লাতিন ভাষার কথা : ৪২

|| চিন্তকবৃন্দ || আগেই বলা হয়েছে, এবেলার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করেছেন ইউরোপীয় দর্শনের বিকাশে, আর এই ক্ষেত্রটির অগ্রগতি ভাষাজ্ঞান ও ভাষাব্যবহারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। [. . .]

Tore Janson-এর সুইডিশ ভাষায় রচিত Latin: Kulturen, historien, språket গ্রন্থের Merethe Damsgård Sørensen ও Nigel Vincet-কৃত ইংরেজি অনুবাদ A Natural History of Latin-এর বাংলা ভাষান্তর

চিন্তকবৃন্দ

আগেই বলা হয়েছে, এবেলার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করেছেন ইউরোপীয় দর্শনের বিকাশে, আর এই ক্ষেত্রটির অগ্রগতি ভাষাজ্ঞান ও ভাষাব্যবহারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। সত্যি বলতে কি, দর্শন হলো – তর্কসাপেক্ষভাবে – একটি ভাষা ব্যবহারের সর্বগ্রাসীতম উপায়।

গ্রীক দার্শনিকবৃন্দ আর তাঁদের ধ্যান-ধারণাই রাজত্ব এবং প্রভাব বিস্তার করে ছিল গোটা প্রাচীনকাল জুড়ে, এমনকি রোমকদের মধ্যেও। সর্বসাকুল্যে দুজন লাতিন লেখক পঠিত হতেন বিপুলভাবে – সিসেরো আর সেনেকা, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রীক চিন্তা-ভাবনার জনপ্রিয় বিষয়গুলোর কথাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নতুন করে বলেছেন তাঁরা। খৃষ্টধর্মাবলম্বী কিছু কিছু চিন্তক ছিলেন আরো স্বাধীন, আরো উদ্ভাবনকুশল, বিশেষ করে অগাস্তিন, কিন্তু এমনকি তাঁরও বহু ধ্যান-ধারণা গ্রীক দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিকদের কাছ থেকে নেয়া। গ্রীক জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রাচীনকালের শেষ দিকে এসে বিরল থেকে বিরলতর হতে থাকে এবং ক্যাসিওদোরাসের মতো লেখকেরা ছোট ছোট লাতিন সংক্ষিপ্তসারের মাধ্যমে গ্রীক মনীষার কিয়দংশ সংগ্রহ করে রেখেছিলেন। ক্যাসিওদোরাসের সমসাময়িক একজন এরিস্টটলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক রচনা আর টীকা-ভাষ্য লাতিনে অনুবাদ করেছিলেন, আর তাঁর এই অবদান অত্যন্ত মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়েছিল শত শত বছর ধরে। ভদ্রলোকের নাম বোয়েথিয়াস – মানুষ এবং দার্শনিক দুদিক থেকেই যিনি কিনা ছিলেন অত্যন্ত আকর্ষণীয় এক ব্যক্তিত্ব।

এক প্রাচীন ও বিশিষ্ট রোমক পরিবারে জন্ম হয়েছিল বোয়েথিয়াসের, এবং রাভেনা (Ravenna) থেকে শাসন করা অস্ট্রোগথিক রাজা থিওডোরিকের দরবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি করতেন তিনি, যদিও বহু বছর কর্মরত থাকার পর ভদ্রলোক রাজানুগ্রহ হারান, এবং ৫২৩ খৃষ্টাব্দে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। পরের বছরের তাঁকে মেরে ফেলা হয়। রায়ের জন্য অপেক্ষারত থাকাকালীন তিনি চমৎকার একটি লেখা লেখেন যার নাম ‘De consolatione philosophiae’ বা ‘দর্শনের সান্ত্বনা’ (‘The Consolation of Philosophy’। নারীরূপী দর্শন তাঁর কারাপ্রকোষ্ঠে হাজির হয়ে তাঁর দুর্ভাগ্য নিয়ে আলাপ করে। তিনি তাকে বলেন কি কি উপায়ে তিনি সারাজীবন যা কিছু শুভ তার জন্য কাজ করে গেছেন এবং দুর্বলদের রক্ষা করেছেন, অথচ কিভাবে ক্ষমতাশালী ও দুষ্ট লোকজন তাঁর ক্ষতি করেছে। নারীরূপী দর্শন জবাবে তাঁকে বলে তাঁর এতো দুঃখ কষ্ট সত্ত্বেও তিনি একটি ভালো জীবন যাপন করেছেন, এবং মন্দ লোকজন তাঁর তুলনায় অত্যন্ত খারাপ। পুরো ব্যাপারটা শেষ অব্দি শুভ ও অশুভর সংজ্ঞা সম্পর্কিত একটি সংলাপে পরিণত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু চিন্তাশীল কবিতা যার একটির শুরু এভাবে: Felix qui potuit boni fontem visere lúcidam, felix qui potuit gravis terrae sólvere víncula.

সুখী সে-ই যে দিব্যি দেখতে পায় শুভের স্বচ্ছ উৎস, সুখী সে-ই যে গুরুভার ধরণীর শৃঙ্খল করতে পারে ছিন্ন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশের জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় চমৎকার সব কবিতা লিখতে পেরেছিলেন বোয়েথিয়াস। যেসব চিন্তা ভাবনা তাঁকে মানসিক শান্তি দিয়েছিল সেগুলো আসলে ধ্রুপদী গ্রীক দার্শনিকদের, সর্বোপরি প্লেটোর কাছ থেকে আসা।

তাঁর পর আর প্রায় কেউ-ই মোটামুটি এক হাজার বছরের মধ্যে প্লেটো পাঠ করেননি মূল ভাষায়, এবং প্লেটোর সংলাপগুলোর মধ্যে মাত্র একটাই অনূদিত হয়েছিল লাতিনে। তার চাইতে বেশি হয়েছিল বরং তাঁর ছাত্র এরিস্টটলের রচনা, মূলত বোয়েথিয়াসের প্রচেষ্টার কারণে। গ্রীক দার্শনিকদের মধ্যে যাঁরা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের অধিকাংশই সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক অব্দি প্রায় অচেনাই ছিলেন ইউরোপে, আর তখন দর্শন ছিল বরং ধর্মতত্ত্বের একটু বাড়তি অংশ হিসেবেই বেশি। আর সেসময়ে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক প্রশ্ন ছিল যৌক্তিকভাবে কি করে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়।

দর্শনকে যাঁরা পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন – সর্বোপরি, অস্বস্তিকর কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে – তাঁদের মধ্যে পেত্রাস এবেলার্ড অন্যতম। অত্যন্ত প্রতিভাধর একজন যুক্তিবিদ ছিলেন তিনি। এবং তাঁর যুক্তি-তর্কের অপ্রতিরোধ্য যথার্থতার সাহায্যে তিনি খৃষ্টীয় শিক্ষাগুলোর মধ্যেকার স্ববিরোধ ও দুর্বোধ্যতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আমাদের। সে-কারণে গির্জা কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন অস্বস্তিকর এক ব্যক্তিত্ব, এবং শেষ বয়েসে তারা তাঁকে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। কিন্তু ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় মোটেই সেরকম সামান্য ছিল না তাঁর ধ্যান-ধারণা। আবার, একদিকে যুক্তিবিদ্যার নানান দাবি আর অন্যদিকে প্রাচীন দার্শনিকদের ঐতিহ্যের যে বৈশ্বিক চিত্র, তার সঙ্গে খৃষ্টধর্মের একটা আপসরফা করা খুব জরুরী হয়ে উঠছিল ক্রমেই। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতকে এরিস্টটলের রচনাবলী লাতিনে অনূদিত হয়ে আরো ব্যাপকভাবে লভ্য হওয়াতে এসমস্ত প্রশ্ন নতুন করে একটা তাগিদ লাভ করে।

শুনলে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু সেসব লেখা সরাসরি মূল ভাষা গ্রীক থেকে অনূদিত হয়নি, হয়েছিল আরবি থেকে। আর তার কারণ ছিল অষ্টম শতাব্দী থেকে মুসলিম শাসনাধীনে থাকা মধ্য ও দক্ষিণ স্পেনে আরব ও লাতিন সংস্কৃতির সম্মিলন। খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন এরিস্টটল মুসলিম দার্শনিকদের কাছে। ইউরোপে যিনি Averroes নামে পরিচিত দ্বাদশ শতকে স্পেনে তিনি এরিস্টটলের রচনাকর্মের নানা টীকাভাষ্য লিখেছিলেন। এরিস্টটল এবং আবু রুশদ দুজনের কাজ-ই লাতিনে অনূদিত হয়ে যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

আসলে এমন শক্তিশালী ও সামঞ্জস্যপূর্ণ দর্শনের তুল্য কিছুই ছিল না চার্চ তথা খৃষ্টধর্মের কাছে, এবং এবেলার্ড যে-সমস্ত প্রশ্ন তুলতে শুরু করলেন সেগুলো যেন আরো বিতর্কমূলক বলে বোধ হতে থাকল। ধীরে ধীরে যে সমাধান বেরিয়ে আসতে থাকল তা খৃষ্টীয় মতবাদ এবং প্রাচীন দর্শনের আরবীয় সংস্করণের এক একীভবন বা সংশ্লেষণ। শেষ পর্যন্ত যিনি এ-ব্যাপারটি সফলভাবে ঘটাতে পারলেন তিনি হচ্ছেন ইতালির একুইনো অঞ্চলের জনৈক টমাস; আর, টমাস ও একুইনো এই দুয়ে মিলেই এসেছে সেই নামটি যে-নামে পরিচিত তিনি বিশ্বময়: টমাস একুইনাস। তিনি ছিলেন ত্রয়োদশ শতকের বুদ্ধিবৃত্তিক এক প্রবলপ্রতাপ ব্যক্তিত্ব। অসংখ্য ধর্মতাত্ত্বিক লেখা লিখে গেছেন তিনি, এবং তাঁর অন্যতম প্রধান রচনা হচ্ছে ‘Summa Theologiae’, ‘ধর্মতত্ত্বসার’ (Summation of Theology); আরেকটির নাম ‘Summa contra gentíles’, ‘অ-ইহুদিদের দাবির জবাবে ক্যাথলিক বিশ্বাসের সত্যতা প্রসঙ্গে’ (On the truth of the Catholic faith against the Gentiles)। এই রচনা দুটোয় তিনি খৃষ্টান হিসেবে কি বিশ্বাস করতে হবে এবং কিভাবে বাঁচতে হবে তা অত্যন্ত পদ্ধতিগত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনা করেছেন।

টমাসকে অত্যন্ত সফল একজন মানুষ বলে অভিহিত করা যায়। তাঁকে শুধু সন্ত হিসেবে ঘোষণাই করা হয়নি তাঁকে সাধারণভাবে ‘doctor angélicus’ বা, ‘দেবদূতোপম শিক্ষক’ বলেও ডাকা হতো। খৃষ্টধর্মকে তিনি যেভাবে দেখেছিলেন, ধীরে ধীরে সেটাই ক্যাথলিক চার্চের আনুষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গী হয়ে দাঁড়াল, যা কিনা আজ পর্যন্ত বহাল রয়েছে। তাঁর পথ অনুসরণ করে অনেক ধর্মতাত্ত্বিকের আবির্ভাব ঘটে, তাদেরকে বলা হয় টমিস্ট, এবং তাঁর কাজ সংশ্লিষ্ট ধর্মতাত্ত্বিক আন্দোলনকে বলা হয় টমাসবাদ। গত আটশ বছর ধরে ক্যাথলিক চার্চ এই আনুষ্ঠানিক দর্শন মেনে চলছে। তাতে করে অবশ্য এমনকি ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের ভেতরেও নিরন্তর দার্শনিক চর্চা পুরোপুরিভাবে বাধাগ্রস্ত হয়নি। অন্যদিকে বৃহত্তর ইউরোপে দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব ধীরে ধীরে – যদিও নিশ্চিতভাবেই – ভিন্ন পথ ধরে এগিয়েছে।

একথা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না যে টমাস একুইনাসের পর শতাব্দীর পর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইউরোপের সব দার্শনিক লাতিন ভাষায় তাঁদের লেখালেখি করেছেন। ওটাই ছিল একমাত্র ভাষা যার ছিল একটি পরিপূর্ণভাবে বিকশিত প্রতিশব্দ, ব্যতিক্রম কেবল গ্রীক – যে ভাষা জানা লোক প্রায় ছিল না বললেই চলে। ষোড়শ শতকের আগে বিভিন্ন দেশীয় ভাষায় দার্শনিক লেখালেখি প্রকাশ হওয়া শুরু হয়নি। নিজের জাতীয় ভাষায় লিখেছেন এমন প্রথম লেখক হচ্ছেন ফরাসি মঁতে (Montaigne), আর তা করতে পেরেছিলেন এই কারণে যে তিনি যৌক্তিক ও অধিবিদ্যাগত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপারগুলোর ভেদ বিচার করতে বসেননি, বরং দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত জীবনে নানান বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ রচনা করে গেছেন। তাঁর স্বদেশী দেকার্ত যাঁকে লাতিনে কার্তেসিয়াস বলা হয়, তিনি তাঁর কিছু লেখা লাতিনে লিখেছিলেন এবং বাকিগুলো লিখেছিলেন ফরাসিতে। আর এই সময়ই, অর্থাৎ সপ্তদশ শতকে পণ্ডিতেরা লাতিনের প্রতি আগ্রহ হারাতে শুরু করেন। দেকার্ত সেই সব টেক্সট-এ লাতিন ব্যবহার করেছেন যেগুলোতে আনুষ্ঠানিক এবং ব্যবহারিক যুক্তিতর্ক বিষয়ক, কিন্তু বৃহত্তর পাঠক সমাজের জন্যে লেখা বইগুলো তিনি ফরাসিতেই লিখেছেন। তাঁর সবচাইতে বিখ্যাত নীতি সেটার লাতিন রূপেই পরিচিত, এবং যখন তিনি বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিকে একটি ভিত্তির ওপর দাঁড় করার জন্যে সংগ্রাম করছেন তখন-ই সেটার আবির্ভাব – এমন কিছু যেটাকে তিনি পরম নিশ্চিত বলে গণ্য করতে পারবেন। আর সেটা হলো ‘cógito ergo sum’, ‘আমি চিন্তা করি, তাই আমি অস্তিত্বশীল’, এবং জগতের প্রকৃতি সম্পর্কিত তাঁর তত্ত্ব তিনি এই নীতির ভিত্তিতে রচনা করেছিলেন।

অষ্টাদশ শতক থেকে দার্শনিকেরা সাধারণত যাঁর যাঁর মাতৃভাষাতেই লেখালেখি করেছেন। স্পষ্টতই অনেক সুবিধে ছিল এতে, বিশেষ করে তাদের স্বদেশীরা সেসব লেখা সহজে পড়তে পারতেন, এবং যে-ভাষাটি তাঁরা সবচাইতে ভালো জানেন সে ভাষায় সচ্ছন্দে নিজের কথা প্রকাশ করতে পারতেন। কিন্তু তাতে কিছু সমস্যা-ও সৃষ্টি হলো। লাতিন যতদিন দার্শনিকদের সাধারণ বা সবার ভাষা ছিল ততদিন বিশেষ একজন দার্শনিক কোন ভূভাগের বাসিন্দা তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না; ইউরোপীয় দার্শনিকেরা সারা ইউরোপ জুড়ে তাঁদের ধ্যান-ধারণা নিয়ে অনায়াসে আলাপ-আলোচনা করতেন পরস্পরের সঙ্গে। উনবিংশ শতকে, এবং আরো বেশি করে বিংশ শতকে, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দার্শনিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, আর তাতে করে এংলো আমেরিকান দর্শন ফরাসি বা জার্মান দর্শনের চাইতে আলাদা হয়ে গেল। যদিও বিচিত্র দর্শনগত ঐতিহ্যগুলো একেবারে নিরুদ্ধ সব কামরার মধ্যে বিরাজ করে না, কিন্তু একথা সত্য যে, এসব বিভিন্ন ভাষা দার্শনিকদের জন্য পরস্পরকে বোঝার বিষয়টি অনেক বেশি সমস্যাসংকুল করে ফেলেছে। বরং তাঁরা যখন লাতিনে লিখতেন তখন-ই তাঁরা একে অপরকে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারতেন।

পরবর্তী অধ্যায় : রেনেসাঁ

জি এইচ হাবীব

জন্ম ১০ই মার্চ ১৯৬৭। পেশা: শিক্ষকতা।

১ comment

  1. Pingback: লাতিন ভাষার কথা : ৪১ | জি এইচ হাবীব

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.