আজ থেকে সতেরো-আঠারো বছর আগের কথা – মনোরম গ্রীষ্মের বেইজিং। শীতে যখন গৃহবন্দী, গ্রীষ্মে তখন সত্যি পাখা মেলে উড়তে ইচ্ছা করে। সেই রকমই একটি দিনে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছি অজানার উদ্দেশে, যেন অনেকটা দু’চোখ যেদিকে যায় চলে যাওয়া। বৈকালিক ঝিরিঝিরি বাতাস আর গাছের ছায়ায় প্রশান্তিময় সেই সময়ে সাইকেল ভ্রমণটা যেন এক অপার্থিব আনন্দের বার্তা বয়ে আনে। বিকেল মানেই সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়া। প্রকৃতির এই আনন্দযজ্ঞের আহ্বান রোখে কার সাধ্য। সেই রকম একটি দিনে সাইকেলে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাড়ালাম চি শুই থান নামের জায়গায় – একটি দোতলা বাড়ির সামনে। আর চোখ আটকে গেল বাড়ির সামনের একটি আবক্ষ ভাস্কর্য প্রতিকৃতির মাঝে। খুব চেনা চেনা লাগছে, পত্রপত্রিকায় যেন অনেকবার দেখেছি এই ছবিটি। পরে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এটি বিখ্যাত চীনা চিত্রকর সু পেইহোং-এর প্রতিকৃতি এবং এই বাড়িটি তাঁর শিল্পকর্মের সংগ্রহশালা। এই সেই ভুবনবিখ্যাত শিল্পী যিনি একদা রবীন্দ্রনাথের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সেই সময় অকস্মাৎ শিল্পী সু পেইহোং-কে (ভারতবর্ষে অবশ্য ‘পিওন সু’ নামে পরিচিত) আবিষ্কার করে বেশ একটা আত্মপ্রসাদ অনুভব করেছিলাম; সেই সাথে সংগ্রহশালায় অপরাপর চিত্রকর্মের সাথে তাঁর আঁকা রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিটি দেখে যেন নিজেকে একজন দিগ্বিজয়ী মনে হচ্ছিল, এই বিদেশ বিভুঁইয়ে রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার! পরে অবশ্য এই শিল্পী সম্পর্কে আরো কিছু জানা হয়ে যায়; চীনদেশে তিনি এত বিখ্যাত যে কথাপ্রসঙ্গে তাঁর নাম বার বার চলে আসে।

সু পেইহোং-এর আঁকা আত্মপ্রতিকৃতি
সু পেইহোং-কে (Xu Beihong) বলা হয় আধুনিক চীনা চিত্রকলার পথিকৃৎ। আমাদের জয়নুল আবেদিন, চীনাদের সু পেইহোং। দুজনই শিল্পচর্চার পাশাপাশি শিল্পকলাকে এগিয়ে নেয়ার আন্দোলনে ব্রতী হয়েছিলেন। সু পেইহোং চীনদেশে প্রথম পশ্চিমা ঘরানার চিত্রশৈলীর একজন সফল শিল্পী। চীনের চারুকলা শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর প্রথমদিকের অধ্যক্ষ সু পেইহোং চীনের জনগণের কাছে অত্যন্ত সম্মানীয়। গত মার্চ মাসে বেইজিং-এর একটি নামী মিউজিয়ামে (ইয়ান হোয়াং আর্ট মিউজিয়াম) অনুষ্ঠিত হলো তাঁর সারা জীবনের কাজ নিয়ে একটি রেট্রোস্পেকটিভ। আমি এবং আমার স্ত্রী আমন্ত্রিত হয়েছিলাম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। সু পেইহোং স্মৃতি সংগ্রহশালায় বেশ কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু এই মিউজিয়ামে প্রদর্শিত সেই ছবিগুলোই যেন একটু অন্যরকম লাগছিল, মিউজিয়ামের সুপরিসর আয়তনে ছবিগুলোকে আরো উপভোগ্য মনে হলো। সরকারি সংগ্রহের বাইরে ব্যক্তি-সংগ্রহের কিছু কাজও এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান লোকে লোকারণ্য, সেই সাথে এসেছেন সব রথী-মহারথী, যথারীতি দীর্ঘ বক্তৃতার পালা এবং নানা আনুষ্ঠানিকতা। অবশেষে পৌঁছনো গেল মূল প্রদর্শনী কক্ষে; সেই চিরচেনা ছবি – বই এবং পত্রপত্রিকায় অনেক দেখেছি। এবার মূল কাজ দেখার সৌভাগ্য হলো – সেই ছুটন্ত ঘোড়ার ছবি, যা বলা যেতে পারে একটি আইকনে পরিণত হয়েছে। ধ্রুপদী চীনা শৈলীর চিত্রকলাকে যেন সমস্ত পৃথিবীর কাছে পরিচিত করিয়েছে । আমরা দেখছিলাম এবং মুগ্ধ হচ্ছিলাম। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের অপূর্ব মেলবন্ধন, একদিকে যেমন জল-মাধ্যমে ইংক অ্যান্ড ওয়াশের চীনা পদ্ধতির নিপুণ উতকর্ষ, অন্যদিকে তেল-মাধ্যমের পশ্চিমা বাস্তব রীতির সার্থক প্রয়োগ। জল আর তেল দিয়েই যেন প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যকে আলাদা করা যায়। সু পেইহোং-ই বোধহয় প্রথম চীনা শিল্পী যিনি প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের শিল্পশৈলীর মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন।
সু পেইহোং ১৮৯৫ সালে চিয়াংসু প্রদেশের চি থিং ছিয়াও অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সু তাজাং ছিলেন চিত্রশিল্পী, কবি এবং ক্যালিগ্রাফার। মাত্র ছয় বছর বয়সে ক্যালিগ্রাফি শিল্পে হাতেখড়ি বাবার হাতেই, আর নয় বছর বয়সে চিত্রবিদ্যায়। খুব কম বয়সেই প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে, এবং পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে চিত্রবিদ্যাকে সহায় করে উপার্জনের পথ ধরতে হয়। ১৯১৫ সালে তিনি সাংহাইয়ে পাড়ি জমান এবং প্রকাশনা শিল্পে অলংকরণের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন, এবং যৎকিঞ্চিৎ চিত্রকর্মও বিক্রি শুরু করেন। সু পেইহোং বেশ অল্প বয়সেই শিল্পজগতের সুধীজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন এবং তার ফলশ্রুতিতে ১৯১৯ সালে তিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে প্যারিস গমন করেন, মূল লক্ষ্য পাশ্চাত্য শিল্পবিদ্যা রপ্ত করা। দীর্ঘ আট বছর ইউরোপে অবস্থান করেন তিনি, প্যারিস ছাড়া বার্লিনেও কিছুদিন ছবি আকাঁ শেখেন। এই সময়ে তিনি পাশ্চাত্য কায়দার চিত্রবিদ্যা আয়ত্ত করে তেল-মাধ্যমে একজন দক্ষ শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং বিদেশে থাকতেই বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করে খ্যাতিমান শিল্পী হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেন। মূলত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ১৯২৭ সালে। সু পেইহোং-এর সবচেয়ে বড় অবদান হলো তিনি অতি-চর্চিত প্রচলিত চীনা পদ্ধতির চিত্রধারাকে একটি নতুন অবয়ব দান করেছেন। তাঁর হাতেই নতুন করে সতেজ হয়ে ওঠে চীনা প্রাচ্যকলা। সু পেইহোং সারা জীবন আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন চীনা চিত্রকলার ঐতিহ্যকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ইউরোপ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কখনো যৌথ প্রদর্শনী, কখনো-বা একক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন; ভ্রমণ করেছেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অনেকগুলো দেশে। ধীরে ধীরে তিনি চীনের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও অর্জন করেন ব্যাপক পরিচিতি।
১৯৪০ সালে সু পেইহোং শান্তিনিকেতন এবং কলকাতা ভ্রমণ করেন, মূল লক্ষ্য ছিল ভারতবর্ষের মহান ঋষি-কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাক্ষাৎ লাভ। এই সময়ে তিনি শান্তিনিকেতনে কিছুদিন অবস্থান করে কবিগুরুর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে আসেন। কবি সু বেইহোং-এর আঁকা ছবি দেখে বেশ মুগ্ধ হন। রবীন্দ্রনাথ বরাবরই চীনা ও জাপানি পদ্ধতির চিত্রকলার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন, সু বেইহোং সম্পর্কে তিনি আগে থেকেই জানতেন। কবি তাঁর প্রদর্শনী উপলক্ষে একটি বাণীও লিখে দেন। এই সময় তাঁর দুটোর প্রদর্শনীর খবর জানা যায় – একটি হয়েছিল শান্তিনিকেতনে, অপরটি কলকাতায়। বঙ্গদেশে ভ্রমণের সময় তিনি বেশ কিছু ছবি আঁকেন । রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি স্কেচ সহ জলরঙে চীনা পদ্ধতিতে একটি প্রতিকৃতি অঙ্কন করেছিলেন। এই সময়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সাথেও সাক্ষাৎ করে তাঁরও একটি প্রতিকৃতি অঙ্কন করেন।

রবীন্দ্রনাথ ও সু পেইহোং

‘শান্তিনিকেতন’

‘ভারতীয় রমণী’
এখানে একটি বিষয় আলোচনার অবকাশ রাখে, ১৯৪০ সালে কলকাতায় আয়োজিত সু পেইহোং-এর প্রদর্শনীটি খুব সম্ভবত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন দেখে থাকবেন, আর বোধহয় তারই ফলশ্রুতিতে তিনি কালি-তুলির ( Ink & Brush) কাজে আগ্রহী হয়ে উঠেন। অনেক শিল্পসমালোচক অবশ্য বলেছেন, জয়নুলের কাজে চীনা ক্যালিগ্রাফি ও কালি-তুলির কাজের প্রভাব খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ১৯৪৩ সালে আঁকা দুর্ভিক্ষের চিত্রমালায়। শুধু কালি ও তুলিতে জয়নুল যে অসাধারণ চিত্র এঁকেছিলেন তার অনুপ্রেরণা হয়তো-বা চীনা চিত্রশৈলী থেকে আহরিত হতে পারে। সু পেইহোং ভারত ভ্রমণের এক পর্যায়ে শৈল-শহর দার্জিলিং-এ অবস্হান করেন এবং এখানে বসে হিমালয়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বেশ কিছু চিত্র রচনা করেন। তাঁর বিখ্যাত ছবি ‘বোকা বুড়োর পাহাড় সরানো’(The Foolish Old Man Removes the Mountain) তিনি এখানে বসেই আঁকেন। এই ছবিটিও স্থান পেয়েছে রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীতে।

‘বোকা বুড়োর পাহাড় সরানো’ ছবিটির সামনে দর্শনার্থীর ভিড়
বিশালাকৃতির এই ছবিটি (১৪৪ x ৪২১ সেমি) চীনা লোকগাথা অবলম্বনে আঁকা, যা পরিশ্রমী চীনা জাতির চেতনাকে ধারণ করে। মাও সে তুং-এর প্রিয় গল্প এটি। তাঁর বিভিন্ন লেখায় এই গল্পটি উদাহরণ হিসাবে এসেছে। এক নাছোড়বান্দা বৃদ্ধের বাড়ির সামনে একটি পাহাড়কে কেটে সমান করে ফেলার কাহিনি। সু পেইহোং একসময় চীনা মিথ ও লোককাহিনীর বীরগাথা নিয়ে বেশ কিছু ছবি আঁকেন। তাঁর শিল্পীজীবন বেশ বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যময়। তিনি কখনো এঁকেছেন বিড়াল হাতে সুখী রমণী, আবার কখনো-বা এঁকেছেন বিপ্লবের প্রণোদনায় বীরগাথার চিত্র।


রবীন্দ্র-প্রতিকৃতির সামনে

‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি’
সংগ্রহশালার অধিকাংশ ছবি স্থানান্তরিত হয়েছে এই মিউজিয়ামে রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনী উপলক্ষে। শিল্পীর আঁকা কবিগুরুর প্রতিকৃতির সামনে বেশ ভিড়, চীনারা বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখছে তাদের প্রিয় কবির ছবিটি। ঠাকুর – চীনাদের ভাষায় ‘থাই কুয়ার’। চীনদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় আমাদের প্রাণের কবি। সু পেইহোং কবিগুরুর সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরেছিলেন, এতে চীনারা বেশ গর্ব বোধ করে। রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিটি বেশ যত্ন করে এঁকেছেন শিল্পী। ধ্যানী ঋষির মতো বসে আছেন কবি ছায়াবীথি তলে, পশ্চাৎপটে তরুশাখে দুটি শালিকের অবয়ব। কবির হাতে নীলরঙের লেখার খাতা এবং আরেক হাতে সাদা কলম। চীনা পদ্ধতির কালি-তুলির কাজ। প্রকৃতিপ্রেমী কবিকে প্রকৃতির মাঝে উপস্থাপন করেছেন শিল্পী। কবির প্রতিকৃতি অনেক শিল্পীই এঁকেছেন, তবে আমার কাছে মনে হয়েছে এ ছবিটি একটি ব্যতিক্রম।

তেজোদ্দীপ্ত ঘোড়ার ছবি
ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই অশ্ব চিত্রমালার দিকে। জীবনের নানা পর্যায়ে নানা সময়ে তিনি অনেক ঘোড়ার ছবি এঁকেছেন – শুরু হয়েছিল সেই সাংহাই থেকে, যখন প্রথম শুরু করেছিলেন জীবিকার অন্বেষণ। এই আইকনিক ঘোড়ার ছবি তাঁকে বিশ্বজোড়া সম্মান এনে দেয়। শুধু কালি ও তুলির ক্ষিপ্র আঁচড়ে মূর্ত হয়ে ওঠে ছুটন্ত ঘোড়া – কখনো একাকী, কখনো দলবদ্ধ। কী অসাধারণ ড্রইং-দক্ষতা অর্জন করেছিলেন শিল্পী তা ছবিগুলোর সামনে দাঁড়ালেই অনুধাবন করা যায়। প্রত্যেক শিল্পীরই বোধহয় একটি ল্যান্ডমার্ক থাকে যা মানুষের কাছে শিল্পী হিসাবে তাঁকে পরিচিত করে তোলে; আমাদের জয়নুলের যেমন দুর্ভিক্ষ চিত্রমালা তেমনই সু পেইহোং-এর এই ঘোড়ার ছবিগুলো।

ছুটন্ত ঘোড়ার ছবি
এই প্রদর্শনীতে নানা সময়ের নানা আঙ্গিকের ছবি স্থান পেয়েছে। যেমন চীনা পদ্ধতির কালি-তুলি ও ওয়াশ পদ্ধতির কাজ, আবার তেল-মাধ্যমে পশ্চিমা রীতির ছবি। ম্যাডাম সুন দুয়োছি-র প্রতিকৃতি ফরাসি কায়দার কম্পোজিশনে তেল-মাধ্যমে আঁকা – ইজি-চেয়ারে বসে থাকা এক রমণীর প্রতিকৃতি। তেলরঙে আঁকা ‘জ্যোৎস্নারাত’ ছবিটি বেশ রোমান্টিক – চন্দ্রালোকে চার রমণীর অবগাহন। এই প্রদর্শনীটি সু পেইহোং-এর প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য ভ্রমণের সাক্ষ্য দেয়, নানা মেজাজের ছবিগুলো দেখে মোটামুটি পূর্ণাঙ্গ রূপে সু পেইহোং-কে খুঁজে পাওয়া যায়। এবং তিনি যে দুই গোলার্ধের মধ্যে অনবরত একটি মেলবন্ধনের চেষ্টা করেছেন তারও প্রমাণ মেলে।

‘ম্যাডাম সুন দুয়োছি-র প্রতিকৃতি’

‘জ্যোৎস্নারাত’

‘ন্যুড স্টাডি’
১৯৫৩ সালে মহান শিল্পী সু পেইহোং আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র আটান্ন বছর। চীনা বিপ্লবের পর প্রথম অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি যোগ দিয়েছিলেন সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ। সেই সাথে অলংকৃত করেছিলেন নিখিল চীন শিল্পী সঙ্ঘের সভাপতির পদ। খুব ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন নিজের আঁকাআঁকি আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। তাঁর অকালপ্রয়াণে অসমাপ্ত রয়ে গেছে অনেক কিছুই। তবে চীনের জনগণের অন্তরে সু পেইহোং ভাস্বর হয়ে আছেন আধুনিক চীনা চিত্রকলার পথিকৃৎ হিসাবে।
