সুপারিশকৃত লিন্ক: ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১০ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৩:২৮ অপরাহ্ণ)

    কেমন বইমেলা চাই?‌

    আমি ঘাসের বইমেলাও চাই না, কংক্রিটের বইমেলাও চাই না, তাহলে…

    প্রচেত গুপ্ত
    মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ইং

    আজ বইমেলার উদ্বোধন। বইমেলা কেমন চাই?‌ আগে যেমন হত সেরকম?‌ নাকি এখন যেমন হয় এরকম?‌ নাকি আগে যেমন হত তেমন নয়, আবার এখন যেমন হয় তেমনও নয়, অন্যরকম কিছু?‌
    কিছু মানুষ এখনকার কোনও কিছুতেই সন্তুষ্ট হয় না। এরা হল ‘‌আমাদের সময়’‌ পার্টি। কথায় কথায় ‘‌আমাদের সময়’‌ আর ‘‌আমাদের সময়’‌। এই পার্টি বলে, এখনকার গরুরা আর খাঁটি দুধ দেয় না, খানিকটা জল মিশিয়ে দেয়। আলুর চপে সেই টেস্ট নেই। এখনকার ছেলেমেয়েগুলো মহাপাজি। মনে মোটে ভক্তিশ্রদ্ধা নেই। ভগবান পর্যন্ত কেমন যেন হয়ে গেছেন আজকাল। হাজার মাথা ঠুকলেও কিছু দিতে চান না। সে ছিল বটে ‘‌আমাদের সময়’‌। আহা!‌ দুধ, ঘি, মাখন আকাশ থেকে ঝরে ঝরে পড়ত। আকাশের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলেই হত। ‘‌আমাদের সময়’‌ ভবানীপুরের আলুর চপ মুখে দিলেই গলে যেত। আমরা বড়দের দেখলেই সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতাম। টেনে তোলা যেত না। বলতাম, ‘‌না জেঠু উঠব না.‌.‌.‌ না কাকু উঠব না। আজ সারাদিন আপনার পা ধরে শুয়ে থাকব।’‌ তখন স্বয়ং ভগবানও ছিলেন সদয়। কত কিছু যে চেয়ে পেয়েছি। সুখ, শান্তি, মোক্ষ, প্রাপ্তি। এই জন্য গীতায় আছে, ত্রিবিধা ভবতী শ্রদ্ধা দেহিনাং সা স্বভাবজা। শ্লোক ভুল হয়ে গেল?‌ সাবজেক্টের সঙ্গে গেল না?‌ সে না যাক। ‘‌আমাদের সময়’‌ কথায় কথায় শ্লোক, কোটেশন ছিল মাস্ট।
    এরা যে এখনকার বইমেলাকে গাল দেবে তাতে আর সন্দেহ কী?‌
    আবার এখনকার একদল আছে, যারা নিজেদের ‘‌টেক স্যাভি’‌ বলে জাহির করে। সত্যি ‘‌টেক স্যাভি’‌ নয়, বানানো ‘‌টেক স্যাভি’‌। এই পার্টি হল ‘‌হামবড়াই পার্টি’‌। হাবভাব হল ‘‌হেভি আইটি আছি’‌। কেমন ‘‌আইটি’‌ না ফেসবুক করি, সেলফি তুলি, ইনফো নামাই। এত ব্যস্ততার মধ্যে বাবা–‌মাকে দেখতে পারি না। বন্ধুদের ভুলে যাই। প্রতিবেশীদের বিপদে পড়লে চিনি না। বিশ্বের ‘‌ইনফো’‌ নামাতে এত ব্যস্ত থাকি যে পাশের মানুষটার দুঃখ–কষ্টের ইনফর্মেশন জানতে সময় পাই না। কোনও বিষয়ের গভীরে জ্ঞান অর্জনে মন নেই। টাকা রোজগার করি ফুর্তিতে দিন কাটাব বলে। ভেতরে ফোঁপরা হলেও বাইরেটা চকচকে। স্মার্ট ফোনের মতো নিজেকে স্মার্ট রাখব। স্মার্ট ফোনের মতোই নিজেকে ঘনঘন বদলাব। চ্যাটসর্বস্ব জীবনযাপন। ভক্তি টু প্রেম সব চ্যাটে। এই নিজেকে নিয়ে মাতোয়ারা পার্টি যে–কোনও হুল্লোড়েই খুশি। বইমেলায় কেন ঘাস কম, কেন এত টিভি সিরিয়ালের নায়ক–নায়িকার ভিড়, কেন খাবারের এত এলাহি আয়োজন, কেন বইয়ের বদলে অন্য ব্যবসার দিকে ঝোঁক বাড়ছে, কেন লটারির লোভ দেখিয়ে বই বেচতে হচ্ছে— এইসব নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবার সময়ই নেই। সব ঠিক আছে। মস্তি হলেই হল। বইমেলায় ঢুকে বই পাই না–পাই সেলফি পাব তো?‌ ব্যস্‌। ফটো তুলেই ঝট্‌ ফেসবুকে।
    এরা যে যে–কোনওরকম বইমেলাকে বাহবা দেবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এখনকার বইমেলাকেও দেবে।
    বইমেলাকে এই দুরকম চোখে দেখলেই গোলমাল হয়ে যাবে। আগের বইমেলা খুব ভাল ছিল। ‘‌ঘাসে আঁকা, বেশিটাই ফাঁকা/‌ মোবাইলহীন, ঝালমুড়ি খাওয়ার দিন’‌ ফিরে আসুক বলে কপাল চাপড়ালে কোনও লাভ হবে না। সময় বদলেছে। মানুষের ধ্যানধারণা বদলেছে। টেকনোলজিতে আমরা হুড়মুড় করে এগোচ্ছি। মিথ্যে টেক স্যাভিরাই নয়, সত্যি টেক স্যাভিরাও অনেক আছে। যারা শুধু ‘‌চ্যাট ম্যাট ঘ্যাট’‌ করে না, অনলাইনে প্রচুর বই কেনে। কম্পিউটার খুলে দুনিয়ার খবর রাখে। তাদের বইমেলায় নিয়ে আসতে হলে, মেলাকে প্রযুক্তিতে শক্তিশালী করতে হবে। গোটা দুনিয়াতেই স্থায়ী মেলার মাঠ হয়ে গেছে। সেখানে খুব একটা ঘাস থাকে না। ধুলো থাকে না। ফলে এই বইমেলা কেন ঘাসহীন, কেন কংক্রিট বেশি— এই নিয়ে চোখের জল ফেলে লাভ নেই। ঘাস থাকলে মেলায় যেতাম, বই কিনে ঘাসে বসে ভাঁড়ে চা খেতাম— এসব মিথ্যে কথা। জেলায় জেলায় তো প্রচুর বইমেলা। সেখানে ঘাসের মাঠেই মেলা হয়। কলকাতা থেকে ক’‌জন ঘাসপ্রেমী সেখানে যান ভাই?‌ জেলার ক’‌জনই বা যান?‌ আমি নিজে দেখলাম বর্ধমানের একটা মেলা খাঁ খাঁ করছে, কল্যাণীতে লোক নেই। যারা বই কেনবার তারা টুক করে গিয়ে বই কিনে চলে যাচ্ছে। ঘাস না কংক্রিট ফিরেও দেখছে না।
    অনেকে বলেন, বইমেলায় টিকিট তুলে দিয়ে ঠিক হয়নি। টিকিট থাকলে শুধু বইপ্রেমীরাই ঢুকত। তারা স্বচ্ছন্দে ঘুরে ঘুরে বই দেখত। এলোমেলো মানুষের ভিড় হত না। বইমেলা খাওয়াদাওয়া বা স্টার দেখবার জায়গা নয়। এই বিষয়ে আমি দু’‌রকম মত শুনেছি। কেউ বলেছেন, বিনি পয়সায় বইমেলায় ঢুকলে ক্ষতি কী?‌ যত বেশি মানুষ বইয়ের কাছে যাবে ততই তো ভাল!‌ সবাই বই কিনবে তা তো নয়। সবাই তো লেখাপড়া তেমন করে না, তা বলে সবার স্কুলে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে হবে?‌ অন্য মত বলে, টিকিট অবশ্যই ফিরিয়ে আনা উচিত। সেরকম হলে টিকিটের দাম বেশি করা হোক। টিকিটের সঙ্গে অন্তত দুশো বা একশো টাকার একটা বইয়ের দাম ধরে নেওয়া হোক। টিকিট দেখিয়ে পছন্দমতো বই পাওয়া যাবে। বইমেলাটা বইপ্রেমীদের জন্যই থাকুক না। আর–পাঁচটা মেলার মতো করবার দরকার কী?‌
    এই দুই মতই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
    তবে আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। এসব নিয়ে মাথা ঘামানো মানে মূল জায়গা থেকে সরে আসা হবে। আমি না ‘‌আমাদের সময়’‌ পার্টি না বানানো ‘‌টেক স্যাভি’‌ হুল্লোড় পার্টি। বইমেলায় আমি আসল জিনিস চাই।
    এ বছর লিটল ম্যাগাজিন মেলায় গিয়ে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। মেলায় গল্প পাঠ, কবিতা পাঠ, সেমিনারে ভাষণ দেওয়ার ব্যাপার ছিল না আমার, তারপরেও মোট দু’‌দিন মেলায় গেলাম। নন্দন চত্বর এবং উল্টোদিকের মোহরকুঞ্জে স্টল হয়েছিল। সুন্দর সাজানো–গোছানো, চমৎকার ব্যবস্থা। আমি প্রায় সব স্টলে ঢুঁ মেরেছি। পত্রিকা, বই এবং তাদের পেছনের মানুষজন দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কত নতুন নতুন বই, পত্রিকা বের করেছে। পুরনোরাও আছেন। শুধু গল্প–কবিতা নয়, সমাজ, ইতিহাস, লোককথা নিয়ে ভাল ভাল সব কাজ। অনেক গবেষণা, অনেক পরিশ্রম থাকলে তবেই এমন বই, পত্রিকা করা যায়। আমি সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প কিছু পত্রিকা, বই কিনি। কিন্তু খুব দুঃখের ঘটনাটা হল দু’‌দিনই দেখলাম, বেশিরভাগ স্টল ফাঁকা। কেনাকাটা অতি সামান্য। অনেকে মুখ শুকিয়ে বসে আছে। নামকরা এক লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক বললেন, যারা লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে বড় বড় কথা বলে বেড়ায়, লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে বড়াই করে, লিটল ম্যাগাজিনের জন্য দরদ দেখায়, লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে ফেসবুকে প্রাণ দিয়ে দেয়, তারা যদি একটা করেও পত্রিকা বা বই কিনত তাহলেই মেলার সব পত্রিকা শেষ হয়ে যেত। যারা ধারদেনা করে পত্রিকা করে, বই বের করে, তারা হাসিমুখে ঘরে ফিরত। পরের বছর আবার পত্রিকা, বই করবার সাহস পেত। আপনি দেখুন, যারা এখন মেলায় এসেছে, তারা বেশিরভাগই পকেট থেকে পয়সা বের করে না। মেলায় এসেছে নিজের কবিতা বলতে, গল্প পাঠ করতে। আপনি একটা সার্ভে করুন, নব্বই শতাংশ কবি–সাহিত্যিকই এসেছে নিজের জন্য। নইলে আসতই না। আমি বললাম, লিটল ম্যাগাজিন মেলায় যারা আসে তারা অনেকেই বেকার, ছাত্র, গবেষক। তারা অত কেনাকাটা করবে কী করে?‌ আর লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে ব্যবসা কথাটা মানায় না। সম্পাদক ভদ্রলোক আমাকে প্রায় ধমক দিয়ে বললেন, থামুন মশাই। এখান থেকে কবিতা, গল্প বলে যে টাকা সরকারের (‌বাংলা আকাদেমি)‌ কাছ থেকে তারা পেয়েছে, তার অর্ধেকও কি পত্রিকা কিনে খরচ করতে পারত না?‌ জিজ্ঞেস করুন তো ক’‌জন করেছে?‌ সবাই বলবে, করেছি। মিথ্যে কথা। ফেসবুকে বিলের ছবি পোস্ট করুক দেখি। তাছাড়া, কবি–সাহিত্যিকরা অনেকে ভাল ভাল চাকরিও করে। তারা ক’‌টা পত্রিকা কিনেছে?‌ একটু সিনিয়র হয়ে গেলে খালি ফ্রিতে নেওয়ার ধান্দা। আর ব্যবসার কথা বলব না কেন?‌ পত্রিকা ছাপতে পয়সা লাগেনি?‌ বাসে করে এখানে আসতে বাস ভাড়া লাগে না?‌ চা খেয়ে দাম দিতে হয়নি?‌ কবিকে চাল কিনতে হয় না?‌
    এসব শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। লজ্জা করল।
    সবাই এরকম নয়। আমি জানি, লিটল ম্যাগাজিনের মেলায় কেউ কেউ পত্রিকা, বই কিনেছে। পকেটে পয়সা কম থাকলেও কিনেছে। ফলে কিছু বিক্রিবাটা হয়েছে। কিন্তু যতটা হওয়া উচিত, সেই তুলনায় কিছুই নয়। হতে পারত অনেকটা। হয়নি, হয় না।
    আমি চাই কলকাতা বইমেলা এই লজ্জা থেকে নিজেকে মুক্ত করুক। আমি এবার সেরকম একটা বইমেলা চাই, যেখানে প্রত্যেকে যেন অন্তত একটা করে বই কেনে। লটারির হাতছানি নয়, নিজের মনের হাতছানিতে। যার যেমন সামর্থ্য, যার যেমন পছন্দ। এই মেলায় সবাই প্রতিজ্ঞা করুক বই না কিনে ফিরব না। মেলায় ঘাস না কংক্রিট, মেলায় পাবলিক না স্টার, মেলায় কান ফাটিয়ে সিরিয়ালের তাণ্ডব চলবে না শুধু মৃদুস্বরে গান শুনতে পারব— এসব পরের কথা। বইমেলায় বইটাই আসল। বইয়ের কেনাকাটা হলে তবেই মেলা বাঁচবে। এতে শুধু প্রকাশক, লেখক, ছাপাখানা, প্রুফ রিডার, বাইন্ডার, ভ্যান রিকশা চালক বাঁচবে না, একটা জাতি বাঁচবে। সেই বইমেলা আমি চাই। আমি জানি, আপনিও চান। তাই না?‌‌‌

  2. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৬:৫১ অপরাহ্ণ)

    ‘This can’t be real’: Witnesses recount night of Quebec City mosque shooting

    They were always together, countrymen, neighbours and, above all, close friends.

    On Sunday evening, Mamadou Tanou Barry and Ibrahima Barry died together, the first victims in a mass murder at the main mosque in their adopted home.

    Within minutes, four more men lay dead in the Centre culturel islamique de Québec, with 19 more injured.

    Here is the sequence of events as recalled by multiple witnesses interviewed by The Globe and Mail.

    The parking lot of the cultural centre’s Grand Mosque, a former credit union in Quebec City’s west end, began filling up for evening prayers shortly before 7:30 p.m.

    According to mosque officials, the doors are equipped with a magnetic lock and timer, one of many security measures undertaken by the community, which has been the object of less grievous hate crimes over the past decade (there are also multiple security cameras, which provided a visual record for investigators).

    The doors opened just before prayers were to begin – it’s unclear exactly when; most witnesses agree it was between 7:30 p.m. and 7:45 p.m.

    The evening ritual lasts seven to 10 minutes, but some inside the mosque reported hearing a commotion – one mistook it for fireworks – outside one of the entrances to the rectangular prayer room, probably around 7:50 p.m.

    In fact, it was Mamadou Tanou Barry, 42, and Ibrahima Barry, 39 – the pair were distant cousins of Guinean origin – encountering the gunman. Both were shot where they stood.

    Then, witnesses say, the shooter moved inside, where prayers were ending and a Koranic reading circle was taking form.

    A short while earlier, Selma Yahiaoui, 32, and her husband Kamel Ahmanache had gone out for supper at an Egyptian restaurant, when they decided to go to the mosque on boulevard Sainte-Foy.

    Mr. Ahmanache went to pray on the ground floor, in a room filled with men, but the women’s prayer room upstairs was empty.

    “I felt uneasy, but I turned on the lights and two more women arrived for the prayer, but they left before my husband was done,” she said.

    Ms. Yahiaoui saw her husband and the group of men on a closed-circuit feed from a security camera when she heard the shots.

    She could see men running around the room as the firing continued; it was interrupted by the gunman reloading his weapon. “It was ta-ta-ta, and stopped three times.”

    Several witnesses reported seeing a firearm that resembled an AK-47 assault rifle, a light weapon that is ubiquitous in most parts of the world but is difficult to obtain in Canada, where nearly all its variants are prohibited arms.

    In any case, the rifle jammed.

    “It could have been a lot worse,” said Ahmed Ech-Chabady, a martial-arts instructor who was on hand with his eight-year-old son.

    All the witnesses interviewed agreed the shooter was also carrying a handgun.

    Ms. Yahiaoui said the attacker tried the door that leads to the upstairs prayer room.

    Youcef Kaddour, who rushed up from the basement when the shooting started, saw his friend Azzedine Soufiane, a butcher and fixture of the community, confront the gunman as he tried to load his weapon. Mr. Soufiane was shot multiple times and died.

    After entering the main prayer area, the shooter turned to face the right side of the room, then began firing.

    But Mr. Soufiane’s heroism, corroborated by several accounts, allowed several mosque-goers to either hide or feign that they’d been shot.

    “People were screaming everywhere, we phoned 911, it must have lasted for two or three minutes,” Mr. Kaddour said, later adding “all I kept thinking was ‘this can’t be real.’”

    One of the men in the room collapsed from a heart attack (he would later count among the dead).

    The first 911 call, presumably from inside the building, was logged at 7:55 p.m., by which time it appears the shooter had fled.

    Within minutes, police swarmed into the building – several witnesses expressed surprise at the vigour with which they were manhandled.

    Ms. Yahiaoui said police grabbed and hauled her downstairs.

    “I walked in and saw the dead and the injured and I was screaming because I couldn’t see my husband,” she said.

    She started rifling through coats, looking for her husband Kamel’s, and wept when she saw his hand waving to her from his hiding place behind a wall.

    The police quickly arrested Mohamed Belkhadir, a Laval University student who at least one witness said was trying to perform first aid on one of the victims.

    Mr. Belkhadir ran when he saw more armed men running up – it was the police – and tumbled into the snow near the rifle, by then abandoned by the shooter.

    Mr. Belkhadir was originally held as a suspect but eventually released.

    At 8:10 p.m., 911 recorded a call from a man claiming he’d been involved in the shooting.

    By that point, the scene was cordoned off and a “code orange” had been declared in the city’s main hospitals.

    The seriously wounded were by then on the way either to Hôpital l’Enfant-Jésus, the city’s main trauma centre, 13 kilometres away.

    Lighter cases were transported to the nearby St. Francois d’Assise hospital and Centre hospitalier de l’Université Laval.

    Guards were quickly posted at emergency-room entrances to screen visitors.

    By then, police cruisers were already racing eastward on highway 440 toward l’Ile d’Orléans, a bucolic agricultural community, where the unidentified 911 caller said he’d be waiting at the foot of a bridge.

    At 8:55 p.m, he was in custody.

    The next day the suspect would be identified as Alexandre Bissonnette.

  3. মাসুদ করিম - ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৭:২২ অপরাহ্ণ)

    The Existentialism Files: How the FBI Targeted Camus, and Then Sartre After the JFK Assassination

    Today, as you must surely know, marks the 50th anniversary of John F. Kennedy’s assassination and also surely marks a revival of interest in the myriad conspiracy theories that abound in the absence of a satisfactory explanation for the events at Dealey Plaza on November 22nd, 1963. One theory I’ve never heard floated before comes to us via Andy Martin, lecturer in French at Cambridge University and author of The Boxer and the Goalkeeper: Sartre vs Camus. In an article for Prospect magazine, Martin writes:

    To the massed ranks of the CIA, the Mafia, the KGB, Castro, Hoover, and LBJ, we can now add: Jean-Paul Sartre. FBI and State Department reports of the 1960s had drawn attention to Sartre’s membership of the Fair Play for Cuba Committee, of which Lee Harvey Oswald was also a member. And—prophetically?—Sartre had “dismissed the US as a headless nation.” […] Could he, after all, have been the Second Shooter?

    It’s probably fair to say that Martin’s tongue is wedged firmly in his cheek throughout this opening of his fascinating chronicle of the FBI’s surveillance of Sartre and his onetime friend and editor Albert Camus. But Martin’s interest in the misalliance of Sartre and the Feds is very serious. What he finds during his investigation of the FBI files on existentialism is that “the G-men, initially so anti-philosophical, find themselves reluctantly philosophizing. They become (in GK Chesterton’s phrase) philosophical policemen.”

    While we have become accustomed, since the days of Joe McCarthy, to ideological witch hunts, it seems that Sartre and Camus served as test cases for the sort of thing that frequently plays out in overheated Congressional hearings and media denunciations—agents with furrowed brows and little philosophical training desperately trying to work out whether such and such abstruse academic is part of a grand conspiracy to undermine truth, justice, the American Way, etc.. Sartre appeared early on the anti-Communist radar, though, ironically, he did so as a plant of sorts, brought over in 1945 by the Office of War Information as part of a group of journalists the United States’ government hoped would put out good propaganda.

    “Hoover wondered,” however, writes Martin, “what kind of good propaganda you can hope to get out of the author of Nausea and Being and Nothingness.” It turned out, not much, but a year later Hoover latched on to Sartre’s friend and editor Albert Camus, whose name he and his agents spelled, variously, as “Canus” or “Corus.” Where Sartre had breezed into the country—smitten by its literature and music—Camus was held at immigration on Hoover’s orders. He would spend a brief, depressing time and never return.

    How we get from post-war surveillance of French existentialist philosophers to Sartre and the grassy knoll is a long and complicated tale, befitting the paranoid imaginings of J. Edgar Hoover. He was, after all, the conspiracy theorist par excellence and “he needed to know,” writes Martin, “if Existentialism and Absurdism were some kind of front for Communism. To him, everything was potentially a coded re-write of the Communist Manifesto.” What Hoover feared from Sartre, however, was that the latter was himself an influential believer in a conspiracy, one that cast doubt on the FBI’s strongly-held belief that Oswald was the lone gunman.

    Despite gathering years of NSA-worthy surveillance on the philosophers, Hoover’s agents were never able to discern the ideological program of the French. “I can’t work out,” wrote one in a note in Sartre’s file, “if he’s pro-Communist or anti-Communist.” The black-and-white, spy-vs-spy world of the FBI left little room for philosophical nuance and literary ambiguity, after all. But they never stopped watching Sartre, convinced that “there must be some kind of conspiracy between communists, blacks, poets and French philosophers.” As it turns out, there were several—political and aesthetic conspiracies involving such terrifying figures as Frantz Fanon and Aimé Césaire. These poets and close relations of Sartre did, indeed, help foment revolution in the Caribbean and elsewhere—but theirs are stories for another day.

  4. মাসুদ করিম - ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৯:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জীবনাবসান

    আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন।

    রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রোববার ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার আল ইমরান জানান।

    সত্তরোর্ধ্ব সুরঞ্জিত রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বল্পতাজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

    শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।

    এ আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    গত বছর মে মাসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুরঞ্জিত। পরে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন তিনি।
    সত্তরের প্রাদেশিক পরিষদে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য; স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ চার দশকের প্রায় সব সংসদেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

    ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি থেকে উঠে আসা বামপন্থি এই নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

    সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের আনোয়ারাপুরে। প্রথম জীবনেই বামপন্থি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া সুরঞ্জিত দ্বিতীয়, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

    তিনি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী হন।
    তবে সহকারীর অর্থ কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ না করে সে সময় তাকে মন্ত্রী হিসাবে রাখেন শেখ হাসিনা।

    সুরঞ্জিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি করার পর আইন পেশায় যুক্ত হন তিনি।

    আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলেরও সদস্য।

  5. মাসুদ করিম - ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (১১:৫০ অপরাহ্ণ)

    Canadian court finds no proof of Padma Bridge bribery conspiracy

    A Canada court has dismissed the graft allegation in Padma Bridge project and acquitted three business executives of SNC-Lavalin Group Inc, report agencies.

    Justice Ian Nordheimer of the Ontario Superior Court has thrown out wiretap evidence that formed the basis of the prosecution’s case, saying it was based on gossip and rumour, according to Candian newspaper The Globe and Mail.

    The judge’s decision taken in January was subject to a publication ban until Friday, the newspaper said.

    Justice Ian Nordheimer ruled that he had serious concerns about three applications the RCMP filed in 2011 to get court approval to use wiretaps.

    The RCMP had sought the approval as it probed allegations that SNC staff planned to bribe officials in Bangladesh to try to win a $50-million (US) contract to supervise construction on the country’s PadmaBridge project.

    “Reduced to its essentials, the information provided in the [wiretap applications] was nothing more than speculation, gossip and rumour,” Judge Nordheimer concluded.

    “Nothing that could fairly be referred to as direct factual evidence, to support the rumour and speculation was provided or investigated. The information provided by the tipsters was hearsay (or worse) added to other hearsay.”

    The RCMP originally charged five people with corruption in the case, but charges against two of the accused – Mohammad Ismail and Abul Hasan Chowdhury – were previously dropped.

    The case against the remaining three accused – former SNC vice-president of energy and infrastructure Kevin Wallace, former SNC vice-president of international development Ramesh Shah, and Bangladeshi-Canadian businessman Zulfiquar Ali Bhuiyan – ended on Friday when Judge Nordheimer acquitted all three.

    The decision came after Crown attorney Tanit Gilliam elected to call no witnesses at the trial following the judge’s decision to exclude wiretap evidence.

    “The Crown had the opportunity to reassess the case and concluded we had no reasonable prospect of conviction based on the evidence,” Gilliam told the court.

    Assuming office in 1996, the Awami League government initiated the project in 1998 for the first time. After returning to power in 2009, it revived the initiative.

    The World Bank initially proposed funding much of the project but on June 29, 2012, it cancelled its $1.2 billion funding for the bridge project, saying it had proof of a “corruption conspiracy” involving Bangladeshi officials, executives of a Canadian firm and some individuals.

    A case was filed with a court in Canada in this connection and the hearing in Canadian court began in April 2013.

    However, the Anti Corruption Commission in Bangladesh cleared all the accused in the Padma Bridge graft case as its investigation did not find any evidence of ‘corruption conspiracy’ in hiring consultant for the Padma Bridge Project.

    The anti-graft national body filed the case on December 17, 2012 against seven people for their alleged involvement in the Padma Bridge project graft dropping the names of key suspects former Communications Minister Syed Abul Hossain and former State Minister for Foreign Affairs Abul Hasan Chowdhury.

    The accused in the Padma bridge graft case were former secretary of Bridge Division Musharraf Hossain Bhuiyan (now member of the Privatisation Board), superintendent engineer (river control) of Bangladesh Bridge Authority Kazi M Ferdous, executing engineer (bridge construction and maintenance) of Roads and Highways Department M Riaz Ahmed Zaber, deputy managing director of Engineer and Planning Consultant Limited Mohammad Mustafa, former director (international project division) of SNC LavalinInc Mohammad Ismail, former vice president (international project division) of SNC Lavalin Ramesh Shah and former vice-president of SNC Lavalin Kevin Wallace.

    Meanwhile, former Communications Minister Syed Abul Hossain said the Canadian court verdict proved that the allegations brought against him were totally false and intriguing.

    “World Bank made fabricated allegations against me on the basis of few made up news of Bangladeshi newspapers. The allegations were not only false rather a conspiracy,” he said in a statement.

    His remarks came after a Canadian court acquitted three former top executives of SNC-Lavalin as no proof of bribery was found in an international case in connection with the Padma Multi Purpose Bridge construction in Bangladesh.

    The former minister said he had become a victim of conspiracy hatched by World Bank and a vested quarter of Bangladesh.

    “This plot has tarnished my reputation and dignity and hindered my way to discharge my duty with sincerity. The conspirators were out to humiliate me before the society,” he said.

  6. মাসুদ করিম - ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    Jessore flower hub to get first modern market

    The country’s biggest flower market at Jhikargacha in Jessore is witnessing a modern market infrastructure being built with help from the US Army specifically the world-renowned US Army Engineering Corps, not combatants.

    For the growers who have turned a stretch of land off the Jessore-Benapole highway into a piece of Holland in Bangladesh, the initiative led by the Local Government Engineering Department (LGED) couldn’t come soon enough. The growth of the industry they built from scratch has recently outpaced the rest of the economy and looks set to continue.

    It was in the villages of Godkhali union that commercial floriculture is said to have taken roots in Bangladesh, on a 30-decimal plot back in 1983. While Godkhali remains the biggest, and is set to usher in the first modern market of its kind in the country, Jessore is now one of 22 districts – out of 64 – where flowers are grown for commercial purposes, on nearly 1,000 acres of land.

    Over a five-year period from 2010 to 2015, the industry’s revenues more than trebled from $ 31 million to $100 million, according to the Bangladesh Flower Society.

    After Godkhali gets its first modern market, complete with cold storage and 12 collection centres serving 12 villages in the union with modern markets, the industry’s growth momentum can be expected to receive another fillip.

    Starting from the pioneers who laid the seeds for an industry providing livelihoods for 150,000 people to the female farmers who form its core, in the wholesome nature of their produce, and the relentless quest for growth, Godkhali represents a triumph of enterprise. So, it was just a matter of time really, before they caught the eye of USAID, whose ideal projects involve fostering entrepreneurship within host populations.

  7. মাসুদ করিম - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

    ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এতে কোনও সন্দেহ নাই। এ দিনকে গণহত্যা দিবস হিসেবে যথাযথভাবে পালনের জন্য পার্লামেন্টে আমরা প্রস্তাব আনতে পারি। আমি মনে করি, আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে প্রমাণসহ দিয়ে প্রচার করবো। যাতে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

    বুধবার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    এর আগে পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রকাশিত জুনায়েদ আহমেদের ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ, মিথস এক্সপ্লোডেড’ বইয়ের বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আলোচনার সূত্রপাত ঘটালে প্রধানমন্ত্রী এ ইস্যুতে কথা বলেন।

    বক্তব্যকালে প্রধানমন্ত্রী এই তথ্য বিকৃতির তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানোর ঘোষণা দেন।

    এদিকে স্পিকার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষণার প্রস্তাবের বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে বলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন জানান।

    তোফায়েল আহমেদ এই অনির্ধারিত আলোচনায় ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানান।

    বুধবার রাজধানীতে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির একটি অনুষ্ঠানে বইটি দেখেছেন উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তোফায়েল আহমেদ বলেন, বইটিতে দেখলাম আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদ সব কিছুর বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মিথ্য তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এই বইটি ওদের আইএসআই এর ডিরেক্টর জেনারেল আমাদের হাইকমিশনে পাঠিয়েছে। আমি এর নিন্দা জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছি। তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘৩০ লক্ষ লোক শহীদ। সমস্ত ঘটনাকে ওরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কীভাবে?’

    আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার বহুল প্রচারিত বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বলেন, গণহত্যার শিকার এক রিকশাঅলার মৃতদেহ পড়ে আছে। আর এই ছবিটাকেই তারা ক্যাপশন করে লিখেছে, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর ম্যাসাকার। হাজার হাজার ডেডবডি পড়ে আছে। মুক্তিবাহিনী হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছে।’ এরকম আরও কিছু মিথ্যাচারের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।

    পরে বক্তব্য দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ‘২৫ মার্চ আমার বাবাকে গ্রেফতার করা হলো। এর কিছুদিন পরে আমার মা, আমি আমার ভাই জামাল, রাসেল, রেহানা সবাইকে গ্রেফতার করা হলো। বন্দিখানায় থেকে অনেক কিছুই দেখেছি। স্যাঁতস্যাঁতে বাড়িতে রেখেছে। দেশজুড়ে শুধু গণহত্যা না, রাজাকার আলবদর বাহিনী তাদের হাতে আমাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছে। যেভাবে গণহত্য করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তাদের কথা ছিল এদেশের সবাই হিন্দু হয়ে গেছে, তাদের মারো। আওয়ামী লীগ খুঁজে বের করে শেষ করো। তাদের কথা ছিলো ’মানুষ চাই না মাটি চাই।’

    সংসদ নেতা বলেন, ‘ঢাকা শহরে বিভিন্ন রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। নিজের চোখে দেখেছি। এগুলো নিজের চোখে দেখা। যে বাড়িতে আমাদের বন্দি করে রেখেছিল ঠিক তার সামনের বাড়িটা, সেখানে মেয়েদের নিয়ে এসে রেপ করে। তাদের চিৎকার কান পাতলে শোনা যেত। বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে। ১৩-১৪ বছরের মেয়ে।

    মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি ও তার দোসরদের নিরীহ বাঙালির ওপর চালানো বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘একেকটা পরিবার শেষ করে দিয়েছে। একেকটা গ্রাম শেষ করে দিয়েছে। প্রত্যেক মানুষ দেখেছে। এখন পাকিস্তান বই লিখে তাদের কৃতকর্ম, তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেগুলোকে উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর দোষ দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের জন্য লজ্জার বিষয়। এই লেখার সাহস তারা কোথা থেকে পেল। এতবড় দুঃসাহস কোথা থেকে আসলো। বই ছাপিয়ে আবার পাঠায়। আজকে তারা গণহত্যাকে চাপাতে চায় মুক্তিবাহিনীর ওপর এটা কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য না। তারা যে গণহত্যা করে অপরাধ করেছে তাদের মাফ চাইতে বলা হয়েছে। মাফতো চায়নি। উল্টো দোষ চাপায়। তাদেরকে ধিক্কার জানাই।

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

    সংসদ নেতার বক্তব্যের পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ২৫ মার্চে গণহত্যা দিবস পালনের দাবি সম্বলিত একটি প্রস্তাব আমি ইতিমধ্যেই পেয়েছি। আমাদের একজন মাননীয় সংসদ সদস্য বিষয়টি দিয়েছেন। আমরা অগ্নিঝরা মার্চের যেকোন একদিন সংসদের বৈঠকে আলোচনা করবো।

    এসময় প্রধনমন্ত্রীসহ সকল সংসদ সদস্যরা টেবিলে চাপড়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।

    স্পিকার বলেন, মাননীয় মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন, আপনার প্রস্তাব এবং সেই আনীত প্রস্তাব একই বিষয়ে। কাজেই এটার ওপর আলোচনা করবো।

  8. মাসুদ করিম - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৭:৩৭ অপরাহ্ণ)

    সকালের ডাকে যাওয়ার চিঠি, বনশ্রী নেই

    দূর আকাশেই হারিয়ে গেল স্বর্ণযুগের আরেক সুর। রবিবার সকাল ১১টায় চিরদিনের জন্য থেমে গেল বনশ্রী সেনগুপ্তর স্বর্ণকণ্ঠ। ৭৩, কী–‌বা এমন বয়স!‌ এই তো সেদিন সরস্বতী পুজোয় হাজির পণ্ডিত হরিহর শুক্লার মেয়ে, ছোট বোনের মতো হৈমন্তীর বাড়িতে। তার পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ রেকর্ড কোম্পানির আড্ডায়। তার পরদিনই কী যে হল!‌ হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হলেন এসএসকেএম হাসপাতালে।

    প্রথম জীবনে চুঁচুড়ায় থাকতেন বনশ্রী সেনগুপ্ত। বাবা শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের কাছে শাস্ত্রীয় গানের তালিম। রাজেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শিখেছেন বেশ কিছু দিন। বিয়ের পর কলকাতায় এসে গান শেখেন প্রবীর মজুমদার, নীতা সেন, সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊষারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেন্দ্র চৌধুরি, সাগিরুদ্দিন খান, সন্তোষ সেনগুপ্তের মতো সঙ্গীত–‌ব্যক্তিত্বদের কাছে। সুধীন দাশগুপ্তের কাছে তাঁর তালিম চলে ২০ বছর। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য তাঁর গান শুনে খুশি হয়ে দুটি চিঠি দেন এইচএমভি ও আকাশবাণীতে। এই চিঠি দুটির ফলেই এইচএমভি–‌তে প্রথম গান রেকর্ড করার সুযোগ পান বনশ্রী। ছাড়পত্র মিলে যায় আকাশবাণীতেও। সাতের দশক থেকে একের পর এক হিট গানের সাফল্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যান বনশ্রী সেনগুপ্ত। তাঁর গাওয়া সুধীন দাশগুপ্তের সুরে ‘‌একদিন সেই দিন’‌, ‘‌অন্ধকারকে ভয় করি’‌, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সুরে ‘‌আমার অঙ্গে জ্বলে রঙমশাল’‌, প্রবীর মজুমদারের সুরে ‘‌আজ বিকেলের ডাকে তোমার চিঠি পেলাম’‌, অজয় দাসের সুরে ‘‌দূর আকাশে তোমার সুর’‌, ভি বালসারার সুরে ‘‌সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ’‌ আজও সমান জনপ্রিয়। বেসিক রেকর্ডের পাশাপাশি বেশ কিছু বাংলা ও হিন্দি ছবিতেও প্লে–ব্যাক করেছেন। বিএফজেএ, দিশারী, প্রমথেশ বড়ুয়া, উত্তমকুমার–‌সহ বেশ কিছু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ৮৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন এই শিল্পী।
    কয়েক বছর আগে প্রয়াত হন তাঁর স্বামী শান্তি সেনগুপ্ত। এদিনই কেওড়াতলা শ্মশানে আত্মীয় ও সহশিল্পীদের উপস্থিতিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে আসেন মন্ত্রী গায়ক ইন্দ্রনীল সেন ও সঙ্গীতশিল্পীদের সংগঠন অ্যাপস–‌এর প্রতিনিধিরা। মরদেহ রাখা হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে প্রয়াত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মহানাগরিক শোভন চ্যাটার্জি, হৈমন্তী শুক্লা, অরুন্ধতী হোমচৌধুরি, স্বপন বসু, অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিমল ভট্টাচার্য, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। শববাহী শকট এর পর শিল্পীর বাড়ি হয়ে পৌঁছয় কেওড়াতলা শ্মশানে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, ঊষা উত্থুপ, সৈকত মিত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য, শম্পা কুণ্ডু, অনুশীলা বসুরা। সারেগামা, সিসিএমএ, শিল্পী সংসদ প্রভৃতি সংগঠনের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কিংবদন্তি শিল্পীর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানিয়েছেন। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী শিল্পীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

    হৈমন্তী শুক্লা: তখন রবীন চট্টোপাধ্যায়ের সুরশ্রী অর্কেস্ট্রার প্রধান গায়িকা বনশ্রীদি। আমি কোরাসের দলে। শুনলাম চুঁচুড়া থেকে এসেছে, দারুণ নাকি গলা। এর পর বনশ্রীদির সাফল্যের ইতিহাস তো সবাই জানেন। কত রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। বেবিদা (‌প্রতাপ রায়)‌ ওঁর সঙ্গে পিয়ানো অ্যাকোর্ডিয়ান বাজাতেন। আর একই অনুষ্ঠানে বেবিদাকে দেখতে পেলে তাঁকে বলতাম, আমার সঙ্গে বাজাবেন আসুন। মঞ্চ থেকে নামার পর বনশ্রীদি মজা করে বেবিদাকে বলতেন, আমার সঙ্গে এলেন আর ওর সঙ্গে বাজাচ্ছেন! এমনই ছিল আমাদের সম্পর্ক। কয়েক বছর আগের কথা। সঙ্গীত মেলায় বনশ্রীদি গান গাইতে বসেছেন। দেখি গাইতে অসুবিধে হচ্ছে। স্টেজ থেকেই ধমকে বললেন, দেখছিস না দিদি গাইতে পারছে না, উঠে আয়। তার পর এক সঙ্গে দু’‌জনে গাইলাম ‘‌আমার অঙ্গে জ্বলে রঙমশাল’‌।

    শিবাজি চট্টোপাধ্যায়:‌ ভীষণ কাছের মানুষ ছিলেন। শিল্পী হিসেবে তাঁর প্রতিষ্ঠা ও জনপ্রিয়তার কথা তো সবাই জানেন। আসলে ওঁর স্বামী শান্তিদা (‌সেনগুপ্ত)‌ চলে যাওয়ার পর থেকে বড় একা হয়ে পড়েছিলেন। আমরা অনেক বুঝিয়েছিলাম। ওঁর চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।

    অরুন্ধতী হোমচৌধুরি:‌ অদ্ভুত এক সারল্য ছিল ওঁর গানে। যা সহজেই মনের কাছে পৌঁছে যেত। এতই মিষ্টি ছিল বনশ্রীদির গান। সুধীন দাশগুপ্ত, দীনেন্দ্র চৌধুরি, প্রবীর মজুমদারের মতো গুণী মানুষদের সংস্পর্শে নিজেকে আরও পরিণত শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ওঁর চলে যাওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক।‌‌‌

  9. মাসুদ করিম - ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৭:৫৩ অপরাহ্ণ)

    মাতৃভাষা আন্দোলন ও ভারতের ভূমিকা

    বাহান্নর আন্দোলনের উপলক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে নিজাউদ্দিনের একটি উক্তি, “উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা”। ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার পল্টন ময়দানের এক জনসভায় এই ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ ধ্বণিত হতে থাকে। এর আগে ১৯৪৮ সালেই ‘বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটি’র উদ্যোগে ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয় ও ধর্মঘট পালিত হয়। ঐদিন বার লাইব্রেরির হলে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ’ নামে একটি কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি প্রথম সভাতেই স্থির করে ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসাবে পালন করবে। অমনি জারি হয় ১৪৪ ধারা। আন্দোলনে গতি প্রবল হয়। একদিকে আইন, পুলিস-প্রশাসনের বল প্রয়োগ, আমলাতন্ত্রের দুর্নীতি অন্যদিকে মুসলিম লিগের হামলা, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ, মানবাধিকার হরণ। এই পরিস্থিতিতে কৃষক, ছাত্র, শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে চরম নির্যাতনে পূর্ব পাকিস্তান বিধ্বস্ত ছিলই। তার ওপর জোর করে বাংলাভাষীদের ওপর উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি ঘোষণায় পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে উঠল। ১৯৫২-র ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান আসলে বিগত চার বছর ধরে জমাট বাঁধা ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ।
    ঢাকায় স্থাপিত সাভার বা শহিদ-স্মৃতিস্তম্ভ সশ্রদ্ধায় স্মরণ করিয়ে দেয় ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ রফিউদ্দিন অহমেদ (জন্ম ১৯২৬), মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন (২৬), আবদুল জব্বার (৩০), আব্দুল বরকত (২৫), শফিউর রহমান, সালাম, এমনকি আবদুল আওয়াল নামে এক রিকশা চালককেও। শহিদের তালিকায় হিন্দু নাম দুষ্প্রাপ্য হলেও তাদের অবদান ছিল না ভাবাটা কষ্টকল্পিত। তাছাড়া তথাকথিত ‘হিন্দুস্তান’কেই নিতে হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা উভয় সম্প্রদায় মানুষের বাড়তি চাপ। প্রসঙ্গত শহীদ বরকতের ভিটে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। ধর্মের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গ বাংলার অঙ্গহানি ঘটিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও পঙ্গু পশ্চিমবঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানি ভাষা আন্দোলনকারীদের জন্য আস্তানাও ছিল, বিপন্নদের জন্য আশ্রয়ও ছিল এবং জনমানসে সমর্থনও ছিল। সুতরাং পাকিস্তানের সঙ্গে না চাইতেও বিরোধে জড়িয়ে পড়ল ভারত।
    এক দশক ব্যাপী সম্মিলিত বিরোধে শেষ পর্যন্ত জয় হয় বাংলাভাষীদের মাতৃভাষা ব্যবহারের অধিকারই। ১৯৬৫-তে প্রথম ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২-এ ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উদ্‌যাপিত হয়। ঐ তারিখটির আন্তর্জাতিক মর্যাদার দাবিদারও স্বাধীন বাংলাদেশের গফরগাঁও। ১৯৯৮ সালের ২১শে মার্চ কানাডা প্রবাসী রফিকুল ইসলাম জাতিসংঘের মহাসচিব কোফি আন্নানের কাছে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”এর দাবিতে এক পত্র লেখেন। ঐ পত্র সাক্ষর করেন সাতটি জাতি ও ভাষার দশজন সদস্য। এলবার্ট ভিনজন ও কারমেন ক্রিস্টোবাল (ফিলিপিনো), জাসেন মোরিন ও সুজান হডগিন্স (ইংরেজি), ডঃ কেলভিন চাও (ক্যান্টনিজ), নাজনীন ইসলাম (কাচি), রিনাতে মার্টিন্‌স (জার্মান), করুণা যোগী (হিন্দী) এবং রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম (বাংলা)। পরে প্যারিসে ইউনেস্কোর অধিবেশনে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ও প্রতিনিধি দলের নেতা ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলনের মাহাত্ম ১৮০টি দেশের সামনে তুলে ধরেন, বিভিন্ন দেশের শিক্ষমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ২১শে ফেব্রুয়ারি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” হসাবে স্বীকৃতি লাভ করল বলতে গেলে বাংলাদেশের একক প্রচেষ্টায়। বিষয়টির প্রস্তাবক ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরব; আর সমর্থক ছিল ভারত, ওমান, বেনিন, হন্ডুরাস, শ্রীলঙ্কা, মিশর, রাশিয়া, বাহমাস, ডোমিনিয়ন রিপাবলিক অব বেলারুশ, ফিলিপিনস্, আইভরি কোস্ট, গাম্বিয়া, সাইক্লোনেসিয়া, ভেনেজুয়ালা, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, পাপুয়া নিউগিনি, কমোরস, ইরান, লিথুয়ানিয়া, সিরিয়া এমনকি পাকিস্তানও। বর্তমানে ভাষার প্রশ্নে নৈতিক সমর্থন ছাড়া বাড়তি সাহায্য দেওয়ার উপায় নেই বহুভাষাভাষীর দেশ ভারতবর্ষের, যেখানে “ইন্তি ওড়িকা, তামিল বাড়কা” অর্থাৎ ‘হিন্দী নিপাত যাক, তামিল দীর্ঘজীবী হোক’ বলে তীব্র আবেগে নিজের দেহে অগ্নিসংযোগ করে আত্মাহূতি দেয় ভারতীয় যুবক।
    অন্যদিকে হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার পেছনেও বাঙালির অবদান বোধহয় সবচেয়ে বেশি। নেতাজীর কথা তো বাচ্চারাও জানে, রামমোহন রায়ের উদ্যোগে আধুনিক মান্য হিন্দী পত্রিকার সূচনা হয়েছিল, বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে ছিল একাধিক হিন্দী পুস্তক, যেগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য অসীম। জাতীয় সংহতির কথা ভেবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষাভাষী বাঙালিরা যেখানে হিন্দীকে সংসদের ভোটাভুটিতে এক ভোটে জিতিয়ে দেয়, হিন্দীর আধিপত্যে বাংলা সংস্কৃতিকে আক্রান্ত হতে দেখলে তাদের বুকে একটু তো বাজবেই। ১৯৭১-এর যুদ্ধে আপাত জয় হল ভারতের, স্বাধীন বাংলাদেশের। কলকাতা রেডিও থেকেই প্রথম ঘোষিত হল, “জয় বাংলা”!! ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানটিকে রাষ্ট্রীয় নারা মেনে নেওয়ার মধ্যে ভারতীয় বাঙালি মণীষা যদি একটু আহত হয়ে থাকে, ‘জয় বাংলা’ যেন সেই আঘাতে একটা ওষধি-প্রলেপ। তাই ২১শে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাজাতিক স্বীকৃতির মধ্যে এপারের বাঙালিরাও গর্বিত বোধ করে। গর্ববোধ শুধু ভাষাগত সাদৃশ্যের কারণে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরির জন্য যে ত্যাগস্বীকার, রক্তক্ষয় ও অর্থনৈতিক সংকট ভোগ করতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ সারা ভারতবর্ষকেই, তাতে এই সাফল্যে গর্বিত হওয়ার ন্যায়সঙ্গত অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু পররাষ্ট্রের প্রতি এই একাত্মবোধ অনেক সময় আমাদের জাতীয়তাবোধকেও বিভ্রান্ত করে ফেলে।
    এই দ্বন্দ্ব, এই যন্ত্রণা শুধু ভারতীয় বাঙালিদের, যারা একদিকে বারবার প্রাদেশিকতার শিকার হয়, অন্যদিকে সীমান্ত অনুপ্রবেশে জর্জরিত থেকে যায় অর্ধ শতাব্দীর বেশি।

  10. মাসুদ করিম - ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ (৯:৩০ পূর্বাহ্ণ)

    ভূগর্ভস্থ তাপে সম্ভাবনাময় চীন

    তেলের খোঁজে দেশজুড়ে শত শত কূপ খনন করেছে চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত জ্বালানি জায়ান্ট সিনোপেক। কিন্তু খুঁজে পায়নি এক ফোঁটা তেল। কালো সোনার খোঁজ না পেলেও গভীর এ কূপগুলোই এখন স্থানীয় বাড়িগুলোয় পরিচ্ছন্ন উষ্ণতার অন্যতম উত্স হয়ে উঠেছে।
    যদিও চীনের দুই-তৃতীয়াংশ বিদ্যুতের উত্স কয়লা। কিন্তু দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশের জিয়োং জেলার বাড়িগুলো প্রায় দেড় হাজার মিটার (৫ হাজার ফুট) গভীর কূপগুলো থেকে উষ্ণতা পাচ্ছে। জেলাটিতে চার লাখ মানুষ বসবাস করছে। জেলার নতুন অ্যাপার্টমেন্টের ৬০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত বাসিন্দা লি ফুজেং জানান, এই মেঝেগুলোর উষ্ণতা স্বপ্নের মতো। আর এটা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বলেই জানেন তিনি। বাইরের জমাট শীতের মধ্যেও নিজের নাতনিদের খালি পায়ে লম্ফঝম্প দেয়া দেখতে ভালোই বাসেন লি। বাইরে যখন হাড় জমিয়ে দেয়া শীত, লিয়ের বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা তখন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঘরের কোনার সাইট্রাস গাছেও কোনো শীতের লক্ষণ নেই।
    হেবেইতে সিনোপেকের জিয়োথার্মাল শাখার পরিচালক চেন মেনঘুই বলেন, উষ্ণতার পুরো প্রক্রিয়াটি প্রবাহিত পানির চক্রের ওপর নির্ভরশীল। মাটির নিচের এ কূপগুলো পানি দিয়ে পূর্ণ, যা হিটিং সিস্টেমে প্রবাহিত হওয়ার আগে প্রায় ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ধারণ করে।
    বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনে ভূগর্ভস্থ তাপের অপরিমেয় সম্ভাবনা রয়েছে, যার অধিকাংশই এখনো অবহেলিত। বতর্মানে এশিয়ার বৃহত্ দেশটির মোট ব্যবহূত জ্বালানির মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ আসে ভূগর্ভস্থ শক্তি থেকে।
    সারা দেশে ভূগর্ভস্থ শক্তির সাহায্যে মোট যত সংখ্যক বাড়ি উষ্ণতা পায়, তার ৪০ শতাংশেরও বেশি বাড়ি সিনোপেকের জিয়োথার্মাল প্রকল্পের। কীভাবে সম্পদের ব্যবহার করা যেতে পারে, তার সম্ভাবনাময় আদর্শ হয়ে উঠেছে এ বাড়িগুলো।
    জিয়োথার্মাল শিল্পে প্রবেশের আগে সিনোপেক আইসল্যান্ডিক কোম্পানি আর্কটিক গ্রিন এনার্জিকে নিজেদের অংশীদার হিসেবে পায়। সিনোপেকের কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন ছিল আর ভূমি থেকে শক্তি আহরণের ক্ষেত্রে আইসল্যান্ড নেতৃস্থানীয় জায়গায় রয়েছে।
    ২০০৯ সালে দুই কোম্পানি একটি যৌথ উদ্যোগ শুরু করে। জিয়োং প্রকল্পে তারা প্রায় ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে। সেখানে তারা প্রায় ৭০টির মতো কূপ খনন করে। তাদের চিন্তা ছিল সেখানে এমন একটি প্রযুক্তি প্রয়োগ করা, যা এরই মধ্যে চীনের উত্তরাঞ্চলের নর্ডিক এলাকায় পরীক্ষিত।
    সিনোপেকের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা কর্মকর্তা ওয়াং ইয়ানজিন বলেন, মধ্য আটলান্টিক সেতুবন্ধের ওপর অবস্থিত আইসল্যান্ডের ব্যতিক্রমী সম্পদ রয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়, বিদ্যুেকন্দ্রগুলোয় সরবরাহের জন্য যা যথেষ্ট পরিমাণ উষ্ণ। তিনি জানান, চীনের ক্ষেত্রে সিচুয়ান ও তিব্বত বাদে আর কোথাও তাপমাত্রা সাধারণত ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে না, যে কারণে আমরা হিটিং সিস্টেমের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছি।
    সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তেলের দরপতন ও চীনের মন্থর অর্থনীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সিনোপেক বর্তমানে পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আরো বিনিয়োগে অগ্রসর হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ শক্তির পাশাপাশি সৌর ও বায়ুশক্তির দিকেও নজর দিচ্ছে সিনোপেক।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.