মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।
ঘটনার শুরু বেশ আগেই। ঢাকা শহরে সংখ্যালঘু কিছু মানুষের মাঝে নতুন উন্মাদনার নাম পর্বতারোহন। সম্মকভাবে ব্যাপারটাতে কারও তেমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও উৎসাহী মানুষের উপস্থিতি নিছক কম নয়। ২০০৩ সালের একেবারের শেষের দিকে এভারেস্ট নামটাকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক সভা সমিতি হল। সবাইকে জানিয়ে দেয়া হল আমরা মানে বাংলাদেশীরা পাহাড়ে যাওয়া শুরু করেছি।
প্রথম পর্ব / দ্বিতীয় পর্ব / তৃতীয় পর্ব -------------------- ঘটনার শুরু বেশ আগেই। ঢাকা শহরে সংখ্যালঘু কিছু মানুষের মাঝে নতুন উন্মাদনার নাম পর্বতারোহন। সম্মকভাবে ব্যাপারটাতে কারও তেমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও উৎসাহী মানুষের উপস্থিতি নিছক কম নয়। ২০০৩ সালের একেবারের শেষের দিকে এভারেস্ট নামটাকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক সভা সমিতি হল। সবাইকে জানিয়ে দেয়া হল আমরা মানে বাংলাদেশীরা পাহাড়ে যাওয়া শুরু করেছি। পাশাপাশি নেপাল কিংবা সমগোত্রীয় অঞ্চলগুলোতে আমাদের পদধূলি পড়তে থাকলো, যার নাম ট্রেকিং। দারুন উপভোগের নতুন অধ্যায়। ট্রেকিং যখন খানিকটা পোক্ত হলো কারও কারও মনে কিংবা মানসিকতায়, অভিযাত্রিক বৈভবকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্যই কিছু সংখ্যক মানুষ যাওয়া শুরু করলেন আরও উঁচুতে। যার নাম পর্বতারোহন। তার প্রেক্ষিতেই ভারতে পর্বতারোহন স্কুলে আমার মত অনেকেই গেছেন সময় সময়ে। এরই প্রভাবে বলিয়ান হয়ে আটকে গেলাম যে নেশায়, কখন কোথায় কোন্ পাহাড়ে যাব? এর সাথে মূখ্য কিংবা গৌন অনেক কিছুই গেল জড়িয়ে। পর্বতারোহন স্কুল এ পাঠ শেষ করে আমার মত অনেকেই আটকে গেলেন হিমালয় পর্বতমালার সর্ববৃহৎ ব্যপ্তি ভারত হিমালয়ের সৌন্দর্যে। মূলত সমগ্র হিমালয়ের বেশির ভাগ ভৌগলিক অবস্থান হলো ভারতে। আর সে কারনেই মনে হয়ে জগৎ বিখ্যাত অনেক পর্বতের অবস্থান এখানে। ২০০৩ এ মৌলিক পর্বতারোহন দীক্ষা শেষ করে যখন সবার মাঝে ব্যাপারটাকে বলা হলো, উৎসাহিত মানুষের অভাব হলো না তাল দেয়ার। কিন্তু কাজের মানুষ কই? মাঝে যাওয়া হলো বেশ, নানা পর্বতের পাদদেশে, কিংবা শৃঙ্গ খোঁজার আশায়। তবে কাংখিত অভিযানের তৃষ্ণা আটকে ছিল অনেক অনেক দিন। জল্পনা কল্পনার শুরু অনেক আগে থেকেই। তবে সময় আর সুযোগের জটিল মিশ্রনটা হলো এবার, ২০০৭ সালে। আন্তঃ উপমহাদেশীয় দেশগুলোর মধ্যে বিরাজমান শান্তিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে, বাংলাদেশের অভিযাত্রিক সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতের নদীয়া জেলার মাউন্টেনার্স এসোসিয়েশান অব কৃষ্ণনগর ” শান্তির জন্য পর্বতারোহন” মূলনীতি নিয়ে রুবাল কাং পর্বতে অভিযানে যৌথ ভাবে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিল। মাস ব্যাপি এই পর্বতারোহন শুরু হয় ১৩ মে ২০০৭ এ পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার জেলা প্রশাসন ভবনে এক অনাড়ম্বর পতাকা বিনিময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। প্রথা অনুসারে দু'দেশের আরোহী দলের সদস্যদের আনুষ্ঠানিক পরিচিতি এবং দলনেতাদের হাতে পতাকা তুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন কোলকাতাস্থ…