সুপারিশকৃত লিন্ক: জুলাই ২০১০

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৫১ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ জুলাই ২০১০ (১০:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    গতকালের সমকালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখেছেন মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী। সহজ সাবলীল লেখাটি সমুদ্রসীমা বিষেয়ে অনেক কিছুই সাধারণ পাঠকের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।

    জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। অবশেষে পূর্বে প্রণীত আইন দুটি পরিমার্জন ও সংশোধন করে খসড়াটি জাতিসংঘে আহূত সম্মেলনে পেশ করা হয়। সেটা ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর অনুমোদন পায় এবং ইতিপূর্বেকার প্রথম ও দ্বিতীয় আইন দুটি আপনাআপনি বাতিল হয়ে যায়। অনুমোদিত জাতিসংঘের তৃতীয় সমুদ্র আইনের শিরোনাম হচ্ছে ‘থার্ড ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন দ্য ল অব দ্য সি (১৯৮২)’ এবং প্রতিটি ইংরেজি শব্দের আদ্যাক্ষর নিয়ে এর সংক্ষিপ্ত নাম দেওয়া হয়েছে ‘আনক্লজ-৩’ (ঁহপষড়ং-ওওও)। রোমান আইন, যা বর্তমানে আইনি দর্শন হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃতি পেয়েছে, সে আইন অনুযায়ী মালিকবিহীন কোনো সম্পত্তির মালিক যিনি সেটা দখলে নেবেন তিনিই হবেন। উন্মুক্ত সাগর, যা কোনো রাষ্ট্রের কর্তৃত্বাধীনে থাকার প্রশ্নই ওঠে না তার মালিকানা ওই রোমান আইনি নীতি অনুযায়ী কী নির্ধারিত হবে? প্রশ্নটির এতদিন উত্তর ছিল হ্যাঁ, জোর যার মুলুক তার। আনক্লজ-৩ জোর যার মুলুক তার নীতিটি বাতিল করেছে এবং উন্মুক্ত সাগরের মালিকানা যে বিশ্বের তাবৎ জনগণের তার স্বীকৃতি দিয়ে বিস্তারিত আইনি অনুচ্ছেদগুলো সংযোজিত করেছে।
    এখন ১৯৮২ সালের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন বা ‘আনক্লজ-৩’ মতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মালিকানার সীমানা নির্ধারণ করতে হয়। এই সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ভিত্তিরেখা (নধংবষরহব) নির্দিষ্ট করতে হবে। এই কাজটিতে ওই সমুদ্র আইনের ৩ অনুচ্ছেদ পড়তে হবে, যার অনূদিত উদ্ধৃতি এই_ ‘প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের অধিকার আছে তার সমুদ্র অঞ্চলের পরিসর প্রতিষ্ঠিত করা, তবে তার সীমারেখা ১২ নটিক্যাল মাইল ছাড়িয়ে যাবে না, সেটা মাপা হবে এই কনভেনশন অনুযায়ী নির্ধারিত ভিত্তিরেখা থেকে।’ জল এলাকা পরিমাপে দুটি ইউনিট ব্যবহৃত হয়। একটি হচ্ছে_ ফ্যাদম যা ৬ ফুট বা ১.৮ মিটার। অপরটি হচ্ছে নটিক্যাল মাইল, যা ৬০৮০ ফুট বা ১৮৫২ মিটার। ৯ অনুচ্ছেদে সাগরের দিকের নদীমুখগুলোর সাহায্যে ভিত্তিরেখা চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া আছে, যার বাংলা অনুবাদ এই : ‘যদি (দেশটির) কোনো নদী সাগরে সরাসরি প্রবাহিত হয়, তবে ভিত্তিরেখা হবে একটি সরলরেখা, যা নদীটির মুখ ও ভাটার সময়ে সর্বনিম্ন জলরেখার মাঝ বরাবর।’ উল্লেখ্য, ‘সর্বনিম্ন জলরেখা’ কী তার একটি তাত্তি্বক সংজ্ঞা আছে, যার নাম সর্বনিম্ন জ্যোতির্বিজ্ঞান-স্বীকৃত ভাটার জলরেখা, যা ঘটে প্রতি ১৮.৬১ বছর অন্তর।
    ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইনের ৫৭ অনুচ্ছেদ সাগরতীরবর্তী রাষ্ট্রগুলোকে তাদের নিজ নিজ সাগর এলাকায় একক অধিকার দিয়েছে। ৫৭ অনুচ্ছেদটির সরল বঙ্গানুবাদ এই : (কোনো রাষ্ট্রের) ‘খাস অর্থনৈতিক এলাকা (থাকবে) যা ২০০ নটিক্যাল ছাড়িয়ে যাবে না ভিত্তিরেখাকে, যেটা থেকে সমুদ্র অঞ্চল মাপা হয়েছে।’ নিজস্ব (খাস) অর্থনৈতিক এলাকার মালিক রাষ্ট্রটির অধিকারগুলো উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইনের ৫৬ অনুচ্ছেদে। সেগুলোর সংক্ষেপিত বিবরণ এই : খাস অর্থনৈতিক এলাকায় তৎমালিক রাষ্ট্রটির অধিকার থাকবে তদঅন্তর্গত প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর অনুসন্ধান করা ও সেগুলো কাজে লাগানো। সেগুলো সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো জৈব ও অজৈব হতে পারে, যা সাগরের জলে ও তলায় কিংবা অন্তঃমৃত্তিকায় থাকতে পারে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাগরের জলস্রোত ও বায়ু ব্যবহার করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ ও তা ব্যবহার করা, সাগর সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করাও এই অধিকারের আওতায় আসে।
    বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরে ও তার তলদেশের অন্তঃমৃত্তিকায় প্রাকৃতিক সম্পদ বৈচিত্র্যে ও পরিমাণে প্রচুর যার ফলে বিদেশি অনেক রাষ্ট্রের লোভাতুর নজর তার প্রতি আশঙ্কাজনকভাবে ইতিমধ্যে পড়েছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, এই বিষয়ে একমাত্র বঙ্গবন্ধু সচকিত ছিলেন। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদে উলি্লখিত প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির তালিকায় ওই অনুচ্ছেদের ১ দফার (খ) উপদফার উদ্ধৃতি এই : ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমার অন্তর্বর্তী মহাসাগরের অন্তঃস্থ কিংবা বাংলাদেশের মহীসোপানের উপরিস্থ মহাসাগরের অন্তঃস্থ সকল ভূমি, খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।’ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালেই ‘বাংলাদেশ জলসীমা ও সমুদ্রোপকূল আইন’ জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাস হয় এবং এই আইনটির ভিত্তিতে সরকার বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বাংলাদেশের জলসীমা নির্দিষ্ট করা হয় তা এই : বঙ্গোপসাগরের জলের ১০ ফ্যাদম গভীরতা যেখানে শেষ হয়েছে সেই কাল্পনিক লাইনটি থেকে আরও দক্ষিণে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত। আইনটি সেই সময়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞানসম্মত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালের সরকারগুলো এই বিষয়ে নজর না দেওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের এই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়নি। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালের আইনটির বিরুদ্ধে ভারত ও মিয়ানমার যে পাল্টা দাবি করে সে বিষয়েও পরবর্তীকালের সরকারগুলো নীরব থেকেছে।
    এখন এই লেখাটির শিরোনাম প্রসঙ্গে আসা যাক। ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর বহুদূর প্রসারিত অতলস্পর্শী খাদকে প্রাকৃতিক বিভাজন ধরে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ৬৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত একটি কাল্পনিক সরলরেখা টেনে ও ওই রেখাটির শেষ বিন্দু থেকে পশ্চিমে সমদূরত্বের আর একটি কাল্পনিক কৌণিক সরলরেখা টেনে এবং দুই রেখাকে আর একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা সংযুক্ত করে পুরো এলাকাটি ভারত তার সমুদ্র অঞ্চল হিসেবে দাবি করছে। ভারতের এই দাবি অবৈজ্ঞানিক, আন্তর্জাতিক আইনবিরুদ্ধ এবং কিম্ভূতকিমাকারও বটে। অপরদিকে মিয়ানমার বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকার মধ্যভাগ অতিক্রম করে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা ভারতের উপরোক্ত কাল্পনিক রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের সাগর অঞ্চলের পশ্চিমাংশ দাবি করছে। অর্থাৎ উভয় দেশের প্রস্তাবিত কাল্পনিক রেখা দুটি দ্বারা বাংলাদেশ অবরুদ্ধ হওয়ার কথা। হাজার হাজার বছর পরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সমুদ্রপথ হারিয়ে কি অবরুদ্ধ হয়ে যাবে?

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  2. মাসুদ করিম - ১ জুলাই ২০১০ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    পবিত্র জল ও অপবিত্র ভিক্ষু, পবিত্র জলে স্নানরত নারীদের নগ্ন চলচ্ছবি তুললেন ভিক্ষুপ্রবর। অভিযোগের ভিত্তিতে যখন প্রমাণ পাওয়া গেল যে তিনি পবিত্র জলে স্নানের উদ্দেশ্যে আগত নারীরা যখন নিজেদের নগ্ন করে জলে নামেন তখন তিনি স্পাই-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং ফিল্মে তাদের নগ্নতা ধারণ করেন — এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এটা স্বাভাবিক যে একাজ কখনো একা হতে পারে না, সাঙ্গপাঙ্গ থাকবেই, তো পুলিশ এখন তাদেরও খুঁজছে।

    A mucky Buddhist monk has been arrested over filming women who stripped off for a dip in holy water at a temple in Cambodia.

    Net Khai, 37, is facing imprisonment for a year and has been taken off his religious status after cops caught him spying on women who had gone to him for blessings.

    Prosecutors say Khai used to share the saucy clip with others after filming ladies without clothes.

    He was arrested at his ‘pagoda’ in the country’s capital Phnom Penh on the weekend and the local court charged him with producing and distributing pornographic images.

    The monk had secretly taped the women pouring sacred water over themselves in a pagoda bathroom, said the police chief, Touch Naruth.

    Khai was taken to the custody after a victim informed cops about the video clips showing the naked women had been shared via mobile phones.
    “He has filmed hundreds of women since 2008. They came to the monk to be blessed with holy water, but they were secretly filmed, the Sun quoted the Naruth as saying.

    He added: “His act affects other monks and Buddhism and seriously harms our tradition.”

    The police officer tells that Khai confessed to his crimes and they were now looking for his partner in crime.

    খবরের লিন্ক এখানে

  3. মাসুদ করিম - ২ জুলাই ২০১০ (১১:১৫ পূর্বাহ্ণ)

    যৌবনে দাও রাজটিকা, আর এভাবেই ছাএদের অধিকার করে নেয়া যায় রাজকার্যে : যুদ্ধে সৈনিক, রায়টে পুলিশ আর সিভিল সমাজের ওপর গোয়েন্দাগিরিতে। ইরানের বাসিজ ফোর্স নিয়ে কিছুই জানা ছিল না আমার, এই লেখার সুবাদে, Iranian students fight hard and soft, অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

  4. মাসুদ করিম - ২ জুলাই ২০১০ (৩:৩৪ অপরাহ্ণ)

    এটা কি ছাপার ভুল না প্রথম আলোর ইচ্ছাকৃত ভুল বুঝতে পারছি না। গতকালের খালেদা জিয়ার বিবৃতি তাদের ওয়েব আপডেট-এ দেখেছিলাম এভাবে, আজ তাদের ছাপা সংস্করণের কোথাও খবরটা দেখতে না পেয়ে, তাদের ই-প্রথম আলো সাইট খুঁজতে গিয়ে দেখি — আমি ছাপা কাগজে ২য় পৃষ্টায় যেখানে দেখতে পাচ্ছি ‘সভা অসমাপ্ত রেখে বন্দর ভবনের সামনে প্রতীকী অবস্থান’ সেখানেই দেখা যাচ্ছে ‘খালেদা জিয়ার বিবৃতি-জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নিপীড়নের নজির’। এটা কি ছাপার ভুল হতে পারে? এটা কি ফ্লোরে কাজকর্মের ভুলে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা? নাকি এটি সম্পাদকীয় নির্দেশ?

    এখানে উদ্ধৃত হল বিএনপির গতকালের স্থায়ী কমিটির সভার পরে দেয়া খালেদা জিয়ার পূর্ণ বিবৃতি

    দেশের সাম্প্রতিকতম রাজনৈতিক-সামাজিক অবনতিশীল পরিস্থিতিতে সচেতন, শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের মতোই আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
    সভ্যতা, গণতন্ত্র ও আইন মেনে চলার মুখোশ খুলে ফেলে সরকার ইতোমধ্যে চরম ফ্যাসিবাদী চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে। জাতিকে বিভক্ত এবং দেশকে হানাহানি, অস্থিরতা ও সংঘাতের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
    আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে দেখেছি যে, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির প্রতি অনুগত থাকেনি। বিরোধী দলে থাকতে তারা দেশে চরম নৈরাজ্য ও হানাহানির পথ বেছে নিয়েছে। জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর, হরতাল, অবরোধের নামে তারা অগণিত নিরপরাধ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। লগি-বৈঠা দিয়ে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের জানমালের ব্যাপক ধ্বংস সাধন করেছে। আবার তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং জনগণের সংবিধান ও আইনসম্মত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সংসদকে অকার্যকর করেছে। ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হত্যা-নির্যাতন ও জেল-জুলুমের মাধ্যমে স্তব্ধ করতে চেয়েছে। হিংস্রতা ও শঠতা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং অপপ্রচার তাদের প্রধান হাতিয়ার।
    ২০০৭ সালে দেশে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের অবৈধ জরুরি সরকার রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে যে নৃশংস অভিযান চালায়, তারপর আমরা আশা করেছিলাম, দেশের সকল রাজনৈতিক দলের মতো আওয়ামী লীগও গণতন্ত্রের রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। আমরা আশা করেছিলাম, তারা দায়িত্বশীল আচরণ করবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, তারা সহনশীলতা, সংযম ও যুক্তির পথে এগোবে। আমরা মনে করেছিলাম, তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রতিযোগী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি সম্পর্ক গড়ে তুলবে। এ ক্ষেত্রে আমার নিজের তরফ থেকে যত দূর সম্ভব ঔদার্য ও সহযোগিতার মনোভাব আমি প্রদর্শন করেছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক বিপর্যয় ও দুঃখের দিনগুলোতে আমি সহমর্মিতা নিয়ে তার পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন কিংবা সৌজন্য বোধের কোনো লক্ষণই কখনো দেখা যায়নি।
    পরিবর্তন ও দিনবদলের গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার দেড় বছরেও দেশে কোনো ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেশবাসীর নজরে আসেনি। বরং জনগণের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সর্বব্যাপী ব্যর্থতা দেশবাসীকে হতাশ, বিপন্ন ও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
    এই পটভূমিতে চট্টগ্রামের সদ্যসমাপ্ত সিটি নির্বাচনে ভোটাররা শাসক দলের সব অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক গণরায় প্রদান করেছেন। এরপর চরম জুলুম-নির্যাতন, হুমকি, হামলা ও ভীতিকে উপেক্ষা করে দেশবাসী ২৭ জুন দেশব্যাপী অভূতপূর্ব সাফল্যের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থার কথা ঘোষণা করেছে। এই দুই বিপর্যয় ক্ষমতাসীনদের পুরোপুরি বেসামাল করে ফেলেছে। তাদের কার্যক্রমে তারই প্রতিফলন ঘটছে।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে জনগণকে প্রস্তুতির জন্য সময় দিয়ে ৪০ দিন আগে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে জনগণকে সচেতন এবং তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার অভিযান চালানো হয়েছে। এতে আমরা সাধারণ মানুষের বিপুল সাড়া পেয়েছি। আর তাই পুলিশি হামলা ও তাদের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের রাজপথে মিছিল করতে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও জনগণই হরতাল সফল করেছেন। কারণ তারা দেশের বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উত্কণ্ঠিত। তারা এটাও বুঝেছেন যে, দলীয় স্বার্থে নয়, জনগণের বাঁচা-মরার দাবি আদায়ের জন্যই এই হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।
    হরতাল উপলক্ষে বিএনপি কোনো ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা বোমাবাজির আশ্রয় নেয়নি। বরং সরকারই হরতালের মতো গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে। এই বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দূরে থাক, তাদের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা অস্বীকার করে সরকার একদিকে তাদের কর্তব্যে অবহেলা করছে, অন্যদিকে দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় ও মদদ দিচ্ছে।
    হরতাল উপলক্ষে সারা দেশে বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মী পুলিশ ও সরকারি সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমি তাদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।
    দেশবাসীর শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচি উপলক্ষে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে রাজধানীর দু-এক স্থানে রহস্যজনক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের যেসব ঘটনা ঘটানো হয়, তার সঙ্গে বিএনপির কেউ কোনোভাবেই জড়িত নয়। গান পাউডার ছড়িয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে পৈশাচিক কায়দায় নাগরিকদের হত্যা করার ব্যাপারে অতীতে যারা পারদর্শিতা দেখিয়েছে, তারাই এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে থাকতে পারে। নাশকতার এই সব ঘটনায় যারা হতাহত হয়েছেন, আমি তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই অজুহাতে বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শাসক দল মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এমনকি শমসের মবিন চৌধুরীর মতো একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সজ্জন প্রবীণ ব্যক্তিকেও গাড়ি ভাঙার মিথ্যা মামলায় আটক রাখা হয়েছে। আমি মির্জা আব্বাস, শমসের মবিন ও এ্যানিসহ আটক সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
    জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল, দেশের একটি বৈধ ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ পর্যায়ের তিনজন নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে শাসক দলের দোসর একটি সংগঠনের পক্ষে দায়ের করা এক হাস্যকর মামলায় সরকার হরতালের পর পরই গ্রেপ্তার করেছে। নিম্ন আদালত সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করলে আরও কয়েকটি মিথ্যা মামলায় আটক করে তাঁদের প্রত্যেককে অর্ধ মাসেরও বেশি সময়ের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা চরম স্বৈরাচারী পন্থায় রাজনৈতিক নিপীড়নের এক জঘন্য নজীর।
    আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বৈধ সকল রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের ওপর থেকে সকল বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
    জামায়াতের সঙ্গে অতীতে বর্তমান শাসক দলের সখ্য দেশবাসী বিভিন্ন সময়ে দেখেছে। কিন্তু যখনই বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সমর্থনে জামায়াত এগিয়ে এসেছে, তখনই এ দলটির ওপর আওয়ামী লীগ নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। রাজনৈতিক আক্রোশ ও প্রতিহিংসামূলক এ নির্যাতনকে বিবেকবান কোনো মানুষ মেনে নিতে পারে না।
    হরতালের প্রাক্কালে ঢাকা সিটির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার, বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা আটক করে নিয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। আমি সরকারের কাছে জানতে চাই, ‘চৌধুরী আলম কোথায়?’ অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্যও আমি দাবি জানাচ্ছি।
    হরতাল চলাকালে ঢাকায় মির্জা আব্বাসের বাসায় ঢুকে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকের যে লোকজন পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে এবং শিশু ও মেয়েদের পর্যন্ত নির্বিচারে মারধর করেছে দেশবাসী তাদের পরিচয় জানতে চায়। জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন গুরুতর সন্ত্রাস দমনে গঠিত বাহিনী র‌্যাবকে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বর্বরোচিত পন্থায় দমন করার ন্যক্কারজনক কাজে ব্যবহার করছে কি না, সে কৈফিয়তও দেশবাসী চায়।
    শাহবাগে জাতীয় সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির ওপর পুলিশি ছত্রছায়ায় সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে দেশবাসী দেখেছে। ওই হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন মেয়েও গুরুতর জখম হয়েছে। অথচ উল্টো এ্যানিকে গ্রেপ্তার এবং হামলার শিকারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
    আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মির্জা আব্বাসের বাড়িতে এবং এ্যানির ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
    জুলুম-নির্যাতন, খুন, গুপ্তহত্যা, গ্রেপ্তার ও প্রতিবাদী কণ্ঠকে স্তব্ধ করে সরকার দেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এতে আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উত্কণ্ঠিত হয়ে পড়েছি। আমরা অবিলম্বে এই পথ পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি। নির্যাতন ও সন্ত্রাস চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যে সম্ভব নয়, আমি ইতিহাস থেকে সে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, গণতান্ত্রিক ও উদারনৈতিক রাজনৈতিক শক্তির ওপর দমন-পীড়নের ফলে উগ্রবাদী শক্তির উত্থানের পথই উন্মুক্ত হয়।
    দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, দেশ আজ ফ্যাসিবাদ-কবলিত। সাহসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ পন্থায় এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করুন। দেশপ্রেমিক সকল দল, সংগঠন, শক্তি ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে এগিয়ে আসার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

    • মাসুদ করিম - ৯ জুলাই ২০১০ (৫:২৪ অপরাহ্ণ)

      যেপিত্রকার ছাপা সংস্করণে কোথাও ‘খালেদা জিয়ার বিবৃতি-জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার রাজনৈতিক নিপীড়নের নজির’ খবরটি খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেপত্রিকার প্রথম পৃষ্টায় জ্বলজ্বল করছে ‘ মান্নান ভুঁইয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা’, কী এমন গুরুত্বপূর্ণ খবর এটি যে একেবারে প্রথম পৃষ্টায়। তাও ছাপা কাগজ ও অনলাইন পত্রিকার শিরোনাম এক নয়, অনলাইন পত্রিকার শিরোনাম ‘আবেদন করলে মান্নান ভূঁইয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার’।(ইপ্রথমআলোতে আর অনলাইনে একই লেখা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু আমার হাতে ছাপা পত্রিকায় খবরটি শুরু হচ্ছে এভাবে ‘ উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির করণীয়…’ যাদের হাতে আজকের ছাপা প্রথম আলো আছে তারা মিলিয়ে নিতে পারেন ) এক যুগ ধরে বাংলাদেশের সেরা পত্রিকার এ অবস্থা কেন কে জানে। এবার নিচের খবরটি দেখুন

      আজ পবিত্র শবে মিরাজ
      আজ ২৬ রজব, শুক্রবার। আজকের সূর্যাস্তের পর (২৭ রজব) শুরু হবে মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ পবিত্র মিরাজের রজনী (শবে মিরাজ)। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মতো বাংলাদেশের মুসলমানেরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি উদ্যাপন করবে।
      গত ১৩ জুন বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছিল। সে অনুসারে আজ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে ২৭ রজব—পবিত্র মিরাজের রজনী।
      ইসলাম ধর্ম অনুসারে, ২৭ রজব (২৬ রজব দিবাগত রাতে) ‘বোরাক’ নামক একটি বিশেষ স্বর্গীয় বাহনে আরোহণ করে সশরীরে মহান আল্লাহ পাকের সান্নিধ্যে গিয়েছিলেন মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.)। এ রাতেই তিনি তাঁর উম্মতের (অনুসারী) জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করার নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন-এর সূরা আল ইসরাতে মিরাজের উল্লেখ আছে।
      শবে মিরাজ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাতটা ২০ মিনিটে ওয়াজ মাহফিল শুরু হবে।
      এ ছাড়া সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওয়াজ মাহফিল, ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি কাটাবেন।

      ছোটবেলার কোরান শিক্ষার স্মৃতি বলে ‘আল-ইসরাত’ নামে কোনো সুরা কোরানে নেই। আগ্রহীরা খুঁজে দেখতে পারেন। ভুলভালে ভরে যাচ্ছে ‘প্রথম আলো’, এক যুগের প্রচেষ্টার ফসল যুগে যুগে আরো কী কী ঘটাবে কে জানে?

  5. মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১০ (১০:২০ পূর্বাহ্ণ)

    পেশোয়ার : দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম জীবন্ত নগরী, ধারণা করা হচ্ছে এ নগরীর পত্তন হয়েছে ৫৩৯ খ্রিষ্টপূর্ব সালে। পড়ুন এখানে

  6. মাসুদ করিম - ৪ জুলাই ২০১০ (৪:৪০ অপরাহ্ণ)

    ২০০৮ সালে পৃথিবীতে মানুষ ৩৪০ টন হেরোইন সেবন করেছে। এখনো ইউরোপ, রাশিয়া ও চীনে হেরোইন সেবনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। দেখুন রিয়ানভস্তির ইনফোগ্রাফিক্স

  7. মাসুদ করিম - ৫ জুলাই ২০১০ (৪:১৬ অপরাহ্ণ)

    ব্রিটেনের মুসলমানদের নিয়ে ‘দি হিন্দু’তে হাসান সুরুর এর কলাম : British Muslims: countering negative images

    A website “www.inspiredbymuhammad.com” elaborates on the claims of the men and women featured in the posters with actual quotations from Muhammed. On social justice, he is quoted as saying: “The best people are those who are most useful to others.” And he described women as “twin halves of men” whose rights were as sacred as those of men. Emphasising the importance of protecting the environment, the Prophet said: “All of the earth has been made to me as a mosque”. He encouraged his companions to conserve water instructing them not to be wasteful even if they were next to a flowing river, and stipulated the importance of keeping public places tidy declaring: ‘One of the branches of faith is to remove litter from the street.’ Campaigners say they were prompted by their own daily experience of widespread ignorance about Islam and the notion that it is a regressive religion whose practices are not in sync with the modern world. By putting their faces on public hoardings and telling their own life stories they wanted to show that there was such a thing as a modern 21st century Muslim.

    এভাবে কি সত্যিই কাজ হবে? এভাবে কি আধুনিক মুসলমানেরা তাদের সত্যিই আধুনিক করে তুলতে পারবে? আমার মনে হয় এতে বড় জোর নিজেদের একটা আধুনিক আমেজ আমেজ ভাবই শুধু জাগানো যাবে, এর চেয়ে বেশি কিছু এতে হবে না।

  8. মাসুদ করিম - ৬ জুলাই ২০১০ (১০:২৩ পূর্বাহ্ণ)

    পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ : এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা ক্ষুধা, গ্লোবাল হান্গার ইনডেক্স-এ ৮৪টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ৫৮, ভারত ৬৫ ও বাংলাদেশ ৬৭। বিস্তারিত দেখুন এখানে গ্লোবাল হান্গার ইনডেক্স ২০০৯

  9. মাসুদ করিম - ৭ জুলাই ২০১০ (১০:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    চট্টগ্রামে আবারো নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীর-এর বিক্ষোভ মিছিল। দৈনিক আজাদীর খবর

    নগরীতে আবারো নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের মিছিল, আটক ৪
    চট্টগ্রামকে টার্গেট করে হিযবুত তাহ্‌রীর এর প্রচারণা ও কার্যক্রম চলছেই। নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও তাদের কর্মসূচি বাসত্মবায়নে তারা চোর – পুলিশ খেলছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে।

    গতকাল মঙ্গলবার একই কায়দায় তারা লাভ লেইন মোড়স্থ ফিলিং স্টেশনের সামনে বেলা সোয়া ১২টার দিকে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এনায়েত বাজারের দিক থেকে তারা সেখানে যায়। মাত্র পনের থেকে বিশ মিনিট তারা সেখানে অবস্থান করে। কাজীর দেউড়ির দিক থেকে পুলিশের একটি পিক আপ আসতে দেখে তারা ব্যানার লিফলেট ফেলেই পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এ সময় জনতার সহায়তায় পুলিশ হিযবুত তাহরীর চার নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে এবং ব্যানার ও বেশ কিছু লিফলেট জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কাজী ইরফানুল করিম, মোহাম্মদ হোসেন, বাদশা মিয়া ও মোজাম্মেল হক।

    অনুসন্ধানে এবং ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা স্কোয়াডের কর্মকর্তাগণ জঙ্গি সংগঠন, দেশে তাদের কর্মতৎপরতা, অন্যান্য দেশের পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছিল। তাতে দেখা গেছে ২০০১ সালে সংগঠনটি এদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর উস্কানিমূলক কর্মকান্ড, সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার সহ নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে সংগঠনটিকে এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রায় দুই মাস চট্টগ্রামে তাদের কোন ধরনের কার্যক্রম চোখে পড়ে নি। ধীরে ধীরে তারা সেমিনার সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে তাদের করণীয় সম্পর্কে সাধারণকে জানানো এবং উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে দলে টানার চেষ্টা করে আসছে। মূলতঃ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার নামে সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করে চলেছে। গণতান্ত্রিক সরকার মানতে নারাজ সংগঠনটির নেতা কর্মীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি সংগঠনটির কিছু সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের পর তারা তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে। বর্তমানে তারা বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, পত্রিকা পাড়া, বিভিন্ন শপিং মলে সংগঠনের পক্ষে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ, নিজস্ব বক্তব্য সম্বলিত পোস্টার দেয়ালে সাঁটানো এবং ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশেই সীমাবদ্ধ। এসব সমাবেশে সংগঠনের ১০/১৫ জন অংশ নেয় এবং সিএনজি টেক্সিগুলো থাকে পূর্ব নির্ধারিত। যাতে দ্রুত সটকে পড়তে পারে। চলতি বছরের মার্চে চেরাগী পাহাড় থেকে তাদের একটি মিছিল জামাল খান প্রেস ক্লাব পর্যনত্ম গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি টেক্সিযোগে চম্পট দেয়। গত ৩০ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা কয়েকটি মসজিদে লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেটে শিরোনাম ছিল হে মুসলিমগণ! শেখ হাসিনা আপনাদেরকে ত্রুুসেডার আমেরিকা ও মুশরিক শত্রুরাষ্ট্র ভারতের হাতে সমর্পণ করতে যাচ্ছে। এ ঘৃণ্য কাজে সে সফল হওয়ার পূর্বেই তাকে অপসারণ করুন। গত ১৬মে নগর পুলিশ খুলশী এলাকায় হিযবুত তাহরীর বিভাগীয় আসত্মানা চিহ্নিত করতে পেরেছে। এখান থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।

    গতকাল হিযবুত তাহরীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা চট্টগ্রামে মার্কিন সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক-৩’ পরিচালনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় ও বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শত্রুরাষ্ট্র অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আমেরিকা মুসলিম উম্মাহর স্বার্থকে পদদলিত করতে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি ঘৃণ্য চক্রান্ত এবং এতে আমেরিকা এ অঞ্চলে তার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। তাই এ অঞ্চলে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির অর্থ ইসলামের পুনজাগরণ প্রতিহত করা। বিজ্ঞপ্তিতে খেলাফত রাষ্ট্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার আহবান জানানো হয়।

    খবরের লিন্ক এখানে

  10. মাসুদ করিম - ১৪ জুলাই ২০১০ (১০:২৪ পূর্বাহ্ণ)

    কাস্ত্রো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একে কেন্দ্র করেই পরমাণুযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, যুদ্ধের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আগুন নিয়ে খেলছে।’

    বিস্তারিত পড়ুন : ইরান ও পাশ্চাত্যের দ্বন্দ্ব বিশ্বকে পরমাণুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে

  11. মাসুদ করিম - ১৪ জুলাই ২০১০ (১০:৩১ পূর্বাহ্ণ)

    মঙ্গলবার কলকাতায় কমরেড প্রমোদ দাশগুপ্তের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এতে সিপিএম সম্পাদক প্রকাশ কারাত বলেছেন, মেহনতী মানুষের সম্পদ বামফ্রন্টকে রক্ষা করতে হবে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ও এরপর এখানে

  12. মাসুদ করিম - ১৫ জুলাই ২০১০ (২:০৭ পূর্বাহ্ণ)

    এটা কি সত্যিই হতে যাচ্ছে, লাদেন কি এযুগে ‘রাম’এর অবতার? বানরদেরকে ‘জেহাদি’ রূপে সত্যিই দেখব আমরা?

    The US-led forces fighting the Taliban fighters in Afghanistan might soon encounter ‘gun-totting’ monkeys, trained for ‘jihad’, if a rumour doing the rounds in the Chinese media is to be believed.

    NATO officials and military experts have scoffed at the report originating in the Chinese media, which says that the Taliban are training monkeys to fight the US-led military.

    খবরটি বিস্তারিত পড়ুন : Taliban training monkeys for Jihad?

  13. মাসুদ করিম - ১৫ জুলাই ২০১০ (৪:৪৬ অপরাহ্ণ)

    ভারত-পাকিস্তান ‘আলোচনা’ ও ফুটবল খেলায় ‘পেনাল্টি কিক’ একই কথা।

    In a study published in 2009, Michael Bar-Eli, Ofer H Azar, and Yotam Lurie found that when it came to penalty kicks in football, the optimal strategy for the goalkeeper was to stay put (and not dive in either direction). For the kicker, the optimal strategy was to target the upper third of the goal. Yet, in the matches they analysed, goalkeepers almost always dived and kickers did not consistently aim at the upper-third.

    পড়ুন এখানে

  14. মাসুদ করিম - ১৫ জুলাই ২০১০ (৬:৩৮ অপরাহ্ণ)

    থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী কাসিত পিরোমিয়ার সাক্ষাৎকার : জার্মান সাপ্তাহিক ‘স্পিগেল’-এ। থাকসিন, রেড শার্ট, রাজা ও থাই রাজনীতি নিয়ে এই সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

    SPIEGEL: Apart from the political attitude towards Thaksin, the farmers of the north believe that they do not benefit from the country’s economic growth.

    Kasit: In the past 30 years, we have had a growing middle class and rising urbanization in Thailand. Poverty has been reduced greatly. If you look at this statistically, the latest United Nations figures show that level of economic disparity in Thailand is no different from that of other developing countries and even better than some developed countries. Having said that, in every society there will always be people who are not satisfied.

    SPIEGEL: What is your explanation for the protests then?

    Kasit: The Marxist-Leninist interpretation was used by some protest leaders to paint a picture of disparity in Thai society — between the rich and poor, rural and urban areas — so as to attract supporters. This notion has also been accepted by the leftist media around the world.

    SPIEGEL: But the protesters themselves are not Marxists?

    Kasit: Some of their leaders are. Indeed, some are former members of the Communist Party of Thailand.

    SPIEGEL: How have the leaders succeeded in gaining so much support?

    Kasit: The protest is coordinated, organized and financed by Mr. Thaksin and his people. It is not something that happened naturally like in other countries where demonstrations are spontaneous like in Greece.

    SPIEGEL: Maybe the Red Shirts learned from the Yellow Shirts? The Yellow Shirts occupied the airport in Bangkok.

    Kasit: The Yellow Shirts were protesting against the Thaksin government because of corruption. The Red Shirts were protesting against this particular government in order to help Mr. Thaksin. The two causes are not the same.

    SPIEGEL: Why does the government fear Thaksin?

    Kasit: We are not afraid of him. He ran away. He fears the law. But he has been instigating the unrest and trying to bring down the government unconstitutionally. I did not run away from all my court cases. I have so many cases against me. I did not jump bail.

    SPIEGEL: Which role can the king play in this process of reconciliation?

    Kasit: He is above politics.

    SPIEGEL: Many people say he has the power to unite the people.

    Kasit: It is not his constitutional obligation.

    SPIEGEL: What is the role of the monarchy in Thailand?

    Kasit: It is the symbol of the country.

    বিস্তারিত পড়ুন : এখানে এখানে

  15. মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১০ (৩:২১ অপরাহ্ণ)

    ‘বুদ্ধিজীবি’ এখন দুবাংলাতেই একটা ভয়ংকর গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হয়ে উঠেছে। ‘সুশীল সমাজ’, ‘বিদ্বজ্জন’ এসব বিকট নামে দুবাংলাতেই এমন সব লোকের কলাম/কর্মকাণ্ড সহ্য করতে হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতার টেলিগ্রাফে প্রকাশিত আশিস চক্রবর্তীর কলাম Demolition of Bengal’s pride এর প্রতিক্রিয়ায় গণশক্তিতে দেবাশিস চক্রবর্তী লিখেছেন : ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ সাংবাদিকের মড়াকান্না কোন লক্ষ্যে’

  16. মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১০ (৪:৫২ অপরাহ্ণ)

    একজন বড় মনের মানুষই নয়,সত্যিকারের অভিনেতাকেও আমরা হারালাম।

    কবরীর একথাটি যথার্থই খাঁটি কথা। প্রয়াত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ সম্বন্ধে তিনি আরো বলেছেন

    তার প্রতিটি কাজ নতুন প্রজন্মের অনুসরণ করা উচিত। নতুন প্রজন্মের কাছে বুলবুলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে পারলেই তার শূন্যস্থান পূরণ হতে পারে।
    কয়েক দশক একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা; ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব_ তার মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে লেখা সত্যিই কঠিন। লিখতে লিখতে মনে পড়ছে_ বুলবুলের স্মিত হাসি, আন্তরিক কথার ভঙ্গি; পর্দার দেবদাস…সত্যিকার অর্থেই বাঙালির হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন নিয়ে থাকবেন। বিদায়, বন্ধু।

    আমার কাছে বুলবুল আহমেদ ‘ইডিয়ট’খ্যাত অভিনেতা। তার অনেক ছবি দেখেছি, তার অনেক কিছুই আজ আর মনে নেই। কিন্তু টিভি নাটক ইডিয়টে তার অভিনয়ের কথা আজো আমার মনে আছে। এমন একজন সত্যিকারের অভিনেতা চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন, ‘সীমানা পেরিয়ে’র কথা আমাদের প্রজন্ম ভুলবে না। কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্রে যেমন অভিনেতার অভাব তেমনি আমরা হয়তো ভালো অভিনেতা বুরবুলকে তেমন মূল্যায়নও করিনি। এমন কী মৃত্যুর পরেও ‘প্রথম আলো’র মতো বিনোদন ঘনিষ্ঠ পত্রিকা কি পারত না ‘ বুলবুল আহমেদ চলে গেলেন’ খবরটি প্রথম পাতায় ছাপতে : এইচ.এস.সি পরীক্ষার খবর কি এতই বড় খবর যে প্রথম পাতায় এখবরের জন্য শেষ পাতার ওই সামান্য জায়গাটুকুরও সংকুলান করা যায়নি।

    কালের কণ্ঠে তার মৃত্যু সংবাদ ও সংক্ষিপ্ত জীবনী

    বুলবুল আহমেদ চলে গেলেন
    এম এস রানা
    শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাসের দেবদাসের পরিণতি কাঁদিয়েছে পাঠককে। চাষী নজরুল ইসলামের হাত ধরে সেই দেবদাস উঠে এলেন রুপালি পর্দায়, আবারও দর্শক কাঁদলেন। বুলবুল আহমেদকে চিনলেন দেবদাস হিসেবে। সেই দেবদাস বুলবুল আহমেদ আবারও কাঁদালেন ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের। এবার চিরবিদায় নিলেন তিনি। ১৪ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন বুলবুল আহমেদ_বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এক নায়ক।
    বুলবুল আহমেদ হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যান। এরও আগে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে চিকিৎসকদের চেষ্টায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
    ১৪ জুলাই রাতের খাবার শেষে অসুস্থ বোধ করছিলেন বুলবুল আহমেদ। স্ত্রী ডেইজি আহমেদকে বললেন এক কাপ চা করে দিতে। আশা করেছিলেন, চা খেলে বোধ হয় কিছুটা সুস্থ বোধ করবেন। কিন্তু চা-টুকুও শেষ করতে পারেননি তিনি। তার আগেই অচেতন হয়ে পড়েন। দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার বুলবুল আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বুলবুল আহমেদ স্ত্রী, এক ছেলে শুভ, দুই মেয়ে তিলোত্তমা ও ঐন্দ্রিলাসহ অগণিত ভক্ত, সহশিল্পী ও কলাকুশলী রেখে গেছেন। ডেইজি আহমেদ ও ঐন্দ্রিলা অভিনয়শিল্পী। শুভ ও তিলোত্তমা থাকেন দেশের বাইরে। বাবার মৃত্যুসংবাদ শুনে তাঁরা দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আজ তাঁরা দেশে পেঁৗছানোর কথা। বুলবুল আহমেদের দেহ আজ বিকেল ৩টায় এফডিসিতে আনা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে নেওয়া হবে রামপুরার বিটিভি ভবনে। সেখানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তাঁকে নেওয়া হবে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে আরো একবার জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বুলবুল আহমেদকে দাফন করা হবে।
    বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায়। ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স করা বুলবুল আহমেদের সুনাম ছিল মেধাবী ছাত্র হিসেবে। মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয়জগতে পা রাখলেও ১৯৭৩ সালে ইউসুফ জহির পরিচালিত ‘ইয়ে করে বিয়ে’ ছবির মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তাঁর অভিষেক। এর আগে তিনি জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁর প্রকৃত নাম তোবাররুক আহমেদ। চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর তিনি বুলবুল আহমেদ নামে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে আলমগীর কবীর পরিচালিত ‘সীমানা পেরিয়ে’ ছবিতে অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কাজী জহির পরিচালিত ‘বধূ বিদায়’ (১৯৭৮), আজিজুর রহমান বুলি পরিচালিত ‘শেষ উত্তর’ (১৯৮০) ছবিতে অভিনয় করে। নিজের প্রযোজনায় ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পান তিনি। বুলবুল আহমেদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘দেবদাস’, ‘মহানায়ক’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘সূর্যকন্যা’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘শেষ উত্তর’, ‘কলমীলতা’, ‘এখনই সময়’, দ্য ফাদার’, ‘রাইভ ইন আমেরিকা’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘শুভদা’ ইত্যাদি। জীবদ্দশায় তিনি শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া তিনি বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটকের নিয়মিত অভিনেতা ছিলেন। মৃত্যুর আগে বুলবুল আহমেদ পরিচালিত শেষ ধারাবাহিক নাটক ‘বাবার বাড়ি’। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র, টিভিসহ দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় সহকর্মীদের শোকগাথায় আসাদুজ্জামান নূর লিখেছেন

    আমার খুব শ্রদ্ধার মানুষ ছিলেন তিনি। আমরা যাঁরা টিভি নাটকের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা এমনিতেই চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষদের দূরের মনে করতাম। কিন্তু যে একজন মানুষের কল্যাণে আমরা চলচ্চিত্রের মানুষজনের কাছাকাছি যেতে পেরেছিলাম, তাঁদের মধ্যে বুলবুল আহমেদ একজন। তাঁর মধ্যে ছিল সহযোগিতার মনোভাব। তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল কেরামত মওলার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে। কুশল বিনিময় করলাম। বললেন, ‘দোয়া করবেন, আমি যেন সুস্থ হই। সুস্থ হয়ে আপনার টিভি চ্যানেলে আসতে পারি।’ আমি বললাম, ‘আপনি তো সুস্থই আছেন। যখন খুশি আসবেন।’ এরপর বুলবুল ভাইয়ের আর আসা হলো না। মনে পড়ছে এইসব দিনরাত্রি ধারাবাহিকের কথা। একটি পরিবারের সদস্য হয়ে কাজ করেছিলাম আমরা। এই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে চলে গেলেন বুলবুল ভাই।

    এই অসাধারণ শিল্পীর প্রয়াণে আমরা সত্যিই শোকাহত।

  17. মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১০ (৫:৪৭ অপরাহ্ণ)

    ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ার গতিতে আমি অসন্তুষ্ট’ :
    বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাববানী
    আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাববানী। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিষয়ক নাগরিক কমিশনের সভাপতি এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা। তেল-গ্যাস ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। সাপ্তাহিক বুধবারের প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সংসদীয় গণতন্ত্রের রূপরেখা, তেল ও গ্যাস উত্তোলন, সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার, ফতোয়াসহ তার দেওয়া বিভিন্ন রায় নিয়ে কথা বলেন।

    বুধবার : আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনের একজন সক্রিয় ব্যক্তিত্ব। এ বিচার কোন পর্যায়ে রয়েছে বলে আপনার ধারণা?

    বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাববানী : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্নের জন্য আমরা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে দেশব্যাপী যে আন্দোলন করছি তার বাস্তবায়নটা দেখতে পাচ্ছি না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ার গতিতে আমি অসন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত করতে। এ জন্য আমরা মুখ্য প্রসিকিউটরের অধীনে অন্তত ২৫ জন আইনজীবী এবং তদন্ত সংস্থায় কমপক্ষে ২৫ জন সদস্য নিয়োগ দিতে বলেছি। এটা না করলে হবে না। ট্রাইব্যুনালকে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করতেও আমি দাবি জানিয়ে আসছি।

    বুধবার : সরকার সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ তিন নেতাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এদের যুদ্ধাপরাধের ইস্যুতে গ্রেফতার না করে এ ধরনের ঠুনকো অভিযোগে গ্রেফতারের কী কারণ থাকতে পারে?

    গোলাম রাববানী : যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য অভিযোগ দাখিলের পর ট্রাইব্যুনালই গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারেন। এখন জামায়াত একটি রাজনৈতিক চালবাজির খপ্পরে পড়ে গেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত একটি আমলযোগ্য অপরাধ। এর শাস্তি দুই বছরের হওয়ায় এ মামলায় সাধারণত জামিন দেওয়া হয়। তারা ইচ্ছে করেই আদালতে হাজির হননি। এর ফলে তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছাড়া আদালতের আর কোনো উপায় ছিল না। তাদের একজন কিন্তু হাজির হয়ে সঙ্গে সঙ্গে জামিন পেয়েছেন। জামায়াত নেতাদের মনে হয় রাজনৈতিক চাল ছিল যে আমরা গ্রেফতার হব। পরে জামিন নিয়ে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বের হয়ে আসব। এ কায়দা করতে গিয়ে তারা ফাঁদে পড়ে গেছেন। এখন অন্য মোকদ্দমায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই গ্রেফতার চূড়ান্ত কি না তা বলা যাবে না। এ জন্য যে এ গ্রেফতার ট্রাইব্যুনালের আদেশে হয়নি। আমরা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে বারবার একটা দাবি করে আসছি, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের অন্ততপক্ষে নিবর্তনমূলক আইনে গ্রেফতার করে আটক রাখা হোক। সরকার আমাদের এ দাবিকে যুক্তিযুক্ত মনে করলে নিবর্তনমূলক নিরাপত্তা আইনেই তাদের আটক রাখা যায়। অন্য কোনো মোকদ্দমার দরকার পড়ে না।

    বুধবার : যুদ্ধাপরাধ বিচারের কথা বলা হলেও বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের কথা বলছে সরকার। সরাসরি যুদ্ধাপরাধের বিচার কি সম্ভব নয়?

    গোলাম রাববানী : এখানে একটা ভাষার ত্রুটি রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালে যে অপরাধগুলো নিয়ে বিচার করা হয়েছিল তার আলোকে আমাদের আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও শান্তিবিরোধী অপরাধ। এ আইনে সব অপরাধ রয়েছে। আমরা ব্যাপক অর্থে বলেছি যুদ্ধাপরাধের বিচার। আর আমাদের আইনমন্ত্রী বলছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। দুটোই সমার্থক, অমিল নেই। বরং সাদৃশ্য রয়েছে। যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে গ্রেফতার হওয়া যোদ্ধাদের গুলি করে মেরে ফেলা। আর মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে অযথাই যে কোনো স্থানে আগুন দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করা। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে গিয়ে বেশি মানুষ মেরে ফেললে তা হয় গণহত্যা। অভিযোগ তৈরি হলে আর যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী বা গণহত্যায় অপরাধী বলা হবে না। ধারাগুলো উল্লেখ করে তারা কে কি অপরাধ করেছেন তা বলা হবে।

    বুধবার : পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দিয়ে তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার করার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত ও কৌশলগত অসুবিধা রয়েছে কি না? একজন সাবেক বিচারপতি হিসেবে আপনার কী মনে হয়?

    গোলাম রাববানী : তাদের তো মাফ করা হয়নি। তখন ১৯৫ জন পাকিস্তানিকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তাদের বিচার করার জন্য দেশও প্রস্ত্তত ছিল। কিন্তু আমাদের কয়েক লাখ লোক তখন পাকিস্তানে আটকে ছিল। এ সময় আমাদের লোকজনের ফেরত আনার স্বার্থে তাদের বিচার পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। হামুদুর রহমান কমিশনও একটি তালিকা দিয়ে বলেছিল এদের বিচার কর। আমাদের সঙ্গে মৌখিক চুক্তিও হয়েছিল তারা বিচার করবে। কিন্তু যে কারণেই হোক তারা করেনি। তার মানে এই নয়, তাদের সহযোগী যারা দোষ করেছেন তাদের বিচার করা যাবে না। প্রয়োজনে আমাদের ট্রাইব্যুনালে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে আন্তর্জাতিক সমনও জারি করা যেতে পারে।

    বুধবার : অভিযুক্তরা সরকারকে চাপে ফেলতে নানা ধরনের আন্তর্জাতিক লবিং করছেন। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সরকার কী পর্যাপ্ত জনমত ও লবিং তৈরি করেছে বলে আপনার ধারণা?

    গোলাম রাববানী : আন্তর্জাতিক লবিংয়ে সরকারের কার্যক্রম খুবই স্তিমিত যা দুঃখজনক। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশন একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে যার কিছু অংশ দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে ছাপাও হয়। আমি ও ওয়ালি-উর রহমান এর উত্তর দেই। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে ইংরেজিতে একটি বই লিখে তাদের প্রতিটি আপত্তির উত্তর দিয়ে লন্ডনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তারা কোনো রেজুলেশন নেয়নি। ফলে তাদের সর্বশেষ উদ্যোগ কথায় কথায় শেষ হয়ে গেছে। সরকারও আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে প্রতিনিধি পাঠাতে পারত।

    বুধবার : অনেকে মনে করেন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করতে সমাজের অধিকাংশ রাজনৈতিক শক্তির সক্রিয় সমর্থন আদায় করা সরকারের কর্তব্য। কিন্তু সরকার নানা অজুহাতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে বৈরিতা বৃদ্ধি করেই চলেছে। আপনি কি মনে করেন এ বিষয়ে সরকার সঠিক পথে এগুচ্ছে?

    গোলাম রাববানী: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো জাতীয় দাবি। কারণ এবার ভোটবিপ্লব হয়েছে এ নীতিতে। এ ভোটবিপ্লবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির বলা উচিত ছিল আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করি। প্রথম দিকে তারা বলেও ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ রয়েছে সম্ভবত এ কারণেই যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছে। তাদের বক্তব্য দেওয়ার পর সরকারের তো নিজের থেকে এগিয়ে যাওয়ার দরকার পড়ে না। কারণ সরকারের বড় কর্তব্য হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা ও অনিচ্ছার প্রতি সমর্থন দেওয়া। বিএনপি দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল হলে তাদের উচিত জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সমর্থন করা। না করলে বুঝতে হবে তারা নিজস্বার্থেই চলছে। জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে যে প্রস্তাব পাস হলো সেখানে তো বিএনপি উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে-বিপক্ষে বলতে পারত।

    বুধবার : সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অধিকতর সহজ রাজনৈতিক কর্মসূচি মানববন্ধনেও বাধা দিয়েছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

    গোলাম রাববানী : আমি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি থাকাকালে একটা সুয়োমোটো রুল দিয়েছিলাম। তাতে বলেছিলাম, হরতাল ডাকা গণতান্ত্রিক অধিকার। না মানাও গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা কী দেখলাম? হরতালের দিন মিছিল বের হলো। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল বের হওয়াটা ভীতিজনক। এ রায়টা দেওয়ার পর এর বিরুদ্ধে বিএনপি আপিল দায়ের করে। সেখানে রায়টা আর ঠিক থাকেনি। ওই সময়ই বোঝা গেছে, বিএনপি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক হরতালে বিশ্বাসী নয়। মানববন্ধনটা করতে দেওয়া উচিত ছিল। সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব দেখানোটা ঠিক হয়নি। কিন্তু তারা হয়তো ভেবেছে হরতালে গাড়ি ভাঙচুর ও লোকজনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। হয়তো মানববন্ধনেও সেটা হবে। এ আশঙ্কা থেকেই হয়তো তারা এ কাজ করতে পারে। এ বিষয়ে আমি সরকারকে পুরোপুরি সমর্থনও করছি না। আবার মানববন্ধনকেও সমর্থন করতে পারি না এ কারণে যে তখন তো সংসদ চলছিল। সেখানে গিয়েই তো জনগণকে বলা যেত। তাদের কথা বলতে বাধা দিলে আমরা বলতাম সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা উল্টো দেখছি। দোষটা বিএনপির দিকে চলে যাচ্ছে। তারা সংসদে যাচ্ছে না।

    বুধবার : আপনি তেল-গ্যাস ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। এ কমিটিও তো সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনি কী বলবেন?

    গোলাম রাববানী : জাতীয় সংসদ যদি পরিপূর্ণভাবে উভয় দল ব্যবহার না করে, আর যদি স্থানীয় সরকার না থাকে আমলারা শক্তিশালী হয়। শুধু তাই নয়, সরকার তখন পুলিশের ওপর নির্ভর করে। ভোট দেওয়ার পর জনগণের আর করার কিছু্ই নেই। স্থানীয় সরকার থাকলে তো জনগণ সরকারের নীতি-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটা না হলেই সরকার পুলিশের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়। আর পুলিশ তো ফেরেস্তা নয়। দোষ-গুণের মানুষ। তারাও তখন ফ্যাসিবাদের দিকে এগিয়ে যায়। সরকারদলীয় এ ছাত্রসংগঠনকে তো আমরা কোনো দিনই সমর্থন করিনি। এখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও বলেছেন, ছাত্রলীগ তাদের অঙ্গসংগঠন নয়। তারা বলছেন, এর মধ্যে জামায়াতের লোকজন ঢুকে গেছে। ’৭২ এর সংবিধান না থাকার ফলেই জনগণ ভোট দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করে ফেলছে। আর রাষ্ট্র পুলিশ দিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করছে। এটা তো গণতন্ত্র নয়। এ গণতন্ত্রের বিপদ হচ্ছে-এটা অনেক সময় ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যায়। আর গণতন্ত্র না থাকার ফলেই আমরা টেন্ডারবাজি, হামলা আর মারপিট দেখছি। মূল ব্যাধির এসব উপসর্গ।

    বুধবার : আপনাদের এ সামাজিক আন্দোলন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে?

    গোলাম রাববানী : আমরা সব সময় বলছি তেল হোক গ্যাস হোক তা উত্তোলনে দুটো নীতি মানতে হবে। একটি হলো জনগণের বসতবাটি, খেতখামার নষ্ট করা হবে না। করতে গেলে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তার পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর উত্তোলন হোক আমাদের চাহিদার ভিত্তিতে। কিন্তু বেশির ভাগ বিদেশী কোম্পানিই চাপ দিচ্ছে তাড়াতাড়ি বেশি করে তেল-গ্যাস তুলতে। তারা চায় রফতানি করতে। আমরা সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে আইনের একটি খসড়া দিয়েছিলাম। তাতে বলেছিলাম ৫০ বছর পর্যন্ত তেল বা গ্যাস রফতানি করা যাবে না। কমিটির একজন সদস্য জাতীয় সংসদে সেটা উপস্থাপন করেছেন।

    বুধবার : সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠক শেষে কমিটি উল্টো ব্যক্তিপর্যায়ে দোষারোপের জন্য আপনাদের অভিযুক্ত করেছিল। বিষয়টি কোন পর্যায়ে রয়েছে?

    গোলাম রাববানী : আসলে ব্যক্তিপর্যায়ে আক্রমণটা এ অর্থে হয়েছিল-আমরা আশা করিনি কমিটির বৈঠকে কতগুলো আমলাকে নিয়ে আসা হবে। আমলারা বলতে শুরু করেছিল আমরা যথেষ্ট জনস্বার্থে কথা বলছি না। আমি তখন ধমক দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমরা সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। এরা এসেছেন কেন? তবে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিতন্ডা হয়নি। তারা আমাদের কথা শুনেছিলেন এবং বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

    বুধবার : আপনারা জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এখনো বহাল রয়েছেন। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

    গোলাম রাববানী : আমি সব সময়ই তার পদত্যাগ চাই। কারণ তার কর্মকান্ডে আমরা ভীষণ অসন্তুষ্ট। জনস্বার্থবিরোধী কাজের দিকেই তার উৎসাহ বেশি। তামিম সাহেবের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলন করেছি।

    বুধবার : প্রডাকশন শেয়ারিং কন্টাক্ট বা পিএসসি চুক্তিগুলোর কোন বিষয়টি দেশের স্বার্থবিরোধী বলে আপনি মনে করেন?

    গোলাম রাববানী : পিএসসি চুক্তির বিরুদ্ধেও আমরা আপত্তি জানিয়েছি। এ নিয়ে আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখেছিও। চুক্তির প্রতিটি বিষয়ই দেশের স্বার্থবিরোধী। চুক্তিতে রফতানির অধিকার দেওয়ার অংশটি বড় বিষয়। বিদেশী কোম্পানিগুলো সব সময়ই চাইবে বেশি উত্তোলন করে রফতানি করতে। এ জন্য আস্তে আস্তে নিজেদের তেল-গ্যাস নিজেরাই উত্তোলন করার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।

    বুধবার : আপনি বলেছেন, ইসলামের আলোকেই সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমানাধিকার দেওয়া সম্ভব। কীভাবে?

    গোলাম রাববানী : সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান উত্তরাধিকার নিয়ে কুরআনে সাধারণ যে আইনটি রয়েছে তা হলো-কন্যা পুত্রের অর্ধেক পাবে। এটা কিন্তু কঠোর নিয়ম নয়। প্রমাণ হচ্ছে-একজন লোক নানি ও দাদি রেখে মারা যান। ইসলামের আইনে নানি সম্পত্তি পান না। হজরত আবু বকরের (রা.) কাছে গিয়ে নানি অভিযোগ করলেন, এই নাতি আমাকে খাওয়াতো। এখন আমার কী হবে? আবু বকর (রা.) দুজনকেই সমান ভাগে সম্পদ দেওয়ার আদেশ দিলেন। তিনি কুরআনের আইনকে কঠোর রূপে দেখেননি। হজরত ওমরের (রা.) সময়ও এক মহিলা বৈপিত্রেয়, বৈমাত্রেয় ও আপন ভাই রেখে মারা যান। হিসাব করতে গিয়ে দেখা গেল আপন ভাই সম্পদ পান না। ওমর (রা.) সবাইকে সমান ভাগে সম্পদ বণ্টন করে দিলেন। আমি বলতে চাচ্ছি, ভাগাভাগির আইন কুরআনে রয়েছে। এটাকে প্রয়োজন ও সামাজিক অবস্থাভেদে বদলানো যায়। এখনই শহর এলাকার সম্পদ ছেলেমেয়েদের সমান করে দেওয়া যেতে পারে। ভাগের সময় কোনো গরিব আত্মীয় এলে, যে কিছু পায় না তাকেও কিছু দেওয়ার জন্য কুরআনে নির্দেশনা রয়েছে। এ দেশে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টি আদালতের ঠিক করা উচিত।

    বুধবার : আপনি ফতোয়াকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো বহু লোক ফতোয়ার শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে ফতোয়াবাজরা রায়কে এখনো মেনে নেননি। এ বিষয়ে সরকারের কর্তব্য কী?

    গোলাম রাববানী : আমার রায়েই ছিল ফতোয়া দেওয়া আমাদের দেশের কোনো আইনে নেই। ফতোয়া বাস্তবায়নের কোনো সংস্থা এ দেশে নেই। বলা হলো-ওকে ১০টি বেত মেরে দাও। কে মারবে? কেউ মারতে গেলেই বেআইনি হবে। আমি সুপারিশে বলেছিলাম, ফতোয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করা হোক। এ ছাড়াও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি না করার জন্য আইন করা হোক। আজ থেকে ১০ বছর আগেই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে তা স্থগিত হয়ে যায়। আপিল বিভাগ এটি শুনলে তার রায় আইন হয়ে যাবে।

    বুধবার : আপনাকে ধন্যবাদ।

    সহজ ভাষায় আইন বোঝাবার অসামান্য দক্ষতা আছে বিচারপতি গোলাম রাব্বানীর । সাপ্তাহিক বুধবারের ১৪ জুলাই ২০১০ সংখ্যায় তার সাক্ষাৎকারের লিন্ক এখানে

  18. মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১০ (৬:৫৫ অপরাহ্ণ)

    প্রয়াত শিল্পী রামলাল ধর
    আজকালের প্রতিবেদন : বিশিষ্ট শিল্পী রামলাল ধর প্রয়াত। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি কর্কট রোগে ভুগছিলেন। বুধবার রাতে তাঁর জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। নিঃসন্তান রামলালবাবু রেখে গেলেন স্ত্রী সোহিনীকে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প-ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান সোহিনী নিজেও শিল্পী হিসেবে বিশেষ পরিচিত। প্রয়াত চিত্রী দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন কলকাতার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে। এছাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারে শেখাতেন ম্যুরাল। বৃহষ্পতিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। রামলাল ধরের জন্ম ১৯৫৩ সালে আসামের করিমগঞ্জে। সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে শিল্পশিক্ষা শেষে ভিত্তিচিত্র বা ম্যুরালে ফরাসি সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেদেশে যান ১৯৭৮-এ। ফরাসি দেশে থাকাকালীন ম্যুরালে তার সুখ্যাতি ছড়িয়েছিল। যদিও দেশে ফিরে ম্যুরাল করার সেরকম সুযোগ না পাওয়ার জন্য আফসোস ছিল। পরবর্তী সময়ে মন দিয়েছিলেন নিসর্গ চিত্রে। মৃদুভাষী চিত্রীর প্রদর্শনী হয়েছে মার্সেই, মিলানসহ দেশবিদেশের বিভিন্ন শহরে। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত অতুল বসুর স্টুডিও-তে কাজ করা তাঁর জীবনের আরেক বিশেষ অভিজ্ঞতা।

  19. মাসুদ করিম - ১৭ জুলাই ২০১০ (৯:৩১ অপরাহ্ণ)

    বাংলাদেশ টাকার প্রতীকটি কিন্তু বেশ! ‘৳’। কে ডিজাইন করেছিল জানি না। কিন্তু শুধু ‘ট’ মাথায় ছিল বলেই ডিজাইনার এমন সুন্দর কাজটা করতে পারলেন।
    11:39 PM Jul 15th via web

    টুইটারে লিখেছিলাম, ভারতীয় মুদ্রার প্রতীক পছন্দ না হওয়ার কারণ হিসেবে — দেবনাগরি ‘র’ ও ইংরেজি ‘R’ মিলিয়ে ডিজাইনটাকে হাস্যকর করে তোলা হয়েছে। যদিও ‘শর্টলিস্টেড’ পাঁচটির মধ্যে নির্বাচিত প্রতীক না থাকায়,প্রতীক নির্বাচন প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়েও কথা উঠেছে।

    আজকের সমকালে আমাদের টাকার প্রতীক নিয়ে অজয় দাশগুপ্ত লিখেছেন

    আনন্দবাজার শুক্রবার লিখেছে : ‘স্বতন্ত্র প্রতীক পেয়ে ডলার, প্রতীকের সারিতে টাকা।’ ভারতীয় টাকা স্বতন্ত্র প্রতীক পাওয়ার কারণেই এত উচ্ছ্বাস। অথচ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই এ গৌরব অর্জন করেছে। বাংলায় আমরা লিখি ‘টাকা’, ইংরেজিতে ‘বিডিটি’। আর আমাদের মুদ্রা টাকার নিজস্ব প্রতীক রয়েছে ৳। এর ডিজাইন কে করেছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত জানা নেই। আমাদের জাতীয় ফুল আছে_ শাপলা। জাতীয় ফল_ কাঁঠাল। জাতীয় পাখি_ দোয়েল। আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার তো রয়েছেই। সে সময়ে আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব নিজস্ব মুদ্রার একটি প্রতীকের কথাও ভেবেছে এবং এর ডিজাইনের সময়ে বাংলা ভাষায় টাকা লিখতে দরকারি বর্ণমালার ৳ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। সত্তরের দশকের শুরুতে বিশ্বের কম দেশেই এমনটি দেখা গেছে।
    ভারতে মুদ্রাকে অনেকে বলেন ‘রুপি’। পাকিস্তানে বলা হতো রুপিয়া। বাংলা ভাষাভাষী পশ্চিমবঙ্গে ব্যবহার করা হয় আমাদের মতোই ‘টাকা’। নোটের ওপর ইংরেজি ‘আরএস’ অক্ষর দুটি ওই দেশ ব্যবহার করে রুপি বোঝাতে, যেমন বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয় ‘বিডিটি’। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মুদ্রার জন্য নিজস্ব প্রতীক নেই। এমন প্রতীক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশের। বাংলাদেশ রয়েছে এ মুষ্টিমেয় গর্বিত সারিতে। ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালে। পাকিস্তানও স্বাধীন হয়েছে ওই বছর এবং এ দেশটির অংশ হিসেবে বাংলাদেশও ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়। পাকিস্তান ও ভারত সে সময়ে তাদের মুদ্রার নিজস্ব প্রতীকের কথা ভাবেনি। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীনসত্তায় আত্মপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করেছে।
    ভারত সরকার এতদিনে মুদ্রার নিজস্ব প্রতীক তৈরি করায় উদ্যোগী হয়েছে। এ জন্য দেশব্যাপী প্রতিযোগিতা আহ্বান করা হয়। জমা পড়ে প্রায় পাঁচ হাজার নমুনা। বিচারকরা এর মধ্য থেকে বেছে নেন পাঁচটি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে প্রতীকটি চূড়ান্ত করেছে তার স্রষ্টা ডি উদয় কুমার। মুম্বাই আইআইটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করার এ ব্যক্তি এখন আসামে চাকরি করেন। আনন্দবাজার লিখেছে : ‘উদয় কুমার মনে করেন, এ ঘটনা বড় মাইলফলক। ভারতীয় অর্থনীতি কতটা বলিষ্ঠ তারই পরিচায়ক হয়ে উঠবে এ প্রতীক। দেবনাগরী ও রোমান হরফের সংমিশ্রণে এ প্রতীক তৈরি হয়েছে।
    কেন এ স্বতন্ত্র প্রতীকের চিন্তাভাবনা করা হয়েছে? এ প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বলেন, ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির বিকাশ ও বৃদ্ধি হচ্ছে। ভারত এখন বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্যস্থল। এ কারণেই স্বতন্ত্র প্রতীক নির্ধারণ জরুরি ছিল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্লাবের এক্সক্লুসিভ ক্লাবে ঢুকে পড়েছে ভারত।
    বাংলাদেশ কিন্তু প্রায় চার দশক আগেই এ এক্সক্লুসিভ ক্লাবের সদস্য। তবে আমাদের একটি দুর্বলতা রয়েছে এবং সেটা হালকা করে দেখার উপায় নেই। আমাদের অর্থনীতির ভিত দুর্বল এবং এ কারণে বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা ‘টাকা’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিনিময়যোগ্য নয়। ডলার দিয়ে বিশ্বের যে কোনো দেশে কেনাকাটা করা যায়। কিন্তু ‘টাকা’ সর্বত্র গ্রহণযোগ্য নয়_ কেবল অতি সীমিত পরিসরে ব্যাংকের কাউন্টারেই তা স্বীকৃতি পায়। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রয়োজন নতুন সংগ্রামের_ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ভিতের ওপর দাঁড় করানো। আর এটা কিন্তু একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই কঠিন হবে।

    সমকালের খবরটির লিন্ক

  20. মাসুদ করিম - ১৮ জুলাই ২০১০ (১০:০৫ পূর্বাহ্ণ)

    আজকের পাঁচ তারের বেহালা আমার হাতেই তৈরি। আগে চার তারেই বাজত। একদিন খাঁ সাহেবের কাছে বোধ হয় ‘রামদাসী মল্লার’ বাজাচ্ছিলাম। কিছুতেই মন্দ্রসপ্তক বা খাদের সুরের শেষ অবধি পৌঁছোতে পারছিলাম না। তখন খাঁ সাহেবই বুদ্ধি দিলেন যদি পাঁচ তারের বেহালা তৈরি করা যায়, তাহলে মন্দ্রসপ্তকে পুরোপুরি ধরা যাবে।

    পড়ুন পণ্ডিত রবীন ঘোষের সাক্ষাৎকার, এখানে

  21. মাসুদ করিম - ১৯ জুলাই ২০১০ (১০:২২ পূর্বাহ্ণ)

    মোনালিসা ছবিতে লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিশেষ ধরনের ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড ও কপার ব্যবহার করেছেন।

    ফরাসি বিজ্ঞানীদের দাবি মোনালিসার হাসির নেপথ্যে রসায়ন। পড়ুন এখানে

  22. মাসুদ করিম - ১৯ জুলাই ২০১০ (৪:৫০ অপরাহ্ণ)

    আজকের কালের কণ্ঠে শহিদুল ইসলামের কলাম : রিমান্ডে মুখোমুখি জামায়াত ও জেএমবি।(http://www.kalerkantho.com/ তারিখ ১৯/০৭/১০, সম্পদকীয়, মুক্তধারা, শহিদুল ইসলাম)

    এক. যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তারা মৌলবাদী হতে পারে, কিংবা আধুনিক রাজনৈতিক দলগুলোর মতো ইহজাগতিকও হতে পারে। যাই হোক না কেন, একটা বিষয়ে তাদের মধ্যে মিল থাকে। তা হলো ব্যক্তি বা দলগত স্বার্থে তারা এক। যারা ‘মৌলবাদী’, তারা অতীতমুখী_যখন, যে সমাজে ধর্মটি প্রচারিত হয়েছিল, সেই আদি সমাজে ফিরে যেতে চায়। সেটা যে কিছুতেই সম্ভব নয়, তারা জানে। তবুও জনগণকে ধোঁকা দিয়ে ‘আল্লাহর শাসন’ কায়েম করার নামে নিজেদের শাসন কায়েম করতে চায়। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়_ধর্মের নামে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালায়। তার সাম্প্রতিক চেহারা আমি দেখেছি আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পরাজয়ের পর, সেখানে মৌলবাদী বা ইহজাগতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। সবাই ‘আল্লাহর শাসন’ কায়েম করার কথা বললেও সবারই নিজেদের গোষ্ঠীর শাসন কায়েম করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। প্রতিটি গ্রুপের অত্যাচার-নির্যাতনে সেদিন আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের সঙ্গে সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল। সে কথা নিশ্চয়ই কেউই ভুলে যায়নি। আর যারা ধর্মকে রাজনৈতিক মতবাদ হিসেবে ব্যবহার করে, তারা আর দশটি দলের মতো ইহজাগতিকতায় বিশ্বাস করে। ক্ষমতাই এদের কাছে চরম ও পরম আরাধ্য বিষয়_ধর্ম নয়। জামায়াতে ইসলামী তেমনিই একটা রাজনৈতিক দল। তাই অন্যান্য ইহজাগতিক দলের মতো এরাও ক্ষণে ক্ষণে মত পরিবর্তন করে_আজ যে কথা বলে, প্রয়োজনে তার সম্পূর্ণ বিপরীত কথা কাল বলতে তাদের সামান্য দ্বিধা হয় না। জামায়াত তেমনি একটি ইহজাগতিক দল। ইসলাম প্রচারের ঊষালগ্নে ফিরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই_তারা যেনতেন প্রকারে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে, একটি যুক্তি ও বিজ্ঞানবিমুখ পশ্চাৎপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত হয়। মৌলবাদী গ্রুপের উদ্দেশ্যও একই। সেটার প্রমাণ হলো ১৩ জুলাই ২০১০, মঙ্গলবার। বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আমির সাইদুর রহমানের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে ছাপানো হয়েছে। জেএমবি একটি উগ্র সন্ত্রাসী গ্রুপ। ওই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণ হয়েছে যে তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আসলে জামায়াতই হলো প্রধান আদর্শ সরবরাহকারী দল। বিএনপিকেও জামায়াত তার আদর্শ সরবরাহ করেছে। তাই যত দিন গেছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির মধ্যকার পার্থক্যটুকু ঘুচে গেছে।
    দুই. জেএমবির আমির এখনো জামায়াতের সদস্য। শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের ফাঁসি হওয়ার পর জামায়াত নেতাদের নির্দেশ বা পরামর্শক্রমেই সাইদুর রহমান জেএমবির আমিরের পদটি গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। ওই চার নেতাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করায় বেশ কিছু কৌতূহলোদ্দীপক সত্য জানা যায়। ওপরে জামায়াত সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত যে মূল্যায়ন, সাইদুর রহমানের কথায় তার সত্যতা মেলে। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের কোনো আদর্শ নেই। তারা যা করে, সব নিজেদের স্বার্থে করে।’ (ভোরের কাগজ)। সাইদুর আরো বলেন, ‘আপনারা আমাকে জঙ্গি বলেন, আবার যোগাযোগ করে সাহায্য চান।…আপনারা তো ক্ষমতার জন্য সব কিছুই করতে পারেন। নারী নেতৃত্ব হারামের কথা বলেন, আবার ক্ষমতা পেতে নারীর পায়ের নিচে বসে থাকেন।’ (কালের কণ্ঠ)। অর্থাৎ আগেই বলেছি, ব্যক্তিস্বার্থে তারা যখন যে ভেক ধরা প্রয়োজন তা-ই ধরে। পশ্চিম থেকে আসা গণতন্ত্রে তাদের কোনো আস্থা নেই, অথচ তারা প্রতিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতবর্ষকে মুসলমান আলেম সমাজ ‘দারুল হারব’ ঘোষণা করেছিল। বলেছিল, কোনো বিধর্মীদের শাসনের মধ্যে ‘সাচ্চা মুসলমান’ বাস করতে পারেন না। অথচ আমরা দেখেছি জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামীদের ছেলে-মেয়ে-জামাই বিধর্মীদের দেশে থাকাই পছন্দ করে। জামায়াতেরই একজন সদস্য জেএমবির আমির সাইদুর জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই উত্থাপন করেছেন বলে ওই খবরে জানা যায়। তিনি নিজামী ও মুজাহিদকে মিথ্যাবাদী, সাঈদীকে ‘মূর্খ’, ‘ভণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। (ভোরের কাগজ)। এসব ভণ্ড, মূর্খ ও মিথ্যাবাদী জামায়াত নেতার দ্বারা ইসলামের কি উপকার হবে? বরং এঁরা যে মানবতাবিরোধী কাজে লিপ্ত হন, খুন-হত্যা-লুণ্ঠন-ধর্ষণে ইন্ধন জোগান, অংশ নেন, তা ধর্মের প্রতি মানুষের বিশ্বাস দুর্বল করে দেয়। মুসলমানদের বিপদ ডেকে আনে। আফগানিস্তানে আজ মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী ঢুকতে পারত না, যদি সেখানে ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো মানুষের বিপক্ষে না দাঁড়াত। যুক্তরাষ্ট্র আজ নির্বিচারে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে চালকবিহীন ‘ড্রোন’ আক্রমণে নিরীহ শিশু-নারী-বৃদ্ধকে হত্যা করে চলেছে, তালেবানরা তা বন্ধ করতে পারছে না।
    তিন. ওই রিমান্ডে আরো ভয়ানক খবর বেরিয়ে এসেছে। ১৯৯০ সালে জামায়াতের অফিসে জেএমবির আমির সাইদুর রহমানের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদের নাকি এক বৈঠক হয়। সাইদুর জানান, তখন মুজাহিদ তাঁকে বলেছিলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সময় আমাদের কোনো সমন্বয় ছিল না। এটা আমাদের অনেক বড় ভুল হয়েছে। এরই খেসারত দিতে হচ্ছে এখন। ওই সময় আমরা সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের হত্যা করতে পারলে এখন জামায়াতের বিপক্ষে কথা বলার মতো আওয়ামী লীগের কথিত কোনো বুদ্ধিজীবী থাকত না। আত্দসমর্পণের ঠিক আগে যখন নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদীদের প্রভু পাকিস্তান সেনাবাহিনী পালিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করছে, সেই সময় জামায়াত ও তার খুনি বাহিনী রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকারই কথা। তবুও তারা অসমন্বিত অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বরের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায়। সমন্বয় থাকলে আরো কত বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে প্রাণ দিতে হতো, সে কথা মনে করলে গা শিউরে ওঠে। স্বাধীনতার পরও খুনি বাহিনীর খুনের নেশা দূর হয়নি। প্রমাণ জহির রায়হানের অন্তর্ধান। তাদের রক্তের নেশা যে এখনো শেষ হয়নি, তারও প্রমাণ পাওয়া যায় মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সময়। ডিটেকটিভ অফিসার সাইদুর ও সাঈদীর কাছে ড. হুমায়ুন আজাদের হত্যার ব্যাপারে জানতে চান। তখন সাইদুর বলেন যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সে হত্যা-চেষ্টায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। রিমান্ডে মুখোমুখির যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তাতে প্রমাণ হয় যে এ দেশে বোমাবাজিসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা ছিল। অবশ্য এ সবই অস্বীকার করেন তিন জামায়াত নেতা।
    চার. সবচেয়ে বড় কথা, ১৯৭১ সালে এ দেশের মানুষ দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে এক রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। সে যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষ অবলম্বন করেছিল জামায়াত, মুসলিম লীগসহ বিভিন্ন নামের ‘ইসলামী’ দল। জামায়াত সৃষ্টি করেছিল রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনী। তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সব কুকর্মে সহায়তা করেছিল। মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। শেখ মুজিবের হত্যার পর তাদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়। এটা স্বাভাবিক, যারা তাদের পুনর্বাসন করেছে, তাদের কাছে সেই খুনিদের বিচার আশা করা যায় না। তারা তা করেওনি। রাজাকার-জামায়াতিদের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার ৪০ বছরের মধ্যে ২৫ বছর তাঁরাই ক্ষমতায় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরিচালক আওয়ামী লীগ পঁচাত্তরের পর মাত্র দুবার ক্ষমতায় এসেছে। তারা চেষ্টা করেছে_এখনো করছে, সেসব ঘাতকের বিচার সম্পন্ন করার। শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের খুনিদের বিচার করা যাবে না বলে সংসদে আইন পাস করেছিলেন সে হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ প্রথমবার ক্ষমতায় এসে সংসদে সে আইন বাতিল করে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার সম্পন্ন করে। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে তাঁরা আবার ক্ষমতায় আসেন এবং সে বিচারের রায় কার্যকর করা থেকে বিরত থাকেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সে রায় কার্যকর করে। তাই দেশবাসী অধীর আগ্রহে চেয়ে আছে কবে ওইসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার সমাপ্ত হবে এবং বিচারের রায় কার্যকর হবে।
    পাঁচ. জামায়াত ও জেএমবির চার নেতার ‘রিমান্ডে মুখোমুখি’ জিজ্ঞাসাবাদে অনেক খবর বেরিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে সচেতন মহল অনেক কিছু সম্পর্কেই জ্ঞাত হয়েছে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে আসছে সাপ। আমার মনে হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল ওই মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ থেকে যথেষ্ট খোরাক পাবে। ওই জিজ্ঞাসাবাদের পথ ধরে অগ্রসর হলে দেশবাসীর বিশ্বাস, সে বিচারের পথ সুগম হবে।
    লেখক : শিক্ষাবিদ

    ঠিক মনে পড়ছে না, কোথায় যেন পড়েছিলাম, গোলাম আজম বলেছিলেন, যুদ্ধের সময় আর একমাস বাড়াতে পারলে কোনো বুদ্ধিজীবিকে আর বেঁচে থাকতে হত না।

  23. মাসুদ করিম - ২০ জুলাই ২০১০ (২:২৫ অপরাহ্ণ)

    Four desposit boxes were prised open. Inside were manuscripts, drawings and letters from the Czech writer that had been locked away for more than 50 years, as Kafka experts around the world waited with baited breath. But the expectant Kafka enthusiasts, historians and critics will have to wait longer, after two Israeli sisters who insist they own the papers by inheritance from their mother banned all reporting of the boxes’ contents.

    They were opened on the orders of Talia Koppelman, a judge from the Tel Aviv family court. Last week he also ordered the opening of six safety deposit boxes in Israeli banks containing other Kafka works.

    Today’s unlocking at Zurich’s UBS bank of safes sealed since 1956 was attended by lawyers representing, on one side, Eve and Ruth Hoffe and the German literature archive, and, on the other, the state of Israel and its national library.

    A literature professor who is an authority on Kafka, Itta Shedletzky, was also present and will compile an inventory of the contents of the boxes.

    কাফকার লেখায় ভরা এই সিন্দুকগুলো আলোর মুখ দেখার আগে, ‘কাফকায়েস্ক’ আইনি ও আমলাতান্ত্রিক এবং আন্তর্জাতিক জটিলতার সম্মুখীন হয়েছে। আমরা পাঠকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি : কখন আমাদের কাফকা পাঠ সম্পন্ন হবে এই আশায়।

    এখানে বিস্তারিত : Fate of Franz Kafka’s literary heritage turns into nightmare ruled on by judge এবং The bitter legacy of Franz Kafka

  24. মাসুদ করিম - ২০ জুলাই ২০১০ (৭:০৯ অপরাহ্ণ)

    ৭২-এর সংবিধানে ফিরলে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে: জামায়াত কেন হবে? কারণ জামাত ও তার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা করার জন্য মুখিয়ে আছে, তাই হবে। আর ৪০ বছর আগে কি বেশি আগে,নতুন ভারপ্রাপ্ত জামাত নেতার প্রথম তেজী উপস্থিতি

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন আর পেছনে যাওয়ার সুযোগ নেই।
    জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতার মুক্তির জন্য জনমত গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মকবুল আহমাদ এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বড় মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা চিকিত্সকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
    অনুষ্ঠানে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, সরকার প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। তারা রাজনীতির ময়দান থেকে ইসলামি শক্তিকে উচ্ছেদ করতে চায়। এ জন্যই এই বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মকবুল আহমাদ বলেন, পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে চায় সরকার। এটা করা হলে দেশে সব ইসলামি দল রাজনীতি করার অধিকার হারাবে। বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো দেশে ইসলামি দল আছে। আপনি কোন সাহসে বাংলাদেশে ইসলামি দল নিষিদ্ধ করবেন?’
    সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সরকার যে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি করতে চায়, সেখানে জামায়াতকে রাখেনি। এ বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘তারা সর্বদলীয় সংসদীয় দল করবে, অথচ জামায়াতকে রাখবে না। সংসদে জামায়াতের দুজন সদস্য আছে। তারা কি সংসদ সদস্য নয়? এর মধ্যে কী গণতন্ত্র আছে?’
    একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ৪০ বছরের আগের মামলার জন্য রিমান্ড চাচ্ছেন (মিরপুর গণহত্যা মামলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে), অথচ এখন কার হাতে কুড়াল, চাপাতি আছে—তা দেখছেন না?…যারা নগদ মারা যাচ্ছে, তাদের খবর নাই, ৪০ বছর আগে কারা মারা গেছে, তাদের নিয়ে এখন মামলা হচ্ছে।’

    সংবিধান জামাতের ফতোয়া নয় বা সৌদি শরিয়া নয় যে, জামাত যাই বলবে তাই হবে।
    খবরের লিন্ক এখানে

  25. মাসুদ করিম - ২০ জুলাই ২০১০ (১১:১২ অপরাহ্ণ)

    This summer, the Neue Galerie in New York is offering the first large-scale American exhibition of the gleefully provocative German painter Otto Dix (1891–1969)—providing a rare opportunity, as New York Review contributor Sanford Schwartz says, “to appreciate an artist who could almost be our contemporary.” Here are a selection of images from the show, together with comments taken from Schwartz’s piece on Dix, which will appear in the Review‘s August 19 issue. The exhibition closes August 30.

    এখানে দেখুন শিল্পীর কয়েকটি চিত্রকর্ম

  26. মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০১০ (১:৪৫ পূর্বাহ্ণ)

    বুধবারের কালের কণ্ঠে ছাপা হয়েছে : যুদ্ধাপরাধের বিচার ওয়ার ক্রাইম স্ট্র্যাটেজি ফোরামের চলমান যুদ্ধ। লিখেছেন আবদুল্লাহ আল ইমরান। লিন্ক এখানে

    যাঁদের নিয়ে এ কোয়ালিশন
    স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে ডঝঈঋ। পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছেন তাঁরা। এখানে রয়েছেন ছাত্র, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ নানা পেশার মানুষ। ১৯৭১-এর সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানো মানুষও রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকের তালিকায়। এখন পর্যন্ত ডঈঝঋ-এর সঙ্গে বেশ কিছু সংগঠন যুক্ত হয়েছে। সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া সেই সংগঠনগুলোর মধ্যে মুক্তাঙ্গন, জেনোসাইড আর্কাইভ অনলাইন, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, আমার ব্লগ, সচলায়তন, সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড রিসার্চ, নিউজ বাংলা, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ অ্যান্ড ট্রায়াল অব ওয়ার ক্রিমিনালস অব ১৯৭১, মুক্তমনা, বাংলাদেশ সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, লন্ডন ল’ইয়ার্স ফোরাম, ই-বাংলাদেশ অন্যতম।
    উলি্লখিত প্লাটফর্মগুলো ছাড়াও বর্তমানে আরো সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যেগুলো অচিরেই এ উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত হবে বলে জানালেন ফোরামের উদ্যোক্তারা।

    এগিয়ে আসুন আপনিও
    যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা নিয়ে ডঝঈঋ-এর এত আয়োজন দেখে অনেকেই হয়তো জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে নিজেকে জড়াতে চাইবেন। রয়েছে সেই সুযোগ। ফোরামের সঙ্গে জড়িত একজন স্বেচ্ছাসেবী বললেন, ‘আমাদের কার্যক্রম, আদর্শ ও উদ্দেশ্য দেখে কেউ যদি মনে করেন আমাদের যেকোনো একটি প্রজেক্টে তিনি অবদান রাখতে পারবেন, তাহলে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক হতে কোনো বাধা নেই।’ নিজের মূল্যবান সময় কিংবা কোনো বিশেষ দক্ষতা (যেমন_প্রকল্প ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, অনুসন্ধানী দক্ষতা, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি) থাকলে তা দিয়েও এই ফোরামকে সাহায্য করতে পারেন যে কেউ। কারো কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে কারিগরি বা পেশাদার জ্ঞান (যেমন_আইন, হিসাবরক্ষণ, ফরেনসিক আর্কিওলজি, প্রোগ্রামিং, ডাটাবেজ ব্যবস্থাপনা, ওয়েব ডিজাইনিং, কম্পিউটার সিকিউরিটি) থাকলে তা নিয়েও এগিয়ে আসতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার জন্য। আপনি যদি আইনজীবী হন অথবা সাংবাদিক, কূটনীতিক, ইতিহাসবিদ, সমাজতাত্তি্বক_তাহলেও ডঝঈঋ-এর এমন একাধিক প্রকল্প রয়েছে, যেখানে আপনি যুক্ত হয়ে সহায়তা করতে পারেন বিচারকাজে। লেখা কিংবা সম্পাদনার কাজে দক্ষতা থাকলে সে সাহায্যও ফোরামের দরকার বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। বাংলা ভাষার বাইরে অন্য কোনো ভাষায় (যেমন_ইংরেজি, উর্দু) দখল থাকলে তাও তাদের সাহায্যে আসবে। ভালো বক্তা কিংবা তার্কিকরাও তাঁদের মেধা দিয়ে সংগঠনের প্রচারকাজে সাহায্য করতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত কোনো বিশেষ দলিল, বিশেষ বই, নিবন্ধ কিংবা কোনো বিশেষ তথ্যপ্রমাণের সন্ধান দিয়ে যে কেউ সাহায্য করতে পারেন এ অগ্রযাত্রায়। বর্ষীয়ান প্রজন্মের মানুষদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৯৭১-এ তাঁর বা তাঁদের এলাকার বয়ান লিপিবদ্ধ করে পাঠালেও এ কার্যক্রমের অংশীদার হওয়া যাবে।
    শুধু ব্যক্তিগতই নয়, সাহায্য করতে পারবেন দলগতভাবেও। আপনার কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান কিংবা প্লাটফর্ম থাকলে এর মাধ্যমেও আপনি এ কোয়ালিশনের একজন সাংগঠনিক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হতে পারেন।

  27. মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০১০ (৪:৫০ অপরাহ্ণ)

    “I look back at those days in Paris as the happiest in my life. I discovered you could live frugally with very little and it didn’t affect whether or not you were happy. All the worries people have about the rent, or the income tax, or insurance, had gone. Youth, of course, sees the world in different eyes. I am old, I can’t see it the way they see it. But there are ways of existing quite cheaply.”

    ফটোগ্রাফার হ্যারল্ড চ্যাপম্যানের কথাগুলো যে কী খাঁটি! এই ত্রিশের লেজেই তা টের পাচ্ছি।

    পড়ুন এখানেএখানে

  28. মাসুদ করিম - ২১ জুলাই ২০১০ (৭:১৫ অপরাহ্ণ)

    Photographer Siegfried Wittenburg angered officials in East Germany during the 1980s with his pictures showing the drabness of everyday life under communism. He has told SPIEGEL ONLINE what compelled him to take the photos that the local cultural association refused to exhibit at the time.

    “Take a picture of that,” my inner voice told me as I gazed out of the window of our new apartment onto the newly-built Lichtenhagen housing estate in Rostock. “It’s so crazy you’ve got to record it! Now!” I pressed the shutter release.

    Shortly before that, in early 1981, I had joined the local photography club of the state-owned shipbuilding enterprise VEB Warnowwerft Warnemünde. It was preparing an exhibition of photos of the city of Rostock, and the other club members wanted to know if I had anything to contribute. I had the idea of photographing typical scenes I came across on my daily trip to work.

    I developed and printed the photos in my bathroom. I was pleased with the results and showed them to my mother-in-law. “For heaven’s sake,” she said. “Do you want to ruin your life?” I didn’t understand what she was talking about.

    So I submitted the photos and was immediately invited to the opening of the exhibition. I was unknown as a photographer and was astonished when the local district head of the cultural association came rushing up as soon as I had given my name. “Herr Wittenburg, Herr Wittenburg, we spent a lot of time discussing your pictures…” I was about to feel flattered when she went on: “whether they can be published or not.”

    ‘Critical Stance’

    That’s when I understood. My photos had deeply divided the communist comrades in their view of the socialist reality. While some of the exhibition visitors agreed that the muddy paths between the monumental concrete blocks closely resembled their own commute to work, others suspected that the photos of puddles amounted to inadmissible criticism of the lack of streets and pavements.

    They saw my pictures as dragging socialist architectural achievements through the mud. In the years that followed I often encountered such opposing attitudes to my photos.

    Later on, after the fall of the Berlin Wall, I read in the file the Stasi secret police had kept on me that a boss of mine at work was suspicious of my hobby. “Wittenburg appears to be trying to show his critical stance with certain photos (portrayal of unattractive views in newly built estates) but no general conclusion can be made,” he reported.

    That was lucky for me. Rebellious intentions could usually be detected from texts, but it was harder to be sure when it came to photos.

    Additional photos from Siegfried Wittenburg can be seen at the Museum Falkensee outside of Berlin until Sept. 26, 2010. The exhibition — “Grüsse aus der DDR” — will then move to the Stadtbibliothek in Bremen for the first 10 days of October.

    এই রকম ছবি আরো অনেক দেখেছি, যখনই দেখেছি মনটা অনেকক্ষণ আর হালকা হয়নি, জানি না কেন এমন হয়, খুব খারাপ লাগে। দেখুন এখানে পূর্ব-জার্মানির নিষিদ্ধ ছবি : স্পিগেল-এ স্লাইড শোতে

  29. মাসুদ করিম - ২২ জুলাই ২০১০ (৪:৪৩ অপরাহ্ণ)

    ৮০০ হলোই, না হলে খুবই দুঃখ পেতাম। মুত্তিয়া মুরালিধরন অসাধারণ শ্রী লন্কান আর কোনো টেস্ট খেলবেন না। বিদায়, টেস্ট ক্রিকেটের একজন মাপের চেয়ে বড় খেলোয়াড়ের খেলা আর দেখা যাবে না। আর ওই হাস্যোজ্জ্বল মানবিক মুখ, বিরল।

  30. মাসুদ করিম - ২৩ জুলাই ২০১০ (৮:৩৪ অপরাহ্ণ)

    মালদ্বীপ ডুববে না। এখানে স্লাইডশো। মূল আর্টিকেল এখানে, এখানেএখানে

  31. মাসুদ করিম - ২৩ জুলাই ২০১০ (৮:৪৯ অপরাহ্ণ)

    রামচন্দ্র গুহ তার কলকাতায় কাটানো জীবন নিয়ে এখনো জড়িত। এবছর জুনে তার প্রিয় শিক্ষক অঞ্জন ঘোষের মৃত্যুতে অসীম শ্রদ্ধায় লিখেছেন

    Among the gifts Anjan bestowed on me was an introduction to the charmed circle of intellectuals that hung around the journal, Frontier, then edited by the lapsed poet and lapsed Marxist, Samar Sen. From the IIM campus in Joka, I made a weekly journey to the Frontier office in central Calcutta, where Samarbabu and his devoted assistant, Timir Basu, discussed the contents of the forthcoming issue and allocated tasks to each of us. Intellectuals are a selfish, solitary species; this, on the other hand, was an exercise in collective, collaborative, work that enriched all those who participated in it.

    Many left-wing intellectuals take great pride in their social commitments, but their words generally speak louder than their actions. Not Anjan Ghosh. Aside from his involvement with Frontier, Anjan was also active in the film society movement, and in the human rights movement. He had a close association with the People’s Union for Democratic Rights, based in Delhi, and with the Association for the Protection of Democratic Rights, based in Calcutta. His work outside academics was undertaken with a characteristic lack of fuss, and with no self-advertisement whatsoever.

    পুরো পড়ুন এখানে

  32. মাসুদ করিম - ২৫ জুলাই ২০১০ (১০:৪০ পূর্বাহ্ণ)

    আসছে ৩১ জুলাই মোহাম্মদ রফির ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। লতা স্মরণ করছেন এই অবিসংবাদিত শিল্পীকে।

    Suhani raat dhal chuki in “Dulari”, tuned by Naushad saab, made him a household name in the late 1940s.Since then there was no looking back for Mohd. Rafi.He went from strength to strength as a singer never conscious of his amazing abilities. While raising his voice to the highest octave for O Duniya Ke Rakhwale in “Baiju Bawra”, he was so involved that he was not even aware that his vocal chord was disturbed and blood oozed out. Naushad saab had to compel his musicians and the sound recordist to stop the recording with immediate effect.

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  33. মাসুদ করিম - ২৬ জুলাই ২০১০ (৩:৫৮ অপরাহ্ণ)

    আফগান যুদ্ধের লগ বই ফুটো করে দিয়েছে ‘Wikileak’, জার্মান পত্রিকা ‘স্পিগেল’-এর রিপোর্ট এখানে এখানে

    A total of 91,731 reports from United States military databanks relating to the war in Afghanistan are to be made publicly available on the Internet. Never before has it been possible to compare the reality on the battlefield in such a detailed manner with what the US Army propaganda machinery is propagating. WikiLeaks plans to post the documents, most of which are classified, on its website.

    Britain’s Guardian newspaper, the New York Times and SPIEGEL have all vetted the material and compared the data with independent reports. All three media sources have concluded that the documents are authentic and provide an unvarnished image of the war in Afghanistan — from the perspective of the soldiers who are fighting it.

    The reports, from troops engaged in the ongoing combat, were tersely summarized and quickly dispatched. For the most part, they originate from sergeants — but some have been penned by the occasional lieutenant at a command post or ranking analysts with the military intelligence service.

    আর এখানে ফটোস্লাইডশো

  34. মাসুদ করিম - ২৬ জুলাই ২০১০ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)

    জার্মান প্রেমমিছিলে বিপর্যয় : পড়ুন এখানে, দেখুন এখানে

  35. মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (২:২৮ পূর্বাহ্ণ)

    রোজা আসছে আমরা তো এক মাসের জন্য খাবার দোকান বন্ধ করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছি। কী বিকট ইসলাম।

    ‘Those who fast are better Muslims!’ she retorted.
    ‘That should be akin to being a good human being also?’ I asked.

    ‘How can you be a good human being when you do not respect someone’s religious beliefs by eating in public during Ramazan?’ She said.

    ‘I am not telling anyone not to fast, for heaven’s sake!’
    ‘Why don’t you?’ She said, sarcastically. ‘That should also be allowed.’

    ‘I find restricting people from eating during Ramazan through a law is an irrational act that only encourages intolerance and self-righteousness!’

    ‘And how is that?’

    ‘Well,’ I said, ‘every year, during Ramazan, Urdu papers are full of stories as to how someone who was caught eating in public was brutally beaten by a mob!’

    ‘Then you too will be beaten with slippers if you do not respect the sanctity of Ramazan,’ she said, mockingly.
    ‘Then you’re okay with that?’ I asked.

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  36. মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (২:৩৭ পূর্বাহ্ণ)

    Duch, 67, had faced a maximum sentence of life in prison, and many victims and their relatives watching the verdict were angry that his sentence was not more severe. Some of them broke down in tears.
    “I can’t accept this,” said Saodi Ouch, 46, echoing what many Cambodians would see as a light sentence. She was weeping so hard she could hardly talk. “My family died … my older sister, my older brother. I’m the only one left.”

    An estimated 1.7 million Cambodians died from starvation, medical neglect, slave-like working conditions and execution under the Maoist regime that sought to turn the country into an agrarian utopia from 1975-79. Their bodies

    were dumped in shallow mass graves that still dot the countryside.

    ৩০ বছরের জেল অনেকের পছন্দ হয়নি। তারা কমরেড ডুকের আরো কঠিন শাস্তি চেয়েছিল। পুরো খবর পড়ুন এখানে

    • মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (১০:২১ পূর্বাহ্ণ)

      কিন্তু ৩৫ বছরের জেল, ৩০ হয়েছিল, আর এখন ১৯ বছর হয়ে গেল।

      He was sentenced to 35 years in prison, but will spend only 19 in jail — 11 years were shaved off for time served and another five for illegal detention in a military prison.

      ১৬০০০ মৃত্যুর জন্য ১৯ বছর কেউই খুশি নয়।
      As commander of the top secret Tuol Sleng prison — code-named S-21 — the 67-year-old Duch admitted to overseeing the torture and deaths of as many as 16,000 people.

      খবরের লিন্ক এখানে

      আমাদের ট্রাইবুনাল নিয়ে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।

  37. মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    When Than Shwe meets Indian Prime Minister Manmohan Singh at Hyderabad House in Delhi, there will be no press conference, not even a sound byte. Silence will be guaranteed.

    বার্মিজ জান্তা দলের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই আয়োজন। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  38. মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (৪:৩১ অপরাহ্ণ)

    সাকার ডুবো তেলে কি শেখ হাসিনাকে ভাজা যাবে? আবোলতাবোল বকবকের সাথে যে পরিমাণ তেল দিচ্ছেন শেখ হাসিনাকে, সম্প্রতি যেমন মরণোত্তর তেলে নিজামীরা ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন শেখ মুজিবকে, এখন কত দ্রুত এই ‘গালবিশারদ’ যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা যায় আমরা আছি সেই অপেক্ষায়। তার অহেতুক বকবক বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  39. মাসুদ করিম - ২৭ জুলাই ২০১০ (৪:৪৫ অপরাহ্ণ)

    এবারের খরা গতবারের চেয়েও বেশি বিপর্যয় সৃষ্টি করবে মনে হচ্ছে, এরমধ্যেই পানির অভাবে চাষীরা পাট জাগ দিতে পারছে না, ২/১ সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে পাটের প্রচুর ফলন সম্পূর্ণ মাঠে মারা যাবে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  40. মাসুদ করিম - ২৮ জুলাই ২০১০ (২:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    একটি রিপোর্ট, কারো হয়তো কাজে লাগতে পারে : Our Bodies Are Still Trembling: Haitian Women’s Fight Against Rape

  41. মাসুদ করিম - ২৮ জুলাই ২০১০ (৩:৪৭ অপরাহ্ণ)

    ভারতের সাথে বাংলাদেশের ৩৫ বছর মেয়াদী ‘বিদ্যুৎশক্তি’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল। ২০১২-এর মধ্যে বাংলাদেশ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। এই ৩৫ বছর মেয়াদের ভেতর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হলে বাংলাদেশও ভারতকে বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে।

    Press Trust of India
    DHAKA, 27 JULY: Energy-starved Bangladesh has inked a landmark 35-year power transmission deal with India for import of 250 megawatt electricity.
    The import of power is expected to start by late 2012.
    The state-run Bangladesh Power Development Board (BPDB) yesterday signed the deal with Power Grid Corporation of India Ltd (PGCIL) at a ceremony here.
    The agreement keeps the provision for Bangladesh to export power to India in the future while PGCIL was tasked to construct, own, operate and maintain a 400-KV double-circuit line to exchange 500-MW power between the two neighbouring countries soon after the system is launched.
    “It’s (agreement) a small step but a greater thought in regional cooperation through which the South Asian countries will immensely benefit,” Bangladesh’s finance minister, Mr Abul Maal Abdul Muhith said after the signing ceremony.
    According to the agreement, the transmission tariff will be fixed later by the Energy Regulatory Commission of West Bengal while BPDB will pay the transmission tariff on a monthly basis.

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  42. মাসুদ করিম - ২৯ জুলাই ২০১০ (৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

    কাজে দেরীতে আসায় মৃত্যু

    Dead for being late.

    She was said to have arrived ten minutes late. She was severely rebuked. Later her dead body was found. Her body having fallen from the rooftop of the Vertex Garments where she worked. The minimum wage for a garment worker remains around US $ 24 per month.
    A female RMG worker, Kamrunnahar Beauty 19, fell from the roof of the Vertex Garments Limited and died at Mirpur around 10am on Friday. RMG workers from different garments factories barricaded roads in this area to protest the death of Beauty and engaged into clash with police when the police tried to stop the workers to bring the situation under control. According to the workers of Vertex Garments Limited, the authority of the factory misbehaved with Beauty severely as she came lately in the factory which led her to commit suicide. They also said that it was not sure whether she committed suicide or the factory officials push her off the roof of the factory. Dhaka, Bangladesh. July 23, 2010. Photo Taslima Akhter/DrikNews

    মৃত কামরুন্নাহার বিউটির ছবি এখানে

    আগ্রহীরা সবসময় দৃকের শহীদুল আলমের ব্লগ ‘শহীদুলনিউজ‘ দেখতে পারেন। খবর ও ছবির অফুরন্ত সম্ভার।

  43. মাসুদ করিম - ২৯ জুলাই ২০১০ (১০:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম গীতিকার শ্যামল গুপ্ত বুধবার ২৮ জুলাই দক্ষিণ কলকাতায় তার নিজ বাসভবনে ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। পুরো খবর এখানে

  44. মাসুদ করিম - ২৯ জুলাই ২০১০ (১০:২৫ পূর্বাহ্ণ)

    সবচেয়ে বয়সী টুইটার ব্যবহারকারী আইভি বিন ১০৪ বছর বয়সে মারা গেলেন। পড়ুন এখানে

  45. রায়হান রশিদ - ৩০ জুলাই ২০১০ (৫:৩৯ অপরাহ্ণ)

    আ কিউরিয়াস কেইস অভ শার্লে শ্যারড
    লিখেছেন: এস এম মাহবুব মুর্শেদ

  46. মাসুদ করিম - ৩০ জুলাই ২০১০ (১০:৫৭ অপরাহ্ণ)

    জননেতা নুরুল ইসলামকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের স্মরণ।

    ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর নূরুল ইসলামের ফ্ল্যাটে যে আগুন লাগে, তার দুটি কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের দু-এক কর্তাব্যক্তিকে উল্লেখ করতে দেখেছি (দেখেছি, অর্থাৎ টিভি চ্যানেলে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে)। এর একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট এবং অন্যটি একটি ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরণ। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কয়েকজন পরিদর্শক একসময় শর্টসার্কিটের পক্ষে অবস্থান নেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁরা জানান, ফ্রিজ ও টেবিল ল্যাম্পের জন্য ব্যবহূত মাল্টিপ্লাগ এক্সটেনশন কর্ডটি তাঁরা ভস্মীভূত অবস্থায় দেখেন, কাজেই তাঁদের ধারণা এই মাল্টিপ্লাগ থেকে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগতে পারে। অবশ্য অগ্নিকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর এই পরিদর্শক দলটিই জানাচ্ছে, ফ্ল্যাটের মেইন সার্কিট ব্রেকারটি ও দুটি সিঙ্গেল সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ অর্থাৎ বন্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিজের সকেট পয়েন্টের ভেতর তার জ্বলা অবস্থায় পাওয়া গেলেও ভেতরের অংশের ইনসু্যুলেশন ও তার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। পরিদর্শক দলের মতামত ছিল, যেহেতু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে, সেহেতু বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে আগুন লাগার আশঙ্কা নেই। টিভি চ্যানেলগুলোর খবর যাঁরা শুনেছেন ও দেখেছেন, অথবা ওই ফ্ল্যাটে যাঁরা গেছেন তাঁরা জানেন, ফ্রিজের কম্প্রেসর বিস্ফোরণের প্রশ্নই আসে না, যেহেতু ফ্রিজটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল এবং কম্প্রেসরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগুনের তীব্রতা এমনই স্থানিক ছিল যে, সিলিংয়ের পাখার ব্লেড বেঁকে গেছে, অথচ সোফার ফোমের গদিতে সেই আগুনের আঁচ লাগেনি, এই আগুনের ঘটনা নিয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তাঁদের মতামত দিয়েছেন এবং তাতে নাশকতামূলক কোনো বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্যাপারে তাঁরা জোর দিয়েছেন। বিস্ফোরণটি ছিল তীব্র এবং তা থেকে প্রচুর ধোঁয়া নির্গত হয়েছিল। বিস্ফোরণের ঝাপটা যেদিকে গেছে, সেদিকটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে কোনো প্রভাব পড়েনি। নূরুল ইসলাম ও তমোহর মারা গেছেন বিষাক্ত ধোঁয়া এবং আগুনের তাপে।

    এই লেখার শুরুতে নূরুল ইসলামের রাজনৈতিক পরিচয়টিই তুলে ধরেছি, কিন্তু তিনি তো শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, ছিলেন সন্তান, স্বামী, পিতা, ভাই, বন্ধু। এই প্রতিটি পরিচয়ে তাঁর ছিল অসামান্য সফলতা। আমরা যারা তাঁর সান্নিধ্যে এসেছি, কাছ থেকে তাঁকে দেখেছি, তারা জানি, কী অসাধারণ সারল্য আর বিনয় ছিল মানুষটির, কী অসীম ধৈর্য এবং ভালোবাসা। একজন অগ্রজের স্নেহে অনেক দাবি তিনি অনেকের মেটাতেন, বিপদে-আপদে সঙ্গী হতেন। অথচ যখন তাঁর প্রয়োজন ছিল এক বা দুজন সঙ্গীর, ফ্ল্যাটের দরজাটা যারা ভাঙবে, বাইরে সজীব বাতাসে নিয়ে যাবে তাঁকে ও তমোহরকে, তখন কেউ ছিল না। হয়তো একটি জীবনেরই বড় একটি আয়রনি। কিন্তু নূরুল ইসলাম আজীবন মানুষের বিপদে সে রকম সঙ্গী হওয়ারই সাধনা করেছেন।
    তিনি বেঁচে থাকলে রাজনীতিতে কতখানি অবদান রাখতে পারতেন, সে অনুমানে যাব না—কেননা রাজনীতি আমাদের সুস্থ নয়। নূরুল ইসলাম নিজেও অসুস্থ রাজনীতির বলি। কিন্তু তিনি যে বিবেকের ও ন্যায়বোধের পক্ষে একজন শক্তি হয়েই থাকতেন, এ কথাটা নিশ্চিন্তভাবে বলা যায়।
    নূরুল ইসলামের স্মৃতি জেগে থাকবে যত দিন তাঁর বিশ্বাসের মানুষজন এই বাংলাদেশে থাকবে। তাঁকে আমার শ্রদ্ধা।

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  47. মাসুদ করিম - ৩১ জুলাই ২০১০ (৭:০১ অপরাহ্ণ)

    চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলি ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে কুলি পাচার : কী বিভৎস অভিযান, আহমেদ ছফার অগ্রন্থিত রচনা। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  48. মাসুদ করিম - ৩১ জুলাই ২০১০ (১০:১০ অপরাহ্ণ)

    আফসার আমেদ : হিরে ও ভিখারিনি সুন্দরী রমণী কিস্‌সা এবং অনিল ঘড়াই : অনন্ত দ্রাঘিমা — এবার এদুটি উপন্যাস পেয়েছে বাংলা ভাষায় লেখা উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার ‘বঙ্কিম পুরস্কার’।

    আজকালের প্রতিবেদন : এবছর বঙ্কিম পুরস্কার যুগ্মভাবে পাচ্ছেন আফসার আমেদ ও অনিল ঘড়াই। আফসার আমেদের উপন্যাস ‘হিরে ও ভিখারিনি সুন্দরী রমণী কিস্‌সা’ এবং অনিল ঘড়াইয়ের ‘অনন্ত দ্রাঘিমা’ উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৭ আগস্ট সন্ধে সাড়ে ৬টায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে এই পুরস্কার অর্পণ করা হবে। পুরস্কার তুলে দেবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দুটো বইয়েরই প্রকাশক দে’জ পাবলিশিং।

    লিন্ক এখানে

  49. Pingback: মুক্তাঙ্গন | প্রমতি | মাসুদ করিম

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.