তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গত (প্রায়) দু’বছরের কর্মকান্ড নিয়ে শ্রদ্ধেয় ব্লগার ইমতিয়ার শামীম শান্ত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সন্ত্রাস নামের পর্যালোচনামূলক এই তথ্যবহুল ই-বুকটি লিখেছেন। এখান থেকে ডাউনলোড করুন । পাঠকদের প্রতি আহ্বান রইলো ই-বুকটি পড়ার এবং এ বিষয়ে মতামত দেবার। লেখক মনে করেন সবার সুচিন্তিত মতামত আর পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে বইটির আরো মানোন্নয়ন সম্ভব। বইটির ওপর এখানে মন্তব্যাকারে মতামত দেয়া যাবে। আরেকটি বিষয়: যেহেতু বইটি এখনো খসড়া পর্যায়ে, তাই কপিরাইট ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনার আলোকে সবাইকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করবো লেখকের সরাসরি অনুমোদন ছাড়া যেন বইটির কোন অংশ তারা অন্য কোথাও উদ্ধৃত বা প্রকাশ না করেন। ধন্যবাদ।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
১১ comments
রায়হান রশিদ - ৩১ আগস্ট ২০০৮ (২:৫১ অপরাহ্ণ)
লেখককে ধন্যবাদ বিশ্লেষণমূলক এই কাজটির জন্য। পুরোটা আরো ভালোভাবে পড়ে মন্তব্য করার আশা রাখি।
সৈকত আচার্য - ৩১ আগস্ট ২০০৮ (৫:২৭ অপরাহ্ণ)
ইমতিয়ার শামীমের ই-বুকটি এক নজর দেখার মত করে দেখে নিলাম। ভাল করে পড়ার সু্যোগ হয়ে উঠে নি। দেশের ইতিহাসের একটি বিশেষ সময়কে ধরতে চেয়েছেন তিনি। কিছু সত্য কথা অকপটে প্রকাশ করেছেন। এই কথাগুলি কোন নিগূঢ় তত্ত্ব কথা নয়। খালি চোখে এগুলি দেখেও গনতন্ত্রের চরম পরকাষ্ঠা দেখানো অনেক পত্রিকা ও বুদ্ধিজীবীগন মানুষকে এতদিন যা দেখাতে পারেন নি, তাই তুলে এনেছেন তিনি। এই বইটি সময়ের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ন, এর নাম নির্বাচন খুব প্রাসংগিক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা হতে পারে বলে বিশ্বাস করি। এই আলোচনায় অংশ নেয়ার ইচ্ছা রইল।
গত ৫ জুন ‘০৮ তারিখের প্রথম আলোতে প্রকাশিত ডঃ কামাল হোসেনের যে লিখাটির কথা এই বইয়ে বলা হয়েছে প্রথম আলোর আর্কাইভে ঐ আর্টিকেলটি খুঁজে পেলাম না। সেই আর্টিকেল পড়ার কৌতুহল রয়ে গেল।
ইমতিয়ার শামীম - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৯:১৩ অপরাহ্ণ)
ড. কামালের লেখাটি যেদিন ছাপা হয়, তার মাত্র একদিন পর আর্কাইভে হানা দিয়ে আমিও দেখতে পাই যে, লেখাটি আর নেই। পরে আমার এক শুভার্থী লেখাটি স্ক্যান করে পাঠান। সৈকত আচার্যের যদি এখনও লেখাটি পড়ার আগ্রহ থাকে, তা হলে আমি সেটি পাঠাতে পারি। ধন্যবাদ, ই-বুকটি দেখবার জন্যে।
সৈকত আচার্য - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:৪৯ অপরাহ্ণ)
ওই লেখাটি পেলে উপকৃত হব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এই অনুরোধটুকু
মনে রাখার জন্য।
ব্লগ প্রশাসক - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১১:৫২ অপরাহ্ণ)
স্ক্যান করা কপিটি পাঠালে আপলোড করে দেয়া যেতে পারে।
ব্লগ প্রশাসক - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৩:১৫ অপরাহ্ণ)
ইমতিয়ার শামীমকে ধন্যবাদ ড. কামাল হোসেনের স্ক্যান করা লেখাটা পাঠানোর জন্য। নিচের এই দু’টো লিন্ক থেকে ডাউনলোডের জন্য:
এখানে এবং এখানে।
পার্থ সরকার - ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৪:২০ পূর্বাহ্ণ)
ইমতিয়ার শামীমকে ধন্যবাদ। আপনি(বইটি লিখে) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই বিভিন্ন সময়ের জন্য এসছিল। কাজ সেরে আবার চলেও গেছে, এমনকি বাংলাদেশেও। কিন্তু বতর্মান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধারণার এমন একটি মন্দরূপ দাড় করাল, পুরো বিশ্বেই বাংলাদেশের নাম অন্যভাবে উচ্চারিত হতে বাধ্য।
পল - ৪ ডিসেম্বর ২০০৮ (৩:১৫ অপরাহ্ণ)
পড়ে ভাল লাগল। যুক্তিসংগতও মনে হল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তার পেছনের কারণগুলি খুব স্পষ্টভাবে আমি বুঝতে না পারলেও এখন অনেকটাই স্পষ্ট। তবে এখন এই সরকার যেভাবে পিছু হটছেন, তার সঙ্গে তাদের আগেকার উদ্যোগগুলিকে কীভাবে মেলানো যাবে? কেন তারা পিছু হটছেন? রাজনৈতিক দলগুলির ওপরেই আবার সব দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন? এই ব্যাপারগুলি ঠিক বুঝতে পারছি না।
ইমতিয়ার - ৬ ডিসেম্বর ২০০৮ (১১:৩২ অপরাহ্ণ)
মাঠ সমতল করা,- তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিন্তু শুরু থেকে এ কাজটিই করে আসছেন। আর রাজনীতিকদের হাতেই যে তারা শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব দেবেন, সেটাও শুরু থেকেই কিন্তু বলে আসছেন। তবে পরিকল্পনায় বড় ধরনের রদবদল ঘটার একটি কারণ হতে পারে, ভয়াবহ বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা। এই মন্দার কারণে যেখানে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করা শুরু হয়েছে, সেখানে এই বাংলায় ফখরুদ্দীন ভাইরা ঝুঁকি আর বাড়াবেন কেন? এর মধ্যে মায়ানমারের তেল হস্তক্ষেপ কেন ঘটল, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কি কি স্বার্থ রয়েছে, কিংবা হস্তক্ষেপের আগে কোনও স্বার্থ না থাকলেও হস্তক্ষেপের পর কি কি স্বার্থের স্থান তৈরি হয়েছে, ভারতের মুম্বাই পর্ব উপমহাদেশে কী ভবিষ্যত ডেকে আনবে, রাশিয়া ও চীন এসব ঘটনাকে কীভাবে দেখছে, সেসব আমাদের চিন্তা করার বিষয়।
চূড়ান্ত অর্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিন্তু কোনও পরিকল্পনা থেকে আসে নি; বড় জোর বলা যায়, তারা পরিকল্পনাগুলো এখন নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই করাতে চাইছেন এবং সেক্ষেত্রে পুরানো পাপীদেরই বেছে নিচ্ছেন। কেননা, ‘পুরানো চাল ভাতে বাড়ে।’ ‘পুরানো স্যান্ডেল পরতে আরাম।’ প্রতিষ্ঠিত দলকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে তারা দেখছেন, ঝুঁকি আরও বাড়ছে। অতএব পুরানো পাপীদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছেন সব কিছু। এসবই আমার ব্যক্তিগত ধারণা। কয়েকদিন আগে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. তামিম সাহেব বলেছেন, নির্বাচিত সরকারকে তিন মাসের মধ্যেই সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই ভদ্রলোককে সরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনেকদিন হলোই দাবি জানানো হচ্ছে। বোধকরি তাঁর এ কথাও অনেক কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর আগে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই সাইফুর রহমানকে আমরা বলতে শুনেনি, মাটির নিচে গ্যাস রেখে কী লাভ হবে? তারও অনেক আগে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও আমরা গ্যাস ভারতে সরবরাহের কথাবার্তা বলতে শুনেছি। দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার সঙ্গে অবৈধ সরকারদের একটা যোগসাজশ থাকে। আর যদি সেটা হয় নির্বাচিত সরকার, তা হলে তো আরও পোয়াবারো।
পল ভাই, আমরা আসলে বোকা, নইলে রাজনীতিক দলগুলো এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বা নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের সম্পদ দেশেই রাখার ব্যাপারে কি বলছে, ভারী শিল্পগুলি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে কি করছে, প্রাথমিক শিক্ষাকে বেসরকারীকরণের ব্যাপারে কি নীতি নিচ্ছে ইত্যাদি দিকেই বেশি মনযোগী হতাম।
ইমতিয়ার - ৬ জানুয়ারি ২০১০ (৮:১২ অপরাহ্ণ)
‘শান্ত নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সন্ত্রাস’ নিয়ে একটি আলোচনা দৈনিক সংবাদের সাহিত্য সাময়িকীতে। পড়া যাবে এখান থেকে।
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ৭ জানুয়ারি ২০১০ (১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ)
সংবাদের লেখাটি পড়েছি। এখন আপনার মূল লেখাটি পড়ে কিছু কথা বলার ইচ্ছা রাখি।