সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক আর্টিকেলের বরাতে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রিটেন আসলে ‘ইউনাইটেড পাকিস্তান’ ভাঙ্গার বিরূদ্ধে সক্রিয় ছিলো! যেই যুক্তরাজ্য আজ ভদ্র দেশ সাজতে চায়, সেই বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদী দেশ বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে ঘুষ পর্যন্ত সেধেছিলো। তিনি উল্টো ইন্দিরা গান্ধীকে ইঙ্গ-মার্কিন অভিসন্ধি জানিয়ে দেন, এমনকি ইন্দিরাকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য চাপও দেন।
শঙ্কর এস. ব্যানার্জীর রচিত “A Long Journey Together: India, Pakistan and Bangladesh” বইটিতে তৎকালীন নিক্সন প্রশাসনের ঘৃন্য কর্মকান্ডের হাঁড়ি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রেরিত মার্কিন রাষ্ট্রদুত চৌধূরীকে ‘ইউনাইটেড পাকিস্তানে’র রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাবও দিয়েছিলে্ন। মার্কিনীরা যে কতটা নোংরা কুটনীতি করতে পারে এটা তার জ্বলন্ত নমুনা।
সাম্প্রাদায়িকতার বিষ আসলে আসে এই ইঙ্গ-মার্কিন থলে থেকে। তখনও সেই রাষ্ট্রদুত বিচারপতি সাঈদকে ভুমভাম দেয়ার চেষ্টা করেন এই বলে, ‘হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারত দ্বারা প্রবেষ্টিত নতুন বাঙলাদেশ কোনভাবেই টিকবে না’। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলেক ডগলাস ও একই বুলি কপচিয়ে গেছে।
দুরদর্শী বিচারপতি সাঈদ ইন্দিরা গান্ধীকে চাপ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য, যার সুফল আমরা পেয়েছি।
তাঁর আরেকটি দুরদর্শীতার স্বাক্ষর আমরা দেখতে পাই বঙ্গবন্ধু যখন লন্ডনে, দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরবেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে বোমা পেতে রাখা হতে পারে সন্দেহে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেই এয়ারফোর্সের একটি বিমানে করে সদ্য মুক্ত শেখ মুজিবকে প্রথমে দিল্লি, পরে ঢাকায় লিফট দেবার অনুরোধ করেন। It was a move with a motive!