শ্রীচৈতন্যের সহজিয়া বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারের মাধ্যম হিসাবে উৎসবকেন্দ্রিক পরিবেশনার বাইরে যে যাত্রাপালার সূচনা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে সূচিত হয় রামযাত্রা, নাথযাত্রা, শক্তিযাত্রার মতো নানা রীতির যাত্রাপালা। যদিও শ্রীচৈতন্যের কৃষ্ণযাত্রাই অধিকতর জনপ্রিয় হয় এবং সেই জনপ্রিয়তা স্থায়িত্বও পায় অধিককাল। ধীরে ধীরে দেবদেবীর লীলা-কীর্তন ছেড়ে পালায় স্থান পায় রাজা-বাদশার শৌর্য-বীর্যের কাহিনি। ক্রমে শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠও যাত্রার সংলাপে ধ্বনিত হয়। এরপর অকস্মাৎ বাংলার যাত্রাশিল্প কালিমালিপ্ত হয় কিছু অসাধুব্যবসায়ীর ঘৃণ্যচক্রে পড়ে। সেই চক্রের দুর্বিপাকে আজও ঘুরপাক খাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যিক শিল্পের জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সম্প্রতি সরকার এবং তারও আগে থেকে যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদ এই শিল্প পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। এসবের ধারাবাহিকতায় খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামে ১০ দিনব্যাপী যাত্রাপালা। যাত্রাশিল্পীদের সাজঘর থেকে তোলা হলো কিছু আলোকচিত্র। সাজের মাঝেও ঢেকে যায়নি যাদের জীবন, জীবনের নানা অভিব্যক্তি, গল্প…

১. সাজবাক্সে প্রিয়মানুষের ছবি বাঁধা।

২. যত দূরেই টানুক জীবন মায়ের ছায়ার আদরে নিশ্চিন্তে ঘুমায় শিশুটি।

৩. ‘রহিম বাদশা রূপবান কন্যা’ পালার বিয়ের কাজী। একটু পর মঞ্চে উঠবেন ঐতিহাসিক বিয়েটি পড়াতে।

৪. অল্প আলোয় সিঁথি খুঁজছে মধ্যবয়সিনী ।

৫. দেখতে যেন সালভাদর দালি।

৬. বেদে-কন্যার বেদে-পিতা। পাশে কন্যা পঙ্খি-র মনের মানুষ। যার কারণে কন্যা মুখে তুলে নিয়েছিল বিষ।

৭. নির্দেশক-অভিনেতা শেষবারের মতো খতিয়ে দেখছেন ঠিক আছে কি না সাজ।

৮. ওদের বলা হয় 'আইটেম গার্ল'। শুরুতে-বিরতিপর্বে থাকে তাদের ঝড়তোলা নাচ।

সম্পাদিত ছোটকাগজ : ঘুড়ি। দৈনিকে কাজ করি। কবিতা লিখি।
