সুপারিশকৃত লিন্ক: এপ্রিল ২০১০

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

১৯ comments

  1. মাসুদ করিম - ১ এপ্রিল ২০১০ (৬:১৫ অপরাহ্ণ)

    চীন কে জানতে পিপলস ডেইলি একটা ভাল মাধ্যম। আগে ইংরেজি ডেইলিতে অতো চীনা সংস্করণে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ থাকত না। এখন প্রচুর ভাল অনুবাদক নিয়োগ পাওয়ায় মূল চীনা কাগজের অনেক লেখাই ইংরেজি অনুবাদে পড়া যায়। চীনা স্টেট কাউন্সিলের প্রোপাগান্ডা বিভাগের ইন্টারনেট ব্যুরো পরিচালকের এক চীনা লেখার ইংরেজি অনুবাদ এখানে In information age, we need ‘Web spokesmen’। এই ‘ওয়েব মুখপাত্র’ কী করবেন

    With notebook in hand, publishing the news in any time at any place, the Web spokesman has become an excellent tool to promote open government, deal with public opinion, respond to crisis and build brand image. They are by no means inferior to the news publishing system and news spokesman that are still popular to the public.

    Internet news publishing is a fresh and exciting area. Based on the Internet and using multimedia technology to communicate with the public, it reflects both new concepts and new images. By means of new forms of media such as QQ, forums, blogs, twitter, etc, the Web spokesman may interact with people to a high degree.

    সত্যিকার অর্থে তাই করবেন তো, নাকি এই মুখপাত্র হয়ে উঠবেন ‘মলমবিদ’ : ইন্টারনেটে ছড়ানো খবরের প্রতিক্রিয়ার তীব্রতা উপশমের জন্য প্রয়োজনীয় মলম লেপনের কাজ করে যাবেন, যখন যেমন প্রয়োজন।

  2. মুয়িন পার্ভেজ - ২ এপ্রিল ২০১০ (১২:১৬ পূর্বাহ্ণ)

    এইচএসবিসি-কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আহমেদ মুনির। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ-এ (১ এপ্রিল ২০১০) প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষ :

    বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম ও সৃজনধারাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এইচএসবিসি ব্যাংক ও সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। এই ধারাবাহিকতায় এ বছরও (২০০৯ সালের) সাহিত্যের তিনটি শাখায় এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। তিনটি শাখায় তিনজন কবি ও লেখক প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।

    এবারের পুরস্কারের জন্য নির্বাচিতরা হলেন কবিতায় আমি ও বাঘারু কাব্যগ্রন্থের জন্যে আহমেদ মুনির, কথাসাহিত্যে অন্ধ জাদুকর গ্রন্থের জন্যে আহমাদ মোস্তফা কামাল এবং প্রবন্ধ ও গবেষণায় একাত্তরের গণহত্যা গবেষণাগ্রন্থের জন্যে আজিজুল পারভেজ।

    আগামী ২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

    আহমেদ মুনিরের একটি কবিতা পড়া যাক, আমি ও বাঘারু কাব্য থেকে :

    আত্মজার প্রতি

    তোকে আমি বহু ছলাকলা করে, বহু স্বপ্ন দেখিয়ে এই গুমোট সিঁড়িঘরের অন্ধকারে ডেকে এনেছি। তোর কপালে হাত রেখে বলেছি, এই তো, এরই মধ্যে থাকি আমরা সকলে।

    যেখানে এতদিন ছিলি সেখানে ফিরে যাবার জন্য তুই প্রচণ্ড কান্না জুড়েছিলি। অথচ ফিরবার আর কোনো পথ নেই। পিছনে কেউ ফিরতে পারে না, তুই জানিস না, জানবি না কখনও।

    এই বাড়ির ভারী ঠাণ্ডা ছায়ার নিচ থেকে তুই আমার দিকে অভিমান নিয়ে তাকিয়ে থাকিস। নীরবে প্রশ্ন করিস, কোথাও আমরা চলে যাব কি না। অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে।

    জাল টাকার মতো চালাক মানুষেরা আমাদের চারপাশ ঘিরে আছে। তাদের মধ্যখান থেকে একটা রাস্তা খুঁজে তোকে বাইরে নিয়ে আসব, সেই সাধ্য কই !

    এতদিন পর্যন্ত আমি নিজেকে যে-কথা বলে ভুলিয়েছি তোকেও সে-কথাই বলব। যাতে তুই বিশ্বাস করিস, বেঁচে থাকতে থাকতে একদিন নিশ্চয়ই সেই দিনটি আসবে। যেদিন আমি, তুই আর তোর মা মিলে হাঁটতে থাকব পৃথিবীর সব সাদা ঘোড়ার পাশ ঘেঁষে। আর আমাদের ইচ্ছেগুলো এক-একটা দীর্ঘ গর্জনগাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকবে পথের প্রান্তে।

    (আমি ও বাঘারু, ঐতিহ্য, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০০৯, পৃ. ৪৭)

    • মোহাম্মদ মুনিম - ২ এপ্রিল ২০১০ (১:৪১ পূর্বাহ্ণ)

      মুনিরকে অভিনন্দন

      • বিনয়ভূষণ ধর - ২ এপ্রিল ২০১০ (১১:৪২ পূর্বাহ্ণ)

        @মুয়িন!
        তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ দিচ্ছি খবরটা এখানে তুলে দেয়ার জন্যে। আমাদের বন্ধুদের পক্ষ থেকে মুনিরকে আমাদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।

  3. বিনয়ভূষণ ধর - ২ এপ্রিল ২০১০ (১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ)

    বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলাম ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবার পর থেকে আজ পর্যন্ত কি ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে এবং মুনাফার অর্থ কি ধরনের কাজে ব্যয় করেছে তার একটা ভালো ধারণা আশা করি আপনারা এই লেখাটি থেকে পাবেন। পড়ুন এখানে…

  4. মাসুদ করিম - ৪ এপ্রিল ২০১০ (১০:১৩ পূর্বাহ্ণ)

    একুশ শতক হবে ভারত ও চীনের। দুটি দেশ প্রাচীন সভ্যতার দেশ। কিন্তু দুটি রাষ্ট্রের জন্ম বিশ শতকের মাঝামাঝি, বলা যায় এরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সন্তান। ভারত রাষ্ট্রের জন্ম ১৯৪৭, চীন রাষ্ট্রের ১৯৪৯। এ বছর ০১ এপ্রিল ভারত-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তি। দুদেশের পত্রিকা থেকে আপাতত তিনটি লেখা পড়ুন : An opportunity for India, China, Bridging a Continent, When will the mistrust end?

    • মাসুদ করিম - ৪ এপ্রিল ২০১০ (৬:২১ অপরাহ্ণ)

      চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে উৎসাহীরা পিপলস ডেইলি আয়োজিত এই সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

      • মাসুদ করিম - ৬ এপ্রিল ২০১০ (৪:৫৯ অপরাহ্ণ)

        চীন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনে বিতর্কটা দুপক্ষের : একদিকে সামরিক বাহিনী অন্যদিকে থিন্কট্যান্কের পন্ডিতরা — প্রথম পক্ষ হার্ডলাইনার, দ্বিতীয় পক্ষ আলোচনাপন্থী। চীনের সরকারের ওপর ও চীনের পার্টির ওপর এই দুপক্ষই সমান প্রভাবশালী — কখনো সামরিক বাহিনীর মতামত প্রধান্য পায়, কখনো থিন্কট্যান্কের। কিন্তু কোন প্রভাব কখন প্রধান্য পাবে তা একেবারেই পার্টি ও সরকারের একধরনের অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঠিক হয়। ভাষার কারণে চীন যতটা না বর্হিবিশ্বের কাছে জটিল, তার চেয়েও বেশি জটিল তার এই কার্যপদ্ধতির জন্য। আর এই জটিলতা থেকেই আসে বর্হিবিশ্বে চীন বিষয়ে অবিশ্বাস। পড়ুন দি হিন্দুতে Behind China’s India policy, a growing debate

        • মাসুদ করিম - ১০ এপ্রিল ২০১০ (৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ)

          ভারত-চীন প্রধানমন্ত্রীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন হটলাইন বসাতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। খবর এখানে। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অর্ন্তভুক্তিতে চীনের সহায়তা চাইলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস.এম.কৃষ্ণ। বিস্তারিত এখানে। চীন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বড় ভূমিকা রাখলেও সীমান্ত সমস্যা এখনো অমীমাংসিত, ভারত এখনো চীনের ‘মুক্তবাজার অর্থনীতি’কে স্বীকৃতি দেয়নি এবং চীন-পাকিস্তান সম্পর্ককে ভারত এখনো স্বাভাবিকভাবে দেখে না। পড়ুন ওয়াং হুই-য়ের মতামত চায়না ডেইলিতে

  5. মাসুদ করিম - ১০ এপ্রিল ২০১০ (৪:২৭ অপরাহ্ণ)

    অসুস্থ নির্মল সেনকে দুরাবস্থার শিকার হয়ে ঢাকা ছাড়তে হয়েছে — জানাচ্ছেন তারই বন্ধু অজয় রায়। বাংলাদেশের কলাম লেখকদের মধ্যে স্বনামধন্য নির্মল সেনের বয়স হবে এখন আশি। এই বয়সে বঞ্চনার শিকার হওয়াই কি আমাদের দেশে লেখক-সাংবাদিকদের নিয়তি? এমন প্রথিতযশা সাংবাদিক-লেখক যদি আমাদের অবহেলার শিকার হন, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের দৈন্যই শুধু প্রকাশিত হবে। অজয় রায়ের মানবিক আবেদনে আমরাও কি পারি না নির্মল সেনের সাহায্যে তহবিল সংগ্রহ করতে? অবশ্য অজয় রায় কোনো সুনির্দিষ্ট ঠিকানা আমাদের জানাতে পারেননি যেখানে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র সংগ্রহ পৌঁছাতে পারি। কেউ যদি সে ঠিকানা জানেন, আমাদের জানাতে অনুরোধ করছি।

    আসুন, নির্মল সেনের পাশে দাঁড়াই
    মানবিক আবেদন
    অজয় রায়
    নির্মল সেনকে দুরবস্থার ও দুঃসহনীয় অবস্থার কারণে ঢাকা ছাড়তে হয়েছে_ এ সংবাদটি জানা ছিল না। হঠাৎ করেই তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। একদিন বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম সেগুনবাগিচার বাসা ছেড়ে দিয়ে তারা ধানমণ্ডি এলাকায় চলে গেছেন। বস্তুত যতটুকু জানি, সিআরপি থেকে ফেরার পর থেকেই তার প্রথাগত চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাকালে বা সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সময় সাধ্যমতো সহায়তা করেছি। আমি নিতান্তই ক্ষুদ্র ও বিত্তহীন মানুষ_ আমার পক্ষে খুব বেশি করা সম্ভব ছিল না। সিঙ্গাপুর হাসপাতালে থাকাকালে আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র সেখানে কিছুটা তার দেখভাল করত। সিআরপিতে চিকিৎসা নেওয়াকালে তার খোঁজখবর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ও নির্মল বাবুর দলের রাজনৈতিক সহকর্মী ড. ফারুকের কাছ থেকে পেতাম, অর্থাভাবে যে সেখানকার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে তা জানতাম না। ড. ফারুকও আমাকে বলেননি কোনো সময়। আমার ধারণা ছিল তার অর্থের ও চিকিৎসার দিকটি তার পার্টি ও অন্য বামপন্থি দলগুলো ভালোভাবে দেখভাল করছে। বিএনপি আমলে শুনেছিলাম, তারেক রহমান ‘সেনবাবুকে’ অর্থসাহায্য করেছিলেন এবং তার চিকিৎসার দায়িত্ব বিএনপি সরকার নিতে পারে বলে তার পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এরপর কোনো অগ্রগতি হয়নি। তার এক আত্মীয়ের অনুরোধে আমার পরিচিত আওয়ামী মহলে বিএনপির এ বদান্যতার কথা জানিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তারাও শ্রীযুক্ত সেনের জন্য কিছু করতে পারেন কি-না। তাছাড়া তিনি, শেখ হাসিনার অপরিচিত ব্যক্তি নন, সাংবাদিক নির্মল সেন স্পষ্টবাদী কলামিস্ট হিসেবেই পরিচিত, কাউকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ। তবে কি ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ লেখাটি আওয়ামী ঘরানা আজও ভুলতে পারেনি? কিন্তু এখন তো মহাজোটে নির্মল বাবুর অনেক বাম বন্ধু রয়েছেন_ আছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ূয়া, রাশেদ খান মেনন, রয়েছেন ইনু। আমার মনে তাই হাজার ডলারের প্রশ্ন_ এতদসত্ত্বেও শ্রীযুক্ত নির্মল সেনকে নিঃসঙ্গ, নিঃসহায় অবস্থায় অর্থাভাবে কোটালীপাড়ায় দীনহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে হলো কেন? আগেই বলেছি, আমি ক্ষুদ্র ব্যক্তি, বিত্তহীন এবং রুগ্ণ সহধর্মিণীকে নিয়ে পারিবারিকভাবে নিঃস্ব, তবু অঙ্গীকার করছি আধপেটা খেয়ে থাকতে হলেও প্রতি মাসে আমি তার জন্য ২ হাজার টাকা খরচ করব। আমি অনুরোধ করব আমার এই যৎসামান্য সহায়তা তার পরিবার বা নির্মল সেন অন্যভাবে নেবেন না। আমি অনুরোধ করব তার পরিবারের কোনো সদস্য এ সামান্য অর্থ প্রতি মাসে আমার কাছ থেকে নিয়ে যান বা যথাযথ ঠিকানা জানালে পেঁৗছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আমি এই কলামের মাধ্যমে নির্মল সেনের অন্য বন্ধু বা শুভানুধ্যায়ীকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি_ আমরা দশজন হলেও তো মাসে ২০ হাজার টাকা তার জন্য তুলতে পারি। এ বয়সে তাকে সুচিকিৎসা না দিতে পারি, খানিকটা তো স্বস্তি দিতে পারি।
    দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পরস্পরের বন্ধু ছিলাম, থাকব। হিসাব কষলে তার বয়স এখন আশি। আমার পঁচাত্তর ছুঁইছুঁই। সেই ১৯৫৫ সাল থেকে আমাদের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা_ তা ক্রমেই নিবিড় হয়েছে কালের পথ ধরে। সেই সালে বরিশাল থেকে হঠাৎ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাস কোর্সে বিএসসিতে ভর্তি হয়ে আমার সহপাঠী হলেন। গণিত আর রসায়ন সাবসিডিয়ারি ক্লাসে আমাদের সঙ্গে বসতেন। তাছাড়া ঢাকা হলে আমরা একই সঙ্গে থাকতাম। অঙ্কের জ্যোতির্বিজ্ঞানের ড. হকের ক্লাসে মজার কাণ্ড হতো। হক স্যার প্রত্যেকের পুরো নাম ধরে রোলকল করতেন। খাতায় নির্মল বাবুর নাম ছিল ‘এন কে সেন’_ হক সাহেব পড়তেন এন কে ‘সেখ’_ ক্লাসে হাসির রোল পড়ে যেত। আমরা কেউ তাকে সংশোধন করে দিতাম না। নির্মলবাবুকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম সুদূর বরিশাল থেকে বিএম কলেজ বাদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাস কোর্সে বিএসসি পড়তে এলেন কেন। মুচকি হাসি দিয়ে বলতেন, ‘সে অনেক কাহিনী ক্রমশ প্রকাশ্য।’ সে কাহিনী ক্রমশ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কেমন করে জানি কাছের বন্ধু হয়ে গেলাম। ক্রমেই জানলাম আমার এই আপাত নিরীহ ক্লাসমেটটি মোটেই সহজ মানুষ নয়, পোড় খাওয়া মানুষ। ছোটবেলা থেকেই কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। আরএসপির (রেভলিউশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি) জেলখাটা সদস্য। বরিশাল কলেজের ছাত্র ছিলেন_ বিঘোষিত হয়েছেন ওই কলেজে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা ‘পারসনা নন গ্রাটা’। তাই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় আগমন। বরিশাল তখন ছিল আরএসপির শক্ত ঘাঁটি। আমি অন্যদিকে সাধারণ ছাত্র, রাজনীতির সাতেপাঁচে নেই। তবে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র সংসদের পেছনের সারির চিকামারা কর্মী। অন্যদিকে নির্মল বাবু ছাত্রনেতা, ছাত্রলীগের প্রগতিশীল অংশের বড় নেতা, দফতর সম্পাদক। তবু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে অসুবিধা হয়নি। আমার মনে আছে, সে সময় রোকেয়া হলের ছাত্রী কামরুন্নাহার লাইলী (বরিশালের মেয়ে), আমার পূর্বপরিচিতা আনোয়ারা (দিনাজপুরের মেয়ে), দু’জনে ঢাকা হলে আসতেন নির্মল বাবুর কাছে। আমরা রাজনীতির ফাঁকে নির্দোষ আড্ডা মারতাম। আমার ও আমার বন্ধু শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের মধ্যে এক অলিখিত বোঝাপড়া হয়েছিল যে, নির্মল বাবু ও আমাদের এক কমন দাদা কেশব বাবুকে বিএসসি পাস করাতেই হবে। কেননা দু’জনেই সাধারণ নিয়মিত ছাত্র নন। কথা হয়েছিল শ্যামা অঙ্কে ও আমি পদার্থবিদ্যায় ওদের পাস করানোর দায়িত্ব নেব। আমাদের সে চেষ্টা একবারে না হলেও বারদুয়েকের চেষ্টায় ফলবতী হয়েছিল_ দু’জনকেই আমরা বিএসসি পাস করিয়ে ছেড়েছি ভালোভাবেই। রেজাল্ট আউটের দিন আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকালে আইয়ুবি মার্শাল ল’ আমলে আমি ও নির্মল বাবু পুরান ঢাকায় নিমতলীর এক মেসে একত্রে ডেরা বাঁধলাম। আমি ইতিমধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বছরখানেক শিক্ষকতা করে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছি। যতদূর মনে পড়ে ‘৬০ সালের একদম গোড়ার দিকে একদিন গভীর রাতে নির্মল বাবুকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেল_ কামরাটি অনেকক্ষণ ধরে তল্লাশি চালাল। আমরা এক কামরাতেই থাকতাম। পাশের রুমে থাকতেন ছাত্রলীগের এককালের নেতা জগন্নাথ কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক রফিকুল্লাহ চৌধুরী। নির্মল সেনের শুরু হলো জেল জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। আমরা এ সময় খুব ঘনিষ্ঠভাবে আত্মিকভাবে কাছাকাছি এসেছিলাম। যদিও নির্মল বাবু ছিলেন কারান্তরালে। মাঝে মধ্যে তার সঙ্গে জেল গেটে দেখা করতাম, বইপত্র, খবরের কাগজ নিয়মিত সরবরাহ করতাম। আমাদের মধ্যে দীর্ঘ পত্রালাপ হতো। জেল থেকে আসা কাটাকুটি, কালির প্রলেপ দেওয়া তার চিঠিগুলো আমাকে অসীম আনন্দ দিত।
    ইতিমধ্যে আমি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পাকাপোক্তভাবে যোগ দিয়েছি_ আজিমপুরে একটি ছোট ফ্ল্যাট পেলাম। ‘৬২ সালে নির্মল বাবু জেল থেকে ছাড়া পেলেন। আমরা আবার একত্র হলাম আজিমপুরের বাসায়। বিয়ে করলাম কুমিল্লার এক পূর্বপরিচিতাকে। নির্মল বাবু তখন পুরোমাত্রায় রাজনীতিবিদ_ কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের নেতা এবং সাংবাদিক। তারপর আমি বিলেতে চলে গেলাম, আমাদের একত্র বাসে ছেদ পড়ল পুরোমাত্রায়। শ্রীযুক্ত সেন জেল থেকে অর্থনীতিতে প্রথম পর্ব পাস করেছিলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পাস করলেন এমএ ডিগ্রি নিয়ে। তখনই জড়িয়ে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাহমুদ সাহেবের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, জড়িয়ে পড়লেন আইয়ুববিরোধী বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে।
    তার পরের ইতিহাস সবারই জানা, নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা সবাই ঊনসত্তরে গণআন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লাম। ২৫ মার্চের ক্র্যাকডাউনের পর মুক্তাঞ্চলে চলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। সে আর এক কাহিনী। সে সময় নির্মল বাবু ফরিদপুরের কোটালীপাড়ায় ছিলেন। স্বচক্ষে দেখেছেন থানায় ওয়্যারলেসে গৃহীত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নিজের পার্টির অবস্থান থেকে। প্রবাসে থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা পুস্তিকা ও লেখা লিখেছেন_ একটির কথা আমার এ মুহূর্তে মনে পড়ছে_ ‘পূর্ববাংলা-পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’। একটি চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী অনুসন্ধিৎসু লেখা। নির্মল সেনের লেখা বরাবরই চিত্তাকর্ষক ও বিশ্লেষণী। আসুন আমরা সবাই মিলে তার পাশে দাঁড়াই, তার জীবনের এই শেষলগ্নে।
    অলমতি বিস্তরেন।

    সমকালে প্রকাশিত, লিন্ক এখানে

  6. মাসুদ করিম - ১১ এপ্রিল ২০১০ (৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ)

    চেরনোবিল পরমাণু দূর্ঘটনায় আক্রান্ত শিশুদের সারিয়ে তুলেছিল পৃথিবীর চিকিৎসা জগতের বিস্ময় কিউবা। বিস্তারিত এখানে

  7. মাসুদ করিম - ১১ এপ্রিল ২০১০ (৯:২৭ পূর্বাহ্ণ)

    চিদাম্বারাম থেকে ক্যামব্রিজ : বিজ্ঞানে নিবেদিত জীবন। নবেল বিজয়ী ভারতীয় বিজ্ঞানী ভি.রামাকৃষ্ণান এর আত্মজৈবনিক প্রবন্ধ।

  8. মাসুদ করিম - ১৯ এপ্রিল ২০১০ (৪:২৪ অপরাহ্ণ)

    ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি স্থাপনের বিষয়ে যে প্রশ্নটি আলোচিত হতে দেখা যায় না তা হলো ফুলবাড়ী কয়লা আবিষ্কারক অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি বিএইচপি সেখানে কয়লা আবিষ্কারের পর উন্মুক্ত খনি স্থাপন করেনি কেন? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মাইনিং কোম্পানি বিএইচপির কারিগরি দক্ষতা ও আর্থিক সামর্থ্য সর্বজন স্বীকৃত এবং এর খনি নির্মাণ কার্যক্রম বিশ্বের অধিকাংশ সম্পদশালী দেশজুড়ে বিস্তৃত। সমপ্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিএইচপি বাংলাদেশে উন্মুক্ত কয়লা খনি স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে কয়লা অনুসন্ধান করতে আসে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে ফুলবাড়ীতে কয়লা আবিষ্কারের পরে উন্মুক্ত কয়লা খনি স্থাপনের প্রশ্নে বিএইচপি অগ্রসর হতে দ্বিধা করে। এর কারণ বিএইচপি মনে করে, ফুলবাড়ী এলাকার ভূপ্রকৃতি ও সামাজিক পরিবেশে ১০০ মিটারের বেশি গভীরতায় অবস্থিত কয়লা উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে খনন করলে তা পরিবেশকে যথেষ্টভাবে প্রভাবিত করবে, যা কি না অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশনীতির মানদণ্ডে গ্রহণযোগ্য নয়। বিএইচপি মনে করে, কয়লাস্তরের গভীরতা ১০০ মিটারের কম বা কাছাকাছি হলে তবেই এ দেশে উন্মুক্ত কয়লা খনি স্থাপন সম্ভব। ফুলবাড়ীতে কয়লাস্তরের গভীরতা ১৫০ থেকে ২৫০ মিটার। পরে বিএইচপি ফুলবাড়ী কয়লাক্ষেত্র এশিয়া এনার্জি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করে দেশ ত্যাগ করে।
    ফুলবাড়ী কয়লার গভীরতা ১৫০ থেকে ২৫০ মিটার হওয়ার কারণে যদি তা উন্মুক্ত খনি স্থাপনের যোগ্য বলে বিবেচিত না হয়, তবে অপর কয়লাক্ষেত্রসমূহ যেমন খালাশপীর (গভীরতা ২৬০—৪৫০ মিটার) বা দীঘিপাড়া (গভীরতা ২৫০—৩৫০ মিটার) কোনোভাবেই উন্মুক্ত খনির যোগ্য নয় (জামালগঞ্জ কয়লার গভীরতা ৬০০ মিটারের বেশি বিধায় তা কোনো পদ্ধতিতেই উত্তোলনযোগ্য নয়)। তাহলে বাংলাদেশে কি কোথাও উন্মুক্ত কয়লা খনি করা সম্ভব নয়? বিষয়টির ওপর সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ দল প্রণীত প্রস্তাবিত কয়লানীতিতে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় এনে কয়লা খনন পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে। এতে প্রস্তাব করা হয়েছে যে বড়পুকুরিয়া কয়লাক্ষেত্রের এক প্রান্ত বরাবর যেখানে কয়লার গভীরতা সবচেয়ে কম (১১৭ মিটার), সেখানে একটি উন্মুক্ত খনি করা যেতে পারে।
    খালাশপীর ও দীঘিপাড়া কয়লাক্ষেত্র ভূগর্ভস্থ খননের মাধ্যমে উন্নয়ন করা সম্ভব। কিন্তু বড়পুকুরিয়া ভূগর্ভস্থ কয়লা খনির অভিজ্ঞতায় মাত্র ২০ শতাংশ কয়লা আহরণ হবে বলে যে চিত্র পাওয়া যায় তা সামগ্রিকভাবে কতটা অর্থনৈতিক লাভ বয়ে আনবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আবার ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি যে পরিবেশের ক্ষতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত তাও নয়। ইতিমধ্যে বড়পুকুরিয়া খনির ওপর ভূপৃষ্ঠে জমি দেবে যাওয়ার ফলে অনেক এলাকাজুড়ে ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। সুতরাং একদিকে ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি নির্মাণের বিশাল ব্যয় ও তার বিপরীতে কয়লা মজুদের সামান্য অংশ উত্তোলন করার যৌক্তিকতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করেন।

    উন্মুক্ত কয়লা খনি নয়, এই ধরনের কয়লা খনি আমাদের পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করবে, কয়লা তোলা হোক প্রচলিত পদ্ধতিতে। উন্মুক্ত কয়লা খনিই সহজ পথ, এভাবেই দ্রুত কয়লা তুলে ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশের কয়লা সম্পদ নিয়ে মূল বিতর্ক এই দুখাতেই বইছিল। এবার বদরুল ইমাম আমাদের জানালেন কয়লাকে মাটির নীচেই গ্যাসে রূপান্তর করে গ্যাস হিসেবে উত্তোলনের কখা।

    বাংলাদেশর ভূপ্রাকৃতিক ও সামাজিক বৈশিষ্ট্য কয়লা খনির স্থাপনের বৃহত্ কর্মযজ্ঞ চালানোর জন্য মোক্ষম স্থান নহে। সমপ্রতি বিশ্বে কয়লা সরাসরি খনন করে ওঠানোর পরিবর্তে বিকল্পভাবে ব্যবহারের পন্থা উদ্ভাবিত হয়েছে। এ পন্থাটিকে বলা হয় ভূগর্ভস্থ কয়লা গ্যাসকরণ (underground coal gasification বা সংক্ষেপে UGC)। এ পদ্ধতিতে কয়লা না উঠিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে কূপ খনন করে কয়লার ভেতর বাতাস বা অক্সিজেন ও উত্তপ্ত জলীয় বাষ্প ঢোকানো হয় ও উচ্চ তাপে কয়লাকে ভূগর্ভে প্রজ্বালন করা হয়। এর ফলে কয়লা থেকে একাধিক গ্যাস তৈরি হয়। যেমন হাইড্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি, যা কি না অপর একটি কূপ খনন করে ভূপৃষ্ঠে নিয়ে আসা হয়। আর এ গ্যাস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, কলকারখানা ইত্যাদি চালানো যেতে পারে। ভূপ্রকৃতিতে বা সামাজিক পরিবেশের ওপর এ পদ্ধতির গ্যাস উত্তোলন কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না বিধায় এ পদ্ধতিটি সমপ্রতি বিশ্বে বহু দেশে বিশেষ করে পরিবেশবাদীদের আকর্ষণ কেড়েছে। বর্তমানে যদিও কয়লার গ্যাস উত্তোলনের এই পদ্ধতিটির বাণিজ্যিক প্রয়োগ ব্যাপক আকারে প্রচলিত হয়নি, পৃথিবীর অনেক দেশেই এ রকম প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

    তাহলে এখন থেকে তর্কটা হবে তিনটি পদ্ধতি নিয়ে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

    • মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০১০ (৯:৩১ পূর্বাহ্ণ)

      ডেইলি স্টারের এই রিপোর্ট অনুযায়ী শেখ হাসিনা উন্মুক্ত কয়লা খনির পক্ষে।

      Prime Minister Sheikh Hasina yesterday advocated for open pit coal mining in Barapukuria, and instructed the power ministry to assess how much power could be generated from that coal.

      At a cabinet meeting, she hinted at the oil, gas and port protection committee’s resistance to open pit mining, and said her government is not concerned about “others’ criticism”. The committee vehemently campaigns against open pit mining, saying it is environmentally disastrous.

      Hasina is in favour of a balanced approach for tapping the largely unutilised coal resources. A cabinet member quoted the prime minister as saying, “We are concerned about what would benefit us the most, and how much would it affect the environment.”

  9. মাসুদ করিম - ২০ এপ্রিল ২০১০ (৪:৩৬ অপরাহ্ণ)

    মুখ ঢাকা, তিনি পড়ছেন কবিতা, হিস্সা হিলাল — ফতোয়াকেও ব্যাঙ্গ করেছেন।

    I have seen evil from the eyes of the subversive fatwas / In a time when what is lawful is confused with what is not lawful / When I unveil the truth, a monster appears from his hiding place / Barbaric in thinking and action, angry and blind / Wearing death as a dress and covering it with a belt / He speaks from an official, powerful platform, terrorizing people / And preying on everyone seeking peace.

    এই মুখহীন কবির কথা পড়ুন, এখানে ১ম, ২য়৩য় অংশ। আর ছবি দেখুন এখানে

  10. মাসুদ করিম - ২২ এপ্রিল ২০১০ (১২:৪৩ অপরাহ্ণ)

    গতকাল বুধবার প্রাক্তন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি সামারাঞ্চ মারা গেছেন। পড়ুন A life dedicated to sport। এবং 1980-2001: The Samaranch years

  11. মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০১০ (৯:০৮ পূর্বাহ্ণ)

    জামশিদ মারকার, ১৯৬৫-১৯৯৫, দীর্ঘ ত্রিশ বছর বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন, পৃথিবীতে আর কেউ একটানা এত বছর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেননি। সম্প্রতি করাচি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে তার কর্মজীবনের আত্মস্মৃতিমূলক বই ‘Quiet Diplomacy: Memoirs of an Ambassador of Pakistan’ বেরিয়েছে। সেবই নিয়ে ‘ফ্রন্টলাইন’-এ রিভিউ লিখেছেন ভারতের প্রখ্যাত লেখক এ.জি.নুরানি। আমাদের জন্য এবইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ ১৯৬৯-১৯৭২ জামশিদ মারকার সোভিয়েত ইউনিয়নে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। নুরানি লিখছেন

    Marker came to Moscow at a crucial moment. On his advice Yahya Khan did not raise the arms question during his visit to Moscow in June 1970. Surprisingly, Fomin asked Marker why Yahya had not raised the issue. The Ambassador advised the President to do so. After his return to Pakistan, Marker received a message from the Foreign Secretary that President Nikolai Podgorny and Prime Minister Kosygin had both “confirmed to the President the Soviet Union’s decision to resume arms supplies to Pakistan, and that I should take immediate steps with the relevant Soviet agencies for its implementation”. Yahya jubilantly informed the General Headquarters (GHQ) of the Pakistan Army. But when Marker pursued the matter, he drew a blank. Kosygin would neither confirm nor deny his talk with Yahya. “The entire phenomenon has remained a mystery, and even though nearly forty years have passed it continues to puzzle me. I can find no clue or explanation for this bizarre episode.” This is understandable, but he might have guessed that the change was prompted by progress in possible parleys with India which had begun in 1969.
    The year 1970 ended with that impasse. In March 1971 came Yahya’s brutal crackdown in Dhaka, and the challenges facing Marker mounted. Four truths must be faced alike by Pakistanis and Indians. First, Indira Gandhi had decided to break up Pakistan as early as “on 6 April”, A.K. Ray, Joint Secretary, Ministry of External Affairs Branch Secretariat in Kolkata from May 1971 to February 1972, authoritatively disclosed (Indian Express, December 19, 1996). The memoirs of Lt. General J.F.R. Jacob, Chief of Staff of the Eastern Command, who oversaw the surrender at Dhaka, confirm this (pages 35-36). The refugee influx which followed was a false pretext.

    Secondly, after the brutal crackdown, East Pakistan was lost. Burke’s wise words on March 22, 1775, are apposite: “Terror is not always the effect of force; and an armament is not a victory.” That is, even if force succeeds. But, “if you do not succeed you are without resource; for conciliation, failing force remains; but, force failing no further hope of reconciliation is left.”

    Thirdly, the Soviet Union was agains t a break-up of Pakistan. When it became inevitable, it did its best to see that the rest of Pakistan was preserved. On December 12, 1971, Brezhnev wrote to Nixon: “Our contacts with Prime Minister Indira Gandhi suggest that Indira Gandhi does not intend to take any military action against West Pakistan.” (Anatoly Dobrynin; In Confidence; page 236. Dobrynin was then Soviet Ambassador to the U.S.) This was a mild version of the strong demarche Soviet Ambassador Pegov had made to the Prime Minister. It was not the treaty in August but Indira Gandhi’s visit to Moscow in September that compelled the USSR to support her fully. Pakistan’s existence is a vital Great Power interest. Moscow was torn between losing a growing alliance with India and impairment of that interest.

    Lastly, the U.S. was clueless. Kissinger moved from wooing Awami Leaguers in Kolkata to instigating China on December 10 to attack India. China knew better. Its military attache Chao Kuanchih had been warned off in Kathmandu on December 8 or 9 by Loginov, defence attache in the USSR Embassy. As early as on June 3, before Indian help and operations had increased, Kissinger said, “Our judgment is that East Pakistan will eventually become independent…. The problem is how to bell the cat. The President has chosen to do it gradually. In all honesty … the President has a special feeling for President Yahya. One cannot make policy on that basis, but it is a fact of life” (National Security Archive’s The Tilt: The U.S. and the South Asian Crisis of 1971; edited by Sajit Gandhi; December 16, 2002; Document 13). His attempts to “bell the cat” failed because he sought to preserve Pakistan’s unity for some time (“gradually”) when time was fast running out.

    It was signed in Delhi by the Foreign Ministers. The Times (London) correspondent in Moscow, David Bonavia, reported the impression in Moscow that the Russian Foreign Minister had “doubtless emphasised to his hosts that the Soviet Union will expect India to behave responsibly and avoid all possible causes of an armed conflict with Pakistan” (August 10).

    The American impression, also, was that the Soviet Union had by signing the treaty with India dissuaded it from recognising Bangladesh, an act which would have provoked a war between India and Pakistan.

    “According to intelligence reports reaching here,” The New York Times correspondent in Washington, Tad Szulc, said, “the message of India’s planned Monday (August 9) recognition of Bangladesh was delivered in Moscow by Durga Prasad Dhar, former Indian Ambassador to the Soviet Union, apparently acting as a special envoy for Prime Minister Indira Gandhi. Mr. Dhar flew to Moscow on August 2.” Gromyko was reported to have warned that recognition of Bangladesh could provoke a war and he himself proposed to visit New Delhi to use “whatever pressure was necessary” to dissuade Indira Gandhi from recognising Bangladesh at this time. Szulc added, “American officials surmised that Gromyko was successful in persuading India to defer its recognition of Bangladesh when he agreed to sign a friendship treaty immediately.”

    It must be read in the context. In a letter to Nixon on December 3, Kosygin proposed release of Sheikh Mujibur Rehman from prison and negotiations with him “to begin at that stage where they were interrupted in March…. We are addressing ourselves” to both sides.

    The Soviet resolution of December 7 in the General Assembly urged “a political settlement giving immediate expression to the will of the East Pakistan population as expressed in the elections of December 1970” and a ceasefire once Pakistan took “effective action” to that end.

    On December 14, Poland tabled Resolution S/10453 in the Security Council calling for the immediate release of Mujib, a ceasefire after the process of transfer of power had begun, withdrawal of Pakistani troops and civilian personnel, withdrawal of Indian troops and return of both sides to their pre-war positions in the west. The next day it revised the draft in two respects, both in Pakistan’s favour. The reference to Mujib’s release was dropped and there was a tighter provision for withdrawal of India’s forces. “The Indian armed forces will be withdrawn from East Pakistan.” It spelt an orderly transfer of power, withdrawal of India’s troops in both sectors to pre-war positions. Not a single Pakistani prisoner of war would have been left and there would have been no Shimla Pact.

    Richard Sisson and Leo Rose write, on the basis of interviews in India, that it “was the most controversial and potentially embarrassing of the resolutions … since it was the only resolution that had a high probability of adoption … [and] aroused considerable distress in New Delhi” (Pakistan, India, and the creation of Bangladesh; page 219).

    They add, “Indeed, several key figures in India could not understand why Pakistan did not readily agree to the proposal, since it would have left India in a most difficult and compromising position (interviews, India, 1978). In our interviews with him in 1979, Yahya Khan related a rather curious account of his experience with Bhutto on the Polish resolution. Yahya had been talking to Bhutto – who was at the U.N. meetings in New York – by telephone about several matters. At one point Yahya said that he was far away, of course, but that the Polish resolution looked good, and ‘we should accept it’. Bhutto replied, ‘I can’t hear you.’ Yahya repeated himself several times, and Bhutto kept saying ‘What? What?’ The operator in New York finally intervened and said, ‘I can hear him fine,’ to which Bhutto replied ‘Shut up’. Yahya seemed still bemused and bewildered by all this in 1979” (page 306).

    But the resolution would have left Yahya in power. Bhutto was all set on his ouster. It matters not whether he tore up the draft or some other paper. At a breakfast at the Waldorf Towers earlier, on December 11, Kissinger scolded him like a schoolboy for his “mock-tough rhetoric … we should not waste them [the next 48 hours] in posturing for history books”. (Nixon, Indira and India by Kalyani Shankar; Macmillan, 2010; pages 234, 278-279.)

    I.H. Burney’s intrepid weekly Outlook (of May 25, 1974), in a detailed report on “The War Commission and the Surrender”, sharply criticised Bhutto for rejecting the Polish initiative (page 10). Marker’s point about the timing is well taken, but even at the late hour it would have recorded a compact with Soviet endorsement. That terms would have gone into effect despite the surrender in Dhaka. Was that surrender preferable to “the formal abdication of national sovereignty” in the Polish draft as Marker puts it? There is another aspect. The terms were not new. Active diplomacy could have ensured their acceptance earlier.

    Yahya was well aware of what was in store. Iman Ullah revealed in The Nation of August 23, 1990, that the Inter-Services Intelligence (ISI) had “placed a copy of the Operational Instructions (of the Indian Army) on the table of the President of Pakistan General Mohammed Yahya Khan on 16 September”. It had been signed on August 19, 1971, and fixed November 21 as D-day. The war began that day when Indian armour entered East Pakistan, not on December 3 as India has falsely claimed. Sydney Schanberg of The New York Times reported it but was scolded by officials. The Prime Minister was angry at “the leak”, the papers reveal.

    Bhutto wisely repaired to Moscow on March 16, 1972, to mend fences. It was on the next day that Bhutto suggested the phrase “Line of Control” to replace the “ceasefire line”. Marker is all too right when he avers that the origins of the Shimla Conference “can clearly be traced to the Bhutto-Brezhnev meeting in Moscow in March 1972”. Kosygin kept Indira Gandhi well informed of Bhutto’s overtures preceding the meeting – so that he could pursue his interests thereafter. His was an invisible presence at Shimla, a factor few care to notice. Indira Gandhi snubbed P.N. Dhar, who suggested stalling on the Indian troop withdrawal. He rightly sensed that Soviet pressure accounted for the wrath she visited on him (page 209).

    Marker’s lament at the misfortune that befell Pakistan would have been more poignant had he been more critical of Yahya. The quote from Ghalib is misplaced. The poet lamented the misfortune that befell an innocent soul. But was Pakistan so innocent of the parleys between the USSR and India? Did its ally, the Central Intelligence Agency (CIA), which had a mole in the Indian Cabinet then, not keep it in the know?

    বিস্তারিত পড়ুন : 1971: Kremlin Key

  12. মাসুদ করিম - ২৭ এপ্রিল ২০১০ (৭:০১ অপরাহ্ণ)

    কলকাতার ফরাসি নাইট হলেন… কে?… যারা তার সম্বন্ধে জানেন, সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন, এ শুধু চিন্ময় গুহ-ই হতে পারেন। দেরিদার ভাষায় যিনি ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ ফরাসি বলেন, প্যারিসের ইমিগ্রান্ট পুলিশ কোনোমতেই বিশ্বাস করতে রাজি হন না — চিন্ময় গুহ কলকাতা থেকে উড়ে এসেছেন। পড়ুন এখানে Kolkata’s French Knight

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.