সুপারিশকৃত লিন্ক: জুলাই ২০১৮

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ জুলাই ২০১৮ (১০:২০ পূর্বাহ্ণ)

    এখনও তারা বয়ে বেড়াচ্ছেন গুলশান হামলার ক্ষত

    দুই বছর আগে ঢাকার কূটনৈতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও তাড়া করে ফেরে প্রত্যক্ষদর্শী আর আহত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

    চোখের সামনে রাতভর জঙ্গিদের নৃসংশতা দেখে যারা ওই বেকারি থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছিলেন, তারা জীবন-জীবিকার তাড়নায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলেও জীবনের সেই ক্ষত যেন শুকানোর নয়।

    সে সময় হলি আর্টিজান বেকারির কুক অ্যাসিসটেন্ট শিশির বৈরাগী এখন নতুন বাজার মোড়ে রাস্তার ওপর গেঞ্জি আর রেইনকোট বিক্রি করে সংসার চালানোর সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ভাই, ওই দিনটা আমি মন থেকে ভুলে যেতে চাই।”

    গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের তীরে হলি আর্টিজান বেকারির সবুজ লন ছিল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ২০১৬ সালে ঈদ উৎসবের প্রস্তুতির মধ্যে ১ জুলাই রাতে পাঁচ তরুণ অস্ত্র হাতে ওই রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ার পর শুরু হয় ভয়ঙ্কর নৃশংসতা।

    জবাই ও গুলি করে ২০ জনকে হত্যা করে তারা, যাদের মধ্যে ১৭ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। হামলার খবর পেয়ে সেখানে প্রবেশ করতে গিয়ে বোমায় প্রাণ হারান দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

    কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই হামলার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর শিরোনামে চলে আসে; তখনও অনেক অতিথি হলি আর্টিজানের ভেতরে কার্যত জিম্মি হয়ে আছেন।

    সারা রাত উৎকণ্ঠার পর সকালে শুরু হয় সেনাবাহিনীর কমান্ডো দলের অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’। তাদের অভিযানের মধ্যে হামলাকারী পাঁচ তরুণ ও ক্যাফের এক পাচক নিহত হন। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ২৪ জনকে।

    ভয়ঙ্কর সেই রাতে বেকারির কয়েকজন কর্মচারীকে আটকে থাকতে হয় একটি টয়লেটের ভেতরে। কুক অ্যাসিসটেন্ট শিশির বৈরাগী তাদেরই একজন। স্ত্রী স্মৃতি বৈরাগী ও নয় বছরের মেয়ে তিশি বৈরাগীকে নিয়ে তিনি এখন নতুন বাজারে থাকেন।

    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ওইদিনের দুঃসহ স্মৃতি এখনো ভুলতে পারি না। গুলির শব্দ, চিৎকার আর বেকারির মধ্যে রক্ত আর লাশ… আমি ভুলতে পারি না। সেজন্য আমি এখনও স্বাভাবিক হতে পারিনি।”

    ইফতারের পর রাত পৌনে ৮টার দিনে যখন হামলা শুরু হয়, বেকারির বাবুর্চি দোলোয়ার হোসেন তখন ছিলেন রান্নাঘরে। ওই এক রাতে যে বিভৎসা তাকে দেখতে হয়েছে, তা এখনও ফিরে ফিরে আসে দুঃস্বপ্নের মধ্যে।
    বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রথম দিকে সারারাত দুঃস্বপ্ন দেখতাম। শুধু মারামারি, খুন, মানুষের কান্নার শব্দ পেতাম। এখন খানিকটা ভালো। পরিবার, বন্ধুরা অনেক সাহায্য করছে। কিন্তু তারপরও ওই রাতটার ভয়ঙ্কর স্মৃতি মন থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারি না “

    জেসমিন (৪) ও ইয়াসমিন (৩) নামে দুটি মেয়ে আছে দোলোয়ারের। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

    “বারবার মনে হয়, এই দেশে এমন নির্মম ঘটনা যেন আর না ঘটে। কারো পরিবারের সন্তান যেন জঙ্গি হয়ে মানুষকে হত্যা না করে। আসলে সবাই সচেতন হওয়া দরকার।”

    হলি আর্টিজান বেকারির কুক অ্যাসিসটেন্ট আকাশ খানও সেই রাতে কিচেনে ছিলেন। সেই স্মৃতি মনে হলে এখনও আতঙ্কে তার শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়।

    “মনে হয়, শরীরে শক্তি পাচ্ছি না। কি যেন একটা হয়েছে, কি যেন একটা হয়ে যাবে, এরকম ভয় হয়।”

    সেই ভয় কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে নিজের সঙ্গেই লড়তে হচ্ছে আকাশকে।

    “দুই বছর আগে ক্যারিয়ারে যেখানে ছিলাম এখনো সেখানেই আছি। ওই ঘটনা না ঘটলে হয়তো জীবনে কিছুটা হলেও ভালো পরিবর্তন আসতে পারত। কিন্তু এখন তো অজানা এক ভয় মনকে সব সময় দুর্বল করে দেয়।”

    ২০১৫ সালের শুরু থেকে লেখক, শিক্ষক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ভিন্নমতের অনুসারী ও বিদেশিদের ওপর একের পর এক উগ্রপন্থি হামলার কারণে গুলশান এলাকায় তখন ব্যাপক নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
    তার মধ্যেই গুলির খবর আসার পর পুলিশ দ্রুতই তৎপর হয়েছিল সেই রাতে। কিন্তু ভয়াবহতার মাত্রা কোথায় পৌঁছাবে, তা তারা ধারণাও করতে পারেননি। গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানকে তার খেসারত দিতে হয়েছিল জঙ্গিদের বোমায় প্রাণ দিয়ে।

    পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুল আহাদও সেদিন জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে আহত হন। স্প্লিন্টারে তার দুই পায়ে মারাত্মক জখম হয়। এরপর দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু এখনও কয়েকটি স্প্লিন্টার রয়ে গেছে তার শরীরে।

    সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, ঈদের সময় হয়ত কোনো চাঁদাবাজ হলি আর্টিজানে ঢুকেছে। জঙ্গি ঢুকেছে এটা ছিল ধারণার বাইরে।”

    তিনি বলেন, “ওইদিন ছিল রমজান মাসের শেষ দিকের শুক্রবার। ইফতার শেষ করে যখন গুলশান ডিসি অফিসে বসে ছিলাম তখন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শুলশান থানার ওয়্যারলেসে জানতে পারলাম হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে।

    “তখনই গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে একটি গাড়িকে করে রওনা দেই। যেতে যেতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। যারা টহলে ছিল, তাদের হলি আর্টিজান বেকারিতে চলে যেতে বলি। কোনো সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সমস্ত চেকপোস্ট বন্ধ করে দিতে বলি।”

    খবর পাওয়ার পর ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারা। বেকারি থেকে কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে যেতে হবে ৭৮ নম্বর রোড দিয়ে। সে কারণে ওই রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ পান অতিরিক্ত উপ কমিশনার আহাদ।

    “তখন আমি কয়েকটা মোবাইল দল নিয়ে ওখানে অবস্থান নিই। মিনিট দশেকের মাথায় বেকারির ভেতর থেকে প্রথমে আমাদের দিকে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ প্রচণ্ড গুলি চালাতে থাকলে তারা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    আধা ঘণ্টার মধ্যে মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে যান। তখনও পুলিশ সদস্যরা হলি আর্টিজানের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন। ওই সময় ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়।

    ২০১৫ সালের শুরু থেকে লেখক, শিক্ষক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ভিন্নমতের অনুসারী ও বিদেশিদের ওপর একের পর এক উগ্রপন্থি হামলার কারণে গুলশান এলাকায় তখন ব্যাপক নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
    তার মধ্যেই গুলির খবর আসার পর পুলিশ দ্রুতই তৎপর হয়েছিল সেই রাতে। কিন্তু ভয়াবহতার মাত্রা কোথায় পৌঁছাবে, তা তারা ধারণাও করতে পারেননি। গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানকে তার খেসারত দিতে হয়েছিল জঙ্গিদের বোমায় প্রাণ দিয়ে।

    পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুল আহাদও সেদিন জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে আহত হন। স্প্লিন্টারে তার দুই পায়ে মারাত্মক জখম হয়। এরপর দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু এখনও কয়েকটি স্প্লিন্টার রয়ে গেছে তার শরীরে।

    সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, ঈদের সময় হয়ত কোনো চাঁদাবাজ হলি আর্টিজানে ঢুকেছে। জঙ্গি ঢুকেছে এটা ছিল ধারণার বাইরে।”

    তিনি বলেন, “ওইদিন ছিল রমজান মাসের শেষ দিকের শুক্রবার। ইফতার শেষ করে যখন গুলশান ডিসি অফিসে বসে ছিলাম তখন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শুলশান থানার ওয়্যারলেসে জানতে পারলাম হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে।

    “তখনই গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে একটি গাড়িকে করে রওনা দেই। যেতে যেতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। যারা টহলে ছিল, তাদের হলি আর্টিজান বেকারিতে চলে যেতে বলি। কোনো সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সমস্ত চেকপোস্ট বন্ধ করে দিতে বলি।”

    খবর পাওয়ার পর ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারা। বেকারি থেকে কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে যেতে হবে ৭৮ নম্বর রোড দিয়ে। সে কারণে ওই রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ পান অতিরিক্ত উপ কমিশনার আহাদ।

    “তখন আমি কয়েকটা মোবাইল দল নিয়ে ওখানে অবস্থান নিই। মিনিট দশেকের মাথায় বেকারির ভেতর থেকে প্রথমে আমাদের দিকে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ প্রচণ্ড গুলি চালাতে থাকলে তারা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    আধা ঘণ্টার মধ্যে মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে যান। তখনও পুলিশ সদস্যরা হলি আর্টিজানের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন। ওই সময় ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়।

    ২০১৫ সালের শুরু থেকে লেখক, শিক্ষক, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ভিন্নমতের অনুসারী ও বিদেশিদের ওপর একের পর এক উগ্রপন্থি হামলার কারণে গুলশান এলাকায় তখন ব্যাপক নিরাপত্তার কড়াকড়ি।
    তার মধ্যেই গুলির খবর আসার পর পুলিশ দ্রুতই তৎপর হয়েছিল সেই রাতে। কিন্তু ভয়াবহতার মাত্রা কোথায় পৌঁছাবে, তা তারা ধারণাও করতে পারেননি। গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খানকে তার খেসারত দিতে হয়েছিল জঙ্গিদের বোমায় প্রাণ দিয়ে।

    পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুল আহাদও সেদিন জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডে আহত হন। স্প্লিন্টারে তার দুই পায়ে মারাত্মক জখম হয়। এরপর দেশে ও বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু এখনও কয়েকটি স্প্লিন্টার রয়ে গেছে তার শরীরে।

    সেই রাতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম, ঈদের সময় হয়ত কোনো চাঁদাবাজ হলি আর্টিজানে ঢুকেছে। জঙ্গি ঢুকেছে এটা ছিল ধারণার বাইরে।”

    তিনি বলেন, “ওইদিন ছিল রমজান মাসের শেষ দিকের শুক্রবার। ইফতার শেষ করে যখন গুলশান ডিসি অফিসে বসে ছিলাম তখন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শুলশান থানার ওয়্যারলেসে জানতে পারলাম হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে।

    “তখনই গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে একটি গাড়িকে করে রওনা দেই। যেতে যেতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়। যারা টহলে ছিল, তাদের হলি আর্টিজান বেকারিতে চলে যেতে বলি। কোনো সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সমস্ত চেকপোস্ট বন্ধ করে দিতে বলি।”

    খবর পাওয়ার পর ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই সেদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারা। বেকারি থেকে কেউ পালিয়ে যেতে চাইলে তাকে যেতে হবে ৭৮ নম্বর রোড দিয়ে। সে কারণে ওই রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ পান অতিরিক্ত উপ কমিশনার আহাদ।

    “তখন আমি কয়েকটা মোবাইল দল নিয়ে ওখানে অবস্থান নিই। মিনিট দশেকের মাথায় বেকারির ভেতর থেকে প্রথমে আমাদের দিকে গুলি ছোড়ে। জবাবে পুলিশ প্রচণ্ড গুলি চালাতে থাকলে তারা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

    আধা ঘণ্টার মধ্যে মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছে যান। তখনও পুলিশ সদস্যরা হলি আর্টিজানের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন। ওই সময় ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয়।

    বিকট শব্দের পর আহাদকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওয়াহিদুজ্জামান সে সময় বুঝতে পারেন, তিনি আহত। আহাদের পরনে থাকা সাদা পায়জামা ততক্ষণে রক্তে লাল হয়ে গেছে।
    আহাদকে কাঁধে তুলে ওয়াহিদুজ্জামান চার রাস্তার মোড়ে গিয়ে তুলে দেন আরেকজনের কাছে। পরে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    সেই ঘটনা স্মরণ করে আহাদ বলেন, “গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউলসহ আমরা পড়ে যাই। যারা পেছনে ছিল তারা বেশি আহত হন। তখন সবার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই দুজনকে সেদিন আর বাঁচানো যায়নি।”

    তিনি বলেন, “পুলিশের চাকরি করি অনেক দিন, এমন ভয়াবহ ঘটনা আমি আর দেখি নাই। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছি। শরীরে স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সহকর্মীদের আহত হয়ে পরে মরতে দেখেছি। এমন ভয়ঙ্কর দিনকে মন থেকে ভুলে যেতে চাই। সবাই মিলে আমরা দেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে চাই।”

    দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। পুলিশ বলেছে দীর্ঘ তদন্তে হামলার সঙ্গে জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছে। বাকি আটজনের বিরুদ্ধে শিগগিরই পুলিশ চার্জশিট দেবে।

    গুলশান হামলার বার্ষিকীতে রোববার সকাল ১০টায় হলি আর্টিজান বেকারির সেই ভবন সবার শোক আর শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

    গুলশান থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদেশি কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আসছেন। সেজন্য বাড়তি নিরপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

    হামলার রাতে নিহত ওসি সালাউদ্দিন ও এসি রবিউলের স্মরণে দুটি ভাস্কর্য বানানো হয়েছে, যেগুলো গুলশান থানার নিজস্ব ভবনে রাখা হবে।

  2. মাসুদ করিম - ২ জুলাই ২০১৮ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    রোহিঙ্গাদের দেখতে গুতেরেস ও কিম কক্সবাজারে

    রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

    সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।

    কক্সবাজারে নেমে প্রথমে হোটেল সাইমন বিচ রিসোর্টে যান তারা। এরপর কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখবেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

    মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর গত দশ মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ পাওয়া গেছে তাদের কথায়।

    সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে জাতিসংঘ বর্ণনা করে আসছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

    জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে আসছে,বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এই প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকে।

    রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে দুই দিনের সফরে শনিবার ঢাকায় আসেন আন্তোনিও গুতেরেস ও জিম ইয়ং কিম। তারা জানিয়েছেন, এ সঙ্কট এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

    রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
    আর রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই সঙ্কট উত্তরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও অনেক কাজ বাকি, আর সেজন্যই তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে এসেছেন।

    জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রেসিডেন্ট পিটার মুরারও কক্সবাজার সফরে গুতেরেস ও কিমের সঙ্গে রয়েছেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী হোটেল সায়মান বিচ রিসোর্টে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টকে ব্রিফ করবেন। এরপর তারা উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হবেন।

    ওই ক্যাম্পে রাখা হয়েছে মূলত নতুন আসা রোহিঙ্গাদের। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর গুতেরেস ও কিমকে বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে ইউএনএফপিএ পরিচালিত একটি কেন্দ্রে কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর কাছে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনবেন তারা।

    একটি ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ঘূরে দেখে আরেকটি ক্যাম্পে কয়েকজন নির্যাতিত রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট। পরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

    কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তারা সায়মান বিচ রিসোর্টে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

  3. মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১৮ (৯:০৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুনের চিরবিদায়

    বায়ান্নোর উত্তাল একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভেঙে যে মিছিলটি প্রথম বেরিয়েছিল, সেই মিছিলের মুখ হালিমা খাতুন আর নেই।

    বেশ কিছু দিন রোগে ভোগার পর এই ভাষাসৈনিক মঙ্গলবার এই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষকের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

    হালিমা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, ভাষার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে তা অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    প্রয়াতের একমাত্র মেয়ে আবৃত্তিশিল্পী প্রজ্ঞা লাবণী জানিয়েছেন, বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে তার মাকে।

    হালিমা খাতুনের নাতনী অন্তরা বিনতে আরিফ প্রপা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার নানীকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, রক্তদূষণের মতো নানা জটিলতা নিয়ে ইউনাইটেডে সিসিইউতে ছিলেন হালিমা খাতুন।

    সেখানে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৬ মিনিটে চিকিৎসকরা তার মৃত্যু ঘোষণা করেন বলে হাসপাতালের কমিউনিকেশন্স ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শাগুফা আনোয়ার জানিয়েছেন।

    তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হৃদযন্ত্রে মায়ো-কর্ডিয়াল ইনফেকশনজনিত সমস্যা নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন হালিমা খাতুন।

    “তিনি মায়লোডিসপ্লাসটিক সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন। এটি এক ধরনের ক্যান্সার, যাতে অস্থিমজ্জায় রক্ত কণিকাগুলো পরিণত হয় না, বিধায় অপরিপক্ক অসুস্থ রক্ত কণিকা রক্তে প্রবাহমান থাকে। এই সমস্যার কারণে হালিমা খাতুনের বমি ও মলের সাথে ক্রমাগত রক্ত যাচ্ছিল, পরে তিনি রক্তে ইলেক্ট্রোলাইট মাত্রার ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।”

    শাগুফা জানান, হালিমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে খিঁচুনী, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

    “পরে তার শরীরে মেথিসিলিন-রেজিসট্যান্ট স্টেফিলোকোকাস অরিয়াস (এমআরএসএ) ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়, যাতে কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছিল না।”

    প্রজ্ঞা লাবণী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালিমা খাতুনের মরদেহ সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হবে ধানমণ্ডিতে নাতনীর বাসায়। পরে রাখা হবে ফ্রিজিং ভ্যানে।

    “কাল (বুধবার) সকাল ১১টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে হবে নাগরিক শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব। পরে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে। বিকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার দাফন হবে।”

    হালিমা খাতুন ১৯৩৩ সালের ২৫ শে অগাস্ট বাগেরহাট জেলার বাদেকাড়াপাড়া গ্রামে জন্ম নেন। তার বাবা মৌলবী আবদুর রহিম শেখ এবং মা দৌলতুন নেসা।

    বাদেকাড়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনমোহিনী গার্লস স্কুল, বাগেরহাট প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে পাঠ শেষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ এবং পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ পাস করেন।

    ১৯৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নর্দান কলোরাডো থেকে প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি করেন তিনি।

    ১৯৫৩ সালে খুলনা করোনেশন স্কুল এবং আরকে গার্লস কলেজে শিক্ষকতার মধ্যদিয়ে তার কর্মজীবনের সূচনা। কিছুদিন রাজশাহী গার্লস কলেজে শিক্ষকতার পর যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে। এখান থেকে অধ্যাপক হিসেবে ১৯৯৭ সালে অবসর নেন তিনি।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে হালিমা খাতুন জড়িয়ে পড়েছিলেন ছাত্র রাজনীতিতে; পরে বাংলা ভাষা সংগ্রামেও তিনি জড়িয়ে পড়েন।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরের আমতলায় সমাবেশে তিনি ছাত্রীদের জড়ো করায় ভূমিকা পালন করেন। মুসলিম গার্লস স্কুল ও বাংলা বাজার গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের আমতলায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪৪ ধারা ভেঙে প্রথম বের হয় মেয়েদের দল। তার সদস্য থাকে চারজন- জুলেখা, নূরী, সেতারার সঙ্গে সারিতে ছিলেন হালিমা খাতুন।

    ভাষা সৈনিকদের সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। সেই মিছিলে হতাহতদের ছবি তুলে রেখেছিলেন ছাত্ররা। সেই ছবিটি তারা লুকিয়ে রেখেছিলেন হলে। পরে সে ছবিটা বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন হালিমা খাতুনরা।

    ভাষা সংগ্রামে আহত ছাত্র-জনতার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ছিল। হালিমা খাতুন তার দল সংগঠিত করে চাঁদা তুলেছিলেন। পরে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনে নারীদের সংগঠিত করার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নেন তিনি।

    হালিমা খাতুন হলের মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা শহরে চাঁদা তুলেছেন। লিফলেট বিলি, পোস্টার লেখা এবং মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা ছিল হালিমা খাতুনের নিত্যদিনের রুটিন কাজ।

    ভাষা আন্দোলনের দিনগুলোতে এসব কাজ করে তিনি আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। হালিমা খাতুন পাড়ায় পাড়ায় মহিলাদের সংগঠিত করে ভাষা আন্দোলনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেছেন।

    ভাষা আন্দোলনে তার সেই অনন্য অবদানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি তাকে ভাষা সৈনিক সম্মাননা প্রদান করে।

    হালিমা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, “ভাষা আন্দোলনে নারীদের সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করতে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যতদিন এ জনপদে বাংলা ভাষা টিকে থাকবে, ততদিন ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুনের অবদান বাঙালি জাতি স্মরণে রাখবে।”

    ভাষাসংগ্রামী জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, “মাতৃভাষা বাংলার প্রতি অপরিসীম ভালোবাসার থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে যে কজন ছাত্রী রাজপথে নেমে এসেছিলেন হালিমা আপা তাদের মধ্যে অন্যতম। ভাষা আন্দোলনে ছাত্রীদেরকে সংগঠিত করার পেছনেও তার ভূমিকা রয়েছে। ভাষা আন্দোলনে তার ঐতিহাসিক ভূমিকা এ জাতি চিরদিন মনে রাখবে।”

  4. মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১৮ (১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    World Cup spotlights Brazil’s great players – and their single mothers

    Tournament has thrown spotlight on the player’s mothers whose hard-luck life stories resonate with ordinary Brazilians

    Round the corner from a gang member with a pistol in his waistband and an automatic rifle in his hands, the Women’s Bar in Rio’s Complexo do Alemão favela was showing the World Cup on a big TV.

    Among the crowd watching the Brazil-Serbia game, women in team shirts outnumbered men, while children bounced on a trampoline or queued to have Brazilian flags painted on their cheeks.

    “You meet everyone here. There’s a great vibe,” said Maira Quirino, 26 – who like many of those at the bar – is a single mother.

    The Seleção has so far had a successful if unspectacular World Cup.

    But away from the pitch, this tournament has thrown the spotlight on the player’s mothers whose hard-luck life stories appear to resonate with ordinary Brazilians in a way that the team’s more glamorous wives and girlfriends do not.

    According to a widely shared story in the Brazilian edition of El País, six of the players who lined up against Serbia – Miranda, Thiago Silva, Marcelo, Casemiro, Paulinho and Gabriel Jesus – grew up without fathers.

    According to government figures, women are the head of the household in 40% of Brazilian families, even where they have a conjugal partner – up from 23% two decades earlier. But single mothers are often overlooked in popular culture.

    Many of Brazil’s great players have come from backgrounds of crushing poverty.

    And their mothers connect with ordinary Brazilian women because they have lived similar lives, said Debora Diniz, a professor of anthropology at the University of Brasília. That contrasts with the upscale lifestyle enjoyed by of players’ wives and girlfriends – who in many cases are lighter-skinned, unlike the team which is a typically Brazilian racial mix.

    “[The mothers] are much more universally Brazilian women,” she said. “There is a racial contrast that is very important. There is a class contrast that is very important.”

    In Brazil – and other South American countries – feminism is on the rise and the issues it raises are increasingly discussed on television soap operas, said Leticia Bahia, a consultant to the United Nations Foundation and co-founder of feminist site AzMina. “The idea that you have to stay in a marriage because of the children has really collapsed,” she said.
    World Cup 2018: complete guide to all 736 players
    Read more

    At the Women’s Bar, Quirino’s friend Daiane Oliveira, 23 – who has the name of her daughter Camilly, seven, tattooed on her calf – said Brazilian mothers are increasingly choosing to go it alone if relationships aren’t working out. “Brazilian women today are independent. They don’t need men for anything.”

    A grimmer factor in Brazil’s growing number of single mothers is the country’s ban on abortion, which forces many women into unwanted pregnancies, said Thaiz Leão, 28, who runs a Facebook page called Mãe Solo (Single Mother) with 80,000 followers.

    “The father can abandon the child and the woman cannot,” Leão said. Brazil’s entrenched machismo is also a factor, she said: many men regard infidelity as their birthright and refuse to help at home. “We deserve better relationships,” Leão said.

    For many women, the spotlight on the team’s mothers has been been a timely reminder of where the players came from. “None of them are middle class,” said Mariluce Souza, 36, who runs the Favela Art project in the Complexo do Alemão.

    Vera Lúcia, mother of Manchester City and Brazil forward Gabriel Jesus, is a former maid who raised him and his three brothers alone.

    Now, however, she often appears on chat shows and toured Russia – alongside Neymar’s mother Nadine and Fernandinho’s mother Ane – for a six-part TV Globo series called As Matrioskas – The Russian Dolls.

    Her strong, supportive relationship with her 21-year-old son, a star at Manchester City, resonated with mothers in the crowd at the Women’s Bar.

    “Gabriel Jesus is from a favela and was raised by his mother,” says Rita de Cassia, 38, a single mother of three children – the middle of whom, Andry, 12, also dreams of becoming a footballer.

    Brazil’s World Cup focus on footballing sons and mothers from tough neighbourhoods was encapsulated in a photograph which went viral earlier this month

    Wallace Rocha, 12, from Rio’s Vila Cruzeiro favela wanted a shirt with midfielder Philippe Coutinho’s name, but neither his mother, Sandra de Oliveira, 47, an unemployed cleaner, nor his stepfather could afford one.

    De Oliveira asked a local seamstress to knock one up, promising to pay later.

    Photographer Bruno Itan captured the pair watching Brazil beat Costa Rica – then launched an online campaign to get it to Coutinho.

    The photo went viral and four hours later, Coutinho replied with a video message.

    Wallace too wants to become a footballer, his mother said. “It’s my dream too,” she said. “It’s a good profession for him, to get him off the streets.”

  5. মাসুদ করিম - ৬ জুলাই ২০১৮ (১:১৪ অপরাহ্ণ)

    ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন নীতি ভারতে চলছে বহু বছর

    যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের আলাদা রাখার নীতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হলেও ভারত সরকার একই ব্যবস্থা চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে; যার শিকার হচ্ছে পাচারের শিকার হওয়া বাংলাদেশিরাও।

    দালালকে টাকা দিয়ে কাগজপত্র ছাড়াই যারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন, তাদের জেলে থাকতে হচ্ছে অনির্দিষ্টকাল। আর তাদের সন্তানদের রাখা হচ্ছে আলাদা আশ্রয়কেন্দ্রে। কাজের আশায় ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি মেয়েরা নিজেদের আবিষ্কার করছে যৌনপল্লীতে।মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই চিত্র উঠে এসেছে ভারতের অনলাইন পোর্টাল স্ক্রোল ডট ইন-এ

    অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আটক শিশুদের রাখতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সংলাপ নামের একটি এনজিও এরকমই একটি আশ্রয়কেন্দ্র চালাচ্ছে, যার নাম স্নেহা।

    সেই আশ্রয়কেন্দ্রের ১০ ফুট উঁচু দেয়ালে বড় করে লাল রঙে আঁকা একটি হৃদপিণ্ড। দেয়ালের ওপরে কাঁটাতার। আশপাশে নোঙরা রাস্তা আর ছোট ছোট ঘর; শব্দ বলতে দেয়ালের ওপাশ থেকে আসা মেয়েদের হাসি অথবা বিলাপ।

    বৈধ কাগজ ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে আসা কিশোরী বালিকাদের জায়গা হয় এখানে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি মেয়েরাও আছে। যতদিন না দেশে তাদের পরিবারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন তাদের এ আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকতে হবে। আর যাদের মা-বাবা ভারতে জেল খাটছেন, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও জটিল।

    ভারতের আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি নাগরিক পাসপোর্ট-ভিসা বা বৈধ ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ছাড়া প্রবেশ ও অবস্থান করলে তার দুই থেকে আট বছরের জেল হতে পারে।

    এই বিচার শুরুর প্রক্রিয়ার শুরুতে পরিবারের প্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আর ছয় থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শিশু কল্যাণ কমিটি ও কিশোর বিচার বোর্ডের মাধ্যমে পাঠানো হয় আশ্রয়কেন্দ্রে।

    মহানির্বাণ কলকাতা রিসার্চ গ্রুপের সুচিত্রা সেনগুপ্ত তিন বছর আগে প্রকাশিত তার এক গবেষণায় এরকম বেশ কিছু ঘটনা তুলে ধরেছেন। সেখানে ভাদুরিবালা নামে চল্লিশোর্ধ এক নারীর কথা এসেছে, যিনি সাত বছর ধরে কারাগারে (বিরামপুর কেন্দ্রীয় সংশোধন কেন্দ্র) বন্দি।

    স্ক্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে এসেছিলেন ভাদুরিবালা। কিন্তু সন্তানদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়ায় গত চার বছর তিনি তাদের চোখে দেখেননি।

    পাসপোর্ট আইনে লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক পরিবারগুলোকে এভাবে আলাদা রাখাকে ‘আন্তর্জাতিক কনভেনশনের লঙ্ঘন’ বলছেন ভারতের অধিকারকর্মীরা।

    বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব মুখার্জি বলেন, “ভারত জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে সম্মতি দেওয়া দেশ। ওই সনদ অনুযায়ী পরিবারকে আলাদা করা যাবে না। অথচ এখানে তাই করা হচ্ছে।”

    বিপ্লবদের সংগঠন অধিকারবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে। সীমান্ত-সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদেরও তারা সহায়তা দিচ্ছে।

    জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের নবম আর্টিকেল অনুসারে, শিশুকে তার অভিভাবকের কাছ থেকে আলাদা করা যাবে শুধু তখনই, যখন শিশুর স্বার্থ রক্ষার প্রশ্ন আসবে। যেমন শিশুটি যদি নিজের পরিবারে নির্যাতিত বা নিগৃহিত হয়ে থাকে; যদি বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো একজন হাজতবাসে বা অজ্ঞাতবাসে থাকে- এ রকম ক্ষেত্রে।
    ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অবশ্য বলছে, তারা সতর্কতার সঙ্গেই কাজটি করছে।

    পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের জেল যথেষ্ট মানবিক। আমি এমন ঘটনাও দেখেছি যেখানে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় শিশুকে মায়ের সঙ্গে থাকতে দিয়েছিল কারাগার কর্তৃপক্ষ, কারণ ওই শিশু মা থেকে আলাদা হতে চায়নি।”

    আশ্রয়কেন্দ্র স্নেহার কর্তৃপক্ষও একই ধরনের দাবি করেছেন। সেখানে মেয়েশিশুদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মমতা চক্রবর্তী বলেন, শিশুদের তারা কারাগারে নিয়ে যান বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। কখনো কখনো অভিভাবকদের আগে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হলে তারা যথাযথ কাগজসহ পরে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

    সীমান্ত পার হওয়ার পর সন্তানরা কীভাবে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে, সেই গল্প স্ক্রোলকে শুনিয়েছেন মহিদুল ইসলাম নামের এক এনজিওকর্মী। সীমান্তে আটক হওয়া বিদেশিদের আইনি সহায়তা দেন দিন।

    নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, দুই বছর আগের এক ঘটনায় ২০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে গিয়ে সীমান্তে আটক হন। তাদেরেই একটি পরিবারে মাকে আইন অনুযায়ী দমদম জেলে পাঠানো হয়। আর তার ছেলে ও মেয়েকে পাঠানো হয় আশ্রয়কেন্দ্রে।

    আলাদা করার পর, অভিভাবক ও শিশুদের বিচার শুরু হয় আলাদাভাবে। মায়ের শুনানি এবং সন্তানের শুনানি হতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে। কিছুদিন পরে মহিদুল জানতে পারেন, ওই নারীর দুই সন্তান মারা গেছে।

    “সাধারণত বাবা-মায়ের পুনর্বাসনই আগে করা হয়। কিছুদিন আগেও এদের ফেরত পাঠানো হত ‘পুশব্যাকের’ মাধ্যমে। আক্ষরিক অর্থেই তাদের সীমান্তে নিয়ে নিজের দেশে ঠেলে দেওয়া হত। অথচ তাদের সন্তানরা তখনও আশ্রয়কেন্দ্রেই পড়ে আছে।”

    মানবপাচারকারীরা অনেক সময় এই সুযোগ নেয় জানিয়ে মহিদুল বলেন, “তারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদেরকে অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মেয়ে শিশুদের নিয়ে চলে যায়। এরকম বেশ কিছু ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”

    বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ৯৭ কিলোমিটার সীমান্তে রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া; এর দুই হাজার ২১৭ কিলোমিটার সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গেই দেশটির সবচেয়ে বেশি বিদেশি বন্দি ছিল।

    আর পশ্চিমবঙ্গ কারেকশন সার্ভিস বলছে, ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ হাজার ৬৪৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি এবং ১৪২টি শিশু আটক ছিল ভারতের বিভিন্ন কারাগার ও আশ্রয়কেন্দ্রে।

    এই অবৈধ অভিবাসীরা নানা রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে এই দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। কোনো কোনো পরিবার সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে ভারতে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য। কেউ বলেছেন, তারা চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন।

    কেউ আবার দালালদের চক্করে বিভ্রান্ত হয়ে বৈধ কাগজ ছাড়াই ভারতে ঢুকে পড়ে এখন হাজতে দিন কাটাচ্ছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ধর্মীয় হয়রানির শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে আসার কথাও বলেছেন অনেকে।

    সুচিত্রা সেনগুপ্ত তার প্রতিবেদনে এমন একজন ক্যান্সার রোগীর দেখা পাওয়ার কথা বলেছেন, যিনি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এখন দমদম জেলে রয়েছেন।

    “চিকিৎসার রিপোর্ট ও কেস হিস্ট্রিতে তার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়িয়ে নিতে আমাদের অনুরোধ করে। কারণ এই পরিস্থিতিতে তার আইনজীবীও কিছু করতে পারছিলেন না।”

    অনেক ঘটনায় মেয়েদের ভালো বেতনে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে আনে দালালরা। সেই মেয়েদের অধিকাংশের জায়গা হয় বেঙ্গালুরুর যৌনপল্লীতে।

    আশ্রয়কেন্দ্র স্নেহায় বাংলাদেশি মেয়েদের নিয়ে কাজ করছেন সুমি ভৌমিক। তিনি জানান, ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই দরিদ্র আর সুবিধাবঞ্চিত।

    “দারিদ্রের কারণে তারা প্রথমে ঢাকার পোশাক কারখানায় কাজ খোঁজেন। দালালরা সেখানে তাদের ফাঁদে ফেলে পাচার করে নিয়ে আসে।… মেয়েরা এমনকি বুঝতেও পারে না তারা আসলে কোথায় যাচ্ছে। এরা ১৩ থেকে ১৫ বছরের কিশোরী।”

    সুমি ভৌমিক বলেন, যখন সীমান্তরক্ষীরা তাদের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলে তখনই এই মেয়েরা বুঝতে পারে যে তাদের ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।

    স্ক্রোলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালের মে মাসে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক মেমোরেন্ডামে মানবপাচারের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যবস্থা করতে বলা হয়। সেখানে বলা হয়, নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আগে পরিবারের বয়স্ক ও শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

    তবে ওই নির্দেশনা বরাবরই এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিপ্লব মুখার্জি। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে গত তিন বছরে বহুবার লিখিত অভিযোগ করেছে। এমন অন্তত দুইশ ঘটনা তারা দেখিয়েছেন, যেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় ভুলভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের এক ঘটনায় তিন সন্তানসহ তিন বাংলাদেশি নারী আটক হয়ে জেলে যান। তাদের সন্তানদের বয়স ছিল আট, দুই ও দুই বছর। তাদের বিরুদ্ধেও ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    বিপ্লবের প্রতিষ্ঠানের একটি অনুসন্ধানী দল জানতে পারে, ওই দরিদ্র নারীরা দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন কাজের খোঁজে। একই বছর মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো চিঠিতে তারা আরেকটি ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন, যেখানে ১৩ জন নারীর মধ্যে ছয়জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও এই আইনে ফেলে তাদের জেলে পাঠানো হয়। আদালতে উপস্থাপনের আগে এদের আসল বয়স লুকিয়েছিল পুলিশ।

    ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে ভুক্তভোগীদের পরিচয় ও ঠিকানা নিশ্চিত করা জরুরি ছিল। সেজন্য ভারতের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, যাতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ও ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারে। ঠিকঠাক শনাক্ত করা গেলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ২১ সপ্তাহ লাগার কথা।

    আশ্রয়কেন্দ্র স্নেহার কর্মী গীতা ব্যানার্জি বলেন, “আগে পুশব্যাকই ছিল অনানুষ্ঠানিক নিয়ম। এখন শিশুদের পুশব্যাক করা হয় না, কারণ অনেক ক্ষেত্রে সীমান্তরক্ষীরা অনধিকার প্রবেশ ভেবে গুলি করে। কখনও কখনও শিশুরা ধর্ষণের শিকারও হয়।”

    আবার বৈধ পথে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও অনেক বিপত্তি আছে। কারও নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা না গেলে তার ক্ষেত্রে করার কিছু থাকে না। আবার পরিবার নেবে না ভেবে পাচার হয়ে আসা অনেক নারী ভুল ঠিকানা দেন। এ কারণেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজটি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে।

    সুমি ভৌমিক বলেন, “দীর্ঘদিন যৌনপল্লীতে থাকার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কারণে অনেক মেয়ে আর কিছুই মনে করতে পারে না। এমনকি নিজের নামও তারা ঠিকমত বলতে চায় না।”

    মানবপাচারের শিকার এক মেয়েকে পাঁচ বছর আগে মুম্বাই থেকে উদ্ধার করে স্নেহাতে আনা হয়। এখন তার বয়স ১৮ বছর। গত জুন পর্যন্ত মেয়েটি সঠিক নাম আর ঠিকানা না বলায় বাংলাদেশে তার পরিবারকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে মেয়েটি আরেকটি নাম ও ঠিকানা জানালে সেই বাসা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। তবে সেখান থেকে তার পরিবার অন্য কোথাও চলে গিয়েছিল।

    নাম গোপন রাখার কারণ হিসেবে মেয়েটি বলেছিল, যখন তাকে স্নেহাতে আনা হয়, তার নামে অন্য আরেকজনের নাম সে দেখেছিল নিবন্ধন খাতায়।

    আতঙ্ক আর ভাষাগত সমস্যার কারণে তথ্য বিভ্রাটেও অনেক বাংলাদেশিকে জেলে যেতে হয় বলে জানান মহিদুল ইসলাম, যিনি আটটি এনজিওর একটি মোর্চার হয়ে কাজ করেন।

    পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর এলাকায় তিনি থাকেন; ওই এলাকাটি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের জন্য বহুল ব্যবহৃত। সীমান্তে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ১৬টি ব্লকে কাজ করছে এনজিওগুলো।

    ভারতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কোনো বাংলাদেশি শিশুকে দেশে ফেরত পাঠানোর সময় টাস্কফোর্স মনোনীত একটি এনজিও সংস্থার কর্মীদের সেখানে উপস্থিত রাখা হয়। গত কয়েকবছরে মহিদুলের এনজিও মোর্চা এরকম বহু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছে।

    মহিদুল বলেন, “যখন বিএসএফ মেয়েদের আটক করে, আমরা তাদের কাউন্সেলিং করি। অধিকাংশ মেয়েই বয়সে তরুণী, দরিদ্র এবং অশিক্ষিত… তারা শুরুতে কথা বলতে অনিচ্ছুক থাকে, তবে যখন আমরা বাংলায় কথা বলি, তখন তারা স্বচ্ছন্দবোধ করে।

    “আমরা বিএসএফকে ব্যাখ্যা করি যে এই মেয়েরা নিজেরা আসেনি, তাদেরকে চালাকি করে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর বিএসএফ সিদ্ধান্ত নেয় তাদের ফেরত পাঠাবে নাকি থানায় নিয়ে যাবে। তবে বিএসএফ শিশুদের দ্রুত ফেরত পাঠিয়ে দেয়।”

    বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের অভিযোগ নিয়ে সুচিত্রা সেনগুপ্তর একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি শিশুদের প্রায়ই বয়স্ক দেখিয়ে জেলে দেওয়া হয়।

    তিনি বলেন, মেয়েরা অনেক সময় মিথ্যা তথ্য দেয়, কারণ দালালরা তাদের আগেই বলে রেখেছে, বয়স ১৮ বললে ভারতে কাজ পেতে সুবিধা হবে।

    আবার কখনো কখনো মেয়েশিশুদের বয়স বাড়িয়ে দেখানো হয় এই কারণে যে তাতে মা ও শিশুকে একসঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা জেলে রাখা যাবে, যেন তারা আলাদা না হয়।

  6. মাসুদ করিম - ১০ জুলাই ২০১৮ (৮:৫৯ অপরাহ্ণ)

    ঘরে বসেই পড়া যাবে বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারের বই

    ‘সবার জন্য জ্ঞান’-এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাত্রা শুরু করল ‘বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগার-অনলাইন’। বাংলা একাডেমি গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত প্রায় লক্ষাধিক দুষ্প্রাপ্য বই থেকে বাছাই করা ‘এক লাখ পৃষ্ঠা’ সরাসরি ইন্টারনেটে পড়ার সুযোগ করে দেওয়াই এই অনলাইন উদ্যোগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।

    মঙ্গলবার ওয়েবসাইট ও ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। এসময় তাকে স্বাগত জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

    পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে https://library.banglaacademy.org.bd/ এই ওয়েব ঠিকানায় ক্লিক করে সরাসরি ই-বুক পড়া ও ডাউনলোড করা যাবে। এই ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করেছেন প্রিন্স আহমেদ। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ১ লাখ পৃষ্ঠা আপলোড করা হবে। ৮০ হাজার পৃষ্ঠা এরই মধ্যে স্ক্যান করা হয়েছে। যা ই-বুক ফরমেটে প্রতিদিনই ওয়েবসাইটে আপলোড করা হচ্ছে।

    এ ছাড়া বাংলা এাকডেমি গ্রন্থাগারকে ডিজিটালাইজড করার কাজও শুরু হয়েছে। পাঠক কম্পিউটার-প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই গ্রন্থাগার ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই অটোমেশনের কাজে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন মো. মোবাশ্বির হোসাইন। এই কাজে কারিগরি সহায়তা করছে এডভান্স সফটওয়ার ডেভলাপমেন্ট কোম্পানি।

  7. মাসুদ করিম - ১৩ জুলাই ২০১৮ (১১:৪৫ অপরাহ্ণ)

    Homage to Lanzmann
    The ‘Shoah’ filmmaker, who died last week at age 92, would not look away

    Claude Lanzmann’s special genius was a spectacular brusqueness, which allowed him to reveal, as if with no effort at all, the patterns of thought that protect enormities under a cloak of niceties. Sometimes he was faintly droll and mordant in how he went about doing this. Everyone who has seen the 9 1/2 hours of Shoah will remember the scene in which an old SS Unterscharführer at Treblinka named Franz Suchomel, who does not know that he is on camera, agrees to recount his history at the camp and says, “But don’t use my name.” Lanzmann replies, “No, I promised. All right, you’ve arrived at Treblinka. …” The Unterscharführer begins to speak—and, in subtitles on the screen, his name and identity appear.

    It is a little shocking to see the subtitles. You wonder for a flicker of an instant if you aren’t watching a crime take place, which is Lanzmann’s baldfaced lie to the old Nazi. But then, in that same flicker of an instant, you do recognize, if you have half a brain, that the crime in this particular case belongs to the Nazi, and not to the man interviewing the Nazi. You might even find yourself shocked to have been shocked—shocked to have been confused even for a micromoment about the rights and wrongs of manipulating an old SS man into revealing the scale of his criminality. Does the micromomentary confusion overshadow what the Nazi recounts? Maybe it does, for its own micromoment. I notice that right now I am recounting the amusing story of Lanzmann’s deception, instead of the realities of Treblinka—where, I should add, my grandfather’s innumerable cousins were murdered, quite probably at the direction of the Unterscharführer whose face is identified on screen. But there is something to be gained from having undergone an instant of confusion, so long as you give it some thought. You have had a collaborator’s experience, in a specific version—the experience of believing that researching a mass extermination is fine and good, but other considerations ought to take precedence.

    In his memoir, The Patagonian Hare, Lanzmann recounts a slapstick version of the same deception. He and a colleague persuaded an old SS man with a much higher rank, Obersturmführer Heinz Schubert, from the family of the 19th-century composer, to speak to them about the war years, and they brought along a secret camera, concealed in a bag, into Schubert’s villa. The camera was an elaborate device that transmitted images and sounds to a larger machine, which itself was concealed in a minivan down the block, manned by a couple of additional members of Lanzmann’s team. Only, the volume on the machine was tuned too high. The neighbors overheard the interview as it proceeded, and they and Schubert’s son figured out what was going on and burst into the villa, enraged. Lanzmann and his colleagues had to make a run for it, and they had to throw away the expensive equipment, too. It is a funny story. Lanzmann was a good fellow. But the interview was botched. It was a victory for the Schubert family and the indignant neighbors—a victory for the people who observed the proprieties of neighborhood solidarity and respect for a family’s privacy. The Schubert family pressed legal charges against Lanzmann, too, in token of the fact that neighborliness and law stand united.

    The brusqueness in Shoah goes up against some larger niceties. Lanzmann deceived the government of Poland into allowing him to interview the peasants who lived on the outskirts of the Treblinka camp. The peasants retained horrific memories of the railroad trains and the stench that emanated from the camp. They exuded a sort of grisly odor of their own, stewing in medieval hatred of the Jews. And, when Shoah was at last shown to the public, the Polish government was outraged, and a good many people shared the outrage, on the grounds that Lanzmann had put Poland in a bad light. In reality, Lanzmann in the film devotes a lot of time to a Polish hero of the war, Jan Karski, which gives a balance to his presentation. But it is true that he makes no larger effort to describe the Polish reality or to assuage the Polish national pride or acknowledge the national wounds of the Polish people. Only, why should Lanzmann have troubled himself over those other topics? Shoah is a study of the experience of death and the extermination of the Jews, and it is not a study of Poland.

    Just now Lanzmann has come under a similar attack in regard to France—though the attack has been made from an unusual angle, which is that of Shlomo Sand, the eccentric Israeli historian. Sand is the author of The Invention of the Jewish People (about how the Jews delude themselves into supposing themselves to be a people, when he believes that Jews are, instead, largely a Turkic-speaking people known as Khazars) and How I Stopped Being a Jew (a natural follow-up to The Invention of the Jewish People) and other books. And this year he is the author of The End of the French Intellectual, which argues, among other points, that mainstream intellectuals in France have been all too sympathetic to Israel over the years, and all too hostile to the enemies of the Jews—and Lanzmann bears the responsibility for some of those terrible developments. I reviewed the book in The New York Times a few weeks ago, but my review was short, and there was no space to discuss the part about Lanzmann in particular. The attack on Lanzmann is pretty brutal, though. Lanzmann is to blame, in Sand’s view, for his regrettable influence on Sartre and Simone de Beauvoir. Sand recalls with outrage that Beauvoir herself wrote a preface to the text edition of Shoah. And yet, in Sand’s view, Shoah ought to be seen as corrupt.

    The French government helped subsidize the film, along with the Israeli government. And Sand observes that, over the course of his 9 1/2 hours, Lanzmann in his interviews (the whole of Shoah consists of interviews, one after another, with not a single moment of stock footage) says nothing about the French role in the mass extermination—nothing about the French police rounding up the Jews and deporting them to the camps. Which strikes Sand as suspicious. The nicety that Sand wants Lanzmann to observe is, in this case, the obligation to criticize one’s own country, as Sand himself can be counted on to do, night and day. But why should Lanzmann have criticized France? His topic is what happened to the people who were sent to the camps, and not how they got there—a single topic, and not a collection of topics: the single enormity that one person after another would prefer, on grounds of this or that notion of proper behavior, to avoid discussing. Then again, Sand finds something dubious in Lanzmann’s topic in itself, given that, from Sand’s viewpoint, Lanzmann’s lavish attention to the murder of the Jews has only made it harder to contemplate the sufferings of the Arabs—a nearly criminal consequence that has predictably come from making such an elaborate and ambitious film about a criminal act. And in these ways, the objections to Lanzmann and his relentless focus on the mass extermination go on piling up, now in petty ways, now in ways that appear to be graver.

    ***

    Lanzmann has produced a number of outtake epilogues to Shoah, and the one that he presented in 2014, The Last of the Unjust, has got to be the ultimate in teasing out the contradiction of niceties and enormities. The epilogue, at a mere four hours, consists almost entirely of an interview from the 1970s with the Vienna Rabbi Benjamin Murmelstein, whose story is perplexing in the extreme. Murmelstein was required by Adolf Eichmann to cooperate with the Nazis in organizing the roundups and dispossessions of the Austrian Jews. And he did as demanded. Ultimately he ended up as the head Jew in Theresienstadt, the so-called model concentration camp in Czechoslovakia, which the Nazis established to deceive the world about what was happening to the Jews. Theresienstadt served as a transit station to Auschwitz (which you can read about in a harrowing memoir called My Crazy Century by the Czech writer Ivan Klíma, who spent a few years of his young childhood in Theresienstadt and survived only because his father was the camp electrician, and the Nazis had need of his services). But Theresienstadt had the look of a decent place, and Murmelstein’s task was to keep up the look. He refused to make the decision about who the Nazis would take away at any given moment, but in other respects he performed as he was ordered to do, in the hope of making things better instead of worse, and in the hope of achieving his own survival. His predecessors at Theresienstadt were, all of them, killed, which meant that his own survival was a long shot. But he made it through. He was loathed by the Jews, of course. After the war, he ended up in Italy, an electrical-goods salesman. And he spoke to Lanzmann.

    J. Hoberman, who reveres Shoah, wrote about The Last of the Unjust for Tablet magazine and did not revere it. Hoberman considers that Hannah Arendt and a great many other commentators are correct in condemning the Jews who went along with the Nazis in the camps, and he considers that Lanzmann was foolish to present Murmelstein so sympathetically. But I have to say that Hoberman, who has persuaded me a hundred times over the years, does not persuade me this time. Lanzmann invites Murmelstein to reflect on his situation and his actions, and Murmelstein’s reflections turn out to be those of a lucid and serious man, and not just a cultivated one. His own view of Arendt was angry and dismissive, and it seems to me more than a little convincing. Arendt got Heidegger wrong, which might be explained away by the intimacy of her emotions, and she got Eichmann wrong, which might be explained away by her lack of information about the case; but to be wrong twice suggests a systematic error. But Murmelstein did not lack information. He observed Eichmann from a closer angle than any other Jew in the universe, and he knew that Eichmann was not, in fact, a banality, nor was he a cog in a bureaucratic machine. Eichmann was a “demon,” and he burned with hatred for the Jews, and he took part physically in wrecking the Vienna synagogue on Kristallnacht. Murmelstein collaborated with the Nazis not because he entertained an illusion about something decent lurking within them, as Arendt did about Heidegger, and not because he entertained an illusion that merely impersonal forces were at work, which could perhaps be manipulated or evaded, but precisely because he entertained no illusions at all. Nor was he drunk on his own power, such as it was. He knew that he was up against death, he and all of the Jews. And he chose to maneuver as best he could, not with an eye to making himself look good, either. Early on, he could have escaped, too, but he and his wife elected to remain among the doomed.

    The shocking moment in regard to niceties and enormities in The Last of the Unjust comes at a point in the conversation between Lanzmann and Murmelstein in Rome when Lanzmann puts his arm around Murmelstein’s shoulder, in a gesture of what appears to be solidarity, or perhaps of friendship. Lanzmann in that moment accepts Murmelstein. He admires him, or more than admires him. Hoberman describes Lanzmann’s gesture as a pretense of being “buddies,” but I think that, when you watch the film, it does not look like a pretense. Only, how to interpret the gesture, in that case?

    Lanzmann was fond of me, in his fashion, because I wrote an admiring review of The Patagonian Hare in the The New York Times Book Review. He expressed his appreciation by sending me a note angrily complaining that I had called him a “journalist,” when he was, instead, a “writer.” I explained to him that, in American English, we do not make the French distinction between “writers,” whose status is glorious, and “journalists,” whose status is professional, and there was no insult in having been called a journalist. Besides, he was a journalist. Next he complained that I had praised his translator, Frank Wynne, when, in reality, the translator had done a terrible job, and the results had come out well only because Lanzmann himself had corrected the errors. I explained that it was not my business to look into the back-and-forth that may have gone into the production of the book, but merely to judge the results. And then, having vented sufficiently, he let his angers subside. We arranged to see each other in New York or Paris, and, as it happened, in both places. And when we did, the conversation naturally drifted in the direction of that one scene in The Last of the Unjust.

    My view wasn’t Hoberman’s, but neither did I find it easy to accept Lanzmann’s interpretation. To accept the cold logic of Murmelstein’s maneuverings was not difficult, but I thought it would be easier to accept the man himself if he had seemed less sure of his own actions, if he had seemed tortured by his own decisions. A sentimental common sense cries out, I thought, for the man to have committed suicide after the war, out of an inability to square his actions and his conscience. Then, too, a sentimental common sense would have been happier with Lanzmann—with the Lanzmann who appears on screen—if he had expressed a bit of uncertainty over what to make of Murmelstein, a tortured feeling of his own, perhaps—something complicated, instead of the simple affection that is expressed by a casual embrace. Such were my thoughts. I said them aloud.

    Lanzmann was unimpressed. “Why should he have committed suicide? He had no reason.” In the film, Murmelstein explains that, during the period of the Eichmann trial in Israel, he wrote to the Israelis and offered to share what he knew. But the Israelis wanted nothing to do with Murmelstein, and they failed to reply, even if what he knew went beyond what anyone else knew. In Lanzmann’s view, the Israelis did this because they wanted to claim the credit for resisting Eichmann for themselves, and, for that reason, they were willing to forgo making use of Murmelstein’s information, and were willing to leave the world uninformed. The state interest of the Israelis: Here was a nicety! If anyone should have committed suicide, Lanzmann told me, it was the Israelis!

    As for his own judgment, he saw no reason to feel tortured. He considered Murmelstein to be honest and forthright, and he admired him for it. Lanzmann told me, “I loved him”—and, because our conversation was in English, the word “loved” did not contain the ambiguity of the same word in French, which can also mean “like.” Love, though—why did he love him? I did not press the question, but I can imagine the answer.

    The single most famous scene of Shoah is the interview with a man named Abraham Bomba at a barbershop in Tel Aviv, in which Bomba explains, as he goes about clipping hair, that he was a sonderkommando at Treblinka, in charge of ushering Jews into the gas chamber. Sometimes his duty was to cut the hair of naked women just before they entered the chamber, or once they were inside, in order to collect it for the use of the Germans. On occasion he knew the women, too. It is a horrifying interview. And, in The Patagonian Hare, Lanzmann explains that, once it was over and the camera had stopped running, he and Bomba embraced. They became friends: Bomba visited him in Paris. It is the embrace that catches my eye. I suspect that Lanzmann felt something of the same love for Bomba and for Murmelstein, and that was because these were men who, in nearly opposite ways, had seen the event directly (face to face with the gas chambers, in Bomba’s case; face to face with Eichmann, in Murmelstein’s case); and survived (because, in both cases, they had allowed themselves to become useful to the Nazis); and retained their lucidity; and proved to be capable of describing accurately what they had seen and thought. The two men were heroes for that reason, even if their feet and hands were caked with the mud of the Nazi crime. Lanzmann gave them their chance for heroism, which was to be straightforward and articulate in front of his camera, and they took it. Their eyes did not turn to the side. Their attention did not wander into side issues such as the prestige of the Polish people, or the guilt of the French police, or the plight of the Arabs, or the privacy rights of the Schubert family, or the right to a promised anonymity for the Unterscharführer of Trebelinka. Their eyes, the eyes of the barber and the sophisticated Viennese intellectual, remained fixed on the thing itself.

    ***

  8. মাসুদ করিম - ৩০ জুলাই ২০১৮ (৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    চলে গেলেন মুজিবনগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদানকারী

    মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে (মুজিবনগর সরকার) গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য লিয়াকত আলী (৭৫) ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার রাতে মুজিবনগর উপজেলার ভরবপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, একমাত্র মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    লিয়াকত আলীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন লিয়াকত আলী।

    লিয়াকত আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন প্রমুখ।

    আনসার সদস্য লিয়াকত আলীকে রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। দাফনের আগে জেলা পুলিশের চৌকস একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

  9. মাসুদ করিম - ৩০ জুলাই ২০১৮ (৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরির জীবনাবসান

    বাংলা সাহিত্য জগতে আরও এক নক্ষত্রপতন। রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরি। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। এদিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্ধে সাড়ে ছ’‌টা নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। গত ২১ জুলাই থেকে ওই হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। সোমবার সকালে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রেখে গেলেন স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এছাড়া শোকাহত সাহিত্যিক মহলও। অনেকেই তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রমাপদ চৌধুরির জন্ম ১৯২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর রেল শহর খড়্গপুরে। সেখানেই কেটেছে শৈশব। সেখানেই স্কুলশিক্ষা। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক। শুরু হয় কর্মজীবন। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে। লিখেছেন বহু উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ। দেশের বিভিন্ন ভাষায় তাঁর উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধের অনুবাদ হয়েছে। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘‌প্রথম প্রহর’‌। অন্য উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘‌লালবাই’, ‘‌খারিজ’‌, ‘‌বাহিরি’‌, ‘‌বনপলাশির পদাবলী’‌, ‘‌বাড়ি বদলে যায়’‌, ‘‌ছাদ’‌, ‘‌শেষের সীমানা’‌, ‘‌আকাশপ্রদীপ’, ‘‌যে যেখানে দাঁড়িয়ে’‌, ‘‌পিকনিক’‌, ‘‌এখনই’‌‌, ‘‌দ্বীপের নাম টিয়ারঙ’‌, অভিমন্যু’‌, ‘‌বীজ’, ‘‌দরবারি’‌। শেষ লেখা আত্মজীবনীমূলক ‘‌হারানো খাতা’। ১৯৬৩–তে পান আনন্দ পুরস্কার। ১৯৮৮ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান ‘‌বাড়ি বদলে যায়’‌ উপন্যাসের জন্য। ১৯৯৮–তে সাম্মানিক ডিলিট। ‘‌এখনই’‌ উপন্যাসের জন্য ১৯৭১ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার। ২০১১ সালে রবীন্দ্রনাথ টেগোর মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ। তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাস নিয়ে সিনেমা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তমকুমার পরিচালিত ‘‌বনপলাশির পদাবলী’। এ ছাড়া ‘‌দ্বীপের নাম টিয়ারঙ’, ‘‌এখনই’‌‌, ‘‌পিকনিক’। ‘‌বীজ’‌ উপন্যাস অবলম্বনে মৃণাল সেন পরিচালনা করেন ‘‌একদিন আচানক’‌। ‘‌অভিমন্যু’‌ উপন্যাস অবলম্বনে ‘‌এক ডক্টর কি মওত’ ছবিটি তৈরি করেন পরিচালক তপন সিংহ‌।‌‌‌

    জীবনে কখনও একটা নিশ্চিন্ত লেখার ঘর পাওয়া তো দূরের কথা, প্রায় বৃদ্ধ বয়সে পেয়েছিলাম শুধু একটা ছোট্ট, তা হোক তবু তো নিজস্ব একটা দু’ফুট বাই তিন ফুট লেখার টেবিল। সকলেই অবাক হবেন, এই লোকটা সারা জীবন ধরে লেখালিখি করে গেল তার একটা নিজস্ব লেখার টেবিলও জোটেনি।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.