যে আইনের আওতায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার চলছে বর্তমানে সেটির নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস) আইন, ১৯৭৩। সবচেয়ে যেটা আশ্চর্যের বিষয় তা হল – ১৯৭৩ সালের এই আইনটি বাংলাদেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে কখনো পড়ানো হয়নি, এখনো হয় না বলেই জানি।
অনেক তুচ্ছাতিতু্চ্ছ আধা-প্রাসঙ্গিক আইনও বাংলাদেশের আইন অণুষদগুলো ঘটা করে পড়ায়, কিন্তু ১৯৭৩ সালের এই আইনটি কিংবা ১৯৭২ সালের দালাল আইনটি (বাতিলকৃত যদিও) কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সিলেবাসেই কখনো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সিলেবাসে কয়েক ডজন আইনের ভেতর আন্তর্জাতিক আইনও পড়ানো হয়, পড়ানো হয় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর আইন, পড়ানো হয় ডব্লিউটিও (WTO), গ্যাট ইত্যাদি আইনের বিষয়গুলোও। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটারিয়ান আইনও পড়ানো হয়, পড়ানো হয় না শুধু ১৯৭৩ সালের এই আইনটি। যে দেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, যে দেশের রক্তে ভেজা সেই ইতিহাস হল স্বাধীনতাকামী লক্ষ মানুষের ত্যাগের ইতিহাস, স্বাধীনতাকামী জনতার বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের ইতিহাস – সেই দেশে পর পর তিন প্রজন্মের সমস্ত আইনের ছাত্র-শিক্ষক-আইনজীবি-বিচারক জীবনটাই কাটিয়ে দিয়েছেন এই আইনটি ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে’ বা একাডেমিকভাবে অধ্যয়ন না করেই।
তাতে ক্ষতি আসলে কোথায়? ক্ষতিটা হল – এর ফলে আমাদের টকশো পন্ডিতেরা প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসের সাথে আইনটি সম্বন্ধে যথেচ্ছ মতামত দিয়ে যান, কেউ তাদের উম্মোচন করেন না, মন্ত্রীরা আইনটি বা তার প্রয়োগ সম্বন্ধে মনগড়া মন্তব্য দিয়ে যান, আমরা সাধারণেরা চুপ করে শুনি, আসামী পক্ষের সমর্থক এবং বেতনভূকেরা যে যেভাবে পারে ১৯৭৩ সালের আইনটির বিভিন্ন বিধান এবং সে সবের প্রয়োগ নিয়ে যথেচ্ছ অপ-প্রচার চালিয়ে যান, গোটা দেশের আইনজীবি সমাজ থাকে নিশ্চুপ। ফলে তারা জনগণকেও কোনো সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হন।
অথচ এই আইনটিই বর্তমানে হয়ে উঠেছে পুরো ১৯৭১ এর ইতিহাসের মূল চাবি। কারণ, এই ১৯৭৩ সালের আইনের উপর ভিত্তি করে যে বিচার প্রক্রিয়া, দিনের শেষে সেটাই চূড়ান্ত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করবে একাত্তরে কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল, কারা ছিল অপরাধী পক্ষ, তারা আদৌ দায়ী কি দায়ী না। হাতে গোণা কয়েক পাতার এই আইন। কিন্তু কিভাবে করতে হবে এই আইনের অধ্যয়ন? শুধু কয়েক পাতার এই আইনটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেললেই কি বলা যাবে আইনটি জানা এবং বোঝা হয়ে গেছে? তাও কিন্তু নয়। ১৯৭৩ সালের এই আইন এবং এর প্রয়োগকে সঠিকভাবে অধ্যয়ন করতে হলে এক দিকে যেমন জেনোসাইড স্কলারশিপ (এবং সে স্কলারশিপের রাজনীতি) সম্বন্ধে ধারণা থাকতে হবে, তেমনি বুঝে নিতে হবে এ পর্যন্ত যুদ্ধাপরাধ আইন, মানবতাবিরোধী অপরাধ আইন (এক কথায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন), সে সব আইনের প্রয়োগ, প্রয়োগের পেছনের ইতিহাস, রাজনীতি, কূটনীতি। এর পরও কথা থাকে। কারণ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল – আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নিমিত্তে তৈরী বিভিন্ন ধারণার (যেমন: যুদ্ধাপরাধ, জেনোসাইড ইত্যাদি) প্রয়োগ আসলে আমাদের জন্য ঠিক কতটুকু অনুসরণীয়। এই বিষয়গুলো নিবিড় অধ্যয়ন দাবী করে। নাহলে কেবল তাত্ত্বিক জেনোসাইড অধ্যয়ন, বা তাত্ত্বিকভাবে যুদ্ধাপরাধ আইন অধ্যয়ন তেমন একটা ফলদায়ক বলে মনে করি না, অন্তত বাংলাদেশীদের জন্য।
এখানে একটা কথা অবশ্য উল্লেখ প্রয়োজন। গত কয়েক বছর ধরে হাতে গোণা কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দু’একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন মুট কোর্ট (moot court) বা মক্ ট্রায়াল (mock trial) প্রতিযোগিতাগুলোর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের বিভিন্ন ভোকাবুলারী এবং টার্মগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে তারা জানছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ট্রাইবুনালগুলোতে বিভিন্ন অপরাধগুলো কিভাবে বিচার হয়েছিল। এটা নিঃসন্দেহে একটা ইতিবাচক দিক এবং এই সীমিত চর্চাটুকুকে আরও যতদূর সম্ভব বিস্তৃত করা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত এই চর্চার সীমাবদ্ধতাগুলোর ব্যপাারেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে, যেমন:
(এক) বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মূলত বিভাগের কোনো উদ্যোগী শিক্ষক বা শিক্ষিকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের এই জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সুযোগ ঘটে, কিন্তু সে সুযোগও পুরো শ্রেনীকক্ষের সবার জন্য সমান থাকে না স্বাভাবিক কারণেই। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সিংহভাগ আইন শিক্ষার্থীরা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কোর্সের মাধ্যমে আসছেন না, তারা আসছেন বিভিন্ন আইন কলেজগুলো থেকেও। আইন কলেজগুলোতে এখনো এ জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজনের চর্চা গড়ে ওঠেনি বলেই জানি;
(দুই) এই চর্চাগুলো বা প্রতিযোগিতাগুলো এখনও ক্লাসের সিলেবাস বহির্ভূত (extra-curricular) প্রতিযোগীতামূলক একটা কর্মকান্ডের অংশ হয়েই থাকছে, এবং বাধ্যতামূলক সিলেবাসের অংশ হচ্ছে না;
(তিন) পুরো বিষয়টিকে ঠিক কোন্ আঙ্গিক থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা জানছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিযোগিতাগুলোর ধরণই এমন যে অংশগ্রহনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা মূলত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের স্থির করা ধারণাগুলোর আলোকেই বিষয়গুলো জানছেন। কোনো ধরণের জ্ঞানার্জনেই সমস্যা নেই, কিন্তু আমাদের দেশীয় আইনে চালিত দেশীয় ট্রাইবুনালকে বুঝতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনকেও আমাদের দেশীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে পাঠের এবং অনুধাবনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, যেটা বোঝা সবচেয়ে বেশী জরুরী তা হল – অতীতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ট্রাইবুনালে কি বলা হয়েছে বা হয়নি তার চেয়েও বেশী জরুরী এটা বোঝা যে – আমাদের দেশীয় আইনে দেশীয় ট্রাইবুনালে বিচারের সময় আসলে ঠিক কতটুকু গ্রহণ করা হবে, বা হবে না বা হওয়া উচিত;
(চার) ১৯৭৩ সালের আমাদের আইনটির অধ্যয়নের আর যে বিষয়টি বোঝার আছে তা হল – শুধু আইনটিই নয়, আইনটির পাশাপাশি ট্রাইবুনাল প্রণীত কার্যবিধি, তার পাশাপাশি ট্রাইবুনালের দৈনন্দিন প্র্যাকটিসগুলো বোঝা, সেটিও হয়ে উঠছে না।
তাই, বাধ্যতামূলক সিলেবাসের অংশ হিসেবে ১৯৭৩ সালের আইনটির এবং বাস্তবে এর কার্যকর প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষায়িত পাঠের কোনো বিকল্প দেখি না।
আমরা এক দিক থেকে ভাগ্যবান এই অর্থে যে আমাদের নিজের দেশেই আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর বাস্তব প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ঘটেছে। বিষয়গুলো আমাদের কাছে আর শুধু ‘বইয়ের বিষয়’ হয়ে নেই; বিষয়গুলো বাস্তব, প্র্যাকটিক্যাল, জীবন্ত; শুধু তাই নয় এটা আমাদের অস্তিত্বের এবং আমাদের সামষ্টিক ইতিহাসের সাথে এখন সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমাদের সেই ১৯৭৩ সালে করা আইনটির বহু বিধানই তিন দশক পরে বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আদালতের বিধিগুলোতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনুসরণীয় হিসেবে। ইতিপূর্বে একাধিকবার আমরা আলোচনা করেছি আমাদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ এবং পাঠচক্রগুলোতে – ১৯৭৩ সালের আইন এবং বাংলাদেেশর এই বর্তমান বিচার প্রক্রিয়াটি একাধিক কারণেই কিছু দ্বৈততা ধারণ করে, এটি একদিকে যেমন sui generis অন্যদিকে তেমনি general এবং বিস্তৃত একটা বিষয়, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আগ্রহী যে কোনো ছাত্রেরই নিবিড় অধ্যয়নের বিষয়।
[এই লেখাটি একটি ‘অণুব্লগ’ হিসেবে লেখা, বিশদ নিবন্ধ হিসেবে নয়। এখানে মূল প্রবণতাগুলো, এবং চর্চার প্রধান ধারাগুলো তুলে আনার দিকেই মনযোগ দেয়া হয়েছে। এখানকার মূল বক্তব্যের কিছু কিছু ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে, যা এই বিষয়ে আরও বিশদ কোনো লেখায় ভবিষ্যতে তুলে আনার ইচ্ছে আছে]
রায়হান রশিদ
জন্ম চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা চট্টগ্রাম, নটিংহ্যাম, এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমান আবাস যুক্তরাজ্য। ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধসমূহের বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা প্রদান, এবং ১৯৭১ এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের দাবীতে সক্রিয় নেটওয়ার্ক 'ইনটারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম' (ICSF) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৪ comments
কিবরিয়া সৌরভ - ৬ আগস্ট ২০১২ (১:৫৯ পূর্বাহ্ণ)
অসাধারণ একটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত।
রায়হান রশিদ - ৬ আগস্ট ২০১২ (৩:৩৩ অপরাহ্ণ)
ধন্যবাদ পড়বার জন্য। আশা করি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আসবে। আর না আসলে বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণের কথা ভাবতে হবে।
রণদীপম বসু - ৬ আগস্ট ২০১২ (৫:৫৬ অপরাহ্ণ)
রায়হান ভাই,লেখাটাকে সিরিজ বানিয়ে তেহাত্তর আইনটার উপর বিস্তারিত আলোকপাতের আবেদন জানিয়ে রাখলাম। যাতে কেউ গুগল সার্চ দিয়েও আইনটা সম্পর্কে বাংলায় বিস্তারিত অনুধাবনের সুযোগ পায়।
আশা করি এই চমৎকার উদ্যোগ বৃথা যাবে না।
রায়হান রশিদ - ৬ আগস্ট ২০১২ (১০:০৬ অপরাহ্ণ)
রণদীপমদা, বিষয়টা যেহেতু আনুষ্ঠানিক সিলেবাসে নেই, আবার লক্ষ্য করেছি ব্যক্তি পর্যায়ের বিভিন্ন উদ্যোক্তারাও এই জাতীয় বিষয়ে পাঠ আয়োজনে ততোটা ইচ্ছুক নন (সম্ভবত এক ধরণের ‘নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখার মানসিকতা থেকে), তাই ভাবছি আমরাই একটা সিরিয়াস ‘লেকচার সিরিজ’ শুরু করবো অনলাইনে। আর সেটা সুষ্ঠুভাবে করার মতো রিসোর্স এবং এক্সপার্টিজ এখন আমাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। এর মধ্যে আইনটার বিভিন্ন দিক নিয়ে ছোটো ছোটো বিষয়ভিত্তিক অণুব্লগ লিখে যাওয়ার চেষ্টা করবো, এখন যেভাবে লেখা হচ্ছে। তবে সময়াভাবে পূর্ণাঙ্গ একেকটা লেখা হয়তো লিখে উঠতে পারবো না, আর অণুব্লগে বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রেও হয়তো একই কারণে অগত্যা বেছে নিতে হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর ইস্যুগুলো। তবে লেকচার সিরিজে ওসবের বালাই থাকবে না, সেটা আশা করছি এ-টু-জেড সব দিকেই আলোকপাত করতে পারবে।
গত কয়েকদিনে আমার বেশ কিছু আইনের ছাত্র-ছাত্রীর সাথে যোগাযোগের সৌভাগ্য হয়েছে এবং তাদের মতামত জানার সুযোগ হয়েছে। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ তা ওদের কাছ থেকে শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছি। এই বিষয়টি সিলেবাসে দেয়া তো দূরের কথা, কোনো ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে এসব বিষয়ে আগ্রহ দেখা গেলে তারা ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকদের কাছে বিভিন্নভাবে হয়রানী এবং অপমানের শিকার হচ্ছেন, পরীক্ষার খাতা, ভাইভা বোর্ডেও তাদেরকে টার্গেট করে অপদস্ত করা হয়েছে – এমনও নজির আছে দেখছি। এই সন্দেহটা আমার বরাবরই ছিল, কিন্তু এর ব্যাপ্তি যে এতোটা হবে তা কখনো ভাবিনি।
এমনকি শিক্ষকরাও এই অশুভ বলয় থেকে মুক্ত নন। তাদের মধ্যে কেউ যখন উচ্চতর গবেষণা বা বিদেশে পিএইচডি ইত্যাদি করতে যান, আর সেই গবেষণা-বৃত্তির নির্বাচন প্যানেল যদি বাংলাদেশী কোনো কর্তৃপক্ষ/ব্যক্তিবর্গ হয়, তাহলে ক্যানডিডেটদের গবেষণার জন্য সযত্নে কোনো (তথাকথিত) ‘নিরপেক্ষ’ বিষয় বেছে নিতে হচ্ছে আজকাল। কারণ, সেটাই ‘safe’। ১৯৭১, যুদ্ধাপরাধ আইন ইত্যাদি ‘অ-নিরপেক্ষ’ বিষয় কেউ বেছে নিয়েছে গবেষণার জন্য তো দেশীয় সিলেকশান বোর্ডের সামনে মরেছে তারা! আমরা বাঙালীরা অদ্ভুত এক শতাব্দী পার হচ্ছি – এখন তথাকথিত ‘নিরপেক্ষতা’ এবং ‘safe topic’ এর জয়গান শিক্ষাক্ষেত্রে।