বাংলাদেশ এর মধ্যেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে ভাবছে। বাংলাদেশ সুপেয় পানির জন্য এবং তার দক্ষিণ উপকূলীয় লবণাক্ততার কথা বিবেচনা করে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে পানির লবণাক্ততা বিনাশের নিউক্লিয়ার ডিস্যালিনেশন নিয়েও খুব স্বাভাবিকভাবেই ভাবতে পারে। এদুটি ভাবনাকে কাজে রূপান্তরিত করতে পারলে বাংলাদেশ দেখা যাবে এরপরেই নিজেকে পারমাণবিক শক্তি হিসাবে ভাবনার দিকে এগুবে। ব্যাপারগুলো এভাবেই হয়, এবং বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান খুব দ্রুতই সেভাবনায় ঘি ঢালবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই – বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত পাকিস্তান এরমধ্যেই পারমাণবিক শক্তি হিসাবে পরিচিত, বার্মার পারমাণবিক সক্ষমতার কথাও এখন মাঝে মাঝে শোনা যায়, নেপাল ও শ্রীলন্কার দুধর্ষ সামরিক শক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা এদুটি দেশকেও পারমাণবিক শক্তি অর্জনের দিকে ধাবিত করতে পারে।
এই হাতছানি আমাদেরকে সত্যিই কি সেখানে নিয়ে যাবে, যেখানে দাঁড়িয়ে বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে পারমাণবিক শক্তির বিরুদ্ধে একদিন দাঁড়াতে হবে আমাদের নিজের রাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের বিরুদ্ধে?
মাসুদ করিম
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
২৬ comments
মাসুদ করিম - ৬ আগস্ট ২০১২ (২:১৮ অপরাহ্ণ)
আজ হিরোশিমা দিবসেই, মস্কোতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রূপপুর নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।
খবরের লিন্ক : N-plant talks set to start।
মাসুদ করিম - ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ (২:১৩ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ (১১:১১ পূর্বাহ্ণ)
রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ সহায়তা চুক্তি চূড়ান্ত হল।
মাসুদ করিম - ২৩ জানুয়ারি ২০১৩ (২:৫১ অপরাহ্ণ)
বিস্তারিত পড়ুন : পরমাণু কেন্দ্রের কাজ সেপ্টেম্বরে।
মাসুদ করিম - ২ অক্টোবর ২০১৩ (১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (৩:৩০ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ (১০:২১ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১ ডিসেম্বর ২০১৪ (৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৮ এপ্রিল ২০১৫ (৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৪ মে ২০১৫ (৫:৫০ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২০ জুন ২০১৫ (১০:২৮ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১৫ (৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৬ জুলাই ২০১৫ (১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ (৪:১৩ অপরাহ্ণ)
Appreciating Bangladesh’s position in support of peaceful nuclear activity, Zarif underlined the expansion of ties between Tehran and Dhaka.
মাসুদ করিম - ৩১ মে ২০১৭ (৯:১৬ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ৩০ নভেম্বর ২০১৭ (১২:৩৩ অপরাহ্ণ)
মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০২১ (৯:০০ পূর্বাহ্ণ)
রূপপুরের স্বপ্ন পূরণে বড় অগ্রগতি, বসল প্রথম পরমাণু চুল্লিপাত্র
https://bangla.bdnews24.com/economy/article1952051.bdnews
পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিঅ্যাক্টর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, “পরমাণু শক্তির একটা অংশ হিসেবে সেখানে একটা স্থান আমরা করে নিতে পারলাম, আর সেটা শান্তির জন্য।
“বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, সেই বিদ্যুৎ গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কাছে যাবে, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।”
বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ, এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লোশকিন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান রূপপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল হল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র। এর ভেতরেই ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। রিয়্যাক্টেই হল একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাণ।
গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়া থেকে এই রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল খুলনার মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। তারপর তা নিয়ে যাওয়া হয় রূপপুরে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএইএ) নীতিমালা ও মান অনুসরণ করে সেটি এখন স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছে, রিঅ্যাক্টর স্থাপনের পর প্রকল্পের কাজ শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। প্রথম ইউনিটের ৫০ শতাংশ কাজ এ বছরেই শেষ হবে।
সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে পরমাণু চুল্লির জন্য প্রথম ইউনিটের কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।
পরের বছর জুলাই মাসে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের জন্য কংক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করা হয়।
রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ সেখানে কাজ করছেন।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।
দুই ইউনিট মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের এই প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০২১ (৪:৩৪ অপরাহ্ণ)
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে জায়গা খুঁজছি: প্রধানমন্ত্রী
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1952112.bdnews
দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে রূপপুরের পর আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সেজন্য জায়গা খোঁজার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে যেন আর কখনো পিছিয়ে পড়তে না হয়, এ দেশের ওপর আর কখনো যেন কোনো `শকুনির থাবা’ না পড়ে, সেজন্য সরকার বাংলাদেশকে ‘উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল হল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র। এর ভেতরেই ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হবে, যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হবে বিদ্যুৎ। রিয়্যাক্টেই হল একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাণ।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছে, রিঅ্যাক্টর স্থাপনের পর প্রকল্পের কাজ শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না। প্রথম ইউনিটের ৫০ শতাংশ কাজ এ বছরেই শেষ হবে।
সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।
রূপপুরের কাজ শেষ হলে আরও একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দক্ষিণ অঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। দক্ষিণ অঞ্চলে শক্ত মাটিওয়ালা জায়গা পাওয়া খুব কঠিন। তারপরও বিভিন্ন জায়গায় আমরা সার্ভে করছি যে আরেকটা পাওয়ার প্ল্যান্ট আমরা করবে।
“এখন যদি আমরা আরেকটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে পারি, তাহলে বিদ্যুতের জন্য আর কোনো অসুবিধা আমাদের হবে না। তারপরও আমরা বহুমুখী বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছি এই জন্য যে বিদ্যুৎ সুবিধাটা মানুষ যেন পায়, এটা যেন অব্যাহত থাকে।”
২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুরে পরমাণু চুল্লির জন্য প্রথম ইউনিটের কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।
এবার সেখানে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল বসানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ আমরা এখন পরমাণু শক্তির একটা অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আজকে… আমি বলবো সেখানে একটা স্থান আমরা করে নিতে পারলাম এবং সেটা শান্তির জন্য। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরমানু শক্তি আমরা শান্তির জন্য ব্যবহার করছি।”
তিনি বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে, পাশপাশি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে এ বছর। একই সময়ে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারা বাংলাদেশের জন্য ‘অত্যন্ত গৌরবের’।
“বাংলাদেশের জন্য আজকে এটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবস। আজকের এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নয়, আমার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনটি সত্যিই আমাদের জন্য খুবই একটা আনন্দের দিন।”
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়েও তার কথা হয়েছিল।
“সেখানে আমার কতগুলো প্রশ্ন ছিল, আমরা এটা করার পর এটার নিরাপত্তা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। কারণ বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ, এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করাটা সম্ভব নয়। আমাদের যে চুক্তি হয়, তাতে এটাও নিশ্চিত করা হয়, এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সব সময় রাশিয়া নিজেই করবে। সেই বিষয়গুলো আমরা নিশ্চিত করি।”
বাংলাদেশে অনেকে না জেনে সমালোচনা করেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে একটা কিছু করতে গেলে এত সমালোচনা, এত সমালোচনা হয়। নানাভাবে নানা জনে, কেউ বুঝে না বুঝে অনেক কথা বলে ফেলে, অনেক কথা লিখে ফেলে। টকশোতে অনেক কথা… এটা হচ্ছে বাংলাদেশের নিয়ম।”
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে বাংলাদেশের নিজস্ব দক্ষ জনবলও তৈরি হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে যারা বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী বা যারা নিউক্লিয়ার বিষয়ে কাজ করেন, সকলেরই কিন্তু একটা অভিজ্ঞতা হল। তাদের ট্রেনিং করাতে হচ্ছে। তাদেরকে রাশিয়া ও ইন্ডিয়াতে ট্রেনিং করাচ্ছি।”
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আইএইএর সঙ্গে চুক্তি সই, বাংলাদেশ অ্যাটমিক অ্যানার্জি কমিশন গঠনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতাও অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর এই উদ্যোগটাই থেমে যায়। … যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন, তাহলে এটা আমরা আরও অনেক আগে করতে পারতাম।”
সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু এখানে থেমে গেলে চলবে না। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ আমরা করব। ২০৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন হবে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম সুন্দর দেশ, উন্নত দেশ, সমৃদ্ধশালী দেশ, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন একটি দেশ হিসেবেই আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে।”
দেশকে এগিয়ে নিতে শত বছরের ডেল্টা প্ল্যান করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই দেশকে যাতে আর কোনোদিন পিছিয়ে পড়তে না হয়। আর যেন কোনো শকুনির থাবা না পড়ে বাংলাদেশের উপর। বাংলাদেশের যে উন্নতি, অগ্রগতি… অপ্রতিরোধ্য গতিতে যেন বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, সেটাই আমরা চাই।”
বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ, এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লোশকিন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান রূপপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাসুদ করিম - ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (৪:১৪ পূর্বাহ্ণ)
First shipment of uranium for Rooppur nuclear power plant arrives in country
https://thefinancialexpress.com.bd/trade/first-shipment-of-uranium-for-rooppur-nuclear-power-plant-arrives-in-country
The first batch of fresh uranium, the nuclear fuel of the first unit of Rooppur nuclear power plant, has arrived in Bangladesh.
According to official sources, the consignment of uranium arrived in Dhaka from Russia on Thursday afternoon through a special air cargo.
Project Director of the Rooppur Nuclear Power Project Dr M Shawkat Akbar confirmed the arrival of the nuclear fuel but would not provide details of the air shipment of the nuclear fuel on security grounds.
Sources said Director General of the Russian State Atomic Energy Corporation Rosatom Aleksey Likhachev will hand over the fuel officially to the project authority in Rooppur project on October 5.
Prime Minister Sheikh Hasina and Russian President Vladimir Putin are expected to virtually join the function.
The nuclear fuel was brought to Shahjalal International Airport in Dhaka by a special plane from a factory in Russia.
It will then be taken to the project site at Rooppur in Ishwardi, Pabna by road. Army and law enforcement personnel will be in charge of special security in this uranium transportation.
The fuel was produced at the Novosibirsk Chemical Concentrates Plant (NCCP) in Russia, a subsidiary of Rosatom’s fuel manufacturing company Tevel.
Rosatom as a Russian contractor has been engaged in building the 2400 MW Rooppur Nuclear Power Plant (RNPP) which has two units, each with a capacity of 1200 MW.
Dr M Shawkat Akbar said that the government expects to commission the first unit of the RNPP in September next year and the second unit in mid-2025.
https://twitter.com/urumurum/status/1707406552708403579
মাসুদ করিম - ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (৮:৩০ পূর্বাহ্ণ)
Uranium on the way to Rooppur, no other vehicles allowed on Dhaka-Pabna road
https://www.tbsnews.net/bangladesh/uranium-way-rooppur-no-other-vehicles-allowed-dhaka-pabna-road-708998
The first shipment of uranium, the nuclear fuel for Unit-1 of Bangladesh’s maiden 2,400 megawatt (MW) Rooppur Nuclear Power Plant (RNPP) is underway from Dhaka to the project site in Pabna.
The vehicles transporting the nuclear fuel departed from Gazipur around 7am this Friday (29 September), reports Prothom Alo.
Meanwhile, the convoy of vehicles transporting uranium has prompted the suspension of bus services along the Dhaka-Pabna route since 5am due to security concerns.
“There are usually heavy traffic on the Bangabandhu Bridge route between Dhaka and Pabna. This congestion might create challenges for the vehicles transporting uranium. Therefore, from 5am this morning, bus services have been suspended to keep the road clear of traffic,” Pabna’s Superintendent of Police Akbar Ali Munshi told media.
However, once the uranium project vehicles pass, other vehicles will be allowed on the route.
Prothom Alo also reported that the vehicles transporting uranium encountered a mechanical problem in the Safipur area of the Dhaka-Tangail Highway.
After necessary repairs were carried out, the vehicles resumed their journey again.
The first shipment of uranium for the Rooppur project will reach the Ishwardi Dashuadia area of Pabna via the Bangabandhu Bridge from Dhaka, passing through Natore’s Bonpara.
The uranium was produced at the Novosibirsk Chemical Concentrates Plant (NCCP) in Russia, a subsidiary of Rosatom’s fuel manufacturing company TVEL.
The Bangladesh Army and law enforcement officers have been assigned to provide special security during the transport, the project director added.
To this end, the finance ministry guaranteed Tk4,346 crore in compensation for any accidents or damage during the nuclear fuel transportation from Dhaka airport to the project area by road.
Rosatom Director General Alexey Likhachev will officially hand over the shipment to the Rooppur project authorities on 5 October.
As per the project plan, the first unit of the 2,400MW nuclear power plant is expected to commence commercial operation in the first quarter of 2024.
The $13 billion project is being implemented by the Bangladesh Atomic Energy Commission with the technical and financial support of Russia.
The Bangladesh Atomic Energy Commission (BAEC) inked a contract with Russia’s state-run uranium mining and nuclear fuel production company TVEL in August 2019 for importing nuclear fuel for the plant.
Sources at the BAEC said one-third of the nuclear fuel in the plant will have to be changed every 18 months.
মাসুদ করিম - ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (৬:১৫ পূর্বাহ্ণ)
First batch of uranium for RNPP reaches Rooppur
https://today.thefinancialexpress.com.bd/first-page/first-batch-of-uranium-for-rnpp-reaches-rooppur-1696008966
The first consignment of uranium, the nuclear fuel for Rooppur Nuclear Power Plant, has arrived in Pabna’s Rooppur under special security arrangement.
Akbar Ali Munsi, superintendent of Pabna police, confirmed the development, saying that the first consignment of the uranium was transported here around 1:15pm Friday.
He said the motorcade carrying the uranium broke down in Gazipur partly due to mechanical fault, but resumed the journey around 7am after it was fixed.
An additional number of law enforcement agencies were deployed on the Dhaka-Pabna Highway and check posts were also set up at important points as part of the security measures, the SP said, adding that vehicular movement on the highway was also kept suspended.
Akbar Ali said the authorities concerned were asked to keep vehicular movement suspended on the highway due to the security issue as the route frequently remains stuck with traffic gridlock.
He, however, said the vehicles plying on the highway were asked to operate through alternative Aricha-Kazirhat routes to avoid suffering.
Earlier, the first batch of fresh uranium for the first unit of Rooppur nuclear power plant arrived at Dhaka airport on Thursday in a special air cargo from Russia.
According to official sources, Director General of the Russian State Atomic Energy Corporation Rosatom Aleksey Likhachev will hand over the fuel officially to the project authority in the Rooppur project on October 5.
Prime Minister Sheikh Hasina and Russian President Vladimir Putin are expected to virtually join the function.
The fuel was produced at the Novosibirsk Chemical Concentrates Plant (NCCP) in Russia, a subsidiary of Rosatom’s fuel manufacturing company Tevel.
Rosatom as a Russian contractor has been engaged in building the 2400 MW Rooppur Nuclear Power Plant (RNPP) having two units with capacity 1200 MW each.
According to project officials, the government is expecting to commission the first unit of the RNPP in September next year and second unit in mid of 2025.
মাসুদ করিম - ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ)
আইএইএ-এর বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য হলো বাংলাদেশ
https://www.banglatribune.com/foreign/europe/818337/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%85%E0%A6%AC-%E0%A6%97%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
https://www.banglatribune.com/foreign/europe/818337/%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%8F%E0%A6%87%E0%A6%8F-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%85%E0%A6%AC-%E0%A6%97%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
সংস্থাটির দুটি নীতি নির্ধারণী কমিটির মধ্যে বোর্ড অব গভর্নরস একটি। এই বোর্ড আইএইএ-এর আর্থিক বিবরণী, কর্মসূচি ও বাজেট পরীক্ষা করে এবং সাধারণ সম্মেলনে সুপারিশ পাঠায়। সদস্যদের আবেদন যাচাই, সুরক্ষা চুক্তিগুলো অনুমোদন এবং আইএইএ-এর সুরক্ষা মানদণ্ড প্রকাশ করাও এই বোর্ডের দায়িত্ব। সাধারণ সম্মেলনের অনুমোদনের ভিত্তিতে আইএইএ-এর মহাপরিচালকও নিয়োগ দেয় বোর্ডটি।
বোর্ড অব গভর্নরসের আগামী অধিবেশন অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে।
মাসুদ করিম - ৪ অক্টোবর ২০২৩ (৪:২৬ পূর্বাহ্ণ)
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর
আরেকটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ
https://www.banglatribune.com/business/power-and-fuel/818896/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। দলটি ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবে রূপ দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের জন্য রাশিয়া থেকে এসেছে ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে এই জ্বালানি।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ, গড়বে নতুন ইতিহাস।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে আসা ইউরেনিয়াম শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানে কাছে এই ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেস্কি লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে রূপপুরে এসেছে উচ্চপর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দল। প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ফলে পুরো প্রকল্প ও গ্রিনসিটি আবাসিক এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের সাজে সেজেছে ঈশ্বরদীর রূপপুর এলাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন রঙের পতাকা শোভা পাচ্ছে। গ্রিনসিটি আবাসিকের সামনের প্রাচীরে রঙিন চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। একদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অন্যদিকে সাজসাজ রব। সব মিলিয়ে রূপপুর যেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ভিন্ন এক জায়গা। তবে ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে এখানকার মানুষ উন্মুখ হয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন।
প্রকল্প পরিচালক ড. সৌকত আকবর ও প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ানসহ বিদেশি নাগরিকরা গ্রিনসিটি আবাসনে থাকেন। গ্রিনসিটির ভেতরে তাদের জন্য নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
গ্রিনসিটির বিভিন্ন দেয়ালে চিত্রাঙ্কন করেছেন ঢাকার শিল্পী টিপু সুলতান। এসব চিত্রকর্ম পরিদর্শনকালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জন্য এটিই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৩তম পারমাণবিক দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। সেইসঙ্গে এই ধরনের টেকনোলজি নিয়ে কাজের সক্ষমতা অর্জন করেছি আমরা।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসে পৌঁছায়। সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে সড়কপথে ঢাকা থেকে রূপপুরে আনা হয় চালানটি। ইউরেনিয়াম পরিবহনে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়। ফলে সড়কে যানজট তৈরির শঙ্কা এড়াতে ওই দিন (শুক্রবার) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পাবনা-ঢাকা বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
রূপপুর প্রকল্পের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে দেশে পৌঁছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান। রোসাটমের জ্বালানি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্ট (এনসিসিপি) রূপপুরের এই জ্বালানি উৎপাদন করছে।
১৯৬১ সালে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি পায় ২০০৮ সালের পরে। তখন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে দলটি ক্ষমতায় আসলে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।
২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ এগিয়ে নেয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ১ হাজার ৬২ একর জমির ওপর প্রকল্পের পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করছে রাশিয়া। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাসুদ করিম - ৫ অক্টোবর ২০২৩ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)
পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী দেশের কাতারে বাংলাদেশ
https://bangla.bdnews24.com/bangladesh/yqwc61z90r
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ইউরেনিয়াম জ্বালানি সরবরাহের সনদ তুলে দেওয়া হয়।
পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়াম বুঝে পাওয়ার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় নাম লেখালো বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জ্বালানি সরবরাহের সনদ তুলে দেওয়া হয়।
সনদ হস্তান্তরের সময় পুতিন বলেন, “এটা আমাদের জন্য বিশেষ মর্যাদার ব্যাপার, রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে জ্বালানির সার্টিফিকেট প্রদানের অনুমতি প্রদান করছি।”
সনদ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জনগণের জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে পারমাণবিক জ্বালানি শক্তিধর দেশ করার জন্য যে কাজের সূচনা করেছিলেন, আজ তার সফল পরিণতি লাভ করবে।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে আকাশপথে ঢাকায় পৌঁছায় পারমাণবিক জ্বালানি। এরপর বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে রূপপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পারমাণবিক জ্বালানির দ্বিতীয় চালান ঢাকায় পৌঁছায়।
জ্বালানি হস্তান্তরের মাধ্যমে পারমাণবিক জ্বালানির যুগে পদার্পণের জন্য বৃহস্পতিবার রূপপুরে ‘গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের’ আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী বিশ্বের ৩৩তম দেশ।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে মস্কো থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি ভিয়েনা থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে রূপপুর প্রান্তে অন্যদের মধ্যে রোসাটমের মহাপরিচালক রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বক্তব্য দেন।
দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৫ সালের শুরুতে রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে সরকার আশা করছে।