১৬৯৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ। লোহিত সাগরের এক আগ্নেয় দ্বীপে মরুভূমির গরমে/ তপ্ত লু হাওয়া বইছে। সেই দ্বীপের খাঁড়িতে ছিপ ফেলে স্থির বসে আছে অদ্ভুত এক শিকারী। লোহিত সাগরের দক্ষিণ অংশটা যেখানে আরব সাগরের সাথে মিশেছে ঠিক সেই প্রণালীতে ইয়েমেন আর জিবুতির উপকূল মুখোমুখি দাঁড়ানো। প্রণালীটির নাম বাবেল মান্দেব। ওই প্রণালীর ইয়েমেনের প্রান্ত থেকে দুই পা বাড়ালে পেরিম(Perim) নামক কাঁকড়া চেহারার খটখটে একটি আগ্নেয় দ্বীপ আছে। সেই দ্বীপের এক খাঁড়িতে ওঁত পেতে বসে থাকা শিকারীর নাম 'ফেন্সি'(Fency)।

১৬৯৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ। লোহিত সাগরের এক আগ্নেয় দ্বীপে মরুভূমির গরমে/ তপ্ত লু হাওয়া বইছে। সেই দ্বীপের খাঁড়িতে ছিপ ফেলে স্থির বসে আছে অদ্ভুত এক শিকারী। লোহিত সাগরের দক্ষিণ অংশটা যেখানে আরব সাগরের সাথে মিশেছে ঠিক সেই প্রণালীতে ইয়েমেন আর জিবুতির উপকূল মুখোমুখি দাঁড়ানো। প্রণালীটির নাম বাবেল মান্দেব। ওই প্রণালীর ইয়েমেনের প্রান্ত থেকে দুই পা বাড়ালে পেরিম(Perim) নামক কাঁকড়া চেহারার খটখটে একটি আগ্নেয় দ্বীপ আছে। সেই দ্বীপের এক খাঁড়িতে ওঁত পেতে বসে থাকা শিকারীর নাম 'ফেন্সি'(Fancy)। ফেন্সি, ১৫০ জলদস্যু সমৃদ্ধ ৪৬ কামানের শক্তিসম্পন্ন অতুলনীয় দ্রুতগতির একটি ইংলিশ জাহাজ। শিকারের অপেক্ষায় ফেন্সির সাথে আছে আরো পাঁচটি জলদস্যু জাহাজ- ‘অ্যামিটি’, ‘পোর্টসমাউথ এডভেঞ্চার’, ‘ডলফিন’, ‘পার্ল’ এবং ‘সুসানা’। ছয় জাহাজের মোট জলদস্যু সংখ্যা ৪৪০ জন। এই বিশাল বাহিনী যে শিকারের জন্য অপেক্ষা করছে সেটি আরো বেশী শক্তিশালী। এত শক্তিশালী শিকারকে কব্জা করার চেষ্টাকে অতি দুঃসাহসী কাজ বলা যায়। এই ভারত মহাসাগরে জাহাজ ডাকাতির ঘটনা শতবর্ষ পুরোনো। শত শত জাহাজ শিকার করেছে ভিন মহাদেশ থেকে আগত জলদস্যুরা। কিন্তু আজকের শিকারটি অতীতে ঘটে যাওয়া

সকল শিকার অভিযানের চেয়ে আলাদা। এমনকি পৃথিবীতে ইতিপূর্বে যতগুলো জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোর মধ্যে এই ঘটনা নজিরবিহীন। এত বড় শক্তিশালী শিকারকে ইতিপূর্বে কেউ টার্গেট করেনি। এ যেন এক গণ্ডা শেয়ালের সিংহ শিকার প্রচেষ্টা। যাদের জন্য এমন দুঃসাহসী পরিকল্পনা করে ওঁত পেতে আছে তারাও একা নয়। ওখানে আছে ২৫ জাহাজের বিশাল এক বহর। হজ্জযাত্রী নিয়ে আরবের মক্কা নগরী থেকে রওনা দিয়েছে ভারতের উদ্দেশ্যে। লোহিত সাগর পেরিয়ে সুরাট বন্দরের দিকে যাত্রা করবে। সেই বহরের সবচেয়ে শক্তিশালী জাহাজটি ১৬০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘গঞ্জ-ই-সাওয়াই’ (Ganj-i-Sawai)। যার নিজস্ব প্রতিরক্ষার জন্য আছে ৮০টি শক্তিশালী কামান এবং ৪০০ জন বন্দুকধারী সৈন্য। বহরের মধ্যে এই জাহাজটি সবচেয়ে অভিজাত। এটি সবচেয়ে বেশী যাত্রী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। জাহাজে যাত্রীর সংখ্যা ৬০০ জন যার বড় একটা অংশ নারী। সেই জাহাজের প্রতিরক্ষার জন্য সাথে আছে ৬০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি সশস্ত্র জাহাজ ‘ফতেহ মোহাম্মদ’। ফতেহ মোহাম্মদের সাথে লড়তে পারে তেমন জাহাজও ভারত মহাসাগরে বিরল ছিল। এটা আরবের হজ্জ মৌসুম। এই মৌসুমে লোহিত সাগর দিয়ে প্রতি বছরই হজ্জযাত্রী নিয়ে আসা যাওয়া করে অনেক…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.