মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৬ comments
মাসুদ করিম - ২ মার্চ ২০২২ (১:৫২ পূর্বাহ্ণ)
Ukraine rejects Russia’s genocide claim, asks U.N. court to halt invasion
https://www.reuters.com/world/europe/ukraine-lodges-case-against-russia-world-court-zelensky-2022-02-27/
Ukraine has filed a suit against Russia at the U.N.’s highest court, rejecting Moscow’s claim it invaded its neighbour to prevent genocide and asking judges to order an immediate halt to Russian military operations.
Russian President Vladimir Putin has asserted that Ukraine committed genocide in the Donbass region of eastern Ukraine and said the invasion was therefore justified to end it.
In a filing at the International Court of Justice (ICJ) in the Hague in which it dismissed the genocide allegation, Ukraine asked judges to order so-called “provisional measures” to protect Ukraine. The ICJ confirmed the filing on Sunday.
The ICJ is the United Nations’ court for resolving disputes between nations and Kyiv is saying the two sides have a dispute over the meaning of the 1948 Genocide Convention, a treaty they have both signed.
It asked the court to rule on the disagreement over “the existence of acts of genocide” and Russia’s claim to legal authority to take military action in and against Ukraine.
Cases before the highest U.N. court generally take years to go to trial, but hearings on provisional measures have in the past been held within weeks of a filing.
Ukraine asked judges to order Russia to “immediately suspend the military operations commenced on 24 February 2022 that have as their stated purpose and objective the prevention and punishment of a claimed genocide in the Luhansk and Donetsk oblasts of Ukraine”.
Ukraine has in the past sought to involve another court in The Hague, the International Criminal Court (ICC), which handles war crime allegations against individuals.
Following the Russian annexation of Crimea in March 2014 and subsequent fighting in eastern Ukraine between pro-Russian rebels and Ukrainian government forces, Kyiv accepted ICC jurisdiction for crimes against humanity and war crimes committed on its territory since February 2014.
In December 2020, the office of the prosecutor announced it had reason to believe war crimes and other crimes were committed during the conflict.
A formal request to open a full investigation has not been filed with judges, but ICC prosecutor Karim Khan on Friday expressed his concern over the Russian invasion and said the court may investigate alleged crimes arising from the current situation.
https://twitter.com/IntCrimDatabase/status/1498412892793757701
মাসুদ করিম - ১১ মার্চ ২০২২ (৩:৫৩ অপরাহ্ণ)
বিতর্কে জড়ালেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল ও গবেষক নজরুল
ডেলটা প্ল্যানে নেই ফারাক্কা বাঁধ প্রসঙ্গ
https://samakal.com/bangladesh/article/2203100721/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%A1-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2
শতবর্ষী [শত বর্ষ মেয়াদের / শতসালা] উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেলটা প্ল্যান’-এ ফারাক্কা বাঁধের বিষয়ে কোনো বক্তব্য না থাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়ক প্রধান উন্নয়ন গবেষক ড. এস নজরুল ইসলাম।
ড. এস নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতের ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের পানির সংকটসহ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। অথচ সরকারের ১০০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় এ বিষয়ে একটি ‘বর্ণ’ পর্যন্ত নেই। তিনি বলেন, ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ৪০ বছর বয়স হলেই নদীর বাঁধ পর্যালোচনা করতে হয়। ফারাক্কার বয়স ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। অথচ বাঁধের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা বিষয়ে ডেলটা প্ল্যানে একটা সাধারণ মন্তব্যও নেই। ড. এস নজরুল ইসলামের মতে, ডেলটা প্ল্যানের রূপকল্প সঠিক হয়নি। তথ্য ঘাটতি আছে। সমন্বয় নেই।
ড. এস নজরুল ইসলামের এ বক্তব্য ঢালাও, বাস্তবতাবিবর্জিত এবং নিষ্ঠুর বলে মন্তব্য করেন ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, অনেক কিছু না জেনেই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন ড. নজরুল। ফারাক্কা বাঁধ ভিন্ন দেশের ইস্যু। এ ইস্যুতে বাংলাদেশের ডেলটা প্ল্যানে কিছু থাকার কথা নয়। অথচ ড. নজরুল ফারাক্কা বাঁধ ‘ডিমলিশ’ করার পরিকল্পনা নেই কেন- সে প্রশ্ন তুলেছেন। ড. শামসুল আলম বলেন, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে দেশের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই ডেলটা প্ল্যান করা হয়েছে। এটিই সব উন্নয়নের নির্দেশক হিসেবে কাজ করছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য হিসেবে সরকারের ১০০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যানের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ড. শামসুল আলম।
পানিবিষয়ক এক সেমিনারে বৃহস্পতিবার এ বিতর্কে জড়ান তারা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস সেমিনারটির আয়োজন করে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারের বিষয় ছিল, ‘বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।’ ড. এস নজরুল ইসলাম এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন। বিষয়ের ওপর একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। সেমিনার পরিচালনা করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
ড. শামসুল আলমের বক্তব্যের পর বিতর্কটাকে আরও এগিয়ে নেন ড. এস নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফারাক্কা ভিন্ন দেশের ইস্যু হতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনে রয়েছে, অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে কোনো দেশ এমন কোনো কাজ করতে পারবে না, যাতে অন্য দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার প্রশ্ন, ফারাক্কা নিয়ে কথা বলা না গেলে গঙ্গা ব্যারাজ নিয়ে কেন কথা বলা হচ্ছে। অবশ্য, এর পর আর কোনো কথা বলেননি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
অপ্রত্যাশিত এই বিতর্কের প্রশংসা করেছেন ড. বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, এরকম পক্ষ-বিপক্ষ মতামত প্রকাশ এবং এর মধ্য থেকে সঠিক বিষয়টি বেছে নেওয়ার চর্চা এক সময় বিআইডিএসে ছিল। সংস্থায় আবার বিতর্কের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার কথা জানান তিনি।
https://twitter.com/urumurum/status/1502310294931984387
আলোচনায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান বলেন, উন্নয়নে বৈষম্য দূর করতে পানি-সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বেশি হওয়া প্রয়োজন। পানিকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে অনেক মাস্টারপ্ল্যান নেওয়া হয়েছে। তবে খুব ভালো ফল দেখা যায়নি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক অভিন্ন নদীর বিষয়ে সরকারের মধ্যে কী ধরনের আলাপ-আলোচনা আছে, সেটা জানা দরকার। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, পানি-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোই বড় সমস্যা। তাদের হাতেই সব নিয়ন্ত্রণ। উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শে তারাই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-বিআইজিডির প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. সুলতান হাফিজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের অধ্যাপক সুজিত কুমার বালা প্রমুখ।
মাসুদ করিম - ১৮ মার্চ ২০২২ (৪:২৯ অপরাহ্ণ)
ভোট জোট বেঁধে, বললেন ১৪ দলের নেতারা
https://bangla.bdnews24.com/politics/article2030597.bdnews
আগামী বছর অনুষ্ঠের সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে ১৪ দল।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাড়ি গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জোটের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
ক্ষমতাসীন দল নেতৃত্বাধীন এই জোটের নেতারা তিন বছর পর এমন বৈঠকে বসলেন।
বৈঠক শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সংবাদিকদের বলেন, “খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। বহুদিন পরে আমরা একটা ভালো আলোচনা হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, “বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪ দল মাঠে নামবে। সারা দেশে ১৪ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ শুরু করা হবে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ১৪ দলগতভাবে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে যে ঐক্যজোট, তার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।”
জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, “জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন হবে, এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।”
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “বাংলাদেশে এখনও রাষ্ট্রের চিরশত্রু, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী এবং সন্ত্রাসী শক্তি রাষ্ট্রের মূলভিত্তিতে হামলা ও আঘাত করছে। আমরা তাই মনে করি, এখনও ১৪ দল রাখার প্রয়োজন রয়েছে। একইভাবে জোটকে মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিকভাবে কার্যকর করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বিএনপি নির্বাচনে না এলেও ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবে কি না, সাংবাদিকরা সেই প্রশ্নও করেন জোটটির নেতাদের।
জবাবে মেনন বলেন, “ওই বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না, সেটা আমরা জানি।”
আপনি যে বিভিন্ন সময় জনগণের ভোটের নিশ্চয়তা দাবি করেছিলেন, সেই বিষয়ে কী আলোচনা করেছেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “একেবারে স্পষ্টভাবে বলেছি, গত ইউপি নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো এসেছে, জনগণের ভোটদানের অধিকারের যে প্রশ্নটি এসেছে, এই ব্যাপারটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন- জানতে চাইলে মেনন বলেন, “নেত্রী কি সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন?”
বিএনপি ভোটে না এলে জোটগত নির্বাচন হবে কি না- সে প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, “জোট থাকবে।”
তবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপির বিকল্প হিসেবে অসাম্প্রদায়িক দলের উত্থান প্রত্যাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“প্রধানমন্ত্রী বিএনপি সম্পর্কে বলেছেন, তারা একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত এবং স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ।
“তাই তিনি চান আওয়ামী লীগের বিকল্প একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হোক। সেইভাবে তিনি ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোকে যার যার দলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করবার তাগিদ দিয়েছেন।”
জোটে বড় দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা নানা সময়ে করে আসছেন অন্য দলগুলোর নেতারা। সরকারের নানা পদক্ষেপেও ভিন্নমত জানাচ্ছেন তারা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেনন বলেন, “আমরা বলেছি সরকারের সঙ্গে ১৪ দলের সম্পর্কে যে প্রশ্নটা আছে, সেটাও আপনার নির্মূল করতে হবে।
“কারণ সব ব্যাপারে আমরা একমত নই। সব ব্যাপারে আমরা মেনে নিই, ব্যাপারটা এরকম না।”
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “সরকারি দলের কাছে চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি।
“তেল, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম যেন বৃদ্ধি না করা হয়, সেই বিষয়ে আলোচনার সূত্রপাত করা হয়েছে। দূর্গাপূজা ও সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতরা যেন কোনো অবস্থায় আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে ছাড় না পায় এবং দ্রুত বিচারের সম্মুখীন হয়, এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।”
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান মঞ্জু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে বলেছেন, নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
আমু বলেন, “করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যক্রম ও ভূমিকার প্রশংসা করেছে ১৪ দল।”
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ভারসাম্যমূলক’ নীতি অবলম্বনকে সমর্থন করছেন বলে জানান বাম নেতা মেনন।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। শুধু রাশিয়া-ইউক্রেইন না, সামগ্রিক।”
https://twitter.com/urumurum/status/1504856775690174464
মাসুদ করিম - ২১ মার্চ ২০২২ (৫:৫০ পূর্বাহ্ণ)
বন ধ্বংসে সরকার শীর্ষে
https://samakal.com/bangladesh/article/2203102442/%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87
কক্সবাজারের দরিয়ানগরে ছিল ঘন জঙ্গল। সরকারের তালিকার সংরক্ষিত বন। এ বনেরই পাঁচ একর জমি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিকে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সেখানে গাছপালা কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালে উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য, সামুদ্রিক মৎস্য ও বন্যপ্রাণী গবেষণার জন্য ওই বনভূমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইজারা দিয়েছিল। শর্তে ডরমিটরি নির্মাণের কথা না থাকলেও ২০১৮ সালে পাঁচতলা ডরমিটরি তৈরির কাজ শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক নেতারা কক্সবাজারে বেড়াতে গেলে ৪৪টি কক্ষের এ ডরমিটরিতে রাতযাপন করেন। যে এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়কে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটি বিপন্ন এশীয় হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, বন্য কুকুর ও বানরের আবাসস্থল।
এভাবে দেশের বনভূমি ধ্বংসে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ২৪০ একর বনভূমি। আর ৯০ হাজার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে জবরদখল করেছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি। এ হিসাব বন বিভাগের। বেসরকারি হিসাবে এই পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যাদের বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই একর, দেখা যায় বাস্তবে তারা ৮/১০ একর দখল করে বসে আছেন।
বছর দুয়েক আগেও কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তুরীঘাট এলাকায় গেলে চোখে পড়ত বিশাল সবুজ প্যারাবন। সেই বন উজাড় করে এখন গড়ে উঠছে একের পর এক স্থাপনা। বিষয়টি অজানা নয় পুলিশ প্রশাসন, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের। ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তবু থেমে নেই দখলদাররা। গত ৯ জানুয়ারি এক রাতেই ১০ একর বন দখল করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ওদের সঙ্গে কি আমরা পেরে উঠি বলুন? বারবার ওপর মহলে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।’
এভাবে দেশে প্রতিদিন কমছে সবুজ। বাড়ছে দালানকোঠা, রাস্তাঘাট ও বসতি। কোথাও আবার গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বনের ভেতরেই ইটভাটার চুল্লিতে জ্বলে কাঠ। বন ধ্বংসের ঘটনায় মামলা ও আদালতের রায় মানা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন দিবস। দিবসটি ঘিরে সরকারি ও বেসরকারি নানা সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
উন্নয়নের জন্য বনভূমি বরাদ্দ: দেশে বনভূমি কমে যাওয়ার তথ্য ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর প্রকাশ করে বন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ একর। এর মধ্যে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৪৫২ একর বনভূমি বেদখল হয়ে আছে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। সবচেয়ে বেশি বনভূমি বেদখল হয়েছে কক্সবাজার জেলায়। জেলাটিতে ৫৯ হাজার ৪৭১ একর বনভূমি বেহাত হয়েছে। বেদখল হওয়া বনভূমির তথ্য জানালেও কারা এসব জমি দখলে রেখেছেন- তা জানায়নি বন অধিদপ্তর।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অধিদপ্তর কর্তৃক সর্বশেষ পাঁচ বছরে মাত্র আট হাজার ৭৯২ একর (৩%) উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে উন্নয়নকাজের নামে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য বনভূমি বরাদ্দ দিয়েছে বন মন্ত্রণালয়। বড় বরাদ্দ নিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি), গ্যাসক্ষেত্র ও সড়ক কর্তৃপক্ষ। রোহিঙ্গাদের বসতির কারণে ধ্বংস হওয়া বনভূমি এ হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের বনভূমি নিয়ে এক বছর ধরে গবেষণা করছে। এতে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে উঠে এসেছে, কক্সবাজারে বন ধ্বংসে এগিয়ে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। জেলার দুই লাখ ৬০ হাজার ৪৬ একর বনভূমির মধ্যে দখল হয়ে গেছে ৪৫ হাজার ৯৯০ একর জমি। অবৈধ দখলদার ৪৩ হাজার ৫৬৮ ব্যক্তি ও ৬৯৬ প্রতিষ্ঠান। রোহিঙ্গাদের দখলে যাওয়া জমির পরিমাণ ছয় হাজার ১৬৪ একর।
গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৩৭২ একর বনভূমি। বন বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে ১০ হাজার ৪৬০ একর। সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) আট হাজার ৮৮৪ একর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ২০২ একর ও ডুলাহাজারা খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হসপিটালকে ১৪ একর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বরাদ্দের তালিকায় আছে হর্টিকালচার, সড়ক ও জনপথ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, আবহাওয়া অধিদপ্তর, পর্যটন করপোরেশন, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেশ কিছু সংস্থা। সব প্রতিষ্ঠানই গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ১৯২৭ সালের বন আইন দিয়ে এখনও বন বিভাগ চলছে। এ আইনে নেই বনের সংজ্ঞা, বনের ধরন, বন সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ও উন্নয়নকাজে বনের জমি ব্যবহার এবং বরাদ্দ প্রদানের বিষয়। এ-সংক্রান্ত কোনো বিধিমালা নেই। ফলে ঢালাওভাবে ব্যবহূত হচ্ছে বনভূমি। এ ছাড়া বনকেন্দ্রিক দুর্নীতি ও অদক্ষতা টেকসই বন উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।
কমছে বন: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশে ভূখে র মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিবছর যে হারে বনভূমি কমে যাচ্ছে, তাতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা। বাংলাদেশের বন বিভাগের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী যা ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। এই হিসাবে বনের বাইরের গাছ আমলে নেওয়া হয়নি। কিন্তু বন বিভাগের নতুন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বনের বাইরে গাছের পরিমাণ মোট ভূমির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এসব গাছের বেশির ভাগই বেড়ে উঠেছে মূলত সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে। সেই হিসাবে বনের ভেতর ও বাইরে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির সাড়ে ২২ শতাংশ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালে ৫৩ হাজার একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে প্রায় চার লাখ ৯৪ হাজার ২১১ একর। এই বিশাল এলাকার গাছগাছালি ধ্বংস না হলে ৭৩ দশমিক ৪ মেগাটন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ ঠেকানো যেত।
গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪৯ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার একর (২০ লাখ ২২ হাজার হেক্টর) বনভূমি ছিল, যা মোট ভূভাগের ১৬ ভাগ। কিন্তু প্রতিবছরই সেই বনভূমি কমে আসছে। ২০২০ সালে প্রায় ৫৩ হাজার ১২৮ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এর আগের বছর কমেছিল ৫৪ হাজার ৬১০ একর বন। অন্যান্য বছরের মতো ২০২০ সালেও বেশির ভাগ বন উজাড় হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে- ৫১ হাজার ৮৯২ একর। ২০২০ সালে সারাদেশে এক হাজার ১৩৬ একর আদি বন ধ্বংস হয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূখে র ১৭ শতাংশকে রক্ষিত বনাঞ্চল করার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের মাত্র ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত বন করতে পেরেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সমকালকে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। যে কোনো মূল্যেই দেশের বনভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে।
কক্সবাজারের ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, বনভূমিতে দিন দিন যেভাবে অবৈধ দখলদার বাড়ছে, তাতে অচিরেই বনভূমি বলতে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে যে কোনো কাজে বনভূমির ওপর এ আঘাত থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন আইন যুগোপযোগী করা দরকার। দায়িত্ব ও কর্তব্য সে আইনে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সংরক্ষণভিত্তিক বন করা দরকার। বনকে বন ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনে বন ব্যবহার করতে হলে, সেখানে কী রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়- সেটি আইনে থাকতে হবে। আইনে আছে, জলাশয় ভরাট করা যাবে না, পাহাড় কাটা যাবে না। কিন্তু বন কাটা যাবে না- এ রকম আইন নেই।
তিনি বলেন, বনগুলোর সীমানা চিহ্নিত করে বনের জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কিন্তু এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই প্রথাগত বনবাসীদের বিরক্ত করা যাবে না। তাদের ওপরই বনের ব্যবস্থাপনা ছেড়ে দিতে হবে। কৃষি অধিদপ্তর ধানের গাছ লাগায় না, মৎস্য অধিদপ্তর মাছ চাষ করে না; কিন্তু বন অধিদপ্তরের গাছ লাগাতে হয় কেন? যেখানে আদিবাসীরা আছে, সেখানে সবুজ আছে। যেসব জায়গা বন বিভাগের দায়িত্বে, সেসব এলাকা খালি হয়ে গেছে।
রিজওয়ানা হাসান ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে বনবাসীদের অধিকার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ‘ফরেস্ট রাইট অ্যাক্ট-২০০৬’ করা হয়েছে। আর আমাদের দেশে বনবাসীদের ওপর ঐতিহাসিকভাবে অবিচার করা হয়েছে। আমাদের বন বিভাগ বলছে, এরা দখলদার।
মাসুদ করিম - ২৬ মার্চ ২০২২ (৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ)
বন্দিদশায় কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবার
https://www.banglatribune.com/national/735314/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%A8-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। সেই রাতে তাঁকে আটক রাখা হয় তৎকালীন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে (বর্তমানে শহীদ আনোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে)। পরদিন তাঁকে নেওয়া হয় ফ্ল্যাগস্টাফ হাউজে, ১ এপ্রিল সেখান থেকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিমানে করে করাচিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর আরেকটি বিমানে রাওয়ালপিন্ডি এবং শেষ পর্যন্ত তার জায়গা হয় উত্তর পাঞ্জাবের শহর মিয়াওয়ালির কারাগারে। এখানেই তিনি যুদ্ধের পুরো সময়টি কারাবন্দি ছিলেন।
এদিকে ২৫ মার্চের বিভীষিকা শুরু হওয়ার আগেই শেখ কামাল ছাত্রদের সঙ্গে বেরিকেড গড়ে তুলতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েন। বাড়িতে ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সময় অন্তঃসত্ত্বা থাকায় বোন শেখ রেহানা ও খালাতো বোন জলিকে সঙ্গে নিয়ে আগেই স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডের বাড়িতে চলে যান। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর, বেগম মুজিব দুই সন্তান শেখ রাসেল ও শেখ জামালকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় আশ্রয় নেন পাশের বাড়িতে।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের খবর শুনে পরিবারের সদস্যদের অবস্থা জানতে ওয়াজেদ মিয়া ২৭ মার্চ ৩২ নম্বরের বাড়িতে গেলে পাশের এক বাসা থেকে জানতে পারেন, তার শাশুড়ি তার (ওয়াজেদের) বাসার উদ্দেশেই রওনা হয়েছেন। তবে সেখানে থাকা নিরাপদ নয় মনে করে শেখ হাসিনা ও জলিকে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় বন্ধু ড. মোজাম্মেল হোসেনের বাসায় যান ওয়াজেদ মিয়া। আর বেগম মুজিব, শেখ রেহানা, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলকে নিয়ে চলে যান ওয়ারীর একটি বাসায়।
এরপর ড. ওয়াজেদ মিয়া আণবিক শক্তি কেন্দ্রের কর্মকর্তা পরিচয়ে ১ এপ্রিল থেকে খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে সবাইকে নিয়ে ওঠেন। কিন্তু ৫/৬ দিন পর বাসার বাড়িওয়ালি এসে বেগম মুজিবকে বাড়িভাড়া ফেরত দিয়ে বললেন, ‘আপনাদের পরিচয় জানাজানি হয়ে গেছে। আল্লাহর দোহাই, আপনারা দয়া করে এই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তা না-হলে পাকিস্তানি আর্মিরা আমাদের এই বাড়িটি ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেবে।’
পরে উপায়ন্তর না দেখে বেগম বদরুন্নেসার স্বামী নূর উদ্দিন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মগবাজার চৌরাস্তার কাছে প্রধান সড়কে অবস্থিত তার বাড়ির নিচতলায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বাড়িটির সামনে অচেনা পশ্চিম পাকিস্তানি লোকের আনাগোনা ও মাঝেমধ্যে পাকিস্তান আর্মির ট্রাক থামার কারণে বেগম মুজিবের পরামর্শে ওই বাসার কাছাকাছি একটি বাড়ির দোতলা ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়। ওই বাসায় কেটে যায় প্রায় ১৫ দিন।
মগবাজারের ওই বাসা থেকে ১৯৭১ সালের ১২ মে সন্ধ্যার দিকে বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডির ১৮ নম্বর সড়কের ২৬ নম্বর বাড়িতে নেওয়া হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে এই বাড়িতেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৭ ডিসেম্বর সম্মিলিত বাহিনী এসে পাকবাহিনীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে মুক্তি পান বেগম মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ রাসেল।
ওই সময়কার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জনক আমার নেতা আমার’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘…২৫ মার্চ রাত একটার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি আক্রমণ করে প্রচণ্ড গোলাগুলি চালায় এবং পরদিন ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় আবার আমাদের বাড়ি আক্রমণ করে। শেখ জামাল ও রাসেলকে নিয়ে আমার মা বেগম মুজিব ওই বাড়িতেই ছিলেন। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে শেখ কামাল ২৫ মার্চ রাতেই ছাত্রদের সঙ্গে রাস্তায় রাস্তায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চলে যায়। পিতার গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ পেয়ে কামাল কারফিউর ভেতরেই গেরিলা কায়দায় ৫০টি বাড়ির দেয়াল টপকে সন্ধ্যায় মাকে দেখতে আসে। বাড়ি আক্রমণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেয়াল টপকে সন্তানদের নিয়ে আমাদের মা পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন। দিনের পর দিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় লুকিয়ে দিন কাটান। অবশেষে হানাদার বাহিনী মাকে মগবাজারের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডির ১৮ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে এনে বন্দি রাখে। বন্দি অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত অনেক মানসিক যন্ত্রণা ও অত্যাচার ভোগ করেন। ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিলাভ করেন। মুক্তিলাভের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ওপরে হানাদার বাহিনীর টানিয়ে রাখা পাকিস্তানি পতাকা টুকরো টুকরো করে ফেলেন। পা দিয়ে মাড়ান ও আগুন লাগিয়ে দেন। নিজেই জয় বাংলা স্লোগান দিতে শুরু করেন।’
এদিকে গত বছর (২০২১) মায়ের জন্মদিনে স্মৃতিচারণকালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বাসায় তাদের গ্রেফতার করে রাখা হয়, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এ বাসা ও বাসা করে মগবাজারের একটা বাসা থেকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাওয়া হলো। ১৮ নম্বর রোডের একতলা বাসায় রাখা হলো। খোলা বাড়ি। কিছু নাই, পর্দা নাই। রোদের মধ্যে আমাদের পড়ে থাকতে হয়েছে, দিনের পর দিন। মাকে কিন্তু কখনও ভেঙে পড়তে দেখিনি। সব সময় একটা আত্মবিশ্বাস ছিল, সাহস ছিল, সে সাহসটাই দেখেছি। এরপর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর সারেন্ডার করে, আমরা কিন্তু সেদিন মুক্তি পাইনি, আমরা মুক্তি পেয়েছি একদিন পর ১৭ ডিসেম্বর।’
অপর একটি বইয়ে গ্রেফতার হওয়ার আগের ঘটনার বর্ণনা করে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘সেই সময় থেকেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আশ্রয়ের সন্ধানে আমাদের ঘুরতে হয়েছে। আর ৩২ নম্বর বাড়িটা হানাদার বাহিনী দখল করে রাখে। দুই মাসের মধ্যে ১৯ বার আমরা জায়গা বদল করে করে এ বাড়ি সে বাড়ি লুকিয়ে থাকি। খাওয়া-দাওয়ার কোনও ঠিক নেই। আজ এখানে তো কাল ওখানে। এভাবেই দিনের পর দিন কাটে। রাতে ঘুমাবার জায়গাও নেই।’
এদিকে শেখ হাসিনার ‘রচনা সমগ্র’ বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জটিলতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘যে সময়টা সন্তান পেটে থাকলে খাবারের রুচি চলে যায় এবং অনেক কিছু খেতেও ইচ্ছে হয়, ঠিক সেই সময়টায় এই বিপর্যয়। খাবার ইচ্ছে হলেও পাবো কোথায়? এই অবস্থায় দিন যাচ্ছে। মা আমাকে এ অবস্থায় ফেলে কোথাও যেতে পারছেন না। কামাল ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে চলে গেছে। আর আমরা আজ এক জায়গায় তো কাল আরেক জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছি। ঠিক এমনই অবস্থায় মগবাজারের একটা বাড়ি থেকে আমরা গ্রেফতার হলাম। আমাদের ধানমন্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটা বাড়িতে এনে রাখা হলো। গোটা পরিবারের জন্য একখানা কম্বল ও একখানা চেয়ার দিয়েছিল। রান্না, খাবার, কোনও কিছুই ছিল না। দুপুরে আমাদের গ্রেফতার করেছে। দুপুরের খাবারও খাওয়া হয়নি। এ অবস্থায় সারা দিন ও সারা রাত কাটাতে হয়েছিল।’
প্রসঙ্গ জয়ের জন্ম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর (২০২১) ২৭ জুলাই ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ছেলের জন্মের সময়কার ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।
স্মৃতিচারণকলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ দেশের কোথাও কেউ পাকিস্তানের পতাকা ওড়ায়নি। দেশের সবখানে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়। ওই সময় ইয়াহিয়া খান ঢাকায়। সেদিন তাকে সবাই অস্বীকার করেছিল। ৩২ নম্বরের বাড়িতেও আমার বাবা সেদিন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলেন।’
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদেরকে ১৮ নম্বর রোডের অনেকটা পরিত্যক্ত একটি একতলা বাসায় রাখা হয়। যখন আমার সন্তান প্রসবের সময় হয়েছিল পাকিস্তানি মিলিটারিরা আমাকে হাসপাতালে যেতে দিয়েছিল। কিন্তু আমার মাকে তারা যেতে দেয়নি। হাসপাতালে তখন ডাক্তার নূর ইসলাম সাহেব ছিলেন। আমাদের সুফিয়া খাতুন ডাক্তার ওয়াদুদ সাহেব। আমাদের মুহিত সাহেবের বোন প্রফেসর সাহলাও ছিলেন। জয়ের জন্মটা মেডিক্যাল কলেজই হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন বন্দি, সেই বন্দি অবস্থায় জয়ের জন্ম। জন্মের পর যখন জয়কে নিয়ে আমি ফিরে আসি বাংলোতে, সেই কারাগারেই। আমি জয়কে নিয়ে বারান্দায় দাঁড়ানো। পাকিস্তানি একজন কর্নেল জিজ্ঞেস করে, ‘ওর নাম কী’? আমি বলি যে, ‘জয়’। তিনি বলেন, ‘জয় মানে’! তো আমি বলি, ‘জয় মানে জয়, জয় মানে ভিক্টরি’। তো খুব ক্ষেপে যায়। শিশু তাকেও তারা গালি দেয়। কাজেই এরকম একটি পরিবেশে জয়ের জন্ম। আমরা সেখানে হলেই (খোলা ঘর) থাকতাম। কোনও প্রাইভেসি ছিল না।’
ওই সময় খাওয়া-দাওয়ার কোনও ঠিক ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওকে (জয়কে) নিয়ে যখন একটা বাড়ি থেকে আরেকটা বাড়িতে শেল্টার নেই, জানি না কীভাবে বেঁচে ছিলাম। খাওয়া-দাওয়ার কোনও ঠিক ঠিকানা ছিল না। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতাম, আমার বাচ্চাটা যেন একটি সুস্থ বাচ্চা হয়। আমার মাও সবসময় সেই দোয়া-ই করতেন।’
মাসুদ করিম - ১ এপ্রিল ২০২২ (৩:২৭ পূর্বাহ্ণ)
‘Neither you nor your handlers will be forgiven,’ PM Imran warns ‘sell-outs’ ahead of no-trust vote
https://www.dawn.com/news/1682728/neither-you-nor-your-handlers-will-be-forgiven-pm-imran-warns-sell-outs-ahead-of-no-trust-vote
Prime Minister Imran Khan on Thursday again linked the no-trust move against him with a “foreign conspiracy” allegedly hatched due to his government’s “independent foreign policy” as he warned his party’s dissidents and political rivals that the future generations of the country will neither forgive them nor their “handlers”.
The prime minister fired those warnings in a live address to the nation days ahead of voting on a no-trust resolution against him in the National Assembly that will decide his government’s fate.
After starting off with a detailed explanation of his political ideology and the reason of his foray into politics, he emphasised why an independent foreign policy was essential for free nations — something which he said he strived for during his time in power.
The prime minister then discussed the ‘threat letter’ that he brandished in the March 27 power show in Islamabad and which purportedly contains “evidence” of a foreign conspiracy to oust his government.
In what appeared to be a slip of tongue, the prime minister named the US as the country that is reportedly behind the letter, only to quickly correct himself and say that it was some other country and not America.
“On March 8, or probably before that on March 7, we received a message from the US … no, not the US, what I mean to say is from some other foreign country,” he said, adding that the message was not just against the prime minister (referring to himself) but “our nation”.
The prime minister claimed that the country behind the letter knew of an impending no-trust vote against him before it was filed by the opposition in the National Assembly.
“So this means that they (the opposition) were in contact with people abroad before all this happened,” he said. “And the interesting part is that the [conspiracy detailed in the document] is not against Pakistan’s leadership or government, but only against Imran Khan.”
The premier said the country behind the letter had the stance that they were “angry with Pakistan” and that it “will forgive Pakistan if Imran Khan loses this no-trust” vote contest.
“I ask my nation today that is this our status? We are a nation of 220 million and another country — and they are not giving any reason except for saying that he (PM Imran) went to Russia — [is issuing threats],” he said. “They said that Imran Khan decided to go to Russia on his own even though the Foreign Office and the military leadership was consulted.
“Our ambassador told them that the decision [to visit Russia was made after consultations] but they denied and said ‘it was only because of Imran Khan and that our ties cannot be good if he stays.’ What they are actually saying is that they have no issue with the people who will replace Imran Khan.”
The prime minister said the foreign forces “developed a liking for” Shehbaz Sharif, Fazlur Rehman and Asif Ali Zardari as they “know where there money and properties are” and “in their 10 years 400 drone attacks took place and they did not condemn it once.”
“The most disturbing thing is that they (foreign forces) have links with the people through whom the conspiracy (no trust move) was executed. They are the three stooges, and stooge means a loyal slave,” he said.
PM Imran then addressed Shahbaz’s criticism of him saying “absolutely not” to the United States in response to its reported demands of having military bases in Pakistan.
“I only said that ‘we are with you in peace but not in war’ because our foreign policy is independent. I don’t talk against anyone. I only say that my biggest responsibility is the 220m Pakistanis. When did you (Shehbaz) take a stand … you and your brother can never talk [before them like this because] they know where your assets are.”
The prime minister then addressed the no-trust move against him — the voting on which will take place this Sunday.
“On Sunday, there will be voting [on the no-trust resolution] and a decision will be taken about the [future] direction of this country … Somebody suggested that I should resign. I always fight till the last ball. I want the entire nation to see on that day who sold their consciences.
“There is looted money being used to buy off people, and this is happening before the entire nation. This is a transaction of their consciences, their country and its sovereignty.”
Despite seeing several of his main allies side with the opposition, the prime minister still said he has “hope”.
“I am telling people who have entered deals that this will be stamped on you for life. The people will neither forget nor forgive you. Neither will they forgive those who are handling you. The people will always remember that you sold your country. Through a foreign conspiracy, you tried to topple a government that had an independent foreign policy.”
“Mir Jafer and Mir Sadiq colluded with the Britishers and enslaved Bengal. These (his party’s dissidents) are Mir Jafers and Mir Sadiqs of today,” he added. “They have colluded with foreign powers and are bringing a change in this country but remember that the nation will not let you forget and the future generations will not forgive you.
“And if you think you will make this conspiracy successful … [know that] I will still be standing in its way. It is my commitment to my nation that I will fight this till I have blood running in me. This doesn’t affect my life. I live in my home and bear my expenses. I have neither built any factories nor any of my relatives are in politics.
“But the treason that is going to happen against this nation on Sunday, I want you (the people) to remember the face of every traitor. This nation will not forget this and will not forgive you (dissident PTI lawmakers) and those behind you. And if you think that Imran Khan will sit quietly … don’t have this misconception. Allah has given me the capability to fight. I have fought all my life. I got here through struggle and I will not let this conspiracy succeed in any case,” he concluded.
Earlier, in his opening remarks, the prime minister said: “Today, I have to talk about something important about the country’s future. I decided to address the nation through live broadcast because Pakistan is at a defining moment and we have two paths ahead of us.
“But before that, I want to tell you why a person like me entered politics. I am a fortunate person whom Allah had blessed with everything, including fame and wealth. I am from the first generation that was born in a free Pakistan.
“Pakistan is five years older than me. My parents were born during times of slavery. They made me realise that I was lucky to have been born in a free country because in slavery you cannot rise above a certain level and khuddari (self-respect) is a sign of a free nation.”
The prime minister explained why he had entered politics in the 1990s following a successful cricket career.
“I entered politics because I came to the conclusion that Pakistan can never be the country that Allama Iqbal dreamt of and Quaid-i-Azam struggled for, even in poor health,” he said. “The main purpose of Pakistan was to become an Islamic welfare state, which traces back to the state of Madina.
“When I started politics, I included three things in my party’s manifesto — Justice, which means the law is the same for the powerful and the weak; humanity, because there is kindness in an Islamic state; and third, khuddari, because a Muslim nation cannot be a slave.”
The prime minister continued: “Had Allah not blessed me with faith, I would [not have] entered politics. I was mocked for 14 years and people repeatedly asked me why did I enter politics. I came into politics because of an ideology.
“Since I joined politics, I have always said that neither will I bow down before anyone and nor will I let my nation bow down. It means I will not let my nation be a slave to anyone. I have never backed down from this stance.
“I decided the day I became the prime minister that our foreign policy will be independent, which means it will be for Pakistanis. It doesn’t mean that we wanted enmity with any country … When I got the government, I said we will not have any foreign policy that is not in our favour.”
The prime minister was originally expected to address the nation yesterday. However, the address was postponed without providing any reason.
The development comes as the prime minister is facing a no-confidence motion in the National Assembly. Yesterday, the MQM-P — the government’s main ally in the Centre — announced that it would support the joint opposition in the no-trust resolution.
The MQM-P has seven seats in the NA and after its decision to part ways with the government, the opposition has gathered the support of 177 MNAs, five more than the 172 required to gain a majority.
In the face of the opposition’s onslaught, PM Imran has also made allegations of a “foreign conspiracy” being responsible for efforts to oust him.
At a public meeting held on Sunday, the premier had pulled out a piece of paper from his pocket and waved it at the crowd, claiming it was evidence of an “international conspiracy” being hatched to topple his government.
On Wednesday, this letter was shared with members of the federal cabinet in a hurriedly called meeting, which was not attended by the MQM-P and Balochistan Awami Party (BAP) despite being invited. The letter was shown to the cabinet members on a TV screen.
PM Imran also called a selected group of TV anchors and informed them that “the language of the letter was threatening and arrogant” and that Pakistan would face dire consequences if the no-confidence motion failed.
However, the premier did not show the letter to the media.
https://twitter.com/dawn_com/status/1509568181098139662