সম্প্রতি বাংলাদেশে আরো একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল তাদের যাত্রা আরম্ভ করেছে — দিগন্ত টেলিভিশন। ঝকঝকে ছবি এই চ্যানেলটির। যতটুকু শুনেছি এবং দেখেছি তাতে মনে হয়েছে এই চ্যানেলটির মূল অনুষ্ঠান সংবাদভিত্তিক। তবে কিছু নাটক, গান ও অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও তারা পরিবেশন করছে। যাই হোক, আমার বলবার বিষয় তা নয়। আমি যা বলতে চাই হয়তো আপনারা সকলেই তা জানেন। আর তা হলো : এই চ্যানেলটি জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ নামক মৌলবাদী সংগঠনটির নেতাকর্মীদের পরিচালনায় সম্প্রচারিত হচ্ছে। অনেকে মনে করেন, জামায়াত ইসলাম ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য এবং নিজস্ব মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই চ্যানেলটি খুলেছে।
দু-চারদিন আগে এই চ্যানেলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদীর একটি গান প্রচারিত হয়। দেশের বিভিন্ন প্রতিথযশা শিল্পীর গান, নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানও এ-চ্যানেলে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে। এখন আমার প্রশ্ন : জামায়াত সমর্থিত এই চ্যানেলে আমাদের মুক্তমনা প্রগতিশীল শিল্পীবৃন্দ তাঁদের কাজ প্রচার করতে দিয়ে যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী ধর্মব্যবসায়ী এই দুষ্টচক্রকে তাদের মতাদর্শ প্রচারে সহায়তা করছেন না কি?
আবু নঈম মাহতাব মোর্শেদ
জন্ম ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭৩। চাকরিজীবী। চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী। পছন্দ করি খেতে, ঘুরতে, আড্ডা দিতে।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
৪ comments
মনজুরাউল - ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৭:৫৪ অপরাহ্ণ)
হ্যাঁ করছেন।এই সকল তথাকিথত মুক্তমনা,প্রগতিশীল শিল্পী-কলাকুশলীরা “ভাঁজখাত্তয়া ত্বত্ত্বে” বিশ্বাস করেন। যেখানে যাওয়ার কথা নয়, সেখানে যাওয়ার যুক্তিতে বলেন – ‘শিল্পের কোন জাত নেই’!
বিষয়টা নিয়ে বেশি কিছু বলতে ভাললাগছে না। এখানে আপনি আব্দুল হাদী ছাড়াত্ত, আপেল মাহমুদ, দিলরুবা, শাকিলা জাফর.. এদের পাবেন। ক্রমে ক্রমে অনেক ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ সুশীলদেরও পাবেন।
পার্থ সরকার - ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ)
ঐ টিভি চ্যানেলের মালিক একাত্তরের ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী। বিশদ জানতে পড়ুন:
http://www.thedailysangbad.com/index.php?news_id=14144&nature=1&cat_id=1&date=2008-08-30
সৈয়দ তাজরুল হোসেন - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৪:৩৯ অপরাহ্ণ)
আমাদের সুশিল সমাজ, শিল্পী সমাজ প্রগতিশীলতার বড়াই করেন । নিজেদেরকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের মাথা এবং বিবেক ভাবেন । কিন্তু তারা যে কতো বড় আপসকামী এবং সুবিধাবাদী সেটা বোধ হয় সাম্প্রতিক সময়ে কিঞ্চিৎ পরিষ্কার হয়েছে । এনারা সদল বলে কিছু দিন জলাপাই কোর্তার ভজনা করেছেন, কেউ কেউ সময় বুঝে দীর্ঘ্য দিন শীত নিদ্রায় ছিলেন এবং এখন ধীরে ধীরে এখানে ওখানে সভা সমিতিতে যাচ্ছেন । পত্রিকায়, টিভিতে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন ।
এনারা সময় সময় জামায়াতীদের যুদ্ধাপরাধী বলেন, সভ্যতার শত্রু বলেন আবার সময় সময় ‘কৌশলগত কারনে’ মৌনতার আশ্রয় নেন ।
শীগ্রই এনাদের অনেককে দেখা যাবে ‘দীগন্তে’ বসে ‘সামাজিক অনুশাসনে ধর্মের গুরুত্ব’, কিংবা ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী’র অপরিহার্যতা’ সম্পর্কে জ্ঞানগভীর আলোচনা করছেন এবং বলছেন, স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর কে স্বাধীনতার পক্ষে আর কে বিপক্ষে সে বিতর্ক অহেতুক ।
মুজিব মেহদী - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ (৩:২২ অপরাহ্ণ)
সব শিল্পী-সাহিত্যিক যে প্রগতিশীল হবেন তা তো নয়, কেউ কেউ রক্ষণশীলও আছেন, থাকবেন। যারা প্রকাশ্যেই আছেন তাদের নিয়ে সমস্যা কম, সমস্যা তাদের নিয়ে যারা স্বরূপ লুকিয়ে থাকেন।
‘দিগন্ত’ প্রচারে নামায় এই সুবিধাটা হলো যে, এখন চেনা যাবে নিজেদের বিশেষায়িত ঘরবাড়ি ছিল না বলে কারা এতদিন স্বরূপ লুকিয়ে অন্যদিকে হাঁটাচলা করেছে।