মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হরিশ গোহিলকে জড়িয়ে কাঁদছে তার বোন নিতা।মুম্বাইয়ের রক্তপাত আমাদের যত হতবিহ্বল ও কাতরই করুক - ভারতের শাসকচক্রের চোখের কোণে একইসঙ্গে জেগে উঠেছে আশার আলো। কেননা এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের সূত্র ধরে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি শেষ পর্যন্ত তার আকাঙ্ক্ষিত চরিত্র পেতে চলেছে। ভারত এবার লাগসই সুযোগ পেয়েছে তার পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজানোর। যে-পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের সুপ্ত বাসনা দেশটির শাসকচক্র দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন, এবার তারা পারবেন সেই পররাষ্ট্রনীতিটি বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসতে। কেননা এই পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখা দাঁড় করাবার জন্যে তাদের প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি টু-ইন টাওয়ার ধ্বংসকারী নাইন-ইলেভেনের। ২৬ নভেম্বর থেকে টানা চারদিন মুম্বাইয়ে যে-সন্ত্রাসী তাণ্ডব সংঘটিত হলো, তারপর আমরা বেশ জোর দিয়েই বলতে পারি, এবার তারা সেরকম একটি নাইন-ইলেভেন পেয়েছেন, কিংবা তাদের হাতে সেটি তুলে দেয়া হয়েছে। [. . . ]

মুম্বাইয়ের রক্তপাত আমাদের যত হতবিহ্বল ও কাতরই করুক - ভারতের শাসকচক্রের চোখের কোণে একইসঙ্গে জেগে উঠেছে আশার আলো। কেননা এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের সূত্র ধরে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি শেষ পর্যন্ত তার আকাঙ্ক্ষিত চরিত্র পেতে চলেছে। ভারত এবার লাগসই সুযোগ পেয়েছে তার পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজানোর। যে-পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের সুপ্ত বাসনা দেশটির শাসকচক্র দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছেন, এবার তারা পারবেন সেই পররাষ্ট্রনীতিটি বিশ্ববাসীর সামনে নিয়ে আসতে। কেননা এই পররাষ্ট্রনীতির রূপরেখা দাঁড় করাবার জন্যে তাদের প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি টু-ইন টাওয়ার ধ্বংসকারী নাইন-ইলেভেনের। ২৬ নভেম্বর থেকে টানা চারদিন মুম্বাইয়ে যে-সন্ত্রাসী তাণ্ডব সংঘটিত হলো, তারপর আমরা বেশ জোর দিয়েই বলতে পারি, এবার তারা সেরকম একটি নাইন-ইলেভেন পেয়েছেন, কিংবা তাদের হাতে সেটি তুলে দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী ২৭ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার থেকে যে-ভাষায় কথা বলছেন, কয়েকদিন আগেও সেটি চিন্তা করা যেত না। মুসলিম জঙ্গিদের এই হামলার ঘটনা ঘটলো ঠিক তখুনি, যার কিছুদিন আগে ভারতে হিন্দু জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া গেছে এবং সরকারিভাবেই অনুমান করা হয়েছে, যে-সব ভয়াবহ বোমা হামলার জন্যে এতদিন মুসলিম জঙ্গি মৌলবাদীদের দায়ী করা হয়েছে, সেগুলোর কোনও-কোনওটি সম্ভবত ওই হিন্দু সন্ত্রাসী চক্রের সংঘটিত কাজ। দ্য ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার সূত্র থেকে গত ২৩ নভেম্বর যতদূর জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুসলিম অধ্যুষিত শহর মালেগাঁ-র কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনার সূত্র থেকে কমপক্ষে ১০ জন এ-ধরনের জঙ্গি হিন্দু সন্ত্রাসীকে ধরা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ধারণা করছে, এবং এই ধারণা প্রকাশ পাওয়ার পর সেখানকার বিজেপি নামের মৌলবাদী রাজনৈতিক দলটি যে-ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তা থেকে অনেকের ওই ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে যে, হিন্দু জঙ্গি চক্রটি আরও কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে; এমনকি এমন হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয় যে, গত বছরে ভারত-পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত রেলে যে নৃশংস ও রক্তপাতময় হামলাটি সংঘটিত হয়েছিল এবং যে-ঘটনায় ৬৮ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সে-ঘটনাটিও এরাই ঘটিয়েছে। জঙ্গি হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুসন্ধান পাওয়ার আগে পর্যন্ত মোটামুটিভাবে আমরা দেখে এসেছি, যখনই ভারতে কোনও জঙ্গি হামলা ঘটে, তখনই ভারতের সরকারি পক্ষ সে-সবের জন্যে মুসলিম জঙ্গিদের জন্যে দায়ী করে এবং পাশাপাশি এটিও জানানো হয়, পাকিস্তান না হয় বাংলাদেশ এসব জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির আশ্রয়স্থল। এভাবে…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.