মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।
আজকের লিন্ক
এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।
৪ comments
মাসুদ করিম - ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (৩:১৯ অপরাহ্ণ)
দেশে সবচেয়ে দূষিত গাজীপুরের বাতাস: গবেষণা
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article2009705.bdnews
দেশব্যাপী বায়ুমান পরীক্ষা করে গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপস।
বায়ূ দূষণের দিক দিয়ে গাজীপুরের পর ঢাকা দ্বিতীয় এবং নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে উঠে এসেছে তাদের গবেষণায়।
ক্যাপসের পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের তিন হাজার ১৬৩টি স্থানের বাতাসে ভারী বস্তুকণার পরিমাণ পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করা হয়েছে তাদের এ গবেষণায়।
বাতাসের মান নির্ভর করে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-১০) এবং অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণের (পিএম ২.৫) ওপর, যা পরিমাপ করা হয় প্রতি ঘনমিটারে মাইক্রোগ্রাম (পার্টস পার মিলিয়ন-পিপিএম) এককে।
আহমদ কামরুজ্জামান জানান, সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬৪ জেলায় বায়ুতে গড়ে অতিক্ষুদ্র কণা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১০২ দশমিক ৪১ মাইক্রোগ্রাম, যা দৈনিক গ্রহণযোগ্য মান ৬৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে প্রায় দেড়গুণ বেশি।
গাজীপুরে এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩ দশমিক ৫১ মাইক্রোগ্রাম। পাশের জেলা ঢাকায় ২৫২ দশমিক ৯৩ এবং নারায়ণগঞ্জে ২২২ দশমিক ৪৫ মাইক্রোগ্রাম পিএম ২.৫ পাওয়া যায়।
এই তিন শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ৪ থেকে ৫ গুন বেশি পাওয়া গেছে জানিয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, “রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কারকাজ, মেগা প্রকল্প, আশেপাশের ইটভাটা, ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প কারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া এবং ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো এই তিন শহরে দূষণের অন্যতম কারণ।”
বায়ু দূষণের দিক দিয়ে ওই তিন জেলার পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জ।
অন্যদিকে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে কম ছিল মাদারীপুরে, প্রতি ঘনমিটারে ৪৯ দশমিক শূন্য ৮ মাইক্রোগ্রাম পিএম ২.৫ পাওয়া গেছে সেখানে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাদারীপুরের পরের অবস্থানে পটুয়াখালী ও মেহেরপুর জেলা।
এসব এলাকায় দূষণ কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, “এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাছপালা এবং প্রাকৃতিক জলাধার লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া এসব এলাকার রাস্তায় সংস্কার কাজ চলতে দেখা যায়নি খুব একটা।”
বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।
এই হিসাবে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে মাত্র ১০টি জেলায় বায়ুর মান ‘ভালো’ অবস্থায় পেয়েছেন ক্যাপসের গবেষকরা।
এই জেলাগুলো হল- কুড়িগ্রাম, নাটোর, জয়পুরহাট, রাজবাড়ী, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, পটুয়াখালী ও মাদারীপুর।
কামরুজ্জামান বলেন, “ভৌগোলিকভাবে এই জেলাগুলোর অবস্থান নদীর পাশে, এটা দূষণের বিস্তৃতি কম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। রাজশাহী শহরে ভালো মানের বায়ু পরিলক্ষিত হওয়ার পেছনে রাজশাহী শহরের কর্তৃপক্ষের অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।”
ক্যাপসের সমীক্ষায় আট বিভাগীয় শহরের মধ্যে বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শহর, সেখানে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার উপস্থিতি মিলেছে প্রতি ঘনমিটারে ২৫২ দশমিক ৯৩ মাইক্রোগ্রাম। সবচেয়ে কম দূষণ রাজশাহী বিভাগে, সেখানে গড়ে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৫৬ দশমিক ৪১ মাইক্রোগ্রাম।
উপকূলীয় এলাকার মধ্যে ১৯টি জেলার গড় অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ১০৬ দশকি ৮২ মাইক্রোগ্রাম ছিল, যা গ্রহণযোগ্য মানের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি।
ক্যাপসের পরিচালক বলেন, “উপকূলীয় এলাকার মধ্যে শুধু পটুয়াখালীর বায়ুমান ভালো পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কক্সবাজার, নোয়াখালী এলাকা অতিমাত্রার দূষণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত।”
অপরদিকে খুলনা, নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, শরীয়তপুর, ঝালকাঠী, ভোলা, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, বরগুনা ও যশোরের গড় অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ মধ্যম পর্যায়ের দূষণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বায়ু দূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু সুপারিশ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপস।
স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ
>> শুষ্ক মৌসুমে সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে দূষিত শহরগুলোতে প্রতি দিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা;
>> নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও করে রাখা ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে রাখা;
>> রাস্তায় ধূলা সংগ্রহের জন্য সাকশন ট্রাকের ব্যবহার করা যেতে পারে;
>> অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে;
>> ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে নম্বর প্লেট অনুযায়ী জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলাচলের প্রচলন করা যেতে পারে।
মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপ
>> সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশি পরিমাণ গাছ লাগানো এবং ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত করা;
>> আলাদা সাইকেল লেইনের ব্যবস্থা করা;
>> দূষিত শহরগুলোর আশেপাশে জলাধার সংরক্ষণ করা;
>> আগুনে পোড়ানো ইটের বিকল্প হিসেবে স্যান্ড বক্লের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়ানো;
>> সিটি গভর্নেন্সের প্রচলনের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কার্যকলাপের সমন্বয় সাধন করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ
>> প্রস্তাবিত নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ যতদ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করা;
>> পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, বায়ু দূষণের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রচলন করা;
>> গণপরিবহসহ ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা;
>> সর্বোপরি সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বায়ুদূষণ সম্পর্কে আরও বেশি তথ্যনির্ভর অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের বায়ু দূষণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা;
>> পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ আদালত চালু ও কার্যকর করা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের নেতৃত্বে ৮১ সদস্যের একটি গবেষক দল এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।
দেশব্যাপী বায়ু দূষণের বেইসলাইন তথ্য সংগ্রহ, জেলাগুলোর বায়ু দূষণের ক্রম এবং জেলা ভিত্তিক দূষণের মানচিত্র তৈরি করা এই গবেষণা উদ্দেশ্যে ছিল জানান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান।
অন্যদের মধ্যে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী সরওয়ার ইমতিয়াজ হাশমী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
মাসুদ করিম - ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (১০:০০ পূর্বাহ্ণ)
Remembering Lata Mangeshkar: An Unfathomable Talent Gifted With A Divine Voice
https://www.outlookindia.com/art-entertainment/remembering-lata-mangeshkar-an-unfathomable-talent-gifted-with-a-divine-voice-news-120534
To simply write that she bestrode playback singing in Indian cinema like a colossus would be an understatement. Lata Mangeshkar (1929-2022), it goes without saying, was obviously more and more than that.
An unfathomable talent gifted with a divine voice that held not only the millions of her fans but also generations of the greatest of the maestros from both the classical and popular music in absolute thral over the decades, she was a veritable personification of melody in its unadulterated form. There was nobody quite like her, and there will not be anybody like her. Period.
“I have always been praying to God that, if possible, He should not give me a rebirth,” Lata Mangeshkar once told an interviewer. But if she had to choose between moksha (salvation) and sangeet (music), she added, she would definitely choose music. That was the answer almost everyone knew.
Music was Lata Mangeshkar’s God all her life, though she herself was invariably called Goddess Saraswati by the legions of filmmakers, composers and music lovers of all hues from across the globe.
From the late 1940s when India was savouring its dew-fresh Independence to the Tenties of the techno-millennials, she remained synonymous with Indian music like no other singer from Hindi cinema or outside. Just remove her repertoire from the history of Hindi film music to realise how poorer it would be!
When ‘Mallika-e-Tarannum’ Noor Jahan left for Pakistan after 1947, there seemed to be a vacuum in Hindi cinema that nobody thought would be so easily filled in the near future. But a young and shy Lata arrived quietly, and India soon had its own nightingale whose Hawa mein udta jaaye in Barsaat and Aayega aanewala in Mahal, both in 1949, left the entire nation swaying to her incredibly mellifluous voice.
Whether it was the era of rusty 78 RPM discs or the trendy vinyls of the digital times, she collaborated with the best of composers, from Khemchand Prakash to Nikhil Kamat, and also the greatest of wordsmiths and singers churning out thousands of timeless melodies. By the time she moved the entire country, not merely Jawaharlal Nehru, to tears with her Ae mere watan ke logon tribute to the martyrs after the Chinese aggression, she had well and truly emerged as the voice of the nation. A voice India loved to lip-sync both in times of joy and sorrow, separation and reunion, or love and heartbreak!
It was not as though Hindi cinema had any dearth of extraordinary singing talents. From K.L. Saigal, Mukesh, Mohd Rafi, Talat Mahmood and Kishore Kumar to Suraiya, Shamshad Begum, Gita Roy Dutt, Asha Bhosle, et al, the list of the songsters extraordinaire was too long, but there was only one Lata Mangeshkar.
In the mid-1970s, composer R.D. Burman wanted Kishore Kumar to sing the classic Mere naina sawan bhadon from Mehbooba (1976), which was to be recorded as a tandem in Lata Mangeshkar’s voice as well. But Kishore asked Pancham to record the Lata version first and hand its audio to him. He listened to Lata’s version repeatedly and rehearsed for a week apparently to get the right notes and nuances.
Kishore, her contemporary, was himself a supremely gifted singer in his own right, who was at the peak of his singing career but he also knew that Lata would be simply infallible while rendering such a difficult raga-based number.
There are numerous examples like that. Lata sang thousands of classics in her illustrious career, which have stood the test of time. Her Lag jaa gale from Woh Kaun Thi? (1964), for one, remains a perennial favourite of the millennials to this day. There are several other songs like it from her astounding oeuvre, which will continue to entral the music lovers for all times to come.
For decades, such was Lata’s dominance in the industry that a few detractors at times accused her of having perpetuated the “Mangeshkar monopoly” in Hindi cinema, implying that she did not allow new talents from outside her family to flourish. They cited the example of Gita Roy Dutt, Jagjit Kaur, Suman Kalyanpur, Vani Jairam, Sulakshana Pandit, Hemlata and many others to insinuate that their career did not flourish because of her so-called hegemony.
They also alleged even her younger sister Asha Bhosle had to struggle hard to come out of the shadow of her elder Didi. O. P. Nayyar – incidentally a rare composer who did not consider Lata a ‘goddess’ and promoted Asha instead to the hilt — had once famously said that R.D. Burman had always given his best of tunes to Lata. If at all it had happened, it was not without a reason. It should not be seen as a reflection on any other singer’s (including Asha’s) talent.
In fact, most filmmakers and composers did not want any other singer to step into Lata’s shoes when they thought nobody else would do justice to it. Raj Kapoor, for example, refused to rope in any other songstress and waited for her for months until she agreed to render the title song of Satyam Shivam Sundaram. She had fallen out with Raj Kapoor for a brief while and it took the greatest showman of the film industry to seek the help of the songwriter Pandit Narendra Sharma to persuade her.
It is, therefore, unfair to say that she monopolised the film music industry in her heyday. As a matter of fact, she often fought for the rights of fellow singers. Way back in the early 1960s, she took up the cudgels fight on their behalf to ensure for them a slice of the royalty that the music companies were paying to the producers.
When Mohd Rafi did not back her demand, saying the singers had no right to seek royalty once they had received their remuneration, she stopped singing with him for several years in the 1960s, though Rafi was the numero uno male singer at the time. After 1969, she also decided not to accept Filmfare awards as a playback singer in a bid to promote new singers. She was, doubtless, a nonpareil singer and anybody else, howsoever talented, was no patch on her.
If there was something called the Mangeshkar monopoly ever in playback singing, Hindi cinema was only too blessed to have it.
Adieu, Lata Di!
https://twitter.com/outlookhindi/status/1490254408676155399
https://twitter.com/urumurum/status/1490188483356348419
https://twitter.com/p1j/status/1490180839153762305
https://twitter.com/urumurum/status/1490255649397428225
https://twitter.com/p1j/status/1490204430540877824
https://twitter.com/the_hindu/status/1490253954017636355
মাসুদ করিম - ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (৪:৪২ অপরাহ্ণ)
Manufacturing hate: Big Tech, IT cells, and Narendra Modi’s BJP
https://progressive.international/wire/2022-02-07-manufacturing-hate-big-tech-it-cells-and-narenda-modis-bjp/en
With the help of a whistleblower, a bombshell investigation by The Wire has uncovered a secret app called ‘Tek Fog’, a highly sophisticated tool to spread disinformation online. It is used by online operatives with links to India’s BJP to target political opponents, muslims, and women journalists.
With the help of a whistleblower, a bombshell investigation by The Wire has uncovered a secret app called ‘Tek Fog’, a highly sophisticated tool to spread disinformation online. It is used by online operatives with links to India’s BJP to target political opponents, muslims, and women journalists.
https://twitter.com/ProgIntl/status/1490666281229598723
মাসুদ করিম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (৪:০১ পূর্বাহ্ণ)
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চিরবিদায়
https://bangla.bdnews24.com/glitz/article2015640.bdnews
বাংলা আধুনিক গান নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন, একটি প্রজন্ম যার গান এখনও গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে, সেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আর নেই।
কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের বিদায় শোক কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার চিরবিদায় নিলেন ভারতের বাংলা গানের প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী, ৯০ বছর বয়সে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন সন্ধ্যা, গত ২৬ জানুয়ারি জ্বর নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কোভিড সংক্রমণও ধরা পড়েছিল।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শৌচাগারে পড়ে গিয়ে চোট পান সন্ধ্যা। এর পর বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছিল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। তার দুটি ফুসফুসেই সংক্রমণ দেখা দেয়। সন্ধ্যার হৃদযন্ত্রে সমস্যার কথা জানান চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তির একদিন আগেই ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী খেতাব প্রত্যাখ্যান করে আলোচনায় এসেছিলেন কিংবদন্তি এ সঙ্গীতশিল্পী।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে কলকাতায় নেমেছে শোকের ছায়া। শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোক জানিয়ে মমতা বলেন, “উনি স্বর্ণালি সময়ের শিল্পী। সেই যুগের সকলেই চলে গিয়েছেন। উনি ছিলেন। উনিই শেষ সুরের ঝঙ্কার, সুরের স্পন্দন, গানের ইন্দ্রধনু। একটা শতাব্দীর আর কেউ রইলেন না। এ ক্ষতি অপূরণীয়। আমি মনে করি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ভারতরত্ন।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সন্ধ্যার কফিন কলকাতার রবীন্দ্র সদনে রাখা হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এর পর রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গান স্যালুট’ দিয়ে শেষকৃত্য হবে।
জনপ্রিয় অনেক গানের জন্য বাংলাদেশেও পরিচিত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাসেও।
একাত্তরে শরণার্থী বাঙালিদের জন্য অর্থ তুলেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাকে নিয়ে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় পল্টন ময়দানে একটি উন্মুক্ত কনসার্টে গাইতে এসেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
সেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেছেন, “উপমহাদেশে গানের মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, হিন্দি গানসহ উপমহাদেশের সংগীতের প্রায় সবকটি জায়গায় স্বাক্ষর রেখেছেন ‘গীতশ্রী’ উপাধি পাওয়া সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
তবে কলকাতার বাংলা সিনেমায় মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে যে গানগুলো গা্ইতে দেখা যেত, সেসব গানের জন্যই সন্ধ্যা জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন।
পর্দার উত্তম কুমার-সুচিত্রা জুটির অনেক রোমান্টিক গানের নেপথ্যে সন্ধ্যার সঙ্গে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম আরেক কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
এর মধ্যে রয়েছে ‘এ শুধু গানের দিন’, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘এই মধুরাত’, ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’, ‘কে তুমি আমারে ডাক’, ‘মায়াবতী মেঘে এল যে তন্দ্রা’ এর মতো গান।
১৯৫৫ সালে মুপ্তি পাওয়া অগ্নিপরীক্ষায় ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’ নিয়ে সন্ধ্যা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমাদের (সুচিত্রা সেন ঠোঁট মিলিয়েছিলেন) প্রথম হিট গান ‘গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু’। পর্দায় ওর (সুচিত্রা) লিপ দেওয়া দেখে আমি হাঁ হয়ে গেছিলাম। এত নির্ভুল! অমর হয়ে গিয়েছিল ওই গানটা।”
অনুপম ঘটকের সুরে এই গান প্রকাশ পাওয়ার পরপরই সাড়া পড়েছিল শ্রোতার হৃদয়ে। এই গানের ‘মিতা মোর কাকলী কুহু…’ লাইনে ‘কুহু’ শব্দটা সন্ধ্যা যেভাবে গেয়েছেন, তাও সাড়া ফেলেছিল।
১৯৬৬ সালে কবি, গীতিকার শ্যামল গুপ্তের সঙ্গে বিয়ে হয় সন্ধ্যার। সন্ধ্যার বহু গানের গীতিকারও ছিলেন তিনি।
সন্ধ্যার জন্ম ১৯৩১ সালে কলকাতার ঢাকুরিয়ায়। নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং হেমপ্রভা দেবীর ছয় সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। বাবার কাছে ভক্তিমূলক গানের মাধ্যমে তার গানের রেওয়াজ শুরু, তার মা-ও গান গাইতেন।
সন্ধ্যা ১২ বছর বয়সে কলকাতা আকাশবাণীর ‘গল্পদাদুর আসর’-এ প্রথম গেয়েছিলেন গীতিকার অজয় ভট্টাচার্যের লেখা একটি গান।
১৩ বছর ১০ মাস বয়সে প্রথম বেসিক রেকর্ড করেন গিরিন চক্রবর্তীর কথা ও সুরে। এইচএমভি থেকে প্রকাশিত হয় সেই রেকর্ড।
এর এক পিঠে ছিল ‘তুমি ফিরায়ে দিয়ে যারে’, উল্টো পিঠে ‘তোমারো আকাশে ঝিলমিল করে চাঁদের আলো।’
এর বছর দুয়েক পরে কিংবদন্তি সুরকার রাইচাঁদ বড়ালের সুরে ‘অঞ্জনগড়’ ছবিতে এবং রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে ‘সমাপিকা’ সিনেমায় গান রেকর্ড করেন।
সন্ধ্যা গান শিখেছেন যামিনী গঙ্গোপাধ্যায়, ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি, চিন্ময় লাহিড়ী, এ কানন, ডিটি যোগী, গণপত রাও, জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, এবং সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তীর কাছে।
শচীন দেব বর্মন, অনুপম ঘটক, রবীন চট্টোপাধ্যায়, নচিকেতা ঘোষ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরীর মতো দিকপালদের সুরে যেমন গলা দিয়েছেন সন্ধ্যা, আবার নতুন প্রজন্মের সংগীতকার কবীর সুমনের কথা ও সুরেও গেয়েছেন।
১৯৫০ সালে শচীন দেব বর্মনের আহ্বানে মুম্বাইয়ে যাত্রা করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়; গিয়ে ওঠেন শচীনদেবের আস্তানা এভারগ্রিন হোটেলে।
শচীনদেব নিয়ে গেলেও মুম্বইয়ে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হল অনিল বিশ্বাসের সুরে। ‘তারানা’ সিনেমায়। সেখানে গাইতে গিয়েই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গানটা ছিল লতার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে— ‘বোল পাপিহে বোল রে, তু বোল পাপিহে বোল’।
সব মিলিয়ে ১৭টি হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন সন্ধ্যা। তবে বলিউডে বেশিদিনের জন্য থিতু হননি তিনি। ব্যক্তিগত কারণে ১৯৫২ সালে তিনি কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
আনন্দবাজার লিখেছে, সন্ধ্যার শিল্পী জীবনের অন্যতম মাইলফলক ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’-তে অংশগ্রহণ। পঙ্কজকুমার মল্লিক, বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র আর একঝাঁক শিল্পীর সঙ্গে সন্ধ্যাও ছিলেন।
‘বিমানে বিমানে আলোকের গানে জাগিল ধ্বনি’ গানটি এখনও সন্ধ্যার গলায় শোনা যায়। এই গানটি অবশ্য পরবর্তীকালে রেকর্ড করা হয়।
‘স্বর্ণযুগের’ এই গায়িকার হাতে উঠেছিল ভারতের ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ড-সহ বহু সম্মান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’, ২০১২ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ ও ২০১৫ সালে ‘উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি বিশেষ সঙ্গীতসম্মান’দিয়েছিল। আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমির সভাপতিও ছিলেন তিনি।
তবে গান গেয়েই সন্ধ্যা পেয়েছেন মানুষের অফুরান ভালোবাসা। সেই শক্তিতেই চলে যাওয়ার কয়েক দিন আগে পাওয়া জাতীয় পুরস্কার পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান করেছেন; শিল্পীর সম্মানের খাতিরে।
দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন, “কনিষ্ঠ শিল্পীদের এই পুরস্কার দেওয়া হোক। আমার দেশ আমাকে যেভাবে ভালবাসে, সেখানে আমার পদ্মশ্রী কিংবা কোনও শ্রীর-ই প্রয়োজন নেই।”
https://twitter.com/urumurum/status/1493789444725690374
https://twitter.com/urumurum/status/1493651540175101952
https://twitter.com/urumurum/status/1493793107028377602