ছোটবেলায় সবচেয়ে ভাল লাগত পুতুলখেলা দেখতে, পুতুলকে পেতে পুতুলকে নিয়ে খেলতে আমার ভাল লাগত না, আমি প্রতিদিন দেখতাম আর ভাবতাম কখন আমি পুতুল হব, কখন আমাকে নিয়ে কেউ খেলবে, কখন ওরা আমাকে নিয়ে সময় কাটাবে, শুধু একটা কথা ওরা কখনো টের পাবে না, আমি আর সব পুতুলের মতো কখনো হব না – আমি হব জ্ঞানী পুতুল। তেমন করে আমি আছি, চলছি এবং রয়ে গেছি – অনেকে বলে, আবার অনেকে ঠিক বলে না – অনেকে বোঝে, আবার অনেকে ঠিক বোঝে না – অনেকে দেখে, আবার অনেকে ঠিক দেখে না – পুতুল জ্ঞানী হলে কী হতে পারে, অন্যেরা ভাবতেও পারে না – অথচ কতদিন ধরে আমি এদেশের কত বড় সম্পদ, জ্ঞানী পুতুলের কত বড় এক দৃষ্টান্ত।
কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, কারো সাথে আমার কোনো আত্মীয়তা নেই, আমি চলি হাতবদলের প্রাপ্তি ও ঝুঁকির গণিতে দিনবদলের হাতের পুতুল হতে। তবে একটা কথা বলি, ম্যাডামকে আমার খুবই পছন্দ – এত ভাল পুতুল খেলতে আমি আর কাউকে দেখিনি – তার সাথে আমার একটাই সমস্যা, শুধু ভয় হয়, সারাক্ষণ এই সংশয়ে থাকি, তিনি কি আমার চেয়েও উঁচুমানের পুতুল। এই জায়গায়টায় আমি খুব অসহায় : এক পুতুল কি আরেক পুতুল নিয়ে পুতুল খেলতে পারে? এর উত্তর আমার জানা নেই, কিন্তু এই ভয়ের রাজ্যে আমার বসবাস সেদিন থেকে যেদিন থেকে আমি ম্যাডামের পুতুল হতে পেরেছি। তাকে আমার পছন্দ তাকেই আমার ভয়।
কিন্তু আমি হয়ত কিছু একটা গুছিয়ে নিয়েছি – আমরা পুতুলেরা তো নিজেরা জানি না কী ঘটতে চলেছে আমাদের কপালে, সে আমরা যতই প্রতিভাবান পুতুল হই না কেন – কিন্তু কয়েকদিন থেকে মনে হচ্ছে আমি হয়ত কিছু একটা গুছিয়ে নিয়েছি – আমি হয়ত আরো উন্নত পুতুল হয়ে উঠছি ম্যাডামের থেকে, ম্যাডামকে ছাড়িয়ে, ওই… না, বলব না।
লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।
