গতকাল রাত ১১টায় শুনেছিলাম ক্যামেলিয়া আপা (ক্যামেলিয়া পারভীন) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন হঠাৎ করে। তাঁকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়েছে। মনে মনে ভেবেছি, কালই বাসায় গিয়ে তাঁকে দেখে আসব; অনেকদিন দেখা হয় না ক্যামেলিয়া আপার সাথে। কিন্তু আজ সকালেই যে তাঁকে এভাবে দেখতে যেতে হবে তা কে জানতো! এত প্রাণবন্ত সজীব একজন মানুষ এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, ভাবাই যায় না! আজ সারাটা দিন মন ভালো নেই। বারবার মনে পড়ছে ক্যামেলিয়া আপার কথা। সন্ধ্যাবেলা বসে বসে ভাবছি, শিশিরদা (শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য), তাঁদের একমাত্র মেয়ে শ্রাবন্তী বাসায় ফিরে কীভাবে সামলাবে নিজেদের।
ক্যামেলিয়া আপা, সবাইকে ফেলে এভাবে হঠাৎ করে কেন চলে গেলে তুমি? তুমি কি জানো না শিশিরদা, শ্রাবন্তী তোমাকে ছাড়া কতটা নিঃস্ব! ক্যামেলিয়া আপা, তোমার কথা সবসময় মনে পড়বে। কী করে ভুলবো তোমাকে? তুমি আর শিশিরদা কত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছো আমাদের! জীবনের সকল আনন্দ-বেদনায় সবসময় তুমি আমাদের মন জুড়ে থাকবে। মনে পড়বে তোমার কথা, চোখের সামনে ভেসে উঠবে কেমন একটু উদাসীনতা মাখা তোমার ওই হাসি। তুমি আমাদের দুর্লভ ক্যামেলিয়া ফুল।
২০ অক্টোবর ২০০৮
