সুপারিশকৃত লিন্ক: জুন ২০১০

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিন্ক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৩৩ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ জুন ২০১০ (৯:৫১ পূর্বাহ্ণ)

    ইজরায়েলি নৃশংসতা হয়তো এমনই, অতর্কিতে এমন এক হামলা করে বসবে, যার অমানবিকতায় আপনি স্তব্ধ হয়ে যাবেন, কিন্তু কিছুই করতে পারবেন না, কারণ আন্তর্জাতিক অস্ত্র লবি — পৃথিবীর একক কতৃত্বের দেশ আমেরিকায় ইজরায়েলপ্রবণ ইহুদিরাই সর্বেসর্বা — আর রাষ্ট্র আমেরিকা ইজরায়েলের সার্বক্ষণিক রক্ষাকবচ। সোমবার ভোরে গাজায় ত্রাণের উদ্দেশ্যে চালিত নৌবহরে যে কমান্ডো হামলা চালাল ইজরায়েল, এবং এই হামলা ওরা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায়, যেন ওই দেশটির কাছে সবকিছুই তাদের অতুলনীয় সামরিক শক্তির প্রদর্শনীর ফিল্মি শুটিং!
    এখানে দেখুন এই নৃশংস আক্রমণের কিছু ছবি
    পড়ুন দি হিন্দুর খবর 19 killed as Israeli commandos storm Gaza-bound aid flotilla এবং এখানে পড়ুন, নৃশংসতার যোগ্য নেতা নেতানিয়াহু বলছেন, Israeli soldiers acted in self defence
    এখানে পড়ুন জেরুজালেমে জার্মান সাংবাদিক ক্রিস্টোফ শুল্ট এর সংবাদভাষ্য
    গণশক্তিতে পড়ুন গাজা উপকূলে সংহতি বহরে ইজরয়েলি হানা, নিহত ২০। ও এখানে খবরের শেষ অংশ

    • মাসুদ করিম - ৭ জুন ২০১০ (৪:৩১ অপরাহ্ণ)

      সুইডিশ লেখক হেন্নিং মানকেল এর সাক্ষাৎকার : ‘First It Was Piracy, and Then It Was Kidnapping’। ১ম, ২য়৩য় অংশ।

  2. মাসুদ করিম - ২ জুন ২০১০ (৯:৫২ পূর্বাহ্ণ)

    ‘আকালের সন্ধানে’-তে তিনি ঠিক কোন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনে করতে পারছি না, ‘থিয়েটার কমিউন’-এর ‘কলকাতা কলকাতা’ প্রযোজনাটি দেখব দেখব করেও দেখা হয়ে ওঠেনি — আর এর মধ্যেই গতকালই অভিনেতা নীলকণ্ঠ সেনগুপ্ত মারা গেলেন। অসুস্থ ছিলেন শুনেছিলাম, কিন্তু এই ৬২ বছর বয়সেই চলে যাবেন ভাবিনি। খরবটি পড়ুন এখানে

  3. রায়হান রশিদ - ২ জুন ২০১০ (১০:০২ অপরাহ্ণ)

    গাজা উপত্যকার মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রণেতা বিচারপতি গোল্ডস্টোনকে হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব গভর্নর থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী:

    Hebrew University of Jerusalem will remove Judge Goldstone from its Board of Governors, for the “technical” reason that he has not attended Board meetings. So reports the Hebrew-language news site nrg.co.il.

    Substantial political pressure has been exerted by American and European donors on Hebrew University President Professor Menachem Ben Sasson and the university administration to remove Judge Goldstone following the report issued by the United Nations Fact Finding Mission on the Gaza Conflict, a mission which Goldstone led. The report, which outlined grave human rights violations by Israel in its December 2008-January 2009 military attack on the Gaza Strip, in addition to possible war crimes and crimes against humanity, was categorically rejected by the Israeli government, which commenced a campaign of vilification against Judge Goldstone.

    The Hebrew University did not respond to a request by the Alternative Information Center (AIC) for clarification of why Judge Goldstone will be removed by its Board of Governors.

    The Hebrew University has a long history of directly and indirectly supporting the Israeli occupation of the Palestinian territories and dispossession of the Palestinian people. This support includes the confiscation of Palestinian lands; the hiring of former military and intelligence officials, including the former head of the General Security Services, Carmi Gilon, as Vice President for External Relations; financial support to student-soldiers who served during Israel’s military attacks on Gaza about which Judge Goldstone wrote; and demanding police-issued ‘character references” from Palestinian but not Jewish non-student visitors to its campuses.

  4. মাসুদ করিম - ৪ জুন ২০১০ (৩:২৩ অপরাহ্ণ)

    ০৩ জুন ২০১০ সংবাদের শেষ পাতায় ‘সংবাদ প্রকাশনার ৬০ বছরে পদার্পণে সংবর্ধনা’ খবরটি ও তার ওপরে সংবর্ধনার ছবি দেখেই ভাবছিলাম দেশের সবচেয়ে পুরনো বাংলা দৈনিকের* ৬০তম জন্মদিনটা কখন এবং এনিয়ে পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে কী আছে একটু দেখতে হবে। আজ সময় পেয়ে দেখলাম সংবাদের ৬০তম জন্মদিন ১৭ মে ২০১০-এ ছাপানো হয়েছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা ২০১০।

    ১৯৫১ সালের ১৭ মে ‘সংবাদ’ বের হয় মুসলিম লীগের পত্রিকা হিসেবে, যদিও মুসলিম লীগ কাগজটা কিনে নেয় ১৯৫২ সালে। তখন সংবাদ-এর সম্পাদকীয়তে মুসলিম লীগের মতামত প্রাধান্য পেত, তবে খবর পরিবেশন বা সাহিত্যের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাঙালিত্ব সংবাদের নামাবলি ছিল বললেই চলে। খায়রুল কবির (বড় ভাই) এ সম্বন্ধে ছিলেন অনমনীয়।
    মুসলিম লীগের ভরাডুবির পর সংবাদের যখন ডুবুডুবু অবস্থা, তখন তার পরিচালকরা তথা নাসিরউদ্দিন, জহুর হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ নুরুদ্দিন ঠিক করলেন কাগজ চালাবেন। তারা এসে আমাকে বাধ্য করলেন কাগজে সংশ্লিষ্ট হতে। তখন সংবাদের মাইনা ছিল ৬ হাজার টাকা থেকে একটু বেশি। মাসে মাসে ওই টাকার জোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের বিদায় করলাম। তারা মিলে আনোয়ার হোসেনের নামে মুসলিম লীগের কাছ থেকে সংবাদ কিনে নিলেন। তারপর মওলানা ভাসানীর আশীর্বাদ নিয়ে সংবাদ’র নতুন যাত্রা শুরু হয়

    রাজনীতির টানাপোড়নে সোহরাওয়ার্দীর ১৩ মাসের প্রধানমন্ত্রিত্ব খারিজ হলো, ফিরোজ খান নুন এলেন। সামরিক শাসন হবে আন্দাজ করতে পেরে ‘সংবাদ’ অক্টোবরের তিন মাস আগেই আওয়ামী লীগের প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিল। এর ফলে রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন এল এবং মওলানা ভাসানীর কলাকৌশল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপ-প্রয়োগের ফলে জাতীয় রাজনীতিতে (পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ নয়) আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। আশ্চর্যের বিষয়, তখনকার সময় বাংলাদেশের প্রায় সব নামি-দামি বুদ্ধিজীবী বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; কিন্তু বাংলার গ্রামে-গঞ্জে, পথে-প্রান্তরে তারা বুদ্ধিহীনতারই পরিচয় দিয়ে গেছেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারির পর তারা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে মিলে জহুর সাহেব ও সৈয়দ নুরুদ্দিনকে ‘সংবাদ’ বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই ঘটনা ঘটত, যদি না রণেশ দাশগুপ্তের মতো নমস্য বুদ্ধিজীবী বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে ঘোষণা দিতেন, দু’পৃষ্ঠা হলেও ‘সংবাদ’ বের হবে। আমি তার সঙ্গে একমত হলাম

    ৬ দফা ও ১১ দফার আন্দোলনে সংবাদ’র বিশিষ্ট ভূমিকার কথা সবারই মনে থাকার কথা। ১৯৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ের খবর সংবাদ যেভাবে তুলে ধরে, তেমনি গুরুত্ব সহকারে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের খবর ছাপতেও সংবাদ পিছপা হয়নি। আন্দোলন যখন তুঙ্গে ওঠে, সেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ৮ মার্চ একমাত্র সংবাদ-এর শিরোনাম ছিল এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। অন্য কোন কাগজ এ রকম শিরোনাম দেয়নি। ফলে সংবাদ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রুদ্ররোষে পড়ে। ২৮ মার্চ সংবাদ ও সংবাদ-এর সাংবাদিক শহীদ সাবেরকে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

    ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যেদিন বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন, সেদিন সংবাদ বের হয়। অবশ্য অনেক কাগজই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের সময় যথারীতি প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানি দখলদার আমলে আপনাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু অনেকেই আবার এখানে থেকে জেনারেল ফরমান আলীর আশীর্বাদ নিয়ে কাগজ বের করেছেন। আজ ওইসব লোকই প্রগতির নামে সরকারকে সমালোচনা করছে এবং এমন কি স্বাধীনতার মূলে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দখলদার আমলে একমাত্র দৈনিক সংবাদ, পিপল এবং সাপ্তাহিক বাংলার বাণীই ফরমান আলীর বশ্যতা স্বীকার করে প্রকাশিত হয়নি
    ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সংবাদ বেরুল। বাঁশের খুঁটি, টিনের চালার নিচে কম্পোজ বিভাগ। পোড়া ঘরে, পোড়া মেশিন কিছু সংস্কার করে ছাপার ব্যবস্থা। কাগজে তখন যারা কাজ করতে শুরু করলেন তারা সবাই অদ্ভুত চরিত্রের। জামায়াতে ইসলামি, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ, আওয়ামী লীগ অর্থাৎ সর্বদলীয় ভাজাপোড়া সব এক সঙ্গে জুটেছে। টাকা-পয়সার খবর নেই। দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসা দুটোই শূন্যের কোঠায়। আমি নতুন ব্যবসা জোটাতে ব্যস্ত।
    ৬০-এর দশকে ‘সংবাদ’-এর কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যবসা করে, কিছু ব্যবসা বেচে, কেউ বৌয়ের গয়না বেচে ‘সংবাদ’ চালিয়েছেন। তাদের কেউই এখন নেই
    বঙ্গবন্ধু চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলামকে বলে গিয়েছিলেন, ‘ইত্তেফাক’, ‘বাংলার বাণী’র মতো সংবাদ চাইলেই যেন যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিকের লাইসেন্স দেয়া হয়। সংবাদ-এর ২৬৩ বংশাল রোডের পোড়া বাড়ি অধিগ্রহণ করা হলো। বঙ্গবন্ধুর দেয়া লাইসেন্সে মেশিন আনা হলো এবং ব্যাংকের টাকায় বাড়িও করা হলো। ধীরে ধীরে সংবাদের প্রতিষ্ঠা বাড়তে শুরু করল নতুন ব্যবস্থাপনায় পুরাতন আদর্শের পরিসীমার ভেতরে
    সংবাদ এবং দেশের বিপর্যয় চলেছে এক সঙ্গেই। বাকশাল হওয়ার ফলশ্রুতি হিসেবে ‘সংবাদ’ বন্ধ করে দেয়া হলো। কিন্তু কালের চক্রে দেশ থেকে গণতন্ত্র, বাকশাল সবই উড়ে গেল। বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। বিভীষণ মোস্তাক ক্ষমতায় গিয়ে বাকশাল থেকে নতুন রাজনীতির চেষ্টা করলেন। বেশ কিছু আওয়ামী লীগার জুটে গেলেন মোস্তাকের সঙ্গে। মোস্তাক সাহেব ‘সংবাদ’ পুনঃপ্রকাশের অনুমতি দিলেন। আবার সংবাদ বেরুলো।

    সংবাদের ৫০ বছরে আহমদুল কবিরের পুর্নমুদ্রিত লেখা : সংবাদ ও বাংলাদেশ

    ১৯৫১-তে ‘সংবাদ’ যখন প্রকাশিত হলো তখন তাকে মনে হয়েছিল মধ্যবিত্তের নিজস্ব পত্রিকা। আগের পত্রিকাগুলোর পাঠকও মধ্যবিত্তই ছিল; কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ‘আজাদ’, ‘জিন্দেগী’ এমনকি ‘ইত্তেফাকে’র পক্ষেও পূর্ববঙ্গে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যে অগ্রগমন ঘটছিল তার সঙ্গে রুচির দিক থেকে তাল রাখার ব্যাপারে বিঘ্ন ঘটছিল। মধ্যবিত্ত তখন বেড়ে উঠেছে, পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের দিকে এগোবার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার আকাঙ্ক্ষা ও রুচি দুটোই তখন এমন একটা পত্রিকা দেখতে চাইছিল যাকে মনে হবে আধুনিক। সেই সঙ্গে বাঙালি জাতীয়তাবাদী তো বটেই, কিছুটা সমাজতান্ত্রিক হওয়াটাও অভিপ্রেত ছিল, বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ সমাজের কাছে।

    সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছেন : দৈনিক সংবাদ ও পূর্ববঙ্গের মধ্যবিত্ত

    একথা তো আর অবিদিত নেই যে, ‘৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র মননবিশ্ব ও রাবীন্দ্রিক রুচি সম্পর্কে বাঙালি মাত্রই উদ্দীপিত বোধ করেছে এবং প্রবহমান বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে নতুন আলোকে, তার স্বরূপকে উপলব্ধি করতে শিখেছে। সহজেই বলতে পেরেছে রবীন্দ্রনাথ পূর্ব বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। রবীন্দ্র শতবর্ষের অব্যবহিত পর থেকে জাতীয় সংস্কৃতির স্বরূপ, ঐতিহ্য, বিকাশ ও জিজ্ঞাসা নিয়ে এ দেশের সংস্কৃতিচর্চা নতুন আদল নিয়েই বিকশিত হতে থাকে। রবীন্দ্র শতবর্ষের অব্যবহিত পরেই বাঙালি সংস্কৃতিচর্চায় নবীন মাত্রা সঞ্চারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জন্ম হলো ছায়ানটের। যে ছায়ানট সংস্কৃতিচর্চা ও সাধনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার অভিযাত্রাকে খর প্রবাহিনী করে তুলল। বাঙালি সংস্কৃতি এই সংগঠনের চর্চা ও ভাবনায় নবরূপ নিয়ে প্রাণ পেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদ প্রবহমান বাঙালি সংস্কৃতি শুধু আবাহন করেনি, নবীনদের চিন্তা ও চেতনার ক্ষেত্রকে সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়েও নতুন খাতে প্রবাহিত করেছিল। এই সংস্কৃতিচর্চার মূলমর্ম জাতীয় স্বরূপের স্ফূরণ ও বিকাশ হলেও বৃহত্তর বাঙালিসমাজ এই সময় থেকে স্বীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও সচেতন হয়েছে। এই সময় সংবাদ জাগরণের মন্ত্রকে অন্বিষ্ট জ্ঞান করে বৃহত্তর সাংস্কৃতিক জাগরণেরও সৃষ্টি করেছিল। এ কাজ খুব সহজ ছিল না। বাঙালি মধ্যবিত্তের মনন মননবিশ্বে ও ভাবনার ক্ষেত্রে ঢেউ তোলা বেশ কঠিন ছিল। বিরুদ্ধ রাজনৈতিক প্রচারণার বিরুদ্ধে সামান্য প্রচার সংখ্যা নিয়ে সমাজদেহে কিছু জিজ্ঞাসা জন্ম দিয়েছিল তা পাঠককুলকে উদ্দীপিত করেছিল। একদিনে এ কাজ সম্ভব হয়নি। বছরের পর বছর সেজন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছে সংবাদ

    আবুল হাসনাতের সুবিশাল লেখাটি ষাটের দশকে অনন্য সংবাদ, কিছু কথা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে এক অসাধারণ স্মৃতিচারণ হয়ে থাকবে।

    ১৭ মে ২০১০-এ প্রকাশিত সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা পড়ুন এখানে।

    * আমি জানি না দৈনিক সংগ্রামের জন্ম কখন হয়েছিল, কিন্তু তাদের ওয়েবসাইটে তারা দাবি করে ওরাই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো বাংলা পত্রিকা। হলেও হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ওই পত্রিকাকে বলতে হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বাংলা পত্রিকা।

  5. মাসুদ করিম - ৫ জুন ২০১০ (৫:৪৯ অপরাহ্ণ)

    এই কীটপতঙ্গ গুলোর জীবন বিপন্ন, যে কোনো সময় এদের যে কেউ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। জীববৈচিত্রের প্রতি আমাদের শ্রম ও মনোযোগের ঘাটতিতে আমরা এই সুন্দর প্রাণগুলোকে অচিরেই হারাব।

  6. মাসুদ করিম - ৭ জুন ২০১০ (৩:৩২ অপরাহ্ণ)

    আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। বাংলাপিডিয়া থেকে কালের কণ্ঠে এদিনের কথা।

    ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস
    পূর্ব বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানে অভ্যন্তরীণ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে ছয় দফা। পূর্ব বাংলার প্রতি অবহেলা ও ঔদাসীন্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার হন। এদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতারা তাসখন্দ_উত্তর রাজনীতির গতিধারা নিরূপণের উদ্দেশ্যে ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে এক জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মেলনে যোগদানের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি লাহোর পেঁৗছেন। পর দিন সাবজেক্ট কমিটির সভায় তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দাবি হিসেবে ‘ছয় দফা’ প্রস্তাব পেশ করেন এবং তা সম্মেলনের আলোচ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। কিন্তু সম্মেলনের উদ্যোক্তারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং পর দিন পশ্চিম পাকিস্তানি পত্রপত্রিকায় ছয় দফার বিবরণ ছাপিয়ে শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরূপে চিহ্নিত করা হয়। ফলে শেখ মুজিব ৬ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন বর্জন করেন। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি সভায় ছয় দফা প্রস্তাব এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি : ছয় দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রচার করা হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতারা মুজিবুর রহমানের ছয় দফা কর্মসূচিকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা বিনষ্ট করার পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। আইয়ুব সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিচার শুরু করেন। এ মামলার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং ১৯৬৯ সালের প্রথমদিকে এই বিক্ষোভ গণ-অভুত্থানের রূপ নেয়। গণ-দাবির মুখে সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তিদানে বাধ্য হয়। আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে ছয় দফা কর্মসূচির সপক্ষে গণরায়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালায়। এ নির্বাচনে শেখ মুজিব ছয় দফার পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন লাভ করেন। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টো শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনৈতিক মীমাংসার আগে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানে অসম্মতি জানান। শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় নেতাসহ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে ১৫ মার্চ (১৯৭১) থেকে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের ফলে একদিকে ছয় দফা কর্মসূচির পরিসমাপ্তি ঘটে। অন্যদিকে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের।

    সমকালে আনোয়ার হোসেন লিখছেন

    ঐতিহাসিক ৭ জুন
    ঐতিহাসিক ৬ দফা কর্মসূচি প্রথমে প্রকাশ্য হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সর্বদলীয় রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। পরের দিন ছিল আনুষ্ঠানিক সমাবেশ। এতে কী কী বিষয় আলোচনা হবে, সেটা নির্ধারণের সভাতে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত ৬টি কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। তখন তার বয়স ৪৬ বছর পূর্ণ হতে কয়েকটি দিন বাকি। লাহোরের রাজনৈতিক সমাবেশে উপস্থিত পশ্চিম পাকিস্তানের বেশিরভাগ নেতা এবং এমনকি পূর্ব পাকিস্তানের কোনো কোনো নেতার কাছেও তিনি রাজনীতির মঞ্চে সামনের সারির লোক নন। তিনি যে জননন্দিত, সেটা তাদের অজানা নয়। কিন্তু পাকিস্তানের রাজনৈতিক মঞ্চের খেলোয়াড়দের কাছে জনগণ কবে গুরুত্ব পেয়েছে? তবে বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল, শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা কর্মসূচির মর্মার্থ তাদের অনেকেই তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এ কারণে বিরোধী দলের আনুষ্ঠানিক সভার আলোচ্যসূচিতে ৬ দফার স্থান দিতে করা হয় তীব্র বিরোধিতা। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও আমলাতন্ত্র সমন্বয়ে যে শাসকচক্র তারাও পূর্ব পাকিস্তান কোন পথে চলেছে সেটা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। তারা স্বায়ত্তশাসনের এ কর্মসূচিকে বিচ্ছিন্নতাবাদের বিষবৃক্ষ হিসেবে গণ্য করে। এ কারণে সব গণমাধ্যমের ওপর আসে নিষেধাজ্ঞা_ ৬ দফা নিয়ে কিছু লেখা চলবে না। আওয়ামী লীগের সমর্থক ঢাকার ইত্তেফাক পত্রিকায় ১২ ফেব্রুয়ারি কেবল একটি লাইনে এ কর্মসূচির খবর ছাপা হয়েছিল। কিন্তু জনগণের মনের কথা রয়েছে এ কর্মসূচিতে সেটা শেখ মুজিবুর রহমান জানতেন। এ কারণে তিনি জনসভা ও পথসভার মাধ্যমে তাদের কাছে এর ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। তিনি একটি জনসভা করে বক্তব্য রাখতেন এবং তা চিহ্নিত হতো রাষ্ট্রদ্রোহিতা হিসেবে, পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র হিসেবে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতো। তিনি জামিন নিয়ে এক সভা থেকে ছুটে যেতেন আরেক সভায় এবং সেখানে প্রদত্ত বক্তৃতার সূত্র ধরে দায়ের হতো আরেকটি মামলা। তিনি জামিন নিয়ে ছুটতেন আরেক জেলার আরেক জনসভায়। এক পর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। দলের অনেক নেতারও ঠাঁই হয় কারাগারে। আওয়ামী লীগের মুক্ত নেতারা ১৯৬৬ সালের ৭ জুন দেশব্যাপী হরতাল আহ্বান করেন বন্দিমুক্তির দাবিতে। প্রচণ্ড দমননীতির মধ্যেও হরতাল সফল হয়। এদিন তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন মনু মিয়া। হরতালের খবর যাতে সংবাদপত্রে প্রকাশিত না হয় সেজন্য সরকারের তরফে ছিল নিষেধাজ্ঞা। পরদিন কেবল একটি প্রেসনোট প্রকাশিত হয়। কিন্তু দৈনিক সংবাদ সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে কেবল প্রেসনোট ছেপে পত্রিকা প্রকাশে অস্বীকৃতি জানায় এবং ৮ জুন পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ রাখে। এটা ছিল এক অসম সাহসী অবস্থান। জনগণও ছিল একই সমতলে। তারা শেখ মুজিবের পেছনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সব ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে। শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনে। তাকে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি সবার হৃদয়ে স্থান পান বঙ্গবন্ধু হিসেবে। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ৬ দফার পেছনে ঐক্যবদ্ধ রায় প্রদান করেন। শাসকরা এ রায় মানতে চায়নি। আর তাই তো জনগণ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বেছে নেয় স্বাধীনতার পথ। ৬ দফাই নিয়ে এলো দেশের স্বাধীনতা।

    লিন্ক এখানে।

  7. অবিশ্রুত - ৭ জুন ২০১০ (৯:৩৮ অপরাহ্ণ)

    বিচিত্র এ পৃথিবী, আরও বিচিত্র মানুষ…জার্মানীর এক কসাইখানার কাহিনী পড়ে ভারী মজা পেলাম।
    পড়া যাবে এখান থেকে।

  8. মাসুদ করিম - ৮ জুন ২০১০ (১:২৭ অপরাহ্ণ)

    নেপালে সাম্প্রতিককালে শান্তিপ্রক্রিয়ায় যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, ২৮ মে ২০১০-এর সময়সীমা উত্তরণে — সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে আরো এক বছরের জন্য যে সরকারের মেয়াদ বাড়ল — সেই ‘তিন দফা সমঝোতা চুক্তি’র অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন এমালে নেতা কে.পি.ওলি। কান্তিপুর পত্রিকার সাথে তার সোমবারের সাক্ষাৎকারে তিনি বলছেন

    It now appears that the prime minister will not be stepping down in the near future. But won’t that delay the formation of a new national unity government?
    For the formation of a national unity government all provisions of the three-point will have to be followed. Why should only the provision for the prime minister’s resignation be followed without progress on the other two provisions (related to the completion of the peace process)? If the prime minister resigns, it would be in order to make way for a government of national unity, which would help move the peace process forward. Otherwise why should a government that enjoys majority support step down when it has not committed any mistake? Resignation of a majority government would only make sense if concrete steps are taken to move the peace process forward and commitments of the past adhered to.

    The prime minister has already said he will resign if the other provisions are honoured. They (the Maoists) have said that the agreement was for the prime minister to resign within five days of the agreement. But does anyone need five days to resign? Those days were meant for discussions on other provisions of the agreement. But it seems that they (the Maoists) only want the prime minister to resign without honouring their side of the bargain. Did the ‘confidential agreement’ they like to talk about only deal with the prime minister’s resignation without the other side adhering to its commitments?

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  9. মাসুদ করিম - ৮ জুন ২০১০ (১১:৩১ অপরাহ্ণ)

    অপরাধী তালিকায় নাম নেই ওয়ারেন এন্ডারসনের, আর সাত ভারতীয় কর্মকর্তাকে সাজা দেয়া হয়েছে — দুই বছরের কারাদণ্ড আর ২০০০০০ রুপি জরিমানা ! ২৬ বছর পর ভোপাল গ্যাস দূর্ঘটনার, যে দূর্ঘটনাকে পৃথিবীর বিকটতম শিল্প দূর্ঘটনা ধরা হয়, সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৫০০০ বললেও মৃতের সংখ্যা ছিল আসলে প্রায় ৩০০০০, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিষক্রিয়ার কারণে বিকলাঙ্গ হয়ে গেছে, যাকে হিরোশিমার সাথে তুলনা করা হয়, সেই দূর্ঘটনার জন্য এত বছর পর এই সাজা ! তার মধ্য আবার প্রধান অভিযুক্ত মুক্ত। শব্দটা আসলে কোনোদিন ছিল না ‘বিচার’, শব্দটা আসলে সব সময়ের জন্য হবে ‘অবিচার’।

    Mr Anderson and Union Carbide have never appeared in court.

    The company, bought by Dow Chemical Co in 2001, claims the legal case was resolved in 1989 when Union Carbide settled with the Indian government for £325 million.

    It says all responsibility for the factory now rests with the Madhya Pradesh state government, which now owns the site.

    Last July, the Bhopal court issued a warrant for Mr Anderson’s arrest and also ordered the Indian government to press Washington for his extradition.

    Mr Anderson was briefly detained immediately after the disaster, but he quickly left the country and now lives in New York.

    It was not immediately clear if the Indian government had begun to process the Bhopal court’s request.

    খবরের লিন্ক এখানে

  10. মাসুদ করিম - ৮ জুন ২০১০ (১১:৪৯ অপরাহ্ণ)

    মঙ্গলবারের কালের কণ্ঠে আবদুল গাফফার চৌধুরীর কলামে পাকিস্তান আমলে বইয়ের নকল ও অবৈধ প্রকাশ কিভাবে বাঁচিয়েছিল বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতিকে?

    পাকিস্তান আমলের বাংলাদেশে বাংলা বইয়ের নকল ও অবৈধ প্রকাশই একসময় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পাকিস্তানের অবাঙালি শাসকগোষ্ঠী তাদের বাঙালি কোলাবরেটরদের সহযোগিতায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উচ্ছেদ ঘটানো অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে দুই বাংলার মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতির যোগাযোগ ছিন্ন করার লক্ষ্যে একটি অদৃশ্য বার্লিন ওয়াল তৈরি করেছিলেন। ওপার বাংলার কোনো বই এমনকি বঙ্কিম, শরৎ, রবীন্দ্রনাথসহ আধুনিক কবি ও কথাশিল্পীদের বইও যাতে বাংলাদেশে আসতে না পারে, তার ব্যবস্থা করেছিলেন।
    এই সময় ঢাকার তৎকালীন কিছু প্রকাশকের মধ্যে একজন প্রকাশক স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার লেখকদের বিনা অনুমতিতে এবং লেখক ও প্রকাশকদের কপিরাইট আইন অমান্য করে তাদের বই ছেপে পূর্ব পাকিস্তানের বইয়ের বাজার ছেয়ে ফেলেন। এমনকি বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের বই পর্যন্ত নতুনভাবে সম্পাদনার ছাপ মেরে ছাপতে শুরু করেন। এটা একটা দণ্ডযোগ্য বেআইনি কাজ ছিল। কিন্তু সে সময় তা দুই বাংলার মধ্যে ভাষা-সংস্কৃতির যোগাযোগ ছিন্ন করার পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। কলকাতার লেখক ও প্রকাশকরা তাতে সাময়িকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এখন তারা স্বীকার করেন যে রুহুল আমিন নিজামী তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থে কাজটি করলেও তাতে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি পাঠকদের কাছে তাঁদের পরিচিতি ও অস্তিত্ব রক্ষা পেয়েছে এবং দুই বাংলাতেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য রক্ষার সহায়ক হয়েছে।

    পুরো লেখাটি এখানে দিচ্ছি না, আগ্রহীরা ০৮ জুন ২০১০-এর কালের কণ্ঠে পড়ুন আবদুল গাফফার চৌধুরীর কলাম : বই পুড়িয়ে কি কমিউনিস্ট সমাজে অবক্ষয় ও অপরাধ দূর করা যাবে?

  11. মাসুদ করিম - ৯ জুন ২০১০ (১:১১ পূর্বাহ্ণ)

    দেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্রটি বন্ধ হয়ে গেল। পাকিস্তান অবজারভার থেকে বাংলাদেশ অবজারভার : ১৯৪৯ সালের ২৩ মার্চে যেপথ চলা শুরু হয়েছিল, তা শেষ হয়ে গেল ০৮ জুন ২০১০-এ এসে।

    বাংলাদেশ অবজারভার বন্ধ
    দেশের প্রাচীনতম ইংরেজি দৈনিক ‘বাংলাদেশ অবজারভার’ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল মালিকপক্ষ সাংবাদিক-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সঙ্গে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় চলে আসা বিরোধের অবসান শেষে বাংলাদেশ অবজারভার বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। এর ফলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৬১ বছরের পুরনো ইংরেজি দৈনিকের পথচলা গেল থেমে। ইতোমধ্যে অবজারভার ভবন ও জায়গাটিও বিক্রি করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। তবে মালিকপক্ষ বলেছে, পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
    ১৯৪৯ সালে ২৩ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ‘দি পাকিস্তান অবজারভার’ প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে মতিঝিলে পত্রিকাটির অফিস স্থানান্তর করা হয়। পত্রিকার প্রকাশক ও মালিক ছিলেন তৎকালীন বিশিষ্ট আইনজীবী ডানপন্থি রাজনীতিক হামিদুল হক চৌধুরী। সম্পাদক ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুস সালাম। যার নেতৃত্বে পাকিস্তান অবজারভার দেশের শীর্ষ একটি সংবাদপত্রে পরিণত হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান অবজারভার নাম পাল্টে রাখা হয় বাংলাদেশ অবজারভার।
    স্বাধীনতার সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পত্রিকার মালিকপক্ষের বাংলাদেশ অবজারভারের দায়িত্ব গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে পত্রিকাটি অনেকটা সাংবাদিক-কর্মচারীদের পরিচালনায় প্রকাশনা অব্যাহত থাকে। ইতোমধ্যে হামিদুল হক চৌধুরীর মৃত্যু হলে পত্রিকার উত্তরাধিকারদের মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়। ফলে সাংবাদিক-কর্মচারী-শ্রমিকদের দীর্ঘকালের বিপুল অঙ্কের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ে যায়।
    দীর্ঘ সতের বছর সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীরা পাওনা নিয়ে লড়াই করেন। সাংবাদিক ইউনিয়ন দীর্ঘকাল অবজারভারের দাবি নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। এ সময় অনেকের জীবনেরও অবসান ঘটে। অবশেষে শ্রমিক-কর্মচারীরা অনেক ছাড় দিয়ে বিদ্যমান সঙ্কটকে একটি নিষ্পত্তির দিকে এগিয়ে নেন। গতকাল সকালে চূড়ান্ত সমঝোতা হয় শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনার এক-তৃতীয়াংশ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এ সময় মালিক ও প্রকাশকের পক্ষে সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নার্গিস রহমান, মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী ও রিয়াজ রহমান। এই সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হয় ৬ মাস আগেই। তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের মধ্যস্থতায় অবজারভার সঙ্কটের একটি নিষ্পত্তি হয়।
    গতকাল অবজারভার ভবনে গিয়ে দেখা গেল ভবন ও জায়গা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে নির্মাণ সংস্থা কনকর্ডের কাছে। তারা ভবনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে এবং ভবনে তাদের নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। বার্তা কক্ষে সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে ঘিরে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীরা দেনা-পাওনার হিসাব করছেন এবং চেক নিচ্ছেন। জানা গেছে বর্তমানে অবজারভারে কর্মরত ৯৪ জন নিয়মিত ও ২০ জন অনিয়মিত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীর পাওনা ৩০ কোটি টাকা কিন্তু পাচ্ছেন তারা ১০ কোটি টাকা। এ টাকায়ই সমঝোতা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাদের অনেকেই অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বলেছেন, দীর্ঘকালে ঝুলে থাকা সঙ্কটের অবসান হয়েছে। এতেই শান্তি।
    পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে মন্তব্য করার কিছুই নেই সমঝোতা বৈঠকে আমরা যা মেনে নিয়েছি তাই হচ্ছে।
    জানা গেছে, ইতোমধ্যে যারা মারা গেছেন, অবজারভার থেকে চলে গেছেন, তাদের পাওনার ব্যাপারে কোন সমঝোতা হয়নি। এছাড়াও যারা মামলা করেছে তারাও এই সমঝোতার মধ্যে নেই। তাদের বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। ইতিমধ্যে গত ৩ জুন ৩১ জন সাংবাদিক বকেয়া না পেয়ে অবজারভারের ৪ পরিচালকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
    অবজারভারের সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের চোখে-মুখে দেখা গেল বিষন্নতা। যেন অনেক মায়া অনেক আপন নিবাস ছেড়ে চলে যাচ্ছে তারা তারই বেদনার ছাপ। দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেল সংবাদপত্রসেবীদের জন্য প্রকৃত অর্থে বেদনার-কষ্টের।

    খবরের লিন্ক এখানে

  12. মাসুদ করিম - ১০ জুন ২০১০ (১০:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    শিল্প সাহিত্য সমালোচক, নন্দলাল বসু ও রামকিঙ্কর বেইজের ছাত্র, চিত্রশিল্পী, শোভন সোম মঙ্গলবার মধ্যরাতে মৃত্যুবরণ করেছেন। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে,শিলচরে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা তার শ্রেষ্ঠ একজন সমালোচককে হারাল। খবরের লিন্ক এখানে

  13. মাসুদ করিম - ১১ জুন ২০১০ (১১:১৮ অপরাহ্ণ)

    ১০৩ বছর বেঁচেছিলেন, ৮৪ বছর কাজ করেছেন, কিন্তু তার কোনো ছবির প্রদর্শনী হয়নি। স্টেনলি লুইসের প্রথম প্রদর্শনী, মৃত্যুপর প্রদর্শনী, তার মারা যাওয়ার এক বছর পর, শুরু হচ্ছে ১২ জুন ‘The Unkown Artist: Stanley Lewis and his contemporaries’ — এই শিরোনামে।

    Portrait of an unknown artist: Stanley Lewis
    Artist and teacher Stanley Lewis, who died last year at the age of 103, painted every single day for 84 years. Yet despite his remarkable talent and prolific work ethic, the first major exhibition of this little-known artist is yet to be held. It opens on Saturday alongside works from the Cecil Higgins Collection by Lewis’ tutors, friends and influences, including William Rothenstein, Augustus John and Stanley Spencer.

    Lewis’s work is characteristic of a generation of modern British artists in the early 20th Century, who saw drawing as primary and fundamental to their work. Throughout his career he remained faithful to the distinctive graphic manner he developed whilst at the Royal College of Art. He remained faithful also to his subject matter, consistently drawing on his rural upbringing in Wales and his affinity with the land for inspiration.

    Lewis turned down the offer of contracts from art dealers and galleries during his lifetime, preferring to work without constraints on what he should produce, choosing instead to earn a much-needed income through teaching. Asked aged 103 if he was ready for his first ever show, Stanley puffed on his cigar and with a faint chuckle replied, “I think I am ready”. Shortly before he died he wrote “when my exhibition is up and running, open a good bottle of champagne and celebrate?no doubt I will be there in spirit to keep an eye on things”.
    ‘The Unkown Artist: Stanley Lewis and his contemporaries’ exhibition opens Saturday 12th June to Sunday 5th September at the Bedford Gallery, Castle Lane, Bedford http://www.bedfordmuseum.org

    ফিচারের লিন্ক এখানেতার কিছু কাজ দেখুন এখানে

  14. মাসুদ করিম - ১৮ জুন ২০১০ (১০:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    Paid news, বাংলায় কী বলা যায় — অর্পিত সংবাদ না খবরের বিনিময়ে টাকা (খবিটা) নাকি আক্ষরিক অর্থে পরিশোধিত খবর। তো কাকে বলে Paid news, পি.সাইনাথ বলছেন

    Suppose you are a quack doctor you are putting out medicine which will cure asthma or tuberculosis. It may be fake. I write the story saying this man has some found cure for asthma. He has done this, he has done this, and he is a genius. You buy this; you will be liberated from asthma. I do not tell them that I have taken three lakh rupees from the advertiser – that is paid news. But during elections – paid news becomes twice as dangerous, because it is not only harming the readers’ information, it is harming the readers’ electoral democratic rights. It is concealing from the reader – if X is standing in an election, X is paying me as a news paper to run positive information on X…According to how much X pays I will run so much positive information on you..The reader will not even know the name of X’s opposing candidate in the election unless I mention the candidate to attack him. His name will not appear. So it’s what vice president Hameed Ansari calls a double weapon. Paid news destroys the concept of a free and fair and balanced press. That the same time the paid news undermines the very basis of electoral democracy because it prejudices and interferes with the free and fair election. It allows huge use of money power without accountability. So in elections paid news becomes even more damaging but it is not only in elections that there is the phenomenon of paid news. There is paid news every day in the news paper and channels. If journalism does not wipe out paid news; paid news will wipe out journalism.

    সংবাদ মাধ্যমের বাণিজ্য নীতি কাকে বলে

    It is very difficult for a journalist in general to survive the onslaught of the commercial ethics of the media. The media place that above everything else. There are TV channels that will send a team, entire crew, to the Cannes film festival to not even cover the film festival and to cover Aishwarya Rai at the film festival. They will spend a fortune on that but they will not send a correspondent 150 kms from their office to cover the drought, to cover the farmer’s suicide, they will not send a correspondent. What will it cost? It will cost Rs2000 to go and come. But they send crews to cover Aishwarya Rai in Cannes. This is the commercial ethics. What can the journalist do in such a situation?

    সাংবাদিক : কর্মী ও কর্পোরেট কর্মী

    The journalist who wants to write about deprivation, who wants to write about displacement, who wants to write about malnutrition, immediately that young person will be branded. This person is an activist, this person is not a journalist. This journalist who may run to Madhya Pradesh to cover hunger deaths and may run to Vidarbha to cover farmers suicide, will be called an activist. In the same room, there is a fellow who has not left the office for twenty years, outside the office hours, who will sit there every day creating news from corporate and company press releases but he is a professional, because he is delivering what the corporate media wants. The person writing about the social issues is not delivering what the corporate media want. Therefore they call him an activist. Now the person who is delivering what corporate media want, we should call him a corporate activist. He has been doing this for twenty years; activism for the corporate world. Why don’t you call him an activist? We have turned the definition of normal, upside down. That which is abnormal, “stenography as journalism” that we call professional. That which should be normal, journalism about peoples’ life, that we brands as abnormal. That is the ideological hold of the corporate world over the media. Black is white, white is black. Because it says so!

    পড়ুন পি.সাইনাথের পুরো সাক্ষাৎকার এখানে

  15. মাসুদ করিম - ১৯ জুন ২০১০ (১০:৩২ পূর্বাহ্ণ)

    শুক্রবার, ১৮ জুন ২০১০, পর্তুগিজ লেখক সারামাগো মারা গেছেন। ১৯২২-২০১০, ৮৭ বছর বয়সে মারা গেলেন ‘কল্পনায় সমৃদ্ধ’ ‘সাধারণ মানুষের মর্যাদা’য় বিশ্বাসী এই অসাধারণ লেখক। বলেছিলেন ‘কার্ল মার্কস কখনো এত নির্ভুল ছিলেন না, এখনকার মতো’। স্কুলে পড়া হয়নি, কিন্তু শিক্ষিত হয়েছেন, তাও আবার লেখক এবং ১৯৯৮-এ সাহিত্যে নোবেলও পেয়েছেন। এখানে পড়ুন ‘দি গার্ডিয়ান’-এর খবরএখানে পড়ুন একটি সাক্ষাৎকার। আর এখানে ইংরেজি সংবাদপত্রে তার প্রথম সাক্ষাৎকার

  16. মাসুদ করিম - ২২ জুন ২০১০ (৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ)

    জাকির নায়েক কে নিয়ে আউটলুক ব্লগে পড়ুন : Free Speech V/s Hate Speech

  17. মাসুদ করিম - ২২ জুন ২০১০ (১০:২৭ পূর্বাহ্ণ)

    গত মাসে এই লিন্কে উত্তর কোরিয়ার শিল্পকর্মের যে প্রদর্শনীর কথা জানিয়েছিলাম, আজ সেই প্রদর্শনীর কিছু কাজের ফটোগ্রাফ পেলাম এখানে। আর ফটোগ্যালারির সাথে আর্টিকেলটি পড়ুন এখানে

  18. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (১০:২৯ পূর্বাহ্ণ)

    কলকাতায় ‘বাংলাদেশ গ্রন্থাগার’ পড়ুন এখানে

  19. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (১০:৪২ পূর্বাহ্ণ)

    ২৬ জুন ২০১০-এ অনুষ্ঠিত হবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন। এনিয়ে গতকাল কালের কণ্ঠে হারুন হাবীব লিখছেন

    মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন
    অনেক অনিশ্চয়তা এবং সংকট কাটিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচন ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন হবে জেলা ও উপজেলা সংসদের নির্বাচনগুলোও। এসব নিয়ে নানা আইনি জটিলতারও অবসান হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার নিজের সম্পৃক্ততা কখনো নেই। আসন্ন নির্বাচনেও আমি একজন ভোটার মাত্র। সম্ভব হলে নিজের এলাকায় যাব এবং পছন্দসই প্রার্থীদের ভোট দেব। এর বেশি অংশগ্রহণ আমার নেই। ইচ্ছেও নেই। অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশব্যাপী যে ধরনের সরগরম প্রস্তুতি লক্ষ করছি, তা আগে কখনো দেখিনি। এর প্রধান কারণ এবারের নির্বাচনটি সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ ভোটে হতে যাচ্ছে। এর আগে এ রকম প্রত্যক্ষ ভোটের পর্ব ঘটেনি। কারণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি ভোটদানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। যত দূর মনে পড়ে, ২০০১ সালে মাঠপর্যায়ের কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণে সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে অধ্যক্ষ আহাদ চৌধুরীর প্যানেল জয়যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গায়ের জোরে সরিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন জোটের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে অবৈধভাবে নির্বাচিত সংসদ দখল করা হয়। এরপর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তাদের সরকারের পুরো সময়টা কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা সংসদগুলো ইচ্ছেমাফিক পরিচালনা করা হয়েছে। সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন তালিকায় ব্যাপকসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি চিহ্নিত রাজাকারদেরও স্থান দেওয়া হয়েছে। আগের নির্বাচিত সংসদের হাতে মুক্তিবার্তায় প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ভুল বা অমুক্তিযোদ্ধারা একেবারে স্থান পায়নি, সেটিও সঠিক নয়। সেই তালিকাটিকে সংশোধন করা সম্ভব ছিল। কিন্তু জোট সরকারের আমলে প্রণীত তালিকাটি পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে।
    আমি মাঝেমধ্যেই গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে ঘুরতে যাই। ফসলের মাঠ, নদী, খাল-বিল, সবুজ গাছপালা এগুলোর মাঝে দিন কয়েক বসবাস করলে নিজেকে অনেক বেশি ভাগ্যবান মনে হয়। অতিসম্প্রতিও অনেক এলাকায় গেছি। সব জায়গায়ই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের ব্যাপক প্রচারণা চোখে পড়েছে। পোস্টার, ব্যানার সব জায়গায়ই। জনসংযোগ বা প্রচারণার কমতি নেই। এমনকি রাজধানী ঢাকায়ও। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। কাজেই জাতীয় নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনে ভোট পরিস্থিতি ঘটার কারণ নেই। এর পরও খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, সারা দেশেই সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা-ভোটারদের কদর বেড়েছে। মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীরা রণাঙ্গনের সাথি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যাচ্ছেন, নিজের এবং নিজের প্যানেলের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন। বলতেই হবে, এ ধরনের গণতান্ত্রিক রীতি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এ ধরনের উচ্ছ্বাসের আরো একটি সংগত কারণ আছে। আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির সমন্বয়ে কোনো রাজনৈতিক জোট ক্ষমতায় এলে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বড় ধরনের সাড়া পড়ে যায়। গ্রামগঞ্জ এবং শহর-বন্দরে বসবাসরত ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ভেবে বসেন, সংগত কারণেই ভাবেন, এবার নিশ্চয়ই কিছু হবে। এবার নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের লুণ্ঠিত চেতনা পুনরুদ্ধার ঘটবে। জীবন বাজি রাখা এসব মানুষ, যাঁরা একদিন ব্যক্তি জীবনের সবটুকু দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করেছিলেন, নানা সংকট ও প্রতিকূলতার পরও তাঁরা ভাবেন, এবার নিশ্চয়ই তাঁদের শহীদ বন্ধু-সঙ্গীদের আত্দা শান্তি লাভ করবে, যুদ্ধজয়ী বীর এবং জীবনযুদ্ধে পরাজিত মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্র থেকে সন্মানিত হবে। আমি বিশ্বাস করি, এ অনুভূতি বা উচ্ছ্বাস অন্যায্য কিছু নয়। কারণ, গ্রাম-গঞ্জের বিপন্ন মুক্তিযোদ্ধারা যদি কিছু সম্মান পেয়ে থাকেন, তা আওয়ামী লীগের আগের এবং এবারের সরকারের হাতেই পেয়েছেন। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে আরো ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করবে। তারা করবে, কারণ মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এবং নানা সীমাবদ্ধতা ও সংকটের পরও রাজনীতিতে তারাই এখনো মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলধারার প্রতিনিধিত্ব করে।
    ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর দিন কয়েক পর থেকেই স্থায়ীভাবে ঢাকাকেন্দ্রিক সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিষ্ঠার ঘটনাটি আমি প্রত্যক্ষ করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠিত হয় ১৯৭২ সালের ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি, দেশের স্বাধীনতার মাত্র দুই মাস পর। একদিকে বঙ্গবন্ধুর সরকারের ডাকে বিপুলভাবে অস্ত্র সমর্পণ করছে মুক্তিযোদ্ধারা, অন্যদিকে প্রক্রিয়া চলছে মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। নির্দলীয়ভাবে সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠনের মধ্যে রাখা, তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে এগিয়ে নেওয়াই এর মূল লক্ষ্য। অবশ্য পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে আরো কিছু সংগঠন গড়ে ওঠে_যেগুলো নানা সীমাবদ্ধতায় জাতীয় পর্যায়ে যেতে পারেনি।
    জাতির দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫-এর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট দুষ্ট রাজনীতির ধারায় বাংলাদেশের শাসনকার্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়নি। সামরিক ও আধাসামরিক শাসকদের আমলে, এক অর্থে শাসকদের ইচ্ছায় ক্ষমতাসীন অনির্বাচিত প্রতিনিধিরাই বেশির ভাগ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিচালনা করেছেন। যখন যে সরকার এসেছে, দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সরকারের স্বার্থ রক্ষাই যেন নেতাদের কাজ হয়েছে। অথচ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি স্বাধীন জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য। এ প্রতিষ্ঠান দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। কাজেই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানের স্বার্থেই এ প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা করা জরুরি। এবার নির্বাচন বিষয়ে আসি। নানাভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বর্তমান ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে মিল আছে_এমন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। একাত্তরের জাতীয় বীরদের বৃহত্তর অংশের সঙ্গে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের মনের মিল থাকবে_এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ, মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় সবাই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে জানেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টির ব্যাপক অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরই নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, পাকিস্তানের ধর্ম ও সামরিক শাসনকেন্দ্রিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা লাভ করেছে। কাজেই আওয়ামী লীগের সরকার থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চেতনাগত উচ্ছ্বাস বেশি হবে_এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়।
    দেশের স্বাধীনতার পর একুশটি বছর গেছে দুঃসহ সামরিক ও আধাসামরিক জাঁতাকলে। নতুন রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিকল্পনায় সাম্প্রদায়িকতা জেঁকে বসেছে, মুক্তিযোদ্ধারা বিভাজিত হয়েছে, এমনকি পরিকল্পিতভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী, এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের। কাজেই এ প্রবণতা খুবই স্বাভাবিক যে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর যোদ্ধারা মন খুলে স্বাধীনতার মিত্র ও শত্রুর কথা বলতে পারবেন, স্বাধীনতার অবিকৃত ইতিহাস উচ্চারণ করতে পারবেন। খোলা মনে ঘাতক-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে ত্বরান্বিত করতে পারবেন। মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসের রক্ষণাবেক্ষণ চাইতে পারবেন। এমনকি যে জাতীয় রণাঙ্গনে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ যুবতারুণ্য তাঁদের জীবনের সর্বত্তোম উপহার দিয়ে জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিল এবং যাঁদের বেশির ভাগ আজ বিপন্ন, বিধ্বস্ত; সেই বিপন্নদের স্বার্থে রাষ্ট্রকে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বলতে পারবেন একাত্তরের জনযোদ্ধারা। কাজেই স্বাভাবিক কারণেই এ উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা এবং সংসদ নির্বাচনে যে প্যানেলগুলো পড়েছে তাদের প্রায় প্রতিটিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী।
    আমার জানা মতে, বর্তমান মহাজোট সরকার কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্বাচনে কোনো বিশেষ প্যানেলকে সমর্থন বা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন না। করার যুক্তিসংগত কারণও দেখি না। কারণ, এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক নির্বাচন। সুষ্ঠু ভোট পর্বের মাধ্যমে যাঁরাই নির্বাচিত হবেন তাঁরাই সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন। কিন্তু সংকট হচ্ছে, অনেক জায়গায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ও ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুনে যত্রতত্র ছাপা হচ্ছে তাদের নাম, সমর্থনের কথা, এমনকি ছবি। এতে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না কোনটি সঠিক। নির্বাচনটি যদি দলীয় বা রাজনৈতিক হতো তাহলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু তা নয়। এ ধরনের প্রচারণা চলার পেছনে বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। আমার বিশ্বাস, এ ধরনের কার্যক্রমে একদিকে যেমন বিভ্রান্তি বাড়াবে, অন্যদিকে তেমনি বাড়াবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভাজন, যা কারোর কাম্য নয়।
    এ ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলো থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বেশ কিছু শক্ত অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন কমিশনার ও সরকারের সচিব শফিক আলম মেহেদী এক সংবাদ সম্মেলন করেও এ ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের এমন গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার স্বাক্ষরেও বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। এতে কিছুটা কাজ হলেও সবটা হয়েছে বলে মনে হয় না। যত দূর শুনেছি, নানা জায়গায় সরকারি দল ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার অব্যাহত আছে। কাজেই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে আরো সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
    শুনেছি বর্তমান ভোটার তালিকাটি প্রণয়ন করা হয়েছে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করে। সে কারণেই নাকি ভোট পর্বটি ঘটাতে বিলম্ব হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধা। এদের বিপুলসংখ্যক গ্রামে বসবাস করেন। আশা করব, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে জেলা ও উপজেলার সংসদগুলো এবার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে পরিচালিত হবে। আমার আরো প্রত্যাশা, এবারের নির্বাচনে যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হয়ে কর্তৃত্ব গ্রহণ করবেন তাঁরা জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও সংসদের মর্যাদা রক্ষা করাই তাঁদের কাজ।
    লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক

  20. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে জন্ম হয়েছিল এই প্রাচীন রাজনৈতিক দলটির। এই দলের জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজারও বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ। জন্মলগ্ন থেকেই দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দলটির নেতাকর্মীদের অঙ্গীকার ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালী জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ইতিহাস। জনগণের অকুণ্ঠ ভালবাসা ও সমর্থন নিয়েই এই দলটি বিকশিত হয়।

    আজ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  21. মাসুদ করিম - ২৩ জুন ২০১০ (৮:১১ অপরাহ্ণ)

    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শুধু শিক্ষকই নন, একইসঙ্গে সমাজ চিন্তাবিদ। লেখক তো বটেই। শিক্ষাবিদ হিসেবেও রয়েছে তার খ্যাতি এবং এক্ষেত্রে তরুণতম ব্যক্তি থেকে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ সবার জন্যই তিনি অনুপ্রেরণা। উদার মানবিকতার যে ধারা আমাদের সমাজ ও সাহিত্য জগতে দীর্ঘদিন থেকে বহমান, তিনি তার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে কিছুটা দুঃখের সঙ্গেই বলব যে, তিনি হচ্ছেন তার শেষের দিকের চর্চাকারী। এ ধারাটি যেন হারিয়ে যেতে চলেছে।

    আজ ২৩ জুন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিন। পড়ুন এখানে সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের ‘যিনি খুলে দেন জ্ঞানের দুয়ার’

  22. মাসুদ করিম - ২৪ জুন ২০১০ (৩:৪৯ অপরাহ্ণ)

    নোমান-বিনোদ সংবাদ। গতকাল বিনোদবাবুকে সঙ্গে নিয়ে নোমান দেখা করতে গেলেন নতুন মেয়র মঞ্জুর সাথে। বিনোদবাবু তারকাবিপ্লবী, নোমানের কাছ থেকে কী চান কে জানে? এপিজে আবুল কালাম যেমন বিজেপির হয়েছিলেন তেমনি বিনোদবাবু কি বিএনপির হতে চান? নোমান ২০০৭-এ পালিয়ে গিয়ে ইমেজে বড় দাগ ফেলেছেন, এখন তার প্রভু তারেক জিয়াকে কিছু করে দেখাতে চাইছেন। বিনোদবাবু নোমানের জন্য কতদূর যাবেন? কে জানে? শতবর্ষী বিনোদবাবুর খ্যাতির আকাঙ্ক্ষা আজো শেষ হয়নি। তারকাবিপ্লবী বিনোদবাবুর সারাজীবন অবশ্য খ্যাতির মোহেই কেটেছে।
    আজাদীর সাইট মাঝে মাঝে পাওয়া যায় না, তাই খবরের লিন্কটা ব্লক-কোটও করে দিলাম।

    এবার নয়া সিটি মেয়র মনজুর আলমের বাসায় গেলেন প্রবীণ বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী। গতকাল সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজনকে নিয়ে তিনি মনজুর আলমের উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে যান। এই সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিনোদ বিহারী চৌধুরী গোলক ধামের জায়গাটি দখল না করার জন্য নয়া মেয়রকে অনুরোধ জানান। তিনি নয়া মেয়রকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান এবং মিষ্টিমুখ করান। নয়া মেয়র বলেন, এই জায়গা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কোনো বিরোধে জড়াবে না। যদি কোনো বায়না করা হয়ে থাকে তাহলে তা স্থগিত রাখা হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ বিরোধী কোন পদক্ষেপ সিটি কর্পোরেশন নেবে না। সকল মানুষের কল্যাণেই সিটি কর্পোরেশন কাজ করবে। কারো স্বার্থহানি করা হবে না।

    আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কথা দিয়েছিলাম যে মনজু মেয়র নির্বাচিত হলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের স্বার্থ পরিপন্থি কোন কাজ করা হবে না। আজ আমরা আমাদের সেই কথা রাখলাম।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ইন্দু নন্দন দত্ত, তাপস হোড়, এডভোকেট দিলীপ মজুমদার, প্রদীপ কুমার দত্ত, নব নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রকৌশলী বিজয় কুমার চৌধুরী কিষাণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    তাঁরা প্রায় দেড় ঘন্টা অন্তরঙ্গভাবে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিনোদ বিহারী চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়রের সফলতা কামনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে নতুন মেয়রের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

  23. মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১০ (২:৫৫ অপরাহ্ণ)

    ভারতীয় গণতন্ত্রের কালোদিবস ২৫ জুন। ৩৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থার মধ্য দিয়ে পরবর্তী ১৯ মাস গণতন্ত্রকে রাহুর কবলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার এই কর্মকাণ্ডের নাটের গুরু হিসেবে এক বাঙালী জড়িয়ে ছিলেন : সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন কংগ্রেসি মূখ্যমন্ত্রী। আর এই জরুরী অবস্থার শ্রেষ্ঠ এক্সিকিউটিভ হয়ে উঠেছিলেন ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী। পড়ুন জরুরী অবস্থা নিয়ে গণশক্তির সম্পাদকীয় আয়োজন এখানেএখানে

    • মাসুদ করিম - ২৯ জুন ২০১০ (১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

      রামচন্দ্র গুহের মতে, পঁচাত্তরে ভারতের জরুরী অবস্থার জন্য ইন্দিরার পাশাপাশি জয়প্রকাশ নারায়ণও দায়ী ছিলেন।

      In your Emergency chapter, you say that JP and Indira Gandhi wrote the script for the Emergency together, which suggests a kind of equivalence between their actions.

      In a sense. Because Mrs Gandhi had the instruments of state at her command and because she grossly abused them through the Emergency, she would be the greater culprit. But one can’t let JP off the hook either. One placed too much faith in the state, and the other placed too little faith in the state and in representative institutions. One said I am Parliament, I am India, the other said disband Parliament. I’ve tried to provide a psycho-social interpretation of why JP acted the way he did. I’ve talked about the fact that he was growing old, his wife had died, he wanted to recapture the youthful revolutionary impulses that he once had, he felt his mortality was in question and India had to be transformed before he went. I tried to understand why a man who abjured radical politics for 30 years to become a social worker, had become a street agitator. I also quote other mistakes. These are contemporary criticisms – I mention a man called RR Patil, an ICS officer, a friend of JP’s, who visits Bihar, studies the movement, and says, the genie is out of the bottle, and you can’t control it. You may have unleashed forces that will destroy institutions. There were other critics, like Acharya Ramamurthi, he talks about the RSS taking over the movement. JP was naïve, he was irresponsible, and of course Indira Gandhi over-reacted.

      You’ve been sharper about Indira Gandhi in your other writings. Is that the difference between journalism and history?

      This is not an ideological book. I lived through the Emergency, I was a college student in the Emergency, and one of the things that this book has taught me is that you need a generation’s distance to write history. While living through it, you took sides, for or against. But look at it 20 to 25 years later, and with hindsight, and with the sources available to you, you can see the larger context, and you can understand that they were two villains, in a sense. Villain is a strong word, but as I said in the book, the Emergency was a script jointly authored by them.

      And a generation’s distance enables you to see that?

      While you were living through it, you knew that Indira Gandhi had undermined democracy, that she had introduced dynastic rule, had unleashed savage repression in the countryside in the guise of sterilisation. That you could see. Through distance you can see that while all of this is inexcusable, on the other hand, the JP movement was not so noble and idealistic either.

      You strongly suggest that the single biggest reason for Indira Gandhi calling elections in 1977 was western criticism of her and the Emergency. That’s interesting..

      Yes, I do argue that. There are other reasons, too, but this is something no one has said before, and I have documented it, from the private letters by Horace Alexander, and public criticism by Fenner Brockway and John Grigg. Horace Alexander taught Indira Gandhi bird-watching. He was a Quaker, an emissary between Gandhi and the Raj. Fenner Brockway was a very important socialist and a very close friend of Nehru. He was fighting for Indian freedom in England through the 20s and 30s and 40s. He wrote important books on Indian freedom. John Grigg was a liberal, very influential liberal, also lobbying there. These are important people, these are friends of India, and you can’t dismiss them as CIA agents. And they are telling Indira Gandhi, you are betraying your father’s legacy. John Grigg says return to the traditions of your father and abandon the orientation of your son. And then newspapers like The Times were also very influential. This was not the Murdoch Times – Bernard Levin’s pieces were very influential. Obviously, until Indira Gandhi’s papers are opened, we don’t absolutely know. There are other speculations, and I give them in the book. But this seems to be very plausible, the way certifiable friends of the Nehru family and of India had focussed their criticisms on how Indira had betrayed her father’s legacy. My sense is that this seems a very likely reason why she called off the Emergency. And one of the most interesting things about her decision, at the personal level, is that she didn’t tell Sanjay — it came as a shock to him.

      পুরো সাক্ষাৎকার এখানে

  24. মাসুদ করিম - ২৫ জুন ২০১০ (৪:৫৬ অপরাহ্ণ)

    জরুরী অবস্থা নিয়ে ভারতীয় কার্টুনিস্ট আবু আব্রাহামের কার্টুন, দেখুন এখানে

  25. মাসুদ করিম - ২৬ জুন ২০১০ (৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    সেজ বা এসইজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ।

    চলতি মাসেই এসইজেড-সংক্রান্ত একটি বিল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিলটি বর্তমানে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পর্যালোচনায় রয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হচ্ছে: দেশের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় সব এলাকায় দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণ এবং রাষ্ট্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংসদে উত্থাপিত এই বিলে চারটি দিকের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
    প্রথমটি হলো মালিকানা। এ দিক থেকে বিচার করলে মূলত চার ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে আইনে। প্রথমত, দেশি বা বিদেশি ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি; দ্বিতীয়ত, দেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়িক সংগঠন কর্তৃক একক বা যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা; তৃতীয়ত, সরকারি উদ্যোগ ও মালিকানা; চতুর্থত, বিশেষায়িত কোনো শিল্প বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য বেসরকারি ও সরকারি উভয়ের অংশীদারি।
    দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জমি। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে সরকার ১৯৮২ সালের অচলাচল যোগ্য সম্পদ অধিগ্রহণ আইনের অধীনে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারবে, যা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে গণ্য হবে। যেকোনো একটি এলাকা বা অঞ্চলকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার পর সেখানে কর্তৃপক্ষ মাস্টার প্লান তৈরি করে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকা (ব্যাংক, ওয়্যারহাউস, অফিস) ও প্রক্রিয়াকরণমুক্ত এলাকা (আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন) ইত্যাদিভাবে বিভাজন করার প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করতে পারবে। অঞ্চল উন্নয়নে সরকার প্রয়োজনে বেসরকারি ডেভেলপার নিয়োগ করতে পারবে।
    তৃতীয়ত. বিনিয়োগ আকর্ষণের অর্থনৈতিক প্রণোদনা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কর অবকাশ, বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি। এসবের বাইরেও কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে আইনের সকল বা যেকোনো বিধানের প্রয়োগ হতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অব্যাহতি দিতে পারবে।
    চতুর্থত, আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের জন্য গড়ে তোলা হবে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা, ভূমি অধিগ্রহণ, ইজারা প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক অঞ্চলের অভ্যন্তরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় দেখভাল করবে কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত মন্ত্রী পদমর্যাদার একজন সদস্য কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হবেন।
    জানা গেছে, এই আইনের মূল দিকগুলো প্রস্তুত ও ধারণাগুলো তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল বিশ্বব্যাংকের অঙ্গসংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। আইনটি নিয়ে কথা হয় আইএফসির সিনিয়র প্রোগাম ম্যানেজার সৈয়দ আখতার মাহমুদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে জানান, দুটো দিক মাথায় রেখে ২০০৬ সালের দিকে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ধারণাটির কাজ শুরু হয়। প্রথমত. সরকারি মালিকানায় সেসব শিল্প এলাকা আছে, সেগুলোতে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। দ্বিতীয়ত, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ মালিকানায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা।

    বিস্তারিত পড়ুন এখানে

  26. মাসুদ করিম - ২৭ জুন ২০১০ (১১:১৯ পূর্বাহ্ণ)

    পলাশীর প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে মূল্যায়ন করছেন রাজশাহী লেখক ফোরামের সভাপতি ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ। আজকের বাংলাদেশে তিনি মীর জাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দূর্লভ, নন্দকুমার, উমিচাঁদ ও ঘষেটি বেগমদের ভয়ংকর অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন এবং এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন, কারণ এরা বর্তমান বাংলাদেশে আবার পলাশীর বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে। কিন্তু কারা মীর জাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দূর্লভ, নন্দকুমার, উমিচাঁদ ও ঘষেটি বেগম? — একথা তিনি সরাসরি বলেননি। কিন্তু তার লেখা থেকে উদ্ধৃত অংশটুকু পড়লে আমরা বুঝতে পারব এরা কারা?

    ১৭৫৭ সালের বাংলা এবং ২০১০ সালের বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু সামঞ্জস্যতা প্রত্যক্ষ করা যায়। সেদিনের মতো আজও দেশের ভিতরে-বাইরে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। ইতিহাসের যে কোন সময়ের চাইতে এই ষড়যন্ত্র এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ঘরে-বাইরে চলছে নিরন্তর অপচেষ্টা। এই অপচেষ্টার লক্ষ্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ধর্ম-সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধকে গলাটিপে হত্যা করা নয়; বরং এই দেশ ও জাতির অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সহজ পন্থায় বিকিয়ে দেয়া; যেন বাংলাদেশ নিজেই সিকিমের ভাগ্য বরণ করতে বাধ্য হয়। আর বাংলাদেশের সচেতন জনগণ যদি তা নাও বাস্তবায়ন করতে দেয়, তাহলে অন্তত বাংলাদেশকে আর একটি পলাশীতে ঠেলে দেয়া অথবা জলন্ত ইরাক-ফিলিস্তিন কিংবা বসনিয়ায় পরিণত করা। এ ক্ষেত্রে আধিপত্যবাদের তল্পিবাহকরা শুধু যে রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ তা নয়। বরং তারা শেকড় কেটে দিচ্ছে অর্থনীতি, শিল্প ও ইতিহাসের। ছড়িয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাস; উপড়ে নিচ্ছে আমাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। এ জন্যই আধিপত্যবাদের কাছে যারা আত্মসমর্পণ করেছে তাদেরকে ‘বরেণ্য ব্যক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। আর যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন দুর্নীতি না করেও তাদের অনেকের ভাগ্যে নেমে আসছে জেল জুলুমসহ বহুবিধ লাঞ্ছনা। এমন কি দেশপ্রেমিক জননেতাদের কাউকে আজীবনের জন্য পঙ্গু করে ফেলে রাখারও অপচেষ্টা চলছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। কবি আল মাহমুদের ভাষায়-
    এসেছে যে অন্ধকার পুনর্বার বাংলার ললাটে
    সে লজ্জা স্মরণ করে হাত তুলে দাঁড়ায় সে জাতি
    দুই শতাব্দীর গ্লানি জমা আছে হাটে মাঠে বাটে
    সিরাজের লাশ নিয়ে হেঁটে যায় মিরনের হাতি
    …………………………………………..
    হাতির পায়ের শব্দে দ্যাখো চেয়ে কারা হেঁটে যায়
    এতো মুর্শিদাবাদ নয়। এই গজ এখন ঢাকায়।
    পলাশী বিপর্যয়ের পরে সারা বাংলাদেশ যখন শোকে মুহ্যমান, তখন উপমহাদেশে মাত্র একটি শহরে ইংরেজদের পক্ষে বিজয় মিছিল বের হয়েছিল; সে শহরটির নাম কোলকাতা। আজ এই মুহূর্তে দেশের অভ্যন্তরে যে ‘খ্যাতি ভিখারী’ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এরাও সেখানকারই আশির্বাদপুষ্ট। তারা চায় বলেই আমাদের জমিনে জন্ম হয় একজন দাউদ হায়দারের, একজন তসলিমা নাসরীনের। তারা চায় বলেই আমাদের বুদ্ধিজীবীরা(?) বলেন, ‘৪৭-এর ভারত বিভাগ ছিলো ভুল। তারা চায় বলেই আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক লেখেন, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর দরকার নেই, বলেন আরও অনেক কিছু। কার স্বার্থে জন্ম হয়েছিল শান্তিবাহিনী ও বঙ্গসেনার; সর্বহারা, জনযুদ্ধ, জেএমবিসহ দেশের শান্তিবিঘ্নকারী সন্ত্রাসী বাহিনী কোন আধিপত্যবাদের আশির্বাদে লালিত তা দেশবাসীর কাছে দিনের সূর্যের মতোই পরিষ্কার। বেরুবাড়ি, আঙ্গর পোতা দহগ্রাম, তিন বিঘা করিডোর ও দক্ষিণ তালপট্টিতে দখলদারীত্ব, সীমান্ত আইন ভঙ্গ করে নোম্যান্স ল্যান্ডে কাঁটা তারের বেড়া ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার তৈরি, যখন তখন নিরীহ বাংলাদেশীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা ও অপহরণ, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে ৫৪টি নদীর পানি প্রত্যাহার করে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে মরুভূমি করে ফেললেও সেভেন সিস্টারের স্বাধীনতা সংগ্রাম ঠেকাতে আজ তাদের জন্য চাই ট্রানজিট-করিডোর; স্বাধীনতার ৩৮ বছর ধরে তা আগলে রাখতে সক্ষম হলেও বর্তমানে তার খানিকটা ইতোমধ্যে লুণ্ঠিত হবার খবরকেও উড়িয়ে দেয়া যায়না। সংস্কৃতির আকাশ মাটিতে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য। আজ আমাদের দেশে তাদের সবগুলো টিভি চ্যানেলের অবাধ প্রবেশাধিকার থাকলেও আমাদের একটি টিভি চ্যানেলও সে দেশে প্রবেশ করতে পারেনা। বন্যার স্রোতের মতো ঢুকছে মদ-গাঁজা, ফেনসিডিল-হেরোইনসহ প্রজন্ম ধ্বংসকারী মারণাস্ত্র মাদক, ঢুকছে বিকৃত গ্রন্থ, রফতানি করছে মগজ ধোলাইকৃত বুদ্ধিজীবী। জনতার শেষ ভরসা দেশের সশস্ত্রবাহিনীসহ দেশ বাঁচানোর মৌলিক মাধ্যমগুলোর কোনটাই আজ ষড়যন্ত্রের বাইরে নয়।
    পলাশীর প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমানের এই মিলের কারণেই পলাশী স্মরণের প্রয়োজনীয়তা অন্য যে কোন সময়ের চাইতে আজ সর্বাধিক। সেই ভুলের পর্যালোচনা না করলে দ্বিতীয় ভুলের ফাঁদে আমাদের জীবন ও জাতীয় অস্তিত্ব আজ সত্যিকার অর্থেই বিপন্ন হতে পারে। এ জন্যই ইতিহাসের এই ক্রান্তিকালে কোন দেশপ্রেমিক নাগরিক ঘরে বসে থাকতে পারে না, থাকা উচিৎ নয়। আমাদের তরুণ সমাজকে জানাতে হবে সঠিক তথ্য ও ইতিহাস, পরিষ্কার করে চেনাতে হবে শত্রু-মিত্র। আধিপত্যবাদের তল্পিবহনকারী রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সৃষ্ট কুয়াশা ও কাঁকরের দিগন্ত ভেদ করে তাদেরকে দিতে হবে সত্য মুক্তি স্বাধীন জীবনের সন্ধান। সকল হীনতা, দীনতা, হতাশা ও ভীতির করাল গ্রাস থেকে জাতিকে উদ্ধার করে শোনাতে হবে আশার বাণী। তাদের সমস্ত রক্ত-মাংসে দিতে হবে যথার্থ চেতনা। তাই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহসী উচ্চারণই বার বার স্মরণে আসে-
    সত্য মুক্তি স্বাধীন জীবন লক্ষ্য শুধু যাদের/খোদার রাহায় প্রাণ দিতে আজ ডাক পড়েছে তাদের
    দেশের পায়ে প্রাণ দিতে আজ ডাক পড়েছে তাদের/সত্য মুক্তি স্বাধীন জীবন লক্ষ্য শুধু যাদের।

    বুঝতে পারছেন কারা? হ্যাঁ, ওদের এবারের সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব নন, তিনি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী চক্রের শিরোভূষণ গোলামআজমনিজামীমুজাহিদ। আর যুদ্ধাপরাধের বিচার যারা চাইছে তাদের মধ্যেই আমরা খুঁজে পাব মীর জাফর, জগৎশেঠ, রাজবল্লভ, রায়দূর্লভ, নন্দকুমার, উমিচাঁদ ও ঘষেটি বেগমদের।

    তার এই লেখাটি বিস্তারিত পড়ে আপনার জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করুন

    • মোহাম্মদ মুনিম - ২৮ জুন ২০১০ (৭:৫৬ অপরাহ্ণ)

      @মাসুদ ভাই
      আপনার পাঠানো লিঙ্কটির দুয়েক লাইন পড়েই বুঝতে পেরেছি বাকি অংশে কি আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই পলাশি দিবস, বখতিয়ার খলজি দিবস, এই জাতীয় ফালতু ব্যাপার হাইলাইট করা হয়। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এতো অং বং দেখিয়ে বিএনপি জামাত ঠিকই তো লন্ডনে গিয়ে সাহেবদের দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে হুমকি দেওয়াচ্ছে। ৩৯ বছর রাজাকারদের শাস্তি হলো না, তাতে ব্রিটিশ সাহেবদের কখনো তো কিছু বলতে শুনিনি। এখন যখন বিচারের কথা হচ্ছে, তখন সেই বিচার কতটা মানবিক হবে, কতটা মানসম্মত হবে, সেই নিয়ে সাহেবদের চিন্তার অন্ত নেই। নাৎসীদের শাস্তির ব্যাপারে চার্চিল সাহেব Act of Attainder (বিনা বিচারে শাস্তি) এর কথা বললেন, বিনা কারণে শুধু মনের ঝাল মেটানোর জন্য ড্রেসডেনের ৪০ হাজার নিরীহ জার্মানকে মেরে ফেললেন, আর আমাদের বেলায় মানবিক বিচার!

  27. মাসুদ করিম - ২৮ জুন ২০১০ (১১:৫৫ অপরাহ্ণ)

    এক মহান শিল্পীর জীবনাবসান

    BEIJING, June 28 (Xinhuanet) — Wu Guanzhong, one of the most revered and collected contemporary Chinese art masters passed away at Beijing Hospital late Friday night, at the age of 90.

    Known as a fighter of “saying the truth,” Wu’s death was announced Saturday by his family.

    “It is a great loss for the Chinese art world,” Xu Jiang, director of the National Academy of Art, where Wu studied in his youth, told the Global Times. “Wu’s excellent paintings and his diligence in exploring artistic innovation have set an example for all of us in the art circle.”

    “Without Wu, there will be no artist who is mastered both at traditional Chinese culture and Western painting spirit, which is a great loss to us all,” commented Yu Weiping, owner of Thread Gallery in Beijing.

    Born in Yixing, Jiangsu Province in 1919, Wu graduated from the National College of Art in 1942, the then most prestigious art school and precursor of the China Academy of Art. Taught by famous art educators such as Lin Fengmian, Wu learned both traditional Chinese painting and Western oil painting at the college.

    He went to Paris to study Western painting in 1947 after graduation and returned to China in 1950 after the founding of the People’s Republic of China. A professor at Tsinghua University, Wu made significant innovations both in artistic creation and art education in China.
    Adeptly integrating Chinese ink and wash with Western painting skills, Wu was widely acclaimed as a contemporary art master with achievements on par with art masters Qi Baishi, Xu Beihong, Lin Fengmian and Liu Haisu, all who made great contributions in modernizing Chinese art in the 20th century.

    “Master Wu’s most precious quality lies in his lifelong exploration of artistic innovation in integrating Western painting skills and traditional Chinese art and culture,” Fan Di’an, director of the National Art Museum of China, told the Global Times after learning of Wu’s death. “With a profound understanding of Western art, Wu also attached importance to traditional Chinese art and culture, which is especially hard to achieve for contemporary artists.”

    “I love both traditional Chinese art and the bold way of expression that lies in Western oil painting. I always garnered inspiration from the two aspects in my art career,” Wu told the Global Times at the opening ceremony for his good friend Chu Teh-chun’s retrospective at the National Art Museum of China on March 4.

    In his lifelong artistic career Wu insisted that Chinese ink and wash should be developed with the times and integrate Western painting elements. He also determined that while creating oil paintings, Chinese artists needed to find a path to connect traditional Chinese culture.

    Fan explained that Wu made great contributions in filling the gap between art and everyday people, with many of his works focusing on familiar, everyday subjects.

    “In one aspect, master Wu’s works are of high value in terms of both painting techniques and aesthetics, which are hard to be surpassed. On the other hand, he always chose something people loved to see as his subjects,” Fan wrote in an essay commemorating the art master. “It is no easy task to unite the two aspects perfectly.”
    Wu’s representative paintings include The Three Gorges, Hometown of Lu Xun, Spring Snow and The Great Wall, all with simple subjects and valued artistic merit.
    Wu’s works are in high demand on the world art market and command exorbitant prices. One of the most heavily-collected contemporary Chinese artists since 2000, Wu’s works are hotly pursued both in and out of China. Total sales of his work at public auctions reached 1.78 billion yuan ($262 million) late last year, according to Huran Report data, second only to top-selling Chinese artist Qi Baishi.

    Among many of his works commanding extraordinarily-high prices, his oil painting Ten Thousand Kilometers of the Yangtze River, created in 1974, sold for 57.12 million yuan ($8.4 million) at Beijing Hanhai’s auction earlier this month. Wu’s Northern Landscape sold for 30.24 million yuan ($4.5 million) at China Guardian’s 2009 autumn sales.

    Dong Guoqiang, general manager of auction giant Bejing Council, Sunday predicted that prices of Wu’s works will soar rapidly after the master’s death, due to the artistic achievements he made and the important position he will always hold in China’s contemporary art world.

    The number of works by Wu is far less than other contemporary artists, since he was very strict with himself in his artistic creations, according to Dong, who pointed out that it is widely known Wu would destroy pieces he was dissatisfied with, no matter how long they took him to complete.

    Despite seeing his works frequently auctioned for millions of dollars, Wu’s ambition was far from making money, he often donated his art to public museums and organizations, with the aim to “let more people have a chance to see my works,” as he said during an exhibition at Shanghai Art Museum last year.

    The exhibition featured 160 pieces that Wu donated to the museum and was a great success, with hundreds flocking to view the works each day, according to Li Lei, vice director of Shanghai Art Museum.
    Wu’s most recent donation was five ink paintings to Hong Kong Museum of Art, bringing his total donations to the museum to 52 pieces. At a press conference to mark the donation Friday, Wu’s son, Wu Keyu, said that “despite the hefty prices, my father’s cherished wish is to enable more people to enjoy his works. So he insists on donating his best works to public museums instead of selling them.”

    “There is no boundary in terms of art, art belongs to the world, not to a certain nation or country,” Wu Guanzhong said after donating 113 pieces of his work to Singapore in 2008, a move that generated heated controversy in the Chinese art world.

    Wu is well-known for such straightforward actions and words, standing true to his core beliefs and often criticizing not only other artists’ attitudes on taking art as a way to earn money, but also China’s art education system. He called for canceling fine art associations and academies funded by the government, saying that removing them would encourage artistic innovation.

    “It was a long way to go from a painter to an artist, most stopped as painters, working to earn a living and getting famous,” Wu once wrote in an essay. “Art is inspired from the heart and soul and there is no way to sell them,” he wrote.

    According to Wu’s wishes, a public funeral will not be held.

    Wu is survived by his wife, three sons and their families.

    এখানে দেখুন Part of Ten Thousand Kilometers of the Yangtze River

  28. মাসুদ করিম - ৩০ জুন ২০১০ (১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ)

    ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ-এর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘নিউজ ক্লিক’ গওহর রাজা ও সোহাইল হাশমির মধ্যে এক আলাপ-আলোচনার আয়োজন করেছে। আজ দেখুন এর প্রথম ভাগ

  29. Pingback: নেপালনিধি | প্রাত্যহিক পাঠ

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.