কোন গ্লাসে পরিবেশিত হচ্ছে হুইস্কি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লাসের চেহারা যদি হয় টিউলিপ ফুলের মতো, অথবা বৃন্তযুক্ত সুগোল পাত্রে ঢেলে দেওয়া যায় এই পরম রমনীয় পানীয়টিকে, তবে কোনো কথাই নেই। তাকিয়ে দেখুন এর সৌন্দর্য, ধীরে ধীরে আঙুলের মৃদু আন্দোলনে পানীয়টিকে নাড়ান গ্লাসের মধ্যে। মদের সুবাস ঘন হয়ে উঠুক পাত্রের মধ্যাংশে। সামান্য জল মিশিয়ে নিন, আঘ্রাণ করুন পানীয়টি। এবার হাল্কা চুমুক দিন। মুখের মধ্যে ধরে রাখুন গৃহীত পানীয়টুকু। অনুভব করুন জিহ্বায় চারিয়ে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম স্বাদ, পাত্রের ঘ্রাণের মতো নিজের ভেতরেও ঘ্রাণের আমেজ টের পাবেন।

হুইস্কি

কোন গ্লাসে পরিবেশিত হচ্ছে হুইস্কি সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লাসের চেহারা যদি হয় টিউলিপ ফুলের মতো, অথবা বৃন্তযুক্ত সুগোল পাত্রে ঢেলে দেওয়া যায় এই পরম রমনীয় পানীয়টিকে, তবে কোনো কথাই নেই। তাকিয়ে দেখুন এর সৌন্দর্য, ধীরে ধীরে আঙুলের মৃদু আন্দোলনে পানীয়টিকে নাড়ান গ্লাসের মধ্যে। মদের সুবাস ঘন হয়ে উঠুক পাত্রের মধ্যাংশে। সামান্য জল মিশিয়ে নিন, আঘ্রাণ করুন পানীয়টি। এবার হাল্কা চুমুক দিন। মুখের মধ্যে ধরে রাখুন গৃহীত পানীয়টুকু। অনুভব করুন জিহ্বায় চারিয়ে সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম স্বাদ, পাত্রের ঘ্রাণের মতো নিজের ভেতরেও ঘ্রাণের আমেজ টের পাবেন।

রাম

বহু রূপে পাওয়া যায় এ মদ। ‘লাইট’ বা ‘হোয়াইট’ রামে পাবেন মৃদু মিষ্টত্ব, কিন্তু স্বাদে গন্ধে এমন কিছু অনবদ্য নয় এ বস্তু—মূলত, ককটেলে এর ব্যবহার। ‘গোল্ড’ রামে পাবেন এক প্রাচীন সুবাস। অনেক বছর কাঠের পিপেতে রেখে তারপর বোতলে ঢোকানো হয় এই রাম। এর সোনালী রঙের কারণ ওই কাঠের পিপে। গোল্ড রামের চেয়েও এক পরত বেশি গাঢ় রঙের ডার্ক রাম তৈরি হয়ে ওঠে পুড়ে ঝামা হওয়া পিপেতে। স্বাদে গন্ধে অত্যন্ত কড়া—আঘ্রাণ করলে মিলতে পারে ঝোলাগুড় অথবা ক্যারামেলের গন্ধ। রামের বিবিধ মিশ্রণে ডার্ক রাম ব্যবহৃত হয় রঙ আর গন্ধে মিশ্রণটিকে সবল করে তুলতে। টাইপ করছিলাম, নিজেকে সামলাতে পারলাম না, দূর্গাপুজোর নবমীর রাতে প্রচণ্ড উল্লসিত উন্মত্ততার পর বিছানায় এলিয়ে যাবার আগে যদি নিখাদ ‘গোল্ড রাম’ কয়েক ঢোক গলায় ঢেলে দিতে পারেন, আহ! কী মোহনীয় পাতালবাস হয় ভরদুপুর পর্যন্ত।(এটুকু অস্বাস্থ্য)।

ওয়াইন

দ্রাক্ষাফলের অমোঘ আহ্বান নিয়ে বিরাজমান বহুবর্ণের, বহু স্বাদের, বহুরূপী ওয়াইন। নিস্পিষ্ট আঙুরের রসে ‘ইস্ট’ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় ওয়াইন।

ওয়াইনের যথার্থ স্বাদগ্রহণ সাধনা ছাড়া সম্ভব নয়। বর্তুলাকার, বড়-পরিধির বৃন্তযুক্ত পাত্রে ঢেলে নিন আপনার পছন্দের ওয়াইন। দেখুন তার রঙ। নাসারন্ধ্রের খুব কাছে নিয়ে এসে গ্লাসের তরলটিকে সামান্য আন্দোলিত করুন গভীর শ্বাসে। মুখে নিন সামান্য ওয়াইন। গিলবেন না, জিভে-টাগরায় অনুভব করুন জটিল, দুরূহ সব স্বাদ-গন্ধের মায়াজাল বিস্তার। এবার গিলে নিন। সাধনায় হয়তো এমনও দিন আসতে পারে, যেদিন এক-চুমুকে বুঝে নেবেন কোন বছরের, কোন বাগানের দ্রাক্ষাজাত ওয়াইন রয়েছে আপনার গ্লাসে।

বিয়ার

স্টার্চ থেকে প্রস্তুত হয় বিয়ার। ‘মল্টেড বার্লি’ এ পানীয়ের সর্বপ্রধান উৎস। ‘হপ’ গাছের ফুল যোগ করা হয় বিয়ার প্রস্তুতকালে—তার ফলে আসে পানীয়টির তিক্ত স্বাদ। নানাজাতের, হরেক প্রকারের বিয়ার মেলে বাজারে। যেমন “এল”—শ্রেষ্ঠ ইস্টে জারানো এই বিয়ার। পাবেন “লাগার” বিয়ার — সাত থেকে বারো ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে এ বিয়ারের প্রথম দফার প্রস্তুতি। তারপরেও শূন্য থেকে চার ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে রাখা হয় এই বিয়ার প্রস্তুত করার সময়।

বিয়ার পান করতে গেলে সচেতন হতে হবে পানীয়ের তাপমাত্রা সম্বন্ধে। হাল্কা লাগার বিয়ার পান করুন আট ডিগ্রীর কম তাপমাত্রায়। ডার্ক লাগারের তাপমাত্রা যেন না ছড়ায় নয় ডিগ্রী। আবার একটু টাইপ থেকে বেরতে হল। বিয়ার খেতে পাই না কতদিন! এখানে পড়ুন : এই অসম্মান

ভদকা

ভুট্টা থেকে তৈরি হয় ভদকা, হয় আলু থেকেও। ময়দা থেকে নির্মিত হয় এ পানীয়, আবার “রাই” নামক শস্যও ব্যবহৃত হয় এর নির্মাণে। এর ফলে এক ভদকার থেকে অন্যের তফাৎ প্রায় আলোকবর্ষী। যে রকম ভদকা কিনুন না কেন, গুণগত মানে তা যেন হয় প্রথম শ্রেণীর।

পানীয়টিকে সযত্নে রাখুন ফ্রিজে। ঠান্ডা অবস্থায় এ সুরার সূক্ষ্ম মিষ্টত্ব প্রকট হয়ে ওঠে। ঢালুন ঠান্ডা গ্লাসে, ছোট ছোট চুমুকে পান করুন এই পানীয়। মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।

জিন

জুনিপারের গন্ধ পাবেন জিনে। ডিস্টিলড জিন প্রস্তুত করা হয় “হোয়াইট গ্রেন স্পিরিট” থেকে, তারপর তাতে মেশে জুনিপার ফল।

জিনের ব্যবহার আছে বিভিন্ন মিশ্র পানীয়ে, ইংরেজিতে যাকে বলে mixed drink। জিন ব্যবহার করুন ককটেল বানাতে। এ পানীয়, যাকে বলে, বেশ “ড্রাই”। জিন পান করলে পিপাসার্ত বোধ করতে পারেন। যথেষ্ট “টনিক ওয়াটার” অথবা “ওয়াইন” মেশান জিনের ককটেলে। বিশুষ্ক জিনকে আর্দ্র করার এ এক পদ্ধতি।

**দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার বাংলা সাময়িকী “সময়” থেকে সংকলিত।

মাসুদ করিম

লেখক। যদিও তার মৃত্যু হয়েছে। পাঠক। যেহেতু সে পুনর্জন্ম ঘটাতে পারে। সমালোচক। কারণ জীবন ধারন তাই করে তোলে আমাদের। আমার টুইট অনুসরণ করুন, আমার টুইট আমাকে বুঝতে অবদান রাখে। নিচের আইকনগুলো দিতে পারে আমার সাথে যোগাযোগের, আমাকে পাঠের ও আমাকে অনুসরণের একগুচ্ছ মাধ্যম।

৪২ comments

  1. বিনয়ভূষণ ধর - ২৮ আগস্ট ২০০৯ (১১:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    ভদকা
    ভুট্টা থেকে তৈরি হয় ভদকা, হয় আরু থেকেও। ময়দা থেকে নির্মিত হয় এ পানীয়, আবার “রাই” নামক শস্যও ব্যবহৃত হয় এর নির্মাণে।এর পলে এক ভদকার থেকে অন্যের তফাৎ প্রায় আলোকবর্ষী। যে রকম ভদক্ কিনুন না কেন, গুণগত মানে তা যেন হয় প্রথম শ্রেণীর।
    পানীয়টিকে সযত্নে রাখুন ফ্রিজে। ঠান্ডা অবস্থায় এ সুরার সূক্ষ্ম মিষ্টত্ব প্রকট হয়ে ওঠে। ঢালুন ঠান্ডা গ্লাসে, ছোট ছোট চুমুকে পান করুন এই পানীয়।মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।

    মাসুদ করিম! আমার ভাই বারো মাসই ভদ্‌কা প্রিয় লাগে। কিছুদিন আগে ‘বাতিঘর”-এ কিছু পকেট সাইজের বই দেখলাম। যেখানে Wine//Whiskey-র উপর লেখা ছিলো। সংগ্রহে না থাকলে নিয়ে নিতে পারেন কপিগুলো। প্রথম শ্রেণীর জিনিস কোথায় আর পাবো বলুন! আমাদের দর্শনা’র “কেরু এ্যান্ড কোং”-এর Vodka কিন্তু খারাপ নয় একেবারে।

  2. Tokon Thaakoor - ২৯ আগস্ট ২০০৯ (১:২১ অপরাহ্ণ)

    ami comred, Artist Rashid Aminer songe ekmot poshon korcchi, ji, banglar ghore ghore poucche deowa dorkar.

  3. Tokon Thaakoor - ২৯ আগস্ট ২০০৯ (১:২৪ অপরাহ্ণ)

    eta abar ki kotha je, nete montobbo kore wait korte hobe! train ki ekhaneo late kore asbe?

    • মুক্তাঙ্গন - ২৯ আগস্ট ২০০৯ (৩:২৭ অপরাহ্ণ)

      @ টোকন ঠাকুর,

      মন্তব্য কিন্তু সরাসরিই প্রকাশিত হয়ে থাকে এখন। আপনার কেন অপেক্ষা করতে হল বুঝতে পারছি না। মন্তব্য দেয়ার ঠিক পর পরই পাতাটি রিফ্রেশ/রিলোড করলেই সেটা দেখতে পাবার কথা। আপনি রিলোড করে দেখেছিলেন? এই বিষয়টা নিয়ে মন্তব্যকারীরা যেন বিভ্রান্ত না হন সেজন্য প্রতিটি মন্তব্য পেশের পর ধন্যবাদ জানিয়ে একটি স্বয়ংক্রিয় বার্তা দেখানো হয় (সবুজ বর্ডার এর ভেতর)। বার্তাটি এরকম:

      ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ঠিক এখনি দেখতে না পেলেও মন্তব্য-পেশ সফল হয়েছে। এই পাতা রিলোড/রিফ্রেশ হলেই আপনার সদ্য পেশকৃত মন্তব্যটি দেখতে পাবেন। কখনো কখনো সাইটের স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো মন্তব্যে যদি লিন্ক (URL) এর আধিক্য থাকে, তার তাৎক্ষণিক প্রকাশ এভাবে স্থগিত হয়ে যায়, সম্ভাব্য “স্প্যাম” বিবেচনায়। আপনি যদি মনে করেন আপনার মন্তব্যটি ত্রুটিবশতঃ স্থগিত হয়ে আছে (অর্থাৎ, এটি স্প্যাম নয়) তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ব্লগ-এডমিনকে অবহিত করুন যাতে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়। আবারও ধন্যবাদ।

  4. বিনয়ভূষণ ধর - ৩০ আগস্ট ২০০৯ (৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ)

    @টোকন ঠাকুর!
    প্রণাম ঠাকুরদা! আমাদের ভুবনে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আপনার লেখা বা মন্তব্য এখন থেকে এখানে নিয়মিত পাবো বলে আশা করছি।

  5. মুয়িন পার্ভেজ - ২২ অক্টোবর ২০০৯ (১:৪৪ পূর্বাহ্ণ)

    মদ্যবিষয়ক তৃষ্ণাজাগানিয়া এই গদ্য বেশ ভালো লাগল। সুরারসিকেরা নিশ্চয়ই এর মর্ম আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। পড়তে পড়তে আমার মনে প’ড়ে গেল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সংলাপময় প্রেমাতুর কবিতাংশ :

    — তুমি একটু স্বস্থ হও, আমার প্রশ্নটা একটু
    মন দিয়ে শোনো
    — স্বস্থ? এটা বাংলা বুঝি? সুস্থ নয়?
    কখনো শুনিনি
    — বড্ড বেশি পানটান হয়ে গেছে। তাই না? এখন তুমি
    কিছুই বুঝবে না
    — বড্ড বেশি কাকে বলে! নীরোদ সি চৌধুরী ঠিক
    এক পেগ, পণ্ডিত নেহরু দুটো
    জ্যোতি বসু আড়াই শুনেছি, আর আমি
    শূন্য আঁকড়ে বসে আছি, পান নয় টান শুধু টান

    ( ‘ভালোবাসা! ভালোবাসা!’, সানন্দা, বর্ষ ১১, সংখ্যা ১৭, ১১ এপ্রিল ১৯৯৭, কলকাতা, পৃ. ১০৫)

    নেহরু-জ্যোতির পানীয় সংক্রান্ত কোনো ‘এলাহাবাদ প্রশস্তি’ পাইনি, তবে নীরদচন্দ্র চৌধুরীর (১৮৯৭-১৯৯৯) মদ্যপ্রীতি ও আতিথেয়তার কৌতুকপ্রদ বিশদ বিবরণ দিয়েছেন নবনীতা দেবসেন :

    আমি আর মাসিমা [অমিয়া চৌধুরানি] গল্প করছি ওপরের ঘরে, নীরদবাবু উঠে এলেন —
    “কী খাবে? চা, না কফি?”
    “কে তৈরি করবে? আমি, না আপনি?” কেননা ওঁদের সংসারে সাহায্যকারিণী মেয়েদের কেউই এই সময়টায় থাকে না।
    “আমি অবশ্যই। তুমি কী ভেবেছ চা-কফি বানাতে পারি না?”
    “তাহলে কোনওটাই না।”
    নীরদবাবু হেসে উঠলেন, দুষ্টু-দুষ্টু চোখে চশমার ফাঁকে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ভুলেই গেছি, ছ’টা বেজে গেছে। সন্ধ্যার পর তো চা-কফি দেবার কথাই নয়! কী দেব? ভাল ক্ল্যারেট আছে। দিই?” আমি মোদো টাইপের লোক নই। কিন্তু বাবার মতো টিটোটলারও নই। ভাল ওয়াইন পেলে নিশ্চয় তার সদ্ব্যবহার করতে জানি। আর নীরদবাবুর ওয়াইন সেলার জগদ্বিখ্যাত হয়ে গেছে। তাঁর ‘ভাণ্ডারে রাশি রাশি সোনাদানা ঠাসাঠাসি’ হয়তো নেই, কিন্তু দুর্মূল্য গ্রন্থ, দুষ্প্রাপ্য রেকর্ড, মহার্ঘ ওয়াইন আর দুর্লভ ছবি আছে।

    তাহলে বলেই ফেলা যাক। সেই প্রথমতম দিনে নীরদবাবুর বাড়িতে একটু মনঃকষ্ট হয়েছিল। ওয়াইন প্রসঙ্গ আলোচনা করতে করতে নীরদবাবু একের পর এক দুর্মূল্য ওয়াইনের বোতল এনে আমাদের দেখিয়ে, তাদের ঠিকুজিকুলুজি বোঝাতে লাগলেন। তারপর অনাঘ্রাত কুসুমের মতোই তারা যথাস্থানে ফিরে যেতে লাগল। দুটো অসামান্য শ্যপাঁঞ (আমরা লিখি ‘শ্যাম্পেন’, নীরদবাবু লেখেন ‘শ্যাপাঁঞি’) দেখালেন। কোনওটাই খোলা হল না। আমি আর তপনদা [তপন রায়চৌধুরী] তার পক্ষে যথেষ্ট খানদানি অতিথি ছিলুম না।

    তবে হ্যাঁ, সবচেয়ে দুঃখ হয়েছিল আর এক দিন, উনি যখন বিরাট এক বাক্স চকোলেট এনে আমাকে দেখিয়ে বলেছিলেন বেলজিয়াম থেকে কোনও বিশিষ্ট অতিথি তাঁকে এই বিশেষ চকোলেট উপহার দিয়েছেন। কিন্তু বাক্সটা খোলেননি। তাই আজ ক্ল্যারেটের অফার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকসেপ্ট করে নিই। একটু পরে নীরদবাবু আবার সিঁড়ি দিয়ে উঠে এলেন, দু হাতে সাবধানে ট্রে ধরা। তাতে দুর্মূল্য দুটি স্ফটিকের পাত্রে টলটল করছে গাঢ় লাল ক্ল্যারেট, আর একটি মগে ধোঁয়া ওঠা উষ্ণ স্বাস্থ্যকর পানীয়, মাসিমার জন্যে। প্লেটে কাজুবাদাম, আলুভাজা ইত্যাদি। যত্ন করে মাসিমার খাটে ট্রে রেখে, নিজে একটি চেয়ার টেনে এনে বসলেন। তখন বয়স সাতানব্বই। আমাদের সাতাশ বছরের যুবককেও লজ্জা দিতে পারেন, তিনি তাঁর অতিথিসৎকারের নৈপুণ্যে।

    ( ‘একাই একশো’, দেশ, বর্ষ ৬৫, সংখ্যা ১, ১ নভেম্বর ১৯৯৭, কলকাতা, পৃ. ৪০, ৪১)

    নীরদচন্দ্র নিজেই তাঁর ‘মদ্যপানের সাফাই’ লিপিবদ্ধ করেছেন সবিস্তারে, ‘আমি কেন বিলাতে আছি’ নামের ‘কৈফিয়তমূলক’ রচনায় :

    সুরাপায়ী বলিয়া দেশে আমার খ্যাতি বা অখ্যাতি রটিয়াছে। কোনো কোনো সংবাদপত্রে মদের বোতলসহ আমার ফটোগ্রাফ বাহির হওয়াতে এই ধারণা আরও বদ্ধমূল হইয়াছে। ধারণাটা একেবারেই ভিত্তিহীন। আমি মনোরঞ্জনের জন্য কিনিলেও মদ্যপায়ী নই। আমি এইসব ব্যাপারে অত্যন্ত ব্রাহ্মভাবাপন্ন ছিলাম। ১৯৪৬ সন পর্যন্ত মদ্যপান করা দূরে থাকুক পান-তামাক, এমনকি চা পর্যন্ত খাইতাম না। সেই বৎসরে বিশেষ কারণে আমি পত্নীর সহিত পরামর্শ করিয়া মদ্যকে গৃহপ্রবেশ করাই। তখন হইতে আমি ঘরে উচ্চস্তরের মদ্য রাখিয়াছি বটে, কিন্তু তখনও হুইস্কি কিনি নাই। আরও বলিবার আছে, আজ পর্যন্ত নিজের জন্য একটি বোতলও খুলি নাই। শুধু অতিথি আসিলে উহাদের সংবর্ধনা ও আপ্যায়নের জন্য যাহা প্রয়োজন হয় খুলি। দেশেও আমি যথাসম্ভব উচ্চশ্রেণীর ‘ওয়াইন’ কিনিতাম, এখানে উচ্চতম শ্রেণীর কিনি। এই শ্রেণীর মদ্য দূরে থাকুক, গলাধঃকরণের মতো মদ্যও দেশে থাকিলে পাইতাম না। এখানে আমি যে-সব ‘ওয়াইন’ কিনি তাহার নাম করিলে নিজের জাঁক দেখাইবার মতো হইবে। তবু আমার কথা যে সত্য তাহা প্রমাণ করিবার জন্য তিনটির নাম করি — ক্ল্যারেট পেট্রুস্, হক্ এট্রিসের লেনশেন্ বেরেনআউস্‌লেজে আইস্ ভাইন (১৯৭১ সন), ও শ্যাম্পেন ভম পেরিনিয়োঁ। যাঁহারা এ বিষয়ে সন্ধান রাখেন তাঁহারা বুঝিবেন এসবের তাৎপর্য কি। আমি বিত্তহীন হইলেও এসব রাখি দেশের সম্মান রাখিবার জন্য। অভিজাত ইংরেজ আসিলেও যাহাতে না বলিতে পারেন ‘আহা! ইহারা ভারতীয়, ইহাদের অজ্ঞতা ও রুচিহীনতা ক্ষমা করিতে হইবে।’ আমি নিজের অপমান কখনও সহ্য করি নাই, দেশের অপমানকে বাপ তুলিয়া গালির মতো মনে করি। আমার মদ্যপানের এই সাফাই।

    (দেশ, শারদীয় ১৩৯৯, কলকাতা, পৃ. ১৬৮)

    নবনীতা নীরদচন্দ্রের ‘মহার্ঘ ওয়াইন’-এর সঙ্গে তাঁর মহার্ঘ স্মৃতিশক্তিরও প্রশংসা করেছেন দৃষ্টান্তসহ। আমরা মনে রাখতে পারি, নীরদচন্দ্র তাঁর শেষ বইটি (Three Horsemen of the New Apocalypse) লেখেন নিরানব্বই বছর বয়সে — একেই বোধহয় বলা যায় মনসিজ মজুমদারের ভাষায় ‘প্রতিস্পর্ধী বার্ধক্য’ (দেশ, বর্ষ ৬৫, সংখ্যা ১, ১ নভেম্বর ১৯৯৭, কলকাতা)! পরিমিত মাত্রায় মদ্যসেবন কি তাহলে স্মৃতিশক্তি বা সৃজনশীলতার পক্ষেই কাজ করে মৃতসঞ্জীবনীর মতো? অন্যদিকে, অপরিমিত পানীয়ব্যসনের মাত্রাও বা কেমন হতে পারে তার একটি নমুনা দেখা যাক। এক সাক্ষাৎকারে, ‘আপনি কি মদ্যপান করেন?’ — শরীফা বুলবুলের এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন হুমায়ুন আজাদ, ‘করি। মানুষ গত কয়েক হাজার বছরে যত রকম খাদ্য এবং পানীয় উদ্ভাবন করেছে তার মধ্যে মদ্য একটি অসাধারণ বস্তু।’ এরপর তিনি শোনান এক দীর্ঘ পান-অভিজ্ঞতার মনোহর গল্প :

    আমি একবার আমেরিকা যাওয়ার পথে যখন বিমানে উঠি, বিমান তরুনী [তরুণী] (বিমান বালা) আমাকে বলছে, কি [কী] পান করতে চান? আমি বললাম, রেড ওয়াইন। আমি রেড ওয়াইন পান করতে করতে আবুধাবীতে পৌঁচেছি [পৌঁছেছি], আবার সেখান থেকে রেড ওয়াইন পান করতে করতে নিউইয়র্কের কেনেডি বিমান বন্দরে নেমেছি। আমার দাঁত লাল হয়ে গেছে, ওখানে যাওয়ার পর সবাই ধরেছে স্যার আপনি কি [কী] পান করবেন? হুইস্কি না বিয়ার? না ওয়াইন-পান করবেন? আবার আসার পথে ঠিক করেছি এবার হোয়াইট ওয়াইন খাব এবং পান করতে করতে করতে করতে ঢাকায় এসে নেমেছি হা হা হা হা।

    (হুমায়ুন আজাদ : এই বাঙলার সক্রেটিস, জামাল উদ্দিন ও শরীফা বুলবুল সম্পাদিত, ফেব্রুয়ারি ২০০৪, বলাকা প্রকাশন, চট্টগ্রাম, পৃ. ১০৫, ১০৬)

    পরিমিত-অপরিমিত যা-ই হোক, সুরসিক ব্যক্তিরা সুরাপানে সম্ভবত সে-পর্যায়ে যান না যাকে মাতলামি বলা যায়, কিন্তু সাধারণ অসচ্ছল মানুষেরা মদ্যপ হয়ে উঠলে তা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার সাক্ষ্য সাম্প্রতিক একটি খবর থেকে নেওয়া যাক :

    আদাবরে নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
    কাগজ প্রতিবেদক

    রাজধানীর আদাবর এলাকায় নেশাগ্রস্ত স্বামীর হাতে আখি [আঁখি] আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে পাষণ্ড স্বামী মোঃ সিরাজ তাকে গলা টিপে হত্যা করে। এদিকে আঁখি আত্মহত্যা করেছে বলে পালানোর সময় গতকাল বুধবার স্থানীয় লোকজন সিরাজকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
    ***
    সিরাজ রিকশা চালক এবং আঁখি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে।

    (ভোরের কাগজ, বর্ষ ১৮, সংখ্যা ২৩৭, ১৬ অক্টোবর ২০০৯, ঢাকা, পৃ. ৮)

  6. মাসুদ করিম - ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ (৫:৪৬ অপরাহ্ণ)

    এক পাইন্ট বিয়ারে যে এত আনন্দ পাই, তা তো এমনি এমনি নয়, এতো সভ্যতার প্রথম আনন্দ, রুটির আগেই এসেছিল বিয়ার, কৃষির শুরু এলকোহলিক পানীয় তৈরির দানা সংগ্রহেরই উদ্দেশ্যে — মার্কিন প্রত্নতত্ত্ববিদ প্যাট্রিক ম্যাকগভার্নের গবেষণা নিয়ে লিখছেন Frank Thadeusz, Alcohol’s Neolithic Origins

    • ইমতিয়ার - ২৪ ডিসেম্বর ২০০৯ (৬:২০ অপরাহ্ণ)

      সীমাহীন আনন্দ পেলাম মাসুদ ভাই। যদিও আবুল হাসানের ওই কবিতার মতো বলতে হয়, ‘এখন পারি না। একসময় আমিও পারতাম/ আমারও প্রিয় ছিল…’। আমাদের পূর্বপুরুষগণ সত্যিই সমঝদার ছিলেন। এ যে কত বড় শিল্প, ক্রমশই আমরা বিস্মৃত হচ্ছি, দুঃখ এই।
      তো হয়ে যাক না হয়, এই পুনরাবিষ্কার উপলক্ষে বড়দিনের আগেই…

    • কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর - ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯ (১০:৫১ অপরাহ্ণ)

      মাসুদ করিম,
      গুরু আমার, আপনাকে শাদামাটা প্রণাম নয়, ষাষ্টাঙ্গে প্রণাক করণের স্বাদ হয় (আরে ধুর, গ্যাঞ্জাইম্যে-দুনিয়ায় বয়স নিয়া অত ভাবলে চলে?)। খোদার কসম, আপনি যে ২৭ অগাস্ট ২০০৯-এ নেশা জাগানিয়া কাজ-কর্ম শুরু করলেন, তা তো এখনও থামল না।
      একবার আমার আপন বড়োভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাশিয়াতে ভদকা ভক্ষণের এত গল্প শোনা যায়, তা কি সত্যি? রাশিয়াতে পড়াশুনা করতে থাকা (তা ১৯৮১-৮২ সালের কথা) ভাইজান বললেন, আমাদের দেশে কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি পানি পান করেন কিনা- তা যেমন হাস্যকর একটা কথা প্রশ্ন, তেমনি রাশিয়াতে ভদকাও পানি-ভাত আর-কী! তো, তখন থেকেই আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম, পৃথিবীর স্বর্গ আসলে কাশ্মির নয়, রাশিয়া। সমাজতন্ত্রের সাথে ভদকার এমন সহমিলন- তাহলে রাশিয়া কেন ভূস্বর্গ নয় হাহাহা!
      এখন মাসুদ করিমের পোস্টটি ঠোটস্থ, জিবস্থ, গলাস্থ, পেটস্থ, এমনকি মলস্থ করতে করতে মনে হচ্ছে, আহারে যদি বেহেশত থাকত, আর আমি যদি তার বাসিন্দা হতাম, তবে শ্রীমান সৃষ্টিকর্তাকে মাসুদ করিমের পোস্টটি ধরিয়ে দিয়ে বলতাম, গুরু. আমি আর কিচ্ছু চাই না। আমি যা চাই, তা এই লিস্টে বিস্তারিত লিপিব্দ্ধ আছে। দুনিয়ায় আপনার পেয়ারের মোল্লাদের যন্ত্রণায় অনেক কষ্টে নিজেরে কন্ট্রোল করছি। এইখানে তো আপনিই রাজা, আর হেথায় ত নিষেধ মালই ফরজ করা আছে – নাকি?

  7. রেজাউল করিম সুমন - ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ (৮:৩৫ অপরাহ্ণ)

    আমাদের এক সোমরসিক অগ্রজ একটি পানশালার নতুন নাম দিয়েছিলেন ‘দাগেস্তান’। কেন এই নামকরণ? ‘On Wine Horns’ শিরোনামের অনবদ্য কবিতিকা-গুচ্ছটি তো দাগেস্তানেরই এক কবির লেখা! কয়েকটি কবিতিকা পড়া যাক –

    Here’s to the drinkers of wine
    Who pour and adore it,
    Explore all the lore of the vine
    Or blithely ignore it!

    * * *

    Man drank and died, still drink – and die.
    But shall Death pass non-drinkers by?

    * * *

    Come drink, procrastinator,
    We’ll find a reason later!

    * * *

    All that is said when good wine flows,
    Better than God, the wine horn knows.

    * * *

    Drink your fill of fragrant foam
    But don’t forget the way back home!

    * * *

    A ban on drink won’t stop a drinking man,
    Nor does it stop the authors of the ban.

    * * *

    Rain swells the stalk,
    And wine, our talk.

    * * *

    A wise man drank, into a fool he grew.
    The opposite has often happened, too.

    * * *

    You pour the wine and drink it like a king,
    But soon discover you’re its underling!

    * * *

    Full of wine? Uplift it!
    Empty? Swiftly fill it!

    * * *

    Wine suites all men, it’s such
    A pleasure to consume,
    But you must know how much,
    Why, when, where, and … with whom.

    • অঞ্জন সরকার জিমি - ৩ জানুয়ারি ২০১০ (৬:১৮ পূর্বাহ্ণ)

      মদ্য নিয়ে অনবদ্য গদ্যটি সদ্য পড়ে শেষ করলাম। মাসুদ ভাই, অদ্য এই অভাজনের গ্রহণ করুন লাল সালাম।

  8. মাসুদ করিম - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ (১০:১৩ অপরাহ্ণ)

    বিয়ারউৎসব, অক্টোবারফেস্ট ২০১০, ছবি দেখুন এখানে

  9. রায়হান রশিদ - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ (১১:১৯ অপরাহ্ণ)

    পোস্টটি আবার পড়তে পড়তে মন অস্থির হল। খোঁজাখুঁজি করে ঘরেই গোটা তিন বোতল বিয়ার আর দু’বোতল ভদকা লাইম পাওয়া গেল; কয়েক সপ্তাহ আগের এক আড্ডা থেকে বেঁচে গিয়েছিল। ভাগ্যিস! সৈকত আচার‍্যের রয়েছে ক্যানারি ওয়ার্রফ এর জলাধার, আর সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুর সাথে একত্র হয়ে লন্ডনের নিভু নিভু হয়ে আসা রাতের তারার নিচে বসে পানের সৌভাগ্য। শত শত মাইল দূরের জনবিচ্ছিন্ন গ্রামের মেঠো প্রান্তরের পাশে আমরা সবাই তেমন সৌভাগ্যবান নই। কিন্তু ঘরে আপাতত বিয়ার এবং ভদকা-লাইম আছে, আছে গোটা দু’প্যাকেট সিগারেট। ধূ ধূ ফসলের মাঠের পাশের বারান্দায় গিয়ে বসছি এখনি। সন্ধ্যা নামছে। মনে পড়ছে রাঙামাটি আর বিজুর সময়কার মসলার সুগন্ধিমাখা দোচোয়ানীর কথা, আর ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের। দীর্ঘশ্বাস!

    • বিনয়ভূষণ ধর - ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৯:০৫ অপরাহ্ণ)

      @রায়হান!!! আমাদের দেশের পার্বত্য এলাকায় নাকি বিন্নি ধানের চাল থেকে একধরনের সুস্বাদু বিয়ার তৈরী হয়। যার রং অবিকল বিয়ারের মতো। আমার এখনো পেটে পড়েনি এই জিনিস। তোমাদের কারও কি কপাল হয়েছে এই জিনিস পান করার???

      • মাসুদ করিম - ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ (১০:০০ পূর্বাহ্ণ)

        এক প্রণালীতে খুব সরলভাবে তৈরি হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের মদ। স্মৃতি থেকে লিখছি, আমার সে চাকমা বন্ধু এখন অভিবাসী — যোগাযোগ নেই অনেকদিন, সেই বলে ছিল প্রথম চোয়ানির মদটাই আমরা যাকে বিয়ার বলছি তা, আমি পান করেছি আমাদের বাজারের বিয়ারের চেয়ে ভাল সেই বিয়ার, এর মজা আবার অন্য জায়গায় — এই বিয়ার বিশেষ অতিথি ছাড়া কাউকে ওরা খেতে দেয় না — বিশেষত বিজুতে কোনো স্বচ্ছল আদিবাসীর বন্ধু হিসেবে তাদের ঘরের অন্দরে যাওয়ার সুযোগ হলেই আপনি পাবেন এই মহার্ঘ একচোয়ানি — একচোয়ানির খরচ বেশি, এতে আঙ্গুর বা কমলা একসাথে তন্ডুলের (চালের জাগ) সাথে চোয়ানো হয়, খুব কম পরিবারেই আজ এই পানীয় তৈরি হয়। এক-দুই-তিন-চার: এই চারটি চোয়ানির সরল পদ্ধতিই পার্বত্য মদ তৈরির পদ্ধতি। বেশিরভাগ তন্ডুল দোচোয়ানির জন্য রেখে বাকিগুলো খুব অল্প পরিমাণে করা হয়, তিনচোয়ানি কখনো পরিবেশিত হয় না — চারচোয়ানিতে নিয়েই তবে পরিবেশিত হয় শুদ্ধতম এই মদ। শিল্পবিনিয়োগ ছাড়া পার্বত্য মদশিল্পের বিকাশ আর সম্ভব নয়, বোতলজাত করে বিক্রি করার মতো এই পানীয় অবহেলায় অবহেলায় এর মধ্যেই বিকট ভেজালের শিকার হয়ে পড়েছে।

        • বিনয়ভূষণ ধর - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৫:০৩ অপরাহ্ণ)

          @মাসুদ ভাই!!!
          এক চোয়ানি যে বিয়ার তা আমি এই প্রথম জানলাম! আমার এখনই খুব লোভ হচ্ছে পান করে দেখার!!!…:)

          এক-দুই-তিন-চার: এই চারটি চোয়ানির সরল পদ্ধতিই পার্বত্য মদ তৈরির পদ্ধতি।

          আমার দৌড় এখন অবদি দো-চোয়ানী পর্যন্ত! তিন ও চার চোয়ানি’র কথা আপনার লেখা থেকে জানতে পারলাম। কখনো পান করা হয়নি। তবে সামনে আশা রাখছি পান করে দেখার।

          তিনচোয়ানি কখনো পরিবেশিত হয় না

          তিন চোয়ানি কেনা কখনো পরিবেশিত হয় না ???
          আপনার দেয়া তথ্যের জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি…

        • মাসুদ করিম - ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ (৮:৩৮ অপরাহ্ণ)

          পার্বত্য চট্টগ্রামের মদ নিয়ে কি আর কিছু হবে। কিন্তু চীনের গুইজু প্রদেশের প্রায় একই ধরনের মদ তো বিশ্ব জয় করে ফেলল।

          Chinese liquor brand Moutai sees fast growth along Belt and Road

          Kweichow Moutai, China’s national liquor, is reaping the benefit of the Belt and Road Initiative as sales in Central and Eastern Europe have jumped by almost 90 percent since its proposal in 2013, said Zhang Deqin, deputy general manager of the Moutai group.

          Moutai’s overseas sales in the first six months (H1) of 2017 grew by 40 percent year-on-year, according to a company report, with sales in 26 countries along the Belt and Road accounting for nearly 19 percent of all sales.

          “We will explore more markets with better understanding of consumption habits, levels, economic conditions of Belt and Road countries,” Zhang said, adding that the group would look for overseas franchise opportunities.

          Globally, Moutai is sold in 78 countries and regions, the group earned 314 million US dollars through exports of 1,721 tonnes of Kweichow Moutai and other alcoholic beverages, the company reported.

          Moutai’s shares touched a record intraday high of 500.10 yuan each on August 14, and recently changed hands at 491.27 yuan in Shanghai, giving the company based in the township of Maotai 617 billion yuan (93.7 billion US dollar) in market capitalization. In H1, Moutai’s market value surpassed Guizhou’s gross domestic product.

          The Chinese liquor group, best known for making a fiery rice liquor called baijiu, is the world’s most valuable liquor company by market capitalization.

          Produced in Guizhou Province, Moutai is often served on official occasions in China, such as state banquets.

  10. অস্মিতা - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ (১১:৩৭ অপরাহ্ণ)

    পশ্চিমে এসে এক জাতীয় ওয়াইন আমার হৃদয় হরণ করেছিল। মীড (Mead)। মধু থেকে তৈরী এবং সুমিষ্ট। মধ্যযুগে সদ্যবিবাহিতদের মধ্যে পানের রেওয়াজ ছিল, সুখী দাম্পত্য জীবনের সূচনা হবে – এই আশায়। তেমন সহজলভ্য নয়, সর্বত্র মেলে না। কদাচিত কোথাও পেয়ে গেলে দু’এক বোতল কিনে রাখার চেষ্টা করি। ভাবছিলাম, মধু খাওয়া যদি সুন্নত হয় (প্রাচীন মোল্লা প্রবাদ), মীডকে তারা কি বলবেন?

    • মাসুদ করিম - ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০ (১১:৫১ অপরাহ্ণ)

      @ অস্মিতা ভিয়েতনামেরটা খেলে আপনার অসাধারণ লাগবে, মধু থেকেই হয়…কিন্তু খুবই এলকোহলিক… অবশ্য বোতলে পাবেন না, কিনতে পাবেন না, গ্রামের দিকে যেখানে মধুর চাষ হয় সেখানে পাবেন @রায়হান রশিদ এই ভিয়েতনামের মধুআরক দোচোয়ানির মতোই কড়া আর নিরতিশয় বিশুদ্ধ…
      ফতোয়া মধুপান সুন্নত হলে সুরাপান ফরজ।

      • রায়হান রশিদ - ২১ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৭:৫৬ অপরাহ্ণ)

        মাসুদ ভাই,
        ভিয়েতনামের মধু-আরক এর কোন সুনির্দিষ্ট নাম আছে? ‘আরক’ এর প্রসঙ্গ যখন এলোই, তখন উল্লেখ না করে পারছি না। লেবানিজ এক রেস্তোরায় এই নামের একটি পানীয়ের সাথে পরিচয় ঘটেছিল। অসাধারণ এই তরলটির রং একটু ঘোলাটে সাদা রংয়ের, তৈরী হয় মৌরী (মিষ্টি জিরে) থেকে।

        অস্মিতা,
        মীড এর প্রস্তুতপ্রণালী দেয়া হল। নিজ দায়িত্বে প্রস্তুত এবং সেবন করার চ্যালেঞ্জ থাকলো। বেঁচে ফিরলে মুক্তাঙ্গনে আবার দেখা হবে।

        (সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই লিন্ক প্রদানকারীকে কোনো ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য দায়ী করা চলিবে না)

  11. রায়হান রশিদ - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৮:০০ অপরাহ্ণ)

    আলোচনাটায় গালিব প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়ার প্রতীক্ষায় …

    @ মাসুদ ভাই #৯.১.১
    এতো বিস্তারিত জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ।

    • বিনয়ভূষণ ধর - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ (৮:৩৭ অপরাহ্ণ)

      @রায়হান!!!…
      তুমি ঠিক ধরেছো। আলোচনাটায় মির্জা গালিব একেবারেই উপেক্ষিত হয়ে আছে এখন পর্যন্ত।

      • রেজাউল করিম সুমন - ১১ জুলাই ২০১১ (১২:১৫ পূর্বাহ্ণ)

        গালিবের কথা অন্য কেউ বলবেন নিশ্চয়ই; আপাতত পড়া যাক ‘Ode To Wine’! কেবল একজনই লিখতে পারেন এই কবিতা — পাবলো নেরুদা!

        Day-colored wine,
        night-colored wine,
        wine with purple feet
        or wine with topaz blood,
        wine,
        starry child
        of earth,
        wine, smooth
        as a golden sword,
        soft
        as lascivious velvet,
        wine, spiral-seashelled
        and full of wonder,
        amorous,
        marine;
        never has one goblet contained you,
        one song, one man,
        you are choral, gregarious,
        at the least, you must be shared.
        At times
        you feed on mortal
        memories;
        your wave carries us
        from tomb to tomb,
        stonecutter of icy sepulchers,
        and we weep
        transitory tears;
        your
        glorious
        spring dress
        is different,
        blood rises through the shoots,
        wind incites the day,
        nothing is left
        of your immutable soul.
        Wine
        stirs the spring, happiness
        bursts through the earth like a plant,
        walls crumble,
        and rocky cliffs,
        chasms close,
        as song is born.
        A jug of wine, and thou beside me
        in the wilderness,
        sang the ancient poet.
        Let the wine pitcher
        add to the kiss of love its own.

        My darling, suddenly
        the line of your hip
        becomes the brimming curve
        of the wine goblet,
        your breast is the grape cluster,
        your nipples are the grapes,
        the gleam of spirits lights your hair,
        and your navel is a chaste seal
        stamped on the vessel of your belly,
        your love an inexhaustible
        cascade of wine,
        light that illuminates my senses,
        the earthly splendor of life.

        But you are more than love,
        the fiery kiss,
        the heat of fire,
        more than the wine of life;
        you are
        the community of man,
        translucency,
        chorus of discipline,
        abundance of flowers.
        I like on the table,
        when we’re speaking,
        the light of a bottle
        of intelligent wine.
        Drink it,
        and remember in every
        drop of gold,
        in every topaz glass,
        in every purple ladle,
        that autumn labored
        to fill the vessel with wine;
        and in the ritual of his office,
        let the simple man remember
        to think of the soil and of his duty,
        to propagate the canticle of the wine.

  12. মাসুদ করিম - ৯ জানুয়ারি ২০১২ (৩:২০ অপরাহ্ণ)

    পান করুন এবং সেসাথে ভাবুন যকৃতটাকেও বাঁচাতে হবে — তাই বৃটিশ এমপিরা অনুরোধ করেছেন সবাইকে সপ্তাহে দুদিন ‘শুষ্ক’দিন পালন করতে।

    Everybody should be advised to take at least two alcohol-free days a week, say MPs, who urge in a report that safe drinking guidelines should be revised because they are confusing.

    The House of Commons science and technology committee says awareness of the existence of the guidelines is high, but public understanding of what they mean is poor. More help is needed so that drinkers understand what a unit of alcohol actually looks like, so they can have an idea of how many units they are drinking in a pint of beer, glass of wine or shot of vodka.

    In 1987, when alcohol guidance was published, it was set out as a maximum advised number of units per week, which was 21 for men and 14 for women.

    However, studies published in the early 1990s suggested a small amount of alcohol might be good for the heart. This, says the committee, led to a reframing of the guidance as a daily intake: no more than three to four units a day for men and two to three for women. Those who drink the maximum every day are therefore well above the earlier limits.

    But the MPs feels the health benefits of alcohol have been oversold. “The committee found a lack of expert consensus over the health benefits of alcohol and is therefore sceptical about using the purported health benefits of alcohol as a basis for daily guidelines for the adult population, particularly as it is clear that any protective effects would only apply to men over 40 years and post-menopausal women, yet the guidelines apply to all adults,” it said.

    Andrew Miller, chairman of the committee, said alcohol guidelines were a crucial tool for the government in its effort to combat excessive drinking.

    “It is vital that they are up to date and that people know how to use them. Unfortunately, public understanding of how to use the guidelines and what an alcohol unit looks like is poor, although improving.

    “While we urge the UK health departments to re-evaluate the guidelines more thoroughly, the evidence we received suggests that the guidelines should not be increased and that people should be advised to take at least two drink-free days a week.”

    The Royal College of Physicians supported the committee’s call. “The RCP believes that in addition to quantity, safe alcohol limits must also take into account frequency. There is an increased risk of liver disease for those who drink daily or near daily compared with those who drink periodically or intermittently,” said Sir Ian Gilmore, RCP special adviser on alcohol.

    বিস্তারিত পড়ুন : MPs call for two alcohol-free days each week and clearer guidelines on drinking

  13. সানাউল্লাহ - ৯ জানুয়ারি ২০১২ (৯:৫৯ অপরাহ্ণ)

    আমার পক্ষপাত অবশ্য হুইস্কির প্রতি মাসুদ করিম।

    এক. গ্লাসে বরফের তিন-চার টুকরো কিউব বিছিয়ে তার উপর হুইস্কি আস্তে ধীরে ঢেলে নিন। বরফের গা বেয়ে হুইস্কি নেমে নিজের জায়গা করে নেবে। তারপর সময় নিয়ে চুমুক দিন ‘হুইস্কি অন দ্য রকস’-এ।

    দুই. গ্লাসে হুইস্কি ঢেলে তিন-চার টুকরো বরফ আর পরিমান মতো সোডা। এটাও মন্দ নয়।

    তিন. আর সহজ সরল রেসিপি হচ্ছে: হুইস্কি সঙ্গে পরিমান মতো পানি ও বরফ।

    তবে সুরা বিশেষত ককটেল নিয়ে দারুণ কিছু ব্লগ পড়তে পারেন ক্যাডেট কলেজ ব্লগে। নূপুর কান্তি দাশ কিছুদিন পরপর “ব্যক্তিগত রেসিপি” নামে (http://www.cadetcollegeblog.com/nupurkanti/33031) এই লেখাগুলো নামায়। আর আমরা তা ভালোই উপভোগ করি।

    • মাসুদ করিম - ৯ জানুয়ারি ২০১২ (১০:২৪ অপরাহ্ণ)

      আপনি যা বললেন তার কিছুই আমি পরিবর্তন করতে চাই না — কিন্তু আমি প্রথম কথাটা অন্যভাবে বলতে চাই হুইস্কি আমার দুর্বলতা

  14. মাসুদ করিম - ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ)

    উ! লা! লা! মাইক্রোস্কোপের নীচে এতই সুন্দর পানীয়সমূহ, বিশেষত এলকোহল! থ্রি চিয়ার্স মাইকেল ডেভিডসন, নিঃসন্দেহে অসাধারণ তোমার গবেষণা।

    slide_211452_731636_huge
    স্কচ হুইস্কি

    slide_211452_731641_huge
    হোয়াইট ওয়াইন

    slide_211452_731640_huge
    ভদকা

    slide_211452_731629_huge
    শ্যাম্পেন

    In the 1990s, Michael Davidson used a high-powered microscope at the Florida State Research Foundation to photograph your favorite beverages and cocktails. Who knew that alcohol could be so incredibly beautiful?

    We have been assured that the images have not been retouched and the crystallized drinks on the microscope slides haven’t been dyed, which we admit is a little unbelievable, considering the vivid colors of the images below. It’s all in the cross-polarized light microscope, which refracts light through the crystal, creating a mixture of gorgeous colors.

    হুইস্কি, ভদকা, শ্যাম্পেন কেমন দেখায় মাইক্রোস্কোপের নীচে, দেখুন পড়ুন, ছবিসহ বিস্তারিত : How Researcher Michael Davidson Discovered The Beauty Of Alcohol

  15. মাসুদ করিম - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ (১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ)

    image-404191-galleryV9-clbv
    না, গির্জার প্রার্থনার হল নয়, বিসিএসের মতো কোনো সাধারণ পরীক্ষার হলও নয় — পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লোক উৎসব অক্টোবারফেস্টের বিয়ার উৎসবের প্রস্তুতিপর্ব, তাঁবু প্রস্তুত তার ভেতরে সিট পাতা হয়েছে বিয়ারপ্রেমীরা দলে দলে এসে কাড়ি কাড়ি বিয়ার গিলবে তাই। বেঁচে থাক Oktoberfest আমি কখন আসব সেই অপেক্ষায়।

    দেখুন ফটোগ্যালারি। পড়ুন : Ode to Oktoberfest

  16. মাসুদ করিম - ১০ অক্টোবর ২০১২ (১০:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    কড়ি কোমলে মধুর সঙ্গীত, সেভাবে আমরা এও জানি মাংসে মদ্যে (লাল/সাদা মদ) মানিকজোড়। কিন্তু সে তো আমরা শুধু জানতাম, মাংসে মদ্যে কেন মানিকজোড়, এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। আমাদের মুখে মাংসের পিচ্ছিল স্নেহস্বাদ এবং লাল/সাদা মদের কষাকণ্ডূয়ন কাম্য উপভোগ্যতার আনন্দ সৃষ্টি করে।

    Ever wondered why wine goes well with a fatty meal – the secret lies in how food and drink feels in the mouth, researchers suggest.

    Researchers say there is a reason why people the world over pair sharp, acrid tastes with fatty flavours.

    They say that just as hot and cold are at two ends of the temperature spectrum, astringent and fatty foods are opposites when it comes to texture.

    This means the wine counters the feel of the meat in the mouth, making it the perfect accompaniment.

    “The mouth is a magnificently sensitive somatosensory organ (sensing stimuli from the skin and internal organs) arguably the most sensitive in the body” said Paul Breslin of Rutgers University and the Monell Chemical Senses Centre.

    “The way foods make our mouths feel has a great deal to do with what foods we choose to eat” said Breslin in a statement.

    It might explain the appeal of salad dressings with their characteristic acids and oils for example. Think also of the pink folds of ginger on the sides of sushi plates or the soda with our burgers and fries.

    Researchers knew that astringent wines feel rough and dry in our mouths.

    Fats on the other hand are slippery. There was the notion that the two might oppose each other but it wasn’t quite clear how that might really work.

    Researchers show that weakly astringent brews – in this case containing grape seed extract a green tea ingredient and aluminum sulfate – build in perceived astringency with repeated sipping.

    When paired with dried meat those astringent beverages indeed counter the slippery sensation that goes with fattiness.

    This natural tendency for seeking balance in our mouths might have benefits for maintaining a diversity of foods in our diet.

    “The opposition between fatty and astringent sensations allows us to eat fatty foods more easily if we also ingest astringents with them” Breslin said.

    লিন্ক : Scientists discover why wine and meat pair so well

  17. মাসুদ করিম - ১৩ নভেম্বর ২০১২ (১০:২৬ পূর্বাহ্ণ)

    তো মিষ্টি আমার খুব প্রিয় আবার হুইস্কি আমার দুর্বলতা, এদুয়ের মিলন গোপন রেখেছিলাম, যদি কেউ হাসে এই ভয়ে। কিন্তু ভয় দূর করে দিয়ে গেলেন বিক্রম শেঠ গত শনিবার বাতিঘরে। এখন বলা যায়, আমি কাঁচাগোল্লা আর সন্দেশকে বেছে নিয়েছিলাম মিষ্টি সহযোগে হুইস্কি পান করার জন্য — আমার নিভৃত পানে এটা আমার খুব প্রিয় : কাঁচাগোল্লা-হুইস্কি মোটামুটি কিন্তু সন্দেশ-হুইস্কি অমৃত। এবং বিক্রম শেঠ তাই বললেন, একমাত্র মিষ্টি যা হুইস্কি সহযোগে আস্বাদনযোগ্য তা হল সন্দেশ। অবশ্য ইদানিং আমি সন্দেশ-হুইস্কি অমৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত, খেদ বাড়িয়ে লাভ নেই, কারণ আমাদের অনেক অসাধারণ পণ্যের মতো এটিও এখন ভেজালবণিকদের জাঁকজমকের দখলে।

  18. নবরস মুন্সি - ৩০ জুলাই ২০১৩ (১২:৫৭ অপরাহ্ণ)

    আড্ডাং শরণং গচ্ছামি, পানং শরণং গচ্ছামি, জীবনং শরণং গচ্ছামি

    নবরস মুন্সি বুদ্ধবাণী

  19. মাসুদ করিম - ২৯ নভেম্বর ২০১৩ (১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ)

    চমৎকার ইনফোগ্রাফিক্স, এক নজরে ‘ওয়াইন’কে জানার অসাধারণ আয়োজন।

    accurate-basic-wine-guide_528ea5937d946_w1500

  20. মাসুদ করিম - ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ (১০:১৬ পূর্বাহ্ণ)

  21. মাসুদ করিম - ২৫ মার্চ ২০১৪ (১১:১৭ পূর্বাহ্ণ)

    A university in southern England has announced that it was to offer a postgraduate course in viticulture and oenology, capitalising on the country’s booming sparkling-wine industry.

    The University of Brighton is offering budding vintners the chance to study for an MSc from September, and hopes to compete with similar courses in France and the United States.

    “This postgraduate program is the first created in the UK,” said Chris Foss, head of the Wine Department at Plumpton College – the University of Brighton affiliate hosting the course.

    At a cost of USD 9,900 each, 12 students will be immersed in every detail of the winemaking process for 15 months.

    “They will study the vine, wine chemistry, microbiology, climate, different soils and the science of sparkling wine,” Foss told in Monday.

    The students will benefit from a soon-to-be inaugurated £2-million research centre, part-funded by The Rathfinny Estate, a winery established by retired investment fund manager Mark Driver in 2010.

    The ultimate objective is to attract “students from around the world to give it an international dimension”, said Foss. Rathfinny Estate, one of the largest vineyards in Britain, is located in Alfriston, East Sussex.

    The estate has helped fuel Britain’s rising interest in local sparkling wine, and “there is more demand than supply at the moment,” Paul Brennon, press officer at the Rathfinny Estate.

    “English sparkling wine from Sussex in 2010 beat some French champagnes in the International Wine Challenge Award and it is getting well-know across the globe,” he added.

    Sparkling wines’ share of local wine production has risen from 30 per cent to 60 over the last five years, according to the English Wine Producers group.

    Britain is second only to France in the consumption of French champagnes and other sparkling wines, added the trade association.

    Britain’s cold climate means grapes ripen slowly, leaving them highly acidic and ideal for making sparkling wines.

  22. মাসুদ করিম - ২২ অক্টোবর ২০১৪ (৮:৩১ পূর্বাহ্ণ)

  23. মাসুদ করিম - ১৬ আগস্ট ২০১৫ (৬:১৯ অপরাহ্ণ)

    never heard about that there is different Feni than Feni river and Feni district – this Feni is a drink: distilled from…

    Posted by Masud Karim on Saturday, August 15, 2015

  24. মাসুদ করিম - ৩০ অক্টোবর ২০১৫ (৭:০৯ অপরাহ্ণ)

  25. মাসুদ করিম - ১২ নভেম্বর ২০১৫ (৯:২৯ পূর্বাহ্ণ)

    একদিন তাহলে রেডওয়াইন হোয়াইটওয়াইন উৎপাদন আশা করতে পারি বাংলাদেশ থেকে!

    Grape farming changes financial condition of Rangpur farmers

    Cultivation of grape has helped many farmers change their financial condition in different districts under Rangpur division in recent years.

    Encouraged by excellent profit a good number of people are showing their interest in its cultivation in recent times and as a result its cultivation is on the rise day-by-day in the region.

    Sources said, the soil and climate of Dinajpur, Rangpur, Thakurgaon and Panchagarh are suitable for grape cultivation.

    At present grapes are being cultivated only in a limited extent owing to non-availability of required seeds and other facilities.

    The local cultivators say that proper training and financial and technical assistances can pave way for large-scale commercial production of grapes across the region.

    Saiful, a grower at Baharkachna area in Rangpur City told the FE he has been cultivating grape in his homestead for last few years and selling those at a good price.

    Growers say much of the grapes produced in the areas belong to the average grade variety called ‘Jatka’.

    They also cultivate a number of high-grade varieties like Black Ruby, Cardinal, Pearl, Blue etc. Locally cultivated grapes are sweeter in taste than the imported ones, they claimed.

  26. মাসুদ করিম - ২ জানুয়ারি ২০১৬ (৫:১৪ অপরাহ্ণ)

    হ্যাংওভার! কাটাতে খান ৫ পদ

    সারা রাত পার্টি। সকালে চোখ খুলেও যেন খুলছে। ঝিমঝিম করছে মাথা। অথচ মাথায় পেল্লাই কাজ। কী করবেন? ভেবেই কান্না পাচ্ছে তো! এসব সময়ে কিছু ঠিকঠাক খাবার খেলেই কিন্তু কেটে যাবে হ্যাংওভার। কী খাবেন, জেনে নিন—
    •চিজ অমলেট— দু’টোই ঘরে থাকে। অমলেট বানাতে তো জানেনই। ওপরে ছড়িয়ে দিন চিজ। ওটুকুই কাফি। চিজ এমনিেতই হ্যাংওভার কাটাতে অব্যর্থ। ডিমে থাকে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা অ্যাসিটালডিহাইড করতে সাহায্য করে।

    •চকোলেট কেক— চকোলেট সব সময়ই ভালো। এসব সময়েও একই ভাবে কাজে আসে চকোলেট।

    •মশলা চিজ ফ্রেঞ্চ টোস্ট— চিজ আর ডিমের সঙ্গে পাউরুটির কম্বিনেশন। নেশাও কাটবে আর পেটও ভরবে।

    •বানানা মিল্ক শেক— দুধ, ক্রিম, কলা, ভ্যানিলা এসেন্স— এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ওপরে ছড়িয়ে দিন কয়েক কুচি বরফ। সঙ্গে সঙ্গে আপনি সুস্থ।

    • চিকেন ক্লাব স্যান্ডউইচ— সারা রাতের হই হুল্লোড়ের পর সকালে একটা ইয়াব্বড় চিকেন ক্লাব স্যান্ডউইচ। ভাবলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। মিটে যায় রাতের না–পাওয়া।

  27. আসিফ - ২৫ এপ্রিল ২০১৬ (৩:৫০ পূর্বাহ্ণ)

    স্কচ হুইস্কির বোতল খুলে কয়েক পেগ পান শেষে ফ্রিজে রাখলে কি ঠিকঠাক থাকে? মাসখানেক ঠিক থাকে? নাকি থাকে না? আমি মাঝে মধ্যে দেখেছি, রেখে দিলে পরিমাণে খুব সামান্য কমে যায়!

  28. মাসুদ করিম - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (৪:৩৩ অপরাহ্ণ)

    The She In The Goblet
    In a country where ‘wine’ shops sold everything but wine until a decade ago, much has changed since, with women rising to the industry’s top

    It’s 3 am and, at the Barcelona-El Prat airport, Rojita Tiwari is hurriedly emptying part of her suitcase. Stuck with extra luggage at the drop-off counter, the 30-something has a tough choice to make: two bottles of Priorat’s full-bodied red wine, or two bespoke dresses that she had got done after much effort. It wasn’t that difficult a choice really; how could she leave behind the sinful mix of Garnacha and Cariena grapes? “My first love will always be wine,” says Tiwari, smiling. And she knows by years of understanding and experiencing the fruity punch.

    Passion for wine is rare in India, but there has been a significant rise of interest in the beverage. Sales shot up 17 per cent in 2014-15, along with a sharp decline in that of imported distilled drinks such as rum, ­vodka and whiskey, says a recent report. And women too are travelling down the heady road. Tiw­ari has been writing about wine for years and has gained enough knowledge to be called for judging international wine competitions. Many others have made the drink their own—making, learning (all have diplomas and degrees in wine), writing, selling, consulting, but, most importantly, travelling to France, Italy, Germany, Spain, New Zealand, America, Canada, South Africa, Israel and other places for it. “In wine,” says Tiwari, “experience is the best teacher.”

    In fact, the first Indian ‘Master of Wine’—the biggest title in the industry, with only 353 holders—is a woman, Sonal Holland.

    “The Indian wine industry has come a long way since my first day here, when I saw wine being served before, rather than with, food,” says Cecilia Oldne, global ambassador and vice-president (marketing) of Sula Vineyards. “I had cringed that day and could see we had a long way to go.” Sula is now perhaps the most recognised and sold wine brand in India, selling 850,000 cases in 2015-16, against 150,000 cases of Grover-Zampa and 100,000 of Fratelli. Oldne’s wine journey dates back to when she was nine, and visi­ted a vineyard in the French Riviera with her family. She didn’t get to taste the wine then, but imbibed the country air, animals, scenic farms and laughter. “Now, every time I open a bottle of French Chateau, I relive the day, and that is why I love wine,” she says. “It is more than a bottle.” Oldne’s love for wine took her from studying it to making her own in France and South Africa, and eventually moving to India to oversee full-scale production.

    Other women in the industry have similar stories to tell. Karishma Grover, co-owner and wine-maker of Grover-­Zampa, recalls a time when a friend gave her a bottle of great wine. “I kept it for two years, taking it from place to place, very carefu­lly, until at another friend’s graduation we decided to open it,” says Grover. As luck would have it, when arriving at the friend’s place, the bottle slipped and broke. “I haven’t ever kept a bottle, swearing by the ‘you buy wine to drink it’ formula,” she laughs. Grover, who grew up in the business of wine, needed little push to find her passion and went fast from studying oenology and viticulture to leading production at Grover-Zampa. Some, like Kiran Patil of Reveilo Wines, chanced on the wine business first and fell in love with it only later. “We had been stuck in corporate jobs for the longest time, until my husband one day decided to take charge of his ancestral vineyards and, instead of supplying grapes, produce our own wines,” says Patil. “I followed him soon to manage the sales and marketing.”

    Holland, perhaps one of the biggest knowledge banks on wine that we have, and Madhulika Dhall, founder­-owner of boutique wine store La Cave, have their husbands to credit for their vast experience of wine. “My husband is British and we would often, on our trips back to London, have lots of wine,” rec­alls Holland. The love affair started then. Over time, it led to inspiration from wine expert Jancis Robinson and Holland decided to give India its own Robinson.

    Dhall’s husband worked in the wine ind­ustry and introduced her to the beverage. “I travelled and experienced wine because of my husband,” says Dhall. “The great mem­ories made me want to bring back the experience to India, and share it with the people in a comfortable setting,”

    For Reva K. Singh, founder-editor of Sommelier India, India’s first wine magazine, it was a coming together her love of wine, a family inheritance, and her love of writing. “I always wanted to have a magazine of my own,” says Singh. “I would tear pages and bind them to make a rag mag, and when I got the opportunity to actually do it, I couldn’t think of a subject better suited to my own interests and lifestyle.”

    Farzana Contractor, editor of Upper Crust, food and wine magazine, jokes about her first tryst with wine with her friends in Panchgani. “We poured some Golconda wine for all, and wondered how much soda to add!” she exclaims. She first loved wine through her lens, photographing the glistening glass filled with red or white, until, like Tiwari, who writes ‘Drinks and Destinations’, she found the wonders of taste and began writing about its discoveries.

    The stories of these women are unique, yet have parallels—like wine. “It may be red, but will be different, varying each time,” says Holland. Their struggles as women in the industry are similar: “Alm­ost nonexistent as wine was the ladies’ drink, except for the concern of failure of the enterprise.” Their love for wine also sings the same song. “There is more to wine than the bottle. It is friends, food, art, love, conversations and more,” says Dhall. “The future of wine lies in breaking the myths that surround it.”

    Holland says, “The first thing I tell any­one wanting wine is, ‘Drink it, don’t be afraid.’” Grover insists, “I don’t care what I drink out of. Of course, a wine glass would only add to the experience.”

    Contractor recalls an incident where everyone was being served wine at an anniversary dinner, and she exclaimed as to why her dog should be discounted, and put some in the dog bowl! Holland believes the lack of knowledge creates fear,but that now we are getting to know more about wine every day. Patil says this lack of knowledge prejudices Indian consumers against Indian wine, but Oldne points out that modern marketing and sales is reducing the prejudice against Indian wine.

    The Indian wine market is seeing an annual growth of 15-20 percent and there are 45 Indian wine producers today. For the industry, this is just the start. “We are still toddlers, the growth potential is too vast to even imagine just yet,” says Holland. That is certainly worth raising a toast to.

  29. মাসুদ করিম - ৫ জানুয়ারি ২০১৮ (৪:৩৩ অপরাহ্ণ)

    Study shows how alcohol may cause cancer

    Alcohol damages the DNA of stem cells responsible for producing new blood, according to a mouse study which may explain the link between drinking and cancer, scientists said on Wednesday.

    Health watchdogs have long warned that alcohol consumption contributes to seven types of cancer-of the mouth, throat, larynx or voice box, oesophagus or food pipe, breast, liver and bowel.

    For the new study, published in the science journal Nature, researchers gave lab mice diluted alcohol, known chemically as ethanol.

    They then used chromosome and DNA analysis to examine genetic damage caused by acetaldehyde, a chemical produced when the body processes alcohol.

    “They found that acetaldehyde can break and damage DNA within blood stem cells, leading to rearranged chromosomes and permanently altering the DNA sequences within these cells,” Cancer Research UK, which helped fund the research, said in a statement.

    “It is important to understand how the DNA blueprint within stem cells is damaged because when healthy stem cells become faulty, they can give rise to cancer.”

    DNA damage can lead to cell death, but can also trigger the body’s natural repair mechanisms. However, if the DNA is repaired incorrectly, it can lead to cancer.

    Alcohol and endogenous aldehydes damage chromosomes and mutate stem cells

    Abstract

    Haematopoietic stem cells renew blood. Accumulation of DNA damage in these cells promotes their decline, while misrepair of this damage initiates malignancies. Here we describe the features and mutational landscape of DNA damage caused by acetaldehyde, an endogenous and alcohol-derived metabolite. This damage results in DNA double-stranded breaks that, despite stimulating recombination repair, also cause chromosome rearrangements. We combined transplantation of single haematopoietic stem cells with whole-genome sequencing to show that this damage occurs in stem cells, leading to deletions and rearrangements that are indicative of microhomology-mediated end-joining repair. Moreover, deletion of p53 completely rescues the survival of aldehyde-stressed and mutated haematopoietic stem cells, but does not change the pattern or the intensity of genome instability within individual stem cells. These findings characterize the mutation of the stem-cell genome by an alcohol-derived and endogenous source of DNA damage. Furthermore, we identify how the choice of DNA-repair pathway and a stringent p53 response limit the transmission of aldehyde-induced mutations in stem cells.

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.