তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সোমবার ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে। কেন এই হরতাল, এবং ইদের পুজোর লম্বা ছুটির আগে যে সপ্তাহটি শেষ পূর্ণ কর্মসপ্তাহ তার দ্বিতীয়দিনের অর্ধেক হরতালের মতো বহুপরীক্ষিত স্বতঃস্ফূর্ততাহীন কর্মসূচী দিতে জাতীয় কমিটিকে কারা প্ররোচিত করেছে? আমরা প্ররোচনাকারীদের মধ্যে যাদের নাম দেখতে পাচ্ছি তারা হল: বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণসংহতি আন্দোলনসহ কয়েকটি বামন রাজনৈতিক সংগঠন। কী এদের জনভিত্তি যে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনকে হরতালের মতো একটি নষ্ট কর্মসূচী দিয়ে জনগণের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন? অবশ্য উল্লেখিত প্রত্যেকটি বামন রাজনৈতিক দলের শিষ্যনেতৃত্ব এমনই হাস্যকর তাদের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি কিছু আশা করাই ভুল হবে। আমাদের আশা সরকারের দিকে হরতালের মতো একটা জনক্ষতিকর ব্যয়বহুল পঁচাডিম ছোঁড়ার এই সিদ্ধান্ত থেকে আপনারা সরে আসুন, অন্তত এই বামন সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদলের কাছে আহ্বান: আপনাদের হাস্যকর শীর্ষনেতৃত্বকে একটু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চাপপ্রয়োগ করুন, আন্দোলনে থাকুন কিন্তু হরতাল পরিহার করুন। আর রাজনীতি করতে হলে মানুষের মনোভাবটা বুঝতে হয় সবার আগে, আপনাদের আগে আপনাদের দৃষ্টিতে বুর্জোয়া জুটি চোরডাকাত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যেরকম সর্দিকাশির মতো হরতাল করে গণআন্দোলনের এই মানবিক অস্ত্রটিকে পুরোপুরি ধারহীন করে গেছেন—তারাও ইদের আগের সপ্তাহে এরকম হরতাল ডাকতেন না, আর আপনারা মানুষের মনোভাবের পুরো বিপরীতে যে হরতাল ডাকলেন—এতে আপনাদের বিপ্লবী রাজনীতি আরো একবার প্রমাণ করল, যে কথা শুনলে ঘোড়াও হাসবে সেধরনের কথার প্রতি আপনাদের রক্তের প্রবল টানে হয়তো কোনোদিনই ভাটা পড়বে না।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.