কতদিন পর তোমার কাজ দেখছি! অসাধারণ! এখন থেকে তোমাকে নিয়মিত পাবো আশা করি। শিগগিরই কথা হবে।
কেমন অচেনা মনে হচ্ছে দৃশ্যগুলো। আসলেই এ যেন অন্য আলোয় চেনা সব অবয়ব নতুন করে দেখা। ইনফ্রা-রেডের পুরো সিরিজটাই কোনভাবে তুলে দেয়া যায় কি? আর প্রতিটি ছবির সাথে যদি এক্সপোজার-ফোকাস ইত্যাদি তথ্য (যেমন: EXIF তথ্য) কোনভাবে জুড়ে দেয়া যায় তাহলে আলোকচিত্রে উৎসাহীরাও তা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন বা নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষার সূত্র পাবেন।
নওরীন তামান্না - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৫:৫০ অপরাহ্ণ)
প্রিয় মনির মৃত্তিক,
দীর্ঘদিন পর মন ভালো করা দেশের কিছু ছবি দেখলাম। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। বিশেষ করে ভালো লেগেছে “ছেলেবেলা” সিরিজটি। ছবিগুলো কি এখানে ফটোব্লগের নিয়মিত সিরিজ আকারে দেয়া সম্ভব? আশা করি ব্লগ প্রশাসক বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আপনার পেইন্টিংয়ের কথা শুনেছি বন্ধুদের কাছ থেকে। দেখতে পেলে এমনকি খুবই ভালো হোতো।
ভালো থাকবেন, মনির। অনেক অনেক শুভেচ্ছাসহ।
নওরীন
বি.দ্র.:
সুমন, নির্মাণের ই-গ্যালারী তৈরী হতে আর কতদিন?
নওরীন,
আমাদের ই-গ্যালারির “ছবিঘর” নামটা চলবে? না কি আরো ভালো কোনো বিকল্প আছে তোমার ঝাঁপিতে?
গ্যালারির কাজ গুছিয়ে আনতে আরো খানিকটা সময় লাগবে।
তোমার মন্তব্যে “এমনকী” শব্দের এই মায়াবী প্রয়োগে পুরোনো দিনে ফিরে গেছি হঠাৎই। ভালো আছ নিশ্চয়ই?
খুব ভালো লাগল, মন ভরে গেল।
এইসব ছবির কারিগরী দিকগুলি যদি একটু সংক্ষেপে উল্লেখ করতেন, তা হলে অনেকেরই উপকার হতো। ছবিগুলো কেন জানি মনে হচ্ছে বিমূর্ততাগামী, তা কি আলোছায়ার কারণে নাকি প্রকৃতি অনেকাংশেই ভৌগোলিকতা হারানোর কারণে!
আবু নঈম মাহতাব মোর্শেদ - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৮:৫১ অপরাহ্ণ)
মনির,
দারুণ লাগল ছবিগুলো। কেবল ৩ নম্বর ছবি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। সৌন্দর্যের আড়ালে এখানে অভাবের দিকটা লুকানো হচ্ছে না কি? আমার তো মনে হয়, বাস্তব থেকে পালানোর একটা ব্যাপারও এসে যাচ্ছে এই ছবিতে।
নওরীন তামান্না - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:২০ অপরাহ্ণ)
মাহতাবের মন্তব্যটি নিশ্চয়ই ভেবে দেখার মতো। তবে, আমার চোখে দেখা বাংলাদেশে দারিদ্র্য এবং সৌন্দর্য পাশাপাশি বাস করে। দারিদ্র্যের দিকটি শৈল্পিক মাধ্যমে তুলে এনেছেন এমন শিল্পী কম নেই। কিন্তু সৌন্দর্যের দিকটি খুব কম শিল্পকর্মেই এমনভাবে ফুটে উঠতে দেখেছি। আমার সাধারণ চোখে মনে হয়েছে, এটি দারিদ্র্য লুকোনো নয়, বরং কোনো এক দুর্লভ মুহূর্তে দারিদ্র্যকে ছাপিয়ে ওঠা সৌন্দর্যকেই ধারণ করা, যা সম্ভবত শুধু একজন শিল্পীর চোখেই এভাবে ধরা দিতে পারে।
সুমন,
‘ছবিঘর’ নামটি খুব পছন্দ হল। এমনকি খুবই! তুমি ভালো আছ তো?
মাহতাব,
ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
কিন্তু বাস্তব থেকে পালানোর চেষ্টা কার? ফটোগ্রাফিতে সে-সুযোগ নেই। আর ইনফ্রা-রেড আমরা খালি চোখে দেখি না বলেই ছবিগুলো দেখতে অন্যরকম। সৌন্দর্যের আড়ালে অভাব বা দারিদ্র্য খুঁজে কী লাভ? দারিদ্র্যের দলিল আমি তৈরি করতে চাই না।
একটু পেছনের খবর যদি জানতে চাই মনির কি জানাতে সম্মত হবেন? মানে কী ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিগুলো তোলা এবং পরবর্তী সময়ে এডিটিংয়ে আপনি কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন?
অদ্ভুত, বিস্ময়কর। প্রথম ছবিটা থেকে চোখ ফেরানো যায় না। কী বিশাল, বিপুল প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরা আমাদের এ দেশ! ঘনায়মান মেঘরাশির অপার সৌন্দর্যে ঝড়ের পূর্বাভাস কোথায় হারিয়ে গেল!
তবে পরের ছবিগুলিতে হঠাৎ কড়া রোদ…। কয়েকটা ছবি একসাথে থাকলে, একটা সিরিজ সৃষ্টির চেষ্টা করলেই ভালো। যেমন একই প্রসঙ্গ, একই বিষয়, একই পটভূমিতে কয়েকটি ছবি।
১৭ comments
রায়হান রশিদ - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৪:৩৬ অপরাহ্ণ)
কতদিন পর তোমার কাজ দেখছি! অসাধারণ! এখন থেকে তোমাকে নিয়মিত পাবো আশা করি। শিগগিরই কথা হবে।
কেমন অচেনা মনে হচ্ছে দৃশ্যগুলো। আসলেই এ যেন অন্য আলোয় চেনা সব অবয়ব নতুন করে দেখা। ইনফ্রা-রেডের পুরো সিরিজটাই কোনভাবে তুলে দেয়া যায় কি? আর প্রতিটি ছবির সাথে যদি এক্সপোজার-ফোকাস ইত্যাদি তথ্য (যেমন: EXIF তথ্য) কোনভাবে জুড়ে দেয়া যায় তাহলে আলোকচিত্রে উৎসাহীরাও তা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন বা নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষার সূত্র পাবেন।
সৈয়দ তাজরুল হোসেন - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৪:৪৮ অপরাহ্ণ)
চমৎকার সব ছবি- মনির, অপার্থিব মনে হচ্ছে । আশা করছি শীগগির আরো কিছু কাজ দেবে । ধন্যবাদ
নওরীন তামান্না - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৫:৫০ অপরাহ্ণ)
প্রিয় মনির মৃত্তিক,
দীর্ঘদিন পর মন ভালো করা দেশের কিছু ছবি দেখলাম। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। বিশেষ করে ভালো লেগেছে “ছেলেবেলা” সিরিজটি। ছবিগুলো কি এখানে ফটোব্লগের নিয়মিত সিরিজ আকারে দেয়া সম্ভব? আশা করি ব্লগ প্রশাসক বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আপনার পেইন্টিংয়ের কথা শুনেছি বন্ধুদের কাছ থেকে। দেখতে পেলে এমনকি খুবই ভালো হোতো।
ভালো থাকবেন, মনির। অনেক অনেক শুভেচ্ছাসহ।
নওরীন
বি.দ্র.:
সুমন, নির্মাণের ই-গ্যালারী তৈরী হতে আর কতদিন?
রেজাউল করিম সুমন - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:০১ অপরাহ্ণ)
নওরীন,
আমাদের ই-গ্যালারির “ছবিঘর” নামটা চলবে? না কি আরো ভালো কোনো বিকল্প আছে তোমার ঝাঁপিতে?
গ্যালারির কাজ গুছিয়ে আনতে আরো খানিকটা সময় লাগবে।
তোমার মন্তব্যে “এমনকী” শব্দের এই মায়াবী প্রয়োগে পুরোনো দিনে ফিরে গেছি হঠাৎই। ভালো আছ নিশ্চয়ই?
ইমতিয়ার শামীম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৭:২৪ অপরাহ্ণ)
খুব ভালো লাগল, মন ভরে গেল।
এইসব ছবির কারিগরী দিকগুলি যদি একটু সংক্ষেপে উল্লেখ করতেন, তা হলে অনেকেরই উপকার হতো। ছবিগুলো কেন জানি মনে হচ্ছে বিমূর্ততাগামী, তা কি আলোছায়ার কারণে নাকি প্রকৃতি অনেকাংশেই ভৌগোলিকতা হারানোর কারণে!
ইমতিয়ার শামীম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৭:২৯ অপরাহ্ণ)
সংযোজন : বিমূর্ততাগামী, কিন্তু বলাই বাহুল্য, ইমপ্রেশনিস্ট আবেগজাত। আলোর তীব্রতা এই আবেগের সংহত প্রকাশ নিয়ে এসেছে।
আবু নঈম মাহতাব মোর্শেদ - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৮:৫১ অপরাহ্ণ)
মনির,
দারুণ লাগল ছবিগুলো। কেবল ৩ নম্বর ছবি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। সৌন্দর্যের আড়ালে এখানে অভাবের দিকটা লুকানো হচ্ছে না কি? আমার তো মনে হয়, বাস্তব থেকে পালানোর একটা ব্যাপারও এসে যাচ্ছে এই ছবিতে।
নওরীন তামান্না - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:২০ অপরাহ্ণ)
মাহতাবের মন্তব্যটি নিশ্চয়ই ভেবে দেখার মতো। তবে, আমার চোখে দেখা বাংলাদেশে দারিদ্র্য এবং সৌন্দর্য পাশাপাশি বাস করে। দারিদ্র্যের দিকটি শৈল্পিক মাধ্যমে তুলে এনেছেন এমন শিল্পী কম নেই। কিন্তু সৌন্দর্যের দিকটি খুব কম শিল্পকর্মেই এমনভাবে ফুটে উঠতে দেখেছি। আমার সাধারণ চোখে মনে হয়েছে, এটি দারিদ্র্য লুকোনো নয়, বরং কোনো এক দুর্লভ মুহূর্তে দারিদ্র্যকে ছাপিয়ে ওঠা সৌন্দর্যকেই ধারণ করা, যা সম্ভবত শুধু একজন শিল্পীর চোখেই এভাবে ধরা দিতে পারে।
সুমন,
‘ছবিঘর’ নামটি খুব পছন্দ হল। এমনকি খুবই! তুমি ভালো আছ তো?
রেজাউল করিম সুমন - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:৫১ অপরাহ্ণ)
মনিরের ছবিগুলো দেখে মন ভালো হয়ে গেছে। তার ওপর তোমার এই `গায়েবি আওয়াজ’ আর সস্নেহ অনুমোদন। রীতিমতো অলৌকিক অভিজ্ঞতা! ভালো আছি।
মনির মৃত্তিক - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৬:৪৮ অপরাহ্ণ)
মাহতাব,
ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।
কিন্তু বাস্তব থেকে পালানোর চেষ্টা কার? ফটোগ্রাফিতে সে-সুযোগ নেই। আর ইনফ্রা-রেড আমরা খালি চোখে দেখি না বলেই ছবিগুলো দেখতে অন্যরকম। সৌন্দর্যের আড়ালে অভাব বা দারিদ্র্য খুঁজে কী লাভ? দারিদ্র্যের দলিল আমি তৈরি করতে চাই না।
রেজাউল করিম সুমন - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (১০:২১ অপরাহ্ণ)
“অন্য আলোয়” মুক্তাঙ্গনের প্রথম ফটোব্লগ। অভিনন্দন তোমাকে! কোন্ ছবিটা কোথায় তোলা, সে সম্পর্কেও যদি দু-চার কথা জানাও খুব ভালো হয়।
তোমার ছবি যে আমার ভালো লাগে সামনাসামনি সেটা বলে উঠতে পারিনি কখনো। মুগ্ধ দর্শকদের সারিতে আমিও আছি। তাকালেই দেখতে পাবে।
ইয়াসমিন জাহান নূপুর - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ)
তোমার ছবি এর আগে ফটোগ্রাফির ওয়েবসাইটে দেখেছি। এই প্রথম কোনো বাংলা ব্লগেও দেখলাম। কী যে ভালো লাগল দেখে!
সব ক’টা ছবিই খুব সুন্দর। তবে প্রথম ছবিটা আমার অ-নে-ক ভালো লেগেছে।
তোমার আরো ছবি দেখতে চাই মুক্তাঙ্গনে। আরো অনেক ছবি তুলতে হবে, মনির!
মুজিব মেহদী - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৬:২৮ অপরাহ্ণ)
প্রত্যেকটা ছবিই খুব ভালো লাগল।
একটু পেছনের খবর যদি জানতে চাই মনির কি জানাতে সম্মত হবেন? মানে কী ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবিগুলো তোলা এবং পরবর্তী সময়ে এডিটিংয়ে আপনি কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করেছেন?
পার্থ সরকার - ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৪:৪১ পূর্বাহ্ণ)
অদ্ভুত, বিস্ময়কর। প্রথম ছবিটা থেকে চোখ ফেরানো যায় না। কী বিশাল, বিপুল প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরা আমাদের এ দেশ! ঘনায়মান মেঘরাশির অপার সৌন্দর্যে ঝড়ের পূর্বাভাস কোথায় হারিয়ে গেল!
তবে পরের ছবিগুলিতে হঠাৎ কড়া রোদ…। কয়েকটা ছবি একসাথে থাকলে, একটা সিরিজ সৃষ্টির চেষ্টা করলেই ভালো। যেমন একই প্রসঙ্গ, একই বিষয়, একই পটভূমিতে কয়েকটি ছবি।
ধন্যবাদ মনিরকে, নিয়মিতই আপনার উপস্থিতি চাই।
আসমা বীথি - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৩:০৪ অপরাহ্ণ)
অলৌকিক মনে হলো দৃশ্যগুলো।
পার্থ সরকার - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৬:২০ পূর্বাহ্ণ)
অলৌকিক ?
শুভাশীষ দাশ রূপক - ৫ জানুয়ারি ২০০৯ (১:৫৮ অপরাহ্ণ)
প্রকৃতির কিছু অসাধারণ মুহূর্তকে স্থায়ী করে ধরে রাখা সত্যিই অবর্ণনীয় আনন্দদায়ক।
শিল্পীকে ধন্যবাদ।