পাঠকের দশ অধিকার

১. না পড়ার অধিকার।[...]

ফরাসি লেখক ডানিয়েল পেনাক পাঠকের দশটি অধিকার ঘোষনা করেছেন।
১. না পড়ার অধিকার।
২. লাফিয়ে পড়ার অধিকার।
৩. একটি বই শেষ পর্যন্ত না পড়ার অধিকার।
৪. কোনো বই আবার পড়ার অধিকার।
৫. যে কোনো কিছু পড়ার অধিকার।
৬. কোনো বইকে বাস্তব জীবন ভেবে ভুল করার অধিকার।
৭. যেখানে সেখানে পড়ার অধিকার।
৮. ভাসা ভাসা পড়ার অধিকার
৯. উচ্চস্বরে পড়ার অধিকার।
১০. চুপচাপ থাকার অধিকার।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৫ comments

  1. মোহাম্মদ মুনিম - ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১:২১ পূর্বাহ্ণ)

    আরও কিছু অধিকার প্রয়োজন
    ১১. পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ার অধিকার
    ১২. পড়তে পড়তে পছন্দ না হলে বইটি ছুঁড়ে ফেলার অধিকার
    ১৩. পড়তে পড়তে হেসে ফেলা/কেঁদে ফেলা/বিষন্ন হওয়া/ভাবার অধিকার
    ১৪. পড়া শেষ করে বা না করে দু সপ্তাহের মধ্যে বই ফেরত দিয়ে পুরো পয়সা ফেরত নেবার অধিকার
    ১৫. বইয়ের দোকানে আরাম করে বসে মাগনা বই পড়ার অধিকার (আমার প্রতিবেশী বার্নস এন্ড নোবল তাঁদের দোকান থেকে সমস্ত সোফা সরিয়ে ফেলে এই অধিকারটুকু কেড়ে নিয়েছে)

  2. মাহতাব - ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (২:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

    বার্নস এন্ড নোবল কাজটি অন্যায় করেছে

  3. রায়হান রশিদ - ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ)

    দু’বছর আগে ফরাসী এক সাহিত্যের অধ্যাপক মজার এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন একটি বই লিখে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন। পিয়েরে বেয়ার্ড এর বইটির নাম How to Talk About Books You Haven’t Read। ব্লুমসবারী থেকে ইংরেজী অনুবাদ। একটু সময় পেলেই মুক্তাঙ্গনের “বইয়ের ভুবনে” এ নিয়ে একটা পোস্ট লেখার চেষ্টা করবো।

  4. মনজুরাউল - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (২:২১ পূর্বাহ্ণ)

    এই অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে যে অধিকারটির জন্ম হয়, এবং যা ধারণ করতে স্বাধীনতা বোধ করি তা হলো- যে কোন কিছুতেই “না” বলার অধিকার!!

  5. মুজিব মেহদী - ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১২:৪২ পূর্বাহ্ণ)

    সরদার ফজলুল করিম স্যারের অনুবাদে বেশ কয়েক বছর আগে Staiger, Ralph C. লিখিত ইউনেস্কোর তরফে প্রকাশিত Roads to Reading বইটা পড়েছিলাম পাঠপ্রসঙ্গ নামে। ১৯৯৯-এ মাওলা ব্রাদার্স কর্তৃক প্রকাশিত এ বইটিতে কেমন করে বই পড়তে হয়, বই পড়লে কী হয় ইত্যাদি প্রসঙ্গ গবেষকের নিষ্ঠা নিয়ে আলোচিত হয়েছে। বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গেলে এটি আবার করে পড়ে নিতে হবে। সে চেষ্টা না-করে এ পোস্টে এর একটা গবেষণার ফলাফল শেয়ার করা যায় (what reading does to people: গবেষক ডগলাস ওয়াপলস, বারানারড বেরেলসন, ব্রাডশ ফ্রাঙ্কলিন)। গবেষণাটি পাঠের ফলাফল বিষয়ে। গবেষকগণ পাঠের মোটমাট পাঁচটি ফল নির্দিষ্ট করেছিলেন।
    ১. যান্ত্রিক ফল (যেমন, প্রায়োগিক কোনো সমস্যায় অধিকতর জ্ঞান এবং তার মোকাবেলায় অধিকতর দক্ষতা অর্জন);
    ২. মর্যাদাগত ফল (যেমন, আত্মপক্ষ সমর্থনকারী বিষয়ে পাঠের মাধ্যমে আত্মহীনতা বোধ থেকে মুক্তিলাভ);
    ৩. দৃঢ়তরকরণ ফল (যেমন, পাঠের মাধ্যমে কোনো বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিকে জোরদারকরণ কিংবা বিতর্কমূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পাঠের মাধ্যমে গ্রহণ);
    ৪. নান্দনিক ফল (যেমন, সাহিত্য শিল্পের কোনো কিছু পাঠ করে মানসিক আনন্দ লাভ); এবং
    ৫. বিশ্রাম লাভমূলক ফল (যেমন, আনন্দজনক কোনো কিছু পাঠের মাধ্যমে মনের কোনো উত্তেজনা থেকে মুক্তিলাভ)।

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.