ভোর। তখনও অন্ধকার রাতের মতো। শ্রেষ্ঠা লজ-এর কিশোর আকমল আমাদের জাগাতে এল। নিচে অপেক্ষা করছে লজ-এর ভাড়া-করা জিপ। লেপের মায়া ছেড়ে দ্রুত তৈরি হয়ে আমরা ছুটলাম সূর্যোদয় দেখবো বলে। দেখতে কি পাবো? লতা মুঙ্গেশকরের সেই যে গান “টাইগার হিল থেকে সূর্য দেখা ভীষণ মজার/ সোনার থালায় ভরে,আবীর গুলাল নিয়ে/ফাগু আর ফাগ খেলা খেলতে খেলতে নাকি সূর্য আসে…,/ টাইগার হিল থেকে সূর্য ওঠা দেখা হলো না সে-বার…” — সেই টাইগার হিলের পথ ধরে যাচ্ছি। কত উপরে সমতল থেকে আমরা? আমাদের নিচে কয় পাহাড়ের বসতি? আকাশ জুড়ে নক্ষত্রের অজস্র ফুল। যেন হাত পাতলেই টুপটাপ ঝরে পড়বে হাতে। কিন্তু না,পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে পাইনের সারি রাতপ্রহরী হয়ে জেগে আছে। তাদের প্রহরার মাঝে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা ধরে হিমশীত সাথে করে পৌঁছে গেলাম আমরা টাইগার হিল। অন্ধকার চিরে একটু একটু করে কীভাবে ফুটে উঠে আলোর রেখা, দেখা হলো সেই প্রথম।
Have your say
You must be logged in to post a comment.
২৩ comments