সুপারিশকৃত লিন্ক: আগস্ট ২০১৯

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১১ comments

  1. মাসুদ করিম - ৩ আগস্ট ২০১৯ (৪:০৪ পূর্বাহ্ণ)

    অভিজিৎ হত্যায় জিয়া-ফারাবীসহ ৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ

    ব্লগার-লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সেনাবাহিনীতে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ও ‘উগ্রপন্থি’ ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

    ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য একই সঙ্গে আদালত আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন।

    আসামিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, শফিউর রহমান ফারাবী, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।

    এদের মধ্যে জিয়াউল ও আকরাম ছাড়া বাকি চার আসামিকে অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আগেই জারি হয়েছে। এর মধ্যে জিয়াকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

    কারাগারে থাকা কয়েকজন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। তখন আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

    এরপর বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে দেন।

    ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক আহত হন তার স্ত্রীও। পরদিন অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যামামলাটি করেন।

    হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর গত ১৩ মার্চ এই ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। অভিযোগের পক্ষে ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

    অভিজিৎ হত্যামামলার আসামিদের মধ্যে ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।

    অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি মোজাম্মেল, আকরাম, হাসান ও আবু সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ১৯২/২ নম্বর বাসা ভাড়া নিয়ে অভিজিৎ রায়কে বিভিন্ন স্থানে অনুসরণসহ হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন।

    আসামি মোজাম্মেল রেকি টিমের নেতৃত্বে থেকে অপারেশন শাখার মুকুল রানা ওরফে শরিফুলকে অনুসরণসহ এ হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সহযোগিতা এবং আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

    আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অপারেশন শাখার সদস্য আসামি আরাফাত রহমান, আলী ওরফে খলিল, অনিক এবং অন্তু সাংগঠনিকভাবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন টার্গেট ব্যক্তিকে হত্যা করার।

    অভিজিৎকে তারা চারজনই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগপত্র বলা হয়। এসময় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও চাপাতির আঘাতে একটি আঙুল হারান।

    অপারেশন শাখার চারজন আসামি যাতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে তার জন্য চারপাশে বেষ্টনি করে রাখে আসামি জিয়া, সেলিম, মুকুল রানা, মোজাম্মেল, আবু সিদ্দিক ও আকরাম।

    আসামিদের মধ্যে মারা যাওয়ার কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনজন। মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।

    হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া দলটির নেতৃত্বে থাকা মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ২০১৬ সালের ১৯ জুন ঢাকার খিলগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

    সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, আনিক ও অন্তুর পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির জন্যও আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সময়ে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলেও তদন্তে তাদের অপরাধ সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না পাওয়ায় সাত জনের নামে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

    এরা হলেন – সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আব্দুর সবুর ওরফে রাজু সাদ ও মাইনুল হাসান শামীম।

  2. মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০১৯ (৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    India scraps special status for Kashmir amid crackdown

    The Indian government on Monday stripped Kashmir of the special autonomy it has had for seven decades, prompting a furious response from nuclear-armed rival Pakistan and raising fears of further violence in the Muslim-majority Himalayan region.

    India’s Prime Minister Narendra Modi’s Hindu-nationalist party rushed through a presidential decree to scrap from the constitution the Indian-ruled part of the disputed territory’s special status.

    The bill to reorganise Jammu and Kashmir into two Union Territories sailed through Rajya Sabha Monday, with several opposition parties walking out, bringing down the majority mark, and others siding with the government.

    Amid a political storm that started since morning since home minister Amit Shah’s announcement in parliament, the resolution was passed through a voice vote – 125 members voted in its favour and 61 voted against it.

    Among those that sided with government were Mayawati’s Bahujan Samaj Party, Naveen Patnaik’s Biju Janata Dal, Jagan Reddy’s YSR Congress, N Chandrababu Naidu’s Telugu Desam Party and in a surprise addition-Arvind Kejriwal’s Aam Aadmi Party. Together with government, that took the number to 117.

    In the 242-member Rajya Sabha, the ruling National Democratic Alliance has 107 members, well short of the 121 majority mark.

    But Trinamool Congress, which has 13 members walked out and BJP ally Nitish Kumar’s Janata Dal United, which has six members, boycotted the voting. Two lawmakers of the People’s Democratic Party were suspended for tearing up the constitution in protest against home minister Amit Shah’s announcement. There were also reports that several opposition members might skip the voting.

    Former Jammu and Kashmir chief minister and PDP chief Mehbooba Mufti was arrested moments after Rajya Sabha passed the bill to bifurcate the state into two Union territories.

    The government had earlier revoked the state’s special status, provided under Article 370, via presidential order.

    Minutes after Mehbooba Mufti was arrested, National Conference leader Omar Abdullah was also taken into custody. Jammu and Kashmir People’s Conference leaders Sajjad Lone and Imran Ansari have also been arrested. Some more arrests have been made, officials said, without sharing details.

    Mehbooba Mufti has been taken to Hari Niwas – a VVIP state guest house. She was put under house arrest last night as the authorities clamped restrictions under Section 144 of CrPC.

    Ahead of the announcements, tens of thousands of extra Indian troops were deployed in the territory, and a security lockdown was imposed overnight Sunday with all telecommunications there cut.

    Home Minister Amit Shah, a close ally of Modi, told parliament the president had issued a decree abolishing Article 370 of the constitution, which gives special autonomy to the Himalayan region.

    The decree said the measure came into force “at once”.

    Pakistan’s foreign ministry condemned the move as “illegal”.

    “As the party to this international dispute, Pakistan will exercise all possible options to counter the illegal steps,” it said in a statement.

    A senior Pakistani security source said that a meeting of the Pakistani military’s top commanders had been called for Tuesday.

    Kashmir has been divided between India and Pakistan since their independence in 1947.

    For three decades the Indian-administered part has been in the grip of an insurgency that has left tens of thousands dead.

    Armed Kashmiri rebels and many residents have fought for the region’s independence or to join neighbour Pakistan.

    How the status of Jammu and Kashmir is being changed

    The Union Home Minister introduced two statutory resolutions, one, to recommend that the President issue a notification rendering Article 370 inoperative, and two, to accept the Jammu and Kashmir Reorganisation Bill

    Jammu and Kashmir enjoyed special status under Article 370 of the Constitution of India. This Article describes it as a temporary provision and that it will cease to be operative if the President issues a public notification to that effect. However, prior to that, a recommendation is necessary from the Constituent Assembly of Jammu and Kashmir.

    As a result of Article 370, Jammu and Kashmir had its own Constitution, and all laws passed by Parliament will not be applicable to the State, unless the State government gives its concurrence. The President is empowered to decide what provisions of the Constitution of India would be applicable to the State and what are the exceptions, but with the State government’s concurrence.

    The Constitution (Application to Jammu and Kashmir) Order, 1954, lists the Articles and provisions that apply to J&K. Further, the President also listed a set of exceptions under Article 35A of the Constitution (this Article does not figure in the text of the Constitution of India, but figures only in the J&K’s Constitution). While the 1954 presidential order constituted a founding legal document for Jammu and Kashmir, Article 35A protected the exclusive laws – such as the bar on outsiders buying property and women marrying non-Kashmiris losing their property rights – of the State.

    These special measures can be altered only on the recommendation of the Sadar-i-Riyasat of Jammu and Kashmir, acting on the advice of the Council of Ministers, or by the “Constituent Assembly” of that State. As of now, there is no “Constituent Assembly”.

    This was how the Modi government has changed this special status of Kashmir overnight:

    1. President Ram Nath Kovind issued a presidential order under Article 370 (1) of the Constitution. This clause enables the President to specify the matters which are applicable to Jammu and Kashmir. As it can be issued only with the Jammu and Kashmir government’s concurrence, the notification uses the words “with the concurrence of the Government of the State of Jammu and Kashmir”. This presumably means the Governor, who is now administering the State under President’s Rule, has given his concurrence on behalf of the State government.

    2. The Order supersedes the 1954 Order. This effectively means that all the provisions that formed the basis of a separate “Constitution” for Jammu and Kashmir stand abrogated. The Order declares that all the provisions of the Constitution of India, shall apply to Jammu and Kashmir too.

    3. However, some special measures were still needed for the scrapping of Article 370 altogether. Therefore, a few clauses were added to Article 367 of the Constitution.

    Article 367 contains “Interpretations”. They contain guidance on how to read or interpret some provisions. The new clauses say, when applicable to Jammu and Kashmir, all references to the ‘Sadar-i-Riyasat’, acting on the aid and advice of the Council of Ministers, will be construed as references to the Governor of Jammu and Kashmir. All references to the State government shall mean “the Governor”.

    And most importantly, the reference to the “Constituent Assembly” in a proviso to Article 370 (3) has been amended to read “Legislative Assembly of the State”. This is the proviso that says the President can declare that Article 370 is no more operative only on the recommendation of the Constituent Assembly. As there is no Constituent Assembly in existence now, there is no body to “recommend” the demise of Article 370. Therefore, the State Assembly has to play that role.

    The issuance of the Presidential Order has set the stage for the abrogation of Article 370. Here, the government has made use of the fact that Jammu and Kashmir is under President’s Rule. Under the Proclamation issued under Article 356 of the Constitution, by which the President takes over the administration of a State, Parliament usually performs the legislative functions of the State Assembly. For instance, when a State is under Central rule, the budget allocations for that State are voted in Parliament in the absence of the Assembly.

    The Union Home Minister introduced two statutory resolutions, one, to recommend that the President issue a notification rendering Article 370 inoperative, and two, to accept the Jammu and Kashmir Reorganisation Bill. The passage of the former resolution will enable the President to declare that Article 370 has ceased to operate.

    The Bill envisages converting Jammu and Kashmir into a Union Territory with a legislature, and carve out Ladakh region as another Union Territory, but without a legislature.

  3. মাসুদ করিম - ৭ আগস্ট ২০১৯ (১২:২৫ অপরাহ্ণ)

    Toni Morrison, Nobel Prize-winning author, dies at 88

    Toni Morrison, the renowned author best known for the Pulitzer Prize-winning novel “Beloved” and for being the first African American woman to win the Nobel Prize in Literature, died Monday night, her publicist and family confirmed Tuesday.

    Morrison had been at the Montefiore Medical Center in New York at the time of her death, according to her publicist. She was 88.

    The cause of death was not immediately clear, but her family said she had “a short illness.”

    “She was an extremely devoted mother, grandmother, and aunt who reveled in being with her family and friends,” the Morrison family said in a statement. “The consummate writer who treasured the written word, whether her own, her students or others, she read voraciously and was most at home when writing. Although her passing represents a tremendous loss, we are grateful she had a long, well lived life.”

    “While we would like to thank everyone who knew and loved her, personally or through her work, for their support at this difficult time, we ask for privacy as we mourn this loss to our family. We will share information in the near future about how we will celebrate Toni’s incredible life,” the statement added.

    Morrison’s decades-long writing career spanned from 1970 to 2019, including treasured novels “The Bluest Eye” and “Song of Solomon.” Her work delved into the black experience in America, specifically that of black women in the country.

    In “Beloved,” readers were introduced to Sethe, a woman haunted by the memories and trauma from her life as a slave, as well as by the ghost of her baby who she murdered to protect from slavery.

    “Freeing yourself was one thing; claiming ownership of that freed self was another,” Sethe says in the novel.

    Among her plethora of accolades, she was awarded a Pulitzer Prize for Fiction in 1988 for “Beloved” and the Nobel Prize in Literature in 1993. Morrison was presented with the Presidential Medal of Freedom by former President Barack Obama in 2012.

    “Toni Morrison was a national treasure, as good a storyteller, as captivating, in person as she was on the page,” Obama wrote on Twitter on Tuesday. “Her writing was a beautiful, meaningful challenge to our conscience and our moral imagination. What a gift to breathe the same air as her, if only for a while.”

    Her longtime editor, Robert Gottlieb, remembered Morrison in a statement as both “a great woman and a great writer.”

    “And I don’t know which I will miss more,” he added.

    After graduating from Howard University in 1953, Morrison went on to break ground as the first African American editor at Random House from 1967 to 1983, where she published work from black writers including Toni Cade Bambara, Angela Davis, Gayl Jones and Henry Dumas, among many others, according to the company.

    Beyond writing and editing, she worked as a part-time teacher of creative writing and literature at her alma mater as well as at Yale University, SUNY Purchase, Bard College, Rutgers University, SUNY Albany and Princeton University.

    Most recently, she was the subject of a new documentary, “Toni Morrison: The Pieces I Am.” Filmmaker Timothy Greenfield-Sanders spoke with Morrison on her legacy and impact on future writers beyond what she left on paper for readers.

    She has famously said over the years she wants to be remembered as “trustworthy.”

    “The interviewer asked, ‘How would you like to be remembered?’ I said I would like to be remembered as trustworthy; as generous,” Morrison told Essence in April 2015, remembering an interview in London. “One of the girls up in the balcony said, ‘What are you talking about? You are a famous writer and you want to be remembered as trustworthy?’ She was furious. And I realized she was thinking about my public self and I was thinking about how I wanted my family to remember me. That other thing is all well and good. But there is Toni Morrison and there is Chloe [Morrison’s birth name]. Chloe is not interested in those things.”

  4. মাসুদ করিম - ৮ আগস্ট ২০১৯ (২:০০ পূর্বাহ্ণ)

    India scraps Kashmir’s special status and imposes lockdown

    New Delhi has abolished a constitutional provision that guaranteed special rights to Jammu and Kashmir, the country’s only Muslim-majority state, in a move that reopens historic wounds inflicted at the founding of the modern Indian state.

    When home minister Amit Shah, one of Indian prime minister Narendra Modi’s most trusted political confidants, announced the decision in parliament on Monday morning, he triggered an uproar in the legislature. He added that President Ramnath Kovind had already signed the executive order, making the constitutional change a fait accompli.

    India’s abolition of Article 370 of the constitution is a reflection of Mr Modi’s unabashed Hindu nationalist agenda, centred on a strong state that will brook no challenges to its authority. It risks fuelling already heightened tensions with neighbouring Pakistan, which also claims Kashmir as its own. The two nations have fought three wars — and come to the brink of a fourth — over the picturesque Himalayan region.

    Mehbhooba Mufti, a former chief minister of Jammu and Kashmir, said on Monday that the government’s “intention is clear and sinister. They want to change the demography of the only Muslim-majority state in India, disempower Muslims to the extent where they become second-class citizens in their own state.” Later that day, Ms Mufti was taken to jail, along with Omar Abdullah, another former chief minister of the state.

    Along with the constitutional change, Mr Shah announced the political reorganisation of Jammu and Kashmir, which will be downgraded from a fully fledged state into a union territory.

    That change will give New Delhi far more political control over the restive region and its governments, including direct control of the local police, who will answer to New Delhi rather than a locally elected state government. The government also plans to hive off the high-altitude Ladakh region to form another separate union territory.

    In anticipation of the outrage caused by the decision, Kashmir residents were put on lockdown early on Monday morning, barred from leaving their homes, and with internet, telephone and cable television services cut off

    Tens of thousands of extra troops and paramilitary police have also been dispatched to maintain order in the region, already one of the most heavily militarised in the world. Additional forces were being airlifted in on Monday by the Indian air force.

    More than 20,000 Indian and foreign tourists were also evacuated from the region over the weekend, while schools and colleges have been ordered to close indefinitely.

    The move was “a total betrayal of the trust the people of Jammu and Kashmir had reposed in India when the state acceded to it in 1947,” Mr Abdullah said before being sent to jail. “The decision will have far-reaching and dangerous consequences,” he added.

    Even as Kashmiris were confined to their homes, Bharatiya Janata party supporters expressed jubilation at news of the removal of special protections for Kashmir, which the Hindu nationalist party had long considered an impediment to the region’s full integration with India.

    “Separate status led to separatism. No dynamic nation can allow this situation to continue,” Arun Jaitley, the finance minister in Mr Modi’s previous administration, tweeted. “A historical wrong has been undone today.”

    But the government’s move is likely to face legal challenges from critics, who argue that Kashmir’s special protections cannot be scrapped by a mere executive order. Mr Abdullah said his Kashmir-based National Conference party was already prepared to challenge the presidential order, which he called “unilateral, illegal and unconstitutional”.

    The ending of Jammu and Kashmir’s special rights and protections reopens the wounds of one of Indian history’s most dramatic episodes: the accession of the former princely state, with its Muslim-majority population, into Hindu-majority India, rather than Muslim-majority Pakistan at the end of British colonial rule of the Indian subcontinent.

    When it joined India in 1947, the state’s Hindu ruler agreed with Jawaharlal Nehru, then prime minister, that Kashmir would maintain special rights to protect the local population from a potential influx of outsiders.

    These rights were then enshrined in Article 370 of the constitution, which allowed the state government to reserve special privileges — including the right to buy land, hold government jobs and receive state welfare benefits — to those that it defined as permanent residents of the state.

    In practice, it prohibited any outsiders from buying property in the region, a ban that the BJP believes has held back the state’s economic development, by deterring industrial investments.

    A Pakistan foreign ministry official condemned the decision. “After what has happened in the Indian parliament, India has shut the door on peacefully resolving the Kashmir dispute.”

    Shah Mahmood Qureshi, Pakistani’s foreign minister, tweeted: “Pakistan reaffirms its abiding commitment to the Kashmir cause and its political, diplomatic and moral support to the people of Occupied Jammu and Kashmir for realisation of their inalienable right to self-determination.”

    Kashmiris are also still deeply scarred from a decades-long separatist insurgency that was backed by Pakistan and claimed nearly 45,000 lives, mostly in the 1990s and early 2000s.

    Timeline: Modi government and Kashmir

    March 2015
    India’s ruling party, the Bharatiya Janata Party (BJP), joins the government in Indian-administered Kashmir for the first time. It is sworn into a coalition with the People’s Democratic Party.

    June 2018
    The BJP pulls out of the coalition in 2018, calling the alliance “untenable” owing to a rise in violence in the Jammu and Kashmir region. The state is put under the control of a New Delhi-appointed governor.

    February 2019
    Forty-four Indian paramilitary police are killed in a suicide bombing in Indian-administered Kashmir, one of the deadliest attacks in the region in decades. A Pakistan-based terrorist group, Jaish-e-Mohammad, claims responsibility the next day. Shortly after, India launches a crackdown across Jammu and Kashmir.

    May 2019
    Narendra Modi is re-elected as prime minister in a landslide nationalist victory. Ahead of the election, the BJP reiterates its opposition to Article 370, a constitutional provision that guarantees significant autonomy to Jammu and Kashmir, the country’s only Muslim-majority state. In its manifesto, the party argues that Kashmir’s special status hinders its development and integration with the rest of the country.

    August 2019
    New Delhi announces it has abolished Article 370. Over the weekend Indian authorities asked tourists and pilgrims to leave the state and extra security forces were brought into the already highly militarised region. Residents were put on lockdown on Monday and prominent political leaders jailed.

    — Yasemin Craggs Mersinoglu

  5. মাসুদ করিম - ১২ আগস্ট ২০১৯ (৩:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    কাশ্মীর: ৩৭০ ধারা নিয়ে দীর্ঘ চক্রান্ত

    ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের শ্রেণিস্বার্থের তাগিদের ভেতরেই লুকিয়ে আছে কাশ্মীর সমস্যার মূল বিষয়গুলো। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন আমাদের দেশের প্রশাসনিক এবং সেই সময়ের প্রচলিত ঔপনিবেশিক সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে আসে। সেই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল- ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলগুলোতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের হাতে ভোটাধিকার তুলে দেওয়ার একটা লোকদেখানো প্রচেষ্টা।

    এই বিষয়টি ব্রিটিশ কিন্তু স্বেচ্ছায় করেনি। সেই সময়ের জাতীয় আন্দোলন ব্রিটিশকে বাধ্য করেছিল ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে ভারতবাসীর হাতে ক্ষমতার খানিকটা অংশ তুলে দিতে। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অন্যান্য দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ফেডারেশন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ।

    সে প্রস্তাবে ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক যে সমস্ত দেশীয় রাজ্য, তাদেরকে একটা instrument of accession আওতায় আনার কথা বলা হয়েছিল।

    সেই দলিলেই ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্তির প্রধান শর্তগুলি উল্লেখ থাকার কথা ছিল। এই শর্তগুলি কিন্তু ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মূল অংশে উল্লেখ ছিল না। ব্রিটিশ সরকার এই বিষয়ে একটি খসড়া দলিল তৈরি করেছিল।

    গোটা প্রক্রিয়াটি যখন চলতে থাকে তারই মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ফলে এই ফেডারেশন তৈরির প্রক্রিয়াটা শেষ অব্দি আর ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর আসে ১৯৪৭ সাল। ক্ষমতা হস্তান্তর পর্ব। ‘ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী দুটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের জন্ম হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষের নিজস্ব সংবিধান গৃহীত না হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনকে অন্তর্বর্তী সংবিধান হিসেবে ব্যবহার করার কথা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়।

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট, অর্থাৎ ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় থেকে ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত সময়কাল ভারত শাসিত হয়েছিল এই ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী। সেই সময় সেটিকেই ভারতবর্ষের সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হতো।

    আমাদের মনে রাখা দরকার যে, দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে এই ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের যে পরিকাঠামো ছিল, সেটিই কিন্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি দেশীয় রাজ্যবর্গকে ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার যে কৃতিত্বের ভাগীদার করেন, মজার কথা হল, সেই তথাকথিত কৃতিত্বের ভিত্তি কিন্তু সর্দার প্যাটেল তৈরি করেননি। স্বাধীন ভারতবর্ষের মানুষের তৈরি করা আইনের ধারাতেও দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি হয়নি। হয়েছিল ব্রিটিশের তৈরি করা আইনের বলে।

    ভারতের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের পূর্বে এক ভয়াবহ প্রজা বিদ্রোহ হয়। পাশাপাশি ঘটে আফ্রিদি দখলদারদের আগ্রাসন। এইসব ঘটনায় কাশ্মীরের ডোকরা রাজা হরি সিং ভয়ঙ্কর বিপন্ন বোধ করেন। সেই বিপন্নতার ভেতর থেকেই তিনি শেষ পর্যন্ত ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হরি সিংকে এই ভারতভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে শেখ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে কাশ্মীরের মানুষের জানকবুল লড়াইয়ের একটা ঐতিহাসিক অবদান ছিল।

    চুক্তিতে স্বাক্ষরের সাথে সাথেই হরি সিং ভারতবর্ষের শেষ ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে একটি চিঠি লিখে কাশ্মীরের জননেতা শেখ আব্দুল্লাহকে সে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করার কথা বলেন। সেই নিয়োগ কার্যকরী হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শেখ আব্দুল্লাহ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার হাতে। হরি সিং এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

    মাউন্টব্যাটেন তার পাশাপাশি জনমতের ভিত্তিতে কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের চূড়ান্ত সমাধান করার কথা বলেছিলেন।

    ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত আইনটির মূল ভিত্তি অনুসারে কাশ্মীরের হিন্দু ডোকরা রাজবংশের রাজা হরি সিং ভারতভুক্তির যে দলিলে স্বাক্ষর করেন, সেখানে কাশ্মীরের সুরক্ষা, বিদেশনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা- এই তিনটি বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ভারত রাষ্ট্রের সংসদের উপরে কিন্তু ন্যস্ত ছিল ।

    হরি সিং এর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীরের সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ থাকার কথা বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, রাজনৈতিক হিন্দুরা যে কাশ্মীরের জন্য পৃথক সংবিধান ইত্যাদি শব্দগুলো ব্যবহার করে থাকেন, এগুলির কোনো মূলগত ভিত্তি না থাকলেও, তাদেরই কার্যত অভিন্নহৃদয় বন্ধু, তথাকথিত হিন্দু স্বার্থরক্ষাকারী রাজা হরি সিং ভারতভুক্তির যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, সেখানে তিনি স্পষ্টত কাশ্মীরের পৃথক সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের কথা বলেছিলেন।

    কাশ্মীরের পৃথক সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব ভারতবর্ষের অন্য অংশের কোনো নেতাদের আরোপিত কোনো বিষয় নয়, বা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কিংবা শেখ আবদুল্লাহ আরোপিত কোনো শর্ত নয়। এটি একেবারেই কাশ্মীরের হিন্দু রাজা হরি সিং এর আরোপিত শর্ত। হরি সিং ভারতভুক্তির যে দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন, সেখানেই আগামী দিনে কাশ্মীর ভূখণ্ডে ভারতবর্ষের সংবিধান কিভাবে, কতোখানি কাজ করবে, সেই বিষয়টি ভারতবর্ষ এবং কাশ্মীরের পারষ্পারিক আলাপ-আলোচনার ভেতর দিয়ে ঠিক করার কথা খুব পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছিল।

    নয়াদিল্লি এবং শ্রীনগরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভেতরেও এ বিষয়টি নিয়ে ১৯৪৯ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা চলেছিল। ১৯৪৯ সালের ১৫ এবং ১৬ মে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের সঙ্গে তারই বাড়িতে দুই পক্ষের ভিতরে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের ১৮ মে পণ্ডিত নেহরু একটি দীর্ঘ চিঠি লেখেন শেখ আবদুল্লাহকে। সেই চিঠিতে নেহরু লেখেন-

    ” …it has been the settled policy of the government of india, which on many occasions has been stated both by sardar patel and me, that the constitution of Jammu and Kashmir state is a matter for determination by the people of the state represented in a Connstituent Assembly convened for the purpose……

    jammu and kashmir state now stands acceded to the indian union in respect of three subjects, nameley Foreign Affairs, Defence and Communication. It will be for the Cinstituent Assembly of the State, when cinvened, to determine in what other subjects the state may accede …”

    পণ্ডিত নেহরুর চিঠি থেকে এটা স্পষ্ট যে, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল- মহারাজা হরি সিংয়ের ভারতভুক্তির চুক্তিতে উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়া অন্যান্য প্রত্যেকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত অধিকার কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদের। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, এইসব আলাপ-আলোচনা সিদ্ধান্ত যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নিচ্ছে তখন কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। নেহরুর অবস্থান সর্দার প্যাটেলের অবস্থান কিংবা শেখ আব্দুল্লাহ অবস্থান অথবা মহারাজা হরি সিং এর অবস্থান কোনো কিছুই সেই সময় কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগে উৎসাহী করেনি।

    ১৯৪৯ সালের নভেম্বরে ভারতবর্ষের সংবিধানে রাজনৈতিক ঐকমত্য কয়েকটি বিধিবদ্ধ রূপ হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল চূড়ান্ত ভাবনা হয়ে। ৩৭০ ধারায় ভারতীয় সংবিধানের কোন কোন বিষয় কাশ্মীরে প্রযোজ্য হবে তা নিয়ে একটা চাপানউতোর কিন্তু প্রথম থেকেই ছিল। যার জেরে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দিল্লির প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা চলে ।

    এই আলাপ-আলোচনা ১৯৫২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলেছিল। ইতিমধ্যে কিন্তু প্যাটেল লোকান্তরিত হন। এই আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই ১৯৫২ সালের জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল দিল্লি চুক্তি। এ দিল্লি চুক্তি কাশ্মীরের সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের পরিবর্তে আংশিক স্বায়ত্তশাসনের একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল। কাশ্মীরের পৃথক সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের যে অভিযোগে রাজনৈতিক হিন্দুরা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরুকে অভিযুক্ত করে থাকে, প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীরের নিজস্ব সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের সেই রূপদাতা ছিলেন সেখানকার হিন্দু রাজা হরি সিং, যার চিন্তাভাবনা ইত্যাদির সঙ্গে আজকের আরএসএস ও তার রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির চিন্তাভাবনার সাযুজ্য বেশি।

    মজার কথা হল, এই হরি সিং-কে আশ্রয় করে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নানা সমস্যাকে ঘিরে এক ধরনের রাজনৈতিক হিন্দু ভাবাবেগ আরএসএস, সেই সময়ের জনসঙ্ঘ বা আজকের বিজেপি তৈরি করতে করে। যদিও তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি ও আদর্শগত চেতনার অন্যতম উদগাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জননী। লেডি যোগমায়া দেবী তার কনিষ্ঠ পুত্র উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হিমালয়ে তীর্থ ভ্রমণকালে, কাশ্মীরের রাজ পরিবারের মুখোমুখি পড়ে গেলেও তাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় পর্যন্ত করতে অস্বীকার করেছিলেন।

    কাশ্মীরের হিন্দু রাজা, হিন্দু ঐক্যমত্যের তাগিদে লেডি যোগমায়া দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের চেষ্টা করলেও পুত্র শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে এই হরি সিং-কে এবং তার সহযোগীদের সন্দেহের উর্ধ্বে লেডি যোগমায়া দেবী কখনো রাখেননি। তাই তিনি হিমালয় ভ্রমণ কালে কাশ্মীর রাজ পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাতের আহ্বান ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বর্তমান নিবন্ধকার রেডি যোগমায়া দেবী জীবনের এ ঘটনাবলি উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছে শুনেছেন। উমাপ্রসাদ তার ভ্রমণ সংক্রান্ত গ্রন্থেও এই ঘটনা লিখে গিয়েছেন।

    জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব এবং সেইসব মানুষদের বিশেষ অধিকার আর সুযোগসুবিধের বিষয়গুলো কিন্তু হরি সিংয়ের ভারতভুক্তির চুক্তির মধ্যে সেভাবে আলোচিত হয়নি। হরি সিংয়ের ভারতভুক্তির চুক্তির সময় কাল থেকে দিল্লি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময়কালের ভেতরে এই প্রশ্নগুলি নানাভাবে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের ভেতরে ওঠায়, নানা ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলন দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতেই এই প্রসঙ্গগুলো দিল্লি চুক্তিতে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে স্থান পেয়েছিল ।

    দিল্লি চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার সময় পণ্ডিত নেহরুর যে সমস্ত ব্যক্তিগত নোট পাওয়া যায় এবং দিল্লি চুক্তি সংক্রান্ত যে ভাষণ তিনি সংসদে দিয়েছিলেন, তার থেকে এটা খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা যায় যে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, সেই সব মানুষদের বিশেষ অধিকার এবং সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলি সেই সময়ে পণ্ডিত নেহরুসহ তার সতীর্থদের কাছে যেমন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল, তেমনি গুরুত্ব পেয়েছিল কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছেও।

    এই যে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা পণ্ডিত নেহরুকে ঘিরে নানা ধরনের অপপ্রচার করে থাকেন, তার প্রেক্ষিতে বলতে হয় জম্মু-কাশ্মীরে কোনো বাইরের মানুষ জমি বা সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে যে বিধি-নিষেধের আওতায় আছে সেই বিধি নিষেধ কিন্তু লাগু হয়েছিল উনিশ শতকের প্রথমভাগে। সেটি লাগু করেছিলেন হিন্দুরা। হিন্দু ডোগড়া শাসকরা তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার একদম প্রথম যুগে, বিশ শতকের প্রথম সময় থেকেই কাশ্মীরে বংশানুক্রমিক প্রজা এই বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। সেখানকার হিন্দুরা যাদের বদান্যতাতেই একটা সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিভাষা হিসেবে বিষয়টি উঠে আসতে শুরু করে।

    জম্মু-কাশ্মীরের সরকারি চাকরিতে পাঞ্জাবি হিন্দুদের নিয়োগের প্রতিবাদে ‘কাশ্মীর হলো কেবল কাশ্মীরিদের’- এই যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং এ দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘিরে একটা বৃহৎ আন্দোলন বিশ শতকের গোড়াতে কাশ্মীর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই আন্দোলনের প্রধান দাবি ছিল, কাশ্মীরের সব সরকারি চাকরি কাশ্মীরিদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে। কাশ্মীরের ডোগড়া রাজারা ১৯১৩ সাল থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই সম্পর্কে বেশ কিছু আইন তৈরি করেছিলেন।

    ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তৈরি এইসব আইনের ভিতরে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ১৯২৭ সালের ‘হেরিডিটারি রি স্টেট সাবজেক্ট অর্ডার’। এই আইনের ভেতর দিয়েই সরকারি চাকরি, জমি এবং সম্পত্তির মালিকানার ক্ষেত্রে বংশানুক্রমিক প্রজাদের একচ্ছত্র অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লি চুক্তির সময় কিন্তু ভারতের মূল ভূখণ্ডের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা প্রত্যেকেই সেরাজ্যের এই ঐতিহাসিক সামাজিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে তার ধারাবাহিকতা রক্ষার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ।

    রাজা হরি সিং যে আইন তৈরি করেছিলেন, কাশ্মীরের মানুষদের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে সেই আইনের ধারাবাহিকতার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছিলেন শেখ আব্দুল্লাহ বা তার সহযোগীরা, আর ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থানকারী সেইসময়ের নেতৃত্ব সেই দাবিটিতেই তাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। তাই কাশ্মীরের মানুষদের জন্য বিশেষ অধিকার নেহেরু তার ব্যক্তিগত স্বার্থে দিয়েছিলেন বলে রাজনৈতিক হিন্দুরা যে দাবি করেন, সেটি সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন।

    কাশ্মীরে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠন হওয়ার পর ১৯৫৬ সালের নভেম্বর মাসে জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধানে স্থায়ী বাসিন্দার একটা আইনসম্মত পরিভাষা তৈরি করা হয়। সেই পরিভাষাতে ১৯৫৪ সালের ১৪ মে বা তার আগে যেসব মানুষজনেরা জম্মু-কাশ্মীরের প্রজা হিসেবে বিবেচিত ছিলেন কিংবা যারা তার আগের দশ বছরে বা তার বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে অবস্থান করছেন এবং আইন অনুসারে স্থাবর – সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন, তারাই কেবল মাত্র স্থায়ী বাসিন্দার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

    তারপরেও জম্মু-কাশ্মীরের আইনসভা স্থায়ী বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার এবং সুযোগ সুবিধার দিকগুলি চিহ্নিত করে একাধিক আইন অনুমোদন করেছিল। এইসব আইনের দ্বারা সরকারি চাকরি, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার, সরকারি কলেজে লেখাপড়ার করার সুযোগ সুবিধা, সরকারি বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ ইত্যাদি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়।

    জম্মু-কাশ্মীরে স্থাবর সম্পত্তির উপর অধিকার কায়েম করার বিষয়ে অস্থায়ী বাসিন্দাদের উপরে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপিত হয়। এই ধরনের বিধিনিষেধ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বলবৎ আছে। এই ধরনের বিধিনিষেধ যে কেবল জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা করে কিছু করা হয়েছে তেমনটি নয়।

    জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের বিশেষ অধিকার নিয়ে রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িকদের আপত্তির ক্ষেত্রে দুটি প্রধান বিষয় ছিল। রাষ্ট্রপতি দেশের সংবিধানকে এড়িয়ে সংবিধান সংশোধন করতে পারেন না। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি-তে প্রতিষ্ঠিত করবার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর ধারাটি উপেক্ষা করতে পারেন না ।

    সংবিধানের এই ৩৬৮ নম্বর ধারাটি সংসদকে সংবিধান সংশোধনের অধিকার দিয়েছে। দ্বিতীয় বিষয় হল, জম্মু কাশ্মীরের জন্য ৩৫-এ ধারাটি বৈষম্যমূলক। সংবিধানের একটি মূলভিত্তি দ্বারা সংবিধানের ১৪ ধারা, সেই অনুযায়ী আইনের চোখে সকলের সমতার অধিকারকে এই ৩৫-এ ধারা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করছে ।

    মজার কথা হল, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতবর্ষের সংবিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক্সেপশন এবং মডিফিকেশনের বাস্তবতার বিষয়টিকে মুক্তকণ্ঠ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে কিন্তু কোনো রকম শর্ত আরোপ করা হয়নি এবং সাংবিধানিক নির্দেশিকার ভেতর দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে যে সংশ্লিষ্ট আইনগুলি জারি করতে হবে তাও খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল।

    রাজনৈতিক হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি একটিবারের জন্য বলছেন না, ভারতীয় সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর ধারায় কাশ্মীর সংক্রান্ত বক্তব্য কিন্তু খুব পরিষ্কারভাবে রয়েছে। তাই সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫-এ ধারা, যেগুলিকে বিজেপি কার্যত গায়ের জোরে বাতিল করল, সেগুলি সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে তারা যে প্রশ্ন তোলেন, সেই প্রশ্নের পিছনে আদৌ কোনও যুক্তি নেই। বিজেপি ঘণিষ্ঠ সংগঠন ‘উই দি সিটিজেন্স’ এ সম্পর্কে সেই মামলাগুলি করেছিল- যেগুলো দেশের শীর্ষ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট দু-দুবার তা খারিজ করে দিয়েছে।

    ১৯৬১ সালে এই বিষয়ক একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, সংবিধানের ৩৭০ ধারার বিষয়ে মডিফিকেশন শব্দটিকে ব্যাপক অর্থে আমাদের উপলব্ধিতে আনতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলায় খুব পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিল যে, সাংবিধানিক নির্দেশিকার মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে প্রযোজ্য যে কোনো আইনে মূল পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির আছে। এ বিষয়ে দ্বিতীয় আরেকটি খুব উল্লেখযোগ্য মামলা হল ১৯৬৯ সালে সম্পত প্রকাশ বনাম জম্মু-কাশ্মীর সরকার মামলা।

    এই মামলায় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিলেন যে, ভারতের সংবিধানের ৩৬৮ ধারা সরাসরি জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী ভারতীয় সংবিধানের কোনো সংশোধিত অংশ জম্মু-কাশ্মীরে প্রয়োগ করতে গেলে তা করতে হবে ৩৭০ ধারা অনুযায়ী। সাংবিধানিক নির্দেশিকা অনুসারী কোনো অঞ্চল বা জনগোষ্ঠীকে যদি বিশেষ অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে কি মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বিনষ্ট হয় না।

    কাশ্মীরিদের যে কাশ্মীরিওয়াতের স্রোত বিশ শতকের গোড়ায় কাশ্মীরি জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল, যার জেরে ১৯২৭ সালে ‘হেরিডিটারি স্টেট সাবজেক্ট অর্ডার’ তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতকে যদি আমরা অস্বীকার করি, তাহলে কিন্তু বাস্তব থেকে আমরা দূরে সরে যাব। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা ১৯০৮ সালে বিরসা মুন্ডা উলগুলানের পরে ব্রিটিশ সরকার তৈরি করেছিল ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট ।

    এই আইন অনুযায়ী আজও পূর্ব ভারতের একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আদিবাসী জমি বিক্রি ও হস্তান্তরের উপরে কঠোর আইনি বিধিনিষেধ আছে। আদিবাসী জমিও আদিবাসীদের বিক্রি করা বা হস্তান্তর করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে, এমন কি স্বাধীনতার পরেও এই ছোটনাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট একটা বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে ।

    কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আজকের ঝাড়খন্ডে বিভিন্ন মাইনিং কর্পোরেশনগুলির যে জমি ক্ষুধা, সেই ক্ষুধাকে প্রতিহত করতে এই আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই আইনটি একটি ভৌগলিক অঞ্চলে অবস্থানকারী একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মানুষকে কিছু বিশেষ অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকারের ভিতর দিয়ে ওই মানুষদের মৌলিক অধিকারকে কিন্তু প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেই আইনের যদি বৈধতা থাকতে পারে, তাহলে কেন ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-এ ধারা বৈধতাকে ঘিরে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সেই আইন কে বাতিল করা হয়েছে?

    ১৯৬২ সালে ভারতীয় সংসদে নাগাল্যান্ড বিষয়ক একটি সংবিধান সংশোধনী অনুমোদিত হয়। সংবিধানের ৩৭১ এ ধারাতে নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়া আছে। এই তালিকার ১-এ ৪ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই ধারাটি কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার কিংবা সামাজিক প্রথাসিদ্ধ আইনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। জমিজমা এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার বিষয়ক যাবতীয় আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ও নাগাল্যান্ড আইনসভার হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

    এমন বিশেষ রক্ষাকবচ কিন্তু ভারতবর্ষের আর অন্য কোন রাজ্যের নেই। একই কথা প্রযোজ্য মিজোরাম বিষয়ক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭১ জি ধারা সম্পর্কেও। এছাড়াও বিশেষ আইন আসাম, মনিপুর, অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে। এগুলি হল ৩৭১ বি, সি, ডি, এফ, এইচ এবং আই ধারা ।

    ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় একটি দেশে কেন্দ্রিভূত ক্ষমতার জোরে কেন্দ্রিয় সরকার জমি, জীবিকা, প্রাকৃতিক সম্পদ, ভাষা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে ধরনের কেন্দ্রিভূত ক্ষমতার মোহময় আচরণ করে তাতে ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, যেটা চিরন্তন ভারতবর্ষের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, তা অনেক সময় সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।

    যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় তাই এই ধরনের বিষয় কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবেই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক পুনর্বিন্যাস নিয়ে গঠিত সারকারিয়া কমিশন বিবেচনার রেখেছিল।

    কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভেতরে আপামর ভারতবাসী সম্পর্কে ভালোবাসা, ভালো লাগার বিষয়টি ঘিরে একটা চাপানউতোর শুরু হয় ১৯৪৯ সালে। জাতীয় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ৩৭০ ধারার বয়ান তৈরি হয়েছিল ।

    আইনের মূল অংশে উল্লেখিত ছিল ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট’ এই শব্দগুলো। এটির পরিভাষা নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃত্বের ভিতরে মতবিরোধ শুরু হয়। সেই মতবিরোধের প্রেক্ষিতে এই ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট’ শব্দটির একটি স্পষ্ট পরিভাষা সেখানে দেওয়া হয়েছিল, যে পরিভাষাটি কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতৃত্ব ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঠিক করেছিলেন।

    দেখা গেল, ভারতের গণপরিষদের যখন এটি পেশ করা হচ্ছে, তখন কাশ্মীরের নেতৃত্বের সঙ্গে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সংশ্লিষ্ট খসড়া আইনটিতে ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঠিক করা অংশটির মুসাবিদাতে একটা বড় রকমের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি করেছিলেন আইনটির খসড়া লেখার দায়িত্বে যিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি। তিনি হলেন সেই সময়ের বিশিষ্ট আইনজীবী স্যার এন জি আয়াঙ্গার।

    ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং জাতীয় কংগ্রেসের নেতাদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে তৈরি করা বয়ানে ‘অ্যাপয়েন্টেড’ শব্দটি ছিল। আর গণপরিষদে পেশ করা বিলটিতে বলা হলো অন্য শব্দ- অর্ডারড।

    খোলা চোখে দুটি শব্দ আপাত নিরীহ মনে হবে, কিন্তু দুই দলের নেতৃত্বে স্থির করা পরিভাষা থেকে সরে গিয়ে পরিবর্তিত পরিভাষা অনুযায়ী এর অর্থ দাঁড়িয়েছিল, ১৯৪৮ সালে কাশ্মীরে ক্ষমতাসীন শেখ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভাকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছিল, যার অর্থ দাঁড়ায় কাশ্মীরে গণপরিষদ তৈরির আগে শেখ আব্দুল্লাহের ওই মন্ত্রিসভায় কোন বড় রদবদল করা যাবে না।

    এটিকে ওই পরিভাষাজনিত শব্দের জাদুকরী মায়ায় একটা আইনি লেবেল লাগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ৩৭০ ধারার একটি অস্থায়ী চরিত্র সেখানে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। আর পরিবর্তিত পরিভাষায় ক্ষমতাসীন যে কোনো রাজ্য সরকারকেই ৩৭০ ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে গভর্নমেন্ট অব দ্য স্টেট বলার খুব সুস্পষ্ট সংস্থান রাখা হয়েছিল।

    এ ঘটনা শেখ আব্দুল্লাহসহ গণপরিষদের কাশ্মীরি সদস্যদের ভেতরে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি করে। ১৯৫৪ সালে যে ৩৫ এ ধারা সংক্রান্ত নির্দেশ, সেখান থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩৭০ ধারা প্রয়োগ করে ৪৭টিরও বেশি সাংবিধানিক নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।

    ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় সংবিধানের ২৪৯ ধারা সংক্রান্ত একটি সাংবিধানিক নাম নির্দেশকে ঘিরে এক ভয়াবহ সাংবিধানিক সংকট জম্মু-কাশ্মীরে তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে রাজ্যপাল শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এই নির্দেশে সম্মতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত রাজ্যপাল জগমোহন।

    সেই সম্মতি ছিল সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। এখন ভাবলে সত্যি আশ্চর্য লাগে এই যে, পরবর্তীকালে বিজেপি নেতা এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য জগমোহন রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বকালে কংগ্রেসের আস্থাভাজন রাজ্যপাল হিসেবে কর্মরত থেকে কি প্রকৃতপক্ষে আরএসএস-বিজেপির সুবিধা হয় তেমন নির্দেশিকা জারি করে সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির জন্য ভবিষ্যতে বিজেপির পথ খুলে রেখে গেছিলেন? অপরিণত রাজনীতিক রাজীব গান্ধীর অপরিণামদর্শী রাজনীতির মাসুলই কি অবশেষে কাশ্মীরকে গুনতে হলো, যার জেরে গোটা ভারতবর্ষে সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় একটা গভীর সংকটের মধ্যে পড়ল। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতবর্ষের অবস্থান ঘিরেও নানা ধরনের প্রশ্ন ওঠার সুযোগ তৈরি হলো। বিশেষ করে এই ৩৭০ ধারার অবলুপ্তিকে কেন্দ্র করে আরএসএস-বিজেপির সব থেকে কাঙ্ক্ষিত মেরুকরণের রাজনীতি আরো অনেক বেশি দেশের সর্বস্তরে বিস্তার লাভের সুযোগ করে নিল।

  6. মাসুদ করিম - ১৩ আগস্ট ২০১৯ (৪:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    A leaf out of Chinese book

    China claims to have solved its Uygur Muslim problem through tourism. The BJP is apparently trying the same model in Kashmir… the greatest achievement of India was to have been a pluralist, democratic state. We are dismantling it.

    During a recent trip to China, I picked up several copies of China Daily at the wonderful Beijing Foreign Language Bookstore on Wangfujing Street, the happening high street of shopping in the Chinese national capital. There was a heatwave on in Beijing with temperatures hitting 38 degrees and so what fascinated me was a story in the July 19th edition of China Daily that I brought back with me to Delhi. The headline was ‘Cooler Xinjiang lures tourists beat by heat’. The context to the story was the domestic Chinese summer holiday season (economic reforms have led to a huge tourism boom inside China from small towns and regions where wages have gone up). I will now quote some lines verbatim from the story. “The Xinjiang Uygur autonomous region has emerged as a popular destination for travellers looking to beat the heat.”

    The figures quoted in the story were as follows: for the first time, Urumqi, the region’s capital, was included among the top-10 domestic destinations for summer holidays. There is something called the China Tourism Academy that stated that a destination suitable for beating the heat should have temperatures between 18 and 28 degrees Celsius and Xinjiang met the requirements. The story quoted various Han Chinese travellers as saying how much they loved it there.
    The region’s tourism secretary spoke of the mountains, the monuments, the new tourism infrastructure, the Baiyun international ski resort and the grand canyon in the region. He claimed that the region received 151 million visitors in 2018. The photograph accompanying the story showed happy, smiling, dancing locals at a monument in Kashgar (that falls on the historic Silk Route and does indeed evoke the imagination). The caption went as follows: tourists and staff of the ancient city of Kashgar in Xinjiang Autonomous Region dance together. The scenic area received more than 3,10,000 visitors in the first half of 2019, a year-on-year growth of more than 90 per cent! If we go by this report, China has solved its alleged Uygur Muslim problem with tourism.

    That seems to be the fantasy of the BJP regime that revoked Article 370 after locking down the people of Kashmir and taking away their communications link. At some point, the locals could be let out to dance and pose for the cameras. We have already seen some evidence that appears to be scripted. A photograph of NSA Ajit Doval sharing a meal with Kashmiri locals has been distributed on social media and sent to me several times with remarks such as ‘wonderful moment’, ‘Kashmiris celebrating’, ‘breakthrough by Modi government’. All of this while most Kashmiris remained under curfew, inside homes, cell phones blocked.
    None of us knows the exact details of how China subdued Tibet and more recently Xinjiang. We know it is an authoritarian surveillance state that has, however, achieved giant economic leaps forward and pulled millions out of poverty. A professor in Peking University told me that the Chinese have been “reset” into losing old class distinctions to ensure the development is for everyone and the state is not prejudiced on the basis of the region, but against religion. Those who wanted to assert distinct religiosities, such as the Buddhist Tibetans and the Ugyar Muslims, fell foul of the regime. In the view of the Chinese, though, these problems are mostly settled.

    The greatest achievement of India, way behind China in economic growth and global clout, was to have been a pluralist, democratic state that accommodated and celebrated diversity. We are dismantling it, apparent in the manner in which we got rid of Article 370 in the shroud of secrecy after upping the number of military boots on the ground in Kashmir. It all suggests the Chinese model, particularly the declared intention of building highways and tourist destinations. China has done the same in both Tibet and Xinjiang (the Israelis have never tried to present Gaza as a tourism site).

    Authoritarian instincts cannot be contained in one region. It’s all interconnected. The day after Kashmir was cut off and 370 scrapped, security was beefed up by the administration in Aligarh Muslim University after they heard that students wanted to have a debate on the implications of the scrapping Article 370. It’s infectious. Does anyone see India being an efficient authoritarian state? We can, however, quite easily be a backsliding democracy and an inefficient wannabe China.

    Meanwhile, it’s tragi-comic to see several national dailies carry reports and opinions that suggest both the possibilities every single day since 370 went. Scenario one: terrorism could go up in Kashmir and indeed spread across India because the Valley will be kept under a military boot. Scenario two: tourism will boom, we will all be skiing in Gulmarg next winter and sailing down the Dal Lake in summer. Never mind that the Indian economy is sinking, jobs are going. Kashmir will boom — with guns or tourists?

  7. মাসুদ করিম - ১৭ আগস্ট ২০১৯ (৬:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমানের চিরবিদায়

    স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অগ্রজ কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান মারা গেছেন।

    রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মৃত্যু হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত এই লেখিকার। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

    রিজিয়া রহমানের একমাত্র ছেলে আবদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন তার মা। রক্তের সংক্রমণের কারণে ঈদের পরদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এই কথা সাহিত্যিকের মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।

    সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “তার মৃত্যু এদেশের সাহিত্য অঙ্গণের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য খ্যাতনামা এ ঔপন্যাসিককে এদেশের মানুষ দীর্ঘকাল স্মরণ রাখবে।”

    ১৯৩৯ সালে কলকাতার ভবানীপুরে রিজিয়া রহমানের জন্ম। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে তিনি এপার বাংলায় চলে আসেন।

    ষাটের দশক থেকে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্যসহ সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবে।

    চিকিৎসক বাবা আবুল খায়ের মোহম্মদ সিদ্দিকের বদলির চাকরির সুবাদে রিজিয়ার শৈশব কেটেছে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে। পরিবারে ছিল একটি সাংস্কৃতিক আবহ। আবুল খায়ের এস্রাজ আর বাঁশি বাজাতেন। মা মরিয়াম বেগমও গান ভালোবাসতেন। বাড়িতে ছিল ঘরভর্তি বই।

    ফরিদপুরে যখন প্রাথমিকের ছাত্রী তখন থেকেই কবিতা লিখতেন রিজিয়া। ‘সত্যযুগ’ পত্রিকায় ছোটদের বিভাগে তার সেই কবিতা ছাপা হয়েছিল। একই পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তার প্রথম গল্প। পরে দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। ‘ললনা’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয় তার ‘ঘর ভাঙা ঘর’ উপন্যাসটি।

    বাবার মৃত্যুর পর নানার বাড়িতে রিজিয়ার লেখাপড়া নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। মাধ্যমিকের পরপরই বিয়ে হয়ে যায়, ভূতত্ত্ববিদ স্বামী মো. মীজানুর রহমানের সঙ্গে চলে যান পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে।

    পরে দেশে ফিরে ইডেন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক আর ডিগ্রি পাস করেন রিজিয়া রহমান। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে করেন মাস্টার্স।

    শৈশব থেকে জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা আর নানা জায়গায় দেখা নিম্নবর্গের মানুষের জীবনের গল্প উঠে এসেছে রিজিয়া রহমানের লেখায়।

    বস্তিবাসীর ক্লেদাক্ত জীবন আর যৌনপল্লীর যন্ত্রণাকাতর প্রাত্যহিকতা যেমন তার উপন্যাসে এসেছে, তেমনি চট্টগ্রামে পর্তুগিজ জলদস্যুদের উৎপাত আর প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের বীরত্বও তার লেখায় প্রেরণা যুগিয়েছে।

    ‘বং থেকে বাংলা’ উপন্যাসে রিজিয়া লিখেছেন বাঙালির জাতিগঠন ও ভাষার বিবর্তনের গল্প। তার ‘শিলায় শিলায় আগুন’ বলেছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের নিপীড়িত মানুষের স্বাধীনতার চেতনার কথা। আর ‘একাল চিরকাল’ধারণ করেছে সাঁওতাল জীবনের আনন্দ, বেদনা, শোষণ, বঞ্চনার কথামালা।

    সহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান রিজিয়া রহমান। আর সরকার চলতি বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

    অগ্নিস্বাক্ষরা, ঘর ভাঙা ঘর, উত্তর পুরুষ, রক্তের অক্ষর, বং থেকে বাংলা, অরণ্যের কাছে, শিলায় শিলায় আগুন, অলিখিত উপাখ্যান, ধবল জোৎস্না, সূর্য সবুজ রক্ত, একাল চিরকাল, হে মানব মানবী, হারুন ফেরেনি, উৎসে ফেরা তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

    রিজিয়া রহমান বেশ কিছুদিন একটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। বাংলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের কার্য পরিচালক এবং জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা বোর্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সব কিছুর পর লেখাই ছিল তার মূল কাজ।

    একমাত্র ছেলে আবদুর রহমান জানান, উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে বাসার কাছের মসজিদে শুক্রবার আসরের পর রিজিয়া রহমানের জানাজা হবে। পরে মিরপুর কবরস্থানে ভাইয়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

  8. মাসুদ করিম - ১৮ আগস্ট ২০১৯ (৩:৫৯ অপরাহ্ণ)

    রবীন্দ্রনাথ বলতেন, ‘চিত্রনিভা হচ্ছে নূতনের সঙ্গী’

    নন্দলাল বসুর অন্যতম প্রিয় ছাত্রী আলপনা আঁকায় সিদ্ধহস্ত হ‌ওয়ায় শান্তিনিকেতনের ছেলেমেয়েরা চিত্রনিভাকে ‘আলপনাদি’ নামেও ডাকতেন।

    যত বার চিত্রনিভা গুরুদেবকে ছবি দেখাতে যেতেন তত বার তিনি আগ্রহের সঙ্গে ছবিগুলি দেখে তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেছেন, ‘‘তোমার শক্তি আছে, তুমি পারবে, তোমায় আশীর্বাদ করলুম।’’ চিত্রনিভা যখন প্রথম শান্তনিকেতনে আসেন তখন ছাত্রীনিবাস ছিল ‘দ্বারিক’। তখন সেখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। গুরুদেবের ইচ্ছানুসারে তখন মেয়েরা পালা করে ছোট্ট শিশুদের দেখাশোনা করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে গুরুদেবের উদ্যোগে ‘শ্রীসদন’ নামে নতুন ছাত্রীনিবাস গড়ে ওঠে। তখন দেশ-বিদেশ থেকে কোন‌ও নতুন মেয়ে শ্রীসদনে এলেই চিত্রনিভা তাঁদের নিয়ে গুরুদেবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেন। কবিগুরু সবাইকে বলতেন, ‘‘চিত্রনিভা হচ্ছে নূতনের সঙ্গী।’’ কবিগুরু সব সময়‌ই বলতেন, ‘‘বিদেশিরা আমাদের অতিথি, তাদের যেন কোন‌ও অযত্ন না হয়।’’

    শান্তিনিকেতনের ছাত্রীদের প্রতি কবিগুরুর অসীম স্নেহ ছিল। তিনি সবসময় চাইতেন মেয়েরা যেন নির্ভীক হয়ে চলতে শেখে। তিনি সবসময় চিত্রনিভাদের বলতেন, ‘‘এই আশ্রম আমি বিশেষ করে মেয়েদের জন্যই তৈরি করেছি, যাতে মেয়েরা মুক্তভাবে শিক্ষালাভ করতে পারে।’’ এ ছাড়া তিনি আরও বলতেন, ‘‘তোমাদের যখন যা কিছু বুঝবার থাকে আমার কাছে এসে বুঝে নিও।’’ চিত্রনিভা নিস্তব্ধ দুপুরে কবিগুরুর কাছে যেতেন কবিতা বুঝতে। নিরিবিলির জন্য কলাভবনে ছবি আঁকতেও যেতেন দুপুরবেলাতেই। আর বিকেলবেলায় একখানা স্কেচবুক হাতে করে ছবি আঁকতে বেরিয়ে পড়তেন সবুজ মাঠে এবং গ্রাম-গ্রামান্তরে। কিন্তু চিত্রনিভা এই নিয়মের বেড়াজালে নিজেকে আটকে রাখতে চাননি। তাঁর লক্ষ্য ছিল আরও দূর-দূরান্তে নিসর্গের এক গভীর অরণ্যে। ইত্যবসরে মনে পড়ে যায় গুরুদেবের সেই অভয় বাণী, ‘‘তোমাদের যখন যা অসুবিধা হয়, আমায় জানিও।’’ মুক্তিলাভের আশায় এক দিন ছুটে গিয়েছিলেন গুরুদেবের কাছে। প্রণাম করতেই তিনি বলে উঠলেন, ‘‘কী খবর বলো?’’ কিন্তু মুখে কথা নেই চিত্রনিভার। তাঁর সব কিছু যেন গুলিয়ে গেল। কেবল ‘ওই তালগাছ পর্যন্ত’ বলেই থেমে গেলেন। কিন্তু কী আশ্চর্য, গুরুদেব তাঁর আগমনের হেতু বুঝতে পারলেন। অভয় দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘তোমার কোনো চিন্তা নেই, আমিই তোমায় পারমিশন দিলুম, তুমি ওই তালগাছ ছাড়িয়ে যতদূর ইচ্ছে স্কেচ করতে যেতে পারো।’’ তাই তো শান্তিনিকেতনে মুক্তবিহঙ্গের মতো নিজেকে বিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন চিত্রনিভা।

    শুধু তাই নয়, নন্দলাল বসুর প্রিয় ছাত্রী আলপনা আঁকায় সিদ্ধহস্ত হ‌ওয়ায় শান্তিনিকেতনের ছেলেমেয়েরা চিত্রনিভাকে ‘আলপনাদি’ নামে ডাকতেন। মহাত্মা গাঁধীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ডেকে পাঠায় রাজঘাটে গাঁধীমণ্ডপে আলপনা দেওয়ার জন্য। জগদীশচন্দ্র বসু শতবার্ষিকী উপলক্ষেও তাঁকে ডাকা হয়েছিল আলপনা দেওয়ার জন্য। কলাভবনে ১৯৩৪ সালে তাঁর শিল্পশিক্ষা সমাপ্ত হলে কবিগুরু ও নন্দলাল বসুর ইচ্ছানুসারে তিনি ১৯৩৪ সালে কলাভবনে শিল্প-অধ্যাপিকার পদে যোগ দেন। সেই অর্থে তিনিই হলেন কলাভবনের প্রথম অধ্যাপিকা। সুখময় মিত্র, নিহাররঞ্জন চৌধুরী, সুকৃতি চক্রবর্তী, শঙ্খ চৌধুরী প্রমুখ প্রখ্যাত শিল্পী ছিলেন তাঁর ছাত্র। ১৯৩৬ সালে এক বছর অধ্যাপনা করার পরে চাকরিজীবন থেকে অব্যাহতি নিয়ে চিত্রনিভাকে ফিরে যেতে হয় লামচরে শ্বশুরবাড়িতে। লামচরে ফিরে গিয়ে গ্রামের মহিলাদের শিল্পশিক্ষার মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলার ব্যাপারে তিনি উদ্যাগী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের বিভাগীয় প্রধান জে কে চৌধুরীর বৈঠকখানায় দেওয়াল জুড়ে তিনি একেঁছিলেন প্রথম জয়পুরী রীতির ভিত্তিচিত্রটি। দেশভাগের পরে বারবার বাড়িটির মালিকানা হস্তান্তরিত হ‌ওয়ার ফলে ভিত্তিচিত্রটির আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই।

    চিত্রনিভা ভারতের প্রাচীন সাহিত্যের চরিত্র ও ঘটনা অবলম্বনে নানা চিত্রাবলী তৈরি করেন। বিশেষত ফুলের ছবি, শান্তিনিকেতনের জীবন ও নানা অনুষ্ঠান, সাঁওতাল অধিবাসীদের জীবনযাত্রা, পুরাণকল্পমূলক বিষয়‌ও তাঁর চিত্রে স্থান পেয়েছে। কলাভবন প্রাঙ্গণে অবস্থিত ‘কালোবাড়ি’র ‘শিবের বিয়ে’ ম্যুরাল নির্মাণে চিত্রনিভার বিশেষ অবদান রয়েছে। চিত্রনিভার বেশিরভাগ চিত্র‌ই জলরং ও প্যাস্টেলে আঁকা। ‌‌‌‌পেন্সিলে অঙ্কিত রবীন্দ্রনাথ, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, খান আবদুল গফ্ফর খান, গাঁধীজি, সরোজিনী নাইডু, হেমলতা ঠাকুর, আলাউদ্দিন খাঁ, জ‌ওহরলাল নেহরু, রাজশেখর বসু, নজরুল ইসলাম, বনফুল, রামকিঙ্কর বেজ প্রমুখের প্রতিচ্ছবিগুলি স্বকীয়তায় আজ‌ও সমুজ্জ্বল। তাঁর আঁকা ‘বসন্ত উৎসব’কে অন্যতম সেরা ছবি বললেও অত্যুক্তি হবে না। সেই ছবিতে বড় জীবন্ত হয়ে আছেন তাঁর জীবনের আদর্শ ‘ঋষি রবীন্দ্রনাথ’। পরিশেষে, বলতেই হয় প্রতিকৃতির এই শিল্পকর্মগুলি নিঃসন্দেহে জাতীয় সম্পদ হিসেবে সংরক্ষিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

  9. মাসুদ করিম - ২৪ আগস্ট ২০১৯ (২:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    যুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা মোজাফফর আহমদ আর নেই

    বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মারা গেছেন।

    গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েক দিন ধরে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ১৪ অগাস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থা আরও গুরুতর হওয়ায় ১৯ অগাস্ট তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান সংগঠক হিসেবে একাত্তরে ন্যাপ ও কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে বিশেষ গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলায় নেতৃত্ব দেন মোজাফফর আহমদ। প্রশিক্ষণ শেষে ওই বাহিনী ঢাকা, নরসিংদী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুরসহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।

    জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনেও ভূমিকা পালন করেন মোজাফফর আহমদ।
    মোজাফফর আহমদের জন্ম ১৯২২ সালের ১৪ এপ্রিল, কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ এমএ পাস করার পর ইউনেসকো ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যোগ দেন অধ্যাপনায়। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন।

    ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাফফর আহমদ এই আন্দোলন সংগঠনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৫৪ সালে চাকরি ছেড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। ওই বছর সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে জয়ী হন।

    অধ্যাপক মোজাফফর আহমদই প্রথম ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব তোলেন। এরপর ছয় দফাসহ প্রতিটি আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন তিনি।
    ষাটের দশকের শেষ ভাগে বিশ্বব্যাপী কমিউনিস্ট আন্দোলনে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নপন্থি দুই ধারা স্পষ্ট হয়। এ নিয়ে মতবিরোধ থেকে মাওলানা ভাসানী থেকে আলাদা হয়ে যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। ভাসানী নেতৃত্বাধীন ন্যাপ চীনপন্থি, আর ন্যাপ মোজাফফর হয় মস্কোপন্থি।

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার কাকরাইলে মোজাফফর আহমদের বাবার বাড়ি লক্ষ্য করে গোলাগুলি শুরু হলে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান। এরপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে যান ভারতের আগরতলায়।

    তাজউদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করা হলে তাতে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকেও সদস্য করা হয়।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব নিতে অস্বীকার করা মোজাফফর আহমদ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারও নেননি।

    মোজাফফর আহমদ ১৯৫২ সালের ২৪ অক্টোবর আমিনা আহমেদকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র মেয়ে আইভির জন্ম হয় ১৯৫৫ সালে।

    ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্ত্রী আমিনা আহমেদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নবম সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন।

    ন্যাপের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথ জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১১টায় অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের মরদেহ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে নেওয়া হবে ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ের সামনে।

    সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১২টায় মোজাফফর আহমেদের মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর বাদ যোহর বায়তুল মোকাররমে তার জানাজা হবে।

    পরে অধ্যাপক মোজাফফরের মরদেহ নেওয়া হবে কুমিল্লায় তার নিজের এলাকায়। পরদিন রোববার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

  10. মাসুদ করিম - ২৬ আগস্ট ২০১৯ (৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    A bottom-up approach to conservation

    In 2018, many people thought that the floods and landslides in Kerala that caused huge financial losses and manifold human tragedies marked a once-in-a-century calamity, and that normalcy will return soon and we can merrily return to business as usual. Further, the probability of two such back-to-back events was only 1 in 10,000. Hence, in 2019, a repeat of the shocking train of intense floods, landslides, financial losses and manifold human tragedies has not just left the same set of people stunned but also made them realise that it is unwise to continue business as usual, and that we must think afresh of the options before us.

    What are these alternatives? One set of possibilities is provided by the recommendations of the Western Ghats Ecology Expert Panel (WGEEP) which I had the privilege of chairing. Would those measures have averted the disasters of 2018 and 2019? Certainly, they wouldn’t have pre-empted the intense rainfall, but they would have definitely reduced the scale of devastation caused by the downpours.

    All our recommendations were grounded in a careful examination of facts. Furthermore, the policy prescriptions fell firmly within the framework of our constitutional duties and laws. We did not ask for any new law. All we suggested was that the existing laws relating to environmental protection and devolution of powers, right down to the gram sabha and ward sabha level, be followed.

    A leader in devolution

    Kerala leads the country in democratic devolution. The Kerala High Court had ruled in favour of Plachimada Panchayat that cancelled Coca-Cola’s licence because the company polluted and depleted groundwater reserves, drying up wells and adversely impacting agriculture and livelihoods. While doing so, the panchayat invoked its constitutional rights, arguing that it had the duty to protect the well-being of its citizens and had the right to cancel — or refuse permission for — anything that affected its citizens adversely. The company’s counterargument was that the panchayat was subordinate to the State government, which had granted it the licence. The Kerala High Court rejected this contention, affirming that grass-roots institutions have the authority to decide on the course of development in their own locality. Furthermore, the Kerala legislature unanimously passed a law asking Coca-Cola to pay Plachimada Panchayat due compensation for losses inflicted on them.

    Kerala had also been at the forefront of the country’s Literacy Mission of the late 1980s; it pioneered Panchayat Level Resource Mapping involving neo-literates and followed it up with the People’s Planning campaign that attempted to involve every panchayat in the preparation of a Panchayat Development Report.

    The WGEEP called for a model of conservation and development compatible with each other; we sought a replacement of the prevailing ‘Develop Recklessly, Conserve Thoughtlessly’ pattern with one of ‘Develop Sustainably, Conserve Thoughtfully.’ This fine-tuning of development practices to the local context would have required the full involvement of local communities. It would have therefore been entirely inappropriate to depend exclusively on government agencies for deciding on and managing Ecologically Sensitive Zones, and our panel certainly had no intention of imposing any development or conservation priorities on the people.

    So, why were our recommendations not implemented? For one, they were dubbed “impractical”. What then is “practical”? Is violation of constitutional provisions that pertain to environmental protection and sabotaging of democratic processes practical? May be so, but it is certainly not desirable. Acting on the WGEEP report would have implied using our recommendations regarding ecological sensitivity as the starting point for a bottom-up democratic process for deciding on how we should safeguard this global biodiversity hotspot and water tower of peninsular India.

    Preserving the ‘sensitive zones’

    The WGEEP’s mandate asked it “to demarcate areas within the Western Ghats Region which need to be notified as ecologically sensitive and to recommend for notification of such areas as ecologically sensitive zones under the Environment (Protection) Act, 1986.” In line with the National Forest Policy, we decided to assign 60% of the total area of Western Ghats in Kerala, including the region housing wildlife sanctuaries and national parks, as a zone of highest ecological sensitivity, ‘ESZ1’.

    We proposed ‘elevation’ and ‘slope’ as two indicators of sensitivity. In Kerala, rainfall increases rapidly with elevation, and high rainfall and steep slopes render localities vulnerable to landslides. Hence, areas prone to landslides would come under ESZ1.

    The extent and quality of natural vegetation was the third indicator for classifying an area as ESZ1. Landslides are under check in areas with intact natural vegetation because the roots bind the soil. Any disturbance to such vegetation would render any locality that has steep slopes and experiences high rainfall susceptible to landslides. Such disturbances may include quarrying or mining, replacement of natural vegetation by new plantations, levelling of the land using heavy machinery, and construction of houses and roads. Therefore, we recommended that such activities be avoided in ESZ1 areas. Had our recommendations been accepted, the extent and intensity of landslides being encountered today would have been much lower. Implementation of our overall recommendations would have also had a plethora of other desirable results, both for nature and for people.

    So, it would surely be wise to apply the panel’s recommendations now. This would imply building on India’s greatest strength, its deep-rooted democracy. Democracy is not merely voting once in five years; it is the active involvement of us citizens in governing the country at all levels, most importantly at the local level. We must insist that the Kerala High Court ruling that local bodies have the authority to decide on the course of development in their own localities be made genuinely operational across the country.

    We must take full advantage of powers and responsibilities conferred on citizens under provisions such as the 73rd and 74th Amendments to the Constitution, and the Biological Diversity Act, 2002. We should assert that conservation prescriptions should not be merely regulatory, but include positive incentives such as conservation service charges. We must hand over economic activities like quarrying to agencies like the Kudumbashree groups that are accountable to local communities. We, the sovereign people, are the real rulers of India and must engage ourselves more actively in the governance of the country and lead it on to a path of people-friendly and nature-friendly development.

  11. মাসুদ করিম - ২৯ আগস্ট ২০১৯ (৪:৪০ পূর্বাহ্ণ)

    Teen climate activist Greta Thunberg reaches New York

    “Our war with nature must end,” the 16-year-old tweeted while sailing to the U.S. ahead of the United Nations summit on climate change.

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.