ICSF-এর অবস্থানপত্র

বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ সম্বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাপের দেয়া সাম্প্রতিক পরামর্শগুলোর বিষয়ে আই.সি.এস.এফ. তার অবস্থান তুলে ধরেছে নীচের এই অবস্থানপত্রে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগ্রহীমাত্রেরই অবস্থানপত্রটি অভিনিবেশ সহকারে পড়া অবশ্যকর্তব্য বলে আমরা মনে করি। [...]

বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (ICT) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ (ICTA) সম্বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাপের দেয়া সাম্প্রতিক পরামর্শগুলোর বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) তার অবস্থান তুলে ধরে গত ১৫ মে ২০১১ তারিখে একটি ‘পজিশন পেপার’ বা অবস্থানপত্র প্রকাশ করেছে। এটি তৈরি করেছে ICSF-এর লিগ্যাল রিসার্চ টিম। (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকারের যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা দানের লক্ষ্যে ICSF-এর সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় ২১টি সক্রিয় টিমের মাধ্যমে।)

পূর্ণাঙ্গ অবস্থানপত্রটি ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে। এর একটি আংশিক ও রেফারেন্সবিহীন সংস্করণ ছাপা হয়েছে bdnews24.com-এ, এখানে

স্টিফেন র‌্যাপের ২১ মার্চ ২০১১-এ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া পরামর্শগুলোর মানের উপরই মূলত আলোকপাত করা হয়েছে এই অবস্থানপত্রে। সেইসঙ্গে এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (ICT) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ (ICTA)-এর নীতিগত ও ধারণাগত অবস্থানের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ ও সামগ্রিক মূল্যায়ন উপস্থাপন করা হয়েছে।

The rationale behind this paper is based on the realization that criticisms of the ongoing war crimes trial process in Bangladesh in the form of suggestions, especially when exposed before the public domain, must be based on correct factual and legal premises. The citizens of the People‟s Republic of Bangladesh, as well as the international community at large, deserve to be made aware of the issues that are pertinent to fairness in the justice process. At the same time, criticisms or suggestions from any quarter need to be fair, well-informed, and carefully construed so they are not based consciously or unconsciously upon misconceptions about a justice process that is purely domestic in every sense.

অবস্থানপত্রটিতে আরো বলা হয়েছে :

Undoubtedly, it is necessary to ensure that the proceedings against persons alleged to have committed crimes under the jurisdiction of the ICT are carried out in a manner that is free and fair. However, it is also important to ensure that the justice process initiated by the ICTA and the ICT does not become a victim to misconceived and unrealistic demands. What must be remembered is that the objective of the justice process that the Bangladesh Government has decided to carry out has the underlying goal of ensuring justice to the countless victims during the Bangladesh Liberation War of 1971 so much so that the democratic aspirations of the people of Bangladesh are established, a death blow is given to impunity and finally a milestone step is taken towards the establishment of the rule of law.

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আগ্রহীমাত্রেরই এই অবস্থানপত্রটি অভিনিবেশ সহকারে পড়া অবশ্যকর্তব্য বলে আমরা মনে করি।

২ comments

  1. রায়হান রশিদ - ২৪ মে ২০১১ (১:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলাদেশে চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ এর বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা জরুরী। আসামী পক্ষের (পক্ষপাতদুষ্ট) চিহ্নিত আইনজীবিদের মক্কেলের স্বার্থরক্ষামূলক বক্তব্য নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির হিসাবনির্ভর ফতোয়া নয়, কোন লিগ্যাল কলোনিয়ালিস্টের উচ্চাভিলাষী জ্ঞানবিতরণ নয়। প্রয়োজন প্রচলিত এবং অনেকটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্ট বিভ্রান্তিগুলোর নিরসন।
    আশা করি আইসিএসএফ কোয়ালিশন এর সকল অংশীদার প্লাটফর্ম, একক এবং সংঘবদ্ধভাবে, এই অবস্থানপত্রে উত্থাপিত বিষয়গুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

  2. অবিশ্রুত - ৯ জুলাই ২০১১ (৪:৫১ অপরাহ্ণ)

    স্টিফেন র‌্যাপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিবর্গ, যারা আসলে বিভিন্ন ঘরানার ভূমিকা পালন করছেন, তাদের কথিত উদ্বেগের মুখে আইসিএসএফ-এর এই অবস্থানপত্রটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। বাংলাদেশে এখন র‌্যাপদের মতো অনেক ব্যক্তিরই আগমন ঘটছে, যারা আসলে বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করার অজুহাতে প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কাজে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। আর তা ছাড়া মৌলবাদী রাজনীতির প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কি রিপাবলিক্যান, কি ডেমোক্র্যাট সকলেই যে অবস্থান নিয়েছে, তার সারমর্ম হল, তাদের ভাষায় মডারেট ধর্মীয় রাজনীতিজীবীরা গণতন্ত্র চর্চায় ভূমিকা রাখতে পারে এবং তাদের এই রাজনৈতিক অবস্থান অনুসারে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীও একটি মডারেট ইসলামি দল, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ও বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে! অতএব জামায়াতে ইসলামীকে বাঁচিয়ে রাখাটাও এখন তাদের নৈতিক রাজনৈতিক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে।

    কিন্তু বাংলাদেশে যদি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার হয়, তা হলে অনিবার্যভাবেই জামায়াতের রাজনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে, কেননা তারা দীর্ঘদিন ধরে এই যুদ্ধাপরাধীদের লালন করছে (একইভাবে এই যুদ্ধাপরাধীরাও নিজেদের নিরাপদে রাখতে জামায়াতে ইসলামীকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হয়েছে এবং জনগণের মধ্যেও প্রভাববলয় সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়েছে) এবং এখন তাদের রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুপরিচিত আইনজীবীদেরও নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। অতএব জামায়াতকে যুক্তরাষ্ট্র যে সার্টিফিকেট দিয়েছে, সেই সার্টিফিকেটে যাতে কোনও দাগ না পড়ে, সেজন্য তারা নিজেরাই চেষ্টা করছে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে।

    এই দুষ্টচক্রের অবিচ্ছেদ্য স্টিফেন র‌্যাপের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আইসিএসএফ-এর সদস্যদের অশেষ ধন্যবাদ।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.