নষ্টবীজের দল যতই আড়ি পাতুক, যতই হুমকি দিক, আস্ফালন করুন - কোনো লাভ নেই। [..]

দেশটা কি মগের মুল্লুক হয়ে গেল? ১৯৭১ এর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা আজকে বিচারপতিদের বাসায় আড়িপাতা যন্ত্র বসায়, ইমেইল একাউন্ট হ্যাক করে তথ্য চুরি করে, তারপর সেটা আবার দম্ভ ভরে প্রচার করে! তার মানে বাকি বিচারপতিদের প্রত্যেকের, প্রসিকিউটর প্রত্যেকের, তদন্ত অফিসারদের প্রত্যেকের আর রেজিস্ট্রারের সাথেও যে এই নষ্টবীজের দল একই কাজ করেনি তার গ্যারান্টি কি? এখন স্পষ্ট হচ্ছে - কেন সেফ-হাউসের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে যে সাক্ষীদের এনে রাখা হয়েছিল তারা কেন একের পর এক হঠাত ভয়ে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালো! কেন কিছু কিছু সাক্ষী হঠাত আসামী পক্ষের হয়ে যুধিষ্ঠিরী সাফাই গাইতে এতো উতলা হয়ে পড়লো! কেন একজন সাক্ষী হঠাত লাপাত্তা হয়ে গিয়েছিল! এভাবেই ট্রাইবুনালের গোপনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করে সেটা ব্যবহার করা হয়েছে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের কাজে, লোভ দেখানোর কাজে, কিনে নেয়ার কাজে! জাতি হিসেবে এখনই এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। এদের চিহ্নিত করুন, এদের প্রতিহত করুন। দিনের পর দিন আমরা এদের সহ্য করেছি, আর আমাদের এই সব সুশীল সহনশীলতা আর তত্ত্বালোচনার সুযোগ নিয়ে নষ্টবীজের দল বিস্তৃত থেকে বিস্তৃততর হয়েছে। ১৯৭১ এ যেভাবে বাঙালী একদিন যার যা আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজকের এই সময়ও কিন্তু তার থেকে আলাদা কিছু না। প্রশ্ন হল - আমরা সেটা অনুধাবন করছি তো? পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোণায় যতজন বিবেকবান বাঙ্গালী আছি - আমরা এই বিচার প্রক্রিয়ার পাশে ছিলাম, পাশে থাকবো, আমাদের সবটুকু সাধ্য দিয়ে, কিংবা প্রয়োজনে তার বাইরে গিয়ে হলেও এই প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবো, সফল করবো। কোনো ধরণের হুমকি, ব্ল্যাকমেইল বা বেআইনী আড়িপাতা দিয়ে আমাদের লক্ষ কোটি মানুষের বিচারের আর্তিকে থামাতে পারবে এমন শক্তি নেই। আমি, আমরা, এবং আমরা সকল সহযোদ্ধারা বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। নিজের যা আছে তার সবটুকু নিয়ে আমরা আছি, আমরা থাকবো, নষ্টবীজমুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। এই ষড়যন্ত্রের জড় উপড়ে না ফেলে, এর শেষ না দেখে আমরা কেউ বাড়ি ফিরছি না। নষ্টবীজের দল যতই আড়ি পাতুক, যতই হুমকি দিক, আস্ফালন করুন - কোনো লাভ নেই। [রায়হান রশিদ] লিন্ক এখানে ও এখানে।

বুঝলাম যে আইনি প্রক্রিয়া শুধু যথাযথভাবে এগুচ্ছে এমন নয়, একেবারে ‘আন্তর্জাতিক মান’ বলে যে বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ হইচই করছেন, সেরকম গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে। আমারদেশ পত্রিকার খবর অনুযায়ী কথোপকথনে অংশ নেয়া ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর ল’ইয়ার এবং ‘সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড স্টাডিজ ইন বেলজিয়াম’-এর পরিচালক। তিনি ব্রাসেলস ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে ড.জিয়াউদ্দিন কোনো দলের নেতা কিংবা কর্মী নন, একেবারে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী যার মূল এক্সপার্টিজ ও আগ্রহের জায়গা হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ। তিনি যদি আদৌ এরকম কথোপকথনে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি ট্রাইবুনালকে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং সঠিক মান অর্জনে সহায়তা করার উদ্দেশ্য থেকেই করেছেন- এজন্য তিনি সাধুবাদ প্রাপ্য। [...]

বিদেশের ইকোনমিস্ট আর দেশের আমারদেশ পত্রিকা সম্প্রতি একটি কথোপকথনের খবর জানিয়েছে আমাদের। আমারদেশ পত্রিকার প্রকাশিত খবর থেকে জানতে পারলাম যে পত্রিকা কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী এই কথোপকথনগুলো সংগঠিত হয়েছে ট্রাইবুনালের বিচারপতি নিজামুল হক (নাসিম) এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের মাঝে। তো, এমনিতে আমারদেশ পত্রিকাটি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই, পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিটি পরিষ্কারভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি সমর্থনসূচক, একথা সচেতন পাঠক মাত্রই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। সুতরাং এই পত্রিকায় প্রকাশিত খবর দেখলেই অনেকে পূর্ব ধারণার বশবর্তী হয়ে ধরেই নেন যে এটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ। কিন্তু এই খবরটির বেলায় এমনটি ধরে নেয়া সমীচীন হবে না। কথোপকথনটি প্রকাশিত হওয়ার পরে আমি ইন্টারনেট জগতে বেশ কয়েকটি ছোটবড় প্রতিক্রিয়া পড়লাম। অধিকাংশ জনই জোর দিয়েছেন এরকম কথোপকথন সংগ্রহ এবং প্রকাশের ব্যাপারে আইনি ও নৈতিক ব্যাপারগুলোর উপর। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চেষ্টায় তাদের লোকজন যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন গোটা বিশ্বজুড়ে, তাতে করে তারা বিচারপতির অফিস-গাড়ি-বেডরুম-বাথরুমে যে আড়ি পাতা যন্ত্র স্থাপন করে রাখতে পারে, এটা বাস্তবতা। তারা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের ব্যাপারে একেবারে নিখুঁত গবেষণা করছে এটাও ধরে নেয়া যেতে পারে। তাদের বিভিন্ন প্রভাব, হুমকি ধামকি কিংবা প্রলোভনে সাক্ষীদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টার জন্য তারা যতদূর সম্ভব ভেতরের তথ্য জানতে চেষ্টা করবে এবং যেহেতু তারা একটি অনৈতিক অশুভ শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে সুতরাং সেটি করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সুখময়কে গুম করবে কিংবা প্রয়োজনমতো আবার তাদের উকিলদের গাড়ি থেকে নামিয়ে গুমের নাটক করবে -এসব বিষয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এসব সাক্ষীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই যদি তারা কম্পিউটার হ্যাক করা থেকে শুরু করে ট্রাইবুনালের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের বিছানার নিচে আড়ি পেতে বসে থাকে, তাহলে চমকে ওঠার কিছু নেই। আইনিভাবে কীভাবে ট্রাইবুনাল সংশ্লিষ্টরা প্রটেকশন পেতে পারেন, সেটি নিশ্চয়ই অন্যরা বিবেচনা করবেন, আমি আজকের আলোচনায় সেদিকে যাব না। আমি বরং আমারদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত কথোপকথন থেকে যেসব বিষয় বুঝলাম, সেগুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করি। ১. প্রথমেই বুঝলাম যে আইনি প্রক্রিয়া শুধু যথাযথভাবে এগুচ্ছে এমন নয়, একেবারে ‘আন্তর্জাতিক মান’ বলে যে বিষয়টি নিয়ে একপক্ষ হইচই করছেন, সেরকম গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এগুচ্ছে। আমারদেশ পত্রিকার খবর অনুযায়ী কথোপকথনে অংশ নেয়া ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন হলেন ইন্টারন্যাশনাল…

বাঙালী মাত্রই বেঈমানদের সঙ্গে পরিচিত। মীরজাফরের বংশধরেরা একাত্তর থেকে রক্ত মেখে নিয়ে এখনো যে সক্রিয়, সে সকলেরই জানা। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কতদিন থেকে সক্রিয়? জামায়াতের হ্যাকাররা কতদিন থেকে হ্যাকিং করছে? এই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে পারছি না। কিন্তু এই সময় যে দীর্ঘ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের স্বাক্ষীরা কেন হঠাৎ করেই স্বাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, স্বাক্ষী/তাঁদের আপনজন কীভাবে হামলার স্বীকার হচ্ছিলেন সেটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে আমাদের কাছে। জামায়াত শিবিরের শ্বাপদেরা বিচারকদের কাছে থাকা স্বাক্ষী সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি করে তাঁদের প্রভাবিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে। এইজন্যেই এখন স্বাক্ষী নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে হুমকীর মুখে। রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোও এখন স্পষ্ট। [...]

আমার অভাগা মাতৃভূমি কীভাবে এগোচ্ছে? নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের একজন বিচারককে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞ-কর্মীদের বাহিনী প্রয়োজন হয়। বাহিনী তো দূরে, তার ক্ষুদ্র একটা ভাগও আমরা সেটা দিতে পারিনি। তাছাড়া এই প্রক্রিয়া এইদেশে প্রথম। বিচারও হচ্ছে একটি নতুন আইনে। বিচারকরা তাঁদের কাজের স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য এবং পুরো প্রক্রিয়াটি ঠিকভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্যেই বিশেষজ্ঞ-অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। বিচার কার্য বিষয়ে একজন বিচারকের তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টি নিয়ে যাঁরা জানেন না তাঁদের জানিয়ে রাখি, পরামর্শ নেয়ার এই বিষয়টি বেআইনি নয়, নতুন কিছুও নয়। এটি সহজ এবং স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন একজন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ। বিচারকরা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে অথবা অন্য কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। এতে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়না। এই প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বুদ্ধিমত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়! সমস্যা হচ্ছে, বিচারকের কাছ থেকে তথ্য চুরির সঙ্গে আরো অনেক প্রসঙ্গ জড়িত। বাঙালী মাত্রই বেঈমানদের সঙ্গে পরিচিত। মীরজাফরের বংশধরেরা একাত্তর থেকে রক্ত মেখে নিয়ে এখনো যে সক্রিয়, সে সকলেরই জানা। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কতদিন থেকে সক্রিয়? জামায়াতের হ্যাকাররা কতদিন থেকে হ্যাকিং করছে? এই প্রশ্নের জবাব এখনই দিতে পারছি না। কিন্তু এই সময় যে দীর্ঘ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের স্বাক্ষীরা কেন হঠাৎ করেই স্বাক্ষী দিতে ভয় পাচ্ছিলেন, স্বাক্ষী/তাঁদের আপনজন কীভাবে হামলার স্বীকার হচ্ছিলেন সেটি এখন স্পষ্ট হচ্ছে আমাদের কাছে। জামায়াত শিবিরের শ্বাপদেরা বিচারকদের কাছে থাকা স্বাক্ষী সম্পর্কিত অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য চুরি করে তাঁদের প্রভাবিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে। এইজন্যেই এখন স্বাক্ষী নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে হুমকীর মুখে। রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী উধাও হয়ে যাওয়ার পেছনের কারণগুলোও এখন স্পষ্ট। দেশ নিয়ে যুদ্ধাপরাধী চক্র কি খেলায় মেতে উঠেছে বুঝতে বিস্তারিত পড়ুন এখানে। ['সচলায়তন'এ প্রকাশিত অনার্য সঙ্গীত এর ব্লগ থেকে]

বিশ্বে এই ধরণের বিচার যখনই হয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ে কাজ করে এবং যার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অপরিসীম, তখনই বিচারকেরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সোর্স থেকে সাহায্য নিয়েছেন, নিয়ে থাকেন। এর জন্য নিয়োজিত থাকে গবেষক টিম, কপি এডিটর, প্রুফ রিডার, নিয়োজিত ইন্টার্নদের একটি টিম। একটি বিশাল ওয়ার্কফোর্স কাজ করে এরকম একটি বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে। বাংলাদেশে সেটি হয়নি নানা জটিলতায় - আমাদের দেশটি দরিদ্র, আমাদের ভেতরে বাইরে শত্রু অসংখ্য, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা প্রচুর। আমাদের সামর্থ্য হয়নি এটি করার জন্য, আবার সে কারণে সমালোচকরাও বসে থাকেননা। সেই অবস্থায় এই কাজটি বিনে পয়সায় করে দিতে এগিয়ে এসেছেন কয়েকজন মানুষ। তারা কী করেছেন? গবেষণা, ড্রাফটিং আর এডিটিং সহায়তাটুকু দিয়েছেন। সেটিও করেছেন বিচারকের অনুরোধে, বিচারকের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা অনুসারে। [...]

বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা। মূল ঘটনাটুকু এই কয়দিনে সবাই জেনে গেছেন মনে হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সাথে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপ কথোপকথনের একটি রেকর্ড ইকোনমিস্টের হাতে এসেছে। আরো এসেছে নিজামুল হক নাসিমের ইমেইল একাউন্টের তথ্য। এই কথোপকথনে নাকি ট্রাইবুনাল সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য রয়েছে, সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াটিই যে একটি সাজানো ব্যাপার স্যাপার এমন সব প্রমাণ রয়েছে। সংক্ষেপে এই হলো ঘটনা। প্রথমত, বিশ্বে এই ধরণের বিচার যখনই হয়েছে, যেটি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধ নিয়ে কাজ করে এবং যার আন্তর্জাতিক গুরুত্ব অপরিসীম, তখনই বিচারকেরা বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সোর্স থেকে সাহায্য নিয়েছেন, নিয়ে থাকেন। এর জন্য নিয়োজিত থাকে গবেষক টিম, কপি এডিটর, প্রুফ রিডার, নিয়োজিত ইন্টার্নদের একটি টিম। একটি বিশাল ওয়ার্কফোর্স কাজ করে এরকম একটি বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে। বাংলাদেশে সেটি হয়নি নানা জটিলতায় - আমাদের দেশটি দরিদ্র, আমাদের ভেতরে বাইরে শত্রু অসংখ্য, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জটিলতা প্রচুর। আমাদের সামর্থ্য হয়নি এটি করার জন্য, আবার সে কারণে সমালোচকরাও বসে থাকেননা। সেই অবস্থায় এই কাজটি বিনে পয়সায় করে দিতে এগিয়ে এসেছেন কয়েকজন মানুষ। তারা কী করেছেন? গবেষণা, ড্রাফটিং আর এডিটিং সহায়তাটুকু দিয়েছেন। সেটিও করেছেন বিচারকের অনুরোধে, বিচারকের বেঁধে দেয়া নির্দেশনা অনুসারে। দ্বিতীয়ত, আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে নিজামুল হক নাসিমের যে আলোচনা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক আলোচনা, আগ্রহী পাঠক উপরের লিঙ্কে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। আলোচনাগুলো হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে, কেমন অগ্রগতি হয়েছে, দেশের মানুষ এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং আগ্রহ কীরকম এইসব নিয়েই। এটি মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তৃতীয়ত, আমারদেশে যা এসেছে সেটি দু'জনের কথোপকথনের একটি অংশ। আমরা জানি না এই যে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির জাল এট কতদূর বিস্তৃত। একজন সম্মানিত বিচারপতির ব্যক্তিগত আলাপচারিতার গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, বেআইনীভাবে। যেহেতু ট্রাইবুনালের বিচারকের উপরেই সাক্ষীদের সুরক্ষার চূড়ান্ত বর্তায় যেহেতু এই পরিস্থিতিতে সাক্ষীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কতখানি সুরক্ষিত রয়েছে সেটিই এখন প্রশ্নের মুখোমুখি। বরং, এই প্রশ্ন করা যেতে…

এই বিচার, এই ট্রাইবুনাল আমি আজকে দিনের পর দিন দেখছি। এই বিচারের বিভিন্ন বিষয় আমি অত্যন্ত সুক্ষ্ণ ভাবে বুঝবার চেষ্টা করছি বিভিন্ন ভাবেই। আপনারা সকলেই জেনে থাকবেন এই বিচারকে বন্ধ করবার জন্য আজ তিনটা বছর এই জামাত, ডিফেন্স কাউন্সিল এরা কি পরিমাণ চেষ্টা করে গিয়েছে। সেই চেষ্টার অংশই হচ্ছে আজকের এই হ্যাকিং এর নোংরামি। আমি শীঘ্রই একটা বিশদ লেখা লিখব এই ট্রাইবুনালের পেছনের সকল ষড়যন্ত্র নিয়ে। একটা একটা করে মুখোশ খুলব। অনেক কথাই বলিনি এতদিন। অনেক কথাই গোপন রেখেছি। কিন্তু আজকে আর চুপ করে থাকার সময় নেই। আজকে দেখাবার সময় এসেছে যে, কি করে জামাতীরা প্রতিটি দিনি, প্রতিটি সপ্তাহে এই বিচারকে বাঁধা দেবার জন্য অর্থ ব্যয় করেছে, কাজ করেছে। আওয়ামীলীগের কত কাছের লোকও এই পুরো ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, দেশের কত নাম করা আইনজীবি, তাদের সাঙ্গ পাঙ্গ কিংবা তাদের মেয়ের জামাইদেরও এরা লেলিয়ে দিয়েছে এই বিচারের বিরুদ্ধে। মিলিয়ন মিলিয়ণ ডলারের এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন আমাদেরই করতে হবে। [...]

মাহমুদুর রহমানের "আমার দেশ" পত্রিকা আজকে ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এবং বিশ্বের অন্যতম খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ জনাব ডক্টর আহমেদ জিয়াউদ্দিনের একটি ব্যাক্তিগত স্কাইপির আলাপ ট্রান্সক্রিপ্ট আকারে তাদের পত্রিকায় ছেপেছে এবং এদেরই সাঙ্গ-পাঙ্গ রা সেসব ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে তারা আরেকজন আইন বিশেষজ্ঞ জনাব রায়হান রশীদেরও নাম উল্লেখ করেছে তাদের রিপোর্টে। জামাত ঠিক কতটুকু নোংরা ও ইতর হতে পারে এটি কেবল তারই একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বেশ কিছুদিন আমি কাজ করেছি "আই স্পাই" নামে একটি প্রতিষ্ঠানের একজন সেলস এসিস্টেন্ট হিসেবে। এরা তাদের স্টোরে ডিটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং, বাগিং, ইত্যাদি ডিভাইস বিক্রি করে। যেখান থেকে আমার একটা ধারনা আছে যে এই স্কাইপি কনভারসেশন হ্যাক করা কিংবা এই জাতীয় ঘটনা ঘটাবার জন্য কি কি ইকুইপমেন্ট ব্যাবহার করা যেতে পারে এবং এসব করবার জন্য কি পরিমাণ স্কিলড লোকজন প্রয়োজন। ইউটিউব কনভারসেশন শুনে আমি যেটা ক্লিয়ারলি বুঝলাম যে মাননীয় বিচারপতির বাসায় জামাত ও তাদের ভাড়া করা গোয়েন্দারা ডিভাইস বসিয়েছে। এবং আমার ধারনা মতে, শুধু এক জায়গায় না, উনার বাসার প্রতি রুমেই তারা এই ডিভাইস বসিয়েছে এবং এই ডিভাইস বসিয়েই তারা আসলে উনার বলা সকল কথা রেকর্ড করে তা আবার প্রকাশ করে নোংরামির চূড়ান্ত করেছে। এদিকে একটা কথাও বলে রাখা ভালো যে, শুধু যে উনার স্কাইপি কনভারসেশন হ্যাক করেছে তা না, সূত্র মতে উনার ইমেইল আইডিও হ্যাক করা হয়েছে। একজন সিটিং বিচারপতি এবং এত সফিস্টিকেটেড একটা ট্রাইবুনালের বিচারপতির বাসায় এই অত্যাধুনিক বাগস, ডিভাইস, ইকুইমেন্ট বসালো জামাতীরা এবং তারা আজকে গর্ব সহকারে তা বাজারে ছেড়েছে। আমরা কি একটা মগের মুল্লুকে বসবাস করি? আমরা কি একটি ফেইল্ড স্টেইটস এর বাসিন্দা? এই হ্যাকিং এর মাধ্যমে কি হয়েছে? ১) বিচারপতির ব্যাক্তিগত প্রাইভেসীকে ক্ষুন্ন করা হোলো। ২) বিচারপতির ইমেইল, কম্পিউটারে থাকা সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হোলো। ৩) সাক্ষীদের নানাবিধ ডিটেইলস নিশ্চয়ই বিচারপতির কাছে ছিলো, সেগুলোও চুরি হয়ে গিয়ে সেসব সাক্ষীদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে গেলো। ৪) পুরো ট্রাইবুনালের সকল তথ্যকে পাচারের মাধ্যমে পুরো বিচার ব্যাবস্থাকেই এখন এক ধরনের হুমকির মুখে ছেড়ে দিলো। ৫) এটা পরিষ্কার হোলো যে, এরা অনেক আগে থেকেই এইসব…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.