অন্তরঙ্গ শঙ্খ ঘোষ

কবি শঙ্খ ঘোষ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি অল্প কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় যাবেন — খবরটা শান্তিনিকেতনে থাকতেই পেয়েছিলাম। ঢাকায় দেখাও হয়েছিল, তাঁর কলকাতায় ফিরে যাবার দিন — ১৯ অক্টোবর তারিখে। সেদিন তাঁকে ঘিরে গল্পে-আড্ডায়-গানে মেতে উঠেছিলেন অনেকে।

ছবি তোলার কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। এক ফটোগ্রাফারকে ছবি তুলতে দেখে আমিও নিজের ক্যামেরাটা বের করেছিলাম। সেদিনের কয়েকটা ছবি দিয়েই মুক্তাঙ্গন-এ আমার এই প্রথম পোস্ট।

গত মাসে ধানমণ্ডির বড়ো বড়ো জানালা-ঘেরা এই বাড়িটাতেই সপ্তাহখানেক ছিলেন শঙ্খ ঘোষ

ধানমণ্ডির বড়ো বড়ো জানালা-ঘেরা এই বাড়িটাতেই দেখা করতে গিয়েছিলাম শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে

এই প্রথম দেখাম কবিকে

এই প্রথম দেখলাম কবিকে

ছবি তোলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। একজন ফটোগ্রাফারকে ছবি তুলতে দেখে আমিও ক্যামেরা বের করলাম ...

নিজে কথা বলেন অল্প; অন্যদের কথা শোনার ব্যাপারেই যেন তাঁর বেশি আগ্রহ

স্ত্রী প্রতিমা ঘোষের সঙ্গে কবি

স্ত্রী প্রতিমা ঘোষের সঙ্গে কবি

টুনু দাদুর সঙ্গে

টুনু দাদুর সঙ্গে

গৃহকর্তার মায়ের সঙ্গে প্রতিমা ঘোষ

গৃহকর্তার মায়ের সঙ্গে প্রতিমা ঘোষ

অনেকে একসঙ্গে

অনেকে একসঙ্গে

শঙ্খ ঘোষের কবিতা নিয়ে আলাপ

শঙ্খ ঘোষের কবিতা নিয়ে আলাপ

কী কথা তাহার সাথে -- তার সাথে?

কী কথা তাহার সাথে -- তার সাথে?

হাসিমুখ সকলের ... শঙ্খ ঘোষের পাশে অরুণ বসু

হাসিমুখ সকলের ... শঙ্খ ঘোষের পাশে অরুণ বসু

কবির সঙ্গে গৃহকর্ত্রী ও মিতা হক। ... কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত শুনিয়ে মিতা হক সেদিন মাতিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। আমি ভিডিয়ো করেছিলাম!

কবির সঙ্গে গৃহকর্ত্রী ও মিতা হক। ... কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত শুনিয়ে মিতা হক সেদিন মাতিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। আমি ভিডিও করেছিলাম!

ছোট মেয়ে সেমন্তীর কোল শাম্পান, বড়ো মেয়ো শ্রাবন্তীর মেয়ে আমনের কোলে ম্পমন্ -- সেমন্তীদির ছোট মেয়ে

শঙ্খ ঘোষ, প্রতিমা ঘোষ, তাঁদের ছোট মেয়ে সেমন্তী ঘোষ এবং তিন নাতনি -- আমন, শাম্পান ও মন্মন্। আমন শ্রাবন্তী ভৌমিকের মেয়ে।

মন্মন্ এই বাড়িটার নাম দিয়েছে "খোলাবাড়ি"! গৃহকর্তা স্বয়ং স্থপতি, তাঁর নকশাতেই বাড়িটা তৈরি। তাঁর মতে, মন্মনের এই নামটাই তাঁর জীবনের সেরা কমপ্লিমেন্ট!

মন্মন্ এই বাড়িটার নাম দিয়েছে "খোলাবাড়ি"! শঙ্খ ঘোষই আমাদের জানালেন কথাটা। গৃহকর্তারও খুব পছন্দ হয়েছে এই নাম। ভদ্রলোক স্থপতি, নিজের নকশাতেই এ বাড়িটা করেছেন। তিনি জানালেন, মন্মনের দেয়া এই নাম তাঁর জীবনের সেরা কমপ্লিমেন্ট!

বাঁধন

চিত্রশিল্পী। শিল্পশিক্ষা শান্তিনিকেতনের কলাভবনে। ভালো লাগে ছবি দেখতে ও ছবি তুলতে।

১৮ comments

  1. ইমতিয়ার - ৯ নভেম্বর ২০০৮ (১১:০৬ অপরাহ্ণ)

    এটা কি নাহাজ ভাইয়ের বাসা? লেকঘেঁষা রাস্তার পাশে? তাই তো মনে হচ্ছে…
    ভাল লাগল ছবি দেখে, ছবি পড়ে।

  2. প্রদীপ আইচ - ১১ নভেম্বর ২০০৮ (৮:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    যেহেতু আমি ফটোগ্রাফার তাই ছবি নিয়েই মন্তব্য করি। ছবির কম্পোজিশন এবং টেকনিকাল কিছু বিষয় এড়িয়ে গেলে বাকি আয়োজনটা খুব ভালো।

    • বাঁধন - ১২ নভেম্বর ২০০৮ (৭:৪২ পূর্বাহ্ণ)

      আমি অবশ্য ফটোগ্রাফার নই। আপনার সঙ্গে কখনো দেখা হলে হাতে-কলমে শিখে নেব সব। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

      • প্রদীপ আইচ - ১২ নভেম্বর ২০০৮ (২:৫৬ অপরাহ্ণ)

        আম।র স।থে দেখ। ন। হলেও সম্ভব । দরক।র শুধু ইচ্ছ। ধন্যবাদ।

    • সাইদুল ইসলাম - ৬ ডিসেম্বর ২০০৮ (৪:১৬ অপরাহ্ণ)

      @ প্রদীপ আইচ

      ছবির কম্পোজিশন এবং টেকনিকাল কিছু বিষয় এড়িয়ে গেলে বাকি আয়োজনটা খুব ভালো।

      ফটোগ্রাফার ভাই,
      বাদ থাকল কী?

      @ বাঁধন

      আপনি সত্যিই বুদ্ধিমতী। ছবিগুলো এতই জীবন্ত লাগছে যে মনে হচ্ছে যেন আমিও ওই আড্ডাতে ছিলাম।
      কম্পোজিশন আর টেকনিকাল ব্যাপারস্যাপার নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে ভালো লাগা মুহূর্তগুলো এভাবেই আমাদের নিয়মিত উপহার দেবেন।

  3. বাঁধন - ১২ নভেম্বর ২০০৮ (৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    @ ইমতিয়ার
    হ্যাঁ, চিনতে ভুল হয়নি আপনার! ধন্যবাদ আপনাকে।

  4. রেজাউল করিম সুমন - ৮ মার্চ ২০০৯ (৯:১৮ অপরাহ্ণ)

    প্রতিমা ঘোষের দুটো মাত্র লেখা পড়েছিলাম। ভালো লেগেছিল। তাই জানতে চেয়েছিলাম তাঁর আরো লেখা আছে কি না। শঙ্খ ঘোষ জানিয়েছিলেন, আরো কয়েকটি স্মৃতিকথাধর্মী লেখা আছে এবং সবগুলো নিয়ে সামনের (২০০৯) বইমেলায় একটা বইও বেরোবে। আমাদের ভালোলাগার কথা সেদিন লেখিকাকেও জানাতে পেরে ভালো লেগেছিল। কলকাতার ‘তালপাতা’ থেকে প্রকাশিত সে-বইটি আজ কিনলাম — নয় বোনের বাড়ি। প্রচ্ছদ, ছাপা, লেখা — সবই খুব সুন্দর। পড়তে শুরু করেছি।

    • রেজাউল করিম সুমন - ৬ আগস্ট ২০০৯ (২:২৫ অপরাহ্ণ)

      এ বইটি নিয়ে বইয়ের দেশ জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০০৯ সংখ্যায় “অপরূপ পুঙ্খানুপুঙ্খ স্কেচ” নামে চমৎকার আলোচনা করেছেন নবনীতা দেব সেন। আর এ সংখ্যাতেই বেরিয়েছে সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের নেয়া শঙ্খ ঘোষের সাক্ষাৎকার। কেউ আগ্রহী হলে সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে দিতে পারি।

  5. বিনয়ভূষণ ধর - ৭ আগস্ট ২০০৯ (১১:০৯ পূর্বাহ্ণ)

    ‍‍সুমন’
    অনেক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি সাক্ষাৎকারটি পড়ার জন্য………

    • রেজাউল করিম সুমন - ১৪ আগস্ট ২০০৯ (৮:৩০ অপরাহ্ণ)

      ধন্যবাদ, বিনয়।
      সাক্ষাৎকারটি মোটামুটি বড়োই। মন্তব্যের জন্য নির্ধারিত জায়গায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় একটা স্বতন্ত্র পোস্ট হিসেবে তুলে দিচ্ছি। এখানে

  6. জাহেদ সরওয়ার - ১৮ আগস্ট ২০০৯ (৩:১৪ অপরাহ্ণ)

    সুন্দর।মনটা আপনাদের কল্যাণে আনন্দিত হল।

  7. রেজাউল করিম সুমন - ২০ ডিসেম্বর ২০১০ (১:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    শুনেছি ওই বাড়িতে প্রায়ই গানের আসর বসে। কিন্তু আমার যাওয়া হলো ঠিক দু বছর দু মাস পর, গতকাল বিকেলে। ঘরোয়া ওই আসরে অসামান্য গাইলেন তরুণ দুই শিল্পী, অসীম আর সুনন্দা। শ্রোতাদের মধ্যে অনেকেই গানের মানুষ, ছায়ানটের সঙ্গে যুক্ত; কেবল আমিই ছিলাম সুরকানা। গানের ফাঁকে ফাঁকেই অল্পস্বল্প কথা হলো শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে।

    • বিনয়ভূষণ ধর - ২২ ডিসেম্বর ২০১০ (৭:৫৯ অপরাহ্ণ)

      @সুমন!!!…শঙ্খ ঘোষ কি এখন বাংলাদেশে???…কবে আসলেন উনি?

  8. রেজাউল করিম সুমন - ১৮ মার্চ ২০১১ (৩:৪১ পূর্বাহ্ণ)

    মন্মন্ এই বাড়িটার নাম দিয়েছে “খোলাবাড়ি”! শঙ্খ ঘোষই আমাদের জানালেন কথাটা। গৃহকর্তারও খুব পছন্দ হয়েছে এই নাম। ভদ্রলোক স্থপতি, নিজের নকশাতেই এ বাড়িটা করেছেন। তিনি জানালেন, মন্মনের দেয়া এই নাম তাঁর জীবনের সেরা কমপ্লিমেন্ট।

    শঙ্খ ঘোষ নিজেই এবার লিখেছেন ‘খোলাবাড়ি’ নিয়ে। তাঁর নতুন বই বটপাকুড়ের ফেনা (২০১১) থেকে ‘খোলা ঘরের গান’ নামের লেখাটির সূচনাংশ :

    ধানমন্ডির এই চারতলা বাড়িটা সব অর্থেই, সব, সব অর্থেই খোলামেলা। একজন স্থপতিই এ-বাড়ির বাসিন্দা, তাই উপনিবেশ-উত্তর শিকড়সন্ধানী স্থাপত্যের নানা কারুকৌশলে বাড়িখানা তৈরি। তিনতলায় বসবার-খাবার বিশাল ঘরটির একপ্রান্ত দিয়ে উঠে গেছে চারতলার সিঁড়ি, আর অন্যদিকে জানলার বাইরে তাকালেই গাছ-গাছালি আকাশ। কিন্তু সে-জানলাকে জানলা বলার মানে নেই কোনো, দেয়ালসমান দুই কাচের ঢাকনা, খোলাই থাকে বেশির ভাগ সময়, একটা ধাপি করে দেওয়া সঙ্গে, মনে হতে পারে যেন বাইরেই বসে আছি। নানা তলে ভরা, নানা ছাদে জোড়া বাড়িতে একপাক ঘুরে এসে আমাদের চার বছরের দৌহিত্রী তার মাকে সানন্দে সবিস্ময়ে জানায় ‘ও মা ও মা, এ-বাড়িটা তো শুধু “খোলা” দিয়েই তৈরি!’ খোলা শব্দের এই চমকপ্রদ ব্যবহারে হেসে উঠি আমরা, আর স্থপতিটি বলেন : ‘এ তো আমার সার্টিফিকেট।’

    ঠিকই, সেই অর্থে একেবারে ‘খোলা’ ওই বাড়ি। কিন্তু সেই ‘খোলা’টার ঠিক-ঠিক মানে থাকত না, যদি-না আন্তরিক অর্থেও সম্পূর্ণ খোলা থাকত তা। সিঁড়ি দিয়ে যে-কোনো মুহূর্তে উঠে আসছেন যে-কেউ, গৃহকর্তা গৃহকর্ত্রী বা অন্য কেউই নেই হয়তো সেখানে, সেজন্য দ্বিধা হয় না আগন্তুকের। বসে থাকছেন, কাগজ পড়ছেন, পরিচারিকাকে বলছেন চা করে দিতে, টেবিল থেকে পছন্দমতো খাবার তুলে নিচ্ছেন, চলে যাচ্ছেন তারপর। হামেশাই ঘটতে পারে এ-রকম, ঘটে যায়।

  9. অদিতি কবির - ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ (১:৩৩ অপরাহ্ণ)

    ছবিগুলো সুন্দর!

  10. রফি হক - ৫ মে ২০১৩ (২:১১ অপরাহ্ণ)

    শঙ্খ ঘোষ মশায় এই বাড়িটি নিয়ে লিখেছেন তাঁর ‘বটপাকুড়ের ফেনা’তে। সেই বাড়ির কিছু আলোকচিত্র দেখা হতো না যদি আমি অন্তর্জালে শঙ্খ ঘোষের সম্প্রতিতম লেখার খোঁজ না করতাম। বোধকরি এই বাড়ির টুনু সাহেবের কথা আমি আমি প্রচুর শুনেছি আমাদের অগ্রজ ওয়াহিদ ভাইয়ের কাছ থেকে। ওয়াহিদ ভাই ‘আমাদের টুনু’ বলে কী আমোদ নিয়ে যে তাঁর কথা শুরু করতেন এবং সে কথা শেষ হতো যখন তখন আমার ঘরে ফেরার অন্ত পার হয়ে যেত। নববধূর কাছে গঞ্জনা শুনতে হয় এমন আশঙ্কা থেকে আর্টের ওপর দুর্লভ একটি গ্রন্হ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতেন ‘বৌমাকে বুঝিয়ে বলিস শিল্পকলার আলোচনা নিয়মের গন্ডিতে সহজে শেষ হবার নয়, বৌমাকে আগামী দিন সঙ্গে আনবি, সেদিন ওটা ফিরিয়ে দিলেই হলো।’ ধন্যবাদ বাধঁনকে। শুভকামনা।

  11. মাসুদ করিম - ৩০ এপ্রিল ২০২১ (৫:২৬ পূর্বাহ্ণ)

    https://www.facebook.com/sumon.nirman/posts/10158112531342843

Have your say

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.