivers Commission met at the ministerial level after a gap of 12 years. The official readout noted that the text of the water-sharing agreement for the Kushiyara river had been finalised. Bangladeshi state minister for water resources, Zahid Farooque, who led the Bangladesh delegation, announced after the meeting that India had agreed to provide 153 cusecs of water from the Kushiyara river.

    “Progress should be made on rivers that have been under discussion for so many years. For a number of reasons, it is a primary issue… River water has a usage issue that can be done for mutual benefit. The climate issue is also linked to it. It has assumed a lot of significance due to recent developments in South Asia and also globally,” retired Bangladeshi diplomat ambassador M. Humayun Kabir told The Wire.

    Besides the Kushiyara river pacts, technical talks on having a framework for water sharing were widened to 15 rivers in total at the JRC meeting – a positive result that will help demonstrate more progress on the crucial water agenda to a domestic audience.

    Border killings, another emotive issue

    Alongside water, there is another topic related to India that generates an equal amount of emotion in Bangladesh. “Border killing (by Indian security personnel) is also very emotive. Both the leaders have to make sure that the commitments, particularly from the Indian side, are kept and reflected on the ground,” said Kabir.

    The last several joint statements have always included an understanding that border guards should “bring down such death of civilians to zero”. But, while the numbers have reduced in certain years, it has certainly not come down to zero, as per Bangladeshi civil society groups.

    According to the Bangladeshi human rights organisation Odhikar, at least 1253 have been allegedly killed at the border by Border Security Force between 2000 and 2021.

    The New Age newspaper, citing statistics from the Border Guards Bangladesh, reported that 161 Bangladeshis were killed by the Border Security Force (BSF) between January 2015 and June 2022.

    “How much one can decriminalise smuggling, something has to be done concretely to bring down border killing. It is an image question. The sight of one Felani hanging on the barbed wire burned every Bangladeshi’s heart for years,” said Chowdhury, who had headed Bangladesh’s foreign service from 2001 to 2005.

    The retired diplomat was referring to the 2011 killing of 15-year-old Felani, who was shot at the border by BSF personnel when she was attempting to return home to Bangladesh. The photograph of her dead body strung out at the border fence led to a massive outcry within Bangladesh.

    According to the head of India’s BSF, there has been a substantial reduction in killings, with all those shot being alleged “listed and notorious” criminals while crossing the border at night.

    A new crisis: Fuel

    While the water and border killings have been part of the discourse for a long time, Hasina is facing a new crisis due to the Ukraine war.

    In just one week, Bangladesh hiked fuel prices by over 50%, leading to rising public anger and resentment.

    With foreign currency reserves depleting, there was a worry that Bangladesh could go the Sri Lanka way. In July, after Sri Lanka and Pakistan, Bangladesh became the third South Asian country to seek a loan from the International Monetary Fund.

    However, Prime Minister Hasina dismissed the possibility of her country sharing Colombo’s fate, but anxieties persist.

    In the run-up to the current state visit, Bangladeshi media reported that Dhaka was looking to set up a long-term fuel supply arrangement with India.

    “So we will definitely try to enter a long-term agreement with them if they have a surplus. But it will depend on how much they have in excess. They have their own supply and demand thing,” Bangladesh foreign secretary Masud Bin Momen said on August 29.

    Bangladesh had indicated earlier that it would like to avoid the risks by importing cheaper Russian oil through the Indians, who have become one of Moscow’s largest buyers.

    At the pre-visit media conference on Sunday, Bangladeshi junior foreign minister Shahriar Alam dismissed plans to buy Russian oil through India, but added that a fuel supply arrangement was definitely on the table.

    There will also be discussions on Bangladesh’s plan to buy hydro-powered electricity from Nepal and Bhutan through the Indian electricity grid. Still, no tripartite agreement is likely to be signed.

    “Bangladesh is interested in diversifying its energy sources on a sustainable long-term basis, keeping the climate issue in mind,” said Kabir.

    The first-ever free trade agreement negotiations for Dhaka

    In the economic field, Hasina will also be able to showcase the launch of negotiations for a Comprehensive Economic Partnership Programme (CEPA) with India, which will be the first-ever experience in negotiating a free trade agreement for Dhaka.

    Bangladesh is India’s biggest trade partner in South Asia, with bilateral trade volume reaching $18 billion last year.

    With Bangladeshi imports reaching $2 billion, there has been a sharp increase in the presence of Bangladeshi goods in India. Chowdhury recounted that when he visited a Marks and Spencer showroom in Delhi malls, all the garment labels showed ‘made in Bangladesh’. “If you travel to Tripura, the shops are filled with Pran products,” he said.

    However, the trade deficit in favour of India continued to widen as Indian exports to Bangladesh also rose exponentially. However, the trade deficit has not been as much of an issue in recent years, as it often helps to keep the prices of essential commodities low in Bangladesh.

    At the same time, Bangladesh has a rising interest in tapping the market of India’s northeastern states through investment in the region, where a comprehensive free trade pact could be helpful.

    Better connectivity also on the agenda

    But, giving a fillip to trade ties requires better connectivity.

    For the last several years, India has been touting the resumption of rail links, the building of bridges and the opening up of the riverine route for transit traffic as crucial achievements in building connectivity infrastructure.

    However, there are still many loopholes left in using the existing infrastructure, crippled by inefficient processes at the border.

    A February 2022 post by World Bank’s regional director for South Asia Regional Integration and Engagement, Mandakini Kaul, recounted a visit to Integrated Check Posts at Petrapole on India’s side of the border with Bangladesh. It is South Asia’s largest land port, accounting for over one-third of land-based traffic between the two neighbours.

    While Petrapole can handle 750 trucks daily, it only clears only 370 trucks per day, as that’s the maximum capacity in Bangladesh’s Benapole. It results in a long line of trucks lined up for kilometres on either side of the border.

    Kaul wrote that a truck required an average of 138 hours for its shipment to cross the border at Petrapole. “By comparison, trucks need less than six hours to cross borders in other regions,” she observed.

    Kaul felt that the biggest hurdle to integration and trade was the unloading and reloading of goods in a new truck registered in the host country when crossing borders.

    Even people-to-people movement at the land border continues to be more of a waiting game. “Even with an Indian visa, if we have to wait at the border for six to seven hours as forms, probably from the British Raj era, are filled in and checked, then how can we talk about seamless connectivity? Why can’t we replicate the airport immigration systems at the land border?” asked Chowdhury.

    Incidentally, the Indian missions in Bangladesh grant the largest number of visas worldwide. In 2019, 13.63 lakh visas were issued before the numbers decreased drastically in the last two years due to the COVID-19 pandemic.

    Will soft ties continue to build?

    One of the two primary markers of the improved ties between India and Bangladesh after Hasina took over in 2009 has been close security ties and soft ties.

    Even as security cooperation has led to a sharp decline in insurgency activity in India’s northeast, Dhaka is also the second largest recipient of India’s grants and loans, after Bhutan.

    In 2011, India offered its biggest ever $1 billion line of credit to Bangladesh during Hasina’s visit. Since then, three other lines of credit have also been extended, bringing the total amount to $7.862 billion.

    However, the disbursement has only been around $1 billion, with contracts worth $2 billion signed.

    The slow pace of utilisation of the lines of credit has undoubtedly been a source of frustration, figuring in discussions in media ahead of the visit. “Not only has a small portion of the LOC commitment been utilised, but now both sides are thinking of dropping some of the projects. Apparently, it may soon be time for Bangladesh to pay back some of the interest even before the projects are completed. There is a lot of discussion going on about this,” said Ambassador Kabir.

    He conveyed that there was a general feeling in Dhaka that “India has taken more and Bangladesh has not gained that much”. “There has to be a balance in give and take.. this kind of feeling (of not gaining from the relationship) can be had even between countries with normal and friendly relations”.

    The Rohingya refugees

    While these bilateral issues will dominate discussions, Bangladesh is also likely to bring up the matter of the repatriation of the 1.1 million Rohingyas, who fled from Myanmar in 2017 after a massive security crackdown.

    While there had been initially some disappointment in Dhaka about India’s position, there is now an understanding that the main leverage on the military junta lies with China.

    “There is, of course, a genuine expectation in Bangladesh that the Rohingyas should return to Myanmar. India has some leverage and should exercise that leverage. But the bigger leverage (over the Myanmar government) is with some other country. They are absolutely not willing to put any pressure on Myanmar to take the Rohingyas back. Myanmar’s rigidity on Rohingyas is strictly because of the support they receive from their other, bigger friend,” said Chowdhury.

    Over the last weekend, there had been reports of Myanmar military aircraft crossing into Bangladeshi airspace and shells landing across the boundary. “While they don’t want to repatriate (Rohingyas), they should not create a sense of tension at the border… India does have that much with Myanmar to convey the concern and should use it,” proposed the former foreign secretary.

    At the same time, India’s policy towards Rohingyas had led to differences in perception, especially when cases came to light of refugees being ‘pushed back’ into Bangladeshi territory.

    “How can you push Rohingyas into Bangladesh? If you want to push them, push them into Myanmar, but not onto Bangladesh. What has Bangladesh to do with them?” asked Kabir. He also added that given the prevailing situation in Myanmar, it would be “inhumane” to deport Rohingya refugees.

    While calling for New Delhi to play a “big role” in persuading Myanmar to take back Rohingyas, Bangladesh’s prime minister also noted on Sunday that India could have accommodated more due to its immense size.

    “Well you know… for us, it’s a big burden. India is a vast country; you can accommodate, but you don’t have much. So well… we are consulting with the international community and also our neighbouring countries, they should also take some steps so that they can go back home,” Hasina told the Indian news agency ANI.

    https://twitter.com/thewire_in/status/1566805901562253312

  4. মাসুদ করিম - ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ (১১:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    Jean-Luc Godard died by assisted suicide, legal adviser confirms
    https://www.lemonde.fr/en/culture/article/2022/09/13/jean-luc-godard-died-by-assisted-suicide-confirms-legal-advisor_5996811_30.html
    Assisted suicide is authorized under certain conditions in Switzerland, where the Franco-Swiss director died ‘peacefully at home’ on Tuesday.

    Jean-Luc Godard, one of the most influential filmmakers of the 20th century, died “peacefully at home” on Tuesday aged 91. His family’s legal advisor later confirmed he died by assisted suicide.

    “Godard had recourse to legal assistance in Switzerland for a voluntary departure as he was stricken with ‘multiple invalidating illnesses’, according to the medical report,” said Patrick Jeanneret, confirming a report published by the newspaper Libération.

    In Switzerland, there are different forms of euthanasia, such as passive euthanasia and assisted suicide. The latter, not specifically regulated but authorized under certain conditions, is the best-known practice.
    In principle, any person “incited by selfish motives” who assists someone’s suicide – for example by providing a lethal substance – is punishable by a custodial sentence of up to five years or a monetary penalty. However, organizations provide assistance to suicide within the framework of the law as long as they cannot be accused of “selfish motives”.

    The practice is thus governed by medical codes of ethics and supported by organizations. The largest of these, Exit, accompanied nearly 1,400 people to death in 2021.

    Assisted suicides have increased annually in recent years in Switzerland, from 187 cases per year in 2003 to 965 in 2015, according to the Federal Statistical Office. After a slight decrease in 2016, they have since started to rise again.
    Private funeral

    “No official (funeral) ceremony will take place,” his family said. “He will be cremated… And it really must happen in private.”

    Godard has lived as a virtual recluse for decades in the Swiss village of Rolle. It was there that he died “peacefully at home”, his wife Anne-Marie Mieville at his side, his producers said.

    French President Emmanuel Macron hailed the director’s talent and mourned the loss of a “national treasure”. “Jean-Luc Godard, the most iconoclastic filmmaker of the New Wave, invented a resolutely modern, intensely free art. We have lost a national treasure, a genius,” Mr. Macron tweeted.

    Godard’s house, with green shutters and a green bench out front, looked empty on Tuesday, its shades drawn, with an abandoned ashtray and teapot on the windowsill, according to an Agence France Presse reporter.

    Despite the filmmaker’s often difficult relationship with critics, The Guardian’s Peter Bradshaw heaped praise on Godard, saying, “The last great 20th-century modernist is dead”. He compared him to other 1960s rebels like John Lennon and Che Guevara. “Or maybe Godard was the medium’s Socrates, believing that an unexamined cinema was not worth having,” he added.

    Guy Lodge, of the screen bible Variety, tweeted that it was “glib to say ‘he changed everything,’ but he sure changed a hell of a lot of things”.

    Indeed, Godard became a “god” to many 1960s political and artistic radicals who would hang on every word of his often contradictory – and tongue-in-cheek – declarations on the state of cinema and the world.

    https://twitter.com/GuyLodge/status/1569605360427597824

  5. মাসুদ করিম - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ (৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    উদ্বেগের মধ্যে আশা ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন’
    https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/7bmfunh6o9

    দেশের কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার পর আবার প্রাকৃতিকভাবেই ভরে উঠছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে, যদিও সব এলাকার চিত্র এমন নয়।

    দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার উদ্বেগের মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছেন একদল বিশেষজ্ঞ।

    তারা বলছেন, বঙ্গীয় অববাহিকা সংলগ্ন এলাকায় কৃষিকাজের জন্য যে পরিমাণ পানি মাটির নিচ থেকে তোলা হয়, তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই।

    আর যেসব এলাকায় তা পূরণ হচ্ছে না, সেসব এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে পানিসম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

    ভূ-গর্ভস্থ পানি নিয়ে ১৯৭৫ সালে এক গবেষণায় রজার রিভেল ও ভি লক্ষ্মীনারায়ণ দেখিয়েছিলেন, গঙ্গা অববাহিকার আশেপাশের এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে সেচের জন্য পানি উত্তোলন করায় ভূ-গর্ভের পানির স্তর নেমে যায়। তবে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি খাড়াভাবে মাটির মধ্য দিয়ে নামার ফলে সেই ফাঁকা স্থান পূরণ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে তারা নাম দেন ‘গঙ্গা ওয়াটার মেশিন’।

    এখন বঙ্গীয় অববাহিকা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আরেকদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, নদীর পাশাপাশি ভূ-উপরিস্থ অন্যান্য উৎস যেমন পুকুর, খাল, মৌসুমী নদী, নালার পানি মাটি হয়ে ভূ-গর্ভের পানিস্তরের শূন্যতা পূরণ করে চলেছে, যেই প্রক্রিয়াকে তারা নাম দিয়েছেন ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন (বিডব্লিউএম)’। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার কারণে কৃষকরা খরা মৌসুমে গভীর ও অগভীর নলকূপ ব্যবহার করে জমিতে সেচ দিলেও দেশের উল্লেখযোগ্য অংশে ভূ-গর্ভস্থ পানির ফাঁকা স্তর ভরাট হচ্ছে দ্রুতই।

    গবেষকরা বলছেন, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১২৫০টি অগভীর পর্যবেক্ষণ কূপের মধ্যে তারা ৪৬৫টি কূপের চার দশকের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেছেন। গবেষণায় নির্বাচিত কূপের এক-তৃতীয়াংশেই (১৫৩টি) বিডব্লিউএমের অস্তিত্ব বা স্বস্তিদায়ক ফল মিলেছে।

    বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’-এ গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ‘দ্য বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন : কোয়াইন্টিফাইড ফ্রেশওয়াটার ক্যাপচার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের তিন গবেষক- মোহাম্মদ শামসুদ্দুহা, রিচার্ড ডি টেলর, এম ইজাজুল হক; বুয়েটের সারা নওরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক আনোয়ার জাহিদ যৌথভাবে এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন।

    ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, গবেষণালব্ধ তথ্যে সাধারণভাবে বলা যায়- দেশের কয়েকটি অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় শুষ্ক মৌসুমে তুলে নেওয়া ভূগর্ভস্থ পানি বর্ষায় পূরণ হয়ে যায়।

    তবে পুরো দেশের চিত্র এক না হওয়ায় সতর্কও করেছেন তিনি। তার কথায়, “কোনো কোনো জায়গা আছে, সেখানে ভূগর্ভস্থ যে পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হয়েছে, তা বর্ষা মৌসুমে পুরোটাই ভরে যায়, অর্থাৎ আগের ওয়াটার লেভেলে পৌঁছে যায়।

    “কিছু কিছু জায়গা আছে, যেখানে অনেক বেশি পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেখানে পানির স্তর আর পূরণ হচ্ছে না। এটা এলার্মিং। যেসব জায়গায় ভরে যাচ্ছে, যতদিন পর্যন্ত ভরে যাবে, সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবহার করা যাবে।”

    ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিনে’ আশীর্বাদ

    বঙ্গীয় অববাহিকার আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় স্বাভাবিক বন্যা, বৃষ্টিপাত ও ভূতাত্ত্বিকগত কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানি নিয়ে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে গবেষকরা জানাচ্ছেন, তারা ১৯৭৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ কূপের প্রতি মাসের তথ্য-উপাত্ত পর্যোলোচনা করে সেসব এলাকায় ভূগর্ভে পানি রিচার্জ হওয়ার তথ্য পেয়েছেন।

    পানি রিচার্জ

    দেশে মূলত বৃষ্টি ও বন্যার পানি খাড়াভাবে মাটির মধ্য দিয়ে (পারকোলেশন বা অনুস্রবণ) ভূগর্ভে প্রবেশ করে ও তার ফলে সেখানে রিচার্জ (পুনঃসঞ্চারণ) ঘটে থাকে। তবে বরেন্দ্র অঞ্চলে এই রিচার্জ ঘটে প্রধানত বৃষ্টির মাধ্যমে; কিন্তু সেখানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে পানির স্তর আর পূরণ হচ্ছে না।

    মাটির গঠন, প্রকৃতি ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থান ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পূরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে জানিয়ে ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, “গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ মানে পানি উত্তোলনের পর ভূগর্ভস্থ পানিস্তর রি-কাভার হয়ে যাওয়া, পূর্বাবস্থা ফিরে যাওয়া। এটা একটা শ্যালো অ্যাকুইফার। বন্যা, বৃষ্টির পানি ইনফিলট্রেশন হয়ে যাচ্ছে।“

    দেশজুড়ে ১৬ লাখেরও বেশি অগভীর-গভীর সেচ নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অগভীর রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ, গভীর রয়েছে ২৫ হাজারের মতো (সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে); যেসব দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়।

    বর্ষা মৌসুমে শহরাঞ্চল ও ঢাকা ছাড়া সবখানে পাম্প বন্ধ থাকে। তখন পানি উত্তোলন হয় না, মাটি দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ভরে ওঠে।

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও খাদ্য নিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে অন্তত কিছু জায়গায় পানির স্তর প্রতি বছর রিচার্জ হওয়াকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে দেখছেন গবেষকরা। যদিও এই রিচার্জ আগে যেখানে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হতো, সেখানে এখন সময় লাগছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর পর্যন্ত। অর্থাৎ আগের চাইতে ২ মাসের মতো সময় লাগছে বেশি।

    বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. সারা নওরীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ গবেষণায় আমরা কিছু সতর্কতা রেখেছি- পানিস্তর স্বাভাবিকতায় ফিরে আসার এ চিত্র পুরো দেশের নয়; বাছাইকৃত অনুকূল পরিবেশবান্ধব বেশ কিছু এলাকার জন্য প্রযোজ্য।

    “মনে রাখা জরুরি, যেসব নদের আশপাশের এলাকা প্রতিনিয়ত স্বাভাবিক নিয়মেই বন্যায় প্লাবিত হয় অথবা বৃষ্টিপাতও থাকে স্বাভাবিক বা প্রচুর এবং (হলসিন টাইপ) মাটির গঠন এমন অনুকূল যে, সহজেই অগভীর জলাধারগুলো ভরে যায়; শুধুমাত্র সেসব জায়গায় অগভীর স্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের এরূপ সুফল ভোগ করা সম্ভব।”

    কৃষিনির্ভর এ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কথা বিবেচনা করে ‘স্বস্তিদায়ক’ এলাকায় নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এ ধরনের গবেষণা আরও বড় পরিসরে করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

    কোন এলাকায় স্বস্তি, কোথায় ঝুঁকি

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূগর্ভস্থ পানি বিশেষজ্ঞ ড. আনোয়ার জাহিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নীলফামারীর দিকে শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হলেও যখন তেমন পানি তোলা হয় না, সেই বর্ষা মৌসুমে পানির স্তর ভরে যায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

    “আমরা দেখেছি- প্রতিবছর নীলফামারীর দিকে ৪ মিটারের বেশি পানির স্তর নেমে যায়। টাঙ্গাইলের দিকে ১০ মিটারের বেশি নেমে যায়। এসব এলাকায় ৩-১০ মিটার নেমে যায় ওই সময়। পরে রিকভার হয়ে ভরে আগের লেভেলে চলে আসে। ঢাকাতে ৮২ মিটারের নিচে নেমে গেছে। এটা আর ভরে না, প্রতিবছর আরও নেমে যাচ্ছে।”

    ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন’ এলাকায় প্রতি বছর পানির স্তর সাধারণত ৪-১২ মিটার নামে উল্লেখ করে ড. জাহিদ বলেন, “পরবর্তী বর্ষাকালে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। যেখানে ফিরে আসে, এটা পটেনসিয়াল এরিয়া, বাকিগুলো (নন-বিডব্লিউএম এলাকা) তো ঝুঁকিপূর্ণ। পটেনসিয়াল এরিয়ায় বারবার পানি তুললেও ক্ষতি হচ্ছে না, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে।”

    গবেষকরা জানাচ্ছেন, ঢাকা ও এর চারপাশে ২০০৪/২০০৫ সাল থেকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। আবার কিছু কিছু এলাকা বাদে পুরো বরেন্দ্র এলাকায় প্রতিবছর নামছে তিন-চার মিটার করে। আর শহর এলাকায় প্রতি বছর যা উত্তোলন হচ্ছে, তা আর পূরণ হচ্ছে না।

    >> দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট; ব্রহ্মপুত্রের দুই পাড়ে জামালপুর, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল এবং শহর এলাকার মধ্যে সিলেট, কুমিল্লা ও বরিশালের (শেষ দুই শহর এলাকার কিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ) কিছু কিছু এলাকায় প্রতিবছর পানিস্তর ভরে যাচ্ছে। এসব স্বস্তিদায়ক এলাকা।

    >> বৃহত্তর ঢাকা, বৃহত্তর বরেন্দ্র, শিল্প এলাকা ও শহরাঞ্চল বাদে অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর বর্ষায় ভরে যাচ্ছে। আবার অনেক এলাকার চারপাশে ভরে যাচ্ছে; কিন্তু মাঝখানের একটি উপজেলায় তুলনামূলক বেশি পানি তোলায় তা আর রিচার্জ হচ্ছে না। হাওর এলাকার ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও পানি ভরে যাচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও তা হচ্ছে না। আর উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার প্রভাব থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারই কম।

    >> দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার টেকসই অবস্থায় নেই; ওইসব এলাকা বরাবরই ঝুঁকিতে রয়েছে।

    পানিসম্পদের চিত্র তুলে ধরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়ে আনোয়ার জাহিদ বলেন, “সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হবে এবং মনিটর করতে হবে এজন্য। কোন জায়গায় নেমে যাচ্ছে, কোন জায়গায় রিচার্জ হয়ে যাচ্ছে- পর্যবেক্ষণটা অব্যাহত রাখতে হবে।”

    এ গবেষণায় যেসব বাংলাদেশি অবদান রেখেছেন

    মোহাম্মদ শামসুদ্দুহা, সহযোগী অধ্যাপক, ইন্সটিটিউট অব রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশন, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন

    মো. ইজাজুল হক, ডক্টরাল গবেষক, ভূগোল বিভাগ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং প্রভাষক, ডিপার্টমেন্ট অব ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    সারা নওরীন, সহযোগী অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

    আনোয়ার জাহিদ, পরিচালক, গ্রাউন্ড ওয়াটার হাইড্রোলজি সার্কেল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড

    কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    গবেষণার সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে লেখকরা বলেছেন, গবেষণায় ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারকে কোনোভাবেই উৎসাহিত করা হয়নি। পানির গুণগত মানের উপর অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের প্রভাব নিয়েও কোনো আলোচনা করা হয়নি। সেই কারণে লবণাক্ততার প্রভাব পড়ে এমন এলাকা (দক্ষিণাঞ্চল), ভূগর্ভের গভীর পানির ওপর নির্ভরশীল বরেন্দ্র অঞ্চলসহ মহানগরগুলোর পানির স্তর নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইরিগেশনের ইম্প্যাক্ট নিয়ে আমরা দেখছি- সবাই কথা বলছি। এর কারণে ওয়াটার লেভেল নিচে চলে যাচ্ছে। আমরা এ স্টাডিটা করেছি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডেটা নিয়ে।

    “আমরা দেখিয়েছি- সবখানে নয়, কিছু স্থানে এক্সট্রাক্টস অব বেনিফিট পাওয়া যাচ্ছে। এখানে বাড়তি পানি মাটির নিচে জমা হচ্ছে; একটা বেনিফিট হচ্ছে ফসল উৎপাদনে।”

    বর্ষাকালে যত বেশি পানি ধরে রাখা সম্ভব হবে, পরে তত বেশি ব্যবহার করা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটা কিন্তু সব জায়গায় হয় না। এ জায়গাগুলো নর্থ বেঙ্গলের কিছু জায়গা; যশোরের কিছু এলাকা রয়েছে- যেখানে ভূতাত্ত্বিক অবস্থাটা অনুকূলে রয়েছে, সেসব জায়গায়। এর বেনিফিট পাব।

    “এ জিনিসটাই এখানে হাইলাইট করেছি। এজন্য স্টাডি করতে হবে, মেকানিজমগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।”

    সময়ের সঙ্গে খাদ্যোৎপাদন বাড়ছে, সেই সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানিতে চাপও বাড়ছে উল্লেখ করে গবেষক ড. আনোয়ার জাহিদ বলেন, “কোথাও কোথাও রিচার্জ হচ্ছে, কোথাও কোথাও রিচার্জ হচ্ছে না। যেসব জায়গায় রিচার্জ হচ্ছে না, সেসব জায়গায় সরকার চিন্তা করছে আর্টিফিসিয়ালি বৃষ্টির পানি নিয়ে স্টোরেজ বাড়াতে।”

    ‘গবেষকরা দেখিয়েছেন- কিছুটা ফ্লাড মডারেশন হয়’

    ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন’ গবেষণা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের তরফে বুয়েটের বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক জি এম তারেকুল ইসলামের পর্যবেক্ষণ জানতে চাওয়া হয়েছিল।

    প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “কাল্পনিকভাবে দেখলে- তিনটি নদীর পানি যদি আটকে রাখা হত, তাহলে ৯ মিটার উচ্চতা হত, তিন তলা বিল্ডিংয়ের সমান। এ বিশাল পানি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এটাও ঠিক, বাংলাদেশের গ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভ লার্জেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন মাটি খুঁড়লে তেল বের হয়, বাংলাদেশে মাটি খুঁড়লেই গ্রাউন্ড ওয়াটার বের হয়; যা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায্য করছে।

    “তবে সব কিছুর একটা সীমা রয়েছে। যে পরিমাণ রিচার্জ হয়, তার চেয়ে বেশি উত্তোলন করলে এটা ডিক্লাইন করবে। যেখানে গ্রাউন্ড ওয়াটার পূরণ হয়ে যাচ্ছে, সেখানে (উত্তোলনে) কোনো ঝুঁকি নেই। অতিমাত্রায় যেখানে হচ্ছে, সেখানে আর সম্ভব না।“

    বন্যার বেলায়ও ‘বেঙ্গল ওয়াটার মেশিন’ প্রক্রিয়ার কারণে সুফল পাওয়ার কথা গবেষণায় উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তো ফ্লাডপ্লেইন এরিয়ায় (এখানে রিচার্জ হবে)। রিচার্জ হতে হলে শুধু বৃষ্টির পানি দিয়ে সম্ভব না, পানি থাকতে হবে, দাঁড়াতে হবে; সেখানে এর পটেনিশিয়াল আছে। …ওনারা ডেটা দিয়ে দেখিয়েছেন, এটা কিছুটা ফ্লাড মডারেশন হয়; যেহেতু কিছু পানি ভেতরে ঢোকে।”

    অধ্যাপক তারেকুল বলেন, “গবেষকরা দেখিয়েছেন, ওই (ভূ-গর্ভস্থ) পানি যদি না তুলতাম, তাহলে বঙ্গোপসাগরে চলে যেত। এখন ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের কারণে তা আর সেখানে যাচ্ছে না, কৃষিতে ব্যবহার হচ্ছে। বন্যার পানি এলে তার কিছুটা মাটি দিয়ে আবার ভূ-গর্ভে প্রবেশ করছে। তাতে ফ্লাড কিছুটা মডারেশন হচ্ছে।”

    https://twitter.com/urumurum/status/1574587875622277120

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.