দণ্ড ঘোষণার আগে বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গীতে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য করছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাসছিলেন বক্র হাসি। ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পরও তিনি একবার হেসেছিলেন। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, উই আর সারপ্রাইজড। তারপর তার মুখে ঘন অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করে। চেয়ারের দুই হাতলে দুই হাত রেখে পেছনে হেলান দিয়ে বসেন তিনি। সামনের আসনে বসে থাকা আত্মীয়স্বজনদের মুখের হাসিও উবে যায় ওই সময়ে।...

দণ্ড ঘোষণার আগে বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গীতে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য করছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। হাসছিলেন বক্র হাসি। ফাঁসির দণ্ড ঘোষণার পরও তিনি একবার হেসেছিলেন। হাসতে হাসতে বলেছিলেন, উই আর সারপ্রাইজড। তারপর তার মুখে ঘন অন্ধকার নেমে আসতে শুরু করে। চেয়ারের দুই হাতলে দুই হাত রেখে পেছনে হেলান দিয়ে বসেন তিনি। সামনের আসনে বসে থাকা আত্মীয়স্বজনদের মুখের হাসিও উবে যায় ওই সময়ে। মুখের হাসি কেন উবে গিয়েছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর? এবং তার আত্মীয়স্বজনেরও? ‘উই আর সারপ্রাইজড’ কথাগুলো কেন বেরিয়ে এসেছিল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুখ থেকে? তিনি কি অন্য কোনও রায় প্রত্যাশা করেছিলেন? অন্য রায়ের প্রত্যাশা ছিল বলেই আগের দিন অনলাইনের একটি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছিল কথিত অংশবিশেষ রায়- কিন্তু ছিল না কেবল রায়ের অংশটুকু? এরকম প্রশ্ন এখন উঠতেই পারে। কেননা বিচারের পথে দেয়াল তুলতে, বিচারকে হাস্যকর করে তুলতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রথম থেকেই দুর্বিনীত আচরণ করে আসছেন। ‘আমার না হলে ফাঁসি কারও হবে না’- একথা তিনি বলেছিলেন গত ১৭ জুনে। খুবই স্বাভাবিক যে তিনি ফাঁসির হাত থেকে বাঁচার জন্যে চেষ্টা চালাবেন এবং সেই চেষ্টার অনিবার্য ফল হিসেবে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীরাও রেহাই পাবেন, এরকমই ছিল তার ঘোষণা। বিচার শুরুর প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন উদ্ধত, মারমুখো। সাক্ষীদের মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন তিনি, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন বিচারক এবং প্রসিকিউটরদের সঙ্গে। জেলের ডাক্তার থেকে শুরু করে রক্ষীদের ওপর তিনি চড়াও হয়েছেন শারিরীকভাবে। বার বার বিচার বিভাগকে হেয় করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি, এমনকি গত এক অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার সময়েও। ট্রাইব্যুনালকে একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করার মানসিকতাও কাজ করেছে তার আচরণে। গত ৪২ ধরে এ দেশের সবাইকে নিয়ে তামাশা করে আসছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এবং সবশেষে গত এক অক্টোবরেও তামাশা করেছেন। শুধু সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নয়, পুরো পরিবারই ছিল তামাশাকারী। ছেলে হুম্মাদ কাদের চৌধুরী মামলার রায় ঘোষণা শুরু হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের কাছে বলেন তিনি, ‘রায় গতকালই পইড়া ফালাইছি। আজ তামশা দ্যাখতে আইছি।’ কীভাবে এই রায় পড়েছেন তিনি? এর জবাবে হুম্মাদ কাদের চৌধুরী জানিয়েছেন, জাস্টিস কনসার্ন ডট অর্গ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে তিনি তা পাঠ করেছেন। রায় আগেই জেনে ফেলার কথা জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও। রায় পড়া শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই তিনি…

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে। ধন্যবাদ।

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.